সমকাল 'দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে যৌক্তিক ও মৌলিক পরিবর্তন দরকার' বিষয়ে লিখতে বলেছে। লেখালেখির অভ্যাস আজকাল নেই। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতায় সব সুকুমারবৃত্তির মৃত্যু হয়েছে। মৌলিক কথাটিই আপেক্ষিক। ধর্মকে অনেকে মৌলিক মনে করেন। আবার অনেকে মার্ক্সবাদকে মৌলিক মনে করেন। এই বিষয়গুলো নিয়ে দার্শনিক এবং লেখকেরা বিতর্ক করবেন। আমি দার্শনিক নই, লেখকও নই। মাঠে কাজ করা রাজনৈতিক কর্মী। এটুকু বুঝি, দেশের মৌলিক পরিবর্তনে যুক্তিনির্ভর সংবিধান প্রয়োজন।
সকলের অংশগ্রহণের নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সংসদ সবচেয়ে জরুরি। সংসদীয় কমিটিগুলোর কার্যকর অংশগ্রহণে সকল নীতি, আইন এবং নির্বাহী ক্ষমতার ভারসাম্যের ভিত্তিতে সরকার পরিচালিত হবে, এটি প্রচলিত নিয়ম। যুক্তরাজ্যে সেই কারণেই সংসদীয় কমিটি গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারেও সিনেট কমিটি ও কংগ্রেস কমিটি তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ। সব প্রতিষ্ঠান সংসদীয় ব্যবস্থার কাছে জবাবদিহি করে। তাই সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান মার্কিন প্রেসিডেন্টও স্বেচ্ছাচারী হতে পারেন না। ইচ্ছে করলেই নির্বাচন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। প্রধান বিচারপতি, সেনাপ্রধান, পুলিশপ্রধানসহ কেউ সংবিধানের বাইরে যেতে পারেন না।
উদার গণতন্ত্রে এটিই মৌলিক ও যৌক্তিক ব্যবস্থা। সে কারণেই যুক্তরাজ্যে রাজতন্ত্র ও গণতন্ত্রের অভাবনীয় ভারসাম্য রয়েছে। সেই উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা কায়েমেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে অর্জন করেছিলাম স্বাধীনতা। আমাদের আকাঙ্ক্ষা ছিল- সাম্য, মানবিক মূল্যবোধ ও সামাজিক ন্যায়বিচারের ভিত্তিতে নির্মিত হবে বাংলাদেশ। আমাদের আত্মা সেই সৌরভে ঘেরা অমরাবতী। দুর্ভাগ্য জাতির আত্মা নিহত হয়েছে।
মোটা ভাত, মোটা কাপড়, মাথার ওপরে ছাদ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, ভোটাধিকার, বাকস্বাধীনতা ও বেঁচে থাকাই মৌলিক অধিকার। তা থেকে সিংহভাগ মানুষ বঞ্চিত। শতকরা ৪২ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে। বিচার ব্যবস্থা, প্রশাসনসহ সর্বত্র দুর্নীতি ও দলীয়করণ দেশকে অকার্যকর করেছে। শোষণ, নির্যাতন ও বঞ্চনা ভয়ংকর অবস্থা সৃষ্টি করেছে। ভীতি ও ত্রাস মানুষের প্রতিবাদের সাহস কেড়ে নিয়েছে।
স্বাধীনতার পর থেকেই শুরু হয়েছিল বিভাজন ও ভিন্নমত নির্মূলের রাজনীতি। যুক্তিহীন ব্যক্তিপূজার সংস্কৃতি। শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে, মৌলিক অধিকার হরণ করে বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রের কবর দেওয়া হয়েছিল। স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের হাতে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রবর্তনে এবং মিশ্র ও ক্ষুদ্র বাজার অর্থনীতি ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় যৌক্তিক ও মৌলিক পরিবর্তনের সূচনা হয়। তাঁর বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের দর্শন ঐক্য, উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতির যৌক্তিক ও মৌলিক ধারা সৃষ্টি করে। তিনি বাম-ডান সব মতকে নিয়ে সত্যিকারের বাস্তব রাজনীতির জন্য বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল গঠন করেছিলেন। যৌক্তিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির ভিত তৈরি করেছিলেন। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই অগ্রযাত্রাকে রুখে দিয়েছিল দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারীরা তাঁকে হত্যা করে।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার গণভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়ে ক্ষমতায় এসে জিয়াউর রহমানের উন্নয়ন চিন্তাকে ভিত্তি করে দেশকে এগিয়ে নেন। সংসদীয় গণতন্ত্র, বাকস্বাধীনতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার মতো যৌক্তিক পরিবর্তন তাঁর হাত ধরেই হয়েছিল। অর্থনীতির আশাব্যঞ্জক উন্নয়ন হয়েছিল। প্রবৃদ্ধি প্রথমবারের মতো ৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বাংলাদেশকে উদীয়মান ব্যাঘ্র হিসেবে অভিহিত করেছিল। তবে বাংলাদেশ যেন জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতে সত্যিকারের অগ্রগতি করতে না পারে, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে না পারে, সেই চক্রান্ত সবসময়েই ছিল। যার ফল এক-এগারো।
বিরাজনীতিকরণের প্রক্রিয়া এক-এগারো। এর মূল উদ্দেশ্য ছিল আধিপত্যবাদী শক্তির প্রাধান্য বিস্তার। সত্যিকারের উন্নয়নের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়, বাংলাদেশকে তেমন একটি নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করতে পুতুল সরকারকে ক্ষমতায় আনার চেষ্টা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার গত ১৪ বছরে সেই ধারাই অব্যাহত রেখে, বহুদলীয় গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাসহ রাজনীতি ও রাষ্ট্রের মৌলিক কাঠামো ধ্বংস করেছে। একটা গোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে তাদের দুর্নীতি, লুটপাটের সুযোগ করে দেওয়ায় মানুষের উন্নয়ন হয়নি।
তথাকথিত মেগা প্রজেক্টের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। সেখানে গুটি কয়েক লোকের হাতে টাকা যাচ্ছে। সাধারণ মানুষের প্রকৃত আয় বাড়ছে না। যে সংকট তৈরি হয়েছে, এর একদিকে জ্বালানি তেল, নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার পেছনে সিন্ডিকেট কাজ করছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে বিশ্ব অর্থনীতি সমস্যায় আছে। সেখানে যুক্ত হয়েছে বাংলাদেশে অবৈধ সরকারের মদদপুষ্ট লুটপাটকারীদের লুণ্ঠন।
বহুমাত্রিক রাজনৈতিক কাঠামোকে ধ্বংস করে আবারও একদলীয় শাসনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে দলীয়করণ করা হয়েছে। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে গণমাধ্যমকে।
আওয়ামী লীগ পরিকল্পিতভাবে দলীয় ক্যাডারদের দিয়ে প্রতিটি সরকারি প্রতিষ্ঠানে দলীয়করণ করা হয়েছে। জনগণের প্রতিনিধিত্বকারী জাতীয় সংসদ নেই। ২০১৪ সালের নির্বাচনে একই কাজ হয়েছে। গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যা, মিথ্যা মামলায় সারাদেশে ভয়-ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার মিথ্যা মামলায় গণতন্ত্রের আপসহীন নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাদন্ড দিয়ে গৃহ অন্তরীণ করে রাখা হয়েছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে নির্বাসনে থাকতে বাধ্য করা হচ্ছে।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় নির্বাচন ছিল সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য। নিরপেক্ষ নির্বাচনে ক্ষমতায় আসতে পারবে না বুঝতে পেরে আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাই বাতিল করে দেয়। অথচ নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে তারাই বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছিল। বিচারপতি খায়রুল হক তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেশের ভবিষ্যতের ও গণতন্ত্রের ক্ষতি করেছেন। সেজন্যই বিএনপি এই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে ফিরিয়ে সত্যিকারের গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের কথা বলছে।
২০১৮ সালে কোনো নির্বাচনই হয়নি। আগের রাতে ভোটে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিয়েছে। সত্যিকারের যুক্তিভিত্তিক রাজনীতি গড়ে উঠতে পারে, যখন গণতান্ত্রিক পরিবেশ থাকে। গণতান্ত্রিক চর্চা হয়। দুর্ভাগ্য, আওয়ামী লীগ সেই ব্যবস্থাকে পুরোপুরি ধ্বংস করেছে। গণতান্ত্রিক পরিসর নেই। বিরোধী দল কথা বলতে পারে না। সংবাদপত্র লিখতে পারে না। নির্যাতন, দমন-পীড়ন, গুম-খুন, হত্যা, মিথ্যা মামলায় ভয়ংকর পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ।
ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হতে চলেছে বাংলাদেশ। এরকম পরিস্থিতিতে যুক্তিবোধ কাজ করে না। একজন ব্যক্তিকে খুশি করতে গোটা ব্যবস্থা চালানো হয়েছে। এক ব্যক্তির তোষণ শুরু হয়েছে। অথচ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা সামাজিক ন্যায়বিচার, মানবিক মূল্যবোধ এবং সাম্যের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করেছিলাম। তা আজ পুরোপুরি চলে গেছে। এখন সংসদে বিতর্ক হয় না। বিতর্ক না হলে সেখানে থেকে কীভাবে ভালো সমাধান আশা করতে পারি। আইন পাস হয় বিতর্ক আলোচনা ছাড়াই। আওয়ামী লীগ যেভাবে চায়, সেভাবেই আইন হয়। রাজনৈতিক যুক্তিবোধ কাজ করে না। আমরা বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর কথা বলছি না। আমরা বলছি, জনগণের প্রতিনিধিত্বের সংসদ। তা না হলে, জনগণের চাওয়া, দাবিদাওয়ার সমাধান হবে না। জবাবদিহিতা না থাকলে যৌক্তিক সিদ্ধান্ত আসবে না।
বর্তমানে কিছু ধনী মানুষ আরও ধনী হচ্ছে। গরিব আরও গরিব হচ্ছে। বৈষম্য বাড়ছে। শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস হয়েছে। যারা অনেক টাকায় ইংলিশ মিডিয়ামে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে, বিদেশে পড়তে পারে তারাই শিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। পাবলিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দলীয়করণের কারণে শিক্ষা নেই। দুর্নীতিতে স্বাস্থ্য খাত অসুস্থ। যার টাকা আছে, তার জন্য চিকিৎসা আছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রতিবছর ভারতসহ বিভিন্ন দেশে যান চিকিৎসার জন্য।
বিদ্যুৎ খাতেরও অভিন্ন অবস্থা। আওয়ামী লীগ দায়মুক্তি আইন করে, কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করেছে। যা খুশি তাই চলছে দায়মুক্তির কারণে। সেদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব বললেন, 'যেসব প্রকল্প বিদেশি ঋণে হয়, সেগুলো এমনভাবে করা হয় যে, সেখানে দুর্নীতি হবেই। সেগুলো সঠিকভাবে পর্যালোচনা করা হয় না।' এ কথার পর সরকারের পদত্যাগ করা উচিত। অন্তত পরিকল্পনামন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
আইনশৃঙ্খলা কথা আর কী বলব। প্রতিদিনই হত্যা হচ্ছে। ধর্ষণ হচ্ছে। মাদক সমস্যা ভয়াবহ। তৃণমূলে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে মাদক প্রতিহতের উদ্যোগ নেই। এসবের মূল কারণ, জনগণের প্রতিনিধিত্বশীল সংসদ নেই। জবাবদিহিতা নেই। সব চলে এক ব্যক্তির ইচ্ছায়। যাঁরা তাঁর সঙ্গে থাকেন তাঁরা তোষামোদি করেন। একটি এলিট শ্রেণি তৈরি হয়েছে। যাদের আমি বর্গী বলি। এরা বর্গীর মতো লুট করছে। বিদেশে টাকা পাচার করছে। পুলিশের সিআইডি বলছে- গত এক বছরে ৮৭ হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে। তার মানে সরকার সর্বক্ষেত্রে ব্যর্থ। এটি যুক্তির কথা।
ইলেকট্রনিক বা খবরের কাগজ সব সংবাদমাধ্যম আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণে। বিভিন্ন এজেন্সি সাংবাদিকদের ফোন বলে দেয়, কোন খবর যাবে, কোনটা লিড হবে। সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয় হলো, আওয়ামী লীগ জাতিকে বিভক্ত করেছে। আওয়ামী লীগ বনাম অন্যান্য। বিএনপির লোক হলে সে বিচার পাবে না, আইনের আশ্রয় পাবে না, মৌলিক অধিকার পাবে না, চাকরি পাবে না। এই বিভক্তির ফলে মেধার বিকাশ হচ্ছে না।
যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায়, তারা যুক্তির সঙ্গে কাজ করছে না। তারা বুঝতে ব্যর্থ হচ্ছে - সত্যিকার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় বিরোধী দলকে কাজ করতে দিতে হবে। গণতান্ত্রিক স্পেস দিতে হবে। ক্যাসিনো মামলা, দুর্নীতির মামলার আসামিদের জামিনে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু মিথ্যা মামলা হলেও খালেদা জিয়ার প্রাপ্য জামিনটা দেওয়া হচ্ছে না। ২১ আগস্টের মামলায় তিনটি প্রাথমিক রিপোর্টে তারেক রহমানের নাম ছিল না। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মামলা সাজিয়ে তাঁকে সাজা দিয়েছে। প্রধান আসামিকে মামলা চলাকালে ফাঁসি দিয়েছে।
আজ গণতন্ত্র নেই বলেই যুক্তি কখনও প্রাধান্য পায় না। বিতর্ক, জবাবদিহিতা নেই বলে সবকিছুতে ব্যর্থ হচ্ছে।
এখানে মূল লক্ষ্য 'আমাকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা নিয়ে থাকতে হবে, লুটপাট করতে হবে।' তাহলে যুক্তি খাটবে না। পরামর্শ একটাই, গণতন্ত্রের চর্চা করতে হবে। যতই অন্ধকার থাক, কাল নতুন দিনে নতুন সূর্যের আলো সব আঁধার কেটে নতুন বাংলাদেশে আলো ছড়াবেই। সত্যিকার অর্থেই জ্ঞানভিত্তিক, যুক্তিভিত্তিক একটি মুক্ত সমাজ বিনির্মাণ করতে হবে।
—
লেখক: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)
সমকাল/ সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২২