Search

Sunday, June 3, 2018

STOP extrajudicial killing

10 eminent citizens say in joint statement; UN watching drug purge closely; 2 more killed


“The nation is losing its mental balance …. Life in this country has become valueless.” Sultana Kamal.
Ten eminent citizens yesterday called for an end to extrajudicial killings and urged the government to open a judicial investigation into all incidents of “shootouts”. 

Such deaths are in no way acceptable in a democracy, they said in a joint statement.  

The signatories are Prof Emeritus Anisuzzaman, Hasan Azizul Haque, Ramendu Majumdar, Ataur Rahman, Mamunur Rashid, Nirmalendu Goon, Nasiruddin Yusuf Bachchu, Mofidul Hoque, Golam Quddus and Hasan Arif.

"We are noticing with concern that many people are falling victims to extrajudicial killing every day. The incidents are being termed as deaths in gunfights…. The right to life guaranteed in the constitution cannot be taken away like this,” the statement read.

Chilling information about some individuals killed have been published in the news media as well as social media. No allegations against slain Teknaf Municipal councillor Akram before his death. The municipal mayor has protested his killing, the statement added. 

"His family organised a press conference and provided journalists with [audio clips of] phone conversations that took place before the murder. Which is unthinkable in any democratic country and society. Only one such incident is enough to make the entire anti-drug drive questionable," they added.

The eminent citizens urged that the government unearth the actual facts through a judicial inquiry and make the findings public to dispel the fear in public mind. 

SULTANA ON 'SHOOTOUT'

The government seems to have resorted to “gunfights” as the only option to solve problems, noted rights activist Sultana Kamal said yesterday.

“This situation emerges when a country seriously lacks good governance and accountability. The nation is losing its mental balance,” she said.

Sultana was addressing a rally organised in front of the National Museum at Shahbagh in the capital, demanding punishment of the “killers” of environment activist Uttam Kumar Devnath and an end to the “anarchy” on roads.

Uttam, an organiser of Bangladesh Poribesh Andolon, was killed in a road accident in Savar on May 21. Life in this country has become “valueless”, she said, adding, “Those who are running the state should think about it”.

TWO MORE KILLED

Two more alleged drug peddlers were killed in “gunfights” in Comilla and Cox's Bazar yesterday, taking the tally of people killed in such incidents to 129, amid the countrywide anti-narcotics drive that began 19 days ago.

In Comilla, Saddam Hossain, 36, was killed in a “gunfight” with police in Chauddagram upazila around 2:40am, police said.

Abul Faisal, officer-in-charge of Chauddagram Police Station, said a police team went to Koroibon on information that a gang of drug peddlers had gathered there.

Sensing police presence, the criminals opened fire on the law enforcers, prompting them to retaliate with gunshots triggering the “gunfight”, he claimed. 

Police then found the bullet-riddled body of Saddam on the spot, he said, adding the victim was accused in 12 cases, including 10 related to narcotics.

He also claimed to have recovered 200 bottles of phensedyl and firearms from the scene.

In Cox's Bazar, Shahjahan, who police said was the chief of a criminal gang “Shahjahan Bahini”, was killed in a “gunfight” with his rival group in Chakaria upazila around 1:30am.

Shahjahan, of Baniachhara village in the upazila, was accused in 12 cases, including for murder, rape, and abduction, said Bakhtiar Uddin Chowdhury, officer-in-charge of Chakaria Police Station.

Police recovered Shahjahan's body from the spot and sent it to the Sadar hospital morgue, he claimed.

They also claimed to have recovered 400 yaba pills, a firearm and two rounds of cartridge from the spot.

UNODC CONCERNED

The United Nations Office on Drugs and Crime (UNODC) has urged all member states to adhere to their commitments to promote balanced, human rights-based approaches to drug control, in line with the three international drug control conventions and the outcome document of the United Nations General Assembly special session on the world drug problem.

In response to media and civil society enquiries regarding reports from Bangladesh on anti-drug operations that have allegedly resulted in dozens of deaths, the UNODC in a statement yesterday said, “It is closely following developments in the situation.”

“We stand ready to engage with all countries to help bring criminals to justice with the appropriate legal safeguards, in line with international standards and norms, and to promote evidence-based prevention, treatment, rehabilitation and reintegration,” the UNODC said. 

  • Courtesy: The Daily Star/ June 3, 2018

কৃষকের ধানের দাম নেই, চালের ঘাটতি ১০ লাখের বিপরীতে আমদানি ৮২ লাখ টন!

  • ধানের ভালো ফলনের পরও কৃষকের মুখে হাসি নেই।
  • শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা চাল বাজারে।
  • বাম্পার ফলনের পরও কৃষকের স্বার্থে আমদানি শুল্ক বহাল হয়নি।
  • প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে নেমেছেন।
  • কৃষকের ধানের দাম কম হওয়া সত্ত্বেও বিক্রি হচ্ছে না।


সরকারি হিসাবে গত বছরের বন্যায় বড়জোর ১০ লাখ টন চালের উৎপাদন কম হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে সব মিলিয়ে ৩৭ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে। আমদানির প্রক্রিয়ায় রয়েছে আরও ৪৫ লাখ টন। আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার ও ব্যাংকঋণের সুবিধা নিয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা মূলত ওই চাল আমদানি করছেন। 

ওই বিপুল পরিমাণ চাল আমদানির ফলে বিপদে পড়েছেন দেশের প্রায় এক কোটি বোরো চাষি। গত বছর বন্যা ও ধানে চিটার বিপদ এই বছর ছিল না। তবে উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। কিন্তু আমদানি করা চাল বাজার দখলে রাখায় বোরো চাষিরা হাটে-বাজারে ধান বেচতে করতে পারছেন না। চালকল মালিকেরা ধান না কেনায় দাম গেছে পড়ে, ফলে অনেক জেলায় উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। 

অন্যদিকে গত বছর ফসল মার খেলেও ধানের দাম ছিল বেশি। ফলে এ বছর কৃষক গত বছরের ক্ষতি পোষাতে বেশি বিনিয়োগ করে ও বেশি জমিতে বোরো ধান করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিষয়ক সংস্থা ইউএসডিএর গত সপ্তাহে প্রকাশিত বিশ্বের ফসলের উৎপাদনবিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এবার এর আগের বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি ধান উৎপাদিত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এক লাখ হেক্টর বেশি জমিতে এবার ধানের চাষ হয়েছে, যা বিশ্বের মোট চালের উৎপাদনকে রেকর্ড পরিমাণে বাড়িয়ে দেবে। 

গত বছরের মে মাসের শেষের দিকে প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা ৬০০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন ব্যয় মণপ্রতি ৮৯৬ টাকা। ধানের দাম কম হলেও চাল প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি হওয়া এই চালের বেশির ভাগই ভারত থেকে আমদানি করা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বোরো ধান ওঠার এই সময়ে চাল আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আনলে ভালো হতো। তিনি বলেন, ‘চালের আমদানি শুল্ক নির্ধারণের ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত। আমাদের কাছে এ ব্যাপারে মতামত চাইলে অবশ্যই আমরা তিন-চার মাসের জন্য আমদানি শুল্ক আরোপ করার পক্ষে মত দেব।’ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে সারা দেশে যেখানে গড়ে মোট দারিদ্র্যের পরিমাণ কমছে, সেখানে দেশের উত্তরাঞ্চলের চার জেলায় দারিদ্র্যের পরিমাণ বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে দেশের অর্থনীতিবিদ ও স্থানীয় কৃষকেরাও মনে করছেন, মূলত ফসলের দাম না পাওয়া ওই দারিদ্র্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এ বছর ১ কোটি ৯০ লাখ টন ধান উৎপাদিত হবে। এরই মধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। উপকরণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর প্রতি কেজি ধানে ২ টাকা ও চালে ৫ টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে কৃষকের। গত বছর ফসল মার খাওয়ার পর এ বছর তাঁরা ধানের পেছনে বাড়তি বিনিয়োগ করেছেন। তাঁরা আশায় ছিলেন ভালো ফলন ও দাম পাবেন।

সরকার ৩৮ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন চাল কেনার ঘোষণাও দিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৯২ হাজার টন চাল সরকারি গুদামে ঢুকেছে। আগে থেকে সেখানে ছিল আরও নয় লাখ টন চাল। ফলে মজুত নিয়ে সরকারের দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু গোলার ধান হাটে বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রায় এক কোটি বোরো চাষি।

দেশে কৃষকের ধানের দাম এত কম হওয়া সত্ত্বেও কেন তা বিক্রি হচ্ছে না—জানতে দেশের কয়েকজন শীর্ষ চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। তাঁরা জানান, চাল কেনার জন্য প্রতিবছর তাঁরা ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। গত বছর সরকার চালের আমদানি শুল্ক ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসে। এর পরপরই চাল ব্যবসায়ীরা আমদানির জন্য বিপুল পরিমাণে ঋণ তুলেছেন। তাই বোরো ধান কাটার এই সময়ে চালকল মালিকেরা প্রয়োজনীয় ঋণ পাচ্ছেন না। ফলে তাঁরা ধান কেনা শুরু করেননি।

সাধারণভাবে দেশের চাল আমদানির ব্যবসায় খুলনা, যশোরের নোয়াপাড়া, সাতক্ষীরা ও নওগাঁর কিছু ব্যবসায়ী যুক্ত ছিলেন। কিন্তু আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের পর দেশের শীর্ষস্থানীয় ও প্রভাবশালী ১০ থেকে ১২টি শিল্প-ব্যবসায়িক গোষ্ঠী চাল আমদানিতে নামে। এই খাতে তারা ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণও নেয়।

এ ব্যাপারে দেশের চালকল মালিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ অটো, মেজর ও হাসকিং চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম লায়েক আলী প্রথম আলোকে বলেন, চালকল মালিকেরা ধান কেনার জন্য সাধারণত ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। এ বছর এমনিতেই সুদের হার বেড়ে গেছে। আবার এখন ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ঋণ পাওয়াও যাচ্ছে না। ফলে অনেক চালকলের কাছে ধান কেনার মতো অর্থ নেই। আর অনেক ব্যবসায়ী ও চালকল মালিক ভারত থেকে কম দামে চাল এনে বাজারে ছেড়েছেন। অনেকের গুদামে বিপুল পরিমাণ আমদানি হওয়া চাল রয়ে গেছে। এগুলোর প্রভাবে ধানের দাম বাড়ছে না। তবে সরকারি গুদামে চাল সরবরাহের যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, তা চালকল মালিকেরা পূরণ করবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ভারতে গত আমন ও বোরোতে অতিরিক্ত উৎপাদন হওয়ায় চালের দাম প্রতি কেজি ৪৫ টাকা থেকে কমে ৩৫ টাকা হয়েছে। ফলে সেখান থেকে চাল আমদানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। কিন্তু থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় চালের কেজি এখনো ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় রয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের মে মাসে অস্বাভাবিক বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার পর সরকার যৌক্তিকভাবেই চালের আমদানি শুল্ক ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনে। কিন্তু আমনে ভালো ফলন হওয়ার পর সরকারের উচিত ছিল বোরোর আগে কৃষক যাতে ভালো দাম পান, সে জন্য শুল্ক আবার বসানো।

চাল আমদানিতে আবার শুল্ক আরোপ না করার কারণ হিসেবে ‘আমদানি লবির’ প্রভাব থাকতে পারে উল্লেখ করে কে এ এস মুর্শিদ বলেন, গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল নষ্ট হওয়ার পর এ বছর যদি কৃষক ধানের দাম না পান, তাহলে তা দেশের কৃষি অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।
  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/ জুন ২,২০১৮ 

রাজউকে ঘুষ না দিয়ে প্ল্যান পাসে ১০ বছর লাগবে

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে ঘুষ না দিয়ে ভবনের নকশা পাস করা যায় না বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ।


কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজউকের অপর নাম দুর্ভোগের জায়গা। সেখানে ঘুষ না দিয়ে একটি ভবনের প্ল্যান পাস করাতে ১০ বছর লাগবে। সংস্থাটির কোন ফ্লোরে কত ঘুষ দিতে হয়, সেটি নির্দিষ্ট করা আছে। রাজউক হচ্ছে লুটপাটের খনি।
রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে আজ শনিবার রিহ্যাব ও সেন্টার ফর কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের (সিসিএন) যৌথ আয়োজনে জাতীয় অর্থনীতিতে আবাসন খাত শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

সরকারি দপ্তরে জমি রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় বলে মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘জমি রেজিস্ট্রেশনের মতো বিড়ম্বনা আর নেই। রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে আপনি যদি মিনিমাম আধা কেজি ঘাম না ঝরাইতে পারেন, তাহলে আপনার রেজিস্ট্রেশন হবে না। রেজিস্ট্রার স্যার একবার রুমে যাবেন, চা খাবেন, কখন আসবেন, কখন যাবেন—ওনার প্রতীক্ষায় বসে থাকতে হবে। আর না হলে আপনি যদি খুব পয়সাটয়সা খরচ করেন, মানে কমিশন দেন, তাহলেও তারিখের জন্য বসে থাকতে হবে।’

দীর্ঘদিন ধরেই আবাসন খাতে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দাবি করে আসছে রিহ্যাব। সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ধারা ফিরিয়ে আনা উচিত। না হলে টাকা কোনো দিন ধরে রাখতে পারবেন না। পানির স্রোতের মতো টাকা চলে যাবে যেখানে সুযোগ আছে। সেই টাকা আটকে রাখার ক্ষমতা কোনো আইনের নেই। তাই বারবার বলছি, সেই টাকা শিল্পে বিনিয়োগ হোক। আবাসন খাতে বিনিয়োগ হোক।’

গোলটেবিল আলোচনায় রিহ্যাবের নেতাসহ অন্য বক্তারা ফ্ল্যাট নিবন্ধন ব্যয় ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা, নিম্নমধ্য আয়ের মানুষকে স্বল্প সুদে আবাসন ঋণ দিতে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, ব্যাংকঋণের সুদের হার এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনা, রাজউকের হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানান।

রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের বাজেটে গৃহায়ণ খাতে ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ টাকাই সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য। একটা টাকাও সাধারণ মানুষের জন্য ছিল না। অতীতেও সাধারণ মানুষের আবাসন মানুষের জন্য বাজেটে কোনো বরাদ্দ ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, আবাসন প্রতিষ্ঠান ব্যাংক খাত থেকে কোনো সহযোগিতা পায় না। ঋণ পায় না। ক্রেতারা পান। কিন্তু পাঁচ বছরের গৃহায়ণ ঋণ হতে পারে না। ২০ থেকে ২৫ বছরের গৃহায়ণ ঋণ হতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ রিহ্যাবের বিভিন্ন দাবিদাওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গেও একমত পোষণ করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক খাত নিয়ে আমাদের আরও সতর্ক ও যত্নবান হতে হবে। ব্যাংকে টাকা জমা রেখে চেক দিয়ে যদি টাকা তুলতে সমস্যায় পড়তে হয়, তাহলে হবে না। ইসলামী ব্যাংক নামকরা ব্যাংক ছিল। কিন্তু অল্প টাকা আনতে গেলেও কষ্ট হয়। সব ব্যাংক নয়, অল্প কিছু ব্যাংকে সমস্যা।

গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ। সঞ্চালনা করেন জিল্লুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন সাংসদ ও রিহ্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নূরুন্নবী চৌধুরী, সাংসদ নূরজাহান বেগম, রিহ্যাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, বারভিডার সভাপতি হাবিব উল্লাহ, বিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান প্রমুখ।
  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/ জুন ৩,২০১৮ 

Bangladesh accused of using drugs war to hide political assassinations


By Ben Farmer,  Susannah Savage and  Nicola Smith 

 

When Habibur Rahman last month joined scores gunned down by Bangladesh’s elite paramilitary anti-crime taskforce, officers told a vivid tale of how he had met his end.

The alleged drug dealer had been killed in a gunfight with officers, they said, after he and his associates were cornered in their hideout and fired on police first.

Such shootouts with the police Rapid Action Battalion are daily occurrences after the government launched a deadly crackdown on the drugs trade which has drawn comparisons with President Roderigo Duterte’s similarly violent purge in the Philippines.

More than 120 people have been killed in just over a fortnight and thousands arrested in what the country says is a campaign to stem the trade of addictive stimulant pills known as yaba flowing to Bangladesh’s addicts.

But as the death toll soars there are growing allegations the campaign is a cover for a wave of extrajudicial killings and political intimidation ahead of a general election later this year.

Critics have accused the government of locking up, killing or intimidating political opponents as under the guise of a war on drugs CREDIT: REHMAN ASAD/BARCROFT IMAGES


Mr Rahman’s family told The Telegraph that far from being killed in a shootout in his drug hideout, the 42-year-old activist for the main opposition party was last seen being accompanied from his local mosque in Chittagong by men thought to be plain clothes officers.

One close relative who declined to be named in fear of retaliation said: “[He] was taken after he came out from the mosque. He was killed in custody.

“He was neither a drug seller nor a drug addict. It was because he was involved in politics against the government and protested about land affairs.”

The scale of the bloodshed and reports of summary executions have led the American embassy to voice worries over the killing.

"Of course I express concern about the number of people dying," Marcia Bernicat, the US ambassador, said this week. "Everyone in a democracy has a right to due process.

"Everyone in a democracy has a right to due process. If there is a violent confrontation people may not survive that, but the goal should be zero tolerance, the goal should be to try and bring everyone to justice," she said.

Bangladesh has an estimated seven million drug addicts, with up to four-fifths addicted to yaba which streams across the border from labs in Burma, also known as Myanmar.

Activists have called the drug war campaign illegal, accusing police of acting as judge, jury and executioner CREDIT: REHMAN ASAD/BARCROFT IMAGES

Prime Minister Sheikh Hasina, who launched the crackdown in early May, said it would continue until Bangladesh was free of the drug menace and she said no drug "godfathers" would be spared.
"No innocent people are being harassed or targeted, but if any such incidents happen it will be addressed through proper investigation," she said.

Asaduzzaman Khan, the interior minister, dismissed suggestions of wrongdoing. "These aren't extra-judicial killings. Our forces are bound to use arms only to save themselves," Mr Khan said.

Yet in a country where the lucrative drugs trade is entwined with politics and police corruption, the crackdown may be providing the opportunity for officers to intimidate rivals, settle scores and silence those who know too much, sources told The Telegraph.

As well as the dead, more than 9,000 people have been arrested and more than 7,000 criminal prosecutions brought in mobile courts with little due process.

Jyotirmoy Baru, a lawyer at Bangladesh’s supreme court, said the campaign was illegal, with police apparently acting as judge, jury and executioner.

He said the campaign had little to do with stopping drugs because the trade was so vast. Instead it was likely to be intimidation ahead of a general election pencilled in for the end of the year, he said.

He said: “Even as the election approaches, there will be more killing in the name of the war on terror and all the other excuses the government uses to kill people.”

A tide of methamphetamine, much of it from Burma, is this year sweeping through swathes of Asia.

Malaysia last week made its largest ever seizure of crystal methamphetamine, with customs officials saying they had found close to 1.2 tonnes disguised in golden yellow tea packets in a shipment from Burma.

Indonesia and Thailand have also made record seizures since the start of the year.

The market for the drug is expanding at a frightening rate, despite harsh penalties in many Asian nations and an ongoing war against drugs in the Philippines which has seen thousands of suspected users and dealers gunned down in cold blood.

Burma has emerged as the source of most of South East Asia’s meth, which is mostly produced in lawless border regions that are difficult to police.

'বাংলাদেশে মাদকবিরোধী যুদ্ধের আড়ালে চলছে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড'




মাদক বিরোধী যুদ্ধে বিনা বিচারে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
বাংলাদেশে সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যে কথিত 'যুদ্ধ' শুরু করেছে, তা নিয়ে আন্তর্জাতিক সমালোচনা ক্রমেই বাড়ছে।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করতে এই 'মাদকবিরোধী যুদ্ধ'কে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয়েছে লন্ডনের দ্য টেলিগ্রাফ পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে।

অন্যদিকে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দফতর 'অফিস ফর ড্রাগস এন্ড ক্রাইম' (ইউএনওডিসি) বলেছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে এবং মাদক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মানবাধিকার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বনের জন্য সব সদস্য দেশের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে।

'আড়ালে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড'

লন্ডনের দ্য টেলিগ্রাফে বাংলাদেশের মাদক বিরোধী যুদ্ধের ওপর যে প্রতিবেদনটি ছাপা হয়েছে তার শিরোণাম 'বাংলাদেশ ড্রাগস ওয়ার ইউজড টু হাইড পলিটিক্যাল অ্যাসাসিনেশনস'। অর্থাৎ বাংলাদেশে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা আড়াল করতে মাদকবিরোধী লড়াইকে ব্যবহার করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনটি লিখেছেন টেলিগ্রাফের তিন সাংবাদিক বেন ফার্মার, সুজানা স্যাভেজ এবং নিকোলা স্মিথ।

চট্টগ্রামে হাবিবুর রহমান নামে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনার বর্ণনা দিয়ে শুরু হয়েছে প্রতিবেদনটি। তিনি বাংলাদেশের প্রধান বিরোধী দলের একজন কর্মী।

র‍্যাব দাবি করেছে যে হাবিবুর রহমান বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন।

র‍্যাবের ভাষ্য অনুযায়ী হাবিবুর রহমান একজন মাদক ব্যবসায়ী। চট্টগ্রামে তিনি এবং তার সহযোগীরা যখন তাদের গোপন আস্তানায় কোনঠাসা হয়ে পড়েছিলেন, তখন তারা পুলিশের দিকে গুলি চালান। সেই বন্দুকযুদ্ধে হাবিবুর রহমান মারা যান।

কিন্তু হাবিবুর রহমানের পরিবার টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন,পুলিশের ভাষ্য একেবারেই বানোয়াট। হাবিবুর রহমানকে সাদা পোশাকের পুলিশ স্থানীয় একটি মসজিদ থেকে বেরুনোর পর নিয়ে গেছে।
তার ঘনিষ্ঠ এক আত্মীয়, যিনি নাম প্রকাশ করতে চাননি, টেলিগ্রাফকে জানিয়েছেন, "মসজিদ থেকে বেরুনোর পর তাকে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর পুলিশ হেফাজতে তাকে হত্যা করা হয়।"

এই আত্মীয়কে উদ্ধৃত করে টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, "সে মাদক ব্যবসায়ী বা মাদকাসক্ত- কোনটাই নয়। সরকারের বিরুদ্ধে রাজনীতিতে জড়িত হওয়ায় এবং জমি নিয়ে প্রতিবাদ জানানোর কারণেই তাকে এ ঘটনার শিকার হতে হলো।"

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়াকে উদ্ধৃত করেছে টেলিগ্রাফ, যিনি দাবি করেছেন এই মাদকবিরোধী যুদ্ধের সঙ্গে মাদক ব্যবহার বন্ধের সম্পর্ক খুব সামান্যই।

"এ বছরের শেষ নাগাদ যে নির্বাচন হওয়ার কথা, এটি সম্ভবত তার আগে ভয়-ভীতি দেখানোর একটি কৌশল।" তিনি আরও বলেছেন, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে এরকম হত্যা তত বাড়বে।

নজর রাখছে জাতিসংঘ


এদিকে জাতিসংঘের মাদক ও অপরাধ বিষয়ক দফতর ইউএনওডিসি এক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, তারা বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে।

বাংলাদেশে মাদক বিরোধী অভিযানে বহু মৃত্যুর ঘটনায় গণমাধ্যম এবং সিভিল সোসাইটির তরফ থেকে বিভিন্ন অনুসন্ধানের জবাবে তারা এই বিবৃতি প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে ইউএনওডিসি।
এতে তারা বলেছে, "পরিস্থিতি আমরা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা সব সদস্য রাষ্ট্রকে অনুরোধ জানাই যেন তারা মাদক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে মানবাধিকার ভিত্তিক কৌশল অবলম্বন করে। এ বিষয়ে যে তিনটি আন্তর্জাতিক কনভেনশন আছে, সেগুলো মেনে চলে।"

এর আগে লন্ডনের আরেকটি সংবাদপত্র দ্য গার্ডিয়ান বাংলাদেশের মাদকবিরোধী যুদ্ধকে ফিলিপাইনের সঙ্গে তুলনা করে বলেছিল, এর ফলে দেশজুড়ে এক ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের শিরোণাম ছিল, "বাংলাদেশ'স ফিলিপিন্স-স্টাইল ড্রাগস ওয়ার ক্রিয়েটিং 'এটমোসফিয়ার অব টেরর।"

বাংলাদেশে এই মাদকবিরোধী অভিযানে বিনা বিচারে হত্যার অভিযোগ নিয়ে গত কদিন ধরে তীব্র সমালোচনার মুখে আছে সরকার।

টেকনাফে কথিত বন্দুকযুদ্ধে সেখানকার পৌর কাউন্সিলর ও স্থানীয় যুবলীগের সাবেক সভাপতি মো. একরামুল হকের নিহত হওয়ার ঘটনা নিয়ে রেকর্ডকরা অডিও প্রকাশ হওয়ার পর এ নিয়ে ব্যাপক শোরগোল তৈরি হয়।

দেশটির কিছু সংবাদমাধ্যমে এই অডিও রেকর্ডের বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়।

মাদক বিরোধী অভিযানে কক্সবাজারের টেকনাফে গত ২৬শে মে মি. হক নিহত হন।

তাঁকে বাসা থেকে র‍্যাব এবং ডিজিএফআই এর স্থানীয় দু'জন কর্মকর্তা ডেকে নেওয়ার পর হত্যা করা হয়েছে বলে তাঁর পরিবার অভিযোগ করেছে। কিন্তু, র‍্যাব বলেছে, প্রকাশ হওয়া অডিও খতিয়ে দেখছে বাহিনীটির সদর দপ্তর।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর গুলিবর্ষণের অন্যান্য ঘটনার মতো এই ঘটনাও তদন্ত করা হবে।

বিবিসি বাংলাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "দেখুন ঐ অডিও আমি শুনিনি। আমি না দেখেতো বলতে পারবনা যে, কি অডিও বের হয়েছে। এটা আমরা সবসময় বলছি, কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বা অন্যায়ভাবে কিছু করে থাকে, তারতো একটা ম্যাজিস্ট্রেরিয়াল এনকোয়ারি হচ্ছে এবং হবে। সেখানে কেউ দোষী প্রমাণিত হলে তারও বিচার হবে। সেটা আমরা সবসময় বলে আসছি। কিন্তু এটা অডিও না দেখে আমি বলতে পারবো না।"


একরামুলকে ‘ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে’ [অডিওসহ]

সংবাদ সম্মেলনে একরামের স্ত্রী ও সন্তানরা

“হ্যালো! আমি কমিশনারের সঙ্গে কথা বলতে চাচ্ছি।… আমি উনার মিসেস বলতেছি… হ্যালো! হ্যালো!...”  — উৎকণ্ঠায় উচ্চস্বরে এমনিভাবে কথা বলছেন মোবাইল ফোনের একপ্রান্ত থেকে। অপর প্রান্তের কথার স্বর অনুচ্চ। এর খানিক পর গুলির শব্দ… উহ্… গোঙানি… । এরপর আরেকটি গুলির শব্দ। এপাশে চিৎকার- “ও আল্লা…!”

এমনি কিছু রক্ত ঠান্ডা করা কথোপকথনের পৃথক চারটি ক্লিপ মিলিয়ে ১৪ মিনিট ২২ সেকেন্ডের একটি অডিও ক্লিপ এসেছে দ্য ডেইলি স্টারের হাতে। ক্লিপটি সরবরাহ করেছেন কক্সবাজারে মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত পৌর কমিশনার একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম।

তিনি গতকাল (মে ৩১, ২০১৮) কক্সবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মোবাইল ফোনে নারীর কণ্ঠটি তাঁর। ডেইলি স্টারের পক্ষ থেকে তা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার গুরুত্ব অনুধাবন করে বিষয়টি পাঠকদের সামনে তুলে ধরা হলো।

আয়েশা বলেন, তিনি গত ২৬ মে রাতে তাঁর স্বামীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার চেষ্টা করছিলেন। সাংবাদিকদের অডিওটির চারটি ক্লিপ দিয়ে নিহত কমিশনারের স্ত্রী অভিযোগ করেন, তাঁর স্বামীকে “ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়েছে।”

আয়েশা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুবিচার প্রার্থনা করেন। কেননা, একরামুল দীর্ঘ ১৩ বছর টেকনাফ যুবলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

কিন্তু, একরামুলের স্ত্রীর এসব অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে র‌্যাব। একরামের নিহত হওয়ার ঘটনায় তার স্ত্রীর বক্তব্যকে “পুরোপুরি অসত্য” বলেছে সংস্থাটি।

৩১ মে ২০১৮, কক্সবাজার প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন সেই জেলায় মাদকবিরোধী অভিযানে নিহত পৌর কমিশনার একরামুল হকের স্ত্রী আয়েশা বেগম। পাশে মেয়ে তাহিয়াত ও নাহিয়ান। ছবি: স্টার
সংবাদ সম্মেলনে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন আয়েশা এবং তাঁর স্বামীকে “নির্দোষ” বলে দাবি করেন। তাঁর দুই মেয়ে তাহিয়াত ও নাহিয়ান এবং একরামুলের ভাই নজরুল ইসলাম সেসময় উপস্থিত ছিলেন।


আয়েশা সাংবাদিকদের বলেন, একটি বিশেষ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তার ক্রমাগত ফোনের কারণে গত ২৬ মে রাত ৯টার দিকে একরাম বাড়ি থেকে বের হন। রাত ১১টার সময়ও বাড়ি ফিরে না এলে, তার মেয়ে সোয়া ১১টার দিকে ফোন করে। সেসময় একরাম মেয়েকে জানান যে, তিনি একজন মেজর সাহেবের সঙ্গে হ্নীলা যাচ্ছেন। যে কথা অডিও ক্লিপটিতেও শোনা যায়।

এরপর, একরাম টিএনও অফিসের যাওয়ার কথাও মেয়েকে বলেন। “কতক্ষণ হবে?”- মেয়ের এমন প্রশ্নের জবাবে একরাম বলেন, “বেশিক্ষণ লাগবে না। আমি চলে আসবো ইনশাল্লাহ।”

স্বামীর খোঁজ নেওয়ার জন্যে আয়েশা ১১টা ৩২ মিনিটে ফোন দিলে ফোনটি রিসিভ করা হয়। কিন্তু, একরাম কিছু বলছিলেন না। আয়েশা বলেন, “হ্যালো!... হ্যালো!… হ্যালো কে? আমি কমিশনারের সাথে কথা বলতে চাচ্ছি।… আমি উনার মিসেস বলতেছি… হ্যালো! হ্যালো!...” এমন সময় ফোনের অপর পাশের অনুচ্চ স্বরে কথা শোনা যায়। শোনা যায় ট্রিগার টানার শব্দও। তারপর গুলি।

একপাশে “ও আল্লা” বলে নারী ও শিশুকণ্ঠে আর্ত-চিৎকার শোনা যায়। “আমার জামাই কিচ্ছু করে নাই।… আমরা বিনা দোষী।… ” বলে একজন নারীর কান্না। ফোনের অপর পাশে বাঁশির ফুঁ… আতঙ্কিত কণ্ঠে গালিগালাজের আওয়াজ।

র‌্যাবের লিগ্যাল এবং মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান দ্য ডেইলি স্টারকে গতকাল (৩১ মে) বলেন, “অভিযানের সময় কী ঘটেছিলো তা গণমাধ্যমের খবরে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি (একরাম) যে মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিলেন তার যথেষ্ট প্রমাণ গণমাধ্যমের খবরগুলোতেই রয়েছে। মাদক ব্যবসায়ীদের যে তালিকা, তাতেও তার নাম রয়েছে।”

Saturday, June 2, 2018

Hasina’s India remark insulting: Moudud


BNP standing committee member Moudud Ahmed speaking at a discussion organised by Sabujbangla24.com at the National Press Club in the city on Friday, marking its fifth founding anniversary — FE Photo


Bangladesh Nationalist Party (BNP) senior leader Moudud Ahmed criticised on Friday Prime Minister Sheikh Hasina's remark that India will ever remember Bangladesh for what it gave to the neighbouring country and termed it insulting for the nation, reports UNB.

"The Prime Minister has said India would remember forever what she has so far given India. Nothing can be more offensive and shameful for the nation than this remark. We strongly condemn it," he said.

The BNP leader came up with the remark while speaking at a discussion at the National Press Club arranged by Sabujbangla24.com, marking its 5th founding anniversary.

Moudud, a BNP standing committee member, said, "The Prime Minister admitted that she has given India many things ignoring the national interests. But you can't do that being the Prime Minister of an independent country."

He said Sheikh Hasina hurt the country's 16 crore people by saying that she has given their resources to others. "People will surely give a befitting reply to it if the next election is held in a fair and credible manner."

The BNP leader said the Prime Minister could not do anything to resolve outstanding problems with India.

He also termed Sheikh Hasina's recent India tour a failed one as she 'could not resolve the Teesta-water sharing problem'.

Moudud said the government has been killing people in the name of an anti-narcotic drive to divert people's attention to a different direction from the current political crisis.

He alleged that though around 138 people were killed in the drive, the government could not yet arrest listed drug peddlers.

The BNP leader said this Awami League-led government will not be able to control drug abuse as its influential leaders are involved in it and amassed huge wealth through this illicit business.

He said they are making their best efforts to have Khaleda Zia freed from jail through a legal battle. "But, they (govt) are trying to prolong her stay in jail through various tricks."

"Waging a strong street movement is the only way to have Khaleda released. We must take preparations for that," Moudud added.
  • Courtesy: The Financial Express /June 02, 2018

মাদকবিরোধী অভিযানের দুটো বড় গলদ

শাহদীন মালিক


১৫ মে বাংলাদেশের সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। উদ্দেশ্য মাদকাসক্তি ও মাদকদ্রব্যের কেনাবেচা দমন করা। ভালো কথা।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন ১৯৭১ সালের ১৭ জুলাই ‘ওয়ার অন ড্রাগস’, অর্থাৎ মাদকদ্রব্যের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। ১৯৭৩ সালে তিনি ‘ড্রাগ এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি’ নামে মাদক দমনের জন্য নতুন অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ৪৫ বছর পরও যুদ্ধ অব্যাহত আছে। যুদ্ধে মিত্র থাকলে ভালো হয়, এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বড় মিত্র এখন মেক্সিকো ও কলম্বিয়া। মিত্রদেশ মেক্সিকো ও কলম্বিয়াকে এই যুদ্ধে সহায়তা করার জন্য প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্র অনুদান দেয় বিপুল পরিমাণ অর্থ। গত দুই-তিন বছরের হিসাবে দেখছি, যুক্তরাষ্ট্রে মাদকাসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা প্রথমবারের মতো শতকরা ১০ ছাড়িয়ে গেছে।

মাদকের বিরুদ্ধে সর্বশেষ বড় যুদ্ধ ঘোষণা দিয়েছেন ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট দুতার্তে। এই যুদ্ধে ফিলিপাইনে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়িয়েছে বেশ কিছুদিন আগেই। দুতার্তে ঘোষণা দিয়েছিলেন, ম্যানিলা বে’র জেলেরা বড়লোক হয়ে যাবে। অনেকটা আমাদের পদ্মা-মেঘনা সংযোগের চাঁদপুরের মাঝিদের মতো। চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় যদি শত শত মানুষের লাশ ফেলা হয় আর সেই লাশের গলিত মাংস খেয়ে মাছগুলো যদি মোটাতাজা হয় আর জেলেরা সেই মোটা মোটা মাছ ধরে বিক্রি করেন, তবে তাঁদের আয়–উন্নতি হতে পারে। দুতার্তে ম্যানিলা বে’র জেলেদের এ রকম আশ্বাস দিয়েছিলেন। ওই জেলেদের আয়-উন্নতি হয়েছে কি না, সে খবর এই অধম এখনো পায়নি। দুতার্তে আরও বলেছেন, তাঁর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এই যুদ্ধে দরকার হলে নারী মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসেবীদের যৌনাঙ্গ তাক করে গুলি করবে। আমাদের যুদ্ধ সবে শুরু হয়েছে। নিক্সনের শুরু করা আর দুতার্তের চালিয়ে যাওয়া যুদ্ধগুলোর সবক আমাদের অভিযান-কর্তাদের হয়তো কাজে দেবে, উপকারে আসবে।

২.
গলদের কথায় আসি। এই সব তথাকথিত যুদ্ধের কেন প্রয়োজন হয়? কারণ একটা। যাঁদের দায়িত্ব ছিল মাদক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখা, মাদক অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে বিচারের মুখোমুখি করা, তাঁরা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছেন। এই ব্যর্থতা চলছে বহু বছর, যুগ যুগ ধরে। সীমান্ত পেরিয়ে আগে আসত ফেনসিডিল, এখন ইয়াবা। অর্থাৎ মাদক এ দেশে পাচার হচ্ছে অবাধে, ডুগডুগি বাজিয়ে। সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে, বাসে-ট্রাকে, লঞ্চে-স্টিমারে, রিকশা-ভ্যানে, গাড়িতে ও আরও বহু আকারে ও প্রকারে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বাধাবিপত্তি নেই বললেই চলে।

মাদক কারবারিরা একেবারেই যে ধরা পড়ছে না, তা নয়। মামলাও হচ্ছে। কিন্তু ফলাফল শূন্যপ্রায়। এখান-ওখান থেকে জানা গেছে, হাজার হাজার, সম্ভবত লাখ লাখ মাদক মামলা বিচারাধীন বছরের পর বছর ধরে। তারিখের পর তারিখ পড়ে, সাক্ষী আসে না, জব্দ তালিকার সাক্ষী সম্পূর্ণ লাপাত্তা, তদন্তকারী কর্মকর্তা ইতিমধ্যে বদলি হয়ে গেছেন তিনবার তিন জেলায়, আর তাই বছরের পর বছর তারিখ পড়ে। বিচার হয় না, শাস্তিও হয় না। সরকারি কৌঁসুলিদের নিয়োগ সম্পূর্ণ অস্থায়ী ভিত্তিতে, প্রধানত রাজনৈতিক বিবেচনায়, দক্ষতা-যোগ্যতা যাচাইয়ের কোনো বালাই নেই। মামলা শেষ হলো কি হলো না, তাতে তাঁদের কিছু যায়-আসে না। সরকার বদল হলে তাঁদের চাকরি শেষ। দুই-চার বছরে যা পাওয়া যায়, উপরিসহ, সেটাই মুখ্য। আট-নয় মাস আগে এক সংবাদপত্র রিপোর্ট করেছিল যে তখন সারা দেশে ২ লাখ ১৬ হাজারের মতো মাদক মামলা বিচারাধীন ছিল। সেই অবস্থার অবনতি ছাড়া উন্নতি নিশ্চয়ই হয়নি, উন্নতি বা সংস্কারের জন্য কেউ তো কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

এই সব প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা, অযোগ্যতা আর অদক্ষতার সমাধান গুলি করে মানুষ মেরে করা যাবে না। যখন এই সব প্রতিষ্ঠান দুর্বল হয়ে যায়, তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করতে পারে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই জনমনে অসন্তোষ তৈরি হয়। মাদকাসক্তি নিঃসন্দেহে এবং নিশ্চয়ই একটা মহা সমস্যা। মাদকের খপ্পরে পড়ে হাজার হাজার, লাখ লাখ তরতাজা তরুণ জীবন তিলে তিলে অতল গহ্বরের দিকে যাচ্ছে, সঙ্গে সঙ্গে মাদকাসক্তের ভাইবোন, মা–বাবা, ছেলেমেয়ে—সবার জীবন হয়ে যাচ্ছে এলোমেলো। কিন্তু জনগণ দেখছে প্রতিষ্ঠানগুলো তেমন কিছু করতে পারছে না। তৈরি হয় অসন্তোষ, রোষ ও নিরাপত্তাহীনতা। জনগণ চায় সরকার ফলপ্রসূ কিছু করুক, এই রকম পরিস্থিতিতেই সাধারণত সরকার মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। বহু দেশে এটা হয়েছে। মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণার প্রতিশ্রুতি দিয়ে দুতার্তে ক্ষমতায় এসেছিলেন। নির্বাচনী প্রচারণায় বলেছিলেন, ‘আমাকে ভোট দাও, আমি প্রেসিডেন্ট হলে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালাব। সবাইকে মেরে সাফ করব।’

কিন্তু মাদক দমনের জন্য রাষ্ট্র বা সরকার যে প্রতিষ্ঠানগুলো তৈরি করে, সেগুলো যদি ঠিকমতো তাদের দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোকে আগের জায়গায় বা আগের অবস্থায় রেখে বন্দুকযুদ্ধ করে মাদক সমস্যার সমাধান করা যাবে না। ধরে নিলাম, হাজার হাজার মাদক কারবারির তালিকা সরকারের কাছে আছে। নিকট ভবিষ্যতে তাঁদের প্রত্যেকেই বন্দুকযুদ্ধে নিহত হবেন, তাহলে কি সমস্যার সমাধান হবে? প্রতিষ্ঠানগুলোর যদি কোনো পরিবর্তন না হয়, সংস্কার না হয়, দক্ষতা-যোগ্যতা না বাড়ে, ঘুষ-দুর্নীতি বহাল তবিয়তে থাকে, তাহলে কি মাদক দমন হবে? 

.
বছর বিশেক আগে কম্বোডিয়ায় গিয়েছিলাম। গত শতাব্দীর সত্তরের দশকের শেষের দিকে পল পট সরকার ভেবেছিল, ওই দেশের সব বদ মানুষকে মেরে ফেললে দেশটা সাংঘাতিক ভালো হয়ে যাবে। ওই সরকার চার বছরে মানুষ মেরেছিল ২০ লাখ। দেশের মোট জনসংখ্যার কমবেশি এক-চতুর্থাংশ। কী দেখেছিলাম, কী বুঝেছিলাম এই কথায় নাই-বা গেলাম। তবে এত মানুষ মারার চার দশক পরও কম্বোডিয়া যেখানে ছিল, সেখানেই আছে। সুইজারল্যান্ড হতে কত যুগ লাগবে, কে জানে। কথায় কথায় যখন সুইজারল্যান্ড চলেই এল, তখন বলেই রাখি, সুইজারল্যান্ডে কেন্দ্রীয় সরকার নেই বললেই চলে। যেমন নেই যুক্তরাষ্ট্র সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পুলিশের মহাপরিদর্শক।

এই সরকার ২০১৪ সালে এবারের দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতায় আসার পর কম্বোডিয়ার হুন সেন বাংলাদেশ সফরে আসা প্রথম সরকারপ্রধান। হুন সেন সরকারপ্রধান আছেন ১৯৮৫ সাল থেকে। অকাতরে, নির্বিচারে মানুষ মেরে কোনো দেশ, জাতি বা সরকার সামাজিক কোনো সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে বলে জানা নেই। সরকার ১৫ মে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে, যুদ্ধ ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই মাদক কারবারিরা শুধু যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে তা নয়, একে অপরের সঙ্গে ভীষণভাবে বন্দুক নিয়ে গুড়ুম গুড়ুম করতে লেগে গেছে। নিজেরাও মারছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতেও মরছে। বিচার ছাড়া মানুষ মরছে। পুলিশের হাতে মানুষ মরছে, র‍্যাবের গুলিতে মানুষ মরছে। গত বিএনপি সরকারের প্রথম দিকে সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজি দমনে যৌথ বাহিনীর হাতে ‘হার্ট অ্যাটাকে’ মানুষ মরেছিল কমবেশি ৬০ জন। ওই মানুষগুলো মরার দেড় দশক পর সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি কি বিন্দুমাত্র কমেছে? তখন সন্ত্রাস আর চাঁদাবাজি করত অপরাধীরা, এখন আমরা সবাই মনে করি যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটা অংশ শুধু সন্ত্রাস-চাঁদাবাজিই করে না, মাদক অপরাধও করে, এমনকি ভাড়াটে খুনি হিসেবেও কাজ করেছে। আর কিছুদিন মানুষ মারলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটা বড় অংশ অপ্রতিরোধ্য অপরাধী হয়ে পড়বে। যে দেশেই মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে বিচারবহির্ভূতভাবে মানুষ মারা হয়েছে, সেই সব দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীই এখন অপরাধ করছে অনেক বেশি। আর তারা সবচেয়ে আগে আইনের ঊর্ধ্বে। প্রতিষ্ঠানের সংস্কার না করে, আর মানুষ মেরে মাদক দমন হবে না, দেশের অবস্থা হবে খারাপ থেকে খারাপতর। যদিও এই মুহূর্তে অনেকেই মনে করবেন, সরকার তো ভালোই করছে।

  • ড. শাহদীন মালিক সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের আইনের শিক্ষক
  • Courtesy: Prothom Alo /June 01, 2018

নির্বাচন কমিশনে ভিন্নমত

মিজানুর রহমান খান



বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহকারী প্রেস সচিবের দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মাহবুব তালুকদারের নোট অব ডিসেন্ট সম্ভবত নির্বাচন কমিশনের ইতিহাসের প্রথম ঘটনা। এর আগে এ টি এম শামসুল হুদা ও কাজী রকিবউদ্দীন কমিশনের আমলে ভিন্নমত দেওয়া-বিষয়ক গুঞ্জন শোনা গেলেও তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। সাবেক নির্বাচন কমিশনার এম সাখাওয়াত হোসেন দুটি বিষয়ে নোট অব ডিসেন্ট দিতে উদ্যোগী হলেও শেষ পর্যন্ত তা আর দেননি। শামসুল হুদা কমিশন অবশ্য তা মেনে নিয়েছিল। ভারতের নির্বাচন কমিশনেও কমিশনের সদস্যসংখ্যা বাড়ানোর পরে এই সমস্যা দেখা গিয়েছিল। বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টে গড়ালে তাঁরা বলে দিলেন, ইসি একটি সমন্বিত বডি হিসেবে কাজ করবে। আর সংখ্যাগরিষ্ঠের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অনেক পরে আমাদের উচ্চ আদালতও ওই রায়ের বরাতে একই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। কিন্তু দেশে গণতান্ত্রিক ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ যখন যথেষ্ট সংকুচিত হয়ে পড়েছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছিল, তখন একজন মাহবুব তালুকদার তবু একটি উদাহরণ তৈরি করলেন। শুনেছি, আরও একজন সাংসদদের এমন সুবিধা প্রদানের বিরোধী ছিলেন। কিন্তু তাঁরা তালুকদারের মতো সাহসী হননি। 

সামগ্রিকভাবে নুরুল হুদা কমিশন অনেক ঢাকঢোল পিটিয়ে তৈরি করা হলেও এ পর্যন্ত তারা নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিকল্প হয়ে ওঠা বা বিবেচিত হওয়ার অবস্থা থেকে অনেক দূরে রয়েছে। পরিহাস হলো, যে পাকিস্তানের গণতান্ত্রিক শ্রীহীনতার জন্য আমরা অনেকে তাদের নাম মুখে নিতে চাই না, সেখানে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার বদলের ধারা ফিরে এসেছে। সামরিক বাহিনী পেছন থেকে কলকাঠি নাড়লেও তারা বিচার বিভাগের মাধ্যমে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী অপসারণের ভূমিকম্প সামলে নিয়েছে। এমনকি সব থেকে যা লক্ষণীয় তা হলো, পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির ধকলও কাটিয়ে উঠেছে তারা। নওয়াজ শরিফের উত্তরসূরি তাঁর দল থেকে এসেছেন, তাঁর পরিবার থেকে নয়। সম্পূর্ণ অজানা-অচেনা মানুষেরা রাতারাতি প্রধানমন্ত্রী পদে আসছেন। ওয়েস্টমিনস্টার ধাঁচ, যার ভিত্তিতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ সংবিধান তৈরি করা হয়েছিল, সেই ধাঁচটি এখন পাকিস্তান সাফল্যের সঙ্গে অনুসরণ করছে।

৩১ মে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের মেয়াদ পূরণ হচ্ছে। ওই দিনই সংসদটি আপনা–আপনি ভেঙে যাবে। ২৫ জুলাই তারা নির্বাচনে যাবে। সব থেকে বড় সাফল্য, ২৮ মে ক্ষমতাসীন মুসলিম লিগ ও বিরোধী দল সমঝোতার মাধ্যমে সাবেক প্রধান বিচারপতি নাসিরুল মুলককে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিয়েছে। ডেমোক্রেসি রিপোর্টিং ইন্টারন্যাশনালের (ডিআরআই) বরাতে ডন দাবি করেছে, পাকিস্তানই এই মুহূর্তে বিশ্বের একমাত্র দেশ, যারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন করছে। তাদের এই দাবি সম্ভবত ঠিক নয়, কারণ গ্রিসের সংবিধানেও নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের বিধান আছে। 

তবে পাকিস্তানই একমাত্র দেশ, যেখানে সরকারি ও বিরোধী দল সব থেকে বেশিবার অরাজনৈতিক এবং অনির্বাচিত ব্যক্তিদের সমঝোতাক্রমে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসিয়েছে। ১৯৯০ সালে গোলাম মোস্তফা জাতই, ১৯৯৩ সালে মির বালাক শেখ মাজারি ও মইন আহমেদ কোরেশি, ১৯৯৬ সালে মালিক মিরাজ খালিদ, ২০০৭ সালে মুহাম্মদ মিয়া সুমরো এবং ২০১৩ সালে মির হাজার খান খুসো (একজন সাবেক বিচারপতি) তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। যদি বলা হয়, এর পেছনে সামরিক বাহিনী কলকাঠি নেড়েছে, তাহলে এটা প্রতীয়মান হয় যে পাকিস্তান সামরিক শাসনের একটি ধ্রুপদি রাষ্ট্র হয়েও বেসামরিক মুখকে সামনে আনার চেষ্টায় কিছুটা সাফল্য দেখিয়েছে। 

পাকিস্তানে একাদিক্রমে কয়েকটি মেয়াদে নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তরের উদাহরণ তৈরি করতে পারে, তা একসময় অনেক নির্বাচন ও গণতন্ত্র-বোদ্ধার ধারণার বাইরে ছিল। ২০১২ সালের আগে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী বাছাইয়ে প্রেসিডেন্টের বিশেষ এখতিয়ার ছিল। সেখানেও আমরা দেখব, পাকিস্তানি দলীয় প্রেসিডেন্টরা দলের বাইরে যেতে পেরেছেন। ২০১২ সালে সংবিধান সংশোধন করে বলা হলো যে প্রেসিডেন্টের এই বিশেষ এখতিয়ার থাকবে না। তখন প্রধানমন্ত্রী ও বিরোধী দলের নেতার ‘সমঝোতাক্রমে’ প্রধান উপদেষ্টা বাছাইয়ের ক্ষমতা দেওয়ার পর এই ধারণা খুব স্বাভাবিক ছিল যে এটা কাজে দেবে না। কিন্তু সেই আশঙ্কা এখন পর্যন্ত অমূলক প্রমাণিত হয়েছে। সমঝোতা না হলে কী হবে, সেই বিকল্পও সংবিধান রেখেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিষয়টি যাবে সমসদস্যসংখ্যক সর্বদলীয় সংসদীয় কমিটির কাছে। তারা ৭২ ঘণ্টার মধ্যে সিদ্ধান্ত না নিতে পারলে তারা পাঠাবে ইসির কাছে, যাদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী উপহার দিতে হবে। এরপর কেন্দ্রে তত্ত্বাবধায়ক প্রধানমন্ত্রী এবং প্রদেশে তত্ত্বাবধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শে নয়া মন্ত্রিসভা কাজ শুরু করে দেবে। 

এ রকম একটি ব্যবস্থা পাকিস্তানে টিকে যেতে পারলে কেন তা অন্যত্র কাজ করবে না, তার উত্তর হয়তো বিশেষজ্ঞদের জানা আছে। তবে পাকিস্তান দেখাচ্ছে, একটি শক্তিশালী এবং স্বচ্ছ ও গণতান্ত্রিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম ইসির কোনো বিকল্প নেই। ২০১২ সালে সংবিধান সংশোধনের পর ২০১৩ সালে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনে পাকিস্তানি ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী দল কিন্তু সমঝোতায় পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়েছিল। তখন ইসিই ত্রাতার ভূমিকায় নামে এবং বিচারপতি খোসোর ব্যাপারে সংসদীয় কমিটি সমঝোতায় আসতে ব্যর্থ হলেও ইসি তা স্থির করে। ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ইসি যখন সাংসদদের নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেওয়ার বিষয়ে আচরণবিধি সংশোধন করেছে, তখন পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের আচরণবিধি অনুযায়ী গোটা পাকিস্তানের সকল পর্যায়ে শুধু মন্ত্রীরা নন, তাঁদের সন্তান, পোষ্যরা এবং তাঁদের অধীনে থাকা সকল পর্যায়ের কর্মকর্তারা প্রচারণায় শামিল হতে পারেন না। 

আসল কথা হচ্ছে, তত্ত্বাবধায়ক কিংবা দলীয় সরকার—যার অধীনেই হোক নির্বাচনের ক্ষেত্রে ইসিই সর্ব অগ্রগণ্য। ২৮ মে ডন-এ আহমেদ বিলাল মেহবুব ‘আমাদের কি সত্যিই কেয়ারটেকার কেবিনেট দরকার’ শীর্ষক নিবন্ধে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ টেনেছেন। তিনি অনির্বাচিত ব্যক্তিদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় আনার বিরোধী। বলেছেন, উল্টো ফল দেওয়ায় বাংলাদেশ ২০১১ সালে এই বিধান বিলোপ করেছে। তবে মেহবুব স্বীকার করেছেন যে ইসির ভূমিকার কারণেই ২০১৩ সালে অচলাবস্থা কাটিয়ে উঠতে পেরেছে পাকিস্তান। আবার এ-ও ঠিক যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিধানাবলি ১৮তম সংশোধনীতে কার্যকর করার পর এর কিছু অস্পষ্টতা থাকায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের আলোকে ঠিক হয়েছে। বাংলাদেশেও দুই মেয়াদে নির্বাচন করতে নির্দেশনা বহাল আছে। পাকিস্তানে সুপ্রিম কোর্টকে মানা হয়েছে, বাংলাদেশে হচ্ছে না। 

২০১৩ সালে লতিফুর রহমান-মার্কা ১৮ সচিব বদলের ঘটনা ঘটলে পাকিস্তান সুপ্রিম কোর্ট তা বাতিল করেন। সেটা তত্ত্বাবধায়ক সরকার মেনে নেয়। কিন্তু তাই বলে সেই যুক্তিতে তারা ব্যবস্থাটাই বাতিল করেনি। ইসির অনুমতি ছাড়া পাকিস্তানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কোনো কর্মকর্তাও বদলি করতে পারে না। মেহবুবের সুপারিশ, বিশ্বের অন্যান্য স্থানের মতো নির্বাচনকালীন সরকার নির্বাচিতরা মিলেই করুন। ভারতীয় ইসির কঠোর গাইডলাইন, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও কানাডার কেয়ারটেকার 
কনভেনশনের আদলে ইসিকে দিয়ে গাইডলাইন করানোর ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি। তাঁর সঙ্গে দ্বিমত করার সুযোগ নেই।

কেয়ারটেকার বা দলীয়—যে সরকারের অধীনেই নির্বাচন হোক না কেন শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন ও সমঝোতার সংস্কৃতি ছাড়া গণতন্ত্র, সুষ্ঠু নির্বাচন এবং কার্যকর সংসদ ও সরকার কল্পনা করা কঠিন। মাহবুব তালুকদারের নোট অব ডিসেন্টকে স্বাগত জানাই। কিন্তু তা প্রয়োজনের তুলনায় অকিঞ্চিৎকর। মাহবুব তালুকদার সরকারি দলের কথায় আচরণবিধি সংশোধনে পরিহাস দেখেছেন। আর রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজসহ সবার সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে দীর্ঘ সংলাপের পর সেসব সুপারিশ কিছু বেছে নিতে কমিশনের এ পর্যন্ত একটি বৈঠকেও না বসার বিষয়টিকে আমরা (সম্প্রতি ইসি এ বিষয়ে রঙিন প্রকাশনা বের করেছে) জাতির সঙ্গে ইসির পরিহাস হিসেবেই বিবেচনা করতে চাই।
  • Courtesy: Prothom Alo/ May 31, 2018

How (not) to fight drug

Inam Ahmed and Shakhawat Liton


We tried to be in touch with them to get to know how they react to the ongoing anti-drug drive. All of them have been yaba addicts for a long time. Their phones are switched off.

Finally, we got hold of one. He sounded scared. A little disoriented.
“I am keeping myself low,” he whispered. “I am scared of being caught and killed.” And then he cuts off.

Unfortunately for him, he is today regarded as a criminal instead of a person with health issues who needs treatment, not punishment. He is the end user, one who takes the drug. It is millions like him who make
up the yaba market. They create the demand and so the supply continues -- through a long and convoluted chain.

So, when the current drive only targets the supply side without any
regard to a concerted move to curb the demand and when the drive takes a blanket view that anyone in the yaba chain is a criminal with no plan to treat and cure the addicts, skeptics would have a second opinion.

If you do not cut the demand, can the supply be stopped? If this is
the questions then the drive looks segregated and partial, likely to
bring partial success at a prolonged effort.

Across the world, drug (yaba included) problem is not regarded as a
solely criminal affair but a bigger health issue. While countries
focus on fighting the drug cartels, more successful countries have
focused on the users -- the addicts -- to put them back on track
through health care and rehabilitation.

The more successful countries are today decriminalising drug use. And
that is helping them fight the menace, statistics show.

But to develop this argument further, let's face one thing flatly --
there is not a single country not facing the drug problem. It's all
about a case of magnitude that makes a success story.

The US, Thailand and the Philippines can be lumped on one side of the
spectrum, which have tried to control drugs with full violence.

The US started its new approach since Richard Nixon's time in the
1970s and continues with Donald Trump who full-heartedly supports what
Duterte of the Philippines is doing -- so far 12,000 dead in its
anti-drug drive.

The Philippines, despite earning a bad name for its violent approach,
has so far been successful in its campaign that started in 2016. But
drug is a long story and it is unwise to come to a conclusion by
judging a short success.

The US drug policy failed spectacularly. A simple figure proves it
correctly -- in 2016 alone 64,000 died in drug overdose, a lot more
than the US body count in Vietnam War. And yet there are more people
incarcerated in the US for drug related cases than anywhere in the
world.

Thailand had also waged a violent war against yaba in 2003 and killed
some 2,800 people. After the initial success, yaba has come back. Its
government has publicly conceded that the country's bloody war on
drugs has been “wrong the whole time”.

Singapore, Malaysia, Vietnam and China also wanted to deal with drugs
with iron hands, executing drug peddlers and users alike. All of them
have harsh laws to deal with drug-related crimes.

Singapore executed 247 people for drug crimes between 1991 and 2000.
In China, executions of drug convicts were often a public event.
Thirteen percent of its death penalties handed down are in drug cases.

But did that bring any recess? Figures will tell the story again.
Singapore arrested 3,089 drug abusers in 2016, 40 percent of them new
abusers, up from 1,127 arrests in 2006. In Malaysia, the number of
newly registered drug users doubled in 2016 from 2012. In Indonesia,
which so boastfully executes drug criminals, also saw an almost
doubling of drug addicts between 2011 and 2015.

These countries have of late got the message from the figures and gone
on a retrospection of their act ions.  After 2,800 deaths, Thailand is
now talking about drug legalisation and rehabilitation strategy.

On the other end of the spectrum are the countries like Portugal,
Ecuador, Uruguay, Switzerland, the Netherlands and even Mexico, a
country so beset by drug problem until a few years ago.

And what is the lesson from them?

All these countries have decriminalised drug use from the realisation
that for a drug user it is a health issue and not a matter of
morality. It is simply like if you have diabetes you should not blame
the person but threat the disease.

Portugal was the first EU country to decriminalise all drugs that has
resulted in not only a decline in arrests but also in illegal drug
use. It has put in a lot of resources behind rehabilitation while
still making drug trafficking a punishable offence. It has put in
place a “dissuasion commission” to talk to drug consumers and counsel
them.

Ecuador was once ravaged by America's war on drugs. Now it has made a
law to put into place a system for treatment and rehabilitation for
addicts. At the same time, it has moved to decriminalise drugs.

Some countries such as Uruguay and Portugal have even gone as far as
to supervised drug taking to reduce risks of HIV. Uruguay has
legalised marijuana and the government sells cannabis at a fixed
price.

Czech Republic and Switzerland have very effective counselling and
“harm reduction” programmes. Czech citizens face small fines for
possession of any drugs for personal consumption and the government
prosecutes major drug trafficking and distribution while offering
rehabilitation. It has achieved reduction of drug use and overdose.

The world over, the call from physician organisations, including the
British Medical Association, is for a change in the way the society
treats drug users and to make treatment, rather than punishment a
priority.

Even the UN has learnt it the hard way. The UN has issued three drug
conventions, the first in 1961, that ban the use of illicit drugs. It
was thought that the ban would reduce the use of drugs, but far from
it drug use has grown substantially worldwide. So, the UN recently
reversed its thinking and in April 2016, the UN Office on Drugs and
Crime stated that drug policies must be “evidence-based” and designed
to improve public health, not undermine it.

Ruth Dreifuss, chair of the Global Commission on Drug Policy, told the
Medscape Medical News that the European experience clearly shows that
physicians are one of the main groups that can bring about a change in
attitudes about drug use and possession. She noted that a wide range
of therapies are available to treat drug-dependent patients.

Unfortunately for Bangladesh, laws are quite harsh for users and they
are seen more as criminals rather than people with health issues. A
drug consumer can get a term between two and 10 years.

And rehabilitation facilities are enormously inadequate. For a country
with an estimated 60 to 70 lakh drug addicts, treatment facilities
exist only for 2,800 people both in public and private facilities. The
attitude of the state is further exposed if one considers that the
government facilities include only 115 beds in four centres.

What Bangladesh needs badly is a two-pronged strategy -- cutting
supply, meaning dealing strictly with traffickers and dealers, and at
the same time rehabilitating the addicts. Singapore can be a bright
example to emulate. From its single focus of capital punishment to
all, it has segregated the addicts from the traffickers. For the
traffickers, the penalty is capital punishment.

Singapore runs a massive anti-drugs public education programme in
schools. Addicts are given two chances in a drug rehabilitation
centre. If they can kick their drug habit, they will not have any
criminal record. But those who will not give up drugs will go to
prison, where they are put on general rehabilitation programmes to
help them reintegrate into the community.

The result? The number of drug abusers has decreased by two-thirds in
a decade. That makes a lucrative figure for Bangladesh. An example
worth trying.



Courtesy: The Daily Star June 01, 2018