Search

Thursday, January 3, 2019

গণধর্ষণের ‘ইন্ধনদাতা’ সাবেক ইউপি সদস্য রুহুল গ্রেপ্তার

নোয়াখালীর সুবর্ণচরের একটি গ্রামে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আরও দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিয়ে ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হলো
সবশেষ গতকাল বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করা হয় চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক সদস্য রুহুল আমিন মো. বেচুকে
পুলিশ জানায়, ঘটনার ইন্ধনদাতা হিসেবে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আর মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে মো. বেচুকে গ্রেপ্তার করা হয়
চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, সুবর্ণচরের উত্তর ওয়াপদা এলাকার একটি মাছের খামার থেকে রুহুল আমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। মো. বেচুকে সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় এলাকার একটি ইটভাটা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়
ওসি নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, রুহুল আমিন মো. বেচুকে থানা হাজতে আনা হয়েছে। তাঁরা প্রাথমিকভাবে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন
ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আগে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁরা হলেন মো. স্বপন, মো. সোহেল বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু।

স্বপনকে গত মঙ্গলবার রাতে এবং সোহেলকে গতকাল গ্রেপ্তার করা হয়
সোহেল এই মামলার প্রধান আসামি
নির্যাতনের শিকার নারী গত রোববার সকালে এলাকার একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান। সময় কেন্দ্রে থাকা আওয়ামী লীগের কয়েকজন যুবক তাঁকে তাঁদের পছন্দের প্রতীকে ভোট দিতে বলেন। তিনি তাতে রাজি না হলে যুবকেরা তাঁকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন। ওই দিন রাত ১২টার দিকে ছালা উদ্দিন, সোহেল, বেচু, মোশারফসহ ১০ থেকে ১২ জনের একদল যুবক ঘরে ঢুকে প্রথমে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে মারধর করেন। পরে স্বামী সন্তানদের বেঁধে রেখে ওই নারীকে ঘরের বাইরে পুকুরপাড়ে এনে গণধর্ষণ করেন
নির্যাতনের শিকার নারীর অভিযোগ, ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সবাই চরজুবলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমিনের লোক
মামলার এজাহারে মো. সোহেল (৩৫), মো. হানিফ ৩০), মো. স্বপন (৩৫), মো. চৌধুরী (২৫), মো. বেচু (২৫), বাদশা আলম ওরফে কুড়াইল্যা বাসু (৪০), আবুল (৪০), মোশারফ (৩৫) ছালা উদ্দিনের (৩৫) নাম উল্লেখ করা হয়
নির্যাতিত নারী প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর সারা শরীরে নির্যাতনের স্থানে রক্ত জমে আছে। তিনি নড়াচড়া করতে পারছেন না
নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. খলিল উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, ডাক্তারি পরীক্ষাকালে নির্যাতনের শিকার শরীর থেকে সংগ্রহ করা আলামত পরীক্ষার জন্য গতকাল আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার প্রতিবেদন পাওয়া যেতে পারে
চরজব্বার থানার ওসি নিজাম উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া বাদশা আলম স্বপনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। কিন্তু তাঁরা ঘটনার বিষয়ে কিছু স্বীকার করেননি। আদালতে বাদশা আলমের সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়েছে
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নোয়াখালীতে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের কেউ ছাড় পাবে না। ধরনের ঘটনা অবশ্যই নিন্দনীয় শাস্তিযোগ্য অপরাধ। ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থানে আছে
সুবর্ণচরে গৃহবধূকে ধর্ষণ নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠন। তারা এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছে
চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি নির্যাতনের শিকার নারীর সঙ্গে কথা বলেন
গতকাল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ তদন্ত) আল-মাহামুদ ফয়জুল কবিরের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি দল এবং আইন সালিশ কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সেলিনা আক্তারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আরেকটি দলও ঘটনার তদন্তে নোয়াখালীতে যায়
Courtesy: Prothom Alo Jan 03, 2018

Fake’ polls data: CPJ for immediate release of Khulna journo

The Committee to Protect Journalists has called on Bangladeshi authorities to immediately release Hedayet Hossain Mollah, who was arrested in Khulna in relation to his election coverage.
A court yesterday ordered Molla to be held for three days pending investigation into an accusation that he violated the Digital Security Act and reported "false information" about the number of votes cast from Khulna during general elections on December 30, CPJ said quoting media reports.
Molla works for the Dhaka Tribune, Bangla Tribune and Probaho, but reports did not specify to which outlet the accusation is related, the independent press freedom advocacy organisation mentioned in a report yesterday.
A second journalist, Rashidul Islam, from the daily Manab Zamin, was named in the police report on the same charge, but has not been arrested, according to the reports.
"Arresting a journalist for reporting on alleged election irregularities and raising legitimate questions is a disappointing way for Prime Minister Sheikh Hasina and the Awami League party to respond to their re-election," said CPJ Asia Program Coordinator Steven Butler, in Washington, DC.
"The government should reaffirm its commitment to democratic values and refrain from abusing the Digital Security Act to attack press freedom."
Several journalists covering the election were attacked and denied entry to polling centers, the organisation said citing news reports.
WHAT ARE THE CHARGES AGAINST THE TWO JOURNALISTS?
Molla and Islam both reported on initial elections results that indicated the number of votes cast in a certain constituency was higher than the number of voters, the reports quoted The Daily Star as saying.
An elections officer later asserted that this had been a mistake, but the reporters had already published their stories, according to the daily.
CPJ could not immediately determine if they published a correction, the report said.
The police report said that their articles were "false information that was made intentionally to make the election result seem questionable and controversial," according to Reuters. CPJ's phone call today to Batiaghata police station, where the case was filed, went unanswered.
WHAT DID THE REPORT SAY ABOUT DIGITIAL ACT?
According to CPJ, the Digital Security Act under which Molla and Islam face charges was enacted in September despite concerns that it would create extensive legal dangers for journalists performing their duties.
The act replaces Bangladesh's Information and Communication Technology (ICT) Act, it said.
Authorities used that act to harass the press, including photographer Shahidul Alam, according to CPJ research.
No contact information was listed for the Awami League on the party's website. CPJ attempted to contact the government press secretary but the phone number listed on the website did not work, the report said.
Courtesy: The Daily Star Jan 03, 2019

AL leader among 2 held over Noakhali ‘gang-rape’

Detectives in separate drives arrested two people including a local Awami League leader from Shenbagh and Sadar upazilas of Noakhali early today over in connection with the alleged gang rape of a woman after Sunday's election.
The arrestees are Ruhul Amin, former chairman of Charjubli union parishad and also Awami League organising secretary of local union unit, and Ibrahim Khalil Bechu, our local correspondent reports quoting Nizam Uddin, officer-in-charge of Char Jabbar Police Station.
With this, five people have so far been arrested in connection with the incident.
Earlier, police arrested BadshaAlam from Charbajuli on Tuesday while prime accused Sohel from Cumilla district and MdSwapan from Ramgatiupazila yesterday.
WHAT HAPPENED ON THAT DAY?
According to the victim's husband, a group of hoodlums stormed their house in the early hours of Monday and tied up all the family members except his wife.
They took the woman outside the house at gunpoint where they violated her in turns, the victim's husband claimed.
After the rape, they also threatened the victim not to disclose the matter to anyone, saying they would kill her if otherwise, he said.
With the help of neighbours, the victim was taken to hospital on Monday noon and a case was filed against nine people over the incident.
WHAT DID THE VICTIM SAY ABOUT THE INCIDENT?
According to the victim, the former union parishad member allegedly ordered his men to rape her for voting for “sheaf of paddy”.
However, the list of the accused did not include his name.
Courtesy: The Daily Star Jan 03, 2018


Janata sinks into colossal losses

Janata Bank logged in losses of Tk 3,132 crore in the first nine months of 2018, a stunning reversal in fortune for the state-owned bank as loan irregularities finally take a toll.
The bank was Tk 268 crore in profit at the end of December last year.
At the beginning of the year, Bangladesh Bank unearthed two big loan scams of AnonTex and Crescent involving a total of Tk 8,300 crore.
Both the large clients turned defaulters in June, sinking the bank into losses to the tune of Tk 1,589 crore -- for the first time in five years.
The losses continued to pile up, leading to capital shortfall of Tk 3,923 crore in September. In contrast, at the end of December the bank was in capital surplus of Tk 26 crore.
“The spike in default loans accounts for the huge losses,” said a senior executive of Janata, adding that the bank has to maintain huge provisioning from its profit against the default loans.
As a result, the bank has no provisioning shortfall but losses, he added.
Janata maintained provisioning of Tk 5,840 crore as of September, the highest among the four state-owned commercial banks.
Between the months of January and September, Janata's default loan ratio soared to 31.31 percent, in contrast to 18.22 percent at the end of last year, according to data from the central bank.
As of September, Janata's total outstanding loans stood at Tk 14,376 crore, the highest among the state banks.
Bangladesh Bank found that the bank lent to 31 business groups violating the single borrower exposure limit. Janata's single borrower exposure limit is 15 percent of its capital.
Of the 31 groups, 11 turned defaulters.
Janata is the only state-owned commercial bank out of four to have registered losses this year. Sonali made the highest profit of Tk 873 crore, followed by Agrani at Tk 36 crore and Rupali at Tk 16 crore.
Courtesy: The Daily Star Business Jan 03, 2019

Western powers denounce polls day violence

Strongly denouncing the election-day violence in Bangladesh, Western powers have said there are “credible” reports that polls irregularities marred the voting on December 30.
Diplomatic sources said the strongly-worded statements from the USA, the UK, and the European Union was indicative that they might mount pressure on the Bangladesh authorities for transparent examinations into the alleged irregularities, violent incidents, intimidation and harassment that created obstacles for the opposition candidates to campaign freely.
The UN also echoed the concerns, saying that it was aware of violent incidents and reports of irregularities in the Bangladesh general elections.
“We encourage the parties to address electoral complaints in a peaceful manner and through legal means,” the spokesperson for the UN secretary-general said in a statement on Monday.
Meanwhile, US Ambassador to Bangladesh Earl Miller and UN Resident Coordinator Mia Seppo separately met with Foreign Secretary Md Shahidul Haque yesterday and discussed issues raised in the US and UN statements on the Bangladesh polls.
According to diplomatic sources, the US ambassador at the meeting mentioned about a resolution adopted unanimously by the US House of Representatives on December 12.
The resolution (H. Res. 1169) titled “Reaffirming the commitment of the United States to promote free, fair, transparent and credible elections in Bangladesh” had called on the Bangladesh government to respect the freedom of speech and of the press and to heed the Bangladesh Election Commission's request to ensure security for minorities and maintain communal harmony for a peaceful election.
It had also urged the Bangladesh political leaders and judicial authorities to respect the will of voters and ensure that all Bangladeshis would be able to participate freely in the elections, and that the polls would be impartial and inclusive.
Conveying the message of their respective authorities to the foreign secretary, the US and UN envoys said Bangladesh should ensure addressing the claims and allegations of irregularities, said diplomatic sources.
Issues of cooperation and future engagement between Bangladesh and the US and the UN also came up for discussion at the meetings.
Meanwhile, Canada in a statement yesterday said it was disappointed by credible claims of irregularities exhibited during the campaign.
“While welcoming the increased participation of opposition parties in this election, Canada remains disappointed by credible claims of irregularities exhibited during the campaign and calls on the relevant authorities to work transparently with all parties to address these claims,” said Global Affairs Canada.
It called upon all concerned to proceed in a peaceful and lawful manner and to ensure that the rights to freedom of expression and assembly are protected in the transition period leading up to the installation of a new government.
Earlier on Tuesday, Mark Field, British minister of state for Asia and the Pacific at the Foreign and Commonwealth Office, in a statement said, “I am aware of credible accounts of obstacles, including arrests, that constrained or prevented campaigning by opposition parties, and of irregularities in the conduct of elections on polling day that prevented some people from voting.
He called for a full, credible and transparent resolution of all complaints related to the conduct of the elections.
“I deplore the acts of intimidation and unlawful violence that have taken place during the campaign period, and am deeply concerned by the incidents that led to so many deaths on the polling day. My thoughts are with the families and friends of those who have lost loved ones,” he added.
Free, fair, peaceful, and participatory elections were essential to any functioning democracy, said the British minister of state.
“It is vital for the government and all political parties to now work together to address differences and find a way forward in line with the interests of the people of Bangladesh.”
He said the UK would continue to support the people of Bangladesh in their aspirations for a more stable, prosperous, and democratic future.
In another statement on Tuesday, EU Spokesperson for Foreign Affairs and Security Policy Maja Kocijancic said, “Violence has marred the election day, and significant obstacles to a level playing field remained in place throughout the process and have tainted the electoral campaign and the vote.”
He said the relevant authorities should now ensure a proper examination of allegations of irregularities and commit to full transparency in their resolution.
The USA in a press statement said, “We note with concern credible reports of harassment, intimidation, and violence in the pre-election period that made it difficult for many opposition candidates and their supporters to meet, hold rallies, and campaign freely,”
“We are also concerned that election-day irregularities prevented some people from voting, which undermined faith in the electoral process,” Robert Palladino, deputy spokesperson at the US state department said on Tuesday.
Courtesy: The Daily Star Jan 03, 2019

Wednesday, January 2, 2019

Ballot paper book found in paddy field


Police seize a book containing a hundred ballot papers from a pipe meant for irrigation at a paddy field in Brahmanbaria yesterday. Photo: Star

Police recovered a book of ballot papers sealed with 'sheaf of paddy' symbol from inside a pipe of an irrigation tube-well in a paddy field near a polling centre at Brahmanbaria-2 constituency.

Ashuganj Police Station Officer-in-Charge (OC) Badrul Alam Talukder confirmed the matter to this correspondent.

The OC, quoting eyewitnesses, said locals saw the ballot paper book around 100 metres from Khoriala Government Primary School centre of Ashuganj upazila on Monday noon. The upazila nirbahi officer informed the police who rushed to the spot and recovered the book in the afternoon.

The book contained 100 pages (0269201 to 0269300), of which 28 pages (0269246 to 0269273) were marked with 'sheaf of paddy' symbol.


Officials check the ballot papers, 28 of them sealed with 'sheaf of paddy' symbol, following the recovery. Photo: Star

The front page of the book had “Jatiya Sangsad Nirbachan 244 Brahmanbaria-2, book no 2693” written on it.

The book was handed over to Ashuganj Assistant Commissioner (Land). The next step in this regard will be taken by the higher authorities, the OC added.

Jashim Uddin, an agent of 'rose' symbol, said voting in the polling centre was continuing peacefully but supporters of 'paddy sheaf' tried to snatch the ballot papers around 11:30am and the situation turned violent. Police opened fire to bring the situation under control. As a result, voting was stopped for the time being.

Later, counting was completed without the missing ballot book. In the counting, 'sheaf of paddy' got 663 votes, 'bunch of banana' 413 votes and 'lion' 72 votes. The total number of votes in this centre is 2403.

Brahmanbaria Deputy Commissioner Hayat-Ud-Dowllah Khan, also the returning officer, said particulars of the missing ballot book are being collected and necessary steps will be taken. The total result of the constituency has not been announced as polling was suspended in three more centres of the upazila. The result will be announced after re-election in those centres.

Former state minister Abdus Sattar Bhuiyan was BNP nominated candidate in this constituency. Awami League (AL) had no candidate there. Though AL gave the seat to Jatiya Party, Rezaul Islam Bhuiyan with 'plough' symbol withdrew in favour of his father in-law Ziaul Haque Mridha, who was deprived of JP nomination and contested as independent candidate with 'lion' symbol.

The contest took place between BNP's Sattar and independent candidate Moin Uddin Moin with 'bunch of banana' symbol.

  • The Daily Star / jan 2, 2019

নির্বাচন প্রত্যাখ্যানের দাবিতে মানববন্ধন পুলিশের হামলা


নির্বাচন প্রত্যাখ্যান ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে পুলিশের হামলায় হয়েছে। আজ বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনটি আয়োজন করে ‘ভোটাধিকার ও সুশাসনে জাতীয় ঐক্য’ নামে এক সংগঠন। মানববন্ধনটি পণ্ড হয়ে যাওয়ায় এক প্রতিবাদ সভায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে সংগঠনটি।  

বিবৃতিতে ‘ভোটাধিকার ও সুশাসনে জাতীয় ঐক্য’ জানায়, বুধবার বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মামানববন্ধন কর্মসূচি থেকে ৩০শে ডিসেম্বরে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগণের মতামত প্রতিফলিত না হওয়ায় ঘোষিত ফলাফল প্রত্যাখ্যান ও অনতিবিলম্বে স্থায়ীভাবে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্য সংবিধান সংশোধনের দাবি জানানো হয়। এক পর্যায়ে মানববন্ধনে হামলা চালায় পুলিশ। ব্যানার ছিনিয়ে নেয় এবং প্রতিবাদকারীদের স্থান ত্যাগে বাধ্য করে পুলিশ। 

পুলিশী এ হামলার ঘটনায় এক প্রতিবাদ সভা করে নিন্দা জানায় সংগঠনটি। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের আহ্বায়ক আ ব ম মোস্তাফা আমীন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. আবদুল বাতেন, অধ্যাপক ড. শাহানুর, জনস্বার্থে রিটকারি ড. ইউনূস আলী আকন্দ, অধ্যাপক এডভোকেট জিয়াউর রহমান, রফিকুল ইসলাম খান, সাইফুদ্দিন আহমেদ মণি, ইঞ্জিনিয়ার মো. ফয়েজ, হারুনুর রশিদ খান, মোহাম্মদ শামসুদ্দিন, মো. হানিফ, মো. কবির হোসেন, জালাল উদ্দিন আহম্মেদ, আবুল কালাম আজাদ, খায়রুল আলম আকন্দ, জহির আহমেদ, ডা. শামিম আরা, জোনায়েত হোসেন প্রমুখ।

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ জানুয়ারী ২,২০১৯

স্বাধীনতা নতুন করে মহাসঙ্কটে নিপতিত - কাদের সিদ্দিকী


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বাঙালি জাতির ইতিহাসে একটি কলঙ্কজনক অধ্যায় বলে মন্তব্য করেছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। তিনি বলেন,লক্ষ প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতা আবার নতুন করে মহাসঙ্কটে নিপতিত হলো। ক্ষমতাসীনদের সীমাহীন লোভ দেশ এবং দেশের মানুষকে আজকের অবস্থায় এনে ফেলেছে।

 ৩০শে ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার, নির্বাচন কমিশন ও সরকার দলীয় সন্ত্রাসীরা যে নির্লজ্জ ভোট ডাকাতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে তা এ জাতির ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হবে। আজ রাজধানীতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। 

কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির নির্বাচন এ দেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বর্জন করেছিলো। ফলে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় এবং অন্যরাও খুবই নগণ্য ভোটে নির্বাচিত হয়, যা ছিলো ন্যায় ও সত্যের বিচারে অবৈধ। 

তিনি বলেন, এ বছর নানান টানাপোড়েন থাকলেও দেশের প্রায় সকল রাজনৈতিক দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে।

কিন্তু সরকার ও নির্বাচন কমিশন সংবিধান এবং ন্যুনতম নীতি-নৈতিকতাকে পদদলিত করে এই নির্বাচনকে স¤পূর্ণ প্রহসনে পরিণত করেছে। তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে প্রতিটি বিষয়ে বিরোধীদলের দাবি দাওয়া ও প্রস্তাবকে অগ্রাহ্য করা হয়েছে। তারপরও নির্বাচনকে অংশগ্রহণমূলক এবং জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার স্বার্থে আমরা এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। কিন্তু সমস্ত আইনকানুন ও সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আমাদের নেতাকর্মীদের নামে গায়েবী মামলা ও পুলিশি হয়রানী করে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরিয়ে দিয়ে ফাঁকা মাঠে গোল  দেয়ার সব রকমের অপচেষ্টা করা হলেও নির্বাচনী মাঠে থাকার ব্যাপারে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ ছিলাম। পদে পদে গ্রেপ্তার, নির্যাতন, ভয়ভীতি, হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে আমাদের কর্মী সমর্থকেরা মাটি কামড়ে নির্বাচনী মাঠে থাকার চেষ্টা করেছে। 

বঙ্গবীর বলেন, বিভিন্ন স্থানে প্রচারণায় বাধা, হামলা, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় নির্বাচনী পোষ্টার ছিঁড়ে ও পুড়িয়ে ফেলাসহ এহেন কোন কাজ নেই যা সরকারী দল করেনি। জনগণ আশা করেছিল সেনাবাহিনী নামার পর পরিস্থিতির উন্নতি হবে, কিন্তু তার উল্টো হয়েছে। 

তিনি বলেন, ভোটের আগের রাতে সকল কেন্দ্রে  সরকার দলীয় কর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মিলেমিশে প্রতি কেন্দ্রে অর্ধেক ভোট কোন কোন কেন্দ্রে তার চেয়েও বেশি নৌকা মার্কায় সিল মেরে বাক্স ভরে রাখে। যে কারণে ব্যালট পেপার শেষ হয়ে যাওয়ায় বেলা ১০-১১টার পর কোন ভোটার ভোট দিতে পারেননি, কারণ তাদের ভোট আগেই দেয়া হয়ে গেছে। অন্যদিকে সকাল থেকেই বিভিন্ন কেন্দ্রে ধানের শীষের এজেন্টদের ঢুকতে বাধা দেয়া হয়। এক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সরকারী দলের ক্যাডারের ভূমিকা পালন করে। সবকিছু মিলিয়ে সরকার ও নির্বাচন কমিশন ভোটের মৃত্যু ঘটায়, যা কোন গণতান্ত্রিক দেশে সংগঠিত হওয়া অসম্ভব। মানুষের ভোটাধিকার হরণের মাধ্যমে দেশের মানুষের যে ঘৃনা আওয়ামী লীগ তথা বঙ্গবন্ধু কন্যা অর্জন করলেন তা দেখে আমরা মর্মাহত এবং আতঙ্কিত। 

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বলেন, যখন স্বাভাবিক পরিবর্তনের পথ রুদ্ধ হয়, তখনই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির উদ্ভব ঘটে, যা আমাদের কারোরই কাম্য নয়। দেশের ও মানুষের স্বার্থে এই নির্লজ্জ ভোট ডাকাতির নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নতুন জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহবানও জানান তিনি। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ জানুয়ারী ২,২০১৯ 

গভর্নমেন্ট অব দি বিজিবি বাই দি র‌্যাব এবং ফর দি পুলিশ‌


বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ‘মিথ্যা জয়ের জন্য ভোট জালিয়াতি করতে পানির মতো টাকা খরচ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে। তারাই একতরফা নির্বাচনের মূখ্য উপাদান হিসাবে কাজ করেছে। বাংলাদেশে আর গণতন্ত্রের গৌরবোজ্জ্বল যুগ সৃষ্টি হলো না। শেখ হাসিনার দল মানুষের ভোটে জিতেনি, তার দল জিতেছে গায়েবি ভোটে।’

তিনি বলেন, ‘এখন শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে নতুন গভর্নমেন্ট তৈরি হবে তা হবে গভর্নমেন্ট অব দি বিজিবি বাই দি র‌্যাব এবং ফর দি পুলিশ। এই মহাডাকাতি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে এরা ক্রমান্বয়ে উপহাস করছে। আওয়ামী নেতারা এখন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে নিয়ে তাদের চাপাবাজী ও গলাবাজীর জোরে ভোট নিয়ে মহা-জালিয়াতির ঘটনা আড়াল করতে চাচ্ছে, কিন্তু দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে চোখে কিছুই এড়িয়ে যায়নি।’

বুধবার, ২ জানুয়ারি দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংবাদ সম্মেলনের পূর্ণপাঠ নিচে দেওয়া হল -

সুপ্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,
আস্সালামু আলাইকুম।

২৯ ডিসেম্বর রাত কালো রাত, ৩০ শে ডিসেম্বর দিন অন্ধকার দিন। ২৯ শে ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মানবশূণ্য কেন্দ্রে ভোট জালিয়াতির নির্বোধ উল্লাসে মেতে উঠে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আওয়ামী ক্যাডাররা। ৩০ শে ডিসেম্বর ভোটের দিন গণতন্ত্রের শেষ চিহ্নের ওপর ধেয়ে  এলো মহাদূর্যোগ। ভোটের দিন বিশ্ববাসী মহাশঙ্কা নিয়ে দেখল বিজিবি-র‌্যাব-পুলিশকর্তৃক দেশের জণগনের আত্মমর্যাদাবোধে অসম্মানের দৃশ্যটি। তারা দেখল ভোটাধিকার বঞ্চনার শেষ দৃশ্যটি। রাতের আধাঁরে কেন্দ্রে-কেন্দ্রে অকটেন ও ডিজেল পোড়া ধোঁয়া। অর্থাৎ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা, ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্সে ঢোকানো। এই সংবাদ নির্বাচনের আগের রাত ১১ টায়  আমি আপনাদের ব্রিফিং করে জানিয়েছিলাম।

সাংবাদিকবৃন্দ,
মিথ্যা জয়ের জন্য ভোট জালিয়াতি করতে পানির মতো টাকা খরচ করা হয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পেছনে। তারাই একতরফা নির্বাচনের মূখ্য উপাদান হিসাবে কাজ করেছে। বাংলাদেশে আর গণতন্ত্রের গৌরবোজ্জল যুগ সৃষ্টি হলোনা। শেখ হাসিনার দল মানুষের ভোটে জিতেনি, তার দল জিতেছে গায়েবী ভোটে। এখন শেখ হাসিনার  নেতৃত্বে যে নতুন গভর্নমেন্ট তৈরি হবে তা হবে গভর্নমেন্ট অব দি বিজিবি বাই দি র‌্যাব এবং ফর দি পুলিশ। এই মহাডাকাতি নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনকে এরা ক্রমান্বয়ে উপহাস করছে। আওয়ামী নেতারা এখন গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রনে নিয়ে তাদের চাপাবাজি ও গলাবাজির জোরে ভোট নিয়ে মহা-জালিয়াতির ঘটনা আড়াল করতে চাচ্ছে, কিন্তু দেশবাসী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ে চোখে কিছুই এড়িয়ে যায়নি। ৩০ শে ডিসেম্বরের নির্বাচন ১৯৭৩ সালের খারাপ নির্বাচনের চাইতেও কুৎসিত।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ, 
৩০ শে  ডিসেম্বর নির্বাচনের পর দেশ আরও একধাপ তমাসাচ্ছন্ন বর্বর যুগে প্রবেশ করলো। নির্বাচনের নামে নিষ্ঠুর রসিকতা করে এখন জনপদের পর জনপদে ধানের শীষের নেতাকর্মী ও সমর্থকদের উপর চলছে পৈশাচিক বর্বরতা। মূর্খের অহংকারে আক্রমণ করে ভেঙ্গে ফেলা হচ্ছে নিরীহ মানুষের বাড়ী-ঘর-দোকানপাট-বাজার। সেগুলি অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে। নেতাকর্মীদের ঘর ছাড়া, এলাকা ছাড়া, গ্রেফতার করা  রীতিমতো হিড়িক শুরু হয়েছে। নানা হয়রানীসহ শারীরিকভাবে আক্রমণ করা হচ্ছে। আক্রমনে অনেকে নিহত হয়েছেন। ব্যাবসা প্রতিষ্ঠান-কৃষি খামার-সহায়সম্পদের উপর বেপরোয়া হানা দেওয়া হচ্ছে অবিরাম।

সবচেয়ে মর্মস্পর্শি শ্বাসরোধী ঘটনা ঘটেছে নোয়াখালীতে এক সিএনজি চালকের স্ত্রীকে বাড়ী থেকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের মাধ্যমে শ্লীলতাহানী করা। আওয়ামী লীগের ১০/১২ জনের এক দল কর্মী নোয়াখালীর সুবর্ণচর এলাকার মধ্যব্যাগারে ৪ সন্তানের মা সিএনজি চালকের স্ত্রীকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বলে। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হলে মহিলাটি সবার সামনে ধানের শীষে সিল দেয়। এরপর রাত ১০ টার দিকে সন্ত্রাসীরা পুলিশ পরিচয়ে বাড়ীতে ঢুকে গৃহবধুটির হাত-পা ও মুখ বেঁেধ রাতভর নির্যাতন করে ঘরের পাশে ফেলে যায়। সে এখন নোয়াখালীর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। এটি শুধু একজন ব্যক্তিকেই পৈশাচিক নির্যাতনে শ্লীলতাহানী নয় এটি জনগনের ভোটাধিকারকেই শ্লীলতাহানী করা হলো। সিএনজি চালকের স্ত্রীর ক্রন্দনবিধুর অন্তহীণ আর্তি বিশ্ব বিবেককে কাঁদিয়েছে। বাংলাদেশে মানবতা এখন কাঁদছে। বিশ্ব মানবতা এই ঘটনায় স্তম্ভিত-শিহরিত ও বিমুঢ়।

কালো টাকার প্রাচুর্য্য প্রয়োগে বেড়ে ওঠা এই আওয়ামী নির্যাতন কারীরা জালজালিয়াতি ভোটের মহাযজ্ঞের পর এখন কান্ড জ্ঞানহীন নিষ্ঠুর বেপরোয়া। এরা ভোট ডাকাতির মহাসাফল্যে সহজাত বিচার-বুদ্ধি হারিয়ে ফেলেছে। এরা মনুষ্যত্ব বির্সজন দিয়ে এখন নারীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ছে। শুধুমাত্র আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দিয়ে জনগনের ভোটাধিকারকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে ঘনায়মান হতাশা আর বিরোধীদের গুম-খুনের শিকার হওয়ার পরিমান যে কতো বাড়রে তা নিয়ে অনাগত দিনের দুশ্চিন্তা ও রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা জণগনের চোখে বিভৎস রূপ নিয়ে ফুটে উঠেছে। ১০ বছরতো আওয়ামী লীগই ক্ষমতায়, তাহলে মিথ্যা জয়োল্লাসের বহিঃ প্রকাশে এতো হিংসার ছবি কেন ? এরা ধারাবাহিকভাবে অশান্তি জিইয়ে রেখে মানুষের জাগরনকে ঠেকানোর চেষ্টা করবে। সেই জন্য তারা দর্শন হিসেবে বেছে নিয়েছে সন্ত্রাসবাদ। তবে তাদের মনে রাখতে হবে পতন কিন্তু দিন-ক্ষন-তারিখ-মাস ঘোষনা দিয়ে আসে না।

দাউদকান্দিতে নির্বাচনোত্তর আ.লীগের ব্যাপক সহিংসতা ভাংচুর-লুটপাট,মিথ্যা মামলা দায়ের, আহত ৭

কুমিল্লা-১ আসনের দাউদকান্দি পৌর সদরসহ বিভিন্ন গ্রাম, দাউদকান্দি উপজেলার দাউদকান্দি (উত্তর), গোয়ালমারী, সুন্দলপুর, বিটেশ^র, মারুকা, দৌলতপুর ও ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও বাজারে বিএনপি নেতা কর্মী ও সমর্থদের বাড়ী ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নির্বাচনোত্তর ব্যাপক সন্ত্রাসী হামলা, লুটপাট, মারধর, চাঁদাবাজি ও প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শনের ঘটনা ঘটেছে। আমি অবিলম্বে নির্বাচনোত্তর আওয়ামী লীগের এই সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ এবং প্রয়োজনীয় আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচ্ছি। 

৩০ ডিসেম্বর রাত থেকে এই পর্যন্ত আওয়ামী লীগ, যুব লীগ ও ছাত্র লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা দাউদকান্দি পৌর এলাকার তুজারভাঙ্গা গ্রামে কাউন্সিলর মোস্তাক মিয়া এবং পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাওসার আলমের বাসভবনসহ মাইজপাড়া, দোনারচর, উত্তর নছরুদ্দি গ্রামে নোয়াব ও বাবুলের বাড়ীতে গ্রামে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। তারা দাউদকান্দি বাজারে পৌর বিএনপি সভাপতি দেলোয়ার হোসেন মিয়াজি ও শামীমের দোকান বন্ধ করে দেয়। পৌর এলাকার ইট ব্যবসায়ী মনু মিয়া ব্যাপারীর ইটের ভাটা থেকে দুই ট্রাক ইট লুট করে নিয়ে যায়। সুন্দলপুর ইউনিয়নের সুন্দলপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা রুহুল আমিন ও বিডিআর নুরুল ইসলাম মিয়াজী সহ ২জন এবং বড় গোয়ালী গ্রামের ইব্রাহিমকে পিটিয়ে আহত করে, একই গ্রামের হাফেজ আবদুল করিম সহ ১৫ জনের বাড়ী ভাংচুর করে, এছাড়া বড় গোয়ালী বাজারের ৩টি দোকান ও চকমখোলা গ্রামের কামাল হোসেন সহ ৩জনের বাড়ীতে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং ২ জনকে আহত করে। দাউদকান্দি উত্তর ইউনিয়নের কদমতলী গ্রামের কামাল ও কাওসারের বাড়ী সহ নন্দলপুর ও গোলাপেরচর গ্রামের ১০টি গ্রামে যুবলীগের ক্যাডাররা বাড়ী-ঘর ভাংচুর করে। আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বারপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ও ইলিয়টগঞ্জ ইউনিয়নের বাসরা গ্রামে প্রায় ২৫টি বাড়ীতে হামলা করে, এতে ৪ জন জখম হয়। সশস্ত্র ক্যাডাররা ইলিয়টগঞ্জ বাজারে ৫ টি দোকান বন্ধ করে দেয়। ক্যাডাররা দৌলতেরকান্দি ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এবং গোয়ালমারী ইউনিয়নের দৌলতেরকান্দি গ্রামের ৩০/৩৫টি বাড়ী দুই দিন ধরে নারকীয় তান্ডব চালাচ্ছে। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যার পরও সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক তান্ডব চালিয়েছে। যা মধ্যযুগীয় বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। এছাড়া নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়ে প্রায় ৭টি মামলা করা হয়েছে যেখানে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিন আহমেদ সহ শত শত নেতাকর্মীকে আসামী করা হয়েছে। অথচ এ সকল সহিংস ঘটনার বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে দাউদকান্দি থানা মামলা নিচ্ছে না। অবিলম্বে নির্বাচন উত্তর এইসব সহিংস ঘটনা বন্ধ করার জন্য আমি জোর দাবি জানাচ্ছি।

গত ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলাকালীন সময়ে এলডিপি’র চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অবঃ) অলি আহমেদ বীর বিক্রম এর নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামে চন্দনাইশ ও আংশিক সাতকনিয়ার ৬টি ইউনিয়নের আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারী দলের সন্ত্রাসীদের দ্বারা ব্যাপক সহিংসতা সংঘটিত হয়। আওয়ামী সন্ত্রাসীদের গুলিতে এলডিপি’র কর্মী শফিকুল ইসলাম, মোঃ জিসান ও মাহবুব আলমসহ ১৫ জন গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে আহতাবস্থায় স্থানীয় চান্দনাইশ হাসপাতালসহ চট্টগ্রাম মেডিক্যাল হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়। অপরদিকে আওয়ামী ক্যাডার’রা ১২টি মোটর সাইকেল ও ৪টি মাইক্রোবাস নিয়ে অলি আহমেদের ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুকের ওপর হত্যার উদ্দেশ্যে আক্রমণ চালালে তিনি গুরুতর আহত হন, তার মৃত্যু হয়েছে বলে হামলাকারীরা নিশ্চিত হলে রাস্তার পাশে ঝোপের মধ্যে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। অধ্যাপক ওমর ফারুককে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল স্থানীয় আওয়ামী সন্ত্রাসী আমিন, আবুল ও আবু সলেহ।

গত ১০ ডিসেম্বর ২০১৮ থেকে কোন ধানের শীষের ও ছাতা মার্কার নেতাকর্মীদেরকে ঘরে থাকতে দেয়নি আওয়ামী ক্যাডারা’রা। সকল নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা দিয়ে এলাকাছাড়া করা হয়েছে। শতকরা ৯০ ভাগ পোলিং এজেন্টকে প্রশাসনের সহায়তায় কেন্দ্র থেকে বের করে দেয়া হয়। এমনকি নির্বাচনের দিন কোন সাধারণ ভোটারকেও ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে দেয়া হয়নি। ১০৪ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০০ টি দখল করে ভোটের আগের রাত ও ভোটের দিন নৌকা প্রতীকে জালভোট দিয়ে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। বিভিন্ন স্থানে হামলা চালায়। এতো অনাচার ও অনিয়মের পরেও নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, ভয়ভীতিমুক্ত ও শান্তিপূর্ণ হয়েছে বলে যারা বলছেন আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই-তারা আত্মা বিক্রি করে মনুষ্যত্বের বিলোপ ঘটিয়েছেন। 

সাংবাদিক বন্ধুরা,
এই ধরনের ঘটনা ৩০০টি নির্বাচনী এলাতেই ঘটেছে। এই ঘটনাটি নমুনা স্বরুপ উত্থাপন করা হলো। অনুরুপভাবে বিএনপি’র মহাসচিব, ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমেদ, ড. কামাল হোসেন, মির্জা আব্বাস ও আফরোজা আব্বাস, বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. মঈন খান, ব্যারিষ্টার মাহবুদ্দিন খোকন, হাবিবুর রহমান হাবিব, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, রুমানা মাহমুদ, মিয়া নুরুদ্দিন অপুর উপর হামলা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। এটি একটি সুপরিকল্পিতভাবে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করা অথবা নির্বাচন ছেড়ে দেয়ার জন্য বাধ্য করতে এধরনের ঘটনায় তারা লিপ্ত হয়েছিলো। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ অতীতে কখনও ক্ষমতায় আসেনি। স্বাধীনতার পর থেকে জণগনের ভোটে কখনও আওয়ামীলীগ নির্বাচিত হয়নি। এবারও আওয়ামীলীগের কোন সদস্য সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়নি, বরং প্রত্যেক এলাকার উপজেলার ইউনো ও থানার ওসি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে। একজন রনাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব:) অলি আহমদ বীর বিক্রমের সাথে যদি এধরনে ঘটনা ঘটে থাকে তাহলে ৩০০ আসনে কি ধরণের ঘটনা ঘটেছে তা সহজেই অনুমেয়। এরপরেও যারা বলছেন শন্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে তারা হয় উৎকোচ গ্রহণ করেছেন না হলে জ্ঞানপাপী। নির্বাচনের পূর্বে প্রায় ২৫ দিন দেশের মানুষ দোজগে বাস করেছে। এখনও হাজার-হাজার নেতাকর্মী জেলহাজতে আছেন।
সকলকে ধন্যবাদ।

বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত, হামলাকারীকে গণপিটুনি

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলায় মোতালেক হাওলাদার (৪০) নামে এক বিএনপি নেতাকে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। বুধবার সকালে উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের তিল্লা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ছুরিকাঘাতে আহত মোতালেব ওই ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। এদিকে এ ঘটনায় হামলাকারী শাকিল মৃধাকে ধরে গণপিটুনি দিয়েছে এলাকাবাসী।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৯টার দিকে ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের তিল্লা নিজ বাড়ি থেকে মোতালেব হাওলাদার দোকানের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে পার্শ্ববর্তী নলবুনিয়া গ্রামের শাকিল মৃধা তার (মোতালেব) পথরোধ করে। একপর্যায়ে ‘বিএনপি-রাজাকার এলাকায় থাকতে দিবো না বলে’ এলোপাতাড়িভাবে মোতালেবকে ছুরিকাঘাত করে শাকিল। এদিকে, মোতালেবকে ছুরিকাঘাত করায় শাকিলকে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা।

এ ব্যাপারে রাঙ্গাবালী থানার ওসি মিলন কৃষ্ণ মিত্র বলেন, ‘শাকিল প্রথমে মোতালেবকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে। পরে মোতালেবের লোকজন শাকিলকে কুপিয়েছে। দুইজনকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
  • ইত্তেফাক/ ০২-০১-২০১৯