Search

Saturday, June 3, 2017

বাজেট বিশ্লেষণ - এ তো দিনদুপুরে ডাকাতি

আহসান এইচ মনসুর/প্রথম আলো 


নতুন করে ব্যাংকে টাকা রাখার ওপর কর বাড়ানো হলো, এটা ব্যতিক্রমধর্মী পশ্চাৎপসরণ। সার্বিকভাবেই তো আমানতের ওপর সুদ কমছে। ফলে আমানতকারীরা দুভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুদ কমছে, করও বাড়ছে। আমানতকারীরা এখন শঙ্কিত, তারা কোথায় যাবে। একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে বলতে পারি, এ সিদ্ধান্তটাই আত্মঘাতী। এর ফলে আমাদের আর্থিক খাতে ছায়া অর্থনীতির পরিমাণ বাড়বে। লেনদেন যেভাবে ব্যাংকিং খাতে হওয়ার সুযোগ ছিল, তা আর হবে না। এতে কর আদায় ও আর্থিক কার্যক্রমে স্বচ্ছতা কমবে। অল্প কিছু অর্থের জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এমন খারাপ পরামর্শ সরকার কেন গ্রহণ করল, এটা আমার বোধগম্য হচ্ছে না। এর মাধ্যমে সরকার যে পরিমাণ আয় করবে, ব্যাংকবিমুখ হওয়ায় তার চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে সরকার। 

আমরা চাই, দেশে বৈধ আর্থিক মাধ্যমে লেনদেন বাড়ুক। তবে অতিরিক্ত করের মাধ্যমে তা নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে, আবার এসব টাকা নিয়ে সরকারি ব্যাংক টিকিয়ে রাখা হচ্ছে, এটা কোন ধরনের নীতি? জনগণকে এভাবে নিরুৎসাহিত করে আমরা অদক্ষ ব্যাংক ব্যবস্থাকে টিকিয়ে রাখার চেষ্টা করছি। এটা কোনো মতেই গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। জনগণ এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেখাবে বলে আমি মনে করি। কারণ, হিসাব থেকে এভাবে টাকা কেটে নিতে পারে না, সবাই তো সুদের ওপর কর দিচ্ছেই। এটা তো দিনদুপুরে ডাকাতি।

২৬ বছর ধরে বাংলাদেশে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ছিল, এখনো বহাল থাকল। যেসব পণ্যের ওপর সরকারের ভ্যাট বাড়ানোর সুযোগ ছিল, পণ্যমূল্য না বাড়াতে তা সমন্বয় করা হয়েছে। ভ্যাট বাস্তবায়নের মাধ্যমে আমি মূল্যবৃদ্ধির কোনো সম্ভাবনা দেখি না; বরং কিছু পণ্যের মূল্য কমানোর সুযোগ আছে, কিন্তু ব্যবসায়ীরা তা করবেন না। ১৯৯১ সালে প্রথম এ ভ্যাট হার নির্ধারণ করা হয়েছিল, এটা বেশিও না, কমও না। এ থেকে ভালো রাজস্ব আয় হলে পরে কিছুটা কমানো যেতে পারে।

সম্পূরক শুল্ককে আমি বলব দেশীয় শিল্প সুরক্ষা নীতি। নৈতিকভাবে এসব শুল্ক বসাতে হলে দেশীয় ও বিদেশি পণ্য উভয় ক্ষেত্রেই বসানো উচিত। বাংলাদেশ অসামঞ্জস্যভাবে শুধু আমদানি পণ্যের ওপর অতিরিক্ত শুল্ক বসাচ্ছে। এটা সাময়িক হলে ঠিক ছিল। বেশি সুরক্ষিত শিল্প ভোক্তার জন্য ভালো না, দেশের সামগ্রিক আর্থিক পদ্ধতির জন্যও ভালো না। এটা অদক্ষ দেশীয় শিল্প খাতকে উৎসাহিত করে। কিছু গাড়ি আছে যা বাংলাদেশে সংযোজন করলে দাম হয় ৭৫ লাখ টাকা, আর কোরিয়া থেকে আমদানি হয়ে এলে হয় ১ কোটি ২০ লাখ টাকা। এ ধরনের দেশীয় শিল্প তো টিকে থাকার প্রয়োজন নেই। সুরক্ষার মাধ্যমে এমন কিছু খাত টিকে আছে এবং ভোক্তারা প্রতারিত হচ্ছে। কেন এখন বিস্কুটের ওপর ১০০-১৫০ শতাংশ কর দিতে হবে। ১০০ বছরের পুরোনো এ খাত কি এখনো প্রতিযোগিতায় টিকিয়ে রাখার মতো সক্ষমতা অর্জন করতে পারেনি?

বাজেটের চ্যালেঞ্জ মূলত রাজস্ব আয় ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ব্যয়ে। রাজস্ব আয় বাড়াতে ভ্যাটের ব্যবস্থা আধুনিকায়ন কার্যক্রম সঠিকভাবে ও দৃঢ়তার সঙ্গে চালাতে হবে। অনেকেই চেষ্টা করবে এই উদ্যোগকে ব্যর্থ করতে। সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি কিছু মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাও বিভিন্নভাবে প্রতিরোধ করার চেষ্টা করবেন।
এডিপিতে ভালো কিছু প্রকল্প আছে। স্থানীয় সরকারে ভালো বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এখানে অর্থের অপচয় হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এসব কাজ গুণগত মানে ভালো করতে হবে। না হলে এসব কাজ ভোটের পক্ষে না এসে বিরুদ্ধেও চলে যেতে পারে।

আমি মনে করি, বাজেটের মন্দ দিক হলো আর্থিক খাতের কর বাড়ানো। এটা ঠিক হয়নি। মোবাইল ফোনের ওপর সম্পূরক শুল্ক বাড়ানো ঠিক হয়নি। সিগারেটের ক্ষেত্রে নিম্নস্তরের ক্ষেত্রে দেশি ও বিদেশির জন্য দুটো ভাগ করা হয়েছে। এ ধরনের শ্রেণিবিন্যাস বৈদেশিক বিনিয়োগ নীতিমালার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সেটা সরকারকে বিবেচনায় নিতে হবে।
বাংলাদেশ ৭ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি অর্জন করছে। ভবিষ্যতেও করবে। ব্যাপক বিনিয়োগ প্রয়োজন আছে, অর্থায়ন লাগবে। এ জন্য ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। ভ্যাট আইন বাস্তবায়নে ‘ব্যর্থতা’ কোনো উপায় হতে পারে না। আয়কর খাতকেও ঢেলে সাজাতে হবে। ব্যাংক ব্যবস্থা বা একই ব্যক্তির ওপর অতিরিক্ত কর আরোপ করে অর্থ সংগ্রহ করা ঠিক হবে না।

আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে বড় ওঠানামা হবে না। চালের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা হয়েছে। চাল আমদানিতে কর তুলে দিতে হবে। তাহলেই ভারত থেকে চাল আসবে, দামও কমে আসবে। তবে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি করাই ভালো। 

বাজেটে প্রবৃদ্ধির যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে, তা অর্জন করা সম্ভব। তবে রপ্তানি আয়ে দুই অঙ্কের প্রবৃদ্ধি, প্রবাসী আয়ে ঊর্ধ্বগতি না আসা পর্যন্ত স্বস্তির কোনো কারণ নেই। এটা চলতে থাকলে লেনদেন ভারসাম্যে টানাপোড়েন থাকবে। যা দীর্ঘ মেয়াদে সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রবণতা ফেলবে। প্রয়োজন হলে রপ্তানির স্বার্থে টাকার অবমূল্যায়ন করতে হবে। বাজেট বাস্তবায়নে মুদ্রানীতিকে সমন্বয় করতে হবে।
লেখক: নির্বাহী পরিচালক, পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউট 

Thursday, June 1, 2017

Beneath The Shine

Inam Ahmed/ The Daily Star 


Bangladesh is caught in a limbo between dreamy possibilities and the nitty-gritty of reality. The possibility of moving at a much faster rate is tempered by the grim reality of the current architecture that denies that speed.

We have to be satisfied with a moderate budget -- something that never crossed 13 percent of GDP – because our implementation capacity is hobbled. We have to live with the perennial tailbacks that slow down economic growth. We are stuck with an ugly urbanisation that denies any aspirations of sustainable living in the present and in the future. 

Generations are growing up with an education the quality of which falls far behind global standards. The rickety health care system breeds more frustrations than cure.

Yet Bangladesh has achieved a broad-based growth that has trickled down. We have crossed 7 percent growth rate and clocked per capita income of $1,600. Its extreme poverty has lessened significantly. Inequality declined. Life expectancy climbed up.

WHAT LURKS IN THE SHADOW

But it is only part of the story. Even the social indicators need another look as figures will tell a different story also if one reads between the figures. For example, more than 20 million people still live in extreme poverty, or consider the fact that one fifth of the primary school going children have not ever been to a school.  Or that our child mortality is still way too high and maternal death rate falls short of MDG goal.  And half the population still does not have a system of sanitation in place.

Nevertheless, a new mindset has been created – a belief that we can fix a situation if we want to. The remedy to the power problem is a case in point.

So when Finance Minister AMA Muhith will present the new budget today, he will have to find a solution that will put Bangladesh on a high speed lane that we have been talking about for so long.  And he has to sustain and strengthen many of the achievements we have made.

Not only that, he will face some new, emerging challenges this year that may threaten to upset the cart.

The drying up of remittance and the dip in exports are the new headaches this year and a lot of the economy's health will depend on how Mr Muhith devises a way to extricate the country of this sticky situation.

The relentless flow of funds from the workers in the Middle East that had kept our foreign exchange reserves ever buoyant is petering out fast. Remittance growth is already heading south as the petro-economies are smarting from the sustained low oil price. Exports have hit a rough patch because of Brexit, a sluggish global economy and internal structural factors.  In many years our export growth has ended the double digit growth and almost touched nada. We are yet to feel the pressure on balance of payment but we might experience it with any upswing in imports and external shocks anytime.

STARK REALITIES IN STATISTICS

We are enjoying the benefits of a stable macroeconomic environment. The GDP is growing but fewer jobs are being created. The latest BBS figures expose this stark reality of jobless growth. BBS has compared two sets of data – from 2010 to 2013, a period of three years, and from 2013 December to 2015, a period of one and a half years. During 2010-2013, when GDP growth was in the territory of 6 percent, 40 lakh new jobs were created. But during 2013 to 2015 when growth was much higher, only 14 lakhs jobs were created. We also see a stagnation of private investment that explains, at least partially, why enough jobs were not created.

When jobs are slow to come, the government's imposition of VAT on a raft of products to generate money will certainly have a big dent on people's quality of life. A 15 percent is not just 15 percent. It is applied on value addition and so it increases at compound rate as a product passes various phases and hands. So the effective hike in price will be significant.
If growth is for people's welfare and giving them a life of comfort, then the VAT increase will not help in that direction.

BIG SCANDALS, LITTLE ACTION

The economy is growing but one of the crucial pillars of a stable economy -- the financial sector – is bleeding. We have seen big scandals in banks with little actions. In last one year, the amount of default loan has gone up by about Tk 11,000 core that could have completed the main component of the Padma Bridge.  This does not reflect the amount that the banks have written off. Realisation of bad debts is very poor, only about 5.5 percent. Top bankers at a recent meeting with the Bangladesh Bank have raised concerns of capital flight and money laundering.

To add to the challenges ahead is the fact that we are going to graduate from the LDC status next year to lower middle income country category which means we will no longer be entitled to certain benefits such as concessional loans, ODA and GSP. The next 10 years will be the crucial preparatory stage for such a transition.  We would need special attention and investment in some areas like market and product diversification, productivity enhancement and investment in social issues like improving labour safety, wage increase, and environmental standards. Very little is being done in these areas. What we find in the name of protecting the environment is just shifting the problem from one area to another as has happened in the case of the leather industry relocation.

We need to increase the social sector outlay and unfortunately because of heavy investment in the much needed infrastructure, enough money cannot be found to do this. This poses the perfect 'damned if you do, damned if you don't' situation.

BIG PROJECTS, POOR PLANS

But much of it could have been avoided if the big projects were properly planned and implemented. Any big project has two goals to fulfill -- that it has to end on time and within the budgeted cost and that it has to deliver on whatever it has been built for.

The stark truth of the big projects in Bangladesh is they unfailingly fail to meet the first objective and then more often than not the second one too. Take the example of the recently inaugurated four-lane Chittagong highway project that has overrun its original cost, from Tk 1,655 crores to Tk 3,800 crores, and is yet to be complete. Meantime, the unfinished road is leading to extreme tailbacks at bottlenecks such as the Meghna Bridge and other points that eat up the presumptive benefit of the project.

BIG MONEY, HIGH COSTS

Bangladesh is increasingly resorting to non-conventional sources of foreign assistance. We are taking loans from China, India and Russia. Such sources are easy to tap but lopsided. They lack transparency and clear frameworks. Their cost of fund is high which makes it all the more urgent for us to see that projects conceived of funds from such sources are tightly implemented because any delay means bleeding the coffer. Unfortunately we have yet to achieve that efficiency.

So such delays are causing the same cost being carried over to the year after at the expense of smaller social sector spending and implementation of other much needed infrastructure project -- after all, we do not have an unlimited number of employees to look after a plethora of big projects.

The Indian line of credit is a case in point -- we have not been able to utilise it fast enough. Only 65 percent of the first line of credit has been used --and it had many important components such as rail link constructions along Khulna-Mongla and Joydevpur-Kamalapur corridors which are being delayed for various reasons including land acquisition --  and disbursement of the second LOC has not started yet while a third LOC is being readied for signing.

LESS OF THE PIE FOR SOCIAL SECTORS

We may claim Bangladesh has achieved a lot in the last 10 years or so in terms of economic development. The continuous clocking of GDP growth of 6 percent and above may be a point, or the stable macroeconomic outlook or the gradual increase in per capita income to $1600 that makes it possible for us to qualify to be called a middle income country. These are the dividends of the grueling reforms initiated since the 1990s.

But somehow the burners seem to have died down and reforms stagnated and even reversed in some cases such as the financial sector. To survive as a middle income country, it needs continuous efficiency enhancing steps. Unfortunately Bangladesh has yet to get the new rules in place and this is reflected in the World Bank's recent report of Doing Business where Bangladesh still ranks low in the rank at 176th position out of 190 countries. True, it has improved two notches up from last year, but in the current global architecture such minor improvement does not make any difference
.
This hemorrhaging of money has a vicious effect -- as project costs go up the government has to take more and more loans. This leads to bigger and bigger loan repayment obligation as is happening today. This in turn means less and less of the pie available to foot the bills for the preciously necessary social sectors.