Search

Saturday, August 27, 2016

Trash talk in politics


By Fazal M. Kamal


There’s no sliver of evidence or any glimmer of indication that the incumbent administration has an iota of interest in resolving outstanding issues in the political arena. It all too obviously is hell bent on hounding its political adversaries—as well as anyone who is deemed by government honchos as being a critter indulging in critical annoyance and a meddlesome bleeding heart.

Of course as has been made more than adequately clear to the entire nation the consequences of “getting outa line” can be mindboggling (and you shouldn’t be wanting to ever try any of them for size): They can range from simple intimidation all the way to plain disappearance, as has befallen a large number of people already, with heartrending results for families after families.

The relentless foul-mouthed bad-mouthing of their adversaries by ruling alliance supercilious moaners—not to mention those who are evidently bereft of all civility, perhaps due to their unfortunate heritage and sheer lack of knowledge—is definitely signal enough to convey to even someone with just a modicum of intelligence that the government specifically believes that it cannot under any circumstances suffer the existence of any opposing views.

Now that it’s arming itself with evermore restrictive rules, regulations and laws encompassing everything on Earth and some that have gone beyond, depending on the momentary inclination of an administration official, anyone sotto voce expressing an obiter dictum can be incarcerated, harassed and/or disappeared on the whim of even the lowest of the lowest in the purported administrative apparatus.

While on the topic of law enforcers, let it be noted, if nothing else, they’re indeed masters in meting out super-quick justice a la police forces particularly in earlier times in South America and Africa. The primary modus operandi of this country’s police is to haul in someone vulnerable, beat him/her till s/he makes a “confession”--unless, of course, s/he is foolish enough not to sign on the proverbial dotted line, in which case as also in the interest of fast-paced justice, s/he conveniently dies in “an exchange of fire.”

As noted earlier, these are by no standard new methods of serving the interests of ruling cabals; they have been abundantly utilized in Latin America, Africa and Southeast Asia (one is, in these instances, often reminded of Indonesian president Suharto’s killing spree) as well as in the northeastern regions of India and unrelentingly in what is known as Indian Kashmir. In Bangladesh they’re now the state-of-the-art mechanism in vogue with the powers that be.

It’s certainly likely that even such observations can be viewed with extreme prejudice by some persons in the country and some more right across the border. But, au contraire, law enforcement personnel have been given complete freedom to regurgitate precisely like political activists with gay abandon. Which naturally raises the question: Given the foregoing fact how are citizens to interact with the police and allied entities? 

This and similar questions arise especially when perceived against the backdrop where law enforcers have exhibited an enormous penchant for not being able to “get their man”--as in the case of Sagar and Runi’s double murders, as in the case of Sohagi Jahan Tonu whose unnatural death in Comilla yet remains unsolved, or as in the case of the wife of a once-celebrated police officer, or as with the very recent murder of Afsana Firdous, to enumerate only a few. And yet there isn’t any let up in their virulent verbal deluge.

A recent New York Times editorial stated unequivocally: “Unlawful detentions and disappearances have become routine in Bangladesh. Authorities act with impunity even when under the international spotlight. A thorough reform of law enforcement in Bangladesh is in order. A good place to start would be to release all those detained without charge. …The use of plainclothes officers, in an attempt to disguise official involvement, plus a failure to punish police and intelligence officers who participate in such abuses, feeds a culture of impunity.”

In view of the reality that many of those supposedly practicing politics in the ruling alliance are doing so by emulating one D. Trump, the presidential aspirant of the US Republican Party, i.e. more akin to fungal growth in a petri dish and naturally not in possession of any positive mental abilities, it’s very unlikely that in the short term at least conditions for salubrious politics are going to return to Bangladesh. Even though it’s merely logical to conclude that the present trends in absolutist politics are a definite bane for the nation. Yeah, sure, sad.

PS: It’s surely way beyond the realm of credibility that those who’d nothing whatsoever to do with the country’s war of independence are unabashedly articulating unadulterated garbage about those who actually actively fought in that war and even led on the battlefield. I guess, all any rational and informed person can do is pray: Lord, forgive them for they know not what escapes their maws.

Wednesday, August 24, 2016

সংবাদ সম্মেলনে বেগম খালেদা জিয়ার পুরো বক্তব্য

বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা

আসসালামু আলাইকুম।

দেশের উন্নয়ন ও জনজীবনের স্বাচ্ছন্দের জন্য বিদ্যুৎ প্রয়োজন। কিন্তু সেই বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে যদি দেশ এবং দেশের স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্থ হয়, জনজীবন বিপর্যস্থ হয়, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র ধ্বংস হয় - তাহলে সেই সিদ্ধান্ত হয় দেশ বিরোধী-গণবিরোধী। বাগেরহাট জেলার রামপালে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন ঠিক তেমনি একটি দেশ বিরোধী-গণবিরোধী সিদ্ধান্ত। বিশ্বের বৃহত্তম ম্যাগগ্রোভ বনাঞ্চল সুন্দরবনের মাত্র ১৪ কিলোমিটার দূরে রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট এবং মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে ৫৬৫ মেগাওয়াট ওরিয়ন কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ এগিয়ে চলেছে। দেশ-বিদেশের পরিবেশবিদ, সামাজিক সংগঠন এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রতিবাদ এবং বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে এ ধরনের প্রকল্পের মারাত্মক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার দৃষ্টান্ত উপেক্ষা করে গণবিরোধী অনির্বাচিত সরকার রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াটের আরও একটি কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষ্যে জমি ভরাটের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছে। জনমত উপেক্ষা করে দেশ ও জনগণের স্বার্থ বিরোধী সিদ্ধান্ত জনগণের উপর জবরদস্তিমূলক ভাবে চাপিয়ে দিচ্ছে এই স্বৈরাচারী সরকার। সুন্দরবনের এত কাছে স্থাপিত কয়লা-বিদ্যুৎ প্রকল্পের অনিবার্য্য অশুভ ও মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রতিক্রিয়ার সব প্রমাণ উপস্থাপনের পরেও সরকার তার অবস্থান পরিবর্তনে শুধু অস্বীকৃতি জানাচ্ছে না বরং আরও দ্রুত এই গণবিরোধী - দেশবিরোধী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের উদ্যোগী হয়েছে। এর দ্বারা আবারো প্রমাণিত হলো যে, এই সরকার স্বৈরাচারী বলেই জনমত কিংবা দেশের স্বার্থের পরোয়া করেনা। যে প্রকল্প দেশের দক্ষিণাঞ্চলের প্রাকৃতিক বেষ্টনী ধ্বংস করবে, জীব-বৈচিত্রের বিলোপ ঘটাবে, লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংসের কারণ হবে, পরিবেশ ও পানি দূষিত করবে, আশে পাশের কৃষি জমির উর্বরা শক্তি এবং মৎস সম্পদ ধ্বংস করবে এবং সর্বোপরি যে প্রকল্প অর্থনৈতিকভাবে অলাভজনক তা বাস্তবায়নে সরকারের যুক্তিহীন জেদ ও দ্রুততা শুধু সন্দেহজনক নয়, দেশবাসীর জন্য গভীর উদ্বেগের বিষয়। যে সুন্দরবন লক্ষ লক্ষ মানুষের কর্মসংস্থান করছে, যে সুন্দরবন প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবন এই দেশকে আইলা, সিডর, ঘূর্ণিঝড় থেকে বাঁচার জন্য প্রাকৃতিক সুরক্ষা দিচ্ছে- UNESCO কর্তৃক ঘোষিত সেই আন্তর্জাতিক ঐতিহ্য সুন্দরবনকে নিশ্চিত ধ্বংসের শিকার করার চক্রান্ত সফল হতে দেয়া যায় না দেয়া উচিত নয়। দেশের অস্তিত্ব ও স্বার্থের বিনিময়ে ব্যক্তি কিম্বা গোষ্ঠীর মুনাফা এবং অনৈতিক স্বার্থ উদ্ধারের অপচেষ্টা রোধ করা তাই সময়ের দাবী।

প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ,

রামপাল কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ কর্তৃপক্ষ, রামসার কনভেনশনের সচিবালয় এমন কি বাংলাদেশের বন অধিদপ্তরের আপত্তি অগ্রাহ্য করে সরকার এই প্রকল্পের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় জনগণের প্রতিবাদ-প্রতিরোধ উপেক্ষা করে, তাদেরকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ না দিয়ে প্রায় ৮ হাজার পরিবারকে জোর করে উচ্ছেদ করা হয়েছে। ফসলী জমি ও মাছের ঘের ভরাট করা হয়েছে। এই উচ্ছেদকৃত কৃষিজীবীদের সাথে সুন্দরবনে কাঠ, গোলপাতা, মধু সংগ্রহ করে এবং এর আশ-পাশের নদী ও খালে মাছ শিকার করে যে হাজার হাজার পরিবারের জীবিকা নির্বাহ করতো তারাও বেকার ও নিঃস্ব হয়ে যাবে।  উল্লেখযোগ্য যে, ভারতের ন্যাশনাল থার্মাল পাওয়ার কর্পোরেশন (NTPC) নামের যে প্রতিষ্ঠানটির সাথে যৌথভাবে রামপাল কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে সেই একই প্রতিষ্ঠান ভারতের মধ্য প্রদেশের নরসিংহপুর জেলায় ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের যে প্রস্তাব দিয়েছিল, ভারত সরকার তা বাতিল করে দিয়েছে। নরসিংহপুর প্রকল্পটি ১০০০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব ছিল - অথচ রামপালে এই একই আকারের বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য দেয়া হয়েছে ১৮৩৪ একর জমি।

নরসিংহপুরের প্রকল্প বাতিল করা হয়েছে প্রধানত: ৩টি কারণে-

ক) জন বসতিপূর্ণ এলাকায় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গ্রহণযোগ্য হতে পারে না;

খ) কৃষি জমির উপর তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র করা যাবে না এবং

গ) নর্মদা নদী থেকে ঘন্টায় ৩২ কিউসেক পানি নেওয়া যাবে না।

এর সাথে রামপালের তুলনা করলে যা দেখা যায়- তা’হলো-

ক) নরসিংহপুর জেলার আয়তন ৫১২৫.৫৫ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যার ঘণত্ব প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৮৭ জন। অন্য দিকে বাগের হাট জেলার আয়তন ৩৯৫৯.১১ বর্গ কিলোমিটার আর রামপালের আয়তন ৩৩৫.৪৬ বর্গ কিলোমিটার এবং জনসংখ্যার ঘনত্ব ৩৮২ জন  অর্থাৎ নরসিংহপুরের চেয়ে দ্বিগুনেরও বেশী।

খ) নরসিংহপুরের জমি দোফসলী কিন্তু রামপালের জমি তিন ফসলী। ঘের গুলোতে মাছ চাষ হয় সারা বছর।

গ) নর্মদা নদী থেকে ঘন্টায় ৩২ কিউসেক পানি নিতে দেয়া যাবে না বলে মধ্যপ্রদেশে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের অনুমতি দেয়া হয়নি।

অথচ নর্মদার চেয়েও ছোট পশুর নদী থেকে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য প্রতি ঘন্টায় ১৪৪ কিউসেক পানি নেয়া হবে এবং তা লবনাক্ততামুক্ত করার জন্য আলাদা প্লান্ট বসানো হবে। আর যদি গভীর নলকূপ বসিয়ে মিষ্টি পানি তুলতে হয় তা হলে ২ কিউসেক ক্ষমতা সম্পন্ন ৭২টি গভীর নলকূপ বসাতে হবে। একটি নলকূপের ১ হাজার ফুটের মধ্যে আরেকটি নলকূপ বসানো যায় না। অর্থাৎ, এক বিস্তৃত এলাকায় ভূগর্ভস্থ পানি শুকিয়ে এক মারাত্মক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। ভারতে সংরক্ষিত বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে আইনী বাধা আছে। অথচ সে দেশেরই একটি রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান তাদের নিজের দেশে যা করতে পারে না শুধুমাত্র ব্যবসায়িক স্বার্থে তা বাংলাদেশে করছে। আর জনগণের প্রতি দায়িত্বহীন এবং দেশের স্বার্থের প্রতি উদাসীন বাংলাদেশ সরকার তার অনুমতি দিয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, ২০০৮ সালে ভারতের কর্নাটক রাজ্যের রাজীব গান্ধী ন্যাশনাল পার্কের ২০ কিলোমিটার দূরে ১ হাজার মেগাওয়াট কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা জনগণের প্রবল প্রতিরোধের মুখে ভারত সরকার বাতিল করতে বাধ্য হয়। ঐ ন্যাশনাল পার্কের আকার সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের এক দশমাংশ মাত্র। বনাঞ্চলের ২৫ কিলোমিটারের মধ্যে হওয়ায় ভারত সরকার তামিলনাড়ু রাজ্যের একটি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের প্রস্তাব বাতিল করেছে ২০১২ সালে। অন্যদিকে ভারতের সেন্টার ফর সায়েন্স এন্ড এনভায়রনমেন্ট (CSE) ’এর এক গবেষণায় রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব প্রাপ্ত ঘঞচঈ নামের প্রতিষ্ঠানটিকে ভারতের সব চেয়ে দূষণকারী প্রতিষ্ঠান বলে চিহ্নিত করেছে।

প্রিয় সাংবাদিকবৃন্দ,

বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, সুন্দরবনের এত কাছে পশুর নদীর তীরে রামপাল কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপিত হলে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক ভারসাম্য বিনষ্ট হবে এবং তার বিরূপ প্রতিক্রিয়া হবে সুদূর প্রসারী। ১৯৯৭ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব ঐতিহ্য বলে ঘোষিত সুন্দরবন, এই বনের বিরল প্রজাতির পশু-পাখি, বনের ভিতর ও পাশ দিয়ে বলে চলা নদী ও খালের মৎসসম্পদ এবং বিপুল বনজ সম্পদ বিনষ্ট হওয়ার যে আশংকা বিজ্ঞানীরা করছেন- তার প্রমাণ অসংখ্য। আমেরিকার টেক্সাসে ফায়েত্তি কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বছরে ৩০ হাজার টন সালফারডাই অক্সাইড নির্গত হতো। এর ফলে টেক্সসের হাইওয়ে ২১’এর ৪৮ কিলোমিটার জুড়ে গাছপালা ধ্বংস হয়েছে। ফলে প্রকল্পটি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এটা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রতিষ্ঠিত যে, কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পানি নির্গমন হলে তাতে বিভিন্ন মাত্রার দূষণকারী উপাদান থাকে। সে কারণে পৃথিবীর সব দেশে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে ‘শূণ্য নির্গমন’ নীতি অবলম্বন করা হয়। কিন্তু ঘঞচঈ রামপালে এই নীতি অনুসরণ না করেই বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে। অথচ এই NTPC ই যখন ভারতে ছত্তিশগড়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করতে চেয়েছিল তখন ‘শূণ্য নির্গমন’ নীতি মানার প্রতিশ্রিুতি দিয়েছিল। ‘শূণ্য নির্গমন’ নীতি অনুসরণ না করার ফলে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতি ঘন্টায় নির্গত ৫১৫০ ঘনমিটার পানি পশুর নদীর জলজ পরিবেশের তাপমাত্রা, পানি নির্গমনের গতি, পানিতে দ্রবীভূত নানান উপাদান বিভিন্ন মাত্রায় পরিবর্তন করবে, যা পুরো সুন্দরবন এলাকার পরিবেশের উপর ধ্বংসকারী প্রভাব সৃষ্টি করবে। ইআইএ (EIA) প্রতিবেদন অনুযায়ী ১৩২০ মেগাওয়াটের এই প্রকল্পে বছরে ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পোড়ানো হবে। সরকারী প্রতিবেদন অনুযায়ী সুপার ক্রিটিক্যাল পদ্ধতি ব্যবহার করার পরেও ৭৯ লাখ টন কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত হবে। যত উচু চিমনিই ব্যবহার করা হোক, বাতাসের চেয়ে ভারী এই মারাত্মক গ্যাস এদেশেই এবং সুন্দরবনের উপরেই ফিরে আসবে। এছাড়াও প্রতিদিন এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৪২ টন বিষাক্ত সালফার ডাই অক্সাইড এবং ৮৫ টান নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড নির্গত হয়ে সুন্দরবনের বাতাসের ঘনত্ব বাড়িয়ে গোটা সুন্দরবন ও তার আশপাশের অঞ্চলকে ধ্বংস করবে। ১৯৯৭ সালের বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী সুন্দরবনের মত পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকায় বাতাসে সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইডের ঘনত্ব প্রতি ঘনমিটারে ৩০ মাইক্রোগ্রামের বেশী হতে পারবেনা।  অথচ ইআইএ’র প্রতিবেদন অনুযায়ী বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত এসব গ্যাসের ঘনত্ব নভেম্বর-ফেব্রুয়ারী মাসে ৫৪ মাইক্রোগ্রাম হবে। এই অগ্রহনযোগ্য মাত্রাকে বৈধতা দেয়ার জন্য সরকার সুন্দরবনকে আবাসিক ও গ্রাম এলাকা দেখিয়ে জনগণের সাথে প্রতারণা করেছে। একই ধরনের প্রতারণা করা হয়েছে ২৭৫ মিটার উঁচু চিমনি দিয়ে নির্গত গ্যাসীয় বর্জ্যরে ১২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা স্থানীয় এলাকার তাপমাত্রা বৃদ্ধি করবেনা বলে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের সবচেয়ে ক্ষতিকর বর্জ্য হবে দুই ধরণের কয়লা পোড়া ছাই। এখানে প্রতি বছর ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পোড়ানোর ফলে ৭ লাখ ৫০ হাজার টন ফ্লাই অ্যাস ও ২ লাখ টন বটম অ্যাস বর্জ্য তৈরী হবে। এই ফ্লাই অ্যাস, বটম অ্যাস এবং তরল ঘণীভূত ছাই বিপদজনক মাত্রায় পরিবেশ দূষণ করে।  কারণ এতে পারদ, সীসা, নিকেল, আর্সেনিক, বেরিলিয়াম, ক্রোমিয়াম, রেডিয়াম ইত্যাদির মত বিভিন্ন ক্ষতিকর ও তেজ:স্ক্রিয় ভারী ধাতু মিশে থাকে। ই.আই.এ প্রতিবেদনে উৎপাদিত ছাই ইএসপি সিস্টেমের মাধ্যমে চিমনির মধ্যেই ধরে রাখার কথা বলা হলেওÑকিছু উড়ন্ত ছাই বাতাসে মিশবে বলে স্বীকার করা হয়েছে। এই কিছুর পরিমাণ ১ শতাংশ হলেও বছরে ৭ হাজার ৫০০ টন ফ্লাই অ্যাস আশেপাশের এলাকাসহ সুন্দরবনে ছড়িয়ে পড়ে তেজ:স্ক্রিয় দুষণ ঘটাবে এবং নিউমোনিয়াসহ ফুসফুসের রোগ সৃষ্টি করবে।  এই প্রকল্পের কঠিন বর্জ্যরে একটি অংশ দিয়ে ১৪১৪ একর স্থানীয় নীচু জমি ভরাট করার যে পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে তা পরিবেশের জন্য আরও মারাত্মক হবে। এসব বর্জ্য বাতাসে উড়ে আশ-পাশের এলাকা এবং পানিতে ভিজে ভূগর্ভস্থ পানির সাথে মিশে নদীর পানি বিষাক্ত ও তেজঃক্রীয় করবে।

সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,

হিরণ পয়েন্ট থেকে আকরাম পয়েন্ট পর্যন্ত এবং আকরাম পয়েন্ট থেকে রামপাল পর্যন্ত প্রতি বছর ৪৭ লাখ ২০ হাজার টন কয়লা পরিবহন করার সময় জাহাজ থেকে কয়লার গুড়া, ভাঙ্গা বা টুকরা কয়লা, তেল, ময়লা-আবর্জনা, জাহাজের দুষিত পানিসহ বিপুল পরিমান বর্জ্য নিঃসৃত হয়ে নদী, খাল, মাটিসহ গোটা সুন্দরবন দুষিত করবে। বারবার এক জাহাজ থেকে আরেক জাহাজে কয়লা স্থানান্তরের সময় কয়লার গুড়া ও ভাঙ্গা কয়লা পানিতে বা মাটিতে পড়ে কিম্বা বাতাসে মিশে পরিবেশ দূষণ করবে। এছাড়াও কয়লা পরিবহনকারী জাহাজের ঢেউ পশুর নদীর দুই তীরের ভূমি ক্ষয় করবে, কয়লা স্থানান্তরের যন্ত্রপাতি শব্দদূষণ ঘটাবে এবং রাতের বেলায় জাহাজের সার্চ লাইটের আলো নিশাচর প্রাণীসহ সংরক্ষিত বনাঞ্চলের পশুপাখির জীবনচক্রে মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলবে।

এর ফলে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশের পশু-পাখীর সংখ্যা অনিবার্য্য ভাবেই কমে যাবে।

প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ,

সারা দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনকে ধ্বংসকারী এবং জনবহুল বাংলাদেশের বিপুল এলাকার পরিবেশ বিষাক্তকারী রামপাল কয়লা-বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য ঋণ প্রদানকারী ভারতের এক্সিম ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ১৪৯টি সামাজিক ও পরিবেশবাদী সংগঠন যৌথ স্বাক্ষরে প্রেরিত এক পত্রে এই প্রকল্পে ঋণ প্রদান না করার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। উল্লেখযোগ্য যে, একই ধরনের আহ্বানের প্রেক্ষিতে ফ্রান্সের ৩টি বিখ্যাত ব্যাংক  এবং নরওয়ের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ২টি ‘পেনশন ফান্ড’ এই প্রকল্পে ঋণ প্রদানে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।

প্রতিদিনই বিশ্বের কোথাও না কোথাও কোন না কোন মানবতাবাদী ও পরিবেশবাদী সংগঠন এই জনস্বার্থ ও পরিবেশ বিপন্নকারী প্রকল্পের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।

বাংলাদেশেও সচেতন জনগণ এই প্রকল্পের বিরুদ্ধে সোচ্চার। কিন্তু সরকার শুধু অনমনিয় নয়, শক্তি প্রয়োগের মাধ্যমে এই প্রতিবাদ-প্রতিরোধ আন্দোলনকে দমন করে চলেছে।

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,

রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের আরেকটি বড় অগ্রহণযোগ্য দিক হচ্ছেÑএটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য অলাভজনক। এই প্রকল্পের ১৫% অর্থ জোগান দেবে বাংলাদেশ পিডিবি, ১৫ % ভারতীয় কোম্পানী ঘঞচঈ এবং বাকি ৭০% ব্যাংক ঋণ নেয়া হবে।  কোম্পানী বন্ধ হলে কিংবা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে পুরো ঋণের টাকা পরিশোধ করতে হবে বাংলাদেশকে।  উৎপাদিত বিদ্যুৎ পিডিবি কিনবে Ñ আর যে নীট লাভ হবে তা ৫০% হারে পিডিবি ও ঘঞচঈ’র মধ্যে ভাগ হবে।  কিন্তু ১০০% পরিবেশ ধ্বংস হবে শুধুই বাংলাদেশের। ১৫% বিনিয়োগ করে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান ৫০% মুনাফা নেবে এবং ট্যাক্স ফ্রি সুবিধার আওতায় মুনাফার পুরো টাকা তাদের দেশে নিয়ে যাবে। অন্য দিকে কয়লার ক্রয় মূল্যকে বিদ্যুতের দাম নির্দ্ধারনের ভিত্তি হিসাবে নির্ধারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সরকারী পর্যায়ে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য টন প্রতি ১৪৫ ডলার মূল্যে কয়লা আমদানীর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ায় পিডিবি কে ৮.৮৫ টাকা মূল্যে বিদ্যুৎ কিনতে হবে। অথচ পিডিবি’র সাথে দেশীয় অরিয়ন গ্রুপের যে চুক্তি হয়েছে তাতে এই কোম্পানীর মাওয়ায় প্রতিষ্ঠিতব্য কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে প্রতি ইউনিট ৪টাকা মূল্যে এবং খুলনার লবনচরা ও চট্টগ্রামের আনোয়ারায় প্রতিষ্ঠিতব্য বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৩টাকা ৮০ পয়সা মূল্যে বিদ্যুৎ কেনা হবে।  দ্বিগুনেরও বেশী মূল্যে রামপাল থেকে বিদ্যুৎ কিনে পিডিবিকে অবশ্যই ভর্তুকি দিয়ে জনগণের কাছে বিক্রি করতে হবে বলে পিডিবি’র লভ্যাংশ শেষ পর্যন্ত লোকসানে পরিণত হবে। পরিবেশ বিবেচনায় না নিলেও জেনে শুনে এমন একটি লোকসানী প্রকল্পে সরকার কি উদ্দ্যেশে এবং কার স্বার্থে জড়ালো এটাই জনগণের প্রশ্ন। এই প্রশ্নের কোন সন্তোষজনক জবাব নেই বলেই সরকার এই প্রকল্পের বিরোধিতাকারীদের পুলিশ দিয়ে লাঠি পেটা করছে।

প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ,

দ্রুত শিল্পায়ন, অর্থনৈতিক অগ্রগতি ও জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন সময়ের দাবী। এই দাবী পূরণে উদ্যোগ ও ব্যবস্থা নেয়া যে কোন সরকারের কর্তব্য।

কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য জনস্বার্থ কিম্বা জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেয়ার কোন সুযোগ নেই, অধিকারও নেই কোন সরকারের। বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধানের জন্য বিকল্প বিদ্যুৎ ও বিকল্প জ্বালানীর সন্ধান করা উচিত। ছোট গ্যাস জেনারেটর বিদ্যুৎ কেন্দ্র, পানি বিদ্যুৎ, টাইডাল বিদ্যুৎ, বায়োগ্যাস প্রকল্প, সোলার এনার্জি ইত্যাদি বিষয়ের দিকে আমাদের মনোযোগী হওয়া দরকার। অর্থাৎ সুন্দরবনের মত প্রাকৃতিক বর্ম ধ্বংস করে দেশকে প্রাকৃতিক দূর্যোগে অরক্ষিত না করে প্রকৃতিবান্ধব ও সাশ্রয়ী উপায়ে জ্বালানীর প্রয়োজন মেটানোর উদ্যোগ নেয়া উচিত বলে আমরা মনে করি। প্রিয় দেশবাসীকে আমি স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, এমনিতেই উজানে আন্তর্জাতিক নদীর পানি প্রত্যাহার এবং বাঁধ নির্মাণের ফলে পদ্মা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্রের মত আমাদের বড় বড় নদীগুলোতে পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। এসব নদী ও তার শাখা নদীগুলো শুকিয়ে যাওয়ার ফলে দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে ব্যাপক মরুকরণ শুরু হয়েছে; আবহাওয়া পাল্টে গেছে। এসব নদী এখন আর উজান থেকে প্রবাহিত বৃষ্টির পানিও ধরে রাখতে পারেনা। ফলে নদীগুলোর পাশ্ববর্তী অঞ্চলে পূণঃপূণঃ বন্যায় লাখো মানুষ এবং রাস্তা-ঘাট ও ফসলাদির বিপুল ক্ষতি হচ্ছে। এর উপর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের আবহাওয়া বিষাক্ত হলে এবং প্রাকৃতিক বর্ম সুন্দরবন ধ্বংস হলে- আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি আর বাসযোগ্য থাকবেনা। বাংলাদেশের কোন নাগরিকই এটা মানতে পারে না- মানবে না। গোটা বিশ্ব যখন আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের অনিবার্য্য বিপদ নিয়ে গভীর উদ্বিঘ্ন তখন জেনে শুনে এই দেশ এবং তার কোটি কোটি অধিবাসীকে নিশ্চিত বিপদের দিকে ঠেলে দেয়ার যে কোন অপচেষ্টার প্রতিবাদ করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। বিদ্যুৎ উৎপাদনের অনেক বিকল্প আছে, বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের স্থানেরও অনেক বিকল্প আছে, কিন্তু সুন্দরবনের কোন বিকল্প নেই। কাজেই সুন্দরবনকে নিশ্চিত ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেয়ার হঠকারী, অযৌক্তিক ও অলাভজনক রামপালের সকল কয়লা-বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করার জন্য আমরা সরকারের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি। আমি এই দাবীর পক্ষে সোচ্চার হওয়ার জন্য ২০ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। 

আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ হাফেজ, বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।

 

Tuesday, August 23, 2016

নির্বাচনের আগে দরকার আস্থার পরিবেশ




সমীর কুমার দে, dw.com


নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের আলোচনার মধ্যেই গত ২৬ জুলাই আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের এক সভায় নেতা-কর্মীদের আগামী সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেয়ার নির্দেশ দেন শেখ হাসিনা৷ প্রধানমন্ত্রী সেখানে বলেন, ‘‘বর্তমান সরকারের মেয়াদের আড়াই বছর ইতোমধ্যে চলে গেছে৷ দু’বছর তিন মাস পর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে৷ তাই এখন থেকেই আপনাদেরকে পরবর্তী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে৷''


প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশনার পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নানা মহলে আলোচনা হচ্ছে৷ কেমন নির্বাচন হবে, কিভাবে হবে তা নিয়েই মূলত আলোচনা৷ পাশাপাশি নতুন নির্বাচন কমিশন কেমন হবে সে ব্যাপারেও আলোচনা আছে৷

বর্তমান নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি৷ ফলে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশন নিয়েই মূলত আলোচনা শুরু করা দরকার, এমন কথা বলছেন বিশ্লেষকরা৷ তাঁদের মতে, নির্বাচন কমিশনকে সব বড় রাজনৈতিক দল আস্থায় নিতে না পারলে সুষ্ঠু নির্বাচন বা সব দলের অংশগ্রহনে কোনো নির্বাচন করা সম্ভব হবে না৷

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে সব রাজনৈতিক দলের কাছেই আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে৷ বিশেষ করে নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ হতে হবে৷ তা না হলে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতোই আরেকটা নির্বাচন হবে, যা জাতির জন্য কোনো ভালো ফল বয়ে আনবে না৷
গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের এক বছর পর ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ঘুরে গিয়ে ডয়চে ভেলেকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)-এর সাংসদ ইওসেফ ভাইডেনহলৎসার বলেছিলেন, ‘‘নতুন একটি নির্বাচন বাংলাদেশে পরিবর্তন আনতে পারে৷'' ওই বছরের ১৬ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সফর করে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের মানবাধিকার বিষয়ক সাবকমিটি৷ ওই কমিটি শুধু সরকার নয়, বিরোধী দলের সঙ্গেও আলোচনা করেছে৷ বাংলাদেশ সফরের সময় ওই সাবকমিটিতে ছিলেন অস্ট্রিয়ার এমপি ইওসেফ ভাইডেনহলৎসার৷ তিনি জানান, বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল নিজেদের মধ্যে সমঝোতা থেকে বহু দূরে রয়েছে৷ তবে সঠিক পথে যাওয়ার মতো অবস্থায় এখনো রয়েছে দেশটি৷ তিনি বলেন, সাধারণ মানুষের মৃত্যুও টলাতে পারছে না প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার অবস্থানকে৷ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘‘দেশটির প্রগতির জন্য আসলে একটি ‘কমপ্রিহেনসিভ কনসেপ্ট' বা ‘সমন্বিত পরিকল্পনা' প্রয়োজন৷ এ জন্য একটি সমন্বিত, অংশগ্রহণমূলক এবং গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন, যা জনগণকে নির্বাচনে অংশ নেয়ার সুযোগ করে দেবে৷ আর একমাত্র সেটা করা হলেই বাংলাদেশ খুব তাড়াতাড়ি এই চলমান সংকট কাটিয়ে উঠতে পারবে বলে আমার বিশ্বাস৷''

বাংলাদেশের পর্যবেক্ষকদের বিশ্লেষণও একই রকম৷ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদুজ্জামানও ডয়চে ভেলের সঙ্গে আলাপকালে একই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করেছেন৷ তাঁর মতে, ‘‘সবাইকে আস্থায় নিয়ে একটা নির্বাচনের দিকে এগোতে হবে৷ তার জন্য সবার সঙ্গে আলোচনা করে একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে, যাদের প্রতি সবার আস্থা থাকবে৷ তা না হলে ২০১৪ সালের মতোই আরেকটি নির্বাচন হবে, যা দেশের জন্য ভালো হবে না৷ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভালো একটি নির্বাচন কমিশন গঠন করা৷ আর এই কমিশন গঠনের জন্য আমাদের হাতে কিন্তু বেশি সময় নেই৷ মাত্র পাঁচমাসের মধ্যেই এটা করতে হবে৷''

দেশে যখন আগামী জাতীয় সংসদ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে, তখন প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতের আস্থায় আসতে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন জাতীয় পার্টির নেতারা৷ বর্তমানে এই দলটি বিরোধী দলের ভুমিকায় আছে৷ তবে তারা সরকারেও আছে৷ সর্বশেষ পহেলা আগস্ট জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলুর নেতৃত্বে সাতজন সংসদ সদস্যের নেতৃত্বে একটি দল ভারত সফর করে৷ এর আগে ১৮ জুন ভারতে যান দলটির প্রধান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ৷ তারা সবাই ভারতের রাষ্ট্রপতি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, বিজেপি সাধারণ সম্পাদক, কংগ্রেস সহ-সভাপতিসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে বৈঠক করেন৷ দেশে আলোচনা হচ্ছে, জাতীয় পার্টির পক্ষে ভারতের ‘সায়' আনার চেষ্টা করছেন নেতারা৷

২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের ১০ মাস পর নভেম্বরেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশে যোগ দেন পিয়ের মায়াউদঁ৷ এর এক মাস পর বাংলাদেশ সফর করেন ইইউ-র দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান জিন ল্যামবার্ট৷ ১০ ডিসেম্বর গুলশানে ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ল্যামবার্ট বলেন, বাংলাদেশে এখন নতুন কোনো নির্বাচন নয়, আমরা বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে পরবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে সমঝোতা চাই৷ তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন যখনই হোক না কেন, সেটা যাতে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে হয় এবং সাধারণ মানুষ যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন – সে বিষয়গুলো নিশ্চিত করতে হবে৷'' রাজনৈতিক দলগুলোকেই এ বিষয়ে ঐকমত্যে আসতে হবে৷ সর্বশেষ নির্বাচনে অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করায় পর্যবেক্ষক পাঠায়নি ইইউ, বলেন তিনি৷ ওই সাংবাদিক সম্মেলনে পিয়ের মায়াউদঁ-ও উপস্থিত ছিলেন৷

জিম ল্যামবার্টের ওই সাংবাদিক সম্মেলনের পর পৌনে দুই বছর পার হয়েছে৷ কিন্তু পরিস্থিতি একটুও বদালায়নি৷ এমনকি ইইউ'র সাংসদ ইওসেফ ভাইডেনহলৎসার দেড় বছর আগে ডয়চে ভেলেকে যে কথা বলেছিলেন বর্তমান পরিস্থিতি তার সঙ্গেও মিলে যায়৷ দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের মধ্যে দুরত্ব আরো বরং বেড়েছে৷ ফলে এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সবার অংশগ্রহনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব সেটাই এখন বাংলাদেশের মানুষের কাছে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন৷ 

Monday, August 22, 2016

India should speak out against rights violations


By Jayanth Jacob, Hindustan Times, New Delhi


India should broaden its ties beyond the ruling party and speak up against rights violations in Bangladesh, the neighbouring country’s main opposition party, the BNP, has said.

The Modi government seemed to be following the UPA’s Bangladesh policy of focusing on the ruling party which amounted to ignoring other outfits, said Amir Khosru Chowdhury,  national standing committee member of Bangladesh Nationalist Party (BNP).

“Prime Minister Narendra Modi had reached out to the BNP leader and it was a very welcome step. But since then, not much has happened that would give us the feeling that the present government in Delhi looks beyond the ruling Awami League,” he said.

Chowdhury is visiting India with BNP’s international affairs secretary Humaiun Kabir to reach out to political parties and think tanks.

The outreach is an effort by [Khaleda] Zia to improve ties with India as suspicion between the two sides grew when she was in power.

New Delhi felt that the BNP government was not sensitive to its security concerns such as insurgents in the Northeast getting help from across the border.

In contrast, India and Prime Minister Sheikh Hasina-led Awami League share warm ties. The two countries have built a strong relationship in the years the League has been in power.

The 2014 elections that returned Hasina to power were not fair as most seats went uncontested, the BNP leader said. The press was being muzzled and opposition leaders threatened into submission. “India, the world’s largest democracy, which has built strong democratic institutions, is not even taking a moral position on these human rights violations,” Chowdhury, a former commerce minister, said.

The government was in denial about the presence of the Islamic State to show the opposition parties in a bad light, he said.

“The Islamic State doesn’t mean some Arab fighters on the street. [T]here is enough evidence to suggest their presence,” he said.

A spate of hacking incidents targeting bloggers and activists has been claimed by the Islamic State only to be denied by the Hasina government.

Concern is also growing over the rise of radical elements in Bangladesh and July’s attack on a Dhaka café that left 22 people dead have only added to the worries.

Chowdhury described as tactical his party’s ties with the controversial Jamaat-e-Islami, but insisted they were two different parties with different ideologies.

Sunday, August 21, 2016

Expats Worry About Safety in Bangladesh

Expatriate Healthcare

araaz Ayaaz Hossain, 20, (L) and Tarishi Jain,19 (R) were two of the 20 victims who were killed in the hostage situation at Holey Artisan Bakery in Dhaka. Photo taken from Faraaz and Tarishi's Facebook page.

In September 2015 an Italian aid worked was murdered in Bangladesh. Cesare Tavella was jogging in the capital’s diplomatic quarter when two attackers shot him from behind. Many assumed it was a random attack of violence but the Islamic State group proudly claimed they were responsible for the death.

Fast forward to the 1st July 2016. A group of five Islamic State militants killed 17 foreigners and five Bangladeshis after an 11-hour hostage situation at the Holey Artisan Bakery.  Attackers were armed with swords, guns, and crude homemade bombs. 100 Bangladeshi commandos stormed the popular eatery and managed to rescue 13 people.

Bangladesh has seen a dramatic surge in vehement Islamist attacks, in part due to political infighting between Hasina and the opposition leader Khaleda Zia, who boycotted the last election in 2014 and faces charges for corruption and inciting violence. Zia’s husband, the country’s first military ruler, started the Bangladesh Nationalist Party, or BNP, which has called itself the ‘Islamic consciousness’ of the Muslim majority.

For some who had happily emigrated to Bangladesh, this second terrorist attack was too much to bear. Many foreigners have moved home, or relocated to other countries. Samantha Morshed heard the gunfire of both tragedies and, after living in Bangladesh for over a decade, fled to Bangkok. She is returning back to Bangladesh, where she runs a successful business, but is filled with trepidation.

“I know a number of people who left this time,” comments Morshed from Bangkok. “Many of them are not coming back.”

Morshed is just one of a growing number of expats leaving Bangladesh. Those travelling to the country are cancelling travel plans, and events are being postponed out of fear that they may be targeted by Islamic terrorists.

The fear of more attacks on foreigners could potentially cause long-term economic damage to Bangladesh, particularly to the $28 billion garment industry that accounts for 80% of exports. The attacks are making Bangladesh a scary place to do business.

Since the genocide in July, Dhaka’s upscale Gulshan area looks like a neighbourhood at war. Plain clothed police officers roam the streets and many checkpoints have been setup. Restaurants and hotels in the area are practically empty, despite heightened security. Unimart, the largest supermarket in Gulshan with a popular coffee shop, is devoid of expats.

Concerns are warranted. Just one week after the café massacre, five Islamists killed three and injured 14 people at an Eid celebration in central Bangladesh. Just two weeks after that, a police raid stopped and killed nine militants in their tracks; authorities commented that they were preparing for an attack.

“Further high-profile attacks on foreigners throughout the country are likely, whether direct attacks or mass-casualty attacks on ‘soft’ targets, especially given difficulties in preventing such attacks,” said Romita Das, a South Asia analyst at Control Risks.