Search

Monday, April 10, 2017

ছাত্রনেতা নূরু হত্যা, কারো দায় নিরূপিত হয়নি


মহিউদ্দিন খান মোহন / নয়া দিগন্ত

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম নূরুর হত্যাকাণ্ড এখন দেশের অন্যতম প্রধান আলোচ্য বিষয়। রাতে পুলিশের পরিচয়ে হাতকড়া পরিয়ে বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া এবং পরদিন সকালে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার হওয়া কোনো স্বাভাবিক ঘটনা নয়। ফলে জনমনে এখন প্রশ্ন জোরালোভাবেই দেখা দিয়েছে যে, দেশে কারো কোনো নিরাপত্তা আছে কি না। একটি দেশের যেকোনো নাগরিকের যেকোনো রাজনৈতিক মতাদর্শ গ্রহণ এবং তদনুযায়ী কর্মতৎপরতা চালানোর অধিকার রয়েছে। আমাদের সংবিধান সে অধিকার প্রতিটি নাগরিককে দিয়েছে। পাশাপাশি একজন নাগরিকের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্ব যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকবে তাদের। এটাও সংবিধান নির্দেশিত বিষয়। ফলে একজন নাগরিককে রাষ্ট্রের একটি বাহিনীর পরিচয়ে রাতের অন্ধকারে তুলে নেয়া হবে, আর কয়েক ঘণ্টা পরে তার নিষ্প্রাণ দেহ পড়ে থাকতে দেখা যাবে এটা কারো পক্ষেই মেনে নেয়া সম্ভব হচ্ছে না।

পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, গত ২৯ মার্চ বুধবার রাত ১২টার দিকে চট্টগ্রাম নগরের চন্দনপুরা পশ্চিম গলির বাসা থেকে সাদা পোশাকের একদল লোক নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে নূরুল আলম নূরুকে তুলে নিয়ে যায়। অভিযানকারী পুলিশ সদস্যদের মধ্যে রাউজান থানার নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই জাবেদ মিয়া ছিল বলে জানিয়েছেন নিহত নূরুর ভাগ্নে। পরদিন সকালে নূরুর লাশ পাওয়া যায় তার গ্রামের বাড়ি থেকে অন্তত পাঁচ কিলোমিটার দূরে রাউজানের কোয়াপাড়া গ্রামের খেলারঘাটের পশ্চিম পাশে সওদাগরপাড়া এলাকায়। স্থানীয় লোকজন হাত-পা মুখ বাঁধা লাশটি দেখে পুলিশকে খবর দিলেও পুলিশ আসতে দেরি করে। বিকেল ৪টার পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলে যায়।
দিকে নোয়াপাড়া ফাঁড়ির ইনচার্জ জাবেদ মিয়া পত্রিকাকে বলেছেন - ‘আমি রাতে শহরে কোনো অভিযানে ছিলাম না। রাউজান থানার ওসির সঙ্গে থানার কাগতিয়া এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ছিলাম।অন্য দিকে রাউজান থানার ওসি কেফায়েত উল্লাহ বলেছেন- ‘রাউজান থানার টিম নগরীতে বুধবার রাতে অভিযান চালায়নি। ওই রাতে কাগতিয়া এলাকায় জঙ্গিবিরোধী অভিযানে ছিলাম আমরা।’ (কালের কণ্ঠ ৩১, মার্চ ২০১৭) দিকে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের একটি সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছে, রাউজান থানা পুলিশ ওই রাতে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালিয়েছে, এমন কোনো বার্তা জেলা পুলিশের কার্যালয়ে নেই

নুরুল আলম নূরুর দাফন সম্পন্ন হওয়ার আগেই আরেকটি নৃশংস ঘটনার খবর আসে সিলেট থেকে। সেখানে একদল দুর্বৃত্ত কুপিয়ে হত্যা করে ছাত্রদল নেতা হাসান ডনকে। তাকে শাসক দলের ক্যাডাররা হত্যা করেছে বলে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে। দুটি ঘটনা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে সংঘটিত হওয়ার কারণে দেশব্যাপী এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সরকারবিরোধী প্রধান রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের দুজন নেতার এক দিনের ব্যবধানে নিহত হওয়ার ঘটনা স্বাভাবিক ব্যাপার নয়। জনমনে ভীতির সঞ্চার হয়েছে কারণে যে, একটি হত্যাকাণ্ডের হোতারা নিজেদেরকে রাষ্ট্রীয় একটি বাহিনীর পরিচয় দিয়েছে। অন্যটি সরকারি দলের ছাত্রকর্মীরা সংঘটিত করেছে। ফলে প্রশ্ন উঠেছে, ক্ষমতাসীন সরকার এভাবে বিরোধী দল নির্মূলের বিশেষ কোনো কর্মসূচি হাতে নিয়েছে কি না। অবশ্য হত্যাকাণ্ড সম্পর্কে সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো ভাষ্য পাওয়া যায়নি। এমনকি জোরালো অভিযোগ ওঠার পরও পুলিশ নূরু হত্যার বিষয়ে এখনো মুখ খোলেনি। বরং পুলিশের আচরণে একরকমঢাক গুড়, গুড়ভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। নূরুল আলম নূরুর লাশ পাওয়ার খবর সকালেই রাউজান পুলিশকে জানানো হলেও তারা সঙ্গে সঙ্গে কেন অকুস্থলে গেল না প্রশ্ন এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই। সারা দিন পার করে বিকেল ৪টার পরে কেন তারা ঘটনাস্থলে গেল? তাহলে কি ওই দীর্ঘ সময়েনূরুল আলম নূরু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে কোনো গল্পের প্লট বানানোর পরিকল্পনা চলেছিল? জনমনে উত্থিত প্রশ্নের জবাব হয়তো পাওয়া যাবে না ; তবে ক্ষেত্রে পুলিশ যে একটা কিছু লুকাতে চাচ্ছে তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, নূরুল আলম নূরুকে হত্যা করা হয়েছে। আর তা করা হয়েছে অত্যন্ত নির্মম উপায়ে। হাত-পা মুখ বেঁধে তাকে মারা হয়েছে। তার শরীরে অনেক আঘাতের চিহ্ন পাওয়ার কথা পুলিশের সুরতহাল রিপোর্টেই বলা হয়েছে। অর্থাৎ বাসা থেকে তুলে নেয়ার পর নূরুর ওপর নির্মম নির্যাতন চালানো হয়েছিল। তারপর তাকে হত্যা করা হয়েছে। পত্রিকার খবরে বলা হয়েছে, নূরুকে যখন ওরা তুলে নিয়ে যায়, তখন তার স্ত্রী তাদের সঙ্গে থানায় যেতে চেয়েছিল। কিন্তু তাকে সঙ্গে নেয়া হয়নি। কেন তাকে থানায় যেতে দেয়া হলো না? সাধারণ আসামিকে ধরে নিয়ে গেলে স্বজনেরা গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির সঙ্গে থানায় যায়। কিন্তু ক্ষেত্রে কেন নূরুর স্ত্রীকে থানায় যেতে নিষেধ করা হলো এটা একটা রহস্য। পরদিন সকালে স্বজনেরা রাউজান থানায় গিয়ে নূরুর সন্ধান করলে থানা থেকে জানানো হয় সে থানায় নেই।
 
দেশে এখন স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করছে না - এটা বলা বোধ করি অসঙ্গত হবে না। অস্থিরতা বিরাজ করছে সর্বত্র। এক দিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে উগ্রবাদী আস্তানার সন্ধান লাভ এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অপারেশন চলছে। নিহত হচ্ছে পুরুষ, নারী শিশু। অন্য দিকে সরকারবিরোধী রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মী হত্যার ঘটনা বেড়েই চলেছে। পরিস্থিতিকে স্বাভাবিক বলে কোনোভাবেই স্বীকার করা যাবে না। সরকারবিরোধী প্রধান দল বিএনপির পক্ষ থেকে নূরু হত্যার বিষয়ে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। প্রেস ব্রিফিং করা হয়েছে। তাতে সরকারের দমননীতির নিন্দা জানানো হয়েছে এবং সরকার বিরোধী দলকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করে ক্ষমতায় টিকে থাকাতে চায় এমন অভিযোগ করা হয়েছে। অভিযোগটি বিরাজমান বাস্তবতায় অসঙ্গত বলা যাবে না, বরং পেশিশক্তির ব্যবহার করে প্রতিদ্বন্দ্বী রাজনৈতিক দলকে দমন করে রাজনীতির একচ্ছত্রাধিপতি হওয়ার একটা উদগ্র বাসনা সরকারকে পেয়ে বসেছে বলেই মনে হচ্ছে। অনেকেই বলছেন যে, এখন যেমন ঝোপঝাড়, জঙ্গল, সড়ক-মহাসড়কের ধারে কিংবা খাল-নদীর তীরে বিরোধীদলীয় কর্মীদের লাশ মাঝে মধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে, তেমন অবস্থা ছিল স্বাধীনতার অব্যবহিত পরেও। তখন বিশেষ বাহিনী যদি কাউকে ধরে নিয়ে যেত, তাহলে তার অক্ষত দেহে প্রাণ নিয়ে ফিরে আসা ছিল অবসম্ভব ব্যাপার। সে সময় সারা দেশে কয়েক হাজার রাজনৈতিক নেতাকর্মীর খুনের অভিযোগ রয়েছে। আর সে অভিযোগ উত্থাপনকারী দলটির নেতা এখন বর্তমান সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী!

রাউজান থানা পুলিশ বলেছে, নিহত ছাত্রদল নেতা নুরুল আলম নূরুর বিরুদ্ধে ওই থানায় দুটি হত্যা একটি বিস্ফোরকসহ চারটি মামলা রয়েছে। নূরু যেহেতু রাজনীতি করত, সেহেতু তার বিরুদ্ধে মামলা থাকা স্বাভাবিক। তবে, ধরনের মামলা থাকাটা একজন মানুষকে হত্যা করার যৌক্তিক কারণ বা কৈফিয়ত হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। সে যদি হত্যা মামলার আসামি হয়েই থাকে, তাহলে আরো আগেই তাকে আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের সম্মুখীন করা হলো না কেন? পুলিশ অবশ্য এখনো নূরু হত্যার কথা স্বীকার-অস্বীকার কোনোটাই করেনি। যদি পুলিশ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে না থাকে, তাহলে তো তাদের দায়িত্ব খুনিচক্রকে দ্রুত খুঁজে বের করা। অন্যান্য হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ কর্মকর্তারা এমন কি স্বয়ং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বলে থাকেন - ‘খুনিদের দ্রুত খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনা হবে কিন্তু ছাত্রনেতা নূরু হত্যার পর সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা তেমন কোনো হুঙ্কার দেননি। কেন, নূরু সরকারবিরোধী রাজনৈতিক কর্মী ছিলেন বলে? রাজনীতি করা, কোনো একটি সরকারের বিরোধিতা করা একজন নাগরিকের সংবিধানপ্রদত্ত অধিকার। আর বেঁচে থাকাও তার অধিকার। তাহলে নূরু কেন বাঁচতে পারলেন না? রাষ্ট্র কি এর দায়দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে?


  • লেখক : মিডিয়া কর্মী

Tuesday, April 4, 2017

এটা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে

উবায়দুল্লাহ বাদল /   যুগান্তর

সরকার একের পর এক স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করছে। গত সাড়ে তিন বছরে এ ধরনের পৌনে চারশ’ প্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হয়। গত এক সপ্তাহেই রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ বিভিন্ন স্থানে এক ডজন জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত হয়েছেন। আরও শতাধিক প্রতিনিধি বরখাস্ত হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। তারা শত শত মামলা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন। এদের প্রায় সবাই সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। রাজনৈতিকভাবে এদের ঘায়েল করার জন্যই এসব করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে যাচ্ছে। এটা গণতন্ত্রের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট আইনের অপব্যবহার হচ্ছে। বিশেষ করে রাজশাহী, সিলেট ও সুনামগঞ্জের মেয়রকে দ্বিতীয় দফায় বরখাস্তের পর সরকারের মনোভাব নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। সমালোচকদের মতে, সরকার বড় ধরনের ভুল করছে। এটা এখন বন্ধ করা উচিত বলে তারা মনে করছেন।

রাজনৈতিক ও আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার সংশ্লিষ্ট আইনটি নিজেদের স্বার্থে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য ব্যবহার করছে। তারা এটিকে কালো আইন হিসেবে আখ্যায়িত করছেন। তাদের মতে, চূড়ান্ত সাজার আগেই জনগণের ভোটে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে এ আইনের সুযোগ নিয়ে বরখাস্ত করা হচ্ছে। আইনের অজুহাত দেয়া হলেও সরকারের অগোচরে কিছু হচ্ছে না বলে তারা মনে করেন। তাদের মতে, নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিকে সাময়িক বা স্থায়ীভাবে পদচ্যুত করার মতো কাজ করে সরকার ভুল করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ওপর এ ভুলের বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে বলে তারা শঙ্কা প্রকাশ করেন।

রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের রাজনৈতিক বিবেচনায় নয়, আইন অনুযায়ীই বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রোববার বিদেশ যাওয়ার আগে তিনি বলেন, বেআইনিভাবে কাউকে বরখাস্ত করা হয়নি। আইন মেনেই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়নি। সরকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আইন অনুযায়ী আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

এ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলোর তীব্র সমালোচনা করেছেন সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. শাহদীন মালিক। তিনি বলেন, আইনের ধারাগুলো সরকার খড়গ হিসেবে ব্যবহার করছে। এটি হাতে থাকলে যে কোনো জনপ্রতিনিধি সব সময় ভীতসন্ত্রস্ত থাকেন। তারা সরকারের নিয়ন্ত্রণে থাকতে বাধ্য। এ ধরনের আইনের সুযোগে রাজনৈতিক সরকারগুলোও সামরিক শাসকদের মতো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নিয়ন্ত্রণ করছে। এভাবে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করা সম্ভব নয় বলে তিনি উল্লেখ করেন। রাজনৈতিক ও আইন বিশ্লেষকদের মতে, প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় সরকার আইনের সংশ্লিষ্ট ধারা ব্যবহার করা হচ্ছে। নির্বাচিত প্রতিনিধির প্রতিপক্ষ এ কাজটি করছে। অনেক ক্ষেত্রে মিথ্যা বা কাল্পনিক অভিযোগ আনা হচ্ছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। সরকারি দলের প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের অসাধু কর্মকর্তাদের দিয়ে তড়িঘড়ি চার্জশিট দেয়া হচ্ছে। এভাবে আইনের ফাঁকগুলো কাজে লাগিয়ে সুবিধা নিচ্ছে নির্বাচিত মেয়র বা চেয়ারম্যানের প্রতিপক্ষ। আদালত চার্জশিট আমলে নিয়ে অভিযোগ গঠন করলেই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট প্রতিনিধিকে সাময়িকভাব বরখাস্ত করছে। এতে দুর্বল হয়ে পড়ছে স্থানীয় সরকার পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলো। অথচ সরকার এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলো শক্তিশালী করার কথা বলে আসছে। কিন্তু বাস্তবে এর প্রয়োগ দেখা যাচ্ছে না। তাদের মতে, এভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে ক্ষমতাচ্যুত করা গণতন্ত্রের জন্য অশুভ, গণতন্ত্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। তারা বলেন, একজন যে কোনো দলের পক্ষ থেকে নির্বাচনে অংশ নিতে পারে। জনগণ তাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে সেই ব্যক্তি আর দলের থাকে না। সে জনগণের হয়ে যায়। কিন্তু আইন নিজেদের মতো ব্যবহার করে সেই প্রতিনিধিকে বরখাস্ত করা হচ্ছে। তারা বলেন ভোটাররা ৫ বছরের জন্য প্রতিনিধি নির্বাচন করছেন। কিন্তু সেই প্রতিনিধির কোনো অপরাধ চূড়ান্তভাবে প্রমাণের আগেই তাকে বহিষ্কার করা হয়। অনেক সময় দেখা গেছে চূড়ান্ত বিচারে তাকে নির্দোষ হিসেবে খালাস দেয়া হয়। বিচার প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর দেখা যায় ৫ বছরের মেয়াদ শেষ। সে ক্ষেত্রে তাকে ওই ৫ বছরের মেয়াদ ফিরিয়ে দেয়া হয় না। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরও পদ দখল করার জন্য পরিকল্পিতভাবে এসব করা হচ্ছে বলে তারা মন্তব্য করেন।

এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার যুগান্তরকে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে আইনের অপপ্রয়োগ হচ্ছে। প্রতিপক্ষকে দুর্বল করতে আইনের অজুহাতে এসব করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে জনগণের ম্যান্ডেটকে ভণ্ডুল করা হচ্ছে। এ ব্যবস্থা স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এটা গণতান্ত্রিক চেতনার সঙ্গে সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। সরকার এগুলো থেকে বিরত না হলে মানুষের মধ্যে অসন্তোষ বাড়বে এবং এর পরিণতি ভালো হবে না। বিষয়গুলো বুমেরাং হয়ে এক সময় সরকারের দিকেই ফিরে আসতে পারে। তিনি বলেন স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে হলে এগুলো বন্ধ করতে হবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, চারজন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, ৩৫ পৌর মেয়র, ৫৬ কাউন্সিলর, উপজেলা চেয়ারম্যান ৪৯, ভাইস চেয়ারম্যান ৬৬, ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ৯১ ও মেম্বার ৭৪ সহ ৩৭৫ জন বরখাস্ত হয়েছেন গত সাড়ে ৩ বছরে। এদের অধিকাংশই বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ভোট কেন্দ্রে আগুন, গাড়িতে পেট্রুল দিয়ে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, পুলিশের ওপর হামলাসহ রাজনৈতিক সহিংসতার মামলার আসামি তারা। এরা পদে বসতে না পারায় সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন ওই এলাকার জনগণ। ব্যাহত হচ্ছে স্থানীয় সরকারের উদ্দেশ্য।

বিদ্যমান স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন), স্থানীয় সরকার (পৌরসভা), স্থানীয় সরকার (উপজেলা পরিষদ) এবং স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন অনুযায়ী কোনো জনপ্রতিনিধি যে কোনো ধরনের ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত হলে (আদালত কর্তৃক চার্জশিট গৃহীত হলে) কিংবা ওই প্রতিনিধি শারীরিকভাবে সক্ষমতা হারালে কিংবা পরিষদের সভায় পরপর তিনবার অনুপস্থিত থাকলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করতে পারে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় আইনবিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া যুগান্তরকে বলেন, ‘সারা দেশেই আমাদের সমর্থিত সিটি মেয়র, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যানসহ জনপ্রতিনিধিরা বরখাস্ত হচ্ছেন। পরিকল্পিতভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা মামলায় অভিযোগপত্র দিয়ে এরই মধ্যে সাড়ে তিন শতাধিক জনপ্রতিনিধিকে বরখাস্ত করেছে ক্ষমতাসীন সরকার। আরও কয়েকশ’ জনপ্রতিনিধি বরখাস্ত হওয়ার আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এর মাধ্যমে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্বল করা হচ্ছে। আগামী নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে এর দাঁতভাঙা জবাব দেবে জনগণ।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান যুগান্তরকে বলেন, কোনো অপরাধে মামলা হলে তার শাস্তি হতেই পারে। কিন্তু বিরোধী পক্ষকে ঘায়েল করতে ও রাজনৈতিক ময়দান থেকে দূরে রাখতে মিথ্যা মামলা দেয়া ঠিক নয়। রাজনীতির এ চর্চা দীর্ঘদিন ধরে চলছে। এটি গণতন্ত্রচর্চার জন্য সুখকর নয়। স্থানীয় সরকার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে চাইলে বিদ্যমান আইনের সংশ্লিষ্ট ধারার সুবিধা-অসুবিধাগুলো পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে।

রোববার রাজশাহী ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের দুই মেয়রকে দ্বিতীয় দফায় বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগ। উচ্চ আদালতের আদেশে রোববার মেয়রের দায়িত্ব নেয়ামাত্র আবারও বরখাস্ত হন রাজশাহীর মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন ও সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তবে সোমবার সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর বরখাস্তের আদেশ স্থগিত করা হয়েছে। এছাড়া শনিবার দ্বিতীয় দফায় বরখাস্ত হন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ।

এছাড়া একই দিনে বরখাস্ত হন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. আমিরুল ইসলাম ও ভাইস চেয়ারম্যান জার্জিস হোসেন। সোমবারও বরখাস্ত হয়েছেন দিনাজপুরের ফুলবাড়ির মেয়র মুরতুজা সরকার মনিক ও ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোতাহার আলী। ৩০ মার্চ বরখাস্ত হন চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন ও ফরিদপুরের সালথা উপজেলা চেয়ারম্যান ওয়াহিদুজ্জামান। এর আগে ২৩ মার্চ গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলা চেয়ারম্যান আবু কাউছার মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ভাইস চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকার ও কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অবশ্য দাবি করেছেন, বিএনপির দুই সিটি মেয়র ও এক পৌর মেয়রকে বরখাস্ত করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর অজ্ঞাতসারে। সোমবার ঢাকার ডেমরায় একটি সড়ক উদ্বোধনে গেলে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মেয়র বরখাস্তের বিষয়টি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের। এ সিদ্ধান্ত নিশ্চয়ই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় নিয়েছে। এর পেছনে যুক্তি কী, কারণ কী- এটা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ভালো বলতে পারবে। তবে আমি যতটুকু জানি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি জানেন না।’

Thursday, March 23, 2017

Why India Should Play No Part In Rampal Power Plant

By Govind Kelkar, Regional Council Member, Asia-Pacific Forum on Women, Law and Development, and Neha Gupta, Information and Communications Officer, Asia Pacific Forum on Women, Law and Development

HuffPost India



The Sundarbans, one of the largest mangrove forests in the world and a UNESCO World Heritage site, currently faces irreversible threats posed by the construction of the proposed Rampal coal-fired thermal power plant in Bangladesh. This project will not only destroy an extraordinary rich and valuable ecosystem but also negatively affect the lives of millions local people, in particular, women. In deeply patriarchal Bangladesh, environmental degradation and climate change impacts are disproportionately felt by women.

Though the agreement for Rampal coal plant was first drawn up in August 2010 between the Indian government-owned National Thermal Power Corporation (NTPC) and Bangladesh Power Development Board, UNESCO's monitoring mission evaluated the impacts only in 2015. The mission reported that the plant would lead to increased pollution from wastewater, waste ash and coal ash. It also noted adverse impacts due to shipping, dredging, and industrial and infrastructure development, adding that the site lacked prior comprehensive evaluations on the effects of coastal development.

The Environmental Impact Assessment of the Rampal power plant proposal conducted by the government of Bangladesh stated that toxic gas levels will rise significantly, and the high presence of coal ash produced will increase the risk of hazardous and radioactive metals and chemicals within the project area. The Sundarbans mangrove, spread over 10,000 sq km of which 40% is located in India, is home to a complex ecosystem teeming with unique wildlife and provides livelihoods to over four million people in India and Bangladesh. In addition, losing the natural barriers provided by the Sundarbans would be detrimental. For years, residents of the coastal areas of West Bengal have attempted to combat the rising sea levels by creating dams and building mud- and stick-based embankments. However studies estimate it to be much more effective in the long run to restore and renew the Sundarbans mangroves to reinforce their roles as natural barriers.

In the past, Indian courts have successfully challenged energy projects that fail to fully assess environmental impacts. In December 2016, the National Green Tribunal withdrew environmental clearance of Welspun Energy's proposal for a 1320 MW thermal power plant project in Mirzapur, Uttar Pradesh. This decision was based on further evaluation of the project's implementation, which found that public hearings were held in hostile settings and that the final report had failed to disclose the existence of surrounding reserve forests and to assess the potential damage on the region's water flow. The NGT's decision to pull Welspun Energy's environmental clearance was also preceded by opposition from displaced farmers who outlined the various offenses of the project, including fraudulent land seizure and threats posed by increased pollution to protected animals, local landmarks, and on the health of students of a nearby university.

The Rampal power plant will be located only 14km away from the Sundarbans. While the law in Bangladesh does not specify limitations in geographical distance for power plants, Indian regulations prohibit the implementation of thermal power plants within a 25km radius of forests like the Sundarbans. Indian companies such as NTPC, BHEL and India Exim Bank have taken advantage of the lack of regulation by Bangladesh to move ahead in this project. This should serve as a moral and environmental dilemma for India. While on one hand, India disallows construction of such projects on its own territory, it aids the building of the environmentally damaging Rampal coal power plant in neighbouring Bangladesh.

Protests against the Rampal power plant proposal are already spreading throughout Bangladesh and are gaining national and international support from many feminist and civil society groups. A global day of protest was held early this year with demonstrators across major cities in Asia and Europe demanding to halt the project. In Dhaka, the protest march held by activists was shut down by police brutality and tear gas. The public opinion in Bangladesh is veering towards scrapping of the project.

Activists say that the construction of the plant will lead to widespread displacement, affecting marginalised communities living in the area, particularly women. In Bangladesh, women are responsible for providing food and water to the household, the availability of which will be severely diminished due to the pollution caused by the power plant. As a result, many people would be compelled to migrate and give up their homes, making displaced women particularly vulnerable to increased threat of gender-based violence and becoming victims of trafficking. India is no stranger to such issues and it would do well to listen to these voices and concerns.

Climate change is an alarming reality and should compel us to adopt tough decisions—the first of which being to stop investing in fossil fuel projects. While there is no denying that Bangladesh needs energy, it needs sustainable and clean energy that would benefit all segments of the population and challenge the status quo of corporate power that destroys our environment and violates women's human rights.

The Indian government has already decided to engage in the path of renewable energy domestically. Other governments in the region, including China, have adopted similar programs in response to the multiple co-benefits a fossil fuel free future can bring. Bangladesh also has embraced the path of clean energy, to such an extent that the World Bank has lauded its efforts and called it "a role model for solar power". By supporting community-owned renewable energy

initiatives, governments could add an environmentally sound feminist objective to their energy policies. Women are more likely to benefit from small-scale, renewable and sustainable energy initiatives. Those same initiatives can bring electricity to off-the-grid rural areas, enable energy democracy and increase gender equalities where local people, especially women and other marginalised groups, can make decisions over the use of their resources and energy needs.

To continue moving forward with the proposed plant in the Sundarbans would unnecessarily damage a shared, valuable and protected ecological site and neighbourly relations between both countries, when other viable options exist.


Tuesday, March 21, 2017

More from the bizarro world

By Habibul Islam

This commentary, obviously, follows from the one on the wacky desires of law enforcement that was posted on this site a few days back. It’s also a consequence of the seeming compulsion this blogger believes the junior minister for telecommunication—along with her powerful law enforcement officials—feels, namely, the Bangladesh administration must have some control on the social media platforms especially Facebook, for whatever reasons which, though, must be seductive enough for them to unrelentingly pursue just as a Scottish king is said to have learnt about perseverance from a spider.

The ostensible cause, it appears, is the “dreadful influence” that is being wielded via Facebook (FB) which in turn is heinously impacting on many people who in their turn are resorting to even more heinous actions. The professed obsession with Facebook—which doubtlessly will warm the cockles of M. Zuckerberg’s heart, and little wonder given that he and wife P. Chan feel they can afford to raise another child—of the junior minister and others in the Bangladesh administration would indicate that once the government can successfully bring Facebook under some degree of restraint this country would be free of all the various types of crimes, militancy, terrorism, et al.

But in this pursuit of exerting pressure on Internet outlets it clearly looks like we’ve been ignoring and overlooking more relevant realities. For instance to stem the tide of crimes the crime fighting machinery must function with some essential degree of efficiency, dedication, sophistication and fairness, among other factors, and just as importantly scrutinize the causes that are leading to those criminal incidents. In this context let us also look at another fact: In this nation’s avowed pledge to transform this country into a “digital” one we’ve evidently taken our eyes off the road.

As a consequence, according to a report of the Alliance for Affordable Internet, Bangladesh has gone down thirteen rungs in the Internet affordability drivers’ index among fifty-eight developing and least developed countries. This was caused, per the Alliance, due to the country’s slow progress in this sphere compared to the other nations. In the previous year Bangladesh occupied the 33rd place with a score of 39.13 while in the following year it slid to 46 with a score of 39.41 out of one hundred.

Against this backdrop lately there’s been much more talk of how the country’s authorities can oversee, control, and for all practical purposes administer Facebook for Bangladesh with the acquiescence of Facebook officials. Hence this fascinating report from a few days back: “Facebook has turned down a proposal to sign a memorandum of understanding on requiring national identity card or passport numbers/copies for Bangladeshis to open accounts on the social media website, Inspector General of Police AKM Shahidul Hoque said.” He also asserted that he told an FB manager, “[T]here must be some restrictions for opening a Facebook account.” Simply extraordinary, even if incredible.

A portion of the backdrop is also the fact that FB usually removes offensive materials if and when any government makes such a request (which, naturally, has to be grounded in reason). It also complies with other kinds of requests including deleting an account altogether if conditions so warrant. Bangladesh’s wish also elicited this reaction from Bangladeshi IT expert Sumon A. Sabir, as per a report, “I doubt if any other country had ever done this [made a similar request]….We were negatively portrayed when we blocked Facebook and some other social media sites in 2015.” Sabir also underscored that Facebook has a privacy agreement with its users and therefore it cannot breach at will. The last part evidently will ask for sophisticated thinking to comprehend.

Earlier news stories and administration pronouncements point to a remarkable reality, i.e. myriad government officials have been obsessing on FB for some time now and, as has been noted above, have exhibited extreme determination in their devoted efforts to get through to the FB management with different arguments. If FB wanted to accept all the expressed desires of the Bangladesh authorities, in all likelihood, they’d have to float a separate Facebook exclusively for the People’s Republic of Bangladesh. Wow. Wouldn’t that be something to crow about! Sophisticated thinking not required here.

What, apparently, government leaders have been missing are the proverbial woods for the metaphorical trees. While various categories of crimes have moved northward, while intelligence on “militants” and/or “terrorists” have been moseying way behind their seeming activities, while the streets of Bangladesh have become deadly beyond belief as hundreds of lives are being lost merely because truck and bus operators are neither qualified to be behind the steering wheel and nor do they have to fear the wrath of the law—the roster could get pretty boring if this commenter wanted to go on—administration luminaries have all too evidently been zeroing in on the superficial instead of investigating the causes.

We’re talking of actions and what pass for thoughts in a milieu in which rationally managing vehicular traffic is incontrovertibly beyond available capability, in which murders remain unsolved mainly due to muddled circumstances, in which abductions by personnel associated with the law enforcement apparatus are often denied with the blandest of countenances, in which persons normally prone to fumbling with the TV remote control have automatic arms at their disposal—plainly this roster too could be monotonously long. The truth however is, it’ll be immensely more constructive and productive to unbolt paths to inform, educate, elucidate and provide modern training to people needing them rather than shielding them from authenticity as if they’re retards.

Monday, March 20, 2017

বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবস্থা কী দাঁড়াবে?

বদরুদ্দীন উমর 


বদরুদ্দীন উমর
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে যে সামরিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার কথা, সেই চুক্তির (এমওইউ বা সমঝোতা স্মারক) খসড়ার পূর্ণ বিবরণ ইংরেজি দৈনিক The Independent-এ প্রকাশিত হয়েছে ১৩ মার্চ, ২০১৭ তারিখে প্রথম পৃষ্ঠার প্রথম খবর হিসেবে।

ধরে নেয়া যেতে পারে, চুক্তির এই খসড়া তারা সরকার থেকে পেয়েছে। অর্থাৎ এটি সরকারের তরফ থেকে তাদের কাছে দেয়া হয়েছে। লক্ষ করার বিষয়, অন্য কোনো পত্রিকায় এই চুক্তির পূর্ণ বিবরণ প্রকাশিত হয়নি অর্থাৎ তাদের এটা দেয়া হয়নি। The Independent শিল্পপতি সালমান রহমানের মালিকানাধীন পত্রিকা এবং সালমান রহমান হলেন শেখ হাসিনার অন্যতম প্রধান উপদেষ্টা। কাজেই বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে শুধু এই পত্রিকাটিতে কেন এ চুক্তির বিস্তারিত বিবরণ প্রকাশ করার জন্য দেয়া হল, এটা ভেবে দেখার বিষয়। একে তাৎপর্যহীন মনে করার কারণ নেই। হতে পারে এটা এক কৌশলগত সিদ্ধান্ত।

বাংলাদেশ দীর্ঘদিন চীনের থেকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্র কিনে থাকে। বাংলাদেশের সেনাবাহিনী চীনের তৈরি অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহারেই অভ্যস্ত। তাছাড়া চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গাঁটবন্ধন বেশ শক্তিশালীই বলতে হবে। চীন যে পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশকে ঋণ হিসেবে দিয়েছে এবং দিয়ে যাচ্ছে, তার ওপরই বাংলাদেশের অধিকাংশ উন্নয়নমূলক ও সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রজেক্টগুলো নির্ভরশীল। কিছুদিন আগে চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে সফরে আসার সময় যে বিশাল অঙ্কের ঋণ ও সাহায্য বাংলাদেশকে দেয়ার জন্য চুক্তি করেছে, ভারতের থেকে পাওয়া ঋণের পরিমাণ তার কাছে তুচ্ছ। এদিক থেকে বিবেচনা করলে ভারতের চাপে বাংলাদেশের পক্ষে তাদের সঙ্গে সামরিক চুক্তি সম্পাদন কোনো সুখের ব্যাপার নয়। এর দ্বারা চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের সম্ভাব্য অবনতির বিষয়টি অগুরুত্বপূর্ণ মনে করার কারণ নেই। এ কারণে সরকারের মধ্যেই ভারতের প্রস্তাবিত সামরিক চুক্তিতে বাংলাদেশের আবদ্ধ হওয়ার বিরোধিতা আছে। এই বিরোধিতার চাপ নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ওপর আছে। কাজেই তার আসন্ন সফরে জনগণের মধ্যে ভারতের সঙ্গে সামরিক চুক্তির বিরোধিতাও যে আছে, এ বিষয়টি সামনে আনার জন্যই সরকারের নিজস্ব লোকের মালিকানাধীন পত্রিকাটিতে এই চুক্তির বিবরণ প্রকাশ বা ফাঁস করা হয়ে থাকতে পারে।

ভারত কর্তৃক প্রস্তাবিত যে সামরিক চুক্তিটি বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাক্ষরিত হতে পারে, The Independent পত্রিকায় প্রকাশিত তার বিবরণের দিকে তাকালেই বাংলাদেশের জন্য এর ভয়ঙ্কর ক্ষতিকর দিকটি খুব সহজেই চোখে পড়বে। বর্তমান বাংলাদেশ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে একতরফাভাবে ভারতকে অনেক রকম সুযোগ-সুবিধা দিয়ে এসেছে। কিন্তু তার বিনিময়ে বাংলাদেশ ভারত সরকারের থেকে কিছুই পায়নি। মনমোহন সিংয়ের কংগ্রেস সরকার এবং এখন নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার তিস্তার পানির হিস্যা বাংলাদেশকে দেয়ার কোনো ব্যবস্থা করেনি। এক্ষেত্রে শুধু আশ্বাস ছাড়া তারা বাংলাদেশকে কিছুই দেয়নি। কাজেই বাংলাদেশ পানির অভাবে কৃষিসহ পরিবেশ ইত্যাদির দিক থেকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশ সরকারের এমনই অবস্থা যে, ভারতের এই অবন্ধুসুলভ আচরণ সত্ত্বেও তাদের সুযোগ-সুবিধা দেয়ার ক্ষেত্রে সবকিছুই করেছে। ভারতকে বাংলাদেশ সমুদ্র ও নৌবন্দর ব্যবহার করার অনুমতি দিয়েছে। জনগণের প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও তাদের পরিবহনের সুবিধা দিয়েছে। ভারত নিজের সুন্দরবন অঞ্চল রক্ষার জন্য নানা ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও তাদের সঙ্গে বাংলাদেশের সুন্দরবন অংশে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের চুক্তি করেছে। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশের নাগরিকদের বিএসএফ বেপরোয়াভাবে হত্যা করে চলা সত্ত্বেও বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এ কাজ থেকে বিরত করার জন্য প্রকৃতপক্ষে কোনো পদক্ষেপই গ্রহণ করেনি। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়েও ভারত নানাভাবে হস্তক্ষেপ করছে। এসব সত্ত্বেও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এখন দিল্লি যাচ্ছেন ভারতের সঙ্গে এমন এক সামরিক চুক্তি করতে, যার ফলে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা বিষয়ে ভারত কর্তৃক সবকিছু জানার ব্যাপারে আর কোনো বাধা থাকবে না! ‘বন্ধু দেশ’ হিসেবে ভারত এর পর থেকে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে প্রায় নিয়ন্ত্রকের ভূমিকায় চলে যাবে। ভারত সরকারের কোনো কোনো মুখপাত্র বলছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত ছাড়া আর কোনো দেশেরই সীমান্ত নেই, যে কারণে বাংলাদেশের বড় ধরনের কোনো সামরিক বাহিনীর প্রয়োজন নেই! অন্যদিকে আসন্ন ভারত-বাংলাদেশ সামরিক চুক্তির সঙ্গে ভারত বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেয়ার প্রস্তাব করেছে তাদের কাছ থেকে সামরিক অস্ত্রশস্ত্রসহ বিভিন্ন সামরিক সরঞ্জাম কেনার জন্য! একে এক ভেল্কিবাজি ছাড়া আর কী বলা যায়?

সরকারি সূত্র অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরের সময় তিস্তার পানি বণ্টন সম্পর্কিত কোনো চুক্তি দুই দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই (The Independent, 13.03.2017)। অথচ বাংলাদেশের জন্য তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিই হল সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন। ভারত সরকার যে বাংলাদেশের প্রয়োজনের ব্যাপারে স্বার্থবুদ্ধিসম্পন্ন, এর থেকে তার বড় প্রমাণ আর কী আছে? এবং বাংলাদেশ যে ভারতের ওপর এ নিয়ে চাপ সৃষ্টির কোনো ক্ষমতাই রাখে না, তিস্তার পানির হিস্যা আদায়কে ভারত সরকারের সঙ্গে অন্যান্য চুক্তির পূর্বশর্ত হিসেবে দরকষাকষি করতে সম্পূর্ণ অক্ষম, এই সত্যও এর দ্বারাই প্রমাণিত হয়। এর থেকে সহজেই প্রমাণিত হয়, ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের স্বার্থই প্রধান বিবেচ্য বিষয়!!

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বাংলাদেশের পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা না থাকলেও প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে বেশ কিছু নানা ধরনের চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। এই বিপজ্জনক ব্যর্থতা আড়াল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর সফরের ‘সাফল্য’ সম্পর্কে বলা হচ্ছে যে, এ সফরে নয়াদিল্লি গিয়ে তিনি স্বয়ং ভারতের রাষ্ট্রপতির প্রাসাদে থাকবেন, যে সম্মান পূর্ববর্তী কোনো বাংলাদেশী প্রধানমন্ত্রীকে দেয়া হয়নি (The Independent, 13.03.2017)। দেশের স্বার্থ রক্ষা ও ‘সম্মানবোধের’ এটাই যদি নমুনা হয়, তাহলে তুচ্ছ ‘সম্মান’ লাভ করে দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দেয়া আর কাকে বলা যাবে?

এবার আসা যেতে পারে প্রধানমন্ত্রীর সফরের সময় ভারত-বাংলাদেশ সামরিক চুক্তির একটু বিস্তারিত বিবরণে। বাংলাদেশের তিন দিকে ভারতের সীমানা। প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের দুটি নতুন সাবমেরিন কমিশন করা উপলক্ষে বলেছেন, বাংলাদেশ একটি শান্তিপ্রিয় দেশ। কিন্তু কোনো দেশ তাকে আক্রমণ করলে তার উপযুক্ত জবাব দেয়া হবে (The Independent, 13.03.2017)। এই সম্ভাব্য দেশ কোনটি। চীন নিশ্চয় নয়। তার কারণ চীন থেকে সাবমেরিন কিনে সেগুলোর কমিশন উপলক্ষেই এ কথা বলা হচ্ছে। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পর তাদের মধ্যে যুদ্ধের কোনো ব্যাপার নেই। তাছাড়া বাংলাদেশ আক্রমণ করে মিয়ানমারের কোনোই লাভ নেই। এ অবস্থায় বাকি থাকে ভারত, যার দ্বারা বাংলাদেশের তিন দিক পরিবেষ্টিত। কিন্তু বাংলাদেশ ভারতের সঙ্গে যে সামরিক চুক্তি করতে যাচ্ছে সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভারত কর্তৃক বাংলাদেশ আক্রান্ত হওয়া এক হাস্যকর ব্যাপার ছাড়া আর কী? এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীর উপরোক্ত বক্তব্যকে একটি ফাঁকা ও অর্থহীন কথা ছাড়া আর কী বলা যেতে পারে? ভারত-বাংলাদেশ সম্ভাব্য সামরিক চুক্তির দিকে তাকালে এ বিষয়ে অন্যকিছু ভাবার অবকাশই নেই।

এই চুক্তিতে যা থাকছে তা হল- ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা শিল্প, স্পেস টেকনোলজি, টেকনিক্যাল সহযোগিতা এবং সমুদ্র অবকাঠামো ক্ষেত্রে সহযোগিতা। উভয়েই একে অন্য দেশে সমরিক প্রতিনিধি দল পাঠানোর বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। উভয় দেশ ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা, সামরিক বিশেষজ্ঞ বিনিময়, ট্রেনার ও পর্যবেক্ষক, সামরিক বিষয়াদি সম্পর্কে তথ্য বিনিময় করবে। সামরিক সরঞ্জাম তদারকি, চিকিৎসা, খেলাধুলার ব্যবস্থা করবে। দুর্যোগ মোকাবেলার ক্ষেত্রে প্রশিক্ষণ ও ত্রাণ ব্যবস্থায় সহযোগিতা করবে। আর্মি, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীতে স্টাফ পর্যায়ে উভয় দেশ আলোচনার ব্যবস্থা করবে। আলোচনার মাধ্যমে সামরিক বিষয়ে সমস্যার সমাধান করবে। উভয় দেশের সামরিক বাহিনী নিজেদের মধ্যে বার্ষিক আলোচনার ব্যবস্থা করবে। উভয়পক্ষ একই সময়ে সামরিক জাহাজ ও বিমান বাহিনীর সফরের ব্যবস্থা করবে। আন্তর্জাতিক সীমান্তে যৌথ পাহারা ও নজরদারির ব্যবস্থা করবে। উভয় দেশ যৌথ উদ্যোগে সামরিক শিল্প ক্ষেত্রে সহযোগিতার ব্যবস্থা করবে। উভয় দেশ আলাপ-আলোচনার ভিত্তিতে বিভিন্ন নীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে পরস্পরকে সহযোগিতা করবে। সামরিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, গবেষণা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সফরের মাধ্যমে বিজ্ঞানী, প্রকৌশলীদের বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ে তথ্য বিনিময় ও ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। সামরিক বাহিনীর প্রিন্সিপ্যাল স্টাফ অফিসার (চঝঙ) ও দেশরক্ষা সচিব পর্যায়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আলোচনা হবে প্রস্তাবিত চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে (The Independent, 13.03.2017)।

এছাড়া আরও অনেক বিষয় আছে যার বিস্তারিত বিবরণ এখানে দেয়া সম্ভব নয়। কিন্তু এসব চুক্তি অনুযায়ী ভারত সরকার বাংলাদেশের দেশরক্ষা বিষয়ে এমন কোনো ক্ষেত্র নেই যেখানে হস্তক্ষেপ করবে না। এমন কোনো সামরিক তথ্য থাকবে না, যার খবর ভারত সরকারের অজানা থাকবে। এই চুক্তিতে ‘উভয় দেশ’, ‘উভয় দেশ’ বলে যা কিছু বলা হয়েছে তা অর্থহীন। কারণ ভারত বাংলাদেশে যা করবে বাংলাদেশের পক্ষে ভারতে সেটা করা সম্ভব হবে, এটা চিন্তা করা সম্পূর্ণ অবাস্তব ও চরম দেউলিয়াপনা ছাড়া আর কিছু নয়। দুনিয়াতে শক্তিশালী ও দুর্বল দেশের মধ্যে যেসব সামরিক চুক্তি হয় তার প্রতিটিতেই ‘উভয় দেশের’ কথা বলা হলেও সব সুবিধা সব সময় শক্তিশালী দেশই পেয়ে থাকে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে প্রস্তাবিত এই সামরিক চুক্তিও এদিক থেকে ব্যতিক্রম নয়। কাজেই এই চুক্তি আগামী মাসে দিল্লিতে স্বাক্ষরিত হলে বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবস্থা কী দাঁড়াবে? যা দাঁড়াবে সেটা অতি মূর্খ ও বোকার পক্ষেও বোঝা খুব সহজ।

১৫.০৩.২০১৭
বদরুদ্দীন উমর : সভাপতি, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল