Search

Monday, January 22, 2018

Businesses frustrated with lethargic reforms


Staff Correspondent



Businesses yesterday expressed frustration over the lack of improvement in the processes for doing business and the sluggish progress in implementation of reform measures.

The economy is buoyant, the macroeconomy, on balance, is positive; yet the private domestic and foreign investment are not showing the dynamism that is needed to accelerate growth to 8 percent, said Sadiq Ahmed, vice-chairman of the Policy Research Institute of Bangladesh.

“A big part of the answer is the continued high cost of doing business as suggested by the ease of doing business rankings.”

Ahmed's comments came at a roundtable on doing business in Bangladesh, organised by the PRI at its office in Dhaka.

Businesses and analysts also talked on the lack of willingness among civil servants to ease the process of doing business, which is badly needed to take the economy to the next level.

Some stressed on ensuring the accountability of civil servants and expressed dissatisfaction over the quality of education and the low skills of workforce.

In the World Bank's ranking of Doing Business, Bangladesh was ranked 177 out of 189 economies in 2018, down one notch from 2017.

“Bangladesh's ranking is at the lower end of the rankings in 9 out of the 10 categories,” said Ahmed. It fared the worst in enforcing contracts, registering property, getting electricity and trading across the borders.

“These suggest that the investment climate challenges are broad-based and will require fundamental reforms over a long period of time.”

Action plan prepared, not implemented

The Bangladesh Investment Development Authority has prepared an action plan for eight indicators of doing business through stakeholder consultations earlier, according to Ahmed. But the implementation of the developed action plan is yet to be initiated, he said, adding that the National Committee for Monitoring Implementation of Doing Business Reforms needs to be operationalised for stronger oversight of the reforms. As an immediate task, he suggested addressing the problems faced by the banking sector.

“If the banking sector problems that we are facing, if the pressure that we see on the balance of payments and on the credit side are not resolved quickly, there is a risk that some of the gains that we have made on the economy might be lost.”

He also suggested reducing the corporate tax rate as well as simplifying and streamlining the tax laws and administration. “Two easy things are e-filing and e-payment. That will reduce a lot of harassment,” he added.

Problems related to processes for doing business are quite well known, said Nihad Kabir, president of the Metropolitan Chamber of Commerce and Industry.

“We need practically-orientated, time-bound, measurable and implementation-capable plans. And the government and the private sector must sit together and do it. We have run out of time.”

Citing Samsung's desire to invest in Bangladesh and subsequently shifting to Vietnam, Farooq Sobhan, president of the Bangladesh Enterprise Institute, said: “Success stories are important and understanding failure is also important.”

Shortage of skilled workforce

Sobhan, also a former ambassador of Bangladesh, said foreigners are hired in industries because of a shortage of skilled workforce.

This result in the drain of foreign currencies out of the country, he said, citing that $4 billion of remittance was sent to India from Bangladesh through the official channel.

The total amount will be double if the transfers through the unofficial channels are taken into account, he added.

“Building human resources is important and yet nobody is putting attention to that,” said Anwar-Ul-Alam Chowdhury, former president of the Bangladesh Garment Manufacturers and Exporters Association.

He went on to cite the case of Japan, which was once dependent on its garment industry. But the country invested on research and education to cut the dependence on the sector and diversify its industrial base.

“We are still dependent on the garment although 30-40 years have gone by. It is unfortunate.”

In order to expand the industrial base, the mindset needs to be change, safety, energy and infrastructure ensured, and investment made on education, he added.

Need for quality education

“Nothing will be possible unless we can ensure quality education,” said Sohel Ahmed Chowdhury, a former commerce secretary.

Asif Ibrahim, former president of the Dhaka Chamber of Commerce and Industry, said 400 reform proposals were made from Business Initiative Leading Development for private sector development.

“The window of opportunity is very short,” he added.

BIDA Executive Chairman Kazi M Aminul Islam said a detailed plan of action has been prepared and this has been shared with the agencies for implementation.

PRI Executive Director Ahsan H Mansur said regulatory reforms are the key. He also suggested the BIDA to take steps to receive feedbacks from the private sector about reforms and take a proactive role in resolving the problems.

“As this is the election year, difficult reforms cannot be done. But the government can take areas where win-win reforms are possible,” Mansur added.

Reforms have helped India improve its doing business ranking, said M Masur Reaz, senior economist and programme manager of the World Bank Group in Dhaka. “Political ownership was the most important part there.”
  • Courtesy: The Daily Star/Jan 21, 2018

Sunday, January 21, 2018

মির্জা আলমগীরের অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত!




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিনেট রেজিস্টার্ড গ্র্যাজুয়েটদের নির্বাচনে ভোট দিতে এসেছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র-টিএসসিতে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে সবার সাথে লাইনে দাঁড়ান মির্জা আলমগীর। কিন্তু অনেকেই তাঁকে লাইন থেকে সরে এসে ভোট দেয়ার অনুরোধ করেন। কিন্তু মির্জা আলমগীর এতে রাজি না হয়ে বলেন, 'আমার সিরিয়াল এলেই আমি ভোট দেবো।'

দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে নিজের ভোট প্রদানের সময় এলে তিনি ভোট দেন। মির্জা আলমগীররের লাইনে দাঁড়ানোর ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়।

অনেকেই ছবিটি শেয়ার করে লেখেন, 'একজন সাবেক মন্ত্রী, সাবেক এমপি এবং দেশের বৃহত্তম একটি দলের মহাসচিব। লাইনে দাঁড়াতে হবে কেন? কিন্তু তিনি কারো কথাই শুনেন নি। পুরো লাইনে দাঁড়িয়ে, উনার সিরিয়াল যখন এসেছে তখনই বুথে প্রবেশ করেছেন ভোট দিতে।'

আরেকজন লিখেছেন, 'আমরা শৃঙ্খলা ভঙ্গ করতে পছন্দ করি। কিন্তু শৃঙ্খলা মেনে চলার জন্য এটা একটা অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।'

ব্যাংকঋণ ফেরত না দেয়ার অর্থনীতি চট্টগ্রামে

হাছান আদনান ও ওমর ফারুক











ব্যাংকগুলোর বড় অংকের ঋণ আছে চট্টগ্রামের বনেদি ব্যবসায়ীদের কাছে। ইচ্ছামতো ঋণ পেয়েছেন অনভিজ্ঞ ও উঠতি ব্যবসায়ীরাও। নিরাশ হতে হয়নি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানকেও। বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট ব্যাংক সূত্রগুলো বলছে, চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ীদের কাছেই ব্যাংকঋণ আছে দেড় লাখ কোটি টাকার মতো। ঋণের অর্থের কতটুকু ফেরত আসবে, সে ব্যাপারে ধারণা নেই ব্যাংকগুলোর। ব্যাংকগুলো এ নিয়ে উদ্বেগে থাকলেও নিরুদ্বেগ ঋণগ্রহীতারা। ব্যাংকের অর্থ বকেয়া রেখে অনেকেই বিদেশে আয়েশি জীবনযাপন করছেন। ব্যাংক কর্মকর্তারা ধরনা দিলেও কেউ কেউ আবার তাদের পাত্তাই দিচ্ছেন না।

বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন ক্লিউসটন গ্রুপের কর্ণধার এমএ আলীম চৌধুরী। ভোগ্যপণ্য আমদানি, শিপ ইয়ার্ড, প্লাস্টিক রিসাইক্লিং, এগ্রো, বেভারেজ ব্যবসার নামে ঋণ নিলেও এর বড় অংশই বিনিয়োগ করেছেন জমি ক্রয়ে। পরিশোধ না করায় পুরো ঋণই এখন খেলাপি। পাওনা আদায়ে ব্যাংকগুলোকে ছুটতে হচ্ছে এ ব্যবসায়ীর পেছনে। যদিও নাগাল মিলছে না তার। বাধ্য হয়ে মামলার পথে হাঁটছে এ ব্যবসায়ীকে অর্থায়নকারী ব্যাংকগুলো।

জানা গেছে, এমএ আলীম চৌধুরীর কাছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের আগ্রাবাদ শাখার পাওনা রয়েছে ৫৩ কোটি টাকা, ব্যাংক এশিয়ার আন্দরকিল্লা শাখার ৩৬ কোটি ও প্রাইম ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ৩৫ কোটি টাকা। এছাড়া ব্র্যাক ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার প্রায় ৪০ কোটি, সোনালী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ২৫ কোটি, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়া আগ্রাবাদ শাখার ১৮ কোটি, হাবিব ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ১৭ কোটি টাকাও পরিশোধ করছেন না তিনি।

ব্যাংক এশিয়ার অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ (আন্দরকিল্লা শাখা) মো. শামসুল আলম বলেন, ২০০৮-০৯ সালের দিকে ভোগ্যপণ্য আমদানির নামে এ ঋণ নেন গ্রাহক। দীর্ঘ এক যুগেও ঋণের টাকা ফেরত দেননি। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা গুটিয়ে গা-ঢাকা দিয়ে আছেন তিনি। বহু চেষ্টার পরও ঋণের টাকা ফেরত না পাওয়ায় ঋণগ্রহীতার বিরুদ্ধে মামলা করতে হয়েছে।

সোনালী ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা জানান, ২০০৭-০৮ সালের মধ্যে স্ক্র্যাপ আমদানির নামে ব্যাংক থেকে ঋণ সুবিধা নেয় ক্লিউসটন গ্রুপ। কিন্তু স্ক্র্যাপ ব্যবসা না করে ভিন্ন খাতে তা সরানো হয়। এক যুগেও সে টাকা আর ফেরত দেননি গ্রাহক।

সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ও আগ্রাবাদ শাখার ব্যবস্থাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঋণের টাকা উদ্ধারে ক্লিউসটন গ্রুপের আগ্রাবাদের কার্যালয়ে বারবার যোগাযোগের পরও কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। এমনকি ব্যাংক কর্মকর্তাদের কোনো পাত্তাই দেন না প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী এমএ আলীম চৌধুরী। ব্যাংকের টাকা পরিশোধের কোনো মানসিকতাই তার মধ্যে নেই।

শিপ ব্রেকিং খাতের উড়ন্ত সময়ে শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ডের মাধ্যমে মাবিয়া গ্রুপ গড়ে তোলেন জাহাঙ্গীর আলম ও ফরিদুল আলম। গ্রুপটিকে বড় অংকের ঋণ দেয় বেসরকারি দ্য সিটি ও এবি ব্যাংক। ব্যবসা থেকে ছিটকে পড়ায় মাবিয়া গ্রুপের এ ঋণ আদায়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। গ্রুপটির কাছে ব্যাংক দুটির আটকে গেছে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা।

দেশের এক ডজন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার কোটি টাকার বেশি ঋণ নিয়েছেন ক্রিস্টাল গ্রুপের কর্ণধার মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার পরিবার। ঋণের অর্থ খেলাপি হয়ে গেছে অনেক আগেই। টাকা আদায়ে এখন মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার ভাইদের পেছনে ঘুরতে হচ্ছে ব্যাংকারদের।

সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকের বিপুল অংকের ঋণ বকেয়া রেখে দেশ ছেড়েছেন চট্টগ্রামের অনেক ব্যবসায়ী। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, সিঙ্গাপুর কিংবা মালয়েশিয়ায় সপরিবারে বিলাসী জীবনযাপন করছেন তারা। চট্টগ্রামভিত্তিক ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী তিন ভাই জয়নাল আবেদিন, জামিল আবেদিন ও মোহাম্মদ আলাউদ্দিনও আছেন এদের মধ্যে। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২০০৭ সালে শিপ ব্রেবিং ব্যবসা শুরু করেছিলেন তারা। এরপর ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেলে ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ না করেই বিদেশে পাড়ি জমান জয়নাল আবেদিন ও জামিল আবেদিন। ম্যাক ইন্টারন্যাশনালের কাছে ১২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের পাওনা দাঁড়িয়েছে বর্তমানে ৮০০ কোটি টাকার বেশি।

ভোগ্যপণ্য আমদানিতে দ্রুত প্রসার ঘটে খাতুনগঞ্জের ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইয়াছির এন্টারপ্রাইজের। ২০০৯ সালের দিকে প্রতিষ্ঠানটি বড় পরিসরে ভোগ্যপণ্য আমদানি শুরু করে। ২০১২-১৩ সালে ভোগ্যপণ্য আমদানি করে বড় ধরনের লোকসানে পড়ে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ব্যাংকের দায় না মিটিয়েই ২০১৪ সালের শুরুর দিকে সপরিবারে কানাডা পাড়ি দেন প্রতিষ্ঠানটির স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মোজাহের হোসেন। ইয়াছির গ্রুপের প্রতিষ্ঠান ইয়াছির এন্টারপ্রাইজ ও শাপলা ফ্লাওয়ার মিলসে বিভিন্ন ব্যাংকের প্রায় হাজার কোটি টাকা বকেয়া রেখেই বিদেশ পাড়ি দেন এ ব্যবসায়ী।

২০০৯-১০ সালের দিকে ইস্পাত, শিপ ব্রেকিং ও আবাসন ব্যবসার নামে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন মিশম্যাক গ্রুপের কর্ণধার তিন ভাই হুমায়ুন কবির, মিজানুর রহমান শাহীন ও মুজিবুর রহমান মিলন। এসব প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ঋণ নেন তারা। ঋণ আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ২০১২ সালের পর প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের শুরু করে ব্যাংকগুলো। ঠিক ওই সময় সপরিবারে বিদেশ চলে যান তিন ভাই।

ব্যাংকগুলোর আগ্রাসী বিনিয়োগের কারণেই এ অবস্থা তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, বাছবিচার না করে ২০১০-১৫ সাল পর্যন্ত ব্যাংকগুলো নানা খাতে বিনিয়োগ করেছে। ভালো ব্যবসায়ীর পাশাপাশি মন্দ লোকেরাও ব্যাংক থেকে রাতারাতি ঋণ পেয়েছে। এর ফলে বাজারে অসুস্থ প্রতিযোগিতা সৃষ্টি হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ভালো ব্যবসায়ীরা। আর প্রতারকরা ব্যাংকের টাকা নিয়ে পালিয়ে গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৭ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চট্টগ্রাম জেলার ব্যাংক শাখাগুলোয় জমা ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৫৪৪ কোটি টাকার আমানত। একই সময়ে ব্যাংকগুলো জেলাটিতে ঋণ বিতরণ করেছে ১ লাখ ১৫ হাজার ২৩১ কোটি টাকার। ব্যাংকসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঢাকার বিভিন্ন ব্যাংক শাখা থেকেও বিপুল পরিমাণ ঋণ নিয়েছেন চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীরা। এটা যোগ করলে চট্টগ্রামভিত্তিক ব্যবসায়ীদের ঋণের পরিমাণ দেড় লাখ কোটি টাকার কম হবে না।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের কাছে বিতরণকৃত ঋণের প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা এরই মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে। ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ এসব গ্রাহকের মধ্যে চট্টগ্রামের পুরনো প্রতিষ্ঠান যেমন আছে, একই সঙ্গে রয়েছে খাতুনগঞ্জের ‘চিনি বশর’, বাকলিয়ার ‘গাছ কামাল’, ময়দার ব্যাপারী আবু সৈয়দ, মাবিয়া গ্রুপ, নূর-উন-নবীর মতো অখ্যাত ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানও। অখ্যাত এসব ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানই বেশি ভাবাচ্ছে ব্যাংকগুলোকে।

চট্টগ্রামের ব্যবসায়ীদের আগ্রাসী ঋণ প্রদান ও খেলাপি হয়ে যাওয়ার বিষয়টি গবেষণার দাবি রাখে বলে মন্তব্য করেন রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আতাউর রহমান প্রধান। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বিপর্যয় হয়েছে জাহাজ ভাঙা শিল্পে। উন্নত বিশ্ব থেকে আমাদের দেশে শিল্পটি স্থানান্তর হওয়ার পর ব্যবসা বোঝেন, এমন অনেকে বিনিয়োগ করেছেন। আবার চাল-ডাল ও তেল ব্যবসায়ীরাও এ খাতে বিনিয়োগ করে রাতারাতি ধনী হওয়ার চেষ্টা করেছেন। ব্যাংকও বুঝে না বুঝে খাতটিতে আগ্রাসী বিনিয়োগ করেছে। ফলে ঋণ হিসেবে নেয়া অনেক টাকাই যথাযথ খাতে বিনিয়োগ না হয়ে অন্য খাতে চলে গেছে। ঋণের টাকা দেশ থেকে পাচার করা হয়েছে বলেও আমরা শুনতে পাচ্ছি।
  • বণিক বার্তা / জানুয়ারি ২১, ২০১৮

বড় প্রকল্পের বিশেষ গুণ, খরচ বাড়াতে হয় কয়েক গুণ

প্রদীপ দাস/প্রতিবেদক









পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় ও সময়চিত্র। 

রাজধানীর সঙ্গে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সংযোগ স্থাপন করতে পদ্মা সেতু নির্মাণের জন্য ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১০ হাজার ১৬১ কোটি ৭৫ লাখ টাকা অনুমোদন করে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। পরে ২০১১ সালে এই ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় ২০ হাজার ৫০৭ কোটি ২০ লাখ টাকা। ওই বছরই দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক পদ্মা সেতুতে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অর্থায়ন স্থগিত করে দেয়। অন্য দাতা সংস্থাগুলোও একই পথ অনুসরণ করে।

২০১৩ সালে সরকার নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করার উদ্যোগ নেয়। ২০১৬ সালে তৃতীয় দফায় ৮ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা একনেকে অনুমোদন করলে নির্মাণ ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। এবার চতুর্থ দফায়ও ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এ দফায় জমি অধিগ্রহণের জন্য বাড়তি যুক্ত হচ্ছে আরও ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। এখন মোট ব্যয় দাঁড়াবে ৩০ হাজার ১৯৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা। ফলে শুরুতে পদ্মা সেতু নির্মাণ ব্যয় যা ধরা হয়েছিল, বর্তমানে তা প্রায় তিন গুণ বেড়েছে।

ব্যয়ের মতো পদ্মা সেতু শেষ করতে সময়ও বাড়ানো হয়েছে কয়েক দফা। ২০১৮ সালে পদ্মা সেতু নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা সম্পন্ন হওয়া নিয়ে রয়েছে আশঙ্কা। সেতু কর্তৃপক্ষের অগ্রগতি সংক্রান্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, এখন পদ্মা সেতু প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি ৪৯ শতাংশ। এর মধ্যে মূল সেতুর অগ্রগতি ৫২ শতাংশ। আর নদীশাসনের কাজের অগ্রগতি ৩৪ দশমিক ২০ শতাংশ।

শুধু পদ্মা সেতু নয়, গত ১১ বছরে প্রায় সব মেগা (বৃহৎ) প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সময় ও ব্যয় বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুণ। 

২০০৬ সালে বিএনপি ক্ষমতা ছাড়ার পর দেশে প্রথমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার, পরে ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এই ১১ বছরে (২০০৬-১৭) সরকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে রয়েছে বেশকিছু মেগা (বড়) প্রকল্পও। এর মধ্যে জনগুরুত্ব বিবেচনায় ১৪টি প্রকল্প বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে মাত্র চারটির কাজ শেষ হয়েছে, ছয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে, চলতি বছর তিনটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। বাকি একটির কিছু অংশের কাজ শেষ হলেও পূর্ণাঙ্গ কাজ কবে নাগাদ শেষ হবে, তা এখনো অনিশ্চিত।

শেষ হওয়া চারটি প্রকল্পের একটিও নির্দিষ্ট সময়ে শেষ হয়নি। প্রথম যে ব্যয় ধরা হয়েছে, তার মধ্যে শেষ করাও সম্ভব হয়নি। কয়েক দফা বাড়াতে হয়েছে সময় ও ব্যয়।

চলতি বছর যে প্রকল্প তিনটি শেষ হওয়ার কথা রয়েছে, সেগুলো নিয়েও রয়েছে যথাসময়ে শেষ হওয়ার শঙ্কা। ফলে ব্যয় বাড়ার আশঙ্কাও রয়েছে শেষ না হওয়া প্রকল্পগুলোয়।

সেই সঙ্গে শেষ হওয়া প্রকল্পের দুই-একটির ক্ষেত্রে গুণগত মান নিয়েও রয়েছে প্রশ্ন; উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও। সঙ্গে জনভোগান্তি তো রয়েছেই। তাই সরকারের বড় বড় প্রকল্পের উদ্দেশ্যের পেছনে ভিন্ন কোনো স্বার্থের ইঙ্গিত করছেন বিশেষজ্ঞরা। কেউ কেউ অভিযোগ করছেন, বড় প্রকল্পে বড় চুরি ও স্বার্থরক্ষার ব্যাপার থাকায় সময় ও ব্যয় বাড়ে।



ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক প্রকল্পে ব্যয় ও সময়চিত্র

মহাসড়কে ‘মহামারী’

২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে জেনেভায় ইউএনইসিইর (ইউনাইটেড ন্যাশনস ইকোনমিক কমিশন ফর ইউরোপ) এক সেমিনারে ‘এস্টিমেটিং অ্যান্ড বেঞ্চমার্কিং ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার কস্ট’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন তুলে ধরা হয়। ওই প্রতিবেদনে অনুযায়ী, ইউরোপে চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণে কিলোমিটার প্রতি ব্যয় হয় ২৮ কোটি টাকা। ভারতে এই ব্যয় ১০ কোটি, চীনে ১৩ কোটি। আর বাংলাদেশে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কে চার লেন করতে প্রতি কিলোমিটারে খরচ হয় ৯৫ কোটি টাকা! শুধু ঢাকা-মাওয়া-ভাঙ্গা মহাসড়কে নয়, অন্য মহাসড়কগুলোর অবস্থাও শোচনীয়।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিভিন্ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কিলোমিটার প্রতি ব্যয় ১৯ কোটি ৭৩ লাখ, জয়দেবপুর-ময়মনসিংহে ২০ কোটি ৮২ লাখ, রংপুর-হাটিকুমরুলে ৫২ কোটি ৭ লাখ এবং ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় হচ্ছে ৫৬ কোটি ৪ লাখ টাকা। বিশ্বব্যাংকের ২০১৭ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে কিলোমিটার প্রতি ৭০ লাখ ডলার, ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে ১ কোটি ১৯ লাখ ডলার ব্যয় হয়েছে।

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক

সরকারের অন্যতম বড় প্রকল্প ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ২০১০ সালে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের সময় বাড়ানো হয়েছে পাঁচবার। ব্যয় বাড়ানো হয়েছে চারবার। এই প্রকল্প যখন নেওয়া হয়, তখন তা ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকায় শেষ করার হিসাব করা হয়েছিল। ১৯২ দশমিক ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই প্রকল্পের ব্যয় পরবর্তী সময়ে বেড়ে দাঁড়ায় ৩ হাজার ১৯০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। পাঁচ দফা সময় বাড়িয়ে কিছু অংশের কাজ শেষ হলেও পূর্ণাঙ্গভাবে তা শেষ করা সম্ভব হয়নি।



জয়দেবপুর-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রকল্পে ব্যয় ও সময়চিত্র


রাজধানীর সঙ্গে ময়মনসিংহের সড়ক যোগাযোগ নির্বিঘ্ন করতে জয়দেবপুর থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত চার লেনের সড়ক নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১০ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের কাজ ২০১৩ সালের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল। তবে তা সম্ভব হয়নি। একাধিকবার সময় বাড়িয়ে প্রকল্পের কাজ শেষ হয় ২০১৫ সালে। ৮৭ দশমিক ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ প্রকল্পটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ৯৯২ কোটি টাকা। এর পর একাধিকবার ব্যয় বাড়ানোর পর দাঁড়ায় ১ হাজার ৮১৫ কোটি ১২ লাখ টাকায়। চার লেন প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পরপরই সড়কে খানাখন্দের অভিযোগ ওঠে।

মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভার

সম্প্রতি চালু হয়েছে মালিবাগ-মৌচাক ফ্লাইওভার। ২০১০ সালের জানুয়ারিতে শুরু হওয়া এই প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০১৪ সালে। যথাসময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় সময় বাড়িয়ে ২০১৫ করা হলেও তৃতীয় দফায় বাড়ানো হয়। সময়ের মতো প্রকল্পের ব্যয়ও বাড়ানো হয় তিন দফা। প্রথমে ব্যয় ধরা হয়েছিল ৩৪৩ কোটি ৭০ লাখ, দ্বিতীয় ধাপে ৭৭২ কোটি ৭৭ লাখ এবং তৃতীয় ধাপে দাঁড়ায় ১ হাজার ২১৮ দশমিক ৮৯ কোটি টাকা।










জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার

মিরপুর থেকে বিমানবন্দর যাওয়ার জন্য ২০১১ সালে নির্মাণকাজ শুরু করা হয় জিল্লুর রহমান ফ্লাইওভার। নির্ধারিত সময়ের আগেই ২০১৩ সালের মার্চে শেষ হয় এর নির্মাণকাজ। সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ১.৭৯ কিলোমিটার উড়ালসেতু নির্মাণ ব্যয় হয় প্রায় ২০০ কোটি টাকা।

বিদ্যুতে ‘অন্ধকার’

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সম্প্রতি প্রকাশিত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই অর্থবছরে পিডিবির লোকসান হয়েছে ৪ হাজার ৪৩৪ কোটি ৯০ লাখ টাকা। আর পুঁঞ্জিভূত লোকসান বা দেনার পরিমাণ গিয়ে দাঁড়িয়েছে, ৪৯ হাজার ১৯৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা। গত অর্থবছরে পিডিবির ৪১ হাজার ৩২০ কোটি ১২ লাখ টাকার চেয়ে পুঞ্জীতূত লোকসানের পরিমাণ প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা বেশি। আর এই ঘাটতি মেটাতে প্রতি বছর অর্থমন্ত্রণালয় থেকে ঋণ নিচ্ছে পিডিবি।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র

১৯৭৪ সালে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা হলেও পরিবেশবাদীদের বিরোধিতা উপেক্ষা করে ২০০৯ সালে এটি স্থাপনের জন্য সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন পারমাণবিক এই বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২ দশমিক ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় এই প্রকল্পটির ২০২৩ সাল নাগাদ প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিটের উৎপাদনের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

৬০ বছর মেয়াদী এই প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন নিয়ে ইতোমধ্যেই গণমাধ্যমে প্রশ্ন উঠেছে। ৩৬৯ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতায় ব্যয় ধরা হয়েছে ৬৯৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। সেখানে প্রকল্প পরিচালকের মাসিক বেতন প্রায় ৭ লাখ টাকা; যা বর্তমান বাংলাদেশ সরকারের বেতনের চেয়ে প্রায় ছয় গুণ বেশি।

রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প

প্রথম থেকেই রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বিরোধিতা করে আসছে পরিবশেবাদীরা। কিন্তু সব বাধা উপেক্ষা করে গত বছর শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪ হাজার ৯৯৯ কোটি টাকা। সরকার নিজস্ব তহবিল থেকে যোগান দেবে ৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে ২০১৯ সালে। 

মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র

গ্যাসের ওপর চাপ কমিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার ব্যবহার প্রাধান্য দেওয়ার জন্য ২০১৪ সালে কক্সবাজারের মহেশখালীতে শুরু হয় মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৩৫ হাজার ৯৮৪ কোটি টাকা। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের জুলাইতে। চলতি বছরের ৫ জানুয়ারি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানান, এখন পর্যন্ত প্রকল্পের আর্থিক অগ্রগতি ১৩ দশমিক ৭৩ এবং ভৌত অগ্রগতি ১৮ শতাংশ। 



হাতিরঝিল প্রকল্পে ব্যয় এবং সময়চিত্র।

হাতিরঝিল প্রকল্প

রাজধানীর সৌন্দর্যবর্ধন এবং সাধারণ মানুষের বিনোদনের জন্য নেওয়া হয় হাতিরঝিল প্রকল্প। ২০০৭ সালে শুরু হয় কাজ। প্রথমে এর ব্যয় ধরা হয় ১ হাজার ৪৭৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। কাজ শেষ করার সময় নির্ধারণ করা হয় ২০১০ সাল। কিন্তু কয়েক দফায় বাড়ানো হয় এর মেয়াদ। চার দফা সময় বাড়িয়ে ব্যয় বাড়ানো হয় ৩ দফায়। প্রথম দফায় ব্যয় বাড়ে ৮ কোটি টাকা, দ্বিতীয় দফায় বাড়ানো হয় ৪৯০ কোটি টাকা। তৃতীয় দফায় বাড়ানো হয় আরও ২৬৫ কোটি টাকা। এতে প্রকল্পটির মোট ব্যয় দাঁড়ায় ২ হাজার ২৩৬ কোটি টাকা। এর কাজ এখনো পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ করা সম্ভব হয়নি।

মেট্রোরেল

২০১৬ সালে দেশের প্রথম মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১২ সালের ১৮ ডিসেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে এটি অনুমোদন পায়। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, আগামী বছর উত্তরা-আগারগাঁও অংশের কাজ শেষ হবে। এ ছাড়া উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ২০.১ কিলোমিটার এই মেট্রোরেলের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২২ হাজার কোটি টাকা। এতে স্টেশন থাকবে মোট ১৮টি, প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২১ সালে। এটি সম্পন্ন হলে ঘণ্টায় ৮০ হাজার যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প

২০১১ সালে ভিত্তিফলক উন্মোচনের ছয় বছর পর চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজার এবং রামু থেকে গুনদুম পযন্ত রেললাইনের কাজ শুরু হয়েছে ২০১৭ সালের নভেম্বরে। দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত ১২৮ কিলোমিটার এবং রামু থেকে গুনদুম পযন্ত ২৮ কিলোমিটার রেললাইন নির্মাণ করা হবে। ১৮ হাজার ৩০৪ কোটি টাকা ব্যয়ের এই প্রকল্প ২০২২ সালে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

পায়রা সমুদ্রবন্দর

২০১৩ সালে পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে কাজ শুরু হওয়া এই প্রকল্পের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত। মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ১২৮ কোটি টাকা। এর সবটাই জোগান দিচ্ছে সরকার।

এলএনজি টার্মিনাল প্রকল্প

কক্সবাজারের মহেশখালী উপকূলের পশ্চিম দিকে গভীর সমুদ্রে জ্বালানি গ্যাসের চাহিদা মেটাতে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল নির্মাণে ২০১৬ সালে অনুমোদন দেয় সরকার। প্রায় ৫০ কোটি মার্কিন ডলারের এ প্রকল্পের কাজ চলতি বছরের মাঝামাঝি চালু হওয়ার কথা রয়েছে। নির্মাণকাজ শেষ হলে প্রতিদিন ৫০ কোটি ঘনফুট প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ করা যাবে।

ঘূর্ণিঝড় পুনরুদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রকল্প

২৮ হাজার ৯৫৯.২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০৮ সালে  ঘূর্ণিঝড় পুনঃরুদ্ধার ও পুনর্বাসন প্রকল্পটি ২০১৩ সালের জুলাইয়ে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এর মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারায় ২০১৪ সালের জুন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। ব্যয় প্রায় চার গুণ বৃদ্ধি করে নির্ধারণ করা হয় ৮৯ হাজার ৫২৯.৮২ লাখ টাকা। ব্যয় ও সময় বৃদ্ধির পরও কাজ শেষ করতে না পারায় পুনরায় ব্যয়  বাড়িয়ে ১ লাখ ৯৫ হাজার ১৭০ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। 

কে কী বলেন

সরকারের মেগা প্রকল্প নিয়ে প্রশ্ন করলে এ নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি পরিকল্পনামন্ত্রীর একান্ত সচিব ফরিদ আজিজ।

এ বিষয়ে নগর পরিকল্পনাবিদ স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রিয়.কমকে বলেন, ‘শহর কিংবা এর বাইরে যেকোনো প্রকল্প প্রাক সমীক্ষা না করেই গ্রহণ করা হয়। ফলে প্রকল্পব্যয় ও সময় মাঝপথে আসলে বাড়ানোর বিষয়টি সামনে আসে। এতে শুধুমাত্র অতিরিক্ত খরচই বাড়ে না, যুক্ত হয় জনদুর্ভোগ।’

ইকবাল হাবিব আরও বলেন, ‘প্রকল্প প্রণয়নের সঙ্গে যারা জড়িত তারা অনিয়ম করলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার নজির নেই। ফলে এক রকম ধারণাই তৈরি হয়েছে, প্রকল্প প্রণয়ন করা হলে সময় ও ব্যয় বাড়ানো হবে।’

সরকারেরই নেওয়া এসব মেগা প্রকল্পকে একটু অন্যভাবে দেখছেন তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদ। এসব বড় উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্দেশ্য বর্ণনা করে অর্থনীতিবিদ ও শিক্ষক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘কয়েকটা দেশের বিভিন্ন কোম্পানিকে সন্তুষ্ট করা এবং নিজেদের কমিশন বেশি করে নেওয়ার জন্য এসব মেগা প্রকল্প নেওয়া হয়। যেখানে দুর্নীতির সুযোগ বেশি, সেইসব প্রকল্প অনুমোদনও হয় বেশি।’

আনু মুহাম্মদ আরও বলেন, ‘অর্থমন্ত্রী নিজেই বলেছেন, মেগা প্রকল্প মানে মেগা চুরি। যে কাজ এক কোটি টাকা দিয়ে করা সম্ভব, সে কাজে পয়সা পাওয়া যায় না। হাজার কোটি টাকা হলে সেটাতে পয়সা পাওয়া যায়।’

  • প্রিয়.কম/২০ জানুয়ারি ২০১৮

চতুর্মুখী সংকটে আলু রপ্তানি





নগদ অর্থের স্বল্পতা, রপ্তানিমুখী ও শিল্পনির্ভর জাত, পরিকল্পিত বাজার ব্যবস্থাপনা ও কৃষি জ্ঞানের অভাবে বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কাঙ্ক্ষিত পরিমাণ আলু রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। রপ্তানিকারকরা বলছেন, সঠিক নজরদারি না থাকায় পরিস্থিতি ক্রমেই নেতিবাচক দিকে ধাবিত হচ্ছে।

এ ছাড়া উৎপাদন বাড়লেও পর্যাপ্ত রপ্তানির ব্যবস্থা না থাকা এবং স্বল্পমূল্যে বিদেশি আলু দেশের বাজারে ঢুকে পড়ায় প্রান্ত্মিক চাষিরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত্ম হচ্ছেন। সংশিস্নষ্টরা মনে করছেন, সরকারিভাবে দ্রম্নত কৃষকদের স্বার্থ রক্ষায় যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে ধস নামতে পারে দেশের আলু উৎপাদনে।

বাংলাদেশ আলু রপ্তানিকারক সমিতির (বিপিইএ) সভাপতি শেখ আবদুলস্নাহ কাদের  জানান, প্রতি বছর আলু রপ্তানির মাধ্যমে মোটা অংকের অর্থ আয়ের সুযোগ থাকলেও প্রতিবন্ধকতার কারণে সম্ভব হচ্ছে না। নিম্নমানের আলু, ভারত থেকে কম সুবিধা, পোর্টে সমস্যা, সঠিক সময়ে আলু তুলতে না পারা এর অন্যতম কারণ। ফলে প্রতি বছর অধিক পরিমাণ আলু উৎপাদিত হলেও রপ্তানি করতে না পারার কারণে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত্ম হচ্ছেন প্রান্তিক চাষিরা। বছর শেষে আলু বিক্রি করে তারা উৎপাদন খরচও তুলতে পারছেন না। সরকার এসব সমস্যা সমাধান করতে পারলে বছরে ২০ লাখ টন আলু রপ্তানি করা সম্ভব। ফলে কৃষকরাও ন্যায্যমূল্য পাবেন।

রপ্তানিকাররা বলছেন, বাংলাদেশের প্রধান প্রতিযোগী দেশ ভারত আলু রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য ২০ শতাংশ, পাকিস্ত্মান ৪০ শতাংশ, চীন ২৫ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা প্রদান করে। এজন্য তারা বিশ্ববাজারে কম দামে আলু সরবরাহ করতে পারে। বাংলাদেশে আগে ২০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা দেয়া হলেও এখন ১০ শতাংশে নেমে এসেছে। দেশের আলু যখন ক্ষেতে থাকে তখন ভারতের আলু বাজারে চলে আসে। ক্রেতারা তখন আগাম আলু কিনে নেয়। দেশে রপ্তানিযোগ্য মাত্র একটি জাতের আলু উৎপাদন হয়।

এ ছাড়া দেশে মোট যে পরিমাণে আলু উৎপাদিত হয় তার মাত্র ২০ শতাংশ সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়। বাকিগুলো সংরক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে সংরক্ষিত আলু দিয়ে দেশের চাহিদা মিটিয়ে সামান্য কিছু রপ্তানির সুযোগ থাকে। বর্তমান সময়ের থেকে ১৫ দিন আগে আলু তুলে যথাযথ সংরক্ষণ করা সম্ভব হলে রপ্তানি অনেকগুণ বাড়ত।

এ ব্যাপারে কৃষি অর্থনীতিবিদ মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান জানান, দেশে সামান্য কিছু রপ্তানিযোগ্য আলু উৎপাদন হয়ে থাকে। বাকিটা গতানুগতিক। আরেকটি বড় সমস্যা আলু সংরক্ষণ। এখনো মোট উৎপাদনের মাত্র ২২ শতাংশ আলু হিমাগারে সংরক্ষণ করা যায়। ফলে বেশির ভাগ আলুর গুণগত মান ঠিক থাকে না। ফলে এই মানহীন আলু রপ্তানি হলে বর্তমানে যতটুকু আলু রপ্তানি হয়, তা-ও বন্ধ হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, তাই সবার আগে গুণগত মান ও উন্নত জাতের দিকে নজর দিতে হবে। সঙ্গে সঙ্গে চাষিকেও প্রশিক্ষণ দিতে হবে। এ ছাড়া শুধু আস্ত্ম আলু না, এর তৈরি বিভিন্ন পণ্যও রপ্তানি করা যেতে পারে। যেমন চিপস, ফ্রেন্স ফ্রাই ইত্যাদি এখন বিশ্বব্যাপী ব্যাপক জনপ্রিয় একটি খাবার। সরকারকে এটি নিয়ে ভাবতে হবে। নগদ সহায়তার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটার কোনো প্রয়োজন নেই। এই দাবি পকেট ভরার জন্য। নগদ সহায়তা বাড়ালে অর্থ পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের তথ্যমতে, ২০১৭ সালে দেশে মোট ৫.২৮ লাখ হেক্টর জমিতে প্রায় ১১৩ লাখ মেট্রিকটন আলু উৎপাদিত হয়। দেশে মোট চাহিদা ৬৫ লাখ মেট্রিক টনের কিছু বেশি। অথচ ২০১৬-১৭ অর্থবছরে রপ্তানি হয়েছে মাত্র ৫৫ হাজার ৬৫২ মেট্রিক টন। এ ছাড়া কিছু আলু বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যে রূপান্ত্মরিত হয়ে রপ্তানি হয়েছে। ২০১৭ সালে প্রতি কেজি আলুর গড় উৎপাদন খরচ ছিল ৭ টাকা ৪০ পয়সা এবং কৃষকপর্যায়ে যৌক্তিক ধার্যমূল্য ছিল সাড়ে ৮টাকা থেকে ৯ টাকা। অথচ বছর শেষে কৃষক পর্যায়ে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে মাত্র ৬৫ পয়সা। এ বছরও ৫ লাখ হেক্টরের অধিক জমিতে আলু উৎপাদন হয়েছে। তবে ন্যায্য দাম নিয়ে শঙ্কায় চাষিরা।

এডিবির এক গবেষণায় বলা হয়, শুধু দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো বছরে গড়ে ৪ কোটি ১০ লাখ ডলারের আলু আমদানি হয়। সেখানে বাংলাদেশ প্রতি বছর গড়ে আলু রপ্তানি করে আয় করে ৮ লাখ ডলার। অথচ প্রতি বছর দেশটিতে এর কয়েকগুণ বেশি মূল্যের আলু ব্যবহার করতে না পারায় নষ্ট হয়ে যায়।

রপ্তানিকারকদের মতে, সমস্যাগুলো সমাধান করতে পারলে বছরে ২০ লাখ মেট্রিক টন আলু রপ্তানি করা সম্ভব হতো। এতে একদিকে যেমন বৈদেশিক মুদ্রা বাড়তো অন্যদিকে কৃষক ও ব্যবসায়ীরাও লাভবান হতো। ফলে প্রতি বছর কৃষকদের আলু নিয়ে পথে বসতে হতো না। কৃষকরা প্রতি কেজি আলুর সর্বনিম্ন মূল্য ১২ টাকা পেত। গত বছর যা ছিল ৭০ পয়সার কাছাকাছি।

তাদের আশঙ্কা, এই বছর আলু রপ্তানি আরও হ্রাস পাবে। কারণ, বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখনো আলু তুলতে পারেনি কৃষকরা। অন্যদিকে ভারত ইতিমধ্যেই রপ্তানি করা শুরম্ন করেছে। ফলে ক্রেতারা আগাম আলু পেতে ভারতের ব্যবসায়ীদের থেকে আলু সংগ্রহ করছে। অথচ গবেষণার মাধ্যমে যদি উন্নত ও আগাম ফলনশীল আলু উৎপাদন করা যেত, তাহলে বাংলাদেশও আগে থেকে আলু রপ্তানি করতে পারত।

রপ্তানি উন্নয়ন বু্যরোর (ইপিবি) তথ্যমতে, বিশ্ববাজারে আলু রপ্তানি শুরম্ন হয় জানুয়ারি থেকে। এই সময়ে মূলত বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্ত্মান আলু রপ্তানি করে। মার্চ মাস থেকে চীনও আলু রপ্তানি শুরম্ন করে। তবে চীন ও ভারতের আলু থেকে বাংলাদেশের আলুর স্বাদ বেশি হওয়ায় ক্রেতাদের আগ্রহ বাংলাদেশের আলুতে। বিশ্ববাজারে উন্মুক্ত কনটেইনারে প্রতি টন আলু ২২৫ থেকে ২৩৫ ডলারে, আর কুল চেইন পদ্ধতিতে ২৮০ থেকে ২৯০ ডলারে রপ্তানি হয়। অন্যদিকে ভারত আলু রপ্তানি করে ১৮৫ থেকে ২১০ ডলারে। তাই বিশ্ববাজারে ভারতের আলু বেশি রপ্তানি হয়ে থাকে। চীনও কমমূল্যে আলু রপ্তানি করে। শুধু স্বাদের কারণেই বেশি দাম দিয়ে বাংলাদেশি আলু কিনছেন ক্রেতারা। বর্তমানে বাংলাদেশি আলুর প্রধান বাজার মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর। মোট রপ্তানির তিন ভাগের এক ভাগ রপ্তানি হয় এই দুই দেশে। এ ছাড়া রাশিয়াও বাংলাদেশি আলুর বড় বাজার।
  • Courtesy: Amadersomoy.com/Jan 21, 2018

Govt 'inaction' behind spread of polythene bags - Greens



Green activists yesterday (Saturday) alleged that the law banning polythene shopping bags has become ineffective due to “inaction” by the government, reports UNB.

At a human chain, they also said the widespread use of polythene bags from shopping malls to kitchen markets gives an impression that the government has forgotten that it has a responsibility to implement the law and check the production and use of non-biodegradable polythene bags.


Poribesh Bachao Andolon (Poba) and 16 other environmental and social organisations formed the human chain before Jatiya Press Club demanding proper implementation of the law.

Poba General Secretary Abdus Sobhan said around 1,200 factories in the country are regularly producing the banned polythene bags. “There are over 300 factories in Old Dhaka alone.”

He also alleged that a number of influential syndicates are involved in polythene bag trading and marketing. Sobhan said the production and use of polythene bags are growing alarmingly for a lack of the government's strong political will. Citing a study, he said over two crores of polythene bags is used only in Dhaka city daily.

The other speakers made a call for alternative bags like jute, paper and clothes-made ones and encouraging people to use those. In 2002, the then government enacted the law banning the production, supply, sale and use of polythene as shopping bags.

However, under the Bangladesh Environment Protect (Amendment 2002) Act 1995, the government in 2007 allowed the production of 55-micron thick polythene for the packaging of garment products, medicine, fish fry, sapling and some other goods and products which virtually contributed to the rise in production and the use of the harmful object.
  • Courtesy: The Daily Star Jan 21, 2018 

Bureaucracy collapsed due to politicization- Dr Akbar Ali Khan

Staff Correspondent


The bureaucracy in the country has collapsed due to its politicisation, eminent economist Dr Akbar Ali Khan said yesterday (Saturday).

“When politics and bureaucracy are mixed and politicians hold the absolute power, bureaucracy cannot work properly,” he said while delivering a public lecture. “Such a politicisation becomes visible during promotions. If you are in the government's good book, then you will get promoted...,” he added.

“Bangladesh is the only country where promotion takes place although there is no vacancy in that post,” said Dr Akbar, a former top bureaucrat.

The Department of Public Administration of Dhaka University organised the lecture on the campus. In the lecture, the former adviser to a caretaker government said politicisation and more than necessary posts in the administration, such as the post of additional secretary, create delay in the administrative work.

Pointing to the provision of the public order that allows the government to sack any official who has served more than 25 years without showing any reason, Akbar said, “In such a situation, it is difficult to make bureaucracy effective.”

About delay in the administrative work, he said a file has to pass eight to nine hands, from the section assistant to the minister, to accomplish a task. As a result, around five additional days get wasted.

“Let's say, all the officials are honest, nobody takes any bribe. But creating five extra posts [in the administration] delays decision making at least for five days,” he said.

The country has more than 600 additional secretaries and every ministry has at least two to three such secretaries. Some even have more than 20, he said. The posts of additional secretary delay the office work in terms of decision-making, he added.

In the lecture, he also stressed the need for reforming the judiciary so that the trial proceedings can be finished swiftly. “The main reason behind the delay in trial proceedings is the British law, which we follow. It is based on lawyers, where one party will win and another will lose. But the lawyers do not want to dispose of the suits,” Dr Akbar said.
  • Courtesy: The Daily Star/ Jan 21, 2018

A few reasons that let rice prices go through the roof

Opinion



NO SIGN of decline in rice prices even after the harvest of the aman began amidst record import of rice remains worrisome. Rice prices shot up in 2017 after heavy rainfall and flooding that had an adverse impact on rice farming. The government is reported to have imported 2.38 million tonnes of rice in the current financial year, said to be the highest keeping to the statistics since 1987 that are available. Yet, this could, as the Trading Corporation of Bangladesh says, hardly change the price situation. The coarse variety of rice, which sold for prices between Tk 35 and Tk 38, now sells for prices between Tk 44 and Tk 46 a kilogram. The medium variety, which sold for prices between Tk 40 and Tk 45, now sells for prices between Tk 48 and Tk 56 while the fine variety, which sold for prices between Tk 48 and Tk 56, now sells for prices between Tk 64 and Tk 68 a kilogram. With the situation continuing for quite some time — the rice import and the harvest of aman failing to create the expected impact on the market, it has left consumers to believe that there has been no one to look after the interest of consumers.

While retailers put the situation down to the low outturn of aman and foggy weather which hampered the drying of the rice that has been harvested, husking mill owners could give out no reason for such high prices as they claim the prices, mainly of the coarse varieties, to have declined on the wholesale market, especially over the past few weeks. The situation as it stands reeks of market manipulation, which the government seems to have failed to stem. While experts say that rice has not been in short supply and there are, therefore, no reasons for prices to keep going up, consumer rights campaigners say that the government has failures in rice market management. As the government has not been able to adequately intervene into the market, rice prices have remained vulnerable to manipulation. This was compounded by the poor stock of rice, which stood at 0.58 million tonnes, as the Directorate General of Food says, in the middle of January. Experts think that the stock should have more than a million tonnes of rice to cushion off any trouble. Rights campaigners also blamed the government’s injudicious move of increasing the procurement price, of aman at Tk 39 from Tk 35 a kilogram, when the rice prices have already been high. This is thought to have sent out a wrong signal for the traders that prompted them to increase prices.


If any of these propositions discussed and debated proves to be true, what it gets down to, in the end, is the government’s failure in rice market oversight and management, and policy and procedural flaws. The government, under the circumstances, must immediately set issues, which have so far been on the wrong track, right to prove its commitment to the citizens. 
  • Courtesy: New Age, Jan 21, 2018

Sand lifting threatens Faridpur river

Correspondent, Faridpur


Illegal lifting of sand from the Chandana river at Char Magchami in Madhukhali upazila poses a threat to agriculture and the people living along the river.

During a recent visit, this correspondent found lifting of sand by a dredger machine was going on and the sand is used in filling a ditch at Badhuli Khalkula Hafezia Madrasa under Jamalpur union in Baliakandi upazila of Rajbari. 

A sand worker, seeking anonymity, said Jamalpur Union Parishad Chairman Younus Ali has been lifting the sand for the last two weeks.

On condition of anonymity, a number of local people said Younus, also President of the madrasa managing committee, has been lifting the sand for the last 15 days which is posing a threat of erosion anytime. “We told the chairman about the river erosion caused by the illegal sand lifting, but he did not pay any heed,” they added.

Refuting the allegation, Younus said he has no idea about who was lifting the sand and will take necessary step to stop it.

Baliakandi Upazila Nirbahi Officer (UNO) Masum Reza said as the area is under the jurisdiction of Madhukhali upazila he informed the UNO concerned.
  • Courtesy: The Daily Star Jan 21,2018

Saturday, January 20, 2018

Religious, Ethnic Minorities: Rise in attacks due to culture of impunity

Staff Correspondent


A culture of impunity and delay in trials for attacks on religious and ethnic minority people were behind the rise in such incidents, eminent rights activist Sultana Kamal said yesterday (Friday).

“The state had to play a strong role in this regard, but it could not carry out the role,” she told a conference at the Jatiya Press Club.

The number of such incidents could have been brought down had the attackers been identified and put on trial immediately, she observed.

Bangladesh Mohila Oikya Parishad, an associate body of Bangladesh Hindu Bouddha Christian Oikya Parishad, organised the second triennial conference.

Rana Dasgupta, general secretary of Bangladesh Hindu Bouddha Christian Oikya Parishad, inaugurated the conference which focused on establishing equal rights of the women from the religious and ethnic minority communities.

According to a recent report of the oikya parishad, more than 30,000 people from these communities became victims of at least 1,004 incidents of violence across the country last year. Of them, over 104 were either murdered or found dead and 325 injured.

Besides, at least 15 women were gang-raped, 18 were raped, and 11 became victims of attempted rape that year, said the report prepared based on newspaper reports.

Terming such communal attacks barbarous, Sultana said, “On average, three incidents of violence took place every day last year. If there was no culture of impunity and delay in trials, such incidents would not have happened.”

The main objective of the country's independence was to ensure the rights of all citizens irrespective of race, religion and cast as mentioned in the constitution, she told the programme while speaking as the chief guest.

“But the religious and ethnic minority people and those having differing views face severe violence from a group of people. It seems Bangladesh has been shrinking gradually [due to the activities of that group].” The minority community members, especially the women, should get united and raise their voice to resist such violence and ensure their rights, said Sultana, also an adviser of a former caretaker government.

Rana Dasgupta said communal forces and militancy have emerged in the country. “Many political parties formed unities with them at different times due to politics of vote.” Even the textbooks have been communalised under pressure from the forces, he complained, adding that thousands of people did not lay down their lives during the Liberation War in 1971 for these reasons.

The Mohila Oikya Parishad President Jayanti Roy, General Secretary Priya Shaha and its former president Sabitri Bhattacharya also spoke, among others.
  • Courtesy: The Daily Star Jan 20, 2018