Search

Sunday, January 28, 2018

এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখ্যান




দেশের ক্ষমতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার সরকার। এই সরকারের শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা শুনে শুনে আমরা যেমন ভারাক্রান্ত, তেমনি সরকার দলীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য নেতা-নেত্রীরাও বোধ করি অবিরাম বলে বলে ক্লান্ত-অবসন্ন। দেশের মানুষের ধারণা এই সরকারের শাসনামলেই মুক্তিযোদ্ধারা প্রকৃত সম্মান-মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছেন, পূর্বেকার সকল সরকারের শাসনামলের তুলনায়। দলীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হলেও অগণিত দলীয় রাজনীতি মুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা ঘটেনি। তারই নির্জলা প্রমাণ সদ্য প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো মো. খলিলুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বচনে-ধারণ ও পালনকারী এই সরকারের শাসনামলে ত্যাগী এই মুক্তিযোদ্ধাকে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মরতে হলো। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপার্জনক্ষম কেউ নেই। একমাত্র ছেলে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স শেষে বেসরকারি ওয়ার্ল্ড ইউনির্ভাসিটিতে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। দুই মেয়েরই বিয়ে হয়েছে। তাই জটিল রোগে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার দেশের শীর্ষ দৈনিক সংবাদপত্র, টিভি মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারের নিকট মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়েও সাড়া পায়নি। সরকার নির্বিকার-নির্লিপ্ত, সাহায্যের হাত বাড়ায়নি।

পরিবারের পক্ষে ব্যয়বহুল চিকিৎসার দায় বহন অসম্ভব বলেই নিরুপায়ে তারা সরকারের সাহায্য কামনা করে, প্রচার মাধ্যমের সহায়তায়। অথচ সরকার কিংবা রাষ্ট্রের ন্যূনতম সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়া গেল না। পরিবারের পক্ষ থেকে সাধ্যানুযায়ী সর্বোচ্চ আর্থিক ব্যয় বহন করলেও, সেটা যথার্থ ছিল না। অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডো মো. খলিলুর রহমান সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে টানা-হেঁচড়ায় প্রায় বিনা চিকিৎসায় গত ৯ জানুয়ারি রাত ৭.০৫ মিনিটে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মারা গেলেন। ক্ষুব্ধ পরিবার সঙ্গত কারণেই মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ প্রত্যাখ্যান করে। এই ঘটনাটি গ্রাম-মফস্বলের ঘটনা নয়। খোদ রাজধানী ঢাকারই ঘটনা।

গত ২০ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের নৌ-কমান্ডো, লেখক-গবেষক মো. খলিলুর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এমআরআই পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন।

এমআরআই পরীক্ষার দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও কাউন্টার অবধি না পৌঁছানোর কারণে তাঁর ছেলে কাউন্টারের ভেতর ঢুকে পিতার মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিলে কর্তব্যরত একজন ধাক্কা দিয়ে তাকে বের করে দরজা আটকে দেন। ছেলেটি উপায়ান্ত না-দেখে পাশের বারডেম হাসপাতালে ছুটে যায়। কিন্তু বারডেমের এমআরআই মেশিন বিকল থাকায় ফিরে আসে। প্রায় চার ঘণ্টা অতিবাহিত হবার পর রোগীর অবস্থার অবনতিতে পরিবারের সদস্যরা নিরুপায়ে রোগীকে নিয়ে ছুটে যায় বেসরকারি পপুলার হাসপাতালে। চারদিন বেসরকারি হাসপাতালের লক্ষাধিক টাকার বিল বহুকষ্টে পরিশোধ করে রোগীকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তির সহায়তা করেন মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক আবু সাঈদ খান। সেখানে থাকাবস্থায় সামান্য উন্নতির লক্ষণ দেখা দিলেও কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে সিসিও-তে রাখার পরামর্শ প্রদান করেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সিসিও না থাকায় এজন্য রোগীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সিসিও-তে ভর্তির জন্য সেখানকার কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিতভাবে ছাড়পত্রে উল্লেখ করেন। দিনমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হতে সকল দায়িত্বশীলদের কাছে ধরনা দিয়েও ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ ভিসিকে ফোনে অনুরোধ করলে পরদিন রোগীকে সিসিও-তে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানে এই মুক্তিযোদ্ধার যথাযথ চিকিৎসার পরিচার্যা লাভ ঘটেনি। চারদিন পর রোগীকে বাসায় নিয়ে যাবার ছাড়পত্র দিয়ে কতর্ব্যরত চিকিৎসকেরা দায়মুক্ত হন।

বাসায় আনার পর হতে রোগীর অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। নিরুপায়ে আবার মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক আবু সাঈদ খানের সহায়তায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির দ্বিতীয় দিনে অবস্থার চরম অবনতি ঘটলে ডাক্তারেরা তাকে আইসিও-তে দ্রুত স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের আইসিও বেড মাত্র দশটি। এবং ঐ দশ বেডে মুমূর্ষু দশজন রোগী থাকায় অগত্যা পরিবারের সদস্যরা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের আইসিও-তে রোগীকে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন এবং হাসপাতালে রোগীকে ভর্তির ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের ভর্তির আনুষ্ঠানিকতায় প্রায় এক ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হবার পর রোগীকে আইসিও-তে ঢোকানো হয়। চিকিৎসকেরা জানান রোগীকে এখনই ডায়ালিসিস না করালে রোগীকে বাঁচানো যাবে না। পরিবারের সম্মতিতে প্রথম ডায়ালিসিসের ধকল বহনের ক্ষমতা তখন আর রোগীর না থাকায় অল্পপরেই রোগী মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো মো. খলিলুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। তার সামগ্রিক চিকিৎসার প্রকৃত চিত্রটি এরূপই বটে।

চিকিৎসার সহায়তার তাগিদে পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে সচিব জানান, মন্ত্রণালয়ের কাজ নীতি-নির্ধারণ বিষয়ক। একমাত্র যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ব্যতীত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় সহায়তা প্রদানের অপশন তাদের নেই। সংবাদ ও টিভি মিডিয়ায় আবেদন-নিবেদনেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এই সরকারের সাড়া পাওয়া যায়নি। সরকারি হাসপাতাল থেকেও যথার্থ সহমর্মিতা চিকিৎসা সেবা লাভও সম্ভব হয়নি। সঙ্গত কারণেই মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অর্নার’ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডো মো. খলিলুর রহমানের পরিবার প্রত্যাখ্যান করেছে। পরিবারের দাবি এতে সরকার যাতে সচেতন হয়, অন্তত অন্য কোনো মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে যেন অনুরূপ ঘটনা না ঘটে সে কারণেই পরিবারের নীরব এই প্রতিবাদ।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নৌ-কমান্ডোদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা চাপা পড়েছে গেরিলা ও সম্মুখ সমরের মুক্তিযুদ্ধের অধিক প্রচারণায়। অথচ বুকে মাইন বেঁধে ডুবুরির বেশে নৌ-কমান্ডোরা চট্টগ্রাম, মংলা বন্দরে নোঙর করা শত্রু জাহাজ উড়িয়ে দিয়েছিল। অপারেশন জ্যাকপট খ্যাত মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কাহিনী কমান্ডো মো. খলিলুর রহমান দৈনিক পত্রিকায়, সাময়িকীতে অবিরাম লিখেছেন। তার ৬টি গ্রন্থ রয়েছে। গ্রন্থগুলো হচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও নৌ-কমান্ডো অভিযান’, ‘মুক্তিযুদ্ধে’, ‘নাবিক ও নৌ-কমান্ডোদের জীবনগাঁথা’, ‘মুক্তিযুদ্ধে নৌ-অভিযান’, ‘সাগর তলে মুক্তিযুদ্ধ’ এবং ‘যুদ্ধে যুদ্ধে স্বাধীনতা’। মুক্তিযুদ্ধে নৌ-কমান্ডোদের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস তার ন্যায় আর কেউ এত ব্যাপকভাবে লিখে যাননি। সেই ইতিহাসের খোঁজে একমাত্র তার রচিত গ্রন্থই একমাত্র সহায়ক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নৌ-কমান্ডোদের ইতিহাস জানতে কমান্ডো মো. খলিলুর রহমানের গ্রন্থসমূহের শরণাপন্ন ছাড়া বিকল্প উপায় নেই।

এই মুক্তিযোদ্ধা অক্টোবর, ১৯৭১-এ মংলা বন্দরের সফল অপারেশনের পর খুলনায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। যশোর সেনানিবাসে চরম বর্বরোচিত নির্যাতনেও মুখ খুলেননি। প্রায় এক মাস চরম নৃশংস নির্যাতনে মুমূর্ষু অবস্থায় বন্দিদশা থেকে সুকৌশলে নভেম্বরে পালিয়ে ভারতে ফিরে সহযোদ্ধাদের সঙ্গে মিলিত হন। সেই নৃশংস নির্যাতনের চিহ্ন আমৃত্য শরীরে বহন করেছেন।

শরীরের ভেতরঙ্গের যে ক্ষতি হয়েছিল বয়সের তারুণ্যে তার প্রতিক্রিয়া তখন না হলেও, বয়স বৃদ্ধির পর ক্রমেই তার কিডনি, ফুসফুস, হৃদযন্ত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। বয়সের ভারে সে ধকল সামলানো আর তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। মাত্র ৬৮ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডো মো. খলিলুর রহমান রাষ্ট্রীয় ও সরকারি কোনো রকম সহায়তা ব্যতিরেকে প্রায় বিনা চিকিৎসায় প্রয়াত হলেন। লজ্জিত-অপমানিত করে গেলেন স্বাধীনতার সুফলভোগীদের এবং হতাশায় ডুবিয়ে দিয়ে গেলেন দেশের সকল মানুষকে। আমাদের স্বাধীনতা যে সমষ্টিগত মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেনি, এই সত্য বারংবার প্রমাণিত হয়েছে। মুক্তি তো সুদূরপরাহত। প্রকৃত স্বাধীনতা যদি সকল মানুষকে স্পর্শ করতে পারতো তাহলে একজন ত্যাগী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে অসহায়ের মতো মরতে হতো না।
  • Courtesy: AmaderShomoy.com/Jan 28, 2018

গ্যান্ট্রি ক্রেনের অভাবে ভোগান্তিতে শিপিং এজেন্টরা





চট্টগ্রাম বন্দরে গ্যান্ট্রি ক্রেনের অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শিপিং এজেন্টরা। প্রতিবেশি দেশগুলোতে ১শ’রও বেশি গ্যান্ট্রি ক্রেন থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরে আছে মাত্র দুটি। কন্টেইনার ওঠানামায় বিভিন্ন ক্ষতির মুখে পড়ছে জাহাজ মালিকরা।

বিশ্বের যে কোনো বন্দরে জাহাজ থেকে কন্টেইনার ওঠানামার জন্য গ্যান্ট্রি ক্রেনের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি গিয়ার ভ্যাসেল যেখানে প্রতি ঘন্টায় মাত্র ১০ থেকে ১৫টি কন্টেইনার ওঠানামা করাতে পারে, সেখানে গ্যান্ট্রি ক্রেনপারে ৩৫টির বেশি।

এছাড়া বন্দরগুলোতে গ্যান্ট্রি ক্রেন স্থাপন করায় বর্তমানে অধিকাংশ জাহাজই গিয়ার লেস। অর্থাৎ জাহাজে কন্টেইনার ওঠানামার ক্রেন থাকছেনা। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরে এক যুগ আগে স্থাপন করা চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেনের মধ্যে দু’টি কয়েক মাস আগে থেকে অচল পড়ে আছে। প্রয়োজনীয় গ্যান্ট্রি ক্রেন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিপিং এজেন্টদের।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, সব দেশে অনেক গ্যান্ট্রি থাকলেও মাত্র দুটি গ্যান্ট্রি দিয়ে আমাদের চলছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত একটি গিয়ার বা ক্রেনবিহীন জাহাজের ভাড়া ৬ থেকে ৮ হাজার মার্কিন ডলার হলেও ক্রেন সংযুক্ত জাহাজের ভাড়া ১২ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। গ্যান্ট্রি ক্রেন স্বল্পতার কারণে বাড়তি টাকায় জাহাজ ভাড়া করার পাশাপাশি শিপমেন্ট হারিয়ে ফেলার শংকায় শংকিত থাকতে হয় তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, সংকট কাটাতে চীন থেকে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেন কিনবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী জুনের মধ্যে নতুন কেনা গ্যান্ট্রি ক্রেনগুলো নিউ মুরিং কন্টেইনার জেটিতে স্থাপন করা হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৬টি জেটি থাকলেও মাত্র একটি জেটিতে গ্যান্ট্রি ক্রেনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে কন্টেইনার ওঠানামা করানো হয়।
  • সূত্র : সময় টিভি

Country’s economic growth not inclusive as disparity growing

Experts say at book launching programme

Staff Correspondent 



Experts on Saturday observed that the economic growth the country had achieved in recent years was not inclusive as economic disparity was growing due to incoherent development thoughts.

Small and medium enterprises are the key force for the future economic growth in Bangladesh but the sector is not getting proper attention in the development policy prevailing in the country, they said at a book launching ceremony at the Dhaka University RC Majumdar Arts auditorium in the capital.

Academic Press and Publishers Library organised the programme for the launch of the book titled ‘Selected Readings on the Strategies for Inclusive Development in Bangladesh’ authored by Dhaka University economics department professor Momtaz Uddin Ahmed.

‘One type of discussion related to economic development is prevailing in the country, but there are some problems in the concept of economic growth as the issue of disparity is totally absent from the development strategy,’ Power and Participation Research Centre executive chairman Hossain Zillur Rahman said.

He said that disparity was also widening in society due to lack of inclusive policy as farmers and small entrepreneurs, the driving forces for the future economic growth in Bangladesh, were not getting proper attention in the development strategy prevailing in the country.

He said that due to lack of proper definition of small and medium enterprises the driving force of the economy was being deprived of policy support while big companies were getting benefits.

‘The problem of defining the SME is not a technical issue. Rather, it is related to political economy,’ Zillur said. He said that the definition stated who would get policy support and the farmers and small entrepreneurs in the country were not strong enough to get the attention of policymakers.

Policy should be taken to enhance productivity of the SME sector as cheap labour can no longer be sold to the international arena as only component of competitiveness of Bangladesh, Zillur said.

‘The word “inclusive” should have to be included in the development strategy of the country, otherwise discrimination will widen,’ he added.
APPL chairman Mizanur Rahman Shelley said without ensuring meaningful life for people the development of infrastructure like buildings and roads is meaningless.

‘The core of the development should be the improvement of people through building a society with values, otherwise the development process will not succeed,’ he said. Shelley, a former political science teacher at the University of Dhaka and an technocrat cabinet minister, said it is unfair and oppressive to be developed eliminating rights of people who are the core of the development.

He suggested an inclusive strategy so that country’s development turns into comprehensive development.

Centre for Policy Dialogue distinguished fellow Mustafizur Rahman said that the articles included in the book written by Momtaz Uddin Ahmed could play a vital role in adopting any future policy for achieving inclusive growth.
The author presented insightful analysis on the challenges of SMEs along with agro-processing industry linkage, he said.

Weaknesses in developing entrepreneurship are also showed in the book and the author has made recommendations for addressing the shortcomings, Mustafiz said.

South Asian Network on Economic Modelling executive director Selim Raihan said based on the recommendations made by Momtaz Uddin Ahmed the government should adopt policy to remove financial and nonfinancial problems the SME sector was currently facing.

The government should play a role in promoting SMEs for the future economic growth as well as diversification of products, he said.
Selim, also a professor of economics at the University of Dhaka, said that employment in the manufacturing sector was decreasing as new technology was replacing workers.

Citing a recent survey, he said that the number of female workers in the readymade garment sector witnessed a drastic fall in recent years and the number declined to 65 per cent from 80-85 per cent. The number of medium enterprises is still huge in the RMG sector and the government should accommodate SMEs in some special economic zones, Selim said.

National Board of Revenue chairman Md Mosharraf Hossain Bhuiyan said the book would help the economics students a lot.

Momtaz Uddin Ahmed also spoke, among others, on the occasion.
  • Courtesy: New Age Jan 28, 2018

Saturday, January 27, 2018

পেছনের সারিতে বাংলাদেশ

*১০টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ইপিআই সূচক তৈরি করা হয়।
*১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৯।
*আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডি তালিকায় বাংলাদেশের নিচে রয়েছে।
*তালিকায় শীর্ষে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড।




পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশের একটি বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণা বলছে, পরিবেশ রক্ষা সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৯। আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত দেশ বুরুন্ডি শুধু এ তালিকায় বাংলাদেশের নিচে রয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত ‘এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স (ইপিআই) ২০১৮’ শীর্ষক এক গবেষণায় পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের এমন করুণ চিত্র উঠে এসেছে।

ইয়েল ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল আর্থ সায়েন্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক এ গবেষণাটি করেছে। গবেষণার ভিত্তিতে প্রতি দুই বছর পর পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন দেশের অবস্থান তুলে ধরতে বৈশ্বিক এ সূচক প্রকাশ করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের তালিকায় ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৩। আর ২০১৪ সালের তালিকায় ১৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৯। অর্থাৎ প্রতিবছরই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে।

মোট ১০টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ইপিআই সূচক তৈরি করা হয়। এগুলো হলো বায়ুর মান, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন, ক্ষতিকর ভারী ধাতু, জীববৈচিত্র্য ও বাসস্থান, বনায়ন, মত্স্য সম্পদ, জলবায়ু ও জ্বালানি, বায়ুদূষণ, পানিসম্পদ এবং কৃষি। ১০টি বিষয়ের প্রতিটিতে প্রাপ্ত নম্বর গড় করে বিভিন্ন দেশের অবস্থানের ক্রমতালিকা বা ইপিআই র‍্যাঙ্কিং তৈরি করা হয়। এবারের তালিকায় বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ২৯ দশমিক ৫৬। ২০১৬ সালের তালিকায় বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ছিল ৪১ দশমিক ৭৭। অর্থাৎ পরিবেশ রক্ষার বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গত দুই বছরে আরও বেশি খারাপ হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় বাংলাদেশের মতো খারাপ অবস্থানে আছে ভারত ও নেপাল। ভারত এ তালিকায় আছে ১৭৭ নম্বরে, নেপাল আছে ১৭৬ নম্বরে। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান সবচেয়ে ভালো। এবারের তালিকায় ৬০ দশমিক ৬১ স্কোর নিয়ে দেশটির অবস্থান ৭০তম। এ ছাড়া মালদ্বীপ ১১১, ভুটান ১৩১, আফগানিস্তান ১৬৮ এবং পাকিস্তান ১৬৯ নম্বরে রয়েছে।

এবারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। দেশটির স্কোর ৮৭ দশমিক ৪২। এ তালিকার শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলোও ইউরোপের। সুইজারল্যান্ডের পর শীর্ষ দশে রয়েছে যথাক্রমে ফ্রান্স, ডেনমার্ক, মাল্টা, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, লুক্সেমবার্গ, অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড। বায়ুর মান ও জলবায়ু সুরক্ষা সূচকে বিশেষ সাফল্যের কারণে সুইজারল্যান্ড তালিকার এক নম্বরে রয়েছে। সাধারণভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষা, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমিয়ে আনায় যেসব দেশ সাফল্য পেয়েছে, তারাই এ তালিকায় ওপরের দিকে স্থান পেয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও ভারত তালিকার নিচের দিকে অবস্থান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বায়ুর মান উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনায় এ দুটি দেশ পিছিয়ে আছে।

বিশ্বে বায়ুর সার্বিক মান সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বায়ুর মান এখন সবচেয়ে বড় পরিবেশগত হুমকি হয়ে উঠেছে। ২০১৬ সালের গবেষণা অনুযায়ী, পরিবেশদূষণের শিকার হয়ে এখন সারা বছর যত লোক বিশ্বে মারা যায়, তার দুই-তৃতীয়াংশ মৃত্যু ঘটে বায়ুদূষণের কারণে। ভারত ও চীনের মতো উদীয়মান শিল্পের দেশে বায়ুদূষণের সমস্যা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে।

জানতে চাইলে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত প্রথম আলোকে বলেন, পরিবেশদূষণ রক্ষায় আইন ও প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই, কিন্তু আইনের প্রয়োগে বড় দুর্বলতা রয়েছে। শুধু সরকার নয়, ব্যক্তি পর্যায়েও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

  • Courtesy: Prothom Alo/Jan 26, 2018

রেলওয়ের অর্ধশতাধিক গাছ উধাও




বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের অফিসার্স কলোনির অর্ধশতাধিক গাছ কোনো দরপত্র ছাড়াই কেটে নেওয়া হয়েছে। কেটে নেওয়া বেশ কিছু গাছের গোড়া এখনো রয়ে গেছে। আলামত গোপন করার জন্য ইতিমধ্যে কিছু গাছের গোড়া তুলেও ফেলা হয়েছে। গাছ কেটে নেওয়ার পর কয়েকটি গাছের গোড়ায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

কর্তৃপক্ষ বলছে, অফিসার্স কলোনির ভেতরের সংস্কারের জন্য মাত্র তিন-চারটি গাছ কাটা হয়েছে। সেই গাছগুলো কলোনির ভেতরেই রাখা হয়েছে। দরপত্রের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু ভেতরে গিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করার মতো তেমন কোনো কাটা গাছ পাওয়া যায়নি। ভেতরের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাটা সব গাছ ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। 

রাজশাহী নগরের শ্রীরামপুর এলাকায় রেলওয়ের এই অফিসার্স কলোনি বেশ কয়েক বছর র‍্যাবের ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় আগে র‍্যাব তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যায়। তারপর থেকে এই কলোনিতে রেলওয়ের কর্মকর্তারা থাকেন। রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী নাজীব কায়সার গাছের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন। এই কলোনির গেটে লেখা রয়েছে, বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ। ভেতরের গাছের অবস্থা দেখার জন্য সহকারী প্রকৌশলী নাজীব কায়সারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য তিন-চারটা গাছ কাটা হয়েছে। বাইরে থেকে অনেক বেশি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এ কথা শুনে তিনি বলেন, মানুষ তো বলার সময় ওই রকম বাড়িয়েই বলে। চারটার কথা শুনলে তারা ৪০টার কথা বলে। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই গাছগুলো কাটা হয়েছে। কাটার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাটা গাছ ভেতরেই রয়েছে। দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। 

কলোনির ভেতরের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একটি চারা কাঁঠালগাছ, আমগাছের কিছু ডাল, মরা পাতা ও একটি শিমুলগাছের গুঁড়ি পড়ে রয়েছে। তখন শিমুলগাছের গুঁড়িটা কেটে দুভাগ করা হচ্ছিল। সাংবাদিকদের ভেতরে ঢুকতে দেখে যে শ্রমিক শিমুলগাছের গুঁড়িটা কাটছিলেন, তিনি চলে যান। এগুলো দরপত্র আহ্বান করে বিক্রি করার মতো কোনো কাঠের গাছ নয়। 

তবে সাম্প্রতিক সময়ে কেটে নেওয়া গাছের গোড়া পাওয়া গেল। কলোনির ভেতরে ৫৫টি গাছ কেটে নেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে কোনো গাছের গোড়া অবিকল রয়েছে। কোনোটির গোড়া মাটি খুঁড়ে তুলে ফেলা হয়েছে। তবে তার পাশেই মোটা শিকড় রয়েছে। আবার কোনো গাছ কেটে নেওয়ার পর গোড়ায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে বোঝা না যায় যে সেখান থেকে গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। কলোনির ভেতরে যেসব কর্মচারী রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাছগুলো প্রায় ছয় মাসের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কাটা হয়েছে। 

এই গাছগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই মেহগনি। এ ছাড়া রয়েছে কয়েকটি নারকেল, পেয়ারা ও আমগাছ। সাম্প্রতিক সময়ে কাটা এই গাছগুলো ছাড়া কলোনির ভেতরে আরও ১৮টি পুরোনো গাছের গোড়া দেখা গেছে। কলোনির ভেতর থেকে বের হওয়ার পর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী নাজীব কায়সারের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলীর মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। 

গাছ কাটার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বন বিভাগের কোনো অনুমতি নিয়েছে কি না, জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রেলওয়ে গাছ কাটার জন্য তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে বলে তাঁর মনে পড়ছে না। তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তির গাছ কাটতে হলে অবশ্যই বন বিভাগের অনুমতি নিতে হবে। সাধারণত উন্নয়নমূলক কোনো কর্মকাণ্ডের ব্যাপার না থাকলে বন বিভাগ থেকে তাজা গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয় না।
  • Courtesy: ProthomAlo an 27, 2018

Punish BCL men for attack on protesters

Demands Chhatra Jote; 'BCL's act tarnished DU image'




Pragatisheel Chhatra Jote, an alliance of leftist student organisations, staged a solidarity rally on the Dhaka University campus yesterday Friday), demanding punishment of Chhatra League activists for carrying out attacks on protesting students and alliance activists at different educational institutions across the country.

Several public university teachers and some leftist political leaders took part in the rally at the foot of Raju Memorial Sculpture.

“The university teachers have forgotten the role of a teacher and have appeared like 'political cadres' and 'bureaucrats'. Had the teachers played their due role, such incidents would not have happened,” said Prof Anu Muhammad, member secretary of the National Committee to Protect Oil, Gas and Mineral Resources, Power and Ports.

He also called upon the university students to stand together against the injustice to overcome the present situation.

Speaking at the programme, Ganasanghati Andolon Chief Coordinator Zonayed Saki said, “The university authorities are supposed to listen to any logical demand of the students. But during some recent incidents, we saw that they kept themselves inside the office and locked the gates to it, obstructing the students from raising their demands.”

He alleged that although the Chhatra League members had once stood for students' logical movements, nowadays they were being used by the university authorities to suppress any logical movement.

President of Communist Party of Bangladesh (CPB) Muzahidul Islam Selim, educationist AN Rasheda, Prof Gitiara Nasreen of mass communication and journalism department and MM Akash of economics department of the DU also spoke at the programme, chaired  by Imran Habib Ruman, convenor of Pragatisheel Chhatra Jote.

On Tuesday, several hundred BCL men from the DU attacked a group of students and leaders and activists of leftist student organisations to “rescue” DU Vice-Chancellor Prof Akhtaruzzaman, who was besieged by the protestors to press home a four-pint demand in front of his office. At least 50 students and two journalists were injured in the attack.

Meanwhile, 46 teachers of different public universities in a joint statement yesterday (Friday) said the photographs and footage of the Tuesday's attack by BCL men saddened them.

“The use of the pro-ruling party student body for suppressing the movement has badly tarnished the image of the university and marred its pride,” the statement reads. The DU authorities didn't play an impartial role in tackling the situation, the teachers added.

They said besieging the VC's office was a conventional programme and locking the main entrance to it to foil the programme was not acceptable since the entrance remained open the following day when a group of BCL men besieged the office demanding expulsion of protesting students.

The teachers demanded withdrawal of cases against the protesting students. 
  • Courtesy: The Daily Star Jan 27, 2018

Tackling Green Issues: Bangladesh 2nd worst performer

Staff Correspondent




Bangladesh has been ranked the second worst country in the world in terms of handling environmental issues, according to the Environmental Performance Index (EPI) 2018. This year Bangladesh has ranked 179, the worst in Asia, out of 180 countries, down from 173 two years ago.

The EPI ranking was published yesterday on the sidelines of the World Economic Forum meet in Davos. Five countries at the bottom of the list are Nepal (31.44), India (30.57), the Democratic Republic of Congo (30.41), Bangladesh (29.56), and Burundi (27.43).

“Low scores on the EPI are indicative of the need for national sustainability efforts on a number of fronts, especially cleaning up air quality, protecting biodiversity, and reducing GHG emissions,” reads the report posted on YaleNews website. It said some countries' low scores could be attributed to weak governance.

The EPI ranking is a bi-annual report produced by researchers at Yale and Columbia universities in collaboration with the World Economic Forum.



The 180 countries were scored on 24 performance indicators across 10 categories, including air quality, water and sanitation, heavy metals, biodiversity and habitat, forests, fisheries, climate and energy, air pollution, water resources, and agriculture.

The report says, “We draw special attention to the issue category of Air Quality. As the dominant source of diseases and disability in our data countries that score poorly in the 2018 EPI on air quality, such as India [Air Quality score of 5.75], China [14.39], and Pakistan [15.69], face a public health crisis that demands urgent attention.” Bangladesh scored 4.12 on air quality.

Switzerland emerged as the leading country in overall environmental performance with a score of 87.42. France, Denmark, Malta and Sweden were in the top five while the United States made it to the 27th rank.

Seychelles ranks as the most-improved country over the past decade, rising from a baseline score of 47.05 to a 2018 EPI score of 66.02, equivalent to a jump of 86 places in the rankings. This improvement springs largely from its commitment to combatting greenhouse gas emissions.

Analysing the environmental trend, the report said the overall global environmental quality was improving, indicating that the global community was moving closer to many of its development goals.

The pace of progress, however, may not be fast enough to achieve the targets outlined in the Sustainable Development Goals and other international objectives, it added.
  • Courtesy: The Daily Star/ Jan 26, 2018

Impunity endures for rights violations in Bangladesh

Shakhawat Hossain



Bangladesh authorities have failed to respond to repeated and serious allegations of secret detentions, enforced disappearances, and extrajudicial killings, denying the abuses instead of holding perpetrators accountable.

The country’s security forces, particularly the DB police, BGB, DGFI, and RAB, have a long history of enjoying impunity for serious violations, says the Human Rights Watch in its annual report released on January 18. In its 643-page World Report, its 28th edition, the Human Rights Watch reviewed human rights practices in more than 90 countries.

The Human Rights Watch (HRW) in its World Report 2018 says the violations of arbitrary arrests, torture, enforced disappearances, and extrajudicial killings by the security forces did not abate in 2017. But the authorities failed to hold security forces responsible for serious human rights violations, put up on its website on January 18 observed.

“It is hard to find a bright spot in Bangladesh’s record on human rights in the past years,” said the report, “Particularly as the country heads into general elections in 2019, it is vital to restore the rule of law, and end all efforts to silence dissent,” says the report.



In domestic rights concerns, scores of Bangladeshis remained victims of enforced disappearances, even as law enforcement authorities continued to target both opposition supporters and militant suspects. Security forces, including members of the army, responsible for serious human rights violations continued, in the main, to be free and unaccountable. Despite evidence of flawed trials and coerced confessions, the High Court upheld the death penalty against nearly 140 members of the Bangladesh Rifles, as the border security force was formerly known, who are accused of participating in a deadly mutiny, killing officers and raping their female relatives.

Civil society groups, including the media, continued to face pressure from both state and non-state actors, while dozens of Bangladeshis were arrested for criticizing the government or the political leadership on Facebook. Law enforcement authorities continued to arrest opposition activists and militant suspects, holding them in secret detention for long periods before producing some in court.

Several others, according to security forces, were killed in “gunfights,” leading to concerns over extrajudicial killings. The report also says scores still remained victims of enforced disappearances.

Despite evidence of flawed trials and coerced confessions, the High Court upheld the death penalty against nearly 140 members of the Bangladesh Rifles, as the border security force was formerly known, who are accused of participating in a deadly mutiny, killing officers and raping their female relatives.
Freedom of expression was severely limited as authorities used overly broad laws to stifle dissent or perceived criticism. The government continued to use Section 57 of the Information and Communications Technology Act (ICT Act) to punish critics, the report goes on to say.

Civil society groups faced pressure from both state and non-state actors, including death threats and attacks from extremist groups, and escalating harassment and surveillance by security forces.

“In May, Bangladesh’s notorious Rapid Action Battalion (RAB) raided a gathering in Dhaka, arrested 28 men, paraded them in front of the media while saying they were gay, and accused them of drug possession,” says the HRW report.

In 2017, there were at least 30 assaults on journalists, including the February murder of Abdul Hakim Shimul, a reporter for the daily Samakal newspaper, while he covered political unrest in Shahjadpur. In August, the journalist Abdul Latif Morol was arrested for satirical reporting of the death of a goat on Facebook.

Although the official government policy is to eliminate child marriage, in February 2017 the government passed a law permitting girls under 18 years of age to marry under special circumstances - effectively eliminating the minimum age for marriage in this exception. 

The government failed to take steps to end discrimination based on sexual orientation and gender identity, the report notes. On the plight of minority community in the country the report says sporadic attacks and threats against religious minorities continued in 2017. The report mentions the incidents of Rangpur’s Thakugao village where a mob of nearly 20,000 looted and burned down over 30 homes in response to rumors that a villager had published a Facebook post defaming the Prophet Muhammad.

On labour rights it says Bangladeshi authorities failed to implement their commitments under the Sustainability Compact in 2017, including amendments to the labor laws governing Export Processing Zones to bring them in line with international standards. In response to protests in December 2016 by garment workers seeking higher wages, factory owners dismissed over 1,500 workers and authorities arrested 38 union leaders and workers on unsubstantiated criminal charges.

Although the government did not refuse Rohingya refugees seeking sanctuary from across the Burmese border, Bangladeshi citizens themselves saw no reprieve in their quest for justice.
Starting in late August, Bangladesh saw over 655,000 Rohingya refugees cross the border from Northern Rakhine State in Burma fleeing a campaign of rape, arson, and killings by the Burmese military that amounted to crimes against humanity. Bangladesh is already host to hundreds of thousands of Rohingya refugees, including about 80,000 who similarly fled to Bangladesh between late 2016 and early 2017. While Bangladesh does not officially recognize the majority of the Rohingya as refugees, the government has allowed those seeking shelter to enter the country.

“Bangladesh deserves credit for not forcibly returning Rohingya refugees, and for doing what it can with strained resources to provide safety for them for the time being,” said Brad Adams, Asia director at Human Rights Watch.

However, it raises concern over recurring plans to move the refugees to uninhabitable islands or to return them to Burma without key citizenship rights and protections remained a concern.

Impunity blamed for communal attacks

Human rights activist advocate Sultana Kamal on January 19 also blamed the culture of impunity and procrastination in law implementation as the key reasons behind the rising incidents of communal violence across the country.

“People have become so aggressive and inhuman that they do not hesitate to kill a person. We observe such thing happens when the culture of impunity spreads out in a society,” she said while speaking as the chief guest at the 2nd Triennial National Conference of Bangladesh Women University Council held at the Jatiya Press Club.

Sultana Kamal, also adviser of the last caretaker government noted that on average about 3 to 5 incidents of communal violence are happening in the country every day. Condemning such acts, she said that if there were proper justice, identification of the criminals and exemplary punishments handed out, such incidents would not have happened.

Talking about the roles of law enforcement agencies, she said the state has failed to play its expected role to ensure security of its people of different religions.

Stating that patriarchal society always tries to dominate women, she also urged women to be aware of their rights and speed up the movement against communal violence.

Why doesn’t govt. punish BCL’s criminals?




Most dreaded and much depised, they belong to the Bangladesh Chhatra League (BCL), the student front of the ruling Awami League, who have earned dubious distinction owing to involvement of some of them in frequent wrangle, extortion, violent crimes like rape, manslaughter and what have you since long. Even during the incumbency of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, who was then Prime Minister, in internecine fratricide over establishing supremacy one faction of the BCL gunned down seven members of the same party on 4 April 1974 in the Surja Sen Hall dormitory of the Dhaka University (DU) campus for the first time in the varsity’s history.

What is more, with Sheikh Hasina herself as the chief guest at the TSC in DU at the founding anniversary of the BCL on 9 January 1992, BCL activist Moniruzzaman Badal was shot dead. Afterwards until recent times some 65 murders have happened on public university and college campuses across the country.

Given that usually members of the proctorial team or police are entrusted with maintaining campus security, but the current administration seems to be depending more on the activists of the pro-Awami League student body for the job. In case of the two latest incidents, the authorities did not call the police, and the BCL men foiled the students’ protests, harassed female students and beat up demonstrators. On 23 January, several hundred BCL men from the DU as well as from outside attacked a group of students and leaders and activists of left-leaning student organisations to “rescue” DU Vice Chancellor Prof Akhtaruzzaman, who was kept confined in front of his office by the protestors. At least 50 male and female students and two journalists were injured in the attack.

The students were demonstrating to press home their four-point demand, including punishment of the BCL men who harassed some female students a few days ago. The demonstrators were staging a sit-in before the VC’s office demanding cancellation of the affiliation of seven colleges with the DU. Earlier on January 15, BCL men foiled another demonstration on the campus, harassed female students and beat up the protest coordinator, before handing him over to the authorities. On that day, Sources at the proctor’s office said that the DU authorities called in the BCL men on both occasions.

What an oxymoron, what a pradox: They are students and simultaneously, to all intens and purposes, criminals. Let alone university teachers, nowhere under the sun teachers are beaten up, but it happened in this wretched country: on 29 August 2015, activists of BCL assaulted a group of Shahjalal University of Science and Technology (SUST), teachers who were protesting the vice-chancellor’s alleged corruption and irregularities. After the attack, Prof Muhammed Zafar Iqbal, noted educationist and a popular science-fiction writer who had played a key role in founding the university 30 years ago, sat in the rain for several hours in protest. His wife Prof Yasmeen Haque, another founding figure of the SUST, was among the teachers who the BCL members assaulted.

Call them by any name extortionists, hooligans, ruffians, mafia, Cosa Nostra, reprobates or hoodlums these armed gangs perfectly fit in all categories of crimes. The Jahangirnagar University (JU) Syndicate expelled BCL leader Jasimuddin Manik. A student had brought an allegation of rape against Manik in 1995 but no action was taken then. This student was involved in more rapes and celebrated his 100th sexual assault.. Rapes did occur in JU and female students were victims, the perpetrators were students, and these students were confident they could act with impunity.

Incontrovertibly a deplorable reality, Bangladesh Chhatra League (BCL), the student body of the ruling Awami League, over the years has degenerated into a horrifying entity which is active in all the public universities and colleges. Violent incidents of killing rivals, gunfights over securing government contracts, swooping upon political rallies of opposition BNP along with police,  sexual misdemeanour etc, resembling savage brutality of trigger-happy bandits, make screaming headlines in the media. When 8 persons are killed and over 400 are injured in the first 7 months of a year in internecine clash among two or more groups of the BCL, as it happened in 2015, it does depict their monstrosity. See a news report in the daily Jugantar dated 4 August 2016.

According to media reports, such incidents have resulted in over 125 deaths in the last eight years with the latest casualty being a BCL activist in Sylhet. The victims include 60 BCL leaders and activists killed in internal feuds and 11 BCL men who died in clashes with rival organisations. The rest 54 are children and common people. The BCL men started to draw widespread condemnation for their unruly behaviour immediately after the AL returned to power in January 2009. [Vide  the Daily Star, July 19, 2017]

To recount the broad daylight murder by BCL varsity students, a pall of gloom still hangs over downtown Dhaka which has not witnessed a similar grotesque political murder of an apolitical innocent young man by a group of varsity students. People still convulse and shudder at the horrifying slaughter of Biswajit Kumar Das, son of Ananta Kumar Das, who hailed from Noria area of Shariatpur district. Activists of the Jagannath University (JnU) unit of the Bangladesh Chhatra League (BCL) hacked to death Biswajit Das at Bahadur Shah Park area in Old Dhaka on 9 December 2012.

Given the attitudinal position of the power that be, we expect the guardians of the BCL will brood over their thoroughly criminalised Frankensteins’ misdeeds and punish them. Therefore, hoping against hopes, we request its political high command to restrain them and punish them because violence breeds violence like domino effect.

Courtesy: Weekly Holiday/Jan 26, 2018

আবু বকরকে কেউ খুন করেনি!

* আট মাস আগে রায় হয়েছে। কেউ জানে না। * ছাত্রলীগের ১০ নেতা-কর্মীর সবাই খালাস। * পুলিশের বিরুদ্ধে তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ। * আপিলের সময়ও পার।




ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আবু বকর ছিদ্দিক হত্যা মামলায় ছাত্রলীগের সাবেক ১০ নেতা-কর্মীর সবাই বেকসুর খালাস পেয়েছেন। আট মাস আগে এই মামলার রায় হয়েছে। কিন্তু আবু বকরের বাবা-মা, এমনকি বাদীকে রায় সম্পর্কে জানানো হয়নি। বাদীর পক্ষে সরকারি কৌঁসুলি এই মামলা পরিচালনা করেন।

সব আসামি খালাস পাওয়ায় কে বা কারা আবু বকরকে খুন করেছে, এই বিচারে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। হত্যাকারী চিহ্নিত করার মাধ্যমে বিচার নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতে আপিল করার যে সুযোগ ছিল, তা-ও রাষ্ট্রপক্ষ নেয়নি। এর মধ্যে আপিলের স্বাভাবিক সময়ও পার হয়ে গেছে। ফলে নিহত ব্যক্তির পরিবার বিচার পাওয়ার অধিকার থেকেই বঞ্চিত রয়ে গেল।

আবু বকর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। তিনি ২০১০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে স্যার এ এফ রহমান হলে সিট দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের সময় আহত হয়ে এক দিন পর মারা যান। ওই সংঘর্ষে ৩০ জন আহত হন। আইন বিভাগের আহত ছাত্র ওমর ফারুক বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।

আবু বকর ছিদ্দিকের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ী গ্রামে। তাঁর মৃত্যুতে সেদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ ছাত্ররা বিক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। কারণ, আবু বকর তৃতীয় সেমিস্টার পর্যন্ত সিজিপিএ-৪-এর মধ্যে ৩.৭৫ পেয়েছিলেন। চতুর্থ সেমিস্টারের ফল বের হওয়ার আগে তিনি খুন হন। ওই বিভাগে তাঁর আগে এমন ভালো ফল কেউ করেননি। আবু বকর বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের সময় গ্রামে গিয়ে কৃষিখেতে কাজ করতেন, প্রতিবেশীদের বাচ্চাকে পড়িয়ে নিজের পড়ার খরচ জোগাতেন। তাঁর বাবা রুস্তম আলী দিনমজুর। মা রাবেয়া খাতুন তিন বছর মাথায় তেল না দিয়ে সেই টাকা ছেলের পড়ার খরচ চালানোর জন্য সঞ্চয় করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে পুরো পরিবারের স্বপ্ন ভেঙে খান খান হয়ে যায়।

মামলায় অপরাধী শনাক্ত করতে না পারার জন্য পুলিশের দুর্বল তদন্তকে দায়ী করেছেন আদালত। ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জাহিদুল কবির গত বছরের ৭ মে দেওয়া রায়ে বলেছেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে মাথার পেছনে শক্ত ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে। কিন্তু আসামিদের কাছ থেকে কোনো অস্ত্র কিংবা এর আলামত জব্দ করা হয়নি। আবু বকরের রক্তমাখা লুঙ্গিকেই পুলিশ মামলার একমাত্র আলামত হিসেবে আদালতে উপস্থাপন করেছে। রাষ্ট্রপক্ষের ২২ সাক্ষীর ১১ জন সাক্ষ্য দিলেও কেউই বলেননি যে আবু বকর আসামিদের ছোড়া গুলিতে নিহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শী প্রায় সব সাক্ষী বলেছেন, ছাত্রদের দুই পক্ষের সংঘর্ষ শুরু হলে পুলিশের ছোড়া টিয়ার শেলের আঘাতে আবু বকর মারা যান। এ তথ্য আবু বকরের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন সমর্থন করে বলে রায়ে বলা হয়।

মামলাটি পুলিশের চারজন কর্মকর্তা পর্যায়ক্রমে তদন্ত করেন। অন্যতম তদন্ত কর্মকর্তা ও জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার রেজাউল করিমের জবানবন্দি উল্লেখ করে রায়ে বলা হয়, ঘটনার সময় শাহবাগ থানার ওসি ২০ থেকে ২৫ জনের দল নিয়ে সেদিন এ এফ রহমান হলে যান। গন্ডগোলের সময় ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করেন। মামলার এজাহারে গুলিবিদ্ধ হয়ে আবু বকর মারা যাওয়ার কথা থাকলেও ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী ভোঁতা অস্ত্রের আঘাতে মারা যান তিনি। আদালত বলেছেন, তদন্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম ঘটনাস্থল থেকে টিয়ার শেলের খোসা কিংবা ভোঁতা অস্ত্র (হার্ড ব্লান্ট ওয়েপন) জব্দ করেননি কিংবা করার চেষ্টাও করেননি।

প্রসঙ্গত, এই তদন্ত কর্মকর্তাই ওই সময় শাহবাগ থানার ওসি ছিলেন এবং আদালতে দেওয়া তাঁর জাবানবন্দি অনুযায়ী, তাঁর নেতৃত্বেই টিয়ার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছিল। মামলার প্রথম তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক এমদাদুল হকও আদালতে বলেছিলেন, সংঘর্ষের সময় পুলিশ বাইরে থেকে রাবার বুলেট ও টিয়ার শেল ছুড়েছে বলে তিনি শুনেছেন। কিন্তু অগ্রগতি প্রতিবেদনে তিনি বলেছিলেন, মামলার এক নম্বর আসামি সাইদুজ্জামানের গুলিতেই আবু বকর মারা যান।

মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্র জমা দেন পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সহকারী পুলিশ সুপার মো. আবদুল হালিম। কিন্তু তিনি আদালতে সাক্ষ্য দিতে যাননি।

মামলার বাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ওমর ফারুক আদালতে বলেছেন, মামলা করার জন্য তিনি থানায় যাননি। কে এজাহার টাইপ করেছেন, তা-ও তিনি জানেন না। তখন তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা তাঁর সঙ্গে হাসপাতালে গিয়ে কথা বলেছেন।

আবু বকর হত্যা মামলার রায় পরিবার ও বাদীকে জানানোর দায়িত্ব রাষ্ট্রপক্ষের। জানতে চাইলে মামলা পরিচালনাকারী সরকারি কৌঁসুলি সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোর কাছে স্বীকার করেন, তিনি কাউকে রায় সম্পর্কে জানাননি। কারণ, কেউ তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আপিল কেন করেননি জানতে চাইলে তিনি বলেন, বাদী কিংবা নিহত ব্যক্তির কোনো আত্মীয়স্বজন আপিল করার জন্য তাঁর কাছে আসেননি। তিনি জানান, এখন আপিল করার সুযোগ নেই, কারণ নির্ধারিত সময় পার হয়ে গেছে।

আবু বকর খুনের মামলায় সব আসামি খালাসের রায়ের খবর জানানোর পর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিচারিক আদালতের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে কেন আপিল করা হয়নি, তা তিনি খোঁজ নিয়ে জেনে যত দ্রুত সম্ভব আইনানুগ ব্যবস্থা নেবেন।

টাঙ্গাইলে অবস্থানরত আবু বকরের বড় ভাই আব্বাস আলীও প্রথম আলোর কাছ থেকে রায়ের তথ্য শোনেন এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন। পরে তিনি ক্ষুব্ধ কণ্ঠে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ভাইয়ের খুনের বিচার পাওয়ার আশায় ঢাকায় গিয়ে আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে এসেছি। অথচ আমরা জানতেই পারিনি, রায় হয়েছে; সব আসামি খালাস পেয়েছে। সরকারের কাছে আমার প্রশ্ন, আবু বকরকে তাহলে কারা খুন করল? আমরা জবাব চাই।’

মামলার তদন্তের বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে মন্তব্য জানতে চাইলে তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক এমদাদুল হক বলেন, ‘তদন্তে যেটুকু তথ্য পেয়েছি, তা আদালতে তুলে ধরেছি।’

মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার আবদুল কাহার আকন্দও মামলার রায় হওয়ার তথ্য জানেন না। জানানোর পর তিনি বলেন, কেন সব আসামি খালাস পেয়েছেন, রায় না পড়ে বলা যাবে না। তবে তিনি জানান, অনেক পরে সিআইডি মামলার তদন্তভার পায়। শুরুতে তদন্ত করেছে থানা-পুলিশ। তাদেরই দায়িত্ব ছিল আলামত জব্দ করা। কেন হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্র বা অন্য প্রয়োজনীয় আলামত জব্দ করা হয়নি, তা তিনি বলতে পারবেন না।

মামলায় খালাস পাওয়া সাবেক ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা হলেন হল শাখার সভাপতি সাইদুজ্জামান ফারুক, মফিদুল আলম খান (তপু), রকিব উদ্দিন (রফিক), মনসুর আহমেদ (রনি), আসাদুজ্জামান (জনি), আলম-ই-জুলহাস, তৌহিদুল ইসলাম খান (তুষার), আবু জাফর মো. সালাম, এনামুল হক (এরশাদ) ও মেহেদী হাসান (লিয়ন)। এঁরা সবাই ঘটনার সময় এ এফ রহমান হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন।

আসামিদের খালাস পাওয়ার বিষয়ে বাদী ওমর ফারুক বলেন, ‘প্রথম তদন্ত প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে আমি নারাজি দিয়েছিলাম। পরে সিআইডি তদন্ত করে। কিন্তু সে তদন্তও ঠিকভাবে হয়নি।’ তিনি বলেন, খালাস পেলেও আবু বকর খুনের দায় ছাত্রলীগের এই নেতারা এড়াতে পারেন না। কারণ, ফারুক ও মেহেদী গ্রুপের ওই সংঘর্ষে আরও ৩০ জন ছাত্র আহত হয়েছিলেন। তাঁদের বিচার কোথায়? তিনি বলেন, ‘আমি বাদী যে আহত হয়েছিলাম, সেই চিকিৎসা সনদও তো পুলিশ আদালতে দেয়নি।’

মামলার প্রধান আসামি সাইদুজ্জামান ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের উপস্থিতিতে রায় হয়েছে। আদালত আমাদের খালাস দিয়েছেন।’ তাহলে আবু বকরকে কারা খুন করল জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আল্লাহ জানেন কে খুন করেছে।’

আলোচিত এই মামলায় পুলিশ ও রাষ্ট্রপক্ষের অবহেলার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক আইনমন্ত্রী শফিক আহমেদ বলেন, আবু বকরের খুনিদের বিচারের মুখোমুখি করার দায়িত্ব পুলিশের। আদালতে তথ্য, প্রমাণসহ অভিযোগ প্রমাণ করার দায়িত্ব রাষ্ট্রপক্ষের। বিচারিক আদালতের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে কেন সংশ্লিষ্ট আইন কর্মকর্তারা আপিল করলেন না, এর জবাব তাঁদের কাছে চাওয়া দরকার। আর রায়ে তদন্তে গাফিলতির কথা বলে থাকলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের জবাবদিহির ব্যবস্থা করা দরকার।

আবু বকর খুন হওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ছিলেন আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। তিনি আবু বকরের পরিবারের সঙ্গে এখনো যোগাযোগ রাখেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের খালাস পাওয়া খুবই দুঃখজনক। আবু বকর তো খুন হয়েছিল, এই খুন কে করল, তা খুঁজে বের করার দায়িত্ব সবারই। এ বিষয়ে তিনি উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপ চান।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান নিহত আবু বকরের বিভাগে তাঁর সরাসরি শিক্ষক। রায়ের তথ্য শুনে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বিচার নিশ্চিত করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ তিনি নেবেন।

আবু বকরের মৃত্যুর ৪২ দিন পর তাঁর চতুর্থ সেমিস্টারের ফল প্রকাশ হয়েছিল। তাতে তিনি যুগ্মভাবে প্রথম হন। ‘এবার প্রথম হয়ে কাঁদালেন বকর’ শিরোনামের সেই খবর তাঁর পরিবারকে তখন আবার শোকের সাগরে ভাসিয়েছিল। শেষ সান্ত্বনার জন্য আদালতের দিকে তাকিয়ে ছিল নিঃস্ব এই পরিবার। কিন্তু গতকাল রায়ের খবরটি জানানো হলে তাদের সব আশা মাটিতে মিশে যায়।

খবর পেয়ে দুপুরে খেত থেকে বাড়ি ফিরে আবু বকরের বাবা রুস্তম আলী নিশ্চুপ বসে ছিলেন ঘরের বারান্দায়। মা রাবেয়া খাতুন ভেতর থেকে কেবল বললেন, ‘আমার নির্দোষ বাবারে যারা হত্যা করল, তাগো বিচার হইলো না! এইডা ক্যামন দেশ!’

Courtesy: ProthomAlo/Jan 26, 2018