Search

Sunday, May 6, 2018

Restore democracy thru free, participatory polls: discussants



Politicians, academics, lawyers and professionals on Friday at a views exchange programme in Dhaka said that all opposition political parties should unite to restore democracy in the country.

At the programme on ‘Rule of law and democracy’ organised by Supreme Court Bar Association at its Shmsul Haque Chowdhury Hall, they said that democratic rule had been absent after the ‘unilateral and voterless’ national election held on January 5, 2014.

Ganaforum president Kamal Hossain, also a jurist, called on opposition parties to unite to wage a movement to compel the government to hold a free, fair and inclusive national election.     

The government seized the voting rights of the people in the national election in 2014 and the people would allow no repetition of such ‘farcical polls,’ Kamal said.

The government also failed to ensure good governance and initiated autocratic rule.

Supreme Court senior advocate Khandker Mahbub Hossain said that the government had destroyed the rule of law. He called on the opposition parties to unite under a platform of ‘Jukta Front’ on the basis of minimum programmes to wage movements.

Zafrullah Chowdhury of Gonoshasthaya Kendra said that the country was being ruled undemocratically in the name of democracy. He called on all the political parties to form a united opposition political platform on the basis of minimum issues.

Senior journalist Mahfuz Ullah said that the Awami League government failed to ensure good governance, introduced the culture of fear and captured the democratic rights of the people. They have also destroyed the judiciary, he added.

Nagarik Oikya convener Mahmudur Rahman Manna said that the government would hold no inclusive, free and fair election and the opposition parties must wage strong movements.

Jurist Shahadeen Malik demanded enactment of a law on appointment of the Supreme Court judges.

Dhaka University law professor Asif Nazrul said that the government did not ensure the democrat rights of the people.

Ganaforum executive president Subrata Chowdhury, also a Supreme Court lawyer said that the democracy in the country would not be reinstated so far the people would not be able to exercise their voting rights.

Lawyer Abdur Razzak Khan, Abdul Matin, among others, took part in the programme, chaired by Supreme Court Bar Association president Zainul Abedin and conducted by its secretary AM Mahbub Uddin Khokan.
  • Courtesy: New Age/May 06, 2018

‘অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সিকিউরিটি সিস্টেমের দুর্বলতায় অশান্ত পাহাড়’

অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও সিকিউরিটি সিস্টেমের দুর্বলতার কারণে পাহাড়ে অশান্তি ও সহিংসতা হচ্ছে বলে মনে করেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন। 
আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, পাহাড় অশান্ত ও সহিংসতার কারণ তাদের নেতৃত্বের ইন্টারন্যাল ক্রাইসিস। পাহাড়ে এখন যে সিকিউরিটি সিস্টেম রয়েছে তার দুর্বলতা। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে মারামারি চলছে। একে অপরকে এলিমেনেট করছে।

তিনি আরও বলেন, পাহাড়ের সিকিউরিটি তো এখন আর সেনাবাহিনীর সিকিউরিটির মধ্যে নেই। সেনাবাহিনীকে তো বিভিন্ন জায়গা থেকে উইথড্র করে নেওয়া হয়েছে। এখন যারা সিকিউরিটি অ্যারেঞ্জমেন্টে রয়েছেন তারা কতখানি পাহাড় সম্পর্কে, পাহাড়ে সিকিউরিটি দেওয়ার ব্যাপারে অভিজ্ঞতা রাখে সেটা দেখার বিষয় । কারণ চিটাগং-হিলট্রেক্স অত্যন্ত ডিফিকাল্ট এরিয়া। সোজা কথায় যারা ওই অঞ্চলের সিকিউরিটি দেয় তারা কতটুকু ক্যাপাবল।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপজেলার একশ গজের মধ্যে পুলিশ, সেখানে এসে মেরে গেল উপজেলা চেয়ারম্যানকে। মৃত এই মানুষটির লোকটির শেষকৃত্য হবে তা তো জানত প্রশাসন। সেখানে কি কোনো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল না? এই প্রশ্নটা থেকেই যায়।

তিনি বলেন, আমি যখন ছিলাম, ওই অঞ্চল সম্পর্কে আমি ভালো জানতাম। কিন্তু এখন যে সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন রয়েছে তাদের তো জানার কথা। কারণ এখন তো মিলিটারি ইনভলবমেন্ট নেই। আগে যেমনটি ছিল সেনাবাহিনী রাস্তা পাহাড়া দিত, চেকপোস্ট বসাত, অস্ত্র খোঁজাখুঁজি করত। এখন এত অস্ত্র কোথা থেকে আসছে, কে আনছে, কে কে দিচ্ছে তা বের করতে হবে বলেও মনে করেন এই নিরাপত্তা বিশ্লেষক।
  • Courtesy: Amader Shomoy/May 6, 2018

Potato prices go thru' the roof

Potato in Dhaka markets has turned 41 percent pricier in a month as a large portion of the tuber was kept in cold storages leaving supplies tight.

Each kilogramme was going for Tk 20-24 yesterday, up from Tk 15-16 a month ago, according to the Trading Corporation of Bangladesh. A week ago the price was Tk 18-22.

“A large amount of potatoes has been kept in cold storages. As a result, supply has fallen,” said greengrocer Emon of Shankar, Dhanmondi. Bangladesh Cold Storage Association estimates that production dropped to 80-85 lakh tonnes this year from, what the Bangladesh Bureau of Statistics (BBS) says, 1.02 crore tonnes last year, as low price-induced losses prompted farmers to shift to other crops.

Of the production, nearly 40 lakh tonnes went to cold storages, said Qamrul Hussain Chowdhury Gorkey, the association's first vice president. Reasoning this for a scarcity in the market, he said prices went up for the recent rains.

“It appears that demand for potato has risen as a section of consumers are buying more of it for prices of other vegetables have increased,” he said, adding, “The recent rainfall has affected various vegetables in the fields.”

Farmers grew potato on 4.92 lakh hectares during the 2017-18 production year, according to the Department of Agricultural Extension. Acreage was 1.4 percent less than the 4.99 lakh hectares of fiscal 2016-17, shows the BBS data.

  • Courtesy: The Daily Star/ May 06, 2018

৯০০ পরিবারের ফ্ল্যাটের স্বপ্ন এখনো অধরা

হেলেমুল আলম

ঢাকায় ভাড়া বাসায় থাকেন এমন প্রায় সবারই স্বপ্ন থাকে এই শহরে নিজের একটি ঠিকানার। এই স্বপ্নেরই নাগাল পেতে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত স্বামী বেতন থেকে ও নিজে টিউশনির আয় থেকে অল্প করে টাকা জমিয়েছিলেন মওদুদা ইয়াসমিন। প্রায় দুই দশক ধরে এভাবেই সঞ্চয়ের পর ভেবেছিলেন স্বপ্নের সেই ঠিকানাটা হয়ত তাঁরা পেতে চলেছেন।

মোহাম্মদপুরের এফ ব্লকে লটারির মাধ্যমে ২০১০ সালে ৯০০ পরিবারের কাছে ফ্ল্যাট বরাদ্দের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। পরিকল্পনা ছিল এর জন্য ১৫টি ভবন নির্মাণ করা হবে। এক হাজার বর্গফুটের প্রতিটি ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ করা হয় ৩৫ লাখ টাকা। লটারিতে এক হাজার বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাটের জন্য নাম ওঠে মওদুদার। দুই ভাগে বিভক্ত স্কিমে মওদুদাকে প্রথমে চার কিস্তিতে ১৮ লাখ টাকা দিতে হয়। বাকি ১৭ লাখ টাকা মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করার কথা।

ব্যাংকে রাখা স্থায়ী আমানত তুলে ও এক আত্মীয়ের কাছে ঋণ নিয়ে শেষমেশ গত বছর নভেম্বরে ১৮ লাখ টাকা পরিশোধ করেন মওদুদা দম্পতি। তিনি জানান, চুক্তিতে ছিল ১৮ লাখ টাকা পরিশোধের পরই জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ তাদের হাতে ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দিবে।

কিন্তু এমনটা হয়নি।
গ্রাহকদের ফ্ল্যাট বুঝিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি ওই ফ্ল্যাটের দাম বাড়িয়ে প্রায় দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বক্তব্য, ফ্ল্যাটের নতুন দাম নির্ধারণ করেছে সরকার। সে কারণেই তাদেরকে দাম বাড়াতে হয়েছে।

এই অবস্থায় বিপাকে পড়েছেন মওদুদা ইয়াসমিনের মত অন্য সব গ্রাহক। পূর্ব নির্ধারিত ফ্ল্যাটের দাম পরিশোধ করতেই তাদের অনেকেই গ্রামের জায়গা-জমি বিক্রি করতে হয়েছে। এখন একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে সাবলেট ভাড়া নিয়ে বাড়তি টাকা জোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে মওদুদাকে।

গ্রাহকদের প্রতিবাদ

হঠাৎ করে ফ্ল্যাটের মূল্যবৃদ্ধির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়ে বরাদ্দ পাওয়া গ্রাহকরা সম্প্রতি ঢাকায় সংবাদ সম্মেলন করেন। এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ কামনা করে তারা প্রধানমন্ত্রী দপ্তরে চিঠিও দিয়েছেন বলে তারা জানিয়েছেন।

মোহাম্মদপুর ব্লক এফ ফ্ল্যাট মালিক সমিতির আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান সেলিম বলেন, সাত বছর পার হয়েছে তবুও আমাদের কাছে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করা হয়নি। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে এই ফ্ল্যাটগুলো হস্তান্তর করার কথা থাকলেও এখন ৩৫ লাখ টাকার এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাটের জন্য ৫৯ লাখ টাকা চাওয়া হচ্ছে। বর্গফুট প্রতি সাড়ে তিন হাজার টাকা দাম হিসাবে ৮০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ করা হয়েছিল ৩০ লাখ টাকা।

কিন্তু জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ এখন প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটের দাম নির্ধারণ করেছে ৪ হাজার ৪০০টাকা। তারা বলছেন, অন্যান্য খরচের পাশাপাশি সিঁড়ি, লিফট ও লবির জন্য বাড়তি খরচ হওয়ার কারণেই ফ্ল্যাটের দাম বেড়েছে। কিন্তু ফ্ল্যাট মালিক সমিতির ওই নেতার বক্তব্য, এসব ‘গোপন খরচ’-এর কথা আগে কোথাও উল্লেখ ছিল না।

তিনি আরও বলেন, গত বছর আমাদের চতুর্থ কিস্তি জমা দিতে বলে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ। তারা জানায়, ১৫টির মধ্যে পাঁচটি ভবনের কাজ শিগগিরই শেষ হবে। ২০১৭ সালের ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যেই ফ্ল্যাট হস্তান্তর হবে এমন কথা অনুযায়ী আমরা টাকা জমা দিয়েছিলাম।

এখন তাদের অভিযোগ, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ সেই কথা না রেখে এখন ফ্ল্যাটের জন্য বাড়তি দাম চাইছে।

জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

যোগাযোগ করা হলে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশলী ও সমন্বয়ক) এসএএম ফজলুল কবির বলেন, সরকার নির্ধারিত ফ্ল্যাটের দর অনুযায়ী তারা দাম বাড়িয়েছেন।

তিনি দাবি করেন, ঠিকাদাররা পাইলিং সংক্রান্ত একটি সমস্যার কারণে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভবন নির্মাণের কাজ শেষ করতে পারেননি। এটাকে কেন্দ্র করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের দীর্ঘ আইনি লড়াই হয়েছে, এতেও প্রকল্পের কাজ পিছিয়েছে। সেই সাথে নতুন নকশা ও নতুন ঠিকাদার নিয়োগ হওয়ায় খরচ বেড়ে গেছে। এর মধ্যে সরকার ফ্ল্যাটের জন্য নতুন দর নির্ধারণ করায় তাদেরকেও দাম বাড়াতে হয়েছে।

ফজলুল কবির আরও বলেন, এবছরের জুনের মধ্যে পাঁচটি ভবনের কাজ শেষ হবে। আর বাকি ভবনগুলোর কাজ শেষ হবে ২০১৯ সালের জুনের মধ্যে। সেই সাথে ফ্ল্যাটের দাম কমানোর জন্য তারা শিগগিরই গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠাবেন।

  • Courtesy: The Daily Star/Bangla/May 05, 2018


পরিস্থিতি অন্য সময়ের চেয়ে ভিন্ন — বিনিয়োগ স্থবির

রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর


খেলাপি ঋণই বাংলাদেশের ব্যাংকব্যবস্থার সংকটের মূল কারণ। কেন ঋণখেলাপি বাড়ছে এবং সরকারের নেওয়া পদক্ষেপ পরিস্থিতি উত্তরণে কতটুকু কার্যকর হবে, তা আলোচনা করা দরকার। ব্যাংকব্যবস্থায় কেন খেলাপি ঋণ হয়? এ বিষয়ে কতগুলো ব্যাখ্যা হাজির করা হয়। এর মধ্যে একটি ব্যাখ্যা কেতাবি অর্থনীতিবিদেরা হাজির করেন। এর মূল বক্তব্য হলো: ব্যাংক ঠিকভাবে গ্রাহক নির্বাচন করতে পারছে না। সে জন্য গ্রাহক যথাযথভাবে কার্যক্ষমতা দেখাতে পারছে না। অতএব ব্যাংকের কৌশলে ভুল আছে। আপাতদৃষ্টিতে বিষয়টি যৌক্তিক মনে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরোপুরি ব্যাখ্যা করে না।


আস্থাহীনতাই স্থবিরতা ও পাচারের কারণ

লক্ষ করা যাচ্ছে, খেলাপি ঋণ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে। তাহলে কী কারণে তা ঘটল? এর একটি ব্যাখ্যা যে বিনিয়োগকারীরা আস্থাহীনতায় ভুগছেন। অন্যদিকে লক্ষ করা যায়, মোট দেশজ উৎপাদনের তুলনায় ব্যক্তি খাতের বিনিয়োগ স্থবির থাকলেও ব্যক্তি খাতে ঋণপ্রবাহ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়েছে এবং আমদানি বেড়েছে অনেক হারে। চলতি অর্থবছরের ফেব্রুয়ারি মাসে ঋণের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৮ দশমিক ৪৯ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে ছিল ১৮ দশমিক ৩৬ শতাংশ। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১৭-১৮ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধ্বের মুদ্রানীতিতে ব্যক্তি খাতে ঋণপ্রবাহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে আমদানি ব্যয় গত বছরের একই সময় থেকে ২৬ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়ে ৩৫ দশমিক ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে লেনদেনের ভারসাম্যে ৯৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঘাটতি দেখা দিয়েছে, যেখানে গত অর্থবছরের প্রথম আট মাসে লেনদেনের ভারসাম্যে উদ্বৃত্ত ছিল ২ হাজার ৪৪৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


এর সঙ্গে পুঁজি পাচারের বিষয়টি মেলালে পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করা সহজতর হয়। তার মানে পরিষ্কারভাবে লক্ষ করা যাচ্ছে, বাংলাদেশে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির মূল কারণ অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সংকোচন (বিনিয়োগ স্থবির হওয়া) এবং রাজনৈতিক কারণে আস্থাহীনতা। সাম্প্রতিক সময়ের হিসাব, বিশেষ করে গ্লোবাল ফিন্যান্সিয়াল ইনটিগ্রিটি (জিএফআই) বলছে, বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ পুঁজি বা অর্থ পাচার হচ্ছে এবং ক্রমাগত এর পরিমাণ বাড়ছে। তার মানে, অভ্যন্তরীণ খাতে বিনিয়োগ হচ্ছে না, কিন্তু বিদেশে চলে যাচ্ছে। আবার অন্যদিকে বিভিন্ন প্রকল্পে, বিশেষ করে মালয়েশিয়ার সেকেন্ড হোম প্রকল্পে বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ বাড়ছে। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, এরই মধ্যে ৩ হাজার ৫৪৬ বাংলাদেশি মালয়েশিয়ায় সেকেন্ড হোম গড়েছেন। শুধু মালয়েশিয়ার নয়, সিঙ্গাপুর, কানাডা, অস্ট্রেলিয়াসহ অন্য দেশে বাংলাদেশিদের পাচারের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুইস ব্যাংকের সাম্প্রতিক হিসাব একই কথা বলছে। তার মানে, যখন আস্থাহীনতা থাকে, তখন ব্যাংকব্যবস্থা থেকে যেমন একধরনের পুঁজির পাচার ঘটে ও খেলাপি ঋণের পরিমাণ বাড়ে এবং অন্যদিকে নতুন বিনিয়োগকারী তৈরি হয় না আর ব্যাংক থেকে ঋণও নিতে চায় না। অর্থাৎ দেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বৃদ্ধির সঙ্গে ঋণযোগ্য টাকার (তারল্য বা অলস টাকা) বেড়ে যাওয়ার সংকটও দৃশ্যমান হয়। কাজেই এটা পরিষ্কার যে এখানে আস্থাহীনতা অন্যতম কারণ। আস্থাহীনতার কারণে যেহেতু অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে অনিশ্চয়তা থাকে, সে জন্যই ব্যাংকব্যবস্থার এই সংকট হয়েছে। তখন লুটপাটও বেড়ে যায়, বেড়ে যায় প্রকল্প খরচও। এসবই দৃশ্যমান। 


পরিস্থিতি অন্য সময়ে চেয়ে ভিন্ন

অর্থনীতিবিদদের কেউ কেউ বলে থাকেন, দেশে ব্যাংকের আধিক্য আর্থিক খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে। ছোট ও দুর্বল ব্যাংক একীভূতকরণ বা অধিগ্রহণের মাধ্যমে ব্যাংকের সংখ্যা কমানো সমস্যা নিরসনে সহায়ক হবে বলে তাঁরা মত দেন। কিন্তু এ কথা ভুলে যাচ্ছেন, ব্যক্তি খাতে এমন কোনো আহাম্মক নেই, যিনি লাল বাতি জ্বলা ব্যাংক কিনতে যাবেন। সারা পৃথিবীতে ‘বেল আউট’ সরকারকেই করতে হয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে ছোট ও দুর্বল ব্যাংককে ‘বেল আউট’ না করে বন্ধ করে দেওয়াই সমীচীন।


তাঁরা বলেন, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোকে ব্যক্তিমালিকানায় আনা গেলে খেলাপি ঋণের সমস্যা থেকে উত্তরণ ঘটবে। কারণ, রাজনৈতিক বিবেচনায় বেশিসংখ্যক লোক পরিচালনা পর্ষদ বা ব্যবস্থাপনায় থাকতে পারবে না। একসময় তাঁদের কথামতোই বিশ্বব্যাংক থেকে ঋণ করে বড় বড় সংস্কার কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছিল। আর্থিক খাতের সংস্কারে বলা হয়েছিল, ব্যক্তি খাতে ব্যাংক বাড়লে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে এবং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সুদের হার কমে যাবে। কিন্তু প্রতিযোগিতায় সুদের হার তো কমছে না; এটি না কমার অন্যতম কারণ খেলাপি ঋণের বেশি পরিমাণ। অর্থাৎ খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেশি থাকলে সঞ্চিতি বা প্রভিশনিং বেশি রাখতে হয়। ব্যাংকের ব্যয় আরও বেড়ে যায়। এ কারণেও সুদের হার কাঙ্ক্ষিত হারে কমছে না। এই দুটি ব্যাখ্যার কতক অংশ ঠিক বটে, কিন্তু কোনোভাবেই বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণে সহায়ক নয়। তাহলে এমন কী হলো, যে জন্য দেশের বর্তমান পরিস্থিতি অন্য সময় ও অবস্থানের চেয়ে ভিন্ন মাত্রার?


প্রাতিষ্ঠানিক সংকট ও পরিবারতন্ত্র

প্রাতিষ্ঠানিক সংকটাপন্নতাই সুদের হার বেশি হওয়ার মূল কারণ। ব্যক্তি খাতের ব্যাংকগুলোতেও রাজনৈতিক কায়দায় পরিচালনা পর্ষদ গঠন করা হচ্ছে। ব্যাংক স্থাপনে রাজনৈতিক লোকদের অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের নিয়মনীতির ক্ষেত্রেও বড় ধরনের অসুস্থ সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিশেষ করে পরিচালনা পরিষদের সদস্যদের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৮ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইনের সংশোধনীর মাধ্যমে এক পরিবারের দুজনের পরিবর্তে সর্বোচ্চ চারজন সদস্য কোনো ব্যাংকের পরিচালক হতে পারবেন। এর মধ্য দিয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোয় পারিবারিক কর্তৃত্ব আরও সংহত করা হয়েছে। আরও বেশি সময় পদ ধরে রাখারও সুযোগ পাবেন তাঁরা। টানা দুই মেয়াদে ছয় বছরের বদলে কোনো পরিচালক টানা তিন মেয়াদে নয় বছর পরিচালক হিসেবে থাকতে পারবেন। আর সঙ্গে সঙ্গে যোগ হয়েছে, একই পরিবারের বহু ব্যাংকের মালিকানা। ওই পরিবারগুলো আবার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণের ঋণগ্রহীতা। ঝুঁকির এ ধরনের বড় নজির পৃথিবীতে নেই।


ব্যাংকে তথাকথিত মালিকানা বিষয়ে বিভ্রান্তিমূলক ধারণা প্রচলিত আছে। বিষয়টি খোলাসা করা যাক। নিঃসন্দেহে ব্যাংক একটি কোম্পানি। কিন্তু তা যেকোনো সাধারণ কোম্পানির মতো নয়। সাধারণ কোম্পানিতে পুঁজির জোগান উদ্যোক্তারা ও শেয়ারহোল্ডাররা দিয়ে থাকেন। শুধু কার্যকর পুঁজি (ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল) ব্যাংকব্যবস্থা থেকে নেওয়া হয়। কিন্তু ব্যাংকের ক্ষেত্রে এটা ব্যতিক্রম। এখানে উদ্যোক্তা বা শেয়ারহোল্ডারদের পুঁজির তুলনায় ব্যাংকগুলো যে পরিমাণ ঋণ দেয় বা বিনিয়োগ করে, তার অংশ খুবই কম। আমানতকারীরা অধিকাংশ অর্থের জোগান দেন। তার মানে, ব্যাংকের মালিকানা যার হাতেই থাকুক না কেন, এটি আসলে আমানতকারীর প্রতিষ্ঠান। মূলত, সে জন্য রেগুলেশন বা পরিচালনের ধরন ভিন্ন হওয়ার দাবি রাখে। কিন্তু দুঃখের সঙ্গে লক্ষণীয় যে পরিচালনের ক্ষেত্রে বড় ধরনের ব্যর্থতা বিদ্যমান। নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের ব্যাংকগুলোকে আমানতকারীর প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পারেনি। ব্যাংকব্যবস্থার বিভিন্ন দোষ-ত্রুটি উপস্থাপন করলেও গণমাধ্যমও বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারেনি। এখনো জনমনে এ ধারণা প্রতিষ্ঠিত করা যায়নি যে ব্যাংক আর দশটি প্রতিষ্ঠানের মতো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান নয়; এটি আমানতকারীর প্রতিষ্ঠান। কাজেই আমানতের খেয়ানত করার অধিকার কারও নেই। সে জন্যই ব্যাংকের ক্ষেত্রে অধিক পরিমাণে নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা যুক্তিসংগত। কিন্তু তা বর্তমানে দৃশ্যমান নয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অনেকেই এখনো ব্যক্তি খাতে ব্যাংকগুলো ছেড়ে দিলে খেলাপি ঋণ ও সুদের হার কমে যাবে—এ ধরনের ভ্রান্ত তত্ত্বের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

  • ড. রাশেদ আল মাহমুদ তিতুমীর অধ্যাপক, উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং চেয়ারপারসন, উন্নয়ন অন্বেষণ
  • কার্টেসি — প্রথম আলো/ এপ্রিল ৬, ২০১৮। 

নৌকা এবার তলিয়ে যাবে — মাহমুদুর রহমান মান্না



নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীককে ফেল (হারানো) করাতে হবে। । আর ভাসবে না। এ জন্য সবাইকে এক হতে হবে।

শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ির এলাকার এক কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় মাহমুদুর রহমান এসব কথা বলেন। ‘চলমান রাজনীতি, আগামী নির্বাচন জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক ঐক্যের চট্টগ্রাম জেলা শাখা। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন।

আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যদি নির্বাচন হয়, তাহলে সেটিও কি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো হবে? দেশে কি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আছে? মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষ অপেক্ষায় আছেন। তাঁরা সুযোগ পেলে দেখিয়ে দেবেন।

বিএনপি নির্বাচনে আসার সম্ভাবনায় আওয়ামী লীগ নিজেদের বিপদগ্রস্ত মনে করছে বলে মন্তব্য করেছেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা সবাই বিপদগ্রস্ত। আওয়ামী লীগও বিপদগ্রস্ত। কেননা বিএনপির নেতারা বলছেন, বিএনপি এবার নির্বাচন করবে। ফলে আওয়ামী লীগে কাঁপন শুরু হয়েছে। সরকার দলের নেতারা যখন জোরেশোরে কথা বলা শুরু করেছেন, তখন বুঝবেন তাঁরা ভেতরে ভেতরে কাঁপছেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সরকার নির্বাচন করতে চায় বলে মন্তব্য করেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। দেশে মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঢাকা-চট্টগ্রাম শহর ডুবে যায়। এখন সর্বাত্মক লুটপাটের রাজনীতি চলছে।

কোটা সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন মাহমুদুর রহমান। দেশে বিভিন্ন ধরনের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ন্যায়সংগত কথা বলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে একরকম গলাধাক্কা দিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই রকম পরিস্থিতি আর কখনো হয়নি।

Khaleda Zia's sentence a 'political ploy': Lord Carlile

by David Bergman 


Senior UK lawyer and defence legal team member says prosecution of imprisoned BNP chairperson lacked adequate evidence.


Dhaka, Bangladesh - The jailing of the leader of Bangladesh's main opposition party, currently serving a five-year sentence for fraud, is a "political" ploy without adequate evidence to justify prosecution, a senior UK lawyer has said.

Lord Alex Carlile QC, a member of the legal team of Khaleda Zia, chairperson of the Bangladesh Nationalist Party (BNP), says he had "not seen any evidence whatsoever that could justify prosecuting Begum Khaleda Zia, let alone convicting her" following a review of all the "relevant" documents.

"I have seen absolutely nothing to suggest that this client has been involved in any fraud," Lord Carlile told Al Jazeera.

"There is going to be an election at the end of year. It seems plain to me given that there is no evidence against her, there must be a reason for her to be arrested in this way and the only one that could be produced, beyond there having been a rather major and inexplicable mistake, is that the government doesn't want her to be campaigning during the election."

Zia, who served two terms as prime minister from 1991-96 and again from 2001-2006, was sentenced on February 8 to five years' imprisonment over her alleged embezzlement of funds meant for the Zia Orphanage Trust.

The court also convicted Tarique Rahman - Zia's elder son - and four others of corruption, sentencing each to 10 years in jail.

The six were accused of embezzling over Tk 21 million ($252,000) of a donation to the trust.

The BNP has said its participation in Bangladesh's upcoming elections, scheduled to be held in December, is reliant on the provision of a free and fair vote and Zia's release.

Anisul Huq, Bangladesh's law minister, refused to comment on Carlile's allegations.

"I will not respond to that. It is a judgment of the court," Huq said in response to an Al Jazeera request for a government response.

Huq has previously criticized the BNP for hiring Carlile, saying it was "sad" the opposition party had hired him as he "had given negative statements regarding our International Crimes Tribunal" and "provided legal aid to Jamaat-e-Islami party leaders".

Bangladesh's War Crime Tribunal, which was set up to punish those accused of committing atrocities during the country's 1971 liberation war, has handed out capital punishments to a number of senior leaders of Jamaat-e-Islami and the BNP.

Carlile, however, has denied representing Jamaat-e-Islami, an ally of the BNP, and said it was "slander" to suggest he had.

Courtesy  —  https://www.aljazeera.com 

আসিফ নজরুলকে হত্যার হুমকি


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও কলামিস্ট আসিফ নজরুলকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন রাশেদ খান মেননের দলের ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রমৈত্রী) প্রাক্তন সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু।
এই নিয়ে শনিবার সকালে তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

ফেসবুকে আসিফ নজরুল লিখেছেন - আমাকে প্রকাশ্যে মারার ঘোষনা দিয়েছে রাশেদ খান মেননের দলের ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রমৈত্রী) প্রাক্তন সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জের ধরে এর সংগে সংহতি জানানো ব্যক্তিদের ফেসবুকে কটুবাক্য করেছিলেন তিনি। এ’নিয়ে ফেসবুকে অন্যদের সংগে আলাপের এক পর্যায়ে আমার নাম উল্লেখ করে প্রকাশ্যে এই হুমকি দেয়া হয়। আমার অবাক লাগছে এটা ভেবে যে, কি অবলীলায় এদেশে এখন প্রকাশ্যে একজনকে মারার হুমকি দেয়া যায়!

এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ মে অজানা এক লোক মুঠোফোন থেকে তাঁকে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আসিফ নজরুল ওই দিন বিকেলে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।



সে সময় আসিফ নজরুল জানান, তাঁর মুঠোফোনে একটি কল আসে। মুঠোফোনে তাকে টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিতে নিষেধ করে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘সরকারের সমালোচনা করেন কেন?’ এর পর টক শোতে অংশ নিলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

উৎস —  Dr. Asif Nazrul 

Saturday, May 5, 2018

Gun attack kills 5 in Rangamati

Gunmen open fire on mourners of slain upazila chairman; leader of a UPDF faction among dead, 7 injured








Just a day after the killing of Shaktiman Chakma, chairman of Naniarchar Upazila Parishad in Rangamati, another five people were shot dead in the hill district yesterday.


The five, including a Bangalee driver, were on a microbus full of political leaders and activists headed for Hugurmara area of the upazila to attend the funeral of Shaktiman.

Unidentified gunmen ambushed them in Betchhari area around 12:15pm, also leaving seven others injured.

Tapan Jyoti Chakma, 50, alias Borma, president of UPDF (Democratic); Sujon Chakma, 28, general secretary of Mohalchhari unit Pahari Chhatra Parishad (PCP), and Pronok Chakma, 23, a member of Jubo Samiti, died on the spot.

Setu Chakma, 30, another member of Jubo Samiti, and driver Md Sajit, 32, died on their way to hospital. 

With Shaktiman and yesterday's five, at least 17 people were killed in Khagrachhari and Rangamati over the last six months. Of them, nine were from UPDF, two from PCJSS-MN Larma, four from UPDF (Democratic), and one was a UPDF supporter.

UPDF (Democratic) is a breakaway faction from the United Peoples Democratic Front (UPDF), a political party of hill people opposing the CHT Peace Accord of 1997.

Shaktiman was a vice president of PCJSS-MN Larma, a group which,according to sources, recently formed an alliance with the UPDF (Democratic).

PCJSS-MN Larma came into being after Santu Larma-led Parbatya Chattagram Jana Samhati Samiti (PCJSS), which had signed the peace accord with the government, split during the past caretaker rule in 2007-08. 

Following the killing of Shaktiman, his fellow activists said it was  an act of the UPDF, an allegation the party has rejected.

About yesterday's shooting, Rangamati SP Alamgir Kabir said, “The victims came under attack as they were going to attend the funeral of the slain Naniarchar chairman.”

Jimit Chakma, a member of UPDF (Democratic), who was in another vehicle behind the microbus, told The Daily Star that the miscreants had taken position on a roadside hilltop and opened fire from there.

First, the driver got shot and he lost control over the wheels, he said. “Later, the gunmen came down from the hilltop and fired at others on the microbus.”


Some 12 passengers were on the microbus, going to Hugurmara from Khagrachhari, said Jimit, known as a close aide to Tapan Jyoti Chakma.

The injured are Kriti Bikash Chakma, vice president of Rangamati unit of PCJSS-MN Larma, and its members Sumonto Chakma, 38, Ashim Chakma, Nitimoy Chakma, 30, Digonto Chakma, 25, Dipu Chakma, 30, and Kalomoy Chakma. They were taken to Chittagong Medical College Hospital. 

No cases were filed over the killings of last two days, said Abdul Latif, officer-in-charge of Naniarchar Police Station. 

Meanwhile, the funeral of Shaktiman Chakma was held at Huugurmara village in Naniarchar yesterday, while the Chittagong Hill Tracts (CHT) Commission strongly condemned the killing which took place in broad daylight. 

In a statement, signed by its co-chairs Sultana Kamal, Elsa Stamatopoulou and Myrna Cunningham Kain, the Commission also called upon the local administration and the government to take measures to stop recurrence of such incidents.

“In recent days, incidents of killing and kidnapping have taken place in Chittagong Hill Tracts. But no news of arrest has been heard in this connection,” it said, seeking exemplary punishment of those responsible.

POLITICS OF FACTIONS

Though the situation in the hills was relatively calm for the last three years following a “secret meeting” of UPDF and PCJSS, violence returned after the rise of the UPDF (democratic), local political activists claim. 

On November 15, 2017, the faction announced its separation from UPDF at a press conference in Khagrachhari. 

However, Onggo Marma, general secretary of Ganotantrik Juba Forum, the youth wing of UPDF, claimed that members of the so-called faction were actually expelled from the main party for breaches of discipline. This is nothing new in the CHT. Among numerous other troubles, intra-party conflicts have long been an issue in the hills. PCJSS founder Manabendra Narayan Larma, popularly known as MN Larma and a leading proponent of the Jumma people's rights, was killed in an attack by a splinter group of his organisation on November 10, 1983. 

On December 2, 1997, under the leadership of MN Larma's younger brother Santu Larma, PCJSS signed the CHT Peace Accord that a large group of students of the hill districts refused to accept, leading to the formation of UPDF.

Conflicts continued between PCJSS and UPDF until the beginning of 2015, when a resolution was finally reached following the “secret meeting”. By this time, hundreds of activists had already been killed. Besides, during the last caretaker rule, PCJSS split and PCJSS-MN Larma established control over Khagrachhari district and three to four upazilas of Rangamati. 

Enmity ensued between the two factions.On November 15, 2017, the UPDF (Democratic) was formed under the leadership of Tapan Jyoti.

'A DESTRUCTIVE ROAD'

Amid incidents like killings and abductions, the feuding groups keep pointing fingers at one another. Doya Sona Chakma, one of the two Hill Women Federation leaders who returned home in late April around a month after being kidnapped, alleged that UPDF (Democratic) members had picked them up.

The Hill Women Federation is an associate organisation of UPDF. But Shyamol Chakma, member secretary of UDPF (Democratic), rejected the allegation and said the abduction was a result of the UPDF's internal feud. 

Sajib Chakma, the PCJSS central publicity spokesperson, said, “More than three hundred supporters and leaders of PCJSS had been killed over internal feud in the CHT after the peace accord. If the accord is fully implemented the conspirators would never get the chance to create anarchy in the CHT.” 

Michael Chakma, spokesperson for UPDF, said around 280 leaders and activists of his organisation were killed over internal political feud in the CHT after the peace accord. 

He added they wanted unity.“We lost around 12 activists and a leader of our group [PCJSS-MN Larma] after 2007,” said Sudha Khar Tripura, spokesperson of the faction. 

Goutam Dewan, president of CHT Nagorik Committee, said, “Such types of endless killings will never bring good in the CHT and we would not let it continue any longer. “We are paving a destructive road made of internal conflict and it must be stopped as soon as possible in the CHT.
  •   Courtesy: The Daily Star/May 5, 2018

Yaba 'godfather,' sibling held in Ctg

CMP seizes 13 lakh pills; says one brother has 'ties with Myanmar drug dealers'

Detectives seized 13 lakh yaba tablets, worth Tk 45 crore, from a flat in Chittagong city's Halishahar and arrested two siblings in this connection early yesterday.

Acting on a tip-off, a team of detectives raided the flat of Ashraf Ali, 47, who returned home from Saudi Arabia last year, on the fourth floor of a building in Shyamoli Residential Area around 2:30am, reports our Chittagong correspondent.

Moinul Islam, assistant commissioner of DB (West) of Chittagong Metropolitan Police, said they arrested Ashraf and his brother Md Hasan, 22, hailing from Teknaf in Cox's Bazar. Based on their information, police recovered 3 lakh yaba pills from the flat and 10 lakh from their car at parking space.

This is the biggest ever haul of yaba pills seized by the CMP, said Additional Deputy Commissioner (Port) Abu Bakar Siddique.

A case was filed with Halishahar Police Station in this connection.

In January 2016, Rapid Action Battalion seized 27.5 lakh yaba tablets from a trawler in the deep sea, around 100 miles north of Patenga.

In three other drives in Dhaka and Satkhira, one lakh more yaba pills were seized and seven more people were arrested.

Chittagong police said Ashraf, who worked at his elder brother's shop in Saudi Arabia from 1998 to 2017, got acquainted with Myanmar national Abdur Rahim at that time.

Rahim later introduced him to another yaba dealer from Myanmar named La-mim, who trained Ashraf in smuggling yaba into Bangladesh.

“Ashraf has become one of the godfathers in yaba syndicate and maintained strong ties with the Myanmarese yaba dealers,” said AC Moinul.

During primary interrogation, Ashraf admitted that he had already smuggled two or three consignments of yaba pills into Bangladesh from Myanmar through sea routes with the help of Rahim and La-mim.

Police suspected that he had amassed huge wealth and properties illegally.

Ashraf used to pay the Myanmar yaba syndicate via hundi, an illegal money transfer system, and sometimes on credit, AC Moinul said, adding that he also used to sell the yaba pills to different syndicates in Dhaka.

The police official said they were trying to find the yaba syndicates in Chittagong and Dhaka.

Ashraf returned to Bangladesh from Saudi Arabia in October last year and started the illegal business.

He earlier went to Myanmar by air twice or thrice; had a meeting with La-mim and smuggled into yaba consignments with the help of a “third party”, said Moinul.

“On April 7, Ashraf again left Dhaka for Yangon in Myanmar by air and held a meeting with La-mim there,” said AC Moinul, adding that during the meeting, Ashraf had a deal with the drug dealer and collected the 13 lakh yaba tablets.

“Though Ashraf went to Yangon by air, he returned to Bangladesh by sea along with the yaba pills,” said the police official.

As the sea was rough, he delayed his sea voyage for days and finally left Myanmar border on April 30 by a trawler. After six hours of journey, the trawler with the yaba pills reached St Martin's Island, said the police official, quoting Ashraf.

Ashraf then shifted the pills to a speedboat and started his journey to Chittagong. He brought the pills to Sitakunda on May 2, he added.

In Dhaka, Department of Narcotics Control (DNC) officials in two drives arrested four alleged drug peddlers, including two former private university students, with 80,000 yaba pills in Postogola area and Old Dhaka yesterday.

The students -- Imranul Haque, 25, and Taijul Khan, 27, are involved in the yaba trade for making a quick buck, DNC Director (operations) Syed Towfique Uddin Ahmed told a press briefing.

They were arrested along with 60,000 yaba tablets in Postogola area.

As Imranul's ancestral home is in Teknaf, he used to bring yaba tablets from there, the DNC official added.

Two other drug peddling suspects Shahidul and Irin were held from Old Dhaka with 20,000 yaba pills.

In another incident, detectives in a raid seized 20,000 yaba pills and arrested three suspected drug peddlers Abdus Sattar, Nazrul Islam and Sagar in Satkhira town yesterday.

  • Courtesy: The Daily Star /May 5, 2018