Search

Sunday, May 6, 2018

নৌকা এবার তলিয়ে যাবে — মাহমুদুর রহমান মান্না



নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীককে ফেল (হারানো) করাতে হবে। । আর ভাসবে না। এ জন্য সবাইকে এক হতে হবে।

শনিবার বিকেলে চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ির এলাকার এক কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত আলোচনা সভায় মাহমুদুর রহমান এসব কথা বলেন। ‘চলমান রাজনীতি, আগামী নির্বাচন জনগণের প্রত্যাশা’ শীর্ষক এ আলোচনা সভার আয়োজন করে নাগরিক ঐক্যের চট্টগ্রাম জেলা শাখা। এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের চট্টগ্রাম জেলার আহ্বায়ক সোহরাব হোসেন।

আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব আছে উল্লেখ করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, যদি নির্বাচন হয়, তাহলে সেটিও কি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো হবে? দেশে কি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ আছে? মানুষের ভোট দেওয়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। মানুষ অপেক্ষায় আছেন। তাঁরা সুযোগ পেলে দেখিয়ে দেবেন।

বিএনপি নির্বাচনে আসার সম্ভাবনায় আওয়ামী লীগ নিজেদের বিপদগ্রস্ত মনে করছে বলে মন্তব্য করেছেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আমরা সবাই বিপদগ্রস্ত। আওয়ামী লীগও বিপদগ্রস্ত। কেননা বিএনপির নেতারা বলছেন, বিএনপি এবার নির্বাচন করবে। ফলে আওয়ামী লীগে কাঁপন শুরু হয়েছে। সরকার দলের নেতারা যখন জোরেশোরে কথা বলা শুরু করেছেন, তখন বুঝবেন তাঁরা ভেতরে ভেতরে কাঁপছেন।’

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সরকার নির্বাচন করতে চায় বলে মন্তব্য করেন মাহমুদুর রহমান। তিনি বলেন, ব্যাংকের কোটি কোটি টাকা লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। দেশে মেগা প্রকল্পের নামে মেগা দুর্নীতি হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই ঢাকা-চট্টগ্রাম শহর ডুবে যায়। এখন সর্বাত্মক লুটপাটের রাজনীতি চলছে।

কোটা সংস্কার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের সমালোচনা করেন মাহমুদুর রহমান। দেশে বিভিন্ন ধরনের নজিরবিহীন ঘটনা ঘটছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ন্যায়সংগত কথা বলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে একরকম গলাধাক্কা দিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। স্বাধীনতার পর থেকে এই রকম পরিস্থিতি আর কখনো হয়নি।

Khaleda Zia's sentence a 'political ploy': Lord Carlile

by David Bergman 


Senior UK lawyer and defence legal team member says prosecution of imprisoned BNP chairperson lacked adequate evidence.


Dhaka, Bangladesh - The jailing of the leader of Bangladesh's main opposition party, currently serving a five-year sentence for fraud, is a "political" ploy without adequate evidence to justify prosecution, a senior UK lawyer has said.

Lord Alex Carlile QC, a member of the legal team of Khaleda Zia, chairperson of the Bangladesh Nationalist Party (BNP), says he had "not seen any evidence whatsoever that could justify prosecuting Begum Khaleda Zia, let alone convicting her" following a review of all the "relevant" documents.

"I have seen absolutely nothing to suggest that this client has been involved in any fraud," Lord Carlile told Al Jazeera.

"There is going to be an election at the end of year. It seems plain to me given that there is no evidence against her, there must be a reason for her to be arrested in this way and the only one that could be produced, beyond there having been a rather major and inexplicable mistake, is that the government doesn't want her to be campaigning during the election."

Zia, who served two terms as prime minister from 1991-96 and again from 2001-2006, was sentenced on February 8 to five years' imprisonment over her alleged embezzlement of funds meant for the Zia Orphanage Trust.

The court also convicted Tarique Rahman - Zia's elder son - and four others of corruption, sentencing each to 10 years in jail.

The six were accused of embezzling over Tk 21 million ($252,000) of a donation to the trust.

The BNP has said its participation in Bangladesh's upcoming elections, scheduled to be held in December, is reliant on the provision of a free and fair vote and Zia's release.

Anisul Huq, Bangladesh's law minister, refused to comment on Carlile's allegations.

"I will not respond to that. It is a judgment of the court," Huq said in response to an Al Jazeera request for a government response.

Huq has previously criticized the BNP for hiring Carlile, saying it was "sad" the opposition party had hired him as he "had given negative statements regarding our International Crimes Tribunal" and "provided legal aid to Jamaat-e-Islami party leaders".

Bangladesh's War Crime Tribunal, which was set up to punish those accused of committing atrocities during the country's 1971 liberation war, has handed out capital punishments to a number of senior leaders of Jamaat-e-Islami and the BNP.

Carlile, however, has denied representing Jamaat-e-Islami, an ally of the BNP, and said it was "slander" to suggest he had.

Courtesy  —  https://www.aljazeera.com 

আসিফ নজরুলকে হত্যার হুমকি


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ও কলামিস্ট আসিফ নজরুলকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন রাশেদ খান মেননের দলের ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রমৈত্রী) প্রাক্তন সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু।
এই নিয়ে শনিবার সকালে তিনি তার ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন।

ফেসবুকে আসিফ নজরুল লিখেছেন - আমাকে প্রকাশ্যে মারার ঘোষনা দিয়েছে রাশেদ খান মেননের দলের ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রমৈত্রী) প্রাক্তন সভাপতি বাপ্পাদিত্য বসু। কোটা সংস্কার আন্দোলনের জের ধরে এর সংগে সংহতি জানানো ব্যক্তিদের ফেসবুকে কটুবাক্য করেছিলেন তিনি। এ’নিয়ে ফেসবুকে অন্যদের সংগে আলাপের এক পর্যায়ে আমার নাম উল্লেখ করে প্রকাশ্যে এই হুমকি দেয়া হয়। আমার অবাক লাগছে এটা ভেবে যে, কি অবলীলায় এদেশে এখন প্রকাশ্যে একজনকে মারার হুমকি দেয়া যায়!

এর আগে ২০১৩ সালের ২৪ মে অজানা এক লোক মুঠোফোন থেকে তাঁকে হুমকি দেয়। এ ঘটনায় আসিফ নজরুল ওই দিন বিকেলে শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন।



সে সময় আসিফ নজরুল জানান, তাঁর মুঠোফোনে একটি কল আসে। মুঠোফোনে তাকে টেলিভিশনের টকশোতে অংশ নিতে নিষেধ করে হুমকি দিয়ে বলা হয়, ‘সরকারের সমালোচনা করেন কেন?’ এর পর টক শোতে অংশ নিলে তাকে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়।

উৎস —  Dr. Asif Nazrul 

Saturday, May 5, 2018

Gun attack kills 5 in Rangamati

Gunmen open fire on mourners of slain upazila chairman; leader of a UPDF faction among dead, 7 injured








Just a day after the killing of Shaktiman Chakma, chairman of Naniarchar Upazila Parishad in Rangamati, another five people were shot dead in the hill district yesterday.


The five, including a Bangalee driver, were on a microbus full of political leaders and activists headed for Hugurmara area of the upazila to attend the funeral of Shaktiman.

Unidentified gunmen ambushed them in Betchhari area around 12:15pm, also leaving seven others injured.

Tapan Jyoti Chakma, 50, alias Borma, president of UPDF (Democratic); Sujon Chakma, 28, general secretary of Mohalchhari unit Pahari Chhatra Parishad (PCP), and Pronok Chakma, 23, a member of Jubo Samiti, died on the spot.

Setu Chakma, 30, another member of Jubo Samiti, and driver Md Sajit, 32, died on their way to hospital. 

With Shaktiman and yesterday's five, at least 17 people were killed in Khagrachhari and Rangamati over the last six months. Of them, nine were from UPDF, two from PCJSS-MN Larma, four from UPDF (Democratic), and one was a UPDF supporter.

UPDF (Democratic) is a breakaway faction from the United Peoples Democratic Front (UPDF), a political party of hill people opposing the CHT Peace Accord of 1997.

Shaktiman was a vice president of PCJSS-MN Larma, a group which,according to sources, recently formed an alliance with the UPDF (Democratic).

PCJSS-MN Larma came into being after Santu Larma-led Parbatya Chattagram Jana Samhati Samiti (PCJSS), which had signed the peace accord with the government, split during the past caretaker rule in 2007-08. 

Following the killing of Shaktiman, his fellow activists said it was  an act of the UPDF, an allegation the party has rejected.

About yesterday's shooting, Rangamati SP Alamgir Kabir said, “The victims came under attack as they were going to attend the funeral of the slain Naniarchar chairman.”

Jimit Chakma, a member of UPDF (Democratic), who was in another vehicle behind the microbus, told The Daily Star that the miscreants had taken position on a roadside hilltop and opened fire from there.

First, the driver got shot and he lost control over the wheels, he said. “Later, the gunmen came down from the hilltop and fired at others on the microbus.”


Some 12 passengers were on the microbus, going to Hugurmara from Khagrachhari, said Jimit, known as a close aide to Tapan Jyoti Chakma.

The injured are Kriti Bikash Chakma, vice president of Rangamati unit of PCJSS-MN Larma, and its members Sumonto Chakma, 38, Ashim Chakma, Nitimoy Chakma, 30, Digonto Chakma, 25, Dipu Chakma, 30, and Kalomoy Chakma. They were taken to Chittagong Medical College Hospital. 

No cases were filed over the killings of last two days, said Abdul Latif, officer-in-charge of Naniarchar Police Station. 

Meanwhile, the funeral of Shaktiman Chakma was held at Huugurmara village in Naniarchar yesterday, while the Chittagong Hill Tracts (CHT) Commission strongly condemned the killing which took place in broad daylight. 

In a statement, signed by its co-chairs Sultana Kamal, Elsa Stamatopoulou and Myrna Cunningham Kain, the Commission also called upon the local administration and the government to take measures to stop recurrence of such incidents.

“In recent days, incidents of killing and kidnapping have taken place in Chittagong Hill Tracts. But no news of arrest has been heard in this connection,” it said, seeking exemplary punishment of those responsible.

POLITICS OF FACTIONS

Though the situation in the hills was relatively calm for the last three years following a “secret meeting” of UPDF and PCJSS, violence returned after the rise of the UPDF (democratic), local political activists claim. 

On November 15, 2017, the faction announced its separation from UPDF at a press conference in Khagrachhari. 

However, Onggo Marma, general secretary of Ganotantrik Juba Forum, the youth wing of UPDF, claimed that members of the so-called faction were actually expelled from the main party for breaches of discipline. This is nothing new in the CHT. Among numerous other troubles, intra-party conflicts have long been an issue in the hills. PCJSS founder Manabendra Narayan Larma, popularly known as MN Larma and a leading proponent of the Jumma people's rights, was killed in an attack by a splinter group of his organisation on November 10, 1983. 

On December 2, 1997, under the leadership of MN Larma's younger brother Santu Larma, PCJSS signed the CHT Peace Accord that a large group of students of the hill districts refused to accept, leading to the formation of UPDF.

Conflicts continued between PCJSS and UPDF until the beginning of 2015, when a resolution was finally reached following the “secret meeting”. By this time, hundreds of activists had already been killed. Besides, during the last caretaker rule, PCJSS split and PCJSS-MN Larma established control over Khagrachhari district and three to four upazilas of Rangamati. 

Enmity ensued between the two factions.On November 15, 2017, the UPDF (Democratic) was formed under the leadership of Tapan Jyoti.

'A DESTRUCTIVE ROAD'

Amid incidents like killings and abductions, the feuding groups keep pointing fingers at one another. Doya Sona Chakma, one of the two Hill Women Federation leaders who returned home in late April around a month after being kidnapped, alleged that UPDF (Democratic) members had picked them up.

The Hill Women Federation is an associate organisation of UPDF. But Shyamol Chakma, member secretary of UDPF (Democratic), rejected the allegation and said the abduction was a result of the UPDF's internal feud. 

Sajib Chakma, the PCJSS central publicity spokesperson, said, “More than three hundred supporters and leaders of PCJSS had been killed over internal feud in the CHT after the peace accord. If the accord is fully implemented the conspirators would never get the chance to create anarchy in the CHT.” 

Michael Chakma, spokesperson for UPDF, said around 280 leaders and activists of his organisation were killed over internal political feud in the CHT after the peace accord. 

He added they wanted unity.“We lost around 12 activists and a leader of our group [PCJSS-MN Larma] after 2007,” said Sudha Khar Tripura, spokesperson of the faction. 

Goutam Dewan, president of CHT Nagorik Committee, said, “Such types of endless killings will never bring good in the CHT and we would not let it continue any longer. “We are paving a destructive road made of internal conflict and it must be stopped as soon as possible in the CHT.
  •   Courtesy: The Daily Star/May 5, 2018

Yaba 'godfather,' sibling held in Ctg

CMP seizes 13 lakh pills; says one brother has 'ties with Myanmar drug dealers'

Detectives seized 13 lakh yaba tablets, worth Tk 45 crore, from a flat in Chittagong city's Halishahar and arrested two siblings in this connection early yesterday.

Acting on a tip-off, a team of detectives raided the flat of Ashraf Ali, 47, who returned home from Saudi Arabia last year, on the fourth floor of a building in Shyamoli Residential Area around 2:30am, reports our Chittagong correspondent.

Moinul Islam, assistant commissioner of DB (West) of Chittagong Metropolitan Police, said they arrested Ashraf and his brother Md Hasan, 22, hailing from Teknaf in Cox's Bazar. Based on their information, police recovered 3 lakh yaba pills from the flat and 10 lakh from their car at parking space.

This is the biggest ever haul of yaba pills seized by the CMP, said Additional Deputy Commissioner (Port) Abu Bakar Siddique.

A case was filed with Halishahar Police Station in this connection.

In January 2016, Rapid Action Battalion seized 27.5 lakh yaba tablets from a trawler in the deep sea, around 100 miles north of Patenga.

In three other drives in Dhaka and Satkhira, one lakh more yaba pills were seized and seven more people were arrested.

Chittagong police said Ashraf, who worked at his elder brother's shop in Saudi Arabia from 1998 to 2017, got acquainted with Myanmar national Abdur Rahim at that time.

Rahim later introduced him to another yaba dealer from Myanmar named La-mim, who trained Ashraf in smuggling yaba into Bangladesh.

“Ashraf has become one of the godfathers in yaba syndicate and maintained strong ties with the Myanmarese yaba dealers,” said AC Moinul.

During primary interrogation, Ashraf admitted that he had already smuggled two or three consignments of yaba pills into Bangladesh from Myanmar through sea routes with the help of Rahim and La-mim.

Police suspected that he had amassed huge wealth and properties illegally.

Ashraf used to pay the Myanmar yaba syndicate via hundi, an illegal money transfer system, and sometimes on credit, AC Moinul said, adding that he also used to sell the yaba pills to different syndicates in Dhaka.

The police official said they were trying to find the yaba syndicates in Chittagong and Dhaka.

Ashraf returned to Bangladesh from Saudi Arabia in October last year and started the illegal business.

He earlier went to Myanmar by air twice or thrice; had a meeting with La-mim and smuggled into yaba consignments with the help of a “third party”, said Moinul.

“On April 7, Ashraf again left Dhaka for Yangon in Myanmar by air and held a meeting with La-mim there,” said AC Moinul, adding that during the meeting, Ashraf had a deal with the drug dealer and collected the 13 lakh yaba tablets.

“Though Ashraf went to Yangon by air, he returned to Bangladesh by sea along with the yaba pills,” said the police official.

As the sea was rough, he delayed his sea voyage for days and finally left Myanmar border on April 30 by a trawler. After six hours of journey, the trawler with the yaba pills reached St Martin's Island, said the police official, quoting Ashraf.

Ashraf then shifted the pills to a speedboat and started his journey to Chittagong. He brought the pills to Sitakunda on May 2, he added.

In Dhaka, Department of Narcotics Control (DNC) officials in two drives arrested four alleged drug peddlers, including two former private university students, with 80,000 yaba pills in Postogola area and Old Dhaka yesterday.

The students -- Imranul Haque, 25, and Taijul Khan, 27, are involved in the yaba trade for making a quick buck, DNC Director (operations) Syed Towfique Uddin Ahmed told a press briefing.

They were arrested along with 60,000 yaba tablets in Postogola area.

As Imranul's ancestral home is in Teknaf, he used to bring yaba tablets from there, the DNC official added.

Two other drug peddling suspects Shahidul and Irin were held from Old Dhaka with 20,000 yaba pills.

In another incident, detectives in a raid seized 20,000 yaba pills and arrested three suspected drug peddlers Abdus Sattar, Nazrul Islam and Sagar in Satkhira town yesterday.

  • Courtesy: The Daily Star /May 5, 2018

Thursday, May 3, 2018

সড়ক সংস্কারের দাবিতে সড়কে প্রতীকী মৎস্য শিকার

নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বাগাতিপাড়া-নাটোর প্রধান সড়কের বেহাল অবস্থার কারনে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হওয়ার প্রতিবাদে ও সড়কটি দ্রুত সংস্কারের দাবিতে সড়ক অবরোধ কর্মসূচী পালন করেছেন স্থানীয়রা। এসময় সড়কে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে প্রতীকী মৎস্য শিকার করেন তারা। বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টা থেকে সোনাপাতিল যুব সংঘের ব্যানারে ঘণ্টা ব্যাপী এ প্রতীকী প্রতিবাদ করেন স্থানীয়রা।

জানা যায়, বাগাতিপাড়ার মালঞ্চি বাজার থেকে তমালতলা মহিলা কলেজ পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার সড়কের দু’পাশে তিন ফুট সড়ক প্রশ্বস্ত করণ কাজের কার্যাদেশ পেয়েছে নাটোরের উত্তর বড়গাছা’র মীর হাবিবুল আলম নামের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। সে মোতাবেক গত বছরের ১২ই জুন এ কাজ শুরু হয়েছে এবং ২০শে অক্টোবরের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের ৬ মাস পার হতে চললেও দৃশ্যমান তেমন কাজ হয়নি। এদিকে দীর্ঘদিন ধরে সড়কের দু’পাশের কাজ বন্ধ রাখায় বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে অহরহ ঘটছে দূর্ঘটনা। ফলে বেড়েছে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ।

দীর্ঘদিন ধরে সীমাহীন দুর্ভোগে কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে সড়কটির সোনাপাতিল এলাকায় কাঠের গুড়ি ফেলে ও বাঁশ বেঁধে সড়ক অবরোধ করেন স্থানীয়রা। এসময় তারা সড়কে জমে থাকা পানিতে প্রতীকী মৎস্য শিকার করে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেন। অবরোধ চলাকালে সড়কটির দুপাশে যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু এবং উপজেলা প্রকৌশলী এএসএম শরিফ খান খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। এসময় তারা অবরোধকারীদের দ্রুত সড়কটি সংস্কারের আশ্বাস দিলে কর্মসূচী স্থগিত করে।

এব্যাপারে যুব সংঘের সাধারন সম্পাদক তানজিন সরকার দিবস জানান, দীর্ঘদিন ধরে সড়কটির কাজ বন্ধ রয়েছে। বৃষ্টির ফলে সড়কে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় প্রতিদিনই খানা খন্দকে পড়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন পথচারীরা। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কোন ব্যবস্থা না নেয়ার প্রতিবাদে অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। ইউএনও দুইদিনের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কারের আশ্বাস দেওয়ায় আগামী শনিবার পর্যন্ত কর্মসূচী স্থগিত করা হয়েছে।

জনগনের ভোগান্তির কথা স্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী এএসএম শরিফ খান বলেন, ইতিমধ্যেই ইটের খোয়া ফেলা হয়েছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ হবে।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাসরিন বানু বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা বলা হয়েছে। তিনি দ্রুত কাজ শুরু করা হবে বলে জানিয়েছেন। 
  • মানবজমিন/ মে ৩, ২০১৮

সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক আশঙ্কা দেখছে সুজন



সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে স্থানীয় জনগণের মধ্যে ব্যাপক আশঙ্কা রয়েছে। তাঁরা এই দুটি সিটি করপোরেশন এলাকায় কাজ করতে গিয়ে তা দেখতে পেয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বদিউল আলম মজুমদার এ কথা বলেন। রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

সুজনের সম্পাদক প্রার্থীদের হলফনামায় দেওয়া তথ্যগুলো যাচাই-বাছাই করে দেখার দাবি জানান। তিনি বলেন, হলফনামায় তথ্য গোপন করা ফৌজদারি অপরাধ। এ অপরাধে ইসি সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করতে পারেন। তাঁরা আশা করেন, ইসি এ অস্ত্র ব্যবহার করবে।

আইনজীবী শাহদীন মালিক বলেন, স্বল্প সময়ের মধ্যে সব প্রার্থীর হলফনামার তথ্য যাচাই করা দুরূহ। নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর নির্বাচিতদের তথ্য সাত দিনের মধ্যে যাচাই করা যেতে পারে। কারও তথ্য গোপনের বিষয়টি প্রমাণিত হলে তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা যেতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গাজীপুরে প্রার্থীদের মধ্যে ৪৬ দশমিক ৬৬ শতাংশের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। তবে মেয়র প্রার্থীরা সবাই স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাস করেছেন। খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ৩৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসির নিচে। গাজীপুরে মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী মিলিয়ে ৩৪৫ জনের মধ্যে ২১৯ জনের পেশা ব্যবসা। খুলনায় ১৯২ জনের মধ্যে ১২৬ জনের পেশা ব্যবসা।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ। প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন করেন সুজনের সমন্বয়ক দিলীপ কুমার সরকার।

  • ProthomAlo/may 3,2018

তোপের মুখে সাংবাদিকতা

কামাল আহমেদ


বিশ্বজুড়ে ‘সাংবাদিকতা তোপের মুখে’ (জার্নালিজম আন্ডার ফায়ার)। কথাগুলো আমার নয়, জাতিসংঘের সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা ইউনেসকোর। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার বৈশ্বিক প্রবণতা বিষয়ে সংস্থাটি ২০১৭-১৮ সালের যে বার্ষিক প্রতিবেদন (ওয়ার্ল্ড ট্রেন্ডস ইন ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশন অ্যান্ড মিডিয়া ডেভেলপমেন্ট গ্লোবাল রিপোর্ট ২০১৭-১৮) আজ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করছে তার প্রথম বাক্যই এটি। সেই আগুন যে কতটা ভয়ানক এবং প্রাণঘাতী, তার সর্বসাম্প্রতিক নজির ৩০ এপ্রিল সোমবার, যেদিন আফগানিস্তানে দুটি পৃথক হামলায় ১০ জন সংবাদকর্মী নিহত হয়েছেন। 

এর মধ্যে একটি ঘটনাতেই কাবুলে নিহত হয়েছেন ৯ জন, যা সম্ভবত ইতিহাসে একসঙ্গে সর্বাধিক সংখ্যক সাংবাদিক হত্যার ঘটনা। সপ্তাহ দু-এক আগে ফিলিস্তিনি গণ-আন্দোলনের খবর সংগ্রহ করার সময় ইসরায়েলি সৈন্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইয়াসির মোর্তজা।

আফগানিস্তানের হামলা দুটির আগেই এ বছর বিশ্বের নানা প্রান্তে পেশাগত কাজের জন্য প্রাণ দিয়েছেন কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টসের (সিপিজে) হিসাবে আরও ১৪ জন। ইউনেসকোর কাছে সাম্প্রতিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ২০১২ থেকে ২০১৬-এই পাঁচ বছরের পরিসংখ্যান সংকলিত করে তারা হিসাব দিয়েছে, ওই সময়ে প্রাণ দিয়েছেন মোট ৫৬০ জন সাংবাদিক, অর্থাৎ বছরে গড়ে ১১২ জন। ওই সময়ে বাংলাদেশে নিহত সাংবাদিকের সংখ্যা ১০ জন, অর্থাৎ বছরে গড়ে ২ জন। আর ইন্টারন্যাশনাল প্রেস ইনস্টিটিউট (আইপিআই) বলছে, গত বছর বিশ্বে যে ৮৮ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন, তার মধ্যে ৪৬ জন দুর্নীতির তদন্তের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

অথচ সাংবাদিকতার এখন স্বর্ণযুগ হওয়ার কথা। তথ্য জানার অধিকার এখন একটি মৌলিক মানবাধিকার। আগে তথ্য অধিকার আইন বলে কোনো আইনের অস্তিত্ব ছিল না, এখন আছে। তবে তা কার্যত কাগজে-কলমে। সরকারি দপ্তরের তথ্য, বিশেষত অনিয়ম, অদক্ষতা, দুর্নীতি যত রকমভাবে সম্ভব পর্দার আড়ালে রাখার চেষ্টায় আমলারা সদাসতর্ক। রাজনীতিকেরা চান শুধু তাঁদের বয়ানটাই প্রচার হোক। ফলে সংসদীয় কমিটির বৈঠকও হয় চোখের আড়ালে। বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের অসাধুতা, অরাজকতা ও দুর্বৃত্তপনার খবর গোপন করতেও কূটকৌশলের অভাব হয় না। ব্যাংকিংয়ের দুর্নীতির খবর আড়াল করতে ব্যাংক মালিকেরা চান বিশেষ সুরক্ষা। সরকারি-বেসরকারি সব খাতেই সুবিধামতো তথ্য প্রচারই একমাত্র লক্ষ্য।

প্রযুক্তির অভূতপূর্ব উন্নয়নের কারণে গণমাধ্যমের বিকাশও হয়েছে চমকপ্রদ। মন্ত্রীদের কথায়, বাংলাদেশে এখন সর্বাধিকসংখ্যক সংবাদপত্র, টিভি, রেডিও ও অনলাইন পোর্টাল চালু আছে। শুধু বাংলাদেশে নয়, সারা বিশ্বেই এটি ঘটছে। তবে ইউনেসকোর মহাপরিচালক অড্রে আজুলে বলছেন, গণমাধ্যমে বহুত্ব এসেছে ঠিকই কিন্তু মিডিয়া কোম্পানিগুলোর মালিকানার কেন্দ্রীকরণ এবং ইন্টারনেটের নিয়ন্ত্রণ বড় উদ্বেগের বিষয়। ইউনেসকোর প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, গণমাধ্যমের বহুত্বের ক্ষেত্রে লক্ষণীয় হচ্ছে রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স দেওয়া। বাংলাদেশে গত নয় বছরে চালু হওয়া টিভি, রেডিও, সংবাদপত্র ও অনলাইনগুলোর দিকে তাকিয়ে একবার ভাবুন তো ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ভিন্নমত পোষণ করে এমন কাউকে কি দেখা যায়? 

দেখা যাচ্ছে সরকার তাদের পছন্দের ব্যবসায়িক গোষ্ঠীকে সব ধরনের গণমাধ্যমের অনুমোদন দিচ্ছে, যা প্রতিযোগিতা নীতির পরিপন্থী এবং গোষ্ঠীগত বাণিজ্যিক ও রাজনৈতিক সুবিধা লাভের হাতিয়ার। গণতন্ত্রে বহুত্ববাদের মূল কথাই হচ্ছে আপনি যা শুনতে চান না, সেই মতটি প্রকাশের সুযোগ নিশ্চিত করা। শুধু পছন্দের কথা শোনার জন্য গণমাধ্যমের লাইসেন্স দেওয়া নয়।

বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিস্থিতি ও তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণের ভিত্তিতে ইউনেসকো বলছে, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ক্রমেই খর্ব হচ্ছে। একই সঙ্গে সাংবাদিকতার পেশাগত মানের অবনতি ঘটছে। বলা হচ্ছে এর কারণ দুটি-অর্থনৈতিক শক্তিগুলোর প্রভাব ও রাজনৈতিক শক্তিগুলোর ভূমিকা। 

রাজনৈতিক নেতাদের অব্যাহত সমালোচনা ও চাপের মুখে গণমাধ্যমে স্বনিয়ন্ত্রণ বা সেলফ সেন্সরশিপ বাড়ছে, যা তার বিশ্বাসযোগ্যতা ক্ষুণ্ন করছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্রতিষ্ঠিত গণমাধ্যমের স্বাভাবিক কাজের ধারায় বড় রকমের বিঘ্ন তৈরি করছে। ফলে ব্যবসার চালু মডেল অর্থনৈতিক সমস্যার মুখে পড়ছে এবং খবর সংগ্রহ, তা যাচাই করা এবং তার সম্পাদকীয় নিরীক্ষার প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ কমছে। পরিণতিতে অনেকেই সরকার ও ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোর আর্থিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। এগুলো কোনোভাবেই স্বাধীন সাংবাদিকতার সহায়ক নয়।

বাংলাদেশের চিত্রটাও একই রকম, বরং কোনো কোনো ক্ষেত্রে প্রকট। রাজনীতিকদের একটা বড় অংশই বস্তুনিষ্ঠ ও বৈধ সাংবাদিকতাকে বেআইনি কার্যক্রম হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করেন। সরকারবিরোধীদের রাজনৈতিক কার্যক্রমের সরাসরি সম্প্রচার আইনশৃঙ্খলার পরিপন্থী বিবেচিত হয়। সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্রের সাংবাদিকদের রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে প্রবেশাধিকার নিষিদ্ধ থাকে। বিজ্ঞাপন প্রকাশের ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক বিবেচনা অগ্রাহ্য করার জন্য বেসরকারি খাতের ওপর অদৃশ্য চাপ প্রয়োগ করা হয়। রাজনীতিকদের অনিয়ম-অনাচারের খবর প্রকাশিত হলে ফৌজদারি আইনে যত্রতত্র মানহানির মামলা হয়।

বস্তুনিষ্ঠ তথ্যের অবাধ প্রবাহের পথে এখন যুক্ত হয়েছে নতুন এক উপসর্গ-ভুয়া খবর বা ফেক নিউজ। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে অপদস্থ করার এই হাতিয়ারটিকে সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাচ্ছেন ক্ষমতাসীনেরা। অনুগত প্রচারমাধ্যম বিকৃত ও ভুয়া তথ্য প্রচারের শক্তিশালী হাতিয়ার হয়ে উঠছে। এ ধরনের খবর প্রথম প্রকাশ পায় কোনো অনলাইন পোর্টালে অথবা সোশ্যাল মিডিয়ায় এবং তারপর মূলধারার মাধ্যমগুলোও তা পুনঃপ্রচার করে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কোনো ধরনের যাচাই-বাছাই ছাড়া। 

বাংলাদেশে সরকারের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিরোধী দলের ক্ষেত্রে এ ধরনের প্রচারণার নজির অনেক, যেগুলোর কোনো তথ্য-প্রমাণ দেওয়া হয়নি। বিপরীতে, ক্ষমতাসীন দলের দু-একজনের সমালোচনার জন্য তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলা এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতা বিশেষভাবে লক্ষণীয়। সাইবার জগতের নিরাপত্তায় যেসব আইন হচ্ছে, সুকৌশলে সেখানেও নিয়ন্ত্রণ এবং নিবর্তনমূলক বিধি যুক্ত করা হচ্ছে। তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার অপপ্রয়োগের প্রতিবাদের মুখে নতুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে জুড়ে দেওয়া হয়েছে আরও কঠোর বিধান।

আজ বিশ্ব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা দিবস। ইউনেসকো পঁচিশ বছর ধরে এই দিবসটি পালন করে আসছে। এ বছর এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা: গণমাধ্যম, ন্যায়বিচার ও আইনের শাসন। সুশাসন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করায় বিচার বিভাগ ও সংবাদমাধ্যমের সম্পূরক ভূমিকা কী হতে পারে, সেই দিকটিতে আলোকপাত করাই এবারের এই বিষয়টি নির্বাচনের কারণ। প্রশ্ন হচ্ছে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীন ভূমিকাকে কতটা গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করে? আমরা দেখেছি নিম্ন আদালতের স্বাধীনতার প্রশ্নে সংবাদমাধ্যমের ভূমিকা আমাদের উচ্চ আদালত ইতিবাচকভাবে দেখেননি। অন্যদিকে ষোড়শ সংশোধনীর মামলার রায় ও প্রধান বিচারপতির পদত্যাগের অস্বাভাবিক প্রক্রিয়ার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিচার বিভাগ নির্বাহী বিভাগের সঙ্গে সমন্বয়ের কথা বলায় সংশয় জাগে যে ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখায় সংবাদমাধ্যম নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ল কি না। 
  • Courtesy: Prothom Alo/May 03, 2018

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, মন্ত্রিসভায় অনুমোদিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংবিধান ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার পরিপন্থী। প্রস্তাবিত আইনটি প্রণীত হলে শুধু মতপ্রকাশের ক্ষেত্রেই নয়, গণমাধ্যমকর্মীদের পাশাপাশি সব নাগরিকের মৌলিক মানবাধিকার চর্চার ক্ষেত্রে অধিকতর নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। তিনি গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, যৌক্তিক বিধিনিষেধ সাপেক্ষে সংবিধান মতপ্রকাশের যে স্বাধীনতা দিয়েছে, তা তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারার কাছে অসহায়।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীসহ মূলধারার গণমাধ্যমকর্মীদের মধ্যে এরই মধ্যে একদিকে অভূতপূর্ব ভীতি ও অন্যদিকে ভীতিপ্রসূত স্বআরোপিত সেন্সরশিপ চাপিয়ে দিয়েছে। যা বাকস্বাধীনতা ও গণমাধ্যমের স্বাধীন দায়িত্ব পালনের প্রধান অন্তরায় বলে বিবেচিত হচ্ছে। আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ ও ৫৮ ধারাসমূহ প্রয়োজনীয় সংশোধন ছাড়া প্রণীত হলে সার্বিকভাবে দেশে গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা ও গণতন্ত্রের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের সম্ভাবনা ধূলিসাৎ হওয়ার ঝুঁকি সৃষ্টি করবে। 

টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, এ আইনের ফলে বিভিন্ন প্রকার অনিয়ম-দুর্নীতিসহ ক্ষমতার অপব্যবহারের তথ্য প্রকাশ যেমন অসম্ভব হয়ে পড়বে, তেমনি এসব অপরাধের সুরক্ষার মাধ্যমে অধিকতর বিস্তৃতি ঘটাবে। সরকার-ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তির কল্যাণে দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন নিশ্চিতের যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে, প্রস্তাবিত আইনটি সে ক্ষেত্রে বাধা হিসেবে কাজ করবে।

তিনি বলেন, গণমাধ্যমসহ সব নাগরিক যাতে সব ধরনের ভয়ভীতির ঊর্ধ্বে থেকে সরকারের সহায়ক শক্তি হিসেবে স্বাধীনভাবে তাদের দায়িত্ব পালন ও বাধাহীন মতামত প্রকাশ করতে পারেন, তার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এ পর্যায়ে খসড়া আইনটির সংশোধনের দায়ভার সংসদীয় কমিটির ওপর ন্যস্ত হওয়ার কারণে কমিটিকে অবশ্যই ইতিবাচক ও সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

  • Courtesy: Bangladesh Protidin/May 03, 2018

বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকা তৃতীয়


বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ঢাকা। আর শীর্ষে রয়েছে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির নাম। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে পরিচিত মুম্বাই রয়েছে চার নম্বরে।

এক কোটি ৪০ লাখ বা তার চেয়ে বেশি জনসংখ্যার শহরগুলোর দূষণের তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) এই তালিকাটি তৈরি করেছে। এতে বলা হয়, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দূষিত শহর মিসরের রাজধানী কায়রো। আর চীনের রাজধানী বেইজিং রয়েছে পাঁচ নম্বরে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সারা বিশ্বের ৯০ ভাগ মানুষই দূষিত বায়ু গ্রহণ করছেন। এই দূষণ ২০১৬ সালে ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ হয়েছে। এর মধ্যে শিল্প কারখানা ও গাড়ি থেকে সৃষ্ট দূষণে মারা গেছেন ৪২ লাখ মানুষ। আর ৩৮ লাখ মানুষের মৃত্যুর জন্য গৃহস্থালি বায়ু দূষণকে দায়ী করা হয়েছে।

  • Courtesy: Bngladesh Protidin/ May 03, 2018