Search

Monday, June 4, 2018

BASIC 'plunderers' go happy

In the four years between 2009 and 2013, Tk 4,500 crore was swindled out of BASIC, once a healthy public bank. But what followed was more shocking than the country's biggest loan scam itself. 

It was a glaring example of how the protectors of a bank turned predators. Multiple investigations found that Sheikh Abdul Hye Bacchu, chairman of the bank at the time, literally plundered the bank with the help of other board of directors.  

In 2015, the Anti-Corruption Commission filed 56 cases in connection with the scam, but ironically neither Bacchu nor any of the board members were named as accused. The state appeared too weak to put high profile offenders in the dock.

But as many as five bank officials, a couple of whom only followed orders and had little to do with the decisions, were hauled off to jail.

“We have to cover our faces in shame.”

The HC said last week about ACC's failure to complete the probes 

Even as the bank sank, the Bacchu gang prevailed. When the scam was underway with hundreds of crores of depositors' money being sucked out the bank, he bought 11 deep-sea fishing trawlers with Tk 150 crore. In the meantime, most of his mates, the board of directors, have been promoted and they now hold higher positions in different ministries and other government bodies.

The ACC had arrested at least 14 people, including eight businessmen, one surveyor and five high-ups of the bank. All but the bank officials managed to secure bail from the High Court. 

Disappointed at the sluggish probe and ACC's failure to catch the big fish, the HC during a hearing last week said, “We have to cover our faces in shame.” 

“We have to grant the accused bail due to the long delay in completing probe,” said Justice M Enayetur Rahim, the presiding judge of the HC bench now dealing with a number of bail petitions in the loan scam cases.

Earlier in July last year, the HC ordered the ACC to look into the alleged involvement of Bacchu and other directors in the scam.

In line with the directive, Bacchu has since been quizzed five times. The Commission also questioned all the directors of the then board.

However, the ACC seems to have found nothing to charge them although multiple investigation reports suggest otherwise. 

A BASIC Bank official held the Bacchu-led board fully responsible for the scam.

Of the Tk 4,500 crore swindled out of the bank, more than 95 percent was sanctioned by the board. In each case, the loan amount was more than Tk 1.5 crore, a sum the management cannot approve without the board's approval, he said.

“The management had to place those before the board for approval,” the official told The Daily Star. 

Several investigations by the central bank also unearthed the board's direct involvement in the scandal which subsequently took a heavy toll on the bank's financial health, he added, requesting anonymity. 

One such probe report, sent to the ACC in 2014, detailed how borrowers embezzled money from the state lender through fake companies and suspicious accounts. 

The 47-page report, which includes a list of borrowers, gives almost a minute-detail account of how the loans were approved and then withdrawn in clear violations of the rules.

The report said BASIC Bank's board and its credit committee at the headquarters ignored the negative observations from the bank's branches on a number of loan proposals, and approved those without following due diligence.

“We're examining the documents. The directors will be quizzed again,” said an ACC investigator. 

Talking to The Daily Star, ACC Director Syed Iqbal Hossain spoke of the challenges of quizzing the directors, most of whom hold top positions in government offices.

For example, when the investigators wanted to quiz Shuvashish, a former member of the board and now the commerce secretary, he sought time on several occasions. He was later quizzed in his ministry office, said the ACC director. 

However, the HC is clearly irked at the delay in completing the probe and has little interest to buy such excuses.

“From your [ACC officials] indifference and long delay in completing the probes it seems that you have connivance with the accused,” the court said last week.

On that day, the HC granted bail to former deputy managing director of the bank Fazlus Sobhan. He however remains in jail as he faces charges in other cases related to the scam.

The Daily Star could not reach Bacchu for his comment.

He was last quizzed by the ACC on May 30. On that day, he declined to comment on the matter when journalists asked him about his alleged involvement.   

This newspaper also could not reach Shuvashish by phone. On Wednesday, his personal assistant said he was outside the country. Last night, his phone was found switched off. 

Contacted, personal assistants to Syam Sunder Sikder, Neelufar Ahmed and Quamrun Naher, all of whom were on the bank board, said they were in a meeting and was unavailable for comment.

Former managing director of the bank Kazi Fakhrul Islam has been in hiding since his dismissal along with nine senior bank officials in May 2014. 

  • Courtesy: The Daily Star/ June 04, 2018

ক্রসফায়ারের হুমকি দিয়ে ১০ লাখ টাকা দাবি!



বুধবার, মে ৩০, রাত আটটার দিকে হাতিরঝিল দিয়ে রামপুরায় যাচ্ছিলেন নাফিজুর রহমান (২২)। হঠাৎ ১০ থেকে ১২ যুবক নাফিজের পথরোধ করেন। অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে তাঁকে তুলে নিয়ে যান যুবকেরা। রাত ১০টার দিকে নাফিজের মা রেহানা আক্তারকে ফোন করে একজন বলেন, ‘আমরা র‍্যাব-১ উত্তরা থেকে বলছি। আপনার ছেলেকে ১০০টি ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিছুক্ষণ পর ওকে ক্রসফায়ারে দেব। ছেলেকে বাঁচাতে চাইলে ১০ লাখ টাকা বিকাশ করো।’

বুধবার রাজধানীর রমনা থানা এলাকার মীরবাগের এ ঘটনায় রোববার, জুন ৩,  নাফিজের মা রেহানা আকতার মামলা করেন রমনা থানায়। মামলার এজাহারে তিনি এসব কথা বলেছেন। 

অবশ্য নানা নাটকীয়তার পর নাফিজের মায়ের কাছ থেকে এক লাখ টাকা আদায় করার পর ঘটনার দিন গভীর রাতে নাফিজকে ছেড়ে দেয় দুষ্কৃতকারীরা। আর পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ছয় যুবককে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ রোববার ওই ছয় যুবককে তিন দিন পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন।

নাফিজ ১৯ দিন আগে জাপান থেকে ঢাকায় ফেরেন। জাপানে লেখাপড়া করা নাফিজ এখন রামপুরায় মা-বাবার সঙ্গে থাকছেন। নাফিজের মা রেহানা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার রাত ১০টার দিকে নাফিজের ফোন থেকে কল পান তিনি। অপর প্রান্ত থেকে র‍্যাবের ভুয়া পরিচয় দিয়ে বলা হয়, তাঁরা র‍্যাব-১-এর সদস্য। নাফিজ ১০০ পিস ইয়াবাসহ ধরা পড়েছেন। ছেলেকে যদি বাঁচাতে হয়, তাহলে ১০ লাখ টাকা দিতে হবে। তা না হলে নাফিজকে ক্রসফায়ারে দেবেন তাঁরা। এ সময় তাঁরা একটি বিকাশ নম্বর পাঠান।

রেহানা বলছেন, যখন ফোন দেওয়া হয় তখন বিকাশের দোকানগুলো সব বন্ধ হয়ে যায়। তখন দুষ্কৃতকারীরা তাঁকে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠাতে বলে। একপর্যায়ে যখন তাঁদের বলেন, এত রাতে এভাবে টাকা পাঠানো সম্ভব নয়, তখন তারা (অপহরণকারী) সরাসরি টাকা নিয়ে দেখা করতে বলে। তখন স্বামীকে সঙ্গে নিয়ে রাত একটার পর অপহরণকারীদের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী রমনার মীরবাগের একটি নির্মাণাধীন ভবন এলাকায় যান রেহানা। রেহানা বলেন, মীরবাগে যাওয়ার পর অপহরণকারী চক্রের সদস্যরা তাঁদের অন্ধকার একটি গলির দিকে নিয়ে যান। দুজন যুবক এসে বলেন, স্যারেরা তাঁর ছেলেকে চড়-থাপ্পড় মেরেছেন। আর কিছুই করা হয়নি। তখন এক লাখ টাকা দেওয়ার পর নাফিজকে কয়েকজন যুবক ধরাধরি করে তাঁদের সামনে নিয়ে আসেন। সেখান থেকে নাফিজকে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

নাফিজের মা বলেন, ‘আমার ছেলেকে ওরা ফেরত দিয়েছে সত্যি, কিন্তু মারধর করে মারাত্মক আহত করেছে। নাফিজ যাতে ওদের চিনতে না পারে, সে জন্য চোখে বালু দেওয়া হয়েছে। দুই চোখ মারাত্মক জখম হয়েছে।’ 

রেহানার ভাষ্য, এ ঘটনা তিনি শনিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান। পরে রেহানা আর নাফিজকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল মীরবাগে অভিযান চালায় পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয় ছয় যুবককে। তাঁদের মধ্যে সন্দেহভাজন প্রধান আসামি আক্তার (৩২) ও শামীম শিকদার (২০)। তাঁরা থাকেন রামপুরায়। আর মোহন হোসেন (২৬), সুজন মিয়া (২৫), চুন্নু শেখ (৩৯) থাকেন মধুবাগে। চুন্নু মিয়া (৩৫) রমনার মীরবাগ এলাকায় থাকেন।
রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মাইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার ছয় আসামি র‍্যাবের ভুয়া পরিচয় দিয়ে নাফিজকে অপহরণ করে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করেছে। এ ঘটনার পুরো রহস্য উদ্‌ঘাটনের জন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ কো হচ্ছে।

পুলিশ জানিয়েছে, নাফিজের পরিবারের কাছ থেকে নেওয়া এক লাখ টাকা এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। মামলার এজাহারে বলা হয়, অপহরণ করে নেওয়ার পর দুর্বৃত্তরা নাফিজের সামনে ১০০টি ইয়াবা সামনে রেখে ছবি তোলে। নাফিজের কাছে থাকা ৫০০ মার্কিন ডলার এবং তাঁর মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়।

আদালতকেও পুলিশ এক প্রতিবেদন দিয়ে বলেছে, আসামিরা নাফিজকে পিস্তল দিয়ে হত্যার ভয় দেখায় এবং রড দিয়ে নির্যাতন করে। র‍্যাব-১ বলে ভুয়া পরিচয় দিয়ে তাঁকে (নাফিজকে) ক্রসফায়ারে দেওয়ার হুমকি দেয়। 

নাফিজের মা রেহানা আক্তার বলেন, ‘আমার নির্দোষ ছেলেকে তুলে নিয়ে নির্যাতন করেছে। র‍্যাব পরিচয়ে আমার কাছ থেকে টাকা আদায় করেছে। আমি তাঁদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’

  • কার্টসি —  prothomalo.com/ জুন ৩, ২০১৮। লিঙ্ক —   https://bit.ly/2JaX9Uc 

গরিবের সংখ্যা বাড়ছে উত্তরের পাঁচ জেলায়

তথাকথিত প্রবৃদ্ধির উল্টো চিত্র


উত্তরবঙ্গে গরিব মানুষ বেড়েছে। দেশে সবচেয়ে গরিব মানুষ এখন কুড়িগ্রামে। এই জেলার প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৭১ জনই গরিব। এরপরই অবস্থান দিনাজপুরের। এই জেলায় দারিদ্র্যসীমার নিচে আছে ৬৪ শতাংশ মানুষ। 

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, দারিদ্র্য বেশি, এমন ১০টি জেলার মধ্যে ৫টিই রংপুর বিভাগের। জেলাগুলো হলো কুড়িগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর, গাইবান্ধা ও লালমনিরহাট। সব মিলিয়ে উত্তরবঙ্গের একটি অংশে নতুন করে দারিদ্র্যের তীব্রতা ফিরে এসেছে। তালিকায় থাকা অন্য জেলাগুলো হলো বান্দরবান, খাগড়াছড়ি, জামালপুর, কিশোরগঞ্জ ও মাগুরা।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ আয় ও ব্যয় খানা জরিপ এবং দারিদ্র্য মানচিত্র প্রতিবেদনে এই চিত্র পাওয়া গেছে। দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক সম্প্রতি প্রকাশিত এই জরিপ বিশ্লেষণ করে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেছে। গত সপ্তাহে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে উত্তরাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংক বলেছে, যে প্রবৃদ্ধি হচ্ছে, তা গরিব পরিবারের আয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হচ্ছে না। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও সহায়ক হচ্ছে না।

রাজশাহী বিভাগে ২০১০ ও ২০১৬ সালের মধ্যে সার্বিকভাবে দারিদ্র্য পরিস্থিতি প্রায় অপরিবর্তিত আছে। তবে জেলাওয়ারি দারিদ্র্যের বেশ উত্থান-পতন হয়েছে। কোনো কোনো জেলায় দারিদ্র্য বেশ কমেছে, আবার কোনো জেলায় দারিদ্র্য বেশ বেড়েছে। বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী বগুড়া, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় দারিদ্র্য অনেক বেড়েছে। ছয় বছরের ব্যবধানে নওগাঁ জেলায় দারিদ্র্যের হার দ্বিগুণ হয়ে ৩২ শতাংশ পেরিয়ে গেছে।

আবার কমতির হিসাবে দেখা গেছে, রাজশাহী জেলায় প্রায় ১২ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে দারিদ্র্যের হার এখন ২০ শতাংশ। এ ছাড়া এই বিভাগের অন্য জেলা নাটোর, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, জয়পুরহাটে ৩-৪ শতাংশীয় পয়েন্ট দারিদ্র্য কমেছে।

  • তথ্যসূত্র  —  প্রথম আলো/ জুন ৩, ২০১৮। 

Sheikh Hasina Complicit in Secret Detentions by Bangladesh Intelligence, Says Source


David Bergman



By  David Bergman/thewire.in/May 28, 2018 







London: Bangladesh’s prime minister signed off on secret detentions by the country’s intelligence services as part of a widening crackdown on the opposition, a close associate has claimed.

Sheikh Hasina is said to have given the country’s military intelligence agency Directorate General of Forces Intelligence, known as DGFI, “clearance” to illegally pick up two men linked with the opposition who were secretly detained for months.

The whereabouts of one of the men remains unknown, 20 months after he was detained.

Bangladesh has faced severe criticism from human rights organisations over its record of enforced disappearances.

Under the current administration, there have been hundreds of secret detentions by law enforcement authorities, many involving the political opposition, with dozens of victims turning up dead or never returning.

Early last year, the United Nations Working Group on Enforced or Involuntary Disappearances, and other UN experts, called on “Bangladesh to act now to halt an increasing number of enforced disappearances in the country”.

At the end of 2017, the Bangladesh human rights organisation Odhikar had identified over 180 cases of disappearances in the previous two years of which the dead bodies of 28 had subsequently been found, and the whereabouts of over 25 people remain unknown.

The interviews with the associate, a close political colleague of Sheikh Hasina, are however the first time that evidence has pointed towards the prime minister’s direct involvement in secret detentions.

Bangladesh Law enforcement authorities and government officials have repeatedly denied the detentions. The associate spoke on condition that his identity would not be disclosed, fearing repercussions. The revelation comes as the prime minister’s son Sajeeb Wazed Joy wrote an article denying the government was involved in any disappearances.

In November 2017, The Wire revealed that the academic Mubashar Hasan was picked up and was being secretly detained by DGFI, after which the Bangladesh authorities blocked the website. Hasan was subsequently released after six weeks.

The political associate of the prime minister said that the disappearances of both Mir Ahmed Bin Quasem, a British-trained barrister who was picked up from his flat in Dhaka in front of his wife and children, and Hummam Quader Chowdhury, who was taken from his car as his mother watched, were “authorised by the prime minister” in August 2016 after DFGI approached Sheikh Hasina with a “concocted” story about a conspiracy between them against the government.

The men were picked up six weeks after militants linked to the Islamic State stormed on July 1, 2016, an upscale restaurant in the capital city of Dhaka killing 20 foreigners, an attack that followed a string of murders of atheist bloggers and others belonging to religious minorities.

The Awami League government was intent at that time in pinning responsibility for the attacks on the opposition parties.

“I think it could also have been the intelligence agencies trying to take credit with the prime minister. … They do some high profile things like that,” the associate said.

Bin Quasem, also known as Arman, is the son of a Jamaat-e-Islami leader who was subsequently executed for crimes committed during the country’s independence war. Chowdhury’s father was a prominent leader of the Bangladesh Nationalist Party and was also executed for 1971 war crimes.
Whilst Chowdhury was released onto the streets of Dhaka in April 2017 after disappearing for seven months, Bin Quasem remains missing.

Chowdhury and his family have refused to speak about his ordeal.

The prime minister’s close political associate said that Chowdhury was first detained in the custody of detective branch of the police, but that “after they picked up [Quasem], then both of them were handed to DGFI”.

Speaking specifically about Chowdhury, the associate said that “Without her clearance, they wouldn’t pick him up” and that “of course” Hasina knew that “[Chowdhury] was continuing to being detained.”

“This whole thing happened in such a way that officially the government, you cannot pinpoint the government, the prime minister or anybody,” the prime minister’s political associate added.

Michael Polak, the UK lawyer acting for Mir Quasem said, “This is evidence that the prime minister had a direct hand in Arman’s fate and should she wished she could release him tomorrow.”

Tahera Tasneem, Quasem’s sister said, “Our entire family is shattered in grief and sorrow. We want him back as soon as possible.”

The political associate also suggested that a month before, Sheikh Hasina had known about the month long secret detention of Hasnat Karim, a British Bangladeshi, and of Canadian-Bangladeshi student Tahmid Hasib Khan who were suspected of being involved in the terror attack at the Holey Artisan Bakery café in July 2016. Both men, guests at the restaurant on the night of the attack, were subsequently formally arrested, and Karim has remained in prison since then, without charge.

No surprise

Analysts said that the associate’s claims about the prime minister’s involvement are not unexpected.

Ashrafuzzaman Khan, of the Bangladesh desk for the Asian Human Rights Commission, said: “I am not surprised at all that the Prime Minister is said to have authorised secret detentions and disappearances.” He said that cases they and their sister organisation the Asian Legal Resource Centre have investigated point towards the Sheikh Hasina “being directly involved in instructing the state agencies to disappear high profile people having political affiliation with the opposition”.

Charu Lata Hogg, Associate Fellow, Asia Program at Chatham House, added, “The spate of extra judicial executions and disappearances has persisted. These new allegations come as no surprise as state complicity in such rights abuses has long been documented by rights groups.”

Sheikh Hasina has not responded to repeated requests for comment on the allegations.

The political associate said that a number of different state agencies are involved in the dozens of people picked up and secretly detained including the paramilitary organisation, Rapid Action Battalion (RAB), the detective branch of the police, the counter-terrorism unit, the special branch and DGFI.

“The most active used to be RAB, then they felt that RAB was getting a very bad reputation, then they said ok let the DB do it. …Then DB started these so called encounters and shoots outs, things like that so what RAB was doing DB also started doing, they were also sanctioned to do it. So there was not much difference between the two of them.

“In the case of Humam and Mir Quasem’s son, unfortunately the initiator was DGFI. …That is a different kettle off fish completely.”

The Awami League came to power in 2009 after a landslide victory, but only remained in government after winning controversial elections boycotted by the main opposition parties the Bangladesh Nationalist Party and the Jamaat-e-Islami. New elections are due later this year. Commentators question whether it will be a free and fair contest.

  • David Bergman is a journalist who also runs who also runs the Bangladesh Politico blog. Follow him on Twitter @davidbangladesh.


‘বন্দুকযুদ্ধ’ বন্ধ করুন — আসক



(বাংলাদেশি ভয়েসেস ডেস্ক) —   চলমান মাদকবিরোধী অভিযানে ১৪৪ জনের মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র। সংস্থাটি ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বন্ধ করার দাবি জানানোর পাশাপাশি এ পর্যন্ত সংগঠিত সব বন্দুকযুদ্ধের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্তের আহবান জানিয়েছে। 

রোববার সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলা হয়, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহনশীলতা (জিরো টলারেন্স) নীতির অংশ হিসেবে দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর এ অভিযানে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে প্রতিদিন নিহতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি দেশের প্রথম সারির একটি দৈনিক পত্রিকা তাদের অনলাইন ভার্সনে টেকনাফের ওয়ার্ড কমিশনার একরামুল হত্যার যে অসমর্থিত অডিও ক্লিপ প্রকাশ করেছে তা জনমনে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ নামে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাধ্যমে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছে। সমাজ থেকে যে কোনও ধরনের অপরাধ নির্মূলে অবশ্যই রাষ্ট্রকে কঠোর অবস্থান নিতে হবে, কিন্তু অপরাধ নির্মূলের নামে বিচারবহির্ভুত হত্যাকান্ড কখনোই সমর্থনযোগ্য হতে পারে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, বিনা বিচারে যে কোনও মৃত্যু বা নির্যাতনই মানবাধিকার, সংবিধান ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের চরম লঙ্ঘন। 

আসক মনে করে, এ বিষয়ে সরকার দলীয় দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দের বক্তব্যও একেবারে অগ্রহণযোগ্য। 

সরকারের নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের বক্তব্য-‘এমন দু-একটা ভুল হতেই পারে’ খুবই দুঃখজনক। মানুষের মৃত্যু কোনও ছোটাখাটো ঘটনা নয়, এ ধরনের ঘটনার তাৎপর্য ও রাষ্ট্রে এর প্রভাব অত্যন্ত সুদূরপ্রসারী। 
আমরা জনগণের কল্যাণ ও নিরাপত্তায় দায়িত্বরতদের কাছ থেকে আরও দায়িত্বশীল ও বিবেচনাপ্রসূত আচরণ দাবি করছি। 

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আসকের পক্ষ থেকে অনতিবিলম্বে মাদকবিরোধী অভিযানের নামে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বন্ধ করার দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া কক্সবাজারের আলোচিত একরামুল হত্যার ঘটনাসহ সবকটি কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনায় অবিলম্বে বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আসক দাবি করছে।

Sunday, June 3, 2018

কারবারিদের পালানোর ‘সুযোগ দিয়ে’ অভিযান!


মূল অভিযান শুরুর আগেই পুলিশের একটি অগ্রগামী টিম এলাকায় গিয়ে ঘুরে আসে। এরপর সকাল সাড়ে ১০টা থেকে যখন বিশেষ অভিযান শুরু হয়, ততক্ষণে তালিকাভুক্ত মাদক কারবারিরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এরপর হাতে থাকা মাদক তালিকা ধরে পুলিশ তল্লাশি শুরু করে। কিন্তু প্রকৃত মাদক কারবারিদের সন্ধান মেলেনি। একপর্যায়ে রাস্তা থেকে সন্দেহভাজনদের আটক করে গাড়িতে ওঠায় পুলিশ। পরে তাদের থানায় নিয়ে যাচাই-বাছাই করার কথা জানান ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) মনির হোসেন।

তবে এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান চালানোয় তারা খুশি হয়েছে; কিন্তু যারা এলাকায় নিয়মিত মাদক কারবার করে তাদের একজনও ধরা না পড়ায় তারা বিষয়টি ভেবে কিছুটা সন্দিহান। ধরা না পড়ায় শীর্ষ মাদক কারবারিরা ফের এলাকায় এসে মাদক বেচাকেনা করবে বলেও তারা আশঙ্কা প্রকাশ করে। সরেজমিনে গিয়ে এসব তথ্য জানা যায়।

সারা দেশের সঙ্গে রাজধানীতেও চলছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মাদকবিরোধী বিশেষ অভিযান। চলমান এই মাদকবিরোধী অভিযানে গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে রাজধানীর মিরপুর কালশী এলাকায় অভিযান চালায় ডিএমপি। সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশের পাশাপাশি গোয়েন্দা পুলিশ, স্পেশাল আর্মড ফোর্স ও ডগ স্কোয়াডের সম্মিলিত অংশগ্রহণে এ অভিযান পরিচালিত হয়।

অভিযান শেষে এক ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপারেশন) মনির হোসেন বলেন, মিরপুরের কালশী, বিহারি কলোনি ও এর আশপাশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাদক বিক্রি ও সেবনের দায়ে ২৭ জনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় উদ্ধার করা হয় দুই হাজার ১৫০ পিস ইয়াবা, ৬৭৪ গ্রাম হেরোইন, ছয় কেজি গাঁজা ও ৬০ লিটার চোলাই মদ।

সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, কালশী এলাকায় পাঁচটি বিহারি ক্যাম্পকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিশাল মাদক সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের মধ্যে মো. মোস্তাক, কাল্লু, আফসার ওরফে আফসানিয়া ও তাঁর মাসহ আরো আন্তত ১৫ জন শীর্ষ পর্যায়ের মাদক কারবারি রয়েছে। অভিযানে তাদের একজনকেও গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। সন্দেহভাজন ২৭ জনকে ক্যাম্পের আশপাশের বিভিন্ন সড়ক থেকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েকজন মুরব্বি বলেন, বিশেষ অভিযানের আগেই সকাল ৭টার দিকে পোশাক পরা পুলিশের এক দল সদস্য এসে এলাকায় ঘোরাঘুরি করেন। তাঁরা বিভিন্ন লোকের সঙ্গে কানে কানে কথা বলে চলে যান। এরপর সকাল ১০টার দিকে বিশেষ অভিযান শুরু হয়। এ সময় কয়েক শ অস্ত্রধারী পুলিশ এলাকা ঘিরে নিয়ে অভিযান শুরু করে। দুপুর ১টা পর্যন্ত তাদের অভিযান চলে। তখন যেসব সাধারণ মানুষ ছিল তারা বিপাকে পড়ে। তল্লাশি চালোনো হয় বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে। তবে রহমত ক্যাম্প, কলসেল ক্যাম্প, আবেদা ভবন, এমসিসি ক্যাম্প, ফুটবল গ্রাম, মিল্লাত ক্যাম্পে পুলিশের টিম তেমন অভিযানই চালায়নি। অথচ এসব ক্যাম্পের ভেতরেই মাদক কারবার চলে।

বিশেষ করে মিল্লাত ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ করেন মো. মোস্তাক। প্রায় ৫০ জন সহযোগী রয়েছে তাঁর। মোস্তাককে এলাকার লোকজন মাদক ‘ডন’ হিসেবে মনে করে। পুলিশের তালিকায়ও তিনি এক নম্বরে আছেন। এ ছাড়া আরো যেসব মাদক কারবারি রয়েছে তারাও রাত-বিরাত এ এলাকায় অবস্থান করে। অথচ থানার পুলিশ তাদের খুঁজে পায় না। এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, এ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রি হয়। পুলিশ একটু তৎপর হলেই এলাকার মাদক নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

মাদক নিয়ন্ত্রণ নিয়ে গতকাল দুপুরে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা হয় ওয়েলফেয়ার মিশন অব বিহারিজের (বাংলাদেশ) সভাপতি মোস্তাক আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, পুলিশ এসে এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে। তারা যাদের মাদক কারবারি মনে করেছে তাদের ধরেছে। তবে এলাকার শীর্ষ পর্যায়ের অনেক মাদক কারবারি পুলিশের অভিযানের আগেই পালিয়েছে। তাদের ধরতে না পারলে এলাকায় মাদক কারবার বন্ধ হবে না।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, অভিযান চালানোয় তারা খুশি হয়েছে, তবে প্রকৃত মাদক কারবারি ধরা না পড়ায় তারা অভিযানের সুফল কতটুকু পাবে, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

র‌্যাবের অভিযানে গ্রেপ্তার ১৫ : অন্যদিকে গতকাল ভোরের দিকে রাজধানীর কামরাঙ্গীর চর এলাকায় পৃথক অভিযান চালায় র‌্যাব-২। এ অভিযানে ৯৩টি ইয়াবা, কিছু গাঁজাসহ ১৫ জনকে আটক করা হয়।

Courtesy: KalerKantha/ June 03, 2018

গাজীপুরে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কামু সেই কামু নয়


গাজীপুরে বৃহস্পতিবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত কামুর পরিচয় পাওয়া গেছে।
শুক্রবার রাতে মর্গে লাশটি দেখে আছমা বেগম নামে এক নারী সেটি তার স্বামী কামাল খান কামুর বলে শনাক্ত করেন।

তবে শুক্রবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল কামু টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার ২২ মামলার আসামি কামরুল ইসলাম কামু। এ কামু এখন কাশিমপুর কারাগারে রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলা-রায়েরদিয়া (গাইনীপাড়া) গ্রামে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে কামু নিহত হন। এ ঘটনায় শুক্রবার রাতে জয়দেবপুর থানায় মামলা হয়েছে।

আছমা বলেন, বৃহস্পতিবার সারা দিন স্বামীর খোঁজখবর করেও পাইনি। এলাকাবাসীর মাধ্যমে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে মর্গে গিয়ে স্বামীর লাশ দেখতে পাই। 

তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর ৫টার দিকে ডিবি পুলিশের পোশাক পরিহিত ছয়জন তাদের বাসায় ঢুকে তল্লাশি শুরু করে। একপর্যায়ে কামুর সঙ্গে কথা রয়েছে বলে তাকে নিয়ে যায় তারা। একই সঙ্গে বাসার টেলিভিশন, মোবাইল ফোনসেট, স্বর্ণালঙ্কার, কিছু দলিল-দস্তাবেজ, কামুর জাতীয় পরিচয়পত্র ও বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়ে যায় পুলিশ।

আছমা আরও বলেন, টঙ্গীর এরশাদ নগরে তারা কখনও থাকেননি। এক সময় টঙ্গীর পূর্ব আরিচপুরের বৌবাজারে তারা থাকতেন। কামু সেখানকার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। ৬ মাস আগে গাইনীপাড়ায় প্রবাসী রুবেলের বাসা ভাড়া নেন তারা। বাবার বাড়ি থেকে উত্তরাধিকারের অংশের টাকা এনে দিলে তার স্বামী বাড়ি নির্মাণের কাজ শুরু করেন।

তিনি বলেন, ৮ বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। তার স্বামীর নামে কোনো মামলা-মোকদ্দমা ছিল না। স্বামীকে কখনও কোনো মামলায় আদালতেও যেতে শোনেননি। এলাকাবাসী জানান, কামু মাদক ব্যবসা করতেন কিনা তা তারা জানতেন না।

এসব বিষয়ে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক আমীর হোসেন বলেন, ডিবি পুলিশ কামুর বাড়িতে যায়নি। পুলিশের বিরুদ্ধে টিভি বা অন্য মালামাল নেয়ার অভিযোগও ঠিক নয়। কামু একজন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে টঙ্গী ও কালীগঞ্জ থানায় দুটি মাদক এবং জয়দেবপুর থানায় একটি অস্ত্র মামলা রয়েছে।

এদিকে, শুক্রবার বিকালে ডিবি পুলিশ কামুর নামের সংশোধনী দেয়। তার বাবার নামেও সংশোধনী আনে। বলা হয় নিহত ব্যক্তির নাম কামাল খান ওরফে কামু। তার বর্তমান ঠিকানা গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলা-রায়েরদিয়া এলাকার গাইনীপাড়ায়। তার বাবার নাম সিরাজ খান।

শুক্রবার সকালে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল নিহত কামু টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার ২২ মামলার আসামি কামরুল ইসলাম কামু। জানা গেছে, ২০১৬ সাল থেকে এ কামু টঙ্গীর একটি ডাবল হত্যা মামলার আসামি হিসেবে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে তার আইনজীবী মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, জামিন না হওয়ায় ২ বছর ধরে কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে কাশিমপুর কারাগারে গিয়ে তার সঙ্গে স্ত্রী সাক্ষাৎ করেছেন। কাশিমপুর কারাগার-২ এর জেলসুপার প্রশান্ত কুমার বণিকও বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের পরিদর্শক ডেরিক স্টিফেন কুইয়া জানান, নিহত কামুর পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র তার কাছে রয়েছে। সেখানে কামাল খান কামু, পিতা মৃত সিরাজ খান ও ঠিকানা টঙ্গীর আরিচপুর লেখা আছে। তিনি কালীগঞ্জের উলুখোলা নগরভেলা এলাকায় বসবাস করেন। তার নামে মাদকসহ তিনটি মামলা রয়েছে। হাসপাতাল মর্গ থেকে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে কামুর মা তার মরদেহ নিয়ে গেছেন। তবে টঙ্গীর আরিচপুর কিংবা কালীগঞ্জের উলুখোলায় এ নামে কোনো মরদেহ নেয়া হয়নি।

  • Courtesy: Jugantor /June 03, 2018

অগ্রাধিকার আরও ৫ প্রকল্পে গতি নেই

আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে পাঁচটির বাস্তবায়নের হার এখনো নগণ্য পর্যায়ে রয়েছে।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ স্থাপন এবং চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের রামু হয়ে মিয়ানমারের কাছাকাছি গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন দ্বৈতগেজ রেলপথ, কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল ও সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর এবং পটুয়াখালীতে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ।

পদ্মা সেতু রেলসংযোগ

পদ্মা সেতু দিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, বিশেষ করে খুলনা পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ২০১৬ সালের মে মাসে ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প পাস করা হয়। মূল কাজ শুরু হওয়ার আগেই এই প্রকল্পে খরচ বেড়েছে ৪ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। সংশোধনের পর এই প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। গত দুই বছরে এই প্রকল্পে বরাদ্দের মাত্র ২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

রামপাল কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রজেক্ট। প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে ২০১০ সালে। ১৫ হাজার ৯১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পে তিন-চতুর্থাংশের বেশি অর্থ ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর

পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। আগে নির্মাণ করা অবকাঠামো দিয়ে সীমিত পরিসরে পায়রা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৬১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল

প্রায় ছয় বছর আগে চট্টগ্রামে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনাল বা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এখনো মূল কাজই শুরু হয়নি। নানা দেনদরবারের পর দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে ঠিকাদারি চুক্তি হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ডলার।

সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর

কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা শেষ হয়েছে। এটি গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হবে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে চীন, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। 

  • Courtesy: Prothom Alo/ June 03, 2018

বাজেটের অর্ধেক টাকা যাচ্ছে ভোটারবান্ধব ১০ মন্ত্রণালয়ে

অর্থবছর ২০১৮-১৯


মিজান চৌধুরী 
জাতীয় নির্বাচনের ৬ মাস আগে ঘোষণা হতে যাচ্ছে আগামী অর্থবছরের বাজেট। ফলে ভোটার সম্পৃক্ততা বেশি এমন দশটি মন্ত্রণালয়কে গুরুত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
নতুন বাজেটের সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রায় অর্ধেকই রাখা হচ্ছে এ ১০ মন্ত্রণালয়ের জন্য। এবারের বাজেটের আকার ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৮১ কোটি টাকাই বরাদ্দ পাচ্ছে জনসম্পৃক্ত ও জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট দশটি মন্ত্রণালয়।

এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে প্রতিরক্ষা খাত। সম্ভাব্য বরাদ্দের পরিমাণ ২৯ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ বরাদ্দের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং তৃতীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি বলেছেন, বরাদ্দের অগ্রাধিকার তালিকায় আছে স্থানীয় সরকার ও পরিবহন, শিক্ষা ও বিদ্যুৎ খাত। বরাদ্দ ছাড়া বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতকে। তিনি আরও বলেন, আগামী বাজেট নির্বাচনী বাজেট নয়। এটি একটি স্বাভাবিক বাজেট হবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেটের কাজ প্রায় শেষ। এ বছর বাজেটের মোট ব্যয়ের আকার হবে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সম্ভাব্য আয় হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ২৭ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের প্রায় ৪৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০টি মন্ত্রণালয়কে। তবে এ শীর্ষ দশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া শীর্ষ মন্ত্রণালয়গুলোর মিল নেই। কারণ ভোট বা জনগণ তুষ্ট হবেন এমন মন্ত্রণালয়গুলোকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে নতুন বাজেটে। সূত্র মতে, চলতি বছরের তুলনায় ৩ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাদ্দ বাড়ছে ৪ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা এবং তৃতীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে বরাদ্দ বাড়ছে ৪ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা।

শীর্ষ বরাদ্দের দশ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে আছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ। এ বিভাগে সম্ভাব্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ২৩ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা। চলতি বছরে বরাদ্দ আছে প্রায় ২৩ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে এ বিভাগে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ৩২৯ কোটি টাকা। এ বছর শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে এমপিও ঘোষণা দেয়া হবে। কারণ এমপিও নিয়ে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“তিতে আন্দোলনে বিরতি দিয়ে রাজপথ থেকে শিক্ষকরা ফেরত গেছেন। যে কারণে সরকার বাজেটে এমপিও ঘোষণা দেবে। ফলে নতুন করে এমপিও ঘোষণার কারণে এ খাতে ব্যয় বাড়বে। তবে এমপিও দেয়া হলে এক্ষেত্রে নানা ধরনের শর্ত থাকবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

শীর্ষ বরাদ্দের পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ বিভাগে আগামী অর্থবছরের বাজেটে সম্ভাব্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ১৮ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। ওই হিসাবে বিদ্যুৎ খাতে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪২ কোটি টাকা। সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে সরকার সহযোগিতা হিসেবে ঋণ দিয়েছে বাজেটে। পরে তা ফেরত নেয়া হতো। কিন্তু আগামী অর্থবছর থেকে বিদ্যুৎ বিভাগকে ঋণ নয়, দেয়া হবে ভর্তুকি। যে কারণে এ বিভাগের ব্যয় বাড়বে।

এছাড়া শীর্ষ বরাদ্দের ষষ্ঠ তালিকায় আছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আসন্ন বাজেটে এ মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য বরাদ্দের পরিমাণ ২২ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ ২২ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে বরাদ্দ বাড়ছে ৪৬৫ কোটি টাকা।

এদিকে নির্বাচনের বছরে জননিরাপত্তা বিভাগের ব্যয় স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। এ বিভাগের মাধ্যমে নির্বাচন প্রস্তুতি থাকবে। যে কারণে নতুন বাজেটে জননিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে প্রায় ৩ হাজার ৪২ কোটি টাকা। বরাদ্দের সপ্তম অবস্থানে আছে জননিরাপত্তা বিভাগ। নতুন বাজেটে সম্ভাব্য বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ২১ হাজার ৩৩১ টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ আছে প্রায় ১৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

শীর্ষ বরাদ্দের অষ্টম অবস্থানে আছে স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগ। এ বিভাগে নতুন বাজেটে সম্ভাব্য বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগে সম্ভাব্য বরাদ্দ থাকছে ১৮ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ বিভাগে বরাদ্দ আছে ১৬ হাজার ২০৩ কোটি টাকা।

এদিকে বরাদ্দের শীর্ষে নবম অবস্থানে রেলপথ মন্ত্রণালয় থাকলেও আগামী অর্থবছরে এর বরাদ্দ কমছে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। এটি কমছে চলতি বাজেটের তুলনায়। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে রেল মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে বরাদ্দ আছে ১৬ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা।

জানা গেছে, আগামী বাজেটে কৃষিখাতে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। ফলে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয় মিলে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সম্ভাব্য বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা। যা চলতি বাজেটে ১৩ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৩১১ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বরাদ্দ দেয়া কম ও বেশি নির্ভর করে চলতি বছরের ব্যয়ের সক্ষমতার ওপর। মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে যেগুলো বরাদ্দ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী খরচ করতে পারেনি, তাদের আগামী বাজেটে কম টাকা দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি টাকা খরচ করেছে বা কাছাকাছি যেতে পেরেছে ওই সব মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া নতুন কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে মন্ত্রণালয়ের ব্যয় বাড়বে। এসব হিসাব করেই মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান যুগান্তরকে বলেন, আগামী বাজেটে জনগণ যাতে সন্তুষ্ট থাকে সে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ বাড়াতে থাকছে পদক্ষেপ। বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিগত সময়ে যারা অর্থ ব্যয় ভালোভাবে করতে সক্ষম হয়েছে তাদের বেশি দেয়া হয়েছে।

  • Courtesy: Jugantor /June 03, 2018

সরকারের কাছে যেন একটাই সমাধান, 'বন্দুকযুদ্ধ': সুলতানা কামাল

দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান চলার মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ সমালোচনা করে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, বন্দুকযুদ্ধে সরকার সকল সমস্যার সমাধান খুঁজছে। 
শাহবাগে ‘পরিবেশ আন্দোলনকর্মী উত্তম হত্যার বিচার, সড়কপথে পরিবহন নৈরাজ্য ও মানুষ হত্যা বন্ধের দাবিতে’ প্রতিবাদ সভায় সুলতানা কামাল বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে সরকারের মনে হয় এই একটিই উপায় আছে। তা হচ্ছে বন্দুকযুদ্ধ। যখন দেশে সুশাসন ও জবাবদিহির চরম অভাব হয়, তখনই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ জাতি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে।’

গত ২১ মে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসের ধাক্কার পর ট্রাকচাপায় নিহত হন পরিবেশ আন্দোলনকর্মী উত্তমকুমার দেবনাথ। এর প্রতিবাদে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শনিবার সকালে এই সমাবেশের আয়োজন করে ২৪টি নাগরিক সংগঠন। তাতে একের পর এক নৃশংস ঘটনায় মানুষের সংবেদনশীলতার উপর প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন এই মানবাধিকারকর্মী, ‘আমাদের দেশের মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই, সংবেদনশীলতা ভোঁতা হয়ে গেছে। যারা দেশ পরিচালনা করছেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে তাদের ভাবতে হবে। আমরা সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দাঁড়িয়েছি।’

সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ্য করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সহ-সভাপতি সুলতানা বলেন,  ‘এ দেশের মানুষ যেখানেই যাচ্ছে, মরিয়া হয়ে ছুটে যাচ্ছে। অন্যকে মাড়িয়ে কেন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এ অসুস্থ প্রতিযোগিতা? এর কারণ পুরো সমাজে অনাচার ঢুকে পড়েছে, যার খেসারত দিচ্ছি আমরা সবাই মিলে।’

  • Courtesy: Daily Star Bangla /June 02, 2018