Search

Sunday, July 29, 2018

ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে

হাছান আদনান

চীনের সবচেয়ে বড় ব্যাংক ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়না। বিশ্বের সর্ববৃহৎ ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃত ব্যাংকটি পরিচালন আয়ের মাত্র ৩০ দশমিক ৬১ শতাংশ ব্যয় করে। বাকি ৬৯ দশমিক ৩৯ শতাংশই ব্যাংকটির নিট মুনাফা। অর্থাৎ ১০০ টাকা আয় করলে প্রায় ৭০ টাকাই  ইন্ডাস্ট্রিয়াল কমার্শিয়াল ব্যাংক অব চায়নার ব্যালান্সশিটে নিট মুনাফা হিসেবে যোগ হয়। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ ব্যাংক ‘ব্যাংক অব চায়না’ও পরিচালন আয়ের মাত্র ৩৪ দশমিক ১৬ শতাংশ ব্যয় করে।

বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনাকারী এইচএসবিসি হোল্ডিংস ব্যয় করে পরিচালন আয়ের ৫১ দশমিক ২৭ শতাংশ। পরিচালন আয়ের ৫৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ ব্যয় করে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সিটি গ্রুপ। বিশ্বের অন্য বৃহৎ ব্যাংকগুলোর মধ্যে জেপি মর্গান চেজ অ্যান্ড কোং পরিচালন আয়ের ৫৮ দশমিক ৬৩, ব্যাঙ্কো সান্তান্দার ৪০ দশমিক ৫৩, এগ্রিকালচারাল ব্যাংক অব চায়না ৩৮ দশমিক ৫৯ ও ব্যাংক অব আমেরিকা ৬৪ দশমিক ১৫ শতাংশ ব্যয় করে।

বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতের চিত্র এর ঠিক উল্টো। দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাংক হিসেবে স্বীকৃত ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড। ২০১৭ সালে ব্যাংকটির পরিচালন আয়ের মাত্র ১৩ দশমিক ৬৭ শতাংশ গেছে নিট মুনাফায়। বাকি ৮৬ দশমিক ৩৩ শতাংশই পরিচালন ব্যয়, সঞ্চিতি সংরক্ষণ ও সরকারকে কর পরিশোধ বাবদ চলে গেছে।

দেশের অনেক বেসরকারি ব্যাংকের আয় অনুপাতে পরিচালন ব্যয় আরো বেশি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর ব্যয় আবার বেসরকারি ব্যাংকের চেয়েও নাজুক। একই কথা বলছে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যও। দেশের ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে দেশের ব্যাংকগুলোর আয়ের ৭৮ দশমিক ৫০ শতাংশই ব্যয় হয়েছে। আয়ের মাত্র সাড়ে ২১ শতাংশ নিট মুনাফা হিসেবে বণ্টন করতে পেরেছে ব্যাংকগুলো।

তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, পরিচালন আয়ের তুলনায় ব্যয় বিবেচনায় সবার উপরে রয়েছে বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাত। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘দ্য ব্যাংকার’ ম্যাগাজিনের তথ্য বলছে, বিশ্বের ব্যাংকিং খাতের পরিচালন আয়ের বিপরীতে গড় ব্যয় ৬৭ দশমিক ১১ শতাংশ। এর মধ্যে সবচেয়ে কম চীনে ৩৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। এশিয়া মহাদেশের ব্যাংকিং খাতে পরিচালন আয়ের বিপরীতে ব্যয় হয় ৫০ দশমিক ৪১ শতাংশ। মধ্যপ্রাচ্যের ক্ষেত্রে এ হার ৪১ দশমিক ৩৩, লাতিন আমেরিকায় ৫৫ দশমিক ৪, পশ্চিম ইউরোপে ৫৬ দশমিক ১৪, পূর্ব ইউরোপে ৫১ দশমিক ৪১, আফ্রিকায় ৬১ দশমিক ৮৭ ও উত্তর আমেরিকায় ৬৩ দশমিক ২৬ শতাংশ।

ব্যাংকারদের উচ্চবেতন-ভাতা, বোনাসসহ পরিচালন ব্যয়ের বাহুল্য, খেলাপি ঋণের বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণের চাপ ও উচ্চ করপোরেট ট্যাক্সের কারণেই দেশের ব্যাংকিং খাতের আয়ের তুলনায় ব্যয় অনেক বেশি বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের। বিপুল এ পরিচালন ব্যয় ও খেলাপি ঋণ দেশে ব্যাংকঋণের সুদহার কমানোরও প্রতিবন্ধক বলে মনে করছেন তারা।

আর বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের দাবি, ব্যাংকারদের বেতন আর অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা মিলিয়ে ব্যাংকের আয়ের বড় অংশ খরচ হয়ে যাচ্ছে। জ্যেষ্ঠ ব্যাংকারদের পেছনে ব্যাংকের খরচ ধারণার চেয়েও বেশি।

বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) চেয়ারম্যান ও এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার বণিক বার্তাকে বলেন, প্রতি মাসে শুধু বেতন-ভাতা বাবদ আমাদের ব্যাংকের প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যয় হয়। দেশের অন্য কোনো ইন্ডাস্ট্রিতে এত বেশি ব্যয় হয় না। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যে পরিমাণ বেতন ও অন্যান্য সুবিধা নেন, তা অপ্রত্যাশিত। পরিচালন ব্যয় কমিয়ে আনতে পারলে ব্যাংকের মুনাফা বাড়বে। ব্যাংক স্বল্প সুদে গ্রাহকদের ঋণ দিতে পারবে।

দেশের প্রথম প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল। ২০১৭ সালে ব্যাংকটির পরিচালন আয় ছিল ১ হাজার ৬৪২ কোটি টাকা। বড় অংকের এ আয় করতে গিয়ে ন্যাশনাল ব্যাংককে ব্যয় করতে হয়েছে ৬০২ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৩৮৭ কোটি টাকা বা ৬৪ দশমিক ২৮ শতাংশই ব্যয় হয়েছে ব্যাংকটির কর্মীদের বেতন পরিশোধে। পরিচালন মুনাফা থেকে সঞ্চিতি সংরক্ষণ (প্রভিশন) ও সরকারকে কর পরিশোধের পর ন্যাশনাল ব্যাংকের নিট মুনাফা ছিল ৪৭৯ কোটি টাকা। এ হিসাবে ব্যাংকটির পরিচালন আয়ের মাত্র ২৯ দশমিক ১৭ শতাংশ নিট মুনাফা। বাকি প্রায় ৭১ শতাংশই গেছে পরিচালন ব্যয়, কর পরিশোধ ও সঞ্চিতি সংরক্ষণে।

বিদায়ী বছরে বেসরকারি এবি ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালন আয়ের ৯৯ শতাংশের বেশি ব্যয় হয়ে গেছে। খেলাপি ঋণের বিপরীতে বিপুল অংকের সঞ্চিতি সংরক্ষণের কারণে মাত্র ৪ কোটি টাকা নিট মুনাফা পেয়েছে ব্যাংকটি।

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংক পরিচালন আয়ের ৭৮ শতাংশই ব্যয় করেছে। এর মধ্যে ১ হাজার ৪৩৮ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে কর্মীদের বেতন-ভাতা খাতে, যা ব্যাংকটির মোট ব্যয়ের ৬২ শতাংশ।

দক্ষতা, সেবার মান, করপোরেট গভর্ন্যান্সসহ সামগ্রিক সূচকে দেশের ব্যাংকগুলো এখনো বৈশ্বিক মানের তুলনায় অনেক পিছিয়ে আছে বলে মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, আমাদের দেশের ব্যাংক উদ্যোক্তা ও পরিচালকরা পদটিকে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব বাড়ানোর মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেন। এজন্য ব্যাংকের টাকায় নানা ধরনের প্রচার-প্রচারণা চলে। ব্যাংকগুলো দৈনন্দিন পরিচালনার জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থের অপব্যয় করে। এসব কারণে ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় অনেক বেড়ে যায়। ব্যয়কৃত অর্থ গ্রাহকদের কাছ থেকে আদায় করতে গিয়ে ব্যাংক আমানতকারীদের সুদহার কমিয়ে ঋণ গ্রহণকারীদের সুদ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের অযৌক্তিক ফি আরোপ করে।

ব্যাংকের উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা অনেক বেশি বলেও মনে করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক এ গভর্নর। তার মতে, এ কারণেও ব্যাংকগুলোর পরিচালন ব্যয় বাড়ছে। ব্যাংকগুলো সেবার মান না বাড়িয়ে মুনাফা বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়েছে। আমি ব্যাংকের মুনাফা বাড়িয়ে বছর শেষে বণ্টন করে দেয়ার বিরোধী। ব্যাংক মুনাফার অংশ দিয়ে মূলধন বাড়াতে পারে। খেলাপি ঋণ কমিয়ে এনে গ্রাহকদের কম সুদে ঋণ দেয়া ও আমানতকারীদের বেশি সুদ দেয়ার ব্যবস্থা করার মধ্যেই দেশের ব্যাংকিং খাতের কল্যাণ নিহিত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০১৭ সালে রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর আয়ের বিপরীতে ব্যয়ের হার ছিল ৮৭ দশমিক ৯ শতাংশ। এ খাতের ব্যাংকগুলো আয়ের মাত্র ১২ শতাংশ নিট মুনাফায় নিতে পেরেছে। সরকারি বিশেষায়িত বাংলাদেশ কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের পরিস্থিতি আরো নাজুক। ব্যাংক দুটি ১০০ টাকা আয় করতে গিয়ে ১৩২ টাকা ৮০ পয়সা ব্যয় করেছে। বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর আয় অনুযায়ী ব্যয়ের হার ৭৪ দশমিক ৫ শতাংশ। অর্থাৎ এ খাতের ব্যাংকগুলো ১০০ টাকা আয় করে ২৫ টাকা ৫০ পয়সা নিট মুনাফায় নিতে পেরেছে। তবে ব্যয় কমিয়ে ভালো মুনাফা করেছে দেশে কার্যরত বিদেশী ব্যাংকগুলো। এ ব্যাংকগুলো আয় অনুপাতে ব্যয় করেছে মাত্র ৪৫ দশমিক ৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে দেশের ব্যাংকগুলো আয়ের ৭৮ দশমিক ৫ শতাংশই ২০১৭ সালে ব্যয় করেছে। এর আগে ২০১৬ সালে আয় অনুপাতে ব্যাংকগুলোর ব্যয় ছিল ৭৬ দশমিক ৬ শতাংশ।

ব্যাংকের আকার ছোট হওয়ার কারণেই পরিচালন ব্যয় বেশি বলে দাবি করেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস এ খান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, দেশে বেসরকারি ব্যাংক রয়েছে ৪০টি। বেশির ভাগ ব্যাংকের সম্পদ ২০ হাজার কোটি টাকার নিচে। ছোট-বড় সব ব্যাংকেরই প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে শাখা আছে। এ কারণে ব্যাংকগুলোর সংস্থাপন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।

ব্যাংকের অনুপাতে দেশে দক্ষ, যোগ্য ও অভিজ্ঞ ব্যাংকারের সংকট আছে জানিয়ে আনিস এ খান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালা অনুযায়ী, একটি ব্যাংকে বেশ কয়েকজন ডিএমডি পর্যায়ের ব্যাংকার থাকতে হয়। এর বাইরে ব্যাংকের করপোরেট, রিটেইল, এসএমই, মানবসম্পদসহ গুরুত্বপূর্ণ বিভাগগুলোয় জ্যেষ্ঠ ব্যাংকার লাগে। এ পর্যায়ের ব্যাংকারদের পেছনে ব্যয় অনেক। ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়ার পেছনে খেলাপি ঋণও বড় একটি কারণ।

পরিচালন ব্যয় বেশি হওয়ার জন্য করপোরেট ট্যাক্সের উচ্চহারকেও দায়ী করছেন ব্যাংকাররা। খেলাপি ঋণের হার বেশি হওয়ায় এর বিপরীতে সঞ্চিতি সংরক্ষণকেও আরেকটি কারণ হিসেবে দেখছেন তারা।

ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, আমাদের দেশে ব্যাংকগুলোকে উচ্চহারে কর পরিশোধ করতে হয়। খেলাপি ঋণের হার বেশি হওয়ায় ব্যাংককে সঞ্চিতি সংরক্ষণের জন্য পরিচালন মুনাফার বড় একটি অংশ রেখে দেয়া হচ্ছে। এ দুটি খাত বাদে ব্যাংকের পরিচালন ব্যয় ততটা বেশি নয়।

তিনি বলেন, উন্নত দেশে গ্রাহকদের ব্যাংকিং সেবা নিতে ব্যাংকে যেতে হয় না। ঘরে বসেই ইন্টারনেট ব্যবহার করে গ্রাহকরা যাবতীয় কাজ করেন। কিন্তু বাংলাদেশে কিছু হলেই গ্রাহকরা ব্যাংকে ছুটে যান। এ কারণে শাখা পর্যায়ে অনেক কর্মকর্তাকে কাজ করতে হয়। তবে প্রযুক্তির উন্নয়ন ও ব্যাংকগুলোর আধুনিকায়নের ফলে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। খেলাপি ঋণ কমিয়ে আনতে পারলে ব্যাংকঋণের সুদহার সবসময়ের জন্য ৯ শতাংশে নামিয়ে আনা সম্ভব।

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা / জুলাই ২৯,২০১৮ 

Expediting completion of DEE project

Meticulous planning, effective organisation, competent leadership and rigorous controls are vital to the execution of any project. These become even more crucial in case of a mega project like the Dhaka Elevated Expressway (DEE) that promises to ease the chronic traffic congestion in the capital city of 18 million people. The project, launched by the prime minister in April 2011, was slated to be completed by 2014. But until now, in seven years, only 9.28 per cent of work has been finished.  In fact, the DEE project was inaugurated for a second time - by the road transport and bridges minister, on this occasion - in 2015.

Inordinate delay in completion of project is not unique to the DEE. But it exemplifies the deficiencies in planning, preparation, financing and actual construction work of a project. As land acquisition complications held up construction for two years, a revised deal was signed in December 2013 by bringing about changes to design and cost. According to the latest design, the expressway would connect Hazrat Shahjalal International Airport with Kutubkhali on Dhaka-Chittagong Highway via Banani, Mogbazar, Kamalapur and Jatrabari. Another two years elapsed before the road transport and bridges minister could inaugurate the construction for the second time in August 2015.

The mega project has an outlay of Taka 89.40 billion including a government contribution of Taka 24.13 billion as viability gap fund (VGF). If the government expenditure of Taka 48.85 billion on account of land acquisition, resettlement and relocation of utility service lines is considered, then the total cost comes to Taka 138.25 billion. In the latest twist to this saga of delays and postponements, the project was finally commissioned through issuance of work order in April this year. It also marked the commencement of 25 years of concession period for the venture. But the progress of work till June has been a miserable 9.28 per cent. Most importantly, the contractor has not yet been able to arrange a financier till now, which partly explains the reason behind this abysmally slow progress of the project over the past seven years.

Now the question arises: Where have things gone wrong? Is it because of the delay in land acquisition by the government? If so, how could the government sign the contract in the first place without ensuring ready availability of land? Or can the failure be attributed to the inability of the bridges division and the PPP authority to constantly monitor developments, exert sufficient pressure on the contractor and extend helping hand, if required, to solve problems including funding? In addition to the PPP Act, there also exists a Procurement Guidelines for PPP projects. Shouldn't the government have played a more proactive role based on laws, rules, regulations and policies?

Enough time has already been wasted. The concerned parties should now undertake concerted measures to deliver results in a time-bound manner and ensure that the expressway is ready for use by the city-dwellers within 2020. Proper coordination, supportive roles and proactive actions by both the partners in this much vaunted PPP project is urgently required to make that happen in an orderly manner.

  • Courtesy: The Financial Express/ Editorial /Jul 29, 2018

NBR detects evasion of Tk 8.7b in tax

Its two wings scan over 2,800 cases


Doulot Akter Mala 

Income tax intelligence and investigation cells across the country have uncovered tax evasion worth Tk 8.71 billion.

The two wings of the National Board of Revenue (NBR) have detected the evasion after scrutinising some 2,847 cases since their inception.

According to revenue board data, the cells have so far logged some 3,881 allegations of tax evasion from various sources and means including written, verbal and telephonic.

Of the allegations, it has detected tax evasion in 73.35 per cent cases.

Audit, intelligence and investigation wing of the income tax department recently compiled the data until March 2018 of a total of 31 investigation and intelligence cells (IIC) in each of the tax zones.

The wing recently submitted details and summary of the compiled data of evaded taxes and other findings to the chairman of NBR.

In the data, the board has found that field-level income tax zones have identified evidences of tax evasion in majority of the allegations and information collected by the cells.

The NBR formed the intelligence and investigation cells between December 2016 to January 2017 at each of its tax zones for unearthing tax evasion and dealing with suspected tax files.

The field-level tax officials have initially selected 2,216 cases for investigation. Until March last, the cells realised Tk 160 million evaded taxes by resolving some 657 cases. However, some Tk 8.55 billion evaded taxes, detected by the cells, remained unrealised.

Some field offices, including zone-four and zone-seven of Dhaka, zone-four in Chittagong, Gazipur and Khulna zones could not place any demand and recovery against detected tax evasion, according to the NBR data.

Income tax zone-four of Dhaka, however, found the highest number of allegations to be 1,039, of which it primarily found incidences of tax evasion in 1,038 allegations.

Income tax zone-14 of Dhaka detected the highest amount of tax evasion from 89 cases. The amount was Tk 6.69 billion.

Tax zone-five, Dhaka has found evasion worth Tk 842 million followed by tax zone-eight, Dhaka with Tk 270 million.

Tax zone-10, Dhaka realised Tk 34 million in evaded taxes.

Large Taxpayers Unit (LTU) realised Tk 33.8 million and Mymensingh tax zone recovered Tk 21.3 million during the period.

Officials said the income tax department has no separate directorate for investigation and intelligence.

Value Added Tax (VAT) and Customs wings have two separate directorates for conducting investigation and intelligence activities.

Considering the necessity, all of the tax zones have formed a cell in their respective tax zones following an instruction from the NBR.

Earlier, income tax-related investigations were only conducted by the Central Intelligence Cell (CIC), along with customs and VAT-related cases.

  • Courtesy: The Financial Express /Jul 29, 2018

What is holding us back?

UNIFORM ADMISSION EXAMS FOR UNIVERSITIES

Naznin Tithi

With most public universities already fixing dates for admission tests after the publication of this year's HSC examination results, the battle of admission seekers for getting a seat at their desired university is about to begin. Admission seekers along with their guardians will have to go from one district to another to sit for admission tests held at different public universities across the country. Apart from the hassles of the admission process, the financial burden is also considerable for the students, many of whom come from low and middle income backgrounds. They will have to spend a lot of money to buy admission forms, for travel and accommodation, not to mention the money they will be spending for admission coaching. Although a uniform admission test could solve many of these problems, there is little hope that the system will be introduced anytime soon.

Back in 2010, the education ministry decided to introduce a uniform admission test or a “cluster system.” They suggested that universities of similar characteristics be brought under an individual cluster for which a single admission test would be taken. Under the cluster system, admission seekers will be enrolled at the universities based on the merit list. For example, students would take one test for a place in any of the science and technology universities and another test for a place in any of the agriculture universities and so on. This would give students the option to choose the subject they want to study and also the university they want to get admitted to.

However, eight years on, no sign of progress is in sight regarding implementation of the decision. The reason is that our major public universities have been unable to reach a consensus on holding a centralised admission test. Many academicians, students and guardians believe that these universities are not in favour of the system because a centralised admission test would do away with the extra income of the universities and teachers through the sale of admission forms, invigilation and checking of answer scripts. While that is a major reason, there are other factors that have contributed to this situation.

Some reputed public universities of the country have reservations about holding a single admission test because they believe they would lose their distinction from others and such a test would compromise the quality of the test. Currently, BUET, Dhaka University or Jahangirnagar University hold their admission tests under strict invigilation and security in their own campuses. But in case of a uniform admission test, maintaining the same standard would be difficult. The Association of Universities of Bangladesh, a platform of vice-chancellors of public universities, are yet to come to any decision regarding introduction of a uniform exam system.

Apparently, a large number of students also think the same way. In 2016, the daily Prothom Alo  published opinions of some admission seekers on this issue. It was seen that a big percentage of students were against the decision despite the fact that a uniform admission test would save them time, money and hassle associated with the admission process as it is now.

Admission seekers are mostly concerned about the possibility of corruption and manipulations—question paper leaks and students' resorting to unfair means—that could take place in the admission centres outside Dhaka. Therefore, before introducing a uniform admission test, the authorities will have to take all the necessary precautions to ensure a corruption-free exam. Special precaution needs to be taken in selecting the exam centres. However, as the government was successful in stopping the question paper leaks during this year's HSC exams, similar measures can be undertaken to do the same in case of university admission tests.

There are also fears among admission seekers about the “cluster system.” Some students I talked to said that the system, if implemented, would deprive them of a second chance in case they failed to do well in the single test taken, which would eventually limit their scope to get admission in a reputed public university. In the current system if a student fails to get a seat at Dhaka University, they can take a test at another university. However, according to Prof Abdul Mannan, chairman of UGC, this is all a matter of perception. If students in the developed countries can be enrolled at a university based on scores of standardised tests such as SAT or GRE or GMT, our students should also not fear taking a uniform test, he said.

Then there are prejudices among the general people regarding a uniform system, as was evident from the incident of Shahjalal University of Science and Technology (SUST). In 2014, Shahjalal University of Science and Technology and Jessore University of Science and Technology agreed to hold a combined admission test and had taken all the preparations accordingly. But they had to cancel the decision at the last moment because of protests by the local people who believed that a uniform test would bar the students of Sylhet to get admission in SUST.

So clearly, there is a lack of understanding among students and guardians about the uniform exam system. Farzana Islam, vice-chancellor, Jahangirnagar University, believes that a uniform system is always better because it would reduce the plight of the students. But before introducing this, more research needs to be done to understand the feasibility of the system. "We need to have serious discussions with the teachers, need to hold inter-university view exchange meetings, etc. which have not been done yet," said professor Islam.

From the '80s, our medical and dental colleges have been holding a single admission test. Currently, a uniform test is held for all public and private medical and dental colleges. When Chuet, Ruet and Kuet were under the Bangladesh Institute of Technology (BIT), they used to hold a combined admission test as well. Clearly, there are examples that a uniform test does work and can make the process easy for admission seekers.

In many countries of the world—from Australia, China, Indonesia, and Japan, to many European countries—a centralised admission test is held for enrolling students into universities. In the USA, although there is no centralised university admission test, a large number of educational institutions admit students taking into account the scores of the Scholastic Assessment Test (SAT), as well as their higher secondary school results. Even in India, there is an independent body which holds a standardised test for at least 500 institutions.

Although public universities might have issues regarding implementing the system as there are many subjects under different faculties, for engineering and agricultural universities it should not be a problem at all. Farzana Islam says, "We cannot say for sure that this will be the best system until we implement it. So, I think we should begin with some clusters first, rather than going for a single test for all subjects at one go. We should take one test first for, say, social science or life science, as an experiment, and see how it goes."

We should start the process keeping in mind the challenges of the system. A uniform admission test is the need of the time, which will not only save time and cost of admission seekers, but also reduce session jams that eat away precious time of a student's academic life. Hopefully, this will also stop the vicious coaching business. Introducing the system would definitely be a big achievement for Bangladesh.

  • Courtesy: The Daily Star/ Jul 29, 2018

‘মন্ত্রীপাড়ার ৪৫ ভাগ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতাধীন ধানমন্ডি, কলাবাগান, সেগুনবাগিচা ও মন্ত্রীপাড়া এলাকার ৪৫ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। তবে ডিএসসিসি’র  অন্যান্য অঞ্চলে এ মশার উপস্থিতি খুবই কম বলে দাবি করেন তিনি। গতকাল সকালে রাজধানীর কাঁঠালবাগানের ঢালে এডিস মশার লার্ভা শনাক্ত ও ধ্বংসকরণ শীর্ষক এক কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় মেয়র বলেন, গত ২৫শে জুন থেকে এ কর্মসূচি চলছে। আমাদের কর্মীরা প্রতিটি ওয়ার্ডে বাসায় বাসায় গিয়ে লার্ভা ধ্বংস করেছে। পাশাপাশি ওইসব বাড়ির মালিকদের এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টি করছে।

আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা জানতে পেরেছি অঞ্চল ১ এ প্রায় ৪৫ শতাংশ বাড়িতেই মশার লার্ভা পাওয়া গেছে, যা খুবই উদ্বেগজনক। এ কারণে আমরা এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসকরণে আবারও কর্মসূচি নিয়েছি। এতে অঞ্চল ১ কে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। বিশেষ করে ধানমন্ডি, কলাবাগান, মন্ত্রীপাড়া ও সেগুনবাগিচা এলাকার বাসাগুলোতে এডিস মশার লার্ভা বেশি পাওয়া গেছে। এই এলাকার প্রায় প্রতি ৩ বাড়ির একটিতে আমরা মশার লার্ভা পেয়েছি।

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ জুলাই ২৯,২০১৮ 

‘চাপে’ বিএনপির কাউন্সিলর যোগ দিলেন আওয়ামী লীগে!

দল পরিবর্তন করলেন বরিশাল সিটির ৪ নং সংরক্ষিত আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর ও জেলা বিএনপি’র মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আয়শা তৌহিদ লুনা। প্রচণ্ড চাপের মুখে শুক্রবার রাতে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার লুনাসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রচারণার সময় তার সমর্থকরা প্রতিপক্ষের উপর হামলা চালিয়েছে। অথচ তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এরপর তার বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপি হওয়ার অভিযোগ ওঠে।

সব মিলিয়ে প্রচণ্ড চাপে ছিলেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৭শে জুন শুক্রবার বরিশাল নগরীর কালীবাড়ী রোডস্থ সেরনিয়াবাত ভবনে শতাধিক বিএনপি ও অঙ্গ-সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে নিয়ে তিনি বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাহান আরা বেগমের হাতে ফুল দিয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট গোলাম আব্বাস চৌধুরী দুলাল, সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট একেএম জাহাঙ্গীর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ সহ অন্যরা। যোগদানকালে লুনা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর আদর্শ ও নীতিতে বিশ্বাসী হয়ে আমি আওয়ামী লীগে যোগ দিচ্ছি। তিনি বলেন, যতদিন রাজনীতি করবো ততদিন বঙ্গবন্ধুর আদর্শে থেকে রাজনীতি করে মানুষের সেবা করে যাবো।

বিএনপি থেকে বহিষ্কার

বরিশাল মহানগর বিএনপি’র মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আয়শা তৌহিদ লুনাকে বহিষ্কার করেছে দলটি। শনিবার রাতে বিএনপি’র সহ-দপ্তর সম্পাদক বেলাল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও দলের স্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক বরিশাল মহানগর বিএনপি’র মহিলা বিষয়ক সম্পাদক আয়শা তৌহিদকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দলীয় নেতাকর্মীদেরকে এখন থেকে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ না রাখতে অনুরোধ করা হলো। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ জুলাই ২৯,২০১৮ 

EC misses out on chances, still has a lot to do

ELECTIONS to three city authorities the city corporations of Barisal, Rajshahi and Sylhet begin, with the Election Commission’s order of July 17 for the law enforcement agencies not to arrest political party leaders and activists without warrants or harass them largely being ignored. The High Court’s order of July 24 for the government and the police not to arrest and harass leaders and activists of the Bangladesh Nationalist Party and the people campaigning for its mayoral candidate in the Barisal City Corporation elections and of July 26 for the government and the police not to arrest and harass political party leaders and activists campaigning for elections to the Sylhet city authorities have also been largely flouted. The Bangladesh Nationalist Party in Barisal alleged that the police were arresting and harassing party activists in breach of the court order. 

The BNP’s mayoral candidate in Sylhet viewed the incident of his office being set on fire reportedly by Awami League activists and the arrest of his people in a case filed in this connection as a conspiracy to keep the BNP off electioneering. The BNP’s mayoral candidate in Rajshahi alleged that 90 per cent of the presiding and polling officers were chosen from among Awami League activists, which could lead the polling not to be free and fair.

With all such allegations coming up by candidates of the Bangladesh Nationalist Party, the political rival of the ruling Awami League, law enforcers have, meanwhile, listed most of the polling stations in all the three city corporation areas as risky. The Election Commission has been informed that 113 out of 123 polling stations in the Barisal city areas are risky and 50 of them are ‘very risky.’ Eighty out of 134 polling stations in Sylhet and 114 out of 138 polling stations in Rajshahi have also been classified as risky. 

The commission’s secretary said that they had worked out a plan to deploy additional law enforcers, in addition to the deployment of the Border Guard Bangladesh personnel as striking force from early morning on the polling day, to keep law and order at, in its phrase, ‘very important, which the law enforcers call ‘risky’, polling stations. Yet this does not dispel the popular perception that polling could be marred, in view of generally the way the elections to city authorities in Khulna, on May 15, and Gazipur, on June 26, were held and especially the commission’s reluctance at taking action against the breach of the electoral code of conduct, levelled mostly against the ruling Awami League candidates and their people, during campaigns in the run-up to the elections to the three city corporations at hand.

The Election Commission, which has largely lost its credibility as an institution in what happened during the city corporation elections in Khulna and Gazipur should have attended to the allegations of repeated breaches of the electoral code of conduct and levelled the playing field by not arresting and harassing opponent leaders and activists. It is now expected that the commission would ensure that voters could exercise their right to franchise in a free and fair atmosphere in elections to the three city corporation today.
  • Courtesy: New Age/ Editorial/ Jul 29, 2018

Electioneering ends amid allegations of code violations

BGB deployed, Ariful’s election coordination committee convener arrested

Ahammad Foyez 
Electioneering ended Saturday midnight in the elections to Barisal, Sylhet and Rajshahi city corporations, scheduled for Monday, amid allegations of violations of electoral code of conduct and arrest and harassment of opposition Bangladesh Nationalist Party leaders and activists.

Border Guard Bangladesh members were deployed in the three cities on Saturday while the Bangladesh Nationalist Party demanded deployment of army for free and fair polls.

At the last stage of electioneering, police in Sylhet arrested BNP mayoral candidate Ariful Haque Chowdhury’ election coordination committee convener Abdur Razzak in the city Saturday evening.

Kotwali police station sub-inspector Kamal Hosain said that Abdur Razzak was named in a case filed Friday night for the explosion of two crude bombs at an election office of AL mayoral candidate Badar Uddin Ahmad Kamran at Chowkidekhi early Friday.

Mayoral candidates from the ruling Awami League and opposition BNP raised allegations of violations of electoral code of conduct during the electioneering that began on July 10.

Major allegations of violations of the code included campaigning by ruling Awami League members of parliament, AL mayors of other cities and public servants.

The commission, however, apparently took no action against violations of the code.

Commission secretary Helaluddin Ahmed denied the allegation, claiming that the commission requested the speaker to take step to stop electioneering by lawmakers and asked mayors not to take part in such campaigning.

Border guard officials said that the authorities deployed 19 platoons of border guards in Rajshahi, 15 platoons in Barishal and 14 platoons in Sylhet to assist the administration and they would remain deployed until July 31.

Election Commission secretary Helaluddin Ahmed said that offices of respective returning officer already took all preparations for holding the elections in a free and fair manner.

He said that the commission made arrangements to monitor some polling stations in the three cities from Dhaka through CC cameras.

The commission formed a monitoring team led by its National Identity Registration Wing director general Mohammad Saidul Islam with representatives of public security division and law enforcement agencies, he added.

The returning officers announced embargo on the movement of unauthorised motor vehicles, including taxicabs, microbuses, jeeps, pickups, cars, buses, trucks, and three-wheelers, from Sunday midnight to Monday midnight.

The commission engaged 35 officials as own observers to monitor the city polls – 12 each in Rajshahi and Barisal and 11 in Sylhet.

Poll observers

Commission officials said that 609 local and international observers – 592 from 15 local agencies and 17 from three foreign agencies including the US embassy – would observe the three city polls. 

They said that 192 local and 7 foreign observers in Rajshahi, 203 local and 3 foreign observers in Barisal and 197 local and 7 foreign observers in Sylhet would observe the polls.

A public holiday was declared for the cities on the polling day, they said.

According to the commission plan, 24 police, Ansar and VDP members would be deployed at each risky polling station while 22 members would be deployed at other polling stations.

New Age Rajshahi University correspondent reported that BNP mayoral candidate Mossaddique Hossain Bulbul alleged that the commission and law enforcers were ‘acting like front organisation of the ruling party.’

‘Some people are threatening BNP activists at different wards of the city,’ he alleged.

175 BNP men arrested

Law enforcers have so far arrested 175 BNP activists, he alleged, adding that 23 polling agents were arrested and sent to jails in Pabna, Natore and Chepainawabganj.

‘We will besiege police stations if any more BNP activists were arrested.’

At a press conference, AL mayoral candidate AHM Khairuzzaman Liton said that BNP candidate’s false allegations irked Rajshahi city people.
‘BNP does not have enough people to appoint polling agents, so they are trying to make it an issue,’ he said.

New Age correspondent in Sylhet reported Some 80 leaders of BNP and its front organisations were named in another case filed Friday night for the explosion of two crude bombs at an election office of AL mayoral candidate Badar Uddin Ahmad Kamran at Chowkidekhi.

Biman Bandar police station officer-in-charge Gausul Hossain said that Faruk Ahmad, a leader of the AL youth front Juba League, filed the case with the police station. 

BNP mayoral candidate in Sylhet Ariful Haque Chowdhury at a press conference warned to take to the street protesting at any irregularity in the polls. 

Mentioning that BNP activists would not go back home, if the result was stolen, Arif said, ‘Our back has already been stuck on the wall. We will embrace death if necessary, but will not quit the election race.’

Dhaka Govt. officials in Sylhet

He alleged that the high-up government officials reached Sylhet from Dhaka for ‘election engineering’.

He alleged that supporters of ruling Awami League mayoral candidate Badar Uddin Ahmad Kamran with the help of a few police officers exploded crude bombs and burnt an office of Kamran as part of their trap to prosecute BNP leaders and activists.

He said that more than 400 of his campaigners were already named in false cases filed recently.
Sylhet unit Jatiya Party on Saturday extended its formal support to the AL mayoral candidate.

Local Jatiya Party member of parliament Yahiya Chowdhury said that they made the formal announcement in this regard according to a directive issued by party chairman Hussain Muhammad Ershad. 

Returning officer Md Alimuzzaman said that they completed all necessary preparation for holding the polls in a free and fair manner.

40 BNP men arrested defying HC rule

New Age correspondent in Barisal reported that BNP mayoral candidate Mujibur Rahman Sarwar said that at least 40 leaders and activists were arrested by law forcers violating a High Court order.

He said that ruling AL activists were threatening BNP activists and supporters to avoid polls-related activities.

At a press conference, Socialist Party of Bangladesh mayoral candidate Manisha Chakraborty alleged that the commission failed to create environment conducive to holding fair polls.

The first-ever female mayoral candidate in Barisal alleged that although her party assigned agents at each polling stations, it was uncertain if they would be able to discharge their duties due to threats being issued on them.   

Courtesy: New Age/Jul 29, 2018

Thursday, July 26, 2018

"তিন সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই"


তিন সিটি নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখা যাচ্ছে না। আচরণবিধি ভঙ্গের প্রবণতা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে যাওয়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) প্রতি ভোটারদের আস্থা নষ্ট হচ্ছে। নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনকে সরকারের সাথে বোঝাপড়া করা উচিত। যদি সরকারের পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া না পাওয়া যায়, তবে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের দায় কে নেবে ? সেজন্য আগেই নির্বাচন কমিশনারকে নির্বাচন আয়োজনে অপারগতা প্রকাশ করা উচিত।

বুধবার, জুলাই ২৫, দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘অবাধ নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই’ শীর্ষক রাজশাহী, সিলেট ও বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী প্রার্থীদের তথ্য উপস্থাপন বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর পক্ষ থেকে একথা জানান।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, একজন মেয়র ও কয়েকজন সংসদ সদস্য আচরণবিধি লঙ্ঘন করে সরকার দলীয় প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। শুধু তাই নয় আচরণবিধি লঙ্ঘন করে প্রচারণায় চালিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, সিভিল সার্জন ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রারসহ অসংখ্যা সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সেস অ্যাসোসিয়েশন। আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয়ে ইসি থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এতে করে ইসির প্রতি সাধারণ ভোটারদের আস্থা নষ্ট হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সুজনের সমন্বয়কারী দিলীপ কুমার সরকার। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান এবং সুজনের নির্বাহী সদস্য ও স্থানীয় সরকার বিষেশজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা ও রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের মাধ্যমে ইসির প্রতি জনগণের যে আস্থা গড়ে উঠেছিল, তা কমিশন ধরে রাখতে পারেনি। আগামী কয়েকমাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে সিলেট, বরিশাল ও রাজশাহী সিটি নির্বাচনের দিকে সারাদেশের মানুষের নজর থাকবে। এই তিনি সিটি নির্বাচন জাতীয় নির্বাচনের বার্তা দেবে। ফলে তিন সিটি নির্বাচন যদি গাজীপুর ও খুলনা সিটির মতো প্রশ্নবিদ্ধ হয়, তাহলে তা নেতিবাচক বার্তা দেবে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, তিনি সিটি নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে করতে নির্বাচন সংক্রান্ত সব কিছু ইসির নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারের সহযোগিতা না পাওয়া গেলে ইসির পক্ষে সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব না। তাই বিষয়টি নিয়ে সরকারের সঙ্গে ইসির বোঝাপড়া করা উচিত। সরকারের কাছ থেকে ইসি ইতিবাচক সাড়া না পেলে প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচনের দায় না নিয়ে আগেই নির্বাচন আয়োজনে অপারগতা জানানো উচিত।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা সত্ত্বেও গ্রেফতার ও হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। প্রথম দিন থেকেই মামলা শুরু হয়েছে রাজশাহীতে; এখন সিলেটেও মামলা, গ্রেফতার ও হয়রানি শুরু হয়েছে। বরিশালে নাশকতার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে গোয়েন্দা বাহিনী। এইসব ঘটনাগুলো একদিকে যেমন ভোটারদের উদ্বেগ বাড়িয়ে দিচ্ছে, পাশাপাশি ভোটাররা নানা ধরনের সন্দেহের দোলাচলেও রয়েছেন।

সুজন সভাপতি এম হাফিজ উদ্দিন খান বলেন, তিন সিটি নির্বাচনে ইসির আচরণে হতাশার অনেক কারণ রয়েছে। কারও বিরুদ্ধে এক বছর আগে হয়তো মামলা ছিল, কিন্তু এতদিন সে প্রকাশ্য থাকলেও ধরেনি। কিন্তু নির্বাচন সামনে রেখে তাদের ধরপাকড় করা হচ্ছে। এগুলো উদ্দেশ্যমূলক। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তিন সিটিতে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নেই। সরকারীর কর্মকর্তারা নিয়ম বর্হিভূতভাবে প্রচরাণায় অংশ নিলেও ইসির পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

ড. তোফায়েল আহমেদ বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলো কিভাবে হচ্ছে সবাই দেখতে ও বুঝতে পারছেন। নতুন নতুন মডেলে নির্বাচন হচ্ছে। একসময় বলা হত মাগুরা মডেল; এখন কোন মডেলে নির্বাচন হচ্ছে তা গবেষণার বিষয়। কিভাবে নির্বাচনের মডেল হচ্ছে তাও বলা যাচ্ছে না। তবে এতটুকু বলা যায়, নির্বাচন নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। নির্বাচন বড় ধরনের সহিংসতা না হলেও নির্বাচন সুষ্ঠু হচ্ছে না কেন- তা ব্যাখা করাও কঠিন। কখনও রাতে ভোট কারচুপি হচ্ছে, কখনও দিনে হচ্ছে, আবার ভোটার আসার আগেই ব্যালট শেষ হয়ে যাচ্ছে। এগুলো ইঙ্গিত করে নির্বাচন কিভাবে হচ্ছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, আবার দেখা যাচ্ছে নির্বাচনে কোনো প্রার্থী ২ লাখ ভোট পেয়েছেন; অথচ তিনি কোনো এজেন্ট দিতে পারেননি। যে প্রার্থী ২ লাখ ভোট পেয়েছেন, তিনি ৪শ এজেন্ট দিতে পারেননি, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। আবার কোনো প্রার্থী ১ লাখ ৭ হাজার ভোট পেয়েছেন, কিন্তু তিনিও একশ জন এজেন্ট দিতে পারেননি। এটা কোন মডেল নির্বাচন? এটা কি ভয়ের মডেল, না নতুন মডেল- তার কোনো ব্যাখা নেই। এটা কোনো ভয়-ভীতির কারণে হচ্ছে, নাকি মানুষ ভোটের প্রতি উদাসীন হয়ে পড়ছে, নাকি একটি বিশেষ দল আগ্রাসী হয়ে পড়ছে যেখানে অন্য কোনো দল যেতে পারছে না?

  • কার্টসিঃ নয়াদিগন্ত/ জুলাই ২৫,২০১৮ 

Barapukuria coal scam


To say strange things happen in this country would be a gross understatement. How can coal amounting to as large a quantity as 142,000 tonnes vanish from a coal yard? Unbelievable it is but now that it really has happened, one still has to struggle to admit the fact. Under a managing director there are other high officials along with other staff members to run the operation of the mine and supervision of the extracted coal. Unless the entire bunch colludes in the act of illegal disposal of the coal, it is impossible to perform this vile act. These people were given the responsibility of maintaining the reserve to be used for power plants in the area. How dare they commit this crime knowing full well that it cannot be hushed up no matter how much they may try to do so? This is no normal theft. Involved here is not only coal worth Tk 2.27 billion, which is a national resource, but also a severe breach of trust with the nation and defiance of the higher authority.

A few top officials of the mining company have been withdrawn or suspended following the revelation that no coal is left to run the Barapukuria coal-fired power plant. Is that all? The persons suspected to be involved in the criminal act should immediately be interned. It is good that the Anti-Corruption Commission (ACC) has slapped ban on the travel by the officials suspected to be involved in the disappearance of Barapukuria coal. When a crime of this order takes place, there has to be some people with the knowledge of the crime outside of the gang actively involved in it. But surprisingly none reported to the police or higher authorities. In that sense, such people also passively become a party to the crime -only more so because at issue here is a national resource.

Now the impact of the crime is felt by people of the area. Since Sunday night last, the thermal power plant with a capacity of 525 megawatts has stopped producing electricity for want of coal severely affecting the supply of power there. The mine is scheduled to go into coal production from next month. Before that time normal supply in the area cannot be expected. Unless people go out of their heads, it is impossible for managing directors, managers and others to form a pact for embarking on such an outrageous but silent heist. What prompted them to go nuts is indeed a matter of conjecture unless it is unbridled avarice.

In this country, the greatest malaise is this uncontrolled greed. But regrettably, the authorities appear to be reluctant to impose a decisive deterrent to it. A case in point is the big borrowers of bank money who default on repayment of their loans with impunity, with the authorities concerned looking the other way. Law has to be applied without discrimination or the basic principle gets undermined which encourages crimes like the coal scam.

  • Courtesy: The Financial Express/ Editorial /Jul 26, 2018