Search

Monday, August 6, 2018

যেভাবে হামলা চালায় ছাত্রলীগ

  • হামলা ছিল পরিকল্পিত
  • হামলায় ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতা–কর্মী অংশ নেন
  • পুলিশের ছত্রচ্ছায়ায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ 
  • রেহাই পাননি সাংবাদিক ও পথচারীরাও


শিক্ষার্থীদের মিছিল জিগাতলা থেকে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে গেলে ছাত্রলীগের কর্মীরা লাঠিসোঁটা, রড ও রামদা নিয়ে হামলা চালান। এ সময় এক ফটোসাংবাদিককে পেটানো হয়। গতকাল দুপুরে। 

রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় গতকাল রোববার শিক্ষার্থীদের বিশাল জমায়েতে এলোপাতাড়ি হামলা চালায় ছাত্রলীগ। এই হামলা চালানো হয় পুলিশি পাহারায়। পুলিশ পেছন থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। আর সামনে এগিয়ে এসে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বেধড়ক পেটান ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাঁদের হাতে ছিল লাঠি-রড-রামদা-চ্যালা কাঠ। পরিচয় লুকাতে মাথায় ছিল হেলমেট।

শিক্ষার্থী ছাড়াও কর্তব্যরত সাংবাদিকদেরও খুঁজে খুঁজে নির্মমভাবে পেটান তাঁরা। এমনকি নারী চিকিৎসক, বৃদ্ধ পথচারীও রেহাই পাননি। বিভিন্ন ভবনের ওপর বা ভেতর থেকে যাঁরাই মুঠোফোনে হামলাকারীদের ছবি তুলেছেন, দেখামাত্র তাঁরাও মারধরের শিকার হয়েছেন।

গতকাল ধানমন্ডি এলাকায় পুলিশের পাহারায় করা এই হামলায় অংশ নেন ছাত্রলীগের কয়েক শ নেতা-কর্মী। এতে কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৪ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এই নিয়ে গত দুই দিনে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের হামলায় প্রায় ২০০ শিক্ষার্থী আহত হলেন।

গত ২৯ জুলাই বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলায় জাবালে নুর পরিবহনের একটি বাস একদল শিক্ষার্থীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই দুজন নিহত হন। এরপর থেকেই নিরাপদ সড়কের দাবিতে পুরো ঢাকার শিক্ষার্থীরা সড়কে নেমে আসে। বিভিন্ন সড়কে নেমে যানবাহনের কাগজপত্র যাচাই করা শুরু করে তারা। একপর্যায়ে মঙ্গলবার থেকে ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ চলে যায় শিক্ষার্থীদের হাতে। এই আন্দোলন পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়ে।

পরিস্থিতি সামাল দিতে গতকাল থেকে ট্রাফিক সপ্তাহ শুরু করে পুলিশ। তারপরও গতকাল ১০টি এলাকায় শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান নেয়। শনিবারের হামলার প্রতিবাদে গতকাল সবচেয়ে বেশি সংখ্যক জমায়েত ছিল সায়েন্স ল্যাবরেটরি ও ধানমন্ডি এলাকায়। সেখানেই পুলিশি পাহারায় হামলা হয়।

ঘটনা যেভাবে শুরু 

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের ওপর গত শনিবারের হামলার প্রতিবাদে গতকাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের দুটি কর্মসূচি ছিল। ‘অপরাজেয় বাংলা’র নিচে ব্যবসায় অনুষদের শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বে একটি অংশ এবং রাজু ভাস্কর্যের সামনে নিপীড়নের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসা শিক্ষার্থী ও বামপন্থী কয়েকটি সংগঠনের নেতা-কর্মীদের মানববন্ধনের কথা ছিল বেলা ১১টায়। ওই কর্মসূচি দুটিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ, ঢাকা নার্সিং কলেজের কয়েক হাজার শিক্ষার্থী অংশ নেন। মানববন্ধন কর্মসূচি শেষে শিক্ষার্থীরা শাহবাগ থেকে জিগাতলা হয়ে আবারও শাহবাগে ফিরে প্রতিবাদ কর্মসূচি শেষ করার সিদ্ধান্ত নেন।

দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা সায়েন্স ল্যাব হয়ে জিগাতলার দিকে মিছিল নিয়ে এগোয়। গতকালের স্লোগান ছিল মূলত ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’। সকাল থেকেই সীমান্ত স্কয়ারের কাছে পুলিশ অবস্থান নেয়। শিক্ষার্থীদের একটি অংশ জিগাতলা মোড়ে জাপান-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের সামনে দিয়ে ফিরছিল, অন্য অংশটি দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশের মুখোমুখি। আন্দোলনকারীরা পুলিশের উদ্দেশে চিৎকার করছিল। একপর্যায়ে পুলিশ শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়তে শুরু করে। শিক্ষার্থীরাও দূর থেকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়ে ও আগুন জ্বালিয়ে টিয়ার শেলের ঝাঁজ থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা চালায়। বেলা দেড়টা নাগাদ পুলিশের উপর্যুপরি ধাওয়ার মুখে শিক্ষার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয়। সেখান থেকে বের করে নিয়ে পুলিশ তাদের ধানমন্ডি ১ নম্বরের দিকে জড়ো করে। অন্য অংশটি পার্কের ভেতর দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধানমন্ডি লেকের পাশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের একাংশ বেরিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের সামনে থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে যুবকেরা শিক্ষার্থীদের তাড়া দেয়। একই সময়ে ঢাকা কলেজ থেকে কয়েক শ শিক্ষার্থী এসে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায়। প্রথমে ধানমন্ডি ১ নম্বর থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় বেরিয়ে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্র। তাঁদের লোহার রড ও লাঠি দিয়ে মেরে রক্তাক্ত করা হয়। এরপর রিকশায় করে হাসপাতালের দিকে আসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরই আরেক ছাত্র। তাঁর গালে ছিল রামদায়ের কোপ। সাংবাদিকেরা যখন আহতদের ছবি তুলছিলেন, তখন অতর্কিতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে তাঁদের শাসান। পুলিশের সামনেই ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসে বলেন, সাংবাদিকদের কেউ যদি ছবি তোলেন তাহলে সবাই ‘রক্তাক্ত’ হবেন। আশপাশের ভবন থেকে যাঁরা ওই সময় ছবি তুলছিলেন বা ভিডিও করছিলেন, তাঁদের তাক করে পাথর ছুড়ে মারেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় এক নারী চিকিৎসককে তাঁরা রিকশা থেকে ফেলে মারধর করতে থাকেন। এর একটু পর তাঁরা চড়াও হন এক বৃদ্ধ পথচারীর ওপর। ওই পথচারী বারবার হাত জোড় করে ক্ষমা চেয়েও বাঁচতে পারেননি।

বেলা দুইটার দিকে প্রায় একই চিত্র ছিল সায়েন্স ল্যাবরেটরির দিকেও। সেখানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মাল্টিপ্ল্যান সেন্টারের সামনে জড়ো হয়েছিলেন। ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগ হাজির হলে বেলা দেড়টার পর পুলিশ সায়েন্স ল্যাবরেটরির দিক থেকে কাঁদানে গ্যাস ছোড়া শুরু করে। তারপরই লাঠিসোঁটা, রড, পাইপ, রামদা হাতে মাথায় হেলমেট পরা একদল যুবক শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে কাঁটাবনের দিকে তাড়িয়ে দেন। ধাওয়ার সময় তাঁরা কয়েকজনকে মারধর করেন। বিভিন্ন ভবনের ওপর থেকে যাঁরা ভিডিও করছিলেন, তাঁদের দিকে তেড়ে যান হেলমেট পরিহিত যুবকেরা। কোনো ভবনের বারান্দা বা ছাদে লোকজন জড়ো হতে দেখলেই তাঁরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন, ছবি তুললে ‘খেয়ে ফেলবে’ বলেও হুমকি দেন। এ সময় পুলিশও কিছুটা সামনের দিকে দিকে এগিয়ে এসে বাটা সিগন্যালে অবস্থান নেয়।

আসাদ গেটেও দুপুর সাড়ে ১২টার সময় শিক্ষার্থীরা মিছিল বের করে। সায়েন্স ল্যাবে পৌঁছালে পুলিশ শিক্ষার্থীদের তাড়িয়ে দেয়। তারা শিক্ষার্থীদের দিকে টিয়ার শেল ছুড়তে শুরু করে। মিছিলটি ঘুরে যাওয়ার আগেই লাঠি হাতে ছাত্রলীগ ঘটনাস্থলে হাজির হয়। পুরো সময় পুলিশ উপস্থিত থাকলেও লাঠি হাতের যুবকদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি করা ছাড়া তাদের আর কোনো ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। পথচারী ও দোকানপাট ও ভবনের ভেতর থেকে যাঁরা ভিডিও করছিলেন, আসাদ গেটেও ছাত্রলীগ তাঁদের দিকে ইট ছুড়ে মারে এবং ভিডিও না করার জন্য শাসাতে থাকে।

এ সময় পুলিশের রমনা জোনের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার সাংবাদিকদের বলেন, মিছিলকারীরা ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ অফিসের দিকে যাচ্ছিল। তাদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করা হয়েছে। কেবল আন্দোলনরতদের নিবৃত্ত করা হচ্ছে, লাঠি হাতে ছাত্রদের নয় কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাত্ররা ছত্রভঙ্গ হয়ে যাওয়ার পর পুলিশ বিভ্রান্ত হয়ে যায়। কারা কোন পক্ষের বুঝতে পারেনি। তাই যারা পুলিশের দিকে ঢিল ছুড়েছে, তাদেরই নিবৃত্ত করা হয়েছে।

শাহবাগ এলাকায় দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, টিএসসির দিক থেকে একটি মিছিল আসার সময় পুলিশ বুঝতে পারছিল না এটা কাদের মিছিল। এরপর পুলিশ সেই মিছিল লক্ষ্য করে টিয়াস গ্যাসের শেল ছুড়তে উদ্যত হয়। এ সময় পুলিশের ওয়াকিটকিতে বলা হয়, এরা আলফা-লিমা (ফোনেটিক অ্যালফাবেট এ এল, যা দিয়ে আওয়ামী লীগ বোঝানো হয়)। এরপর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা মিছিলের অনুমতি দেন।

আরেকজন কর্মকর্তা জানান, বেলা পৌনে দুইটার সময় ঢাকা কলেজের দিক থেকে হেলমেট পরে লাঠিসোঁটা হাতে ছাত্রলীগের একটি মিছিল সায়েন্স ল্যাবের দিকে আসতে থাকলে সেখানে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানতে চান এরা কারা। এ সময় ওয়াকিটকিতে বলা হয় তারা আলফা-লিমা। মিছিলকে আসার অনুমতি দেওয়া হয়। সেই মিছিলে আসা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাই ধানমন্ডি ১ নম্বর সড়কের মুখে এসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালান।

হামলা ছিল পরিকল্পিত

পুলিশের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সামাল দিতে কী করণীয়, তা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার পুলিশ সদর দপ্তরে বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজেনৈতিক দল ও ছাত্রসংগঠনের নেতাদের সম্পৃক্ত করার কথা বলা হয়। এরপরই শনিবার পুলিশের উপস্থিতিতে ধানমন্ডি এলাকায় শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা করে। যদিও একটি গুজবকে কেন্দ্র করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। তবে গত শনিবারের হামলার সময় পুলিশ সদস্যরা নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকলেও গতকাল তাঁরা ছাত্রলীগের সহযোগী হিসেবে আবির্ভূত হন।

এভাবে পুলিশি পাহারায় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ব্যাপারে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। এর আগে দুপুরে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টে ট্রাফিক সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বর্তমান পরিস্থিতি ধৈর্যের সীমা অতিক্রম করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দেন।

গতকাল ধানমন্ডি যখন রণক্ষেত্র, তখন ধানমন্ডি ৩ নম্বরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান অবস্থান করছিলেন। বেশ কিছু নেতা-কর্মী ছিলেন কার্যালয়ের বাইরে।

ঢাকার মতো গতকাল দেশের বিভিন্ন স্থানেও ছিল প্রায় একই চিত্র। নিরাপদ সড়কের জন্য ঢাকায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ-সমাবেশ, মানববন্ধন করেছেন। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং খুলনা, বরিশাল ও ফরিদপুরের শিক্ষার্থীরা এসব কর্মসূচিতে অংশ নেন।

আহত ১৪ জন ঢাকা মেডিকেলে 

রাজধানীর জিগাতলায় পুলিশের টিয়ার গ্যাসের শেল ও লাঠিপেটায় ঢাবির শিক্ষার্থীসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন। তাঁরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) চিকিৎসাধীন আছে। আহতদের কয়েকজনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে। তাঁরা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান (২১), সুসমিতা রয়েল লিসা (২৩), তুষার (২৪), শিমন্তী (২৬), নাঈম (২৩), শাওন (২৪), মারুফ (২৪), বুয়েটের রাকিন (২৩), আইইউবির ছাত্র এনামুল হক (২৪), ছাত্র তামিমসহ (২৩) প্রায় ১৪ জন। তাঁদের মধ্যে ছাত্রলীগের একজন কর্মীও রয়েছেন। তাঁর নাম শামীম আল মামুন (২৭)। আহতরা জানান, এই ঘটনায় আরও অনেক শিক্ষার্থী আহত আছেন, বিভিন হাসপাতালে তাঁরা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মো. বাচ্চু মিয়া তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

এর আগে শনিবারের হামলার ঘটনায় অন্তত ৮৫ জন ধানমন্ডির পপুলার ও জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন বলে জানা গেছে।
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ আগস্ট ৬,২০১৮ 

Saturday, August 4, 2018

Bus 'strike' makes people suffer


Public transport taken off roads apparently to counter students' road safety movement

 
In what appears to be an old trick to counter the ongoing student movement for safe roads, transport owners and workers yesterday suspended bus services between the capital and other districts in an undeclared strike, causing untold sufferings to thousands of people.

The passengers had to either return home or remain stranded at bus terminals in the city and elsewhere as transport operators refused to run buses.


 

Transport owners said they made the decision for fear of vandalism amid protests over the deaths of two students on Airport Road on Sunday. The agitating students demand safety on roads through a total reform to the transport sector where corruption and mismanagement are rife.

Khandaker Enayetullah, secretary general of Bangladesh Transport Owners' Association, claimed that around 400 buses were vandalised and eight buses were torched across the country over the last six days.

“Owners and workers are feeling insecure. They suspended bus services spontaneously,” he said at a press briefing at the association office in the capital yesterday afternoon.

He said the owners and workers' associations didn't issue any directives in this regard, and that the suspension will remain until normalcy returns.

Asked about people's sufferings, Enayetullah said the owners had to suspend the service considering the workers' safety.

He, however, said they have kept the night coach services open.

Meanwhile, Shipping Minister Shajahan Khan said the transport owners and workers stopped bus service due to insecurity.

Drivers were beaten up at some places, he told reporters after attending a milad mahfil at Mohakhali for one of the two victims -- Dia Khanam Mim whose father Jahangir Alam is a transport leader.

“We have observed today's [Friday] situation. If a similar situation prevails tomorrow, I hope the owners and workers will resume services,” said Shajahan, also executive president of Bangladesh Road Transport Workers' Federation.

Asked about the agitating students' demand for his resignation, Shajahan said, “This is BNP's demand, not students'.

Transport sector analysts say whenever there is a strong protest against anomalies in the transport sector, owners and labour leaders halt services, which is nothing but a trick to weaken the justified movement of people.As per the Motor Vehicles Ordinance 1983, any unannounced strike by transport owners is a punishable offence. And the authorities can cancel route permits for such an offence.

Talking to this newspaper, Mozammel Haque Chowdhury, secretary general of Bangladesh Jatri Kalyan Samity, said, “The ill effort to victimise people and put the government in a precarious situation is not expected in any way.”

Just when the prime minister has given directives to bring certain reforms to the transport sector amid the student movement, the transport owners have resorted to the trick of halting services across the country, he said.

Transport owners played the same trick on many previous occasions, including the one in 2015 when there was a campaign against unfit vehicles.

“Such tricks of the transport owners are a major barrier to improving good governance and establishing the rule of law in transport sector. We cannot accept it anymore,” said Mozammel.

It's the passengers who have to bear the brunt of such tricks, he added.

 

PASSENGERS SUFFER IN CAPITAL

Hundreds of passengers remained stranded at Gabtoli, Mohakhali and Syedabad terminals as no long-route buses were operated from any of the terminals in the capital.

At the Gabtoli bus station, scores of passengers were seen looking for transport.

Finding no bus, some of them rented pick-ups to go to Aricha. Each of them had to pay around Tk 500 for the ride, which is only Tk 50 for a bus.

The news of suspension of bus services came as a shock to 70-year-old Samiran Begum who came to the capital from Satkhira with her three family members for treatment two days ago.

“How will we spend the night here?” she told this newspaper yesterday afternoon.

 

CHITTAGONG

Hundreds of passengers crowded the BRTC bus station and other terminals in Goribullah Shah and Olonkar intersection areas only to learn that the bus service to all districts, except for Chittagong Hill Tracts, had been suspended.

Motaleb Mia, a garment worker, said he was waiting for a bus for more than an hour to go to Noakhali.

“All the counters are closed. No one is saying anything about what happened. We guess transport owners gave orders to halt bus services because of the student protest,” he told this newspaper in the morning.

Another passenger, Kamal Uddin, had been waiting for a Dhaka-bound bus since 10:00am but could not find any till 4:00pm.

“It is totally unacceptable to make people suffer this way. Everything in the transport sector is aimed at protecting the transport owners' interests. There is no one to protect the interests of common people,” he said.

Kofil Ahmed, secretary general of Inter-District Bus Owners' Association, said they decided to halt the service for fear of vandalism.

“We got instructions from Dhaka to stop bus services as they fear that our vehicles may come under attack,” he said without giving any details.

 

BENAPOLE

Many passengers, including foreigners, got stranded in the Benapole Check Post area after crossing the Indian side of the border.

“How long will we remain stranded here? The drivers have stopped running buses. What is this?” said Abdur Rahman who returned from India yesterday morning.

Some passengers were seen hiring vehicles to go to their relatives' houses nearby while others kept waiting at the bus terminals for hours.

NORTHERN REGION

The suspension of long-route bus services caused immense sufferings to passengers in Rangpur, Rajshahi, Dinajpur, Bogra, Joypurhat and Naogaon.

Our Dinajpur correspondent found scores of buses parked at Rangpur Central Bus Terminal as well as the bus stations in Kamarpara and Satmatha intersection areas in Rangpur city.

Failing to get any bus, many of the passengers returned home.

Talking to this newspaper, Monjur Rahman, general secretary of Rajshahi Road Transport Owners' Group and also a leader of the Awami League, said they would operate buses at night.

No bus left any stations in Sylhet, Sunamganj, Moulvibazar and Habiganj.

Transport workers put up barricades at many points on the highways so that no bus can ply long-haul routes.

In Barisal, bus service remained suspended as Dhaka-bound buses from the district were unable to ply the roads through Madaripur, the home district of Shajahan,

The situation was the same in Comilla, Barisal, Mymensingh, Chuadanga, Jhenidah, Pabna, Sirajganj, Kushtia, Khulna, Chandpur, Khulna, Bagerhat, Narail, Kushtia, Meherpur, Chuadanga, Satkhira, Jessore and Magura.

 

BNP'S ALLEGATION

The BNP yesterday alleged that bus owners and workers suspended service following ministers' directives.

“The services have been suspended at the ministers' directives in a bid to gloss over the justified demands of the students,” BNP Senior Joint Secretary General Ruhul Kabir Rizvi told journalists at a press briefing at the party's Nayapaltan office.

  - Courtesy: The Daily Star /Aug 04, 2018

5 killed as reckless driving on


Tangail schoolgirl, Dhaka motorcyclist among victims

 
Reckless driving claimed five more lives yesterday amid the nationwide student protest for road safety.
Three people were killed in a head-on collision between two buses in Savar on the outskirts of the capital around 7:00pm. Earlier in the day, rash driving left a schoolgirl and a nurse dead in Tangail and Dhaka respectively.


Police said a speedy bus heading for Faridpur from Dhaka and a local bus crashed into each other on an empty Dhaka-Aricha highway in Keliya area of Dhamrai, leaving three passengers dead on the spot.
At least 30 others were also injured. They were taken to Dhamrai Upazila Health Complex. Later, six of them were referred to Dhaka Medical College Hospital as their condition was critical, said sources at the Dhamrai hospital.
Rejaul Haque, officer-in-charge of Dhamrai Police Station, said the bodies were sent to Shaheed Suhrawardy Medical College Hospital for autopsy.
The buses were seized, said the OC.
The identities of the deceased could not be confirmed till 12:30am today. What happened to the drivers also could not be known.
 
TANGAIL ACCIDENT
With a 15-year-old assistant of a driver at the wheel, a pickup hit 10th-grader Sadia Afrin, 16, from behind in Beltoli Bazar area of Tangail's Sakhipur upazila, leaving her critically wounded.
The accident happened around 9:00am when Sadia, daughter of Azaharul Haque of Borochowna Dhelipara village, was returning home from one of her relatives' house, said SM Tuhin Ali, officer-in-charge of Sakhipur Police Station.
The driver, Tanvir, tried to escape but locals caught him and handed him over to police.
Badly wounded Sadia, a student of Borochowna High School, was rushed to Sakhipur Upazila Health Complex. As her condition deteriorated, doctors referred her to Mymensingh Medical College Hospital. She died on her way to the hospital around noon, reported our Tangail correspondent, quoting the OC.
As the news spread, locals brought out a procession in Borochowna Dhelipara area and blocked the Dhaka-Sagardighi road there, leading to long tailbacks on both sides of the road, said witnesses. The protesters left after the local administration assured them of punishing the driver immediately, they said.During preliminary interrogation, Tanvir admitted that he was an assistant of the main driver, Lavlu Mia. The arrestee said he was taking the pick-up for wash at a garage as asked by Lavlu, said Mohammad Ahaduzzaman, additional superintendent of police (crime) in Tangail.
The vehicle was seized. Police were trying to arrest Lavlu, he said.
Sadia's parents were struggling to come to terms with the fact that their daughter would never become back. 
“Please bring my daughter back. How could it happen to her!” wailed her father Azahaul Haque, a trader, at their home. At one point, he took a long pause and said, “She [Sadia] was a good student. We dreamt that one day she would go for higher studies. That dream, however, has been shattered.”
 
ACCIDENT IN DHAKA
Saiful Islam Rana, a nurse at Dhaka Community Medical College and Hospital in Moghbazar, was killed around 1:00pm as a speedy bus hit his motorcycle and dragged him yards on the street in the same area.
Quoting witnesses, the victim's cousin Rajibul Islam Rabid said the bus got down the ramp of Moghbazar flyover near Wireless Gate at speed and rammed Saiful's motorbike which had entered the thoroughfare from an alley.
The incident happened even as traffic was thin in the area, Rabid said, adding Saiful was on his way to home in Goran for lunch.
Locals first rushed critically injured Saiful, 26, to a nearby hospital and then to Dhaka Medical College Hospital where doctors declared him dead.
While trying to flee immediately after the incident, the bus, which was carrying passengers for another bus that operates on the Dhaka-Satkhira route, hit a rickshaw, leaving the rickshaw-puller and two passengers on it injured.
Locals, however, caught the bus and set it on fire. They also caught the driver, beat him up and handed him over to police.On information, three fire engines went to the spot, but the vehicle had completely been burnt by that time.
Son of Shahjahan Mia, who works at a city hospital, Saiful was from Banaripara in Barisal. One of his sisters is a college student while the other a schoolgirl.
A neighbour of the family said it had been doing well since Saiful got a job at the community clinic in Moghbazar.
A case was filed in this connection.After the news spread, students of Dhaka Community Medical College blocked one side of the road near the spot, protesting the death. They were there till 9:30pm last night.
Contacted, Maruf Hossain Sardar, deputy commissioner of Dhaka Metropolitan Police (Ramna Zone), said they detained the driver, Imran, and his assistant.
Yesterday's incidents came barely a week after two college students, Dia Khanam Mim and Abdul Karim Rajib, were crushed by a reckless bus on Airport Road.
The two died as a Jabal-e-Noor bus ploughed into a crowd while competing for passengers with another bus of the same company. Later, it was revealed that a third bus was involved in the race.
The incident sparked an outrage across the country, leading to the ongoing student movement.

     - Courtesy: The Daily Star /Aug 04, 2018


Total disorder


Unlicensed, unskilled drivers and unregistered, unfit vehicles rule transport system putting lives of passengers, pedestrians at risk


It's anarchy of an incredible scale.
Consider this: There are some 35.36 lakh registered vehicles in the country. So far, the BRTA, a transport regulator, has issued 26.39 lakh driving licences. This means, around 9 lakh vehicles are in the hands of drivers who do not have licences.


There is no data, but many of these “drivers” are children as young as 14 or 15.  
Add to this around 20 lakh unregistered vehicles that hit the road across the country with blessings from politicians and government officials, creating chaos and indiscipline in the sector, sector people have said.
Many of these unregistered vehicles are slow-moving and so off-limits to highways. Still, they continue to ply the highways, defying High Court orders.
The authorities cannot punish their owners and drivers because of their patrons, who consider transport workers their vote bank.
The issue of road safety came to the forefront in the wake of the ongoing student protest demanding road safety.
Thousands of school, college and university students have been staging street protests since Sunday, after two college students were killed in rash driving at Kurmitola in the capital.
A race for passengers between three buses led to the accident, initial police investigation found. None of the three drivers, all of whom have been arrested since, had professional driving licences, police said.
One of the buses of Jabal-e-Noor Paribahan did not even have the route permit, while the route permit and fitness of another expired months ago.
Talking to The Daily Star, people involved in transport sector highlighted a host of problems that contribute to the traffic chaos and accidents -- shortage of skilled drivers and training facilities, extortion by traffic police and ruling party men, over-speeding and faulty road designs.
Also, the sector is under multiple authorities with little coordination between them to ensure road safety. As a result, clearing the mess proves to be very difficult, they added.
Accident rates are high in Bangladesh. Police data show some 3,000 people die in road crashes across the country every year.  However, according to Bangladesh Jatri Kalyan Samity, at least 7,397 people were killed and more than 16,000 injured in nearly 5,000 road accidents last year.
DRIVERS WITH NO LICENCE
More than 2 lakh heavy vehicles -- bus, truck and minibus -- ply streets across the country. So far, the BRTA has issued some 1.38 lakh driving licences for such vehicles, meaning 70,000 heavy vehicles drivers do not have driving licences.
A driver needs at least six years' experience before he could get one such licence.
For driving public service vehicles (PSV) like bus and minibus, a person has to take a special permission. So far, some 11,000 people have received such permit, Sitanghsu Shekhar Biswas, director (operation) of BRTA, told The Daily Star on Wednesday.
There are about 80,000 PSVs in the country.
“It is the duty of the owners of such vehicles to check if a driver has the permission before hiring him,” Sitanghsu added.
As for skills training, there are only 123 driving schools registered under the BRTA with only 176 registered driving instructors across the country, he said.
It is impossible for them to train required number of drivers for the growing transport sector, leaving plenty of room for untrained and unprofessional drivers to fill in the gap.
Following a series of road accidents, Prime Minister Sheikh Hasina on June 25 issued several directives, including driving time limitations on drivers and keeping reserved drivers of long-route vehicles to prevent accidents.
Osman Ali, general secretary of Bangladesh Sarak Paribahan Shramik Federation, admitted that there was indeed a shortage of skilled drivers even to meet the current demand. He suggested the government provide free training to create more skilled drivers. 
The Bangladesh Road Transport Corporation (BRTC) has 23 training centers for drivers, but only 14 of them are functional, he added.
Asked to comment on the sector, Khandaker Enayetullah, secretary general of Bangladesh Road Transport Owners' Association, said he would not characterise the situation as “anarchy”.
He claimed there was anarchy in the sector before the AL took office in 2009.
About extortion on roads and highways, he said they were trying to stop it. “To my knowledge, no ministers are directly involved in extorting,” he claimed. “We requested the government to allocate some land to set up training facilities for drivers,” he told a discussion titled “Problems in the transport sector and way out” organised by The Daily Star on July 22.
“There is no alternative but to create skilled drivers to curb road accidents. If skilled drivers are available, we'll be able to appoint good drivers and terminate the bad ones,” he noted.
UNREGISTERED VEHICLES RULE HIGHWAYS
Apart from around 35 lakh registered vehicles, around 20 lakh unregistered vehicles, including locally made Nasiman and Kariman, are plying mainly inter-district, district and upazila roads, said Osman, who was also present at the discussion moderated by The Daily Star Executive Editor Syed Ashfaqul Haque.
“They are not involved with our union or owner's association. They are not our concern. Their operations are supervised by the local administration,” he said.
The High Court has already banned those vehicles on highways, but local political leaders and upazila chairmen want waiver for such vehicles ahead of the election, he added.
“We could not stop them. Police could not stop Nasimon, Korimon and Bhotbhoti from plying highways because of local lawmakers and upazila chairman who let them operate for votes.
“We don't want to mention their names. There are good guys and bad guys everywhere,” Enayet Ullah said.
'POLICE EXTORT MONEY'
In a recent programme, Mashiur Rahman Ranga, state Minister for Rural Development and Co-operatives, accused police and transport federation workers of extorting money from drivers and owners.
“How would a transport owner survive if he has to pay Tk 7,000 to Tk 8,000 for a trip from Dhaka to Panchagarh,” Ranga, also president of Bangladesh Road Transport Owners' Association, said.
Asked about the allegations, Osman said, “I don't know on what basis he [Ranga] has made the comment…. Money is collected based on understanding to bear the operational cost.
“I don't want to make any comment about Tk 8,000 [extortion] without proper counting. However, I can definitely say no worker collects a single taka without the consent of the management. Management means owner's association.”
Enayet Ullah, however, said musclemen and police were involved in extortion in the transport sector. In some cases, transport owners and workers are also involved.
“However, we have reduced the practice and are trying to control it further,” he said.
DISREGARD FOR ROAD SAFETY
There are four elements in transport sector -- roads, vehicles, road users and roadway environment -- each of them responsible for road crashes, said Sharier Parvez, a lecturer at the Accident Research Institute of Buet.
By the time the issue of road accidents first came to the fore in the late 90s, many roads were already built.
“So, the road safety issue may not have been considered while building those roads,” he said.
About unfit vehicles, he said they provided a manual to the BRTA to check 61 matters before issuing fitness clearance.
But BRTA officials said it would take one hour to inspect a single vehicle if they did so. Currently, the BRTA has to provide fitness clearance to 2,000 vehicles daily, which would not be possible if they are to look into all the aspects, Sharier said.
Roadway environment is also responsible for accidents. In Dhaka, for example, pedestrians often cannot use footpaths for various obstacles, he added.


 - Courtesy: The Daily Star /Aug 04, 2018

Wednesday, August 1, 2018

Protests flare up

Police beat up students demanding justice for death of two in Sunday's road accident; Road blocks severely disrupt traffic in the capital


Police baton-charge agitating students near the BRTA office in the city's Mirpur-13 around noon yesterday. Students of several colleges in the area brought out the procession, demanding justice for the two college students who were killed in a road crash in Kurmitola area on Sunday.

Law enforcers beat up dozens of students in different areas of the capital yesterday, as several thousand school and college students took to the streets demanding safe road and justice for their two peers killed in Sunday's road crash.

At least 20 students, some of them female, were injured in Kafrul alone as police baton-charged them in efforts to clear the roads. Several other students were injured in Uttara and Science Laboratory area in police beating.  

They also smashed glass and windshields of around 50 vehicles during the protest that rolled into its third day with more and more students of different educational institutions joining in.

They want a safe road, student-friendly transport system and exemplary punishment of the bus drivers involved in the accident on the Airport Road.

They also demand resignation of the shipping minister, or at least an unconditional apology, for his remarks with a smiling face about the accident that left two students of Shaheed Ramiz Uddin Cantonment College dead and at least nine others wounded.

Dia Khanam Mim and Abdul Karim Rajib were killed on the spot when a Jabal-e-Noor bus ploughed through a crowd while competing with another bus of the same company. It was later revealed that a third bus was also involved in the race.

All the three drivers none of whom have professional driving licences were arrested on Monday, police said.  


Students of Government Science College block Farmgate intersection protesting the deaths of two students after a bus ploughed into a crowd waiting for transport near the Airport Road flyover ramp in the capital's Kurmitola on Sunday. Photo: Sheikh Mehedi Morshed

Protesting the deaths of their fellows, students took to the streets at Farmgate, Science Laboratory intersection, Mirpur-1, Mirpur-10, Mirpur-13, Uttara, Motijheel, Rampura, Nabisco intersection, Sher-e-Bangla Nagar and Shyamoli in the morning amid huge presence of law enforcers.

Traffic system collapsed across the city due to the demonstrations, causing much trouble for office-goers and other commuters. Also, some transport operators did not run their vehicles, resulting in a shortage of transport.

Normalcy returned around 5:00pm.

Police first swung into action near BRTA office in Mirpur-13 around noon as a couple of hundreds college students gathered there to press home their demand, witnesses said.

As the students marched towards Mirpur-10, police intercepted them and beat them up, they added.

A number of witnesses said they saw blood oozing from the wounds of the head of a student and from the hand of another.

In response, the students vandalised at least five vehicles, mostly buses.

Around 700 students, including from City College, Dhanmondi Ideal College and Birshreshtha Noor Mohammad Public College, took position at the Science Lab intersection blocking Mirpur Road for about two hours from 11:45pm.

Students vandalised and then torched a bus there.

Some of their placards read: “Children's corpses on father's shoulder -- how many more?”; “We want justice”; “Step down shipping minister immediately”; “We don't want 4G, we want to return home safe”.

All roads connected to the intersection were closed and no vehicles were allowed in except for ambulance.

As the students stood their ground, some 150 police tried to disperse them.

Being chased by police, students threw brickbats and vandalised a number of vehicles while leaving the area through different points. Pieces of broken glass were seen from Science Lab to Shahbagh. At least 20 vehicles, including a police SUV, were vandalised in the area, witnesses said.

Two City College students and a Dhanmondi Ideal College student were detained from the area on charges of throwing brickbats. They were released later. However, police seized their mobile phones, the students said.

Police also tried to detain another student there, but some journalists prevented the cops from doing so.

Asked about the police action, Maruf Hossain Sorder, deputy commissioner of Dhaka Metropolitan Police (Ramna division), said, “Police drove them around 2:00pm by blowing whistles but did not apply any force.”

In Uttara, several hundred students from different educational institutions of Uttara, Tongi and even from Gazipur took to the street and blocked both sides of the highway near Jashimuddin Road area since 11:30am. They only allowed ambulance and vehicles carrying hajj pilgrims to pass through, witnesses said.


Ahad, a victim of police beating, now being treated at the ICU of Square Hospital. Photo: Collected

As police tried to persuade them to free the road, they agreed to leave the road at 4:00pm. But at 3:40pm police tried to move three buses through the road which infuriated the students, who then vandalised the buses.

Police and Rab members charged baton on the students who retaliated by throwing brickbats, leading to a clash for around half an hour that turned the Jashimuddin Road area into a virtual battlefield. A policeman was injured when hit by a piece of brick.

Students torched two buses and vandalised several others in the area.

Nur-e Azam Miah, officer-in-charge of Airport Police Station in Uttara, denied that law enforcers used any force. He instead blamed the students for the situation. 

Students of Government Science College, Tejgaon Government Boys High School, Sher-e-Bangla Boys High School, Notre Dame College, Government Science College and Rajarbagh Police Lines School and College also took part in the protest, blocking the road near their institutions.

CONDITION WORSENED
The bleeding student seen in the video on social media was later identified as Ahad Ali, 19, of Shaheed Police Smrity College.

He had lost sense immediately for excessive bleeding from the head. He was first taken to a local hospital and then to Dhaka Medical College Hospital, his classmates said.

“We later shifted him to the Square Hospital for better treatment,” Shikder Shamim Hossain, officer-in-charge of Kafrul Police Station, told The Daily Star last night.

A doctor at the emergency unit said Ahad's condition worsened and that he was being treated at the Intensive Care Unit.

FOUR PRODUCED BEFORE COURT
Rab arrested five people -- three drivers and two helpers -- over the accident and handed them over to the police on Monday. 

“They told us that they had nonprofessional driving licence for light vehicles such as microbus and car. But they could not show even those,” said Kazi Shahan Haque, officer-in-charge of Cantonment Police Station.

The cantonment police produced two drivers and two helpers before a Dhaka court yesterday, seeking a seven-day remand in a case filed over the death of the two students.

They are drivers Jubair and Md Sohag and helpers Md Ripon and Md Enayet.

The court will hear the remand petition on August 6.

Masum Billah, the driver of the bus that hit the students, was not produced before the court.

Asked why, sub-inspector Riad Ahmed of Cantonment Police Station, said Masum was in the custody of detectives, who are now investigating the case.

  • Courtesy: The Daily Star /Aug 01, 2018

First the Rohingyas, now the Muslims in Assam

Foreign ministry's reticence baffling


We consider it a matter of grave concern that four million people in Assam have been de-registered, mostly Bengali Muslims, who have become foreigners in their own land. We are equally confounded by this move particularly at a time when Indo-Bangladesh relations is at its peak!

We would not be remiss to suggest that this is an anti-Muslim move, an example of blatant communal politics at its extreme. Bangladesh abhors such politics and feels that such a development may have its own fall-out in Bangladesh. Given the purpose behind the move, which is to identify so-called illegal migrants, one would not be misled to think that this is an attempt to create a vote bank for the ruling BJP. One does not know what to make of the statement of the Assam CM that nobody will be treated as a foreigner if his/her name is not in the list. If that be so, what is the purpose of such a list in the first place?

In this regard, we are highly curious about the stance of our foreign ministry, whose silence on what is happening across the border is extremely baffling. The argument is that it is an internal matter of India, with which we beg to differ. How can it be so when the purpose of the exercise is to identify so-called illegal migrants from Bangladesh? It would seem that we are reacting in the same inert manner as we did three decades ago when Bangladesh remained mum while the Myanmar strongman General Ne Win was disenfranchising the Rohingyas. Today, we are facing the brunt of the Rohingyas made stateless, and Bangladesh now hosts 1.1 million refugees.

Given the gravity of the situation, our government must raise the issue with Delhi at the highest level. It's a question of national security and we cannot look at this situation merely as an internal matter of India, especially when there is every chance of a mass deportation of such a massive number of people into our country.
  • Courtesy: The Daily Star/ Editorial /Aug 01, 2018

BFIU finds evidence of Tk 40 billion capital flight

Businesses did it thru export and import, unit head says


A group of businesses is reported to have been involved in capital flight amounting to Tk 40 billion in disguise of imports and exports.

Bangladesh Financial Intelligent Unit (BFIU) has discovered the evidence of such an involvement.

The BFIU has also sent this information to the National Board of Revenue (NBR) and other law-enforcement agencies requesting them to further investigate the cases before moving towards prosecution.

BFIU head and Bangladesh Bank (BB) deputy governor Abu Hena Mohd Razee Hassan disclosed this on Tuesday while responding to the reporters at the monetary policy unveiling programme.

BB governor Fazle Kabir released the monetary policy for the first quarter of the fiscal year (FY), 2018-2019, at the central bank headquarters in the city.

The central bank chief shifted the responsibility to Mr. Hassan for replying to the question over apathy of some businessmen to import products even after opening letters of credits (L/Cs) and repatriate money of their exports.

Mentioning Swiss Bank's recent report where the volume of capital flight from Bangladesh shown to be on the declining path, he said the BFIU has "seriously" been looking into this matter.

"It's not like we're letting the issue of capital flight go unchallenged. It's being monitored properly," the BFIU head-cum-BB deputy governor said without giving any further details.

About the central bank's weakening supervision, BB deputy governor S. M. Moniruzzaman said they have been taking necessary measures within their jurisdiction once they found any irregularities during the inspection.

BB change Management Advisor Allah Malik Kazemi said the businesses will not open new L/Cs without importing goods in accordance with their previous L/Cs while business will be difficult for those who haven't repatriated export proceeds.

"This micro-level regulation is still active here," he said.

About the capital market stability, BB governor Fazle Kabir said there is undoubtedly enough liquidity in the market and the level of mismatch has come down.

At the same time, inter-bank interest rates in the money market have also reduced. "Both are important. I think congenial climate is persisting in the share market," he added.

Regarding the reported gold scam in the BB vault, the central bank chief said it has ensured foolproof security arrangement for the vault.

"There is a six-tier security system with the installation of 32 close circuit cameras in operation from round the clock. There is no scope for gold mismatch," he said.

About the BB US$81 million reserve heist, he said the unrealised money is being contested at various courts in the Philippines and the money will be brought bank once it is settled.

"We're hopeful," he added.
  • Courtesy: The Financial Express /Aug 01, 2018

PM’s directives go unheeded


Three ministers concerned are yet to sit together even one month after Prime Minister Sheikh Hasina gave directives to monitor the traffic management system and hold meetings from time to time, sources said.

The Prime Minister in a cabinet meeting on June 25 directed home, road transport and shipping ministers to monitor the traffic management system and hold meetings from time to time for implementing her directives.

She gave some 15 directives following an increase in road accidents across the country, especially during the Eid-ul-Fitr vacation.

Though the Ministry of Road Transport and Bridges (MoRTB) held a meeting on July 03 to devise a work plan for executing PM's directives, sources said, it was an internal meeting. No minister was invited to the meeting.

Despite the death of three students in two road accidents following the PM's directives, no meeting has yet been convened.

On an average, three to four people were killed in road accidents in the country during the last one month.

But the death of three students in last one week triggered protests due to cruelty of drivers and helpers.

Saidur Rahman Payel, a student of North South University, died recently when transport workers threw him into a river. He was injured seriously while getting on a Dhaka-bound bus of Hanif Paribahan.

Besides, two students of Ramiz Uddin College Diya Khanam Mim and Abdul Karim Rajib were run over by a speeding bus at Airport Road when they were waiting for a bus on the roadside on Sunday.

Transport experts alleged that such a situation continued as the authorities concerned had not taken proper steps to prevent road accidents even after the Prime Minister gave directives.

Prof Shamsul Haque of Civil Engineering Department at Bangladesh University of Engineering and Technology said the PM's directives prove that none of the authorities concerned has taken the issue seriously.

He said an example has already been set in city's Gulshan and Hatijheel areas where a single company-system bus is performing without making trouble to people.

"It is clear from most road accidents that an unhealthy competition among bus drivers and operators persist in the country. But one side blames drivers and another side tries to save them. But Strategic Transport Plan has clearly directed to introduce a company bus system on a single route to avert this kind of competition as well as accident," he said.

Transports experts, however, felt the need of the Prime Minister's follow-up action in this regard.

However, this is not first time negligence of the ministers was shown.

Earlier in 2013, a special cabinet committee was formed with 10 leading ministers to execute different road safety related steps through coordination. This effort was made to ensure political commitment.

Though the meetings of the committee with the then communication minister were held twice, the ministers later delegated the secretaries to continue the meetings.

Not a single decision taken during the meetings was executed nor a single meeting was held by the secretaries afterward, sources added.

The ministers were chosen based on the ministries' direct and indirect involvement in ensuring road safety. But the meeting reconstituted the cabinet committee with seven ministries land, shipping, rail, finance, home and rural development and cooperatives.

In absence of seriousness to prevent road accidents and control them, the number of accident-related deaths has been increasing every year. During January to June 2018, some 3,026 people were killed and 8,520 injured in 2,860 road accidents.
  • Courtesy: The Financial Express/ Aug 01, 2018

ঢাকায় আজও বাস কম, হেঁটে যাচ্ছেন কর্মব্যস্ত মানুষ


ঢাকায় আজও রাস্তায় নেমেছে শিক্ষার্থীরা। ফার্মগেট এলাকায় সরকারি বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষার্থীরা রাজপথে অবস্থান নিয়েছে। ফলে ওই রাস্তা নিয়ে কোনো গাড়ি চলাচল করতে পারছে না। মোহাম্মদপুরে শিক্ষার্থীরা সকাল নয়টার দিকে মিছিল বের করেছে। গতকালের মতো সারা ঢাকায় আজও বাস কম দেখা যাচ্ছে।

মোতাসিম বিল্লাহ বাসস্ট্যান্ডে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে দাঁড়িয়ে। কোনো বাস নেই। মিরপুর ১২ নম্বরের বাসা থেকে সকাল আটটায় দিকে বের হয়েছেন। গুলিস্তান যাবেন। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে একটি দোকানের কর্মকর্তা তিনি। সময়মতো না গেলে দোকান খোলায় দেরি হয়ে যাবে। শুধু তিনিই নন, এমন আরও অনেকে কর্মস্থল বা গন্তব্যে যেতে বাসের অপেক্ষায় সময় গুনছেন।


আজ বুধবার সকালে পুরো ঢাকার মিরপুর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেল। বাস নেই। দু-একটা বাস চলছে, তবে যাত্রীদের ভিড় অনেক বেশি। অফিসমুখী যাত্রী, স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীদের হেঁটে ও রিকশায় যেতে হচ্ছে। রাজপথের সড়ক ফাঁকা। তবে দূরপাল্লার বাস চলতে দেখা গেছে।

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা গত দুদিন ধরে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়কে অবস্থান নেয় শিক্ষার্থীরা। এতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পুরো ঢাকা প্রায় স্থবির। গতকাল মঙ্গলবার উত্তরা এলাকায় যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

সকাল থেকে রাস্তায় বাস চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে কম। মিরপুর থেকে যেতে যেতে গাবতলী, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, মহাখালী সব জায়গাতেই বাসস্ট্যান্ডগুলোয় অসংখ্য মানুষকে বাসের জন্য অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে।

গাবতলীর ট্রাফিক সার্জেন্ট সোহেল রানা সকাল নয়টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বাসের সংখ্যা অনেক কম।’ জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সকাল থেকে পুলিশ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে গিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলছে। ছাত্রদের ফেরত পাঠাতে সরকারি বিজ্ঞান কলেজের প্রিন্সিপাল ও শিক্ষককে নিয়ে আসতে গিয়েছে পুলিশ।

শাহবাগ এলাকায়ও অন্যান্য দিনের তুলনায় কম বাস চলতে দেখা গেছে। শাহবাগ জোনের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার শাহেদ আহমেদও জানান, অন্যান্য দিনের তুলনায় আজ বাস চলাচল করছে খুব কম।

কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ বাস চলাচল কম হচ্ছে কেন, তাঁরা জানেন না। বাস শ্রমিক বা মালিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।

রোববার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনের বিমানবন্দর সড়কে আবদুল্লাহপুর থেকে মোহাম্মদপুর রুটে চলাচলকারী জাবালে নূর পরিবহন লিমিটেডের একটি বাস সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা শিক্ষার্থীদের ওপর উঠে যায়। এতে ঘটনাস্থলে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আবদুল করিম ও একই কলেজের ছাত্রী দিয়া খানম নিহত হয়। গুরুতর আহত এক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়।
  • Courtesy: Prohom Alo/ Aug 01, 2018

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে নাশকতা তৈরীতে ধরা পড়লো ছাত্রলীগ!


সড়কে নিরাপত্তার দাবিতে ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনের তৃতীয় দিন। বেলা ১১ টা। আন্দোলনরত একদল ছাত্র ফার্মগেটে সড়ক অবরোধ ও বাসের লাইসেন্স পরীক্ষা শেষে মিছিল করে কেবলই সার্ক ফোয়ারা মোড়ে সোনারগাঁও হোটেলের সামনে এসেছে। তারা সেখানে স্বাধীন পরিবহনের একটি বাসের চালকের লাইসেন্স পরীক্ষা করছিল। শাহবাগের দিক থেকে আসা বাসটিতে আগে থেকেই সাদা ইউনিফর্ম পরা কিছু ছাত্র ছিল। তারাই গাড়িটি কারওয়ান বাজার সিগনালে থামায়। গাড়িটি চালাচ্ছিল ১৩ থেকে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোর। তার কোনো লাইসেন্স না থাকায় ছাত্ররা যাত্রীদের বলে, ‘আপনারা নেমে যান, আমরা গাড়ির কিছু করব না। এই গাড়ি নিরাপদ না।’

গাড়িটি তখন ঘিরে ছিল স্কুলের নীল পোশাক পরা প্রায় দুই-আড়াই শ ছাত্র। হঠাৎ ইউনিফর্ম ছাড়া সাদা টি-শার্ট পরা এক যুবক ইট নিয়ে গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে ফেলে। তড়িঘড়ি করে ছাত্ররা তাকে ধস্তাধস্তি করে আটকায়।

পুলিশ তখন সার্ক ফোয়ারা চত্বরে দাঁড়িয়ে দেখছিল।

ছাত্ররা ভাঙচুরকারী যুবককে পাকড়াও করে দূরে দাঁড়ানো পুলিশের কাছে নিয়ে যায়। ছাত্ররা বারবার বলিছল, ‘তুই গাড়ি ভাঙলি ক্যান? আমরা কি ভাঙচুরের আন্দোলন করতেছি?’ তারা যুবকটিকে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে।

এ প্রতিবেদকের জিজ্ঞাসার জবাবে যুবকটি নিজেকে ছাত্রলীগের কর্মী বলে দাবি করেন। পুলিশের হাতে থাকা যুবকটির সঙ্গে এই প্রতিবেদকের যে কথাবার্তা হয়: (ভিডিও দেখুন)
https://www.youtube.com/watch?v=o9xyHnX9RwY&feature=youtu.be

প্রশ্ন: আপনি কে, আপনার পরিচয় বলেন।
যুবক: আমি হবিগঞ্জ সরকারি বৃন্দাবন কলেজের ছাত্র। 
প্রশ্ন: আপনি ঢাকায় এসেছেন কেন? 
উত্তর: গাজীপুরে ভুটের (ভোট) কাজে আসছি। 
প্রশ্ন: কার ভোটের কাজে? 
উত্তর: আমার ভুট। 
প্রশ্ন: গাজীপুরে কিসের ভোট আপনার? আপনার বাড়ি তো হবিগঞ্জে বললেন। 
উত্তর: আমার কাজে, মানে কলেজের কাজে। 
প্রশ্ন: আপনি কোনো দল করেন? 
উত্তর: ছাত্রলীগ। 
প্রশ্ন: কোন ইউনিট, কোন শাখা? 
উত্তর: হবিগঞ্জ বৃন্দাবন কলেজ। 
প্রশ্ন: আপনার ইউনিটের প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারির নাম বলেন। 
উত্তর: আমার নাম নাঈম আহমেদ নাঈম। আমার নেতার নাম সাঈদুর রহমান। 
প্রশ্ন: তিনি কি সভাপতি? 
উত্তর: জি।

এ প্রতিবেদন লেখার সময় হবিগঞ্জ ছাত্রলীগ জেলা কমিটির সভাপতি সাইদুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। ছাত্রলীগের এ নেতা শাহ নাঈম নামের কর্মীর কথা স্বীকার করেন। 

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ০১ আগস্ট ২০১৮