Search

Thursday, August 16, 2018

৫১ মামলায় চার সহস্রাধিক আসামি গ্রেপ্তার ১০০


মহিউদ্দিন অদুল

নিরাপদ সড়কের দাবিতে হওয়া ছাত্র আন্দোলনেফেসবুকের মাধ্যমে উস্কানি সহিংসতার অভিযোগে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ৫১টি মামলা হয়েছে এতে জ্ঞাত অজ্ঞাতনামাসহ  আসামি হয়েছে চার সহস্রাধিক গত ২৯শে জুলাই ছাত্র আন্দোলন শুরুর পর থেকে ১১ই আগস্ট পর্যন্ত মামলা আসামির এই পরিসংখ্যান ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এর মধ্যে অন্তত কয়েক ’ ‘উস্কানিদাতাকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রায় প্রতিদিনই তাদের কাউকে না কাউকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এরই মধ্যে অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ


 ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপকমিশনার (মিডিয়া) মো. মাসুদুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে যারা ছাত্র আন্দোলনে উস্কানি দিয়েছে তাদের শনাক্ত করা হচ্ছে যারা শনাক্ত হচ্ছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে তা অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি অবশ্য অপর এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা জানান, এরই মধ্যে কয়েক উস্কানিদাতা শনাক্ত হয়েছে তাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে

এদিকে গতকাল বুধবারও তিনজন গ্রেপ্তার হয়েছে

ভোরে ফেসবুকে উস্কানির অভিযোগে কোটা সংস্কার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক লুৎফুর নাহার লুমাকে (২২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ক্ষিদ্রচাপরি চর এলাকায় দাদার বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে তাকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয় কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট বেলকুচি থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে লুমা ইডেন কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তার আগে মঙ্গলবার রাতে একই অভিযোগে রাজধানী থেকে আটক করা হয়েছে ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আহমাদ হোসাইনকে (১৯) 

একই রাতে কামরাঙ্গীর চর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ওই এলাকার জামিয়া নুরিয়া মাদরাসার ছাত্র নাজমুস সাকিবকে (২৪) পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সদস্যরা দুজনকে গ্রেপ্তার করে


ডিএমপি সূত্রে জানা যায়, গত ২৯শে জুলাই রাজধানীর শহীদ রমিজ উদ্দীন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের দুজন শিক্ষার্থী জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর ক্ষুব্ধ হয় স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এরপর রাস্তায় নামে তারা তারপর থেকে গত ১১ই আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতা ফেসবুকে উস্কানি দেয়ার অভিযোগে একে একে বিভিন্ন থানায় মামলাগুলো করা হয় এর মধ্যে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা ৪৩ মামলায় ৮১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে আর তথ্যপ্রযুক্তি আইনে ২৯ জনকে আসামি করে করা মোট ৮টি মামলায় পর্যন্ত ১৬ জনকে গেপ্তার করা হয়েছে ৮টি মামলার মধ্যে ৪টি মামলা ডিএমপি সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ক্রাইম বিভাগ, ১টি ডিবি পুলিশ এবং ১টি থানা পুলিশ তদন্ত করছে ওই ৯৭ জনের সঙ্গে গ্রেপ্তারের মিছিলে গতকাল জন যোগ হলে তাদের সংখ্যা দাঁড়ায় ১০০ জনে অবশ্য একই অভিযোগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শেখ তাসনিম আফরোজ ইমিকে শামসুন্নাহার হলের সামনে থেকে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আটক করা হলেও মধ্যরাতে ছেড়ে দেয়া হয়


এদিকে ছাত্র আন্দোলনে সহিংসতা ফেসবুকে উস্কানির অভিযোগে দায়েরকৃত ৫১ মামলার মধ্যে ৪৩টি করা হয়েছে বিশেষ ক্ষমতা আইনে গত ১১ই আগস্ট পর্যন্ত সেগুলোতে গ্রেপ্তার দেখানো হয় ৮১ জনকে এদিকে দায়ের হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে ডিএমপির রমনা বিভাগে করা ১৪ মামলায় ৩১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এর মধ্যে ১০টি মামলাই হয়েছে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে সেগুলোতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২০ জনকে আর ৮৪ জনকে আসামি করে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে অপর ১১ জন এর মধ্যে ১৩টি তদন্ত সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ অপর একটির তদন্ত করছে ডিবি আর লালবাগ বিভাগে এজাহারনামীয় একজনসহ অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে দায়ের করা একটি মামলায়ও জনকে গ্রেপ্তার করা হয় ওয়ারী বিভাগে দায়ের হওয়া দুমামলায় অজ্ঞাতনামা আসামির সংখ্যা ৩৫০ থেকে ৪৫০ জন তাতে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে একজনকে ডিএমপির মতিঝিল বিভাগের কয়েক থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা মামলায় ১০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে তেজগাঁও বিভাগে জনকে আসামি করে দায়ের হওয়া দুমামলায় এজাহারনামীয় জন সন্দেহভাজনসহ ৮জন গ্রেপ্তার হয়


মিরপুর বিভাগের মিরপুর মডেল থানায় বিইউবিটি ইউনিভার্সিটি কমার্স কলেজসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অজ্ঞাতনামা ৫০০ থেকে ৬০০ ছাত্র-শিক্ষককে আসামি করে দায়ের হয়েছে অপর এক মামলা আর কাফরুল থানায় অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে ১টি ৯৬ জনকে আসামি করে আরো ৩টিসহ ৫টি মামলা করা হয়েছে সবচেয়ে বেশি আসামি হয়েছে রাজধানীর কূটনৈতিক জোন গুলশান বিভাগের একাধিক থানায় করা মামলায় গুলশান বিভাগে অজ্ঞাতনামা হাজার থেকে হাজার ৪৫০ জনকে আসামি করে ৭টি মামলা ৩১ জনকে আসামি করে আরো ২টি মামলাসহ মোট ৯টি মামলা করা হয়েছে ?৯টি মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছে ২৬ জন অপর দিকে উত্তরা বিভাগে অজ্ঞাতনামা ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে ৩টি মামলা হয়েছে আর ১১৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা আসামির বিরুদ্ধে আরো ১টি মামলাসহ সেই বিভাগে ৪টি মামলা করা হয়েছে তাতে গ্রেপ্তার হয়েছে জন

আর তথ্য প্রযুক্তি আইনে করা মামলায় ২৯ জন আসামির মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে ১৬ জন গতকাল গ্রেপ্তার অপর তিনজনকে উভয় ধরনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানা গেছে

ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. ওবায়দুর রহমান মানবজমিনকে বলেন, ছাত্র আন্দোলনে উস্কানি সহিংসতার অভিযোগে মামলাগুলো হয়েছে সাইবার ক্রাইম ইউনিট, ডিবি থানা পুলিশ মামলাগুলো তদন্ত করছে অনেকে শনাক্ত হচ্ছে প্রতিদিন কয়েকজন করে গ্রেপ্তার হচ্ছে



  •  কার্টসিঃ মানবজমিন/ আগস্ট ১৬,২০১৮ 
  • বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ঘিরে গণগ্রেপ্তার চলছে - হিউম্যান রাইটস ওয়াচ



    বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ঘিরে গণগ্রেপ্তার চলছে বলে মন্তব্য করেছে নিউ ইয়র্ক ভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ সরকার ভিন্নমত দমন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে উল্লেখ করে সংস্থাটি নির্বিচারে গ্রেপ্তার বন্ধ, ভিন্নমত প্রকাশের দায়ে আটকদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি শিক্ষার্থীদের ওপর সহিংস হামলার ঘটনায় দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বুধবার নিজস্ব ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

    বিবৃতিতে সংস্থাটির এশিয়া অঞ্চলের পরিচালক ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, বাংলাদেশে সাংবাদিক শিক্ষার্থীদের মুখ বন্ধ করার জন্য একটি অস্পষ্ট আইনের ব্যবহার করা  হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করে ইতিমধ্যেই কর্তৃপক্ষ সরকারের সমালোচনা করার দায়ে কয়েক ডজন মানুষকে আটক করেছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকারীদের ওপর আওয়ামী লীগ সমর্থকরা রামদা, লাঠি-সোটা রডের পাইপ দিয়ে হামলা চালানো হয়েছেশেখ হাসিনা সরকার কোন সমালোচনা সহ্য করছে না আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের ওপর চালানো সাম্প্রতিক গণগ্রেপ্তারে আতঙ্কজনক পরিবেশ তৈরি হয়েছে 

    যা বাকস্বাধীনতাকে ব্যাপকভাবে হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে ব্র্যাড অ্যাডামস বলেন, বাংলাদেশ সরকারের উচিত এটা মেনে নেয়া যে, সমালোচনা হলো ক্রিয়াশীল সুষ্ঠু গণতন্ত্রের একটি অংশ সরকারের উচিত আইসিটি আইনের পরিবর্তে এমন আইনের প্রচলন করা যাতে বাকস্বাধীনতা সমুন্নত থাকে


    বিবৃতিতে বলা হয়, ২৯শে জুলাই দ্রুত গতির একটি বাসের ধাক্কায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পর হাজার হাজার শিক্ষার্থী রাস্তায় নেমে আসে প্রতিবাদী তরুণরা নিরাপদ সড়ক, প্রশাসনের জবাবদিহি আইনের শাসন নিশ্চিত করার দাবি জানায় পরে তারা নিরাপত্তা বাহিনীর টিয়ার গ্যাস রাবার বুলেটের শিকার হন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের সমর্থকরা তাদের ওপর সহিংসতা চালায় 

    আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর সরকার সমর্থকদের হামলার সময় পুলিশ পাশেই দাঁড়িয়ে ছিল পরে এই সহিংসতার বিষয়ে যেকোনো ধরনের সমালোচনা বন্ধ করতে উদ্যোগী হয় প্রশাসন বিপুলসংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী থাকেন, শহরের এমন একটি অঞ্চলে অভিযান চালায় ঢাকার পুলিশ শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, পুলিশ সব বাসা-বাড়িতে অভিযান চালিয়েছে আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা খুঁজতে তারা দ্বারে দ্বারে গিয়ে মোবাইল ফোন চেক করেছে


    একজন বিখ্যাত আলোকচিত্রী মানবাধিকার কর্মী শহিদুল আলমকে নয় দিন ধরে বন্দি করে রাখা হয়েছে তিনি অভিযোগ করেছেন, পুলিশ কাস্টডিতে তাকে মারধর করা হয়েছে ফেসবুকে গুজব ছড়ানোর দায়ে গত ৪ই আগস্ট নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে আটক অভিনেত্রী কাজী নওশাবা আহমেদের জামিন না-মঞ্জুর করে কাস্টডিতে রাখা হয়েছে প্রায় সব গ্রেপ্তারই করা হয়েছে ৫৭ ধারায় আইসিটি আইনে 

    এই ধারাটি অশ্লীল, মানহানিকর বা অপবাদমূলক কোনো প্রচারণা এবং আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে পারে, রাষ্ট্র বা কোনো ব্যক্তির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে পারে বা কারো ধর্মীয় বিশ্বাসে আঘাত করতে পারে এমন প্রচারণা চালানোর দায়ে যেকোনো ব্যক্তিকে বিচারের মুখোমুখি করার অনুমতি দিয়েছে


    এই অস্পষ্ট ব্যাপকভাবে বিস্তৃৃত আইন বছরের পর বছর সমালোচনা দমন করতে ব্যবহৃত হচ্ছে আগে বাংলাদেশ সরকার মেনে নিয়েছিল যে, ওই আইনের অপব্যবহার হচ্ছে বলেছিল, বাকস্বাধীনতার লাগাম টেনে ধরার কোনো ইচ্ছা তাদের নেই এরপরেও তারা এমন কার্যক্রম চালাচ্ছে


    হিউম্যান রাইটস ওয়াচ তাদের বিবৃতিতে সাইবার ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম শামীমের করা মন্তব্য উল্লেখ করেছে গণমাধ্যমকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ৫৭ ধারার আইসিটি আইন খুবই অস্পষ্টভাবে বর্ণিত একটি আইন, যা বর্তমানে সমালোচনা বন্ধ করার জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে ওই আইনে দায়ের করা মামলাগুলোর অর্ধেকেরও কমসংখ্যক মামলায় চূড়ান্ত রায় দেয়া হয় কিছু মামলা পুরোপুরি সাজানো, যা মানুষকে হয়রানি করতে দায়ের করা হয়
    •  কার্টসিঃ মানবজমিন/ আগস্ট ১৬,২০১৮ 

    Dhaka second least liveable city

    Bad planning to blame


    According to The Economist Intelligence Unit's annual “Global Liveability Index 2018”, Dhaka has slipped two places from last year to become the second worst city to live in the world, only topping war-ravaged Damascus in Syria. The survey of 140 cities around the world is based on some 30 factors across five categories including stability, healthcare, culture and environment, education and infrastructure. We have managed to get to this point because of Dhaka growing up in an unplanned manner, with terrible public transport, utility services, poor health services, drainage and water management. The gamut of all this is reflected in the scores themselves where Dhaka scored 38 out of a total of 100. We scored a measly 29.2 in healthcare and 26.8 in infrastructure.

    With a tenth of the country's residents living in Dhaka, where the city's population is growing at three percent every year, urban planning needs to be done properly. The city's Detailed Area Plan (DAP) has been constantly violated, resulting in the filling up of water bodies to make room for real estate. Its residents have been left bereft of proper public transport system, schooling, healthcare and utility services. These have contributed to Dhaka's falling status in the liveability index.

    The problems are well-known to us, since we suffer them every day, and the solutions can be devised by experts. We need to wake up to these realities because things cannot be allowed to go on like this. There is a need to develop urban centres on the peripheries of the capital city and that can come through better rail communication. If more city amenities were made available in Gazipur, Tongi, Narayanganj, etc. millions could come to work in Dhaka and leave in the evening. These are issues that need to be addressed at policy level.

    • Courtesy: The Daily Star/ Editorial/Aug 16, 2018

    'Spreading Rumours': 3 more students held under sec 57

    So far 97 detained in Dhaka alone


    Three more students were arrested yesterday, in the latest actions against quota and road safety protesters, although police have yet to arrest any of the thugs who attacked demonstrators and journalists during the protests.
    The three were held under the controversial section 57 of the ICT act over “spreading rumour and sharing provocative posts” on social media.

    Eden College student and quota reform leader Lutfun Nahar Luma, 21, was picked up from Sirajganj in a pre-dawn raid. Nazmus Sakib, 24, a student of the University of Liberal Arts Bangladesh (ULAB), was held from the capital while Ahmed Hossain, 19, of Jamia Nuria Madrasa, from Kamrangirchar.

    • Courtesy: The Daily Star/ Aug 16, 2018