Search

Thursday, September 6, 2018

হুমকির মুখে বঙ্গবন্ধু সেতু


উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার গুরুত্বপূর্ণ বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশ ঘেঁষে বালু উত্তোলন করছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী।  অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৭ লাখ টাকা জরিমানা ও ৭ জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজগর আলীর নেতৃত্বে এই ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।

এসময় পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুল ইসলাম, বঙ্গবন্ধু সেতু কর্তৃপক্ষের সহকারী প্রকৌশলী আহসানুল কবির, সহকারী পরিচালক আবু বকর সিদ্দিকসহ থানা পুলিশ ও আনসার বাহিনীর সহযোগিতায় ভ্রাম্যমান আদালত এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে।

সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আজগর আলী জানান, বঙ্গবন্ধু সেতুর উত্তর পাশ থেকে অবৈধভাবে ভলগেট মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করছে এমন সংবাদে ওই এলাকায় গিয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযানে এমভি আব্বাস আলী ব্যাপারী এন্টার প্রাইজ, ভলগেট থেকে আলমাজ আলা ও সোহেল সরকার নামে দুজনকে আটক ও দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন।

মেসার্স সজিব এন্টারপ্রাইজ থেকে সুজন হোসেন নামের একজনকে আটক ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করে। এমভি রাজীব-১ থেকে শাহজামাল সরকার ও রব্বানী সরকার নামে দুজনকে আটক ও ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। আলীফ মিম ড্রেজার প্রকল্প থেকে মনির হোসেন ড্রাইভার ও হিরা মিয়া লস্কর ড্রাইভারকে আটক ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। মোট ৭ জনকে আটক ও ৭ লাখ টাকা জরিমানাসহ মালামাল জব্দ করা হয়।

প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরে ওই এলাকায় স্থানীয় প্রভাবশালী ও রাজনৈতিক নেতাদের ছত্রচ্ছায়ায় বঙ্গবন্ধু সেতুর পাশ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে বলে স্থানীয়রা জানায়। ওই বালুর উত্তোলনের দায়ে বঙ্গবন্ধু সেতু হুমিকর মুখে পড়তে পারে বলে এলাকাবাসীর দাবি।

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ সেপ্টেম্বর ৬, ২০১৮ 

সরকারি সেবা খাতের দুর্নীতি

সম্পাদকীয়


ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল অব বাংলাদেশের (টিআইবি) ঘুষ, দুর্নীতিবিষয়ক প্রতিবেদন আমাদের নতুন করে চোখ খোলার একটি বিরাট সম্ভাবনা তৈরি করেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত খাত হিসেবে চিহ্নিত হওয়ার বিষয়টিকে আমরা সবচেয়ে বেশি উদ্বেগজনক বলে মনে করি। কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার অর্থ হলো সরকারি সেবা খাতসংশ্লিষ্ট অন্য সংস্থাগুলোও ইতিমধ্যে কমবেশি ‘যথেষ্ট দুর্নীতিগ্রস্ত’ হয়েছে বলে বাস্তবসম্মত আশঙ্কার সৃষ্টি হতে পারে।

কারণ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আরও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সংস্থার নিয়মনীতির ওপর সরাসরি নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে পারে। সুতরাং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার অর্থ তারা কেবল তাদের বিভাগীয় সেবা দিতেই ঘুষ নেয় তা নয়, বিশেষ করে পুলিশ অন্যান্য সরকারি সংস্থার সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রেও তারা প্রভাব বিস্তার করে। সুতরাং পুলিশ বিভাগকে দুর্নীতিমুক্ত করা কিংবা তাদের দুর্নীতি কমিয়ে আনা, তথা তাদের আরও দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়া থেকে বাঁচাতে সরকারকে সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নিতে হবে।

পুলিশের কর্তাব্যক্তিরা বড় গলায় বলে থাকেন যে বর্তমান সরকারের আমলে পুলিশের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা অনেক বেড়েছে। এখন জনগণের সামনে তাদের এটা পরিষ্কার করা উচিত যে সেসব রাষ্ট্রীয় প্রণোদনা দুর্নীতি রোধে কী ভূমিকা রেখেছে। কারণ, আর্থিক সুবিধাদাতা তো কার্যত করদাতা আমজনতা। সেই আমজনতা বৈধভাবে পুলিশকে বর্ধিত বেতন দেবে এবং তারাই তাদের কাছ থেকে সেবা নিতে ঘুষ দিতে বাধ্য হবে—এটা তো হতে পারে না। সার্বিক বিচারে একটি বিষয় পরিষ্কার যে সরকারি সেবা খাতে সুবিধাবঞ্চিত মানুষই সব থেকে বেশি অসহায় হয়ে পড়েছে। এর একটা জবাবদিহি ও আশু প্রতিকার দরকার।

সরকারি সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে সমাজের অনগ্রসর অংশ, বিশেষ করে দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অতিরিক্ত চাপে থাকার আরও বহুমাত্রিক ক্ষতিকর দিক আছে। যেমন ঘুষ দিয়ে তারা কোনোমতে নিজেদের পরিস্থিতির সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিচ্ছে। এটা দাবি করার যুক্তি অতীব দুর্বল যে ঘুষের বিনিময়ে তাদের জীবনে আইনের শাসনের শর্ত পূরণ হচ্ছে। সরকারি নীতিনির্ধারকেরা বরং এটাও খতিয়ে দেখতে পারেন, ঘুষের বিনিময়ে তাঁরা আসলে ভুক্তভোগীদের যা দিচ্ছেন, সেটা আদৌ বৈধ ‘সেবা’ কি না।

২০১৫ সালে টিআইবির আগের প্রতিবেদনে ঘুষ দিতে বাধ্য হওয়া খানার হার ছিল ৭১ ভাগ। দুই বছরের ব্যবধানে সেটা বেড়ে ৮৯ ভাগ হয়েছে। এটা এখন জলের মতো পরিষ্কার যে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে অল্প সময়ের ব্যবধানেই তা শতভাগ পূর্ণ হতে পারে। রিপোর্ট বলেছে, সাড়ে ৬৬ ভাগ খানাই সেবা-দুর্নীতির শিকার। ঘুষ নিয়ে সরকারের নীতিনির্ধারকেরা অনেক সময় উদাসীন বা আত্মতুষ্টিতে ভোগেন। এখন তাঁদের উচিত হবে টিআইবির এই ফলাফলকে জেগে ওঠার ঘণ্টাধ্বনি হিসেবে নেওয়া। অতীতের কিছু টিআইবি প্রতিবেদনের মতো এই ফলাফলকেও অভ্যাসবশত নাকচ করা হলে তা জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী ও একটা আত্মঘাতী বিষয় হবে। দুর্নীতি দমন কমিশনসহ (দুদক) দুর্নীতি প্রতিরোধের যত ধরনের ব্যবস্থা ও হাতিয়ার কাগজে-কলমে সচল রয়েছে, সেসব আসলে কতটা জনস্বার্থ রক্ষা করতে পারছে, সেই হিসাব-নিকাশও জরুরি।

আমরা টিআইবির গবেষণার একটি বিষয়কে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিবেচনায় নিতে বলব। তারা দেখিয়েছে যে যেসব সেবাদানের প্রক্রিয়ায় মানুষের শারীরিক সংশ্লিষ্টতা কমিয়ে যান্ত্রিক পদ্ধতিনির্ভর করা সম্ভব হয়েছে, সেখানে ঘুষের প্রকোপ কমেছে। বিষয়টি সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ ধারণার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ। আমরা আশা করব, সেবা খাতের যেখানেই সম্ভব, সেখানেই যন্ত্রনির্ভরতা বাড়াতে হবে। আর আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর জন্য সব থেকে জরুরি রাজনৈতিকীকরণ বন্ধ এবং পেশাদারির পুনরুজ্জীবন।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ সেপ্টেম্বর ৬,২০১৮ 

Denying children playtime causes irreparable physical, mental damage

Speakers tell discussion


Excessive pressure of studies, lack of playgrounds and a perceived insecurity of the outdoors deny children the opportunity to play in the capital, according to findings of a study disseminated in the capital yesterday.

The findings were presented at a discussion tiled “Children's right to play in Dhaka city” organised jointly by The Daily Star and Save the Children at The Daily Star Centre. The study, conducted with 300 children and as many parents of 600 households from Kalyanpur slum, Dhanmondi, Dhaka University residential area and Mirpur, was led by Salma Akhter, a sociology professor of Dhaka University.

According to the findings, girls play less outdoors than boys in fear of insecurity, and parents worry about the possibility of their girls being sexually harassed.

“Denying children the opportunity to play causes irreparable physical and mental damage [to them],” said Laila Khondkar, director of Save the Children. “And for play opportunities to be in place, it does not necessarily require heavy physical resources but a favourable mindset of adults.”

The study, sponsored by Save the Children Bangladesh, found that 80 percent children considered that they could play outside, had open space been available in their neighbourhood.

Ishrat Islam, a professor of urban and regional planning at Buet, said the available playgrounds in the capital are neither sufficient, nor accessible or conducive for children.

The available city parks and playgrounds are not children-friendly particularly for girls, who are subjected to sexual harassment and verbal abuse in open playfields, said Meftahun Nahar Ful, a member of Child Parliament, an adolescents' platform. 

Ahnaf Anam Arko, researcher at child rights forum National Children's Task Force, said most of city's playfields are plagued with commercial activities and pestering of drug addicts.

Iqbal Habib, joint secretary of Bapa, said there are many public playgrounds in the capital like Dhanmondi road-8 playground that are off-limits to children.

With the city children suffering due to shortage of adequate playgrounds, the abandoned Tejgaon airport, four times the Suhrawardy Uddyan, should be opened as a free public space, he said.

Prof Adil Mohammed Khan, general secretary of Bangladesh Institute of Planners, said five public playgrounds in Dhanmondi are all exclusively occupied by different clubs denying public access. Despite a High Court verdict in its favour, the government failed to recover the Dhanmondi road-8 playground, he said.

Md Ashraful Islam, project director of Dhaka city's Detailed Area Plan revision, said they would incorporate citizens' recommendations for playgrounds in the upcoming revised plan.

  • Courtesy: The Daily /Star Sep 06, 2018

Revival of Ganges barrage project

EDITORIAL

Have the technical faults been removed?


The government's decision to revive a project to construct a barrage on the Ganges near Rajbari, abandoned a year earlier because of its “faulty” design, has raised questions about the justification for such a move. The USD 5.15 billion scheme, resuscitated without any change whatsoever in its design, is the costliest of the 80 projects included in the new Delta Plan 2100 approved on Tuesday. While we appreciate the vision driving the mega plan, we fail to comprehend what has influenced the revival decision especially when the said project and its feasibility study had been rejected by the prime minister a year ago on the grounds that there were flaws in them. We wonder how such a defective project is going to achieve its stated goals.

A barrage is an important part of the life of local people who are its primary beneficiaries. They are also the ones who will suffer most if there is a defect in the plan or if it fails to rightly predict or address the probable risk factors. There are a number of examples of a barrage project going haywire for local communities, the closest to home being the Farakka barrage. For all its geopolitical implications, the Farakka barrage has reportedly caused regular land/bank collapses and displacement of a huge number of people within India. The Ganges Barrage project, if implemented, is supposed to facilitate irrigation by diverting water flow, help restore ecological balance and increase livelihood opportunities in the project area, among other things. Its success rests on the precision of its design and the judiciousness of its response to likely impacts which are usually measured through a comprehensive feasibility study, a process that has been ignored in this case.

We think the public have a right to know why the decision was taken then. The government should clear their doubts, since a costly project such as this should be free of all risk factor.

  • Courtesy: The Daily Star /Sep 06, 2018

Polls Under Neutral Govt: BNP, Juktafront, Gonoforum to wage a united movement


Leaders of the BNP, Juktafront and Gonoforum yesterday stressed the need for unity to wage a movement for a fair and acceptable national election under a neutral administration after dissolving parliament.

Specific programmes would be announced soon, they said at a discussion titled “Boycotting Electronic Voting Machines: national election and political alliance” at the Jatiya Press Club organised by Nagorik Oikya.

BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir said, “Let us unite and wage a movement…. We will try to protect the people's rights and save the country even at the cost of the last drop of our blood.”

Nagorik Oikya, Bikolpodhara Bangladesh and Jatiya Samajtantrik Dal formed Juktafront in December last year.

The programmes would not cause sufferings to commuters, said Prof AQM Badruddoza Chowdhury of Bikolpodhara.

“Democracy exists only for the ruling party, not for the opposition. We have tolerated the undemocratic situation and autocratic rule in the country for many years in the name of democracy. We will not tolerate this anymore,” he said. 

Badruddoza urged the government to deploy armed forces 30 days before the election and continue the deployment 10 days afterwards.

The government should scrap the requirement of permission for holding rallies in the country, he said.

Gonoforum President Dr Kamal Hossain urged all democratic and non-communal forces to unite in effort to establish democracy.

"Those who gathered on this stage want to forge a national unity so that we can establish a pure democracy, an effective parliament and an accountable government.

"We'll unite against injustice. It is the nature of the Bangalees not to bow down to injustice. We must free ourselves from injustice," he said.

ASM Abdur Rob of JSD and Mahmudur Rahman Manna of Nagorik Oikya agreed to announce joint programmes soon. 

Maj Gen (retd) Syed Muhammad Ibrahim, Prof Dilara Chowdhury and Prof Asif Nazrul also spoke at the event. 

  •  Courtesy: The Daily Star/ Sep 06, 2018

Govt must not hold Khaleda trial inside jail

Editorial


THE government’s decision to hold the trial of the Bangladesh Nationalist Party chairperson Khaleda Zia in the Zia Charitable Trust corruption case inside the old central jail on Nazimuddin Road in Old Town of Dhaka is worrying as such a trial inside the old jail could hardly, in effect, constitute a public trial. 

The decision, on this count, is in breach of both the constitution and the laws. It is not that there have been no precedents of such trial in this land that now is Bangladesh. But they all were conducted during the martial law. 

The first such trial was of Bangladesh’s founding president Sheikh Mujibur Rahman in the Agartala Conspiracy Case in 1968 during the martial law of Ayub Khan. Although the accused, Sheikh Mujib and 34 others, were kept in the Dhaka Central Jail, they were moved to the courtroom into the secured borders of the Dhaka cantonment for the trial proceedings. 

The second such trial of Abu Taher, a military officer and decorated war hero, in 1976 during the martial law of General Ziaur Rahman, who was Bangladesh’s seventh president, in a courtroom inside the Dhaka cantonment.

The Awami League has time and again rightly criticised the holding of trial in such a manner. We at New Age subscribe to the view that the Awami League used to hold about such trials that are not public. After so many years, the government that the Awami League, led by Sheikh Hasina, presides over making a decision to hold the trial of Khaleda Zia in a highly secured place where the access of general people to such courtroom, is, indeed, impossible. Although the Anti-Corruption Commission’s public prosecutor seeks to say that the courtroom in the old central jail should be an open court and people and the press would have access to the court, it is anybody’s guess how far the old Dhaka central jail, which remains heavily guarded and would have security heightened further for the trial, could ensure an easy access of the general people to the court in question.

The government is reported to have decided in July 2014 to hold the trial of a case filed under the Explosive Substances Act in connection with the rebellion at the headquarters of the border forces in a makeshift courtroom inside the Dhaka Central Jail, but the government retreated on the decision to avoid controversy and the trial continued in the makeshift courtroom set up at Bakshibazar in Dhaka.

While the government must not hold the trial of Khaleda Zia in a courtroom that would be a travesty of a public trial in terms of fairness, in breach of the constitution and the laws, setting a precedent of holding trials in such a manner would only leave scope for misuse or abuse of the ominous provision, as rights activists and criminal law experts fear, in politically motivated cases against politicians. The government must stand back on this decision.

  • Courtesy: New Age/ Sep 06, 2018


Legal notice asks law secretary to withdraw order

KHALEDA’S TRIAL INSIDE JAIL


BNP chairperson and former prime minister Khaleda Zia’s lawyer in a legal notice on Wednesday asked law ministry secretary to withdraw by September 8 a special order under which the government shifted her trial in the Zia Charitable Trust case inside the Old Dhaka Central Jail.

On her behalf, lawyer Muhammad Nawshad Zamir sent the legal notice to law ministry secretary ASSM Zahirul Haque by registered post.

The notice says, appropriate legal action would be taken against the law secretary for his failure to ‘revoke, cancel, and rescind the order by September 8’. The notice called it absolutely illegal, without jurisdiction and lawful authority and totally unwarranted to hold the trial inside the jail. 

It pointed out that Section 4(1)(q) of the Code of Criminal Procedure empowers the government to hold trial in a house, building, tent or vessel after declaring them as court but not in a prison.

The notice said that the special order was ‘void being infringing Article 35(3) of the Constitution of Bangladesh that guarantees every citizen accused of a criminal offence the inalienable fundamental right ‘to a speedy and public trial’. 

The notice said that the government by shifting the sitting of the Special Court to a secluded room inside the entry-restricted old Dhaka Central Jail has robbed the trial of its open and ‘public’ character and veiled the court with a shroud of secretiveness, a vice prominently peculiar to a closed-door martial law court.

Earlier in the afternoon, her lawyers called shifting her trial inside the old Dhaka central jail as ‘illegal’ and decided to take legal action. They said that trial could not be held inside the jail according to Article 35 (3) of the constitution.

Referring to the Article, Khaleda Zia’s lawyer Zainul Abedin told reporters that a trial must be held in public by an independent and impartial Court or tribunal established by law. Zainul Abedin, also the president of the Supreme Court Bar Association, briefed reporters after meeting senior lawyers.

Zainul said that a trial by a court inside the jail cannot be called public trial as public has no access to it. He said that the trial was shifted to a 24feet by 26feet darkroom inside the jail. 

He said that Khaleda, who is ill, was illegally and unconstitutionally forced to appear in this so-called court. Zainul said that there was no precedence of setting courts inside the jail even during the era of Pakistan.

Asked for comments attorney general Mahbubey Alam told reporters no illegality had been committed by shifting her trial inside the jail.

He said that Khaleda Zia’s lawyers would gain nothing out of legal action they were planning to take.

  • Courtesy: New Age/ Sep 06, 2018

Wednesday, September 5, 2018

বর্তমান কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না - সুজন


সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেছেন, ‘বর্তমান কমিশনের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। সিইসি বলেছেন যে নির্বাচনে অনিয়ম হবেই। এ কথা বলে তিনি যে স্ট্যান্ডার্ড দাঁড় করিয়েছেন, তাতে আমরা মনে করি নির্বাচন সুষ্ঠু হবে না। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে হলে সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি সমন্বিত উদ্যোগ নিতে হবে।’

বুধবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশনে কেমন জনপ্রতিনিধি পেলাম’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করে সুজন। সেখানে ওই মন্তব্য করেন সুজন সম্পাদক।

তিন সিটি নির্বাচন সম্পর্কে এক লিখিত বক্তব্যে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম বলেন, রাজশাহী ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে খুলনার নির্বাচনের পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। খুলনার নির্বাচনের প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় প্রধান প্রতিপক্ষকে মাঠছাড়া করা। বিএনপির পোলিং এজেন্টদের দায়িত্ব পালনে বাধা দেওয়া। নির্বাচনের দিন জোর-জবরদস্তি করা ও নির্বাচন কমিশনের নির্বিকার থাকা। 

বদিউল আলম বলেন, ‘আমরা মনে করি, সারা দেশের মানুষের দৃষ্টি এখন জাতীয় নির্বাচনের দিকে। সে জন্য অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে সরকার, রাজনৈতিক দল, নির্বাচনের দায়িত্ব নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নাগরিক সমাজকে নিয়ে সমন্বিত পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে।

দুই সিটি নির্বাচন সম্পর্কে বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সিলেটের নির্বাচন ক্ল্যাসিক কেস। সিল মেরেও নিজেদের প্রার্থীকে জেতাতে পারেনি। রাজশাহীতে সরকারি দলের প্রার্থী এমনিতেও জিততেন। সিল মারার দরকার ছিল না।’

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৮

আবাসন নয়, বিত্তবান তৈরি করছে রাজউক

জেসমিন মলি

ঢাকা ইমপ্রুভমেন্ট ট্রাস্ট (ডিআইটি) প্রতিষ্ঠা হয় ১৯৫৬ সালে। ১৯৮৭ সালে এটি উন্নীত হয় রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষে (রাজউক)। এরপর এখন পর্যন্ত তিনটি বড় আবাসন প্রকল্প হাতে নিয়েছে সংস্থাটি। দুই দশক আগে নেয়া হলেও এসব প্রকল্পের কোনোটিই পুরোপুরি শেষ করতে পারেনি তারা। ফলে আবাসনের ব্যবস্থা হয়নি প্লট বরাদ্দপ্রাপ্ত অধিকাংশের।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নগর উন্নয়ন মূল কাজ হলেও রাজউকের সেদিকে মনোযোগ কম। সংস্থাটির আবাসন প্রকল্পে লটারির মাধ্যমে ভাগ্যবান কিছু ব্যক্তি প্লট বরাদ্দ পাচ্ছেন। কম মূল্যে বরাদ্দ পাওয়া এসব প্লট তারা বিক্রি করছেন উচ্চমূল্যে। এভাবে উচ্চমূল্যে প্লট বিক্রির মাধ্যমে মুষ্টিমেয় কিছু মানুষকে বিত্তবান হওয়ার সুযোগ করে দিচ্ছে সংস্থাটি।

ক্ল্যাসিফায়েড বিজ্ঞাপনের সাইট থেকে শুরু করে দৈনিক পত্রিকাগুলোয় রাজউকের বরাদ্দপ্রাপ্ত জমি বিক্রির বিজ্ঞাপন দেখা যায় প্রায়ই। এ ধরনের একাধিক বিক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মূলত জমির উচ্চমূল্যের কারণে তারা জমি বিক্রি করে দিচ্ছেন।

একটি বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে কথা হয় সাবেক একজন জেলা জজের সঙ্গে। নাম প্রকাশ করা হবে না, এমন শর্তে তিনি বণিক বার্তাকে জানান, পূর্বাচলের প্রথম দিকের জমি বরাদ্দপ্রাপ্তদের একজন তিনি। জমির পরিমাণ পাঁচ কাঠা। অবস্থান ২ নম্বর সেক্টরে। প্রতি কাঠা জমির মূল্য চাইছেন আড়াই কোটি টাকা।

নিজে বসবাস না করে বিক্রি করতে চাইছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার সন্তানদের সবাই দেশের বাইরে থাকে। তাই এখানে বাড়ি তৈরির পরিকল্পনা নেই। জমি ফেলে রাখলে দখলসহ অন্যান্য হয়রানিতে পড়তে হতে পারে। এ কারণে জমি বিক্রি করে দিয়ে টাকা ব্যাংকে রাখব।

রাজউক পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের লটারিতে প্লট বরাদ্দ পেয়েছিলেন ঊর্ধ্বতন একজন সরকারি কর্মকর্তা। বরাদ্দ থেকে লিজ দলিল পেতে তিনি ব্যয় করেন ১৫ লাখ টাকার মতো। ১৭ নম্বর সেক্টরের পাঁচ কাঠা প্লটের জমিটি তিনি বছর দুয়েক আগে কাঠাপ্রতি ৫০ লাখ টাকা দরে আড়াই কোটি টাকায় বিক্রি করে দেন।

আবাসন খাত-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রাজউক সরকারি দামে জমি বরাদ্দের মাধ্যমে মুষ্টিমেয় কয়েকজনকে সুবিধা করে দিচ্ছে। বরাদ্দপ্রাপ্তদের সে জমিতে বসবাসের কোনো আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। আবার সেখানে আবাসন প্রকল্প তৈরির সঙ্গতিও বেশির ভাগেরই থাকে না। ফলে কম মূল্যে জমি বরাদ্দ দিয়ে বরাদ্দপ্রাপ্তদের তা উচ্চমূল্যে বিক্রির সুযোগ করে দিচ্ছে রাজউক।

আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের সাবেক সভাপতি ও নগর পরিকল্পনাবিদ তৌফিক এম সেরাজ এ প্রসঙ্গে বণিক বার্তাকে বলেন, এখন ঢাকা শহরের যে অবস্থা, তাতে এককভাবে সরকারি দামে প্লট বরাদ্দের মাধ্যমে একটি শ্রেণীকে বিশেষ সুবিধা দেয়া হচ্ছে। রাজউকের কাজ নগর উন্নয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সেটিতে মনোযোগ না দিয়ে তারা ভূমি উন্নয়নের মাধ্যমে বরাদ্দ দিয়ে একটি অসম শ্রেণী তৈরি করছে। এখন বাড়ি বানাতে যে পরিমাণ খরচ, তা একজনের পক্ষে বহন করা প্রায় অসম্ভব।

রাজউক ঢাকার কেরানীগঞ্জে ঝিলমিল আবাসন প্রকল্পটি হাতে নেয় ১৯৯৭ সালের জুলাইয়ে। কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০০১ সালে। এরপর ১৭ বছর পেরিয়ে গেলেও সব কাজ শেষ করতে পারেনি সংস্থাটি। একাধিকবার প্রকল্পের সময় বেড়েছে। প্রকল্প ব্যয় বেড়ে হয়েছে দ্বিগুণের বেশি। ১৯৯৭ সালে ঝিলমিল প্রকল্পের ব্যয় ছিল ১৩৬ কোটি টাকা। এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩৫ কোটি টাকায়।

প্রকল্পটির আওতায় ১ হাজার ৭৪০টি প্লট এবং নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জন্য ৯ হাজার ৫০০টি অ্যাপার্টমেন্টের সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রকল্পটি গ্রহণের সময় বলা হয়েছিল, রাজধানীর বর্ধিত এলাকার নিকটবর্তী শহরের বাসিন্দাদের বসবাসের সুযোগ সৃষ্টি করে ঢাকা শহরের জনসংখ্যার চাপ কমানো ছাড়াও ঢাকা ও কেরানীগঞ্জের মধ্যে ধীরে ধীরে নগরীকরণের মাধ্যমে নাগরিক সুবিধা প্রসারিত করা। প্রকল্পটি ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলার ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে বুড়িগঙ্গা নদীর ওপর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর দুই কিলোমিটার পশ্চিমে।

রাজধানীর অদূরে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পটি রাজউক হাতে নেয় ১৯৯৫ সালে। প্রকল্পটির জন্য নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সাড়ে চার হাজার একর ও গাজীপুরের কালীগঞ্জে দেড় হাজার একর মিলিয়ে জমি অধিগ্রহণ করা হয় ছয় হাজার একর। এখানে প্লট হবে ২৫ হাজার। অধিগ্রহণ জটিলতায় আট বছর পর ২০০৩ সালে শুরু হয় প্রকল্পের ভূমি উন্নয়নকাজ। ২৩ বছরে এ প্রকল্পের অগ্রগতি হয়েছে ৫৮ শতাংশ। একাধিকবার সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজ শেষ করতে সর্বশেষ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত।

দীর্ঘসূত্রতায় প্রকল্পের ব্যয় বেড়েছে দ্বিগুণেরও বেশি। পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প যখন হাতে নেয়া হয়, তখন ব্যয় ধরা হয়েছিল প্রায় ৩ হাজার ৩১১ কোটি টাকা। পরবর্তী সময়ে এ প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৭ হাজার ৭৮২ কোটি টাকা। অর্থাৎ ব্যয় বেড়েছে ৪ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা। বাড়তি ব্যয়ের পুরোটাই বহন করতে হচ্ছে প্লট গ্রহীতাদের।

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পটিতে ২৫ হাজার ১৬টি আবাসিক প্লটের সংস্থান রাখা হয়েছে। ৬ হাজার ২২৭ দশমিক ৩৬ একর জমির ওপর বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের বিভিন্ন ধরনের কাজের মধ্যে জরিপ, পরিকল্পনা, জমি অধিগ্রহণের কাজ শেষ হয়েছে। এখনো বাকি রয়েছে পূর্বাচল সংযোগ সড়ক নির্মাণের কাজ, ৩২০ কিলোমিটার অভ্যন্তরীণ সড়ক নির্মাণ, সারফেস ড্রেন ও ক্রস ড্রেন নির্মাণ, সেন্ট্রাল আইল্যান্ড নির্মাণ, সীমানা পিলার স্থাপন ও ভেতরের রাস্তায় ৬১টি সেতু নির্মাণের কাজ। এছাড়া নদীর পাড় রক্ষার কাজও শেষ হয়নি। ৪৭৭ দশমিক ২০ একর জমি নিয়ে ৪৩ কিলোমিটার লেক নির্মাণের কাজ চলমান রয়েছে।

সম্প্রসারিত উত্তরা আদর্শ আবাসিক শহর তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পটি গ্রহণ করা হয় ১৯৯৯ সালে। প্রকল্পটির জন্য ভূমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮ একরের কিছু বেশি। মূলত নতুন আবাসস্থল সৃষ্টির মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান বাসস্থান সংস্থান করার জন্য প্রকল্পটি গ্রহণ করে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। সে সময় বলা হয়েছিল, যথাযথ নগরায়ণের মাধ্যমে অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা উন্নতি করার পাশাপাশি নগরায়ণের মাধ্যমে মিরপুর থেকে ক্রমান্বয়ে টঙ্গী পর্যন্ত যাতায়াতসহ বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা হবে। এর বাইরেও ভবিষ্যতের বর্ধিষ্ণু ঢাকা শহরের আবাসিক চাহিদা পূরণেও ভূমিকা রাখবে প্রকল্পটি। আবাসন প্রকল্পটিতে তিন কাঠা ও পাঁচ কাঠার ৮ হাজার ২৯৫টি প্লট তৈরি করা হয়। প্লট তৈরিতে অধিগ্রহণকৃত ভূমির ২৪ শতাংশের বেশি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা ছিল ২০০৩ সালের জুনের মধ্যে। কিন্তু একাধিকবার সময় বাড়িয়ে তা শেষ করতে পারেনি রাজউক।

এসব ব্যর্থতার পরও নতুন করে চারটি আবাসন প্রকল্প বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে রাজউক। চারটি প্রকল্পের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়েছে, মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর, ঢাকার কেরানীগঞ্জ, দোহার, আমিনবাজার থেকে গাজীপুরের সফিপুর পর্যন্ত তুরাগ নদের দু’পাড় এবং পূর্বাচল উপশহর প্রকল্প এলাকার পূর্বদিকে ঢাকা মহানগর বাইপাসের উত্তর পাশে।

জানতে চাইলে রাজউকের সদস্য (পরিকল্পনা) আবুল কালাম আজাদ বণিক বার্তাকে বলেন, রাজধানীতে মানুষ বাড়ছে। তাদের আবাসনের ব্যবস্থা করা রাজউকের দায়িত্ব। সেজন্যই নতুন নতুন প্রকল্প নেয়া হচ্ছে বাড়তি মানুষের বাসস্থানের ব্যবস্থা করার জন্য।

আগের প্রকল্পের কাজ শেষ না হলেও আবার নতুন প্রকল্প গ্রহণ বিষয়ে তিনি বলেন, সরকারের নির্দেশেই বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হয়। আইনিসহ অন্যান্য জটিলতায় আগের প্রকল্পের কাজ নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। তবে সবগুলোর কাজই দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে।

  • কার্টসিঃ বনিকবার্তা/সেপ্টেম্বর ৫,২০১৮ 

ঢাবিতে ছাত্রলীগের সিট-বাণিজ্য


ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) আবাসিক হলগুলোতে তীব্র আবাসন সংকট সত্ত্বেও বহিরাগতরা হলে অবস্থান করছেন। এতে ক্ষুব্ধ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অভিযোগ উঠেছে, ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ নেতারা এসব বহিরাগতকে সিট ভাড়া দেন। এদিকে, বহিরাগতদের দখলে থাকা এসব সিট উদ্ধার করতে গেলে হুমকির মুখে পড়েন শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ঢাবির শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের মেইন বিল্ডিংয়ের ২৫৯ রুমে কয়েক মাস ধরে দুজনের একটি সিট নিয়ে থাকেন এক বহিরাগত। তাঁর পরিচয়, তিনি হল শাখা ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুলের ভাই।

গত সোমবার গভীর রাতে বহিরাগতের এ সিটটি উদ্ধার করতে যান শিক্ষার্থীরা। প্রথমে নানা বিতর্কের সম্মুখীন হন তাঁরা। একপর্যায়ে বিতর্ক জড়ায় উত্তেজনায়। এ সময় এক শিক্ষার্থী ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘হলের শিক্ষার্থীরা এক রুমে ২০ জনের অধিক থাকেন, এ নিয়ে ছাত্রনেতাদের মাথাব্যথা নেই। অথচ নিজের ভাইকে দীর্ঘদিন এক রুমে সিটে রাখেন।’

অভিযোগের বিষয়টি স্বীকার করেছেন হলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. নাজমুল। তিনি এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘ওই সিটে আমি আগে থাকতাম। এখন আমি রুম পরিবর্তন করেছি। তাই তাঁকে ওই রুমে রাখি।’ বহিরাগতদের কেন রাখা হয়—জানতে চাইলে এই ছাত্রলীগ নেতা বলেন, ‘সে আমার ছোট ভাই। পরীক্ষা দিতে এসেছে।’ ছাত্রলীগের এই নেতার ছাত্রজীবন শেষ হলেও হলের প্রধান ভবনের একটি কক্ষ দখল নিয়ে থাকেন তিনি।

মো. নাজমুল হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসিফ তালুকদারের অনুসারী বলে পরিচিত। হলে এই বহিরাগতের অবস্থানের বিষয়ে জানতেন আসিফ তালুকদার। জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সে নাজমুলের ছোট ভাই।’ বহিরাগতরা হলে থাকতে পারবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হলে আমার এখন দায়িত্ব নেই। আমি কিছু বলতে পারব না। প্রশাসন বলতে পারবে।’

শুধু জহুরুল হক হল নয়, গত কয়েক দিন আগে কবি জসীমউদদীন হলের ২১৭ ও ২১৮ নম্বর কক্ষে আট বহিরাগতকে সিট ভাড়া দেওয়ার অভিযোগ ওঠে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহেদ খানের বিরুদ্ধে। জানা যায়, এই দুই কক্ষে তাঁর নিজের এলাকার (ফরিদপুর) লোকেরা থাকেন। দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া দেওয়া এ কক্ষ দুটি উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রলীগের এ নেতার সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, এই দুটি কক্ষ উদ্ধার করতে গেলে এক বহিরাগত বলেন, তাঁদের চলতি মাসের ভাড়া দেওয়া আছে। এ মাস পর তাঁরা হল ছাড়বেন। যদিও সংঘর্ষের একপর্যায়ে বহিরাগতরা হল ছাড়তে বাধ্য হয়।

ওই হলের মিশুক ও আরিফ নামের দুই শিক্ষার্থী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, বহিরাগতরা গত দেড় বছর এ দুটি কক্ষ নিয়ে থাকেন। শাহেদ নেতা হওয়ায় কেউ সাহস করে কথা বলতে পারে না। এদিন শিক্ষার্থীরা রুমটি উদ্ধার করতে গেলে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শাহেদের নেতাকর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

এদিকে, ঢাবির জহুরুল হক হলের ২৫১ নম্বর কক্ষে দীর্ঘদিন ধরে থাকেন রাজীব নামের এক বহিরাগত। গত কয়েক দিন আগে শিক্ষার্থীরা কক্ষটি উদ্ধার করতে গেলে এ শিক্ষার্থী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সোহানুর রহমান সোহানের সঙ্গে কথা বলতে বলেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, সোহানের বাড়ি আর রাজীবের বাড়ি একই জায়গায়। সে জন্য তাঁকে এ হলে সিট দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ সিটটি উদ্ধার করা হলেও এ বিষয়ে কথা বলেননি হল শাখা ছাত্রলীগের এ নেতা।

হল শাখার এ সভাপতির ছত্রছায়ায় বর্ধিত ভবনের একটি কক্ষে জালিয়াতির দায়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কৃত হওয়া বায়জিদ নামের এক ছাত্রও কয়েক মাস ধরে ছিলেন। যদিও বায়জিদকে হলের শিক্ষার্থীরা বের করে দেন। এ ছাড়া হল শাখার এ নেতার ছত্রছায়ায় বহিরাগত অনেকেই হলে থাকেন বলে অভিযোগ আছে।

এর আগে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল (এস এম), হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল, মাস্টারদা সূর্য সেন হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে অবস্থান নেওয়া বহিরাগতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় হল প্রশাসন। যদিও এসব হলের অনেক কক্ষে এখনো বহিরাগতরা আছেন বলে অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।

বহিরাগতদের বিষয়ে ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, হলে বহিরাগতদের থাকার কোনো বিধান নেই। যদি কেউ থাকে, তবে প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া আছে। তাঁরা দেখবেন।

  • কার্টসিঃ এনটিভি অনলাইন/ সেপ্টেম্বর ৫,২০১৮