Search

Tuesday, September 11, 2018

ভোটের আগে ব্যবসায়ীদের ছাড়

  • ব্যবসায়ীদের সুবিধা দিয়ে দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ
  • বাজেট পাসের ৭০ দিনের মাথায় ব্যবসায়ীদের বিশেষ সুবিধা
  • পোশাক রপ্তানিকারকদের উৎসে ও করপোরেট কর কমল
  • নগদ সহায়তা পেল আরও ৯ খাত
  • রাজস্ব আদায় কমবে, লাভ বাড়বে ব্যবসায়ীদের।








নির্বাচনের বছরে ব্যবসায়ীদের আরও বেশি সুবিধা দেওয়া হলো। করে যেমন ছাড় দেওয়া হলো, তেমনি নগদ সহায়তাও বেড়েছে। তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের উৎসে কর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের করপোরেট করও কমানো হয়েছে। এর ফলে পোশাকমালিকদের লভ্যাংশ আরও বাড়বে।
দেশের বৃহত্তম রপ্তানি পণ্য তৈরি পোশাক রপ্তানি করলে দশমিক ৬ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হবে। আগে ছিল দশমিক ৭ শতাংশ। আর করপোরেট করহার ১৫ থেকে ১২ শতাংশ করা হয়েছে।
অন্যদিকে রপ্তানিমুখী খাতে নগদ সহায়তা দেওয়ার পরিধিও বৃদ্ধি করা হয়েছে। পুরোনো খাতগুলোর পাশাপাশি আরও ৯টি নতুন খাতের রপ্তানিকারকেরা এখন থেকে নগদ সহায়তা পাবেন। নগদ সহায়তার রপ্তানি পণ্যের তালিকায় ওষুধ, মোটরসাইকেল, সিরামিকপণ্যের বড় খাত আছে।
বাজেট পাসের ঠিক ৭০ দিনের মাথায় সরকার ব্যবসায়ীদের বিশেষ এই সুবিধা দিল। এতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব আদায় কমবে। অর্থনীতিবিদেরা বলছেন, ব্যবসায়ীরা শক্তিশালী লবিংয়ের কারণেই এই সুবিধা আদায় করতে পেরেছেন। অর্থবছরের মাঝে এভাবে সুবিধা দিলে বাজেট প্রক্রিয়া বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
গতকাল সোমবার একই দিনে ব্যবসায়ীদের এ ধরনের সুবিধা দিয়ে এনবিআর ও বাংলাদেশ ব্যাংক দুটি পৃথক প্রজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে। এনবিআরের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী এখন থেকে তৈরি পোশাক খাতসহ সব খাতকেই (পাটপণ্য ছাড়া) রপ্তানিকালে দশমিক ৬ শতাংশ হারে উৎসে কর দিতে হবে। গত ১ জুলাই থেকে এই হার কার্যকর করা হয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে। দেশ থেকে যত পণ্য রপ্তানি হয়, এর ৮৩ শতাংশের বেশি হয় তৈরি পোশাক। প্রতিটি রপ্তানি চালান বন্দর দিয়ে জাহাজীকরণের আগেই উৎসে কর কেটে রাখা হয়। জাহাজীকরণের আগপর্যন্ত রপ্তানি মূল্যের ওপর বা এফওবি মূল্যের উৎসে কর আরোপ করা হয়। এ ছাড়া নিট ও ওভেন পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের বার্ষিক আয়ের ওপর আগের চেয়ে কম, অর্থাৎ ১২ শতাংশ হারে করপোরেট কর দিতে হবে। আর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সবুজ কারখানা হলে ওই মালিককে ১০ শতাংশ হারে কর দিলেই হবে। দুটি সুবিধাই আগামী বছরের জুন মাস পর্যন্ত থাকবে।
সফল বিজিএমইএ
কয়েক বছর ধরেই তৈরি পোশাকসহ বিভিন্ন খাতের রপ্তানিকারকদের উৎসে কর দিতে হচ্ছে। এনবিআরে আয়কর অধ্যাদেশে তৈরি পোশাক খাতে উৎসে কর ১ শতাংশ। কিন্তু তিন বছর ধরে প্রতিবছর প্রজ্ঞাপন দিয়ে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকের উৎসে কর দশমিক ৭ শতাংশ হারে নির্ধারণ করা হতো। ওই সুবিধার মেয়াদ এক বছর করে, অর্থাৎ জুলাই থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই সুবিধা দেওয়া হতো। চলতি অর্থবছরের বাজেটের আগে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বিভিন্ন সভায় একাধিকবার বলেছেন, এবার তৈরি পোশাক খাত আর বাড়তি কোনো সুবিধা পাবে না। তিনি কথামতো বাজেটে তা করেছেনও। বাজেটে তৈরি পোশাক খাতে উৎসে কর কমানো হয়নি। বরং বার্ষিক করপোরেট করহার বৃদ্ধি করে ১৫ শতাংশ এবং সবুজ কারখানা হলে ১২ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়।
এ বিষয়ে এনবিআরের সদস্য (করনীতি) কানন কুমার রায় প্রথম আলোকে বলেন, বাজেটের পর চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে যখন ১ শতাংশ উৎসে কর হয়ে গেল, তখন পোশাক রপ্তানিকারকদের কাছে তা বোঝা হয়ে গেল। তখন তাঁরা কর কমানোর দাবিটি আরও জোরালোভাবে করতে থাকেন। যেহেতু তাঁরা দেশের প্রধান রপ্তানিকারক, সে জন্য তাঁদের কিছুটা কর-সুবিধা দেওয়া হয়েছে। তিনি মনে করেন, এতে অল্প কিছু রাজস্ব কমতে পারে। তবে নতুন নতুন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে মোট রপ্তানির পরিমাণ বৃদ্ধির সুযোগও আছে। তখন কর কমানোর ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।
গত জুন মাসে চলতি অর্থবছরের বাজেটের পর প্রতিক্রিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক ও উৎপাদকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা দেন, ‘সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে কথা বলে করপোরেট কর ও উৎসে কর কমিয়ে আনব।
অর্থমন্ত্রী কথা রাখতে না পারলেও বিজিএমইএ সভাপতি নিজেদের দাবি আদায় করতে পেরেছেন। বাজেট ঘোষণার তিন মাস পর এনবিআর তৈরি পোশাক খাতের উৎসে কর ও করপোরেট কর কমিয়ে দিল।
চলতি অর্থবছরে ৩ হাজার ২৬৮ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর হিসেবে দুই হাজার কোটি টাকা কর আদায়ের লক্ষ্য রয়েছে। উৎসে কর কমানোর ফলে এই খাতে কর আদায় ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা কমে যেতে পারে।
পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর গতবারের চেয়ে কমানো হলেও খুশি নন বিজিএমইএর সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। গত রাতে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডলারের বিপরীতে ভারতের রুপি, তুরস্কের লিরা ও চীনের ইউয়ানের দাম কমছে। অন্যদিকে আমাদের ব্যবসার খরচ প্রতিনিয়ত বাড়ছে। শিগগিরই পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়বে। তাই আমাদের প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা রাখতে ও শিল্পকে টিকিয়ে রাখতে হলে পাঁচ বছরের জন্য কোনো ধরনের কর থাকা উচিত নয়।
নগদ সহায়তা পাবে নতুন ৯ খাত
রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার তালিকায় আরও নয়টি খাতকে যুক্ত করল সরকার। গতকাল সোমবার জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, নতুন করে ওষুধ, মোটরসাইকেল, রাসায়নিক পণ্য (ক্লোরিন, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিড, কস্টিক সোডা ও হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড), রেজার ও রেজার ব্লেডস, সিরামিকপণ্য এখন থেকে নগদ সহায়তা পাবে।
সামগ্রিক বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর প্রথম আলোকে বলেন, প্রতিবছরই তৈরি পোশাক খাতের নেতারা সরকারের উচ্চপর্যায়ে লবিং করে দাবি আদায় করে থাকেন। এটা সাধারণত বাজেট প্রক্রিয়ার মধ্যেই হয়। তবে এবার তা বাজেট প্রক্রিয়ায় না হয়ে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে করা হলো। নির্বাচনের আগে ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকারের সদিচ্ছা প্রকাশের কৌশলও হতে পারে। এবার ব্যবসায়ীদের প্রতি সরকারের উদারতা একটু বেশি মনে হচ্ছে। এভাবে নীতি পরিবর্তন করা ঠিক নয়। এটি বাজেট প্রক্রিয়াকে হীনম্মন্য করে তোলে। ব্যক্তির ক্ষমতা প্রকাশ পায়।

Courtesy: Prothom Alo Sep 11, 2018



পানির দামে আউশ বিক্রি









সম্পাদকীয়-

অতিবৃষ্টি, অনাবৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি, ঝড়, বন্যা বা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফলন মার খেলে তবু মনকে প্রবোধ দেওয়া যায়। কপাল খারাপবলে নিজেকে সান্ত্বনা দেওয়া যায়। কিন্তু বাম্পার ফলন হওয়ার পরও যখন লোকসান গুনতে হয়, তখন আর সান্ত্বনার জায়গা থাকে না। ফসল উৎপাদনে যা খরচ হয়, দাম তলানিতে নেমে যাওয়ার কারণে সেই উৎপাদন খরচটুকুও যদি উঠে না আসে, তাহলে কৃষকের আবার ফসল ফলানোর মানসিকতা থাকে না।


এ বছর বরিশাল বিভাগের কৃষকেরা আউশ ধান নিয়ে এই মহাবিপদে পড়েছেন। মাঠভরা ধান দেখে তাঁদের মুখে হাসি ফুটেছিল ঠিকই, কিন্তু বাজারে গিয়ে তাঁদের মলিন মুখে ফিরে আসতে হচ্ছে। ধানের দাম শোনার পর সব আনন্দ ফিকে হয়ে যাচ্ছে। লাভ তো দূরের কথা, উৎপাদন খরচই পকেটে আসছে না।

চলতি মৌসুমে বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় প্রায় ২ লাখ ১ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারিত ছিল প্রায় ৪ লাখ ৩৭ হাজার মেট্রিক টন চাল। কিন্তু আবাদ হয়েছে এর চেয়ে অনেক বেশি। কৃষকেরা বলছেন, এক একর জমিতে ২২ থেকে ২৫ হাজার টাকা খরচ করে তাঁরা আউশের বাম্পার ফলন ফলিয়েছেন। কিন্তু সেই ধান তাঁদের বেচতে হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকায়। তার মানে একরপ্রতি লোকসান গুনতে হচ্ছে ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা।

আমন মৌসুমের পর এই অঞ্চলের বেশির ভাগ জমি বছরের প্রায় সাত মাস পতিত থাকত। সিডরের পর তাঁরা এই জমিকে বহু ফসলি করতে আউশের আবাদ শুরু করেন। বৈশাখের মাঝামাঝি আউশের আবাদ করেছিলেন তাঁরা। ভাদ্রের মাঝামাঝি ধান পাকতে শুরু করে। এখন এ ধান মাড়াই করে প্রক্রিয়াজাতের কাজ চলছে। এবার ফলন ভালো হওয়ায় প্রতি একরে দেড় মেট্রিক টন ধান উৎপাদিত হয়েছে। কৃষি বিভাগ এটাকে বাম্পার ফলন বলছে।

কিন্তু দামই যদি না পাওয়া যায়, তাহলে বাম্পার ফলন দিয়ে কৃষক কী করবেন? ধান ব্যবসায়ীদের ভাষ্য, চালকলের মালিকেরা ধান কিনছেন না বলে দাম কমে গেছে। এই অবস্থায় খাদ্য বিভাগ কৃষকদের কাছ থেকে ধান কিনলে কৃষকেরা উপকৃত হতেন। তাঁরা ন্যায্যমূল্য পেতেন। তাই বিষয়টি খাদ্য বিভাগের বিবেচনায় নেওয়া দরকার। খাদ্য কর্মকর্তারা যদিও বলছেন, খাদ্য বিভাগ শুধু বোরো ও আমন মৌসুমে ধান কেনে; আউশ কেনার বিষয়ে তাঁরা কোনো নির্দেশনা পাননি; তথাপি অবিলম্বে সরকারের কৃষকবান্ধব সিদ্ধান্তে আসা দরকার।

আগে দক্ষিণাঞ্চলে আউশের আবাদ হতো না বললেই চলে। তাই এ মৌসুমে সরকার চাল কেনার কথা ভাবেনি। কিন্তু এখন এই ধানের প্রচুর আবাদ হয়। ফলে সিদ্ধান্তও নতুন করে নিতে হবে। দ্রুত এই মৌসুমেও চাল কেনার বিষয়টি সরকারকে মাথায় নিতে হবে। দেরি করলে কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। তাঁরা ফসল ফলাতে নিরুৎসাহিত হবেন। তাতে দেশেরই ক্ষতি।
  • Courtesy: Prothom Alo/Sep 11, 2018

গ্রেপ্তারে’ আইনের এতটা লঙ্ঘন কেন?

সম্পাদকীয়



পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বেআইনিভাবে আটকে রেখে নির্যাতনেরযে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা দেশের সব স্তরের মানুষকে গভীরভাবে বিচলিত, বেদনাহত ও স্তম্ভিত করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। অজ্ঞাতপরিচয়ে গ্রেপ্তারের টানা পাঁচ দিন পরে সন্তানদের আদালতে আনতে অভিভাবকদের আকুল অনুরোধ জানানোর প্রেক্ষাপটে ডিবি গতকাল দুটি পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রথমত তারা তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ড চেয়েছে; দ্বিতীয়ত তারা দাবি করেছে, এই ১২ জন শিক্ষার্থীই ছাত্রশিবিরের কর্মী।

অনেক দিন পরে একসঙ্গে এত বেশিসংখ্যক শিবির কর্মীগ্রেপ্তারের খবর দিল আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। তবে অভিযোগের ধরন, বয়স কিংবা তাদের রাজনৈতিক পরিচয় যাই হোক না কেন, ডিবির বিরুদ্ধে বেআইনি পন্থায় শিক্ষার্থীদের তুলে নেওয়া’, পাঁচ দিন আটকে রাখার পর রোববার গ্রেপ্তারদেখানো এবং তাদেরকে শারীরিকভাবে নির্যাতন চালানোর যে অভিযোগ উঠেছে, সেটা তারা এখন পর্যন্ত খণ্ডন করতে পারেনি। গতকাল এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে যেসব ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে, তা তেমন বিশ্বাসযোগ্য বলে প্রতীয়মান হয়নি।

এই প্রশ্ন এখন ক্রমশ জ্বলন্ত হয়ে উঠছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মাধ্যমে এমন কিছু স্পর্শকাতর ঘটনা ঘটছে, যাতে এটা অনুমান করা অসম্ভব হয়ে পড়ছে যে আইন অমান্য করে চলার মতো সিদ্ধান্তগুলো আসলে কে বা কারা, কী উদ্দেশ্যে নিচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে গ্রেপ্তার ও রিমান্ড বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিভিন্ন রায় এসেছে। কিন্তু বাস্তবে আমরা দেখেছি, পুলিশের রিমান্ডের আবেদন মঞ্জুরের ঘটনাই বেশি। সুতরাং চার দিন বিলম্বে আদালতে পাঠিয়ে দুদিন রিমান্ড পাওয়ার মতো ঘটনা গা সওয়া ব্যাপারে পরিণত হওয়ার আগেই আমরা কায়মনোবাক্যে আমাদের স্বাধীন বিচার বিভাগের স্বতঃপ্রণোদিত হস্তক্ষেপ কামনা করি।

আসন্ন সাধারণ নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের বিরুদ্ধে সারা দেশে পাইকারি ধরপাকড় করার যে অভিযোগ আছে, তা থেকে আমরা ডিবির মতো এলিট সংস্থার আচরণ ও মনোভাবকে কি কিছুটা হলেও পৃথক করতে পারব না? আশঙ্কা করা চলে যে আইন হাতে তুলে নেওয়ার প্রবণতা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর মধ্যে যেন বাসা বাঁধতে শুরু করেছে।

সম্প্রতি টিআইবির খানা জরিপে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সর্বাধিক দুর্নীতিগ্রস্ত হওয়ার ঘটনা কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। সে কারণে জনপ্রশাসনের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বকে এখনই এ বিষয়ে সজাগ হওয়া দরকার। কারণ, এমন সন্দেহ করার কারণ আছে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোর ভেতরে জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার মান ক্রমশ নিচে নামছে। এ ধরনের পরিস্থিতির বিপদ হলো, অসাধু কিংবা উচ্চাভিলাষী কর্মকর্তারা সরকারের উচ্চপর্যায়ের আশীর্বাদ আছে ধরে নিয়ে তারা অপরিণামদর্শী অথচ বেপরোয়া পদক্ষেপ নেওয়ার প্রবণতা দেখাতে পারেন। ১২ শিক্ষার্থীর প্রতি সর্বতোভাবে যে বেআইনি ও নির্দয় আচরণ করা হয়েছে বলে প্রতীয়মান হয়, তার কোনোই দরকার ছিল না।

 ১৯৯৮ সালে পুলিশি হেফাজতে ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির ছাত্র শামীম রেজা রুবেলের আলোচিত মৃত্যুর পর বিচারপতি হাবিবুর রহমান খানের নেতৃত্বে গঠিত একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন যেসব সুপারিশ করেছিল, তা আমরা অগ্রাহ্য হতে দেখেছি। সে ঘটনার সূত্রেই পরে আমরা গ্রেপ্তার ও রিমান্ড বিষয়ক সুপ্রিম কোর্টের তরফে নির্দিষ্ট গাইডলাইন পেয়েছি। সেই গাইডলাইন প্রায় সব ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয়েছে। ডিবি তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জিজ্ঞাসাবাদ’–এর বরাতে যা জানা সম্ভব হয়েছে বলে গতকাল দাবি করেছে, তা রিমান্ডে বৈধভাবে জানা গেলে খুব কি ক্ষতি হতো? এসব ঘটনায় আইন না মেনে খামোখা যারা আতঙ্ক ছড়াচ্ছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সরকারের ভাবমূর্তির জন্য জরুরি।

  •  Courtesy: Prothom Alo /Sep 11, 2018



NPLs soar by over 20pc


 
Lax loan recovery drive to blame



Siddique Islam
Despite close monitoring by the central bank, the amount of non-performing loans (NPLs) jumped by over 20 per cent or Tk 150.37 billion at the end of June this year from December last year.
The volume of NPLs rose to Tk 893.40 billion as of June 30, 2018 from Tk 743.03 billion as of December 31 last. The amount of NPLs was Tk 741.48 billion a year ago.

The share of classified loans reached 10.41 per cent of the total outstanding loans during the period under review than that of 9.31 per cent six months back, according to the central bank's latest statistics.
Lax loan recovery drive in the January-March (Q1) period of this calendar year along with turning of some rescheduled credits into classified loan again during the first six months to June this year have pushed up the overall volume of default loans, according to the senior bankers.

Some fresh loans also became NPLs during the period under review, they added.
The senior bankers, however, said the amount of NPLs might fall in the final quarter of this calendar year mainly due to the upcoming national election.

Some banks have already instructed their divisional and branch offices across the country for taking preparations to recover default loans from possible candidates, they explained.

Talking to the FE, Md Serajul Islam, spokesperson of the Bangladesh Bank (BB), said: "We're trying to contain the volume of NPLs continuously."
Mr Islam, also an executive director of the central bank, said the banks will have to take effective measures to reduce classified loans through strengthening their recovery drives.

Another BB official, however, said the amount of NPLs increased slightly in the second quarter (Q2), but the share of classified loans of the total outstanding credits dropped as of June 30.
The volume of NPLs was Tk 885.89 billion in the first quarter (Q1) of this calendar year while it was 10.78 per cent of the total outstanding credits, the BB data showed.

The NPLs cover substandard, doubtful and bad/loss of total outstanding credits, which stood at Tk 8,585.21 billion as of June 30 last from Tk 7,981.96 billion as of December 31. It was Tk 8,221.37 billion as of March 31, 2018.
"A portion of restructured large loans has already turned into NPLs that also pushed up the overall volume of classified loans in the banking system," Syed Mahbubur Rahman, chairman of the Association of Bankers, Bangladesh (ABB), told the FE while explaining the upward trend in default loans.

The central bank had cleared proposals of 11 business groups for restructuring their large loans worth around Tk 153.26 billion.
A total of 22 commercial banks had earlier forwarded the proposals to the BB for approving the loan restructuring on behalf of their clients.

Mr Rahman, also managing director (MD) and chief executive officer (CEO) of Dhaka Bank Ltd, said the existing upward trend in NPLs may continue in the Q3 of 2018 but he expects that the volume of default loans may fall slightly by the end of this calendar year.
During the first half of the current calendar year, the total amount of NPLs with six state-owned commercial banks (SoCBs) rose to Tk 428.52 billion from Tk 373.26 billion on December 31 last. It was Tk 436.85 billion in the Q1 of 2018.

On the other hand, the total amount of NPLs with 40 private commercial banks (PCBs) reached Tk 389.75 billion as of June 30 last from Tk 293.96 billion in the final quarter of last year. It was Tk 372.89 billion as of March 31 last.
The NPLs from nine foreign commercial banks (FCBs) rose to Tk 22.71 billion during the period under review from Tk 21.54 billion in the Q4 of 2017. It was Tk 21.88 billion in the Q1 of 2018.

The classified loans with two development-finance institutions (DFIs) also came down to Tk 52.41 billion as of June 30 last from Tk 54.26 billion six months ago. It was Tk 54.26 in the Q1 of this calendar year.
Talking to the FE, M A Halim Chowdhury, MD and CEO of Pubali Bank Ltd, said: "Our officials have already started contacting with possible candidates of the upcoming election to recover their default loans."
He also said one or two classified loans have already been recovered from possible candidates.

 
siddique.islam@gmail.com    
Courage: The Financial Express Sep 11, 2018   


Students allegedly in DB custody


Parents deserve answers to their allegations

On September 5, 38 students were picked up by people identifying themselves as members of the Detective Branch from different parts of the capital, according to the students' parents. While 26 of those picked up were eventually released, 12 were allegedly still in custody. In this time these students have not been produced before a court of law, and questions by concerned parents have been met with ambiguous answers.

Families of the 12 students held a press conference on September 9, but even then there has been no clear response from DB officials. What horrifies us more is the parents' claim that their wards have been tortured in custody, which has been confirmed by some of those who have been released. One student was beaten after his hands and legs were tied up and had to be hospitalised after release, said a parent.
And, what exactly is the crime these students are accused of? Reportedly, the students were questioned about their involvement in the quota reform and road safety movements. It has been pointed out that some of those still in custody were not even in Dhaka during the protests. But more importantly, since when is participating in protests and movements a crime in this country? Why should students be harassed and hounded if they exercise their basic rights? As reports continue to show, protesters for quota reform and road safety continue to be harassed, even those out on bail.

The fact that the brother of one of those still allegedly in custody was among those released gives sufficient credence to the claims of these parents. Why is law enforcement silent? It is their duty to justify the logic behind these arrests, investigate why there was a failure in producing them before the court in due time, ensure accountability and take responsibility for the torture these students underwent. If true, what justified the physical and mental trauma that these students were put through? The government should intervene to stop the criminalising of people for their supposed involvement in protests which the government itself publicly has declared to be logical.


Courtesy: The Daily Star Editorial Sep 11, 2018


Digital Security Act: Hardly an improvement on section 57


Says HRW

Star Report
The proposed Digital Security Act to replace section 57 of the ICT Act is in some respects even broader than the one it seeks to replace and violates the country's international obligation to protect freedom of speech, Human Rights Watch says.
Mentioning that Bangladesh will undergo scrutiny of its human rights record at the United Nations Human Rights Council on May 14 as part of a process known as the Universal Periodic Review, the global rights watchdog has suggested that the government take this opportunity to commit to ending its crackdown on dissenting voices and criticism.


The much-debated Digital Security Bill-2018 is now at the parliamentary standing committee on posts, telecommunications and information technology ministry for its scrutiny. The committee has been asked to submit a report to parliament after scrutiny.
HRW, which published a report on Wednesday, said the government should pledge to lead a robust public campaign on the right to free expression.
It should also take strong action against militant groups who seek to suppress free speech by engaging in violent attacks on those holding different religious views, said the New York-based rights body.
The HRW report said scores of people had been arrested over the past five years in Bangladesh under section 57 of the Information and Communication Technology Act for criticising the government, political leaders, and others on Facebook, as well as in blogs, online newspapers, or other social media.
“The government of Bangladesh acknowledges that the current section 57 of the ICT Act is draconian, and needs to go,” said HRW Asia Director Brad Adams.
“But the new law being proposed is hardly an improvement, creating a series of new offences that will undoubtedly be used for years to come against government critics in the country's highly politicised criminal justice system.”
89-page report, “No Place for Criticism: Bangladesh Crackdown on Social Media Commentary” details dozens of arbitrary arrests since the ICT Act-2006 was amended in 2013 to incorporate harsher penalties and allowing the police to make arrests without warrant.
As of April 2018, the police had submitted 1,271 charge sheets to the Cyber Tribunal in Dhaka, claiming sufficient evidence to prosecute under section 57 of the ICT Act.
Press freedom is also under threat from section 57.
Many journalists and editors have been arrested for online articles alleging corruption, maladministration, or criticising particular individuals.
In June 2017, police arrested Golam Mostafa Rafiq, editor of Habiganj Samachar, for an article published in the online edition of the newspaper which speculated a ruling party MP would not get the party nomination.
Others were arrested for offending religious sentiment or for defamation.
The rights body said Bangladesh should hold civil society consultations to ensure that any new law passed to replace section 57 is compatible with its obligations under international law, and protects and respects freedom of speech.
Criminalisation of speech offences should be limited to the worst cases, such as direct incitement to violence, and not for criticism of the authorities or defamation.
Adams said, “Bangladesh authorities should accept that criticism, however unpleasant and hurtful, is part of public life and can serve to correct mistakes and provide redress.
“The government should work with domestic and international experts to draft a new law that fully upholds the principles of free speech and internet freedom.”
Courtesy: The Daily Star Sep 11, 2018

12 students produced in court, finally

Placed on remand

Staff Correspondent
The 12 students picked up by detectives allegedly six days ago were finally produced before a Dhaka court yesterday.
Two cases were filed with Tejgaon Industrial Police Station against them, police said.
In one case, all 12 were accused of assaulting policemen on August 6, while one of them, Tarek Aziz, was made the lone accused in another case filed under Information and Communication Technology Act on a charge of spreading rumours during the student demonstrations for road safety in August.
Each of the 12 students were placed on a two-day remand in the police assault case while Tarek Aziz was place on a further two-day remand in the ICT case.
The development came a day after family members of the 12 alleged that the students had been taken into DB custody on September 5. Police yesterday, however, said they were from picked up from Tejkunipara area on September 9.
The families on Sunday had asked the authorities to either release their children or produce them before a court if they had committed any crimes.
Masudur Rahman, deputy commissioner (Media) of Dhaka Metropolitan Police, yesterday told The Daily Star that the arrestees were leaders and activists of Islami Chhatra Shibir and they had tried to divert the student movement and deteriorate the law and order situation by spreading rumours.
The 12 students are-- Saifullah bin Mansur, Al Amin, Jahirul Islam Hasib, Mujahidul Islam, Jahangir Alam, Gazi M Borhan Uddin, Tarek Aziz, Mahfuz, Raihanul Abedin, Iftekhar Alam, Tarek Aziz and Mehedi Hasan Rajib.
Police claimed they recovered 12 sets of uniforms and 13 fake ID cards of different educational institutions, three laptops and some publications of Islami Chhatra Shibir from the detainees, all of which were collected in a bid to create anarchy during the movement.  
Besides, two of the 12 were among the 400 to 500 students from different colleges and universities, who took to the street in front of Ahsanullah University in Tejgaon Industrial area and threw brickbats at police, leaving at least four policemen injured, police said.
About the families' allegation of their children's confinement, Mashirul Rahman, deputy commissioner of Detective Branch (north) of the DMP, told The Daily Star that the statement of the parents were “not acceptable”.
“Conscious parents never support such acts from their children… The parents do not know what their sons are doing. So their statements are not acceptable,” he said.
Police said the youths were leaders and activist of Shibir and they were involved in spreading rumours, attacking police and writing abusive words on some of the vehicles carrying important persons, including a judge, during the movement.
During a press briefing on Sunday at the Crime Reporters' Association, the family members alleged that many students were picked up from different messes in Tejgaon and Mohakahli on September 5.
All, except the 12, were released.
The family members also alleged that the detainees were tortured in DB custody, an allegation denied by police.
Mansur Rahman said his two sons--Saifullah and Sifat--were picked up from a student mess on that day. Sifat was released a day later while Saifullah was in DB custody, he alleged.
Meanwhile, rights body Ain o Salish Kendra condemned the alleged confinement of the students in DB custody.
Courtesy: The Daily Star Sep 11, 2018

A case, many questions


Bedridden 82-year-old and BNP man who was abroad at the time sued by police over gathering for 'subversive acts'

Chaitanya Chandra Halder, Shariful Islam and Rafiul Islam
Luthful Haque was treated at Labaid hospital in the capital's Dhanmondi for seven days from August 4 for hypertension, diabetes and kidney complications.
His condition was so bad that he was taken to Intensive Care Unit (ICU) and High Dependency Unit (HDU).
Though he returned home on release from hospital on August 11, family members say he is still ill and cannot move without the help of others. He is 82.
Yet police found him among a group of “miscreants from the BNP and its front organisations who gathered in Wari on September 3 as part of a plan to overthrow the government”.
Luthful is one of the 96 who are accused in a case for “assembling” at Bangladesh Boys Club playground on RK Mission Road to carry out “subversive activities”.
Talking to The Daily Star yesterday, his son Rezaul Haque said, “My father cannot move alone. Since he came back from the hospital, he has been bedridden and my mother feeds him. The day police filed the case, my father was home.”
They took the old man to the High Court on a wheelchair seeking bail on September 5, two days after the case was filed with Wari Police Station. The court granted him bail until the charge sheet is submitted.
Rezaul said once his father was involved with the BNP, but for the last six to seven years, he has been very sick and suffering from multiple diseases. Now there is no question of his being involved in politics.
Visiting the Labaid Specialised Hospital yesterday, a reporter of this paper collected Luthful's bill payment receipt that mentioned his age as 82.
Luthful received treatment there from August 4 to 11 and paid a bill of Tk 1,27,865. He was admitted to Cabin No 560.
Three nurses who attended him backed the family's statement about his ailment.

ABROAD, YET SUED
The case also named BNP's ward-level leader Sabbir Ahmed Arif as an accused although he was not in the country when the incident allegedly took place.
His visa, immigration and hotel documents, boarding passes of his flights to and from Kolkata show that he was in India from September 1 to 4. The Daily Star obtained these papers.
“I can't stay home as police are always after me. I was not even spared from being implicated while I was in India,” Sabbir told The Daily Star recently. “It's just to harass me.”
Sabbir is accused No 13 and Luthful alias Abdul Latif is No 51 as per the case document. The Daily Star collected a copy of it.
The story of another accused in the case, Md Ibrahim, a Juba Dal leader of Wari unit, is a bit different.
Before this, he was made an accused in another case, filed with Wari Police Station on November 12 last year, on charges of creating panic among people through subversive activities earlier that month.
Ibrahim was accused No 24 among 44 named and around 50 to 60 unnamed others.
Air tickets, immigration and hotel documents show that he was in Chennai from November 7 to 16. He accompanied his ailing sister Rokeya Islam for her treatment at Apollo Hospitals there.
As his lawyer submitted the paper to a Dhaka court on December 19 last year, the court granted him bail. After reviewing the documents, the magistrate in his order said it is evident that during the time of occurrence Ibrahim was out of the country.
Ibrahim, now facing 16 cases, said he was in the country on September 3 but had no involvement in any such incident.
The complainant, Sub-Inspector Utpal Datta Apu of Wari Police Station, in the case statement mentioned that after a tip-off, he along with other policemen went near Bangladesh Boys Club playground at 11:55am on September 3 but the miscreants fled away.ater, quizzing people at the scene, it was learnt that 96 identified and many unknown others assembled there to carry out subversive activities, he said.
Visiting the playground around 10:30am yesterday, a reporter of this paper found over a dozen youths playing cricket there.
Asked about BNP men's alleged gathering on September 3, one of them said, “We play here every day. We neither saw nor heard about any such incident.”
At least 10 people living around the playground said they did not see any chaos on that day.
The case was filed at 2:05pm and it mentioned the incident occurred at 11:55am, just hours ago. 
The case statement said the BNP men fled as soon as police reached near the playground.
During the visit yesterday, it was found that the playground is fenced with an eight-foot wall and a lone entry-exit point.
Utpal said in the case that he came to know about the accused from locals near the place of occurrence and shopkeepers on the roadside footpath.
Talking to The Daily Star, employees and owners of at least 15 nearby shops said no such incident happened recently.
“I just came to know about it from you ... BNP men gathered on the playground!” said a shopkeeper, bursting into laughter.
“How can such a big gathering go unnoticed when even the news of the arrest of a small drug peddler or addict spread rapidly in the area?” asked another trader.
Utpal refused to make any comment over the phone when he wacontacted yesterday.
Azizur Rahman, officer-in-charge of Wari Police Station, said, “I will not discuss it over the phone. Come to my office and have a cup of tea.”
Asked about accusing an 82-year-old sick man and a man who was in India on the day of the alleged incident, Sohel Rana, assistant inspector general (media and PR) at Police Headquarters, said they would investigate if there is any such irregularity.
DEAD MAN SUED
On Sunday, Bangla Daily Prothom Alo reported that BNP's Chawkbazar thana convenor Abul Azizullah, who died in May 2016, was made an accused in a case filed 28 months after his death.
According to the statement of the case filed on September 5 with Chawkbazar Police Station, Azizullah threw brickbats with other leaders and activists in Old Central Jail area that day. He even blasted cocktails with other leaders and workers.
Complainant of the case, SI Kamal Uddin, told this paper yesterday that he named the accused as per statements of witnesses following the incident. He did not get enough time to verify.
The investigation officer will correct it if anyone named as accused died earlier, he added.
THE HABIGANJ CASES
Meanwhile, in Habiganj district, where there were no safe road agitations of students, 10 cases were filed with four police stations, mentioning violence relating to the protest and accusing unnamed people.
Bidhan Tripura, police superintendent of Habiganj district, said these cases were filed after being confirmed that some incidents happened during the safe road agitation.
On August 12, SI Nazmul Islam of Habiganj Sadar Police Station filed a case with the station accusing 70 to 80 unknown miscreants who allegedly engaged in criminal activities by destroying vehicles and government property in front of JK High School of the town.
The incidents took place on July 30, according to case statement.
That day, SI Abdur Rahim of the same station filed another case accusing 100 to 120 unknown miscreants alleging that they carried out criminal activities in front of Brindaban College on July 31.
Our Sylhet correspondent reported that no such incidents of violence occurred in those areas on July 30 or 31 and no students took to the streets in the district supporting the safe road movement.
Students of schools and colleges in Dhaka began an unprecedented protest after killing of their two peers in a road accident in the city on July 29. It continued for over a week.
“This is not mandatory to file cases right after the incidents and police filed these cases after primary inquiry,” said Bidhan.
“Unknown people were made accused as no particular names were found. But this is not to harass anyone. These cases are under progress and police are investigating those.”
[Shaheen Mollah and Doha Chowdhury contributed to this report]
   Courtesy: The Daily Star Sep 11, 2018


Monday, September 10, 2018

এক চোখে নির্বাচন, অন্য চোখে আদালত

মিজানুর রহমান খান

কোনো তর্ক হলেই আমরা বলি, আইনে কোথায় কী আছে। শাহদীন মালিক প্রথম আলোকে বলেছেন, দেশে কত মামলা। জেনারেল এরশাদ মঞ্জুর হত্যা মামলায় অভিযুক্ত। সেই বিচারের খবর নেই। আরও কত মামলা আছে, তার গতি জানি না। আবার কোনো কোনো মামলার অসম্ভব গতি। তাই যেখানেই ‘তড়িঘড়ি’ সেখানেই একটি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিষয় থাকতে পারে বলে আমজনতার মনে একটা দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকতেই পারে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়া দণ্ডিত হয়েছেন বলে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলারও রায় দ্রুত হতেই হবে, এমন বাধ্যবাধকতা আইনে নেই। আবার এই যে ‘আইনে নেই’ প্রসঙ্গটি তোলা হলো, সেটা কি সংবিধানসম্মত? কেউ সংবিধান দেখিয়ে বলতে পারেন, দ্রুত বিচার তো প্রত্যাশিত। দ্রুত আর তড়িঘড়ির মধ্যে কী পার্থক্য? রাষ্ট্র বলবে দ্রুত, আসামিপক্ষ বলবে তড়িঘড়ি। কিন্তু কখনোই আইনের আপন গতিকে আমরা বিদ্যমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে আলাদা করতে পারি না। মঞ্জুর হত্যার মতো আর কত মামলা আছে, সেখানে রাষ্ট্রের কাছে আমরা দ্রুত বিচার চাই। কিন্তু রাষ্ট্র তা চায় না। সুতরাং রাষ্ট্র যখন দ্রুত বিচার বলে, তখন আমরা ন্যায়বিচারই বুঝব, তেমনটা সত্য নয়, বাস্তবতা নয়।

আগামী অক্টোবরে নির্বাচনী তফসিল হতে পারে। তার আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। এখন সবার চোখ আটকে থাকার কথা কেবল নির্বাচনের দিকে। অথচ সবার চোখ এখন আদালতের দিকেও। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর মামলাগুলোর রায় এগিয়ে আসছে। এবার এই যে একটি পরিস্থিতি তৈরি হলো, সেটা কতটা সুচিন্তিত, কতটা কাকতালীয়, সেটা একটা বড় প্রশ্ন। তবে অনেকে যাঁরা পূর্বাভাস দিয়েছিলেন যে বিদায়ী প্রধান বিচারপতিকে পদাধিকারবলে প্রধান উপদেষ্টা করার বিধান বাতিল করে আমরা প্রাক্নির্বাচনী রাজনীতিতে আদালতকে অপ্রাসঙ্গিক করব; তাঁদের ভুল ভাঙছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের অনেক আগেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেছেন আদালত। কিন্তু দুই মেয়াদে সংসদ নির্বাচন করার বিধান করায় আদালত নির্বাচনী রাজনীতিতে আলোচনার খোরাক ছিলেন। এখন আশঙ্কা করি, আদালত সামনের দিনগুলোতে আরও বেশি আলোচনার বিষয় হয়ে থাকবেন। কারণ, বিচার বিভাগ চলমান ঘটনাপ্রবাহের সঙ্গে এমন অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িয়ে গেছে, এটা আর পিছু ছাড়বে বলে মনে হয় না।

সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদটি অনেক দিন পর দুই বড় দলের বিবদমান বড় নেতাদের বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। মওদুদ আহমদ বলেছেন, ৩৫ (৩) অনুচ্ছেদ বলেছে, অভিযুক্ত প্রকাশ্য বিচার লাভের অধিকারী। এখন প্রকাশ্য শব্দটি কীভাবে ‘ক্যামেরা’ বা গোপন বিচার হলো, সেটা একটা প্রশ্ন। কারাগারে আদালত বসানোর অভিযোগ তুলেছে বিএনপি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংবিধানের কোথায় আছে, কারাগারে আদালত বসানো যাবে না। কেউ হয়তো যুক্তি দেবেন, একটা উত্তর তো তাঁর প্রশ্নেই রয়েছে। একটি কক্ষ যদি ‘কারাগার’ হিসেবেই আইন দ্বারা নির্দিষ্ট থাকে, তাহলে সেই একই কক্ষ বা স্থান কী করে আইন দ্বারা ‘আদালত’ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগার আইন দ্বারা পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। সেই এলাকার একটি অংশকে আইন দ্বারা ‘সাবজেল’ ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানি না।

নব্বইয়ের আন্দোলনে এরশাদের পতনের পর গুলশানের একটি বাড়িকে সাবজেল ঘোষণা করে এরশাদকে এবং নিকট অতীতে সাবজেল ঘোষণা করে দুই নেত্রীকে রাখা হয়েছিল। সামরিক আমলে কর্নেল তাহেরের বিচার কারাগারে হয়েছিল। সেই বিচার ইতিহাসে নিন্দিত হয়েছে। পরিত্যক্ত কারাগারের একটি অংশকে কেন সাবজেল করতে হলো, তাতে শুধু ‘আইন’ নেই, রাজনীতিও আছে। এরশাদ গুলশানের সাবজেলে ‘আরামে’ আছেন, এর বিরুদ্ধে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা তপ্ত বক্তৃতা করেন। এর পরপরই এরশাদকে নাজিমুদ্দিন রোডের এই কারাগারেই সেদিন তড়িঘড়ি করে পাঠিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।

তবে এই প্রসঙ্গে আমরা আরেকবার স্মরণে আনব যে ৩৫ (৩) অনুচ্ছেদটি বলেছে, ‘ফৌজদারি অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত প্রত্যেক ব্যক্তি আইনের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন ও নিরপেক্ষ আদালত বা ট্রাইব্যুনালে দ্রুত ও প্রকাশ্য বিচার লাভের অধিকারী হইবেন।’ ১৯৯০ সালের পর সংবিধানে সাতটি সংশোধনী আনা সত্ত্বেও ৩৫ (৩) অকার্যকর থেকেছে। ‘প্রত্যেক ব্যক্তি’-র জন্য অভিন্ন কোনো পন্থা নেই। গ্রেপ্তার, জামিন কিংবা বিচার যা-ই বলুন, ‘কারও জন্য দ্রুত কারও জন্য শম্বুক’, গত প্রায় তিন দশক এটাই বাস্তবতা। অভিযুক্ত ব্যক্তি যদি রাজনীতিক হন, তাহলে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক মামলায় দ্রুত কিংবা ঢিমেতালের মাত্রাটা ঠিক করে দেবে। কিন্তু দুই দলই নাগরিকের দ্রুত বিচার লাভের মৌলিক অধিকার প্রকারান্তরে নিজস্ব রাষ্ট্র বিবেচনায় পদ্ধতিগতভাবে অস্বীকার করে চলছে। এর প্রমাণ, তারা অভ্যাসগতভাবে বিচার বিভাগ পৃথক্করণ ও বিচারপতি নিয়োগের আইন করেনি।

এটা মনে রেখে সচেতন নাগরিকেরা কারাগার বা আদালত বিষয়ে উতলা বা নিরাসক্ত থাকবেন। সরকারি আদেশ আদালত স্থানান্তরের কারণ হিসেবে বলেছে, ‘বর্ণিত বিচার কার্যক্রম চলাকালীন এলাকাটি (আলিয়া মাদ্রাসার মাঠ) জনাকীর্ণ থাকে বিধায় নিরাপত্তাজনিত কারণে’ ১২৫ নম্বর নাজিমুদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রশাসনিক ভবনের কক্ষ নং ৭-এর অস্থায়ী আদালতে বিচার কার্যক্রম চলবে। কারাগারের কোনো অংশকে আদালত বলা যায় কি না, এর আইনি দিকের চেয়ে জোরালো হলো রাজনৈতিক দিক। রাষ্ট্রপক্ষ বলছে, ১৪টি হাজিরার তারিখে জিয়া চ্যারিটেবল মামলায় খালেদা জিয়া গরহাজির ছিলেন। দণ্ডিত হওয়ার পর তিনি আর যাননি।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় কয়েক মাসের ব্যবধানে ১৪টি তারিখ পড়ার সঙ্গে তুলনা করা চলে অতীতের আর কোনো দুর্নীতি বা অপরাধের মামলা, যাতে ক্ষমতাসীন দল বা তার আশীর্বাদপুষ্ট কেউ জড়িত আছেন, সেসব ক্ষেত্রে আমরা এমন গতি দেখি না। সুতরাং প্রতিপক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের সত্যতা কমবেশি আছে। উভয়ের এই অবস্থান আইনের শাসনকে আঘাত করে। নাগরিক স্বার্থ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জিয়া চ্যারিটেবলে খালেদা জিয়ার কৌশল সরকারি মহলকে কোণঠাসা করতে পারে। কারণ, জামিনে থেকে আদালতে না এলে তাঁকে ‘পলাতক’ দেখিয়ে তাঁর অনুপস্থিতিতে রায় ঘোষণা সম্ভব ছিল। এখন ‘যত খুশি সাজা দিন’ বলে সত্যি আর না এলে তাঁকে পলাতক বলা যাবে না। আবার আসামিপক্ষকে না শুনে রায় ঘোষণা করাও সহজ হবে না। সুতরাং এই মামলাটি আটকে গেলেও যেতে পারে।

এই সরকারের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার রায় প্রত্যাশিত ছিল। কিন্তু কেন জানি গতি ছিল না। শেষ পর্যন্ত নির্বাচনী ডামাডোলে তা ‘আপন গতি’ পেয়েছে বলে মনে হয়। ১২ সেপ্টেম্বরে রায় ঘোষণার তারিখ জানা যেতে পারে। তবে আদালত-বিষয়ক ও নির্বাচনমুখী এসব অগ্রগতির মধ্যে মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়ার দুর্নীতির মামলার একটি রায় ঘনিয়ে আসছে। এটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ, দণ্ডিত থেকেও তিনি জামিনে আছেন বলে তাঁর মন্ত্রিত্ব বহাল আছে। তাঁর দণ্ড কোনো কারণে বহাল থাকে, তাহলে তফসিল ঘোষণার পর খালেদা জিয়া ও মায়ার আইনি অবস্থান একই হবে। যদি আদালতে তাঁর দণ্ড চলে যায়, তাহলে খালেদা জিয়া ও তাঁর অবস্থান এক থাকবে না। খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত হয়নি। তাই আশঙ্কা আছে, এ কারণে তাঁর মনোনয়নপত্র বাতিল হতে পারে। এমনতর অনুশীলনের পক্ষে রায় আছে। আবার নিতান্ত আপিল করেও নির্বাচন করার নজির আছে। দুই ধরনের রায় আছে।

সুতরাং আমরা একটা সময় পার করতে যাচ্ছি, যখন এক চোখে নির্বাচন, অন্য চোখ আদালতেই আটকে থাকবে।

কার্টসিঃ প্রথম আলো/সম্পাদক/ সেপ্টেম্বর ১০,২০১৮