Search

Tuesday, September 11, 2018

মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের প্রতি জাতিসংঘের আহ্বান



মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে আরো অনেক কিছু করা উচিত বাংলাদেশ সরকারের। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য এটা অপরিহার্য। সাম্প্রতিক সময়ে এখানে বিক্ষোভরত শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মানহানির অভিযোগ আনা হয়েছে। তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণের রিপোর্ট পাওয়া গেছে। এসব সহিংসতার জন্য যারা দায়ী তাদেরকে অবশ্যই বিচারের আওতায়  আনতে হবে, যাতে ঘটনার পুনরাবৃত্তি প্রতিরোধ করা যায়।


জাতিসংঘের  মানবাধিকার পরিষদের ৩৯তম অধিবেশনে এভাবেই বাংলাদেশকে তুলে ধরলেন মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান মিশেল ব্যাচেলেট। এছাড়াও তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে বাংলাদেশ।



দারিদ্র্য নিরসনে সফল হয়েছে এ দেশ। মাদকবিরোধী অভিযানে হত্যা ও গ্রেপ্তারকে তিনি ট্রাবলিংবলে আখ্যায়িত করেন। বলেন, মাদকবিরোধী অভিযানে হত্যা করা হয়েছে ২২০ জনকে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে কয়েক হাজার মানুষকে। অভিযোগ আছে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের। স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও বিভিন্ন সুযোগকে ব্যবহার মাদক মোকাবিলার উন্নত পন্থা। এক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ড বা ডেথ স্কোয়াডের দিকে দৃষ্টি দেয়া উচিত নয়। অধিক কার্যকর, মানবাধিকারের অভিযোগ সহ কীভাবে মাদকের ইস্যুটি সমাধান করা যায় সে বিষয়ে একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছে মানবাধিকার বিষয়ক অফিস।


ওই অধিবেশনে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের বিচারের জন্য আপাতত নতুন একটি বিচারিক ব্যবস্থা (কসি জুডিশিয়াল বডি) গড়ে তোলারও আহ্বান জানান মিশেল ব্যাচেলেট। তিনি বলেছেন, এর লক্ষ্য হবে মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে যে হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতন চালানো হয়েছে তার ভবিষ্যৎ বিচারের জন্য তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করা।  জেনেভা থেকে এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।


ব্যাচেলেট ১লা সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক প্রধানের দায়িত্ব নেন। তারপর প্রথম মানবাধিকার পরিষদে তিনি বক্তব্য রেখেছেন।  সেখানে তিনি বলেছেন, দৃশ্যত রাখাইন রাজ্যে এখনো হামলা ও নির্যাতন অব্যাহত আছে। তদন্তকারীরা কাচিন ও শান রাজ্যে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হত্যা, নির্যাতন ও যৌন সহিংসতার প্রমাণ পেয়েছেন। জেনেভায় ৪৭ সদস্যের ফোরামে অধিবেশন শুরু হয়েছে তিন সপ্তাহের জন্য। সেখানে ব্যাচেলেট বলেন, এই রকম নিয়ম লঙ্ঘনের ফলে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে যে দায়মুক্তি বিষয়টি জোরালোভাবে ফুটে উঠেছে।


এ সময় তিনি গত সপ্তাহে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)-এর প্রসিকিউটর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাকে স্বাগত জানিয়েছেন ব্যাচেলেট। আইসিসি বলেছে, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেয়া একটি মানবতাবিরোধী অপরাধ। এ বিষয়ে আইসিসির বিচার করার অধিকার আছে। ব্যাচেলেট বলেন, অনতিবিলম্বে এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যে, ওই দায়মুক্তির ইতি ঘটাতে হবে। বিশেষ করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ভয়াবহ দুর্ভোগের দিকে তাকিয়ে।


উল্লেখ্য, গত মাসে রোহিঙ্গা ইস্যুতে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে জাতিসংঘের নিরপেক্ষ সংস্থা ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশন। তাতে বলা হয়েছে, রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর ইচ্ছাকৃত গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে। এর মাধ্যমে তারা মানবতাবিরোধী অপরাধ করেছে। দৃশ্যত যুদ্ধাপরাধ করেছে। ওই রিপোর্টে বর্তমান সেনাপ্রধান মিন অং হ্লাইং সহ ৬ জন জেনারেলের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এদেরকে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।


এক বছর আগে সেনাবাহিনী রাখাইন রাজ্যে নৃশংস অভিযান শুরু করে। এর ফলে কমপক্ষে ৭ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। তাদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর গণহত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে।


এরই প্রেক্ষিতে মিশেল ব্যাচেলেট মানবাধিকার পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর প্রতি নিজের সমর্থন জানান। তিনি বলেন, মিয়ানমারের বিষয়ে এই পরিষদের সদস্য রাষ্ট্রগুলো নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক মেকানিজম, তথ্য সংগ্রহ, সব অভিযোগ জমা করা, সংরক্ষণ করা, আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গুরুতর অভিযোগগুলোর প্রমাণ বিশ্লেষণ করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাকে আমি স্বাগত জানাই। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আদালতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ বিচারের জন্য এসব প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন, আমি পরিষদের প্রতি একটি প্রস্তাব পাস করার অনুরোধ জানাই এবং তা যেন জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে পাঠানো হয় অনুমোদনের জন্য, যাতে একটি মেকানিজম প্রতিষ্ঠিত করা যায়।



  • Courtesy: Manabzamin /Sep 11, 2018

ধনীদের দ্রুত সম্পদ বৃদ্ধিতে শীর্ষে বাংলাদেশ


সম্পদশালীদের বড় অংশের আবাস চীন ও যুক্তরাষ্ট্রে। ভারত ও হংকংয়েও উল্লেখযোগ্যসংখ্যক সম্পদশালী রয়েছে। দ্রুত বাড়ছে এসব ধনীর সম্পদের পরিমাণ। তবে বাংলাদেশী ধনীদের সম্পদ বাড়ছে তার চেয়েও দ্রুতগতিতে। যুক্তরাজ্যভিত্তিক সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথএক্সের প্রতিবেদন বলছে, গত পাঁচ বছরে ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির বিবেচনায় শীর্ষে রয়েছে বাংলাদেশ।



নিজস্ব ওয়েলথ অ্যান্ড ইনভেস্টেবল অ্যাসেটস মডেলব্যবহার করে প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে ওয়েলথএক্স। প্রতিষ্ঠানটির নতুন এ মডেলের মাধ্যমে ব্যক্তিগত মোট সম্পদের আনুমানিক তথ্য পাওয়া যায়। পাশাপাশি সম্পদের মালিকানা ও বিনিয়োগযোগ্য সম্পদের বিবেচনায় জনসংখ্যার তুলনামূলক একটি চিত্রও এতে উঠে আসে। বৈশ্বিকভাবে সম্পদের এ ধরনের বিশ্লেষণ ছাড়াও শীর্ষ ৭৫টি অর্থনীতির দেশে সম্পদের ব্যাপ্তি ও প্রবৃদ্ধি ওয়েলথএক্সের গবেষণার বিষয়বস্তু।



প্রতিবেদন তৈরিতে দুটি ধাপে তথ্য বিশ্লেষণ করে ওয়েলথএক্স ইনস্টিটিউট। প্রথম ধাপে ইকোনমেট্রিক কৌশল ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে পুুঁজিবাজারের আকার, জিডিপি, করহার, আয় ও সঞ্চয়ের তথ্য সংগ্রহ করে তারা। তথ্যের উৎস হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) ও সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর পরিসংখ্যান সরবরাহকারী কর্তৃপক্ষকে।


দ্বিতীয় ধাপে জনপ্রতি সম্পদের পরিমাণ হিসাব করা হয়। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে সম্পদের বণ্টনসংক্রান্ত তথ্যের ঘাটতি থাকায় সংশ্লিষ্ট দেশে মানুষের আয় বণ্টনের হিসাব বিবেচনায় নেয়া হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির কাছে থাকা বিশ্বব্যাপী অত্যধিক সম্পদশালী ১ লাখ ৬০ হাজারের বেশি মানুষের তথ্যভাণ্ডার ব্যবহার করা হয়। এতে আর্থিক স্থিতি, কর্মজীবন, ঘনিষ্ঠ সহযোগী, পারিবারিক তথ্য, শিক্ষাজীবন, আগ্রহ, শখসহ সম্পদশালীদের ব্যক্তিগত বিভিন্ন তথ্য রয়েছে। পাশাপাশি অর্জিত সম্পদের বিনিয়োগ ও ব্যয়প্রবণতার তথ্যও বিবেচনায় নেয়া হয়। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে সম্পদের প্রকৃত ও গ্রহণযোগ্য চিত্র তুলে ধরে ওয়েলথএক্স।


চলতি মাসে প্রকাশিত ওয়েলথএক্সের ওয়ার্ল্ড আলট্রা ওয়েলথ রিপোর্ট ২০১৮শীর্ষক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১২ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে ধনকুবেরদের সামগ্রিক সম্পদের বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ১৭ দশমিক ৩ শতাংশ। আর ধনীদের সম্পদ প্রবৃদ্ধির এ হারের সুবাদে ওয়েলথএক্সের তৈরি তালিকায় শীর্ষ দশের প্রথম স্থানটিই বাংলাদেশের।



দেশে আয়বৈষম্য যে প্রকট হচ্ছে, এটা তারই প্রতিফলন বলে মনে করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মইনুল ইসলাম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, আয়বৈষম্য প্রচণ্ডভাবে বাড়ছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির সুফল একটা ক্ষুদ্র ধনাঢ্য গোষ্ঠীর কাছে গিয়ে জমছে। ওয়েলথএক্সের প্রতিবেদনে তারই প্রতিফলন ঘটেছে।


ওয়েলথএক্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধনীদের সম্পদের দ্রুত বৃদ্ধি বিবেচনায় বাংলাদেশের পরই আছে চীন। দেশটিতে ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির বার্ষিক হার ১৩ দশমিক ৪ শতাংশ। তালিকার তৃতীয় স্থানে থাকা ভিয়েতনামের ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির হার ১২ দশমিক ৭ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে থাকা কেনিয়ার ধনীদের সম্পদ বার্ষিক ১১ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বাড়ছে। পঞ্চম স্থানে থাকা প্রতিবেশী ভারতের ধনীদের সম্পদ স্ফীত হচ্ছে বার্ষিক ১০ দশমিক ৭ শতাংশ হারে।


ধনীদের দ্রুত সম্পদ বৃদ্ধির তালিকায় ভারতের পরই রয়েছে হংকং। এখানকার ধনীদের সম্পদ বাড়ছে বার্ষিক ৯ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। পরের স্থানগুলোয় থাকা আয়ারল্যান্ডের ধনীদের বার্ষিক সম্পদ বৃদ্ধির হার ৯ দশমিক ১, ইসরায়েলের ৮ দশমিক ৬, পাকিস্তানের ৮ দশমিক ৪ ও যুক্তরাষ্ট্রের ৮ দশমিক ১ শতাংশ।প্তিবেদনে বলা হয়েছে, সম্পদশালী ধনীদের সিংহভাগই চীনের। সম্পদ সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধি পায় এমন ৩০টি শহরের ২৬টিই চীন, ভারত ও হংকংয়ে। ২০১৭ সালে মোট সম্পদ বৃদ্ধির ৩০ শতাংশই হয়েছে এ দেশগুলোয়। গুরুত্বপূর্ণ কিছু অংশ এসেছে ভিয়েতনাম, ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশ থেকে।


বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. মোস্তাফিজুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, সম্পদের কেন্দ্রীভবন বাড়ছে। সরকারি তথ্য-উপাত্তেই এ প্রবণতা দেখা যায়। এখন বৈশ্বিকভাবেও সে চিত্র উঠে এসেছে। এ গবেষণা যেটা ইঙ্গিত দিচ্ছে তা হলো, রাজস্বনীতি, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, মুদ্রানীতি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির বিষয়ে আরো নজর দেয়া উচিত।


 সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের শীর্ষ ধনীদের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন সেখানে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি পাওয়া বাংলাদেশী ব্যবসায়ী মুহাম্মদ আজিজ খান। প্রভাবশালী মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস তাদের আগস্ট সংখ্যায় সিঙ্গাপুরের ৫০ শীর্ষ ধনীর যে তালিকা প্রকাশ করেছে, মুহাম্মদ আজিজ খানের অবস্থান সেখানে ৩৪তম। বাংলাদেশী সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যানের মোট সম্পদের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ৯১ কোটি মার্কিন ডলার বা বাংলাদেশী মুদ্রায় সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কোম্পানিতে শেয়ারহোল্ডিংয়ের পাশাপাশি পরিবার, স্টক এক্সচেঞ্জ, বিশ্লেষক ও অন্যান্য উৎস থেকে পাওয়া আর্থিক উপাত্ত ব্যবহার করে তালিকাটি তৈরি করেছে ফোর্বস। পারিবারিক সম্পদও সেখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।


বর্তমানে ৫২ কোটি ৫০ লাখ মধ্যবিত্ত শ্রেণীর বসবাস এশিয়ায়। ডিবিএস ব্যাংকের ইমার্জিং এশিয়া ২০২০ শীর্ষক প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের ২৮ শতাংশ মধ্যবিত্তের আবাস এশিয়া। আসন্ন দশকে এ শ্রেণীর আকার তিন গুণ বেড়ে হবে ১৭৪ কোটি।



  • Courtesy: BanikBarta/ Sep 11, 2018

দুই শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তারের দাবি বিএনপির

শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন নির্বিচার ধরপাকড়


ঢাকায় শান্তিপূর্ণ মানববন্ধনের পর পুলিশের ব্যাপক ধরপাকড়ের শিকার হয়েছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। ঢাকার বাইরেও দেশের বিভিন্নস্থানে দলটির নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যের তাগিদ দিয়েছে বিএনপি।


খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ৬ দফা দাবি উত্থাপন করে একাদশ জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগেই দাবিগুলো মেনে নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলটির নেতারা। দাবিগুলো হচ্ছে- আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া, নিরপেক্ষ সরকার গঠন, নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন ও নির্বাচনে নির্বাহী ক্ষমতাসহ সেনা মোতায়েন।

সেই সঙ্গে অসুস্থ খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসায় তার পছন্দের একটি বিশেষায়িত বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যবস্থার দাবিও জানান বিএনপি নেতারা। কেন্দ্রীয় কর্মসূচি হিসেবে ঢাকার মতো দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা, শহর ও পৌরসভায় একই সময়ে এই কর্মসূচি পালন করে বিএনপি ও অঙ্গ দলগুলোর নেতাকর্মীরা। গাজীপুরে বিএনপির মানববন্ধন কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণ করেছে পুলিশ। পুলিশি লাঠিচার্জ ও গুলিবর্ষণে মহিলা দলের সাবেক সভাপতি আনোয়ারা বেগম, যুবদল নেতা সাজেদুল মোল্লাসহ ২০ জনের মতো নেতাকর্মী গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়েছেন।

সরকার পতনের আন্দোলনে সকল রাজনৈতিক দলের বৃহত্তর ঐক্যের ডাক দিয়ে মানববন্ধনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন দেউলিয়া রাজনৈতিক দল। এই সরকারের দিন শেষ, জনগণ তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। সবাই ইস্পাত কঠিন ঐক্য ধরে রাখলে তাদের পতন সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমাদের চেয়ারপারসন কারাগারে যাওয়ার আগেই দলমতনির্বিশেষে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছিলেন।

এখন আমাদের দরকার সে ঐক্য, ইস্পাত কঠিন ঐক্য। দল ও জনগণের মধ্যে এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য তৈরি করে এই ভয়াবহ দানব সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই অচলায়তনকে ভাঙতে হবে। এই সরকার যারা বুকের ওপর পাথরের মতো বসে আছে তাদেরকে সরাতে হবে। জনগণের গণতন্ত্র ও জনগণের রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা খালেদা জিয়ার মুক্তি চাচ্ছি।

এটা কোনো করুণা চাচ্ছি না, কোনো দয়া ভিক্ষা চাচ্ছি না। তার যেটা প্রাপ্য-তিনি জামিন পেয়েছেন। সেই জামিনে তাকে মুক্ত করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, খালেদা জিয়া যদি কারাগারে থাকেন তাহলে এদেশের মানুষের কাছে কোনো নির্বাচনই গ্রহণযোগ্য হবে না। আর দেশনেত্রীকে মুক্তি দিলে তাহলেই বোঝা যাবে এই সরকার দেশে নির্বাচন চায়।

তিনি বলেন, বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য সরকার সারা দেশে ভৌতিক মামলা করছে। ঈদুল আজহার পর থেকে ১ লাখ মানুষকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। এ ছাড়া গ্রেপ্তার করা হয়েছে ১২ হাজার নেতাকর্মীকে। গ্রামেগঞ্জেও বিএনপির নেতাকর্মীরা ঘরে ঘুমোতে পারছে না। সেই সঙ্গে হুমকি-ধামকি দিয়ে গোটা জাতিকে জিম্মিতে পরিণত করেছে। কিন্তু গুম, খুন ও মিথ্যা মামলা দায়ের আর হুমকি-ধামকি দিয়ে ক্ষমতায় থাকা যায় না।

প্রশ্নে বিএনপির দাবিগুলো তুলে ধরে ক্ষমতাসীনদের উদ্দেশে মির্জা আলমগীর বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলেছি- এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে তফসিল ঘোষণার আগেই। সংসদ ভেঙে দিতে হবে তফসিল ঘোষণার আগেই। নির্বাচন পরিচালনায় একটা নিরপেক্ষ সরকার গঠন ও নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তিনি বলেন, এই সরকার বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। স্বাধীনতা যুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত সব অর্জনকে তারা ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। প্রশাসনকে দলীয়করণ করেছে। বিচার বিভাগকে দলীয়করণের ষড়যন্ত্র করছে। আর পার্লামেন্টকে পরিণত করেছে প্রহসনে। দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শুধু ক্ষুব্ধ হলে হবে না। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে সরকারকে হটাতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, মিথ্যা মামলায় দেশনেত্রীকে কারাগারে রাখা হয়েছে। তিনি গুরুতর অসুস্থ। কিন্তু, সরকার তার চিকিৎসা নিয়ে টালবাহানা করছে। খালেদা জিয়া ও বিএনপিকে বাইরে রেখে সরকার আবারো ২০১৪ সালের ৫ই জানুুয়ারির মতো একটি যেনতেন নির্বাচন করতে চাইছে। এ জন্য আদালত থেকে জামিন হওয়ার পরও খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেয়া হচ্ছে না।

তিনি বলেন, কিন্তু দেশের মানুষ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে, আগামী নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। সারা দেশের মানুষ যেমন এই দাবিতে একমত, সারা বিশ্বও বাংলাদেশে একটা সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। তাই খালেদা জিয়াকে ছাড়া কোনো অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না। হতে দেয়া হবে না। তফসিল ঘোষণার আগে আমাদের সকল দাবি পূরণ করতে হবে। অন্যথায় জনগণ একটি জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে এই সরকারের পতনের লক্ষ্যে আন্দোলন করবে।

বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে তার মতোই ভূমিকা পালন করতে হবে। খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই নির্বাচন করে এ সরকারকে উৎখাত করতে হবে। বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, খালেদা জিয়াকে নাগরিক হিসেবে মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। খালেদা জিয়াকে বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হবে। তিনি বলেন, খালেদাকে মুক্ত করে গণতন্ত্রের লড়াই এগিয়ে নিয়ে, সব দাবি আদায় করে নির্বাচনে যাবে বিএনপি। চতুর্থবারের মতো তাকে প্রধানমন্ত্রী করবে এ দেশের মানুষ।

বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদের পরিচালনায় মানববন্ধনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, সেলিমা রহমান, বরকতউল্লাহ বুলু, শামসুজ্জামান দুদু, ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমান, জয়নুল আবদিন ফারুক, আবদুস সালাম, হাবিবুর রহমান হাবিব, আতাউর রহমান ঢালী, এনপিপির সভাপতি ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা নাজিমউদ্দিন আলম, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, মীর সরফত আলী সপু, আজিজুল বারী হেলাল, যুবদলের সিনিয়র সহ সভাপতি মোরতাজুল করীম বাদরু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবদুল কাদির ভূঁঁইয়া জুয়েল, শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম খান নাসিম, ছাত্রদলের রাজীব আহসানসহ বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা বক্তব্য দেন।

এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল মিন্টু, মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মজিবুর রহমান সরোয়ার, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আবদুস সালাম, স্বনির্ভর সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, জোটের শরিক জাগপার খোন্দকার লুৎফর রহমান, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহিউদ্দিন ইকরাম ও লেবার পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বিএনপির ক্রীড়া সম্পাদক ও বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল হক, ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক কাজী মোকতার হোসেনসহ বিএনপি ও জোটের শরিক দলের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনে অংশ নেন।

ব্যাপকরপাকড়

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির মানববন্ধনকে কেন্দ্র করে জাতীয় প্রেস ক্লাবসহ পুরো এলাকাটিতে নিরাপত্তা জাল তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রিজন ভ্যান, সাঁজোয়া যান ও জলকামানসহ পুলিশের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকে আশেপাশের এলাকায় সাদা পোশাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা ছিল তৎপর।

এদিকে ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সকাল ১০টা থেকেই বিএনপি ও অঙ্গ দলের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে শুরু করে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে। জমায়াতের পরিধি বেড়ে প্রেস ক্লাব থেকে সুপ্রিম কোর্টের সামনের কদম ফোয়ারা ও অন্যদিকে পল্টন মোড় পর্যন্ত গিয়ে ঠেকে।

নানা বয়সের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে পুরো এলাকা। একপর্যায়ে বিপুল সংখ্যক মানুষের জমায়েতের কারণে প্রেস ক্লাবের সামনের সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওদিকে ১১টার দিকে পল্টন মোড়, সেগুনবাগিচা ও শিল্পকলার সামনে সহ কয়েকটি স্পটে মানববন্ধনে অংশ নিতে আসা নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার শুরু করে পুলিশ। গ্রেপ্তার এড়াতে মানববন্ধন কর্মসূচি শেষ হওয়ার ১৫ মিনিট আগে থেকে দ্রুত সরে যেতে থাকেন বিএনপি সহ অঙ্গ দলের কিছু নেতা। এ সময় সাদা পোশাকে থাকা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা মানববন্ধন থেকে বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আটক করে।

দুই শতাধিক নেতাকর্মী গ্রেপ্তার: বিএনপি

খালেদা জিয়ার কারামুক্তির দাবিতে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন কর্মসূচি থেকে পুলিশ সারা দেশে বিএনপি ও অঙ্গ দলের দুই শতাধিক নেতাকর্মী ও সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল বিকালে দলের নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ ব্রিফিংয়ে তিনি এ অভিযোগ করেন।

তিনি বলেন, আজকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ও গাজীপুর, বাগেরহাট, মেহেরপুরসহ সারা দেশে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। কিন্তু কর্মসূচিতে আসা-যাওয়ার পথে সরকারের আজ্ঞাবহ পুলিশ বাহিনী বিনা উস্কানিতে দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে আটক করেছে। গ্রেপ্তার করেছে নির্বিচারে।

এই গ্রেপ্তার থেকে সাধারণ মানুষ ও নেতাদের গাড়িচালকরাও রক্ষা পায়নি। বিএনপির কর্মসূচি শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে গ্রেপ্তার করেছে। রিজভী বলেন, পুলিশের যেন আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল। এই পরিকল্পনামাফিক পুলিশ গাজীপুরে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও গ্রেপ্তার করেছে।

রিজভী বলেন, মানববন্ধন কর্মসূচির ওপর পুলিশি এই আক্রমণ নৃশংস দস্যুতার নামান্তর মাত্র। তাহলে মানববন্ধন কর্মসূচির অনুমতি দিয়েছিলেন কী ওত পেতে গ্রেপ্তার করার জন্য? আমরা সরকারকে বলে দিতে চাই, এতে আপনাদের শেষ রক্ষা হবে না। যতই ট্রেন, লঞ্চে চড়ুন না কেন ডুবন্ত নৌকাকে আর ভাসানো যাবে না।

গ্রেপ্তারের চিত্র তুলে ধরে রিজভী জানান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দলের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবদুল মতিন, লেবার পার্টির যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবুল আলম, গাজীপুর থেকে প্রয়াত নেতা আসম হান্নান শাহর বড় ছেলে শাহ রিয়াজুল হান্নান, জিসিসি কাউন্সিলর হান্নান মিয়া হান্নু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শরিফ হোসেন, রমনা থানা যুবদল সাধারণ সম্পাদক বাবু, কোতোয়ালি থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি মামনু, নবাবগঞ্জ থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রাশেদুজ্জামান, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা যুবদল সভাপতি মোহাম্মদ সুলায়মান, দক্ষিণখান থানা যুবদল সভাপতি শেখ আবদুল্লাহ রাসেল, গুলশান থানা যুবদল সাংগঠনিক সম্পাদক মেহরান জাবিন ফারুক, ক্যান্টনমেন্ট থানা যুবদল সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ যুবদলের ৫০ জন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সদস্য এইচ এম জাফর আলী খান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহাবুদ্দিন পাটোয়ারীসহ স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩০ জন, বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ৪০ জন, ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি গাজী মনিরুজ্জামান মানিক, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়সাল আহমেদ, কেন্দ্রীয় সহ-মুক্তিযোদ্ধা গবেষণা সম্পাদক নিজাম উদ্দিন, ঢাকা কলেজ শাখার সহ সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পাভেল শিকদার, ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সদস্য আবু ওবায়েদ শাহেদসহ ৫০ জন, গাজীপুরে ২৫ জন, বাগেরহাটে ৬ জন, মেহেরপুরে ১১ জনসহ আড়াই শতাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

তিনি অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তির দাবি জানান। সংবাদ ব্রিফিংয়ে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, সহ-দপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মুনির হোসেন, সহ নার্সেস বিষয়ক সম্পাদক জাহানারা বেগম উপস্থিত ছিলেন। ওদিকে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামীকাল বুধবার দুই ঘণ্টার প্রতীকী অনশন কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ঢাকার রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণ বা গুলিস্তানের মহানগর নাট্যমঞ্চে সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ প্রতীকী অনশন পালিত হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে বিএনপি।

Courtesy: Manabzamin/ Sep 11, 2018