Search

Tuesday, December 18, 2018

Political jitters sink stocks

Tk 6,134cr vanishes in seven days


The stock market is feeling the pinch of rising political tension centring the upcoming parliamentary election, stakeholders and investors said yesterday. They apprehend that if the fear intensifies, the market indicators would fall further and burn down investors' money. The benchmark index of the Dhaka Stock Exchange, DSEX, has been falling for seven consecutive days. It dented investors' confidence and was well-reflected in the turnover.

Turnover came down to a nine-month low of Tk 314 crore, down 37 percent from that of the previous day. On March 27, the turnover stood at Tk 311 crore.

The market lost nearly Tk 6,134 crore, or 1.60 percent, of its value, in the last seven working days.

“Political situation centring the national polls is the main reason behind the recent volatility,” said Khairul Bashar Abu Taher Mohammed, secretary general of the Bangladesh Merchant Bankers' Association and chief executive officer of MTB Capital.

He said political tensions affecting stock markets were a common scenario globally. Investors are now adopting a wait-and-see stance, so the market has been affected. He expressed hope that the market would return to normalcy after the election.

Md Saifuddin, managing director of IDLC Securities, said investors had a perception that the market would be affected ahead of the election.

The benchmark index of the premier bourse dropped 33 points, or 0.62 percent, finishing the day at 5,218.01.

The index fell 143.1 points, or 2.67 percent, in the last seven trading days, according to the DSE.

A top official of another stock brokerage said institutional and foreign investors were in a wait-and-see mode.

“Some people are even playing at this time. The regulators should be careful about the manipulation, which may erode investors' confidence further,” he added.

DSE data showed that stocks of Paramount Insurance rose 44.78 percent to Tk 19.4, Sunlife Insurance was up 43 percent to Tk 28.7 and JMI Syringes advanced 28 percent to 256 Tk in the last two weeks.

Yesterday Square Pharmaceuticals dominated the turnover chart with 4.07 lakh shares worth Tk 10.18 crore changing hands, followed by JMI Syringes, United Power, Brac Bank and Anlima Yarn Dyeing.

Among the major sectors, only telecommunication witnessed an increase. The energy sector stayed flat while sectors such as banking, pharmaceuticals, food, non-banking financial institutions, and engineering all fell, according to IDLC Securities.

The top three negative index contributors were Olympic, City Bank and GPH Ispat.

Of the traded issues, 61 advanced and 231 declined while 47 securities closed unchanged.

Sunlife Insurance was the day's best performer with a 9.96 percent gain while Jute Spinners was the worst loser, shedding 9.88 percent.

Chittagong stocks also fell with the bourse's benchmark index, CSCX, declining 56.51 points, or 0.57 percent, to finish the day at 9,697.83.

  • Courtesy: The Daily Star/ Business/ Dec 18, 2018

Between facts and reality

EDITORIAL

CEC's statement ludicrous


Either one has to be stone deaf and hopelessly blind or be living in another world to utter what the CEC said regarding the playing field being absolutely level and that, to quote him, the candidates are being able to conduct campaigns and are not facing any obstacles. One would have to stretch one's level of credulity to believe an iota of the statement. The statement comes very soon after he had felt “embarrassed” to see the inter-party violence and the attacks on an opposition motorcade by ruling party members a few days before, which is in stark contrast to his latest characterisation of the electioneering atmosphere.

In fact, there has been no abatement in violence and what is very clear is that the space for the opposition to conduct its campaign is shrinking. Opposition rallies are being thwarted by the ruling party members, with the police in most cases a silent spectator, their role a suspect. The opposition cadres and activists are running helter-skelter to avoid arrest. And one met his end jumping off the roof trying to give a slip to the police. Quite a few senior BNP leaders have been arrested in old cases, and even people long dead are cited in the arrest warrants.

This is not the idea of a level playing field. Unfortunately, the referee and the adjudicator, the EC, seems to have chosen to turn a blind eye, evading actions that they are empowered to take to ensure that everybody can play his or her part freely in the election process.

We urge the EC to remove its tinselled glasses, acknowledge the reality and do what it is obligated to the nation to do. Much damage had been done to the institution by its immediate predecessor. Nothing so far that the EC has done since it assumed responsibility, has redeemed the image of the Commission.

  • Courtesy: The Daily Star /Dec 18, 2018

Election Talks with Dr Iftekharuzzaman


The Daily Star is launching a new series of talk show ‘The Election Talks 2018’ where experts will be analysing all aspects of the upcoming general elections, contemporary politics, events and incidents.

In today’s episode, Dr Iftekharuzzaman, executive director of Transparency International Bangladesh (TIB), talks with the show host Shakhawat Liton, planning editor of The Daily Star.

The show is the sixth episode of The Daily Star’s political talk show series ahead of the December 30 election.

"Law needed to prevent conflict of interest"

In the election manifesto of Jatiya Oikyafront revealed today, it has announced that a significant number of chairman posts in the parliamentary standing committees will be preserved for the representative political parties.

Commenting on this issue, Dr Iftekharuzzaman said that the main barrier for the parliamentary committees on the way to be effective is the clash of interests. Those who become the members or heads of the committees try to fulfil their own interests.

As an example, it has been seen in earlier parliaments that the members of parliament (MPs) who own businesses are kept in the committees related to their business, he added.  

Iftekharuzzaman considers this conflict of interest to be the main hindrance towards establishing good governance in Bangladesh.

He hopes that to solve this problem all the politicians will agree to formulate laws preventing such conflict of interests.

Commenting on the work culture of the Anti Corruption Commission, Dr Iftekharuzzaman said that these commissions are formed by the government and are run by government money, but their responsibility is not to become a government institution.

They are created to ensure accountability of the government, he said.    

But when the commissioners are recruited based on party considerations, there's nothing to do other than just sitting idly, he added.  

  • Courtesy: The Daily Star /Dec 18, 2018

Monday, December 17, 2018

অব্যবস্থাপনা ও বাস্তবায়ন জটিলতায় হাই-টেক পার্ক


তথ্যপ্রযুক্তি খাতে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ছয়টি প্রকল্পের অধীনে সারা দেশে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ২৮টি হাই-টেক বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। এসব পার্ক বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। যদিও নানা জটিলতায় সময়মতো বাস্তবায়ন হচ্ছে না এসব টেকনোলজি পার্ক। বাস্তবায়ন হলেও থাকছে অব্যবস্থাপনা। এতে বিনিয়োগে আগ্রহ হারাচ্ছেন এ খাতের উদ্যোক্তারা। এ নিয়ে অসন্তোষও রয়েছে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে আইসিটি শিল্পের সুষম বিকাশ ও উন্নয়নে যশোর সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক প্রকল্পটি অনুমোদন হয় ২০১৩ সালে। প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয় ৪৭ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। একই বছরের সেপ্টেম্বরে এটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়। প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এতে ব্যয় বেড়ে হয় ২৫৩ কোটি ৯ লাখ টাকা। মেয়াদ বাড়ানো হয় একই বছরের জুন পর্যন্ত। বাস্তবায়ন শেষে গত বছরের ১০ ডিসেম্বর এটি উদ্বোধন করা হয়। যদিও অব্যবস্থাপনায় প্রকল্পটির কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলছে না।

সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, শহরের বেজপাড়া-শংকরপুরে স্থাপন করা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এলাকায় মুখোমুখি দাঁড়িয়ে দৃষ্টিনন্দন ও সুউচ্চ দুটি ভবন। এর একটি মূল ভবন ও অন্যটি আবাসন সুবিধার জন্য নির্মাণ করা হয়েছে। এর বাইরে রয়েছে আরো দুটি ভবন। সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এলাকার মধ্যেই এক পাশে স্থাপন করা হয়েছে জাতীয় ডাটা সেন্টারের ডিজাস্টার রিকভারি সেন্টারটি। উদ্বোধনের এক বছর পরও এলাকাটির ভেতরে এখনো কর্মচাঞ্চল্যের ছাপ পড়েনি। ১৫ তলা মূল ভবনে গিয়েও দেখা যায়, বিভিন্ন তলার অধিকাংশ স্থান এখনো অব্যবহূত।

জানা গেছে, স্থানীয় একটি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানকে জায়গা বরাদ্দ দিতে গত বছরের ২৭ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ (বিএইচটিপিএ)। প্রতি বর্গফুট ১০ টাকা হারে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি হয়। একই মাসের ৩১ তারিখে প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি হিসেবে বিএইচটিপিএর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয় টেকসিটি বাংলাদেশ। পরবর্তী সময়ে টেকসিটির সঙ্গে চুক্তি করা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে যশোরের শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে (এসএইচএসটিপি) জায়গা নিতে ভাড়া হিসেবে গুনতে হয়েছে প্রতি বর্গফুটে ১২ টাকা হারে।

প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি (পিএমসি) হিসেবে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সার্বিক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম পরিচালনায় গত বছরের ৩১ অক্টোবর বিএইচটিপিএর সঙ্গে চুক্তি করে টেকসিটি বাংলাদেশ। চুক্তির আওতায় ১৫ বছর এ সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের সব ধরনের রক্ষণাবেক্ষণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করবে প্রতিষ্ঠানটি।

টেকসিটি বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ওয়াহিদ শরীফ বণিক বার্তাকে বলেন, হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আগেই কিছু প্রতিষ্ঠানের চুক্তি হয়েছে। ফলে এক্ষেত্রে আমাদের করণীয় নেই। তবে পিএমসি নিয়োগের আগে এ ধরনের চুক্তিতে সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।

বৈষম্যের অভিযোগ শুধু বিএইচটিপিএর সঙ্গে চুক্তি করা প্রতিষ্ঠানগুলোরই নয়, বরং পিএমসির সঙ্গে চুক্তি করা একাধিক প্রতিষ্ঠানও এমন অভিযোগ করেছে। বিএইচটিপিএকে এ বিষয়ে গত আগস্টে ইমেইলের মাধ্যমে জানানোও হয়েছে। এমনই একটি প্রতিষ্ঠান মাইলাইটহোস্টের স্বত্বাধিকারী রকিবুর রহমান বলেন, অন্যদের চেয়ে আমাদের বেশি ভাড়া পরিশোধ করতে হচ্ছে। চুক্তির মেয়াদও দুই বছর, যেখানে তাদের সঙ্গে বিএইচটিপিএ চুক্তি করেছে পাঁচ বছর মেয়াদে। এসব বিষয় নিয়ে কর্তৃপক্ষকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোনো জবাব পাওয়া যায়নি।

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শিগগিরই উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানান বিএইচটিপিএর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সচিব) হোসনে আরা বেগম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, তাদের সমস্যা হলে জানাতে পারে। তবে এখন পর্যন্ত এ ধরনের কোনো অভিযোগ পাইনি।

সামগ্রিকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগে উদ্যোক্তারা আরো আগ্রহী হয়ে উঠেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কগুলোয় কর অবকাশসহ নানা সুবিধা দিচ্ছে সরকার। এতে পার্কে স্থান বরাদ্দ পেতে প্রচুর আবেদন আসছে। ফলে আরো সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক স্থাপন করা যেতে পারে।

শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের স্থান বরাদ্দে এরই মধ্যে ৫০টির বেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২৫টি প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এর মধ্যে ১৪টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পিএমসি নিয়োগের আগে চুক্তি করে বিএইচটিপিএ। এতে কাজ করছে প্রায় ৫০০ জনবল।

কালিয়াকৈরে স্থাপন করা বঙ্গবন্ধু হাই-টেক সিটি বাস্তবায়নেও সময় লেগেছে দুই দশক। সাম্প্রতিক কালে এটিতে বেশকিছু প্রতিষ্ঠানকে ভূমি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এটিতেও বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দোদুল্যমানতায় ছিলেন উদ্যোক্তারা।

হাই-টেক পার্কগুলোর অন্যতম ঢাকার জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। এখানে ১৫টি স্টার্ট-আপ কোম্পানিকে জায়গা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এর বাইরে আরো ৪০টি স্টার্ট-আপ কোম্পানিকে কো-স্পেস সুবিধা দেয়া হয়েছে। সরকারি হিসাব বলছে, এখানে ৮০০ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈরে হাই-টেক পার্ক স্থাপনের নীতিগত সিদ্ধান্ত হয় ১৯৯৯ সালে। এজন্য বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) মালিকানাধীন ২৩২ একর জমি হাই-টেক পার্ক প্রকল্পে দেয়া হয়। প্রাথমিকভাবে ২০০৭ সালের মধ্যে এটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় আসার পর থমকে যায় এ প্রকল্পের কাজ। বর্তমান সরকারের মেয়াদে প্রকল্পের অনেকখানি অগ্রগতি হলেও পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন এখনো হয়নি।

২০১১ সালের আগস্ট থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত স্থায়ী এ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয় ৫৪৫ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এ প্রকল্পের মাধ্যমে হাই-টেক পার্কে প্রশাসনিক ভবন, সীমানাপ্রাচীর, আন্তর্জাতিক মানের গেটওয়ে, অভ্যন্তরীণ রাস্তা, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, পাম্প হাউজ ও গভীর নলকূপ, গ্যাস লাইন, ইন্টারনেট সংযোগ, টেলিফোন সাব-এক্সচেঞ্জ এবং আনসার শেড নির্মাণ করা হয়। হাই-টেক সিটিতে ডেভেলপার নিয়োগে নতুন করে দরপত্র আহ্বান করা হলে আবেদন করে সাত প্রতিষ্ঠান। এর মধ্য থেকে দুটি প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেয়া হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ ব্লকে উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

সারা দেশে ছয়টি প্রকল্পের আওতাধীন হাই-টেক বা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কগুলোর অন্যতম রাজধানীর জনতা টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক। ২০১০ সালে ডিজিটাল বাংলাদেশ টাস্কফোর্সের প্রথম সভায় জনতা টাওয়ারকে দেশের প্রথম সফটওয়্যার পার্ক হিসেবে গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়। বিভিন্ন প্রক্রিয়া শেষ করে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক হিসেবে এটিকে গড়ে তুলতে দায়িত্ব দেয়া হয় টেকনোপার্ক লিমিটেডকে। তবে যথাযথভাবে ও নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে না পারার অভিযোগে ২০১৩ সালে টেকনোপার্কের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়। পরবর্তী সময়ে মামলাসহ নানা জটিলতা শেষে এটির উদ্বোধন হয় ২০১৫ সালের অক্টোবরে। এতে ১৫টি স্টার্ট-আপ ছাড়াও ৪০টি স্টার্ট-আপ কোম্পানিকে কো-স্পেস সুবিধা দেয়া হয়েছে। বিএইচটিপিএর তথ্যমতে, এটিতে ৮০০ মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে।

সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় বাস্তবায়ন করা হচ্ছে ‘সিলেট ইলেকট্রনিকস সিটি’। ২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়া এ প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা চলতি বছরের ডিসেম্বরে। এতে কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা ৫০ হাজার মানুষের। বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাই-টেক পার্ক। এটি বাস্তবায়নের মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত। এখানে ১৪ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

এমনকি খোদ রাজধানীতে রাজধানীর কড়াইল মৌজায় ৪৭ একর জমি মহাখালী আইটি ভিলেজ স্থাপনের জন্য নির্বাচন করা হলেও এখন পর্যন্ত সেটির কোনো অগ্রগতি নেই।

হাই-টেক পার্ক নির্মাণের পাশাপাশি তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে সাতটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার নির্মাণ করছে বিএইচটিপিএ। সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ, চট্টগ্রাম বন্দর, নাটোরের সিংড়া, কুমিল্লা সদর, নেত্রকোনো সদর, বরিশাল সদর ও মাগুরা সদরে ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টারের জন্য স্থান নির্বাচন করা হয়েছে।

সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বণিক বার্তাকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিকেন্দ্রিক এ ধরনের বিশেষায়িত ব্যবস্থা তৈরির উদ্যোগটি ইতিবাচক। বিশ্বের অনেক দেশই এ ধরনের উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে গেছে। আমাদের এখানে এগুলো বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ছোটখাটো যেসব সমস্যা দেখা দিচ্ছে তা মূলত অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে। সরকারের সঙ্গে উদ্যোক্তাদের কোনো বিরোধ নেই। বরং আমাদের দেশে উদ্যোক্তারা শুরুতে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের বিষয়ে কিছুটা দোদুল্যমানতায় ছিলেন। ধীরে ধীরে সে অবস্থা পাল্টাচ্ছে।

  • কার্টসিঃ বনিকবার্তা/ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮ 

নির্বাচনে বলপ্রয়োগ গ্রহণযোগ্য হবে না - জাতিসংঘ

৩০শে ডিসেম্বরের নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় কোনো রকম বলপ্রয়োগ বা জোর-জবরদস্তি গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে জাতিসংঘ। সংস্থাটির তরফে এমন বার্তাই স্পষ্ট করা হয়েছে বাংলাদেশ সরকার, নির্বাচন কমিশন ও নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দল ও জোটের প্রতি। পর্যবেক্ষক না পাঠালেও পরিস্থিতি তারা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণে রেখেছে উল্লেখ করে দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, ভোটের মাঠে থাকা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিও প্রায় অভিন্ন বার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ। 

গত সপ্তাহে মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেজের পক্ষ থেকে ঢাকায় এ বার্তা স্পষ্ট করা হয়েছে। নিউ ইয়র্কস্থ জাতিসংঘ সদর দপ্তরের নিয়মিত ব্রিফিংয়েও মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক বাংলাদেশের অত্যাসন্ন নির্বাচন নিয়ে উত্থাপিত প্রশ্নের জবাবে বিস্তারিত বলেছেন। মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘ বিশ্বাস করে নীতিগত কারণে বাংলাদেশে ইতিবাচক আবহে নির্বাচনটি হতে হবে। এটি অবশ্যই যেকোনো ধরনের বলপ্রয়োগ, জোরজবরদন্তি, বাধাবিঘ্ন তথা পুরোপুরিভাবে  হুমকি-ধমকি মুক্ত হতে হবে। আসন্ন নির্বাচনে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক না পাঠানোর বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, আমাদের পর্যবেক্ষক নেই, আমরা কোনো পর্যবেক্ষক পাঠাচ্ছি না। তবে যেটি বলতে পারি তা হলো- বাংলাদেশের নির্বাচনে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়ে অনুরোধ করেছিল নির্বাচন কমিশন।

সেই অনুরোধের প্রেক্ষিতে জাতিসংঘ ‘বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ইলেকশন প্রজেক্ট’- এর আওতায় ইউএনডিপি ও ইউএন-উইমেনের মাধ্যমে কমিশনকে করিগরি নির্বাচনী সহায়তা দিচ্ছে। প্রকল্পটিতে যে বিষয়টি ফোকাস করা হয়েছে তা হলো- নির্বাচন কমিশনকে মানুষের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করা। দ্বিতীয়ত: পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও নারীদের নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা, তৃতীয়ত: নির্বাচন কমিশনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমকে শক্তিশালী করা এবং চূড়ান্ত পর্বে যেকোনো ধরনের সংঘাত নিরসন এবং নির্বাচনী সহিংসতা প্রতিরোধে কমিশনের পদক্ষেপ গ্রহণের সক্ষমতা বাড়ানো।

মহাসচিবের মুখপাত্রের আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে ঢাকার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, মুখপাত্র যা বলেন, এটিই জাতিসংঘের অবস্থান। বিভিন্ন মারফতে ঢাকায় সেই বার্তা পৌঁছানো হয়। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

নির্বাচন না হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে

ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর ক্ষমতাসীনদের অব্যাহত হামলার ঘটনায় নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন ড. কামাল হোসেন। দেশের বর্তমান পরিবেশ-পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নির্বাচন বানচালের চেষ্টা চলছে বলে আশঙ্কা করে কিনা- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সংবাদ সম্মেলনে এই আশঙ্কার কথা জানান তিনি। পুরানা পল্টনে জামান টাওয়ারে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের উদ্যোগে নির্বাচনের প্রচারণায় বিভিন্নস্থানে ধানের শীষের প্রার্থীদের ওপর হামলা, গুলিবর্ষণসহ নানা ঘটনা তুলে ধরতেই এই সংবাদ সম্মেলন হয়। ড. কামাল হোসেন বলেন, আশঙ্কা তো আছেই। 

নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ হতে দেয়া হবে না- তারা বুঝতে পারছে মানুষের জনমত। আপনারাও এটা জানার চেষ্টা করলে জানতে পারবেন। জনমত কোন্‌ দিকে আছে? সরকারের পক্ষে আছে, না যারা বিরোধী দলের পক্ষে আছে- তা আপনারা জেনে নিন। তিনি বলেন, আমরা শুধু আপনাদের তথ্যগুলো দিচ্ছি।

এ ব্যাপারে (বানচাল) আমি কোনো মন্তব্য করতে চাই না। আপনারা দেখুন। ড. কামাল হোসেন বলেন, আজকে বিজয় দিবস। এই বিজয় দিবসের সঙ্গে নির্বাচনেরও কাজ চলছে। আমাদের স্বাধীন দেশের সংবিধানে নির্বাচিত সংসদের বিধান রয়েছে। 

দেশের মালিক জনগণ। ১৭-১৮ কোটি মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচিত করবেন নির্বাচনের মাধ্যমে। সেই কারণে নির্বাচনের গুরুত্ব দেয়া হয়। প্রবীণ এ নেতা বলেন, নির্বাচনকে অবাধ ও নিরপেক্ষ করার জন্য আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছি। এ ব্যাপারে আপনারা (গণমাধ্যম) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন যাতে স্বাধীনভাবে জনগণ সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনে ভোট দিতে পারে। আপনারা সকলে থাকবেন। নানা ঘটনার অভিযোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, দেখেন- দুঃখজনক হলেও সত্য আপনারাই তথ্য দিচ্ছেন, পত্র-পত্রিকায় দেখছি যে, ভোটারদের ওপর হুমকি দেয়া হচ্ছে। যারা মিছিল করছেন তাদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। প্রার্থীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। ভোটের প্রচারণায় প্রার্থীরা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন- এমন ঘটনাও ঘটেছে। এসব ঘটনার পরে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয় না। এটা কারো খেয়াল-খুশির ব্যাপার নয়।

ড. কামাল বলেন, সংবিধানে আছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা। যারা নির্বাচনে বাধার সৃষ্টি করে, আক্রমণ করে, অন্যভাবে সুষ্ঠু পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করে এদের বিরুদ্ধে কার্যকর ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা। এটা হলো সংবিধানের কর্তব্য। সেই কর্তব্য পালন  করার ব্যাপারে আমরা ঘাটতি দেখছি। অন্যদিকে আমরা দেখছি বিরোধী দলের প্রার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে। অবাক কাণ্ড তারা শিকার হচ্ছেন আক্রমণের, তাদেরকে গ্রেপ্তার করে বন্দি করা হচ্ছে, আর যারা আক্রমণ করছে তারা বহাল তবিয়তে আছে। ড. কামাল বলেন, নির্বাচন সামনে। অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে এসব ঘটনা যদি ঘটতে থাকে স্বাভাবিকভাবে আশঙ্কা হবে ভোটের দিন কী হবে? আপনারা সবাই জনগণের হয়ে পাহারা দেবেন ভোটের দিন সেরকম কোনো কিছু যাতে না ঘটে। ভোটাররা যাতে তাদের অধিকার ফিরে পায়, স্বাধীনভাবে যাতে তারা ভোট দিতে পারে, জাল ভোট যাতে না দিতে পারে। আমাদের পাশাপাশি থেকে এসব অবলোকন করতে হবে। 

লিখিত বক্তব্যে ড. কামাল বলেন, নির্বাচনের মাঠ পর্যায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে আগামী ১৮ই ডিসেম্বর মঙ্গলবারের মধ্যে মাঠে  সেনাবাহিনী মোতায়েন করতে হবে।  প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ৩০০ আসনের প্রার্থীরা নানাবিধ বাধার সম্মুখীন হচ্ছে। সরকারের আজ্ঞাবহ হয়ে পুলিশ ধানের শীষের প্রার্থীদের বাধা দিচ্ছে। পুলিশ কর্মকর্তারা প্রার্থী, কর্মী ও সমর্থকদের শাসাচ্ছে। সরকারি দলের সন্ত্রাসীরা গুলি করছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে শাসাচ্ছে। গায়েবি মামলায় প্রার্থীসহ কর্মী-সমর্থকদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এমতাবস্থায় মাঠ পর্যায়ে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে ১৮ই ডিসেম্বরের মধ্যে মাঠে সেনাবাহিনী  মোতায়েনের দাবি জানাচ্ছি।

জেএসডি’র সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, আগামী ৩০ তারিখ নির্বাচন। আর মাত্র ১৩ দিন বাকি। এখন যদি প্রার্থীদের ওপর গুলিবর্ষণ হয়- নোয়াখালীতে মাহবুবউদ্দিন খোকনের ওপর পাঁচটা গুলি করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জে ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুর স্ত্রী ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের প্রার্থী রুমানা মাহমুদের ওপর গুলি হয়েছে। ঢাকায় সুব্র্রত চৌধুরীর ওপর হামলা হয়েছে। ঢাকা-৮, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০ আসন সহ বিভিন্ন আসনে হামলা হয়েছে। আমি উত্তরাতে সেদিন মাজারে গিয়েছিলাম সেখানেও হামলা হয়েছে। রব বলেন, এখন ১৩ দিন আগে যদি গুলি হয় তাহলে এরপরে কী চালাবে? ট্যাংক চালাবে, কামান চালাবে? এ কী অবস্থা? পৃথিবী কোথায়, জাতিসংঘ কোথায়, কমনওয়েলথ কোথায়? আমরা তো মানুষ। একাত্তর সালে বর্বর পাকিস্তানিরাও এরকম ঘটনা ঘটায়নি।

তিনি বলেন, তারা (ক্ষমতাসীনরা) জনগণকে নামতে দেবে না, কর্মীদেরকে নামতে দেবে না, প্রার্থীদেরকে নামতে দেবে না, এটা কী? আমরা তো নির্বাচন করতে চাই। ভয় দেখালে ভয় পাওয়ার লোক আমরা নই। এটা ভয় না- ওরা তো গুলি চালাচ্ছে। আ স ম রব বলেন, আমরা আমাদের কর্মীদেরকে সংযত থাকতে বলেছি। সহনশীল থাকতে হবে, সাহসের সঙ্গে থাকতে হবে। আমরা যদি একবার জনগণকে বলি এই হামলার মোকাবিলা করো, জনগণ যদি মোকাবিলা করতে যায় পরিণতি কী হবে- সেটা একটু চিন্তা করুন। আমি বলতে চাই, আজ জনগণ জয়লাভ করতে চাচ্ছে। জনগণকে যদি জয়লাভ করতে না দেন একাত্তর সালে জনগণ যদি অস্ত্র দিয়ে জবাব দিয়ে থাকে এখন অস্ত্র ছাড়া ব্যালটের মাধ্যমে জনগণ জবাব দেবে। সরকারকে বলবো, এখনো সময় আছে আপনারা সংযত হোন। হামলা-মামলা বন্ধ করুন, সুষ্ঠু নির্বাচন করতে দিন। 

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নির্বাচনে যেসব সহিংসতা হচ্ছে সবকিছু সরকারের মদতে করা হচ্ছে। ওরা সশস্ত্র ও নিরস্ত্র জনগণের ওপর হামলা করছে। আমরা শুধু বলতে চাই, একটা যুদ্ধের মধ্যে আছি। তাদের কর্মকাণ্ড দেখে মনে হচ্ছে তারা আমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। তাহলে আমরাও যুদ্ধ করবো। ৩০শে ডিসেম্বর আমরা ব্যালটের মাধ্যমে এর জবাব দেবো। ঢাকাসহ সারা দেশে ধানের শীষের প্রার্থীদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার নানা অভিযোগও তুলে ধরেন নেতারা। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, গণফোরামের কার্যকর সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, জগলুল হায়দার আফ্রিক, নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী, বিকল্পধারার অধ্যাপক নুরুল আমিন ব্যাপারী উপস্থিত ছিলেন। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

অভিযোগ পেলেই শুধু আশ্বাস ইসির

  • এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। 
  • তদন্তের আশ্বাসের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে ইসি। 
  • হামলা-সংঘাতের ঘটনা বাড়ছে। 
  • ড. কামালের গাড়িবহরে হামলায় মামলা। 
  • সিইসির মতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।



একাদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে হামলা–সংঘাতের ঘটনায় নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি। বিভিন্ন ঘটনায় ‘বিব্রত’ ‘দুঃখ প্রকাশ’ আর তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে সাংবিধানিকভাবে স্বাধীন এই প্রতিষ্ঠানটি।

এদিকে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় গতকাল রোববার রাজধানীর দারুস সালাম থানায় মামলা করেছেন ঢাকা-১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক। মামলায় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের ১৪ নেতা–কর্মীকে আসামি করা হয়েছে।

সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ১০ ডিসেম্বর প্রচার শুরু হওয়ার পর থেকে ক্রমে হামলা–সংঘাতের ঘটনা বাড়ছে। এখন পর্যন্ত শতাধিক জায়গায় প্রচারে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে হামলার শিকার হচ্ছেন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী–সমর্থকেরা।

গতকাল ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক কামাল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেছেন, ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ও সমর্থকদের ওপর হামলার ঘটনায় কোনো তদন্ত ও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।

নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, হামলার ঘটনা চলতে থাকলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই এখনই এ বিষয়ে কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে। আর এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করতে ইসিকেই কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।

তবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা গতকাল সাংবাদিকদের বলেছেন, নির্বাচনের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের মধ্যেই আছে। শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন তিনি।

এবার নির্বাচনী সংঘাতে এখন পর্যন্ত দুজনের প্রাণহানি হয়েছে। দুজনেই আওয়ামী লীগের। অন্যদিকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মওদুদ আহমদ, মির্জা আব্বাস, মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আফরোজা আব্বাস, মাহবুব উদ্দীনসহ আরও কয়েকজন এবং জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী আবু সাইয়িদের প্রচারে হামলা হয়েছে। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে হামলার মুখে পড়ে ড. কামাল হোসেনের গাড়িবহরও। প্রায় প্রতিদিনই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি তাদের প্রার্থীদের প্রচারে হামলা-বাধা ও গ্রেপ্তারের বিষয়ে ইসিতে লিখিতভাবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করছে। গণতান্ত্রিক বাম জোটও ঢাকা ১২,১৩, ১৪, পটুয়াখালী-৪, কুষ্টিয়া-৩, সাতক্ষীরা-১ আসনে প্রচারে বিভিন্নভাবে বাধার দেওয়া হচ্ছে বলে ইসিতে অভিযোগ দিয়েছে।

ইসি বলছে, নির্বাচন–পূর্ব অনিয়ম ঠেকাতে সংসদীয় আসনভিত্তিক যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জজের সমন্বয়ে গঠিত নির্বাচনী তদন্ত কমিটি (ইলেক্টোরাল ইনকোয়ারি কমিটি) এবং নির্বাহী হাকিমেরা কাজ করছেন। ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইসি এ আশ্বাস দিলেও এখন পর্যন্ত কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যায়নি।

নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রতিপক্ষের সভা, শোভাযাত্রা ও প্রচারাভিযানে বাধা দেওয়া যাবে না। আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানা বা উভয়দণ্ডের বিধান আছে।

কেউ নির্বাচন কমিশনে প্রতিকার চেয়ে আবেদন করলে বা কোনো তথ্যের ভিত্তিতে বা অন্য কোনোভাবে ইসি নির্বাচন–পূর্ব অনিয়মের অভিযোগ পেলে তা নির্বাচনী তদন্ত কমিটিতে পাঠাতে পারে অথবা তাৎক্ষণিকভাবে রিটার্নিং কর্মকর্তা বা প্রিসাইডিং কর্মকর্তা বা আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিতে পারে। কিন্তু ইসি শুধু নজর দিচ্ছে নির্বাচনী তদন্ত কমিটির দিকে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না।

নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী যুগ্ম জেলা জজ ও সহকারী জজের সমন্বয়ে গত ২৫ নভেম্বর ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। সংসদীয় আসনভিত্তিক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এসব কমিটিকে। কমিটি কারও অভিযোগের ভিত্তিতে বা নিজ উদ্যোগে নির্বাচনী অনিয়ম বা ঘটনা তদন্ত করতে পারবে। নির্বাচন শেষ হওয়ার আগেই তদন্ত শেষ করতে হবে। তদন্ত শেষ করার তিন দিনের মধ্যে তারা সুপারিশসহ তদন্ত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনে দেবে। কমিশন সুপারিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে।

ইসি সচিব হেলালুদ্দীন সম্প্রতি সাংবাদিকদের বলেছেন, কয়েকটি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি অভিযোগ যাচাই করে সত্যতা পায়নি। তবে কোন কোন এলাকার ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি, তা সচিব স্পষ্ট করেননি।

হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইসি কী ব্যবস্থা নিচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী গতকাল বিবিসি বাংলাকে বলেন, এসব ঘটনাকে অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছে নির্বাচন কমিশন। কারণ, সহিংসতা কোনোভাবেই কাম্য নয়। পুলিশকে এ নিয়ে কড়া নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, দু-এক জায়গায় কিছু বদলিও করা হয়েছে।

গত শনিবার সিইসিও নির্বাচনী তদন্ত কমিটির কথা বলেছিলেন। তবে তিনি স্বীকার করেছিলেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পেতে একটু সময় লেগে যায়। এ ধরনের ঘটনা প্রতিহত করতে তাঁরা পুলিশকে চিঠি দেবেন। 

কামাল হোসেনের গাড়ি বহরে হামলায় মামলা

কামাল হোসেনের গাড়ি বহরে হামলার ঘটনায় গতকাল মামলা হয়েছে। দারুস সালাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. যোবায়ের মামলাটির তদন্ত করছেন। জানতে চাইলে পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ কাজ শুরু করেছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

মামলার বাদী ঢাকা–১৪ আসনে বিএনপির প্রার্থী সৈয়দ আবু বকর সিদ্দিক। এজাহারে তিনি লিখেছেন, ১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করে বের হওয়ার সময় কামাল হোসেন ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের ওপর আকস্মিক হামলা হয়। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার নির্দেশে রাম দা, ছুরি, চাকু, লোহার রড, হকিস্টিক ও লাঠিসোঁটাসহ শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রনি, শাহ আলী থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মফিজুল ইসলাম শুভ, দারুস সালাম থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক মো. ইসলাম, মো. বাদল, মো. জুয়েল, শেখ ফারুক (টোকাই ফারুক), ১২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মো সোহেল, দারুস সালাম থানা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ রাজন, সদস্য নাবিল খান, শাহ আলী থানা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জাকির ও সাধারণ সম্পাদক সৈকত ও সদস্য শাওন এ হামলা চালান।

সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এম হাফিজউদ্দিন খান প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের আগে এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করার দায়িত্ব ইসির। নির্বাচনের সময় পুলিশও নির্বাচন কমিশনের অধীনে। কিন্তু সংঘাত-সংঘর্ষের ঘটনায় ইসি গুরুত্ব দিচ্ছে না বলেই মনে হচ্ছে। এভাবে চললে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ থাকবে না, কোথাও কোথাও নির্বাচন ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

সত্য আড়াল না করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

সম্পাদকীয়

সিইসির কথা ও কাজ

যখন দেশের বিভিন্ন স্থানে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থীদের ওপর উপর্যুপরি হামলা চলছে, সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের আক্রমণে আহত হয়ে তাঁদের কেউ কেউ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদার মুখে শোনা গেল, ‘নির্বাচনে ইতিমধ্যে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে, প্রার্থীরা ইচ্ছামাফিক প্রচার চালাতে পারছেন।’ তিনি যেদিন (শনিবার) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলন করে ইসির কৃতিত্বের বয়ান করছিলেন, সেদিনই বিরোধী দলের ১২ জন প্রার্থীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ছাড়া প্রার্থীর গাড়িবহরে হামলা, তাঁদের প্রচারে বাধা দেওয়ার ঘটনা প্রতিদিন ঘটে চলেছে। তাঁর এই উক্তি আক্রান্ত মানুষগুলোর প্রতি মশকরা ছাড়া কিছু নয়।

পত্রিকার খবর থেকে আরও জানা যায়, বিরোধী দলের প্রার্থীরা শুধু সরকারি দলের হাতেই লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত হচ্ছেন না; আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও তাঁদের প্রতি চরম বৈষম্যমূলক আচরণ করছে। কুমিল্লার একটি আসনের প্রার্থীসহ স্থানীয় তিন শীর্ষ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে নাশকতার মামলায়। এ অবস্থায় সেখানে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর পক্ষে প্রচারকাজ চালানো অসম্ভব। ঢাকা-১৬ আসনে বিএনপির প্রার্থী আহসানউল্লাহর স্ত্রী রিনা হাসান নারী কর্মীদের নিয়ে প্রচারে বের হলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের বাধা দেন। তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর পুলিশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে তাঁকেই বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। তাদের দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে মামলা আছে। নির্বাচন সামনে রেখে এ ধরনের শত শত মামলার দোহাই দিয়ে বিরোধী দলের প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। অথচ সিইসি ও তাঁর সহযোগীদের মুখে শুনছি, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়েছে।’ এসবই কি তঁাদের লেভেল প্লেয়িং ফিল্ডের নমুনা?

তফসিল ঘোষণার পর সিইসি বলেছিলেন, এখন থেকে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমতো কাজ করছে। সে ক্ষেত্রে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর এই যে দমন–পীড়ন ও হামলা চলছে, তার দায়ও তাঁকে এবং কমিশনকে নিতে হবে। নাশকতার মামলাগুলোর চালচিত্র সিইসির জানা না থাকলেও দেশবাসীর জানা আছে। কোথাও কোনো ঘটনা ঘটলে পুলিশ কিছু লোকের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অন্যদের অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে মামলা করে। এরপর সেই অজ্ঞাত নামের স্থলে যার খুশি তার নাম বসিয়ে দেয়। বিরোধী দলের অনেক প্রার্থী ও নেতা-কর্মীদের এভাবেই হয়রানি করা হচ্ছে।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দল অংশ নেওয়ায় জনমনে নির্বাচন নিয়ে যে আশাবাদ তৈরি হয়েছিল, তা পর্যায়ক্রমে ক্ষীণ হতে শুরু করেছে। সরকারি দলের লোকজন নির্বাচনী প্রচার শুরু করলেও বিরোধী পক্ষ অনেক ক্ষেত্রে মাঠেই নামতে পারছে না। একে আর যা–ই হোক স্বাভাবিক নির্বাচনপূর্ব পরিস্থিতি বলা যায় না। সরকারি দল আচরণবিধি লঙ্ঘন করে চললেও ইসি কিছু বলছে না।

আচরণবিধি লঙ্ঘনের ব্যাপারে সিইসি ১২২টি নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করার কথা উল্লেখ করেছেন। কিন্তু সেসব কমিটি কাজ করছে কি না, করলেও কীভাবে করছে, সেই হিসাব কি তঁারা নিয়েছেন? যেখানে সিইসির বক্তব্যে আমরা আচরণবিধি ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি আশা করেছিলাম, সেখানে তাঁর বক্তব্যে অপরাধীরা আশকারা পেয়ে যাবে। এভাবে চলতে থাকলে সুষ্ঠু নির্বাচনের সুযোগ আছে বলে মনে হয় না। সিইসি ও নির্বাচন কমিশনকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে বাস্তবতা কী তা সবাই দেখতে পাচ্ছে, সত্য আড়াল করার চেষ্টা কোনো ফল দেবে না। নির্বাচনের মাত্র ১৩ দিন বাকি আছে। এখনই বিরোধী দলের ওপর হামলা, মামলা ও প্রচারকাজে বাধা দেওয়ার ঘটনাগুলো কঠোর হাতে বন্ধ করুন।

কিছু লজ্জা আছে, যা তৈরি হয় হাতে গোনা কিছু ব্যক্তির নির্লজ্জ লালসার কারণে, কিন্তু মাথা হেঁট হয় গোটা জাতির। অবশ্য জাতির মাথা হেঁট হওয়া নিয়ে তাদের আদৌ মাথাব্যথা আছে কি না, তা অবশ্য এক বড় প্রশ্ন। ক্ষমতা ও অর্থ লোপাটের লোভ তাঁদের লজ্জাবোধের ওপর নির্লজ্জতার পর্দা টেনে দিয়েছে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনার মতো পবিত্র বিষয়ও সেই পর্দাকে ছিন্ন করতে পারছে না।

মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা বন্ধুপ্রতিম বিদেশি ব্যক্তিত্ব ও সংগঠনকে দেওয়া সম্মাননার ক্রেস্ট জালিয়াতি নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। সম্মাননা পদকের সোনার ১৬ আনার ১২ আনাই ফাঁকি ছিল। এই ফাঁকির মধ্য দিয়ে প্রায় ৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা লুটপাট হয়েছে। যথারীতি তদন্ত কমিটি হয়েছে। তদন্ত হয়েছে। তদন্ত করতে গিয়ে আরও কিছু টাকাপয়সা খরচ হয়েছে। শেষমেশ কাউকে কোনো দণ্ড ভোগ করতে হয়নি।

অন্যায়ের প্রতিকার না করলে তার পুনরাবৃত্তি যে অনিবার্য তা অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের বাড়ি নির্মাণে দুর্নীতির খবরে আবার প্রমাণিত হলো। খবরে জানা যাচ্ছে, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের একটি করে একতলা পাকা ভবন বানিয়ে দেওয়ার কাজ চলছে। এর সঙ্গে গরু, হাঁস, মুরগি পালনের জন্য পৃথক শেড থাকছে। সেই সঙ্গে থাকছে একটি করে নলকূপ। এই বাড়ির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বীর নিবাস’।

দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলায় এ রকম ২ হাজার ৯৭১টি ‘বীর নিবাস’ বানিয়ে দেওয়ার কথা। ৮৫৫টি ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। ১ হাজার ৭৪টি ইউনিটের কাজ চলছে। এ ছাড়া ২৭৩টির দরপত্র প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। একেকটি ভবন নির্মাণে খরচ হয়েছে আট থেকে দশ লাখ টাকা।

এত টাকা খরচ করে যে ‘বীর নিবাসগুলো’ ইতিমধ্যেই বানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বছর না পেরোতেই তার নানা স্থানে ফাটল ধরেছে। যাঁরা বীর নিবাসে উঠেছিলেন, তাঁরা এখন ছাদ ধসে মারা পড়ার আতঙ্কে আছেন। অনেক ভবনেই পলেস্তারা খসে পড়েছে।

নিম্নমানের কাঠ ব্যবহার করায় জানালা খুলে পড়ছে। অর্থাৎ মুক্তিযোদ্ধা সম্মাননা ক্রেস্টের সোনার বদলে যেভাবে তামা–দস্তা চালিয়ে দেওয়া হয়েছিল, একইভাবে এখানেও ইট–বালু–সিমেন্টের সঙ্গে ভেজাল নির্মাণসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। আরও ভয়ানক কথা হলো অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যাঁদের বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের মধ্যে একটি বড় অংশ মোটেও অসচ্ছল নয়। প্রভাব খাটিয়ে নিজের বাড়িতে সরকারি টাকায় এই ভবন বানিয়ে তাঁরা ভাড়া দিয়েছেন।

সাধারণ অবকাঠামো এবং রাস্তাঘাট নির্মাণে ঠিকাদার ও প্রকৌশলীর যোগসাজশে দুর্নীতি হয়। জাতি এটিকে দুর্ভাগ্য হিসেবে প্রায় মেনেই নিয়েছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ গোটা দেশবাসীর আবেগের জায়গা। তঁাদের নামে বরাদ্দ করা ভবন নির্মাণেও যদি এভাবে দুর্নীতি হয়, তবে আমাদের আর থাকে কী!
  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮

US to send observers to Bangladesh election amid opposition concerns


The United States will send 12 teams of observers and fund thousands of domestic observers to monitor an election in Bangladesh it hopes will be free and fair, a senior official at the US Embassy in Dhaka said.

Amid opposition concerns about rigging in the December 30 general election, there has been speculation about US plans for it, especially after the European Union this week said it would not send observers, nor comment on the vote or result.

Prime Minister Sheikh Hasina is seeking a third straight term.

Her old rival, Khaleda Zia, who leads the main opposition Bangladesh Nationalist Party, is in jail after being convicted on charges she says were politically motivated. Scores of BNP workers have also been detained.

The BNP boycotted the last election, in 2014, as unfair, but has said it will take part this time, though it is seeking international monitors of polls it says it believes will be flawed.

The United States is sending a dozen teams, each of about two observers, who will fan out to most parts of the country, William Moeller, political officer at the US embassy in Dhaka, told Reuters.

“The Bangladesh government has emphasised that it plans to hold a free and fair election,” Moeller said this week.

“We welcome that and are providing funding for election observers who hope to see such an outcome.”

Moeller referred to reports of harassment and intimidation before recent city corporation elections, which he said may have suppressed voter turnout.

“We raised these concerns at the time, so we are hoping we won’t see the same issues in the national elections.”

The US National Democratic Institute said after an assessment in October the polls would be held “amid a high degree of political polarisation, heightened tensions and shrinking political space”.

The Bangkok-based Asian Network for Free Elections will send a team of about 30 short- and long-term observers, Moeller said.

About 15,000 Bangladeshi observers will be funded jointly by the US Agency for International Development, Britain’s Department for International Development and the Swiss government, he said.

The domestic observers would spread out but might not be able to reach every polling station, he said.

PLAYING DOWN WORRIES

Hasina and Khaleda have alternated in power over the last 28 years. Elections in Bangladesh are often violent and marred by ballot-stuffing and voter intimidation.

Hasina’s Awami League has held power since 2009 and dispensed from 2014 with a practice of letting a neutral caretaker government oversee elections, to the anger of the BNP.

The government has brushed off opposition fears of rigging.

“I don’t see any possibility this time, because all the parties are participating, and all of them will have their election agents,” said HT Imam, a political adviser to Hasina.

Bangladesh has seen steady economic growth under Hasina and the development of a vibrant garment sector under-pinning export growth, and accounting for 80 percent of the economy.

But rights groups have criticised increasing curbs on freedom of speech and the media.

Hope to capitalise on dissatisfaction, the BNP has formed an alliance with smaller parties called the National Unity Front and Hasina said this week she expected competitive polls.

The EU delegation in Dhaka said it was not sending observers because of growing demand for them amid tight resources.

India had no plan to send observers unless Bangladesh asked, an official at the Indian High Commission said.

  • Courtesy: The Daily Star /Dec 17, 2018

Thursday, December 13, 2018

'Embarrassed, saddened' by polls violence

Says CEC as AL, BNP complain against each other; army likely to be deployed 5 days before polls

Mohiuddin Alamgir

Chief Election Commissioner KM Nurul Huda yesterday said the commission was “embarrassed and saddened” over election violence, including Tuesday's attack on the motorcade of BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir.
BNP leaders met the CEC and Inspector General of Police Mohammad Javed Patwary, demanding an end to attacks by “Awami League goons” and police harassment of their activists. 

Hours after their meeting with the CEC, ruling AL leaders went to Nurul Huda. They said the AL men were being targeted across the country in which at least two of their activists were killed in Tuesday's violence, second day of the electioneering.

Earlier in the day, the CEC at a programme said he was embarrassed as violence broke out during campaign for the December 30 polls.

Election Commissioner Rafiqul Islam told The Daily Star that election inquiry committees would look into the incidents.

“We will instruct the law enforcers to take steps in a meeting on Thursday [today] so that a conducive atmosphere prevails during campaign,” he said.

The EC is going to hold a meeting with top officials of law enforcement agencies to finalise the security plan, including deployment of army as a striking force during election, said officials.

“We have made a primary decision to deploy army as the striking force five days before the voting day,” Rafiqul added.   

'EC EMBARRASSED'

CEC Nurul Huda said the EC was deeply saddened and embarrassed over violence in Noakhali that left a man killed and the attack on Fakhrul's motorcade in Thakurgaon during campaigns.

He was briefing executive magistrates on their election duties at the Nirbachan Bhaban in the capital's Agargaon.

“The value of a person's life is much more precious than an election,” the CEC said.

“Don't create any obstacle to election campaign of any candidate,” he said, urging all political parties to show tolerance and abide by the electoral code of conduct.

The CEC also directed the magistrates to take steps to avoid any untoward incidents when they would perform their polls duties.

'STOP ATTACK ON BNP MEN'

In a letter to the CEC yesterday, BNP Vice-chairman Selima Rahman demanded that EC take measures to stop attacks by “AL goons” and police harassment of the BNP activists.

She alleged that law enforcers were harassing the BNP activists even after the allocation of electoral symbols.

The BNP candidates are not able to take part in electioneering as they are being attacked in different places across the country. “The situation reaches such a stage that we might not be able to appoint polling agents on the voting day,” she alleged while talking to reporters.

“We think the CEC is truly embarrassed because the EC cannot exercise its power.”

“If the CEC takes action, the election will be acceptable to all,” she added.

After meeting the CEC, the BNP delegation, led by Selima, met the IGP. During the meeting with the IGP, she alleged that the BNP was facing obstacles to electioneering.

She also sought security from police to conduct electioneering safely for the next 18 days. “Our leaders are being arrested. Those who are on bail are also being arrested in old cases.”

Selima said the police chief listened to their complaints with attention and assured her of ensuring security and safety of the campaigners in the future.

'AL MEN BEING TARGETED'

In the afternoon, HT Imam, co-chairman of AL election steering committee, alleged that the AL men were being targeted all over the country during electioneering and two of its leaders were killed on Tuesday.

A five-member delegation, led by him, went to the commission and urged it to take action against those involved in the violence.

“We have informed the commission that the main target of the violence centring the election is the Awami League men,” Imam, also Prime Minister Sheikh Hasina's political adviser, told journalists after the meeting.

He also alleged that BNP supporters also carried out attacks on AL supporters and vandalised their houses in Patuakhali, Phulpur in Mymensingh, Chuadanga, Narsingdi, Manikganj, Gagni in Meherpur, and Shahjadpur in Sirajganj.

Imam said the attack on Fakhrul's motorcade took place due to BNP's internal feud and no AL men were present there. 

The EC is neutral and taking an all-out effort to hold a free and fair election, he added.

  • Courtesy: The Daily Star/ Dec 13, 2018