Search

Wednesday, January 2, 2019

UK for credible resolution of complaints on Bangladesh polls irregularities


The United Kingdom has urged the Bangladesh authorities for a full, credible and transparent resolution of all complaints related to the conduct of the December 30 general elections.

“While I welcome the participation of all opposition parties in these elections, I am aware of credible accounts of obstacles, including arrests, that constrained or prevented campaigning by opposition parties, and of irregularities in the conduct of elections on polling day that prevented some people from voting,” said British Minister of State for Asia and the Pacific Mark Field.

He came up with the comments in a press statement yesterday following the announcement of the unofficial results for the 11th Parliamentary Elections in Bangladesh.

“I deplore the acts of intimidation and unlawful violence that have taken place during the campaign period, and am deeply concerned by the incidents that led to so many deaths on polling day. My thoughts are with the families and friends of those who have lost loved ones,” the British minister said in the statement.

Terming free, fair, peaceful, and participatory elections essential to any functioning democracy, Minister Field said, “It is vital for the government and all political parties to now work together to address differences and find a way forward in line with the interests of the people of Bangladesh”.

Mentioning that the UK has a broad and important partnership with Bangladesh, and a significant Bangladeshi diaspora in the UK, Mark Field added, “We will continue to support the people of Bangladesh in their aspirations for a more stable, prosperous, and democratic future”.

  • Courtesy: The Daily Star/ Jan 02, 2019

A victim of a venomous mindset

EDITORIAL

Woman gang-raped for voting for her choice

We are horrified at the incident of a gang-rape in Noakhali's Subarnachar last Monday. A 35-year-old woman was victimised for voting for the BNP. Going by the report of this daily, during Sunday's voting, Ruhul, the publicity affairs secretary of Subarnachar AL, insisted that the woman vote for the party, but as she didn't oblige, he threatened her at the voting centre. She was allegedly gang-raped later that night by Ruhul's accomplices who are also local Awami League activists.

This is a rare incident and just goes to show how poisonous our political culture has become over the years and how women are always the worst victims of this political culture. Our major political parties, particularly the ruling Awami League, always take credit for their success in women's empowerment, but when it comes to ensuring safety of women, the story is not the same. The fact that a woman was gang-raped just because she had an opinion of her own is beyond appalling.

As women rights activists have put it, the basic characteristics of our politics are still patriarchal in nature and the issue of women's safety is never addressed in party meetings. Moreover, many women members of major political parties often face harassment by their fellow male party members. If women's safety cannot be ensured within the political parties, how will women's safety be ensured in the remote corners of the country? Therefore, our political parties must change their mindset and give priority to gender issues. They must stop victimising women for their petty political interests. Several recent studies have found that violence against women is on the rise in the country. And ruling party members should not be a reason for this rise.

In this particular case, we are astonished at the comment of a superintendent of police in Noakhali who said that the rape took place but claimed it was not related to voting. How could a policeman make such a claim even before holding any investigation? We hope the police will play its own neutral role and do more than just “try” to arrest the alleged culprits. 

  • Courtesy: The Daily Star/ Jan 02, 2019

ধানের শীষে ভোট দেয়ায় গণধর্ষণ: ‘নির্দেশদাতাকে’ বাদ দিয়ে মামলা!

নোয়াখালীর সুর্বণচর উপজেলায় গত ৩১ ডিসেম্বর ৪ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ অভিযোগের ঘটনায় ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, অভিযুক্তদের তালিকায় সাবেক এক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্যের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। যদিও ওই নারী অভিযোগ করেছিলেন যে, ‘ধানের শীষে’ ভোট দেওয়ায় ওই ব্যক্তি তার সহযোগীদের তাকে ধর্ষণ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।ভুক্তভোগী নারীর স্বামী- যিনি ১ জানুয়ারি মামলাটি করেছিলেন- আমাদের সংবাদদাতাকে জানান, পুলিশ প্রথমে ঘটনার বিবরণী (এফআইআর) লিখে নেয় এবং পরে সেখানে তাকে সই করতে বলে।

গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, “আমি নিরক্ষর মানুষ... সেখানে কী লেখা হয়েছে তা আমি পড়তে পারিনি। আমি শুধু সই করে দিয়েছি।”

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৫ বছরের ওই নারী গত ৩১ ডিসেম্বর অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনে বিএনপি’র ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ায় রুহুল আমীনের ১০ থেকে ১২ জন সহযোগী তাকে ধর্ষণ করে।

তবে, সুবর্ণচর আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হিসেবে পরিচয়দানকারী রুহুল আমীন এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

ওই নারীর স্বামী গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ইব্রাহিম খলিলের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সদস্য ৩১ ডিসেম্বর সকাল ৯টার দিকে তাকে ও তার ছেলেকে চর জব্বার থানায় নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, “আমি পুলিশকে বলেছি যে, ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় চর জুবিলী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য রুহুল আমীন তার সহযোগীদেরকে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের নির্দেশ দেয়।”

“কিন্তু, মামলার বিবরণীতে পুলিশ রুহুল আমীনের নাম ও ধর্ষণের কারণ কোনোটিই উল্লেখ করেনি,” অভিযোগ করেন তিনি।

এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইব্রাহিমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযুক্তরা সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রুহুল আমীনের সমর্থক বলে মামলার বাদী তাদেরকে জানিয়েছেন।

তাহলে মামলার বিবরণীতে রুহুলের নাম নেই কেন?- জানতে চাইলে ইব্রাহিম দাবি করেন যে, অভিযোগকারী নিজেই রুহুলের নাম উল্লেখ করেননি।

এ ঘটনায় ৩১ ডিসেম্বর রাতে বাদশা আলম নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

ওই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে দায়ের করা সেই মামলায় উল্লেখিত অভিযুক্তদের সবাইকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছে। অন্য অভিযুক্তরা হলেন- মো. সোহেল (৩৫), হানিফ (৩০), স্বপন (৩৫), চৌধুরী (২৫), বেচু (২৫), বাসু (৪০), আবুল (৪০), মোশাররফ (৩৫) এবং সালাউদ্দিন (৩৫)। এরা সবাই সুবর্ণচরের মধ্য বাইগ্গা গ্রামের বাসিন্দা।

মামলার বিবরণীতে বলা হয়েছে, গত ৩১ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ১২টার দিকে প্রতিবেশী সালাউদ্দিন নামের এক লোক অভিযোগকারীর বাড়িতে আসে এবং তার নাম ধরে ডাকে। এ সময় তার স্ত্রী দরজা খুলে দিলে অভিযুক্তরা জোরপূর্বক ঘরে ঢুকে পূর্বশক্রতার জেরে তাকে ও তার স্ত্রীকে মারতে থাকে। একপর্যায়ে তারা অভিযোগকারী ও তার সন্তানদের হাত-পা ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে তার স্ত্রীকে একটি পুকুরপাড়ে নিয়ে গণধর্ষণ করে।

এছাড়াও, অভিযুক্তরা চলে যাওয়ার আগে অভিযোগকারীর বাড়িঘর ভাঙচুর করে বলেও মামলার বিবরণীতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এরপর, অভিযোগকারী নিজেকে বাঁধামুক্ত করেন এবং স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী একটি পুকুরপাড় থেকে উদ্ধার করেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক মো. খলিল উল্লাহ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ওই নারীর স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্টটি এখনও হাতে আসেনি।

এদিকে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক ১ জানুয়ারি বলেছেন, এ ঘটনায় নির্বাচন কমিশন (ইসি) কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হলে তারা নিজেরাই তদন্ত করবে।

এছাড়াও, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, হিউম্যান রাইটস ফোরাম বাংলাদেশসহ ৪০টি মানবাধিকার সংগঠনের একটি প্লাটফর্ম এ ঘটনার নিন্দা ও জড়িত ব্যক্তিদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিতেরও দাবি করেছে সংগঠনগুলো।
  • The Daily Star/ Bangla/ 02-01-2019

নির্বাচনী অনিয়মের সুরাহা চায় জাতিসঙ্ঘ, যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সঙ্ঘটিত যাবতীয় অনিয়ম তদন্ত করে সুরাহার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। অন্য দিকে নির্বাচনী অভিযোগ আইনগতভাবে মোকাবেলার কথা বলেছে জাতিসঙ্ঘ। অনিয়মের কারণে বাংলাদেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা ক্ষুণ হয়েছে। অনিয়মের এসব অভিযোগ স্বচ্ছতার সাথে তদন্ত করে সুরাহা করার জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।

ওয়াশিংটন থেকে গতকাল মঙ্গলবার দেয়া এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের উপ-মুখপাত্র রবার্ট পেলাডিনো বলেছেন, নির্বাচনের আগে হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য খবরে আমরা উদ্বিগ্ন। এ কারণে বিরোধীদলীয় অনেক প্রার্থী ও তাদের সমর্থকেরা অবাধে প্রচারণা চালাতে পারেননি। নির্বাচনের দিন অনিয়মের কারণে কিছু ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। এটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা ক্ষুণ্ন করেছে।

সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বিবৃতিতে নির্বাচন কমিশনকে এসব অনিয়মের দাবি সুরাহা করতে গঠনমূলকভাবে কাজ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের দারুণ রেকর্ড এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা পরস্পরের সাথে সম্পর্কযুক্ত। এ লক্ষ্যগুলো সমন্বিতভাবে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের ক্ষমতাসীন সরকার ও বিরোধীদের সাথে কাজ করতে যুক্তরাষ্ট্র আগ্রহী।

এ দিকে ইইউ থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বিরোধী দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আকাক্সার প্রতিফলন। তবে নির্বাচনের দিনটি সহিংস ছিল। নির্বাচনের পুরো প্রক্রিয়ায় সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বড় ধরনের বাধা ছিল। এটি নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটের ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এখন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনিয়মের এসব অভিযোগ যথাযথভাবে তদন্ত করে পূর্ণ স্বচ্ছতার সাথে সুরাহা করা উচিত।

বিবৃতিতে বলা হয়, ইইউ চায় গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক। বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ইইউ এসব কাজকে সমর্থন দিয়ে যাবে।

এ দিকে নির্বাচনী অভিযোগগুলো শান্তিপূর্ণভাবে এবং আইনগত পদ্ধতিতে মোকাবেলা করার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসঙ্ঘ। তারা বলেছে, বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনে সহিংস ঘটনা ও অনিয়মের অভিযোগ সম্পর্কে জাতিসঙ্ঘ সচেতন রয়েছে।

নিউ ইয়র্কে জাতিসঙ্ঘের মুখপাত্র গতকাল এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান। তিনি বলেন, ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো নির্বাচনে বিরোধীদের অংশগ্রহণকে জাতিসঙ্ঘ স্বাগত জানায়। আমরা সব পক্ষকে সর্বোচ্চ সংযম পালন করে নির্বাচন-পরবর্তী শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার আহ্বান জানাচ্ছি, যে পরিবেশে জনগণের সমাবেশ ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অক্ষুণ থাকবে। সহিংসতা ও জানমালের ওপর আক্রমণ গ্রহণযোগ্য নয়। নির্বাচনী প্রচারণা ও ভোটগ্রহণের দিন প্রার্থী ও ভোটারদের হতাহতের ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেন মুখপাত্র।
  • কার্টসিঃ নয়াদিগন্ত/ ০২ জানুয়ারী ২০১৯ 


নির্বাচনে অনিয়মের যথাযথ তদন্ত চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন এবং তার আগে ঘটে যাওয়া সহিংস ঘটনাগুলোর পূর্ণ ও স্বচ্ছ তদন্ত  চেয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউরোপের ২৮ রাষ্ট্রের ওই জোটের পররাষ্ট্র বিষয়ক মুখপাত্র গতকাল এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানান। ইইউ’র ব্রাসেলসস্থ হেড কোয়ার্টার থেকে দেয়া  ওই বিবৃতিতে বলা হয়- ৩০শে ডিসেম্বর বাংলাদেশে সংসদ নির্বাচন হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশন প্রাথমিক ফলাফলও ঘোষণা করেছে। গত ১০ বছরে এই প্রথম এমন নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি এবং বিরোধী দলের অংশগ্রহণ গণতন্ত্রের প্রতি বাংলাদেশের মানুষের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। কিন্তু ভোটের দিনে সহিংসতা এবং প্রচার-প্রচারণায় লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকা বিশেষত পুরো প্রক্রিয়ায় উল্লেখযোগ্য বাধা ভোট এবং প্রচারণাকে দূষিত করেছে। বাংলাদেশের কর্তৃপক্ষের উচিত উত্থাপিত অনিয়মের অভিযোগগুলো যথাযথ তদন্ত করা এবং ওই তদন্ত কাজে পূর্ণ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। ইউরোপীয় ইউনিয়ন আশা করে বাংলাদেশ গণতন্ত্র, মানবাধিকারের প্রতি সম্মান এবং মৌলিক স্বাধীনতা সমুন্নত রেখে সামনে এগিয়ে যাবে। আর বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে ইইউ এতে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে যাবে।
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ জানুয়ারী ২,২০১৯ 

নির্বাচনকে স্বীকৃতি না দেয়ার আহ্বান ড. কামালের


একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি নতুন সরকারকে স্বীকৃতি না দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন৷ মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক একটি সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ আহ্বান জানান৷

ড. কামাল বলেন, ‘প্রশ্নবিদ্ধ’ এ নির্বাচনকে বৈধতা দিয়ে নিজের গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদা। আমি আশা করি জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বাংলাদেশের জনগণের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে এ ‘ভোট ডাকাতি’র নির্বাচনকে কোনোভাবেই স্বীকৃতি দেবে না।

তিনি আরও বলেন, প্রহসনের এ নির্বাচনে জনগণের মতামতের কোনো প্রতিফলনই ঘটেনি। এটিকে সরকারের একটি ‘পাতানো নির্বাচন’ বলেও দাবি প্রবীণ এই রাজনীতিবিদের।

নির্বাচনের ফল প্রত্যাখ্যান করা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট কোনো আন্দোলনে যাবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা ৩০ ডিসেম্বরই পাতানো এ নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করে নতুন করে তফসিল ঘোষণা ও পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবি জানিয়েছি।

ঐক্যফ্রন্টের অন্য নেতাদের সঙ্গে বসে সিদ্ধান্ত নিয়ে নতুন করে নির্বাচন পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানান ড. কামাল হোসেন।
  • কার্টসিঃ যুগান্তর/ ০২-০১-২০১৯ 

নির্বাচনের সব অভিযোগ বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ সমাধানের আহ্বান বৃটেনের

নির্বাচনে সব রকম অনিয়মের কারণে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বৃটেন। নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত সব অভিযোগের পূর্ণাঙ্গ বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ সমাধানের জন্য জোরালো আহ্বান জানিয়েছে তারা। বৃটিশ সরকারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয়বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মার্ক ফিল্ড বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনানুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার পর এ বিবৃতি দিয়েছেন। এতে তিনি বলেছেন, অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন যেকোনো কার্যকর গণতন্ত্রের জন্য অত্যাবশ্যক। এ নির্বাচনে সব বিরোধী দল অংশগ্রহণ করার জন্য তিনি তাদের প্রতি অভিনন্দন জানিয়েছেন। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে তার বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ ফুটে উঠেছে। তিনি বলেছেন, গ্রেপ্তারসহ সব রকম বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবন্ধকতার বিষয়ে আমি অবহিত।

এমন গ্রেপ্তারের কারণে বিরোধী দলগুলোতে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। তাদের প্রচারণায় বিরত রাখা হয়েছে। নির্বাচনের দিনে নির্বাচন পরিচালনায় যেসব অনিয়ম হয়েছে, অনেক মানুষকে ভোট দিতে দেয়া হয়নি, এসব অনিয়মের বিষয়ে আমরা অবহিত। 

মার্ক ফিল্ড তার বিবৃতিতে আরো বলেছেন, নির্বাচনী প্রচারণার সময়ে যেসব ভীতি প্রদর্শন করা হয়েছে, অন্যায়ভাবে সহিংসতা করা হয়েছে তার জন্য আমি হতাশা প্রকাশ করছি। নির্বাচনের দিনে এত মানুষের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের পরিবার ও বন্ধুবান্ধবদের প্রতি আমার সহমর্মিতা। 

মার্ক ফিল্ড আরো বলেছেন, সরকার ও সব বিরোধী দল নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য মিটিয়ে ফেলে একত্রে কাজ করা এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশি জনগণের স্বার্থে তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ বের করতে হবে। 

বিবৃতিতে তিনি আরো বলেছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের ব্যাপকভিত্তিক ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারিত্ব আছে। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি বসবাস করেন বৃটেনে। অধিক স্থিতিশীল, সমৃদ্ধ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের উচ্চাকাক্সক্ষার জন্য বাংলাদেশিদের প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত থাকবে। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ জানুয়ারী ২,২০১৯ 

নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতার বিষয়ে অবগত - জাতিসংঘ

শান্তির জন্য সব পক্ষকে সংযমের আহ্বান জাতিসংঘের

বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়ম ও সহিংসতা সম্পর্কে সচেতন জাতিসংঘ। জাতিসংঘের ইউএন নিউজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। ৩১শে ডিসেম্বর ‘পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি’ শীর্ষক জাতিসংঘের মুখপাত্রের অফিস থেকে দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনের দিনে প্রার্থী ও ভোটারদের প্রাণহানি বা আহত হওয়ার ঘটনায় আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি। ১০ বছরের মধ্যে প্রথমবার নির্বাচনে বিরোধীদের অংশগ্রহণের জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে এতে। 

মিডিয়ার খবরের ওপর ভিত্তি করে এতে বলা হয়, নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে তিনি টানা তৃতীয়বার নির্বাচিত হলেন। তবে বিরোধীরা জালিয়াতির ভোট আখ্যা দিয়ে এ ফলকে প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিবৃতিতে সব পক্ষকে সহিংসতা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, নির্বাচন-পরবর্তী পরিবেশকে শান্তিপূর্ণ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে মানুষ সভা-সমাবেশ ও মতপ্রকাশ করতে পারে। এতে আরো বলা হয়, নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগকে শান্তিপূর্ণ উপায়ে ও আইনগত উপায়ে তুলে ধরার জন্য আমরা সব দলকে উৎসাহিত করি। এতে বলা হয়, মানুষ ও তাদের সহায় সম্পত্তির ওপর সহিংসতা গ্রহণযোগ্য নয়। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ জানুয়ারী ২,২০১৯ 

অনিয়ম নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ, নির্বাচন কমিশনকে সমস্যা সমাধানের আহ্বান

বাংলাদেশে নির্বাচনের দিনে ভোটারদের ভোটদানে বিরত রাখার অনিয়মের অভিযোগে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। বলা হয়েছে, এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ওপর যে আস্থা তা খর্ব হয়েছে। এসব অনিয়মের বিষয়ে সব পক্ষকে নিয়ে গঠনমুলকভাবে সমাধান করতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি মুখপাত্র রবার্ট পালাদিনো ‘বাংলাদেশ ইলেকশন’ শীর্ষক বিবৃতি দিয়েছেন। এতে বলা হয়, ৩০শে ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কয়েক কোটি বাংলাদেশী ভোট দিয়েছেন এবং নির্বাচনে সব বড় বিরোধী দল অংশগ্রহণ করেছে। এ জন্য তাদের প্রশংসা করে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বলা হয়, ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জনের পরে এটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি।

ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশ ও এর গণতান্ত্রিক অগ্রগতিতে ভবিষ্যতে গভীরভাবে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র। বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় বিদেশী বিনিয়োগকারী, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় একক রপ্তানিকারি দেশ এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত বিপুল সংখ্যক মানুষের দেশ যুক্তরাষ্ট্র। 

বিবৃতিতে রবার্ট পালাদিনো আরো বলেছেন, এর প্রেক্ষিতে আমরা নির্বাচন পূর্ববর্তী সময়ের হয়রানি, ভীতি প্রদর্শন ও সহিংসতার বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্টের বিষয়ে উদ্বেগের সঙ্গে নোট নিচ্ছি। ওইসব কারণে বিরোধী দলীয় বহু প্রার্থী ও তাদের সমর্থকরা মুক্তভাবে সভা, র‌্যালি ও নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে পারেন নি। নির্বাচনের দিনে কিছু মানুষকে ভোট দিতে দেয়া হয় নি। এটা নির্বাচনী প্রক্রিয়ার প্রতি যে আস্থা আছে তাকে খর্ব করেছে। নির্বাচনের দিনের এ অনিয়মের বিষয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। 

বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সব দলকে আমরা সহিংসতা থেকে বিরত থাকার জন্য জোরালোভাবে উৎসাহিত করছি। নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনুরোধ করছি অনিয়মের বিষয়ে সমাধান করতে সব পক্ষকে নিয়ে গঠনমুলকভাবে কাজ করতে। বাংলাদেশের উৎসাহব্যাঞ্জক অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা দুটি একটি অন্যটির সঙ্গে পারস্পরিক সম্পর্কযুক্ত। আমরা ক্ষমতাসীন সরকার ও বিরোধীদের সঙ্গে এই আন্তঃসম্পর্কযুক্ত লক্ষ্য অর্জনের জন্য অব্যাহতভাবে কাজ করতে চাই। 
  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ জানুয়ারী ২,২০১৯ 

Thursday, December 20, 2018

Power sector ‘distortions’ cost Bangladesh $11.2b a year: WB


Distortions in the power sector impose a total economic cost of roughly $11.2 billion (around Tk 93,000 crore) or 5 per cent of Bangladesh’s gross domestic product, on the country’s economy in a year, according to a World Bank publication.

The greatest source of the fiscal cost occurs in the upstream gas sector as selling gas at artificially low prices costs Bangladesh an estimated $4.5 billion a year, said the publication released on December 12.

The regulatory cost of gas underpricing could be even higher if its adverse effect on long-term growth were considered, said the report titled ‘In the dark, how much do power sector distortions cost South Asia’.

The global lender estimated the cost for the fiscal year 2016 and said that the analysis applied generally conservative assumptions.The cost of distortions in the power sector was $86.1 billion in India in FY 2016 and $17.69 in Pakistan in FY 2015.In Bangladesh, the second largest source of distortions is households’ and firms’ lack of reliable access to electricity and it is estimated to cost the economy $3.3 billion or 1.5 per cent of GDP a year, it said.

This cost consists of both the income foregone by the approximately 8.2 million households that still live without access to grid electrify and the revenue loss by firms that suffer from lower productivity and higher production costs as a result of electricity outrages, the report observed.
It also said that the cost of electricity subsidies to consumers was $0.33 billion in the year.

Power shortages also negatively affect education, health and women’s empowerment but these effects are difficult to quantify and are not included in the estimation.

The cost of lack of access to electricity could therefore be much higher than estimated, it added.

Cost of inefficient dispatch of electricity is estimated at $1.65 billion a year, according to the report. Other large costs stem from the social cost of excessive gas consumption, estimated at $355 million a year, and the inefficient allocation of gas, estimated at $130 million a year, the report said.

The report, however, has ignored some distortions including transmission constraints, social cost of electricity transmission and distribution and the impact of electricity cross-subsidies on industry competitiveness due to data limitations. Overall, the estimate may represent a lower bound of the actual cost of power sector distortions, it said.

The Global Competitiveness Report-2018 placed Bangladesh at 101th in the ranking of the reliability of electricity supply. Over the decade ending in 2016, Bangladesh more than doubled its power-generation capacity but less than 80 per cent of available capacity was operational most of the time.

The report said in manufacturing and services combined, the total losses in annual output attributable to power shortages amounted to $1.1 billion in 2016.

It said Bangladesh could reduce about 50 per cent of its unserved energy demand with no new investment in generation capacity if the power plants eliminated their operational inefficiency.

  • Courtesy: New Age/ Dec 20, 2018