Search

Sunday, January 13, 2019

Workers’ unrest continues, 80 factories closed


Production at over 80 apparel factories were suspended for Saturday at Ashulia, Gazipur and in the capital as thousands of workers held demonstrations blocking roads to press their demand for wage hike. During the demonstration more than 20 vehicles were vandalized and at least 20 workers were injured in clashes with police.

A tripartite committee formed by the government to review the new wage structure at a meeting Saturday agreed in principle to adjust the discrepancies in the wage structure.

The meeting chaired by the labour secretary Afroza Khan at the Secretariat over, committee members said that the basic wages for the grades 3, 4 and 5 would be readjusted with the other grades. 

Thousands of workers of at least 30 factories at Ashulia held demonstrations Saturday blocking the Dhaka-Tangail Highway at Zamgora. The protesters vandalized at least 20 vehicles when the police charged batons to disperse them said superintendent of Dhaka industrial police, Sana Shaminur Rahman.

At least 20 workers were injured in the clashes while police who fired rubber bullets and tear gas shells on the workers who threw stones on the police.

Yagi Fashion workers left their factory and tried to block Dhaka-Tangail Highway at Zamgora at 9 AM, but the police dispersed them. Soon, workers from Starling Creation, Windy Group, Palmal Group and other factories blocked the road at 9.30 AM bringing traffic to a halt on the busy highway.

The protesters demanded justice for fellow workers Sumon Miah who was killed in police firing at Savar during their Tuesday’s demonstrations.

The police made aborting efforts to disperse the workers who put up barricades and set tires on fire halting traffic movement until 11AM.

Workers of Ha-Meen Group blocked the same highway at Narashinghapur at 2 PM.

Superintendent of Gazipur industrial police Siddikur Rahman said that workers of different factories abstained work to realize their demands.

More than 50 factories in Gazipur remained out of production but no factory was vandalized.

New Age correspondent in Gazipur reported that hundreds of workers took to streets at Tongi as rumours spread that plainclothes police had picked up five fellow workers.

The Rapid Action Battalion arrested five people at Tongi for their alleged involvement with vandalism at garment factories. 

Agitated workers at Mirpur in the capital blocked the Mirpur Road at Technical Intersection in the morning to press their demands. The workers vandalized Banex Apparels Ltd and Load Star Ltd at Mirpur-13, said witnesses. 

Since January 5, apparel workers blocked a number roads connected to the Dhaka-Mymensingh Highway at Uttara and Dhaka-Tangail Highway at Zamgora and the Dhaka-Aricha Highway at Hemayetpur.

Labour leaders said that they discussed with the government and the factory owners the issue of removing the anomalies from the grades 3, 4 and 5.

Md Shafiul Islam Mohiuddin, president of the Federation of Bangladesh Chambers of Commerce and Industry said that he felt the tripartite committee could revise the basic wages in the grades 3, 4 and 5. The basic wage of a third grader fell by Tk 42, of a second grader by Tk 414, while of a first grader by Tk 409.

Bangladesh’s earnings from readymade garment export fetched $30.61 billion in the financial year 2017-18 which or almost 83 per cent of country’s total export earnings.

Bangladesh is the second highest RMG exporters in the global market and the major export destinations are the US, the UK, Germany, Belgium, Denmark, France, Italy, Netherlands, Poland, Spain and Canada.

More than 40 lakh workers work for at least 3,500 garment factories located across Bangladesh. 

  • Courtesy: New Age/ Jan 13, 2019

ছেলেকে শেষবারের মতো দেখতে জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা মায়ের আর্তি


বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সাবেক এমপি কারাবন্দী খায়রুল কবির খোকনকে শেষবারের মতো দেখতে চান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তার মা জহুরা বেগম। 

মায়ের জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকার কথা জানিয়ে খোকনের পাঁচ ভাইবোন গতকাল এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন।মানবিক কারণে খোকনের মামলাগুলো প্রত্যাহার-পূর্বক দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাকে মুক্তি দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান পরিবারের সদস্যরা। 

বিবৃতিতে বলা হয়, বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকন কিছু ‘গায়েবি’ মামলায় দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দী। আমরা নিশ্চিতভাবে জানি  আমাদের ভাইয়ের পক্ষে এসব মামলার আসামি হওয়ার মতো নিষ্ঠুর স্বভাব কখনই ছিল না। এখনো নেই। তবু তার জামিন হচ্ছে না, যা খুবই বেদনাদায়ক। এদিকে খোকন কারাবন্দী থাকায় আমাদের মা মানসিক পীড়নে গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন। নব্বই বছরের বেশি বয়স্ক আমাদের মা এখন জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তিনি তার ছেলেকে শেষবারের মতো দেখে যেতে চান। হাসপাতালের বেডে থেকে মাঝে মাঝে খোকনের বিষয়ে জানতে চাইছেন।

এই মুহূর্তে মুক্তি না পেলে খোকন মায়ের সাক্ষাৎ পাবে কিনা জানি না। 

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন খোকনের বড় ভাই পাক্ষিক প্রিয় ভূমি সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রশিদুজ্জামান রুনু, বড় বোন মিসেস হাবিবুন্নাহার বেগম ও মিসেস দিলারা বেগম, ছোট বোন মিসেস নিলুফা ইয়াসমিন এবং ছোট ভাই মো. জাকারিয়া কবির।

Thursday, January 10, 2019

সিঙ্গাপুর হয়ে উঠছে বাংলাদেশীদের কালো টাকার গন্তব্যস্থল

মনজুরুল ইসলাম ও সাইফ বাপ্পী  

বৈশ্বিক আর্থিক গোপনীয়তার সূচকে সিঙ্গাপুরের অবস্থান পঞ্চম। দেশটিতে অফশোর আর্থিক সেবার বাজার ক্রমেই বড় হচ্ছে। এশিয়ার শীর্ষ অফশোর ফিন্যান্সিয়াল সেন্টার হতে হংকংয়ের সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতা করছে দেশটি। মূলত এশিয়ার দেশগুলোর ক্রমবিকাশমান অর্থনীতির সুযোগ নিয়ে অফশোর বিনিয়োগের অন্যতম শীর্ষ গন্তব্যও হয়ে উঠেছে সিঙ্গাপুর। একই সঙ্গে হয়ে উঠেছে মুদ্রা পাচার ও কালো টাকার নিরাপদ গন্তব্যস্থলও। এ সুযোগ নিচ্ছে বাংলাদেশীরাও।

সিঙ্গাপুরে রয়েছে নামিদামি অনেক ক্যাসিনো। বেশকিছু ক্যাসিনোর মালিকানায় রয়েছেন বাংলাদেশীরা, যেগুলো কালো টাকার অন্যতম গন্তব্য। এছাড়া সিঙ্গাপুরের মেরিনা বে বিশ্বের অন্যতম ব্যয়বহুল হোটেল। ভিআইপি ক্যাসিনো হিসেবে রয়েছে এটির বিশেষ পরিচিতি।

সূত্র বলছে, মেরিনা বে ক্যাসিনোতেই কোটি ডলারের বোর্ডেও খেলেছেন এক বাংলাদেশী। তিনি নিজেকে যুবলীগের একজন শীর্ষ নেতা হিসেবে পরিচয় দেন। আলোচিত এ নেতা সিঙ্গাপুরের জুয়ার বোর্ডে খেলতে বসলে লাখ ডলারের বান্ডিল নিয়েই বসেন। জনশ্রুতি রয়েছে, জুয়ার বোর্ডে ওড়ানো বিপুল অংকের টাকা তার নিজের উপার্জিত নয়। এ টাকার সবচেয়ে বড় উৎস ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ড নেটওয়ার্ক। তার ছায়ায় ঢাকায় অন্তত ১৫০ জুয়ার স্পট রয়েছে। সেগুলো চালানো হয় সিঙ্গাপুরের ক্যাসিনোর আদলে, যার মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে দৈনিক প্রায় ৩০০ কোটি টাকা। এ টাকার বড় অংশ হুন্ডির মাধ্যমে চলে যাচ্ছে সিঙ্গাপুরে।

জানা গেছে, একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের মালিকও কয়েকটি ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ নিয়ে বিনিয়োগ না করে তা সিঙ্গাপুরে পাচার করেছেন। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকের উদ্যোক্তা ও পরিচালকরাও অর্থ পাচারের জন্য সিঙ্গাপুরকে বেছে নিচ্ছেন। আর্থিক গোপনীয়তার সুযোগ নিয়ে দেশটিতে অর্থ পাচার করছেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতের ব্যবসায়ীরাও।

আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের মাধ্যমেও সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের ঘটনা ঘটছে। উচ্চমূল্যে আমদানি দেখিয়ে দেশটিতে অর্থ পাচার করছেন ব্যবসায়ীরা। পাশাপাশি আমদানি-রফতানির অন্যতম রুট হওয়ায় ব্যবসায়ীদের নিত্য গন্তব্য হয়ে উঠেছে সিঙ্গাপুর। গার্মেন্ট বা টেক্সটাইলের মেশিনারিজ আমদানির জন্যও দেশটিতে যেতে হয় ব্যবসায়ীদের। এ সুযোগ কাজে লাগিয়েও অনেকে দেশটিতে অর্থ স্থানান্তর করেন।

সিঙ্গাপুরে বাংলাদেশীদের যাতায়াত বাড়ায় প্রতিযোগিতা বেড়েছে এ রুটের এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যেও। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস, ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস, রিজেন্ট এয়ারওয়েজ ও সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস। পাশাপাশি মালয়েশিয়া এয়ারলাইনস ও এয়ার এশিয়াও ঢাকা-সিঙ্গাপুর রুটে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করছে। চিকিৎসা, ব্যবসা ও পর্যটনের নামে বাংলাদেশীরা সিঙ্গাপুরে গেলেও এদের অনেকেই ক্যাসিনোয় জুয়া খেলেন এবং অর্থ পাচার করেন।

এসবই তারা করছেন দেশটির আর্থিক গোপনীয়তা আইনের সুযোগ নিয়ে। সিঙ্গাপুর এ গোপনীয়তা সুরক্ষার কাজটি শুরু করে নব্বইয়ের দশকে আর্থিক বাজার ও ব্যাংকিং খাত উদারীকরণের মধ্য দিয়ে। মূলত ওই সময়ের পর থেকেই দেশটিতে তহবিল ব্যবস্থাপনা, ট্রেজারি অপারেশন, বীমা, ইকুইটি মার্কেট, ডেট ইন্স্যুরেন্স, করপোরেট ফিন্যান্সিংসহ আর্থিক খাতের বিভিন্ন অংশের বাজার সম্প্রসারণ হতে থাকে। এ উদারীকরণ আরো জোরালো হয় ২০০১ সালের আর্থিক গোপনীয়তার নীতিমালাকে আরো কঠোর করে তোলার মধ্য দিয়ে। এজন্য সংশোধন করা হয় ব্যাংকিং আইন। সিঙ্গাপুরে গোপনীয়তার আইন লঙ্ঘনের শাস্তি হলো তিন বছরের জেল। ২০০৪ সালে ট্রাস্ট আইনে সংশোধন করার মধ্য দিয়ে কালো টাকার নিরাপদ গন্তব্য করে তোলা হয় দেশটিকে।

সিঙ্গাপুরভিত্তিক প্র্যাকটিশনারদের ভাষ্য হলো, অন্যান্য দেশের সঙ্গে আর্থিক খাতের তথ্য বিনিময়ে কোনো চুক্তি করা হলেও স্থানীয় আদালতেই বিশেষ সুবিধা দেয়ার মাধ্যমে তাতে ভারসাম্য নিয়ে আসা হয়। আদালতের এ বিশেষ সুবিধার কারণে অন্যান্য দেশের কর্তৃপক্ষের জন্য আর্থিক খাতসংশ্লিষ্ট কোনো তথ্য বের করে আনাটাও বেশ কঠিন হয়ে পড়ে।

আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গে তাল মেলাতে গিয়ে সম্প্রতি সিঙ্গাপুরে এ-সংক্রান্ত কিছু সংস্কার করা হয়। এর পরও কালো টাকার স্বর্গ হয়ে উঠেছে দেশটি, যার অন্যতম কারণ হলো আর্থিক গোপনীয়তার নীতি। এ গোপনীয়তা রক্ষায় বেশকিছু সেবা প্রচলিত রয়েছে সিঙ্গাপুরে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দেশটিতে প্রচলিত প্রাইভেট ট্রাস্ট কোম্পানি (পিটিসি) ব্যবস্থার কথা। এটি মূলত আর্থিক লেনদেনে গোপনীয়তা রক্ষা করে চলা ট্রাস্টগুলোর ট্রাস্টি হিসেবে কাজ করে। স্থানীয় এক প্র্যাকটিশনারের ভাষ্যমতে, একটি পিটিসির কাজ হলো ধনী ব্যক্তিদের ‘ট্রাস্টের ওপর উচ্চমাত্রার নিয়ন্ত্রণ ও সতর্কতা’ বজায় রাখার সুযোগ করে দেয়া। সিঙ্গাপুরের অধিবাসী নয়, এমন কেউ যদি অন্য কোনো দেশ থেকে কোনো ধরনের আয় নিয়ে আসে; তাহলে তার কোনো ধরনের কর পরিশোধ করতে হয় না।

সিঙ্গাপুরে পাচার হওয়া কোকোর টাকা ফিরিয়ে আনতে দুদকের পরামর্শক হিসেবে কাজ করে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ফেরদৌস আহমেদ খানের প্রতিষ্ঠান অক্টোখান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ১৯৪৭ সালের ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট ও ২০১৭ সালের মুদ্রা পাচার প্রতিরোধ আইনের সামঞ্জস্য নেই। ফলে দেশের ব্যবসায়ীরা বিদেশে তাদের ব্যবসা প্রক্রিয়াকে সহজ করতেই বৈধ আয়ের একটি অংশ সিঙ্গাপুরের ব্যাংকিং চ্যানেলে রাখছেন। যদি কেউ তার ব্যাংকে সঞ্চিত অর্থ দিয়ে অবৈধ কিছু না করেন, তাহলে সিঙ্গাপুরে আধুনিকতম ব্যাংকিং সেবা গ্রহণের সুযোগ রয়েছে। ব্যবসায়ীরা সে সুযোগই নিচ্ছেন। তাদের গচ্ছিত অর্থই যে কালো টাকা সেটি নয়। বরং দেশের আইনের প্রতিবন্ধকতার কারণেই তারা সে দেশে তাদের আয়ের অর্থ রাখছেন। এজন্য দেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির সঙ্গে মিলিয়ে এ খাতের প্রচলিত আইন সামঞ্জস্যপূর্ণ করতে হবে।

গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়ীদের অনেকে বিভিন্ন দেশে আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করেছেন। সেখান থেকেই মূল ব্যবসা পরিচালনা করছেন তারা। আর আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপনে প্রথম পছন্দ হিসেবে তারা বেছে নিচ্ছেন সিঙ্গাপুরকে। যদিও অভিযোগ আছে, অর্থ পাচারের নতুন উপায় হিসেবে বিভিন্ন দেশে আঞ্চলিক কার্যালয় স্থাপন করছেন ব্যবসায়ীরা। এর মাধ্যমে আমদানি-রফতানিতে মূল্য বেশি ও কমের মাধ্যমে অর্থ পাচার করছেন। সুইজারল্যান্ডের আইন শক্ত হওয়ায় সেখানে টাকা রাখতে গেলে প্রশ্ন করা হয়। এ কারণে দেশটিতে টাকা পাচারে ধীরগতি আসছে। তবে সম্প্রতি সুইজারল্যান্ডের ভূমিকায় সিঙ্গাপুরকে দেখা যাচ্ছে। সেখানে টাকা রাখতে গেলে প্রশ্ন করা হয় না।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিঙ্গাপুর থেকে রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশই হুন্ডির মাধ্যমে দেশে ঢুকছে। এসব দেশে বুথ খুলে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছে সংঘবদ্ধ চক্র। এ চক্রের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ আছে বাংলাদেশের বড় ব্যবসায়ীদের। বাংলাদেশী প্রবাসীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের গন্তব্য আগে সুইজারল্যান্ডসহ ইউরোপ-আমেরিকার দিকে থাকলেও সাম্প্রতিক সময়ে দিক পরিবর্তিত হয়েছে। এখন দেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসকারী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থেরও বড় অংশ সিঙ্গাপুরে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) নজরেও রয়েছে বিষয়টি।

  • Courtesy: Banikbarta/ Jan 10, 2019

ঋণ-আমানত অনুপাত সমন্বয়

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে অর্থ ও পুঁজিবাজার

হাছান আদনান 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার শঙ্কা থেকে গত বছর বিনিয়োগের ব্যাপারে সতর্ক ছিল দেশের সিংহভাগ বড় করপোরেট। তারল্য সংকটের কারণে নতুন বিনিয়োগে সতর্ক ছিল ব্যাংকও। নতুন সরকার গঠনের পর পরিস্থিতি বদলে গেছে। বড় বিনিয়োগের জন্য ব্যাংকে ভিড় করছেন বৃহৎ উদ্যোক্তারা। তারল্য বাড়াতে ব্যাংকাররাও ছুটছেন আমানত সংগ্রহে। মন্দা কাটিয়ে উল্লম্ফন হয়েছে পুঁজিবাজারে। প্রতিদিনই বাড়ছে লেনদেন ও সূচক। অর্থবাজার (মানি মার্কেট) ও পুঁজিবাজারের (ক্যাপিট্যাল মার্কেট) এ পরিস্থিতি আগামীতে কেমন থাকবে, তা অনেকটাই নির্ভর করছে ঋণ-আমানত অনুপাত (এডি রেশিও) সমন্বয়ের ওপর। এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সিদ্ধান্তের দিকে তাকিয়ে আছে অর্থবাজার ও পুঁজিবাজার।

ব্যাংকাররা বলছেন, আগামী ৩১ মার্চের মধ্যে এডি রেশিও সমন্বয় করতে হবে ব্যাংকগুলোকে। এজন্য আমানত সংগ্রহে ছুটছেন তারা। বেশি সুদে এক ব্যাংকের আমানত অন্য ব্যাংকের নিয়ে আসার ঘটনাও ঘটছে। এতে বেড়ে যাচ্ছে আমানতের সুদহার। ১০ শতাংশ সুদ প্রস্তাব করেও অনেক ক্ষেত্রে আমানত পাওয়া যাচ্ছে না। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হলে এডি রেশিও সংশোধন অথবা সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়াতে হবে।

এরই মধ্যে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা এডি রেশিও সমন্বয়ের সময়সীমা পেছানোর দাবি তোলা শুরু করেছেন। চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের মুদ্রানীতি প্রণয়নের জন্য গত সোমবার দেশের অর্থনীতিবিদ, সাবেক গভর্নর, ব্যাংকারসহ বিশিষ্টজনদের সঙ্গে সংলাপে বসে বাংলাদেশ ব্যাংক। সেখানে এডি রেশিও সমন্বয়ের সময়সীমা পেছানোর দাবি তোলেন মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আনিস এ খান। অনুষ্ঠানে ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক এ চেয়ারম্যান বলেন, মুদ্রানীতি প্রণয়নের আগে সরকার দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে আগামী এক বছরে কত টাকা ঋণ নেবে তার পরিসংখ্যান জানা দরকার। বেসরকারি খাতে এ মুহূর্তে কী পরিমাণ ঋণ প্রস্তাব আছে, আগামী এক বছরে কী পরিমাণ বিনিয়োগ প্রস্তাব আসবে সেটিও হিসাব করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি খাতে ঋণের চাহিদার ভিত্তিতে মুদ্রানীতিতে ঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন করতে হবে। একই সঙ্গে বাড়াতে হবে ব্যাংকগুলোর এডি রেশিও সমন্বয়ের সময়সীমা।

আনিস এ খান বণিক বার্তাকে বলেন, দেশের ব্যাংকিং খাতে এক বছর ধরে তারল্য সংকট চলছে। অনেক ব্যাংকের এডি রেশিও নির্ধারিত সীমার উপরে। এ পরিস্থিতিতে ৩১ মার্চের মধ্যে এডি রেশিও কমিয়ে সীমার মধ্যে আনতে গেলে নতুন বিনিয়োগ বন্ধ করে দিতে হবে। উচ্চ সুদে আমানত সংগ্রহ করতে গেলে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার দুটিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এতে বাধাগ্রস্ত হবে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান। এজন্য এডি রেশিও সমন্বয়ের সময়সীমা বাড়ানোর দাবি করেছি। তবে সব ব্যাংকের ক্ষেত্রে এডি রেশিও ৮৫ শতাংশই হওয়া উচিত।

এডি রেশিও সমন্বয়ের সময়সীমা পেছানোর দাবি তুলবে বেসরকারি ব্যাংক উদ্যোক্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসও (বিএবি)। বণিক বার্তাকে তেমন আভাসই দিয়েছেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম মজুমদার। তিনি বলেন, বাজারে তারল্য সংকট আছে। আমরা মনে করি, পরিস্থিতি বিচারে বাংলাদেশ ব্যাংকই এডি রেশিও সমন্বয়ের সময়সীমা পেছানোর উদ্যোগ নেবে। নির্বাচনের পর রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার বিষয়টি কেটে গেছে। এখন উদ্যোক্তারা নতুন নতুন বিনিয়োগ করবেন। উদ্যোক্তাদের চাহিদা অনুযায়ী ঋণ দেয়া না গেলে দেশের উন্নতি-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হবে।

আগ্রাসী বিনিয়োগের কারণে ২০১৭ সালে দেশের বেশির ভাগ বেসরকারি ব্যাংকের এডি রেশিও নির্ধারিত সীমা অতিক্রম করে। এ পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোর বিনিয়োগের লাগাম টানতে এডি রেশিও কমিয়ে আনে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২০১৮ সালের ৩০ জানুয়ারি জারি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে এডি রেশিও কমিয়ে আনা হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, প্রচলিত ধারার ব্যাংকগুলো পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আমানতের সর্বোচ্চ ৮৩ দশমিক ৫০ শতাংশ ঋণ বিতরণ করতে পারবে। এর আগে এ ধারার ব্যাংকগুলোর এডি রেশিওর সর্বোচ্চ হার ছিল ৮৫ শতাংশ। সে হিসেবে সাধারণ ব্যাংকগুলোর এডি রেশিও ১ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্ট কমানো হয়।

দেশের ইসলামী ধারার ব্যাংকগুলো আমানতের সর্বোচ্চ ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ বিতরণ করতে পারত। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী এ ব্যাংকগুলোর সর্বোচ্চ এডি রেশিও হবে ৮৯ শতাংশ। সে হিসেবে এ ধারার ব্যাংকগুলোর এডি রেশিও ১ শতাংশীয় পয়েন্ট কমানো হয়। প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ব্যাংকগুলোকে নতুন নির্দেশনা কার্যকর করার জন্য বিদায়ী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু ব্যাংকগুলোর আপত্তির মুখে ওই নির্দেশনা বাস্তবায়নের সময়সীমা দুই দফায় পেছানো হয়। সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে ব্যাংকগুলোর এডি রেশিও সমন্বয় করার কথা। যদিও এখন পর্যন্ত ১৫টির মতো ব্যাংকের এডি রেশিও নির্ধারিত সীমার উপরে আছে। আমানত সংকটের কারণে এ ধরনের ব্যাংকের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে।

নতুন এডি রেশিও বাস্তবায়নের পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি বলে মনে করেন এবিবি চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মাহবুবুর রহমান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, আমানতের সুদহার এখনো ঊর্ধ্বমুখী। এডি রেশিও সমন্বয়ের চাপে ক্রমেই আমানতের সুদহার বাড়ছে। আমরা চেষ্টা করছি, এডি রেশিও নির্ধারিত সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে। জানুয়ারি শেষে তারল্য পরিস্থিতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পাওয়া যাবে।

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর তারল্য সংকটের ধাক্কা লেগেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোয়। উচ্চ সুদে এ ব্যাংকগুলো থেকে প্রতিদিনই আমানত বেরিয়ে যাচ্ছে। একই পরিস্থিতি বেসরকারি ব্যাংকগুলোরও। কোনো কোনো ব্যাংক উচ্চ সুদ দিয়ে অন্য ব্যাংক থেকে আমানত বের করে নিচ্ছে বলেও প্রতিনিয়ত অভিযোগ উঠছে।

অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. শামস-উল-ইসলাম এ প্রসঙ্গে বলেন, সরকারের সিদ্ধান্তে আমরা এখন পর্যন্ত আমানত ও ঋণের সুদহার ৬ ও ৯ শতাংশে বেঁধে রেখেছি। কিন্তু বেসরকারি ব্যাংকগুলো এটি মানেনি। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো থেকে স্রোতের মতো আমানত বেরিয়ে যাচ্ছে। ফলে হু হু করে আমাদের এডি রেশিও বাড়ছে। এতে ব্যাংকের কস্ট অব ফান্ড বাড়ছে, মুনাফা কমছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার কার্যকর উদ্যোগ নেয়া দরকার।

তিনি বলেন, মানি মার্কেটকে দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীল রাখতে হলে বন্ড মার্কেট এবং ক্যাপিটাল মার্কেটকে সম্প্রসারিত করতে হবে। উদ্যোক্তারা দীর্ঘমেয়াদি ও প্রকল্প ঋণ বন্ড ও ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে নেবে। ব্যাংক স্বল্পমেয়াদি ঋণ ও ঋণপত্র খুলবে। এটিই দেশের আর্থিক খাতের প্রকৃত চিত্র হওয়া দরকার।

ব্যাংকের এডি রেশিওর সঙ্গে পুঁজিবাজারের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক না থাকলেও পরোক্ষ সম্পর্ক রয়েছে। এডি রেশিও কমানো হলে ব্যাংকের বিনিয়োগযোগ্য অর্থের পরিমাণ কমে যায়। ফলে ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে আমানতের সুদের হার বাড়িয়ে দেয়। আমানতের সুদের হার বেড়ে গেলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুঁজিবাজার থেকে বিনিয়োগ তুলে নেয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। এতে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগযোগ্য অর্থের বড় একটি অংশ ব্যাংকে চলে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সূচক ও লেনদেনে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ৩১ মার্চের মধ্যে এডি রেশিও সমন্বয় করতে হলে পুঁজিবাজারে যে গতিশীলতা তৈরি হয়েছে, তা ব্যাহত হতে পারে বলে মনে করেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গত বছর পুঁজিবাজারের সূচক ও লেনদেনে নিম্নমুখী প্রবণতা লক্ষ করা গেছে। তবে নির্বাচনের পর পুঁজিবাজারে গতি ফিরে এসেছে। বিনিয়োগকারীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে লেনদেনে অংশগ্রহণ করছেন। এ অবস্থায় মার্চের মধ্যে যদি এডি রেশিও সমন্বয় করতে হয়, তাহলে মুদ্রাবাজারে অস্থিরতার পাশাপাশি পুঁজিবাজারের গতিশীলতাও ব্যাহত হবে। এ অবস্থায় এডি রেশিও সমন্বয়ের সময়সীমা না বাড়ানো হলে বাজারে একটি চাপ তৈরি হবে। তবে আমার বিশ্বাস, নতুন সরকার ও নতুন অর্থমন্ত্রী পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয় এমন কোনো পদক্ষেপ নেবেন না। কারণ বাজারের স্থিতিশীলতা নষ্ট হয় কারোরই তা কাম্য নয়।

তিনি আরো বলেন, আমাদের নতুন অর্থমন্ত্রী একজন পেশাদার ও বিচক্ষণ ব্যক্তি। একই সঙ্গে তিনি পুঁজিবাজারবান্ধব। আগামী সপ্তাহে আমরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করব। সেখানে এডি রেশিও সমন্বয়সহ পুঁজিবাজারসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। আশা করছি আগের ধারাবাহিকতায় পুঁজিবাজারের স্থিতিশীলতার স্বার্থে এডি রেশিও সমন্বয়ের সময়সীমা আবারো নবায়ন করা হবে।

পরিস্থিতির বিচারে এডি রেশিও সমন্বয়ের সময়সীমাকে উদার দৃষ্টিতে দেখছে বাংলাদেশ ব্যাংকও। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, মানি মার্কেটের তারল্য সংকটের বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে রয়েছে। সামগ্রিক বিচারে এডি রেশিও সমন্বয়ের সীমা বাড়িয়ে দেয়ার বিষয়টিও আলোচনায় আছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করছে বাজার পরিস্থিতির ওপর।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ব্যাংকিং খাতে বিনিয়োগযোগ্য আমানত রয়েছে ৮১ হাজার ৮৪৪ কোটি টাকা। এ আমানতের অর্ধেকের বেশি রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর হাতে। ২০১৮ সালের অক্টোবর শেষে এ ব্যাংকগুলোর হাতে বিনিয়োগযোগ্য আমানত ছিল ৪৫ হাজার ৭৯১ কোটি টাকা। একই সময়ে বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর হাতে মাত্র ২০ হাজার ৯১৩ কোটি টাকার বিনিয়োগযোগ্য আমানত ছিল। অর্থাৎ গড়ে একটি বেসরকারি ব্যাংকের হাতে ৫০০ কোটি টাকার আমানতও নেই। নির্বাচন ঘিরে অক্টোবর-পরবর্তী তিন মাসে ব্যাংকগুলো থেকে বড় অংকের আমানত তুলে নিয়েছেন গ্রাহকরা। এতে ব্যাংকিং খাতে আমানত সংকট আরো তীব্র হয়েছে, যা তারল্য সংকট আরো বাড়িয়ে তুলেছে।

একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে বিপুল পরিমাণ আমানত তুলে নেয়া হয়েছে বলে মনে করেন পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল হালিম চৌধুরী। তিনি বলেন, পূবালী ব্যাংক সব সময় ধীর ছন্দে সামনে হাঁটার পক্ষপাতী। ফলে আমাদের এডি রেশিও এখনো ৮২ শতাংশ। কিন্তু সুপ্রতিষ্ঠিত অনেক বেসরকারি ব্যাংকের এডি রেশিও নির্ধারিত সীমার অনেক বেশি। তারা প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ব্যাংক থেকে মেয়াদি আমানত ধার করছে। বাজার থেকে প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আমানত তুলে নিচ্ছে। তবে আশার কথা হচ্ছে, নির্বাচনের পর ব্যাংকে আবার আমানত ফিরতে শুরু করেছে। সঞ্চয়পত্রের সুদহার কমালে ব্যাংক ও পুঁজিবাজার দুটিই শক্তিশালী হবে।

  • Courtesy: Banikbarta /Jan 10, 2019

Tax-GDP ratio concerning

Country's declining tax-GDP ratio, practically since 2017, has been   paradoxical  and   concerning    but is  not   inexplicable, to be sure. On the face of it, this   appears   ironic and defiant of conventional wisdom that the rising gross domestic product (GDP) growth rates have not yielded increased   tax revenue. This only goes to show that economic growth  does not  automatically  generate tax  revenue; it requires  serious  mobilisation   efforts  backed by an efficient    tax administration  dedicated  to collect  revenue from a  widely  cast   tax-net. At present, the direct tax regime, potentially the biggest source of revenue collection, is weak.

The focus is on the introduction of wealth and property tax on the one hand, and VAT Act and Customs Act, on the other. Since many people now block their wealth in real estate properties and lands, the rationale for wealth and property tax commends itself. It will also help bridge rising income inequalities, something which have been brought to the fore by the latest household income-expenditure survey. Now coming to the two laws in animated ferment for a long time viz. the VAT Act and Customs Act, they have been much-talked-about but not acted on, apparently for lack of political will. Many now expect to see them through with election having saddled the new government with a landslide mandate. The VAT Act of 2013 estimated a potential earning of TK. 200 billion (20000 crores).       

Tax evasion,  flight of capital  and  inflated   Swiss account   point  to  lost  wealth  for the nation, but  not wasted  because  the   potential  remains  to encourage   them to plough  back  some of those   resources  into  productive  investments. This can be linked to non-resident Bangladeshi (NRB) initiative or to programme for poorer Bengali diaspora uplift. The declining tax-GDP ratio  is  taking place at a time  when  mobilisation of domestic resources  is  pivotal to achieving the sustainable development goals (SDGs). It is really a wake-up call  inasmuch as  on certain SDGs we  are  lagging behind  in the face of the  deadline  to meet a whole lot of  the goals  by 2030. The outlook  is  also concerning  overall  because  the  targeted  increase in  tax-GDP ratio up to  5.4 per cent  by 2020 --in the seventh five-year plan period  --  stood at 2.7 per cent in 2018 at  the halfway mark. So  a  key macro-economic indicator  of   internal  resource  mobilisation  stagnates  and an inherent  potential   for wealth creation  remains  untapped.

The underlying causes of the failure to mobilise internal resources are revealed in a glaring light. Bangladesh   is   the   second   fastest growing  economy   in  Asia, priding itself  on a low-middle  per capita  income  bracket,  with   a high-income upper  five-ten  per cent  people  the size of some East European  countries, and yet  it is   among   the least  tax-paying nation in the world. By some account, at least 30 per cent of the   population can be brought under effective income tax network. That would have greatly facilitated faster progress well   beyond the basic needs regime. It would not only befit our status as low-middle income country but also help with the transitional adjustments that entail a parting cost.  

  • Courtesy: The Financial Express /Jan 10, 2019     

BIDA needs to get its act together

EDITORIAL

When the Board of Investment (BOI) and the Privatisation Commission (PC) were merged on September 01, 2016 to create the Bangladesh Investment Development Authority (BIDA), it was regarded as a step in the right direction. The institutional amalgamation signalled the end of a desultory approach to investment, disinvestment, enterprise and industrialisation. Collaterally, it should have marked the beginning of a compact, coherent and unified authority exercising its remit on such vital economic parameters. The inception of the BOI and PC dates back to 2000 and that of BIDA is two and a quarter years. With such a baggage of vestigial remnants and pitfalls stacked against the BIDA -- little by way of sound precedents to follow up on -- the latter has apparently found it difficult to make a fresh start.

Nevertheless, BIDA is strategically placed on two levels to assert its capacity for easing business or facilitating investment on a competitive basis. Firstly, all industrial enterprises are required to be registered with BIDA and without it, investors and entrepreneurs will not be able to obtain any essential licenses and papers such as import and export registration certificates as well as bond facility. Secondly, BIDA's strategic functions include pre-investment counselling services, approval of branch or liaison offices, issue of work permits to foreign nationals, approval of royalty, approval for foreign loans and supplier's credit, among others.

As for BIDA's office building, eight and a half years was sought to complete its construction at the headquarter at Agargaon. It hardly fits in with its basically onerous and weighty functions, that after two revised designs and estimates, necessitated by a grandiose plan to have luxurious fittings etc, the estimated cost notches up to TK 2.0 billion from its originally estimated cost of TK.983.48 million. Having said all that, the question that crops up is plainly this: Why has the one-stop service flagship initiative yet to be in its old place more than two years after its emergence and one year since the parliamentary enactment on the subject?

Thankfully, the Bangladesh Investment Development Authority (BIDA) has flagged off its online one-stop service (OSS) on trial basis pending its formal launch at January-end.  Online OSS will provide services and documents digitally to domestic and foreign investors-completely automated, paperless and cashless. A very high premium is placed on coordination among BIDA, the Registrar of Joint Stock Companies and Firms (RJSC) and the National Board of Revenue (NBR). At the same time Internet service will have to operate without a chink in the armour. That a good number of government agencies have signed agreements with BIDA for providing services through the platform augurs well but the proof will be in the pudding.

  • Courtesy: The Financial Express /Jan 10, 2019

জনবিচ্ছিন্ন সরকার বিরোধী দলগুলোকে নির্মূল করতে মরিয়া — মির্জা আলমগীর


জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী সরকার বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে একদলীয় দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করতে বিএনপিসহ দেশের বিরোধী দলগুলোকে নির্মূল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

বৃহস্পতিবার, জানুয়ারি ১০, বিএনপির দফতর থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে ‘একদলীয় দুঃশাসনকে দীর্ঘায়িত করতেই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ উদ্ভট, মনগড়া ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে কারাগারে পুরে রাখা হচ্ছে’ বলে দাবি করেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এর বিবৃতি —

সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন মামলায় ঝিনাইদহ-৪ আসনে ধানের শীষের প্রার্থী ও জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ গতকাল আদালতে হাজিরা দিতে গেলে তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে প্রেরণের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, “জনবিচ্ছিন্ন আওয়ামী সরকার বিএনপিসহ দেশের বিরোধী দলগুলোকে নির্মূল করে একদলীয় দু:শাসনকে দীর্ঘায়িত করতেই নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ উদ্ভট, মনগড়া ও ভিত্তিহীন মামলা দায়েরের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পুরে রাখছে। মূলত: শাসকগোষ্ঠী বিভিন্ন অপকৌশলের আশ্রয় নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি-কে নির্মূল করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলেই গতকাল তার জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।”

বিএনপি মহাসচিব অবিলম্বে সাইফুল ইসলাম ফিরোজ এর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার এবং তার নি:শর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।

২০১৮ সালে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার ৪৬৬ জন — আসক


২০১৮ সালে সারাদেশে ৪৬৬ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে জানিয়েছেন আইন ও সালিশকেন্দ্র (আসক)। বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) ‘বালাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০১৮: আসকের পর্যবেক্ষণ’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বিগত বছরগুলোর মতো ২০১৮ সালের সার্বিক মানবাধিকার পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক। বছরজুড়ে ক্রসফাযারে নিহত হয়েছে ৪৬৬ জন। এরমধ্যে মে থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযানে ২৯২ জন নিহত হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে অপহরণ, নিখোঁজ ও গুমের শিকার হয়েছে ৩৪ জন। এ থেকে পরবর্তী সময়ে ১৯ জনের সন্ধান পাওয়া গেলেও তাদের অধিকাংশ বিভিন্ন মামলায় আটক আছে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, ২০১৮ সালে ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৭৩২ জন নারী। এরমধ্যে ধর্ষণ পরবর্তী হত্যার শিকার হয়েছেন ৬৩ জন ও আত্মহত্যা করেছেন ৭ জন।
  • কার্টসিঃ বাংলাট্রিভিউন / জানু ১০, ২০১৯

ইয়াবাসহ বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার

বরগুনায় ২০ পিস ইয়াবাসহ বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রাফান জোমাদ্দার আকাশকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। এ সময় তার সহযোগী তোফায়েল হোসেন তপুকেও গ্রেপ্তার করা হয়। বুধবার  রাত সাড়ে ৭ টার দিকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার বদনিখালি খেয়াঘাট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ বিষয়ে বরগুনার ডিবি পুলিশের ওসি মো. হারুন অর রশীদ বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আকাশ ও তপুকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনে মামলা দায়েরের পর আজ সকালে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুবায়ের আদনান অনিক বলেন, বামনা উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাফান জোমাদ্দার আকাশকে ইয়াবাসহ  গ্রেপ্তারের বিষয়টি আমি অবগত নই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। ঘটনা যদি সত্যি হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

  • Courtesy: Mananzamin /Jan 10, 2019

বাংলাদেশের রাজকোষ চুরি, সেই ব্যাংক ম্যানেজারের জেল

বাংলাদেশের রাজকোষ চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফিলিপাইনের রিজাল কর্মার্শিয়াল ব্যাংকিং করপোরেশনের (আরসিবিসি) সাবেক শাখা ম্যানেজার মারিয়া সান্তোষ দিগুইতোকে জেল দিয়েছে সেখানকার মাকাতি রিজিওনাল ট্রায়াল কোর্ট। তার বিরুদ্ধে আনা আটটি অভিযোগের প্রতিটির জন্য ৪ থেকে ৭ বছর করে জেল দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ কোটি ৯০ লাখ ডলারের বেশি জরিমানা করা হয়েছে। এ মামলা থেকে ক্যাসিনো বস বলে পরিচিত কিম ওং’কে খালাস দিয়েছে আদালত। এখন থেকে প্রায় তিন বছর আগে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে হ্যাকিং করে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ফিলিপাইনের মাকাতিতে জুপিটার স্ট্রিট শাখায় চলে যায়। তখন ওই শাখার ম্যানেজার ছিলেন মারিয়া দিগুইতো। আজ তার বিরুদ্ধে ওই রায় ঘোষণা হয়েছে। যেসব একাউন্টধারীর নামে অর্থ গিয়েছিল বলে অভিযোগ তার মধ্যে রয়েছেন মাইকেল ফ্রান্সিসকো ক্রুজ, জেসি ক্রিস্টোফার ল্যাগ্রোসাস, আলফ্রেড স্যান্তোস ভারগারা ও এনরিকো টিওডোরো ভাসকুয়েজ।

তাদের বিষয়ে আদালত কি সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। এ খবর দিয়েছে ফিলিপাইনের এবিএস-সিবিএন নিউজ ও জিএমএ নিউজ।

রায় ঘোষণার পর মারিয়া দিগুইতোর আইনজীবী দেমিত্রিও কাস্টোডিও বলেছেন, তার মক্কেল ভীষণভাবে হতাশাগ্রস্ত। তবে আদালতের এ রায়ের বিরুদ্ধে তিনি আপিল করবেন। সেই আপিলের শুনানি শেষ না হওয়া পর্যন্ত দিগুইতোকে জেল দেয়া যাবে না। তিনি বলেছেন, আমরা আদালতকে বলেছি, দিগুইতো ব্যাংকে যে পদে দায়িত্ব পালন করছিলেন তার সেই দায়িত্ব পালনের কারণে তাকে দায়ী করা যায় না। কারণ, ব্যাংকে তার পদটি ছিল কাস্টমার কেয়ার বিষয়ক। ফলে ব্যাংকে যে লেনদেন হয় তার অপারেশনাল কাজের সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই। এক্ষেত্রে সরকার শুধু একজন নিচের দিকের কর্মকর্তাকে বিচার করছে। এ ঘটনার সঙ্গে আরো অনেক দায়িত্বশীল কর্মকর্তার দায় রয়েছে। অর্থ লেনদেনে তাদের ভূমিকা দিগুইতোর চেয়ে অনেক বেশি। দিগুইতোর আরেক আইনজীবী ফার্দিনান্দ টোপাসিও এ রায়কে বিচার বিভাগের হাস্যকর অভিযোগ বলে অভিহিত করেছেন।  

উল্লেখ্য, ফিলিপাইনের আইন মন্ত্রণালয় এ নিয়ে তদন্ত করেছে। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভ থেকে যখন ওই বিশাল অংকের অর্থ পাচার হয় তখন থেকে এখন পর্যন্ত এ ইস্যুটি সারাবিশ্বকে আলোড়িত করেছে। সাইবার হামলায় এটি সবচেয়ে ভয়াবহতা বলে স্বীকার করে নিয়েছেন অর্থবিশ্লেষকরা। এর ফলে দুনিয়াজুড়ে সাইবার নিরাপত্তা বাড়ানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। 

আরসিবিসির দাবি, সাইবার হামলার মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে এত বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হলো এই ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ বিষয়। তাদের অভিযোগ, এক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক নিজেদের গাফিলতিকে ঢাকার চেষ্টা করছে। ওদিকে আরসিবিসির বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এক্ষেত্রে নিউ ইয়র্ক ফেডারেলের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওই অর্থ যখন পাচার হয়ে আসে আরসিবিসির জুপিটার স্ট্রিট শাখায় তখন এর ম্যানেজার ছিলেন দিগুইতো। এই ব্যাংকে বেশ কয়েকটি সন্দেহজনক নামে জমা হয় ওই অর্থ। এর থেকে কিছু অর্থ চলে যায় ক্যাসিনোতে। ওই অর্থ হাওয়ায় মিলিয়ে গেছে। কারণ, তা কার কাছ থেকে কার কাছে গেছে তার কোনো হদিস নেই। তবে ক্যাসিনো বস বলে পরিচিত কিম ওং চুরি যাওয়া অর্থ থেকে এক কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত দিয়েছেন। ফিলিপাইনে অর্থ পাচার বিরোধী আইনের আওতায় ছিল না ক্যাসিনো। বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ পাচারের ঘটনা ধরা পড়ার পর ফিলিপাইনের সিনেটে বেশ কয়েকদফা শুনানি হয়। তা সরকারি টেলিভিশনে প্রচার করা হয়। এরপর ২০১৭ সালের জুনে প্রেসিডেন্ট রড্রিগো দুতের্তে একটি আইনে স্বাক্ষর করেন। এ আইনে ক্যাসিনো ব্যবসাকে অর্থ পাচার বিরোধী কাউন্সিলের আওতায় আনা হয়।   

  • Courtesy: Manabzamin /Jan 10, 2019