Search

Monday, January 29, 2018

বড় সংকটের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে - ব্যারিস্টার আমীরুল ইসলাম




সংবিধান প্রণয়ন কমিটির অন্যতম সদস্য ব্যারিস্টার এম আমীর-উল ইসলাম বলেছেন, সংবিধানে বিচার বিভাগের ওপর যে বিষয়গুলো লেখা আছে, সেগুলো নজরে আসছে না। এর ফল আমরা পাচ্ছি। পেতে থাকব। কোনো একটা সময় আসবে, যখন এটা আমাদের একটা বড় রকমের সংকটে পরিণত হবে, যার পূর্ব সিনড্রমগুলো (লক্ষণগুলো) আমরা দেখতে পাচ্ছি। সংবিধান ভায়োলেট করে, সংবিধান না মেনে আমরা বিচারপতি কী করে নিয়োগ করি?

রোববার ‘মনজিল মোরসেদ পরিচালিত জনস্বার্থ মামলার রায়’ শীর্ষক বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার আমীর এ প্রশ্ন তোলেন।

সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এ মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি আরও বলেন, ‘পার্লামেন্ট তো অনেক আইন করতে চায়। বলতে চায়, কীভাবে বিচারপতি বিদায় করা যাবে, সেই আইন করব। কিন্তু বিচারপতি কীভাবে নিয়োগ করা যাবে, সে আইন করার যে নির্দেশ দেওয়া আছে সংবিধানে, সে আইন পাস করা হয় না কেন? বিচারপতি নিয়োগে সংবিধান অনুযায়ী যে আইন প্রণয়ন করার কথা, সেটা প্রণয়ন না হওয়ায় বর্তমানে যে অবস্থা রয়েছে, তাতে আমরা অ্যাডহক অবস্থায় বিচারপতি নিয়োগ করছি। এটা অনেকটা আন্দাজে ঢিল ছোড়ার মতো। একজন নামকরা জুরিস্টও বলেছিলেন, আমরা যখন বিচারপতি নিয়োগ করি, তখন আন্দাজে ঢিল ছুড়ি। বিচারপতি নিয়োগে আইন তৈরির বিষয়ে জনমত সৃষ্টির আহ্বান জানান তিনি।

ব্যারিস্টার আমীর বলেন, সংবিধানে হাইকোর্ট বিভাগ বলে একটি বিভাগ ছিল। এখন তো হাইকোর্ট বিভাগ বলে আলাদা কোনো বিভাগ খুঁজে পায় না। বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ হাইকোর্ট বিভাগের থাকার কথা। আমি কখনই মেলাতে পারি না যে, হাইকোর্ট ইক্যুয়াল টু সুপ্রিমকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট ইক্যুয়াল টু হাইকোর্ট, নর চিফ জাস্টিস ইক্যুয়াল টু সুপ্রিমকোর্ট। এই অ্যালজেব্রাগুলো মেলাতে পারি না। সে জন্য আমার মনে প্রচ- কষ্ট বহন করে চলেছি। আমাদের সংবিধানের যে চ্যাপ্টার আমরা লিখেছিলাম, এতে আমাদের যে স্বপ্ন ছিল, সেই স্বপ্ন পূরণ আজও করতে পারিনি। সে জন্য আশা করি এ বিষয় নিয়ে সবাই আলাপ-আলোচনা করবে।

তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সংকট হচ্ছে মানবতার স্খলন। মানবতার যে স্খলন ঘটেছে, সেখান থেকে বেরিয়ে আসার জন্য দরকার পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটি। শান্তির বড় অভাব। যে সংগঠন মনজিল মোরসেদ করেছে, তার জন্য তাকে আরও প্রো-অ্যাকটিভ ভূমিকা রাখতে হবে এই পিস অ্যান্ড হিউম্যানিটির ক্ষেত্রে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি তাফাজ্জুল ইসলাম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সিনিয়র আইনজীবী এবিএম নুরুল ইসলাম, সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ প্রমুখ। এ ছাড়াও হাইকোর্ট বিভাগের বেশ কয়েকজন বিচারপতি ও আইনজীবী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

  • Courtesy: Amadershomoy.com/Jan 29, 2018

ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স - স্বাস্থ্য বিভাগের ৫৫ শতাংশ কর্মী কর্মস্থলে অনুপস্থিত




এমনিতেই ২৭ শতাংশ কম জনবল নিয়ে চলছে স্বাস্থ্য বিভাগ। আবার যারা কর্মে নিয়োজিত, তাদেরও বড় অংশ কর্মস্থলে থাকছেন অনুপস্থিত। ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে নিবন্ধিত দেশের জেলা-উপজেলায় কর্মরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রতিদিনের হাজিরা পর্যালোচনায় দেখা গেছে, এদের ৫৫ শতাংশের বেশি কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলেন না।

স্বাস্থ্যসেবায় নিয়োজিতদের কর্মস্থলে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে ২০১১-১২ সালে জেলা-উপজেলা পর্যায়ের ৪৭৯টি হাসপাতালে ইলেকট্রনিক টাইম অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। সারা দেশে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৫৫ হাজার জনবলের মধ্যে ২৮ হাজার ৩৫১ জন এ সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছেন। তাদের প্রতিদিনের হাজিরার তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কেন্দ্রীয়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। চলতি মাসের ২৮ দিনের তথ্য পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ইলেকট্রনিক টাইম অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে নিবন্ধিত কর্মীদের গড়ে ৫৫ দশমিক ৭১ শতাংশ অনুপস্থিত ছিলেন।

যারা অনুপস্থিত থাকছেন, তাদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, চিকিৎসক, নার্স কিংবা অন্যরা কাজ করলেও অনেকেই ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সে সাড়া দিচ্ছেন না। এ কারণে অনুপস্থিতি বেশি দেখাচ্ছে। রেজিস্ট্রেশন করা নিয়েও অনীহা আছে অনেকের মধ্যে। তবে সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করে দেখা হচ্ছে।

অন্যান্য হাসপাতালের মতো ইলেকট্রনিক টাইম অ্যাটেনডেন্স সিস্টেম চালু আছে নড়াইল সদর হাসপাতালেও। গতকাল হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, ১৩ জন চিকিৎসকের মধ্যে দুজন ছুটিতে। এ হিসাবে দায়িত্ব পালনের কথা ১১ জনের। কিন্তু এদিন কর্মস্থলে ছিলেন মাত্র সাতজন। এ অবস্থা দেশের অধিকাংশ সরকারি জেলা-উপজেলা হাসপাতালেরই।

গতকাল দেশের ৪৭৯টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৬৬টির তথ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। প্রাপ্ত তথ্যে দেখা যায়, ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সে উপস্থিতির হার ৩৯ দশমিক ৭ শতাংশ। অর্থাৎ ইলেকট্রনিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে নিবন্ধিত ৬০ শতাংশ কর্মীই এদিন কর্মস্থলে যাননি। বিভাগভিত্তিক অনুপস্থিতির হার সবচেয়ে বেশি ছিল ময়মনসিংহে, ৭৩ শতাংশ। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে অনুপস্থিতির হার ৬৮, রংপুরে ৬৪, চট্টগ্রামে ৬২ ও ঢাকা বিভাগে প্রায় ৬১ শতাংশ। তবে সবচেয়ে বেশি উপস্থিতি রয়েছে খুলনা বিভাগে। এ বিভাগে উপস্থিতির হার ৫৬ দশমিক ৮ শতাংশ।

২৭ জানুয়ারির তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, এদিন ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠান ডিজিটাল হাজিরার তথ্য প্রেরণ করে। এসব প্রতিষ্ঠানের ৫৪ শতাংশ কর্মীই কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। ওইদিনও অনুপস্থিতির হারে শীর্ষে ছিল ময়মনসিংহ। বিভাগটির সরকারি হাসপাতালগুলোয় এদিন ৬৭ শতাংশ কর্মী কর্মস্থলে উপস্থিত হননি। ইলেকট্রনিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে নিবন্ধিত রাজশাহী বিভাগেরও ৬২ শতাংশ কর্মী ২৭ জানুয়ারি কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন। এসব কর্মীর অনেকেই পালাক্রমে দায়িত্ব পালন করেন।

দোহার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. জসিম উদ্দিন জানান, তার হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ মোট ৬২ জন কর্মী রয়েছেন। এদের সবাই ইলেকট্রনিক অ্যাটেনডেন্স সিস্টেমে নিবন্ধিত। তবে চিকিৎসকদের প্রায়ই ডেপুটেশনে অন্যত্র কাজ করতে হয়। ফলে ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সে উপস্থিতি কম থাকে।

যদিও ফরিদপুর সদর হাসপাতালে কর্মরত একজন চিকিৎসক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, চিকিৎসকদের অনেকেই কর্মস্থলে বেশি অনুপস্থিত থাকছেন। তারা কোনো রোগীও দেখছেন না।

তদারকির দুর্বলতার কারণে চিকিৎসাসেবায় কর্মস্থলে অনুপস্থিতির হার বেশি বলে মনে করেন বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) সাবেক আঞ্চলিক উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. মোজাহেরুল হক। তিনি বলেন, সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হলে সেবাদানের সঙ্গে জড়িতদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। পাশাপাশি জনগণ যাতে কাঙ্ক্ষিত সেবা পায়, সেদিকেও নজর রাখতে হবে। কিন্তু যৌক্তিক কারণ ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত থেকেও অনেকে পার পেয়ে যাচ্ছেন, যা কর্মস্থলে অনুপস্থিতির প্রবণতা বাড়িয়ে দিচ্ছে।

জানা গেছে, সারা দেশের আটটি বিভাগে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৪৭৯টি। এসব প্রতিষ্ঠানে মোট পদ রয়েছে ৭৫ হাজার ৬৪৪টি। এসব পদের বিপরীতে কর্মরত রয়েছেন ৫৪ হাজার ৯৯৩ জন। আর ডিজিটাল অ্যাটেনডেন্সে নিবন্ধিত আছেন ২৮ হাজার ৩৫১ জন। এ হিসাবে নিবন্ধনের বাইরে রয়েছেন ২৬ হাজার ৬৪২ জন।

  • Courtesy - Bonikbarta Jan 29, 2018

Three airlines leave Bangladesh for good

Sajjadur Rahman




Three foreign airlines Oman Air, Bangkok Airways and Thai Smile shut down their Bangladesh operations last year as they found the route to be commercially unsustainable.

The move has not only caused job losses of about 50 Bangladeshis but also revenue losses for the civil aviation authority and Bangladesh Biman that conducts the ground handling works at Hazrat Shahjalal International Airport, industry insiders said.

Oman Air operated on Dhaka-Chittagong route for nearly a decade, but the Middle Eastern carrier suspended its operations from Chittagong in May last year and from Dhaka five months later.

Bangkok Airways that spread its wings to Dhaka in 2011 suspended operations in November last year, and Thai Smile, the lower cost version of Thai Airways, in July, just after four months of operations.

“Oman Air shut down its operations in Bangladesh and some other places due to commercial reasons,” said Ashraful Kabir, the former country manager of the national carrier of the Sultanate of Oman.

Rising oil price in recent months has made the business difficult, he said.

Kabir, however, said Oman Air will introduce a low-cost flight from Bangladesh soon.

There are about 30 foreign airlines operating from Bangladesh. All the carriers are from Asia; no European or American airlines have operations here.

Kazi Wahidul Alam, an aviation expert, said the shutting down of any foreign airline's operations gives a wrong message to the rest of the aviation world.

He gave the example of KLM, the royal Dutch airline that wound up its operations from Bangladesh several years ago.

Lufthansa, which is the largest German airline, was thinking of entering the Bangladesh market, but KLM's decision made them change their mind.

“More airlines mean more competition, which gives price benefits to passengers,” said Alam, a former director of state-run Biman Bangladesh Airlines. On the revenue side, he said an airline has to pay $7,000 to $10,000 for ground handling of each flight, while the civil aviation authority earns another $3,000 to $4,000 by rendering other services.

Revenue is also generated from cargo handling, he said.

“The government should take the issue seriously. The authorities concerned should have sat with the three airlines to find out why they were closing their operations here.” 

  • Courtesy: The Daily Star Jan 29, 2013

A government failure with double jeopardy for farmers




THE government’s failure to give out information to farmers that they badly need has a double jeopardy in the process. While the farmers cannot receive expert suggestions tailored to their farming needs, what more harm it does is that the farmers are unknowingly getting ensnared by the agricultural input sales and marketing companies that set up help-lines where people employed by the companies give out information drawn from a set of questions and answers primarily geared to the expansion of the business of the private companies.

This failure of successive governments has only pushed the farmers to quit their traditional ways of cultivation and done almost nothing to equip the farmers with the required knowledge. The companies selling agricultural inputs have opened help-lines that are toll-free while farmers need to count Tk 0.25 a minute if the call to government agricultural information services, which are far too inadequate to cater to the need of about 18.5 million farmers. The Agricultural Information Services at the Department of Agricultural Extension headquarters runs a call centre with five agriculturists, who could attend only a half of the calls, which account for 60 calls a day on an average.

On the other front, as New Age reported on Sunday, a private company could grow its business by 30 per cent every year since it set up a helpline in the middle of 2014. Another company, which received only six calls a day in 2015, now needs to attend 250 calls a day. It has already reached more than a quarter million farmers and hoped to reach out to 2 million more by 2020.

Such a stark difference shows that something has been awry in the government information services for the farmers. It at least calls for, on part of the government, more efforts in plans to help the farmers in their farming process. What remains worrisome about this is that the help-lines of private companies, which claim to cater to the farming needs of the farmers, are, in effect, run to expand the business of the companies. When farmers call to these help-lines, they are given information and are mostly linked to specific products, leaving uninformed farmers vulnerable to manipulation of various kinds. This raises the concern for an overuse of pesticide and fertiliser, and even chemical reagents that could be harmful in more than the designated volume.

If the farmers got the information from the agricultural information services, they would not need to depend on the help-lines that are set up by private companies. By so doing, they could get expert suggestions tailored to their farming needs and would not be exposed to manipulation aimed at business expansion of private companies. The government, in such a situation, must effectively attend to the weaknesses of the system. The government must strengthen its farming information dissemination services, and that too entirely free as the private company help-lines are run, with proper logistics and human resources, to extend proper support for farmers in a meaningful way.
  • Courtesy: New Age/Jan 29, 2018

Accountability must for rights condition assessment

Staff Correspondent




Human Rights Forum Bangladesh’s member organisations on Sunday observed that the government should portray the ‘actual’ condition of people’s economic, social and cultural rights when it represents the country in the international arena.

Addressing a discussion held at CIRDAP auditorium in the capital, the forum members came up with such assessment prior to the review session of the International Covenant on Economic, Social and Cultural Rights, scheduled to be held in March 12-19 in Switzerland. 

The forum comprising 20 rights-based organisations and development partners was drafting civil society’s perception on the ICESCR report. 

Among the experts of the forum, lawyer Sultana Kamal said the development activities by the government were not ‘inclusive’, leaving groups of people deprived of resources they belonged to as the citizen of the country.

Transparency International Bangladesh’s executive director Iftekharuzzaman said that government should ensure a congenial atmosphere where people could exercise their rights.

‘Section 57 of the ICT act and many forms like this, were fearsome for the democracy practicing people,’ he said. 

National Human Rights Commission chairman Kazi Reazul Hoque said despite improvement in many sectors, rights of workers, ethnic minorities and other marginal communities were still unattained. He said that there were dissimilarities in the government’ ESCR report submitted to the United Nations’ Office of the High Commissioner for Human Rights.

Ain O Shalish Kendra activist Tamanna Haque presented a draft of alternative report on the realization of economic, social and cultural rights in Bangladesh. 

Chaired by ASK executive director Sheepa Hafiza, the discussion was also addressed by Hameeda Hossain, Zakir Hossain, Ranjan Karmakar, Sultan Uddin Ahmed, among others. 
  • Courtesy: New Age/Jan 29, 2018


Sunday, January 28, 2018

এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রত্যাখ্যান




দেশের ক্ষমতায় মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দাবিদার সরকার। এই সরকারের শাসনামলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা শুনে শুনে আমরা যেমন ভারাক্রান্ত, তেমনি সরকার দলীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য নেতা-নেত্রীরাও বোধ করি অবিরাম বলে বলে ক্লান্ত-অবসন্ন। দেশের মানুষের ধারণা এই সরকারের শাসনামলেই মুক্তিযোদ্ধারা প্রকৃত সম্মান-মর্যাদায় অধিষ্ঠিত হতে পেরেছেন, পূর্বেকার সকল সরকারের শাসনামলের তুলনায়। দলীয় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে সেটা সম্ভব হলেও অগণিত দলীয় রাজনীতি মুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষেত্রে কিন্তু সেটা ঘটেনি। তারই নির্জলা প্রমাণ সদ্য প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো মো. খলিলুর রহমান। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বচনে-ধারণ ও পালনকারী এই সরকারের শাসনামলে ত্যাগী এই মুক্তিযোদ্ধাকে প্রায় বিনা চিকিৎসায় মরতে হলো। প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপার্জনক্ষম কেউ নেই। একমাত্র ছেলে ইংরেজি সাহিত্যে অনার্স শেষে বেসরকারি ওয়ার্ল্ড ইউনির্ভাসিটিতে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী। দুই মেয়েরই বিয়ে হয়েছে। তাই জটিল রোগে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার দেশের শীর্ষ দৈনিক সংবাদপত্র, টিভি মিডিয়ার মাধ্যমে সরকারের নিকট মুক্তিযোদ্ধার চিকিৎসার দায়িত্ব গ্রহণের জন্য আবেদন জানিয়েও সাড়া পায়নি। সরকার নির্বিকার-নির্লিপ্ত, সাহায্যের হাত বাড়ায়নি।

পরিবারের পক্ষে ব্যয়বহুল চিকিৎসার দায় বহন অসম্ভব বলেই নিরুপায়ে তারা সরকারের সাহায্য কামনা করে, প্রচার মাধ্যমের সহায়তায়। অথচ সরকার কিংবা রাষ্ট্রের ন্যূনতম সাহায্য-সহযোগিতা পাওয়া গেল না। পরিবারের পক্ষ থেকে সাধ্যানুযায়ী সর্বোচ্চ আর্থিক ব্যয় বহন করলেও, সেটা যথার্থ ছিল না। অবশেষে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডো মো. খলিলুর রহমান সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে টানা-হেঁচড়ায় প্রায় বিনা চিকিৎসায় গত ৯ জানুয়ারি রাত ৭.০৫ মিনিটে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে মারা গেলেন। ক্ষুব্ধ পরিবার সঙ্গত কারণেই মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘গার্ড অব অনার’ প্রত্যাখ্যান করে। এই ঘটনাটি গ্রাম-মফস্বলের ঘটনা নয়। খোদ রাজধানী ঢাকারই ঘটনা।

গত ২০ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের নৌ-কমান্ডো, লেখক-গবেষক মো. খলিলুর রহমান হৃদরোগে আক্রান্ত হলে তাকে দ্রুত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক এমআরআই পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন।

এমআরআই পরীক্ষার দীর্ঘ লাইনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়েও কাউন্টার অবধি না পৌঁছানোর কারণে তাঁর ছেলে কাউন্টারের ভেতর ঢুকে পিতার মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় দিলে কর্তব্যরত একজন ধাক্কা দিয়ে তাকে বের করে দরজা আটকে দেন। ছেলেটি উপায়ান্ত না-দেখে পাশের বারডেম হাসপাতালে ছুটে যায়। কিন্তু বারডেমের এমআরআই মেশিন বিকল থাকায় ফিরে আসে। প্রায় চার ঘণ্টা অতিবাহিত হবার পর রোগীর অবস্থার অবনতিতে পরিবারের সদস্যরা নিরুপায়ে রোগীকে নিয়ে ছুটে যায় বেসরকারি পপুলার হাসপাতালে। চারদিন বেসরকারি হাসপাতালের লক্ষাধিক টাকার বিল বহুকষ্টে পরিশোধ করে রোগীকে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তির সহায়তা করেন মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক আবু সাঈদ খান। সেখানে থাকাবস্থায় সামান্য উন্নতির লক্ষণ দেখা দিলেও কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে সিসিও-তে রাখার পরামর্শ প্রদান করেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে সিসিও না থাকায় এজন্য রোগীকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের সিসিও-তে ভর্তির জন্য সেখানকার কর্তৃপক্ষকে মৌখিক ও লিখিতভাবে ছাড়পত্রে উল্লেখ করেন। দিনমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি হতে সকল দায়িত্বশীলদের কাছে ধরনা দিয়েও ভর্তি করানো সম্ভব হয়নি। সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দীন ইউসুফ ভিসিকে ফোনে অনুরোধ করলে পরদিন রোগীকে সিসিও-তে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানে এই মুক্তিযোদ্ধার যথাযথ চিকিৎসার পরিচার্যা লাভ ঘটেনি। চারদিন পর রোগীকে বাসায় নিয়ে যাবার ছাড়পত্র দিয়ে কতর্ব্যরত চিকিৎসকেরা দায়মুক্ত হন।

বাসায় আনার পর হতে রোগীর অবস্থার আরো অবনতি ঘটে। নিরুপায়ে আবার মুক্তিযোদ্ধা-সাংবাদিক আবু সাঈদ খানের সহায়তায় সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির দ্বিতীয় দিনে অবস্থার চরম অবনতি ঘটলে ডাক্তারেরা তাকে আইসিও-তে দ্রুত স্থানান্তরের পরামর্শ দেন। সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের আইসিও বেড মাত্র দশটি। এবং ঐ দশ বেডে মুমূর্ষু দশজন রোগী থাকায় অগত্যা পরিবারের সদস্যরা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের আইসিও-তে রোগীকে নিয়ে যাবার পরামর্শ দেন এবং হাসপাতালে রোগীকে ভর্তির ব্যবস্থার নির্দেশ দেন। গণস্বাস্থ্য হাসপাতালের ভর্তির আনুষ্ঠানিকতায় প্রায় এক ঘণ্টা সময় অতিবাহিত হবার পর রোগীকে আইসিও-তে ঢোকানো হয়। চিকিৎসকেরা জানান রোগীকে এখনই ডায়ালিসিস না করালে রোগীকে বাঁচানো যাবে না। পরিবারের সম্মতিতে প্রথম ডায়ালিসিসের ধকল বহনের ক্ষমতা তখন আর রোগীর না থাকায় অল্পপরেই রোগী মুক্তিযোদ্ধা নৌ-কমান্ডো মো. খলিলুর রহমান মৃত্যুবরণ করেন। তার সামগ্রিক চিকিৎসার প্রকৃত চিত্রটি এরূপই বটে।

চিকিৎসার সহায়তার তাগিদে পরিবারের পক্ষ থেকে মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে সচিব জানান, মন্ত্রণালয়ের কাজ নীতি-নির্ধারণ বিষয়ক। একমাত্র যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ব্যতীত জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসায় সহায়তা প্রদানের অপশন তাদের নেই। সংবাদ ও টিভি মিডিয়ায় আবেদন-নিবেদনেও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার এই সরকারের সাড়া পাওয়া যায়নি। সরকারি হাসপাতাল থেকেও যথার্থ সহমর্মিতা চিকিৎসা সেবা লাভও সম্ভব হয়নি। সঙ্গত কারণেই মৃত মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি রাষ্ট্রীয় সম্মান ‘গার্ড অব অর্নার’ মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডো মো. খলিলুর রহমানের পরিবার প্রত্যাখ্যান করেছে। পরিবারের দাবি এতে সরকার যাতে সচেতন হয়, অন্তত অন্য কোনো মুক্তিযোদ্ধার ক্ষেত্রে যেন অনুরূপ ঘটনা না ঘটে সে কারণেই পরিবারের নীরব এই প্রতিবাদ।

আমাদের মুক্তিযুদ্ধে নৌ-কমান্ডোদের বীরত্বপূর্ণ ভূমিকা চাপা পড়েছে গেরিলা ও সম্মুখ সমরের মুক্তিযুদ্ধের অধিক প্রচারণায়। অথচ বুকে মাইন বেঁধে ডুবুরির বেশে নৌ-কমান্ডোরা চট্টগ্রাম, মংলা বন্দরে নোঙর করা শত্রু জাহাজ উড়িয়ে দিয়েছিল। অপারেশন জ্যাকপট খ্যাত মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বের কাহিনী কমান্ডো মো. খলিলুর রহমান দৈনিক পত্রিকায়, সাময়িকীতে অবিরাম লিখেছেন। তার ৬টি গ্রন্থ রয়েছে। গ্রন্থগুলো হচ্ছে ‘মুক্তিযুদ্ধ ও নৌ-কমান্ডো অভিযান’, ‘মুক্তিযুদ্ধে’, ‘নাবিক ও নৌ-কমান্ডোদের জীবনগাঁথা’, ‘মুক্তিযুদ্ধে নৌ-অভিযান’, ‘সাগর তলে মুক্তিযুদ্ধ’ এবং ‘যুদ্ধে যুদ্ধে স্বাধীনতা’। মুক্তিযুদ্ধে নৌ-কমান্ডোদের বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস তার ন্যায় আর কেউ এত ব্যাপকভাবে লিখে যাননি। সেই ইতিহাসের খোঁজে একমাত্র তার রচিত গ্রন্থই একমাত্র সহায়ক। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের নৌ-কমান্ডোদের ইতিহাস জানতে কমান্ডো মো. খলিলুর রহমানের গ্রন্থসমূহের শরণাপন্ন ছাড়া বিকল্প উপায় নেই।

এই মুক্তিযোদ্ধা অক্টোবর, ১৯৭১-এ মংলা বন্দরের সফল অপারেশনের পর খুলনায় পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পড়েন। যশোর সেনানিবাসে চরম বর্বরোচিত নির্যাতনেও মুখ খুলেননি। প্রায় এক মাস চরম নৃশংস নির্যাতনে মুমূর্ষু অবস্থায় বন্দিদশা থেকে সুকৌশলে নভেম্বরে পালিয়ে ভারতে ফিরে সহযোদ্ধাদের সঙ্গে মিলিত হন। সেই নৃশংস নির্যাতনের চিহ্ন আমৃত্য শরীরে বহন করেছেন।

শরীরের ভেতরঙ্গের যে ক্ষতি হয়েছিল বয়সের তারুণ্যে তার প্রতিক্রিয়া তখন না হলেও, বয়স বৃদ্ধির পর ক্রমেই তার কিডনি, ফুসফুস, হৃদযন্ত্রে বিরূপ প্রতিক্রিয়া শুরু হয়। বয়সের ভারে সে ধকল সামলানো আর তার পক্ষে সম্ভব হয়নি। মাত্র ৬৮ বছর বয়সী মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডো মো. খলিলুর রহমান রাষ্ট্রীয় ও সরকারি কোনো রকম সহায়তা ব্যতিরেকে প্রায় বিনা চিকিৎসায় প্রয়াত হলেন। লজ্জিত-অপমানিত করে গেলেন স্বাধীনতার সুফলভোগীদের এবং হতাশায় ডুবিয়ে দিয়ে গেলেন দেশের সকল মানুষকে। আমাদের স্বাধীনতা যে সমষ্টিগত মানুষের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারেনি, এই সত্য বারংবার প্রমাণিত হয়েছে। মুক্তি তো সুদূরপরাহত। প্রকৃত স্বাধীনতা যদি সকল মানুষকে স্পর্শ করতে পারতো তাহলে একজন ত্যাগী বীর মুক্তিযোদ্ধাকে এভাবে অসহায়ের মতো মরতে হতো না।
  • Courtesy: AmaderShomoy.com/Jan 28, 2018

গ্যান্ট্রি ক্রেনের অভাবে ভোগান্তিতে শিপিং এজেন্টরা





চট্টগ্রাম বন্দরে গ্যান্ট্রি ক্রেনের অভাবে ভোগান্তির শিকার হচ্ছে শিপিং এজেন্টরা। প্রতিবেশি দেশগুলোতে ১শ’রও বেশি গ্যান্ট্রি ক্রেন থাকলেও চট্টগ্রাম বন্দরে আছে মাত্র দুটি। কন্টেইনার ওঠানামায় বিভিন্ন ক্ষতির মুখে পড়ছে জাহাজ মালিকরা।

বিশ্বের যে কোনো বন্দরে জাহাজ থেকে কন্টেইনার ওঠানামার জন্য গ্যান্ট্রি ক্রেনের কোনো বিকল্প নেই। প্রতিটি গিয়ার ভ্যাসেল যেখানে প্রতি ঘন্টায় মাত্র ১০ থেকে ১৫টি কন্টেইনার ওঠানামা করাতে পারে, সেখানে গ্যান্ট্রি ক্রেনপারে ৩৫টির বেশি।

এছাড়া বন্দরগুলোতে গ্যান্ট্রি ক্রেন স্থাপন করায় বর্তমানে অধিকাংশ জাহাজই গিয়ার লেস। অর্থাৎ জাহাজে কন্টেইনার ওঠানামার ক্রেন থাকছেনা। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরে এক যুগ আগে স্থাপন করা চারটি গ্যান্ট্রি ক্রেনের মধ্যে দু’টি কয়েক মাস আগে থেকে অচল পড়ে আছে। প্রয়োজনীয় গ্যান্ট্রি ক্রেন না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে শিপিং এজেন্টদের।

বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহসানুল হক চৌধুরী বলেন, সব দেশে অনেক গ্যান্ট্রি থাকলেও মাত্র দুটি গ্যান্ট্রি দিয়ে আমাদের চলছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, সাধারণত একটি গিয়ার বা ক্রেনবিহীন জাহাজের ভাড়া ৬ থেকে ৮ হাজার মার্কিন ডলার হলেও ক্রেন সংযুক্ত জাহাজের ভাড়া ১২ থেকে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার। গ্যান্ট্রি ক্রেন স্বল্পতার কারণে বাড়তি টাকায় জাহাজ ভাড়া করার পাশাপাশি শিপমেন্ট হারিয়ে ফেলার শংকায় শংকিত থাকতে হয় তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের।

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের (পরিকল্পনা ও প্রশাসন) সদস্য মোহাম্মদ জাফর আলম বলেন, সংকট কাটাতে চীন থেকে ৫০০ কোটি টাকা খরচ করে ১০টি গ্যান্ট্রি ক্রেন কিনবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। আগামী জুনের মধ্যে নতুন কেনা গ্যান্ট্রি ক্রেনগুলো নিউ মুরিং কন্টেইনার জেটিতে স্থাপন করা হবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ১৬টি জেটি থাকলেও মাত্র একটি জেটিতে গ্যান্ট্রি ক্রেনের মাধ্যমে জাহাজ থেকে কন্টেইনার ওঠানামা করানো হয়।
  • সূত্র : সময় টিভি

Country’s economic growth not inclusive as disparity growing

Experts say at book launching programme

Staff Correspondent 



Experts on Saturday observed that the economic growth the country had achieved in recent years was not inclusive as economic disparity was growing due to incoherent development thoughts.

Small and medium enterprises are the key force for the future economic growth in Bangladesh but the sector is not getting proper attention in the development policy prevailing in the country, they said at a book launching ceremony at the Dhaka University RC Majumdar Arts auditorium in the capital.

Academic Press and Publishers Library organised the programme for the launch of the book titled ‘Selected Readings on the Strategies for Inclusive Development in Bangladesh’ authored by Dhaka University economics department professor Momtaz Uddin Ahmed.

‘One type of discussion related to economic development is prevailing in the country, but there are some problems in the concept of economic growth as the issue of disparity is totally absent from the development strategy,’ Power and Participation Research Centre executive chairman Hossain Zillur Rahman said.

He said that disparity was also widening in society due to lack of inclusive policy as farmers and small entrepreneurs, the driving forces for the future economic growth in Bangladesh, were not getting proper attention in the development strategy prevailing in the country.

He said that due to lack of proper definition of small and medium enterprises the driving force of the economy was being deprived of policy support while big companies were getting benefits.

‘The problem of defining the SME is not a technical issue. Rather, it is related to political economy,’ Zillur said. He said that the definition stated who would get policy support and the farmers and small entrepreneurs in the country were not strong enough to get the attention of policymakers.

Policy should be taken to enhance productivity of the SME sector as cheap labour can no longer be sold to the international arena as only component of competitiveness of Bangladesh, Zillur said.

‘The word “inclusive” should have to be included in the development strategy of the country, otherwise discrimination will widen,’ he added.
APPL chairman Mizanur Rahman Shelley said without ensuring meaningful life for people the development of infrastructure like buildings and roads is meaningless.

‘The core of the development should be the improvement of people through building a society with values, otherwise the development process will not succeed,’ he said. Shelley, a former political science teacher at the University of Dhaka and an technocrat cabinet minister, said it is unfair and oppressive to be developed eliminating rights of people who are the core of the development.

He suggested an inclusive strategy so that country’s development turns into comprehensive development.

Centre for Policy Dialogue distinguished fellow Mustafizur Rahman said that the articles included in the book written by Momtaz Uddin Ahmed could play a vital role in adopting any future policy for achieving inclusive growth.
The author presented insightful analysis on the challenges of SMEs along with agro-processing industry linkage, he said.

Weaknesses in developing entrepreneurship are also showed in the book and the author has made recommendations for addressing the shortcomings, Mustafiz said.

South Asian Network on Economic Modelling executive director Selim Raihan said based on the recommendations made by Momtaz Uddin Ahmed the government should adopt policy to remove financial and nonfinancial problems the SME sector was currently facing.

The government should play a role in promoting SMEs for the future economic growth as well as diversification of products, he said.
Selim, also a professor of economics at the University of Dhaka, said that employment in the manufacturing sector was decreasing as new technology was replacing workers.

Citing a recent survey, he said that the number of female workers in the readymade garment sector witnessed a drastic fall in recent years and the number declined to 65 per cent from 80-85 per cent. The number of medium enterprises is still huge in the RMG sector and the government should accommodate SMEs in some special economic zones, Selim said.

National Board of Revenue chairman Md Mosharraf Hossain Bhuiyan said the book would help the economics students a lot.

Momtaz Uddin Ahmed also spoke, among others, on the occasion.
  • Courtesy: New Age Jan 28, 2018

Saturday, January 27, 2018

পেছনের সারিতে বাংলাদেশ

*১০টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ইপিআই সূচক তৈরি করা হয়।
*১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৯।
*আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডি তালিকায় বাংলাদেশের নিচে রয়েছে।
*তালিকায় শীর্ষে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড।




পরিবেশ রক্ষায় বিশ্বের সবচেয়ে পিছিয়ে থাকা দেশের একটি বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণা বলছে, পরিবেশ রক্ষা সূচকে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৯। আফ্রিকার দারিদ্র্যপীড়িত দেশ বুরুন্ডি শুধু এ তালিকায় বাংলাদেশের নিচে রয়েছে।

সম্প্রতি প্রকাশিত ‘এনভায়রনমেন্টাল পারফরম্যান্স ইনডেক্স (ইপিআই) ২০১৮’ শীর্ষক এক গবেষণায় পরিবেশ রক্ষায় বাংলাদেশের এমন করুণ চিত্র উঠে এসেছে।

ইয়েল ও কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সেন্টার ফর ইন্টারন্যাশনাল আর্থ সায়েন্স ইনফরমেশন নেটওয়ার্ক এ গবেষণাটি করেছে। গবেষণার ভিত্তিতে প্রতি দুই বছর পর পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন দেশের অবস্থান তুলে ধরতে বৈশ্বিক এ সূচক প্রকাশ করা হয়। এর আগে ২০১৬ সালের তালিকায় ১৮০ দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৭৩। আর ২০১৪ সালের তালিকায় ১৭৮টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১৬৯। অর্থাৎ প্রতিবছরই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থা আগের চেয়ে খারাপ হয়েছে।

মোট ১০টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে ইপিআই সূচক তৈরি করা হয়। এগুলো হলো বায়ুর মান, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন, ক্ষতিকর ভারী ধাতু, জীববৈচিত্র্য ও বাসস্থান, বনায়ন, মত্স্য সম্পদ, জলবায়ু ও জ্বালানি, বায়ুদূষণ, পানিসম্পদ এবং কৃষি। ১০টি বিষয়ের প্রতিটিতে প্রাপ্ত নম্বর গড় করে বিভিন্ন দেশের অবস্থানের ক্রমতালিকা বা ইপিআই র‍্যাঙ্কিং তৈরি করা হয়। এবারের তালিকায় বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ২৯ দশমিক ৫৬। ২০১৬ সালের তালিকায় বাংলাদেশের সার্বিক স্কোর ছিল ৪১ দশমিক ৭৭। অর্থাৎ পরিবেশ রক্ষার বিভিন্ন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান গত দুই বছরে আরও বেশি খারাপ হয়েছে।

দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে তালিকায় বাংলাদেশের মতো খারাপ অবস্থানে আছে ভারত ও নেপাল। ভারত এ তালিকায় আছে ১৭৭ নম্বরে, নেপাল আছে ১৭৬ নম্বরে। এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কার অবস্থান সবচেয়ে ভালো। এবারের তালিকায় ৬০ দশমিক ৬১ স্কোর নিয়ে দেশটির অবস্থান ৭০তম। এ ছাড়া মালদ্বীপ ১১১, ভুটান ১৩১, আফগানিস্তান ১৬৮ এবং পাকিস্তান ১৬৯ নম্বরে রয়েছে।

এবারের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ড। দেশটির স্কোর ৮৭ দশমিক ৪২। এ তালিকার শীর্ষ দশের বাকি দেশগুলোও ইউরোপের। সুইজারল্যান্ডের পর শীর্ষ দশে রয়েছে যথাক্রমে ফ্রান্স, ডেনমার্ক, মাল্টা, সুইডেন, যুক্তরাজ্য, লুক্সেমবার্গ, অস্ট্রিয়া, আয়ারল্যান্ড ও ফিনল্যান্ড। বায়ুর মান ও জলবায়ু সুরক্ষা সূচকে বিশেষ সাফল্যের কারণে সুইজারল্যান্ড তালিকার এক নম্বরে রয়েছে। সাধারণভাবে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে জনস্বাস্থ্য রক্ষা, প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ ও গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন কমিয়ে আনায় যেসব দেশ সাফল্য পেয়েছে, তারাই এ তালিকায় ওপরের দিকে স্থান পেয়েছে।

প্রতিবেদনে বাংলাদেশ ও ভারত তালিকার নিচের দিকে অবস্থান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, বায়ুর মান উন্নয়ন, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ ও গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমিয়ে আনায় এ দুটি দেশ পিছিয়ে আছে।

বিশ্বে বায়ুর সার্বিক মান সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য বায়ুর মান এখন সবচেয়ে বড় পরিবেশগত হুমকি হয়ে উঠেছে। ২০১৬ সালের গবেষণা অনুযায়ী, পরিবেশদূষণের শিকার হয়ে এখন সারা বছর যত লোক বিশ্বে মারা যায়, তার দুই-তৃতীয়াংশ মৃত্যু ঘটে বায়ুদূষণের কারণে। ভারত ও চীনের মতো উদীয়মান শিল্পের দেশে বায়ুদূষণের সমস্যা এখন প্রকট আকার ধারণ করেছে।

জানতে চাইলে পরিবেশ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক আইনুন নিশাত প্রথম আলোকে বলেন, পরিবেশদূষণ রক্ষায় আইন ও প্রতিষ্ঠানের অভাব নেই, কিন্তু আইনের প্রয়োগে বড় দুর্বলতা রয়েছে। শুধু সরকার নয়, ব্যক্তি পর্যায়েও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি ও আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে।

  • Courtesy: Prothom Alo/Jan 26, 2018

রেলওয়ের অর্ধশতাধিক গাছ উধাও




বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের অফিসার্স কলোনির অর্ধশতাধিক গাছ কোনো দরপত্র ছাড়াই কেটে নেওয়া হয়েছে। কেটে নেওয়া বেশ কিছু গাছের গোড়া এখনো রয়ে গেছে। আলামত গোপন করার জন্য ইতিমধ্যে কিছু গাছের গোড়া তুলেও ফেলা হয়েছে। গাছ কেটে নেওয়ার পর কয়েকটি গাছের গোড়ায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। 

কর্তৃপক্ষ বলছে, অফিসার্স কলোনির ভেতরের সংস্কারের জন্য মাত্র তিন-চারটি গাছ কাটা হয়েছে। সেই গাছগুলো কলোনির ভেতরেই রাখা হয়েছে। দরপত্রের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। কিন্তু ভেতরে গিয়ে দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করার মতো তেমন কোনো কাটা গাছ পাওয়া যায়নি। ভেতরের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কাটা সব গাছ ইতিমধ্যে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। 

রাজশাহী নগরের শ্রীরামপুর এলাকায় রেলওয়ের এই অফিসার্স কলোনি বেশ কয়েক বছর র‍্যাবের ক্যাম্প হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় আগে র‍্যাব তাদের নিজস্ব ক্যাম্পাসে চলে যায়। তারপর থেকে এই কলোনিতে রেলওয়ের কর্মকর্তারা থাকেন। রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী নাজীব কায়সার গাছের তত্ত্বাবধানের দায়িত্বে রয়েছেন। এই কলোনির গেটে লেখা রয়েছে, বিনা অনুমতিতে প্রবেশ নিষেধ। ভেতরের গাছের অবস্থা দেখার জন্য সহকারী প্রকৌশলী নাজীব কায়সারের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, সংস্কারের জন্য তিন-চারটা গাছ কাটা হয়েছে। বাইরে থেকে অনেক বেশি গাছ কাটার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে, এ কথা শুনে তিনি বলেন, মানুষ তো বলার সময় ওই রকম বাড়িয়েই বলে। চারটার কথা শুনলে তারা ৪০টার কথা বলে। তিনি বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই গাছগুলো কাটা হয়েছে। কাটার জন্য দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, কাটা গাছ ভেতরেই রয়েছে। দরপত্র আহ্বানের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। 

কলোনির ভেতরের এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একটি চারা কাঁঠালগাছ, আমগাছের কিছু ডাল, মরা পাতা ও একটি শিমুলগাছের গুঁড়ি পড়ে রয়েছে। তখন শিমুলগাছের গুঁড়িটা কেটে দুভাগ করা হচ্ছিল। সাংবাদিকদের ভেতরে ঢুকতে দেখে যে শ্রমিক শিমুলগাছের গুঁড়িটা কাটছিলেন, তিনি চলে যান। এগুলো দরপত্র আহ্বান করে বিক্রি করার মতো কোনো কাঠের গাছ নয়। 

তবে সাম্প্রতিক সময়ে কেটে নেওয়া গাছের গোড়া পাওয়া গেল। কলোনির ভেতরে ৫৫টি গাছ কেটে নেওয়ার চিহ্ন রয়েছে। এর মধ্যে কোনো গাছের গোড়া অবিকল রয়েছে। কোনোটির গোড়া মাটি খুঁড়ে তুলে ফেলা হয়েছে। তবে তার পাশেই মোটা শিকড় রয়েছে। আবার কোনো গাছ কেটে নেওয়ার পর গোড়ায় আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে বোঝা না যায় যে সেখান থেকে গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে। কলোনির ভেতরে যেসব কর্মচারী রয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গাছগুলো প্রায় ছয় মাসের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে কাটা হয়েছে। 

এই গাছগুলোর মধ্যে বেশির ভাগই মেহগনি। এ ছাড়া রয়েছে কয়েকটি নারকেল, পেয়ারা ও আমগাছ। সাম্প্রতিক সময়ে কাটা এই গাছগুলো ছাড়া কলোনির ভেতরে আরও ১৮টি পুরোনো গাছের গোড়া দেখা গেছে। কলোনির ভেতর থেকে বের হওয়ার পর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী নাজীব কায়সারের মুঠোফোনে বারবার চেষ্টা করা হলেও তিনি আর ফোন ধরেননি। রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী রমজান আলীর মুঠোফোনে চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। 

গাছ কাটার জন্য রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বন বিভাগের কোনো অনুমতি নিয়েছে কি না, জানতে চাইলে রাজশাহী বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এস এম সাজ্জাদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে রেলওয়ে গাছ কাটার জন্য তাঁদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েছে বলে তাঁর মনে পড়ছে না। তিনি বলেন, সরকারি সম্পত্তির গাছ কাটতে হলে অবশ্যই বন বিভাগের অনুমতি নিতে হবে। সাধারণত উন্নয়নমূলক কোনো কর্মকাণ্ডের ব্যাপার না থাকলে বন বিভাগ থেকে তাজা গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয় না।
  • Courtesy: ProthomAlo an 27, 2018