Search

Wednesday, October 21, 2020

সারমেয় প্রবৃত্তি

—  আহাদ আহমেদ


সারমেয় সমাজে একটা রীতি আছে, নিয়ম আছে তার প্রজননের। যেটাকে প্রজনন মৌসুম  বলে। পশু সমাজে এটা নিয়ম মেনেই হয়। এরকম মৌসুমে রাস্তার সারমেয়রা যত্রতত্র সঙ্গীর গায়ের ওপর লাফিয়ে ওঠে।কেউ কখনো বলে নাই যে এই সারমেয়টি ধর্ষকামী বা ধর্ষক।কিংবা কেউ এমনও মুন্ডুপাত বিশেষ করে না যে, -"ছ্যা ছ্যা সারমেয় সমাজটা একদম  রসাতলে গেল গো!!"
বাংলা প্রবচন আছে- কুকুরের কাজ কুকুর করেছে, কামড় দিয়েছে পায়।তাই বলে কি কুকুরের পায়ে কামড় দেয়া মানুষের শোভা পায়?
আজ দেশে মেগা-দুর্নীতি আর হত্যা-গুমের যে সংস্কৃতি চলছে, দেশের মালিক জনগনকে যে ভাবে পদ্ধতিগত প্রক্রিয়ায় অবজ্ঞার ব্যাবস্থা করা হয়েছে তা সারমেয় মনোজগতেরই লক্ষন। যেটা সারমেয় সমাজে রীতি সেটা মানুষের সমাজের নীতি হতে পারে না। গরুর হাটে বাজারে দেখা যায় কিছু  বেয়াড়া ষাড় ত্রাস তৈরি করে। দড়িটি যে কৃষক বা গরুর মালিকের  হাতে বা খুটিতে বাঁধা সে জানে দুই ঘা বসিয়ে দিতে হবে দমন করতে। নাকি দড়ি ছেড়ে দিতে হবে?
এই যে দুই ঘা বসাতে আলাদা করে আইন করার দরকার নেই। এটাই পশু পালনের নিয়ম।
কোন দেশে মানুষের  মধ্যে সারমেয় প্রবৃত্তির বিকাশ ঘটে জবাবদিহিতার অনপুস্থিতিত্তে। সাধারণতঃ বাধাহীন জনরায়  প্রকাশের মাধ্যম  নির্বাচন ব্যবস্থা চালু থাকলে  ন্যুনতম  জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়।তাই ভোটাধিকার  প্রয়োগের একটা নিরপেক্ষ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সাথে সারমেয় প্রবৃত্তি দমন অঙ্গাঅঙ্গি জড়িত।


  • লেখক - রাজনৈতিক বিশ্লেষক 

No comments:

Post a Comment