Search

Tuesday, August 2, 2016

Fewer Foreigners on Streets of Dhaka

Latin American Herald Tribune

DHAKA – Concrete blocks, barbed wire, armored cars, checkpoints and plainclothes officers are widespread across Dhaka’s diplomatic heart Gulshan, whose streets and public spaces have emptied of foreigners following the nearly month-old terrorist massacre at an upscale restaurant in the area. 

Since 2013, Bangladesh has seen a spate of targeted attacks against minority groups which intensified in 2015, but it was the early July restaurant attack by a terrorist cell loyal to the Islamic State group that is proving to be decisive.

The July 1-2 hostage crisis claimed 22 lives, mostly foreigners, who were also tortured before being killed.

Marking a watershed moment in the security of the Bangladeshi capital, the attack is leading to a transformation of the city, reminiscent of Pakistan’s Islamabad after the 2008 truck-bomb suicide attack on the upscale Marriott hotel.

Holey Artisan Bakery and O’ Kitchen Restaurant, the cafe that came under militant siege in Dhaka, used to be a hotspot for expats and the Bangladeshi elite: it was a welcome respite for foreigners living a life of relative isolation in Bangladesh.

Growing numbers of Westerners in the country – usually aid workers or businessmen from the thriving textile industry – are now seen leaving the country each day, while few incoming faces from that part of the world are seen at the city airport’s arrivals terminal.

“I decided I couldn’t stay at home as if in prison, with the curtains drawn at such and such hour, and feeling paranoid at any sound on the staircase or the street,” Estela Botello, a designer from Madrid who was working for a textile company here, told EFE about her decision to return to Spain this week.

Others have either been repatriated by their firms, are speeding up projects, or have been temporarily moved to safer places in the region.

Meanwhile the embassies of the United States, United Kingdom, Australia and Canada monitoring the situation following the Islamist surge have declared the country a “non-family duty station.”

Westerners who remain face several restrictions on a daily basis.

“We have been advised not to go walking or cycling in the streets, or hire three-wheeler rickshaws (a local mode of transport); also to vary our travel routes by car. We can go to the main hotels and supermarkets but preferably before 3 p.m.,” said a British national working at an educational center, who did not wish to be named.

Beefed up security measures are conspicuous across the affluent Gulshan neighborhood, which in addition to embassies houses several multinational firms, but now looks akin to a labyrinth with streets closed to traffic and police personnel everywhere.

“Life is now about going from work to home, and from home to work. They tell you: ‘stay away a few months, and this will stabilize.’ But many have left already, and others are planning to go too,” another Spanish textile employee remarked.

However, as an omnipresent topic of discussion, the prevailing tension is helping strengthen bonds within the expat community; their once-active social life, no longer feasible in the city’s public spaces at night, has turned to parties at home.

Sunday, July 31, 2016

British reporter, 81, held in Bangladesh for three months


By IAN BIRRELL FOR THE MAIL ON SUNDAY
An elderly British journalist investigating corruption in Bangladesh has been arrested by a police squad that received UK aid funding despite allegations of torture.

Shafik Rehman, 81, was seized in April on accusations of plotting to kidnap and kill the prime minister's son. He has been held without charge for three months, and his family fears he faces the death penalty if convicted.

The former BBC contributor, who has dual British and Bangladeshi nationality, is a prominent opposition figure. He is also credited with introducing Valentine's Day as a holiday to the mainly Muslim country.

Britain is Bangladesh's biggest aid donor. This year it is handing over £154 million, despite growing repression and a free-speech crackdown that has seen three leading opposition journalists arrested since 2013.

'This is the problem with aid all over the world – there is no accountability,' said Mr Rehman's son Shumit, who runs a tuition company in North London. 'But ultimately Britain is responsible if it is paying these people.'

His father, who trained as an accountant and edits a popular magazine, was taken by police posing as a TV crew then interrogated for ten days, his family say.

Mr Rehman was forced to sleep on the floor in solitary confinement for a further 15 days, despite worsening health problems. He suffers from diabetes and has a stent in his artery.

His cell in a notorious prison is next to another prominent journalist who has been held without charge for three years. Mr Rehman, who has three grandchildren in Britain, has told his family he fears the same fate.

He was arrested by Bangladesh's detective branch, which is accused by Human Rights Watch of being responsible for serious abuses 'including arbitrary arrests, torture, enforced disappearances and killings'. Yet in 2009, Britain gave £10 million towards a five-year United Nations scheme to enhance the unit's ability to deal 'professionally' with investigations.

The police training continued until seven months ago. British aid to Bangladesh includes £33.63 million for a 'safety and justice programme', despite a warning last year that such support 'could be used for political purposes and/or human rights violations'.

The watchdog said UK aid may be helping intelligence efforts 'used to monitor and suppress political opposition groups'.

Bangladesh has been sliding into authoritarian rule and was hit by a series of Islamist murders in recent months. Mr Rehman's family, who called the allegations 'farcical', believe his arrest was linked to an advisory role he took with the main opposition leader earlier this year.

Maya Foa, of anti-death penalty charity Reprieve, which has taken up the case, said: 'Britain must demand answers from Bangladesh on whether UK aid has contributed to the arrest of journalists like Shafik Rehman.'

The Department for International Development said aid to Bangladesh police stopped last year, adding: 'It is wrong to suggest DFID funding contributes to human rights violations. The UK Government is committed to protecting human rights and holding to account those responsible for the worst violations and abuses.'


গুলশানের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড: ব্যবসা কমেছে ৮০ ভাগ


শেখ আবু তালেব, শীর্ষ নিউজ, ঢাকা: জঙ্গি হামলার পর থেকে দীর্ঘ এক মাস পেরিয়ে গেলেও নিরাপত্তা শঙ্কায় ক্রেতার অভাবে ভেঙ্গে পড়েছে গুলশান এলাকার অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন আগের চেয়ে প্রায় ৭৫ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত বিক্রি কমে গিয়েছে। ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে পণ্যর দাম কমানোর পাশাপাশি কৌশলী ভূমিকা নিচ্ছেন অনেকেই।
 
পাঁচ তারকা হোটেল ওয়েস্টিন পর্যন্ত দুপুরের ও রাতের বুফে খাবারের সঙ্গে গেট-ওয়ান, ফ্রি-ওয়ান নামে বিশেষ অফার শুরু করে দিয়েছে। তারপরেও ঘুরে দাঁড়াতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।

গত ১ জুলাই গুলশানের অভিজাত রেস্তোরাঁ হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২২জন। এরমধ্যে বিদেশি নাগরিক হলেন ২০ জন। উদ্ধার অভিযানে পাঁচ জঙ্গি ও এক বাবুর্চি নিহত হন। এ হামলার পর থেকেই ব্যবসায় ধ্বস নেমেছে।

বিশ্বের নামকরা প্রতিষ্ঠানের পণ্যের পসরা বসে গুলশান এলাকায়। সবচেয়ে দামি ও বিলাসবহুল পণ্যের জন্য এ এলাকার বিপণি বিতানগুলোতে যেতে হয় ক্রেতাদের। খাবারের মসলা থেকে শুরু করে নামি ব্রান্ডের পোশাক পেতে এখানকার শপিং সেন্টারগুলোর উপরই ভরসা করতে হয় ক্রেতাদের। প্রতিদিন লাখ লাখ টাকা লেনদেনকারী ব্যবসায়ীরা এখন অলস সময় পার করছেন। একজন গ্রাহকের অপেক্ষায় তীর্থের কাকের মতো চেয়ে থাকছেন তারা। খাবারের দোকানগুলো গ্রাহক টানতে একটির সঙ্গে আরেকটি ফ্রি দিচ্ছে। গুলশান-১ ও ২ এলাকার বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

গুলশান, বারিধারা ও বনানী এলাকায় বিদেশি নাগরিকদের আবাস ও চলাফেরা। এ হামলার পর থেকে বিদেশি নাগরিকরা চলাচল একেবারেই কমিয়ে দিয়েছে। নিরাপত্তার নামে গুলশান-১ পর্যন্ত বাস চলাচল করেছে প্রশাসন। গুলশান-২ এ সকল প্রকার বাস ও গণপরিবহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। রিক্সা চলাচল পর্যন্ত নিয়ন্ত্রণ করা হয়ছে। চলাচলে বিশেষ রিক্সা এখনো নামানো হয়নি। গুলশান এলাকায় ঢুকতে চলছে নিরাপত্তা চেক। অনেক সময় হয়রানির শিকার হচ্ছেন পথচারিরা। অহেতুক হয়রানি এড়াতে গুলশান এলাকায় যাতায়াত কমিয়েছেন সবাই। গাড়িওয়ালারাও না পারলে এড়িয়ে চলছেন গুলশান। ফলে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড কমে গিয়েছে এ এলাকার ব্যবসায়ীদের।

ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অভিজাত শ্রেণীর রেস্টুরেন্টগুলো খাবার ও আবাসিক হোটেলগুলো তাদের রুম ভাড়ার ওপর দিচ্ছে বিশেষ ছাড়। ক্রেতার অভাবে খাদ্য তৈরি কমিয়ে দিয়েছে ফাস্টফুড, চাইনিজ, থাই, ইন্ডিয়ান খাবারনির্ভর বিভিন্ন অভিজাত রেস্টুরেন্ট। অনেকেই এমাসের প্রতিষ্ঠান চালানোর খরচতো দুরের কথা ভাড়া পর্যন্ত উঠাতে পারেনি। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের উপর নির্ভরশীল লিংকেজ প্রতিষ্ঠানগুলোর আয় কমে গিয়েছে। সবচেয়ে বেশি ভেঙ্গে পড়েছে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। বিক্রি না থাকায় তারা মূলধন ভেঙ্গে সংসার চালাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

ক্ষতির তালিকায় প্রথম সাড়েতে রয়েছে বিদেশি নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলো। সূত্র জানিয়েছে, পাঁচতারকা হোটেল ওয়েস্টিন ভুগছে গ্রাহক সংকটে। আপদকালীন সময়ে কোনমতে চলছে প্রতিষ্ঠানটি। গ্রাহক শুন্যতায় ভুগছে হোটেলটির ক্যাফে। অতিথি আকর্ষণে দুপুর ও রাতের বেলায় বুফে খাবারের সঙ্গে একটি নিলে একটি ফ্রি দিতে গেট-ওয়ান, ফ্রি-ওয়ান বিশেষ অফার দিচ্ছ। আবাসিক রুমের ভাড়ার ওপর দিচ্ছে বিশেষ ছাড়। প্রচারণা চালাচ্ছে কৌশলী ভূমিকায়। নিয়মিত গ্রাহকদের জন্য দিচ্ছে বিশেষ ছাড়। এছাড়ও গ্রাহক টানতে ক্রেডিট কার্ডের বিপরীতেও সকল সেবার উপর বিশেষ ছাড় দিচ্ছে হোটেলটি।

গুলশান কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের বিপরীতে ইন্ডিয়ান খাবারের জন্য বিখ্যাত একটি রেস্টুরেন্ট। জানা গেছে, সারাদিন অলস সময় পার করতে হয়। সন্ধ্যার দিকে একটু কাস্টমার হয়। তা ঘণ্টা খানেকের জন্য। আগে গুলশান জমত রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে। রাত যত গভির হতো কাস্টমারও তত বেশি হতো। রাত ১২টা পর্যন্ত আমার রেস্টুরেন্ট খোলা রাখতাম। এখন রাত নয়টার মধ্যেই বন্ধ করতে হয়।

সকাল আট টা থেকে রাত তিনটা পর্যন্ত প্রায় ১৮ ঘণ্টা ওষুধের দোকান খোলা রাখেন গুলশান-২ গোলচত্বর এলাকার এক ব্যবসায়ী। দোকানটির মালিক জানান, তার কাছে দেশি-বিদেশি প্রায় সকল ওষুধই পাওয়া যায়। গ্রাহকদের জন্য সকাল ৮টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখা হয়। গ্রাহক সামাল দিতে রয়েছে ১২ জন কর্মচারি। গুলশান হামলার পরে দোকানে বিক্রি কমেছে প্রায় ৮০ শতাংশের মতো। বিদেশিরা আসছেন না একেবারেই।

তিনি জানান, গুলশান চলেই মূলত আশপাশের লোকজন দিয়ে। বনানী এলাকার লোকজনও গুলশান থেকেই কেনাকাটা করেন। তারা আসতে পারছেন না, আবার নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক আছে। তাই কাস্টমাররা অন্য কোথাও চলে যাচ্ছেন। এ অবস্থা চলতে থাকলে দোকানের কর্মচারি কমাতে হবে।

সিটি করপোরেশন নিয়ন্ত্রিত গুলশান মার্কেটেও নেই ক্রেতা সামাগম। পার্কিং এলাকায় আগে যেখানে গাড়ি দাঁড় করানো মুশকিল হতো। এখন সেখানে ফাঁকা জায়গা পড়ে রয়েছে।

এই মার্কেটেই এন্টিক (দুর্লভ) জিনিসের বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের কর্মী জানান, রাজা-বাদশাহদের আমলে ব্যবহৃত ও হারিয়ে যাওয়া দুর্লভ বস্তুই আমরা বিক্রি করি। এর মধ্যে পিতলের জিনিসপত্রই বেশি। সৌখিন এসব জিনিসপত্রের ক্রেতা মূলত বিদেশি ও ধনী শ্রেণির লোকজন। জঙ্গি হামলার পর থেকে বিদেশিরা আসছেন না। দেশিয়রা আসছেন, দেখছেন চলে যাচ্ছেন। বিক্রিতে ধ্বস নেমেছে।

গুলশান মার্কেটের কাপড়ের দোকান সৌখিন বস্ত্রালয়ের কর্মচারি জানান, ছোট্ট এই দোকনটিতে মেয়েদের থ্রী-পিছ, তোয়ালে, গামছা, মোজাসহ প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস পাওয়া যায়। আগে দৈনিক পনেরো থেকে বিশ হাজার টাকার বিক্রি হতো। এখন দুই হাজার টাকাও হয় না। গুলশান হামলার পর থেকে এবারের ঈদেও বিক্রি কম হয়েছে। এমাসে দোকান ভাড়া ষোল হাজার টাকাও উঠানো যাবে না। একই অবস্থার কথা জানিয়েছেন পাশের দোকানদারও।

এ অবস্থায় সবচেয়ে বেশি সংকটে পড়েছে ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা। দীর্ঘ দশ বছর ধরে এ এলাকায় ব্যবসা করছেন কামাল। বিভিন্ন দরের বড় সাইজের তোয়ালে বিক্রি করেন তিনি। কামাল জানালেন, এখন চালান ভেঙ্গে সংসার চালাতে হচ্ছে। আর কয়েকদিন এভাবে চললে গুলশান এলাকা ছাড়তে হবে। অন্য ব্যবসায় নামতে হবে।

আতঙ্কের কারণে গুলশান এলাকায় চলাফেরা করছেন না সাধারণ মানুষ ও বিদেশি নাগরিকরা। এর প্রভাব পড়েছে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে। সরকার ইতিমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে গুলশান এলাকায় কোন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান, অফিস থাকবে না। অনুমোদনহীন প্রতিষ্ঠানগুলোকে গুলশান ছাড়তে বলা হয়েছে। ফলে নতুন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে ব্যবসায়ীদের মধ্যে। কোটি কোটি টাকা বিনিয়োগে গড়া এসব প্রতিষ্ঠান কোথায় নিয়ে যাবেন, সে চিন্তা দানা বেঁধেছে তাদের মনে।

গুলশানবাসী ও ব্যবসায়ীরা বলছেন, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সড়ালেই যে সমস্যা সমাধান হবে তা নয়। আগে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে হবে। আতঙ্কিত মানুষদের নিশ্চয়তা দিতে হবে। সকল উদ্যোগে স্বচ্ছতা দেখাতে হবে প্রশাসনকে। পরিস্থিতি উন্নয়নে সকল রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজকে ভূমিকা রাখতে হবে। নইলে দেশের মধ্যে ও বিদেশে বাংলাদেশের মর্যাদা আরও ক্ষুন্ন হবে।

Friday, July 29, 2016

বাংলাদেশে বিদেশিরা আতঙ্কে

 


DW.COM

ঢাকায় নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. টোমাস প্রিনৎস বাংলাদেশের একটি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, পহেলা জুলাইয়ের ঘটনার পর বিদেশিদের মধ্যে এক ধরনের আতঙ্ক তৈরি হয়েছে৷ ‘‘আমার অন্তত দুই জন সহকর্মী গ্রীষ্মকালীন ছুটিতে যাওয়ার পর আর ফিরবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছেন৷ সব মিলিয়ে কতজন সহকর্মী আর ফিরবেন না সেটা এখনই বলা যাচ্ছে না৷ কারণ এখনও গ্রীষ্মকালীন ছুটি চলছে৷ ছুটি শেষ হলেই জানা যাবে কতজন আসছেন না৷ যাঁদের শিশু সন্তান রয়েছে তাঁদের মধ্যে আতঙ্কটা আরো বেশি৷''


পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত

হলি আর্টিজান বেকারিতে নিয়মিত যাতায়াত ছিল নীপিন গঙ্গাধরের৷ বিদেশি এক বেসরকারি সংস্থার শীর্ষ পদে আছেন এই ভারতীয়৷ গুলশানে হামলার পর তাঁর বন্ধুমহলের অনেকেই এখন ঢাকায় নেই৷ কয়েকদিন আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘‘হামলার কথা জেনে প্রথমে স্তম্ভিত হয়েছি৷ ওটা একটা নিরাপদ জায়গা ছিল৷ আমরা প্রায়ই সেখানে যেতাম৷ ওখানকার রুটি আমার বাসার নিয়মিত খাবার ছিল৷ ওই হামলা বিদেশিদের শঙ্কিত করে তুলেছে৷ কারণ অনেকে ওই হামলার গোলাগুলির শব্দ নিজ কানে শুনেছে, কোনো পত্রিকা পড়ে বা টিভিতে দেখে নয়৷''


নীপিন গঙ্গাধর আরো জানান, সবাই পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন৷ তবে তাঁর বিদেশি বন্ধুরা আরো কিছুটা সময় নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চান৷ মূলত নিজেদের এবং তাঁদের পরিবারের নিরাপত্তা নিয়ে উৎকণ্ঠা কাজ করছে বলে জানান তিনি৷


সতর্ক হয়ে চলাফেরা

বাংলাদেশে একটি ভারতীয় এয়ারলাইন্সের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করছেন শ্রীলংকান নাগরিক জে এফ মার্জিয়া৷ ডয়চে ভেলেকে তিনি বলেন, ‘‘এটা একটা সুন্দর দেশ৷ ২৫ বছর আগে এই দেশে এসে আমি মুগ্ধ হয়েছিলাম৷ এখনো ভালো লাগে৷ তবে সাম্প্রতিককালের ঘটনা খানিকটা উদ্বিগ্ন করেছে৷ এখন সতর্কভাবে চলাফেরা করি৷''


বাড়তি নিরাপত্তা

গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর কূটনৈতিক এলাকার বিদেশি নাগরিকদের বাড়তি নিরাপত্তা দিচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী৷ দূতাবাসগুলোর সামনে মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ৷ নিরাপত্তার স্বার্থে সার্বক্ষণিক নজর রাখা হচ্ছে বিদেশিদের চলাফেরায়৷ তবে জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেছেন, ‘‘গুলশান এত জনবহুল যে এখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিচ্ছিদ্র করা সম্ভব নয়৷ কারণ অনেক মানুষ এখানে প্রতিদিন বাইরে থেকে আসেন৷''


তৈরি পোশাক খাত নিয়ে শঙ্কা

পরপর দুটি বড় জঙ্গি হামলার ঘটনা বিপাকে ফেলেছে বাংলাদেশের প্রধান রফতানি আয়ের উৎস তৈরি পোশাক খাতকে৷ এ খাতের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ওই ঘটনার পর ক্রেতারা বাংলাদেশে আসতে চাইছেন না৷ পোশাক খাতে কমর্রত বেশ কিছু বিদেশি নাগরিক নিজ দেশে ফিরে গেছেন৷ নিরাপত্তাহীনতার কারণে অনেক ক্রেতা সাময়িকভাবে আসতে চাইছেন না৷ অনেকে তৃতীয় কোনো দেশে গিয়ে বৈঠক করতেও অনুরোধ করছেন৷


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, বাংলাদেশ থেকে কোনো ক্রয়-আদেশ এখনো বাতিল হয়নি৷ কোনো বিদেশি কোম্পানির ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্তও জানা যায়নি৷ তবে বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে কার্যাদেশ (অর্ডার) কমে যাওয়ার আশঙ্কা আছে৷ তিনি বলেন, ‘‘আশঙ্কা করছি যারা বেশি অর্ডার দিত তারা কমিয়ে দিতে পারে৷ গ্রীষ্মকালীন ক্রয়াদেশের জন্য আমাদের জুলাই থেকে নেগোসিয়েশন শুরু হয়৷ আল্লাহ না করুক এই পরিস্থিতি যদি চলতে থাকে আশঙ্কা তখন অ্যাবসলিউট হয়ে যাবে৷''


ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘‘অনেক গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের বিদেশি ক্রেতারা বাংলাদেশের বদলে দিল্লি, ব্যাংকক ও হংকংয়ে সভা করার প্রস্তাব দিয়েছে৷ এছাড়া নিজ দেশের নাগরিকদের বাংলাদেশে ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি ইউরোপীয় দেশ৷''


তবে ২৮টি মার্কিন প্রতিষ্ঠানের জোট ‘আল্যায়েন্স' বাংলাদেশ থেকে পোশাক ক্রয় অব্যাহত রাখবে বলে জানিয়েছে৷ অন্যদিকে ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট ‘অ্যাকর্ড' বাংলাদেশে কর্মরত ইউরোপীয় কর্মীদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে৷

ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক, এফবিসিসিআই সভাপতির সতর্কবার্তা

শীর্ষ নিউজ, ঢাকা: ডাচ-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিবিসিসিআই) এর সভাপতি হাসান খালেদ নিখোঁজের পরে নিহত হওয়ার ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। নিজেদের নিরাপত্তায় উদ্বিগ্ন হওয়ায় জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সহসাই কোথাও যাচ্ছেন না কেউ। ব্যবসায়ীরা জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানিয়েছেন সরকার ও ব্যবসায়ী নেতাদের। এদিকে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ ব্যবসায়ীদের এক ই-মেইল বার্তা দিয়ে চলাচলে অতিরিক্ত সতর্ক হওয়ার জন্য বলেছেন।

গত ২৩ জুলাই সকালে ধানমন্ডির ৪/এ রোডের ৪৫ নম্বর বাসা থেকে বের হয়ে ওষুধ আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন ডিবিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হাসান খালেদ। তাকে অপহরণ করা হতে পারে বলে আশঙ্কার কথা জানিয়ে পরের দিন ২৪ জুলাই তার শ্যালক শরীফুল আলম ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার জিডি নম্বর-১০৫৫। ২৬ জুলাই হাসান খালিদের লাশ কামরাঙ্গীরচর থানাঘাট এলাকায় বুড়িগঙ্গা নদীতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়।

ব্যবসায়ী সমাজে পরিচিত মুখ এ ব্যবসায়ী নেতার নিখোঁজ হওয়া ও নদীতে লাশ পাওয়া যাওয়ায় দেশের ব্যবসায়ী সমাজের মধ্যে চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে।

সতর্ক বার্তা দিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি

চলমান অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদ ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দসহ ব্যবসায়ীদের একটি ব্যক্তিগত ই-মেইল বার্তা দিয়ে সতর্ক থাকতে বলেছেন। অপরিচিত জায়গায় যেতে নিষেধ করেছেন।

ইংরেজিতে দেওয়া ই-মেইল বার্তায় সার্বিক পরিস্থিতি তুলে ধরে তিনি এক পর্যায়ে লিখেছেন,We should be now extra careful on our movement, restrain from visit to unknown places and reach home as early as possible. (চলাফেরায় এখন থেকে আমাদের অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত, অপরিচিত জায়গায় যাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং যতদ্রুত সম্ভব বাসায় পৌঁছাতে হবে)।

অবশ্য যদিও বৃহস্পতিবার বিকেলে ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের নিয়ে সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন এফবিসিসিআই সভাপতি। সেখানে তিনি বলেছেন, বর্তমানে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পূর্ণ স্বাভাবিক। বিদেশীরাও কাজ করছেন স্বাভাবিকভাবেই। অপরদিকে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্সের(এমসিসিআই) সভাপতি সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর একই সময়ে বলেছেন, সব জায়গায় নিরাপত্তার জন্য সরকার এখন যে সাপোর্টটা দিচ্ছে, এটা অনবরত দিয়ে যেতে হবে। তাহলে সবার আস্থা ধরে রাখা যাবে।

শঙ্কিত ব্যবসায়ীরা

সম্প্রতি গুলশান ও কিশোরগঞ্জের ঈদগাহে জঙ্গি হামলায় নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে পুরো দেশের জনসাধারণের মনে। এর পরেই কল্যাণপুরের ঘটনা সেই শঙ্কাকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এমন সময়ে ব্যবসায়ী নেতার লাশ উদ্ধার হওয়ায় দেশে-বিদেশে ঢাকার নিরাপত্তা ইস্যুটি ফের আলোচনার জন্ম দিয়েছে। শঙ্কিত অবস্থায় জীবন-যাপন করছেন ব্যবসায়ী নেতারা। অন্যান্য চেম্বার সভাপতিদের মধ্যেও দেখা দিয়েছে আতঙ্ক। নিজেদের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কার কথা জানাচ্ছেন সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ে ও ব্যবসায়ী মহলে। খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোথাও যাচ্ছেন না কেউ। সবসময় পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন অনেকেই।

যেভাবে নিখোঁজ হলেন হাসান খালেদ

২৩ জুলাই হাসান খালেদ বাসা থেকে বের হওয়ার পরে সিঁড়িতে তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা হয় হাসান খালেদের। তার স্ত্রী মর্নিং ওয়াল্ক (সকাল বেলার হাটা) করে ফিরছিলেন। স্ত্রীকে জানান ওষুধ আনতে নিচে যাচ্ছেন। 

পরিবারের সদস্যরা জানান, সকালে নাস্তা করার আগে ওষুধ খেতে হয় হাসান খালিদের। নাস্তার টেবিলে বসে দেখেন ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। পরিবারের সদস্যদের বলেন, নিচে ওষুধ আনতে যাচ্ছি। একথা বলেই খালেদ বাসার নিচে নেমে যান। আর বাসায় ফেরেননি তিনি। দীর্ঘ সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরে খালিদের মোবাইলে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। এর পর থেকেই পরিচিত ও আত্মীয়-স্বজনের কাছে তার বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হয়। সারাদিন খোঁজ না পেয়ে পরে থানায় জিডি করা হয় স্বজনদের পক্ষ থেকে।

তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, সকালে নাস্তা করেই অফিসে যাওয়ার কথা ছিল হাসান খালিদের। সারাদিন অফিসে না যাওয়ায় উৎকণ্ঠা বেড়ে যায় তাদের।

অনেক প্রশ্নের উত্তর মিলছে না

বাসার নিচ থেকে তাকে কারা তুলে নিয়ে গেল এ নিয়ে পুলিশ কিছুই উদ্ধার করতে পারেনি এখনো। কিভাবে এবং কারা তাকে তুলে নিয়ে গেল, এত সকাল বেলায় তাকে তুলে নেওয়া হলো, কেউ তা দেখলো না, কোন ধরণের হইচইও হলো না- এমন অনেক প্রশ্নের উদয় হয়েছে পরিবারের সদস্যদের মনে।

পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এসব বিষয় এবং তার মোবাইলের কললিস্ট যাচাই করলে অনেক কিছু পাওয়া যেতে পারে।

মিশুক প্রকৃতির ছিলেন হাসান খালেদ

জানা গেছে, নিহত ব্যবসায়ী নেতা হাসান খালেদ ছিলেন খুবই মিশুক প্রকৃতির। সজ্জন হিসেবে ব্যবসায়ী মহলে তার খ্যাতি রয়েছে। ধানম-ির ভাড়া বাসায় পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার কোন ব্যবসায়ীক বা ব্যক্তিগত শত্রু থাকতে পারে বলে বিশ্বাস করছেন না ব্যবসায়ী ও পরিবারের লোকজন।

পুলিশের ধারণা আত্মহত্যা

পরিবার সূত্র জানিয়েছে, হাসান খালেদের লাশ পাওয়ার পরে পরিবারের সদ্যসদের পুলিশের পক্ষ থেকে শুরুতে জানানো হয়েছিলো, তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। তবে পুলিশের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হননি পরিবারের কোন সদস্য বা তার সহকর্মীরা কেউ। তারা বলছেন, নিখোঁজ হওয়ার পরে তাকে অপহরণ করা হয়েছে উল্লেখ করেই থানায় জিডি করা হয়েছিল।  আমাদের জানা মতে খালিদের কোন শত্রু নেই।

প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হাসান খালেদ

আশির দশকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করছেন তিনি। কেমিকো বাংলাদেশ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ছিলেন হাসান খালেদ। তার অফিস রাজধানীর নিউ ইস্কাটনের হাসান হোল্ডিং ভবনের অষ্টম তলায়।

গত ২৫ বছর ধরে তিনি আমদানি-রপ্তানি ও প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ডাচ-বাংলা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ গঠনে উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনিও একজন।

এছাড়াও খালেদ বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের বাণিজ্যের উন্নয়নে ট্রেড ফ্যাসিলিটেটর হিসেবেও কাজ করেছেন দীর্ঘ সময়। তার গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার ছাগলনাইয়া থানার পূর্ব জয়পুর গ্রামে।

Thursday, July 28, 2016

Bangladesh waiting for BJP govt to resolve Teesta problem

By: ANI; New Delhi

Asserting that the present Indo-Bangladesh relation is “very good”, former Bangladesh prime minister Moudud Ahmed has said the most outstanding issue between the two countries is water sharing of various rivers and they are still waiting for the BJP government to take the initiative and resolve the Teesta river water problem.
“The present relationship is very good. We had two outstanding problems. One was the land boundary agreement, which is now being implemented. Second, we had a problem with maritime zone, where we could not go and explore oil or gas in the water of Bay of Bengal, which has now been resolved very amicably through arbitration. The two outstanding problems have been resolved in a very friendly way,” said Ahmed, who is also a former Bangladesh vice president and a senior leader of the Bangladesh Nationalist Party (BNP).
He, however, said the most outstanding issue between India and Bangladesh is the water sharing. “There are 53 rivers and almost all the rivers are coming from India to Bangladesh, and we are lower riparian country. We have been used to utilising this water for centuries for our agriculture, but we have agreement with regard to only one river and i.e. the Ganges. We have a 30-year treaty to share the water. But, with regard to any other river, there has been no agreement so far,” the former vice president told ANI on Tuesday.
“With regard to Teesta river, there was going to be an agreement when Mr. Manmohan Singh visited Bangladesh, but that also did not work out. So, we are still waiting for the BJP government now to take the initiative and resolve the Teesta river water problem,” he added.
Much against the rhetoric that the Dhaka terrorist attack had its links in Pakistan, Ahmed said, “The government has not been able to identify this and they are denying that there is any foreign connection. According to the government, these are home-grown terrorism.”
“As far as Bangladesh is concerned, Pakistan has no relevance any more. I do not see in what way they will benefit, because they have terrorism within their own country. Almost everyday and every week suicide bombing is taking place in Pakistan. So, in Bangladesh, the present government denies any outside connection, and the government itself says there is no international connection. According to the government, these are home-grown terrorism,” said the BNP leader.
Responding a question on the alleged link of controversial Islamic preacher Zakir Naik with one of the Dhaka attack accused, he said, “That I cannot say, that is up to the government to say whether there has been a link or not. I really have not listened to him. I do not know what is he saying and what are his views? So, I don’t want to make any comment on that. But, anybody, it doesn’t matter whether it is Mr. Naik or not, anyone who preaches violence and inspires violence, I and our party would condemn it and would not support it.”
When asked for his opinion on both India and Bangladesh facing terrorism, the BNP leader said, “There may be many reasons, you know, you cannot identify. This has now become almost a global issue. But, as far as Bangladesh, India and Nepal are concerned we should cooperate with each other in containing terrorism. You should exchange information if you have any to help the other country so that they can also contain terrorism in their own country.
“Secondly, democracy is important. It doesn’t mean that under a democracy terrorism will not take place, it may take place. But in my view, this is one of the reasons why such a sharp rise in killing bloggers and publishers and innocent people, because they took advantage of the political vacuum that exists today. The opposition is not allowed to play its role in order to represent the voice of the people. And these terrorist groups taking the advantage of the vacuum and going into this kind of terrorism.”
Ahmed was in Delhi to deliver a lecture on ‘Security of Bangladesh in the South Asian Context’ as part of city-based premier South Asian think tank Institute of Peace and Conflict Studies’ (IPCS) 20th anniversary plenum at The Claridges.