Search

Saturday, November 19, 2016

জাতীয়তাবাদী শক্তির সোনালী ফিনিক্স তারেক রহমানকে জন্মদিনের হিরন্ময় শুভেচ্ছা

আসাদুল করিম শাহীন

সহ প্রচার সম্পাদক, বিএনপি

২০ নভেম্বর দিনটি ছিল সুন্দর, হালকা রোদ্দুর, মনোরম, হেমন্তের আকাশ ছিল ঈষৎ নীলাভ। প্রকৃতির মধ্যে এক ধরণের আনন্দ অনুরণিত। ৫১ বছর আগে এইরকম একটি আনন্দঘন পরিবেশে, একটি আদর্শিক পরিবারে জন্ম নেয় এক কাংখিত শিশু। সেই শিশুটিই আজকের স্বপ্নবান তারেক রহমান। আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা। আগামী বাংলাদেশের পথ প্রদর্শক। তাঁর শুভ জন্মদিনে তাকে এবং সকল ভক্ত অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ীদের জানাই প্রাণঢালা অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে এই মূহুর্তে সবচেয়ে যোগ্য মেধাবী দূরদৃষ্টি সম্পন্ন রাজনৈতিক নেতা তারেক রহমান। ১৯৮৮ সালে নিজ জেলা বগুড়ার গাবতলী থানা বিএনপির একজন সাধারণ সদস্য হিসাবে তাঁর আনুষ্ঠানিক রাজনীতি শুরু। যদিও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী হিসাবে কখনও বা পরামর্শদাতা হিসেবে মাঝে মাঝে তাকে দেখা যেত। তিনি আগে বিএনপি পুনর্গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অবতীর্ণ হন। এছাড়া ১৯৯১, ১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিশেষ অবদান রাখেন দেশ বরেণ্য এই তরুণ নেতা। ১৯৮২ সনের ২৪ মার্চ স্বৈরাচারী হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ নির্বাচিত বিএনপি সরকারকে বন্দুকের নলে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে, বিএনপির সেই চরম ক্রান্তিকালে আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বিএনপির হাল ধরেন। বিএনপির অনেক নেতাই সেদিন বিএনপি ত্যাগ করে ক্ষুদ্র ব্যক্তি স্বার্থে জেনারেল এরশাদের অবৈধ সরকারে যোগ দেয়। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল এবং জাতীয়তাবাদী যুবদলকে সাথে নিয়ে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, অগ্নিঝরা দুঃসময়ে স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে মহাসংগ্রামে নেতৃত্ব দেন। সেই কঠিন সময়ে সদ্য কৈশরোত্তীর্ণ তারেক রহমান ছাত্রাবস্থায় তাঁর মায়ের পাশে থেকে বিএনপি পুনর্নিমাণে অনেক সহযোগিতা করেছেন, যা বিএনপির ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জাতীয়তাবাদী শক্তিকে গতিময়তাদানের জন্য তাঁর রাজনীতিতে আর্বিভাব। যিনি বুকের গভীরে লালন করেন গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ। আব্রাহাম লিঙ্কন এর প্রদর্শিত গণতন্ত্রই তাঁর প্রথম পছন্দ, “জনগণের জন্য, জনগণের দ্বারা, জনগণের শাসন, যা কখনো পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হবেনা। তাঁর স্বপ্ন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে তিনি শুরুতেই ছুটে গিয়েছেন সাধারণ মানুষের কাছে। পথে প্রান্তরে হেঁটে বেড়িয়েছেন তিনি। এই আদর্শ অনুপ্রেরণা তিনি লাভ করেছেন তাঁর পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা বিএনপি'র প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর কাছ থেকে। পিতার আদর্শ ও কর্মসূচি হৃদয়ে ধারণ করে দেশপ্রেমের শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সত্য-ন্যায় ও কল্যাণের পথে এগিয়ে যাবার প্রত্যয় নিয়েছেন আমাদের প্রাণপ্রিয় নেতা তারেক রহমান। তিনি রাজনীতিতে আসার আগে ও পরে একাধিকবার উল্লেখ করেছেন, তাঁর পিতাই তাঁর শিক্ষক। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদৎ বরণের কিছু পরে তিনি একটি প্রবন্ধ লিখেছিলেন “আমার শিক্ষক” শিরোনামে, তাতে তাঁর পিতার সাথে কিছু স্মৃতির উল্লেখ করেছেন। এক জায়গায় তিনি লিখেছেন, “১৯৮১ সালের ৩০ মে বহুবার এসেছে জীবনে। যতদিন বেঁচে থাকব ঘুরে ঘুরে প্রতিবছর দিনটি আসবে। কিন্তু আমরা তো কখনও ১৯৮১ সালের ২৯ মে’তে ফিরে যেতে পারবো না। ৩০ মে’র পর যখন দেখলাম লাখ লাখ মানুষ চোখের পানি নিয়ে দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে একটি কফিনের পেছনে দাঁড়িয়ে তাদের নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, তখন শুধু এইটুকুই মনে হয়েছিল, একটি মানুষ কিভাবে এত লাখো কোটি মানুষ আপন করে নিতে পারেন, কেমন করে পারেন কোটি মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই করে নিতে। সেই লাখো কোটি মানুষের প্রিয় জিয়াউর রহমানের সন্তান আমি, এটি মনে হলে বাবাকে হারানোর ব্যথা একটু হলেও লাঘব হয়। যখন মনে পড়ে, লাখ লাখ লোক জানাজায় এবং রেডিও-টিভির সামনে বসে কোটি কোটি মানুষ আল্লাহর দরবারে তাদের প্রিয় মানুষটির জন্য দোয়া করছে, তখন পিতার মৃত্যুর বেদনা অল্প হলেও প্রশমিত হয়। আজো মনে পড়ে জানাজার দিনের সেই অচেনা মুরব্বীর কথা, তিনি বলেছিলেন, ‘বাবা, কাঁদতে নেই; দেখ লাখ লাখ মানুষ এসেছে এই জানাজায়। নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমার বাবাকে বেহেশত নসিব করবেন; তোমরা কাঁদলে তোমার বাবার আত্মা কষ্ট পাবে।’ আজও যখন বাদজুমা বাবার কবর জিয়ারতে যাই, একজন মানুষ হলেও পাই সেখানে সেই সময়ে, যে তার নেতার জন্য দু হাত তুলে দোয়া করছে। যাকে আগে কোনদিন দেখিনি; হয়ত আর কোনোদিন দেখবও না। আসলে এত মানুষের দোয়ার জন্য আজও মাঝে মাঝে মনে হয়, বাবা আমাদের মধ্যেই আছেন, হয়ত অফিসে গেছেন, কাজ শেষ হলেই চলে আসবেন। যেমন মনে হয়েছিল ২৯ মে ১৯৮১ সালে। আমার বাবা যখন মারা যান, তখন আমার বয়স ১৪/১৫ বছর। অর্থাৎ যে সময় একজন কিশোরের জীবনের পথ চলতে শেখার জন্য দরকার তার জীবনের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য শিক্ষককে, অর্থাৎ তার বাবাকে। কিন্তু আমার এবং ভাই কারও এই শিক্ষকের কাছ থেকে সরাসরি বেশি কিছু শিখার অবকাশ হয়নি। তার প্রধান কারণ, আমাদের এই শিক্ষকের কাঁধে ন্যস্ত ছিল সেই সময়ে সমগ্র দেশ ও জনগণের গুরুদায়িত্ব। তাই জীবনের পরবর্তী সময়ে আমাদের শিখতে হয়েছে এই শিক্ষকের রেখে যাওয়া সততা থেকে, শিখতে হয়েছে তার রেখে যাওয়া আদর্শ থেকে এবং সেই সব কর্ম থেকে, যা তিনি একজন পিতা হিসেবে আমাদের দিয়ে করিয়েছেন, বলেছিলেন করতে, তা থেকে। তারই ছোট ছোট অনেক ঘটনা রয়েছে। ঘটনাগুলো বিচার করলে এর প্রভাব আমাদের জীবনে অনেক।”
কঠিন দুঃসময়ে তারেক রহমান রাজনীতিতে আগমন করেন, তাঁর সেই আগমন ছিল রাজনীতির বদ্ধঘরে খোলা জানালার মত, যে জানালা দিয়ে রাজনীতির বদ্ধ ঘরে ঢুকতে পেরেছিল একমুঠো মিষ্টি সুবাতাস। রাজনীতিতে তারেক রহমানের আগমনে তখনকার ছাত্র-যুবক-শ্রমিক, তথা সকল তরুণ কর্মীদের মাঝে উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিল, জাতীয়তাবাদী আদর্শের  সৈনিকেরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতিচ্ছবি দেখেছিলেন তাঁর মধ্যে। কর্মে-কথায়-আচরণে তৃণমূল নেতাকর্মী, সাধারণ মানুষের মনে আশা-ভালোবাসার সঞ্চার করেছিলেন তিনি। যে ভালোবাসা এখনও অটুট অম্লান রয়েছে। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর গোলাম আলী ফকির তাঁকে মূল্যায়ন করেছেন এই ভাবে - “ঐক্যবদ্ধ অগ্রগতির অমোঘ দাবি উৎপাদনের রাজনীতি এবং জনগণের গণতন্ত্র। এই কর্মসূচি নিয়ে একদিন গ্রামের পর গ্রামে ছুটে গেছেন বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান। তারই প্রদর্শিত পথে পা রাখলেন তারেক জিয়া এবং গণমানুষের প্রাণের ছোঁয়া পেয়ে তিনিও উৎফুল্ল হয়ে উঠেছিলেন। সেই থেকে তৃণমূল পর্যায়ে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেন তারেক জিয়া। সাধারণ মানুষের সমস্যার কথা সরাসরি শোনা এবং সমাধানের কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করে এক নতুন ইতিহাস গড়ে তুলতে তৎপর হন। তারেক জিয়া নৈতিকতা ও মানবিক মূল্যবোধকে ফিরিয়ে আনতে এক অনন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের মাঝে গড়ে তোলেন ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। এক একটি সাধারণ হাত হয়ে ওঠে তখন কর্মীর হাতিয়ার।
নারীর ক্ষমতায়নে শিক্ষার আলো জ্বালাতে তিনি কিছু কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করেন। ফলে তাদের মধ্যেও জেগে ওঠে গঠনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার সমাজে তাদের অবদান রাখার স্পৃহা। ফলে নারীরাও সমাজ ও জাতি গঠনে এগিয়ে আসার মানসিক প্রস্তুতি নেন। পল্লী উন্নয়নে তারেক জিয়া গ্রহণ করেন যুগান্তকারী পদক্ষেপ। গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর মাঝে অক্ষরজ্ঞান দান, জীবনমুখী শিক্ষার প্রসার, উন্নত বাসস্থানের ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য সচেতনতা সৃষ্টি করা, বিদ্যুতায়ন প্রক্রিয়া ও যোগাযোগ ব্যবস্থার দ্রুত উন্নয়নের জন্যও তিনি সার্বিক প্রয়াস চালাতে সচেষ্ট হন। মূলত গ্রাম উন্নয়নের মাধ্যমেই বাংলাদেশের উন্নয়ন সম্ভব বলে তারেক জিয়া পল্লী উন্নয়নের ব্যাপারে যথাসাধ্য চেষ্টা চালান। তিনি মনে করেন, আলোকিত গ্রামই আলোকিত বাংলাদেশ গড়ার পূর্বশর্ত। তারেক জিয়া ইতোমধ্যে দারিদ্র্য বিমোচন কর্মসূচি, বন্যা-সিডর-আইলা-মঙ্গা ইত্যাদিতে ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন কার্যক্রম, শিশু স্বাস্থ্য সচেতনতা, ক্যাম্প, বীজ ও সুপেয় পানি প্রকল্প, বৃত্তি প্রকল্পসহ সামাজিক বনায়ন কর্মসূচি গ্রহণ করে গণমানুষের মাঝে আশা ও উদ্দীপনার সঞ্চার করতে সক্ষম হয়েছেন। এমনকি ছাত্র রাজনীতির ক্ষেত্রেও তারেক জিয়া ফলপ্রসূ কল্যাণকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। এসব কর্মসূচির লক্ষ্য আগামী দিনের বাংলাদেশ হবে নিরক্ষরতামুক্ত-সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। একটি সুশিক্ষিত স্বনির্ভর জাতি হিসেবে বাংলাদেশের মানুষ বিশ্ব দরবারে আপন মহিমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে।”
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ স্মৃতিকথায় লিখেছেন- আমি তারেককে ভালোবাসি। “তারেক রহমানকে আমি দেখি একজন শিক্ষকের দৃষ্টি দিয়ে। ভাল ছেলে। বিনয়ী, সদাশয়, মৃদুভাষী। নন্দিত জাতীয় নেতা বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান। নেতা-নেত্রীর কাতারে বুদ্ধিদীপ্ত অগ্রগামী তারুণ্যের প্রতীক। দীর্ঘজীবী হোক এই কামনা প্রতি মুহূর্তের।
তাকে চিনি দীর্ঘদিন ধরে। কোন আলোচনা সভা বা সেমিনার নয় বরং ঘরোয়া পরিবেশে। সুশীল তরুণ হিসাবে। তার বক্তব্য ঋজু। চিন্তা-ভাবনা সুস্পষ্ট। কৃত্রিমতা এখনো তাকে স্পর্শ করেনি। স্পর্শ করেনি দুর্বুদ্ধিপ্রসূত কোন জটিলতা।”
বহুদলীয় গণতান্ত্রিক রাজনীতির মানসপুত্র তারেক রহমান। বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি নতুন সকাল সৃষ্টির জন্য তাঁর আগমন। তারেক রহমান এবং তার অনুগামি জাতীয়তাবাদী শক্তির চাওয়া নির্বাচন কেন্দ্রিক বহুদলীয় গণতন্ত্র। আজ বাংলাদেশে গণতন্ত্র অবরুদ্ধ। দেশে চলছে একদলীয় ফ্যাসিবাদী শাসন। এই ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন থেকে আমরা মুক্ত হতে চাই। তারুণ্যের প্রতীক বুদ্ধিদীপ্ত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব তারেক রহমান আমাদের মুক্ত করবেন, নতুন আলোর পথ দেখাবেন। বাংলাদেশের ধ্বংসপ্রাপ্ত গণতন্ত্রের ভঙ্গস্তুুপ থেকে ফিনিক্স পাখির মতো তাঁর উত্থান হোক জন্মদিনে এই প্রবল প্রত্যাশা বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী আপমর মানুষের।

Friday, November 18, 2016

ঢাকায় বেড়ে চলেছে নগর দারিদ্র্য

হারুন উর রশীদ স্বপন / ডয়চে ভেলে
বাংলাদেশে রাজধানীমুখী মানুষের সংখ্যা কমছেনা৷ যে কারণে নগর-দারিদ্র্যও কমছে না৷ নগর গবেষক এবং জনসখ্যা বিজ্ঞানীরা মনে করেন, গ্রামের মানুষ এখনো মনে করছে শহরে কাজের সুযোগ বেশি তাই শহরে এসে নতুন করে নগর-দারিদ্র্য বাড়াচ্ছে৷
বিশ্বব্যাংকের হিসেব অনুযায়ী, প্রতি বছর কাজের জন্য গ্রাম থেকে ঢাকায় আসছে পাঁচ লাখ মানুষ৷ তাদের তিন-চতুর্থাংশই বস্তিতে বসবাস করেন৷ সরকারি জমিতে আগে তারা ঘর (বস্তি) তুলে বসবাস করলেও এখন সে সুযোগ তেমন নেই৷ এ কারণে রাজধানীতে ব্যক্তি মালিকানার বস্তি গড়ে উঠেছে৷ এসব বস্তিতে ভাড়া বেশি, কিন্তু সুযোগ-সুবিধা কম৷ তারপরও গ্রামের মানুষ ঢাকায় আসছে৷ নগর বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম মনে করেন, ‘‘ঢাকায় প্রতিবছর সাত লাখ নতুন মানুষ যুক্ত হচ্ছে৷ এবং এদের শতকরা ৯০ ভাগই দরিদ্র৷ তারা নানা কারণে গ্রামে সহায়-সম্বল হারিয়ে ঢাকামূখী হয় কাজের জন্য, আয়ের জন্য৷''
বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং জনসংখ্যা বিজ্ঞানী অধ্যাপ ড. এ কে এম নুর-উন নবী ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘ঢাকা শহরে গ্রামের মানুষ আসা কিছুটা কমেছে, কিন্তু জনস্রোত থামেনি৷ আগে গড়ে প্রতিদিন ঢাকায় ২৪শ' নতুন লোক যোগ হতো, এখন যোগ হয় ১৭শ'৷ সংখ্যায় কমছে৷ কিন্তু প্রবণতা কমেনি৷ আর যারা আসেন তাদের বড় অংশই নিম্নবিত্ত৷ তারা মনে করেন, ঢাকায় কাজ পাওয়া যাবে৷''
স্বাধীনতার পর যেমন ছিল এখন ঢাকা শহরের লোকসংখ্যা তার চারগুণ হয়ে প্রায় ২ কোটিতে পৌঁছেছে৷ ২০৫০ সাল নাগাদ লোকসংখ্যা সাড়ে তিন কোটির বেশি হতে পারে বলে আভাস রয়েছে৷ এদিকে গ্রামীণ দরিদ্রের সংখ্যার তুলনায় শহুরে দরিদ্রের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে৷ ১৯৯১ থেকে ২০১০ সালের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশে শহুরে দরিদ্রের সংখ্যা ৬০ লাখ থেকে বেড়ে ৮০ লাখ হয়েছে৷ আর একই সময়ে গ্রামীণ দরিদ্রের সংখ্যা কমেছে৷ গ্রামীণ দরিদ্রের সংখ্যা ৫ কোটি ৫০ লাখ থেকে কমে ৪ কোটি ৬০ লাখ হয়েছে৷
২০১৬ সালে বিশ্বব্যাংক পরিচালিত আরবান স্লাম সার্ভের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকা শহরে বস্তিবাসীদের প্রতি ১০ জনে ৯ জনের জন্ম ঢাকার বাইরে৷ এর মধ্যে এক পঞ্চমাংশ দরিদ্র৷ নগর গবেষক অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম ডয়চে ভেলেকে বলেন, ‘‘এখন ঢাকা শহরের ৪০ ভাগ মানুষ বস্তিতে বসবাস করেন৷ ঢাকায় বস্তির জায়গাও আর নাই৷ তাই ঢাকার পাশে গাজীপুরসহ আরো কয়েকটি এলাকায় বস্তি সম্প্রসরাতি হচ্ছে৷ ঢাকার পাশের উপ শহরগুলো বস্তির শহরে পরিণত হচ্ছে৷ অনেকে সেখানেই কাজ করেন৷ আবার কেউ কেউ ঢাকায় কাজ করলেও থাকেন গাজীপুর বা ঢাকার আসপাশে উপ শহরের বস্তিতে৷''
এই পরিস্থিতি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে শহুরে দরিদ্রদের পরামর্শ দানকারী সংগঠন ‘কোয়ালিশন'-এর নির্বাহী পরিচালক খন্দকার রেবেকা সান-ইয়াত একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমকে বলেন,‘‘শহরগুলোতে আয়ের উৎস রয়েছে৷ আপনি যদি শহরে অবকাঠামো তৈরি করেন, তবে কিভাবে ভাবতে পারেন যে গ্রামের লোকজন শহরে আসবে না? যদি গ্রামে আয়ের উৎস এবং মিল-কারখানা থাকতো তবে লোকজনকে ঢাকায় আসতে হতো না৷''
তবে অধ্যাপক ড. এ কে এম নুর উন নবী বলেন, ‘‘এটা উন্নয়নের সমস্যা৷ গ্রামে যে উন্নয়ন হচ্ছে না, অবকাঠামো হচ্ছেনা তা কিন্তু ঠিক নয়৷ গ্রামে কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি হচ্ছে৷ কিন্তু কেউ কেউ তাতে সন্তুষ্ট নয়৷ ঢাকায় একজন রিকশা চালকেরও আয় অনেক৷ তাই গ্রামের নদী ভাঙা বা অন্য কারণে বিপদগ্রস্থ মানুষ ঢাকায় আসছে৷ এখন গ্রামে কৃষি শ্রমিকও তেমন আর পাওয়া যায় না। তারা বেশি আয়ের জন্য ঢাকা আসেন৷ তাদের কাছে কষ্টের বস্তিজীবন আয়ের বিবেচনায় সহনীয়৷''
অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘‘গ্রাশের তুলনায় ঢাকায় গরিব আবাসন, শিক্ষা এবং চিকিৎসা সুবিধা সংকুচিত৷ তারপরও তারা আসছেন, কারণ, তারা জানেন, ১০ বছর কষ্ট করে ঢাকা থাকতে পারলে তার অর্থিক ভিত শক্ত হবে৷''
তিনি আরো বলেন, ‘‘নগরে যে দরিদ্রের সংখ্যা বাড়ছে তারা নুতন৷ আগে যারা এসেছেন তারা কিন্তু দরিদ্র বা অতি দরিদ্র নয়৷ এর সঙ্গে জনসংখ্যা বৃদ্ধির যে চাপ তা-ও ঢাকাকে চাপের মুখে রাখছে৷ তাই ঢাকার পরিস্থিতি খারাপই বলতে হবে৷''

Wednesday, November 16, 2016

Why the govt is pleased Trump will be the next US President

By David Bergman / The Wire


One of the very first letters of congratulation received by Donald Trump after his startling defeat of Hillary Clinton in the US presidential elections came rather surprisingly from the prime minister of Bangladesh, Sheikh Hasina.

In the letter, sent apparently “within hours of the victory’”, Hasina told Trump (addressing him as ‘Excellency’) that she thought his electoral success was down to his “extraordinary leadership to serving the American people and also the global humanity” (sic), and she invited the president-elect and his wife to Bangladesh.

Some media have commented on the effusive tone of this letter, including the UK’s Independent, which published an article titled ‘The Muslim country congratulating ‘His Excellency’ Donald Trump’.

The Independent report wondered why, in light of Trump’s comments about Muslims, the prime minister of a country “with the fourth largest Muslim population in the world” would “welcome Donald Trump with open arms and a fawning letter”.

The paper perhaps could also have added that the welcome to Trump comes despite the fact that his success will stymie many Bangladesh government priorities, including its demand for greater tariff-free access for its exports into the US and the implementation of the climate change treaty.
Whilst the letter could simply be a reflection of ‘diplomatic necessity’ – the need for Bangladesh to seek as positive a relationship as possible with whoever is the US president – rather than any ‘genuine conviction’ for Trump, Hasina nonetheless is likely to have heaved a huge sigh of relief that Clinton did not win.

The Muhammad Yunus affair

To understand why Hasina will have been relieved that Clinton lost, one must first go back to the vicious 2010 dispute between the Bangladesh government and Noble Peace Prize winner Muhammad Yunus, the founder of the micro-credit agency, Grameen Bank.

The dispute involved Hasina calling Yunus a “blood sucker of the poor”, the government (through its proxy, the country’s Central Bank) removing him as managing director of the microcredit bank, the lodging of numerous criminal cases against Yunus (including for defamation and food adulteration), and a vitriolic campaign against both him and Grameen Bank in the pro-government media.

Government attacks against any other Bangladesh citizen would likely have gone unnoticed by the US but Yunus was not only a Nobel Peace Prize winner but also someone very well known to Clinton, the US secretary of state at that time.

Clinton, a strong supporter of Yunus’s work, was aghast at the action the Bangladesh government sought to take against her friend as well as the microcredit bank itself. As a result, the US state department lobbied very hard to stop his removal from the bank, going as far as to put on hold ‘high-level interaction’ with the Bangladesh government as punishment.

To the Bangladesh government, this was not just Clinton and the US government supporting a person whom it wished to target, but also someone who it considered as a possible future political threat due to his previous inclination to get involved in politics.

In Bangladesh conspiratorial circles, this was akin to the US government supporting a political adversary of the Awami League government. Indeed, many claim that the World Bank’s decision to cancel its $3billion loan to fund the Padma Bridge was in part US payback for the Bangladesh government’s attack on Yunus.

2014 elections

The Yunus affair poisoned the relationship between the Hasina government and the Obama administration, but it got a lot worse four years later – after Clinton had left the state department – when the US government strongly criticised the Bangladesh government over its handling of the January 2014 national elections, in which all opposition parties refused to take part.

The opposition boycott was triggered by the Bangladesh government, in power since 2009, removing from the constitution in 2011 a provision that required that elections take place under a non-political caretaker government.

This provision had been inserted in 1996, following a campaign ironically spearheaded by the Awami League itself, to stop the political party in power rigging an election. The international community, led by the US, pushed very hard and publicly for the Bangladesh government to take steps to ensure fair and inclusive elections, but the Hasina administration did not buckle.

After the controversial elections, the US state department issued a strongly worded statement. “The United States is disappointed by the recent Parliamentary elections in Bangladesh,’ it read. ‘With more than half of the seats uncontested and most of the remainder offering only token opposition, the results of the just-concluded elections do not appear to credibly express the will of the Bangladeshi people.”

It went onto state, “We encourage the Government of Bangladesh and opposition parties to engage in immediate dialogue to find a way to hold as soon as possible elections that are free, fair, peaceful, and credible, reflecting the will of the Bangladeshi people.”

At the time it was touch and go whether Hasina’s government could survive – but it did and the Western nations soon backed off leaving the Bangladesh government to consolidate its power.

However, alone in the international community, the US state department kept up its public pressure, with its ambassador in Dhaka saying soon after the election that it’s interaction with the Bangladesh government was “not business as usual” and continuing to call, many months later, for new elections. As a result, the legitimacy of the Bangladesh government was for a long time in question.

The US elections

With this background, the US presidential elections took place with the real possibility that Clinton could take office as president.

Since Bangladesh is facing a new national poll in two years, in which concerns about vote rigging will again be at the fore, this was an outcome that the Hasina government feared.

A US government with Clinton as president – which would be calling strongly for a fair election process that allowed the opposition parties to participate -- could in the minds of the Bangladesh government, have caused a lot of difficulties for the Awami League during the 2019 election, allowing any election victory to be yet again questioned.

Though the risks attached to a Clinton presidency for the Bangladesh government may well have been more imaginary than real, Trump is certain to take no interest in the fairness or otherwise of Bangladesh’s elections – or indeed in the country’s poor governance and human rights record.
Clinton’s defeat, therefore, removes one more obstacle to an unquestioned election victory for the Hasina-led party in 2019.

A relief, no doubt, for the Awami League leadership – and it is this which helps explain why the Bangladeshi prime minister gushed in her letter about the US president-elect’s “extraordinary leadership” in the service of “global humanity”.

- David Bergman is a writer based in Bangladesh. He also runs the Bangladesh Politico and Bangladesh War Crimes blogs. Follow him on @davidbangladesh

Internet freedom declined: Freedom House

Key Developments: 

June 2015–May 2016

  • Religious extremists claimed responsibility for the April 2016 murder of Xulhaz Mannan, the founder of a magazine that promoted LGBTI issues both online and off; as well as the October 2015 murder of Faisal Arefin Dipan, a publisher of books authored by slain blogger Dr. Abhijit Roy; and the murder of blogger Niladri Chattopadhyay Niloy in August 2015 (see Intimidation and Violence).
  • Journalist Probir Sikdar was arrested under the ICT Act for publishing a comment about a government minister on his Facebook page (see Prosecutions and Detentions for Online Activities).
  • In November 2015, the government ordered service providers to temporarily block Facebook, Facebook Messenger, WhatsApp, and Viber; the same day, internet service was inaccessible nationwide for more than an hour (see Restrictions on Connectivity and Limits on Content).

Introduction: 
Internet freedom declined after the highest number of fatal attacks by religious extremists targeting online activists in Bangladesh on record in 2015.

During the coverage period of this report, blogger Niladri Chattopadhyay Niloy, and publisher Faisal Arefin Dipon, who was closely associated with another blogger, were fatally attacked. In the earlier part of the year, Abhijit Roy, Washiqur Rahman, and Ananta Bijoy Das were killed in separate incidents, each in reprisal for views they had expressed online. Attacks continued in 2016: Xulhaz Mannan, who founded Roopbaan, a magazine which used social media to advocate for the LGBTI community, was killed in April.

Attacks on secular bloggers started in 2013, when Asif Mohiuddin was attacked by extremists, and blogger Ahmed Rajib Haider was killed outside his home. They were singled out in part because of their prominence in the 2013 Shahbag Movement, broad antigovernment protests which grew out of the response to a war crimes tribunal verdict against a religious leader. Protesters said the verdict was too lenient, and religious extremists organized to punish the movement’s leading figures and others they perceived as promoting secular, liberal values. In the past year, Facebook and other social media services were blocked for more than two weeks to prevent unrest after the Supreme Court upheld death penalties handed down by the same tribunal for war crimes committed in 1971.
......................

Checks on bloggers and online activity are arguably harsher due to the 2006 Information and Communication Technology (ICT) Act. The act was used for the first time in 2013 to arrest four bloggers who had been vocal on different social issues and religious extremism. In August 2013, an amendment was passed increasing the penalty to a minimum of 7 years, up to a maximum 14 years in prison.1 Police no longer need a warrant to make arrests under the amended act, and the number of prosecutions is increasing.

On August 2015, journalist Probir Shikdar was arrested under the ICT Act on charge of defaming a minister online. He was later freed on bail. There were at least four other arrests for criticizing or making fun of the government or sharing “harmful links” on Facebook. At the end of the reporting period, the government was looking to revise some clauses of the ICT Act.

The attacks by religious extremists, along with the fear of arrest under the ICT Act, have created a climate of intimidation that fosters self-censorship among bloggers and internet users.

Obstacles to Access
The number of internet users in Bangladesh is steadily on the rise. More than 90 percent of users access the internet via mobile phone providers, which recently began offering faster 3G service. The government has decreased the price of bandwidth significantly over the last decade. However, users complain about the high cost of private internet service.

Availability and Ease of Access

The International Telecommunication Union reported internet penetration in Bangladesh at 14.4 percent in 2015, the lowest in South Asia.2 Government estimates were closer to 39 percent.3 Mobile phone penetration was just over 80 percent, according to the Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission.4 While ICT usage is increasing fast, Bangladesh is lagging behind globally. The World Economic Forum 2015 Global IT report ranked Bangladesh 109 out of 143 countries worldwide, with infrastructure and regulatory environment scoring poorly, though overall communication service was comparatively affordable, a factor that is driving growth.5 The government has decreased the price of bandwidth significantly over the last decade.6 According to the Alliance for Affordable Internet, 80 percent of the population in Bangladesh can afford a 500 MB mobile broadband plan based on income – one of the highest percentages among less developed countries.7 However, users complain about the high cost of private internet service in rural areas. The ability to access localized information and create content in Bengali has contributed to the popularity of local blog hosting services.8

.............................................................

Restrictions on Connectivity

The government occasionally restricts the use of mobile service during elections and other times of possible unrest. No directives to shut down the internet were confirmed during the coverage period, though access was interrupted at the end of 2015, when the government blocked Facebook and other popular social media services, supposedly to ensure state security (see Blocking and Filtering). At the same time as the order was given, internet service was shut down for more than an hour due to what news reports described as a "misunderstanding,"11 adversely affecting communication and commercial activities, especially in the aviation industry.12

Bangladesh’s physical internet infrastructure was historically vulnerable, relying on the undersea cable SEA-ME-WE-4, which connects Southeast Asia, the Middle East, and Western Europe.13 Since late 2012, however, Bangladesh is also connected via an international terrestrial cable managed by private companies, reducing the risk of being completely cut off.14

.........................................................

Regulatory Bodies

The Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission (BTRC), established under the Bangladesh Telecommunications Act of 2001, is the official regulatory body overseeing telecommunication and related ICT issues. The current administration amended the act in 2010, passing telecommunications regulation to the Ministry of Post and Telecommunications and making the BTRC an auxiliary organization.18 This move created administrative delays in a number of basic processes like the announcement of new tariffs or license renewals.19 In 2014, the Ministry of ICT merged with the Ministry of Post and Telecommunications, with the goal of streamlining many ongoing projects and related industries.20 In addition, the prime minister’s office has an Access to Information (A2I) program supported by the United Nations Development Program, which has considerable influence over top-level ICT-related decision making.21

Limits on Content:
The BTRC blocked Facebook and several other social media service and communication applications for more than three weeks on November 2015, citing reasons of state security. There were no reports of state manipulation of online content. Online news portals were instructed to complete mandatory registration.

Blocking and Filtering

Content relating to religious issues or offending state leaders is subject to censorship in Bangladesh. Domestic websites, including the most popular news sites, ProthomAloBDNews24, and Banglanews24, were not subject to targeted blocking during the coverage period of this report. Immediately after, however, in August 2016, news reports said the BTRC had ordered the blocking of 35 news websites for the first time.22 Officials gave no reason for the blocking, though many of the sites were affiliated with the political opposition.

International social media and communication apps, however, are regular victims of government censorship. On November 18, 2015, the BTRC ordered service providers to block Facebook, Facebook Messenger, WhatsApp, and Viber, supposedly in order to ensure state security. The shutdown was ordered an hour after the country's Supreme Court upheld the death penalties handed down to 1971 war criminals Salauddin Quader Chowdhury and Ali Ahsan Mohammad Mojaheed by a tribunal in 2013.23 The government ordered Facebook to be unblocked after 22 days. On December 13, the BTRC emailed an order to ISPs to block Twitter, Skype, and lmo.24 A day later, the order was rescinded for reasons that remain unclearAll other services were also unblocked by mid-December.25 In early 2015, several social network applications were also blocked or severely disrupted for four days. Mobile service providers were ordered to block Viber, WhatsApp, LINE, Tango, and mypeople,26 supposedly on grounds that terrorists were using the platforms, which are also used by opposition activists and other internet users. In 2012 and 2013, netizens in Bangladesh also experienced blocks on YouTube and Facebook.

The BTRC censors content primarily by issuing informal orders to domestic service providers, who are legally bound through their license and operations agreements to cooperate. Service providers have described official censorship as ad hoc in nature, without proper follow-up mechanisms in place to ensure compliance,27 though orders appear to be becoming more formal. On January 19, 2015, mobile operators reported receiving official, written directives from the BTRC to block access to specific social media applications until January 21, when the services became accessible again.28 No appeals have been documented in response to censorship directives.

Content Removal

During the 22-day period when Facebook was blocked, news reports said government officials met with representatives from the company and requested them to set up an office in Bangladesh, subject to local content restrictions and government requests for user data perceived to be threatening security in Bangladesh. Facebook representatives did not comment after the meeting.29 Between July and December 2015, Facebook reported restricting four pieces of allegedly blasphemous content based on government requests; no content was restricted during the same period the previous year.30

Media, Diversity, and Content Manipulation

Bangladesh enjoys a vibrant offline and online media industry, though self-censorship on specific topics is increasing among particular communities. Blocking of social media platforms and communications apps also threatened the diversity of online content (see Blocking and Filtering), though many people used VPNs to bypass blocking.31

In 2015, Bangladeshi online news outlets and the online versions of daily newspapers were directed to go through mandatory registration by December 15. The country’s print media has been subject to registration requirements like this since the pre-independence period. Through an official Press Information Department handout,32 the government justified registration as a tool to stop the abuse of media to destabilize society.33 No penalties were reported for noncompliance. There were no other documented economic constraints imposed by the government or other institutions specifically targeting online media outlets, nor documented instances of commentators with undeclared sponsorship manipulating political debate online.

Online media practitioners and social media commentators reported a climate of self-censorship on political and religious topics during the coverage period of this report, which saw fatal attacks on bloggers and several criminal charges in relation to digital activity (see and Prosecutions and Detentions for Online Activities). Dozens of bloggers have fled the country, and associates of other victims have closed their blogs or sought refuge with diplomatic missions (see Intimidation and Violence).34

..............................................................................
Violations of User Rights:

The year 2015 saw the most casualties for online activists in Bangladesh on record. During the coverage period of this report, blogger Niladri Chattopadhyay Niloy, and publisher Faisal Arefin Dipon were fatally attacked by religious extremists, along with an LGBTI activist. In August, 2015, a public university teacher was found guilty of sedition and sentenced in absentia to three years of rigorous imprisonment, which includes hard labor. He had made a derogatory comment about the prime minister on Facebook in 2011. Other arrests under the ICT Act within the coverage period of this report included that of journalist Probir Sikdar.

Legal Environment

Article 39 (1, 2) of Chapter 2 in the Constitution of the People’s Republic of Bangladesh recognizes freedom of thought, conscience, and speech as a fundamental right.40 Online expression has been traditionally considered to fall within the scope of this provision. The judicial system of Bangladesh is independent from the executive and the legislative branches of government, but critics say it can be partisan. Police and regulators generally bypass the courts to implement censorship and surveillance without oversight.41

The Information and Communication Technology Act of 2006 is the primary legal reference for addressing issues related to internet usage. Though it defines and ostensibly protects freedom of expression online,42 it introduced punishments for citizens who violate others’ rights to communicate electronically: Section 56 of the act defined hacking as a crime punishable by up to three years in prison, a fine of BDT 10,000,000 (US$125,000), or both. However, under Section 57, different types of violations involving social, political, and religious content distributed electronically are punishable by a minimum of seven years of imprisonment and fines up to BDT 10,000,000 (US$125,000).43 On August 19, 2013, the ICT act was amended, increasing the maximum prison term from 10 to 14 years.44 Sections 68 and 82 respectively contain provisions for a Cyber Tribunal and Cyber Appellate Tribunal to expedite judicial work related to any cybercrime. In 2016, there was one Cyber Tribunal in Dhaka, headed by a low-ranking member of the judiciary. The Appellate Tribunal, which can dissolve the Cyber Tribunal’s verdicts, had yet to be formed.45

Before the 2013 amendment came into effect, police had to seek permission before making ICT-related arrests.46 Now no warrant is required, and offences under the act are non-bailable, meaning suspects must apply for bail at a court.47 The harsher provisions in the ICT Act may reflect the government’s insecurity regarding internet activism and security.

..............................................................................

Prosecutions and Detentions for Online Activities

Arrests and prosecutions under the ICT Act have been documented since 2013, when the law was first widely applied. The most talked about arrest within the coverage period of this report concerned journalist Probir Sikdar. On August 16, 2015, Probir Sikdar was arrested and later sued for libel under the ICT Act for publishing a comment about a government minister on his Facebook page. In that comment, he said that the minister, a businessman, and a convicted war criminal were responsible for putting his life in danger.50 He had previously reported on the three men and their alleged activities during the 1971 war in a 2001 news reportFollowing protests from local and international civil rights organizations, he was released on bail on August 19.51 In mid-2016, the charges remained pending.

A disproportionate sentence was also reported during the coverage period, though the defendant did not report to the court to serve the time. On August 12, 2015, a court in Dhaka sentenced public university teacher Ruhul Amin Khandker in absentia to three years of rigorous imprisonment, which includes hard labor, and a fine of BDT 10,000 (US$ 125) for sedition. The charge was filed in relation to a comment about the prime minister made on Facebook in 2011.52
Other cases were reported during the coverage period:
  • On August 18, 2015, ruling party politician Wasim Sajjad Likhon filed a case under the ICT Act against Islam Jahurul, who the politician said desecrated an image of Prime Minister Sheikh Hasina and disseminated it on Facebook.53
  • On December 3, officers of the special Rapid Action Battalion (RAB) forces in Dhaka arrested Towhid Hasan from Pirojpur, Tanvir Ahmed from Shariatpur, and Omar Faruk from Sirajganj, apparently for using Facebook while it was blocked. The three men, 21, 18, and 22 years old respectively, “propagated against the country’s constructive activities” by “using blocked Facebook…to share harmful links and provoke others to use the links,” news reports said, citing an RAB press release.54 It was not clear which law they were charged under, and the nature of the content they are accused of sharing was not reported. Though other officials threatened the users of proxy servers with repercussions in 2015,55 VPNs are widely used in Bangladesh.
  • On December 10, RAB officers arrested satirical writer Refayet Ahmed, the administrator of the popular Facebook page MojaLosss? ("Are You Making Fun?"), for making “provocative Facebook posts against the government and the state.” 56 The page won popularity for using satire to talk about corruption and other social problems. A case was filed against Refayet under the ICT Act. On December 14, he was freed on bail.57

Surveillance, Privacy, and Anonymity

According to Article 43 of the country’s constitution, Bangladesh recognizes its citizens’ right to privacy and correspondence.59 However, there is no specific privacy or data protection law in Bangladesh, leaving internet and mobile phone users vulnerable to privacy violations, predominantly through the voluntarily sharing of information via mobile phones and the internet.60

Although the government does not require individuals to register to blog or use the internet, registration became mandatory for online news portals during the coverage period (see Media, Diversity, and Content Manipulation). Since the end of 2015, citizens are also required to provide biometric details, in addition to national identity cards and related personal information, to obtain a mobile connection.61 Citizen rights groups raised concerns about the security of the process and possible usage of biometric data by third parties.62

The government can request telecommunications providers retain the data of any user for an unspecified period under the Bangladesh Telecommunication Regulatory Act 2001.63 The Act was amended in 2010 and allows government mechanisms to intercept electronic voice or data communications from any individual or institution to ensure the security of the state without a court order; the act also requires domestic service providers to cooperate, though without clear provisions detailing procedures or penalties for noncompliance.64

During the coverage period, local news reports said the home ministry had submitted a proposal to purchase approximately US$ 25 million worth of equipment from foreign companies to upgrade its mobile telephony, internet, and related surveillance networks. The proposal asked the cabinet committee on economic affairs to relax procurement regulations to facilitate the purchase, which would enable the National Telecommunication Monitoring Center (NTMC) to conduct "lawful interception" to assist local law enforcement agencies. The center has operated under the home ministry since February 2014, the news reports said. Foreign companies listed in the proposal include U.S. firms Verint Systems and SS8, German firms Trovicor and UTIMACO, the Italian firm RCS, the Chinese firm Inovatio, and the Swiss firm New Saft. 65 The companies advertise equipment capable of analyzing data traffic, calls, emails, and audiovisual materials online.

In 2014, the UK-based nonprofit Privacy International reported that Bangladesh’s Rapid Action Battalion, a special forces unit implicated in human rights abuses, was seeking to purchase mobile surveillance technology from a company based in Switzerland. The technology would allow police to “indiscriminately gather data from thousands of mobile phones in a specific area and at public events such as political demonstrations,” according to Privacy International.66 The same year, leaked documents about a Bangladesh law enforcement agency’s 2012 purchase of FinFisher software distributed by Gamma International to monitor digital traffic was published on Wikileaks.67

According to Facebook, the Bangladesh government made three requests to the social network service provider for information on three Facebook users between January and June 2015, but Facebook did not comply.68

Intimidation and Violence

Blogger Niladri Chattopadhyay Niloy and Xulhaz Mannan, the founder of a magazine on LGBTI issues with a well-established online following, were murdered between June 2015 and May 2016. Faisal Arefin Dipon, a publisher who worked with another murdered blogger, was also killed.
This continued a violent trend. Between February 2013 and June 2016, at least 39 people were murdered in Bangladesh by religious extremists targeting high profile proponents of secular viewpoints.69 “Atheist bloggers” were particularly singled out as key instigators behind the 2013 Shahbag Movement (see Digital Activism) which catalyzed the campaign of killings.70 Armed assailants hospitalized blogger Asif Mohiuddin with serious stab wounds in January 2013;71 now overseas, he believes he remains on a hit list.72 In February, leading Shahbag activist Ahmed Rajib Haider was murdered.73 Police found a series of posts targeting Rajib and other key figures in the movement on the blog Sonar Bangladesh, which the BTRC subsequently blocked.74

Though Al-Qaeda networks claimed responsibility in some cases,75 police have say local radical groups, notably Ansarullah Bangla Team, recruited and trained students and religious teachers to execute the targets, frequently using machetes.76 Eight members of the group have been convicted for their involvement in the killing of Ahmed Rajib Haider in 2013, though two remain at large (see Legal Environment).....................

In April 2016, armed men killed Xulhaz Mannan in his apartment in Dhaka along with a friend.78 Mannan founded Roopbaan, a print magazine serving the LGBTI community, in 2014. Homosexuality is a criminal offence in Bangladesh.79 The magazine had limited distribution because of the sensitivity of the topic,80 but formed part of a wider advocacy network that used social media to create community online and advocate for LGBTI causes, including an annual Rainbow Rally coinciding with Bengali new year celebrations, which was cancelled in 2016 as a result of permit issues and threats.81 Ansarullah Bangla Team claimed responsibility for the murders.82
The year 2015 saw unprecedented physical violence against online activists and their colleagues:
..........................................................................................

This disturbing series of fatal attacks on secular bloggers has increased security concerns in the online activist community. A handful of bloggers left the country or sought asylum abroad during the coverage period of this report. Others have expressed their determination to continue writing.....

Excerpted from Freedom House report Freedom on the Net 2016