Search

Tuesday, December 12, 2017

গুম খুনে যতি নেই


কাদের গণি চৌধুরী


বিশ্ব জুড়ে মানবাধিকার দিবস পালিত হচ্ছে এই সপ্তাহে। সারা বিশ্ব যখন  যথাভাবগাম্ভীর্যে  এ দিবসটি পালন করছে বাংলাদেশে তখন চলছে মানবাধিক লংঘনের মহোৎসব। মানুষের জান, মাল, ইজ্জতের কোন নিরাপত্তা নেই। মসজিদে খুন। মন্দিরে খুন।গীর্জায় খুন। পিলখানায় খুন। ক্যান্টনমেন্টে খুন। জেলহাজতে খুন। ডিবি অফিসে খুন। বেডরুমে খুন। এমন কি মায়ের পেটেও শিশু নিরাপদ নয়। পীর-মাশায়েখ,ইমাম- মওলানা থেকে শুরু করে যাজক,পুরোহিত কারও রেহাই নেই। খুন হচ্ছে সাংবাদিক, আইনজীবী, ব্যবসায়ী, কুটনীতিক, শিক্ষক, ছাত্র। পার্লামেন্ট মেম্বার, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরমেয়র কেউ রেহায় পাচ্ছেনা। কাউকে কেটে ১২ টুকরো, কাউকে টুকরো করে নদীতে ভাসিয়ে দিচ্ছে, আবার পেট কেটে পাথর বোঝায় করে লাশ ডুবিয়ে দেয়া হচ্ছে নদীতে। যে খাল, বিল, ঝিলে মাছ থাকার কথা সেখানে এখন পাওয়া যায় লাশ।

তিন বছরের শিশু থেকে ৬০ বছরের বৃদ্ধা ধর্ষিতা হচ্ছে প্রতিনিয়ত। গুম হচ্ছে ভিন্নমতের রাজনীতিকরা। তাদের হদিস মেলে না। লাশও পাওয়া যায় না। হাতে গোনা যারা ফিরছে বিধ্বস্ত  হয়ে তারা কি ‌যেন  অজ্ঞাত রহস্যে মুখ খুলছে না।

পত্রিকায় দেশবরেন্য বুদ্ধিজীবী, কবি, কলামিস্ট ও সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহার তাকে গুম করার পর অনেকদিন  বিচারের অপেক্ষায় থেকে নির্যাতনের রোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন।

চলতি বছর নিখোঁজ হন সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, শিক্ষক ড. মুবাশ্বার হাসান সিজার, ব্যবসায়ী সৈয়দ সাদাত আহমেদ, সাংবাদিক উৎপল দাস, রাজীনিতক এম এম আমিনুর রহমান ও ছাত্র ইশরাক আহমেদ।

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ছয় মাসে দেশে চার সহস্রাধিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৮৫৫টি হত্যাকাণ্ড। গুম বা নিখোঁজ হয়েছেন ৫২ জন।বন্দুকযুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ৮৩ জন। এছাড়া ৫ বছরে নিখোঁজ হয়েছেন ৫২০ জন।

সবশেষ মঙ্গলবার নিখোঁজ হয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মানুষ হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছে। খুনের শিকার হচ্ছে অবুঝ শিশুও।নিখোঁজ বা গুমের শিকার হচ্ছে মানুষ। বাসা, অফিস, রাস্তা থেকে হঠাৎ করেই হাওয়া হয়ে যাচ্ছেন অনেকে। আবার অনেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হচ্ছেন।

রোববার, ডিসেম্বর ১০, জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘মায়ের ডাক, সন্তানদের মায়ের কোলে ফিরিয়ে দাও’ শীর্ষক আলোচনা সভায় অংশ নেন গুমের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যরা। এ সময় নিখোঁজ সাজেদুল ইসলামের ছোট মেয়ে আরওয়া ইসলাম বাবার জন্য কান্নায় ভেঙে পড়ে। 


জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন অনুসারে, এ ছয় মাসে প্রতিদিন গড়ে ২৩টির বেশি মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে। মোট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ৪ হাজার২৪০টি। এর মধ্যে ৮৫৫টি হত্যাকাণ্ড। গুম বা নিখোঁজ হয়েছেন ৫২ জন। বন্দুকযুদ্ধে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন ৮৩ জন। একই সময়ে অপহরণের শিকার হয়েছেন ১৯৩ জন। নির্মমতা থেকে বাদ যাচ্ছে না নারী-শিশুও। হত্যার শিকার হয়েছে ১২৯ শিশু। আর নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১২৩ শিশু। বছরের প্রথম ৬ মাসে ৩০৬টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। যৌন নির্যাতন, পারিবারিক সহিংসতা, এসিড নিক্ষেপসহ আরও বিভিন্নভাবেসহিংসতার শিকার হয়েছেন ২৯৯ নারী। এর বাইরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অমানবিক শাস্তির শিকার ১২৭ শিশু শিক্ষার্থী।

পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে অনুসারে, পুলিশের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন স্থানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ১২৭টি অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণহানিকেও মানবাধিকার লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে পর্যবেক্ষণে। ৬ মাসেসড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১ হাজার ৮৫৩ যাত্রী ও পথচারী।

তবে বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী, মানবাধিকার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৬ সালে খুন ১০৫২, শিশুহত্যা ১৯৭, গণধর্ষণ ৭৭ ও ক্রসফায়ারে মৃত্যু ১৫৭ জনের।২০১৭ সালে (জানুয়ারি থেকে নভেম্বর) সেটি এসে দাঁড়িয়েছে- খুন ৮৮৪, গণধর্ষণ ৭২২, ক্রসফায়ারে মৃত্যু ৯৩ জন ও শিশুহত্যা ৩১৩।

বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির চিত্র ফুটে উঠেছে সুপ্রিমকোর্টের পর্যবেক্ষণে।বাংলাদেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি হুমকির মুখে, সংসদ অকার্যকর এবং প্রশাসনে অব্যবস্থা বিরাজমান বলে মন্তব্য করেছে দেশের সর্বোচ্চ এআদালত।সম্প্রতি সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনীকে অবৈধ ঘোষণা করে দেওয়া ৭৯৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়ে আদালতের এইসব পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয়।

উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, “দেশে মানবাধিকার পরিস্থিতি হুমকির মুখে, দুর্নীতির প্রাদুর্ভাব বেড়েছে, সংসদ কার্যকর নয়, কোটি কোটি মানুষ প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত এবং প্রশাসনেও তীব্র অপব্যবস্থাপনাবিরাজ করছে।”নাগরিকদের জীবন ও নিরাপত্তা সম্পূর্ণরূপে অনিরাপদ হয়ে উঠছে মন্তব্য করে রায়ে বলা হয়, “আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না, যার ফলশ্রুতিতে একটি বিকলাঙ্গ সমাজ তৈরিহয়েছে; যেখানে ভালো মানুষ আর ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছে না। কিন্তু খারাপ মানুষগুলো অবৈধ সুবিধা আদায়ে মরিয়া হয়ে উঠছে।”

“এমন অবস্থায় নির্বাহী বিভাগ অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ছে। এর ফলে আমলাতন্ত্রে দক্ষতা বলে কিছু থাকবে না,” মন্তব্য সর্বোচ্চ আদালতের।
আদালতের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, “স্বাধীনতার ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও আমরা কোনো সরকারি প্রতিষ্ঠানেই প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো দাঁড় করাতে পারিনি। কোথাও কোনো চেক অ্যান্ড ব্যালান্স নেই; কর্মক্ষেত্রে নজরদারি নেই; যেকারণে পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ক্ষমতার অপব্যবহারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে ও ইচ্ছেমতো ক্ষমতা প্রয়োগের দুঃসাহস দেখাচ্ছে।”

বিচার ব্যবস্থার ওপরও আলোকপাত করে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, “অবিরাম চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও বিচার ব্যবস্থা রাষ্ট্রের একমাত্র অপেক্ষাকৃত স্বাধীন অঙ্গ। যদিও তা নিমজ্জিত হচ্ছে কিন্তু প্রতিকূলতা মাড়িয়ে টিকে থাকার আপ্রাণচেষ্টা করছে।”

নিউইয়র্কভিত্তিক বেসরকারি মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ বলেছে  বাংলাদেশ স্বৈরতান্ত্রিকতার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।   হিউম্যান রাইটস ওয়াচের বার্ষিক মানবাধিকার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে কিছুদিন আগে।৯০টির বেশি দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে তৈরি করা ওই প্রতিবেদনের ‘বাংলদেশ অধ্যায়ে মন্তব্য করা হয়েছে। ২০১৫ সালে বাংলাদেশ স্বৈরতান্ত্রিক দিকে এগিয়ে গেছে; দেশটিতে মত প্রকাশের স্বাধীনতারওপর প্রচণ্ড আঘাত এসেছে; সরকার গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে, আদালত অবমাননার অভিযোগ বা অস্পষ্ট আইনের আওতায় তাঁদের বিচারের মুখোমুখি করেছে; নিরাপত্তাবাহিনীগুলো ‘গুম’ (ডিসঅ্যাপিয়ারেন্স), যথেচ্ছ গ্রেপ্তারসহ (আরবিট্র্যারি অ্যারেস্ট) মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘন ঘটিয়েছে; যারা এসবের জন্য দায়ী, তাদের ব্যাপারে তদন্ত বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে সামান্যই; নিরাপত্তা বাহিনীগুলো মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বিচারের ঊর্ধ্বে থাকার বা ‘ইমপিউনিটি’ ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে ইত্যাদি। 

বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশের মানুষের মানবাধিকার শূণ্যের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এখন ভয়াবহ দুঃসময়চলছে। এদেশে শুধু বিরোধীদলের নেতাকর্মীরাই শুধু নয়, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মী, ছাত্র, শিক্ষক, শ্রমিক, নারী, শিশুসহ কারোই কোনো নিরাপত্তা নেই। এদের অধিকাংশই গুম, গুপ্ত হত্যা এবং বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকারহচ্ছেন। সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও দল নির‌প‌েক্ষ রাজনৈতিক বিশ্লেষক, টকশো আলোচকদের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলা দায়ের করা হচ্ছে এবং কাউকে কাউকে কারান্তরীণও করেরাখা হয়েছে।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল বলেন, মানবাধিকারের কতগুলো শর্ত আছে, যেখানে একজন মানুষ সমাজে স্বাধীনভাবে বসবাস করবে। সে স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেবে, অন্যেরমুখাপেক্ষী হতে হবে না। কিন্তু সমাজের সবাই এ সুবিধা পাচ্ছে না। তিনি আরও বলেন, একের পর এক রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সাংবাদিক নিখোঁজ হচ্ছে, তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। তারা বেঁচে আছে নাকি মরেগেছে- তাদের খুঁজে বের করার মূল দায়িত্ব রাষ্ট্রের। রাষ্ট্র এ দায় কিছুতেই এড়াতে পারে না।

সবচেয়ে বড় বিপদ হলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কখনো কখনো এমন বক্তব্য দিয়ে বসেন, যা ভুক্তভোগী পরিবারের লোককে আরো বেশি মর্মাহত ও আশাহত করে তোলে। যখন তারা বলেন, অপহৃতব্যক্তি বা গুম হওয়া লোক নিজেই আত্মগোপন করেছেন, কিংবা পুলিশের পক্ষে তাকে খুঁজে বের করা সম্ভব নয়; এ ধরনের বক্তব্য দায়িত্বহীন। কিন্তু পরিবার তো জানে, আত্মগোপন করেছে নাকি গুম হয়ে গেছে, নাকি কেউতুলে নিয়ে গেছে। সে কথার কোনো মূল্য থাকে না। এসব বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট বাহিনীর ওপর আস্থা আরো কমে আসে। এ কথা এখন সমাজের বুদ্ধিজীবী শ্রেণীর অনেকেই বলতে শুরু করেছেন।

এর সর্বশেষ শিকার সাবেক অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান। গত সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ছোট মেয়েকে আনতে বিমানবন্দরের উদ্দেশে নিজেই গাড়ি চালিয়ে যাত্রা করেছিলেন দুর্ভাগা মারুফজামান। তার ছোট মেয়ে বড় বোনের সাথে দেখা করতে বেলজিয়াম গিয়েছিল। তার ঢাকায় ফিরে আসার কথা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায়।

কিন্তু মারুফ বিমানবন্দরে পৌঁছেননি। মাঝপথেই কী যে ঘটে গেল, বোঝা দায়। রাত ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে অজ্ঞাত নাম্বার থেকে তার বাসার ল্যান্ডফোন বেজে ওঠে। কাজের মেয়ে সে ফোন ধরে ‘হ্যালো হ্যালো’ বলতেই তাকেটে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে আবারো ল্যান্ডফোনটি বাজে। ফোন করেছিলেন মারুফ জামানই। তার কণ্ঠস্বর চিনতে পারেন কাজের মেয়ে। মারুফ তাকে বলেন, ‘কিছুক্ষণের মধ্যে বাসায় কম্পিউটার নিতে লোক যাবে। তাদেরকম্পিউটার দিয়ে দাও।’ ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে তিনজন সুঠামদেহী সুদর্শন ফর্সা লম্বা তরুণ তার বাসার গেটে হাজির হন। দারোয়ানকে বলেন, ‘মারুফ জামানের বাসায় যাবো, কথা হয়েছে।’ তারা এসে ল্যাপটপ, ডেস্ক টপেরহার্ডডিস্ক, তার ক্যামেরা নিয়ে যায় এবং ঘরের বিভিন্ন ড্রয়ার তন্ন তন্ন করে খুঁজে দেখে। মিনিট দশেকের মধ্যে তারা বেরিয়েও যায়। সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা গেছে, তাদের তিনজনেরই মাথায় মাঙ্কি ক্যাপ পরা ছিল এবংক্যামেরার পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় তারা মুখ ঘুরিয়ে চলে যায়। ফলে তাদের স্পষ্টভাবে দেখা যায়নি।

খুব স্পষ্ট যে বাসা থেকেই কেউ তাকে ফলো করছিল এবং বিষয়টি ছিল অত্যন্ত পরিকল্পিত। আগে থেকেই ঠিক করা ছিলÑ ফলো করে কেউ তার পথ আটকাবে, তাকে তুলে নেবে এবং তাকে দিয়ে তার বাসায় ফোন করাবে যে, ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক এগুলো দিয়ে দেয়া হোক। কাছেই লোক মোতায়েন ছিল। তারা এসে ল্যাপটপ, হার্ডডিস্ক, ক্যামেরা এসব নিয়ে চলে যাবে। হ্যাঁ, তারা কোনো ডাকাতি করেনি, কাউকে মারধরও করেনি, নীরবে সব নিয়ে চলেগেছে।

গত চার মাসে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়ে গেছেন ১৩ জন। তাদের মধ্যে আটজন ফিরে এসেছেন। বাকি পাঁচজনের আজো কোনো সন্ধান মেলেনি। যে পাঁচজনের সন্ধান মেলেনি তারাহলেন- নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের হাসান সিজার, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও এবিএন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ সাদাত আহমেদ, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিবআমিনুর রহমান এবং কানাডার ম্যাকগিল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী ইশরাক আর সাংবাদিক উৎপল দাস। এদের হারানোর বেদনা যে কত গভীর সেটি ভুক্তভোগী পরিবারগুলোই জানে। মাঝে মাঝে তারা সাংবাদিকদের সামনেহাজির হন, বলেনÑ তার স্বজনের লাশটি হলেও ফিরিয়ে দেয়া হোক। সেখানে মা কাঁদেন, বাবা কাঁদেন, শিশুসন্তান কাঁদে। এই জনপদ থেকে তবে কি হাসির বিলুপ্তি ঘটবে?

এরকম একেকটি ঘটনা ঘটে। আর সমাজের ভেতরে নতুন করে ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। কেউ জানে না, কে কোথায় ওঁৎ পেতে বসে আছে, কাকে তুলে নেয়ার জন্য। যদি কোনো সন্দেহ থাকে, তাহলে আইনি প্রক্রিয়া আছে। সেই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তার বিচার হতে পারে। কিন্তু একটি লোককে নিখোঁজ করে দেয়ার অর্থ কার্যত আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া। এটা এক ভয়ঙ্কর অপরাধ। আর সে অপরাধী যেই হোক, তার বিচার হওয়া জরুরি।

বোঝার তো কোনো উপায় নেই যে, কে এই অপরাধ ঘটাল? আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর লোক, নাকি সাধারণ দুষ্কৃতকারী? সরকারি কতৃপক্ষের সাফাই হলো, কারা এটা করছে জানা নেই। উল্টো বরং কেউ কোনো ফাঁকে সেই রহস্যের ঢাকা কৃষ্ণবিবর  থেকে ‌বেরিয়ে অাসছে যেমন ফরহাদ মাযহার প্রতিকার পাবেন কি! পুলিশ তার বিরু‌দ্ধে অপহরণ নাটক সাজানোর মামলা ঠুকে দিতে একমূহূর্তও সময় নষ্ট করেনি ।

The onion hits upon a century and counting!


Farid Ahmed 

The onion has hit a surprising century and running uncontrollably upward. The heat is really on. It is Tk120 for a kg. It is a rare phenomenon in Bangladesh market, though. The bumpy onion market may last for a while thanks to the Indian supply side, they say. Our business community is apt to blame India for anything if the supplies are from India and quickly pass the blame on to them at the drop of a hat.

Incidentally, this is the peak of the season for onion. And the market caught on ‘fire’ just a fortnight before when India raised the export price of onion to US$ 352 per ton. The price was just within the range of Tk25 to Tk35 in the peak of the season last year. The price has gone up for both indigenous and Indian varieties by about 210 percent. And the onion market is on the hop, skip and jump practices since in a run up to this peak season with no relief in sight.

A news report reveals, the producers of onion in Faridpur have been deprived of a fair share of the bargain  and even they failed to have their cost of production. 

Most surprising side of this price spiral is that both production and import of onion have gone up and the market supply of the onion was 7 lakh metric tons in excess of the total market demand while much to the chagrin of the consumers it’s prices are rocketing to heaven.

Philippino bank accuses Bangladesh of scandal 'cover-up'




The Philippines bank through which $81 million stolen from Bangladesh's central bank was channeled in February 2016 has accused Dhaka's monetary authority of covering up its
negligence and demanded that it stop making the bank a ‘scapegoat.’

Rizal Commercial Banking Corp (RCBC) was responding to comments on Saturday by Bangladesh finance minister Abul Maal A Muhith who said he wanted to ‘wipe-out’ the Manila-based bank.
The comments follow a Reuters story that Bangladesh Bank had asked the New York Federal Reserve to join a lawsuit it was considering filing against RCBC seeking damages, according to several sources.

‘RCBC has revealed everything it legally it could to the (Philippine) Senate and its regulator, the Bangko Sentral ng Pilipinas. BB, however, has concealed everything it could. The
contrast is telling,’ George dela Cuesta, head of legal affairs at RCBC, said in a statement on Tuesday.

Unidentified hackers stole $81 million from Bangladesh Bank's account at the New York Fed in February last year, using fraudulent orders on the SWIFT payments system. The money was sent
to accounts at Manila-based Rizal Commercial Banking Corp and then disappeared into the casino industry in the Philippines.

Nearly two years later, there is no word on who was responsible and Bangladesh Bank has been able to retrieve only about $15 million, mostly from a Manila junket operator.

‘BB is definitely partly to blame for the heist. Its refusal to be transparent is a continuing cover-up and a disservice to global efforts to combat cybercrime,’ dela Cuesta said. ‘RCBC
is clearly a victim of BB's negligence.’

RCBC has blamed rogue employees and Philippine prosecutors have filed money laundering charges against a former RCBC bank manager and four people who owned the bank accounts where the funds were sent, but are not identifiable since the accounts were in fake names. They are the only people to be formally cited anywhere in the world in association with the crime.

RCBC was fined a record one billion pesos ($20 million) by the country's central bank last year for its failure to prevent the movement of the stolen money through it.

‘BB must be sanctioned until it owns up and shares what it knows to prevent a repeat. Up to now, not one Bangladeshi has been identified in the inside job, much more hauled to the
court,’ dela Cuesta said. 

Govt. to allow two more private banks

(Editor’s Note: Well known economists, including two former finance ministers, have recently warned the government against allowing any new commercial bank in the private sector. They argued that instead it should try to keep the banking sector under strict watch as a large number of banks were grossly mismanaged, and if necessary, merge some of these banks with the stronger ones. But it is clear now that the government on political consideration has again decided to allow two more banks disregarding the dismal track records of some of the banks allowed on political consideration. Any government ought to be more careful in taking such decision as the banks deal with the peoples’ money and it can’t shirk its responsibility.)    



Shakhawat Hossain/New Age 

The Prime Ministers’ Office has given consent to the establishment of two more banks by private entrepreneurs amid warning by the experts that entry of new banks would be disastrous for the already scam-hit and overcrowded banking sector.

The consent came in the past week following a proposal made by Financial Institutions Division to award licences for establishing the proposed Bengal Bank and People’s Bank, division officials said.

They said that consents to the establishment of Bengal Bank by Bengal Group of Industries and People’s Bank by MA Quasem of Swandip, backed by Awami League leaders, had already been forwarded to the Bangladesh Bank which was likely to review the proposals in the next board meeting.

The central is also likely to consider the proposal for the establishment of another bank owned by the police, the officials said.

Financial Institutions Division secretary Eunusur Rahman, also a member of the central bank board of directors, however, told New Age on Monday that he was not sure whether the proposals would be reviewed in the next board meeting.


The agenda and the date of the next board of directors’ meeting were yet to be fixed, he said. 

On November 27, finance minister AMA Muhith said that the government was going to give licences for setting up three more new banks.

He, however, did not name the banks.

Despite severe criticism, the incumbent government in 2012-13 awarded licences for the establishment of nine banks reportedly on political consideration. 

Two of them — NRB Commercial Bank and Farmers Bank — are already identified as risky by the parliamentary standing committee on finance at a meeting on October 29 because of scams and growing non-performing loans.

Other new banks — Meghna Bank, Midland Bank, Modhumoti Bank, NRB Bank, NRB Global Bank, South Bangla Agriculture and Commerce Bank and Union Bank — are also struggling because of their inexperience in the banking business, experts said.

Bad loans given by the nine fourth-generation banks increased by 86.18 per cent to Tk 509.10 crore in the first quarter of 2017-18. 

Economic Research Group research director Sajjad Zohir said the overall banking sector was passing through a crisis due to scams in both private and public banks.

He said that the crisis was getting acute because of awarding new banking licences to inexperienced groups.

He compared the situation with drivers on the highway without proper driving knowledge.

Transparency International Bangladesh executive director Iftekharuzzaman said that the establishment of new banks to embezzle depositors fund became a ‘fashion’ nowadays.

The loan scams in the new banks in addition to growing defaulted loans of over Tk 80,000 crore in the banking sector would discourage depositors  to save money in the banks, he said.

Bengal Group of Industries vice-chairman Jashim Uddin, however, said that all of the 57 banks were not bad and some of them were doing good business with the expansion of the country’s economy.

He said that they would run their proposed bank with professionals so that it could flourish like other companies of the group. 

Monday, December 11, 2017

Citizens for consensus on poll-time government


Moloy Saha and Sadiqur Rahman


Civil society members, including academics, professionals and freedom fighters, on Saturday said that the issue of the election-time government should be resolved for holding a free, fair and inclusive general election.

The country would face a dire and confrontational situation if the issue was not resolved through consensus between the government and opposition political parties and it is the government that should take initiatives to resolve it first, they told New Age on Saturday.

They made the observations in reactions to comments made by prime minister Sheikh Hasina at a press conference on December 7, ruling out any possibility of holding talks for bringing all political parties in the next general election.

She said that political parties in a multiparty democracy had the responsibility to participate in the polls.

‘The parties, who believe in democracy, will participate in the polls. It is the decision of a particular party whether to participate in the polls or not,’ Hasina said at the briefing at her official residence Ganabhaban after her three-day Cambodia visit.

Dhaka University professor Abul Quasem Fazlul Huq expressed hope that the political parties would be able to reach a consensus to avoid confrontations before the next general election.

The ruling and opposition political parties should be sincerer in saving the country and its people, he said.

The political parties who want election-time neutral government other than the constitutional provisions should give their written proposals, h said, adding that those parties had not presented any such proposal so far to enable people to consider the justifications of the demands.

Freedom fighter Zafrullah Chowdhury, also Gonoshasthaya Kendra founding trustee, expressed hope that the issue of the election-time government would be resolved and the next general election would be free, fair, credible and inclusive.

‘We want a free, fair and participatory general election so that the voters can apply their voting rights,’ Zafrullah said.

He believed that the comment of the prime minister was a political rhetoric and she would take steps to resolve the issue of the election-time government. 

Architect Mobasher Alam said that in a democracy the ruling party had a responsibility to create a strong opposition party in parliament.

‘We want a free, fair, credible and inclusive election in the country, where the voters would cast their vote for electing the next government,’ he said.

As a ruling party, the Awami League should take initiatives for holding a credible election, he added.
Cultural activist and actor Ramendu Majumder, said that the next general election would be held according to the constitutional provision under the incumbent government.

If the Election Commission is empowered, it can hold a free, fair and credible general election, he added.

Dramatist and actor Mamunur Rashid said that the issue of the election-time government should be resolved through consensus between the government and the opposition parties.

In a democracy, negotiation, discussion and interaction are the essential components, he said.
He believed that the issue would be resolved and country would get a free, fair, credible and inclusive general election. 
Newagebd.net

Increased number of disappearances worries rights campaigners




Rights campaigners on Sunday expressed concern about the increasing number of enforced disappearances, with people from various professional groups now going missing, which intensified the sense of insecurity in society. 

They also spotted a change in the way people were facing enforced disappearance — earlier the victims used to be picked up from their house or their workplace or any place they family were aware about, but now the victims were going missing on their way to any direction.

‘Families are in dilemma as to who is to blame for it. We have noticed the trend, especially since August,’ rights group Odhikar director ASM Nasiruddin Elan told an indoor discussion at National Press Conference in the capital.

Over two dozen families of enforced disappearance victims organised the programme to observe Human Rights Day on December 10.

Many other rights groups and socio-political organisations organised programmes on the occasion, where they expressed concern about deteriorating human rights situation. 

At the press club programme, the campaigners were highly critical of the continued incidents of enforced disappearance, extrajudicial killings in the name of ‘crossfire’ and ‘gunfight’ and secret detention and custodial torture.

Referring to the United Nations’ definition of enforced disappearance, Elan said it was now difficult for the victim family in many cases to blame a particular agency while the perpetrators were enjoying impunity.

On December 4, former diplomat Muhammed Maroof Zaman, who served as ambassador to Qatar and Vietnam, went missing while going to Hazrat Shahjalal International Airport to pick up his daughter. 

Anti-extremism analyst Mubashar Hasan Caesar, also a North South University political science teacher, also went missing after emerging from a meeting at the United Nations country office at Agargaon in Dhaka on November 7.

According to rights organisation Odhikar, at least 408 individuals were subjected to enforced disappearance between January 2009 and November 2017.

Addressing the function, Zafrullah Chowdhury, founder and trustee of Gonoshasthaya Kendra, accused the government of the enforced disappearance and other extrajudicial activities saying ‘none of the incidents takes place without the government’s nod.’ 

He observed that one of the reasons behind the continued rights abuse was the ineffectiveness of the judiciary. 

Rights campaigner Nur Khan Liton said they planned to hold a mass-hearing by March next year on rights situation and to record the reported cases of rights abuses over the years across the country.

He said they would record cases of reported incidents of rights abuses in order to get a promise from the government to identify the perpetrators and to bring them back.

Nagarik Oikya convener Mahmudur Rahman Manna said all the victim families present at the programme alleged that security agencies had taken away their family members.

Dhaka University teacher CR Abrar urged the government to return the victims of enforced disappearances to their families if they were alive.

‘If they are not alive, please tell us what has happened to them. Book them who are involved with the incidents,’ he urged.

Enforced disappearance victim and Bangladesh Nationalist Party leader Sajedul Islam Sumon’s sister Marufa Islam read out a written statement, urging the government to ensure the return of all victims.

In the statement, she detailed how his brother Sumon and 18 others were picked in two weeks just before the national election held in January 2014 boycotted by major political parties including the BNP.

In the programme, Adiba Islam Hridi, the seven-year-old daughter of Chhatra Dal leader Parvez Hossain, who remains missing since 2013, sought prime minister Sheikh Hasina’s intervention in finding her father.

‘Please bring my papa back or send me to my papa. I want to go to school with my papa. Sheikh Hasina aunty, please return my papa,’ Hridi cried.

In a separate rally, BNP secretary general Mirza Fakhrul Islam Alamgir alleged that whoever raised voice against the present government became victims of killing or enforced disappearance.
He claimed that so far 78,340 false cases were filed implicating 7,83,236 leaders and activists of BNP across the country during the rule of the present government.

He said that a total of 520 party activists were killed by law enforcers, 647 others abducted, 157 went missing.

Marking Human Rights Day, National Human Rights Commission organised a two-day programme at Bangabandhu International Conference Centre in Dhaka. 

As part of the programme, a two-day international conference titled ‘Promoting Equality, Justice and Human Dignity’ began at Bangabandhu International Conference Centre. 

  • Resource - .newagebd.net 


‘Confession’ was what DB made me to write: Farhad Mazhar



Writer, columnist and poet Farhad Mazhar on Saturday said that the Detective Branch of police sent him to court handing him a written copy for making a statement which he handed over to the magistrate and then collapsed on a sofa a day after he was ‘abducted’ by unknown people and rescued by police on July 3.

He made the explanation at a news conference at his Shyamali house in Dhaka two days after a Dhaka metropolitan magistrate allowed police to prosecute Farhad and his wife Farida Akhter, a rights activist, accusing them of staging a drama of abduction and lodging a ‘false’ case.

‘You should be sure that it was not a drama,’ said Farhad, demanding justice and stop of abduction and enforced disappearance in the country.

On December 7, the same court in the morning allowed Farida time to file a petition against the Detective Branch’s report that it found no proof of abduction of Farhad. In the afternoon, the same court rejected the time petition and allowed police to prosecute Farhad and Farida.

Farida, complainant of the abduction case filed with Adabor police station, said that they would now seek justice at the higher court. 
‘After rescue, I was taken to Adabor police station in Dhaka while I was physically and mentally collapsed. I was barred from going to my home in spite of assurance [by police]. [I] was taken to DB office after keeping me waiting at [Adabor] police station,’ Farhad recalled.

‘At the DB office, I was interrogated and cross-examined while I was stunned, tired and collapsed and was sent to a magistrate with a written copy for giving a statement under Section 164 [of the CrPC]. With a confusing state of mind, I could only tell the honourable court that my physical and mental condition was very vulnerable and I am still frightened and traumatised. What the DB office made me to write, I am submitting only that to you,’ he recalled.

‘Then I lay down on the sofa in the magistrate’s room taking his kind permission,’ Farhad recalled. 

Their lawyer Syed Zaynul Abedin Mesbah said that neither he nor Farhad was aware about the contents of the ‘statement.’

Both Farhad and Farida said that they kept mum after the abduction and rescue for proper investigation but, instead of proper investigation, police continued to threaten prosecute and harass them socially.

Farhad claimed that he was blind folded after abduction and did everything asked by the abductors to save his life.

As per the abductors’ direction, he claimed, he got on a Hanif Paribahan bus and became frightened and broken in fear of death.
He said that he woke up hearing shouting and found that some plainclothes men were forcing him to get down.

Farhad said that members of Rapid Action Battalion, after altercation with men in plainclothes, took him to Abhaynagar police station where police misbehaved with him and compelled him to say that he had come out for ‘recreation.’

He said that later he was presented before journalists and was hurled abusive words and forced to say the same statement.

‘Later police left for Dhaka with me by a police car and they sang song loudly throughout the way and I had to experience mental torture.’

He said that he later came to know and now could understand that the abductors had tried to take him across the border through Khulna-Jessore bordering area.

Farhad said that he, enduring all disrespect, had been speaking to end the culture of enforced disappearance and hoping that all the victims of enforced disappearance might come back to their family.
‘The government should take the responsibility.’

A government critic, Farhad was found on a bus in Jessore while travelling from Khulna to Dhaka, 18 hours after he went missing at Dhaka, on July 3, according to police statement.

On November 14, Detective Branch inspector Mahbubul Islam, also investigation officer of the Farhad abduction case, submitted the final report to Dhaka chief metropolitan magistrate’s court mentioning that they did not find any proof of abduction. 

Sunday, December 10, 2017

আমাকে অপহরণ করে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যেতে চেয়েছিলো - ফরহাদ মজহার




কলামিস্ট ফরহাদ মজহার

বাংলাদেশে সরকারের কঠোর সমালোচক ও কলামিস্ট ফরহাদ মজহার বলেছেন, তাকে অপহরণ করে সীমান্তের ওপারে নিয়ে যাবার চেষ্টা হয়েছিল এবং পুলিশ তাকে উদ্ধারের পর তার ভাষায়, তার ওপর চাপ প্রয়োগ করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি নেবার চেষ্টা করেছে।

গত জুলাই মাসে নিখোঁজ হওয়ার পর মি. মজহার এই প্রথম সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন।

তিনি বলেন, "গুমের হাত থেকে আমার উদ্ধার পাওয়ার ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর যারা অসামান্য ভূমিকা রেখেছেন, ঘটনাকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার চেষ্টা তাদের সাফল্য ও গৌরবকে মারাত্মকভাবে ম্লান করে দিয়েছে।"

ফরহাদ মজহারের এসব অভিযোগের ব্যাপারে বিবিসি বাংলার পক্ষ থেকে পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোন বক্তব্য পাওয়া যায় নি।

আজ শনিবার ঢাকায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফরহাদ মজহার এসব কথা তুলে ধরেন। এসময় তার স্ত্রী ফরিদা আক্তার এবং তার আইনজীবীও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

ফরিদা আক্তার বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত এবং আইনি প্রক্রিয়ার স্বার্থে তারা এবিষয়ে এতোদিন কোনো কথা বলেন নি।

ফরহাদ মজহারের নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় স্ত্রী ফরিদা আক্তারের করা মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ বলেছে, ফরহাদ মজহারকে অপহরণের প্রমাণ পাননি তারা। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা দায়েরের অভিযোগে মি মজহার ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে পাল্টা মামলা করার অনুমতি চাওয়া হয় আদালতের কাছে। গত বৃহস্পতিবার তাদের ওই প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলা করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।

এর পরেই ফরহাদ মজহার সস্ত্রীক সাংবাদিকদের সামনে হাজির হলেন।
উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হওয়ার পর ফরহাদ মজহার

ফরহাদ মজহারের স্ত্রী বলেন, "দেশের কোন সংবাদ মাধ্যমের সাথেও আমরা কথা বলিনি। এজন্যে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি যে আমরা কথা বলে উঠতে পারিনি। বর্তমান পরিস্থিতির চরম নিরাপত্তাহীনতা ও ঝুঁকি সত্বেও আমাদের অবশ্যই কথা বলতে হবে।"

গত ৩রা জুলাই সকালে ঢাকার একটি বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ফরহাদ মজহার। তারপর তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে ফোন করে তিনি জানান যে তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এর শ্বাসরুদ্ধকর ১৮ ঘণ্টা পর গভীর রাতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা নাটকীয়ভাবে তাকে যশোর থেকে উদ্ধার করেন।

সেদিনের ঘটনা সম্পর্কে ফরহাদ মজহার বলেন, "ভোরে কম্পিউটারে লিখতে গিয়ে দেখি আমি চোখ খুলতে পারছি না। এই অবস্থা হলে ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকে এমন একটা ফার্মেসি থেকে ওষুধ কেনার জন্যে বের হই। এসময় তিনজন লোক আমাকে জোর করে একটি শাদা মাইক্রোবাসে তুলে আমার চোখ বন্ধ করে ফেলে।"

পরে তিনি তার স্ত্রী ফরিদা আক্তারকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। "বাঁচার জন্যে টেলিফোন করা, টাকা পাঠানোসহ অপহরণকারীরা যা কিছু করতে বলে আমি তা করি।"

তিনি জানান, যেখানে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিলো সে জায়গাটি তিনি চেনেন না। কিন্তু তারা তার ওপর নজরদারি করতে থাকে এবং সন্ধ্যায় তার নির্দেশ মতো হানিফ পরিবহনের গাড়িতে উঠলে তারা তাকে বাসের পেছনে বসিয়ে দেয়।

"আমি মৃত্যু ভয়ে ভীত, বিধ্বস্ত শারীরিক অসুস্থতায় নির্জীব হয়ে পড়ি। শোরগোল শুনে আমি জেগে উঠি। কিছু শাদা পোশাকের লোক জোর করে আমাকে আবার নামিয়ে আনার চেষ্টা করে। শাদা পোশাকের কিছু লোক বন্দুক তুলে শাসিয়ে আমাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাবার চেষ্টা করলে উভয়ের মধ্যে প্রচণ্ড তর্কাতর্কি হয়। কিন্তু র‍্যাব ছোটখাটো যুদ্ধক্ষেত্রের মধ্যে আমাকে তাদের গাড়িতে উঠায়। এবং আমার স্ত্রী ফরিদা আক্তারের সঙ্গে ফোনে কথা বলিয়ে আমাকে আশ্বস্ত করে।"




উদ্ধারের পর আদাবর থানায় নিয়ে আসা হয় ফরহাদ মজহারকে 

তিনি বলেন, অপহরণকারীরা ওই এলাকায় থাকতে পারে ভেবে র‍্যাব আমাকে নিয়ে খুলনায় ঘটনাটি তদন্ত করতে চাইলেও কে বা কারা র‍্যাবের গাড়ির দুদিকে রাস্তায় রাতের ট্রাক থামিয়ে দু'দিকের পথরোধ করে। এবং র‍্যাবের গাড়িসহ আমাকে একটি জায়গায় নিয়ে আসে। আমাকে তখন র‍্যাবের গাড়ি থেকে নামানো হয়। আমার সঙ্গে তারা প্রচণ্ড দুর্ব্যবহার করে। এবং জিজ্ঞাসাবাদের নামে আমাকে বলতে বাধ্য করা হয় যে আমি বিনোদনের জন্যে বেরিয়েছি।"

তিনি জানান, এর পর তাকে ক্যামেরাসহ কিছু লোকের সামনে দাঁড় করানো হয়। "সাংবাদিকদের সামনে আমি বিনোদনের জন্যে স্বেচ্ছায় বেরিয়েছি এটা স্বীকার করার জন্যে প্রচণ্ড চাপ দেওয়া হয়। অনেকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে আমাকে পুলিশের একটি গাড়িতে নিয়ে উচ্চস্বরে গান গাইতে গাইতে ঢাকার পথে রওনা হয়। সারা পথে নানা ভাবে আমাকে মানসিক নির্যাতন করা হয়।"
তিনি বলেন, ঢাকায় নিয়ে আসার পরেও বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও তাকে তার পরিবারের কাছে যেতে দেওয়া হয়নি। পরে তাকে গোয়েন্দাদের অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্লান্ত ও বিধ্বস্ত অবস্থায় তাকে জেরা করা হয়।

ফরহাদ মজহার বলেন, আদালতকে তিনি জানান তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। ডিবি অফিস তাকে দিয়ে যা লিখিয়ে নিয়েছে সেটাই তিনি আদালতে দিয়েছেন।

তিনি বলেন, "পরে জানতে পারি এবং এখন বুঝতে পারি অপহরণকারীরা খুলনা যশোর সীমান্তের দিক দিয়ে আমাকে সীমান্তের ওপাশে নিতে চেষ্টা করেছিলো।"

তিনি অভিযোগ করেন পুলিশ ঘটনাটিকে অন্যদিকে নিয়ে যাবার চেষ্টা করছে।


ফরহাদ মজহারের স্ত্রী ফরিদা আক্তার

"তদন্ত শেষ হওয়ার আগেই পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রেস কনফারেন্স করে আমাকে সামাজিকভাবে অপদস্থ করার চেষ্টা করেন। পুলিশের প্রতিবেদন চ্যালেঞ্জ করলে আমার ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মামলার হুমকি দেন," বলেন মি. মজহার।

তিনি জানান, গোয়েন্দা পুলিশ পরেও তাদেরকে ডিবি অফিসে ডেকে নিয়ে পুলিশের প্রতিবেদনে সায় না দিলে তাদেরকে সামাজিকভাবে লাঞ্ছিত এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে বলেও হুমকি দিয়েছেন।

মি মজহারের স্ত্রী ফরিদা আক্তার সংবাদ সম্মেলনে জানান, তারা এখন এর সুবিচার চেয়ে উচ্চ আদালতে যাবেন।

- Source - bbc.com/bengali

4,440 HR violation in 6 months in Bangladesh

Special Correspondent


The number of human rights violations rose to 4,440 in the last 6 months from January to June this year as there are more than 23 human rights violation incidents every day on an average in Bangladesh.

After monitoring the overall situation, the National Human Rights Commission (NHRC) has recently come up with such an alarming observation on human rights violation across the country.

According to the officials of the state human rights organisation, though incidents of human rights violations in the country are not new, recently it is increasing at alarming rates. People are becoming the victims of killings. Innocent children are also not being spared from such brutal incidents.

People are missing or disappeared. Many people are suddenly being fall to the prey of enforced disappearance from the house, office and roads suddenly. Events happening around the clock. Many people are being victimized by extrajudicial killings in the hands of the law enforcement agencies. Tortures are taking place in the case of women d and children.

National Human Rights Commission, which observes the overall human rights situation in the country regularly on the basis of the news reports published in the media, prepare a monthly statistics on human right violation in the country.

According to the data of ‘Human Rights Violence Statistics 2017’, there were more than four thousand human rights violations in the 6 months from January to June. This includes 855 killings. 52 people have been missing or disappeared. 83 people were killed in extra judicially in gun battle. Children are also not being spared. A total of 129 children have been killed while 123 children were tortured during the period.

Besides, a total of 127 students faced inhuman punishment in their respective educational institutions. As violence against women increased, 306 rape cases occurred in the first 6 months of the year.  More than 299 women have been victims of sexual violence, family violence, acid attacks, and others. At the same time, 193 people were abducted while 93 workers were also killed in various inhuman incidents, said the NHRC.

The monitoring report of NHRC also alleged that human rights violations were carried out by the police who are in charge of protecting the law and order in the country. A total of 127 complaints of human rights violations in different parts of the country were lodged against police. Terming the road accidents a human rights violation, the NHRC in its observation said that a total of 1,853 passengers and pedestrians have died in road accidents in the last 6 months.

NHRC monthly statistics show that the highest number of human rights violations occurred in April – 857 and in January, 361 human rights violations took place, the lowest. However, there are over 7 hundred human rights violations on an average per month during this six-month period.

In the latest development, former Bangladesh ambassador to Qatar and Vietnam Maroof Zaman remains missing since Monday (4 December) night after he left his Dhanmondi home in his private car to pick up his daughter from Hazrat Shahjalal International Airport in Dhaka. The 61-year-old’s youngest daughter Samiha Zaman was scheduled to land at the airport at 7:30pm, said Rifat Zaman, the ex-diplomat’s brother.

The family of the ambassador, in a press release, said police, however, recovered his car from Khilkhet in the evening. It also mentioned that around 7:45 the ambassador contacted with his family over phone to tell that some people would come to take his computer and instructed them to cooperate. Shortly after that, three tall, well-dressed men came to the house around 8:05pm, took his laptop, home phone’s CPU, his camera and smart phone and searched his room thoroughly, it said.

Earlier on November 26, a Dhaka University unit leader of Jatiyatabadi Chhatra Dal Mujahidur Rahman disappeared after leaving his Sher-e-Bangla Nagar home in the capital. He is a master’s student of Political Science and senior joint secretary of Salimullah Muslim Hall unit of the pro-BNP student body.  His wife Kamrunnahar Lucky filed a GD with Sher-e-Bangla police on November 29.

With Maroof and Mujahidur, 14 people including the NSU teacher, a journalist and a number of businessmen, went missing, in recent months. Four of them returned while there is no trace of others.

  •  The piece first appeared on http://weeklyholiday.net

Saturday, December 9, 2017

Early election: Why? Why not?


Shahid Islam


Sound bites are sweeter when they denote something in substance.  Recent utterances of some of the ruling party leaders, and the BNP’s reactive response relating to an early election, are brewing sweeter sound bites. The reality may be that these are empty talks to keep the otherwise vacuous political horizon splattered with some colours and coatings.

Then again, it may not just be a floating detraction to keep the public psyche engaged in an illusion. Let’s examine the pros and cons of this dangling dilemma.

Constitutional exigency

Elusive or not, the government is not constitutionally beholden to have an early election which can occur as late as the penultimate days of 2018. But, based on a rampart of tactical calculus, it may be wiser to have the electoral show staged earlier due to reasons that have turned somewhat imposing and unavoidable in recent days.

Foremost, the performance index of the ruling AL in governance within, diplomacy abroad, and in reining in intra-party bloodletting is showing an inexorable downward trend. Macro and micro economic indices are flip-flopping too. Ordinary people find it extremely harder to cope with the rising prices of electricity, food, house rents, and other indispensable chores of life.

Add to this the lingering stigma of the nation’s parliament not being a representational one, and, the ‘image crisis’ it sprouts almost daily when the nation’s diplomats wage their battle to pull the world to our side on a human carnage occurring across the border in Myanmar; resulting in huge influx of refugees into a land that is the most populated one on earth, based on the number of inhabitants sprawled per sq. km.

What an early election can do to ameliorate the above is an unknown of quantum perplexity. Yet, it can shift the agenda from the existential deadlock characterized by the domestic and global perceptions that the incumbent AL will keep ruling the nation by force; with backing of an external power that even does not vote in Bangladesh’s favour in the global podiums, on crucial matters like the Rohingya crisis.

BNP’s betting

The BNP and its electoral-political allies have been expecting an election within a year or so of the botched 2014 electoral fiasco; hoping that the government had—as pronounced and reiterated repeatedly—held the poll without participation of the other major political parties only to preserve the constitutional sanctity, as the BNP itself did in 1996, and a new election would put democracy to its deserved locomotive to pull the nation ahead.

Since that didn’t happen, and, the government managed to tighten its stranglehold on the labyrinth of the state apparatuses to cling onto power without a fresh mandate of the people, it should happen sooner, so believed, and do believe, the nation’s well-wishers at home and abroad.

Since the 2014 election, the EU, the USA, and almost all other external partners had advised and vouched time and again for an early election that the government managed to wriggle off and defer until now. This stands at the crux of Bangladesh’s stumbled political crisis; deterring domestic and international investments on pretexts that the political climate of the nation lacks signs of profound stability.

It may be time, given the way the geopolitics of the Bay of Bengal region is transforming to suck in global powers to the festering Rohingya crisis (see last issue of the weekly Holiday), that the government should seek a fresh mandate from the people to shore up the dearth of legitimacy that is bottlenecking the diplomatic efforts to cull the support of some UNSC members like China and Russia to compel Myanmar to take back its driven-out people, numbering almost a million, from the soil of our over-populated nation.

Indo-US complexity

The crisis is climaxing toward dreadful danger, and reasons are laced with external complexities. There’re many who believe India can impress upon this reality on the government to arrange a fresh election in Bangladesh sooner, to fix the domestic drags.

Another school of thought thinks India is unlikely to do that due to fear that the BNP and its Islamist allies will overwhelm in the electoral race. They think the USA, as the strategic pivot in the Indo-China power imbalance, can convince India to allow true democracy to flourish in Bangladesh so as to blunt the sharpness and the sanguinity of the Islamists who’re deemed as a common threat to liberal democracy.

The Bangladesh factor, based on such rationales and realities, has become an irritation to the USA and its NATO allies who are finding it hard to pull Delhi to their side to implement two things simultaneously: ensure representational democracy in Bangladesh, and, resolving the Rohingya crisis peacefully to stave off the ducked-in danger of an Islamic revival and armed militancy that poses potent danger to peace and security of the entire region.

Paving the way

Being mindful of such dangers, the regime of Sheikh Hasina may serve itself and the nation better by realizing the reality of its dwindling popularity, and the compulsiveness imposed by the external factors, to opt for an early election. For that to happen, dialogue must kick off sooner with the BNP to reset the so called rules of the electoral games, as well as to pave the ways, to ensure participation of all stakeholders in the upcoming electoral fray.

Failing to do so will compel external powers to set the agenda, change the goalpost, and score as many goals as they wish; without much deference to the will of what they think a ‘deficit regime’ in power.  This will also compromise the nation’s sovereignty in a manner that may engrave irreversibly into the minds of the posterity, while undoing everything our predecessors and we achieved together through diligence and inexplicable dedications.