Search

Tuesday, January 16, 2018

ছাত্রলীগে বেশি বহিষ্কার ধর্ষণে


ডেস্ক রিপোর্ট/আমাদের সময়.কম



নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে ৩৫০ নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠন ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি। বহিষ্কারের পাশাপাশি অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১০২ টি ঘটনায় ১১৩ জনকে বহিস্কার করা হয়েছে ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও বখাটেপনার ঘটনায়। প্রতিটিঘটনাতেই মামলা হয়েছে। এর মধ্যে একটিতে আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অন্য মামলাগুলো চলমান রয়েছে। ছাত্রলীগ নেতা ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসন্ধানে এসব তথ্যপাওয়া গেছে।

ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন শাহজাদা প্রিয়.কমকে জানান,দলীয় শৃঙ্খলা বহির্ভুত আচরণের জন্য ৩৫০ জন নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কাকে কি অপরাধে বহিষ্কার করা হয়েছে তারসুর্নিদিষ্ট তথ্য আমাদের হাতে নেই।

২০১৫ সালের ২৬ জুলাই থেকে জানুয়ারি ২০১৮ পর্যন্ত গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুসন্ধান করে দেখা গেছে, বহিষ্কৃতদের মধ্যে ১১৩ জন ধর্ষণ, নারী নির্যাতন ও বখাটেপনার অভিযোগে অভিযুক্ত। এরবাইরে অভ্যন্তরীণ কোন্দলে ৫৭ জন, শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় ২৩ জন, মাদক গ্রহণ ও ব্যবসার কারণে ১৭ জন, চাঁদাবাজির ঘটনায় ১৬ জন, পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন, ভর্তি বাণিজ্য ও প্রশ্নপত্র ফাঁসঘটনায় ১৪ জন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় ১২ জন, শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরণের জন্য ১১ জন, চাকরি দেয়ার নামে প্রতারণায় ৯, পুলিশের সঙ্গে অনৈতিক আচরণের জন্য ৭ জন, মূল দলেরকেন্দ্রীয় নেতাদের নিয়ে ফেসবুকে মন্তব্য করায় ৭ জন, শিশু নির্যাতনে ৪ জন ও অন্যান্য ঘটনায় ৬০ জন।

এ ছাড়া বহিষ্কারের পাশাপাশি অভিযুক্ত প্রত্যেককেই ভুক্তভোগীদের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আইনের আওতায় নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে খাদিজা হত্যাচেষ্টায় একজনকে যাবজ্জীবনসহ অন্যদের বিভিন্ন মেয়াদেশাস্তি হয়েছে। খাদিজার মামলার রায় ব্যতীত ১১২ টি ঘটনায় অভিযুক্ত বাকিদের বিরুদ্ধে মামলা চলমান রয়েছে।

বহিষ্কারের পাশাপাশি ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী বহিষ্কৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমানসোহাগ।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ কেন্দ্রে স্নাতক পরীক্ষা দিয়ে বের হয়ে হামলার শিকার হন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক (পাস কোর্স) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রীখাদিজা। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলমের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তার মাথার খুলি ভেদে করে মস্তিষ্কও জখম হয়। এই ঘটনায় বদরুলকে বহিষ্কার ওআদালত তাকে যাবজ্জীবন দিয়েছে।

এ ছাড়া গেল বছরের ঘটনাগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ১৪ নভেম্বর বরগুনার পাথরঘাটায় তরুণীকে ধর্ষণ ও হত্যার পর কলেজ পুকুরে লাশ লুকিয়ে রাখার অভিযোগে চার ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করেকেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। বহিষ্কৃত ছাত্রলীগ নেতারা হলেন- পাথরঘাটা কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রুহি আনাল দানিয়াল, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছোট্ট, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম রায়হান ওউপজেলা ছাত্রলীগ সহ-সম্পাদক মো. মাহমুদ।

২৮ ডিসেম্বর শরীয়তপুরে ছয় নারীকে ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ ও সেসব দৃশ্য গোপনে ভিডিও করে ছড়িয়ে দেয়ার ঘটনায় বহিষ্কৃত হন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণসম্পাদক আরিফ হোসেন হাওলাদার।

১ আগস্ট বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার বেতাল গ্রামে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ রুমি আক্তারকে ধর্ষণের অভিযোগে বানারীপাড়া ছাত্রলীগের সভাপতি মো. সুমন হোসেন মোল্লাকে বহিষ্কার করা হয়।

৭ ডিসেম্বর রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজির (আইএএইচটি) ছাত্রীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় আইএইচটি ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সহ-সভাপতি মিজান আলী,ফয়সাল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন তুহিনকে বহিষ্কার করা হয়।

২০ আগস্ট সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াদ হোসেনকে বহিষ্কার করা হয়।

একই এলাকায় ৪ সেপ্টেম্বর কলেজছাত্রীকে যৌন হয়রানি ও দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সিরাজগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সোহেল রানা ও কাজীপুরের নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগেরসভাপতি আশরাফুল ইসলামকে বহিষ্কার করা হয়।

২৪ মে ময়মনসিংহে কলেজছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আলমগীর কবিরকে বহিষ্কার করা হয়।

৭ ডিসেম্বর খুলনার দাকোপ উপজেলার বাজুয়া এলবিকে সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী জয়ি মন্ডল (২০) আত্মহত্যার ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ইনজামামুল হক মির্জাকে বহিষ্কার করা হয়। তারবিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল জয়ী মণ্ডলকে জনসম্মুখে লাঞ্ছনার। প্রিয়.কম

  • Courtesy: Amadershomoy.com/  Jan 14, 2018 


Monday, January 15, 2018

মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম - ব্যাংকের টাকা লুটে ব্যাংকমালিক



হাছান আদনান ও ওমর ফারুক



বড় অংকের দায়-দেনাসহ বাবার রেখে যাওয়া ইব্রাহিম কটন মিল বছর দশেক আগে বিক্রি করে দেন মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। এরপর গড়ে তোলেন ক্রিস্টাল গ্রুপ নামে নতুন প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে একের পর এক ঋণ নিতে থাকেন। ঋণের অর্থ আর ফেরত না দিলেও মালিক হয়েছেন ব্যাংকের। ফারমার্স ব্যাংকের অন্যতম উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চট্টগ্রামের এ ব্যবসায়ী। ভাইয়ের স্ত্রীকে বানিয়েছেন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের উদ্যোক্তা। শুধু ব্যাংক নয়, বীমা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম পরিবারের মালিকানায়।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার পরিবারের কাছে দেশের আট ব্যাংক ও চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ রয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। এরই মধ্যে যা খেলাপি হয়ে পড়েছে। মামলা করেও অর্থ আদায়ের সম্ভাবনা দেখছে না অধিকাংশ ব্যাংক। ঋণ প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যাংকের পর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)।


অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত ফারমার্স ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। ব্যাংকটির এক কোটি শেয়ার বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ মালিকানা রয়েছে তার হাতে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা হিসাবে ফারমার্স ব্যাংকে মোরশেদ মুরাদের শেয়ার রয়েছে ১০ কোটি টাকার। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ব্যাংকটির অন্যতম পরিচালক ছিলেন তিনি। ওই সময় নিজের ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণ সুবিধাও নিয়েছে তার পরিবার।


ব্যাংকটির দুই শাখা থেকে গ্রুপটির নামে ৭৬ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ব্যাংকটির গুলশান শাখা থেকে ২০১৫ সালে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয় মোরশেদ মুরাদের ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা রাশেদের নামে। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ কোটি ৬৬ হাজার ৮০০ শেয়ার জামানত দেখিয়ে গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের নামে এ ঋণ নেয়া হয়। ঋণের টাকা পরিশোধ না করে বরং গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সিআইবির খেলাপি তালিকা থেকে বাদ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার। অথচ ঋণ নেয়ার এক বছরের মধ্যেই জামানত রাখা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার তার ছেলে মঈনুদ্দিন ইরতেজা সেকান্দারের নামে স্থানান্তর করেন কানিজ ফাতেমা রাশেদ।

একই শাখা থেকে ‘ক্রিস্টাল-১০’ ফিশিং ট্রলার কিনতে ২৯ কোটি টাকা ঋণ নেয় ক্রিস্টাল গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মিফতাহুল আমানকে মালিক সাজিয়ে বেনামি প্রতিষ্ঠান চিটাগং ফিশারিজের নামে এ ঋণ নেয়া হয়। এ ঋণও বর্তমানে মন্দাবস্থায় রয়েছে।


একই ব্যাংকের খাতুনগঞ্জের শাখা থেকে বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা নেয় ক্রিস্টাল গ্রুপ। গরীবে নেওয়াজ ফিশিং ট্রলার কিনতে রয়েল ডিসি ফিশারিজের নামে এ ঋণ নেয়া হয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবিএম মঞ্জুরুল আলমকে মালিক সাজিয়ে। এ ঋণের টাকা এখনো শোধ করেনি গ্রুপটি। সামুদ্রিক মত্স্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত চার বছর ধরে এ জাহাজের মাছ আহরণের কোনো তথ্য দেয়া হয়নি তাদের কাছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফারমার্স ব্যাংকের পর্ষদ থেকে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এখনো ব্যাংকটিতে তার এক কোটি শেয়ার রয়েছে।

২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক হয়েছেন মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যরা। এর চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তার ভাই রাশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম পরিচালক ছিলেন ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সেরও। এর আগে ২০০৭ সালে লুত্ফুর রহমান বাদলের হাত ধরে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালকও হয়েছিলেন।

মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণের নামে নেয়া টাকাই ব্যাংক-বীমায় বিনিয়োগ করেছে পরিবারটি। এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল ক্রিস্টাল গ্রুপের কার্যালয়ে গিয়েও মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমকে পাওয়া যায়নি। তার সেলফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। গ্রুপটির পরিচালক ও মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের ভাই ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিম বণিক বার্তাকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই। আমার প্রতিষ্ঠানের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আগামীকাল (সোমবার) আপনার সঙ্গে কথা বলবেন।

তবে কিছুদিন আগে ক্রিস্টাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম বণিক বার্তাকে বলেছিলেন, আমার দাদা আমাদের জন্য বিপুল সম্পদ রেখে গেছেন। সেজন্য ব্যাংকের ঋণ কোনো সমস্যা নয়।


ক্রিস্টাল গ্রুপের কর্ণধার যেসব ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেননি, তার মধ্যে অন্যতম বেসিক ব্যাংক। মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম পরিবারের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির পাওনা রয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ক্রিস্টাল স্টিল অ্যান্ড শিপ ব্রেকিং লিমিটেডের নামে ১৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ক্রিস্টাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আইজি নেভিগেশনের নামে ১৪১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে তার স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মাহজাবিন মোরশেদের বিরুদ্ধে।

ক্রিস্টাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বে নেভিগেশনের কাছে বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা শাখার পাওনা দাঁড়িয়েছে ১২৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির এমডি হিসেবে রয়েছেন মোরশেদ মুরাদের ছোট ভাই ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিম। প্রতিষ্ঠানটিকে দেয়া এ ঋণ মন্দ মানের খেলাপি হওয়ায় মামলা করেছে বেসিক ব্যাংক। বেসিক ব্যাংকের চট্টগ্রামের জুবিলী রোড শাখা থেকে এমআরএফ ট্রেড হাউজের নামে ঋণ নিয়েছে মোরশেদ মুরাদের আরেক ভাই রাশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। বতর্মানে প্রতিষ্ঠানটির কাছে এ শাখার পাওনা প্রায় ৭০ কোটি টাকা।

গ্রুপটির কাছ থেকে ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে ফেরত দেয়ার মানসিকতা মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার পরিবারের সদস্যদের আছে বলে মনে হয় না। এত টাকা দিয়ে তারা কী করেছে সেটিই আশ্চর্যের বিষয়। খেলাপি হয়ে যাওয়া ঋণ পুনঃতফসিল করার আহ্বান জানিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। তারা এগিয়ে এলে বিষয়টি সুরাহা করা সম্ভব হতো। ব্যাংকের কাছে থাকা জামানত বিক্রি করে কখনই ঋণের টাকা আদায় করা যায় না। পিতার হাত ধরে ওই পরিবারের সদস্যরা ব্যবসায় এসেছেন। কিন্তু ভালো উদ্যোক্তা হওয়ার গুণাবলি তাদের মধ্যে দেখি না।

ক্রিস্টাল গ্রুপের কাছে প্রায় ১১৩ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের। ওই ঋণের পুরোটাই খেলাপি হয়ে যাওয়ায় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ঋণের জামানত বিক্রির জন্য নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ব্যাংকটি। এ প্রসঙ্গে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, খেলাপি হয়ে যাওয়া ঋণটি আদায়ের জন্য একাধিকবার মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের সঙ্গে আমি বৈঠক করেছি। কিন্তু ঋণটি পুনঃতফসিল করা সম্ভব না হওয়ায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। জামানতের সম্পদ বিক্রি করে টাকা আদায় সম্ভব না হলে মামলা করা হবে।

ক্রিস্টাল গ্রুপের কাছে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা ঋণ ছিল বেসরকারি দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংকের। ঋণের পুরো অংশই খেলাপি হয়ে যাওয়ায় গত বছর জামানতের সম্পদ সমন্বয় করে নিয়েছে ব্যাংকটি। দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন শেষে সম্প্রতি অবসরে গেছেন খোন্দকার ফজলে রশিদ। তিনি বলেন, মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার পরিবারের সদস্যদের কোম্পানিগুলোয় প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রায় ৭৫ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি ছিল। জামানত থাকা ফিক্সড ডিপোজিট ও অন্যান্য সম্পদ সমন্বয় করে গত বছর ৪০ কোটি টাকার মতো আদায় করা সম্ভব হয়েছে। বাকি টাকা আদায়ের জন্য আমি মামলা করতে বলেছি।

ক্রিস্টাল গ্রুপকে ঋণ দিয়ে বিপদে আছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকও। গ্রুপটির কাছে ব্যাংকটির চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোড শাখার ঋণ রয়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। এ ঋণের পুরোটাই এখন মন্দ মানের খেলাপি। আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ওই গ্রুপটিকে ঋণ দিয়ে আমরাও বিপদে আছি। টাকা আদায়ে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে সেভাবে সাড়া পাচ্ছি না।

ট্রাস্ট ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে ক্রিস্টাল গ্রুপের। ২০১৬ সালেই ওই ঋণের পুরোটাই নাম লেখায় খেলাপির খাতায়। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর গতকাল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে অবসরে গেছেন ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জামানত থাকা একটি জাহাজ বিক্রি করে আমরা গত ডিসেম্বরে ৬ কোটি টাকা আদায় করেছি। আরো তিনটি জাহাজ আমাদের কাছে জামানত আছে। সেগুলো বিক্রি করলে ঋণের বড় একটি অংশ উদ্ধার হবে।

ক্রিস্টাল গ্রুপের পরিচালক ফয়সাল মোরশেদ ইব্রাহিমের মালিকানাধীন ফারুক অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের কাছে প্রাইম ব্যাংকের ঋণ রয়েছে ২২ কোটি টাকা। ব্যাংকটির চট্টগ্রামের সিডিএ এভিনিউ শাখা থেকে নেয়া ঋণ পুরোটাই এখন খেলাপি। এছাড়া ক্রিস্টাল গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার ৩ কোটি টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিডি ফিন্যান্সের ১৫ কোটি টাকাসহ ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, প্রিমিয়ার লিজিং, ন্যাশনাল ফিন্যান্সের বড় অংকের ঋণ রয়েছে।

উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ইব্রাহিম কটন মিলের মালিক সেকান্দর হোসেন মিয়ার ছেলে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। পিতার মৃত্যুর পর তিনি ইব্রাহিম কটন মিলের দায়িত্ব নিয়ে কারখানা বাড়ানোর নামে সোনালী ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ নেন। পরে অব্যাহত লোকসানের মুখে কারখানাটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে ১০০ কোটি টাকা দেনাসহ মিলটি বিক্রি করে দেন তিনি। এরপর ক্রিস্টাল গ্রুপ নামে একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান। নিজে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পাশাপাশি মা গুলশান আরা বেগমকে বানিয়েছেন গ্রুপটির চেয়ারম্যান। ভাই রাশেদ মুরাদ ইব্রাহিম উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিম অর্থ-পরিকল্পনা পরিচালক এবং স্ত্রী মাহজাবীন মোরশেদ ও ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা রাশেদসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের করা হয়েছে গ্রুপের পরিচালক।

ক্রিস্টাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে— ক্রিস্টাল স্টিল অ্যান্ড শিপ ব্রেকার্স লিমিটেড, ক্রিস্টাল ল্যান্ড মার্ক লিমিটেড, ক্রিস্টাল ফিশারিজ লিমিটেড, ইব্রাহিম ফার্মস লিমিটেড, ম্যাক্স ট্রেড লিমিটেড, এমআরএফ ফিশারিজ লিমিটেড, ফারুক অ্যান্ড সন্স লিমিটেড, হামিদা দোজা লিমিটেড, আইজি নেভিগেশনসহ ১৫টির মতো প্রতিষ্ঠান। যদিও ব্যবসায়িক মন্দার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ।


  • Courtesy: Banik Barta/Jan 15, 2018



Ministers, MPs meddle in TCB dealer selection


Staff Correspondent


Around half of the dealers of Trading Corporation of Bangladesh (TCB) were appointed as per the recommendations of ministers, state ministers, and MPs, a parliamentary committee was informed yesterday (Sunday).

Of the total 2,861 dealers, 1,345 got appointed following the recommendations of ministers, state ministers, and lawmakers, shows TCB statistics.

In November last year, the parliamentary standing committee on commerce had asked TCB to give the number of dealers appointed through such recommendations.

At that meeting the Jatiya Sangsad body had expressed disappointment over various irregularities of TCB dealers. The committee also expressed resentment because the dealers were not selling goods in open markets properly as per the guidelines of TCB.  

At yesterday's meeting, TCB officials said that out of 1,345 dealers, 691 were appointed through direct recommendations of ministers, state ministers and MPs.

The remaining 1,471 dealers got appointment after their information was verified by the respective deputy commissioners, says a release of the parliament secretariat.

Tajul Islam Chowdhury, chairman of the parliamentary watchdog, presided over the meeting.


  • Courtesy: The Daily Star/Jan 15, 2018


Cost doubles with work yet to begin


Manjurul Ahsan




The cost of 1,200MW coal-fired Matarbari power project is set to shoot up to Tk 50,000 crore, almost double the initial Tk 27,000 crore estimated in 2013 as the construction begins later this month amid alleged lack of transparency in its implementation.

On August 12, 2014, the National Economic Council approved the project with a revised cost at Tk 35,984 crore much before the beginning of the construction of the power plant and other infrastructures on Matarbari island in Cox’s Bazar, said officials. 

State minister for power, energy and mineral resources Nasrul Hamid on Friday said that the project cost would be as high as Tk 50,000 crore as the scope of works had increased and its implementation was delayed. Abnormal cost escalation and awarding a major contract to a Japanese consortium that has a partner with negative asset raised concerns of the experts who find lack of transparency in the project implementation. 

The Japan-funded project shortlisted two Japanese companies for bidding for engineering, procurement and construction (EPC) contract which also raised question whether the process was open and competitive as the contract was supposed to be awarded through international bidding.

The state-run Coal Power Generation Company of Bangladesh is now preparing a revised development project proposal with the increased cost and would soon send it to the power division for government approvals, the officials said.

Prime minister Sheikh Hasina is scheduled to inaugurate the project’s construction work on January 25. Additional investment would be required for soil treatment of the project site and a few other areas of the project, Nasrul said.

He, however, said that the government would carry on with the project implementation even at increased cost considering its vast positive impact on the country’s economy. He stressed that the project was needed to be completed fast.

According to officials, bid submission date was deferred by six months, from July 24, 2016 to January 31, 2017, as representatives of two Japanese companies declined to visit Bangladesh citing security concerns after July 1, 2016 Gulshan attack in which seven Japanese along with 22 others were killed. The coal power company is implementing the project with soft loan from Japan International Cooperation Agency. 

The project comprises construction of a deep sea port with coal handling facilities for coal import, coal storage, power plant construction, township development, rural electrification and construction of transmission facilities and road communication.

M Shamsul Alam, energy adviser to the Consumers Association of Bangladesh and also an electrical engineer, expressed his worry over such cost escalation. He apprehended that the implementation cost might increase further by the time when the project would be completed in June 2023. 

The authorities maintained no transparency in implementing the project, said Shamsul, adding that such high cost power project would ultimately raise the price of electricity although they were taken to reduce the price.

Echoing Shamsul’s remarks, Transparency International Bangladesh executive director Iftekharuzzaman observed that increasing cost of development project had become a culture in the country. He said that the rise in project implementation cost would be passed on to the people and all the authorities involved in the project were responsible for the cost escalation. He also alleged that project under government-to-government agreement lacked transparency.

On July 27, 2017, the coal power company hurriedly inked the EPC contract with Sumitomo Corporation-led consortium at a cost of $4.59 billion (Tk 37,730 crore).

The contract was signed few hours after a government review panel handed down a split verdict on a complaint filed by second-lowest bidder, Marubeni Corporation-led consortium, for the project saying that Sumitomo-led consortium was not eligible for the contest.

Thursday afternoon, three-member review panel chair Md Enamul Kabir commented that Sumitomo-led consortium was not eligible for the contest while the other two members — Muhammad Shamsul Alam and Syed Enayet Ullah — ruled the opposite, according to the order.

In its complaint, Marubeni-led consortium said that Toshiba Corporation, a partner of the Sumitomo consortium,  issued a statement on May 15 showing its net asset (-)260 billion yen which disqualified the consortium from the bidding process.

The complaint also said that awarding the contract to a consortium having a partner lacking financial soundness was a violation of bid evaluation criteria and the procurement JICA guideline. 



  • Courtesy: New Age/ Jan 15, 2018 


Sunday, January 14, 2018

২০১৭ সাল ব্যাংক কেলেঙ্কারির বছর: সিপিডি



২০১৭ সাল দেশে ব্যাংক কেলেঙ্কারির বছর হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, চলতি বছরও ব্যাংক খাতের ঘটনাগুলোর কোনো নিরসন হবে বলে মনে হচ্ছে না। ব্যাংক খাতের পরিস্থিতি দিয়ে বোঝা যায়, সংস্কারের বিষয়ে সরকারের মনোভাব কী রকম ছিল।

২০১৭-১৮ অর্থবছরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতির পর্যালোচনা অনুষ্ঠানে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য এসব কথা বলেন। সিপিডি বছরে দুই-তিনবার দেশের অর্থনীতি নিয়ে পর্যালোচনা করে। এবারের পর্যালোচনা আজ শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক অনুষ্ঠানে তুলে ধরা হয়।

আজকের পর্যালোচনা ছিল চলতি অর্থবছরের জন্য প্রথম। এতে ব্যাংক খাত, রোহিঙ্গা ও বন্যার বিষয়টি নিয়ে বিশেষ আলোচনা করা হয়। সিপিডির পক্ষে পর্যালোচনা তুলে ধরেন সংস্থাটির গবেষণা ফেলো তৌফিকুল ইসলাম খান। উপস্থাপনা শেষে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন ও গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।

দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বেশ কিছুটা দুর্বল হয়ে গেছে। চাপের মুখে পড়েছে। এটা সামাল দিতে আমরা যে সংস্কারের কথা বলেছিলাম, তা সামনের দিকে এগোয়নি, বরং পেছনের দিকে গেছে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় উদাহরণ ব্যাংকিং খাত।’

২০১৭ সালে ব্যাংক খাতে কী কী হয়েছে, তা তুলে ধরেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ব্যাংকে অপরিশোধিত ঋণ বেড়েছে, সঞ্চিতির ঘাটতি বেড়েছে, অপরিশোধিত ঋণে গুটিকয়েকের প্রাধান্য তৈরি হয়েছে, জনগণের করের টাকায় রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকে মূলধন ঘাটতি পূরণ করা হয়েছে, বিভিন্ন ব্যক্তি খাতের ব্যাংকে প্রশাসনিক ব্যবস্থার মাধ্যমে মালিকানার বদল হয়েছে, রাজনৈতিক বিবেচনায় দেওয়া নতুন ব্যাংক কার্যকর হতে পারেনি এবং এখন দেখা যাচ্ছে ব্যক্তি খাতের ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাচারের ঘটনা ঘটছে। তিনি বলেন, এগুলোর ক্ষেত্রে কোনো প্রতিষেধক ব্যবস্থা না নিয়ে সরকার উল্টো ব্যাংকিং আইন সংশোধন করে ব্যাংকে পরিবারের নিয়ন্ত্রণ বাড়াল।

সামগ্রিক এই পরিস্থিতির জন্য দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার দুর্বলতাকে দায়ী করেন দেবপ্রিয়। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বমূলক ভূমিকার ক্ষেত্রে বড় ধরনের ঘাটতি ছিল। এ ঘাটতি তিন জায়গায়—সংস্কারের উদ্যমের অভাব, সমন্বয় করতে না পারা এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতায় দুর্বলতা। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ে ব্যক্তির পরিবর্তনের কথা তিনি বলেননি। এটা সমাধানও নয়। ব্যবস্থাপনা ও নীতি উদ্যোগের মনোভঙ্গি এবং সিদ্ধান্তের প্রক্রিয়া পরিবর্তন না হলে ব্যক্তির পরিবর্তন বড় বিষয় নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

  • Courtesy: Prothom Alo/Jan 14, 2018

Cotton import surge raises capital flight suspicion

Staff Correspondent


A surge in cotton import growth in recent months has raised suspicion of capital flight from the country.

Imports of cotton grew by 75 per cent in the first four months (July-October) of the current fiscal year of 2017-2018, which was not consistent with the growth of readymade garment exports, the Centre for Policy Dialogue said at a press briefing on Saturday.

The price of cotton has remained stable in the global market and there has not been any fall in import of yarn and fabrics as well as there has been no sudden spurt in investment in spinning, the think tank said at the briefing arranged at the CIRDAP auditorium to release its first reading on the state of the Bangladesh economy in FY18.

National Board of Revenue and Bangladesh Bank should increase scrutiny to identify whether there was any case of over-invoicing and capital flight through import of cotton, the CPD said. ‘The growth cannot be explained with any of the economic indicators in the sector as the RMG exports grew only at the rate of 7 per cent during the period,’ said CPD distinguished fellow Mustafizur Rahman.

He said that suspicion of capital flight became strong in line with the previous studies and global statistics which said that more than 80 per cent of capital flight from Bangladesh took place through trade misinvoicing. Trade misinvoicing including over-invoicing happens for products like cotton which enjoy zero tariff in import, he said.

Bangladesh imported cotton worth $1.09 billion in July-October of FY18 against $613 million in the same period of FY17, according to CPD analysis.

According to an earlier CPD study, capital flight increases in pre- and post-election years. The next general elections in the country will be held at the end of 2018.


  • Courtesy: New Age/Jan 14, 2018

Grim year for economy

Cautions CPD over scam-riddled banking sector, soaring import, dwindling export


Staff Correspondent

The economy has come under pressure due to the banking sector crisis, inflation and soaring imports amid inadequate export earnings and insufficient remittance inflows, the Centre for Policy Dialogue (CPD) said yesterday (Saturday).

The banking sector is suffering from cronyism, the think-tank said, adding that various irregularities and embezzlement of public funds are taking place with influential people involved in it.

“We do not see any prospect of a turnaround in this sector in the next couple of months as the appetite for reforms remains low during the year ahead of elections,” CPD Executive Director Fahmida Khatun told a press briefing at the Cirdap auditorium in Dhaka.

The CPD said the stealing of public money by a handful of corrupt people and the rise in financial crimes in the country indicate that the banking sector is in dire straits.

Fahmida said economies of countries such as Indonesia and Argentina also suffered due to problems in financial sector.“It needs to be seen if we are going in that direction,” she added.

NPL’s rise & Political influence

The CPD's views come at a time when non-performing loans rose to Tk 80,307 crore between January and September last year, up from Tk 62,172 crore in December 2016, mainly due to irregularities in lending, political influence in loan sanctioning and weak corporate governance.


As a result, the financial health of some banks, namely Farmers Bank, NRB Commercial Bank and AB Bank, has recently deteriorated, creating a vulnerable situation in the entire banking sector, one of the main pillars of the economy.

Some state-run banks, including Sonali and BASIC, were also hit hard by loan scams. The government provided a total of Tk 15,705 crore to bail out the state banks from taxpayers' money between 2009 and 2017.

Currently, nine out of the 57 commercial banks in the country suffer from capital shortfall because of rising default loans, according to central bank data.

The CPD organised the event to present its review on the economic development during the first half of the fiscal 2017-18. It said income and wealth inequality rose despite an average 6.5 percent annual economic growth between 2010 and 2016.

According to its estimate, the revenue collection in the current fiscal may fall short of target between Tk 43,000 crore and Tk 55,000 crore. 

Also, the Rohingya rehabilitation expenditure, the damage from last year's flood, import of food grains by the government at higher costs and rising borrowing by the government from costly saving certificates have created a pressure on the fiscal management. 

Inflation, stability under pressure

Challenges for the economy increased further in the face of inflationary pressure for higher prices of rice and other food items, rising default loans, capital shortfall in state banks, the trouble faced by some new banks and weak governance and leadership, said the CPD.

“We see various types of cracks in the macroeconomic stability,” said CPD Distinguished Fellow Debapriya Bhattacharya at the programme.

He said the year 2017 began with signs of an increase in private investment but it did not end with the same level of enthusiasm. As a result, private investment did not rise as expected despite growth of credit flow and capital machinery import.

“The macroeconomic stability has come under pressure,” he said, adding that reforms did not gain momentum either.

 “The best example is the banking sector. The year 2017 will be marked as a year of scam in the sector. And at this moment, we do not see any indication that things will be any better in 2018,” said Debapriya.

He also spoke of soaring defaulted loans and shortfall in provision against defaulted loans by some banks, repicapitalisation of state banks with taxpayers' money, concentration of loans to a handful of persons, transfer of ownership through administrative measures and poor performance of new banks.


Increased family control on banks

“And we now see siphoning off funds through private banks. But the government, instead of taking measures against these problems, increased family control on banks,” he said, citing the government move to extend the tenure of directors in the board and increase the number of director from a single family.

The potentials of the economy could not be exploited due to the weakness in economic management, he said.

“We have also seen weakness in the decision-making process of the finance ministry. We have seen that finance ministry could not make decisions related to economy on its own. We have seen in many cases they [finance ministry] have implemented decisions that came from top even though those were not rational from economic point of view.”

Under the circumstances, the CPD recommended a conservative approach to the economic management by curbing private sector credit flow, controlling inflation and increasing collection of income tax.

Pressure on foreign exchange reserve

CPD Distinguished Fellow Mustafizur Rahman said foreign exchange reserve may come under pressure due to an increasing deficit in current accounts. “We also need to analyse the quality of growth,” he said.

CPD Research Fellow Towfiqul Islam Khan, who presented the report, said the rate of job growth and poverty reduction in 2010-2016 was slower than in 2005-2010. Also, the pace of poverty reduction has not been equal throughout the country.

The income of the bottom five percent of the population dropped 60 percent in 2016 compared with 2010. By contrast, the income of the top 5 percent rose 57 percent during the same period, he said.  


  • Courtesy: The Daily Star/Jan 14, 2018 


Saturday, January 13, 2018

Low gas pressure disrupts life




Sudden fall in pressure of gas in the supply lines due to acute cold weather has been causing severe disruption in the daily life of people in Dhaka and in other parts of the country. 

The low pressure, especially in the first half of the day, coupled with the existing short supply, has been hampering daily chores, including preparing breakfast and lunch, to the utter inconvenience of people.

In Dhaka, residents of old town, Razabazar, Indira Road, Jatrabari and Gendaria and parts of Mohammadpur, Mirpur, Kalabagan, Kanthalbagan, Jatrabari, Khilgaon, Bashabo, Malibagh, Rampura, Banasree, Badda and Uttara have complained about acute low pressure of gas for the past two weeks.

Mohammadpur resident Suraya Begum said that she had to prepare breakfast for her family by 6:30am and wait until 3:30pm for preparing lunch as the burners got virtually no gas supplies during the period.

Elderly people and children were suffering the most as the warm water they needed could not be provided for lack of gas, said Gendaria resident Samia Alam.

She also expressed her disgust for the government’s latest move to raise the price of natural gas when it failed to ensure uninterrupted supply.

New Age correspondents in Chittagong and Comilla also reported that domestic consumers in many areas of the cities were experiencing short supply of gas.

Officials of the gas distribution utilities attributed the shortage to increased demand and rapid fall in temperature. 

The country’s demand for natural gas was more than 3,700 million cubic feet per day while Petrobangla, the state-run Oil, Gas and Mineral Resources Corporation, could supply less than 2,700 mmcfd, they said.

Now approximately three million domestic users consume around 300 mmcfd gas, they added.

Titas Gas Transmission and Distribution Company managing director Mir Mashiur Rahman on Wednesday told New Age that the country’s largest gas distribution utility supplied 1,600 mmcfd to 1,650 mmcfd against a demand for 2,000 mmcfd.

Recent cold wave worsened the situation due to rise in demand for natural gas for heating water and due to ‘condensate problem’ in the gas transmission and distribution lines, he added.

Business bodies, however, claimed that they were getting better gas supplies at factories and CNG filling stations than previous years as the government suspended gas supplies to the fertiliser factories before winter set in towards the end of December to increase the supplies to the industrial units and CNG stations.

Out of six fertiliser factories, the government suspended gas supplies to four, which increased gas supplies by more than 100 mmcfd.

Bangladesh CNG Filling Station and Conversation Workshop Owners’ Association general secretary Farhan Noor said that they were still experiencing shortage of gas supplies but the magnitude of sufferings was lesser than previous years.

New Age correspondent in Chittagong, however, reported that a good number of CNG filling stations were not receiving gas supplies at standard pressure for the past one week.

Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association vice president Mansoor Ahmed said that the gas supply situation was not that bad this winter.

He, however, said that the supply situation usually worsened after February when the distribution utilities increased gas supplies to the power stations.

Election, economy presents double whammy for 2018

Shahid Islam


As morning shows the day, the year 2018 is headed toward posing a double challenge for the government, and the nation. 

Election uncertainties aside, the economy is flip-flopping; according to the indications emitted by whopping price hikes; reduced remittance and export earning; stalled employment opportunities; frozen real estate market and, the impact of black money that will have polluted the ‘white economy’ during the pre-election spending- spree by candidates of all denominations.

Violence & economy

Violence in coming months is expected anyway; whether the election is fair and inclusive, or not. Violence and instability is a potent nemesis to the economy. Historically, most of the election years since independence have been violent, exacting a severe toll on the economy. 

Foremost, trade deficit always mounted during the election year; the latest example of which came into focus during 2007-2008 fiscal year when the deficit soared to $3.9 billion, from $ 2.3 billion in 2006-2007.

Election-time uncertainties also negatively impacted remittance inflows. In 2008-2009, remittance amounted to only $9.7 billion, which, in 2009-2010, increased to $11 billion. Similarly, inflation rose to 6.99 % in 2008-2009, amidst political chaos relating to election, but dropped to 6.4 % in the following fiscal.

Impact on GDP, reserve

The impact on the GDP of such negativities is paramount. The GDP grew by 5.05 % during 2008, which was an election year. It went up to 5.57 % in 2009. Meanwhile, election- time uncertainties choked off foreign currency reserve to $22.34 billion in late 2014, which went up to $28 billion in the following year.

Lately, the World Bank had disputed the Bangladesh Bureau of Statistics’ (BBS) data of 7.28 % GDP growth in the 2016-17 fiscal, which the global lender said didn’t cross the 7 % mark.

Debt & deficit

And, according to a number of internationally-published reports, the current account deficit will yawn further in 2018 as the expected trade deficit and lower remittances begin to make their impact; compelling the government to borrow further to finish the development undertakings as the much-needed pre-election stunt to convince voters. 

That will constitute an unwanted reversal in the wheel of fortune. In 2016, public (government) debt dipped to 27.20 percent of the GDP, a record low since 1995 when it averaged at 39.45 % until 2015; hitting an all-time high of 50 % in 2000.  Earlier, the UN Economic Forum predicted the 2018 fiscal deficit to be 5 % of the GDP, while inflation to remain within the bounds of 5.4 %. 

Yet, inflation registered 5.83 % in December 2017, according to the minister of planning, and, continuous price hikes of essential commodities might have already pushed it to 6 % by mid-January 2018.

Consensus vs. confrontation

Despite the nation facing such harsh realities, there is no indication as yet that the economy, or the political ambiance that primes the internal dynamics of economic growth, will move toward anything better in coming months. 

The BNP is still adamant on having a national government, if not a care taker one, under which it’s willing to join the polling. The government is equally determined to holding the election under the incumbent set-up, as per the amended constitutional mandate.

Unless there is a deal of some sort, between the BNP-led allies and the governing AL, to overcome this protracted limbo, confrontation is inevitable; as are disruptions of export, import, and other productivities.

Polarization and danger

Sources say, JP, the third largest political party in the country, is parleying simultaneously with the governing AL and the BNP to have as many candidacies approved from each of the two major parties as a prerequisite to choosing its electoral alliance, on which depends who shall form the next government; BNP or AL.

That too is as yet fluid, embryonic, and uncertain. The ruling AL may once again take the JP to its side in order to deprive the BNP of any hope of forming the next government; provided the BNP joins the polling.

That foists the election itself into an uncertainty; like the one held in 2014, when the main opposition BNP abstained from joining the poll and turned the election itself into a farce following 154 of the seats — more than half of the total needed to form the government — having won by the ruling AL, without facing any contest. 

This lack of inclusivity robbed the 2014 election of the rubric of minimum credibility needed to show that, democracy is still a functional entity in Bangladesh.

Poverty trap

Existence of democracy, rule of law, and the economic wellbeing of the people are always positively correlated. Only an inclusive election, and a credible, functional democracy can retrieve Bangladesh from perennial political instability and the poverty trap that engulfs almost 1 in 4 of its citizenry (24.3 % of the population), of which 12.9 % live in extreme poverty.

More worryingly, reduced flow of remittance, which has been very much visible in recent years, is negatively impacting the rural poverty reduction dynamism which decreased from 35.2 % in 2010 to 26.4 % in 2016. Better employment prospect also reduced urban poverty from 21.3 % to 18.9 % during the same period.

Dreadful scenario

Today, the scenario had changed, almost abruptly, as land price had halved in rural areas, while in major cities, developers are stuck with unsold apartments for years, with no sign of the situation turning to anything better, any sooner. This is wary, scary and dreadful. Whether the government is aware or not, ordinary people are cash-starved, poverty-stricken, and thoroughly demoralized.
Unless the upcoming election is seen and perceived as being a fair, credible and inclusive one, the economy will suffer a major jot — may be a bang of some sort — as did democracy since 2015. That in turn can wither and wash away the expectation of the country becoming a mid-income one any time sooner. Can you hear us, dear politicians?


  • Courtesy -  weeklyholiday.net

Bank recruitment exam: Mismanagement rules 2 centres



Retest for all candidates of the 2 centres in city on Jan 20

Staff Correspondents


The authorities yesterday announced a date for retaking the recruitment tests of eight state-run banks in the capital following demonstration of candidates of two exam centres over seat shortage and mismanagement.

According to the authorities, more than 5,000 candidates could not take part in the recruitment test scheduled to begin at 3:30pm yesterday (Friday) at the two centres -- Government Bangla College in Mirpur-1 and Hazrat Shah Ali Mohila College in the same area. They were among the 61 designated exam centres. 

A number of candidates complained that they found all the seats already taken when they entered the centres, especially at Hazrat Shah Ali Mohila College.

They alleged that there were no seat plans at the centre and in many cases four to five candidates sat on a single bench built to accommodate only two.

Finding no empty benches, they said, many candidates left the centre to take the 100-mark MCQ test.

"It seemed the authorities were making fun of thousands of candidates. There was no seat plan at the centre. Examinees of one room sat in another room while five candidates sat on a bench," said Tawsif, a candidate in Hazrat Shah Ali Mohila College exam centre. He alleged that the question paper did not arrive at the centre till 4:00pm.

Sajjad, another candidate, said some of the exam halls in the centre were crammed with candidates."Many examinees took cell phones inside the halls. It was total chaos," he said.

"The authorities must resign if they cannot take the responsibility of conducting a fair exam. Such incidents must be strongly protested,” he added.

Many candidates left the Shah Ali Mohila College centre finding no place to sit and held demonstrations outside the centre.

Contacted, Anwar Hossain, officer-in-charge of Shah Ali Police Station, said a number of candidates, failing to find a place to take the test, staged demonstrations outside the centre. They, however, left the place after getting assurance from the authorities.

Following the demonstration, Bankers' Selection Committee held an emergency meeting on the issue.

Md Mosharraf Hossain Khan, member secretary of the committee, said, "The exam will be held on January 20 from 3:00pm to 4:30pm at the same centres."

The decision was taken in an urgent meeting of the committee with the approval of Bangladesh Bank (BB) Governor Fazle Kabir, said Mosharraf, also general manager of BB.

The recruitment test for the posts of senior officer, officer and cash officer was held to fill over 7,000 vacancies at the banks.


  • Courtesy: The Daily Star, Jan 13, 2018