হাছান আদনান ও ওমর ফারুক
বড় অংকের দায়-দেনাসহ বাবার রেখে যাওয়া ইব্রাহিম কটন মিল বছর দশেক আগে বিক্রি করে দেন মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। এরপর গড়ে তোলেন ক্রিস্টাল গ্রুপ নামে নতুন প্রতিষ্ঠান। বিভিন্ন ব্যাংক থেকে একের পর এক ঋণ নিতে থাকেন। ঋণের অর্থ আর ফেরত না দিলেও মালিক হয়েছেন ব্যাংকের। ফারমার্স ব্যাংকের অন্যতম উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চট্টগ্রামের এ ব্যবসায়ী। ভাইয়ের স্ত্রীকে বানিয়েছেন এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের উদ্যোক্তা। শুধু ব্যাংক নয়, বীমা প্রতিষ্ঠানও রয়েছে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম পরিবারের মালিকানায়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার পরিবারের কাছে দেশের আট ব্যাংক ও চারটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ রয়েছে প্রায় হাজার কোটি টাকা। এরই মধ্যে যা খেলাপি হয়ে পড়েছে। মামলা করেও অর্থ আদায়ের সম্ভাবনা দেখছে না অধিকাংশ ব্যাংক। ঋণ প্রদানকারী বিভিন্ন ব্যাংকের পর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে এ ব্যবসায়ী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশনও (দুদক)।
অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত ফারমার্স ব্যাংকের উদ্যোক্তাদের মধ্যে রয়েছেন মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। ব্যাংকটির এক কোটি শেয়ার বা ২ দশমিক ৪৯ শতাংশ মালিকানা রয়েছে তার হাতে। প্রতিটি শেয়ারের অভিহিত মূল্য ১০ টাকা হিসাবে ফারমার্স ব্যাংকে মোরশেদ মুরাদের শেয়ার রয়েছে ১০ কোটি টাকার। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত ব্যাংকটির অন্যতম পরিচালক ছিলেন তিনি। ওই সময় নিজের ব্যাংক থেকে নামে-বেনামে ঋণ সুবিধাও নিয়েছে তার পরিবার।
ব্যাংকটির দুই শাখা থেকে গ্রুপটির নামে ৭৬ কোটি টাকা ঋণ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে ব্যাংকটির গুলশান শাখা থেকে ২০১৫ সালে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নেয়া হয় মোরশেদ মুরাদের ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা রাশেদের নামে। এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ কোটি ৬৬ হাজার ৮০০ শেয়ার জামানত দেখিয়ে গ্লোবাল ট্রেডিং করপোরেশনের নামে এ ঋণ নেয়া হয়। ঋণের টাকা পরিশোধ না করে বরং গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সিআইবির খেলাপি তালিকা থেকে বাদ দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেন প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার। অথচ ঋণ নেয়ার এক বছরের মধ্যেই জামানত রাখা এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংকের শেয়ার তার ছেলে মঈনুদ্দিন ইরতেজা সেকান্দারের নামে স্থানান্তর করেন কানিজ ফাতেমা রাশেদ।
একই শাখা থেকে ‘ক্রিস্টাল-১০’ ফিশিং ট্রলার কিনতে ২৯ কোটি টাকা ঋণ নেয় ক্রিস্টাল গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মিফতাহুল আমানকে মালিক সাজিয়ে বেনামি প্রতিষ্ঠান চিটাগং ফিশারিজের নামে এ ঋণ নেয়া হয়। এ ঋণও বর্তমানে মন্দাবস্থায় রয়েছে।
একই ব্যাংকের খাতুনগঞ্জের শাখা থেকে বেনামি প্রতিষ্ঠানের নামে ১৭ কোটি টাকা ঋণ সুবিধা নেয় ক্রিস্টাল গ্রুপ। গরীবে নেওয়াজ ফিশিং ট্রলার কিনতে রয়েল ডিসি ফিশারিজের নামে এ ঋণ নেয়া হয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবিএম মঞ্জুরুল আলমকে মালিক সাজিয়ে। এ ঋণের টাকা এখনো শোধ করেনি গ্রুপটি। সামুদ্রিক মত্স্য অধিদপ্তরের তথ্যমতে, গত চার বছর ধরে এ জাহাজের মাছ আহরণের কোনো তথ্য দেয়া হয়নি তাদের কাছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, বিভিন্ন ব্যাংকের ঋণ খেলাপি হয়ে যাওয়ায় ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে ফারমার্স ব্যাংকের পর্ষদ থেকে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমকে অপসারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এখনো ব্যাংকটিতে তার এক কোটি শেয়ার রয়েছে।
২০১৩ সালে অনুমোদন পাওয়া প্রটেক্টিভ ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক হয়েছেন মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের পরিবারের সদস্যরা। এর চেয়ারম্যান হিসেবে রয়েছেন তার ভাই রাশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম পরিচালক ছিলেন ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্সেরও। এর আগে ২০০৭ সালে লুত্ফুর রহমান বাদলের হাত ধরে আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালকও হয়েছিলেন।
মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণের নামে নেয়া টাকাই ব্যাংক-বীমায় বিনিয়োগ করেছে পরিবারটি। এ বিষয়ে কথা বলতে গতকাল ক্রিস্টাল গ্রুপের কার্যালয়ে গিয়েও মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমকে পাওয়া যায়নি। তার সেলফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। গ্রুপটির পরিচালক ও মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের ভাই ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিম বণিক বার্তাকে বলেন, এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে রাজি নই। আমার প্রতিষ্ঠানের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক আগামীকাল (সোমবার) আপনার সঙ্গে কথা বলবেন।
তবে কিছুদিন আগে ক্রিস্টাল গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম বণিক বার্তাকে বলেছিলেন, আমার দাদা আমাদের জন্য বিপুল সম্পদ রেখে গেছেন। সেজন্য ব্যাংকের ঋণ কোনো সমস্যা নয়।
ক্রিস্টাল গ্রুপের কর্ণধার যেসব ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে আর ফেরত দেননি, তার মধ্যে অন্যতম বেসিক ব্যাংক। মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম পরিবারের কাছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটির পাওনা রয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ক্রিস্টাল স্টিল অ্যান্ড শিপ ব্রেকিং লিমিটেডের নামে ১৩৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক। ক্রিস্টাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান আইজি নেভিগেশনের নামে ১৪১ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা হয়েছে তার স্ত্রী ও জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য মাহজাবিন মোরশেদের বিরুদ্ধে।
ক্রিস্টাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠান বে নেভিগেশনের কাছে বেসিক ব্যাংকের দিলকুশা শাখার পাওনা দাঁড়িয়েছে ১২৭ কোটি টাকা। প্রতিষ্ঠানটির এমডি হিসেবে রয়েছেন মোরশেদ মুরাদের ছোট ভাই ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিম। প্রতিষ্ঠানটিকে দেয়া এ ঋণ মন্দ মানের খেলাপি হওয়ায় মামলা করেছে বেসিক ব্যাংক। বেসিক ব্যাংকের চট্টগ্রামের জুবিলী রোড শাখা থেকে এমআরএফ ট্রেড হাউজের নামে ঋণ নিয়েছে মোরশেদ মুরাদের আরেক ভাই রাশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। বতর্মানে প্রতিষ্ঠানটির কাছে এ শাখার পাওনা প্রায় ৭০ কোটি টাকা।
গ্রুপটির কাছ থেকে ঋণের অর্থ ফেরত পাওয়া নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন বেসিক ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন এ মজিদ। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ব্যবসা করে ফেরত দেয়ার মানসিকতা মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার পরিবারের সদস্যদের আছে বলে মনে হয় না। এত টাকা দিয়ে তারা কী করেছে সেটিই আশ্চর্যের বিষয়। খেলাপি হয়ে যাওয়া ঋণ পুনঃতফসিল করার আহ্বান জানিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি। তারা এগিয়ে এলে বিষয়টি সুরাহা করা সম্ভব হতো। ব্যাংকের কাছে থাকা জামানত বিক্রি করে কখনই ঋণের টাকা আদায় করা যায় না। পিতার হাত ধরে ওই পরিবারের সদস্যরা ব্যবসায় এসেছেন। কিন্তু ভালো উদ্যোক্তা হওয়ার গুণাবলি তাদের মধ্যে দেখি না।
ক্রিস্টাল গ্রুপের কাছে প্রায় ১১৩ কোটি টাকার ঋণ রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংকের। ওই ঋণের পুরোটাই খেলাপি হয়ে যাওয়ায় আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি ঋণের জামানত বিক্রির জন্য নিলাম বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে ব্যাংকটি। এ প্রসঙ্গে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান বলেন, খেলাপি হয়ে যাওয়া ঋণটি আদায়ের জন্য একাধিকবার মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিমের সঙ্গে আমি বৈঠক করেছি। কিন্তু ঋণটি পুনঃতফসিল করা সম্ভব না হওয়ায় নিলাম বিজ্ঞপ্তি দেয়া হয়েছে। জামানতের সম্পদ বিক্রি করে টাকা আদায় সম্ভব না হলে মামলা করা হবে।
ক্রিস্টাল গ্রুপের কাছে প্রায় ৭৫ কোটি টাকা ঋণ ছিল বেসরকারি দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংকের। ঋণের পুরো অংশই খেলাপি হয়ে যাওয়ায় গত বছর জামানতের সম্পদ সমন্বয় করে নিয়েছে ব্যাংকটি। দ্য প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন শেষে সম্প্রতি অবসরে গেছেন খোন্দকার ফজলে রশিদ। তিনি বলেন, মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম ও তার পরিবারের সদস্যদের কোম্পানিগুলোয় প্রিমিয়ার ব্যাংকের প্রায় ৭৫ কোটি টাকার ঋণ খেলাপি ছিল। জামানত থাকা ফিক্সড ডিপোজিট ও অন্যান্য সম্পদ সমন্বয় করে গত বছর ৪০ কোটি টাকার মতো আদায় করা সম্ভব হয়েছে। বাকি টাকা আদায়ের জন্য আমি মামলা করতে বলেছি।
ক্রিস্টাল গ্রুপকে ঋণ দিয়ে বিপদে আছে আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকও। গ্রুপটির কাছে ব্যাংকটির চট্টগ্রামের ওআর নিজাম রোড শাখার ঋণ রয়েছে প্রায় ১৩ কোটি টাকা। এ ঋণের পুরোটাই এখন মন্দ মানের খেলাপি। আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ওই গ্রুপটিকে ঋণ দিয়ে আমরাও বিপদে আছি। টাকা আদায়ে আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কিন্তু তাদের পক্ষ থেকে সেভাবে সাড়া পাচ্ছি না।
ট্রাস্ট ব্যাংকের দিলকুশা শাখায় প্রায় ৫০ কোটি টাকা ঋণ রয়েছে ক্রিস্টাল গ্রুপের। ২০১৬ সালেই ওই ঋণের পুরোটাই নাম লেখায় খেলাপির খাতায়। দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালনের পর গতকাল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে অবসরে গেছেন ইশতিয়াক আহমেদ চৌধুরী। তিনি বলেন, জামানত থাকা একটি জাহাজ বিক্রি করে আমরা গত ডিসেম্বরে ৬ কোটি টাকা আদায় করেছি। আরো তিনটি জাহাজ আমাদের কাছে জামানত আছে। সেগুলো বিক্রি করলে ঋণের বড় একটি অংশ উদ্ধার হবে।
ক্রিস্টাল গ্রুপের পরিচালক ফয়সাল মোরশেদ ইব্রাহিমের মালিকানাধীন ফারুক অ্যান্ড সন্স লিমিটেডের কাছে প্রাইম ব্যাংকের ঋণ রয়েছে ২২ কোটি টাকা। ব্যাংকটির চট্টগ্রামের সিডিএ এভিনিউ শাখা থেকে নেয়া ঋণ পুরোটাই এখন খেলাপি। এছাড়া ক্রিস্টাল গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে সিটি ব্যাংকের গুলশান শাখার ৩ কোটি টাকা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিডি ফিন্যান্সের ১৫ কোটি টাকাসহ ইন্টারন্যাশনাল লিজিং, প্রিমিয়ার লিজিং, ন্যাশনাল ফিন্যান্সের বড় অংকের ঋণ রয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের ইব্রাহিম কটন মিলের মালিক সেকান্দর হোসেন মিয়ার ছেলে মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম। পিতার মৃত্যুর পর তিনি ইব্রাহিম কটন মিলের দায়িত্ব নিয়ে কারখানা বাড়ানোর নামে সোনালী ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণ নেন। পরে অব্যাহত লোকসানের মুখে কারখানাটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হলে ১০০ কোটি টাকা দেনাসহ মিলটি বিক্রি করে দেন তিনি। এরপর ক্রিস্টাল গ্রুপ নামে একটি পারিবারিক প্রতিষ্ঠান দাঁড় করান। নিজে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পাশাপাশি মা গুলশান আরা বেগমকে বানিয়েছেন গ্রুপটির চেয়ারম্যান। ভাই রাশেদ মুরাদ ইব্রাহিম উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ফয়সাল মুরাদ ইব্রাহিম অর্থ-পরিকল্পনা পরিচালক এবং স্ত্রী মাহজাবীন মোরশেদ ও ভাইয়ের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা রাশেদসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের করা হয়েছে গ্রুপের পরিচালক।
ক্রিস্টাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে— ক্রিস্টাল স্টিল অ্যান্ড শিপ ব্রেকার্স লিমিটেড, ক্রিস্টাল ল্যান্ড মার্ক লিমিটেড, ক্রিস্টাল ফিশারিজ লিমিটেড, ইব্রাহিম ফার্মস লিমিটেড, ম্যাক্স ট্রেড লিমিটেড, এমআরএফ ফিশারিজ লিমিটেড, ফারুক অ্যান্ড সন্স লিমিটেড, হামিদা দোজা লিমিটেড, আইজি নেভিগেশনসহ ১৫টির মতো প্রতিষ্ঠান। যদিও ব্যবসায়িক মন্দার কারণে এসব প্রতিষ্ঠানের বেশির ভাগই দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ।
- Courtesy: Banik Barta/Jan 15, 2018
No comments:
Post a Comment