মারুফ হাসান নাসিম
বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দেওয়ায় তারা যদি সাংঘর্ষিক না হয়ে নমনীয় হয়ে সংবাদ সম্মেলন করে, তাহলে তাদের রাজনীতির জন্যই ভালো। তারা নির্বাচনের রাজনীতিতে এগিয়ে যাবে। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিলো না, এতে তাদের দলের লোকরা খুশি হচ্ছে, সাধারণ মানুষ তো নয়। এই দুই দলই কিন্তু সাধারণ মানুষ থেকে বিচ্ছিন্ন। এখন ৫ জানুয়ারিতে বিএনপিকে সমাবেশ করতে দিবে না, তাহলে ৬ তারিখে দিবে, না হলে ১২ তারিখে দেওয়া উচিত। একটা দলকে সমাবেশ করতে দিবো না, এই মানসিকতা তো আমাদের রাজনীতিতে খুব একটা লাভ বলে আমার মনে হয় না। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে বিশিষ্ট সাংবাদিক ও গবেষক আফসান চৌধুরী এই কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সমাবেশ করতে দেয়নি, এটাই তো বাংলাদেশের স্বাভাবিক চিত্র। আওয়ামী লীগ বিএনপিকে সমাবেশ করতে না দিয়ে তাদের ভাবমূর্তি খুব একটা বাড়ছে বলে আমার মনে হয় না। আওয়ামী লীগ রাজনীতিতে বিএনপিকে ঢাকায় ঢুকতেই দিতে চায় না। এটা তো অনেকেই অনেকবার বলেছে কিন্তু আওয়ামী লীগ মনে করে, এই দাবিটা অস¦ীকার করেও চলতে পারে তারা। তা ছাড়া আমাদের রাজনীতি হলো দলাদলি, মারপিট ও খুনাখুনির রাজনীতি। এখন সেই রাজনীতিতে সমাবেশের কী ভূমিকা আছে? সামগ্রিকভাবে আমাদের রাজনীতি খুব ভয়ঙ্কর। এই সাংঘর্ষিক রাজনীতিতে সমাবেশের কোনো ভূমিকা নেই, এটা লোক দেখানো।
তিনি বলেন, বিএনপি যে শেষ বৈঠক করেছে, তাতে তারা নাকি খুব উজ্জীবিত বোধ করেছে। এটা হলো দলের সংগঠকদের বিষয়। সাধারণভাবে এর দ্বারা জনগণের ভোটে কোনো প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না। মানুষ যে খুব বড় একটা সমাবেশ দেখে ভোট দেয়, এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না। একদিক থেকে ভোটের একটা বিষয় আছে, আরেক দিক থেকে দলকে সংগঠিত করার বিষয় থাকে সমাবেশে। সমাবেশগুলো দলকে সংগঠনকে শক্তিশালী করে। এটা ভোটিংয়ে কোনো প্রভাব পড়বেনা। আমি যখন সমাবেশগুলো কাভার করেছি সাংবাদিক হিসাবে, তখন অনেক বড় বড় সমাবেশ দেখেছি। কিন্তু পরে তো দেখা গেছে, সে দলই হেরে গেছে।
- সম্পাদনা : খন্দকার আলমগীর হোসাইন
- সৌজন্যে - http://amaderorthoneeti.com
No comments:
Post a Comment