Search

Tuesday, January 9, 2018

দেশে মাসে গড়ে ২৮ শিশু হত্যা ও ৪৯টি ধর্ষণ

শিশু অধিকার ফোরামের ২০১৭ সালের প্রতিবেদন


নিজস্ব প্রতিবেদক   


দেশে প্রতি মাসে গড়ে ২৮টি শিশু হত্যার শিকার হচ্ছে। ধর্ষণের শিকার হচ্ছে ৪৯টি শিশু। দেশে ২০১৭ সালের শিশু অধিকার পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক। ১২ মাসে তিন হাজার ৮৪৫টি শিশু বিভিন্ন ধরনের সহিংসতা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এদের মধ্যে এক হাজার ৭১০টি শিশু অপমৃত্যুর শিকার হয়েছে। যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৮৯৪টি শিশু।

গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের (বিএসএএফ) এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। সংস্থাটির চেয়ারম্যান এমরানুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক।

অনুষ্ঠানে ‘বাংলাদেশে শিশু অধিকার পরিস্থিতি-২০১৭’ শিরোনামের প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিএসএএফ পরিচালক আব্দুস শহীদ মাহমুদ। প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৬ সালের তুলনায় ২০১৭ সালে শিশু হত্যা ও ধর্ষণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। ২০১৭ সালে ৩৩৯টি শিশু হত্যা ও ৫৯৩টি শিশু ধর্ষিত হয়েছে, যা ২০১৬ সালের চেয়ে যথাক্রমে ২৮ ও ৩৩ শতাংশ বেশি। সেই সঙ্গে বেড়েছে গণধর্ষণ, প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণ, বখাটেদের মারধর ও কুপিয়ে জখম করা এবং গোপনে অশ্লীল ভিডিও ধারণ করে তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার প্রবণতা। তবে গত বছর আগের বছরের তুলনায় মা-বাবার হাতে শিশু হত্যা ২২ শতাংশ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শারীরিক নির্যাতন ৫৫ শতাংশ ও কথিত চুরির অপরাধে নির্যাতনের ঘটনা ৩৮ শতাংশ কমেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৭ সালে শিশু হত্যার ঘটনা ঘটে ৩৩৯টি, যা ২০১৬ সালে ছিল ২৬৫। আত্মহত্যা ২১৩টি, যা ২০১৬ সালে ছিল ১৪৯। এ ছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৫৭, পানিতে ডুবে ৩৯১, বজ্রপাতে ৪৯, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৬৪, ভুল চিকিৎসায় ৩৫, নৌ দুর্ঘটনায় ৩১, রাজনৈতিক সহিংসতায় চার ও অন্যান্য দুর্ঘটনায় ১৬৭টি শিশু প্রাণ হারায়। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয় ২২টি শিশুকে। ধর্ষণের পর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে সাতটি। ধর্ষণের চেষ্টা ৭২টি এবং যৌন হয়রানি ৫১টি। যৌন হয়রানির অভিযোগ ৯০টি, বখাটেদের হামলায় জখম ৬২টি শিশু এবং পর্নোগ্রাফির শিকার ২৬টি শিশু। ২০১৭ সালে ধর্ষণ করা হয় ৫৯৩টি শিশুকে, যা ২০১৬ সালে ছিল ৪৪৬। গণধর্ষণের শিকার হয় ৭০টি শিশু। প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটে ৪৪টি।


  • উৎস - কালেরকন্ঠ, জানুয়ারি ৯, ২০১৮। 

No comments:

Post a Comment