Search

Tuesday, January 23, 2018

জনপ্রিয় হলে ক্ষমতা ছেড়ে ন্যায্য নির্বাচন করুক - মইনুল হোসেন




তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। জনপ্রিয় হলে কি করলে ন্যায্য নির্বাচন হয় সেটা করুক। তিনি আবার যদি আসেন আমাদের কোনো ক্ষতি নেই। নির্বাচন এক দাবির ভিত্তিতে হতে হবে সংসদ থাকা যাবে না, ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করা যাবে না।

চ্যানেল আই এর একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন বলেন, নির্বাচনের ব্যাপার সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ৫ জানুয়ারি যে নির্বাচনটা হয়েছে এটা জাতির জন্য কলঙ্ক, সরকারের জন্য নিশ্চই লজ্জাকর ব্যাপার। ১৫৪টি আসন তারা নিয়ে নেয়। এটা দ্বারা জাতি ও সরকার ছোট হয়েছে। তখন কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আর একটি নির্বাচন করবো। কিন্তু পরে আর নির্বাচনে গেলেন না।

তিনি বলেন, যে দেশে নির্বাচন সৎ উপায়ে হয় না, জনগণের ভোটে হয় না, সেদেশে দুটি জিনিস আশা করা ঠিক না। একটি হলো জনগণের নিকট সরকারের দায়বদ্ধতা থাকবে। অপরটি হলো যে নির্বাচনে সততা দেখাতে পারে না, জনগণের সঙ্গে ভোটের সততা দেখাতে পারে না সে কখনো সহায়ক সরকার হতে পারে না এবং তার ফল আমরা আজ দেখছি। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুর্নীতির জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক লুটপাট, চাদা বাজ ও সব জায়গায় নীতিহীন চরিত্রহীন দাপট বেড়ে গেছে। সাধারণভাবে জাতি অসহায় হয়ে গেছে। জনগণের শক্তি হলো ভোট।

মইনুল হোসেন আরো বলেন, আমাদের দেশে রাজনৈতিক নেতৃত্ব নেই। অভিজ্ঞ রাজনীতি দেশে নেই। রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী হয়ে যান। আমলাতন্ত্ররা কিন্তু সামরিক শাসন চায়। ফলে তারা বিচারবিভাগের সাথে সংঘাতে যাবে।

তিনি বলেন, নির্বাচন সম্পর্কে একটাই কথা বলা দরকার এটা বেগম খালেদা জিয়ার জন্য না,সুশাসনের জন্য। শুরু হতে হবে সৎ নির্বাচন দিয়ে। আমলাদের কথা মতো বড় বড় কথা বলবেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মনে করেন তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। জনপ্রিয় হলে কি করলে ন্যায্য নির্বাচন হয় সেটা করুক। তিনি আবার যদি আসেন আমাদের কোনো ক্ষতি নেই। নির্বাচন এক দাবির ভিত্তিতে হতে হবে। সংসদ থাকা যাবে না, ক্ষমতায় থেকে নির্বাচন করা যাবে না। কারণ যেখানে নির্বাচন চুরি করারই রাজনীতির একটি প্রধান কার্যক্রম।

মইনুল হোসেন বলেন, রাজনীতিবিদরা নির্বাচনকে সৎ করতে পারে না তাদেরকে দেখানোর জন্য পুলিশ, আর্মি পর্যন্ত আনতে হয় এ কোন দেশ। নির্বাচন না হওয়ার পরে জনগণ থেকে সরকার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চারদিকে দুর্নীতি বেড়েছে, অবিচার বেড়েছে, ক্ষমতার অপব্যবহার বেড়েছে, পুলিশের ভেতরে বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে এর মূল হলো জনগণবিচ্ছিন্ন সরকার। এদেরকে পুলিশের ওপর নির্ভর করতে হবে। সে ক্ষমতার অপব্যবহার করবে।

তিনি বলেন, আপনি কোথায় শুনেছেন পুলিশ সরাসরি টাকা নেয়। হোম মিনিস্টারকে বলেছিলাম, আমাকে ফোন দিয়ে পুলিশ বলেছে যদি মামলা না উঠিয়ে নেই তাহলে ক্রসফায়ার দিতে পারে। এটা কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর কারণে হচ্ছে না এটা পদ্ধতির কারণে হচ্ছে। গণতান্ত্রিক পদ্ধন্তি শেষ করার ফলে স্বৈরতান্ত্রিক পদ্ধতি আসছে। দেশে শান্তি নিশ্চিত করতে হলে সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচন দেন। তা না হলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হবে।
  • Courtesy: Amadershomoy.com/Jan 23, 2018

No comments:

Post a Comment