জাতির বিবেক
———
বুধবার, জানুয়ারি ২৪, শহিদ জিয়া ও বেগম জিয়ার দ্বিতীয় পুত্র আরাফাত রহমান কোকোর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী । স্নেহময়ী জননীর কাছ থেকে দূরে নির্বান্ধব বিজন প্রবাসে অসহায় অবস্থায় এ পৃথিবী ছেড়ে যান তিনি। সেদিন বন্দিবৎ মাতার আর করার কিছুই ছিল না। চোখের পানির ধারায় দূরের ছোট ছেলের জন্য আল্লাহর দরবারে মোনাজাত ছাড়া আর কীই বা করার ছিল! কিন্তু না তাকে তা করতে দেবেন না কর্তৃপক্ষ। আজ যখন ঘুরে ফিরে এসেছে সেই মর্মান্তিক দিন, সেদিন মাকে যেতে হবে আদালতের কাঠগড়ায় যে আদালত গড়ে দেওয়া হয়েছে শুধুই একটি দল ও তাদের নেতাদের জন্য।
বিচার এই মাকে পেতেই হবে। দ্রুত। সন্তানশোক! কিছুই আসে যায় না।
আবেগের স্নেহ-শোক কী মাতায় মাতায় এতো যোজন দূরের ফারাক হতে পারে! আরেক মাতা সেদিন সন্তানকে স্নেহ দেবার জন্য মায়ামিতে গিয়েছিলেন বলেছিলেন সগৌরবে, 'দেশে ছিলাম না, আমি তো মাতৃস্নেহ দিচ্ছিলাম।' তখন তিনি রাষ্ট্রভারমূক্ত স্নেহময়ী জননী ছিলেন, মাতামহী ছিলেন, ছিলেন ভাবনাহীন, ভারবিহীন ডুবে যাক তরী ভেসে যাক প্রাণ।
কিন্ত এই মাতার বিচারপ্রপ্তি বিলম্বিত করা যায় না। তাই মরহুম পুত্রের জন্য শোককে বরদাস্ত করা যায় কি করে!
No comments:
Post a Comment