Search

Saturday, February 10, 2018

দেশে এখন বন্য আইন চলছে - মান্না


দেশে এখন বন্য আইন চলছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। শুক্রবার রাজধানীতে প্রশ্নপত্র ফাঁস, শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন নিয়ে নাগরিক ছাত্র ঐক্য আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন।

মান্না বলেন, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন প্রয়োজন। কিন্তু সরকার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠিয়ে সেই পথে না হাঁটারই ইঙ্গিত দিয়েছে। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো সরকার আগে থেকেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আনা মামলার রায় কী হবে, তা জানত।

জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কথা উদ্ধৃত করে মান্না বলেন, ‘যারা দেশ থেকে হাজার কোটি টাকা পাচার করছে, তাদের পরিচয় প্রধানমন্ত্রী জানেন। অথচ তাদের শাস্তি আগে নিশ্চিত না করে তড়িঘড়ি করে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এই রায়ের উদ্দেশ্য সবারই জানা।’

মান্না বলেন, ‘গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে, শান্তির পথে সবকিছু বিকশিত হোক, এটা আমরা সবাই চাই। কিন্তু সেই পরিবেশ সবাই মিলে তৈরি করতে হবে। গায়ের জোরে হবে না।’

  • Courtesy: NTVnews/Feb 9, 2018

‘নিরপরাধ’ বেগম জিয়া কারাগারে - অলি আহমেদ


এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া অমূলক। যারা লুটপাট করেছে, তাদের খবর নেই, অথচ নিরপরাধ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে নেয়া হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরদ্ধে করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় কী করে ১০ দিনে লেখা সম্ভব হয় এমন প্রশ্ন তুলেছেন এলডিপি চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে কর্নেল অলি একটি অনুষ্ঠানে এমন প্রশ্ন তুলেন।

কর্নেল অলি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সাজা পরিকল্পিত। গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী রায়ের আগেই তার জন্য আগেই কারাগারে জায়গা ধোয়ামুছার কাজ হয়েছে। আর ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় মাত্র ১০ দিনে কীকরে লেখা সম্ভব? যারা লুটপাট করেছে, তাদের খবর নেই, অথচ নিরপরাধ সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে কারাগারে নেয়া হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়ার বিষয়টি সরকারের পূর্ব পরিকল্পিত। তাকে যে কারাগারে রাখা হয়েছে, সেটি অপরিচ্ছ্ন্ন। বিএনপি নেত্রীকে কারাগারে পাঠানোর সব বন্দোবস্ত আগেই ঠিক করে রাখা হয়েছিল।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের প্রতিবাদে বিএনপি যে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে, তাতে সমর্থন করেন এলডিপি চেয়ারম্যান।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।

এছাড়াও একই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।


  • Courtesy: শীর্ষ নিউজ/জে Feb 10, 2018

শিক্ষার নৈরাজ্য দূর না হলে ভাষার নৈরাজ্যও দূর করা যাবে না - যতীন সরকার


৪২ বছর শিক্ষকতা করেছি আমি। লক্ষ্য করেছি, অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গেই বলতে হয়, আমাদের শিক্ষিত লোকেরা, এমনকি বাংলা সাহিত্য নিয়ে যারা পড়ালেখা করেছেন, বড় বড় ডিগ্রি নিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই রয়েছেন যারা সবগুলো বাংলা অক্ষর চিনেন না। শুনতে খুবই খারাপ শোনাতে পারে, কিন্তু বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকেই এসব বলছি। আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে এমন মন্তব্য করেছেন গবেষক ও শিক্ষাবিদ যতীন সরকার।

তিনি বলেন, বিভিন্ন সংযুক্ত অক্ষরের ব্যবহার, মাত্রার ব্যবহার সম্পর্কেও অনেক শিক্ষিত মানুষের ধারণা নেই। এই যখন অবস্থা তখন ভাষার ব্যবহারে যে কি নৈরাজ্য হবে, সে সম্পর্কে আর কিছু না বললেও চলে। ভাষার এই নৈরাজ্য হচ্ছে আমাদের মানসিক নৈরাজ্যেরই প্রতিফলন। ভাষা নৈরাজ্যের কারণ, ছেলেবেলা থেকেই শিশুদের যেভাবে বাংলা পড়ানোর দরকার, সেভাবে পড়ানো হয় না। যারা শিক্ষক, তারা একরকম না পড়েই শিক্ষক হয়ে যান! তাদের হাত ধরেই অজ্ঞতা বহুগুণ বাড়বে। এখন তাই হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ভাষার সঠিক ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন একটা সঠিক, সচেতনতামূলক আন্দোলন। যারা লিখেন, তারা এবং গণমাধ্যম যদি এ ব্যাপারে যথাযথ ভূমিকা গ্রহণ করে তাহলে এর ইতিবাচক ফল আমরা পেতে পারি।

যতীন সরকার বলেন, সাংবাদিকেরা যদি সচেতন হন ভাষা ব্যবহার সম্পর্কে, তা সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া যায়, সবাইকে শিক্ষিত করে গড়ে তোলার জন্য যদি একটা আন্দোলন  গড়ে তোলায় যায় তাহলে ভাষার সঠিক ব্যবহার সম্ভব। তা না হলে করতে না পারলে তা কখনো সম্ভব নয়।

তিনি বলেন, বাংলা একাডেমির উপর সব দায়িত্ব চাপিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। বাংলা একাডেমি কিছু কিছু কাজ, তবে বাংলা একাডেমি সবকিছু করতে পারে না। এখানে দায়িত্বটা শিক্ষা বিভাগকে গ্রহণ করতে হবে সবচেয়ে বড় করে। এখানে আমরাও কেউ দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারি না। তবে আমাদের শিক্ষার নৈরাজ্য দূর না করতে পারলে ভাষার নৈরাজ্যও দূর হবে না।

  • Courtesy: AmadehShomoy.Com

প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ ব্যর্থ - আরেফিন সিদ্দিক



প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সাথে সাথে কর্তৃপক্ষ সেটা অস্বীকার করছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে যুক্ত অপরাধীরা জানে তাদের অপরাধ কর্তৃপক্ষ থেকে অস্বীকার করা হবে। তাই তারা প্রতিনিয়ত অবাধে প্রশ্ন ফাঁস করছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পূর্ন ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের সমাজে এটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।

আমাদেরসময়.কম কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মহামারি পরিস্থিতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। না হলে নতুন প্রজন্মকে সঠিকভাবে শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রথম কর্তব্য হচ্ছে, যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা। গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের তথ্য মতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এই সকল সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। এই তদন্ত কমিটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হলে মানুষের মাঝে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে সেটা প্রশমিত হবে। আর সত্য প্রমাণিত হলে এই কমিটির প্রধান দায়িত্ব হবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা।

ঢাবির সাবেক উপাচার্য বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি এমন ভাবে প্রবেশ করেছে, কর্তব্যের অবহেলা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যা আমাদের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় না আনলে দিনে দিনে অপরাধ বাড়তেই থাকবে। শিক্ষার্থীদের যদি সঠিক শিক্ষা না দেওয়া হয় তাহলে সমাজে নানান ধরণের সমস্যা দেখা দিবে। আমরা সমাজকে যদি কলঙ্কমুক্ত করে সততার মাঝে রাখতে চাই তাহলে সমাজের প্রতিটি স্তরে সু-শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।

  • Courtesy: AmaderShomoy.Com

প্রশ্নবিদ্ধ রায় - ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী



খালেদা জিয়ার চিন্তা-চেতনার অনেক বেশি উন্মেষ হয়েছে। তিনি যে বলেছেন, আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে, শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ থাকতে, কারো কাছে মাথা নত করবো না এর দ্বারা তিনি অনেক বেশি সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন। সাহসীচেতা লোকজন তাকে একজন সাহসী মহিলা হিসাবেই চিনেন। আর বক্তব্যে তার নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করেছে, দল উজ্জীবিত হয়েছে। এতে কোনো সন্দেহ নেই। জিয়া অরফানেজ মামলায় খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে আলাপকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী আমাদের অর্থনীতিকে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, খেলার মাঠে থাকলে আমরা সবাই সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করি। ঠিক তেমনিই আওয়ামী লীগও একটা রাজনৈতিক সুবিধা নেওয়ার জন্য বিচারটা এই বছর শেষ করলো। এর জন্য তাদের দোষ দেওয়া যাবে না, কেন তারা এবছর রায়টা শেষ করলো। তবে আমার মনে হয় না, এই বিচার দ্বারা বিএনপির কোনো ক্ষতি হয়েছে বরং লাভ-ই হয়েছে। তার জেল হয়েছে, কিছুদিন পর হয়তো তিনি জামিন নিয়ে বের হয়ে আসবেন।

তিনি আরও বলেন, এমনটা চিন্তা করলে হবে না যে, নির্বাচন একদলীয় হবে খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়ার মাধ্যমে। বিএনপি নিশ্চয়ই নির্বাচনে যাবে এবং নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হবে। সব মিলিয়ে একটা ভাল খেলা হবে। রায়ের কারণে বিএনপির কোনো অসুবিধা হয়নি। এতে জনগণের তাদের প্রতি সহানুভূতি বাড়ছে। কারণ রায় যে হয়েছে, এটা একটা প্রশ্নবিদ্ধ রায়। যার জন্য বেগম জিয়ার মামলাটি হয়েছে, সেই টাকাতো আর আত্মসাত হয়নি, তা ব্যাংকেই রয়ে গেছে। ব্যাংকে সেই টাকা সুদে আসলে এখন তিন গুণ হয়েছে। তাহলে এখানে আত্মসাত হলো কোথায়? যেটা হয়েছে, সেটা হলো ক্ষমতার অপব্যবহার।

তিনি বলেন, রায়টা বৃহস্পতিবার দেওয়ায় জনগণ আরও বেশি ক্ষুব্ধ হয়েছে। এটা একটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত রায়, সরকারের নির্দেশনায় রায়। কারণ আগেই পত্রিকায় ঘোষণা দিয়ে রায় হয়েছে। তাহলে জজের সাথে জেলারের কথা হয়েছিল নাকি যে বেগম জিয়ার শাস্তি হবে। যাই হোক, এতে বিএনপি লাভবান হয়েছে যদি তারা এটা গ্রহণ করতে পারে। কারণ বিএনপির যে বর্তমান কমিটি আছে, তারা এখনো ঘুমায়। তারা এই সুযোগটা গ্রহণ করতে পারবে কিনা, এটাই দেখার বিষয়।

তিনি আরও বলেন, বেগম জিয়া পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন তার নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে। তবে সরকার যদি তাদের ভাব প্রকাশ করতে না দেয়, তাদের রাস্তায় নামতে না দেয়, তাহলে একটা আশঙ্কা থাকতেও পারে। উগ্রবাদ আসবে কী, আসবে না এটা নির্ভর করে সরকারের উপর। কারণ বিএনপি তো এখন গণতান্ত্রিকভাবেই এগোচ্ছে।

Courtesy: AmaderShomoy.Com

'Leaked' SSC Questions: Examinees continue to be lured

Every question paper of the first five exams of the ongoing SSC has been leaked.


The leakers have even declared to reveal the math questions hours before the exam scheduled for 10:00am today.

“I would try to give you the part with creative questions in hand written form by night while the multiple choice questions with solutions will be given in the morning. Be added in our new group if you want to get it,” wrote one user yesterday (Friday) afternoon in a Facebook messenger group titled, SSC Helper 2018.

Even though the leakers sell question papers the day before the exam, they give it away for free in groups on Facebook and Whatsapp hours before the test.

“If you want to get the math question paper before everyone else, be with us,” reads a status in a group on Facebook called, PSC JSC SSC HSC Degree Honours Masters Admission Test BCS Job Question Out.

Such posts have been doing the rounds on Facebook since the beginning of the SSC exams earlier this month.

A good number of people from different parts of the country allegedly communicated with the leakers and got the questions, The Daily Star learnt by talking to some of them on Facebook.

Nagarik Chhatra Oikya, student front of Nagorik Oikya, at a discussion at Jatiya Press Club yesterday said the government had failed to stop the SSC exam questions leaks. “The government, including the prime minister and the education minister, is responsible,” read the statement of the student body.

Riazul Islam, member-secretary of the platform, read out the statement. Nagarik Oikya Convener Mahmudur Rahman Manna was present at the programme.

“Students are now losing their interest in studies. Instead of educating themselves, they are now learning how to pass exams through immoral means by getting the easily accessible questions,” the statement said. Questions of different public examinations have been leaked over the last few years.

Following media reports on the leaks, Education Minister Nurul Islam Nahid declared a Tk-5 lakh reward for helping catch those involved in question-paper leaks. His ministry formed a committee to decide on the next course of action. But the leaks continued.

Nahid met Prime Minister Sheikh Hasina at the Gono Bhaban and said he would step down. But the premier asked him to tackle the situation with stricter measures, said ministry sources. Nahid had earlier told journalists that exams would be cancelled as soon as the leaks were proved.

Courtesy: The Daily Star

After BB says it will sue RCBC, PH bank warns counter action

Staff Correspondent 



One day after Bangladesh Bank said that it would sue the Philippines Rizal Commercial Banking Corp (RCBC) to recover major part of $81 million of BB reserve stolen from New York Federal Reserve Bank, the RCBC on Thursday warned of tit-for-tat legal action.

Ajmalul Hossain QC, a member of BB’s legal team on Wednesday said BB, Federal Reserve Bank and global financial messaging service SWIFT would file the case against the RCBC in two to three months in a New York court.  Out of $81 million reserve stolen by the suspected hackers from BB account with NY Fed in February 2016 and transferred to Philippines using the RCBC Bank, the authorities in the Philippines have recovered $15 million and returned it to BB.

After the fund was stolen from New York Fed and transferred to the RCBC Bank, the funds were then swiftly withdrawn from the Manila Branch of RCBC and laundered through local casinos.

But RCBC claimed the cyber-heist was an ‘inside job’ and that the Philippine bank was being used as a scapegoat to hide the real culprits, reports the AFP. ‘RCBC has had it and will consider a lawsuit against Bangladesh Central Bank officials for claiming the bank had a hand in the $81M cyber-heist,’ the Philippine lender said in a statement.

‘They are perpetuating the cover-up and using RCBC as a scapegoat to keep their people in the dark,’ the RCBC statement said.

The Philippine central bank imposed a record $21 million fine on RCBC after the discovery of the heist as it investigated the lender’s alleged role in the theft.

Money-laundering charges were also filed against the RCBC branch manager. 

The US reserve bank, which manages the Bangladesh Bank reserve account, has denied its own systems were breached.

BB deputy governor Abu Hena Mohd Razee Hasan on Wednesday said that there was no trace of $14.5 million out of remaining $66 million they are trying to bring back from Manila. He said reserve fund worth $51.5 million has been traced with accounts of different companies and individuals in Manila.

The traceable fund include $10.7 million with Philrem Service Corporation, $29 with Solaire Casino, $1.2 million with two employee of Kim Wong, a Chinese owner of the Solaire Casino and $6 million with Kim Wong, he said. He said the case would be filed with the international stolen money recovery law.

Ajmalul Hossain QC said they are trying to recover the fund by negotiating with the authorities in the Philippines. He said they would file the case on the basis of ‘admissible evidences’ preserved by BB. He said BB could not use the probe report on the reserve heist by former BB governor Mohammad Farashuddin as the ‘admissible evidences’.

Ajmalul said BB has almost one year to file case on reserve heist in any civil court. 

  • Courtesy: New Age/Feb 9, 2018

Political crisis to deepen: politicians

Mohiuddin Alamgir



Eminent citizens, including politicians, said on Friday that the verdict that jailed BNP chairperson Khaleda Zia for five years would further deepen the political crisis and make inclusive general elections uncertain.

Talking to New Age and in statements, they said that all corrupt people, irrespective of their political affiliations, should be brought to justice.

They also called for punishment for people involved in corruptions and scams like Hallmark scam, Bismillah Group scam, BASIC Bank and Janata Bank scams, Bangladesh Bank reserve heist and share market scams, which that shook Bangladesh, to prove that the government wanted to curb corruption.

They observed that government steps regarding the verdict, including mass arrests, allowing ruling Awami League activists to defy ban on procession and irresponsible comments from the ruling party, were spoiling democratic atmosphere and created fear among people.

The Dhaka Special Judge’s Court-5 on Thursday jailed opposition Bangladesh Nationalist Party chairperson Khaleda Zia for five years and her eldest son Tarique Rahman, also BNP senior vice-chairman, and four others for 10 years in Zia Orphanage Trust corruption case filed in 2008.

The verdict came when BNP was in the streets for neutral election-supportive government for the next general election to be held by December.  ‘Political uncertainty in the country further increased following the verdict,’ said Dhaka University professor emeritus Serajul Islam Choudhury.

‘The people were in doubt about the next election and if they would get a chance to ventilate their opinion, but this verdict increased the uncertainty,’ he said. ‘If BNP does not participate in the next general elections, it would push the people in more tough time,’ said the academic.

‘Public perception is clear. People would not accept the verdict as they are not seeing punishment for other big scams,’ he said pointing at large scams in banks, share market and other sectors. He also criticised the government for dropping graft cases against prime minister Sheikh Hasina after assuming power. ‘Such activities of the authority are not acceptable.’

Communist Party of Bangladesh president Mujahidul Islam Selim said that the verdict raised question among people who found it politically motivated. ‘If Awami League wants to prove that there is no political motivation behind the verdict, it has to bring all corrupt members of their party to justice for embezzling thousands of crores of money,’ he said.

He said why the government was not trying those involved in financial scams related to Basic Bank, Farmers Bank and Hall-Mark Group and in share market scams. ‘Country should be made free from sick political culture that party in power should drop all cases against them,’ he said, adding that the government should prove the equality of all before the law.

Incidents centring the verdict once again proved the bankruptcy of bourgeois political parties that made everything uncertain and chaotic in the politics, Mujahidul Islam said regarding the uncertainty over the next general polls.

Ganasanghati Andolan chief coordinator Zonayed Saki said that the verdict intensified the uncertainty of a participatory general election. ‘People cannot keep confidence in election atmosphere when the prime minister is seeking vote and top political party leaders are visiting courts and jails,’ he said.

He said that Khaleda was convicted in a case filed during military-controlled interim regime. Grafts cases were filed against Sheikh Hasina also during the same regime but the authorities dropped the cases terming those politically motivated after the Awami League assumed power. ‘People finds cases against Khaleda politically motivated as the government without solving big scams involving billions of taka pays more attention to her cases,’ he added.

Workers Party of Bangladesh, also an ally of the ruling AL, general secretary Fazle Hossain Badsha said that general principle of politics should be all corruption irrespective of political parties should go through proper investigation and come under purview of law for the sake of rule of law and good governance.

Had the country’s democracy developed properly, incidents of dropping of corruption cases against ruling party leaders would have come down, he said.

Democratic Left Alliance, CPB and Socialist Party of Bangladesh in a joint statement demanded punishment for all corrupt people irrespective of political identities. Khaleda has been was convicted of corruption when many big scams involving billions of Taka and big fishes of ruling party are not being prosecuted. The government should take actions against all of them to prove that the verdict has got no political motivations, the statement said.

A perception emerged among people that the government’s will was reflected in the verdict because of over enthusiasm of the government to convict Khaleda without settling the issues of large scams, autocratic rule having no mandate, the statement added. It said that corruption took place during BNP tenure, it was also continuing during this government’s tenure and people in ruling parties were 
getting indemnity from prosecution, which was not acceptable.

Jukta Front, a combine of Bikalpa Dhara, Jatiya Samajtantrik Dal faction and Nagorik Oikya, in a statement said that people’s doubt that Khaleda’s future legal steps like appeal and bail petition would be influenced by the government was getting stronger. ‘It would be complete violation of her [Khaleda] basic rights,’ the statement said. Government will be responsible for any untoward situation that hampers upcoming election atmosphere, it added.

  • Courtesy: New Age/ Feb 10, 2018

বিচার বিভাগ - অ্যাটর্নি জেনারেলকে ধন্যবাদ


শাহদীন মালিক


যে কথা আমরা কখনো বলতে পারিনি বা সাহস করিনি, শ্রদ্ধেয় অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সে কথাটিই বলেছেন। শুধু বলেছেন বললে কথাগুলোকে খাটো করা হবে। কারণ, কথাগুলো তিনি বলেছেন নতুন প্রধান বিচারপতিকে অভিনন্দন ও সংবর্ধনা জানাতে গিয়ে; ৪ ফেব্রুয়ারি, আপিল বিভাগের প্রধান বিচারকক্ষে, বিচারপতি ও বহু আইনজীবীর উপস্থিতিতে।

পুনরাবৃত্তি হবে, তবু পাঠকদের হালকা করে মনে করিয়ে দিই, অ্যাটর্নি জেনারেল কী বলেছিলেন। প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী ‘…মাহবুবে আলম মনে করেন, আদালতের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের একটি বিরাট অংশ ইতিমধ্যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে।’ প্রথম আলো বলছে, ‘… রাষ্ট্রের প্রধান এই আইন কর্মকর্তার বক্তব্যে কোনো কোনো বেঞ্চে বিচারপতির বেঞ্চ কর্মকর্তার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়া, আদালতের রায় নিয়ে জাল-জালিয়াতি, বিশেষ বিশেষ কোর্ট বিশেষ বিশেষ আইনজীবীর কোর্ট হয়ে যাওয়ার প্রসঙ্গসহ বিচারালয়ে অনিয়মের বেশ কয়েকটি দিক উঠে এসেছে …।’

প্রথম আলোর রিপোর্ট অনুযায়ী অ্যাটর্নি জেনারেল আরও বলেন ‘… সবচেয়ে ভয়াবহ বিষয়টি হলো, বিশেষ বিশেষ কোর্ট বিশেষ বিশেষ আইনজীবীর কোর্ট হয়ে গেছে এবং অনেক সময় অনেক জ্যেষ্ঠ আইনজীবীর কাছ থেকে ব্রিফ নিয়ে তাঁদের নিয়োগ করা হচ্ছে। বিচারপ্রার্থী ব্যক্তিরা অনেকে জেনে গেছেন, কোন কোর্টে কাকে নিয়ে গেলে মামলা জেতা যাবে। এটা তো ন্যায়বিচারের সম্পূর্ণ পরিপন্থী। এ বিষয়ে অনেকেই ছুটছেন বিচারপতিদের সন্তান, স্ত্রী যাঁরা আইনজীবী হিসেবে নিয়োজিত আছেন তাঁদের দিকে, এই চিন্তা করে যে তাঁদের নিয়ে গেলে হয়তো মামলা জেতা যাবে। বিচারপতিদের আত্মীয় বা সন্তানেরা আগেও এই পেশায় ছিলেন, কিন্তু কখনো এরূপ অবস্থার সৃষ্টি হয়নি। এখন কেন বিচারপ্রার্থীদের আচরণ এরূপ হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখা দরকার।...’ (প্রথম আলো, ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)
দুর্নীতি নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল আরও অনেক কথা বলেছেন। আবারও ধন্যবাদ।

কয়েক মাস আগের কথা, আদালত ভবন থেকে বেরোতেই পাশে রাখা ঝকঝকে তকতকে দামি গাড়ি, কোর্টের গেটে থাকা কর্মচারীকে ঔৎসুক্যভরে জিজ্ঞেস করলাম, গাড়িটা কার? তিনিও গর্বভরে উত্তরে জানালেন, গাড়িটা সাবেক এক বিচারপতির তরুণ আইনজীবী পুত্রের। তাঁর শ্বশুর দিয়েছেন।

ছোটবেলা থেকেই এই গোছের শ্বশুরের কথা শুনছি। তখন থেকেই জানি, ঘুষখোর সরকারি কর্মকর্তার দামি কিছু, অর্থাৎ অনেক ভারী সোনার গয়না, দামি ঘড়ি, কয়েক বিঘা জমি ইত্যাদি তাঁরা পেতেন শ্বশুরের কৃপায়।

বিচারপতিদের পুত্র-কন্যাদের বিবাহ-শাদি তো আর বন্ধ করা যাবে না, তবে পিতা-মাতা বিচারপতি থাকাকালীন পুত্র-কন্যাদের প্র্যাকটিসের ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জরুরি হয়ে পড়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় তরুণ পুত্র-কন্যাদের ওকালতির আয়ুষ্কাল হবে চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছর, তার মধ্যে পিতা-মাতা বিচারপতি থাকবেন চার থেকে পাঁচ বছর। অতএব, নিষেধাজ্ঞার কারণে কোনো মহাভারত অশুদ্ধ হবে না। তা ছাড়া, ওই সময়টা আদালতের বাইরে আইনসংক্রান্ত অন্য অনেক কাজ যেমন কোম্পানি, ব্যাংক বা যেকোনো ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের আইন কর্মকর্তা, শিক্ষকতা, গবেষণা, আইনসংক্রান্ত এনজিও ইত্যাদি কর্মকাণ্ডের দুয়ার তো খোলা থাকবে।

অবশ্য মজার ব্যাপার হলো, শ্বশুরের কাছ থেকে মহাদামি গাড়ি উপহার পাওয়া ওই তরুণ আইনজীবীকে এখন নাকি কোর্টে আর বেশি দেখা যায় না। পিতার অবসরের কিছুদিনের মধ্যেই নাকি তাঁর আইনি জ্ঞান-বিদ্যা-কৌশল ভীষণভাবে হ্রাস পেয়েছে।

২. 
আমরা যাঁরা মোটামুটি সকাল-বিকেল সুপ্রিম কোর্টের বারান্দায় ঘুরি, তাঁরা প্রায় সবাই জানি আদালতের খবর। যাতে ভুল-বোঝাবুঝি না হয়, সে জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আমরাও বলছি, বাজে কর্মচারী-কর্মকর্তার আদালত আঙুলে গোনা যায়। সংখ্যা খুবই অল্প। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে একটাও তো বাজে আদালত থাকার কথা নয়। যেগুলো বাজে, দুর্গন্ধময়, সেগুলো উপড়ে ফেলতে হবে। এই কাজটা দুর্নীতি দমন কমিশনের, এটা অ্যাটর্নি জেনারেলের নয়, আইনজীবীদের নয়, বিচারপতিদেরও নয়। অনেকেই বলতে পারেন যে অ্যাটর্নি জেনারেল যখন দুর্নীতির অভিযোগ আনছেন, তখন খোদ অ্যাটর্নি জেনারেলকেই সেটা প্রমাণ করতে হবে। দুর্নীতি প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় ক্ষমতা অ্যাটর্নি জেনারেলের নেই, এটা কেবল আছে দুর্নীতি দমন কমিশনের।

দুর্নীতি দমন কমিশন জানতে চাইলে বিজ্ঞ আইনজীবীদের অধিকাংশই লেনদেনে জড়িত গুটিকয়েক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দেখিয়ে দিতে পারবেন। কিন্তু ঘুষের টাকা জমা হওয়া ব্যাংক হিসাবের অ্যাকাউন্ট নম্বর তো আমরা বলতে পারব না। চাইলে মার খাওয়ার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সেই অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়ার আইনগত ক্ষমতা একমাত্র দুদকের। সম্পত্তির হিসাবও চাইতে পারে একমাত্র দুদক। বলা বাহুল্য, ঘুষের তদন্ত বা অনুসন্ধান করা প্রধান বিচারপতির দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। তবে দুদক অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযুক্ত ব্যক্তিকে সাময়িক বরখাস্ত করার প্রশাসনিক ক্ষমতা প্রধান বিচারপতির দপ্তরে থাকবে।

৩. 
আদালতের সমস্যা অনেক। মামলার জট, অদক্ষতা-অযোগ্যতাসহ সমস্যার ফিরিস্তি দীর্ঘায়িত করা মোটেও কঠিন কাজ নয়। কিন্তু এসব সমস্যার কারণে আদালতের প্রতি বিচারপ্রার্থীদের আস্থায় খুব বেশি চিড় ধরে না। দীর্ঘসূত্রতার কারণে খরচ বাড়ে, বিরক্তিও বাড়ে, তবে শেষতক ন্যায়বিচার হয়।
কিন্তু অন্যায়, অনিয়ম, পক্ষপাতিত্ব, স্বজনপ্রীতি, ঘুষ, রাজনৈতিক প্রভাব, টেলিফোনে নির্দেশ, দুর্নীতি-এগুলো অনেক বড় সমস্যা। অন্যদিকে একজন অদক্ষ বা অযোগ্য লোককে রাতারাতি দক্ষ ও যোগ্য কর্মীতে পরিণত করা যায় না। কিন্তু ঘুষ-দুর্নীতি উপড়ে ফেলা যায় সাততাড়াতাড়ি। সবাইকে তো আর ধরতে হবে না, কয়েকজনকে ধরলেই বাকিগুলো গর্তে ঢুকে পড়বে।

আদালতের ওপর আক্রমণ আসছে বিভিন্ন জায়গা থেকে। রক্ষা করতে এই মুহূর্তে প্রয়োজন দুদকেরও সাহায্য। আবারও বলছি, এই কাজটা একমাত্র দুদকের। আর অ্যাটর্নি জেনারেলের সঙ্গে সুর মিলিয়ে বলব, আমরাও দুদককে এ ব্যাপারে সাহায্য করতে এক পায়ে খাড়া। বলা বাহুল্য, দুদককে আইন অনুযায়ী, নিয়ম মেনে তদন্ত করতে হবে, তদন্ত প্রতিবেদন দিতে হবে এবং ঠিকমতো মামলা দায়ের ও পরিচালনা করতে হবে।

তবে সমস্যা তো একটু আছেই, বেসিক ব্যাংকের মতো দুদক খালি ট্যাংরা-পুঁটি খোঁজে এবং ধরে, রুই-কাতলার ধারেকাছেও যায় না। মাঝে মাঝে শুধু ডেকে লোক দেখানো আলাপ-আলোচনা করে। একইভাবে আদালতের ঘুষ-দুর্নীতি দূর করতে দুদক হয়তো দৌড়াবে শুধু পিয়ন-চাপরাশিদের পেছনে। রাঘববোয়ালেরা থাকবে বহাল তবিয়তে। হয়তো রেট আরও বাড়বে, গুটিকয়েক পছন্দের আইনজীবীর কামাইও বাড়বে, বাড়বে বিচারপ্রার্থীদের দুর্ভোগ আর শুধু কমবে আদালতের ওপর আস্থা। কেননা, রাষ্ট্র এখন ওদের, দুর্নীতিবাজদের। রাষ্ট্র আর আমাদের নয়।

তবে কথা এখানেই শেষ নয়। আমাদের রাষ্ট্রে আবার আমাদের নিজেদের করার কাজ শুরু হয়ে গেছে। শুরুর পথের যাত্রী হওয়ার জন্য অ্যাটর্নি জেনারেলকে আবারও ধন্যবাদ।

  • ড. শাহদীন মালিক: সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের আইনের শিক্ষক

উৎসঃ প্রথম আলো prothomalo.com

Wednesday, February 7, 2018

শান্তি রক্ষার নামে শান্তি হরণ নয়? - জনমনে উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠা

সম্পাদকীয়


৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়কে সামনে রেখে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠা রয়েছে, সরকারের সর্বশেষ পদক্ষেপে তা বাড়বে বই কমবে না। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) থেকে বলা হয়, মামলার রায় ঘোষণার দিন ঢাকায় সভা, মিছিল এবং ছুরি-লাঠির মতো অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ওই দিন ভোর চারটা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা থাকবে বলে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ কবে আসবে? 

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা দেওয়া আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দায়িত্ব। কিন্তু কোনো মামলার রায়কে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে আতঙ্ক ও উত্তেজনা ছড়ানো কোনো কাজের কথা হতে পারে না। আরও উদ্বেগের বিষয় ঢাকায় সভা–সমাবেশ বন্ধের মধ্যেই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যক্রম সীমিত নেই। গণমাধ্যমে খবর এসেছে, ওই দিন ঢাকার প্রবেশপথগুলো বন্ধ করে দেওয়া হতে পারে। এ খবর সত্য হলে উদ্বিগ্ন হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে। চিকিৎসা, ব্যবসাসহ নানা জরুরি কাজে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ ঢাকায় আসেন। একটি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে সবকিছু বন্ধ করে দেওয়া কেবল বেআইনি নয়, অমানবিকও। 

সরকার ও সরকারি দলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে পাইকারি ধরপাকড় চালাচ্ছে না; পুলিশের ওপর যাঁরা হামলা করেছেন কিংবা প্রিজন ভ্যান থেকে আসামি ছিনিয়ে নিয়েছেন, তাঁদেরই ধরা হচ্ছে। সরকারপক্ষের এই দাবি সত্য হলে দেশবাসী আশ্বস্ত হতে পারত। কিন্তু বাস্তবতা হলো পুলিশের ওপর হামলার পর থেকে পুলিশের গ্রেপ্তার অভিযান ও তল্লাশি অব্যাহত আছে। ইতিমধ্যে বিএনপির সহস্রাধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, যাঁদের মধ্যে দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য এবং কেন্দ্রীয় কমিটির বেশ কয়েকজন নেতা রয়েছেন। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে ঢাকায় অথচ ঢাকার বাইরে বিএনপির বহু নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাহলে কি ঢাকার বাইরে থেকে তাঁরা রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে পুলিশের ওপর হামলা করেছিলেন? সোমবার খালেদা জিয়ার সিলেট যাওয়ার পথে তাঁকে স্বাগত জানাতে গেলে পুলিশ নারায়ণগঞ্জ থেকে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার কৌঁসুলি সাখাওয়াত হোসেনসহ অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। সাত খুনের আসামিদের বিচারে সাখাওয়াত হোসেন অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছিলেন। এসব কিসের আলামত? 


আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেছিলেন, মামলার রায়কে কেন্দ্র করে তাঁরা কোনো কর্মসূচি নেবেন না। কিন্তু আমরা বিস্ময়ের সঙ্গে লক্ষ করলাম, খালেদা জিয়ার সিলেট যাওয়ার পথে নরসিংদীতে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হাতে লাঠি ও জুতা নিয়ে মিছিল করেছেন। স্থানীয় সাংসদের নামে স্লোগান দিয়েছেন। কোনো রাজনৈতিক নেতার কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এ ধরনের তৎপরতা অবশ্যই নিন্দনীয়। 

বর্তমানে সারা দেশে এসএসসি পরীক্ষা চলছে। আদালতের রায় ঘোষণার দিনও এসএসসি পরীক্ষা আছে। সে ক্ষেত্রে কোনো রকম অরাজক অবস্থা তৈরি হলে কিংবা সভা–সমাবেশ বন্ধের নামে জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হলে পরীক্ষার্থীসহ ঢাকার নাগরিকেরা মারাত্মক বিপদে পড়বে। এ ব্যাপারে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের কাছে সংযত ও সহিষ্ণু আচরণ প্রত্যাশিত। 


ডিএমপি ঢাকায় সভা–সমাবেশ নিষিদ্ধ করায় ইতিমধ্যে মানুষ উদ্বিগ্ন। এরপরও ধরপাকড় অব্যাহত থাকলে পরিস্থিতি আরও নাজুক হয়ে পড়তে বাধ্য। তাই তাদের এমন কিছু করা উচিত হবে না, যাতে জনগণের শান্তি, স্বস্তি ও স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। 

শান্তি রক্ষার নামে শান্তি হরণের অধিকার কারও নেই।


  • Courtesy: Prothom Alo/Feb 7, 2018