প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার সাথে সাথে কর্তৃপক্ষ সেটা অস্বীকার করছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে যুক্ত অপরাধীরা জানে তাদের অপরাধ কর্তৃপক্ষ থেকে অস্বীকার করা হবে। তাই তারা প্রতিনিয়ত অবাধে প্রশ্ন ফাঁস করছে। প্রশ্নপত্র ফাঁস বন্ধে শিক্ষামন্ত্রণালয় সম্পূর্ন ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে। অপরাধীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেওয়া আমাদের সমাজে এটি মারাত্মক সমস্যা হয়ে দেখা দিয়েছে।
আমাদেরসময়.কম কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের মহামারি পরিস্থিতি থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। না হলে নতুন প্রজন্মকে সঠিকভাবে শিক্ষিত করে তোলা সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে প্রথম কর্তব্য হচ্ছে, যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করছে তাদেরকে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা। গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমের তথ্য মতে প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। এই সকল সূত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করে একটা তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন। এই তদন্ত কমিটি প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করবে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ মিথ্যে প্রমাণিত হলে মানুষের মাঝে প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়েছে সেটা প্রশমিত হবে। আর সত্য প্রমাণিত হলে এই কমিটির প্রধান দায়িত্ব হবে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসা।
ঢাবির সাবেক উপাচার্য বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি এমন ভাবে প্রবেশ করেছে, কর্তব্যের অবহেলা এমন পর্যায়ে গিয়েছে যা আমাদের নতুন প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিচ্ছে। অপরাধীদের শাস্তির আওতায় না আনলে দিনে দিনে অপরাধ বাড়তেই থাকবে। শিক্ষার্থীদের যদি সঠিক শিক্ষা না দেওয়া হয় তাহলে সমাজে নানান ধরণের সমস্যা দেখা দিবে। আমরা সমাজকে যদি কলঙ্কমুক্ত করে সততার মাঝে রাখতে চাই তাহলে সমাজের প্রতিটি স্তরে সু-শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
- Courtesy: AmaderShomoy.Com
No comments:
Post a Comment