সরেজমিন দেখা যায়, শহরজুড়ে এখন ব্যাটারিচালিত রিকশার দৌরাত্ম্য। নিবন্ধনহীন এসব রিকশার কারণে কঠিন হয়ে পড়েছে স্বাভাবিক চলাচল। স্থানীয়রা জানান, এগুলোর নিয়ন্ত্রণহীন চলাচলের কারণে মাঝে মধ্যেই ঘটছে ছোট বড় দুর্ঘটনা।
শহরের জানপুর মহল্লার আবু হাসান নামে ব্যাটারিচালিত রিকশার চালক জানান, তিন বছর আগে ৬০ হাজার টাকায় তিনি রিকশা তৈরি করেন। এখনো তিনি রিকশার লাইসেন্স করেননি। এমনকি শ্রমিক সংগঠনেরও সদস্য হননি। এ বিষয়ে কথা হলে সিরাজগঞ্জ রিকশা ও ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কালাচাঁন বলেন, তাদের সংগঠনে তিন হাজার সদস্য রয়েছে। শহরে কী পরিমাণ রিকশা চলাচল করছে, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান তাদের কাছে নেই। তবে এ সংখ্যা অন্তত ১২ হাজার হবে।
অতিরিক্ত ও নিবন্ধনহীন রিকশার কারণে শহরে বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, এরই মধ্যে পৌরসভা থেকে এ ব্যাপারে তাদের জানানো হয়েছে। সাংগঠনিকভাবে অতিরিক্ত রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। হোসেনপুর মহল্লার বাসিন্দা ফেরদৌস হাসান জানান, সমস্ত শহরে শুধু রিকশা আর রিকশা। এগুলোর দৌরাত্ম্যে শহরে এখন স্বচ্ছন্দে চলাফেরা করা দায় হয়ে পড়েছে।
একই কথা জানান শহরের এক ব্যবসায়ী দোয়েল স্টোরের মালিক রেজাউল ইসলাম। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দোকানের সামনে সব সময়ই ১৫-২০টি রিকশা দাঁড়িয়ে থাকে। তাদের কিছু বলাও যায় না। তাছাড়া এসব রিকশা বেপরোয়া গতিতে চলাচল করে, যে কারণে অনেক সময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। রিকশা থেকে যাত্রীর ছিটকে পড়ার নজিরও কম নয়।
সিরাজগঞ্জ পৌর মেয়র সৈয়দ আবদুর রউফ মুক্তা শহরে চলাচলরত অতিরিক্ত রিকশার কারণে জনভোগান্তির কথা স্বীকার করে বলেন, ‘এসব রিকশা নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। শহরে বৈধভাবে চলাচলের জন্য পৌরসভা থেকে তিন হাজার রিকশার লাইসেন্স দেয়া হবে। বাকি রিকশা চলাচল করতে দেয়া হবে না। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
Source: Banikbarta Feb 24, 2018
No comments:
Post a Comment