Search

Sunday, February 18, 2018

যে কারণে রাস্তার আন্দোলন ছেড়ে বিএনপি গণস্বাক্ষর-মানববন্ধনের পথে - বিবিসি



দলের নেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য গত সপ্তাহে মানব বন্ধনের পর শনিবার গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি।

বাংলাদেশের দুই প্রধান দলের কাছ থেকে এ ধরণের সাদামাটা শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচির নজির বিরল, বিশেষ করে ইস্যু যেখানে দলের নেত্রীর মুক্তি।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বিবিসিকে বলেন, "নিয়মতান্ত্রিক শান্তিপূর্ণ" পথে থেকে তারা জনগণকে আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত করতে চাইছেন। "জনগণকে সম্পৃক্ত করারই সত্যিকারের গণতান্ত্রিক আন্দোলন, এবং আমরা এ পথে থেকে সুফল পাচ্ছি। জনগণ এগিয়ে আসছে, সম্পৃক্ত হচ্ছে"।

২০১৪ এর নির্বাচনের আগে-পরে এবং সেই নির্বাচনের প্রথম বার্ষিকীতে বিএনপি যে মাত্রায় সহিংস আন্দোলন করেছে, সে বিবেচনায় তাদের মানব-বন্ধন বা গণস্বাক্ষরের মত কর্মসূচি বিস্ময় তৈরি করেছে। সিনিয়র সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ, যিনি একসময় খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা হিসাবেও কাজ করেছেন, বিবিসিকে বলেন, খালেদা জিয়া কারাগারে যাবেন এটা বুঝতে পারলেও বিএনপি এক মাস আগে থেকেই রাস্তায় সহিংস আন্দোলনের পথে না যাবার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

"বিএনপি গত কয়েক বছরে কিছু ভুল করেছিল। রাস্তায় আন্দোলন করতে গিয়ে নিজেরাও সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছিল, অন্য দলের লোকরাও তাতে ইন্ধন যুগিয়েছিল। পরে তাদের ক্ষতি হয়েছে। সেটা হয়তো তারা বুঝতে পেরেছে"। আহমেদ বলেন, বিএনপিকে যেমন তাদের নেত্রীকে জেল থেকে বের করতে হবে, সেই সাথে নির্বাচনও করতে হবে।

"তাদের কাছে প্রথম অগ্রাধিকার নির্বাচনের জন্য দল গোছানো। নমনীয় কর্মসূচিতে দলের ভেতর প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে... আমি তো মনে করি বিএনপির জন্য এটা ভালো হচ্ছে"। মি আহমেদ বলেন, রাস্তায় আন্দোলন করতে গেলে পুলিশী নির্যাতন, মামলা মকদ্দমায় পড়ে নির্বাচনের আগে দল গোছানোর কাজ কঠিন হয়ে পড়তো বিএনপির জন্য।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক দিলারা চৌধুরীও মনে করেন, বিএনপির রাজনৈতিক কৌশলে বড় ধরণের পরিবর্তন ঘটেছে।

"মানুষজন এখন আর হরতাল, বিশৃঙ্খলা পছন্দ করে না। সেটা বুঝে বিএনপি বাস্তববাদি মনোভাবের পরিচয় দিচ্ছে...মানুষের সহানুভূতিও পাচ্ছে কারণ অধিকাংশ মানুষ মনে করছে খালেদা জিয়ার মামলাটি আসলে নির্বাচনের রাজনীতির মামলা"।

কিন্তু নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে তাদের দাবি আদায়ে এই রাজনৈতিক কৌশল কতটা কাজে দেবে? দিলারা চৌধুরী মনে করেন, সেটা প্রধানত নির্ভর করবে সরকারের সদিচ্ছার ওপর। "আমাদের দেশের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতা ছাড়তে চায় না এবং সরকারের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে এমন শক্তিশালী নাগরিক সমাজ এদেশে গড়ে ওঠেনি"।

"৮০ শতাংশ জনগণও যদি বিএনপির প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তারপরও যতক্ষণ না পর্যন্ত সরকার নাগরিক সমাজের কাছ তেকে অথবা আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে না পড়ছে, ততক্ষণ তারা সুস্থ নির্বাচন দেবে কিনা তা নিয়ে আমার সন্দেহ আছে"।

  • Courtesy: Daily nayadiganta BBC Feb 17, 2018

তৃণমূলে জনমত গড়তে কৌশলী বিএনপি

শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে ব্যাপক অংশগ্রহণ

শফিকুল ইসলাম ঢাকা ও সরকার মাজহারুল মান্নান রংপুর


বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে ৮ ফেব্রুয়ারির রায়ের দিনকে কেন্দ্র করে তার সপ্তাহখানেক আগ থেকেই দেশজুড়ে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা আর অশঙ্কা বিরাজ করছিল। অবস্থা এমন ছিল যেন কারফিউ জারি হয়েছে। মানুষের ধারণা ছিল খালেদা জিয়াকে সাজা দিলে বড় ধরনের আন্দোলন-সংগ্রাম দানা বেঁধে উঠবে। একই ধারণা নিয়ে সরকারও হার্ডলাইনে ছিল। কিন্তু রায়ের আগের দিন রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্দেশনায় রায়-পরবর্তী এক সপ্তাহ ধরে যে আন্দোলন চলছে তা ব্যতিক্রমী। খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ সঠিক হয়নি উল্লেখ করে বিএনপি নেতাকর্মীরা এখন কৌশলে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন দুর্নীতি, অনিয়ম ও ব্যর্থতার চিত্র তুলে ধরছেন সাধারণ মানুষের কাছে। নেতাকর্মীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন, টেলিভিশন টকশো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং বিভিন্ন আলাপচারিতায় এমন কথাই উঠে আসছে। 

বেগম খালেদা জিয়ার রায়-পরবর্তী সময়ে এ পর্যন্ত বিক্ষোভ, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, অনশন, রোজাপালনসহ বিভিন্ন ধরনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চলছে কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে। কেন্দ্রীয় বিএনপি ইতোমধ্যে আন্দোলনের দ্বিতীয় ধাপ শেষে তৃতীয় ধাপ অতিক্রম করছে। এসব আন্দোলন-সংগ্রাম পুলিশ বেষ্টনীতে হলেও নেতারা খুব পরিপক্ব ও কৌশলী বক্তব্য দিচ্ছেন। তাদের বক্তব্যের মূল বিষয় হচ্ছে খালেদা জিয়ার দণ্ডাদেশ রাজনৈতিক। তারা এ ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামেও একই ধরনের মামলা থাকা সত্ত্বেও তা প্রত্যাহার প্রমাণ হিসেবে দেখাচ্ছেন।

বিএনপি নেতারা বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে বলছেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এ রায় দিয়ে তাকে হেয়প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে এক খণ্ড জমি ক্রয় ছাড়া বাকি এক টাকাও কোথাও খরচ করা হয়নি। সেই ২ কোটি টাকা এখন সুদে-আসলে ৬ কোটি হয়ে ট্রাস্টের নামেই প্রাইম ব্যাংকে জমা আছে। কিন্তু সেনাশাসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের করা ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেয়া হলেও ওই সময়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে করা একই ধরনের সব মামলা বাতিল করা হয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা ছিল। তবে কোনো মামলায় তাকে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়নি; বরং প্রধানমন্ত্রী পদের ক্ষমতা ব্যবহার করে তিনি সব মামলা প্রত্যাহার করিয়ে নেন। তার বিরুদ্ধে আলোচিত মামলাগুলো হচ্ছে- ৪৪৭ কোটি টাকা রাষ্ট্রীয় ক্ষতির ফ্রিগেট (যুদ্ধজাহাজ) ক্রয় দুর্নীতি মামলা, ১৭ কোটি ৮৪ লাখ টাকা ক্ষতির মেঘনা ঘাট বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতি মামলা, ১৩ হাজার ৬৩০ কোটি ৫০ লাখ টাকা আর্থিক ক্ষতির নাইকো দুর্নীতি মামলা, ভাসমান বিদ্যুৎকেন্দ্র দুর্নীতি মামলা এবং ২ কোটি ১০ লাখ ১ হাজার ৬৮৮ টাকা রাষ্ট্রীয় ক্ষতিসাধনের মাধ্যমে বেপজায় পরামর্শক নিয়োগের মামলা।

বিভিন্ন কর্মসূচি পালনকালে এসব মামলার বিষয়ে বিএনপি নেতারা তাদের বক্তব্য তৃণমূল নেতাকর্মীদের কাছে তুলে ধরছেন। এর বাইরে আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন ব্যর্থতা ও কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বিএনপি নেত্রীর প্রতি যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তা জনগণকে বোঝানোর চেষ্টা করছেন বিএনপি নেতারা।

তারা তৃণমূলের কর্মসূচিতে বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকার প্রশ্নপত্র ফাঁস প্রতিরোধে ব্যর্থ, ব্যাংকিং খাতে লুটপাট, বিডিআর বিদ্রোহ দমনে ব্যর্থ, কুইক রেন্টাল দুর্নীতি করে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট, রানা প্লাজা ধসে পোশাক খাতে নেমে আসা বিপর্যয় প্রতিরোধে ব্যর্থ, শেয়ারবাজার থেকে লাখো কোটি টাকা লুটপাট, শেয়ারবাজারে প্রায় ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে নিঃস্ব করে এক লাখ কোটি টাকা লুটপাট, রেলওয়ের কালোবিড়াল কেলেঙ্কারি, মাল্টিলেভেল মার্কেটিংয়ের নামে ডেসটিনি, এমএলএম ও ইউনিপে টু ইউ কেলেঙ্কারির মাধ্যমে দেশের লাখ লাখ যুবককে নিঃস্ব করে দেয়া, সরকারি ব্যাংকগুলো শূন্য করে হলমার্ক কেলেঙ্কারি, বিএনপি নেতা ইলিয়াস আলীসহ বিরোধী দল ও সাধারণ মানুষকে গুম করা হয়েছে।

শুধু তা-ই নয়, সরকার সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত রিপোর্ট দিতে ব্যর্থ, রাষ্ট্র ও সমাজ চিন্তক ফরহাদ মজহারকে নিয়ে নাটক, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা দিয়ে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণসহ মুক্তবুদ্ধি চর্চার পথ বন্ধ করা। অপহরণ এবং এ নিয়ে নানা ঘটনা গ্রামীণ ব্যাংককে অবাঞ্ছিত হস্তক্ষেপ, গার্মেন্ট শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও তাজরীন ফ্যাশন ট্র্যাজেডি সামাল দিতে ব্যর্থতা, দফায় দফায় জ্বালানি তেল ও বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি, ১০ টাকা দরে চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে এখন ৫০ টাকায় মোটা চাল। ডাল, তেল লবণসহ অন্যান্য দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সীমান্ত হত্যা বন্ধে ব্যর্থতা, তিতাসসহ বাংলাদেশের নদী ও খালে বাঁধ দিয়ে ভারতকে করিডোর দেয়া, বিএসএফ ফেলানীকে হত্যা করে কাঁটাতারে লাশ ঝুলিয়ে রাখা এবং এ ক্ষেত্রে সরকারের নীরবতা রাজধানী ঢাকাকে দ্বিখণ্ডিত করা, মধ্যপ্রাচ্য থেকে জনশক্তি ফিরে আসার মাধ্যমে শ্রমবাজারে ধস রোধে ব্যর্থতা সড়ক, নৌ ও স্থল দুর্ঘটনা রোধে ব্যর্থতার কারণে দেশে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

এ ছাড়া বিএনপি নেতাকর্মীদের বক্তব্যে স্থান পাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের রায়-পরবর্তী সময়ে সারা দেশে সরকারি দল বিজিবি ও পুলিশের গণহত্যা, গণগ্রেফতার, গণনির্যাতন, মতিঝিলে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে আলেম-ওলামাদের ‘নির্বিচারে হত্যা’, নারী নির্যাতন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দুর্নীতির কারণে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতু প্রকল্প থেকে বিশ্বব্যাংকের সরে যাওয়া, ব্লগে ইসলাম ও হজরত মুহাম্মদ সা:-কে অবমাননা এবং প্রতিবাদকারীদের নির্বিচারে গুলি করে হত্যাসহ বিভিন্ন ইস্যু।

জানা গেছে, শুধু কর্মসূচিতেই নয়, বিএনপি সমর্থকেরা এ ধরনের অনেক বিষয় নিয়ে টেলিভিশন টক শো, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, চায়ের দোকান, আড্ডা, সাধারণ আলাপচারিতায় এসব বিষয়ে আলোচনা করছেন।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে বিএনপির কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পবিষয়ক সম্পাদক এবং রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি মোজাফফর হোসেন নয়া দিগন্তকে জানান, নেত্রীর নির্দেশে আমরা প্রশাসনের বাধা এবং গ্রেফতারের আতঙ্ক নিয়েই কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচি পালন করছি। এসব কর্মসূচিতে আমরা বর্তমান সরকারের অনিয়ম দুর্নীতি ও ব্যর্থতা তুলে ধরছি। জনগণ আমাদের বক্তব্য সাদরে গ্রহণ করছে। বিশেষ করে যে আমলের মামলায় আমাদের নেত্রীকে দণ্ড দেয়া হয়েছে সেই একই সময়ের মামলা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে থাকলেও তা বাতিল করা হয়েছে। আমাদের কথা সাধারণ মানুষ ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছেন। বেগম জিয়ার সাজা যে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সে বিষয়ে তারা স্বচ্ছ ধারণা পাচ্ছে।

বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু জানান, কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচি আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পালন করছি। যদিও নজিরবিহীন পুলিশি বাধার কারণে আমরা অনেক জায়গায় তা রাস্তায় করতে পারছি না। আমরা তথ্য ও যুক্তি দিয়ে বলার চেষ্টা করছি ম্যাডাম জিয়ার বিরুদ্ধে যে দণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এ ছাড়া এ সরকার বিএনপি এবং খালেদা জিয়াকে ভয় পায় বলেই তাকে নির্বাচন থেকে দূরে রাখতে আদালতকে ব্যবহার করে এই দণ্ডাদেশ দিয়েছে। কিন্তু আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি, ব্যর্থতা দলিল প্রমাণের মাধ্যমে তুলে ধরছি। মানুষ এসব মনোযোগ দিয়ে শুনছে। তারা এ সরকারের কীর্তিকলাপ জানছে। এতে বিএনপির প্রতি মানুষের আস্থা বাড়ছে।

নেত্রকোনা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা: আনোয়ারুল হক বলেন, বাংলাদেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার অন্যায়ভাবে সাজা দিয়েছে। বিএনপিকে দুর্বল করার হীন চক্রান্তে মেতেছে সরকার। কিন্তু তাদের সেই স্বপ্ন পূরণতো হবেই না; বরং এর মাধ্যমে বিএনপির জনপ্রিয়তা আরো বেড়েছে। কারণ বিএনপি সবসময় গণতন্ত্র ও শান্তিপূর্ণ আন্দোলন-সংগ্রামে বিশ্বাস করে।

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ইয়াজ্জেম হোসেন রোমান বলেন, খালেদা জিয়াকে জেল দিয়ে আওয়ামী লীগ বিএনপিকে ভাঙার ষড়যন্ত্র করছে, জনগণের কাছে তা স্পষ্ট। কিন্তু তা সফল হয়নি, হবে না। এ জন্য তারা জনগণ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। আগামীতে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই মানুষের ভোটাধিকার ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে। এ দেশের মানুষ আবারো সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে বেগম জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী বানাবে। কেননা বন্দী খালেদা জিয়া আরো বেশি শক্তিশালী। আওয়ামী লীগ যত চেষ্টাই করুক বিএনপিকে ভাঙতে পারবে না ইনশাআল্লাহ।

Courtesy: Daly nayadiganta Feb 18, 2019

IIF survey finding - BD institutions weak to weather unanticipated economic shocks

Jasim Uddin Haroon  


An international survey finds Bangladesh's institutional quality and business environment deficient in weathering potential economic shocks while assessing 25 frontier markets' potential vulnerabilities for the year 2018.

While identifying the areas of weakness in Bangladesh, one of the frontier nations, the Washington-based Institute of International Finance (IIF) found Bangladesh neither highly risky nor less.

Economists said institutions and business environment as well as asset valuation of Bangladesh remained a core area of criticisms for long.

They noted that many moves made by the government to overcome the lacking were yet to see any concrete success so far.

The IIF's latest analysis ranks Bangladesh and Pakistan relatively low in institutional quality and business environment out of its four key areas. Romania and Costa Rica ranked relatively high in the category.

The international organisation is of the opinion that robust institutions can help frontier-market (FM) countries to better weather unanticipated shocks.

It said: to capture how institutional quality and business environments vary across the FM25, we compare their relative rankings in widely-used measures of economic freedom, ease of doing business, and governance.

The IIF scorecard covers traditional indicators like financing needs and reserve adequacy while also considering whether asset valuation appears stretched and the robustness of the country's institutions.

It considers countries with relatively expensive valuation to be more exposed to changes in investor sentiment and thus considers relatively high asset valuation to be a point of vulnerability.

Looking at a wide range of valuation matrics, including trends in real effective exchange rates (REER), real interest rates, risk-adjusted currency returns, and equity ratios (both price/earnings and price/book), it suggests that valuations for Bangladeshi assets look particularly stretched. Tunisian, Moroccan, and Bahraini assets also appeared on balance relatively more expensive.

The IIF said some FM countries, including Bangladesh, remain sensitive with changes in employment and growth rates of some gulf countries. It noted that Jordan, Sri Lanka, Pakistan and Bangladesh have significant expatriate populations in the GCC countries. "So they likewise remain exposed to changes in GCC growth rates and employment policies."

Indeed, Saudi Arabia recently announced that to reduce unemployment among its citizens, it would ban foreign workers from 12 sectors starting in September last.

Dr Zahid Hussain, lead economist at the Dhaka office of the World Bank, told the FE that the government has enacted a law pertaining to "one-stop" service to overcome the problems facing the entrepreneurs.

"To my mind, this is challenging for Bangladesh to ensure a truly one-stop service overnight." He said asset valuation is also challenging in Bangladesh as it lacks accountability and transparency.

"The government also established a watchdog body-Financial Reporting Council-and it will take time to get a cherished result."

Dr Ahsan H Mansur, executive director at the Policy Research Institute of Bangladesh, said the IIF is a highly prestigious organisation and its findings are always based on ground realities. The areas it identified are really a matter of concern for the country.

Citing the 'ease-of-doing-business' report, the economist said Bangladesh could tap huge benefit as frontier country if the problems could be addressed quickly.

In assessing scope of potential vulnerabilities, the IIF uses a simple scorecard framework to look at four types of risks: 1) Asset valuation 2) financing needs; 3) reserve adequacy; and 4) institutional quality and business environment.

The 25-FM markets are: Costa Rica, Croatia, Dominican Republic, Kazakhstan, Ecuador, Romania, El Salvador, Serbia, Jamaica, Trinidad & Tobago, Cote d I'voire, Bangladesh, Pakistan, Sri Lanka, Ghana, Vietnam, Kenya, Morocco, Tanzania, Bahrain, Tunisia, Jordan, Zambia, Kuwait and Oman.

The IIF has close to 450 members from 70 countries that include commercial and investment banks, asset managers, insurance companies, sovereign wealth funds, hedge funds, central banks and development banks. (Slightly abridged)


  • Courtesy: The Financial Express Feb 17, 2018

State Banks: Plundering made easy

Govt recapitalising banks without any reform plan; chairmen, board members not held accountable


Inam Ahmed and Shakhawat Liton


Seven months after the government announced a Tk 2 crore “recapitalisation” of state-owned banks, the financial institutions have started asking for fresh money from the government. This time their demand is much higher -- a little over Tk 20,000 crore -- than what they were given in the budget for this year.

Only in June this fiscal year, the government had announced the “recapitalisation”. Before that, Tk 14,505 crore had already been given to them since the Awami League government came to power in 2009.  Sadly, as predicted, all the money has gone down the drain, or to be exact in the pockets of corrupt and politically connected people, and the banks are once again asking for another bail-out.

Dr Ahsan H Mansur, executive director of independent think-tank Policy Research Initiative, has aptly put down their plea, comparing their behaviour to that of a spoiled brat who throws money in the air every time and then asks his father for more.

Only, in this case the father -- the government -- will take the money from the tax payers' pockets and hand it out liberally as it has done over and over again in the past. There has been no effort to chastise the banks whose money has been politically plundered in thousands of crores with no action taken.

Many would like to point out the recent massive $14 billion Indian bank recapitalisation plan under the Indrodhanush Recapitalisation Scheme, arguing that our demand for recapitalisation is really trivial in comparison.

In doing so, they would hide facts under piles of lies and misinformation. First of all, although the underlying reason for recapilisation of the Indian banks and the banks here are the same -- accumulation of bad loans -- the cause of the loans going bad is very different.

The Indian banks had heavily invested in mega infrastructure projects and as the projects got stuck in bureaucratic tangles, their loans turned bad.

But this is not the case in Bangladesh. Here the banks did not make any genuine investment on any business model. Instead, their money was simply plundered using fake projects. Those who siphoned out the money are politically connected and the schemes were hatched in connivance with or in full knowledge of the bank boards.

Secondly, the Indian Indrodhanush scheme comes with a reform package under which the banks will have to implement a series of reforms that includes improving due diligence, allowing specialised monitoring for loans above 2.5 billion rupees, limiting the number of lenders that can group together to disburse loans and better handling of bad loans.

Finally, India needed more lending with its growth in slide and the state banks are important players here as they account for more than two-thirds of India's banking assets. In Bangladesh, the state banks account for a much lesser one-fourth of all the banking assets.

In our case, the recapitalisation was also never packaged with any reform plan. Fresh money was thrown in just to make more funds available to be skimmed off. There was no transparency, no liability, no accountability.

We have seen massive corruption in banks like Basic, Sonali and Janata. Not a single board member or chairman was charged or jailed.

Take the instance of Basic Bank from which Tk 4,500 crore was siphoned off after this government came to power. Abdul Hye Bacchu, a politically connected man, was its chairman and yet he was not touched by the Anti-corruption Commission (ACC) or any other organisation.

It was such a blatant case of political power in play that the High Court, in November, 2017, rebuked the ACC for foot dragging and showing weaknesses in investigating the Basic Bank scam.

The court observed that the ACC applied “pick and choose” policy in this case as they were yet to arrest “any of the beneficiaries of the loan scam”.

In case of the Janata Bank scam, some little-known companies, belonging to the same person, were given loans to the tune of Tk 5,500 crore. None of the board members or the chairman is held responsible for the scam although they sanctioned the loans.

The same has happened in case of Sonali and other banks as well. And the contagion has spread to private banks as well, as we have seen in the cases of Farmers Bank or NRB Commercial Bank. All the actions taken have been against the managing directors but the bank chairmen were left to walk away scot free although there is sure and certain proof of their involvement in the scams. None of the chairmen's stocks were confiscated.

Because of such an extremely liberal view of the banking operation, the country's banking system is now in a deep crisis. Giving banks money without any fundamental reforms will only facilitate more scams.

“If we want to stop further money from being plundered, we need to immediately cap lending of the state-owned banks,” Ahsan Mansur said. “They don't have the capacity for due diligence for lending and are captured by vested groups. These banks should only collect deposits and lend in the interbank market so that public money is no longer plundered.” 

  • Courtesy: The Daily Star/Feb 18, 2018


Saturday, February 17, 2018

খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা বেড়েছে : কর্নেল (অব.) অলি আহমদ


সরকারের 'ভুল সিদ্ধান্ত, প্রতিশোধপরায়ণতা ও প্রতিহিংসার' কারণে খালেদা জিয়া ও বিএনপির জনপ্রিয়তা এখন আকাশচুম্বী বলে মনে করছেন ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীরবিক্রম। সমকালকে তিনি বলেছেন, খালেদা জিয়াকে অন্যায়ভাবে, আইন লঙ্ঘন করে, সংবিধান না মেনে নির্জন-পরিত্যক্ত কারাগারে বন্দি করার কারণে সরকারের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

 

খালেদা জিয়ার মামলার রায় ও দেশের রাজনীতির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গতকাল শুক্রবার সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন।
 
 

 

কর্নেল অলি বলেন, আগামী এক বছর বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং সংকটপূর্ণ সময়। কারণ, সরকারের ভুল রাজনীতির কারণে এবং সর্বত্র দলীয়করণের ফলে জনজীবন অতিষ্ঠ। অর্থনৈতিকভাবে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ গরিব মানুষ অসহায় জীবনযাপন করছেন। দেশে এখন প্রতিনিয়ত হত্যা, গুম, নির্যাতন আর দুর্নীতি হচ্ছে; প্রশ্নপত্র ফাঁসের পাশাপাশি ব্যাংক লুটপাট হচ্ছে। হলমার্ক, ডেসটিনি, শেয়ারবাজারসহ বিভিন্ন লুটপাট-কেলেঙ্কারির শিকার মানুষ। উন্নয়নের নামে মেগা প্রকল্প গ্রামেগঞ্জে তেমন সাড়া জাগাতে পারেনি। গ্রামের অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য আনতে পারেনি। গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচার দলীয়করণের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। সুশাসন সুদূরপরাহত। এসব কারণে সরকারের গ্রহণযোগ্যতা নেই, সরকার জনবিচ্ছিন্ন। এখন জনগণ সোচ্চার হয়ে রাস্তায় নামার অপেক্ষায়।

 

এলডিপি চেয়ারম্যান বলেন, খালেদা জিয়া দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী, জনগণের মধ্যে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দুবারের বিরোধীদলীয় নেতা এবং ৭৫ বছর বয়সের এই নেত্রী বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। দেশের মানুষ মনে করে, তার নামে মিথ্যা মামলা ও তথ্য দিয়ে অবিচার করা হয়েছে। মানসিকভাবে নির্যাতন করার জন্য পরিত্যক্ত, নির্জন কারাগারে জেল দেওয়া হয়েছে।

 

কর্নেল (অব.) অলি জানান, সরকার মনে করেছিল, এ কাজের মাধ্যমে তারা বাহবা পাবে। কিন্তু তিনি মনে করেন, গত নয় বছরে এ সিদ্ধান্ত হলো সরকারের সবচেয়ে বড় ভুল, যা তাদের ধ্বংস করে দিতে পারে। জাতি-ধর্ম-দল-মত নির্বিশেষে কোনো বিবেকবান ব্যক্তিই খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে এই মিথ্যা মামলার শাস্তি মনেপ্রাণে মেনে নিতে পারেনি।

 

২০ দলীয় এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার উপস্থিতিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটি এবং জোটের নেতারা কয়েক দফা বৈঠকের মধ্য দিয়ে একমত হন, সরকারবিরোধী আন্দোলন হবে শান্তিপূর্ণ এবং সাংবিধানিক পন্থায়। খালেদা জিয়াকে জেলে নেওয়ার পর বিএনপির নেতৃত্বে জোটের সার্বিক সমর্থনে তিনটি কর্মসূচি পালিত হয়েছে। সাংবিধানিক রীতিনীতি অনুসরণ করে পালিত এসব কর্মসূচি শান্তিপূর্ণ ছিল। এ কারণে সরকারের ইচ্ছা পূরণ হয়নি।

 

অলি আহমদ জানান, এখন তাদের দাবি হচ্ছে, দ্রুত এই মিথ্যা মামলা থেকে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে মুক্ত করতে হবে। দেশে গণতন্ত্র, ন্যায়বিচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করতে হবে। জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত ব্যক্তিদের দিয়ে সরকার গঠন নিশ্চিত করতে হবে।



 দৈনিক সমকাল, ফেব্রুয়ারি ১৭,২০১৮

 

ফারমার্স ব্যাংক উদ্ধারে মূলধনের জোগান, টাকা দিলে ঝুঁকিতে পড়বে পাঁচ আর্থিক প্রতিষ্ঠান


হামিদ বিশ্বাস, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮,যুগান্তর 

 
সীমাহীন লুটপাট ও দুর্নীতিতে ডুবে যাওয়া ফারমার্স ব্যাংককে উদ্ধারে অর্থ দিলে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ঝুঁকিতে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। প্রথমদিকে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোও অর্থ জোগান দিতে রাজি ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ওপরের চাপে টাকা দিতে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। ব্যাংক ও আর্থিক খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফারমার্স ব্যাংক একটি তলাবিহীন ঝুড়ি। এখানে টাকা দিলে অবশ্যই ঝুঁকিতে পড়বে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ যুগান্তরকে বলেন, নতুন অর্থ জোগানদাতারা ঝুঁকিতে না পড়ার কোনো কারণ নেই। যেহেতু ফারমার্স ব্যাংক একটি তলাবিহীন ঝুড়ি। এখানে যা রাখবে, তা পড়ে যাবে। ব্যাংকটির সৃষ্টি যে উদ্দেশ্যে, শেষ পর্যন্ত তা-ই হল। নতুন ব্যাংকগুলো অনুমোদনের বিরোধিতা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। তবুও নতুন ব্যাংক দেয়া হয়েছে। এখনও অর্থ দেয়া হচ্ছে একই কারণে।

সূত্র জানায়, প্রথমদিকে রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (আইসিবি) ফারমার্স ব্যাংককে অর্থ জোগান দিতে রাজি ছিল না। সে কারণে একটি বৈঠকে হট্টগোলও হয়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সরকারের চাপে প্রতিষ্ঠানগুলো রাজি হয়।

 ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবু আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, যারা বোর্ডে নতুন এসেছেন, তারাই অর্থ জোগান দিতে পারতেন। অন্য প্রতিষ্ঠান দিয়ে অর্থ জোগান দিলে ঝুঁকির আশঙ্কা উড়িয়ে দেয়া যায় না। তবুও যদি টাকা দিতে হয়, তাহলে ইকুইটির ভিত্তিতে দিলে কিছুটা শেষ রক্ষা হতে পারে।

সূত্র জানায়, অর্থ সংকটে পড়া নতুন প্রজন্মের ফারমার্স ব্যাংককে তারল্য সহায়তা দেয়ার বিষয়ে সভা ডেকেও কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। তারল্য জোগানের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের ডাকে সাড়া দিয়ে সম্প্রতি রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং আইসিবির চেয়ারম্যান ও এমডি এক সভায় যোগ দেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব ইউনুসুর রহমানও উপস্থিত ছিলেন।
এ সভার কারণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। গণমাধ্যমের কোনো কর্মীকে প্রধান ভবনে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। সাংবাদিকদের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে সভায় উপস্থিত লোকজনকেও নিষেধ করা হয়।

 ওই সভা থেকে বেরিয়ে অংশগ্রহণকারীরা জানান, কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ বিষয়ে বিবৃতি দেবে। তবে এখনও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কোনো বিবৃতি আসেনি।

 সূত্র জানায়, ফারমার্স ব্যাংকের পরিস্থিতি উন্নত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভিন্ন কৌশলে এগোচ্ছে। চেয়ারম্যান মহীউদ্দীন খান আলমগীর, নিরীক্ষা কমিটির চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক চিশতী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম শামীমের পরিবর্তনের পর নতুন করে তাদের টাকা জমা ও মূলধন দেয়ার জন্য বলা হয়। এ উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ ওপরের ইঙ্গিতে পর্ষদে পরিবর্তন আসে। নতুন পর্ষদ তারল্য সংকট কাটাতে উদ্যোগ নেয়। নিজেরা কোনো টাকা না দিয়ে আবারও সরকারি ব্যাংকগুলো থেকে অর্থ সংগ্রহের প্রস্তাব দেয় ফারমার্স ব্যাংক। তবে ব্যাংকগুলো সংকটে পড়া এ ব্যাংকে নতুন করে টাকা দেয়ার আগ্রহ দেখায়নি। এরপর গত সপ্তাহে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে এ বিষয়ে সভা আহ্বান করে চেয়ারম্যান ও এমডিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মূলধন জোগানের প্রস্তাব দেয়া হলে ব্যাংকগুলো আরও ধীরে-সুস্থে সিদ্ধান্ত দেয়ার কথা জানায়। কী পদ্ধতিতে ব্যাংকটিকে সহায়তা করা হবে, তা নিয়ে আরও পর্যালোচনার কথা জানায়। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক মূলধন জোগানের চিন্তার পাশাপাশি নগদ ধার (কলমানি) দেয়ার কথাও বলেছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
ব্যাংকগুলো বলছে, আইসিবির নেতৃত্বে জোট গঠন করে অর্থায়ন করা হলে ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনায় অর্থ জোগানদাতা ব্যাংকগুলোর কোনো ভূমিকা থাকবে না। তাই ব্যাংকগুলো মূলধন হিসেবে টাকা দিতে চায়, পাশাপাশি ফারমার্স ব্যাংকের পর্ষদেও বসতে চায়। কারণ নতুন করে ব্যাংকটি খারাপ করলে টাকা ফেরত পাওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। আর অর্থায়নের দায় আসবে বর্তমান পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনা কমিটির ওপর। তবে ফারমার্স ব্যাংকের বর্তমান পর্ষদ এতে রাজি হয়নি।

 
আইসিবির চেয়ারম্যান মুজিব উদ্দিন আহমেদ যুগান্তরকে বলেন, ফারমার্স ব্যাংককে অর্থ জোগানের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। অর্থ দিলে ঝুঁকিতে পড়ার কোনো আশঙ্কা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, সে দিকটাই দেখা হচ্ছে। কীভাবে ঝুঁকিমুক্ত রাখা যায়, সেটা চিন্তা করা হচ্ছে।

 জানা গেছে, সম্প্রতি অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত ফারমার্স ব্যাংককে ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা দিয়ে সহায়তার পক্ষে সম্মতি দেন। তবে কী প্রক্রিয়ায় এ টাকা দেয়া হবে, সেটি নিয়ে আলোচনার জন্যই বাংলাদেশ ব্যাংক সভা ডেকেছিল।

 
এদিকে মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও মাহবুবুল হক চিশতীসহ ফারমার্স ব্যাংকে দুর্নীতিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। তদন্তের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের তদন্ত প্রতিবেদন ও গণমাধ্যমে আসা প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

 

 

UN hopes for free, fair polls in Bangladesh


United Nation secretary general’s office has expressed its hope that “a climate could be created where free and fair elections could take place,” in Bangladesh.
 
Reacting to a query about whether any action was taken from the UN chief to release BNP Chairperson Khaleda Zia from jail, his spokesperson Stéphane Dujarric yesterday (Friday)  told journalists at a daily press briefing that, “We’ve expressed our concern and we would hope that the… like in any country, a… this is our principal position.”

On February 8, Khaleda was convicted in the Zia Orphanage Trust graft case by a special court in Dhaka. She was sentenced to five years' imprisonment in the case.

Ensure political harmony for sustainable growth: MCCI


Staff Correspondent
Metropolitan Chamber of Commerce and Industry (MCCI) on Thursday suggested maintaining political harmony in the country in order to achieve growth and inflation targets set by the government.
The chamber observed that adequate infrastructure, energy, policy continuity, skilled manpower, political stability and investment‐friendly climate are the key factors for higher economic growth.
‘The economy is progressing well, despite the presence of some risk factors like marginal growth in remittances, slower growth in the export receipts and a higher rate of inflation,’ the trade body said in its review of the economic situation in Bangladesh for the period October-December, 2017.
 
Citing Bangladesh Bank data, the trade body said that overall trade deficit in the first five months of the current fiscal year rose by 96.11 per cent to $7.607 billion from $3.879 billion in the corresponding period of the previous fiscal year due to lower export earnings alongside higher import payments.
The report observed that the foreign direct investment inflow in Bangladesh was low compared to many countries at similar level of development.
‘Bangladesh’s low labour costs are generally believed to be attractive to foreign investors, but yet they hesitate to make fresh investments in the country because of the country’s underdeveloped infrastructure, and such other impediments as the shortage of power and energy, lack of consistency in policy and regulatory framework, scarcity of industrial lands and political uncertainty,’ the report read.
Citing slow export earnings growth, the MCCI suggested government to focus on new and emerging markets such as China and Japan to remain safe and boost export growth. The report also emphasised on product up-gradation for better prices.
Courtesy: New Age Feb 17, 2018
 
 

Verdict against Khaleda being amended: BNP


   The party to hold rally in Dhaka on Feb 22
    Staff Correspondent



Bangladesh Nationalist Party on Friday alleged that verdict sentencing the party chairperson, Khaleda Zia, for five years in jail was being amended, which was causing the delay in providing the defence lawyers the certified copy of the judgment.

The party announced that it would hold a rally either at Suhrawardy Udyan or Nayapaltan in Dhaka on February 22, demanding release of Khaleda.
 

BNP senior joint secretary general Ruhul Kabir Rizvi at a news briefing at the party central office said they submitted application to the authorities concerned for permission to hold the rally.

He said eminent lawyers, constitution experts and intellectuals were surprised at not providing the certified copy eight days after delivering the verdict on February 8. He said that although there was a provision in rules to provide the certified copy within five days of delivering verdict, it was not being followed.

It proved the government’s aggressive interference in judiciary, Rizvi claimed.

 The certified copy is not being given due to the government’s restriction, he said adding that it proved that prime minister Sheikh Hasina and her special envoy Jatiya Party chairman HM Ershad masterminded Khaleda’s conviction.

Definitely the verdict is being ‘amended’, he said adding that certainly the verdict was being amended as per instruction of Awami League.

A special judge’s court set up at Bakshibazar Alia Madrasa ground sentenced Khaleda to five years’ jail while her elder son, now BNP acting chairman, Tarique Rahman and four others to 10 years’ jail in Zia Orphanage Trust corruption case.

Courtesy: New Age Feb 17

চাপেও ঐক্য অটুট বিএনপিতে

সাংগঠনিক কার্যক্রমে বেগম খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতির পরও সব সংশয় উড়িয়ে দিয়ে বিএনপিতে এখন আরো বেশি ঐক্য পরিলক্ষিত হচ্ছে। যেকোনো প্রয়োজনে কিংবা সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সিনিয়র নেতারা বসছেন একত্রে। পরামর্শ নিচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের। মাঠে থেকে নেতারাই এগিয়ে নিচ্ছেন চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে ঘোষিত সব কর্মসূচি।
সিনিয়র নেতারা বলেছেন, বিএনপি এখন যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি ঐক্যবদ্ধ। ক্ষমতাসীনরা তাদের চাপে রাখতে কিংবা নেতৃত্বে ভাঙন ধরাতে দীর্ঘ দিন ধরেই নানা কৌশল প্রয়োগ করে আসছে। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয়নি, এবারো হবে না। তাদের মতে, মাঠের নেতাকর্মীরা ১১ বছর ধরে নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছেন, কিন্তু কেউই দল ছেড়ে যাননি। এটিই বিএনপির সবচেয়ে বড় সফলতা। গত ৮ ফেব্রæয়ারি দুর্নীতির একটি মামলায় কারাবন্দী হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তার ওই কারাবন্দী দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল কেউই মেনে নিতে পারেনি। ক্ষোভের পাশাপাশি আবেগের অশ্রু ও ঝরিয়েছেন নেতাকর্মীরা। কোনো কোনো মহলের প্রচারণা ছিল, খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপি আরো দুর্বল হয়ে পড়বে, এমনকি ভেঙেও যেতে পারে দলটি।

কারাবন্দী হওয়ার পর গত ৯ দিনে বিএনপির সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম সূ²ভাবে পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, দলের নেতারা চমৎকার বোঝাপড়ার মধ্য দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। যেকোনো ইস্যুতে করণীয় নির্ধারণে পরস্পরের পরামর্শ নেয়া হচ্ছে। সংগঠনের অভ্যন্তরীণ কার্যক্রম চলছে খুব গোছালোভাবে। এখন পর্যন্ত কোনো বিষয়ে মনোমালিন্য বা দূরত্ব তৈরি হয়নি। তারেক রহমানের পরামর্শে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রয়োজনানুযায়ী সব ব্যবস্থা নিচ্ছেন। সিনিয়র নেতারা তাকে সহায়তা করছেন।

দল পরিচালনার ক্ষেত্রেই নয়, সিনিয়র নেতারা প্রতিটি কর্মসূচিতেও নিজেদের উপস্থিত রাখছেন। গ্রেফতার এড়িয়ে মাঠের নেতারা যে যেভাবে পারছেন, সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হচ্ছেন। দলের এক নেতা গতকাল বলেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রতিটি কর্মসূচি মনিটর করছেন। এ কারণে সবাই আরো বেশি সতর্ক ও উদ্যমী।

তারেক রহমান রয়েছেন লন্ডনে। দলের বর্তমান প্রতিকূল অবস্থায় তিনি খুব সক্রিয় ও সজাগ ভূমিকা পালন করছেন বলে জানা গেছে। এ পর্যন্ত তিনি তিনবার দলীয় ফোরামে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তৃতা রেখেছেন। এসব বক্তৃতায় দলের ঐক্য বজায় রাখার পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি নিয়ে সবাইকে মাঠে থাকার আহবান জানিয়েছেন তিনি।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ বিষয়ে নয়া দিগন্তকে বলেন, অতীতের যেকোনো সময়ের চাইতে বিএনপি এখন ঐক্যবদ্ধ। শুধু তা-ই নয়, প্রতিকূল পরিস্থিতিতে নেতারা রাজপথে সক্রিয়ও। সব প্রতিকূল অবস্থা কাটিয়ে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
তিনি বলেন, মামলা-হামলা, গুম-খুনের পরও একজন কর্মী দল ছেড়ে যাননি। আমাদের আন্দোলন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে। তাই শেষ মুহূর্তে কেউ দল ছেড়ে যাবে বলে আমি মনে করি না। বরং যারা দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় ছিলেন দলের এই পরিস্থিতিতে তারা আরো সক্রিয় হচ্ছেন।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, দেশের এই চরম সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে বা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে আমরা বদ্ধপরিকর। যেকোনো ত্যাগ স্বীকারে আমরা প্রস্তুত। আন্দোলন সফলে আমরা রাজপথে থাকব। সেখান থেকে জেলে গেলেও আমরা পিছু হটব না।
জানা গেছে, কারাবন্দী হওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়া আইনজীবীদের মাধ্যমে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন। নেতাকর্মীদের তিনি ভেঙে না পড়ে, আইন হাতে তুলে না নিয়ে রাজপথে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নেতারা বলছেন, বিএনপি প্রধানের নির্দেশমতোই চলছে দল। সাংঘর্ষিক নয়, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেই রয়েছে তারা।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো: শাহজাহান নয়া দিগন্তকে বলেন, বিএনপি বর্তমানে সবচেয়ে ঐক্যবদ্ধ। যেকোনো চ্যালেঞ্জ গ্রহণে নেতাকর্মীরা ইস্পাত কঠিন ঐক্য নিয়ে প্রস্তুত আছেন। আগামী নির্বাচনের আগে বিএনপিকে কোণঠাসা করতে সরকারের যে ষড়যন্ত্র, তা এবার সফল হবে না। নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ প্রতিবাদ বা প্রতিরোধের কাছে সরকার পরাজিত হবেই। ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে তার নেতৃত্বেই বিএনপি নির্বাচনে যাবে।
খালেদা জিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর এ পর্যন্ত সারা দেশে ছয় হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। নতুন করে মামলা হয়েছে দুই শতাধিক। প্রতিনিয়ত পুলিশি অভিযান, তল্লাশি চলছে। দলের বেশির ভাগ নেতাকর্মীই বাসা-বাড়ি ছাড়া। রাজধানীতে রয়েছে পুলিশের কড়া নজরদারি। মহানগরের প্রথম সারির নেতাদের ধরতে পুলিশি তৎপরতা বহাল রয়েছে। অঙ্গসংগঠনের শীর্ষ নেতারাও রয়েছেন পুলিশের নজরদারিতে।
এমন পরিস্থিতিতে গ্রেফতার এড়িয়ে সাংগঠনিক সব কর্মসূচি সফল করার নির্দেশনা দিয়েছে বিএনপি।

 - নয়া দিগন্ত ,১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৮