Search

Saturday, May 12, 2018

চার বছরে কর্মজীবীর প্রকৃত আয় আড়াই শতাংশ কমেছে: সিপিডি

চার বছরের ব্যবধানে দেশের কর্মজীবী মানুষের প্রকৃত আয় কমে গেছে। ২০১৩ সালে একজন কর্মজীবী প্রতি মাসে গড়ে ১৪ হাজার ১৫২ টাকা মজুরি পেতেন। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এসে তা কমে ১৩ হাজার ২৫৮ টাকা হয়েছে। প্রকৃত আয় কমেছে আড়াই শতাংশের মতো।

অন্যদিকে পুরুষদের চেয়ে নারী কর্মজীবীদের প্রকৃত আয় বেশি কমেছে। ২০১৩ সালে একজন কর্মজীবী নারী প্রতি মাসে গড়ে ১৩ হাজার ৭১২ টাকা মজুরি পেতেন। এখন পান ১২ হাজার ২৫৪ টাকা। মজুরি কমেছে ৩ দশমিক ৮ শতাংশ। অন্যদিকে, পুরুষেরা চার বছর আগে পেতেন ১৪ হাজার ৩০৯ টাকা। এখন ১ দশমিক ৯ শতাংশ কমে ১৩ হাজার ৫৮৩ টাকা মজুরি পান।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় এই চিত্র উঠে এসেছে। আজ বুধবার গুলশানের এক হোটেলে এই গবেষণা প্রকাশ করা হয়। গবেষণা উপস্থাপন করেন সিপিডির বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমান। সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুনের সভাপতিত্বে ওই গবেষণাপত্রের ওপর সংলাপ অনুষ্ঠান হয়।

সিপিডির গবেষণায় আরও বলা হয়, কর্মক্ষম বয়সের নারীদের মধ্যে প্রায় ৫৭ শতাংশ কোনো মজুরির বিনিময়ে কাজে সম্পৃক্ত নয়, আবার পড়াশোনা কিংবা প্রশিক্ষণও নিচ্ছেন না তাঁরা। এর ফলে শ্রমবাজারে বিপুলসংখ্যক নারী অংশগ্রহণ নেই। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে নারীদের শ্রমবাজারে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রয়োজন। সিপিডি আরও বলেছে, গত চার বছরে শিল্প খাতে সাড়ে আট লাখ নারীর কর্মসংস্থান কমেছে।

মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘আগামী চার দশক জনমিতির লভ্যতার দ্বারপ্রান্তে আছে বাংলাদেশ। শ্রমবাজারে অনেক তরুণ-তরুণী আসবে। আমরা তাদের কীভাবে কাজে লাগাব-তা ভাবতে হবে। নারীদের শোভন কাজের বিষয়টি ভাবতে হবে।’

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের (জিইডি) শামসুল আলম বলেন, অনানুষ্ঠানিক খাতে কর্মসংস্থান কীভাবে কমিয়ে আনুষ্ঠানিক আনা যায়, সেই বিষয়ে পরিকল্পনা নিতে হবে। আবার গৃহস্থালির কাজ করেন, কিন্তু মজুরি পান—এমন নারীদের কাজের মূল্য কীভাবে বের করা যায়, তা গবেষণা করে বের করা উচিত। তাহলে তাদের অবদান জাতীয় আয়ে যুক্ত করা যাবে।

সংলাপ অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, অর্থনীতিবিদ, নারী নেত্রীসহ বিভিন্ন পেশাজীবীরা অংশ নেন।
  • Courtesy: Prothom Alo/ May 09, 2018

Current account deficit hits record high

AKM Zamir Uddin


Bangladesh's current account deficit recorded an all-time high of $7.08 billion in the first nine months of the fiscal year as the country's capacity to export is failing to keep up with the appetite for imports.

At this point last fiscal year, the deficit was $1.37 billion. The previous highest deficit was registered in 2015-16 when it stood at $4.26 billion.

Higher import payments and a moderate growth of remittance inflow and export earnings are mainly responsible for the widening deficit.

In July-March, imports surged 24.50 percent year-on-year whereas exports grew 6.98 percent. The record current account deficit has already weakened the local currency against the US dollar.

On Wednesday, the interbank exchange rate was Tk 83.10 per USD, up from Tk 80.50 a year earlier, according to central bank data. The dollar will appreciate further if the deficit is not halted in the months to come, said a central banker.

“The production cost will increase significantly due to the appreciating trend of the greenback as the country has to import a large quantity of industrial raw materials to produce essential goods,” he said.

The higher cost of production will also fuel inflation, which, in turn, will have an adverse impact on the spending capacity of consumers, the central banker said. A good flow of remittance can stem the widening deficit.

In July-March of 2017-18, remittance posted 16.42 percent growth from a year earlier, but it is not sufficient considering the large import payments, according to the central banker. 

The trade deficit widened by 87.55 percent year-on-year to $13.20 billion in the first nine months of the fiscal year, according to data from the BB. The government should take immediate measures to boost the export earnings in order to narrow both the trade deficit and the current account, another BB official said.
  • Courtesy: The Daily Star/ May 11, 2018

বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট — আকাশে অশ্বডিম্ব প্রেরণ (পার্ট ১)


 —  জিয়া হাসান 



বিভিন্ন জনের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অতিশয়োক্তি দেখলেও, ডিফ্যাক্টো মিডিয়া প্রথম আলোর সোর্স এবং সরকারের পক্ষে পলক সাহেবের আলোচনায় মুল্ তিনটা সুবিধার কথা বলা হচ্ছে।

১। স্যাটেলাইট ভাড়া নিতে যে বৈদেশিক মুদ্রার খরচ হতো সেইটা বাঁচবে এবং ফ্রি ট্রান্সপন্ডার দিয়ে ট্রান্সমিশন বেচে, বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা যাবে।

২। প্রত্যন্ত অঞ্চলে স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট ও টেলিযোগাযোগ সেবার সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে।

৩। দুর্যোগ পরিস্থিতি মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় দারুণ কার্যকর ভূমিকা রাখবে এই স্যাটেলাইট। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজেও এ স্যাটেলাইটকে কাজে লাগানো সম্ভব

কথা তিনটাই সত্য। কিন্ত, বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইটের ক্ষেত্রে প্রতিটা দাবীই বাংলাদেশের পারস্পেক্টিভে বিভিন্ন ভাবে মিথ্যাচার এবং একটা স্বৈরাচারী সরকারের ভাবমূর্তি স্থাপনের উদগ্র বাসনা থেকে দেশের টাকায় একটা প্রজেক্ট যা, এই অর্থনীতিক এবং প্রযুক্তিগত ভাবে মোটেও যৌক্তিক নয়।

কারন এই সার্ভিসগুলো ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ নিচ্ছে কারণ এই গুলো কমার্শিয়ালি এভেলেবল এবং অনেকগুলো এখন ফ্রি পাওয়া যায়। ফলে বাংলাদেশকে এভেলেবল সার্ভিসগুলো বাদ দিয়ে কেন ৪ হাজার কোটি টাকার একটা ফিক্সড কস্ট-এর বোঝা নিতে হবে, সেটা কমার্শিয়ালি ভায়াবল কিনা সেটা সততার সাথে যাচাই করতে হবে, পুরো ফাইনান্সিয়াল মেরিট দিয়ে।

এবং একটু গভীরে গেলেই দেখবেন, এই প্রজেটের মূল উদ্দেশ্য সরকারি বেনিয়াদের ব্যবসা নিশ্চিত করার জন্যে যা দেশের মানুষের ট্যাক্সের টাকায় এবং আমাদের ফিউচার উপার্জনের ঋণের টাকায় শুধুমাত্র সালমান সাহেবদের পকেট ভারি করবে।

স্যাটেলাইট ভাড়া নেয়ার বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয়ের দাবিটা হচ্ছে সব চেয়ে অসত্য দাবি, কারন , একটা ১৫ বছর শেলফ লাইফের শুধুমাত্র ইনিশিয়াল কষ্ট যার ৩ হাজার কোটি টাকা, সেইখানে বছরে ১২০ কোটি টাকা সেভ করে আপনি কয় বছরে এই কস্ট তুলবেন। 

তারপরে আছে এর প্রতি বছরের অপারেটিং কস্ট, পলক সাহেব এবং তার আব্বাদের বিদেশ ভ্রমন কস্ট, সেইটা কত হাজার কোটি টাকায় যাবে, এবং এই এইচএসবিসি ব্যাংকে থেকে হাই ইন্টেরেস্ট রেট ১৫০০ কোটি টাকা লোনের এমরটাইজেসান কোথায় যাবে সেইটা কেউ হিসেব করছেনা ।

এই গ্যাপটা কাভার দেয়ার জন্যে, জিওস্টাটিক স্যাটেলাইটের কাভার এরিয়ায় যত দেশ আছে সেইগুলোর নাম নিয়ে বলা হচ্ছে, এই দেশগুলোর নেটওয়ার্ক এই স্যাটেলাইট থেকে সার্ভিস কিনবে। বঙ্গবন্ধু সাটেলাইটের জিওস্টাটিক লোকেশানের কাভারেজে পড়েছে ইন্দোনেশিয়া, মালেশিয়া, শ্রীলঙ্কা , নেপাল সহ আর কিছু দেশ।

এগেইন এই দেশগুলোতে স্যাটেলাইট কানেকভিটিভি কিনে যে প্রতিষ্ঠানগুলো এরা অনেকেই প্রাইভেট যাদের কারো না কারো সাথে চুক্তি আছে, কারো কারো আছে নিজস্ব স্যাটেলাইট যেমন সিংটেল। আর ভারতে তো ২০১৭ সালে একটা স্য‌াটেলাইট আকাশে তুলে বলছে এইটা সাউথ এশিয়ান দেশের জন্যে ফ্রি গিফট। এবং সেই ফ্রি গিফট পেয়ে বঙ্গবন্ধু স্যাটালেইটের ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত হবে বাংলাদেশ প্রথমে একটু ভয় পায়, তারপরে, তাও প্রধানমন্ত্রী ২০১৭ সালে ভারতে গিয়ে সেই ফ্রি স্যাটেলাইট যাকে বলা হচ্ছে সাউথ এশিয়ান স্যাটেলাইট সেইটা ব্যাবহারের চুক্তি সাক্ষর করে এসেছেন।
তাই এই বৈদেশিক মুদ্রা আদায়ের দাবী আরেকটা ভয়ংকর মিথ্যা। রিমোট জায়গায় স্যাটেলাইটের মাধ্যমে ইন্টারনেট কানেকশান দেয়ার দাবিটা হচ্ছে সবচেয়ে জঘন্য মিথ্যা।

একটা জিনিষ করা সম্ভব মানেই বলে করা ভায়াবল, তা নয়।

বেশ কিছু আলোচনায় দেখলাম , বাংলাদেশে ১৮০ টি উপজেলায় ফাইবারের কানেকশান নাই, এই কানেকশান স্যাটেলাইট দিয়ে দেয়া হবে। এই দাবিটা ক্যাটাগরিকালি মিসলিডিং। কারণ , বাংলাদেশ খুব ছোট একটা দেশ।

এই উপজেলাগুলোর মধ্যে সবগুলোতেই রেডিও লিংক দিয়ে ইন্টারনেট কানেকশান দেয়া যায়, দেয়া হয়েছে, দেয়া হচ্ছে । যেই সব উপজেলায় বর্তমানের বিটিএস নাই, সেই খানে নতুন বিটিএস বসিয়ে লাইন অফ সাইট তৈরি করে খুব সহজেই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট দেয়া সম্ভব- যেই ব্রডব্যান্ড কানেকশান স্যাটেলাইট কখনও সম্ভব নয়- স্যাটেলাইট হাই ল্যাটেন্সির কারণে ন্যারো ব্যান্ড কানেকশান দিতে পারবে, নব্বই দশকের টেলিফোন লাইনের মত- ইয়াহু যুগের মানুষেরা মনে করতে পারবেন সেই সব দুঃসহ দিনের কথা।

টেলিকম নেটওয়ার্কগুলো এই কাজ সহজেই করছে এবং প্রতিটা নেটওয়ার্ক দাবি করে, তারা বাংলাদেশের শত ভাগ কাভার করে। ফলে স্যাটেলাইট দিয়ে রিমোট জায়গা কাভারের বিষয়টা একটা প্রপাগান্ডা।

রিমোট জায়গায় যদি গ্রামীণ বা রবির কানেকশান না যায়, তবে সেই রিমোট জায়গায় স্যাটেলাইটের কানেক্টিভিটি রিসিভ করার জন্যে ভিস্যাট বসাবে কে ? ভিস্যাটের পয়সা কে দেবে ? সেই রিমোট জায়গায় ভিস্যাটের ইলেক্ট্রিসিটি কানেকশান কোত্থেকে  আসবে?
ফলে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট দিয়ে বাংলাদেশে রিমোট জায়গায় ইন্টারনেট কানেকশান দেয়া হবে, এটা জঘন্য মিথ্যা । কারণ, রিমোট জায়গায় ইন্টারনেট কানেকশান দেয়ার অনেক অপশন প্রযুক্তির হাতে আছে। যেমন, আমাদের বাংলা লায়ন এবং কিউবির ওয়াইম্যাক্স নেটওয়ার্ক যে প্রযুক্তি সেগুলো লাইন অফ সাইট না থাকলেও অনেক দূরে ইন্টারনেট কানেকশান দিতে পারে।

কিন্ত এই নেট ওয়ার্কগুলো গ্রামে বা উপজেলায় যায় নাই, কারন তাদের ইকন‌মিজ অফ স্কেল নাই, সেজন্যই কমারশিয়ালি ভায়াবল নয়।

জাস্ট টেলিকম কোম্পানিগুলোর ৪ জি লাইসেন্সে বিশাল ফি নিয়ে প্রথমেই সরকার প্রফিটটা নিয়ে গেছে ফলে ,কোম্পানিগুলো এখন স্ট্রাগল করছে, ৪ জি ইনভেস্টমেন্ট জাস্টিফাই করতে বা রিমোট জায়গায় ফোরজি নেটওয়ার্ক ছড়িয়ে দিতে। এরা বেনিয়া এদের কাজ শেয়ারহোল্ডারদের ভ্যালু তুলে অানা, পাবলিক সার্ভিস দেয়া না।

স্যাটেলাইট থেকে অনেক কম খরচে ফোর জি বা ওয়াইম্যাক্স দিয়ে ব্রডব্যান্ড কানেকশান দেয়া যাবে। যেইটা কখনোই স্যাটেলাইট পারবেনা ভূপৃষ্ঠ থেকে দূরে থাকার কারনে, লগারিদমিকালি ডাটা লস হওয়ার কারনে এবং খুব হাই ল্যাটেন্সির স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের কানেকশানও খুবই দুর্বল। এবং এইটার ব্যান্ডউইথ এখনো ন্যারো যেইটা দিয়ে একটা সামান্য ইউটিউব ভিডিও দেখতে পারবেন না। দেখলে, মাসিক লাখ টাকার উপরে খরচ পড়বে।

সারা দেশে ফোর জি নেটওয়ার্ক বা ওয়াইম্যাক্স দিয়ে যে রিমোট জায়গায় ইন্টারনেট দেয়ার দায় সরকারের ছিল, যাকে, অতিরিক্ত ভাড়া তুলে নেয়ার লুটেরা মনোভাবের কারণে সেই সম্ভাবনা ধ্বংস করা হয়েছে। সেইটা করে দেবে, খুবই স্লো ল্যাটেন্সির স্যাটেলাইট এবং সেইটা মিডিয়াগুলো এবং প্রযুক্তিবিদেরা যেভাবে হাইলাইট করছে তা জনগণকে ধোকা দেয়া ছাড়া কিছু নয়। 

বঙ্গবন্ধু স্যাটালাইট সেটআপ দিয়ে ইন্টারনেট কানেক্টিভিটি দেয়া হবে, সেটা একটা ধুম্রজাল। বরং মূল ইস্যু হচ্ছে, তারা সালমান সাহেবের কোম্পানিকে ডাইরেক্ট টু দা হোমের ব্যবসা তৈরি করে দিতে চায়, যেটা টাটা স্কাই এর মত একটা সার্ভিস। পাকিস্তানে ২০১৭ সালে ডিটিএইচের অকশনে ১৪০০ কোটি টাকা পেয়েছে সরকার।

বাংলাদেশেও যে কোন তরঙ্গ বেচতে ওপেন অকশন হওয়ার আইন রয়েছে (শুনেছি নিশ্চিত নই)।

কিন্ত বাংলাদেশ সরকার সালমান সাহেবের কোম্পানি রিয়েল ভিউ কোম্পানিকে কোন ধরনের অকশন বাদে তবারক মুল্যে ডিটএইচের পারমিশন দিয়েছে। এই কানেক্টিভিটি তারা তৈরি করেছে, একটা রুশ কোম্পানি দিয়ে। এই ৩০০০ কোটি টাকার স্যাটেলাইট মূলত ব্যবহার হবে নামমাত্র মুল্যে ডিটিএইচ বেচার পারমিশন দেয়া হবে। এই জন্যে এই স্যাটেলাইটের সকল মিটিং এ সালমান সাহেবকে দেখা যায়।

আর আমরা ইন্টেলেকচুয়ালি এমন বেকুব একটা দেশ এইখানে, রেপিস্টের সাথে রেপডের বিয়ে দিলে সেই বিয়ে সামাজিকভাবে গ্রহনযোগ্য হয়। 

এই স্যাটেলাইটেও বিষয়টা সেরকম। রেপিস্টের সাথে রেপডের বিয়েতে সবাই হাততালি দেয়।

ডিটিএইচ-এর আলোচনাটা আমরা সবার শেষে করবো, কারণ, এই খানেই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটে সালমান এফ রহমানদের সোনার হাঁস- সেইটা আমাদেরকে ভালো ভাবে বুঝতে হবে।

— লেখক সাড়া জাগানো ব্লগার ও তরুন উদ্দ্যোক্তা।


বঙ্গবন্ধু-১ স্যাটেলাইট থেকে আয় করার দাবি হাস্যকর



—   মোস্তফা কামাল পলাশ 


বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহ নিয়ে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের প্রচার দেখে আমার অবস্থা হয়েছে ঘর পোড়া গরুর মতো যে কিনা সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়।

বাংলাদেশ সরকার ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালেস অ্যালেনিয়ার কাছ থেকে প্রায় ২ হাজার কোটি টাকা দিয়ে একটি কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহ কিনেছে। বাংলাদেশের পার্সেল পরিবহন কোম্পানি এস এ পরিবহন বা বিদেশি কোম্পানি ডিএইচএল অথবা ফেডেক্স যেমন টাকার বিনিময়ে আপনার মালামাল দেশের ভিতরে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বা এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৌঁছিয়ে দেয় তেমনি একটি আমেরিকান কোম্পানি স্পেসএক্স (SpaceX) যা টাকার বিনিময়ে কোন দেশ বা কোম্পানির বিভিন্ন প্রকার কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশের বিভিন্ন উচ্চতায় পৌঁছে দেয় কাস্টমারের চাহিদা অনুযায়ী।

কৃত্রিম উপগ্রহগুলোকে ভূ-পৃষ্ঠ থেকে কিছু নির্দিষ্ট উচ্চতায় পৃথিবী বা অন্য কোন গ্রহ-উপগ্রহের চার পাশে প্রদক্ষিণ করে বা ঘুরতে থাকে একটি নিদিষ্ট পিরিয়ডে। যেমন, কোন কোন কৃত্রিম উপগ্রহ প্রতি ২৪ ঘণ্টায় আপনি যে শহরে বসবাস করেন সেই শহরের উপর দিয়ে চলাচল করে। 

ভূ-পৃষ্ঠ থেকে কৃত্রিম উপগ্রহগুলোর দূরত্ব অনুসারে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা হয়ে থাকে। লো-আর্থ অরবিট (লিও) ও জিয়োসিনক্রোনাস অরবিট (জিয়ো)। লিও স্যাটেলাইট আবার দুই ধরনের। এক ধরনের লিও স্যাটেলাইট উত্তর ও দক্ষিণ মেরুর উপর দিয়ে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে, অন্য ধরনের লিও স্যাটেলাইট দুই মেরুর উপর দিয়ে চলে না। দুই মেরুর উপর দিয়ে চলাচলকারী কৃত্রিম উপগ্রহ গুলোকে পোলার অরবিটং স্যাটেলাইট বলা হয়ে থাকে। যেগুলো দুই মেরুর উপর দিয়ে চলে না সেগুলোকে বলা হয়ে থাকে নন-পোলার অরবিটিং স্যাটেলাইট। বর্তমান সময়ে প্রায় ১৩০০ লিও ও ৪০০ জিয়ো স্যাটেলাইট পৃথিবীর কক্ষপথে ঘুরছে।

লো-আর্থ অরবিট বা লিও কৃত্রিম উপগ্রহগুলো ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার থেকে ৭০০ কিলোমিটার উচ্চতায় পৃথিবীর চার পাশের ঘুরতে থাকে। পক্ষান্তরে জিও কৃত্রিম উপগ্রহগুলো ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬০০০ কিলোমিটার উঁচুতে অবস্থান করে পৃথিবী নিজ কক্ষপথে যে গতিতে ঘুরে সেই একই গতিতে জিও কৃত্রিম উপগ্রহগুলো ঘুরতে থাকে। আপনি তুলনা করতে পারেন যে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সাম্প্রতিককালে চালু করা দুই লেনের মহাসড়কে পাশাপাশি একটি বাস ও একটি মোটরসাইকেল একই গতিতে চট্টগ্রাম অভিমুখে চলছে। রাস্তায় কোন ট্রাফিক জ্যাম নাই, ফলে বাস ও মোটরসাইকেলটি একই গতিতে চলবে ও একই সময়ে চট্টগ্রামে পৌছবে।

বাংলাদেশ সরকার যে কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটি কিনেছে ফ্রান্সের কোম্পানির কাছ থেকে সেটি একটি জিয়োসিনক্রোনাস অরবিট বা জিয়ো স্যাটেলাইট। বাংলাদেশ সরকার এর নাম দিয়েছে বঙ্গবন্ধু-১। অাকাশে বাহক রকেট মে ১০, ২০১৮, মহাকাশে বাণিজ্যিকভাবে কৃত্রিম উপগ্রহটি কক্ষে নি‌য়ে স্থাপন করার চেষ্টা করবে আমেরিকার মহাকাশ যোগাযোগ বিষয়ক বাণিজ্যিক কোম্পানি স্পেস-এক্স। আমেরিকার ফ্লোরিডা রাজ্যের ভূ-পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩৬০০০ কিলোমিটার উঁচুতে প্রতিস্থাপন করার লক্ষ্যে  ভূ-পৃষ্ঠ ত্যাগ করবে। উৎক্ষেপণের পরে চূড়ান্ত স্থানে পৌছাতে সময় লাগবে প্রায় ৮ দিন। 

মহাকাশে বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটি পাঠাতে বাংলাদেশ সরকারকে স্পেস-এক্স কোম্পানিকে রকেটের ভাড়া হিসাবে ৭০ মিলিয়ন ডলার বা বাংলাদেশি টাকায় ৫৬০ কোটি টাকা দিতে হবে।

সরকারের দেওয়া তথ্য মতে বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটিতে ৪০টি ট্রান্সপন্ডার রয়েছে। এর মধ্যে ২০টি বাংলাদেশ ব্যবহার করবে বাকি ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দেওয়া হবে টাকার বিনিময়ে। প্রশ্ন করতে পারেন ট্রান্সপন্ডার কি? ট্রান্সপন্ডার হল কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহে স্থাপিত একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস যা ভূ-পৃষ্ঠ থেকে পাঠানো তড়িৎ সিগনাল (বেতার তরঙ্গ) গ্রহণ করে তা বিবর্ধিত করে আবারও সেই সিগনাল প্রাপকের কাছে পাঠাতে পারে । সরকারের তথ্য মতে বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটি ক্রয় করা, সেটি উৎক্ষেপণ করা ও কক্ষপথে স্পেস কেনা বাবদ সর্বমোট প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটির জীবনকাল হবে ১৫ বছর। তবে অনেক সময় বিভিন্ন কারণে কৃত্রিম উপগ্রহ পূর্বে নির্ধারিত পুরো জীবনকাল পূরণ করতে পারে না । 

সরকারের নীতি-নির্ধারকরা বলছে ২০ টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দিয়ে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার আয় করবে। কৃত্রিম উপগ্রহ নিয়ে যাদের সামান্যতম ধারণা আছে তারা সরকারের নীতি-নির্ধারকদের দাবি শুনে মুচকি হাঁসছে। 

বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ ভারত নিজে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ বানিয়ে নিজেদের রকেটের মাধ্যমে তা পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করে থাকে। যেহেতু ভারত নিজেই ভূ-উপগ্রহ বানায় ও তা কক্ষপথে স্থাপন করে তাই এই কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহগুলোর জন্য বাংলাদেশের চেয়ে অনেক কম খরচ হয়। 

ভারত মঙ্গলগ্রহে একটি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পাঠিয়েছে আমেরিকার ১০ ভাগের এক ভাগ খরচে। এই তো গতবছর ভারত একটি মাত্র রকেটে করে এক সাথে ১০৪ টি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেছে। তার মধ্যে একটা মাত্র কোম্পানি একই সাথে ৮৮টি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে স্থাপন করেছে। ভারতের সরকারি ও বেসরকারি অনেক কোম্পানির কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ আছে যেগুলো অনেক কম খরচে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এখন প্রশ্ন হলো বাংলাদেশের যে নীতি-নির্ধারক ২০ টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিকভাবে ভাড়া দিয়ে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার আয় করবে বলে আশার বাণী শোনাচ্ছে তারা ভারতীয় সরকারি ও বেসরকারি কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে নিজেদের পণ্য বিক্রয় করতে পারবে কি না? একই কথা প্রযোজ্য সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও। বাংলাদেশ সিঙ্গাপুরের কোম্পানিগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করে অপেক্ষাকৃত কম দামে ক্রেতার কাছে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিক ভাবে ভাড়া দিতে পারবে কি না?

বাংলাদেশের মতো আফ্রিকার দেশ ইথিওপিয়ার সরকারেরও খায়েশ হয়েছিল নিজের দেশের একটা কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠাবে। ঐ দেশের রাজনীতিবিদরা তাদের দেশের জনগণকে হাইকোর্ট দেখিয়ে বলেছিল উৎক্ষেপিত কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে অতিরিক্ত ট্রান্সপন্ডার বাণিজ্যিকভাবে ভাড়া দিয়ে মিলিয়ন-মিলিয়ন ডলার আয় করবে। বাস্তবে দেখা গেছে এক বছরে আয় করে ১ দশমিক ৫ মিলিয়ন ডলার। মনে করুন দুই বন্ধু একই সাথে একই ব্যবসায় নেমেছে। একজন বাপের কাছ থেকে টাকা নিয়ে অন্য জন ব্যাংক থেকে ১০ -১৫ % সুদে লোন নিয়ে। লোন নিয়ে ব্যবসা শুরু করা ব্যক্তিটি যদি আপনাকে আশ্বাস দেয় যে আমার উৎপাদিত পণ্যটি বাপের টাকা নিয়ে ব্যবসা শরু করা মানুষটির চেয়ে কম দামে বিক্রি করবো তবে তা বিশ্বাস করা কষ্টকর বৈকি।

বিবিসির সংবাদে প্রকাশ আফ্রিকা মহাদেশের ঘানার ছোট একটা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় মাত্র ৫০ হাজার ডলার খরচ করে নিজেই বানিয়েছে এক কিউবিক ফুট আকৃতির একটি কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ যাকে কিউবস্যাট বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের বেসরকারি ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররাও এমনি একটি ন্যানো স্যাটেলাইট বানিয়ে ইতিমধ্যেই তা কক্ষপথে পাঠিয়েছে। সুতরাং বলা চলে বঙ্গবন্ধু-১ নামক কৃত্রিম যোগাযোগ উপগ্রহটি বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ নয় সরকারের দাবি অনুসারে।

এবারে অন্য একটি প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা করি। বাংলাদেশের মতোই আফ্রিকার অন্য একটি দেশ বিদেশি কোম্পানিকে কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করে কক্ষপথে পাঠানোর চুক্তি করে। সেই সাথে ঐ কোম্পানিকে শর্ত দেয় যে ঐ দেশের একটি প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ঐ কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি প্রতিটি পর্যায়ে সংযুক্ত করতে হবে ও ট্রেইন অাপ করতে হবে। ঐ শর্ত মেনেই সেই বিদেশি কোম্পানি ঐ দেশের জন্য কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করে ও কক্ষপথে পাঠায়। পরে আফ্রিকা মহাদেশের ঐ দেশের প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়টি নিজেই কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি যোগ্যতা অর্জন করে ও বর্তমানে নিজ দেশের চাহিদা মিটিয়ে বাণিজ্যিকভাবে কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরি করছে অন্য দেশের জন্য। আফ্রিকার ঐ দেশের কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরির সফলতা নিয়ে দ্য ইকনমিস্ট পত্রিকায় বিশেষ সংবাদ প্রকাশ করেছিল প্রায় ২ বছর পূর্বে। সেখানে বাংলাদেশ করলো কি পুরো প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের কোন প্রকৌশলী বা বৈজ্ঞানিককে কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরির প্রজেক্টে সংযুক্ত করেছে বলে আজ পর্যন্ত কোন তথ্য জানতে পারি নি।

একটা কৃত্রিম উপগ্রহের অপারেশনাল লাইফ টাইম হয়ে থাকে ৫ থেকে ১৫ বছর। প্রধানমন্ত্রীর কথা হতে জানতে পেরেছি যে এই কৃত্রিম উপগ্রহের মেয়াদ ১৫ বছর। তার মানে আগামী ৫ থেকে ১০ বছরের মধ্যে আবারও কোন কোম্পানিকে কৃত্রিম উপগ্রহ তৈরির দায়িত্ব দিতে হবে। আবারও দেশের ৩ থেকে ৫ হাজার কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা বিদেশি কোম্পানির কাছে চলে যাবে।

অথচ আফ্রিকার সেই দেশের রাজনৈতিক নেতা বা পলিসি মেকারদের মতো বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতা বা পলিসি মেকাররা যদি দূরদর্শী হতো তবে বুয়েটের মেকানিকাল ও ইলেকট্রিকাল বিভাগের অধ্যাপকদের এই কৃত্রিম ভূ-উপগ্রহ তৈরির প্রজেক্টে সরাসরি ট্রেইন অাপ করা সম্ভব ছিল।

নির্বাচন ও ভোটমুখী প্রকল্প

নির্বাচন কমিশনের সচেতন হওয়া উচিত


জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে ক্ষমতাসীন দল ও তার সম্ভাব্য প্রার্থীদের পক্ষে ভোটার আকর্ষণের লক্ষ্যে রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যয় করা শুধু অশোভন ও অন্যায্যই নয়, সুস্থ গণতান্ত্রিক সংস্কৃতির জন্য ক্ষতিকরও বটে। কারণ, এর ফলে নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বা সব প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্য সমান সুযোগ ব্যাহত হয়, যা নির্বাচনের ফলাফলকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকারকে সে পথেই এগোতে দেখা যাচ্ছে।

এই নির্বাচনী বছরে সাংসদের নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির ইত্যাদি নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে তিনটি প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। এসবের পেছনে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ১৬ হাজার ৫৫১ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে। জানা গেছে, এ রকমের আরও তিনটি প্রকল্প অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। সাংসদদের কাজ মূলত আইন প্রণয়ন করা এবং সরকারি কর্মকাণ্ডের জবাবদিহি নিশ্চিত করা; স্কুল-কলেজ ইত্যাদি নির্মাণ করা নয়। নির্বাচনী বছরে এসব প্রকল্প হাতে নেওয়ায় এটা খুবই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে যে আগামী জাতীয় নির্বাচনকে প্রভাবিত করাই এর প্রধান উদ্দেশ্য।

এবং উদ্দেশ্যটা বেশি স্পষ্ট হচ্ছে আরও দুটি খবর থেকে।

প্রথমটি হলো, সড়ক ও নালা নির্মাণের জন্য ২৮১টি পৌরসভাকে দেওয়া হচ্ছে মোট ৩ হাজার ৪৬৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। প্রতিটি পৌরসভাকে ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা দেওয়ার ব্যবস্থা করতে গিয়েও একটা অস্বাভাবিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘গুরুত্বপূর্ণ নগর অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প নামে চলমান একটি প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের মেয়াদ শেষ হওয়ার আট মাস আগেই দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ শুরু করা হয়েছে প্রায় তিন গুণ ব্যয় বাড়িয়ে। কেউ প্রশ্ন তুলতে পারেন, পৌরসভাগুলোর উন্নয়নকাজের সঙ্গে রাজনীতি বা জাতীয় নির্বাচনে ভোটার আকর্ষণের সম্পর্ক কী। এর সরল উত্তর হলো, পৌরসভার মেয়রদের ওপর স্থানীয় সাংসদদের প্রভাব থাকে এবং জাতীয় নির্বাচনের আগে আগে এ ধরনের প্রকল্প তাঁদের জন্য সুবিধার কারণ হয়। প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হওয়ার আগেই তাড়াহুড়ো করে দ্বিতীয় পর্যায় শুরু করার যুক্তি নির্বাচনের আগে ভোটারদের খুশি করা ছাড়া আর কী হতে পারে?

দ্বিতীয় খবরটি রীতিমতো তুঘলকি কাণ্ড: প্রায় ৬০ কোটি টাকার প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে জনগণের সামনে ক্ষমতাসীনদের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাফল্যগাথা প্রচার করার উদ্দেশ্যে! সরকারের সাফল্য প্রচারের জন্য রাষ্ট্রীয় বেতার-টেলিভিশনের নিরন্তর প্রচারণা ক্ষমতাসীনদের কাছে যথেষ্ট মনে হচ্ছে না। তাই এবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের যোগাযোগ অধিদপ্তরকে বিশেষ প্রকল্প হাতে নিতে হলো: দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ভিডিও চিত্র প্রদর্শনী, সংগীতানুষ্ঠান, নারী সমাবেশ ইত্যাদি নানা কর্মসূচি চালানো হবে; সেসব কর্মসূচি যাঁরা উপভোগ করতে যাবেন, তাঁদের আপ্যায়নও করা হবে। এসব প্রচারণা অভিযানের পেছনে ব্যয় করা হবে সরকারি তহবিল, অর্থাৎ জনগণের টাকা।

নির্বাচনের বছরে ক্ষমতাসীনেরা ভোটারদের মন জয় করার উদ্দেশ্যে তাঁদের ইচ্ছেমতো প্রচারাভিযান চালাতেই পারেন। তবে তা করা উচিত ক্ষমতাসীন দলের তহবিল খরচ করে; এ ধরনের কাজে ব্যয় করার জন্য রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে অর্থ প্রদানের নৈতিক অধিকার সরকারের নেই। কারণ, এভাবে নির্বাচনী প্রচারণা পরিবেশে অসমতার সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের মতো হাতিয়ার থাকার পরও সরকারের সাফল্যের প্রচারণায় যোগাযোগ অধিদপ্তরের ৬০ কোটি টাকার প্রকল্প জনস্বার্থের বিবেচনায় আপত্তিকর।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড। উল্লিখিত সরকারি উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে তা ক্ষুণ্ন হতে পারে। নির্বাচন কমিশনের এদিকে দৃষ্টি দেওয়া উচিত। 
  • Courtesy: সম্পাদকীয়/ Prothom Alo/ May 10, 2018

Bangladesh Bank flouts own rules

Why special consideration for a non-performing bank?


It defies rationale that the central bank would relax its own rules of business to allow for four state-owned banks and one government financial institution to inject Tk 715 cores into the troubled Farmers Bank. BB's investigations into the bank found that its top brass is complicit in the financial meltdown that involved the former chairman and ex-chairman of the executive committee. Yet, we find that instead of ordering structural changes in the way the bank is managed, the central bank is more interested in replenishing the bank's fortunes.

The rules have been relaxed so that the bar on one director of a bank holding the same position in another is now not valid and four managing directors of state-owned banks will sit on Farmers Bank. These institutions will in effect have more than 10 percent share of the bank which is a violation of Article 14 of the Act, while the central bank has cited another article of the Act that allows it to relax any rule upon suggestions from the government. 

So, are we to surmise that since this bank is partly owned by a lawmaker, the rules do not apply? Again, precisely what sort of message is being given to other financial institutions which may be susceptible to scams? Unfortunately for us, it seems that far from bringing about changes that would re-establish discipline in the financial sector, the BB has chosen to pump in money to these bottomless baskets.

  • Courtesy: The Daily Star /Editorial /May 11, 2018

Still waiting for the bell to ring

INVOLUNTARY DISAPPEARANCE, IMPUNITY AND INJUSTICE


C R Abrar

I am tired of visiting morgues, riverbanks and other places in search of my brother,” said Rehana Banu. Her brother Pintu, an opposition activist, was picked up allegedly by plainclothes law enforcers from Pallabi on December 11, 2013. Pintu remains untraced.

Holding her minor daughter in her lap, Shumi Akhter of Chittagong had a different story to tell. Her husband Nurul Alam, also a political activist, was picked up by uniformed and plainclothes men around midnight on March 29 last year. “We thought my husband was taken to the police station and the police would send him to court the next morning... Around 4am we came to know that his body was floating on the Karnaphuli river, with his hands tied,” narrated Shumi in a choked voice.

In another case, a father from Jhenaidah informed that he was able to meet his son in police custody. Subsequently, the police denied he was in their custody. With his meagre means he left no stone unturned to secure information about his missing son, of no avail.

These are a few narratives of the near and dear ones of victims of involuntary disappearance at an event organised by "Mayer Dak" (Mother's Call), an organisation of the families of the disappeared, a little over a fortnight ago in the city. More than 80 families joined the event and about a score of heart-wrenching testimonies were presented. Though the families came from different parts of the country, representing a diverse range of trades and professions, and the incidents took place over a stretch of several years, a set of patterns emerges from the narratives.

In most cases victims were young political activists belonging to opposition political parties or their front organisations. In one instance a member of the student wing of the ruling party was the victim. Most families claimed that their loved ones were innocent and no case was ever lodged against them. In many cases the victims were picked up from their own homes or those of their relatives, either at night or in the very early hours of the day, and those who came to pick up introduced themselves as members of law enforcement agencies (LEAs), while in some cases those persons donned uniforms of LEAs. Interestingly, no case has been reported in which the victims were presented with a warrant, nor the alleged enforcers of the law furnished any identification documents. In most instances families or eyewitnesses reported that perpetrators used black-tinted white vans (microbuses), while in some instances they used clearly marked vehicles of a particular LEA.

After the involuntary disappearance, in all cases, family members contacted local police stations or Rapid Action Battalion offices or local public representatives, and in some cases members of parliament and ministers, but no information about the whereabouts and condition of the disappeared was ever made available to them. Most frustrating has been the refusal of the authorities to register complaints of involuntary disappearance. A case was cited where the family furnished names not only of the alleged agency involved but also of the concerned functionaries with their ranks. The police refused to take the complaint, according to these families. It was only after those specific details were taken off that the complaint was noted they have alleged.

The affected families were in unison to express their disappointment that no progress had taken place in the investigation in any of these cases. In a few instances families were threatened with consequences if they pushed the cases further.

Topping all was the case of Mohammad Shahnur Alam. He died on May 6 in Brahmanbaria Sadar Hospital. His family brought allegations of torture against members of a LEA and filed a petition in the magistrate's court. Najmun Nahar, magistrate of Brahmanbaria, on June 6, 2014 instructed the police to treat the complaint filed by Shahnur's family as the First Information Report. Within 24 hours she was stripped off her bicharik khomota (judicial authority). On June 7, the Judge's Court of Brahmanbaria ordered an “investigation for an FIR.” Demanding restoration of the original order Shahnur's family filed a writ in the High Court on July 6. In at least two instances, after a lot of hurdles the families filed writ petitions and the Court instructed agencies to produce the individuals concerned. The matter remains pending for a long period of time.

The similarities in the sequence of events and the reported responses and actions of the members of the LEAs in the testimonies raise some important questions. Firstly, how is it possible for groups of rogue elements to abduct individuals, often donning uniforms and using clearly marked vehicles of recognised LEAs of the country? Secondly, why is it that the victims are mostly dissidents or members of the organisations affiliated with the political opposition? Thirdly, why is it that local police stations refuse to entertain complaints of involuntary disappearance and are adamant in rejecting complaints if they contain specific details of the alleged perpetrators? Fourthly, in cases where complaints are accepted, what precludes the law enforcers from investigating them properly and fairly? Fifthly, why, in certain cases, have members of victims' families alleged to have been kept in surveillance and threatened with severe consequences? And finally, why was the magistrate of Brahmanbaria summarily transferred and why does the higher judiciary appear to be reticent in disposing of these important petitions? All these questions beg response from those who are at the helm of law enforcement and dispensation of justice.

The distressed families drew attention of the highest office of the land to their plight. Deeply appreciating the intervention in the case involving the husband of a prominent environmental activist, they urged the prime minister to order investigation and ensure justice in all cases of involuntary disappearance with the compassion and sincerity as she did in the case concerned. They reminded the high-ups in the LEAs that the latter are duty-bound to protect every individual irrespective of their political opinion or social status and all have the right to live and die in dignity. They further reminded the wrongdoers that in the recent past, under the initiative of this government, indemnity to protect perpetrators of certain crimes has been rescinded paving the way for bringing perpetrators to justice even after decades. The aggrieved members of victims' families expressed their resolve that days of impunity are over and one day perpetrators of involuntary disappearances will also be held accountable in the same way.

Still retaining unflinching hope that their loved ones are alive, members of the families demanded their immediate return. Eight-year-old Hridi refuses to hold her disappeared father's photo anymore. Her plea: “I want to walk around holding my dad's hand.” 

The families that have resigned to the notion that their loved ones are not likely to return want to know the details about what happened to them. Munna's father's last wish was if the state failed to bring back his son, it should at least show him where he was put to rest. His desire remained unfulfilled as he passed away a year ago. The expectation to embrace one day his disappeared brother Shahinur appears to have faded from Mehdi Hasan's mind. Now Mehdi only wants to know why Shahinur was brutally killed after being disappeared. “If I at least get an answer, I would think I have got enough justice. I don't want anything more,” he informed the audience.

The loaded testimonies conveyed the message that families of the involuntary disappeared are worse off than those whose bodies were eventually found. The families of the latter had their closure with the last rites performed, religious ceremonies held, resting places identified, and inheritance and pension issues settled. Members of the families who remain traceless continue to remain in a suspended condition. They have no scope to observe the day when their loved ones had departed. Years pass by, wives do not know if they are widows now and children unaware if they are orphans.

Shujon's mother remains resolute in her hope that one day her son will be back and ring the door bell. She says she has run out of tears, but is eagerly waiting for that day to dawn. One hopes that day is not too far away.

  • CR Abrar teaches international relations at the University of Dhaka.
  • Courtesy: The Daily Star/ May 11, 2018

পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখেনি সরকার

আগামী ডিসেম্বর মাসে বহুল আলোচিত পদ্মা সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার কথা। এটি সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার প্রকল্প। সরকারের পক্ষ থেকে বারবার বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ে সেতুর কাজ শেষ হবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আগামী ডিসেম্বর মাসের মধ্যে এই সেতুর কাজ শেষ হওয়ার সুযোগ নেই। সরকার সেতুটির কাজ শেষ করার জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ রাখেনি।

গতকাল বৃহস্পতিবার পাস হওয়া আগামী অর্থবছরের এডিপিতে পদ্মা সেতুর জন্য মাত্র ৩ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ বছর প্রকল্পটি শেষ করতে হলে বরাদ্দ দরকার ১৩ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। শুধু পদ্মা সেতু নয়, পুরো সেতু বিভাগের জন্য বরাদ্দ আছে ৯ হাজার ১১২ কোটি টাকা।

গত ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত পদ্মা সেতু প্রকল্পের ৫৩ শতাংশ খরচ হয়েছে। টাকার অঙ্কে এর পরিমাণ ১৫ হাজার ২৮ কোটি টাকা। পদ্মা সেতুর সুপার স্ট্রাকচার বা স্প্যান বসানো শুরু হয়েছে মাত্র। পুরো প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ২৮ হাজার ৭৯৩ কোটি টাকা।

অন্যদিকে এডিপির বই ঘেঁটে দেখা গেছে, আগামী অর্থবছরে ৪৪৬টি প্রকল্প শেষ করার জন্য ঠিক করা হয়েছে। সেই তালিকায় পদ্মা সেতু প্রকল্পটি নেই। এর মানে হলো, নির্ধারিত সময়ে প্রকল্পটি শেষ করার পরিকল্পনাও সরকারের নেই।

পাস হওয়া এডিপি সম্পর্কে সাংবাদিকদের জানাতে সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘কোনো প্রকল্পে কাজ হয়ে গেলেও আমরা ঠিকাদারদের বিল পরিশোধ করি না। পদ্মা সেতুর জন্য বরাদ্দকৃত টাকা খরচ হয়ে গেলেও বাড়তি বরাদ্দ দেওয়ার সুযোগ আছে।’ নির্ধারিত সময়ে পদ্মা শেষ হবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি শুধু বলেন, এডিপির বইয়ে যেভাবে বলা আছে, সেভাবে শেষ হবে।

নতুন এডিপি বই অনুযায়ী, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পদ্মা সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হবে।

  • Courtesy: Prothom Alo /May 11, 2018

Shrinking democratic spaces a major political concern ahead of BD polls

Shakhawat Hossain


With a clear design to stage another drama of 5 January like national polls slotted to be held at the end of this year, the ruling Bangladesh Awami League (BAL) has undertaken a fresh filthy tactic to further shrink the political space for the opposition parties, especially its arch-rival Bangladesh Nationalist Party (BNP), the biggest opposition party.

As part of the move, Awami League has started marching down the path of affording no space in the democratic dispensation to any political parties in the opposition camp but itself.

The Awami League and its front and associate organisations are bringing out processions almost every other day somewhere across the country, but the administration, mostly the police, is not allowing other political parties to hold not even a peaceful human chain, let along processions or demonstrations. The police are nakedly being used to come down heavily on all programmes of the BNP almost everywhere.

Such an ever growing erosion of democratic space has been an important feature of the political landscape of the election year. According to a recent joint statement by International Federation for Human Rights (FIDH) and its member organization in Bangladesh Odhikar, with a large-scale government crackdown on the opposition underway since earlier this year, many of the almost 5,000 opposition supporters arrested from January to March 2018 remain detained and face torture and other forms of ill-treatment.

FIDH and Odhikar also call on the EU to raise key concerns related to pervasive discrimination and violence against women, widespread labor rights violations, and the authorities’ repeated failure to protect the rights of indigenous communities. These calls are consistent with the UN Committee on Economic, Social and Cultural Rights’ March 2018 Concluding Observations on Bangladesh.

When the national elections are to be held by the year-end, such an attitude of the government, reflected through its police force, hardly looks to be anything but to stop political programmes of political parties in the opposition camp, especially the Bangladesh Nationalist Party, from gearing up to the elections. The police are seen to come down heavily even on the media covering police atrocities, which can be construed as efforts to stop the media from covering police misdeeds.

While such an attitude of the incumbents of shrinking the democratic space for political parties in the opposition might not only harm the political process, especially in the election year, but also contradicts with the Awami League’s position in that it has already embarked on political campaigns yet it has left others with no scope to do so.

Police deny permission for BNP’s May Day rally

Bangladesh Nationalist Party leaders on May 1, alleged that its associate workers’ body Sramik Dal could not hold any programme observing the International Workers’ Day as they were denied permission by police. They wanted to hold a rally at Suhrawardy Uddyan first to observe the day but being denied by police they wanted to start the procession their central office in Nayapaltan.  BNP standing committee member, Sramik Dal president and noted labour leader Najrul Islam Khan has warned that they will lodge a complaint with the International Trade Union about depriving pro-BNP workers of their right to bring out a rally on the May Day. The party’s labour wing Jatiyatabadi Sramik Dalon alleged that they could neither hold a workers’ meeting nor take out a rally in the city marking the May Day because of the denial of permission by the Dhaka Metropolitan Police (DMP).

Is it consequence of the 2014 Election?

Now, the question is as to whether it is the consequence of the previously held one-sided polls in 2014. It is noted here that despite a series of general strikes, heightened violence, boycotts by 28 parties (out of 40 parties registered with the Election Commission), and the international community’s call for an  inclusive election, the incumbent BAL went ahead with a one -sided  election on 5 January 2014.

In late-2013, BNP-led alliance had launched countrywide no-stop movement to halt the election but failed to stop holding the controversial polls. However, immediately before the election, the Prime Minister Sheikh Hasina, promised that negotiations would be held after that poll for deciding on another election, ahead of schedule, for the very next parliament.  But, BAL later on reneged on their promise to hold negotiations for a fresh election, and declared their intention to serve a full term until 2019.

The 5 January 2014 election was unprecedented and historic on many counts; four aspects deserve to be noted: the number of participating parties, the number of candidates in the election, the number of candidates elected unopposed, and the voter turnout.  Only 12 parties took part. The number is the lowest in the history of the country, except the fourth parliamentary election held in 1988. The 1988 election was held under the military regime of General Ershad and was boycotted by all major political parties including the BAL and the BNP. The 1996 February election held under Khaleda Zia’s BNP regime was another which was boycotted by the BAL and all other major parties; yet on paper, 41parties, mostly obscure entities, took part.

The 5 January 2014 election records show that there was little enthusiasm among potential candidates: only 543, one-third of the number of candidates in the 2008 election, ran for office.

The astounding aspect of the 2014 election was the number of candidates who were elected unopposed. More than half of the members of parliament 153 out of 300 seats were elected before Election Day. The ‘election’ of 153 candidates unopposed is significant because even in the one-party sham election of February 1996 only 49 candidates were elected unopposed and therefore the 2014 election superseded that unpleasant record. It practically disenfranchised more than fifty percent of the voters. Of the total 91.965 million voters, 48.027 million voters were excluded altogether.

Regarding voter turnout, official sources, including the Bangladesh Election Commission, claimed that the turnout was 39 percent. But this figure is contested by the local and international press. The New York Times suggested about 22 percent voter turnout. It is worth noting that in 50 polling centres no votes were cast. Considering that the election was held for 147 seats, a 39 percent turnout is about 18 percent of the total voters.

The 2014 elections have delivered a de facto one parliament. Although the Jatiya Party  (JP) led by  a  former dictator was coerced into participating  in  the election, and is designated as  the official ‘opposition party’ in the new parliament, its members are also inducted into the  cabinet and its chief is named as the Special Envoy of the Prime Minister. In recent years, and particularly since the beginning of 2014, restrictions on freedom of assembly, movement and speech have shrunk the democratic space significantly. Unrestrained use of force on the part of the government was reciprocated by the opposition with violence, especially targeting the common citizens.

Not only that, the number of extrajudicial killings and enforced disappearances has increased significantly. The government has resorted to a high degree of surveillance. All of these together have created a culture of fear due to extrajudicial killings and enforced disappearances.

Political Space Refers

According to US-based National Democratic Institute (NDI), political space refers to the avenues, opportunities and entry points available for citizens to express their voice and influence political processes and outcomes.  The relative degree of political space may be placed on a continuum from open and inclusive to closed and exclusive. Political space is considered open if citizens are able to communicate their preferences, organize, act individually and collectively and engage government without restrictions or harassment.

Democratic and socioeconomic development re-quires citizen participation to drive change and ensure accountable government.  Without active citizen involvement in political life, public officials may be unresponsive to their constituents and the basic rights and freedoms of democracy can go unrealized.  In order for citizens to play an active role, they must have open, accessible and inclusive political spaces.

The Closing Space Challenge

According to all around the world, contracting political space is a growing concern -not just in countries that have struggled under repressive or autocratic governments, but also in countries with a tradition of democratic practices and norms. Governments have increasingly taken steps to limit citizens’ ability to actively participate in political life and have suppressed, rather than responded to, citizens’ expression of their priorities, observed National Democratic Institute (NDI).

According to NDI, restrictions on political space frequently occur in the form of legal and institutional barriers that hamper citizens’ ability to actively participate in the political process. In attempts to silence critical or reform minded voices, governments may restrict space for both international nongovernmental organizations (INGOs) and local civic actors. As Douglas Rutzen from the International Center for Not for Profit Law discusses in “Civil Society Un-der Assault”, the legal and regulatory measures governments use to curtail citizens’ political participation include limits on fundamental rights, such as freedom of assembly, association and speech.

To monitor the activities of civil society, many countries require civic groups, associations, and networks to register with the government.

These registration processes can be burdensome, requiring large amounts of paperwork and onerous bureaucratic steps. Ambiguity and lack of transparency can allow governments to withhold registration indefinitely or deny it without explanation.

Moreover, local groups may run higher risks for losing their registration when they receive support from INGOs. In some cases, INGOs themselves may not be able to legally register, and without a legal presence, are more vulnerable to arbitrary removal.

As outlined in a recent research report from the Carnegie Endowment for International Peace, more and more governments are increasing measures to limit or block foreign funds and operations for civil society.

This includes laws and regulations that restrict or impede access to external funding for domestic non-governmental organizations (NGOs) and steps to block international election monitoring. For example, Russia passed a law in May 2015 against so called “undesirable” organizations (a designation that it subsequently gave to NDI in March 2016).

This law enables the Prosecutor General’s office to fine or jail Russian activists and civil society groups for maintaining any ties with INGOs deemed to be undermining “state security,” “national defense,” or “constitutional order”. Such limitations placed on INGO operations can seriously curtail their ability to adequately support local groups.

In Bangladesh, sensing consequence of the next parliamentary election, the ruling Awami League is hatching a conspiracy to keep BNP away from the polls.  To meet its desire, the government is harassing BNP men – implicating them with politically motivated cases – in bid to brand them as anti-liberation forces. Not only that, BNP and its front organizations are barred by the law enforcing agencies from organizing any peaceful political programmes in the name security concerned. 

And, if such a situation continues till the upcoming national polls, the entire nation is feared to be plunged into a downward spiral towards a prolonged and unprecedented scale of violence, non-state actors including militant groups might take advantage of the instability.  Besides, it is also clearly evident from the history that without inclusive democracy, authoritarianism is likely to grow strongly inevitably leading to extremism, violence and prolonged conflict in Bangladesh. 

“With elections due in December, it is now more important than ever that civil society be given the space it needs to contribute to Bangladesh’s future. The EU must stand with those whose voices are consistently being silenced by a government that has been unwilling to address human rights abuses,” said Odhikar Secretary Adilur Rahman Khan.

Sheikh Hasina to remain life-long Prime Minister

And surprisingly and coincidently, BAL joint general secretary Mahbubul Alam Hanif said, “Bangladesh Awami League (AL) president and prime minister Sheikh Hasina would remain in power in the country as long as she is alive and physically fit.’’

Addressing a programme in the capital on April 25, party’s joint Hanif also said no evil forces in the country can overthrow the Hasina-led government. Dhaka city’s south unit of AL’s student wing Bangladesh Chhatra League aka BCL organised the programme to select its leadership.
“As long as jananetri [people’s leader] Sheikh Hasina is alive, as long as jananetri Sheikh Hasina has the physical ability to work, Bangladesh Awami League will stay in power under the leadership of jananetri Sheikh Hasina and she will remain the prime minister of Bengal,” announced Hanif.   

He went on to say, “No evil force of Bangladesh has the strength to grab power by overthrowing the Hasina-led government.” He claimed that the AL is staying in power under the leadership of Hasina “with the mandate of the people” and the government is under no pressure. “It’s not 2018, not even 2024, they [opposition BNP] have to think whether they will be able to come to power after 2029,” categorically said Hanif.

ICG study fears Space for Militancy

A recent study of International Crisis Group (ICG) has observed that political polarization has reached “historic highs” in Bangladesh and constant antagonism between rival parties has helped enable a resurgent militant threat with a general election looming.

The country’s poisonous politics has allowed a resurgence of religious extremism led by two groups, Jamaat-ul Mujahideen Bangladesh (JMB) and Ansar al-Islam, also known as Ansarullah Bangla Team, according to the study by Brussels-based ICG.

“While there is no direct line between toxic politics and the rise of jihadist violence, a bitterly divided polity, between those espousing secularism and those emphasizing Bangladesh’s Muslim identity, and a brutal and highly partisan policing and justice system, nonetheless has opened space for jihadist groups,” said ICG, a group that researches conflicts and security-related issues around the globe.
“Without a change of course – and particularly if the December elections trigger a crisis similar to that around previous polls – the country could face another jihadist resurgence,” ICG said.

Violence feared in run up to nat’l polls

According to a report published by a London-based organisation, Saferworld, a large section of people in Bangladesh have a fear that political violence will get worse than the previous instances in the lead up to the next general election.  The report titled ‘Working with businesses for peace in Bangladesh’ stated that most of the people believe that business actors have an important role to play in promoting peace through different activities. The Swiss Agency for Development and Cooperation (SDC) commissioned the report as part of Saferworld’s ‘business for peace’ project, aiming to identify the factors contributing to violent conflict and political violence, said Bibhash Chakraborty, the programme manager of the Bangladesh chapter of the organisation. The study was done in three districts – Sylhet, Sunamganj and Rajshahi – and the report was made public at the end of March, 2018.
  • Courtesy: Weekly Holiday/ May 11, 2018

BB scraps licences of 402 money changers since '97

More operating under cover


 Rezaul Karim

More than 400 money changers have got the axe from the central bank since 1997 for breaching the relevant rules and regulations.

The Bangladesh Bank (BB) cancelled the operating licences of 402 money changers (MCs) so far, officials said.

The BB had issued licences for 636 money changers during the period between 1997 and 1999, according to the officials.

Now 234 licensed money changers are operating in the country. Yet the number is much higher than what the market permits, a high official of the BB has said.

The BB scrapped licences of the MCs from 1997 until now, mainly because of breaching the relevant rules and regulations of the BB, according to the central bank sources.

"We remind the MCs about following the directives of the BB repeatedly, if they behave erratically. Ultimately, the central controlling authority cancels the licences of the errant MCs," a source concerned said.

The BB action came as a good number of money changers have been running their business under cover. They are allegedly engaged in endorsement and encashment of foreign currencies defying the central bank's rules.

Under the BB guideline, licensed money changers are allowed to run operations without having any branch. But many of them are conducting business by setting up more than one branch each, violating the BB rules. Operations of the existing genuine exchanges are being hampered seriously because of such illegal operators.

Sector insiders say a number of illegal money changers are there in many areas and more than 50 are doing business without licence at Uttara in the capital.

These illegal exchanges are cent per cent floating in nature and they change their names from time to time. They also play other tricks to escape detection, the sources say.When contacted, a joint director at the Foreign Exchange Policy Department of Bangladesh Bank (BB) said a good number of MCs were not complying with the BB rules. They faced stringent punishment as per rules. Finally, we cancelled their licences."

They engaged in endorsement and encashment of foreign currencies defying the central bank's rules. Besides, they also ran more than one branch each defying the regulator's rules, another official of the BB said.

In September 1999, the BB took a decision not to give permission for setting up any new money changer and issued a circular in this connection.

  • Courtesy: Te Financial Express/ May 11, 2018