Search

Sunday, May 20, 2018

Reducing Dhaka's waterlogging

Words not matched with deeds


Editorial 



Waterlogging has become a ritualistic affair in Dhaka. It is unfathomable how a city of over 16 million people still does not have a working storm drainage system.

Every year during the monsoon season, whenever a little rain inundates the entire city, we are accustomed to hearing platitudes of the public officials that the problem would soon be over. For example, the LGRD and cooperatives minister pledged last year that we would not witness waterlogging in Dhaka in 2018. In reality, however, there hasn't been any noticeable improvement of the situation.

If anything, it only gets worse day by day as remaining floodplains and canals are getting occupied by powerful locals, blocking the passage of rainwater, as is evident in one of yesterday's front-page stories of this newspaper. If the government really wants to reduce waterlogging in Dhaka, the order of the day should be recovering the occupied canals and water retention areas as soon as possible.

The fact that there are seven authorities to deal with Dhaka's drainage affair on a piecemeal basis speaks volumes of the lack of coordination among public offices.

In addition, every year the government allocates a huge amount of money in improving the city's infrastructure, including the existing drainage system, which obviously is not being properly spent. It's high time that misspending of public money was stopped and instead allocated where it is needed, such as in building a storm drainage system.
  • Courtesy: The Daily Star /May 20, 2018  

চট্টগ্রাম মাদকের আখড়া, পৃষ্ঠপোষকেরা আ'লীগ নেতা ও পুলিশ


চট্টগ্রামে মাদকের বিস্তার ঘটছে দ্রুত। সাম্প্রতিক সময়ে মাদক চোরাকারবারিদের ধরতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হলেও এদের সহায়তাকারী ও পৃষ্ঠপোষকেরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। গত আট মাসে চট্টগ্রাম নগরের প্রধান মাদক আস্তানা ‘বরিশাল কলোনি’ এলাকায় র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিন মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। তাঁদের মধ্যে দুজন নিহত হন গত বৃহস্পতিবার রাতেই।

চট্টগ্রাম নগর ও জেলায় মাদক ব্যবসায় যুক্ত ৯০ জনের একটি তালিকা করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আরেকটি তালিকা করা হয়েছে পৃষ্ঠপোষকদের। এই তালিকায় ৪৫ জনপ্রতিনিধি ও প্রভাবশালী এবং নগরের পাঁচ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ২৫ জনের নাম আছে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের বিতর্কিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল কাদের ওরফে মাছ কাদেরের নাম আছে এ তালিকায়।

র‍্যাব-৭ চট্টগ্রামের অধিনায়ক লে. কর্নেল মিফতাহ উদ্দিন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘মাদক বিক্রেতা, সেবনকারী ও পৃষ্ঠপোষকদের আজকের মধ্যে মাদক ব্যবসা ছাড়তে হবে। নইলে কাল তাদের জন্য বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। তারা যত বড় প্রভাবশালীই হোক, আর কোনো ছাড় নয়।’

পুলিশ ও র‍্যাব কর্মকর্তারা জানান, চট্টগ্রাম নগরের প্রায় ৫০০ জায়গায় মাদক বেচাকেনা হয়। এর মধ্যে বরিশাল কলোনি, চট্টগ্রাম স্টেশন, কদমতলী বাস টার্মিনাল, মতিঝরনা, এনায়েতবাজার গোয়ালপাড়া, বায়েজিদ শের শাহ কলোনি, অক্সিজেন মোড়, ফিরোজ শাহ কলোনি, অলংকার মোড়, পাহাড়তলী, টাইগারপাস, বাটালি হিল মাদকের সবচেয়ে বড় বাজার।

মাদক চোরাকারবারিদের সহায়তাকারী হিসেবে তালিকায় নাম আছে চট্টগ্রাম নগরের পাঁচ ওসির। তাঁদের মধ্যে পাহাড়তলী থানার ওসি মো. আলমগীর ও আকবর শাহ থানার আলমগীর মাহমুদ সম্প্রতি বদলি হয়েছেন। অন্য তিন ওসি হলেন পাঁচলাইশ থানার মহিউদ্দিন মাহমুদ, পতেঙ্গা থানার আবুল কাসেম ভূঞা ও বন্দর থানার এস এম ময়নুল ইসলাম। এ ছাড়া থানা বা ফাঁড়ির ২০ জন এসআই, এএসআই ও কনস্টেবলের নাম আছে তালিকায়।

ওসি মহিউদ্দিন মাহমুদ বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি চ্যালেঞ্জ করছি, এই অভিযোগ ভিত্তিহীন ও মনগড়া।’ আবুল কাসেম ভূঞা বলেন, ‘আমরা মাদক ধরছি বলে কেউ আমাদের নাম বলতে পারে।’ এস এম ময়নুল ইসলাম বলেন, ‘বন্দর এলাকায় মাদকের ব্যবহার কম। তবু প্রতি মাসে ১৮-২০টি মামলা আমরা নিচ্ছি। বিদ্বেষপ্রসূত হয়ে কেউ আমাকে ফাঁসাতে পারে।’

পৃষ্ঠপোষকদের তালিকায় নগরের ২৮ নম্বর মোগলটুলি ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবদুল কাদের রয়েছেন। তিনি সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। ‘মাছ কাদের’ নামে পরিচিত এই স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ২০১৫ সালে কাউন্সিলর হন। মুঠোফোনে কয়েক দফা যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

৫০০ স্থানে মাদক কেনাবেচা

পুলিশ জানিয়েছে, নগরের ৫০০ স্থানে মাদক কেনাবেচার হাট।গতকাল দুপুরে নগরের মুরাদপুর, চট্টগ্রাম রেলস্টেশন, বরিশাল কলোনি গিয়ে কিছু যুবককে দেখা গেছে ইয়াবা কিনতে। তাঁদের মধ্যে আছেন গাড়িচালক ও ছাত্র। মুরাদপুরে একটি দোকানের সামনে এক গাড়িচালক মাদকের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। মুঠোফোনে কথা বলার পরই ওই চালকের কাছে এক যুবক এসে ছোট পোঁটলা ধরিয়ে চলে যান। জানতে চাইলে কেউ কিছু বলতে রাজি হননি। ওই চালকও দ্রুত সটকে পড়েন।

চট্টগ্রাম স্টেশনের পাশে গিয়ে দেখা যায়, গাঁজা ও ইয়াবা ক্রেতাদের আনাগোনা। সেখানে একজন ছাত্র ইয়াবা কিনতে যান। একজন মাদক ব্যবসায়ী জানান, রমজানের প্রথম দিন হওয়ায় শুক্রবার সকাল থেকে গ্রাহক কম। সন্ধ্যায় বাড়বে।

নিরাপদ রুট চট্টগ্রাম

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মতে, মিয়ানমার থেকে আসা ইয়াবা কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দেশে সরবরাহ হচ্ছে। প্রতিদিনই ইয়াবা পাচার হচ্ছে। আবার প্রতিদিনই ধরাও পড়ছে। কিন্তু পাচারের তুলনায় জব্দ হচ্ছে খুব কম। ৪ মে নগরের হালিশহরের একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৩ লাখ ইয়াবাসহ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। গত বছরের ১৫ এপ্রিল পতেঙ্গাসংলগ্ন বঙ্গোপসাগরের মোহনায় ট্রলার থেকে ২০ লাখ ইয়াবা বড়ি জব্দ করেছিল র‍্যাব। একই দিন নগরের পাঁচলাইশ এলাকার একটি বাড়ি থেকে ইয়াবা পাচারের মূল হোতা মোজাহেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত বছরের জানুয়ারি থেকে চলতি বছরের ১৭ মে পর্যন্ত র‍্যাব অভিযান চালিয়ে ৮৩ লাখ ৪৪ হাজার ২২৫টি ইয়াবা উদ্ধার করে।

চট্টগ্রামের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মাসুদ-উল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, চট্টগ্রাম মাদক পরিবহনের প্রধান রুট। এর সঙ্গে কিছু গডফাদার যুক্ত। গডফাদার ও ব্যবসায়ীদের তালিকা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ শুরু করেছে। ৫ ওসিসহ ২৫ জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ইতিপূর্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্য গ্রেপ্তার হয়েছেন। আইন নিজস্ব গতিতে চলবে।

কারাগারে ৭০ ভাগই মাদক মামলার আসামি

চট্টগ্রাম কারাগারে ৭ হাজার ১৫০ জন পুরুষ ও ৩৩২ জন নারী বন্দীর মধ্যে ৭০ ভাগ মাদক মামলার আসামি। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জ্যেষ্ঠ তত্ত্বাবধায়ক ইকবাল কবীর চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, বন্দীদের বেশির ভাগই মাদক মামলার আসামি। প্রতিদিন আসছেন আর জামিনে মুক্তিও পাচ্ছেন। মাদকাসক্ত বন্দীদের নিয়ে বেকায়দায় থাকতে হয়। মাদকের জন্য তাঁরা ছটফট করেন। কারা হাসপাতালে রেখে তাঁদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।

২০১৩ সালে নগরের ১৬ থানায় মাদকের মামলা হয়েছিল ১ হাজার ৭০৬টি। তিন বছর পর তিন গুণ বেড়ে ২০১৭ সালে হয় ৪ হাজার ১৯১টি মামলা। এসব মামলার বাদী র‍্যাব, পুলিশ ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

জামিনে বেরিয়ে উধাও

জামিনে কারাগার থেকে বেরিয়ে প্রথম দু-তিন মাস আদালতে হাজিরা দেন মাদক মামলার আসামিরা। কিন্তু রায় ঘোষণার সময় এগিয়ে এলেই উধাও হয়ে যান তাঁরা। রায়ে আদালত সাজা দিলেও পুলিশ আর তাঁদের খুঁজে পায় না। গত বছরের ১ মে থেকে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রায় সাত মাসে চট্টগ্রামের ১৩টি আদালতে ৩১২টি মাদকের মামলার রায় ঘোষণা হয়। এসব মামলায় কারাদণ্ড হয় ৬৪৯ জনের। এর মধ্যে ৩৮২ জনই রায় ঘোষণার আগে জামিন নিয়ে পলাতক। তবে মাদক মামলার কত আসামি বর্তমানে জামিনে রয়েছেন, সে পরিসংখ্যান নেই পুলিশের কাছে।

ইয়াবা আনতে অভিনব কৌশল

ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকতে ইয়াবা পাচারকারীরা অভিনব কৌশলে কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে চট্টগ্রামে ইয়াবা নিয়ে আসছেন। পেটের ভেতর, পেঁয়াজ ও কুমড়ায়, মোটরসাইকেল ও গাড়ির জ্বালানির ট্যাংক, কাভার্ড ভ্যানের ভেতরে বিশেষ বাক্সে করে আসছে ইয়াবা। সর্বশেষ গত ১৫ এপ্রিল নগরের কোতোয়ালি থানার ব্রিজঘাট এলাকা থেকে রশিদ আহমেদ ও ফরিদ আহমেদ নামের দুজনকে গ্রেপ্তার করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে পেটের ভেতর ইয়াবা নিয়ে চট্টগ্রামে আসেন তাঁরা। তাঁদের পেট থেকে ৫ হাজার ৮০০টি ইয়াবা বের করা হয়।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম মেট্রো অঞ্চলের উপপরিচালক শামীম আহমেদ বলেন, নতুন নতুন কৌশলে নগরে মাদক ঢুকছে। অভিযান চালিয়ে মাদকসহ গ্রেপ্তার করা হচ্ছে।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ কুণ্ডু মাদকের বিস্তার সম্পর্কে প্রথম আলোকে বলেন, মাদকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক ও দেশীয় রাজনীতি ও অর্থনীতির গভীর সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন হলেও কর্মসংস্থান কম। এ কারণে বেকার যুবকেরা হতাশা ও বিচ্ছিন্নতা থেকে মাদকের প্রতি ঝুঁকছেন। ফলে বাংলাদেশ এখন মাদকের রমরমা বাজার। তাই কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে মাদকের লাগাম টেনে ধরতে হবে।
  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/মে ২০, ২০১৮ 

ফারমার্স ব্যাংককে টেনে তুলতে শর্ত আরো শিথিল হলো

হাছান আদনান



বিপর্যস্ত ফারমার্স ব্যাংকে আগে থেকেই রাষ্ট্রায়ত্ত চার বাণিজ্যিক ব্যাংক ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ৫৫৩ কোটি টাকা জমা আছে। এ অর্থ তুলে নেয়ার শর্তে নতুন করে ৭১৫ কোটি টাকা মূলধন জোগান দেয়ার কথা ছিল প্রতিষ্ঠানগুলোর। ব্যাংকটিকে টেনে তুলতে এবার সেই শর্তও শিথিল করা হয়েছে। নতুন মূলধন জোগানের পাশাপাশি আগের অর্থও জমা থাকছে ব্যাংকটিতে।

রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংক ১৬৫ কোটি টাকা মূলধন হিসেবে ফারমার্স ব্যাংককে জোগান দিচ্ছে। গত ২ এপ্রিল ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের ৫৫৩তম সভায় চার শর্তে ফারমার্সে মূলধন জোগান দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল। এর একটি হলো— অগ্রণী ব্যাংক কর্তৃক এরই মধ্যে ব্যাংকটিতে যাওয়া ১৬৪ কোটি টাকা অতি দ্রুত আদায়ের পদক্ষেপ নেয়া।

যদিও ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের ৫৫৮তম সভায় শর্তটি রহিত করা হয়েছে। একই সঙ্গে রহিত করা হয়েছে ৫৫৩তম সভায় নেয়া অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার একজন সরকারি প্রতিনিধিকে ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে অন্তর্ভুক্ত করার শর্তটিও।

অগ্রণী ব্যাংকের মতো সোনালী, জনতা ও রূপালী ব্যাংকও চেয়েছিল চার শর্তে ফারমার্স ব্যাংকে মূলধন জোগান দিতে। পরিচালনা পর্ষদের সিদ্ধান্তের পরও শর্ত পালন থেকে পিছিয়ে এসেছে ব্যাংকগুলো। মূলত ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের হস্তক্ষেপেই চার শর্ত থেকে পিছিয়ে এসেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। শিথিলকৃত শর্তেই গত সপ্তাহে ফারমার্স ব্যাংকে মূলধন জোগান দেয়ার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে চার ব্যাংকসহ রাষ্ট্রায়ত্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইসিবি।

অগ্রণী ব্যাংকের ১৬৪ কোটি টাকার পাশাপাশি সোনালী ব্যাংকের ১৪৫ কোটি, রূপালী ব্যাংকের ১০০ কোটি ও জনতা ব্যাংকের ৯৯ কোটি টাকা আগে থেকেই আছে ফারমার্স ব্যাংকে। মেয়াদি আমানত ও কলমানি হিসেবে ফারমার্সকে এ টাকা ধার দিয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলো। এরই মধ্যে এ টাকার মেয়াদ উত্তীর্ণ হলেও ফেরত দিতে পারেনি ফারমার্স ব্যাংক। এমনকি প্রায় পাঁচ মাস ধরে সুদও পরিশোধ করতে পারছে না ব্যাংকটি। সুদসহ রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংকের বিনিয়োগ আরো বেশি। এছাড়া ফারমার্স ব্যাংকে মূলধন হিসেবে সরকারি আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইসিবির বিনিয়োগ রয়েছে ৪৫ কোটি টাকা।

ফারমার্স ব্যাংক থেকে দ্রুততম সময়ে টাকা উদ্ধারের শর্ত শিথিলের বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আতাউর রহমান প্রধান বণিক বার্তাকে বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের তত্ত্বাবধানে আমরা ফারমার্স ব্যাংকে মূলধন জোগানের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। মূলধন দিয়েই বিনিয়োগকৃত টাকা আদায় করার পথে হাঁটলে ফারমার্স ব্যাংক দাঁড়াতে পারবে না। এজন্য আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের পরামর্শে এ সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এসেছি। সরকারি পাঁচ প্রতিষ্ঠানের এমডিরা ফারমার্স ব্যাংকের পর্ষদের সদস্য হচ্ছেন। আশা করছি, ব্যাংকটিকে আমরা টেনে তুলতে পারব। ব্যাংক ঘুরে দাঁড়ালে টাকা উঠে আসতে সময় লাগবে না।

আগের অর্থ জমা রেখেই ফারমার্স ব্যাংকে ১৬৫ কোটি টাকা করে মূলধন জোগান দিচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক। ৫৫ কোটি টাকা জোগান দিচ্ছে আইসিবি। নতুন এ মূলধন পেলে ফারমার্স ব্যাংকে রাষ্ট্রায়ত্ত এ পাঁচ প্রতিষ্ঠানের অর্থের জোগান দাঁড়াবে ১ হাজার ২৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে অগ্রণী ব্যাংকের অর্থের পরিমাণ ৩২৯ কোটি, সোনালী ব্যাংকের ৩১০, রূপালী ব্যাংকের ২৬৫, জনতা ব্যাংকের ২৬৪ এবং আইসিবির ১০০ কোটি টাকা।

নতুন করে মূলধন জোগানের বিষয়ে জনতা ব্যাংকের এমডি মো. আব্দুছ ছালাম আজাদ  বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে এখনো নতুন মূলধন পরিশোধ করা হয়নি। আশা করছি, চলতি সপ্তাহেই এ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে। তিনি বলেন, ব্যাংকের পর্ষদ সভায় বসেই স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে কবে নাগাদ নতুন পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে, সেটি এখনো নিশ্চিত নই।

সূত্রমতে, আমানতের তুলনায় ঋণ বেশি দেয়ায় গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকে বিপর্যয় শুরু হয় ফারমার্স ব্যাংকে। অনিয়মের মাধ্যমে বিতরণকৃত ঋণ আদায় না হওয়ায় ক্ষত আরো বাড়তে শুরু করে। এরপর থেকে ফারমার্স ব্যাংকে রাখা আমানতের টাকা ফেরত পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। বিপর্যস্ত ফারমার্স ব্যাংকে রাখা প্রায় ৬০ কোটি টাকা তুলতে পারছে না বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)। ব্যাংকটির কাছে আটকে গেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু তহবিলের ৫০৮ কোটি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) কর্মচারী অবসরভাতা তহবিলের ১৭ কোটি এবং বিআইডব্লিউটিএ বেনেভোলেন্ট ফান্ডের ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ১৮০ কোটি টাকাও আটকে আছে ফারমার্স ব্যাংকে। সরকারি এ প্রতিষ্ঠানগুলো টাকা না পেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে এরই মধ্যে অভিযোগ জানিয়েছে। আমানত তুলতে মুখিয়ে আছেন সরকারি ও বেসরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসহ ফারমার্স ব্যাংকে টাকা রাখা গ্রাহকরাও।

অনিয়ম-দুর্নীতিতে বিপর্যস্ত ফারমার্স ব্যাংককে টেনে তুলতে গত বছরের শেষের দিকে সরাসরি হস্তক্ষেপ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। ২৭ নভেম্বর ব্যাংকটির পর্ষদ থেকে পদত্যাগ করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ ও নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান ছিলেন তিনি। একই দিন ব্যাংকটির অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মাহাবুবুল হক চিশতীও পদচ্যুত হন। আরেক পরিচালক ড. মোহাম্মদ আতাহার উদ্দিন ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। এরপর বৈঠকে ব্যাংকের পরিচালক মোহাম্মদ মাসুদকে চেয়ারম্যান ও মারুফ আলমকে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়। নতুন করে ব্যাংকটির সব কমিটি পুনর্গঠন করে ঢেলে সাজানো হয়। কিন্তু ফলাফল ভালো না হওয়ায় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদে আরো পরিবর্তন আসে। নতুন চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সম্পদ ব্যবস্থাপনা প্রতিষ্ঠান রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাত।

পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে ফারমার্স ব্যাংকের সব ব্যক্তি পরিচালক পদ হারিয়েছেন। নতুন করে গঠিত হচ্ছে ১১ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদ। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, অগ্রণী, জনতা ও রূপালী ব্যাংক এবং আইসিবির ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা (এমডি) ফারমার্স ব্যাংকের পরিচালক হচ্ছেন। রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের প্রতিনিধি হিসেবে ব্যাংকটির পর্ষদে থাকছেন চারজন। বাকি দুজন হবেন স্বতন্ত্র পরিচালক।

এ প্রসঙ্গে ফারমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফাত বণিক বার্তাকে বলেন, ফারমার্স ব্যাংকের নতুন পরিচালনা পর্ষদ গঠন হয়েছে। এরই মধ্যে মূলধন জোগানের জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত চার ব্যাংক ও আইসিবির সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা এ পাঁচ প্রতিষ্ঠানের জোগানকৃত ৭১৫ কোটি টাকার মূলধন পেয়ে যাব।

তিনি বলেন, ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদে কোনো ব্যক্তি উদ্যোক্তা থাকতে পারবেন না। কেবল প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের প্রতিনিধি ব্যাংকের পরিচালক হবেন। এর মাধ্যমে ব্যাংকটির পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা আসবে। পৃথিবীর অনেক বড় বড় ব্যাংক এভাবেই সুনামের সঙ্গে পরিচালিত হচ্ছে। এছাড়া গ্রাহকদের আস্থা ফিরিয়ে আনতে পুরো ব্যাংককে ঢেলে সাজানো হবে।
  • কার্টেসিঃ বনিক বার্তা / মে ২০,২০১৮ 

সাংসদদের জবাবদিহি ও ‘বিষিয়ে তোলা মন’

সোহরাব হাসান

কয়েক দিন আগে একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীর কাছে জানতে চেয়েছিলাম ‘বিরোধী দলবিহীন’ জাতীয় সংসদ কেমন চলছে। তাঁর জবাব ছিল, খুবই ভালো চলছে। এখন সরকারি ও বিরোধী দলের সাংসদদের আলোচনায় সংসদ প্রাণবন্ত। এমনকি সরকারি দলের সাংসদেরা (যাঁদের মধ্যে মন্ত্রিসভার সদস্যও আছেন) অর্থমন্ত্রীর বাজেট প্রস্তাবেরও কড়া সমালোচনা করেছেন। 

এ রকম একটি অতি কার্যকর সংসদ সম্পর্কে নিশ্চয়ই ক্ষমতাসীনেরা নেতিবাচক কোনো সংবাদ শুনতে বা দেখতে চান না। তারপরও নেতিবাচক সংবাদ আসে এবং তাঁদের সেটি হজমও করতে হয়। সংসদীয় গণতন্ত্রে সংসদই সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে। কীভাবে সরকার চলবে, কোন খাতে কত টাকা বরাদ্দ হবে, সরকারের বৈদেশিক নীতি কী হবে—সবই ঠিক করে দেয় সংসদ। এটা হলো বইয়ের কথা। বাস্তবে কী হয়, সেটি আমরা প্রতিদিনই প্রত্যক্ষ করছি। অনেক সময় সরকার ও সংসদকে ফারাক করাও কঠিন হয়ে পড়ে। 

সংসদীয় ব্যবস্থায় বিরোধী দলের সদস্যসংখ্যা যত কমই হোক না কেন, সংসদ সব সময় সরকারকে নজরদারিতে রাখে। আমাদের সংবিধান অনুযায়ী সংসদে উত্থাপিত বিলের বিরুদ্ধে সরকারি দলের সাংসদেরা হয়তো ভোট দিতে পারেন না, কিন্তু সরকারের কাজের সমালোচনা করতে বাধা নেই। নবম সংসদেও আমরা দেখেছি, সরকারি দলের বেশ কয়েকজন জ্যেষ্ঠ সদস্য বেহাল যোগাযোগব্যবস্থা নিয়ে তৎকালীন মন্ত্রী ও সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছিলেন। বর্তমানে দেশের সড়ক যোগাযোগের হাল আরও খারাপ হওয়া সত্ত্বেও সংসদে তা নিয়ে কেউ উচ্চবাচ্য করছেন না। 

সংসদে বিরোধী দলকে বলা হয় বিকল্প সরকার। উন্নত গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে বিরোধী দলের সাংসদদের নিয়ে ছায়া সরকার গঠন করা হয়। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক তাদের কমিটি থাকে। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের সংসদে যে দলটি বিরোধী দলের ভূমিকায় আছে, তারা একই সঙ্গে সরকারেরও অংশীদার। সরকারে সেই দলের তিনজন মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী আছেন, দলের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত এবং কো-চেয়ারপারসন সংসদে বিরোধী দলের নেতা। ফলে তাদের পক্ষে নীতিগত বিষয়ে সরকারের বিরোধিতা করা সম্ভব নয়। দু-একজন স্বতন্ত্র সদস্য মাঝেমধ্যে বিবেকের ভূমিকা নেওয়ার চেষ্টা করলেও তাঁদের কণ্ঠস্বর লুই কানের নকশা করা সুরম্য ভবনের দেয়ালে প্রতিধ্বনি তুলে ফিরে আসে। 

সরকারি ও বিরোধী দলের সাংসদেরা যে সংসদকে প্রাণবন্ত ও কার্যকর বলে অভিহিত করেছেন, গত বৃহস্পতিবার সেই সংসদের কিছুটা চিত্র তুলে ধরেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ‘পার্লামেন্ট ওয়াচ’ নামে তারা প্রতিবছরই একটি প্রতিবেদন দিয়ে থাকে। সেই সঙ্গে সংসদকে কার্যকর করতে বেশ কিছু সুপারিশও করে। তাদের এবারের ১৪ দফা সুপারিশের মধ্যে আছে, সাংসদদের আচরণবিধি আইন প্রণয়ন, অসংসদীয় ভাষার ব্যবহার বন্ধে স্পিকারের কার্যকর ভূমিকা, সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, সংসদীয় কমিটির নিয়মিত বৈঠক করা। 

এসব সুপারিশ শোনা না–শোনা সাংসদদের এখতিয়ার। কিন্তু সংসদ বা সরকার সম্পর্কে সমালোচনা করলেই সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মন বিষিয়ে তোলার কথা বলা স্বৈরাচারী মানসিকতা ছাড়া কিছু নয়। টিআইবি যেসব তথ্য দিয়েছে, তার কোথায় ভুল আছে চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে দেশবাসীকে জানাতে পারতেন। তা না করে তিনি সোজাসুজি বলে দিলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নয়ন হচ্ছে। এসবের প্রশংসা নেই। ছোটখাটো এসব বিষয় নেতিবাচকভাবে তুলে ধরে মানুষের মন বিষিয়ে দেওয়া যাবে না।’ এই তথ্যটি তাঁকে কে দিলেন যে টিআইবি সরকারের বিরুদ্ধে মানুষের মন বিষিয়ে তোলার চেষ্টা করছে। টিআইবির প্রতিবেদনে আছে প্রধানমন্ত্রী তথা সংসদ নেতা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনের পরও ৮০ শতাংশেরও বেশি সময় সংসদে থাকেন। কিন্তু সংসদ নেতা সংসদে থাকতেও দেখা যায়, অনেক মন্ত্রী ও সাংসদ সংসদে উপস্থিত থাকেন না। এটাই টিআইবি হিসাব কষে দেখিয়ে দিয়েছে। 

টিআইবির অনুসন্ধান অনুযায়ী, গত বছর বর্তমান দশম জাতীয় সংসদে গড়ে প্রতিদিন কোরাম সংকটে অপচয় হয়েছে ৩০ মিনিট, যা নবম সংসদে ছিল ৩২ মিনিট। কোরাম সংকটের কারণে গত চার বছরে ব্যয় হয়েছে ১২৫ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৫ টাকা। জাতীয় সংসদের সদস্য ৩৫০ জন। সংবিধান অনুযায়ী, কোরাম পূর্ণ করতে কমপক্ষে ৬০ জন সদস্য উপস্থিত থাকতে হয়। প্রতিবেদনে গত বছরের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অনুষ্ঠিত পাঁচটি অধিবেশন (১৪তম থেকে ১৮তম) বিশ্লেষণ করা হয়েছে। মোট কার্যদিবস ছিল ৭৬টি। এর মধ্যে ৩৮ ঘণ্টা ৩ মিনিট (১৩ শতাংশ সময়) কোরাম সংকটের কারণে অপচয় হয়। প্রতি কার্যদিবসে গড়ে অপচয় ৩০ মিনিট। সংসদ পরিচালনার ব্যয়ের প্রাক্কলিত হিসাব অনুযায়ী প্রতি মিনিটে গড়ে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৬৮৬ টাকা খরচ হয়। সে হিসাবে প্রতি কার্যদিবসের গড় কোরাম সংকটের সময়ের অর্থমূল্য ৪৯ লাখ ১০ হাজার ৫৮০ টাকা। পাঁচটি অধিবেশনে কোরাম সংকটে ব্যয় হওয়া মোট সময়ের অর্থমূল্য ৩৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯৫ হাজার ১৩৮ টাকা। গত চার বছরের কোরাম সংকটের কারণে এই ব্যয় ১২৫ কোটি ২০ লাখ ৬৯ হাজার ৪৪৫ টাকা। তাহলে ক্ষতির পরিমাণটি ভাবুন। কোরাম সংকটে অপচয় না হলে এই ১২৫ কোটি টাকা দেশ ও জনগণের কল্যাণে ব্যয় করা যেত। 

টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, সংসদে বিভিন্ন আলোচনা পর্বে অসংসদীয় ভাষার ব্যবহারে মোট সময়ের ৫ শতাংশ ব্যয় হয়েছে। সংসদের বাইরের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে নিয়ে ১৯৫ বার অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের নিয়ে ২৩ বার এবং নিজ দলের সমালোচনায় একবার অসংসদীয় ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে। অনির্ধারিত আলোচনার মোট সময়ের ২৬ শতাংশজুড়ে ছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও সুশীল সমাজের সমালোচনা। সংসদে যিনি উপস্থিত নেই বা যাঁদের উপস্থিত থাকার সুযোগই নেই, তাঁর বিরুদ্ধে একতরফা গালমন্দ করা সাংসদদের কাজ হতে পারে না। 

সংসদের প্রধান কাজ আইন প্রণয়ন। অথচ এই আইন প্রণয়নেই তাঁরা সবচেয়ে কম সময় দেন। একটি বিল উত্থাপন থেকে পাস করতে সময় লাগে গড়ে প্রায় ৩৫ মিনিট। আইন প্রণয়নের চেয়ে ব্যবসা–বাণিজ্যের দিকেই সাংসদদের নজর বেশি। নবম সংসদে ব্যবসায়ীদের হার ছিল ৫৩ শতাংশ। দশম সংসদে তার চেয়ে কম হওয়ার কোনো কারণ নেই। 

সংসদকে কার্যকর করতে স্থায়ী কমিটিগুলোর ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য সংসদীয় দেশের অনুসরণে আওয়ামী লীগ কমিটিগুলোর প্রধান করেছিল সাধারণ সদস্যদেরই। এমনকি কয়েকটি কমিটির প্রধান পদে বিরোধী দলের সাংসদকেও নেওয়া হয়েছিল। তবে অর্থ বা সরকারি হিসাব কমিটির প্রধান পদে বিরোধী দলের কাউকে কখনো নেওয়া হয়নি। নবম সংসদে চারটি কমিটির প্রধান ছিলেন বিরোধী দলের। এবার মাত্র একটি, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। 

চিফ হুইপ টিআইবিকে মানুষের মনে বিষ না ঢুকিয়ে অন্যান্য দেশের সংসদ নিয়ে গবেষণা করার পরামর্শ দিয়েছেন। এ সম্পর্কে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামানের মনোযোগ আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, সংসদীয় গণতন্ত্র চালু আছে—এ রকম অন্তত ১০০টি দেশের সংসদ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা গবেষণা ও তদারকি করে থাকে। তাই এ কথা ভাবার কারণ নেই যে বাংলাদেশের সংসদ নিয়েই শুধু মনিটরিং করা হয়। 

টিআইবি বিরোধী দলের ভূমিকা সম্পর্কে যেসব কথা বলেছে, সেসব কথা অনেক আগেই বলেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এরশাদ ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। এমনকি তাঁরা জনগণের কাছে মুখ দেখাতে পারেন না বলে অনুশোচনাও করেছেন। আবার দুজনই প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি জানিয়েছেন, দলের মন্ত্রীদের যেন তিনি সরকার থেকে বাদ দিয়ে দেন। বিরোধী দলের যে নেতা নিজ দলের নেতাদের মন্ত্রিসভা থেকে প্রত্যাহার করাতে না পেরে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আরজি পেশ করেন, তিনি কীভাবে বিরোধী দলের নেতার দায়িত্ব পালন করবেন? আর বিশেষ দূতের বিশেষ ভূমিকার কথা না হয় না–ই বললাম।
  • সোহরাব হাসান প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক ও কবি
  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/ মে ২০,২০১৮ 

নালিতাবাড়ী জেলা আ’লীগ থেকে মতিয়া চৌধুরীকে প্রত্যাহারের সুপারিশ

শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনের সাংসদ কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরীকে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও নির্বাচনী এলাকা থেকে প্রত্যাহার করার জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করেছে শেরপুর জেলা আওয়ামী লীগ।

শনিবার বিকেলে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় এই সুপারিশ করা হয়। সভায় নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা এবং দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে শেরপুর-৩ (শ্রীবরদী-ঝিনাইগাতী) আসনের সাংসদ এ কে এম ফজলুল হকসহ পাঁচজনকে জেলা কমিটি থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে।

শনিবার রাতে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে মতিয়া চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কোনো বক্তব্য নেই।’

শহরের চকবাজারে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী কমিটির সভা শেষে শনিবার রাত আটটায় জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এসব সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।

জেলা কমিটি থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করা অপর চারজন হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শামছুন্নাহার কামাল, নালিতাবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জিয়াউল হক, সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুল হক ও নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহ। এ ছাড়া নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম জিন্নাহকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁর জায়গায় ১ নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. বুরহান উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হুইপ মো. আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় জেলা কার্যনির্বাহী পরিষদের ৭১ সদস্যের মধ্যে ৫২ জন উপস্থিত ছিলেন। এতে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার পাল, সহসভাপতি মিনহাজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক আনোয়ারুল হাসান, কার্যনির্বাহী সদস্য বদিউজ্জামান বাদশা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম, ঝিনাইগাতী উপজেলা কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহেল ওয়ারেজ নাইম, সাধারণ সম্পাদক আমিরুজ্জামান লেবু, শ্রীবরদী উপজেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোতাহারুল ইসলাম, শহর আ. লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ দত্ত প্রমুখ বক্তব্য দেন।

  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/মে ২০, ২০১৮ 

Education spending continues to shrink

Mohiuddin Alamgir 


Bangladesh continues to spend less on education in terms of percentage of gross domestic products than other South Asian countries although it says that improvement of quality of education is a priority. A government’s education spending should be 4-6 per cent of the GDP or 15-20 per cent of the total budget but Bangladesh spends 1.9 per cent of the GDP and about 13 per cent of the total government expenditure, said 2017/8 Global Education Monitoring Report the UNESCO unveiled in Dhaka on Tuesday.

The report said that Bangladesh’s spending on education in terms of percentage of GDP was less than that of other South Asian neighbours. Bangladesh Bureau of Educational Information and Statistics data showed that same situation prevailed in 2012-13 financial year.

Campaign For Popular Education executive director Rasheda K Choudhury said that they did not understand why spending on education was not increasing even to South Asian level. 

‘For quality education we need extra resources, higher pay for teachers, reduced class sizes or improved facilities,’ she said. Many pledges to give priorities to education are made in budgets but it is not realised. Even allocation for education in budget decreased from 15 per cent in 2010-11 to 11-12 per cent in 2017-18, she added.

‘It is true we are still lagging behind when it comes to spending a certain proportion of the GDP on education,’ said education minister Nurul Islam Nahid.

Education is a priority for the government but it has other priorities too, Nahid said.

The 2017/8 Global Education Monitoring Report compared the spending of GDP of 205 countries in 2015. 

The report said that Bangladesh spent 1.9 per cent of GDP while war torn Afghanistan spent 3.3 per cent, Bhutan 7.4 per cent, India 3.8 per cent, Maldives 5.2 per cent, Nepal 3.7 per cent, Pakistani 2.6 per cent and Sri Lanka spent 2.2 per cent of their GDP.

UNESCO recommends allocation of at least 4-6 per cent of gross domestic product or 15-20 per cent of public expenditure for education sector.

In 2015, median global public expenditure on education was 4.7 per cent of GDP. Median South Asian expenditure was 3.3 per cent. By income group, expenditure ranged from 3.7 per cent in low income countries to 5.1 per cent in high income countries, the report showed.

Bangladesh Bureau of Educational Information and Statistics quoting UNESCO data said in 2012 the percentage of GDP spent on education was 2.6 in Bangladesh, 4.7 in Bhutan, 3.35 in India, 5.90 in Maldives, 4.70 in Nepal, 2.13 in Pakistan and 1.70 in Sri Lanka.

The allocation for education sector in Bangladesh in the 2017-18 financial year came down to 12.59 per cent of the total expenditures from 14.40 per cent in the previous financial year, said budget documents 

The education budget was about 2 per cent of the GDP, the budget documents said.

Rasheda K Choudhury said that Bangladesh now spent less in terms of percentage of total expenditure, when number of students in the past one decade increased significantly.

Nahid said that although education sector got less budget allocation, they emphasised the need for proper utilisation of the allocation. ‘We try to prevent wastage and misuse of money,’ he said.

‘Currently ensuring quality of education is a challenge for us and we are working on the issue,’ he added.
  • Courtesy: New Age /May 20, 2018

A lesson not learnt

Dhaka runs risk of waterlogging in monsoon as storm drainage remains ineffective even after last year's horrible experience


Tawfique Ali



Jirani canals, almost dead and gone. Photo: Sk Enamul Haq, Anisur Rahman 


“I promise that you will not see these [waterlogging] from next year.”
LGRD and Cooperatives Minister Khandker 
Mosharraf Hossain said on July 26 last year

Dhaka would not get flooded in 2018. Or so the local government minister promised last year. But his words did not translate into action.

A city of over 16 million, Dhaka is almost certain to go under water after a moderate rain. Only late last month, much of the capital was inundated following some little to moderate shower, causing public misery.

The city needs an efficient drainage network, unobstructed canals and free flood zones around it to save it from the perennial waterlogging.


A waterlogged road in Sonalibagh of the capital's Moghbazar. Photo: Sk Enamul Haq, Anisur Rahman

But in the past 10 months since the minister made the promise, the city authorities did some routine clean-up of the scanty drainage network. That too remains half done.

Apart from this, no other initiative has been taken to free canals and floodplains within the city from grabbers.

Multiple development works in different parts of the capital have worsened the situation. The works include road improvement in Uttara, construction of metro rail piers along Rokeya Sarani and relocation of underground utility service lines along Kazi Nazrul Islam Avenue.

On July 26 last year, Local Government, Rural Development and Cooperatives Minister Khandker Mosharraf Hossain said that waterlogging in Dhaka city would not recur in 2018 as the government had learnt a lesson.

Following his promise, Dhaka Water Supply and Sewerage Authority (Wasa) had asked for an additional allocation of Tk 60cr for cleaning up the canals, said Wasa adviser Abul Kashem.  

As there was no response and the current fiscal year is drawing to a close, they revised the amount to Tk40cr. The money is yet to be released.     

ASM Mahbubul Alam, director general of Local Government Division, said they requested the finance ministry for additional allocations.

“We don't exactly know the rationale for the delay,” he said. “I think Wasa will get some money.”


A major portion of the Dumni canal in Khilkhet area filled up by two realtors. The choking of the water bodies in Dhaka or obstruction of their flows contributes to the water logging in the capital. The photos were taken recently. Photo: Sk Enamul Haq, Anisur Rahman

Asked what Wasa would do with the money at the last moment when monsoon is almost here, Alam said, “They will spend as much as they can and return the rest or keep it with them for next year.”

Contacted, Wasa Managing Director Taqsem A Khan said, “We are taking some routine, piecemeal measures of cleaning the scanty artificial drainage lines and maintaining pump machines to pump out accumulated rainwater.”   

Most of the flood flow zones, canals and low-lying water retention areas, earmarked in the Detailed Area Plan (DAP) for conservation, have been destroyed to make way for real estate business and “development” leading to today's deplorable drainage situation, he said. 

“Dhaka city's storm drainage problem cannot be permanently solved without reclaiming designated flood flow zones and water retention areas,” he noted.

On the other hand, ground percolation as a means of rainwater management has also been made difficult as 90 percent of the 400sqkm Wasa area of the city is paved with concrete.

The ministry usually allocates Tk 5.5cr on top of Wasa's own allocation of around Tk 11cr every monsoon. This money is needed only for the routine cleaning and maintenance of Wasa drainage service, he said.

Shahid Uddin, former Wasa chief engineer, who is currently a contractual Wasa director, said they wanted to re-excavate 30km length of 19 canals within this month to enhance water passage capacity. They started the work in some places and hoped for extra allocations.


Basabo canals almost dead and gone. Photo: Sk Enamul Haq, Anisur Rahman

SEVEN AUTHORITIES FOR ONE JOB

Apart from Wasa, six other authorities deal with Dhaka's drainage system on a piecemeal basis without much knowledge about who is doing what.

They are: the two city corporations, the water development board, Rajuk, the cantonment board and big private housing developers like Bashundhara.

As a result, Dhaka plunges into a nightmare of public misery every time there is a normal monsoon shower that instantly floods the city roads, town planners say.

The two city corporations maintain over 2,000km feeder drains (open and small diameter pipes) to drain water from homes and rainwater to take them to canals and wide diameter (Wasa) storm sewer system. 

The government made a storm drainage master plan for Dhaka in 2016 but it could not be implemented as they did not assign any authority for the job, officials said. 

THE PRESENT SCENARIO

Wasa, with 370km storm drainage pipelines of 750mm to 1,830mm diameter, covers only one-fifth of its 400sqkm service area.  

At present, rainfall above 40mm at a time in Dhaka city floods the city with water which takes at least three hours to recede. The available pumping facility can drain out up to 20mm rain, according to officials. 

Rain water is supposed to be carried away instantly to low-lying retention areas by a well-networked storm drainage system. But with the network destroyed and the artificial pipelines clogged with solid wastes, it takes hours for rainwater to pass.

Wasa maintains 26 canals, each 75km long, as part of its storm drainage system. But they mostly remain clogged with uncollected solid wastes. Ten km of the canals have been turned into concrete box culverts to build roads on them, significantly reducing their capacity to carry water.

According to leading urban planners, low-lying wetlands, flood flow zones, storm water retention ponds, ditches and canals have all been filled up in the name of development. All of this has blocked the natural passage of monsoon rainwater.

Time and again, authorities have been warned of grim consequence in urban storm water management but they paid no heed.

According to the Flood Action Plan and DAP, the city should have conserved 5,523 acres of water retention area (which is only 1.57 percent of the 1,528sqkm of Dhaka's master plan), 20,093 acres of canals and rivers (5.7 percent) and 74,598 acres (21 percent) flood flow zones. 

SCHEME TO BUY 'PRIVATE LAND' 

With most of the surviving 26 city canals under illegal occupation, the government has taken up a Tk 607cr project for land acquisition and excavation of five canals to ease the capital's waterlogging problem.

The five canals are Hazaribagh, Baishteki, Sangbadaik Colony, Begunbari and Manda Khal across south and north Dhaka cities.

The canals are public property.   

Over 82 percent of the money will be spent on the acquisition of 30.5 acres of “private land” and the rest on compensation for structures, excavation and bank development.

The Executive Committee of the National Economic Council with the Prime Minister Sheikh Hasina in the chair approved the draft proposal on April 4.

The local government ministry proposed the two-year scheme to be implemented by Dhaka Wasa by December next year. 
  • Courtesy: The Daily Star /May 19, 2018

LGED set to spend Tk 75b addl fund for 'upgrading' rural roads

Experts question 'misuse' of public money


FHM Humayan Kabir

The Local Government Engineering Department (LGED) is going to inject some Tk 75 billion in additional funds for upgrading rural roads, as those were not constructed by maintaining standard, officials said on Friday.

They said since quality of the LGED-built rural roads is poor, the department is set to undertake nine fresh projects in eight divisions in a bid to upgrading those as per the standard.

Meanwhile, development experts have raised question over the injection of additional funds, as the government has already spent a substantial amount of public money over the years for constructing the rural road network across the country.

They also said the rural roads under LGED are usually of so poor quality that those do not remain operative even for two years after their construction.

Besides, project insiders have also criticised the latest move of LGED, saying at present the agency is implementing scores of road building projects across the country.

So, it is surprising that it has proposed nine fresh projects, they said.

According to the Ministry of Local Government, Rural Development and Cooperative (LGRD), LGED has proposed to take up nine projects at nine divisions to widen and upgrade the quality of upazila- and union-level roads.

For Dhaka Division, the agency has proposed a project at a cost of Tk 20 billion, for Sylhet Division at Tk 7.0 billion, for Rajshahi Division at Tk 10 billion, for Rangpur Division at Tk 7.0 billion, for Chattogram Division at Tk 12 billion, for Mymensingh Division at Tk 5.0 billion, for Khulna Division at Tk 7.0 billion, and for Barishal Division a project at Tk 7.0 billion.

Besides, LGED has also proposed a project for highway connecting road development and security improvement at Tk 50 million.

LGED in the current fiscal year (FY), 2017-18, is implementing some 190 projects having a total cost of some Tk 600 billion.

In the current Annual Development Programme (ADP), the government has allocated some Tk 90 billion for LGED to implement those projects.

A top official of Planning Commission said since LGED has invested billions of taka for developing the rural roads, the proposed projects in nine divisions are clearly overlapping with the existing ones.

Among others, LGED is now implementing more than 10 rural road and infrastructure development projects including Greater Chittagong Rural Infrastructure Development Project-3 at a cost of Tk 12.90 billion, Development of Patiya Upazila Road and Road Infrastructure Projects under Chittagong District at Tk 490.4 million, Union Connecting Road and Infrastructure Development: Greater Chattogram Project at Tk 4.08 billion, and Rural Infrastructure Development in Greater Noakhali, Feni and Laxmipur Project at Tk 5.92 billion, he said.

Similarly, in each of the divisions, LGED is executing at least eight projects investing a large amount of funds, he added.

State Minister for LGRD Md. Mashiur Rahman Ranga told the FE that the rural roads get damaged soon after their construction due to 'various reasons'. So, the government has planned to take up the new projects.

These projects will increase quality and ensure longevity of the rural road network, he opined.

"However, the reasons should also be found out why the roads are getting damaged or going out of operation within a year or two after their construction," he said.

"Since the government has invested a large amount of money to build the roads over the years, their feasibility should have been looked into before allowing construction," the minister added.

Professor of Economics at Dhaka University and Executive Director of SANEM (South Asian Network on Economic Modelling) Dr Selim Raihan told the FE that LGED has already invested trillions of taka over the years for developing the rural roads.

The quality of these rural roads is really very deplorable, and there is lack of proper maintenance, he also said.

"However, if LGED now realises that their constructed roads require upgradation, was it unaware of the standard in the past? Who will be responsible for constructing the substandard roads, at the cost of public money?" 

"The government should punish the responsible agency or the people concerned. It should also ensure transparency and accountability in investment of public money," he added.
  • Courtesy: The Financial Express /My 19, 2018

দুই সিটির তিন বছর

পঞ্জিকার হিসাবে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মেয়াদ তিন বছর পার হলেও প্রতিশ্রুতির সিংহভাগই অপূর্ণ রয়ে গেছে। নির্বাচনের আগে তাঁরা নগরবাসীর সব সমস্যার সমাধানের কথা বলেছিলেন, ঢাকাকে তিলোত্তমা নগর হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। তিন বছর পর এসে দেখা যাচ্ছে নগরবাসীর সমস্যা আরও বেড়েছে। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিবেদনে ঢাকাকে বসবাস অযোগ্য নগরীগুলোর মধ্যে প্রথম দিকে স্থান দেওয়া হয়েছে। আমাদের জিজ্ঞাস্য, সরকার বা সিটি করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিরা তাহলে করছেনটা কী। 

দায়িত্ব গ্রহণের তিন বছর উপলক্ষে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন সংবাদ সম্মেলন করে উন্নয়নের যে দীর্ঘ ফিরিস্তি দিলেন, তাতে নগরবাসী আশ্বস্ত হওয়ার মতো কিছু পায়নি। তাঁর দাবি অনুযায়ী তিন বছর আগে নাকি দক্ষিণের সব রাস্তাঘাট ভেঙেচুরে একাকার হয়ে গিয়েছিল, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভেঙে পড়েছিল, মশা মারার ওষুধ মজুত ছিল না, সড়কবাতি জ্বলত না। এটা যদি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তাঁর পূর্বসূরি এবং তাঁদের নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হয়। ব্যর্থতার সব দোষ পূর্বসূরিদের কাঁধে চাপানোর রাজনৈতিক সংস্কৃতি এখন জাতীয় পর্যায় থেকে স্থানীয় সংস্থায় সংক্রমিত হয়েছে। 

যে শহরে দেড় কোটি মানুষের বাস, সেই শহরের ব্যবস্থাপনা নিয়ে যথেচ্ছাচার করার অধিকার কারও নেই। দক্ষিণের মেয়র নগরের ভাঙাচোরা বেহাল রাস্তা, ফুটপাত, নর্দমা সংস্কার ও মেরামত, এলইডি বাতি সংযোজন, পাবলিক টয়লেট, পার্ক, খেলার মাঠ, কবরস্থান, আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ভবন (এসটিএস) নির্মাণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়নের কৃতিত্ব দাবি করেছেন। কিন্তু নগরবাসী দেখছে সামান্য বৃষ্টি হলেই শহরে জলাবদ্ধতা হয়, যানজটে নাকাল সড়কে অবিরাম খোঁড়াখুঁড়ি চলে। এ থেকে উত্তরণের পথ বাতলাতে পারেননি তিনি। তাঁর আন্তরিক প্রয়াস সত্ত্বেও ফুটপাত দখলমুক্ত হয়নি।

উল্লেখ্য, ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হক প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যে কিছু অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছিলেন, তার সুফল মানুষ পেয়েছে। বিশেষ করে তেজগাঁও, গাবতলী ও আমিনবাজার থেকে অবৈধ ট্রাক-বাসস্ট্যান্ড তুলে দিয়েছেন, যা অতীতে কেউ করার সাহস পাননি। পরিবহনে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনাসহ আরও কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিলেন উত্তরের মেয়র। কিন্তু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের বিষয়, সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগেই তিনি গত বছর ৩০ নভেম্বর মারা যান। 

নগরের জনজীবনের ভোগান্তি কমাতে হলে প্রথমেই দুই সিটি করপোরেশনকে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। এরপর সংশ্লিষ্ট সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বসে একটি সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা নিতে হবে। যেখানে ৪৭টি সেবা প্রতিষ্ঠান নগরবাসীর সেবায় নিয়োজিত, সেখানে এককভাবে সিটি করপোরেশন সমস্যার সমাধান করতে পারবে না। বহু বছর আগে বড় বড় শহরের ব্যবস্থাপনার জন্য নগর সরকার গঠনের দাবি উঠেছিল। কিন্তু এ বিষয়েও আগের ও পরের সব সরকারই নিশ্চুপ। ক্ষমতার মুঠো কেউ আলগা করতে চান না। অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ হানিফের সময়ে নগরের সেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাজে সমন্বয়ের জন্য স্থানীয় সরকারমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি কমিটি করা হলেও তার ধারাবাহিকতা লক্ষ করা যায়নি। 

এ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনের বিষয়টিও উপেক্ষণীয় নয়। আনিসুল হকের মৃত্যুর পর নির্বাচন কমিশন (ইসি) সেখানে মেয়র পদে উপনির্বাচন ও নতুন ওয়ার্ডগুলোতে নির্বাচনের উদ্যোগ নিয়েছিল। কিন্তু আইনি জটিলতার কারণে সেটি স্থগিত রয়েছে। ইসির উচিত হবে অবিলম্বে এই আইনি জটিলতা কাটিয়ে উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচন নিশ্চিত করা। সংবিধান অনুযায়ী স্থানীয় সরকার সংস্থা পরিচালিত হতে হবে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি দ্বারা। তাহলে ঢাকা উত্তরের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি সিটি করপোরেশনের মেয়র পদ কেন মাসের পর মান শূন্য থাকবে?
  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/মে ১৯, ২০১৮

Development spending to fall short again

The government looks set to fall way short of implementing the development budget yet again, despite repeated assurances by Planning Minister AHM Mustafa Kamal that the full amount would be utilised this fiscal year.

In the first ten months of fiscal 2017-18, 52.42 percent of the allocation for the annual development programme has been used, in contrast to 54.56 percent a year earlier, according to data from the planning ministry's Implementation Monitoring and Evaluation Division.

The total allocation for this fiscal year is Tk 1.58 lakh crore, meaning the ministries and divisions have the herculean task of expending Tk 74,991 crore over the next two months.

Between July last year and April this year, their monthly average spending was Tk 8,260 crore.

The planning minister on Monday told reporters that 90 percent of the development budget was implemented last fiscal year, but this fiscal year the implementation rate would be 100 percent.

“It is absurd to spend such a huge amount in such a short time,” said an official of the planning ministry upon conditions of anonymity to speak candidly on the matter.

In the first ten months of the fiscal year, the government's own fund utilisation was Tk 46,479 crore, which is 48.25 percent of the total outlay. In the same period of last fiscal year, 55.98 percent was spent. On the other hand, foreign fund was spent 61 percent -- or Tk 31,787 crore -- of the total allocation, up from 47.74 percent a year earlier.

Project aid implementation rose as all ministries have strengthened their monitoring system, Kamal said.

The ministries have been communicating with the development partners on a regular basis, which resulted in timely release of finds. Development spending by state-owned enterprises was Tk 4,338 crore, which is 44.08 percent of their allocation.

For fiscal 2017-18, the government had originally set aside Tk 1.64 lakh crore for development spending but later on March 7 revised it down to Tk 1.58 lakh crore.

The government's contribution to the revised ADP remained the same at Tk 96,331 crore.

On the other hand, the project aid was cut by 8.68 percent, or Tk 4,950 crore, to Tk 52,050 crore. The allocation for the state-owned enterprises was trimmed by Tk 1,540 crore, or 14.32 percent, to Tk 9,213 crore.

Of the 15 large ministries and divisions that account for 85.67 percent of the allocation, four managed to spend higher than average amounts in the first ten months of the fiscal year.

The four are: the power division (79.51 percent), the local government division (61.75 percent), science and technology ministry (62.94 percent), and housing and public works ministry (65.81 percent).

The rest spent less than average.

Of those, road transport and highways division spent 51 percent, the energy and mineral resources division 47.21 percent, the railways ministry spent 21.35 percent, primary and mass education ministry 39.74 percent, health service division 40 percent, and bridges division 39.59 percent.

Besides, water resources ministry expended 42.95 percent, secondary and higher education division 47.45 percent, information and communication technology division 36.82 percent and shipping ministry 52 percent.

After the ADP revision in March, the Prime Minister's Office leapfrogged into the list of 15 large ministries.


The PMO's original allocation was Tk 983 crore, but it was revised upwards to Tk 4,124 crore (including block allocation). In the first ten months of the year, 27.45 percent has been spent.

  • Courtesy: The Daily Star/ May 17, 2018