Search

Sunday, June 3, 2018

অগ্রাধিকার আরও ৫ প্রকল্পে গতি নেই

আওয়ামী লীগ সরকারের দুই মেয়াদে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নেওয়া বড় প্রকল্পগুলোর মধ্যে পাঁচটির বাস্তবায়নের হার এখনো নগণ্য পর্যায়ে রয়েছে।
প্রকল্পগুলো হচ্ছে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ স্থাপন এবং চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে কক্সবাজারের রামু হয়ে মিয়ানমারের কাছাকাছি গুনদুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন দ্বৈতগেজ রেলপথ, কক্সবাজারের মহেশখালীতে এলএনজি টার্মিনাল ও সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর এবং পটুয়াখালীতে পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণ।

পদ্মা সেতু রেলসংযোগ

পদ্মা সেতু দিয়ে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, বিশেষ করে খুলনা পর্যন্ত ১৭২ কিলোমিটার রেলপথ নির্মাণ করা হবে। ২০১৬ সালের মে মাসে ৩৪ হাজার ৯৮৯ কোটি টাকা ব্যয়ে পদ্মা সেতু রেলসংযোগ প্রকল্প পাস করা হয়। মূল কাজ শুরু হওয়ার আগেই এই প্রকল্পে খরচ বেড়েছে ৪ হাজার ২৫৮ কোটি টাকা। সংশোধনের পর এই প্রকল্পের ব্যয় দাঁড়িয়েছে ৩৯ হাজার ২৪৬ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এর পাশাপাশি প্রকল্পের মেয়াদ দুই বছর বাড়ানো হয়েছে। গত দুই বছরে এই প্রকল্পে বরাদ্দের মাত্র ২ হাজার ১৯৬ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

রামপাল কয়লাবিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাগেরহাটের রামপাল উপজেলায় নেওয়া হয়েছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সুপার থারমাল পাওয়ার প্রজেক্ট। প্রকল্পটি নেওয়া হয়েছে ২০১০ সালে। ১৫ হাজার ৯১৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পে তিন-চতুর্থাংশের বেশি অর্থ ঋণ হিসেবে দিচ্ছে ভারতীয় এক্সিম ব্যাংক। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে প্রথম পর্যায়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।

পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দর

পায়রা গভীর সমুদ্রবন্দরের অবকাঠামো নির্মাণের জন্য ২০১৫ সালে ৩ হাজার ৩৫০ কোটি টাকার প্রকল্প নেওয়া হয়। আগে নির্মাণ করা অবকাঠামো দিয়ে সীমিত পরিসরে পায়রা বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত ৬১০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে।

মহেশখালী এলএনজি টার্মিনাল

প্রায় ছয় বছর আগে চট্টগ্রামে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস টার্মিনাল বা এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়। এখনো মূল কাজই শুরু হয়নি। নানা দেনদরবারের পর দুই বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের এক্সিলারেট এনার্জি নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে ঠিকাদারি চুক্তি হয়েছে। এই প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫৬ কোটি ডলার।

সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর

কক্সবাজারের সোনাদিয়ায় গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণের জন্য কারিগরি ও অর্থনৈতিক সমীক্ষা শেষ হয়েছে। এটি গভর্নমেন্ট টু গভর্নমেন্ট (জি-টু-জি) পদ্ধতিতে নির্মাণ করা হবে। এ জন্য প্রাথমিকভাবে চীন, ভারত, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কয়েকটি দেশ আগ্রহ দেখিয়েছে। 

  • Courtesy: Prothom Alo/ June 03, 2018

বাজেটের অর্ধেক টাকা যাচ্ছে ভোটারবান্ধব ১০ মন্ত্রণালয়ে

অর্থবছর ২০১৮-১৯


মিজান চৌধুরী 
জাতীয় নির্বাচনের ৬ মাস আগে ঘোষণা হতে যাচ্ছে আগামী অর্থবছরের বাজেট। ফলে ভোটার সম্পৃক্ততা বেশি এমন দশটি মন্ত্রণালয়কে গুরুত্ব দিয়ে সর্বোচ্চ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে।
নতুন বাজেটের সম্ভাব্য ব্যয়ের প্রায় অর্ধেকই রাখা হচ্ছে এ ১০ মন্ত্রণালয়ের জন্য। এবারের বাজেটের আকার ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ লাখ ১৯ হাজার ৩৮১ কোটি টাকাই বরাদ্দ পাচ্ছে জনসম্পৃক্ত ও জাতীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট দশটি মন্ত্রণালয়।

এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে প্রতিরক্ষা খাত। সম্ভাব্য বরাদ্দের পরিমাণ ২৯ হাজার ৪৭ কোটি টাকা। সর্বোচ্চ বরাদ্দের দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ এবং তৃতীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে পাওয়া গেছে এসব তথ্য।

অর্থ বরাদ্দ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সম্প্রতি বলেছেন, বরাদ্দের অগ্রাধিকার তালিকায় আছে স্থানীয় সরকার ও পরিবহন, শিক্ষা ও বিদ্যুৎ খাত। বরাদ্দ ছাড়া বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতকে। তিনি আরও বলেন, আগামী বাজেট নির্বাচনী বাজেট নয়। এটি একটি স্বাভাবিক বাজেট হবে।

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। বাজেটের কাজ প্রায় শেষ। এ বছর বাজেটের মোট ব্যয়ের আকার হবে ৪ লাখ ৬৮ হাজার ২০০ কোটি টাকা। সম্ভাব্য আয় হচ্ছে ৩ লাখ ৪০ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা। ঘাটতি বাজেটের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ লাখ ২৭ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা।

সূত্র জানায়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটের প্রায় ৪৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ১০টি মন্ত্রণালয়কে। তবে এ শীর্ষ দশ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দ পাওয়া শীর্ষ মন্ত্রণালয়গুলোর মিল নেই। কারণ ভোট বা জনগণ তুষ্ট হবেন এমন মন্ত্রণালয়গুলোকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে নতুন বাজেটে। সূত্র মতে, চলতি বছরের তুলনায় ৩ হাজার ৩০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা স্থানীয় সরকার বিভাগের বরাদ্দ বাড়ছে ৪ হাজার ৩৪৯ কোটি টাকা এবং তৃতীয় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে বরাদ্দ বাড়ছে ৪ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা।

শীর্ষ বরাদ্দের দশ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে চতুর্থ অবস্থানে আছে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগ। এ বিভাগে সম্ভাব্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে ২৩ হাজার ৪৭৭ কোটি টাকা। চলতি বছরে বরাদ্দ আছে প্রায় ২৩ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা। নতুন বাজেটে এ বিভাগে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে ৩২৯ কোটি টাকা। এ বছর শিক্ষা বিভাগের মাধ্যমে এমপিও ঘোষণা দেয়া হবে। কারণ এমপিও নিয়ে শিক্ষকরা দীর্ঘদিন আন্দোলন করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্র“তিতে আন্দোলনে বিরতি দিয়ে রাজপথ থেকে শিক্ষকরা ফেরত গেছেন। যে কারণে সরকার বাজেটে এমপিও ঘোষণা দেবে। ফলে নতুন করে এমপিও ঘোষণার কারণে এ খাতে ব্যয় বাড়বে। তবে এমপিও দেয়া হলে এক্ষেত্রে নানা ধরনের শর্ত থাকবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

শীর্ষ বরাদ্দের পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এ বিভাগে আগামী অর্থবছরের বাজেটে সম্ভাব্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে প্রায় ২২ হাজার ৯৩৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে ১৮ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে। ওই হিসাবে বিদ্যুৎ খাতে বেশি বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৪ হাজার ৪২ কোটি টাকা। সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছর পর্যন্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে সরকার সহযোগিতা হিসেবে ঋণ দিয়েছে বাজেটে। পরে তা ফেরত নেয়া হতো। কিন্তু আগামী অর্থবছর থেকে বিদ্যুৎ বিভাগকে ঋণ নয়, দেয়া হবে ভর্তুকি। যে কারণে এ বিভাগের ব্যয় বাড়বে।

এছাড়া শীর্ষ বরাদ্দের ষষ্ঠ তালিকায় আছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আসন্ন বাজেটে এ মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য বরাদ্দের পরিমাণ ২২ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে বরাদ্দের পরিমাণ ২২ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এ হিসাবে বরাদ্দ বাড়ছে ৪৬৫ কোটি টাকা।

এদিকে নির্বাচনের বছরে জননিরাপত্তা বিভাগের ব্যয় স্বাভাবিকভাবেই বাড়বে। এ বিভাগের মাধ্যমে নির্বাচন প্রস্তুতি থাকবে। যে কারণে নতুন বাজেটে জননিরাপত্তা খাতে বরাদ্দ বাড়ছে প্রায় ৩ হাজার ৪২ কোটি টাকা। বরাদ্দের সপ্তম অবস্থানে আছে জননিরাপত্তা বিভাগ। নতুন বাজেটে সম্ভাব্য বরাদ্দের পরিমাণ হচ্ছে প্রায় ২১ হাজার ৩৩১ টাকা। চলতি অর্থবছরে এ খাতে বরাদ্দ আছে প্রায় ১৮ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা।

শীর্ষ বরাদ্দের অষ্টম অবস্থানে আছে স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগ। এ বিভাগে নতুন বাজেটে সম্ভাব্য বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে ১ হাজার ৯৬৩ কোটি টাকা। স্বাস্থ্য ও সেবা বিভাগে সম্ভাব্য বরাদ্দ থাকছে ১৮ হাজার ১৬৬ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরে এ বিভাগে বরাদ্দ আছে ১৬ হাজার ২০৩ কোটি টাকা।

এদিকে বরাদ্দের শীর্ষে নবম অবস্থানে রেলপথ মন্ত্রণালয় থাকলেও আগামী অর্থবছরে এর বরাদ্দ কমছে ১ হাজার ৪৯৭ কোটি টাকা। এটি কমছে চলতি বাজেটের তুলনায়। আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে রেল মন্ত্রণালয়ের সম্ভাব্য বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ১৪ হাজার ৩৩৮ কোটি টাকা। চলতি বাজেটে বরাদ্দ আছে ১৬ হাজার ১৩৫ কোটি টাকা।

জানা গেছে, আগামী বাজেটে কৃষিখাতে ভর্তুকি দেয়া হচ্ছে প্রায় ৯ হাজার কোটি টাকা। ফলে উন্নয়ন ও অনুন্নয়ন ব্যয় মিলে কৃষি মন্ত্রণালয়ে সম্ভাব্য বরাদ্দের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ৯১৫ কোটি টাকা। যা চলতি বাজেটে ১৩ হাজার ৬০৪ কোটি টাকা। এ হিসাবে এ খাতে বরাদ্দ বাড়ছে ৩১১ কোটি টাকা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, বরাদ্দ দেয়া কম ও বেশি নির্ভর করে চলতি বছরের ব্যয়ের সক্ষমতার ওপর। মন্ত্রণালয়গুলোর মধ্যে যেগুলো বরাদ্দ লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী খরচ করতে পারেনি, তাদের আগামী বাজেটে কম টাকা দেয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি টাকা খরচ করেছে বা কাছাকাছি যেতে পেরেছে ওই সব মন্ত্রণালয়ের বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। এছাড়া নতুন কিছু কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে মন্ত্রণালয়ের ব্যয় বাড়বে। এসব হিসাব করেই মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী এমএ মান্নান যুগান্তরকে বলেন, আগামী বাজেটে জনগণ যাতে সন্তুষ্ট থাকে সে ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি এবং বিনিয়োগ বাড়াতে থাকছে পদক্ষেপ। বরাদ্দের ক্ষেত্রে বিগত সময়ে যারা অর্থ ব্যয় ভালোভাবে করতে সক্ষম হয়েছে তাদের বেশি দেয়া হয়েছে।

  • Courtesy: Jugantor /June 03, 2018

সরকারের কাছে যেন একটাই সমাধান, 'বন্দুকযুদ্ধ': সুলতানা কামাল

দেশব্যাপী মাদকবিরোধী অভিযান চলার মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ সমালোচনা করে মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল বলেছেন, বন্দুকযুদ্ধে সরকার সকল সমস্যার সমাধান খুঁজছে। 
শাহবাগে ‘পরিবেশ আন্দোলনকর্মী উত্তম হত্যার বিচার, সড়কপথে পরিবহন নৈরাজ্য ও মানুষ হত্যা বন্ধের দাবিতে’ প্রতিবাদ সভায় সুলতানা কামাল বলেন, ‘সমস্যা সমাধানে সরকারের মনে হয় এই একটিই উপায় আছে। তা হচ্ছে বন্দুকযুদ্ধ। যখন দেশে সুশাসন ও জবাবদিহির চরম অভাব হয়, তখনই এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ জাতি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে।’

গত ২১ মে হেমায়েতপুর বাসস্ট্যান্ডে বাসের ধাক্কার পর ট্রাকচাপায় নিহত হন পরিবেশ আন্দোলনকর্মী উত্তমকুমার দেবনাথ। এর প্রতিবাদে জাতীয় জাদুঘরের সামনে শনিবার সকালে এই সমাবেশের আয়োজন করে ২৪টি নাগরিক সংগঠন। তাতে একের পর এক নৃশংস ঘটনায় মানুষের সংবেদনশীলতার উপর প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন এই মানবাধিকারকর্মী, ‘আমাদের দেশের মানুষের জীবনের কোনো মূল্য নেই, সংবেদনশীলতা ভোঁতা হয়ে গেছে। যারা দেশ পরিচালনা করছেন, এ বিষয়গুলো নিয়ে তাদের ভাবতে হবে। আমরা সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দাঁড়িয়েছি।’

সাম্প্রতিক সময়ে সড়ক দুর্ঘটনার কথা উল্লেখ্য করে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সহ-সভাপতি সুলতানা বলেন,  ‘এ দেশের মানুষ যেখানেই যাচ্ছে, মরিয়া হয়ে ছুটে যাচ্ছে। অন্যকে মাড়িয়ে কেন সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার এ অসুস্থ প্রতিযোগিতা? এর কারণ পুরো সমাজে অনাচার ঢুকে পড়েছে, যার খেসারত দিচ্ছি আমরা সবাই মিলে।’

  • Courtesy: Daily Star Bangla /June 02, 2018

E-governance still a far cry

Muhammad Zahidul Islam


The government had promised to disitalise all of its services to ensure e-governance by 2014 and Finance Minister AMA Muhith also reiterated it on several occasions in the past in his budget speeches.

“We want to establish e-governance by 2014,” Muhith said in his budget speech for 2009-10 when the Awami League-led alliance swept to power nine years ago.

Some progress is visible. But the government has not been able to live up to its promise in establishing e-governance, said researchers and digital business entrepreneurs.

In the country's digital journey, the government has initiated e-tendering and electronic government procurement but failed to automate value-added tax and income tax filing system, said Ahsan H Mansur, executive director of the Policy Research Institute of Bangladesh.

“Still, we are in the initial stage of adopting digital systems for the financial sector. Initiatives have been taken but they lack proper political concentration.”

According to Mansur, the government has updated some of its business processes but still there is huge gap between the expectation and the reality.

HIGH ON PROMISE LOW ON DELIVERY

“The government made very high promises but very few of them have been achieved, especially when it comes to e-governance.”

The former economist of the International Monetary Fund said he would give the government only 30 marks out of 100 for its efforts for digital transformation.

He, however, praised the private sector for successfully introducing mobile financial services and ride-hailing services.

Expectations about digital transformation are particularly high because there are about 8.60 crore active internet connections as of April, according to the Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission.

But these users do not have many things to avail from the connectivity.

The ICT Division said the government has developed 200 e-services and more than 90 percent services will go live by 2021.

Officials said the Access to Information (a2i) programme of the Prime Minister's Office has started training all the government officials on the digital system.

The government has started e-filing systems and introduced digital signature, which has all the potential to boost transparency; but very few ministries have adopted it.

Private firms are successfully providing e-ticketing services but Bangladesh Railway has not achieved that much success in the field.

SCATTERED ATTEMPT

The government has done a lot for digitalisation but most of the work was carried out in a scattered manner, said Mahboob Zaman, managing director of DataSoft Systems Ltd.

For example, the government has implemented some projects in partnership with major international companies, which failed to rope in local partners.

As a result, there was no one to look after the projects when the foreign partners left after completing the projects, said Zaman, also a former president of the Bangladesh Association of Software and Information Services (BASIS).

He advised the government follow “build, operate and transfer” model to reap more benefit from the digital projects.

Zaman cited the setting up of about 5,000 digital union centres as one of the major successes of the government.

DataSoft developed automation systems for the customs department and handed it over to the authorities concerned after running it for five years.

In his budget speech in 2009-10, Muhith had said the government will increase incentives for software industries and promote the use of indigenous software in government and private sectors.

But, the government is still not procuring any local software, said Shameem Ahsan, also a former president of BASIS.

“If local companies had the chance to run government projects, I can guarantee you that incidents like the Bangladesh Bank heist would not have taken place,” said Ahsan, referring to the BB reserve heist in 2016.

LOCAL CO’s NOT ALLOWED

He said many local companies are doing well abroad but they are not allowed to bid for government projects because of stringent conditions, Ahsan said.

DataSoft is now establishing 10,000 smart homes in Tokyo using Internet of Things (IoT) solutions, what can be termed a spectacular leap for Bangladesh's IT industry.

The company is also developing IoT solutions to manage the toll collection for a bridge in the Democratic Republic of Congo.

The young government officials welcome the latest software and ICT services willingly, said Rashad Kabir, managing director of Dream71, which is working in nine countries.

“But the main objections come from the mid- and high-level management, who struggle to understand and use the new software and ICT services.”

Industry insiders said the government has developed 500 mobile applications but most of them are not functional and sometimes they contain backdated information.

The government websites are not updated regularly and people cannot access most of the digital services. They even fail to lodge complaints.

Telecom and ICT Minister Mustafa Jabbar said the government is now at the take-off stage on ensuring e-governance and will fly very shortly.

“It is true that we may have failed to deliver the services to the end-users but we have learned how the services can be delivered. Mindset is also a problem and we are now working on it.”

The minister said the government has rolled out the E-Government Master Plan, under which another 700 services will be digitalised with the help of the a2i programme within a short time.

  • Courtesy: The Daily Star/ June 03, 2018

‘Drug addict’ dies in Panchagarh police custody

An alleged drug addict died of a heart attack in police custody after he was arrested from Baniapara area of Panchagarh early today.
The deceased was identified as Kajol Sheikh Maju, 43, son of Hazrat Ali of New Market area of the town.

A team of Detective Branch of police led by Sub-Inspector Rabiul Islam arrested Maju from the area around 10:30 pm on Saturday along with hemp, said Sudarshan Kumar Roy, assistant superintendent (circle) of police.

Later, Maju complained of chest pain while he was being taken to a mobile court.

He was then rushed to Panchagarh Adhunik Sadar Hospital where he died around 12:30 am, police said.

Dr Zillur Rahman, a physician of emergency department of the hospital, said they are primarily suspecting that Maju died of a heart attack.

  • Courtesy: The Daily Star/ June 03, 2018

Yaba 'Godfathers': Out of Teknaf, into safety

Muntakim Saad and FM Mizanur Rahaman



Cox's Bazar-4 MP Abdur Rahman Bodi, centre, in a selfie with two companions at the Hazrat Shahjalal International Airport early Friday. The lawmaker left for Saudi Arabia to perform Umrah and might be back on June 17, claimed his special assistant Helal Uddin. Photo: Collected

Lawmaker Abdur Rahman Bodi went to Saudi Arabia, his cousin Mong Mong Sen fled to Myanmar, while his other family members whose names appeared in multiple intelligence reports as yaba godfathers left Teknaf, according to locals and law enforcement sources.

The lawmaker's name appeared in intelligence reports of five agencies that also listed several of his relatives and associates, including his brothers Abdul Shukkur and Mujibur Rahman, step brothers Abdul Amin and Faisal Rahman, in-law Shahed Kamal, cousin Kamrul Hasan Russell and nephew Shahedur Rahman Nipu.

Besides, the latest report of Department of Narcotics Control mentioned the Awami League MP from Cox's Bazar-4 as a patron of yaba trade in Ukhia-Teknaf, the gateway of smuggling the crazy drug into Bangladesh.

In the report, Mong Mong Sen, Mujibur Rahman and Abdul Shukkur are named as yaba godfathers with the serial number 5, 6 and 7.

BODI LEADS FROM BEHIND

It reads that Bodi controls yaba trade from behind the scene. Being a lawmaker of the ruling party, he does the business freely along with a significant number of followers.

“It would not be an over statement that other top yaba traders would not dare continue the trade going against his will. And local yaba traders or extortionists would not be able to establish supremacy.”

Especially, the report added, his willingness can play a vital role in bringing an end to yaba smuggling from Myanmar. If an exemplary action is taken against him, other drug traders can try to give up yaba trade in fear.

The Daily Star got a copy of the DNC report last week and its officials said this is the latest one that they prepared on yaba godfathers.

According to an intelligence agency report, there are 120 listed drug traders in Cox's Bazar, and Bodi tops that list as well.

Names of at least 12 drug traders have appeared in each of the five intelligence reports, and they include Bodi's family members, according to sources.   

With all this reports, when law enforcers started the countrywide anti-narcotics crackdown on May 4, all eyes were on Teknaf and Cox's Bazar, particularly on Bodi and his family members.

Since then, around 13,000 people have been arrested, and at least 129 killed in “shootouts” during the drives, but mysteriously Bodi and his family members remain untouched.

Amid this situation, it is learnt that Bodi and his cousin Mong left the country early Friday.

BODI PERFORMING UMRAH

Helal Uddin, special assistant to Bodi, told The Daily Star that the lawmaker and his two school friends Nurul Akter and Gias Uddin left the country around 4:00am on Friday for Saudi Arabia to perform Umrah. A local in Ukhia, Ali Ahmed, also accompanied them.

On May 26, the lawmaker's daughter Samia Rahman and her husband Rana Tajuddin Khan went to Saudi Arabia for the same purpose, he said, adding the lawmaker and his entourage are supposed to return on June 17.

Asked about the whereabouts of Bodi's elder brother Mujibur and other family members, Helal said he is linked only with Bodi and did not know about others.

A top leader of Teknaf Awami League told The Daily Star, wishing not to be named, that Mong fled to Myanmar on Friday around 6:00am on a cargo trawler carrying cattle.

Ranjit Kumar Barua, officer-in-charge of Teknaf Police Station, said they were conducting raids to arrest Mong. “He is absconding.”

Of the several wives of Bodi's father Ezahar Miah, one belonged to Rakhine State of Myanmar. Mong is the nephew of that woman and his father's name is Aung Sen Ta.

Iqbal Hossain, superintendent of police in Cox's Bazar, said it is obvious that the listed drug traders would left the districts. “But we are trying to arrest them,” he added.

Several local Awami League leaders told The Daily Star that they were not seeing Bodi's family members, whose names appeared in the drug traders' list, in the locality.

According to sources, Bodi all along has been ambitious to be a lawmaker, no matter which party is in power the BNP-Jamaat or Awami League.

He sought the BNP ticket in 1996 before the general elections and got it. However, the party high command finally replaced him with Shajahan Chowdhury.

Later, he joined the AL and finally got the party nomination.

Bodi's father Ezahar Miah first joined the BNP. However, during the Ershad regime in the '80s, he was the chairman of Teknaf upazila.

Locals said Bodi followed the footsteps of his father and took part in the political activities of Teknaf upazila BNP. He was involved in smuggling during the BNP rule as well, locals alleged.

HE HELPS ALL DRUG DEALERS

Teknaf upazila AL President Mohammed Ali told The Daily Star, “Local representatives, chairmen, members are involved in drug business and everybody knows that they are blessed by the lawmaker.”

Law enforcers should take immediate steps against them and bring them to book, he added.

Meanwhile, amid anti-narcotics crackdown, some other alleged yaba godfathers in Ukhia-Teknaf also left the areas.

Police and Rab officials say the listed godfathers have gone into hiding due the firm action by the law enforcers in the ongoing anti-narcotics drive across the country.

“The listed godfathers and their associates in Teknaf and Ukhia have fled their houses after law enforcement agencies started the anti-narcotics drive,” Rab-7's Cox's Bazar Company Commander Major Ruhul Amin told this newspaper. 

He said they have a list of the drug traders and their drive would be continued.

Locals of Teknaf municipality area said the outsiders and known drug dealers, who used to roam the area on costly motorbikes and luxury private cars, were not seen in the last few days. Even their houses were locked from outside.

Abdul Aziz, 37, a rickshaw puller in Teknaf municipality area, said, “They [drug dealers] went into hiding after bullet-hit body of Akter Kamal, a distant relative of MP Bodi, was recovered in the ongoing drive.”

According to an intelligence list, there are 52 godfathers and their syndicates in Teknaf that control the smuggling of yaba into the country. Most of them have luxury houses in Teknaf.

For the last two days, one of these correspondents visited Najirpara, of Teknaf Sadar union, where several listed drug dealers reside, to find their current status.

Teknaf OC Ranjit said they have learnt that the listed drug traders fled to Myanmar or other places.

  • Courtesy: The Daily Star /June 03, 2018

STOP extrajudicial killing

10 eminent citizens say in joint statement; UN watching drug purge closely; 2 more killed


“The nation is losing its mental balance …. Life in this country has become valueless.” Sultana Kamal.
Ten eminent citizens yesterday called for an end to extrajudicial killings and urged the government to open a judicial investigation into all incidents of “shootouts”. 

Such deaths are in no way acceptable in a democracy, they said in a joint statement.  

The signatories are Prof Emeritus Anisuzzaman, Hasan Azizul Haque, Ramendu Majumdar, Ataur Rahman, Mamunur Rashid, Nirmalendu Goon, Nasiruddin Yusuf Bachchu, Mofidul Hoque, Golam Quddus and Hasan Arif.

"We are noticing with concern that many people are falling victims to extrajudicial killing every day. The incidents are being termed as deaths in gunfights…. The right to life guaranteed in the constitution cannot be taken away like this,” the statement read.

Chilling information about some individuals killed have been published in the news media as well as social media. No allegations against slain Teknaf Municipal councillor Akram before his death. The municipal mayor has protested his killing, the statement added. 

"His family organised a press conference and provided journalists with [audio clips of] phone conversations that took place before the murder. Which is unthinkable in any democratic country and society. Only one such incident is enough to make the entire anti-drug drive questionable," they added.

The eminent citizens urged that the government unearth the actual facts through a judicial inquiry and make the findings public to dispel the fear in public mind. 

SULTANA ON 'SHOOTOUT'

The government seems to have resorted to “gunfights” as the only option to solve problems, noted rights activist Sultana Kamal said yesterday.

“This situation emerges when a country seriously lacks good governance and accountability. The nation is losing its mental balance,” she said.

Sultana was addressing a rally organised in front of the National Museum at Shahbagh in the capital, demanding punishment of the “killers” of environment activist Uttam Kumar Devnath and an end to the “anarchy” on roads.

Uttam, an organiser of Bangladesh Poribesh Andolon, was killed in a road accident in Savar on May 21. Life in this country has become “valueless”, she said, adding, “Those who are running the state should think about it”.

TWO MORE KILLED

Two more alleged drug peddlers were killed in “gunfights” in Comilla and Cox's Bazar yesterday, taking the tally of people killed in such incidents to 129, amid the countrywide anti-narcotics drive that began 19 days ago.

In Comilla, Saddam Hossain, 36, was killed in a “gunfight” with police in Chauddagram upazila around 2:40am, police said.

Abul Faisal, officer-in-charge of Chauddagram Police Station, said a police team went to Koroibon on information that a gang of drug peddlers had gathered there.

Sensing police presence, the criminals opened fire on the law enforcers, prompting them to retaliate with gunshots triggering the “gunfight”, he claimed. 

Police then found the bullet-riddled body of Saddam on the spot, he said, adding the victim was accused in 12 cases, including 10 related to narcotics.

He also claimed to have recovered 200 bottles of phensedyl and firearms from the scene.

In Cox's Bazar, Shahjahan, who police said was the chief of a criminal gang “Shahjahan Bahini”, was killed in a “gunfight” with his rival group in Chakaria upazila around 1:30am.

Shahjahan, of Baniachhara village in the upazila, was accused in 12 cases, including for murder, rape, and abduction, said Bakhtiar Uddin Chowdhury, officer-in-charge of Chakaria Police Station.

Police recovered Shahjahan's body from the spot and sent it to the Sadar hospital morgue, he claimed.

They also claimed to have recovered 400 yaba pills, a firearm and two rounds of cartridge from the spot.

UNODC CONCERNED

The United Nations Office on Drugs and Crime (UNODC) has urged all member states to adhere to their commitments to promote balanced, human rights-based approaches to drug control, in line with the three international drug control conventions and the outcome document of the United Nations General Assembly special session on the world drug problem.

In response to media and civil society enquiries regarding reports from Bangladesh on anti-drug operations that have allegedly resulted in dozens of deaths, the UNODC in a statement yesterday said, “It is closely following developments in the situation.”

“We stand ready to engage with all countries to help bring criminals to justice with the appropriate legal safeguards, in line with international standards and norms, and to promote evidence-based prevention, treatment, rehabilitation and reintegration,” the UNODC said. 

  • Courtesy: The Daily Star/ June 3, 2018

কৃষকের ধানের দাম নেই, চালের ঘাটতি ১০ লাখের বিপরীতে আমদানি ৮২ লাখ টন!

  • ধানের ভালো ফলনের পরও কৃষকের মুখে হাসি নেই।
  • শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমদানি করা চাল বাজারে।
  • বাম্পার ফলনের পরও কৃষকের স্বার্থে আমদানি শুল্ক বহাল হয়নি।
  • প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা চাল আমদানিতে নেমেছেন।
  • কৃষকের ধানের দাম কম হওয়া সত্ত্বেও বিক্রি হচ্ছে না।


সরকারি হিসাবে গত বছরের বন্যায় বড়জোর ১০ লাখ টন চালের উৎপাদন কম হয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে সব মিলিয়ে ৩৭ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে। আমদানির প্রক্রিয়ায় রয়েছে আরও ৪৫ লাখ টন। আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার ও ব্যাংকঋণের সুবিধা নিয়ে প্রভাবশালী ব্যবসায়ীরা মূলত ওই চাল আমদানি করছেন। 

ওই বিপুল পরিমাণ চাল আমদানির ফলে বিপদে পড়েছেন দেশের প্রায় এক কোটি বোরো চাষি। গত বছর বন্যা ও ধানে চিটার বিপদ এই বছর ছিল না। তবে উপকরণের দাম বেড়ে যাওয়ায় তাঁদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। কিন্তু আমদানি করা চাল বাজার দখলে রাখায় বোরো চাষিরা হাটে-বাজারে ধান বেচতে করতে পারছেন না। চালকল মালিকেরা ধান না কেনায় দাম গেছে পড়ে, ফলে অনেক জেলায় উৎপাদন খরচের চেয়ে কম দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে কৃষকদের। 

অন্যদিকে গত বছর ফসল মার খেলেও ধানের দাম ছিল বেশি। ফলে এ বছর কৃষক গত বছরের ক্ষতি পোষাতে বেশি বিনিয়োগ করে ও বেশি জমিতে বোরো ধান করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিবিষয়ক সংস্থা ইউএসডিএর গত সপ্তাহে প্রকাশিত বিশ্বের ফসলের উৎপাদনবিষয়ক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এবার এর আগের বছরের তুলনায় রেকর্ড পরিমাণে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি ধান উৎপাদিত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এক লাখ হেক্টর বেশি জমিতে এবার ধানের চাষ হয়েছে, যা বিশ্বের মোট চালের উৎপাদনকে রেকর্ড পরিমাণে বাড়িয়ে দেবে। 

গত বছরের মে মাসের শেষের দিকে প্রতি মণ ধান বিক্রি হয়েছিল ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়। এবার তা ৬০০-৮৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। উৎপাদন ব্যয় মণপ্রতি ৮৯৬ টাকা। ধানের দাম কম হলেও চাল প্রতি কেজি ৪২ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বিক্রি হওয়া এই চালের বেশির ভাগই ভারত থেকে আমদানি করা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, বোরো ধান ওঠার এই সময়ে চাল আমদানির ওপর নিয়ন্ত্রণ আনলে ভালো হতো। তিনি বলেন, ‘চালের আমদানি শুল্ক নির্ধারণের ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য মন্ত্রণালয় দায়িত্বপ্রাপ্ত। আমাদের কাছে এ ব্যাপারে মতামত চাইলে অবশ্যই আমরা তিন-চার মাসের জন্য আমদানি শুল্ক আরোপ করার পক্ষে মত দেব।’ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হিসাবে সারা দেশে যেখানে গড়ে মোট দারিদ্র্যের পরিমাণ কমছে, সেখানে দেশের উত্তরাঞ্চলের চার জেলায় দারিদ্র্যের পরিমাণ বাড়ছে। এর কারণ হিসেবে দেশের অর্থনীতিবিদ ও স্থানীয় কৃষকেরাও মনে করছেন, মূলত ফসলের দাম না পাওয়া ওই দারিদ্র্য বৃদ্ধির অন্যতম কারণ। 

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাবে এ বছর ১ কোটি ৯০ লাখ টন ধান উৎপাদিত হবে। এরই মধ্যে ৬৫ শতাংশ ধান কাটা হয়ে গেছে। উপকরণ খরচ বেড়ে যাওয়ায় এ বছর প্রতি কেজি ধানে ২ টাকা ও চালে ৫ টাকা বাড়তি খরচ হয়েছে কৃষকের। গত বছর ফসল মার খাওয়ার পর এ বছর তাঁরা ধানের পেছনে বাড়তি বিনিয়োগ করেছেন। তাঁরা আশায় ছিলেন ভালো ফলন ও দাম পাবেন।

সরকার ৩৮ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন চাল কেনার ঘোষণাও দিয়েছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে ইতিমধ্যে লক্ষ্যমাত্রার ৯২ হাজার টন চাল সরকারি গুদামে ঢুকেছে। আগে থেকে সেখানে ছিল আরও নয় লাখ টন চাল। ফলে মজুত নিয়ে সরকারের দুশ্চিন্তা নেই। কিন্তু গোলার ধান হাটে বিক্রি করা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন প্রায় এক কোটি বোরো চাষি।

দেশে কৃষকের ধানের দাম এত কম হওয়া সত্ত্বেও কেন তা বিক্রি হচ্ছে না—জানতে দেশের কয়েকজন শীর্ষ চালকল মালিক ও ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রথম আলোর কথা হয়। তাঁরা জানান, চাল কেনার জন্য প্রতিবছর তাঁরা ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। গত বছর সরকার চালের আমদানি শুল্ক ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্যের কোঠায় নিয়ে আসে। এর পরপরই চাল ব্যবসায়ীরা আমদানির জন্য বিপুল পরিমাণে ঋণ তুলেছেন। তাই বোরো ধান কাটার এই সময়ে চালকল মালিকেরা প্রয়োজনীয় ঋণ পাচ্ছেন না। ফলে তাঁরা ধান কেনা শুরু করেননি।

সাধারণভাবে দেশের চাল আমদানির ব্যবসায় খুলনা, যশোরের নোয়াপাড়া, সাতক্ষীরা ও নওগাঁর কিছু ব্যবসায়ী যুক্ত ছিলেন। কিন্তু আমদানি শুল্ক প্রত্যাহারের পর দেশের শীর্ষস্থানীয় ও প্রভাবশালী ১০ থেকে ১২টি শিল্প-ব্যবসায়িক গোষ্ঠী চাল আমদানিতে নামে। এই খাতে তারা ব্যাংক থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণও নেয়।

এ ব্যাপারে দেশের চালকল মালিকদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ অটো, মেজর ও হাসকিং চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ কে এম লায়েক আলী প্রথম আলোকে বলেন, চালকল মালিকেরা ধান কেনার জন্য সাধারণত ব্যাংক থেকে ঋণ নেন। এ বছর এমনিতেই সুদের হার বেড়ে গেছে। আবার এখন ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে ঋণ পাওয়াও যাচ্ছে না। ফলে অনেক চালকলের কাছে ধান কেনার মতো অর্থ নেই। আর অনেক ব্যবসায়ী ও চালকল মালিক ভারত থেকে কম দামে চাল এনে বাজারে ছেড়েছেন। অনেকের গুদামে বিপুল পরিমাণ আমদানি হওয়া চাল রয়ে গেছে। এগুলোর প্রভাবে ধানের দাম বাড়ছে না। তবে সরকারি গুদামে চাল সরবরাহের যে লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, তা চালকল মালিকেরা পূরণ করবেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।

ভারতে গত আমন ও বোরোতে অতিরিক্ত উৎপাদন হওয়ায় চালের দাম প্রতি কেজি ৪৫ টাকা থেকে কমে ৩৫ টাকা হয়েছে। ফলে সেখান থেকে চাল আমদানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। কিন্তু থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় চালের কেজি এখনো ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় রয়ে গেছে।

এ ব্যাপারে বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদ প্রথম আলোকে বলেন, গত বছরের মে মাসে অস্বাভাবিক বন্যায় ফসল নষ্ট হওয়ার পর সরকার যৌক্তিকভাবেই চালের আমদানি শুল্ক ২৭ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনে। কিন্তু আমনে ভালো ফলন হওয়ার পর সরকারের উচিত ছিল বোরোর আগে কৃষক যাতে ভালো দাম পান, সে জন্য শুল্ক আবার বসানো।

চাল আমদানিতে আবার শুল্ক আরোপ না করার কারণ হিসেবে ‘আমদানি লবির’ প্রভাব থাকতে পারে উল্লেখ করে কে এ এস মুর্শিদ বলেন, গত বছর প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফসল নষ্ট হওয়ার পর এ বছর যদি কৃষক ধানের দাম না পান, তাহলে তা দেশের কৃষি অর্থনীতির জন্য দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলবে।
  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/ জুন ২,২০১৮ 

রাজউকে ঘুষ না দিয়ে প্ল্যান পাসে ১০ বছর লাগবে

রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে ঘুষ না দিয়ে ভবনের নকশা পাস করা যায় না বলে অভিযোগ করেছেন সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ।


কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, রাজউকের অপর নাম দুর্ভোগের জায়গা। সেখানে ঘুষ না দিয়ে একটি ভবনের প্ল্যান পাস করাতে ১০ বছর লাগবে। সংস্থাটির কোন ফ্লোরে কত ঘুষ দিতে হয়, সেটি নির্দিষ্ট করা আছে। রাজউক হচ্ছে লুটপাটের খনি।
রাজধানীর শাহবাগে ঢাকা ক্লাবের স্যামসন এইচ চৌধুরী সেন্টারে আজ শনিবার রিহ্যাব ও সেন্টার ফর কমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের (সিসিএন) যৌথ আয়োজনে জাতীয় অর্থনীতিতে আবাসন খাত শীর্ষক গোলটেবিল আলোচনায় সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ এসব কথা বলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

সরকারি দপ্তরে জমি রেজিস্ট্রেশন বা নিবন্ধন করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হতে হয় বলে মন্তব্য করেন ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘জমি রেজিস্ট্রেশনের মতো বিড়ম্বনা আর নেই। রেজিস্ট্রি অফিসে গিয়ে আপনি যদি মিনিমাম আধা কেজি ঘাম না ঝরাইতে পারেন, তাহলে আপনার রেজিস্ট্রেশন হবে না। রেজিস্ট্রার স্যার একবার রুমে যাবেন, চা খাবেন, কখন আসবেন, কখন যাবেন—ওনার প্রতীক্ষায় বসে থাকতে হবে। আর না হলে আপনি যদি খুব পয়সাটয়সা খরচ করেন, মানে কমিশন দেন, তাহলেও তারিখের জন্য বসে থাকতে হবে।’

দীর্ঘদিন ধরেই আবাসন খাতে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ বা কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ দাবি করে আসছে রিহ্যাব। সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে সুর মিলিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘আমি মনে করি, বাংলাদেশে বিনা প্রশ্নে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের ধারা ফিরিয়ে আনা উচিত। না হলে টাকা কোনো দিন ধরে রাখতে পারবেন না। পানির স্রোতের মতো টাকা চলে যাবে যেখানে সুযোগ আছে। সেই টাকা আটকে রাখার ক্ষমতা কোনো আইনের নেই। তাই বারবার বলছি, সেই টাকা শিল্পে বিনিয়োগ হোক। আবাসন খাতে বিনিয়োগ হোক।’

গোলটেবিল আলোচনায় রিহ্যাবের নেতাসহ অন্য বক্তারা ফ্ল্যাট নিবন্ধন ব্যয় ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা, নিম্নমধ্য আয়ের মানুষকে স্বল্প সুদে আবাসন ঋণ দিতে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল গঠন, ব্যাংকঋণের সুদের হার এক অঙ্কের ঘরে নামিয়ে আনা, রাজউকের হয়রানি বন্ধ করার আহ্বান জানান।

রিহ্যাব সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের বাজেটে গৃহায়ণ খাতে ৩৬ হাজার ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণ টাকাই সরকারি কর্মকর্তাদের আবাসনের জন্য। একটা টাকাও সাধারণ মানুষের জন্য ছিল না। অতীতেও সাধারণ মানুষের আবাসন মানুষের জন্য বাজেটে কোনো বরাদ্দ ছিল না।’ তিনি আরও বলেন, আবাসন প্রতিষ্ঠান ব্যাংক খাত থেকে কোনো সহযোগিতা পায় না। ঋণ পায় না। ক্রেতারা পান। কিন্তু পাঁচ বছরের গৃহায়ণ ঋণ হতে পারে না। ২০ থেকে ২৫ বছরের গৃহায়ণ ঋণ হতে হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ রিহ্যাবের বিভিন্ন দাবিদাওয়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে তুলে ধরার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগে ব্যবসায়ীদের দাবির সঙ্গেও একমত পোষণ করেন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংক খাত নিয়ে আমাদের আরও সতর্ক ও যত্নবান হতে হবে। ব্যাংকে টাকা জমা রেখে চেক দিয়ে যদি টাকা তুলতে সমস্যায় পড়তে হয়, তাহলে হবে না। ইসলামী ব্যাংক নামকরা ব্যাংক ছিল। কিন্তু অল্প টাকা আনতে গেলেও কষ্ট হয়। সব ব্যাংক নয়, অল্প কিছু ব্যাংকে সমস্যা।

গোলটেবিল আলোচনায় মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন আইনজীবী তাসমিয়াহ নুহিয়া আহমেদ। সঞ্চালনা করেন জিল্লুর রহমান। আরও বক্তব্য দেন সাংসদ ও রিহ্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নূরুন্নবী চৌধুরী, সাংসদ নূরজাহান বেগম, রিহ্যাবের সহসভাপতি লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, বারভিডার সভাপতি হাবিব উল্লাহ, বিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শাহেদুল ইসলাম হেলাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক রাশেদ আল মাহমুদ, আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান প্রমুখ।
  • কার্টেসিঃ প্রথম আলো/ জুন ৩,২০১৮ 

Bangladesh accused of using drugs war to hide political assassinations


By Ben Farmer,  Susannah Savage and  Nicola Smith 

 

When Habibur Rahman last month joined scores gunned down by Bangladesh’s elite paramilitary anti-crime taskforce, officers told a vivid tale of how he had met his end.

The alleged drug dealer had been killed in a gunfight with officers, they said, after he and his associates were cornered in their hideout and fired on police first.

Such shootouts with the police Rapid Action Battalion are daily occurrences after the government launched a deadly crackdown on the drugs trade which has drawn comparisons with President Roderigo Duterte’s similarly violent purge in the Philippines.

More than 120 people have been killed in just over a fortnight and thousands arrested in what the country says is a campaign to stem the trade of addictive stimulant pills known as yaba flowing to Bangladesh’s addicts.

But as the death toll soars there are growing allegations the campaign is a cover for a wave of extrajudicial killings and political intimidation ahead of a general election later this year.

Critics have accused the government of locking up, killing or intimidating political opponents as under the guise of a war on drugs CREDIT: REHMAN ASAD/BARCROFT IMAGES


Mr Rahman’s family told The Telegraph that far from being killed in a shootout in his drug hideout, the 42-year-old activist for the main opposition party was last seen being accompanied from his local mosque in Chittagong by men thought to be plain clothes officers.

One close relative who declined to be named in fear of retaliation said: “[He] was taken after he came out from the mosque. He was killed in custody.

“He was neither a drug seller nor a drug addict. It was because he was involved in politics against the government and protested about land affairs.”

The scale of the bloodshed and reports of summary executions have led the American embassy to voice worries over the killing.

"Of course I express concern about the number of people dying," Marcia Bernicat, the US ambassador, said this week. "Everyone in a democracy has a right to due process.

"Everyone in a democracy has a right to due process. If there is a violent confrontation people may not survive that, but the goal should be zero tolerance, the goal should be to try and bring everyone to justice," she said.

Bangladesh has an estimated seven million drug addicts, with up to four-fifths addicted to yaba which streams across the border from labs in Burma, also known as Myanmar.

Activists have called the drug war campaign illegal, accusing police of acting as judge, jury and executioner CREDIT: REHMAN ASAD/BARCROFT IMAGES

Prime Minister Sheikh Hasina, who launched the crackdown in early May, said it would continue until Bangladesh was free of the drug menace and she said no drug "godfathers" would be spared.
"No innocent people are being harassed or targeted, but if any such incidents happen it will be addressed through proper investigation," she said.

Asaduzzaman Khan, the interior minister, dismissed suggestions of wrongdoing. "These aren't extra-judicial killings. Our forces are bound to use arms only to save themselves," Mr Khan said.

Yet in a country where the lucrative drugs trade is entwined with politics and police corruption, the crackdown may be providing the opportunity for officers to intimidate rivals, settle scores and silence those who know too much, sources told The Telegraph.

As well as the dead, more than 9,000 people have been arrested and more than 7,000 criminal prosecutions brought in mobile courts with little due process.

Jyotirmoy Baru, a lawyer at Bangladesh’s supreme court, said the campaign was illegal, with police apparently acting as judge, jury and executioner.

He said the campaign had little to do with stopping drugs because the trade was so vast. Instead it was likely to be intimidation ahead of a general election pencilled in for the end of the year, he said.

He said: “Even as the election approaches, there will be more killing in the name of the war on terror and all the other excuses the government uses to kill people.”

A tide of methamphetamine, much of it from Burma, is this year sweeping through swathes of Asia.

Malaysia last week made its largest ever seizure of crystal methamphetamine, with customs officials saying they had found close to 1.2 tonnes disguised in golden yellow tea packets in a shipment from Burma.

Indonesia and Thailand have also made record seizures since the start of the year.

The market for the drug is expanding at a frightening rate, despite harsh penalties in many Asian nations and an ongoing war against drugs in the Philippines which has seen thousands of suspected users and dealers gunned down in cold blood.

Burma has emerged as the source of most of South East Asia’s meth, which is mostly produced in lawless border regions that are difficult to police.