Search

Thursday, June 7, 2018

ইবির নিয়োগ পরীক্ষায় ছাত্রলীগের নকল!

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিয়োগ পরীক্ষায় নকলসহ ধরা পড়েছে শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী। বুধবার আইসিটি সেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে সর্বমহলে অভিযোগ উঠেছে। তবে নকলসহ ধরা পড়লেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।

সূত্র মতে, সম্প্রতি সব ধরনের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে প্রশাসন। বুধবার আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক/হার্ডওয়ার টেকনিশিয়ান এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স রুমে পরীক্ষা শুরু হয়।

পরীক্ষা চলাকালে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের একান্ত কর্মী আলমগীর হোসেন আলো চিরকুটসহ হাতেনাতে ধরা পড়ে। পরীক্ষা কমিটির সদস্য ও কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন তার থেকে উত্তর লেখা চিরকুট জব্দ করেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে তারা নকল করে পরীক্ষা দিয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে বিভিন্ন মহলের সন্দেহ মাড়িয়ে এবার ফাঁস হলো সেই প্রশ্ন। তা না হলে নকল নিয়ে কেউ পরীক্ষা দেবার কথা না। এদিকে ৩০ নম্বরের ওই লিখিত পরীক্ষায় নকলসহ ধরা পড়লেও তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়। পরে উত্তরপত্র মূল্যায়ন শেষে আলমগীর হোসেন পাস করে। একই সাথে সে ভাইভা বোর্ডেও অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। নকল করেও ভাইভা দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে।

নকল বিষয়ে ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, নকলের বিষয়টি প্রশাসনকে জনানো হয়েছে। তারা এর যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’ এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, সাজেশন, বইপত্র না থাকলেও নকল করা মানে নিশ্চয়ই প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে। এটা খবুই দু:খজনক। প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। 

  • কার্টসি — mzamin.com
  • লিঙ্ক — https://bit.ly/2LuA3F3


Wednesday, June 6, 2018

১০ শতাংশ সাংসদ এক বছরে কোনো কথাই বলেননি!

  • জাতীয় সংসদের মোট সদস্য ৩৫০
  • এক বছরে কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নেননি ৩৬ সাংসদ
  • ৪ জন বিরোধী দলের, ২ জন স্বতন্ত্র, ৩০ জন সরকারি দলের।
  • ৩৬ জনের মধ্যে ১৮ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত
  • আরও ৩১ জন প্রশ্নোত্তর বা ৭১ বিধি ছাড়া অন্য আলোচনায় অংশ নেননি 


জাতীয় সংসদের ৩৫০ জন সদস্যের মধ্যে অন্তত ৬৭ জন সদস্য সংসদীয় কার্যক্রমে অনেকটা নিষ্ক্রিয়। এর মধ্যে ৩৬ জন সাংসদ (১০ শতাংশ) গত এক বছরে সংসদ অধিবেশনে কোনো ধরনের আলোচনায় অংশ নেননি।

আইন প্রণয়নের কাজে অংশ নেওয়ার ক্ষেত্রেও সাংসদদের আগ্রহে ঘাটতি আছে। গত বছর মন্ত্রীরা ছাড়া ঘুরেফিরে মাত্র নয়জন সদস্য আইন প্রণয়নের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। বাকিরা দায়িত্ব শেষ করেছেন ‘হ্যাঁ-না’ ভোট দিয়ে।

২০১৭ সালের জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদের পাঁচটি (১৪ তম থেকে ১৮ তম) অধিবেশনের কার্যপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

২০১৭ সালের সংসদ অধিবেশন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণায় (পার্লামেন্ট ওয়াচ) দেখা গেছে, এই পাঁচটি অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা, বাজেট আলোচনা, মন্ত্রীদের প্রশ্নোত্তর, প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্নোত্তর, ১৪৭ বিধিতে সাধারণ আলোচনা, পয়েন্ট অব অর্ডারে অনির্ধারিত আলোচনা, ৭১ ও ৭১-ক বিধিতে জনগুরুত্বপূর্ণ নোটিশ, সিদ্ধান্ত প্রস্তাব, আইন প্রণয়ন-কোনো পর্বেই কথা বলেননি ৩৬ জন সাংসদ। তবে তাঁরা সংসদে উপস্থিত ছিলেন।

৬৭ জনের মধ্যে ৩১ জন সদস্য কোনো না-কোনো পর্যায়ে প্রশ্নোত্তর ও ৭১ বিধিতে আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। যে ৩৬ জন কোনো আলোচনায় অংশ নেননি তাঁদের মধ্যে চারজন বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সদস্য। দুজন স্বতন্ত্র সাংসদ। বাকি ৩০ জন সরকারি দলের।

বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চারজন হলেন এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ, লিয়াকত হোসেন ও সেলিম ওসমান।

শরিফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গত বছর সংসদে তিনি কোনো কথা বলেননি-এই তথ্য সঠিক নয়। তিনি কবে কথা বলেছেন, তা মনে আছে কি না, জানতে চাইলে জিন্নাহ বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি তা মনে করতে পারছেন না।

গত বছর সংসদে নিষ্ক্রিয় ছিলেন দুই স্বতন্ত্র সাংসদ হাজি মো. সেলিম ও রাজী মোহাম্মদ ফখরুল। তবে এই সংসদের শুরু থেকে সরকার-বিরোধিতায় বেশ সোচ্চার ছিলেন হাজি সেলিম। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ।

সরকারি দলের সদস্যদের মধ্যে যাঁরা নিষ্ক্রিয় ছিলেন তাঁরা হলেন ইকবালুর রহিম, আবু সালেহ মোহাম্মদ সাইদ, আবদুল ওদুদ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩), মো. আবদুল ওয়াদুদ (রাজশাহী-৫), আবদুল কুদ্দুস, হাসিবুর রহমান, আবদুর রউফ, সোলায়মান হক জোয়ার্দার, রণজিত কুমার রায়, মোজাম্মেল হোসেন, মন্নুজান সুফিয়ান, খন্দকার আসাদুজ্জামান, ইফতেখার উদ্দিন তালুকদার, রেবেকা মোমিন, রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, নাজমুল হাসান, এ এম নাঈমুর রহমান, সাবের হোসেন চৌধুরী, আসলামুল হক, সিমিন হোসেন, রাজিউদ্দিন আহমেদ, নাহিম রাজ্জাক, নূর-ই-আলম চৌধুরী, ফয়জুর রহমান, এইচ এম ইব্রাহিম, মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরী, এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, নারী সাংসদ হেপী বড়াল, অ্যাডভোকেট মমতাজ বেগম ও ফাতেমা তুজ্জহুরা।

তবে সংসদে আলোচনায় অংশ না নিলেও এই তালিকায় থাকা নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাবের হোসেন চৌধুরী, রেবেকা মোমিন ও এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীসহ কয়েকজনকে সংসদীয় কমিটিতে সক্রিয় দেখা গেছে।

জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ প্রথম আলোকে বলেন, সবাইকে কথা বলতেই হবে, এমন নয়। তবে সবাই কোনো না-কোনোভাবে ভূমিকা রাখেন। অধিবেশনের বাইরে সংসদীয় কমিটিতে সদস্যরা আলোচনা করেন। অনেকে এলাকার বিষয়ে মন্ত্রীদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন। গত বছর কারা কারা আলোচনায় অংশ নেননি, তা তাঁর ‘নলেজে’ নেই।

সাংসদদের কেউ কেউ দাবি করেছেন, তাঁরা বিভিন্ন সময় আলোচনায় অংশ নিয়েছেন। হাসিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এই তথ্য সঠিক নয়। তিনি রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, এলাকার রাস্তাঘাটসহ বিভিন্ন বিষয়ে সংসদে কথা বলেছেন। প্রতিটি অধিবেশনেই তিনি দু-চারটি প্রশ্ন করে থাকেন।

নাটোর-৪ আসনের সাংসদ আবদুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর কথা না বলার কারণ সংসদ নেতা ও স্পিকার জানেন। এ বিষয়ে তিনি কিছু বলতে চান না। তবে সর্বশেষ অধিবেশনে সভাপতিমণ্ডলীর (স্পিকার/ডেপুটি স্পিকারের অনুপস্থিতিতে অধিবেশনে সভাপতিত্ব করার জন্য নির্ধারণ করা তালিকা) একজন ছিলেন তিনি।

গত বছরের অধিবেশনগুলোর কার্যপ্রবাহ বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, ২০১৭ সালের প্রথম অধিবেশনে কার্যদিবস ছিল ৩২ টি। রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন ২৩১ জন। ওই অধিবেশনে ২৫ মার্চকে গণহত্যা দিবস ঘোষণা নিয়ে ১৪৭ বিধির আলোচনায় অংশ নেন ৫৬ জন। ২৪ কার্যদিবসের বাজেট অধিবেশনে বাজেট আলোচনায় অংশ নেন ২০৭ জন।

২০১৭ সালের চতুর্থ অধিবেশনে (চলতি সংসদের ১৭ তম অধিবেশন) রোহিঙ্গাদের ফেরাতে আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো কূটনৈতিক চাপ প্রয়োগের আহ্বান জানাতে আনা প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নেন ১৬ জন। একই অধিবেশনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী মামলার রায়ে পর্যবেক্ষণ বাতিল করতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আনা প্রস্তাবের আলোচনায় ১৮ জন অংশ নেন।

পঞ্চম অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেসকোর মেমোরি অব দ্য ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় ধন্যবাদ জানিয়ে আনা প্রস্তাবের ওপর আলোচনা করেন ৫৮ জন সাংসদ।

এর বাইরে প্রায় প্রতিদিন ছিল প্রশ্নোত্তর, জরুরি জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মনোযোগ আকর্ষণ, অনির্ধারিত আলোচনা, সপ্তাহে একটি বেসরকারি সিদ্ধান্ত প্রস্তাব এবং আইন প্রণয়ন কার্যাবলি।

২০১৭ সালে দশম জাতীয় সংসদের পাঁচটি অধিবেশনে ২৪টি আইন পাস হয়। এর মধ্যে বাজেট-সংশ্লিষ্ট তিনটি বাদে ২১টি আইন পাসের প্রক্রিয়া বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঘুরেফিরে মাত্র নয়জন সদস্য বিভিন্ন ধরনের নোটিশ দিয়ে বিলের ওপর আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে দুজন স্বতন্ত্র সাংসদ, অন্যরা বিরোধী দলের সদস্য। সরকারি দলের কোনো সদস্য নোটিশ দেননি। এই নয়জন ছাড়া অন্যরা বিভিন্ন পর্যায়ে একাধিকবার ‘হ্যাঁ-না’ ভোট দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেছেন।

সংসদ বিষয়ে বিশ্লেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিজাম উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশের সংসদে আইন প্রণয়নের ক্ষেত্রে সরকারি দলের সদস্যদের কথা বলার সুযোগ থাকে না বললেই চলে। আর বর্তমান সংসদে কার্যকর বিরোধী দল না থাকায় প্রাণবন্ত বিতর্ক নেই। এখন সরকারের প্রশংসা করা আর সংসদের বাইরে বিএনপিকে নিন্দা করা হয়ে গেছে মূল কাজ। তবে সব পার্লামেন্টেই সদস্যদের একটি অংশ নিষ্ক্রিয় থাকে বলে জানান ওই অধ্যাপক।

টিআইবির গবেষণায় দেখা গেছে, অনির্ধারিত আলোচনায় ১০ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে সরকার ও সরকারপ্রধানের জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা করে। আর ২৬ শতাংশ সময় ব্যয় হয়েছে সংসদের বাইরে থাকা রাজনৈতিক দল, গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন ও সুশীল সমাজের সমালোচনায়।
  • প্রথম আলো/ জুন ৬,২০১৮ 

ব্যাংকের জন্য করের টাকা অযৌক্তিক

একের পর এক আর্থিক কেলেঙ্কারি ও ক্রমবর্ধমান খেলাপি ঋণের কারণে বড় ধরনের মূলধন ঘাটতিতে পড়েছে সরকারি ব্যাংকগুলো। এসব ব্যাংক টিকিয়ে রাখতে ফের সাধারণ মানুষের করের ২,০০০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়ার কথা বিবেচনা করছে সরকার। আসন্ন বাজেটে এই বরাদ্দ থাকছে বলে সোমবার সচিবালয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ অবস্থায় জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান না নিয়ে রাষ্ট্রীয় কোষাগার থেকে ব্যাংকগুলোকে মূলধন সরবরাহের সরকারি নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতিবিদরা। তাদের মতে, এভাবে অর্থ দিলে ব্যাংকিং খাত নিয়ে গ্রাহকদের অনাস্থা আরো চরম পর্যায়ে পৌঁছাবে। এ ছাড়া এসব ব্যাংকের উন্নতির পরিবর্তে সরকারের প্রতি নির্ভরতাও বেড়ে যাবে।

আর সেটাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পাশাপাশি বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতির বোঝাও এখন সরকারকে বইতে হচ্ছে। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক গবেষণায় বলা হয়, ২০০৮-০৯ থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত ক্রমবর্ধমান রাজস্ব আয় থেকে সরকার গড়ে ১০.৮ শতাংশ অর্থ দিয়েছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মূলধন জোগানে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণে বারবার জনগণের টাকা দেয়া মানে হলো লুটপাটকে সমর্থন দেয়া। যেটা অযৌক্তিক। আর এতে দুর্নীতি আরো উৎসাহিত হয়। তিনি বলেন, ব্যাংকের মূল কাজ জনগণ থেকে আমানত নিয়ে উৎপাদনশীল শিল্পে বিতরণ করা। সেটা তারা করছে না। এছাড়া ব্যাংক খাত তদারক ও নিয়ন্ত্রণ করতে  পারছে না বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক সচেতন থাকলে এরকম পরিস্থিতি তৈরি হতো না বলে তিনি মন্তব্য করেন। 

চলতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে সংসদে অর্থমন্ত্রী জানান, ২০০৫-০৬ অর্থবছর থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলকে সরকার মূলধন সহায়তা হিসেবে ১০,২৭২ কোটি টাকা দিয়েছে। জানা গেছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি পূরণের জন্য সরকার ১৫ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে। চলতি অর্থবছরে ব্যাংকগুলোকে দেয়ার জন্য দুই হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ ছিল, যদিও তা এখনো ছাড় হয়নি। ছাড় হবে ৭ই জুন বাজেট ঘোষণার পর। 

গত বাজেট বিবৃতি বিশ্লেষণে দেখা যায়, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রতি বছর মূলধন বাবদ ব্যাংকগুলোকে টাকা দিতে হয়েছে। ২০০৯-১০ থেকে ২০১৬-১৭ অর্থবছর পর্যন্ত ৮ বছরে দেয়া হয়েছে ১৪ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১১-১২ অর্থবছরে ৩৪১ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলেও তা ছাড় করা হয়নি। পরের অর্থ বছর ১ হাজার ৬৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখলেও দেয়া হয় ৫৪১ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে বাজেটে বরাদ্দ ছিল ৪২০ কোটি টাকা। কিন্তু ওই বছর ব্যাংকগুলোকে দেয়া হয় পাঁচ হাজার কোটি টাকা। পরের ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকার নিজেই পাঁচ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখে, কিন্তু ওই টাকায়ও কুলোয়নি। ওই বছর ব্যাংকগুলোকে দিতে হয় ৫ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। 

এভাবে বছরের পর বছর অর্থ দেয়ার পরও গত বছরের ডিসেম্বরে ব্যাংকগুলোর মূলধন সংকট দাঁড়ায় প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকা। এর এক বছর আগে মূলধন সংকটের পরিমাণ ছিল ১৩,৮১৯ কোটি টাকা। সোমবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, ব্যাংকগুলোর জন্য আগামী অর্থবছরেও বরাদ্দ রাখা হচ্ছে। তবে কত রাখা হয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি। 

উল্লেখ্য, ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে সোনালী ব্যাংকে হল-মার্ক কেলেঙ্কারিতে ২,৬০০ কোটি টাকা, বেসিক ব্যাংক কেলেঙ্কারিতে ৪,৫০০ কোটি টাকা এবং জনতা ব্যাংকে বিসমিল্লাহ গ্রুপ কেলেঙ্কারিতে ১,২০০ কোটি টাকা আত্মসাতের ঘটনা ঘটেছে। সিপিডির গবেষণা মতে, সম্পদ ঘাটতির বাংলাদেশে রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোকে যেভাবে টাকা দেয়া হচ্ছে, তা দেয়া না হলে শিক্ষা, স্বাস্থ্য তথা সামাজিক খাতে টাকাগুলো খরচ করা যেত। এতে দেশও অনেক বেশি উপকৃত হতো।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা এবি মীর্জ্জা আজিজুল ইসলাম মনে করেন, ব্যাংক খাতে সুশাসনের ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় ঋণ দেয়ায় অনিয়ম হচ্ছে। খেলাপি ঋণ আদায় হচ্ছে না। ব্যাংকগুলো মূলধন ঘাটতিতে পড়ছে। ফলে সরকারি কোষাগার থেকে ব্যাংকগুলোকে প্রতিবছর টাকা দিতে হচ্ছে। সরকারি খাতের ব্যাংকগুলোর পাশাপাশি বেসরকারি ব্যাংকের খেলাপিঋণও অতিমাত্রায় রয়েছে। তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ব্যাংকিং খাতে সাধারণ জনগণের অনাস্থা তৈরি হবে। 

জানা গেছে, ব্যাংকগুলোকে অর্থ মন্ত্রণালয় টাকা দেয়ার সময় প্রতিবারই বলে দিচ্ছে যে খেলাপি ঋণ আদায়ে তাদের মনোযোগী হতে হবে। বাস্তবে খেলাপি ঋণ আরো বাড়ছে। এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তি ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নিয়ে আর শোধ করছেন না। আর এ বড় ঋণখেলাপির কারণে সামগ্রিকভাবে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পাহাড় জমে গেছে। গত এক দশকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ চার গুণ বেড়েছে। আর মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে গত মার্চ শেষে খেলাপি ঋণ ১৪ হাজার ২৮৬ কোটি টাকা বেড়ে হয়েছে ৮৮ হাজার ৫৮৯ কোটি টাকা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য মতে, ব্যাংকগুলোর মূলধন ঘাটতি বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, সোনালী, জনতা, রূপালী, বেসিক, কৃষি ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৪৪০ কোটি টাকা। অথচ তার আগের তিন মাস আগে অর্থাৎ গত সেপ্টেম্বরেই এই ঘাটতি ছিল ১৫ হাজার ৯০৯ কোটি টাকা। তিন মাসে মূলধন ঘাটতি বেড়েছে ১ হাজার ৫৩১ কোটি টাকা। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, রাজনৈতিক বিবেচনায় বড় ঋণখেলাপিদের আইনের আওতায় না আনা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের দুর্বল ব্যবস্থাপনার করণে ঋণখেলাপি বেড়েছে। ফলে হলমার্ক, বিসমিল্লাহ, বেসিক ব্যাংকসহ বড় বড় ঋণকেলেঙ্কারির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঋণ আর পরিশোধ না করায় তা খেলাপিতে পরিণত হচ্ছে। আর খেলাপি ঋণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকের বিনিয়োগ সক্ষমতাও কমে যাচ্ছে।

এদিকে সম্প্রতি রিহ্যাব আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ব্যাংকিং খাতের দুরবস্থা নিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ জানান, ব্যাংক খাত নিয়ে আমাদের আরো  সতর্ক ও যত্নবান হতে হবে। ব্যাংকে টাকা জমা রেখে চেক দিয়ে যদি টাকা তুলতে সমস্যায় পড়তে হয়, তাহলে হবে না। ইসলামী ব্যাংক নামকরা ব্যাংক ছিল। কিন্তু অল্প টাকা আনতে গেলেও কষ্ট হয়। সব ব্যাংক নয়, অল্প কিছু ব্যাংকে সমস্যা। তিনি বলেন, ব্যাংকিং খাত একটি স্পর্শকাতর জায়গা। এখানে যদি কোনো কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহলে দেশে যতই উন্নয়নের কথা বলি না, আমাদের ক্ষতি হবে। 
  • Courtesy: Manabzamin/ June 06,2018

বাংলাদেশের গণতন্ত্র ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু

স্টিভ সিমা 

মিয়ানমারে নৃশংসতার শিকার হয়ে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে চলমান এক মানবিক সংকট। এই সংকট নিয়ে লড়াই করার কারণে বাংলাদেশের দিকে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকৃষ্ট হয়েছে। আন্তর্জাতিক সংগঠন ও অন্যান্য দেশ এই সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা দিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা দেশের ভেতর ক্রমবর্ধমান অকার্যকর গণতন্ত্রের দিকে নজর দিচ্ছে কমই। বাংলাদেশ একটি ঐতিহাসিক বহুদলীয় রাজনৈতিক সংস্কৃতির দেশ।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে গণতন্ত্র উল্লেখযোগ্যভাবে দুর্বল হয়েছে। নির্বাচনের পথে প্রবেশ করেছে এ দেশ। নতুন মেরুকৃত বহুদলীয় প্রতিযোগিতা ও একদলীয় শাসনের মধ্যে এই নির্বাচন হতে পারে একটি ‘টিপিং পয়েন্ট’। একই সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকটের দিকে যেমন নজর দেয়া উচিত আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের, ঠিক তেমনইভাবে বাংলাদেশের অবনমনশীল গণতান্ত্রিক চরিত্রের বিষয়েও চাপ দেয়া উচিত। 

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি মানবাধিকার বিষয়ক রিপোর্ট দিয়েছে। এতে দেখা যায়, ২০০৮ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ অব্যাহতভাবে কঠোর থেকে কঠোরতর রাজনৈতিক কৌশল অবলম্বন করেছেন। মিডিয়ার ওপর আক্রমণ চালিয়ে, বিচার বিভাগে প্রাধান্য বিস্তার করে এবং বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের জেলে ঢুকানোর মতো নিষ্পেষণমূলক পদক্ষেপ নিয়ে সমালোচকদের কণ্ঠ স্তব্ধ করে দিচ্ছে আওয়ামী লীগ এমন অভিযোগ আছে দলটির বিরুদ্ধে। ২০১৩-২০১৪র নির্বাচন বর্জনের মধ্য দিয়ে ব্যাপক আকারে সহিংসতার আশ্রয় নিয়েছে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি এবং এই সহিংসতায় অনেক মানুষ নিহত হয়েছেন। 

রাজনৈতিক এই বৈরিতার ফলে নির্বাচনে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতাকে খর্ব করা হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের জেল দেয়া হয়েছে। একে রাজনৈতিক বলে দাবি করছে বিএনপি। দেশের সংবিধান অনুযায়ী কোনো ব্যক্তি যদি দুই বছরের বেশি কারাদণ্ড পেয়ে থাকেন তাহলে তিনি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অযোগ্য। সেই হিসেবে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের বাইরে রাখাও হতে পারে। এর ফলে ২০১৯ সালের জানুয়ারির আগেই যে নির্বাচন হওয়ার কথা তা বর্জন করতে পারে বিএনপি, যেমনটা তারা পাঁচ বছর আগে করেছিল। 

এর বাইরেও বাংলাদেশের গণতন্ত্রে আরো অনেক চাপ রয়েছে। এগুলো হলো দুর্নীতি, দুর্বল শাসন ব্যবস্থা, দারিদ্র্য, জনসংখ্যাতত্ত্ব, পরিবেশগত বিপর্যয় ও ইসলামপন্থি উগ্রবাদ। ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) পরিচালিত এক জনমত জরিপ অনুযায়ী, দেশে অর্থনৈতিক অগ্রগতি সত্ত্বেও কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি বাংলাদেশিরা।

দেশটির নাগরিকরা অভিযোগ করছেন যে, সেখানে উচ্চ মাত্রায় বেকারত্ব, পণ্যমূল্য বৃদ্ধিসহ আরো নানা রকম অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তারা বলছেন, ঘুষ ও অন্যান্য দুর্নীতির কারণে চাকরি পাওয়া, আইনের শাসন পাওয়া, স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া, শিক্ষা ও সরকারি অন্যন্য পণ্য পাওয়ার সুযোগ সীমিত। 

উপরন্তু ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রয়েছে নাজুক অবস্থায়। বিশেষ করে বাংলাদেশি নারীরা বসবাস করছেন যৌন হয়রানির এক আশঙ্কা নিয়ে, যার বিচার পাওয়া দুরূহ। নাগরিকদের মূল ক্ষোভ রয়েছে দুর্নীতি, রাজনৈতিক সহিংসতা ও অস্বচ্ছ নির্বাচন নিয়ে। নিজ দেশের গণতন্ত্রের মান, রাজনৈতিক দলগুলো নিয়ে তাদের নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি থাকলেও বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্রকে একটি ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখে থাকেন। 

আসন্ন নির্বাচনকে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য, অধিকতর কার্যকর, দায়িত্বশীল হওয়া, প্রতিক্রিয়াশীল সরকার ও বিরোধী দল হওয়ার জন্য একটি সুযোগ হিসেবে নিতে পারে। এটা করতে হলে দলগুলোকে তাদের অগ্রাধিকার ঠিক করতে হবে এবং গড়ে তুলতে হবে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক গণতন্ত্র তাদের সহায়তা করতে পারে। ডেমোক্রেসি অ্যাসিসট্যান্ট হলো একটি আন্তর্জাতিক উন্নয়নমূলক উদ্যোগ। এখান থেকে রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করা অন্য নতুন গণতন্ত্রপন্থিদের জন্য এবং গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রামরতদের জন্য সহায়তা দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে এমন কিছু সংগঠনের মধ্যে অন্যতম হলো আইআরআই। তারা বছরের পর বছর গণতান্ত্রিক সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এই উদ্যোগগুলো একবার এখানে দেখে নেয়া যেতে পারে। যেমন: 

ফলপ্রসূ রাজনৈতিক আলোচনার ক্ষেত্র সৃষ্টি করা: ২০১৭ সালে আইআরআই এর চালানো এক জরিপ অনুযায়ী, শতকরা ৬৬ ভাগ বাংলাদেশি চান আওয়ামী লীগ অন্য দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করুক। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা গড়ে তোলার জন্য বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে সংলাপ আয়োজন করতে থাকে আইআরআই। সেখানে রাজনৈতিক মূল বিষয় ও নিরাপত্তামূলক ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে শত্রুতাপূর্ণ সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও দলের সিনিয়র পর্যায়ের নেতারা এমন বৈঠককে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে সমর্থন করেছিলেন। 

পক্ষপাতহীন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুবকদের সংযুক্ত করুন: আগামী বছরে আইআরআই তরুণ, যুবকদের মধ্যে রাজনৈতিক সংলাপমূলক কর্মসূচি বিস্তৃত করবে। এক্ষেত্রে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সেমিনার আয়োজন করবে। সেখানে পক্ষপাতহীন রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড ও গঠনমূলক ক্যারিয়ার নিয়ে আলোচনা করা হবে। যুবকদের উদ্বুদ্ধ করা হবে। 

নির্বাচনী কর্মকাণ্ডের সততায় সমর্থন: গত নির্বাচনগুলোর সময়ে আন্তর্জাতিক নির্বাচন পর্যবেক্ষক, প্রশিক্ষক, গণতান্ত্রিক নির্বাচনে পর্যবেক্ষকদের সমর্থনসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সহযোগিতা দিয়ে এসেছে। আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষকরা পর্যবেক্ষণে নির্বাচনে প্রতারণা বা সহিংসতার বিষয়ে ধরা পড়ে। 

নাগরিক সমাজ ও মিডিয়ার সক্ষমতা বাড়ানো: অতীতে নাগরিক সমাজ ও মিডিয়ার সঙ্গে কাজ করেছে আইআরআই। তাদেরকে শক্তিশালী করা হয়েছে নজরদারি করতে। জনগণকে রাজনৈতিক সচেতনতা ও নির্বাচনে দুর্নীতি সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। 

রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা গড়ে তুলতে হবে: একটি অকার্যকর অথবা দলীয় নিরাপত্তা খাত এবং নির্বাচন কমিশন নির্বাচন নিয়ে আস্থাকে খর্ব করতে পারেন। নির্বাচনী সহিংসতা ছড়িয়ে দিতে পারেন। এসব প্রতিষ্ঠানের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজ করতে পারেন আন্তর্জাতিক অ্যাক্টররা। প্রশিক্ষিণ দিতে পারেন। সর্বোচ্চ সেবা দেয়ার জন্য পরামর্শ দিতে পারেন। 

সর্বোতভাবে দেশের অবনমনশীল গণতন্ত্রকে মেরামত করতে পারেন বাংলাদেশিরা নিজেরাই। নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস আগে শুধু আন্তর্জাতিক দাতারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষিত এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে বদলে দিতে পারেন না। কিন্তু যদি যথাযথভাবে টার্গেট করা হয় এবং অর্থায়ন হয় তাহলে তারা নাগরিক, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গুরুতর ইস্যু নিয়ে বিতর্কের আয়োজন করতে পারে, যা দেশের ওপর প্রভাব ফেলবে। এটা হবে অগ্রগতিমূলক।  

(বাংলাদেশ অ্যান্ড শ্রীলঙ্কা অ্যান্ড জিওফ্রে ম্যাকডোনাল্ড-এর আবাসিক প্রোগ্রাম পরিচালক স্টিভ সিমা। ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউটের গণতন্ত্র ও সুশাসন বিষয়ক প্রিন্সিপাল গবেষকও তিনি। গতকাল অনলাইন কাউন্সিল অন ফরেন রিলেশন-এ প্রকাশিত তার লেখার অনুবাদ) 

  • Courtesy: Manabzamin /June 06, 2018

Of Akram, accountability, Joseph and justice

BANGLADESH'S ANTI-DRUG WAR


C R Abrar

The government of Bangladesh has declared a war on narcotics. It has proclaimed its intent to uproot the scourge of drugs from the land. “None will be spared”, came the stern warning from the authorities. Rapid Action Battalion, the elite law enforcement agency (LEA), swung into action from the first day of the holy month of Ramadan. Other agencies, including the police, were not to be left behind. They shored up the drive. All were imbibed with the spirit to cleanse the society of the evil. In this election year perhaps the purge became a handy tool to garner popular support for the ruling party. 

Claims have been made that general masses in Bangladesh, like their counterparts in Colombia, Philippines and Thailand during such drives, welcomed the move. After all, many were victims or likely victims of the drug menace. All want a respite.

The cleansing campaign has been on full steam for almost three weeks. Evidence of perceived success has not been difficult to come by. Over a 17-day period, 127 alleged drug peddlers have been liquidated. Official sources inform thousands of suspected peddlers have been detained, tens of thousands of yaba tablets and huge amount of cannabis have been seized and scores of lethal weapons including firearms with ammunition have been recovered.

MOUNTING SHOOTOUTS

Since the commencement of the operation time and again bigwigs in the government including the Minister for Home Affairs insisted that the drive was yielding results and reaffirmed it will continue. The actions of the LEAs in dealing with the drug threat have secured almost unqualified endorsement of the political leadership. Buoyed by such approval the incidents of death in situations of what in official parlance has been dubbed as “shootouts” and “encounters” continue to mount.

In contrast, rights activists, discerning observers and a section of foreign diplomats posted in Bangladesh, view such deaths as “extrajudicial killings”, a term fervidly rejected by the officials. The latter maintain, in prosecuting this war members of LEAs act within the bounds of the law, some even got injured. They admit, however, only in a few instances “collateral damages” might have been sustained, a small price the nation should be prepared to pay for the greater good, they argue. For the latter, attempts to draw analogy with the drive against the drug dealers in Duterte's Philippines is not only unfortunate, it's preposterous.

Like many other societies drug abuse is a major concern in Bangladesh. For long citizens have been demanding decisive action to address the problem. There has been a general acknowledgement that loopholes in the existing criminal justice system create opportunities for the wrong-doers to evade justice. Such conditions of distrust on the prevailing system both among the citizens and members of the law enforcement agencies prompt them to opt for quick fixes.

“Shootouts” or “encounters” is one such method. The infamous “Operation Clean heart” under the BNP government has been the apt precursor of such quick-fix solution. Observers have noted that the current round of alleged extrajudicial killings constitute “the bloodiest anti-crime drive with death tolls already surpassing that of the Operation Clean Heart (57 deaths) or even the anti-militant drive after the Gulshan attack (80 deaths)”.

UNPALATABLE QUESTIONS

Bangladesh's war on narcotics has given rise to a number of unpalatable questions. Narratives of official handouts and advisories issued in the aftermath of the alleged “encounters” or “shootouts” claim that the victims get killed or succumb to injuries sustained when shootouts break out between their accomplices and members of LEAs as they (the victims) direct the latter to their secret hideouts and caches of drugs or arms, usually in the early hours of the morning. The narrative clearly establishes the fact that the victims were in custody of LEAs and thus their personal safety and security lay with the concerned agencies. If they are indeed taken to such hideouts, is not ensuring adequate security an imperative for the protection of members of LEAs as well as the alleged criminals? Do not the fanfare with which anti-narcotics drives are launched actually compromise their effectiveness as it forewarns the targeted individuals of impending action?

Concerns have also been expressed regarding the efficacy of such drives. So far, the campaign has largely netted low level peddlers. The bigwigs of drug trade and their patrons in the political quarters, civil administration and LEAs have remained unscathed. Police sources have claimed that a list of names of 554 drug dealers were prepared as early as 2012. The revised list compiled in 2014 included 1,200 names. Question has been raised despite the existence of such lists what precluded the LEAs in taking action against the alleged dealers for so long?

Media reports inform that names of influential members engaged in narcotics trade disappear from such lists when they go for clearance to the ministry of home affairs. One such recent list painstakingly prepared by agencies not only had the names of dealers but also the details of errant political party leaders, including two members of parliament of the ruling party, and police officers. Does not such discriminatory decision to drop the names of powerful persons dampen the spirit of those who take risk and put in much effort in preparing such lists? Does not the public have the right to know on what grounds names of the influential persons get deleted?

Press reports on the drug war further inform that a section of law enforcers have engaged in extortion by instilling fear among people. In two instances in Comilla and Gazipur, families of victims have claimed that their loved ones were killed in “gunfights” even after they had paid extortion money to the police. Mistaken identity had resulted in the death of an innocent man in Chittagong while family members of an alleged drug dealer in Netrokona reported that his involvement in political activism was the principal reason for his death in a staged shootout.

AKRAM’S SENSATIONAL CASE

In a sensational case on June 1, 2018 wife of Akramul Huq, councillor of Teknaf upazilla, claimed that her husband was murdered in cold blood as a result of political vendetta. Asserting it was a premeditated murder at a press conference she presented audio recordings of phone conversations that point the fingers to a LEA. The case has created a furore in social media. Rights activists maintain the incident only vindicated their prediction that innocent lives are bound to be lost in dispensation of such illegal summary justice.

During the course of the anti-narcotics drive time and again citizens were told that law is applicable to all irrespective of their social standing. However, at a time when such iron fisted policy of zero-tolerance on drug front was being pursued, on May 31, 2018 Dhaka dailies carried the story of presidential clemency to a notorious convicted criminal Tofayel Ahmed Joseph, a former leader of the student wing of the ruling party. He subsequently joined the infamous Subrata Bain's gang known as Seven Star, exerted his power on the city and became one of the top criminals of the country. Joseph was sentenced to death by the High Court for murder of a political leader. On appeal the Supreme Court commuted the sentence to life term.

Press reports inform that the process of Joseph's release apparently began on March 31. In contrast to keeping him in a cabin in the second floor of the Dhaka Medical College Hospital where criminals with ailments are kept, Joseph was admitted to the 9th floor of the new building of the DMCH. “It has been done to free him secretly and to dodge the law enforcement and intelligence agencies,” a source was quoted by The Daily Star seeking anonymity. Joseph was accused in 10 other cases of extortion and possession of illegal firearms.

DON’T THEY HAVE RIGHT TO DEFEND?

Even if allegations of drug peddling against the victims of alleged extrajudicial killings were true, the fact remains under the law of the land that the individuals concerned had the right to defend themselves in the court of law. The statements of senior functionaries of the state and those of LEAs convey the message that as alleged peddlers are engaged in a nefarious trade they forfeit the right to seek protection of the law. Clearly such a position by responsible members of the government betrays their serious disregard of the law.

As heinous a crime drug peddling is, it does not accord the LEAs any authority to act arbitrarily beyond the purview of the law. The constitution of the republic and the country's international commitment oblige them to deal with the problem only within the limits of the law. Cardinal among those are presumption of innocence until proven guilty and the right to access due procedure.

A challenge was thrown to critics of the drug war to furnish evidence whether so far any innocent person became a victim of the ongoing drive. Suffice it to say that the law of the land accords the judiciary the sole authority to determine if anyone is guilty of a crime. Until an accused is pronounced guilty by such a competent authority the law deems him innocent. One hopes in prosecuting this war on drugs the executive branch respects this time-tested tenet.

CR Abrar teaches international relations at the University of Dhaka.

  • Courtesy: The Daily Star/ June 6, 2018

EXTRAJUDICIAL KILLINGS — Time to break the silence

Ali Riaz
Since the government launched the so-called “anti-drug drive” in early May, akin to the Philippines' “war on drugs”, more than one hundred people have been subjected to extrajudicial killings. Although the number and pace of these killings, described by the government as “gunfight”, have been staggering, extrajudicial killing is not a new phenomenon in Bangladesh. It has become a familiar tool of government for more than a decade. 

The number of people killed in 2016 stood at 156; in the year before, at least 178 people lost their lives at the hands of law enforcing agencies. All along, the members of the ruling party and law enforcing agencies rejected these allegations.

STAGE MANAGED

This time around, an audio recording of an AL leader's last-minute conversations with his family over telephone before being killed by the Rapid Action Battalion has engendered emotional reactions across the country and emerged as unambiguous evidence of what was already known to many for years—that most of these crossfires/encounters/gunfights, whether against the militants, opposition activists or petty criminals, were staged.

It is in this context that the Secretary General of the ruling party, Obaidul Quader, made the comment that “one or two 'mistakes' may happen during such drives”. This comment, however callous it may sound, is regrettably too familiar. This government and its predecessors, since 2004, never acknowledged these incidents as extrajudicial killings, let alone take responsibility.

There is no dearth of reminding the incumbent of what it said prior to coming to power. In March 2005, a newsletter of then-opposition Awami League, in the context of the establishment of the Rapid Action Battalion (RAB) by its arch-rival the BNP and the operations of the RAB, read, “These forces have been given so much power and authority that they have blatantly disregarded constitutional provisions, human rights laws as well as court law. 

Almost every day they are catching people on different false charges, and are brutally murdering them, covering it by calling it 'crossfire deaths'. The victims are not tried or given any opportunity for self-defence.” Additionally, many have pointed to the promise made in the 2008 election manifesto: “Extrajudicial killings will be stopped.” But none of this has deterred the ruling party from legitimising these extrajudicial killings over the years.

CUTLTURE OF IMMUNITY

The culture of impunity has continued as the ruling party has increasingly become more reliant on the force as the principal mode of governance and authoritarianism has become the defining feature of the current system. The rhetoric and actions of the ruling party have emboldened those who are blatantly disregarding the fundamental rights enshrined in the constitution and engaged in wanton killings. The government not only describes these victims as “drug dealers” but implicitly argues that as a menace to society, these citizens are not worthy of due process. Their words and attitudes have, essentially, acted as an indemnification of these acts.

The leaders of the ruling party and members of the government, by engaging members of law enforcement agencies in these acts, have ostensibly disregarded the court of the land. We may recall that the High Court, in a verdict in September 2016 regarding indemnification of the members of the law enforcing agencies, reminded us the very foundation of the rule of law: “no one is above law, and everybody is subject to law.” The observation was made while delivering the verdict on the writ petition regarding the “Joint Drive Indemnity Act, 2003.”

 The Indemnity Act was passed by the parliament after engaging members of the army and law enforcement agencies in a security operation called “Operation Clean Heart”, an operation akin to the current anti-drug drive. 

The operation was conducted under the BNP-led government from October 16, 2002 to January 9, 2003. On February 24, 2003, the government enacted the “Joint Drive Indemnity Act, 2003” providing indemnity to all joint forces' actions. The then government claimed that the operation was necessary for recovering illegal weapons and restoring law and order. At least 57 people died in custody and hundreds were injured by torture during the operation, while the government claimed that only 12 died of “heart attack” in hospitals after being handed over to police.

HC VERDICT BEING VIOLATED

The High Court, in its full verdict released in January 2017, said: “Even a hardcore criminal has the right to be tried in the competent Court of law for his alleged perpetration of crimes. He cannot be physically annihilated or killed by the members of the joint forces for his alleged crimes.” 

The verdict also maintained that the law-enforcing agencies or the joint forces cannot take the law into their own hands and by doing so, they have infringed the relevant provisions of the Constitution. The court not only pointed to the criminal liabilities of the individuals but stated unequivocally that “the State cannot shy away from its responsibility for the illegal and unconstitutional actions of the public functionaries” (Dhaka Tribune, January 3, 2017). Understandably, the ruling party leaders cheered the verdict.

The disregard for fundamental rights, the constitution and the court by the government is deeply disturbing, but in the absence of an accountable political environment, limited democratic space and a heightened role of law enforcement agencies, it appears to have become the “new normal”. What is frightening is the normalisation of extrajudicial killings and rationalisation of these unlawful acts by supporters of the government. 

The highly polarised political environment, fear of being ostracised, of being labelled as unpatriotic and of being vilified have precluded members of the civil society to speak out against extrajudicial killings for long, particularly when political activists of the opposition parties became victims or when it was adopted as a strategy to quash militancy.

The passionate reactions to the killings of the AL leader, a welcome development, appear to be mostly about the “incident” rather than questioning the strategy of extrajudicial killings. The silence, which has increasingly turned into a social paralysis, is enabling the continuation of the phenomenon. It is time to break the silence and confront the phenomenon, rather than reacting to one incident at a time. 

Ali Riaz is a distinguished professor of political science at the Illinois State University, USA.

  • Courtesy: The Daily Star /June 06, 2018

Call for justice getting louder

Cox's Bazar Jubo League discusses Akram killing with home boss; Teknaf AL to hold emergency meet today; 4 more killed as drug purge on.
Two top leaders of Cox's Bazar Jubo League met Home Minister Asaduzzaman Khan last night and informed him that they knew Akramul Haque for 12-13 years but never found anything that proved his involvement in drug trade.

“Akram was not that solvent. He also never appeared to be a drug dealer,” Sohel Ahmed Bahadur, president of the unit, told The Daily Star after the meeting.

Bahadur and the unit's General Secretary Shahidul Haque held a meeting with the minister at the latter's Dhanmondi residence for about 20 minutes from 9:00pm.

Bahadur said they requested the home boss to launch a fair investigation into the killing of Akramul, a former leader of Jubo League, the youth wing of ruling Awami League.

EXEMPLARY PUNISHMENT DEMANDED

They also demanded exemplary punishment to anyone, if found guilty in the probe.

In response, Asaduzzaman said an investigation into the incident had already begun and action would be taken as per the probe report, Bahadur said.

The Jubo League leaders also requested the minister to take action against those who published false and fabricated news against Akram portraying him as a drug dealer and an owner of vast properties.

A news report mentioned that Akramul had a number of cars and houses, Bahadur said. “But we met Akramul's family members and we did not find anything like that.”

The two leaders also sought assistance from the state for the family of Akramul.

On Thursday, Akramul's wife Ayesha Begum alleged during a press conference at Cox's Bazar Press Club that her husband was murdered in cold blood. She gave journalists four audio clips in support of her claim.

Rab, however, claimed he was killed in “gunfight” between the force and drug traders on May 27.

Amid huge outcry on social media over Akramul's death, the government decided to investigate the incident. The home minister on Monday talked to Ayesha but it could not be confirmed what he said to her.

Officials from the Prime Ministers' Office also communicated with the family, sources in the family said.

Meanwhile, Teknaf Awami League leaders said an emergency meeting of its executive committee will be held today to discuss the killing of Akram and decide the unit's next course of action over the matter.

The AL unit will also urge the prime minister and the home boss to launch an investigation to find out whether local MP Abdur Rahman Bodi played any role in the killing, they added.

MORE 'SHOOTOUTS' 

Four more people were killed in three districts yesterday as the nationwide anti-narcotics drive continues.

Two alleged drug traders were killed in a “gunfight” between drug traders and police in Rangpur and Bogra while two bodies with deep injury marks were recovered from the Brahmaputra River in Mymensingh, police claimed.

The Daily Star could not verify the claims.

With the four, at least 136 alleged drug traders have been killed in the drive in the last 21 days. Most of them died in so-called shootouts involving Rab and police.

There was no incident of death in “shootout” on Monday.

In Rangpur, Shahjahan Hossain alias Dabirul, 50, was killed in a “gunfight” with police in Kaunia upazila around 3:30am, our Dinajpur correspondent reported quoting Saiful Islam, additional superintendent of Rangpur police (Circle A).

Shahjahan, son of Sohrab Hossain of the upazila, was accused in 10 cases, police said. The law enforcers claimed to have recovered 126 yaba pills, 173 Phensedyl bottles, a pistol and a bullet from the spot.

In Bogra, Liton alias Riten, 32, was killed in a “gunfight” with detectives in the town's Matidali area.

Police claimed they recovered 200 yaba tablets and two machetes from the scene, our Bogra correspondent reported quoting Officer-In-Charge of Detective Branch (DB) in the district Nure-Alam Siddiquee.

Police claimed Liton was accused in five drug cases.

LITON’S WIFE CONTRADICTED

Liton's wife Rasheda Khatun, however, said her husband was a drug addict and used to sell drugs three years ago. He stopped taking drugs a couple of months ago and started working as a helper of a truck driver recently, she claimed.

“He gave up everything. So why did police kill him?” she asked.

The two killed in Mymensingh were identified as Munna Mia, 22, and Idris Ali, 50, both hailing from Mymensingh town's Purahitpara area.

Locals found the bodies floating in the Brahmaputra River around 11:00am. On information, police recovered the bodies, said Khandaker Shaker Ahmed, inspector (investigation) of Kotwali Police Station.

Munna was accused in around 12 cases, including nine related to narcotics, while Idris in eight cases, he claimed.

They might have been killed in “clashes” between drug peddlers and their bodies were dumped into the river, he added.

Idris used to take drugs and he was admitted to a rehabilitation centre in the town's Mashkanda area 20 days ago, said Siddiqur Rahman, his younger brother.

“We were informed from the centre early Saturday that plainclothes men, identifying themselves as detectives, took away Idris, a father of three, from the centre. He had been traceless since then,” said Saiddiqur.

Munna, who was also admitted to the centre, was taken away from there early Saturday, his family members claimed.

Sumaiya, younger sister of Munna, said her brother used to run a garment shop in the town's Station Road area and he had quit drugs around five years ago. 

“We were in fear as many people are getting killed in the ongoing drive. And for this, we had admitted him at the centre to save him. But he had failed,” she said.

FAMILIES DEMANDED INVESTIGATION

Family members of both the deceased demanded proper investigation into the deaths.

This correspondent visited the centre for comments but none of the officials there agreed to talk. A youth, without disclosing his name, just gave a visiting card of the centre's chairman Alimun Raziun Rajib, who could not be reached.

Contacted, Ashiqur Rahman, officer-in-charge of DB of police in Mymensingh, denied the allegations.

Besides, two more alleged drug traders Lutfar Rahman and Alauddin Mia were injured during two separate “gunfights” between drug peddlers in Hakimpur and Sadar upazila in Dinajpur early yesterday, police claimed.

They were being treated at M Abdur Rahim Medical College Hospital in the district.

Meanwhile, a murder case was filed yesterday, days after bullet-hit body of alleged drug dealer Azad Kha was recovered in Alalpur area of Faridpur.

The law enforcers filed the case using the name of the family of Azad and kept it in the dark, the family members alleged.

Azad, 45, was allegedly picked up by plainclothes men on Friday night, and his body was recovered on Monday morning, claimed the family members.

However, AFM Nasim, officer-in-charge of Faridpur Sadar Police Station, said, “Rive Begum, wife of Azad Kha, filed the murder case against some unidentified men with Sadar Police Station on Monday night.”

  • Courtesy: The Daily Star /June 06, 2018


Padma bridge cost to rise again

With Tk 1,400cr latest increase, total cost will be Tk 30,193cr



The cost of the much-hyped Padma Bridge project is going to increase again as the government has to spend more to acquire additional land, taking the total project cost to Tk 30,193 crore.

The Bridges Division, the implementing authority of the project, recently sent a proposal to the planning ministry to acquire 1,163 hectares of land at a cost of Tk 1,400 core, said planning ministry officials.

The proposal may be placed before the next meeting of Executive Committee of National Economic Council (ECNEC), they added.

As per the last revision in January 2016, total project cost was Tk 28,793 crore.

According to officials, the proposal for acquiring more land will be approved as a single project. The increased amount will be added to the total cost of the project when the entire Padma Bridge project will go through revision.

Sources said the road transport and bridges ministry sent a DO (demand order) letter to the planning ministry on April 9, detailing the revision proposal.

As per the letter, around 212 crore cubic feet dredging spoil has to be dumped due to river training along the bank of the Padma. The char area of the river is suitable for disposing of the spoil in an environment-friendly way.

Although chars were picked as a suitable place for dumping when the design of the bridge was prepared, the cost of the char land was not included in DPP considering the land as khas land, the DO letter reads.

The district administration later declared the land as private property and that is why it has to be acquired. Besides, the Padma witnessed erosion on the Mawa side while new chars formed on the Jajira side.

As per the last revision in 2016, the authorities had decided to acquire 1,530 hectares for Tk 1,299 crore. The latest proposal says a total of 2,693 hectares will be acquired at a cost of 2,699 crore.

According to the Bridges Division proposal, a feasibility study on the project was conducted with assistance from JICA during 2003 to 2005. The original cost was estimated in 2007 on the basis of the study. However, it did not include the cost of railway lines on the bridge.

With financing from Asian Development Bank, the work on a detailed design of the bridge had started in 2009. Based on that, the project cost was revised at the end of 2010.

The cost almost doubled to Tk 20,507 crore when the first revision was done in 2011, including the cost of the railway lines.

According to the first revision, the project was scheduled to be completed in 2015. The deadline for completion of the project has been extended to 2018.

Fifty-three percent work of the project has been completed till March, said sources at Bridges Division.

Two major components of the project are main bridge and river training. Of them, 59 percent work of the main bridge and 36.5 percent of the river training have been completed.

The project is running behind schedule as the World Bank withdrew its $1.2 billion loan in 2012 over allegations of corruption conspiracies. The government then moved to build the bridge with its own funds.

  • Courtesy: The Daily Star/ June 06,2018

‘বাড়াবাড়ি করলে ইয়াবার মামলা দিয়ে ক্রসফায়ারে দেব’



চাঁদা দাবির অভিযোগে ঢাকার ভাটারা থানার ৩ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার সিএমএম আদালতে চা দোকানি মাকসুদা বেগম বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

যাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে তারা হলেন ভাটারা থানার এসআই হাসান মাসুদ, কনস্টেবল জাকির (ড্রাইভার), অজ্ঞাতনামা আরও এক কনস্টেবল ও এক আনসার সদস্য।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, মাকসুদা বেগম বারিধারার জে-ব্লকে ২০নং রোডে চা-পান সিগারেটের দোকান করেন। গত ৩০ মে আসামিরা বাদীর দোকানে গিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন। বাদী তা দিতে অস্বীকার করলে দোকানে ভাঙচুর চালায় এবং দোকানে থাকা কলা, বিস্কুট নষ্ট করে সিগারেট নিয়ে যান। আসামিরা আনুমানিক ৬ হাজার টাকা ক্ষতিসাধন করেন।

মামলার সাক্ষী বাবুল ইসলাম রাজু ফটো সাংবাদিক পরিচয়ে দোকানের মালামাল নষ্ট করার কারণ জানতে চাইলে আসামিরা বলেন, চাঁদার ১০ হাজার টাকা না দিলে যারা বাদীর পক্ষ নেবে সবাইকে মাদকের মামলায় ফাঁসিয়ে ক্রসফায়ার দেয়া হবে। বাদী অসহায় হয়ে ভাটারা থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিতে গেলে তা গ্রহণ না করে হুমকি দিয়ে বাসায় পাঠিয়ে দেয় এবং বাদীকে বলে, বেশি বাড়াবাড়ি করলে ইয়াবার মামলা দিয়ে ক্রসফায়ারে দিয়ে দেব।

মঙ্গলবার মাকসুদা বেগম বাধ্য হয়ে ঢাকার মহানগর হাকিম জাকির হোসেন টিপুর আদালতে এ মামলা দায়ের করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। পরে আদেশ দেয়ার জন্য রাখেন।

কার্টসি —  যুগান্তর। লিঙ্ক — https://bit.ly/2xLxtbJ

Tuesday, June 5, 2018

UN drugs body fails to criticise Bangladesh on drug killings

 By David Bergman


David Bergman

In a period of 17 days, between May 15 to June 2, Bangladesh law enforcement authorities have killed 132 men in what they call 'anti-drug' operations.

The authorities claim that these men were killed in gunfights with the law enforcement authorities.

However, there is now significant evidence, as reported in local media, that many if not the vast majority of these men, were murdered by law enforcement authorities. After being picked up by law enforcement authorities - and whilst in state custody - these men were simply killed.

In this scenario, the United Nations Office on Drugs and Crime has issued an extraordinary lax statement that fails to criticise or condemn the Bangladesh government or their law enforcement authorities at all. No wonder the Bangladesh government believes it can continue this current killing spree with impunity.

The UNODC statement says:

Vienna, 1 June 2018 - In response to media and civil society enquiries regarding reports from Bangladesh on anti-drug operations that have allegedly resulted in dozens of deaths, the following statement was issued by the spokesperson of the United Nations Office on Drugs and Crime: 
The United Nations Office on Drugs and Crime (UNODC) is closely following developments in the situation. 
UNODC urges all Member States to adhere to their commitments to promote balanced, human rights-based approaches to drug control, in line with the three international drug control conventions and the outcome document of the United Nations General Assembly special session on the world drug problem. 
We stand ready to engage with all countries to help bring criminals to justice with the appropriate legal safeguards, in line with international standards and norms, and to promote evidence-based prevention, treatment, rehabilitation and reintegration.