ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিয়োগ পরীক্ষায় নকলসহ ধরা পড়েছে শাখা ছাত্রলীগের এক কর্মী। বুধবার আইসিটি সেলের কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগের লিখিত পরীক্ষায় এ ঘটনা ঘটে। নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে সর্বমহলে অভিযোগ উঠেছে। তবে নকলসহ ধরা পড়লেও প্রশাসন তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
সূত্র মতে, সম্প্রতি সব ধরনের নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা ব্যবস্থা চালু করেছে প্রশাসন। বুধবার আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক/হার্ডওয়ার টেকনিশিয়ান এবং ডাটা এন্ট্রি অপারেটর পদে নিয়োগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। বেলা ১১টা থেকে প্রশাসন ভবনের কনফারেন্স রুমে পরীক্ষা শুরু হয়।
পরীক্ষা চলাকালে শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল রানা হালিমের একান্ত কর্মী আলমগীর হোসেন আলো চিরকুটসহ হাতেনাতে ধরা পড়ে। পরীক্ষা কমিটির সদস্য ও কম্পিউটার সেন্টারের পরিচালক ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন তার থেকে উত্তর লেখা চিরকুট জব্দ করেন। অভিযোগ উঠেছে, প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে বলে তারা নকল করে পরীক্ষা দিয়েছে। নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়ে বিভিন্ন মহলের সন্দেহ মাড়িয়ে এবার ফাঁস হলো সেই প্রশ্ন। তা না হলে নকল নিয়ে কেউ পরীক্ষা দেবার কথা না। এদিকে ৩০ নম্বরের ওই লিখিত পরীক্ষায় নকলসহ ধরা পড়লেও তাকে পরীক্ষা দিতে দেয়া হয়। পরে উত্তরপত্র মূল্যায়ন শেষে আলমগীর হোসেন পাস করে। একই সাথে সে ভাইভা বোর্ডেও অংশগ্রহণ করেছে বলে জানা গেছে। নকল করেও ভাইভা দেয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন অনেকে।
নকল বিষয়ে ড. পরেশ চন্দ্র বর্মন বলেন, নকলের বিষয়টি প্রশাসনকে জনানো হয়েছে। তারা এর যথাযথ ব্যবস্থা নিবেন।’ এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, সাজেশন, বইপত্র না থাকলেও নকল করা মানে নিশ্চয়ই প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে। এটা খবুই দু:খজনক। প্রশাসনকে এর বিরুদ্ধে শক্ত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
- কার্টসি — mzamin.com
- লিঙ্ক — https://bit.ly/2LuA3F3
No comments:
Post a Comment