Search

Sunday, June 24, 2018

সড়কে ঝরল ৪৭ প্রাণ




ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের গাইবান্ধার ৩২ কিলোমিটার যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এতে প্রাণ হারাচ্ছে নিরীহ মানুষ, কেউ কেউ আজীবনের জন্য বরণ করছে পঙ্গুত্ব। অতিরিক্ত যাত্রী, বেপরোয়া গতি ও ড্রাইভারের ঘুমের কারণে 

শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে গতকাল শনিবার পর্যন্ত গাইবান্ধার পলাশতলী উপজেলায় ১৮ জনসহ বিভিন্ন জেলায় ৪৭ জনের প্রাণহানীর খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার পাগলাপীরের সালেয়া শাহ বাজারে ছয়জন, সাভারে চারজন, গোপালগঞ্জে ৩, নারায়ণগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, ফরিদপুর, ল²ীপুর ও নাটোর দুইজন করে, রাজবাড়ী, মেহেরপুর, কক্সবাজার টাঙ্গাইল, নরসিংদী, চুয়াডাঙ্গার একজন করে নিহত হয়েছেন। এসময় আহত হয়েছেন আরো শতাধিক মানুষ। অহতাহতদের মধ্যে অনেকেই পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ আনন্দ উপভোগ করে কর্মস্থলে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনার শিকার হন। 

আমাদের সংবাদদাতা দাতাদের পাঠানো তথ্য নিয়ে ডেস্ক রিপোর্ট — 

আবেদুর রহমান স্বপন ও রবিউল কবির মুন, গাইবান্ধা থেকে জানান, দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা হিসাবে পরিচিত রংপুর - বগুড়া মহাসড়কের গাইবান্ধা অংশে রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের গাইবান্ধার পলাশবাড়ির মহেশপুর এলাকায় গতকাল ভোরে একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে উল্টে গিয়ে খাদে পড়ে। এতে ১৮ জন নিহত ও ২৮ জন যাত্রী আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপেক্স, রংপুর মেডিকেল কলেজ ও বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি আকতারুজ্জামান জানান, ভোরের দিকে পলাশবাড়ী উপজেলার ব্র্যাক মোড়ের অদূরে বাঁশকাটা (গরুর হাট) এলাকায় পৌঁছানোর পর চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে আলম এন্টারপ্রাইজ নামক বাসটি সড়কের পাশে এক রেইনট্রি গাছের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। এতে বাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। বাসের এক যাত্রী অভিযোগ করে বলেন, চালক ঘুমের কারনে এ ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার আগে ঘুম নিয়ে বেপয়ারা গাড়ি চালানোর জন্য চালককে বার বার সর্তক করা হয়েছিল।

প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, চালকরা ফাঁকা রাস্তায় বেপরোয়া গাড়ি চালনার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটে আর এই গাড়িটি ফিটনেস বিহীন বলে মনে হয়। এই মহাসড়কে যতগাড়ি দেখা যায় অধিকাংশ গাড়ি ফিটনেস বিহীন।

নিহতদের মধ্যে ১৫ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলো- রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার এমদাদ আলী, গাইবান্ধার সাদুল্যাপুরের ইউনুস আলী, নীলফামারীর জলঢাকা মিনারুল খান, কুড়িগ্রামের চর রাজীবপুরের মাসুদ রানা, কুষ্টিয়ার মিরপুরের আব্দুর রশিদ, দিনাজপুরের বীরগঞ্জের আখতারুল ইসলাম, টাঙ্গাইল সদরের রুবেল হোসেন ও শাহজাহান সিকদার, ঠাকুরগাঁও সদরের আব্দুর রহিম, এনামুল হক ও মকবুল হোসেন, হরিপুরের ইসমাইল হোসেন, রুবেল মিয়া ও বিশ্বনাথ চন্দ্র রায় এবং পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার জহিরুল ইসলাম। তারা পেশায় গরু ব্যবসায়ী, পোশাক শ্রমিক ও অন্যান্য শ্রমিক। 

পলাশবাড়ির ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আরিফ হোসেন জানান চালকের বেপরোয়া গাড়ি চালনার জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ওসি জানান, আহতদের মধ্যে কয়েকজনকে রংপুর ও বগুড়া শহীদ নিহতদের মধ্যে আটজনের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। এনিয়ে গাইবান্ধায় গত ছয় মাসে ৩২ কিলোমিটার মহাসড়কে মোট ৭২টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৯টি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ৪০ জন। আর এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন ২৩৭ জন। 

চালকদের ঘুমিয়ে পড়া, ফুটপাতের পরিমাণ কম থাকা, তিন চাকার গাড়ির ধীরগতি, হাইওয়ের উপরে হাট-বাজার, স্বল্প পরিমাণে রোড ডিভাইডার, গাড়ির দ্রæত গতি, ঝুঁকিপূর্ণ ওভারটেকিং, হেলপার দিয়ে গাড়ি চালানো, নেশাগ্রস্থ অবস্থায় গাড়ি চালানো, রাস্তার বেহাল দশা, গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটি থাকা, রাস্তায় বেশি পরিমাণ বাঁক (মোড়) থাকাসহ ১৭টি কারণ চিহ্নিত করেছে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গাইবান্ধার মহাসড়কগুলোর বিভিন্ন পয়েন্টে চলাচলরত বাস-ট্রাক থেকে নামে বেনামে চাঁদা নেয়া হয়। চালকরা এ চাঁদা থেকে বিরত থাকতে অতিরিক্ত গতিতে গাড়ি চালানোর কারনেও দুর্ঘটনা ঘটে। 

গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকতারুজ্জামান বলেন, চিহ্নিত সড়ক দুর্ঘটনার কারণগুলো সমাধান করলে ও দোষী চালকদের সঠিক বিচার হলে দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেক কমে যাবে। এছাড়া তিন চাকার গাড়ির চালকদের জরিমানা করেও মহাসড়কে তাদের চলাচল বন্ধ করা যাচ্ছে না।

স্টাফ রিপোর্টার রংপুর থেকে জানান, রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলায় বাস ও ট্রাক সংঘর্ষে ছয়জন নিহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো অন্তত পাঁচজন। গত শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার শলেয়াশাহ বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বাকি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। হাইওয়ে পুলিশ জানায়, রাত আড়াইটার দিকে ঈদের ছুটি শেষে দিনাজপুর থেকে বিআরটিসি দোতলা বাসে করে কর্মস্থলে ফিরছিলেন যাত্রীরা। পথিমধ্যে বাসের একটি চাকা নষ্ট হয়ে যায়। শলেয়াশাহ বাজার এলাকায় মেরামতের সময় যাত্রীরা বাস থেকে নেমে রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন। এসময় দ্রæত গতির একটি ট্রাক পেছন থেকে থেমে থাকা বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জনের মৃত্যু হয়। আহতদের উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়

স্টাফ রিপোর্টার সাভার থেকে জানান, সাভারের ঢাকা-আরিচা সড়কের আমিনবাজারের গতকাল তুরাগ এলাকায় বাসের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরো অন্তত ২০ জন। আমিনবাজার পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দিন জানান, দ্রæতি পরিব্হনের বাসটি রংপুর থেকে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। 

আমিনবাজারের তুরাগ এলাকায় ইউটার্ন নেওয়ার সময় বাসটিকে ট্রাকটি পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে বাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে ২৩ জনকে উদ্ধার করে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। সেখানকার চিকিৎসক তিনজনকে মৃত ঘোষণা করেন। 

ফরিদপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বরিশাল থেকে বগুড়াগামী তুহিন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস নিয়ন্ত্রন হারিয়ে রাস্তার পাশে খাঁদে পড়ে ঘটনাস্থলেই ২ জন নিহত এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছে । আহতদের মধ্যে ১০ জন ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং আশংকাজনক অবস্থায় ২ সেনা সদস্যসহ ৯ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মাহফুজার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

লক্ষ্মীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, লক্ষ্মীপুর রামগতি-সোনাপুর সড়কে গতকাল ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষে দুইজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে। নিহত দুইজনই একই পরিবারের সদস্য।
পুলিশ জানায়, সুরাইয়া আক্তারকে নিয়ে রামগতি থেকে সিএনজি অটোরিক্সাযোগে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে যাচ্ছিলেন মিলন হোসেনসহ অন্যরা। এসময় রামগতি-সোনাপুর সড়কের শেখের কিল্লাহ নামক স্থানে পৌঁছলে বিপরীত দিক থেকে আসা ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এসময় ঘটনাস্থলে মারা যায় মিলন হোসেন ও সাহারা খাতুন। আহত হয় সুরাইয়া আক্তার। রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এটিএম আরিচুল হক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

নাটোর জেলা সংবাদদাতা জানান, নাটোর শহরের আলাইপুরে গতকাল বালুবাহি ট্রাকের চাপায় মহিলাসহ ২জন অটোরিক্সা যাত্রী নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন। আহতদের উদ্ধার করে নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নাটোর সদর থানার এসআই রুবেল হোসেন জানান, মঙ্গল দেবনাথ তার স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ইজিবাইক করে মিশন হাসপাতালের দিকে যাচ্ছিল। শহরের আলাইপুরে বালুবাহী একটি ট্রাক পেছন থেকে ইজিবাইককে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই যাত্রী নিহত হন।

সিরাজগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় গতকাল বাস ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে চালক ও তার সহকারী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ২০ বাসযাত্রী। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুর কাদির জিলানী জানান, আর কে পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি বগুড়া থেকে ঢাকা যাচ্ছিল। ভুইয়াগাঁতী এলাকায় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ট্রাকের চালক ও তাঁর সহকারী নিহত হন। 

গোপালগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, গোপালগঞ্জে গতকাল পৃথক দুইটি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩জন নিহত ও ২৫ জন আহত হয়েছে। সকাল সাড়ে সাতটার দিকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোপালগঞ্জ-টুঙ্গিপাড়া সড়কের ঘোনাপাড়া মোড়ে ও ঢাকা- খুলনা মহাসড়কের মুকসুদপুর উপজেলার দাসের হাট নামক স্থনে এসব দুঘর্টনা ঘটে। গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মো. মনিরুল ইসলাম ও মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল পাশা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

চুয়াডাঙ্গা জেলা সংবাদদাতা জানান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলোকদিয়া বাজারে গত শুক্রবার মোটরসাইকেলের ধাক্কায় এক ধানকল মালিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন দুই মোটরসাইকেল আরোহী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ধানকল মালিক ওবায়দুর চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়ক ধরে হেঁটে যাওয়ার সময় চুয়াডাঙ্গা থেকে মেহেরপুরগামী একটি মোটরসাইকেল ওবায়দুরকে খুব জোরে ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আহতদের উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। চুয়াডাঙ্গা থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।

স্টাফ রিপোর্টার, নরসিংদী থেকে জানান, রায়পুরা উপজেলার গতকাল মোটর সাইকেলের ধাক্কায় হাসান মিয়া(৫০) নামে এক পথচারী নিহত হয়েছে। জানা গেছে মরজাল গ্রামের সুরুজ মিয়ার পুত্র সোহাগ(২২) মোটর সাইকেল যোগে স্থানীয় যোশর বাজার থেকে মরজাল বাসস্ট্যান্ডে যাবার পথে রাস্তার পাশে দাড়ানো পথচারী হাসান মিয়া(৫০) কে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। আশপাশের লোকজন বৃদ্ধাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান। 

সখীপুর ( টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের সখীপুরে গতকাল বাস ও মোটরসাইকেল সংঘর্ষে আব্দুল বাছেদ (২৮) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, সকালে বাছেদ মিয়া মোটরসাইকেলে করে মাছ ধরার জন্য চাপড়াবিল যাওয়ার পথে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। আহত অবস্থায় তাকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। 

কক্সবাজার জেলা সংবাদদাতা জানান, কক্সবাজারের চকরিয়ার ভাঙ্গারমুখে গতকাল ম্যাজিক গাড়িচাপায় ছলেমা খাতুন (৭৮) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ভাঙ্গারমুখ এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিলেন ছলেমা। এসময় চিরিংগা অভিমুখী যাত্রীবাহী একটি ম্যাজিক গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তাকে চাপা দেয়। এতে গুরুতর আহত হন তিনি। এ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রাজবাড়ী জেলা সংবাদদাতা জানান, রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় বাসচাপায় হেলপার ইমন সরদার (২১) নিহত হয়েছেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

মেহেরপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজীপুর গ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় ইসমাইল হোসেন (৬০) নামে আহত এক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। দুপুর সাড়ে ১২টার সময় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

স্টাফ রিপোর্টার নারায়ণগঞ্জ থেকে জানান, নারায়ণগঞ্জের বন্দর ও রূপগঞ্জ উপজেলায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দুই জন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার সকাল ৯টার দিকে বন্দর উপজেলার কেওঢালা এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ও সকাল ১০টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার গাউছিয়া এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ দুই দুর্ঘটনা ঘটে। কাচঁপুর হাইওয়ে থানার (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম আলী সরদার এ খবর নিশ্চিত করেন।
  • কার্টসি — dailyinqilab.com/রোববার, জুন ২৪, ২০১৮। 


Padma Bridge — Cost rises again

Ecnec approves additional Tk 1,400 crore as the project needs acquisition of more land

Staff Correspondent


The cost of the Padma Bridge project has gone up by Tk 1,400 crore to Tk 30,193 crore as the government has to acquire more land.

This is the third time the project cost has increased.

The Executive Committee of National Economic Council (Ecnec) yesterday approved the additional fund for the project.

As per the planning ministry's last revision in January last year, the total cost stood at Tk 28,793 crore.

Emerging from the Ecnec meeting, Planning Minister AHM Mustafa Kamal told reporters that more land is needed to dump earth collected from excavation of the river bed for river training.

In reply to a query, the minister said the cost of the bridge project would not go up further.

As per documents prepared by the Bridges Division last year, the government was to acquire 1,530 hectares of land at a cost of Tk 1,299 crore for the bridge project.

But now a total of 2,693 hectares of land need to be acquired for the project for Tk 2,699 crore, said the planning ministry's latest proposal.

The project, when approved in 2007, was supposed to cost Tk 10,162 crore, but in 2011 it was revised upwards to Tk 20,507 crore.

The project is expected to be completed by this year.

Sources at the Bridges Division said 53 percent work of the project was completed till March.

Construction of the main bridge, and river training are two major components of the project. So far, 59 percent work of the main bridge and 36.5 percent of river training have been completed.
Yesterday, the Ecnec also approved the project “Introduction of E-Passport and Automatic Border Control System in Bangladesh” at a cost of Tk 4,636 crore.

It will be implemented by the Department of Immigration and Passports between July this year and June 2028.

The planning minister told reporters that Machine-Readable Passport (MRP) will remain valid, but e-passports will also be issued at the same time.

Preparatory work of the project will start next month, he mentioned.

Asked about the MRPs that citizens are currently using, Maj Gen Md Masud Rezwan, director general of the passports department, said e-passports would gradually replace MRPs.

People having MRPs will be able to use it until its validity expires. They will be given e-passports at the time of renewal, he told The Daily Star on Wednesday.

Officials said e-passport system would increase security and accessibility of Bangladeshi passports worldwide.

Such passports, also known as biometric or digital passports, have embedded electronic microprocessor chips with biometric information authenticating the identity of the holders.

Passport officials said the size of e-passport would be the same as the current MRPs. However, the two pages with the passport holder's details, which now appear in the beginning, would be replaced by a polymer card embedded with a chip containing the passport holder's personal information.

Under the project, 2.80 crore e-passport booklets will be produced in the country, and 20 lakh will be imported.

Around 120 countries have already introduced e-passports. The UK, the US, Australia, Canada and Malaysia introduced them almost a decade ago.

Yesterday, the Ecnec also approved 13 other projects involving Tk 12,336 crore.


  • Courtesy— The Daily Star/ June 22, 2018

By all means, take tough action!

EC must make good on its fair-poll promises

EDITORIAL


Chief Election Commissioner KM Nurul Huda has said “tough action” will be taken against those responsible if the June 26 election to Gazipur City Corporation is not held in a free and fair manner. His clarity and apparent sureness of intent is heart-warming. Sadly, it doesn't inspire much confidence given this commission's track record and rigging claims that had marred the last city corporation election. As some recent online polls suggest, the EC faces a credibility issue, and there is a lack of confidence in its ability and even willingness to eschew political influence. There is no denying that parallels would be drawn between the Khulna election and the imminent Gazipur election, as well as the three remaining city corporation elections slated for July 30. Whether those comparisons would be made in a favourable light depends entirely on how the EC chooses to function this time.


Conducting a fair election is by no means limited to the election-day performance. Recent trends in our electoral politics suggest a shift towards more subtle manoeuvres and tactics fashioned to eliminate competition well in advance of an election. The EC, therefore, must remain vigilant at all times and exercise the power bestowed upon it without bias. It must ensure that everyone has a fair chance at organising and participating in election-related activities. We welcome the statement by another commissioner that the EC doesn't want to tarnish its image by conducting a questionable election in Gazipur. Hopefully, its “tough action” will be directed as much to those responsible for likely electoral irregularities as to those potentially plotting to change the course of the election. With the national election due later this year, the stakes are high. The EC must address its credibility problem now and deliver on its promises.

Khaleda’s health concern bites into government’s credibility

Shahid Islam


It’s an election year; although cloud of uncertainty blurs the political horizon by keeping the nation under suspense with respect to whether the country’s main opposition party will join the electoral race unless its demand for an interim regime is fulfilled to have the election conducted in a fair, unfettered manner. Added to this is the health concern of the BNP’s chairperson Khaleda Zia, who had undergone in prison some sort of sensual lapses of late, suspected as a minor stroke.

Genuine health hazard

The former PM has not been transferred to a hospital immediately after she became senseless and remained unconscious for nearly ten minutes.  Nor the prison authorities informed her next of kin, or party bosses, about this grave health deterioration of their leader. Being of the age of 73 — and having undergone the trauma imposed by deaths of close family members, including a son (Koko); eviction from a house where over four decades’ of memory starred painfully as she was forcefully thrown out; and now staying dumped in a ghost-infested abode for an alleged crime and conviction that had not benefitted her a penny personally—her health is certainly an issue that the prison authorities cannot just brush aside under any form of dictate from the power that be.

Mud-slinging politics

As she suffers in the prison, with serious health risk that could plausibly snatch away the last breath from her life, the government wants to make sure she goes for a treatment at the Bongobondhu Medical College Hospital, which she doesn’t like or prefer. Her party leaders insist she should be sent to her chosen private hospital, the United, that has better medical equipment like the MRI, and better lodging arrangement which the government-run hospitals lack.

But politics in Bangladesh has its own odour, and no wonder some ruling party leaders say the BNP leader is unwilling to go to the Bongobondhu hospital due to the name by which the hospital is run.
Our inquiry shows that not to be the reason. The first reason, as per some BNP insiders, is the security risk in the Bongobondhu medical college hospital due to most of its physicians and technicians being of AL indoctrination, denomination, and hence, blatantly partisan.  They are by nature antagonistic to Khaleda Zia.

This may sound incredible and, the world will simply laugh at hearing that doctors of a nation can be tagged with partisan rubric to pose grave threat to patience belonging to perceived or real opposition camps.That is however the reality in all public-run installations and institutions of this nation. The second reason is: even the VVIP suites in the Bongobondhu hospital are worse than normal cabins in any professionally run private hospital.

Jail code and humanism

As this political mud-slinging goes on, the charade is robbing the BNP leader of her vitality to survive; unless a prompt diagnosis and appropriate treatment gets her out of this impending, life-threatening health hazard. The jail code may allow a prisoner to be treated at the public hospitalsonly, but, as George Orwell reiterated, some animals are alwaysmore equal than the others. A three time PM of the country—and an agile, uncompromising leader with the laurels to have snatched democracy from the jaws of dictatorship in the late 1980s— deserves to be more than equal by any count.Moreover, above all laws and regulations lies the innate codes of humanism that must reign supreme in any civilized society.

Political charade, painful parade

This political charade, or the painful parade, relating to the health of an old lady is not playing well in the public arena in an election year. By now, the nation has embraced Khaleda as a victim of the ruling party’s vendetta and recrimination. If she dies in prison, she’ll be a martyr of much distinction; as was her husband who emerged bigger in death than in life. God forbid, if Khaleda dies in prison, the BNP will then be more popular as a party for two reasons.

First: the party’s founding leader, ZiaurRahman, introduced multi-party democracy in the late 1970s in a country that became a one-party dictatorship after having won independence under the incessant quest for pluralistic democracy. Secondly: the BNP under Khaleda Zia too sought and strove to restore democracy amid a similar attempt to turn this nation into a one-party monopolistic political entity.

Hence, Khaleda’s death in prison will make her such a colossus in the cause of democracy restoration that no amount of eye-washing, guile, or hoodwink by any quarter will be able to eviscerate or diminish the glow of that feather of glory.

Last words

This was happening just before the Holy Eid-Ul-Fitr when many non-risk-posing prisoners even get pardoned as a gesture from the state. Here we have an uncompromising leader and former PM rotting in the prison due to her High-Court-granted bail being blocked by other warrants of arrest foisted upon her one after another; under a blueprint to throw her out of the political orbitor, to get her outright decimated.

May be, as a nation, we should get back to senses to leave for the posterity some magnanimous anecdotes that—like the globally acclaimed caretaker interim regime formula we once introduced and followed—others can emulate. As it stands now, the ‘Khaleda charade’ is badly biting into the credibility of the incumbent regime and the nation alike. It should end sooner.


  • Courtesy  —  Weekly Holiday/ June 22, 2018


Global pressure mounts for inclusive polls in Bangladesh


Shakhawat Hossain


As the next general polls draw nearer, the Western countries including United States of America (USA), European Union (EU) and the United Kingdom (UK) have started pressing the government of Sheikh Hasina for holding free, fair and inclusive polls in Bangladesh for the sake of consolidation of the fundamental basis of democracy in the country.

The international community, which had earlier raised questions about the credibility of 5 January election, are now been reportedly raising the issue afresh for an inclusive election in Bangladesh.

Significantly, the three western powers have categorically asked the government for inclusion of the main opposition, Bangladesh Nationalist Party (BNP), in the next election so that it looks participatory one.

Though they may not have raised their voice for inclusive polls very strongly, the western powers are stressing that the next general election should be a “participatory” and “credible” one. Otherwise, they fear, the political instability in the country will make way to grow terrorism and many other problems in the country.

The next general election is due later this year. The Prime Minister Sheikh Hasina has indicated it would be held in December, 2018.

AL, BNP gear up for post-Eid face-off

The country’s political arena is abuzz with an imminent face-off between the Bangladesh Awami League (BAL) and the Bangladesh Nationalist Party (BNP) with both parties preparing to hit the streets after Eid-ul-Fitr. In an apparent show of strength ahead of the next general election, which may be held by the end of this year, the BNP is planning to launch a tough anti-government movement after the major religious festival of the Muslims later this month. On the other hand, ruling AL asserted that the government was prepared to resist any attempt to create anarchy by opposition leaders and activists.

On the other hand, ruling Awami League has taken the upcoming city corporation polls as a dress rehearsal leading up to the 11th parliamentary election scheduled for December this year. The elections to Rajshahi, Sylhet and Barishal city corporations will be held on July 30 while the schedule for the national nation will be announced in October. AL leaders and activists said as there is no other election before the national election, the party is considering the upcoming city polls as a dress rehearsal of the next big election.

Within this context, one important issue is overlooked - the government is bending the institutions to such a degree that the lines between political parties, government, judiciary and administrative divisions are increasingly getting blurred, and all the institutions are succumbing to the will of the ruling party. There is no institutional integrity any more.

Finally, it looks like there will be further destruction, and many more lives will be sacrificed before any kind of settlement is achieved, but the biggest fear is that nobody knows when and in what form such a settlement will materialize.

Bangladesh’s journey for democracy is yet to end 

With a general election on the horizon, various diplomatic missions are stepping up their efforts to help things run as smoothly as possible. The American, British and Indian ambassadors have all visited the Election Commission in recent months, as has the UN resident co-ordinator for Bangladesh. They have publicly expressed their concerns for the forthcoming election, and implored the commission to take measures to avoid the boycotts and violence that marred the election process last time around. Some in Bangladesh welcome these entreaties, but others in the ruling alliance consider them nothing more than attempts to meddle in their country’s affairs.

Already it’s turning into a rerun of the same old election story as the incumbent Awami League and its allies insist that the election will be held under the current government rather than a non-partisan caretaker regime, a device previously used to take the management of the election out of partisan hands. Meanwhile, the alliance led by the Bangladesh Nationalist Party (BNP) says it will do whatever’s necessary to stop the government from holding an election without giving up full control of the electoral process.

Everyone concerned clearly remembers the turbulence of the 2014 election, when all sorts of political violence boiled over, claiming many innocent lives. But the explanation for why it happened is still a matter of heated debate.

Difficult transition

A non-party caretaker government has been one such important tool that helped people effectuate a peaceful, and one might add fair transition of power, albeit with an exception in 2007 when the caretaker government illegally held on to power for two years.

The ruling Awami League, however, wants to reverse this course. They have amended the constitution to hold the election under an “all party” government, effectively headed by them, to be held on January 5, 2014, which the opposition parties, led by BNP (Bangladesh Nationalist Party), have summarily rejected.

In the absence of an opposition, 154 of the 300 seats have already been won by ruling members of parliament and their allies, without even one vote being cast, giving them a majority. The media is reporting a number of procedural lapses by the election commission to ensure the election of the 154 MPs would be unopposed. But, the Awami League is unfazed and undaunted. They are steadily cruising on the course they have set, stating that it is a constitutional requirement.

But, the results of the last few local elections quite clearly indicate that the government led by Sheikh Hasina has lost popularity as they have failed to win any significant elections held in the last two years. Even when the opposition boycotted, heavyweights of her party lost to rebels in her own party.

Sheikh Hasina, it seems, isn’t prepared to heed what the opposition or the broader international community are asking. She is also strongly backed by India. BNP is thus powerless to change the course that has been set by the Bangladesh Awami League.

UNHRC calls for free, fair and inclusive polls

Referring to violence and excessive use of force by state actors during the previous general elections, the UN Human Rights Committee insisted that Bangladesh should ensure the safety and security of all voters during elections.

During the 30th session of the Universal Periodic Review (UPR) Working Group of the HRC in Geneva, some countries such as USA, Australia and Switzerland have learnt to put stress on ensuring free, fair and inclusive polls in Bangladesh. Besides, Japan has also recommended ensuring a free, fair and inclusive general election, with full participation of all parties, and stepping up efforts to strengthen democracy in Bangladesh.

The United Nations Human Rights Council (UNHRC) has also asked the government of Bangladesh to investigate all cases of arbitrary killings, enforced disappearances and excessive use of force, and prosecute and punish perpetrators. The inter-governmental UN body also called for establishing the truth about the fate and whereabouts of victims of the disappearances. Furthermore, ratifying the International Convention for the Protection of All Persons from Enforced Disappearances (ICED) was stressed.

Several countries, including Austria, Norway, France and the Netherlands, called upon the government to ensure that journalists, bloggers, human rights defenders and civil society organisations were able to carry out their activities without fear of surveillance, intimidation, harassment, arrest, prosecution or retribution. Such
recommendations were made at the ‘Universal Periodic Review’ (UPR) organised by the council in Geneva.

Later on, the UN Human Rights Council (UNHRC) has adopted the draft report on the human rights review of Bangladesh, with recommendations on taking steps to halt forced disappearance, extra judicial killing, and ensure freedom of expression in media, politics and religion. During the 30th session of the Universal Periodic Review (UPR) Working Group of the HRC in Geneva, the UN member states made 251 recommendations. According to the HRC Secretariat and UPR, some 105 delegations took part on the third-cycle review of Bangladesh’s human rights situation. Of the recommendations, 167 were accepted, 60 were noted and the rest would be answered later. Bangladesh will give its final answer no later than the 39th Session of the HRC, slated for September.

EU wants inclusive, credible polls in Bangladesh

The European Union (EU) at a recent meeting held in Dhaka has hoped that the government of Bangladesh will ensure conditions for credible, transparent and inclusive elections.

At the meeting, Bangladesh also reiterated its commitment to provide all-out support to the Election Commission in holding free, fair, and credible election. The issues came up for discussions at the biennial meeting of the Subgroup on Good Governance and Human Rights in the framework of the EU-Bangladesh Cooperation Agreement (CA) held in Dhaka, said a joint press statement.

At the outset, the EU delegation appreciated the generous and humane role and action of the people and the government of Bangladesh for hosting the Rohingya people fleeing violence in Myanmar.

Earlier in March, 2018, the European Union high representative for foreign affairs and security policy Federica Maria Mogherini in Brussels and US President Donald Trump’s aide Lisa Curtis during her visit to Bangladesh, UK secretary of state for Foreign and Commonwealth Affairs Boris Johnson during his Dhaka visit, and a
delegation of European Union during in their Dhaka visit called for an inclusive election in Bangladesh.

It was reported that the Maria Mogherini raised the issue of the election during a meeting with Bangladesh foreign minister Abul Hassan Mahmood Ali recently. It was learnt from officials in Dhaka and Brussels that the meeting was arranged on short notice and on Federica’s initiative to discuss the Rohingya crisis. At one point, the political situation came up in the discussion and Federica raised the issue of inclusive polls. She urged the Bangladesh government to conduct inclusive polls and stressed on a free, fair and credible election.

In reply, Bangladesh foreign minister told her that the government is not asking anyone not to participate in the election. He told her that though the BNP boycotted the general election on 5 January 2014, they participated in the local government elections and many BNP candidates won in different levels of the election. He went on to tell her that the election commission is trying its level best to conduct a free, fair and credible election and the government also wants BNP to take part in the election.

The Bangladesh foreign minister also urged her to tell BNP to participate in the next election. In reply, Federica told Mahmud Ali that an EU delegation has urged BNP leaders to participate the next election during their discussion with them.

Lisa Curtis wants to see inclusive elections

On 3 March, 2018, US president Donald Trump’s aide Lisa Curtis called for inclusive polls. She also raised the issue while having meeting with senior Bangladesh government officials including the prime minister’s international affairs adviser Gowher Rizvi, the prime minister’s security adviser Major General (retired) Tarique Ahmed Siddique and Foreign secretary Abul Hassan Mahmood Ali. The foreign minister told her that the government is committed to a free, fair, credible and inclusive election and would welcome observers from varies countries including the US. Following a query from Curtis, Foreign Minister AH Mahmood Ali said Bangladesh is committed to a free, fair and participatory election and that observers from different countries, including the US, are welcome.

  • Courtesy —  Weekly Holiday/ June 22, 2018 (Slightly abridged)

Thursday, June 21, 2018

বেগম জিয়ার জীবন নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে বলছেন তাঁর চিকিৎসক



বাংলাদেশে চিকিৎসার অভাবে বিএনপির কারাবন্দী প্রধান খালেদা জিয়ার জীবন শঙ্কা তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক।

দিনের পর দিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসা সেবা না পাওয়ায় মিসেস জিয়ার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা পূর্ণাঙ্গ স্ট্রোকের ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে বলছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এফএম সিদ্দিকী।

বিবিসির সাথে এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানান, ট্র্যানজিয়েন্ট ইস্‌কেমিক অ্যাটাক (টিআইএ) হয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন গত ৫ই জুন পাঁচ মিনিট সময় অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।

মস্তিষ্কে রক্তচলাচলের সাময়িক বাধার কারণেই এটা হয়ে থাকতে পারে, অধ্যাপক সিদ্দিকী বলেন, কিন্তু টিআইএ-র শিকার রোগীকে যদি দ্রুত বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে পরীক্ষানিরীক্ষা এবং চিকিৎসা না করা হয় তাহলে তার স্ট্রোক হওয়ার ঝুঁকি থাকে সর্বোচ্চ ৭০%। এবং সেটা যে কোন সময়ে ঘটতে পরে বলে তিনি জানান।

"তার চিকিৎসক হিসেবে আমি খুবই উদ্বিগ্ন। এবং যতক্ষণ পর্যন্ত তার শারীরিক পরীক্ষাগুলো না হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের উদ্বেগ বা শঙ্কা কাটছে না," বলছেন অধ্যাপক সিদ্দিকী।

তথ্যসূত্র —  bbc.com। লিঙ্ক —  https://bbc.in/2K07GCs 

মন্ত্রীর অনুষ্ঠানেই অাধা ঘণ্টায় বিদ্যুৎ গেলো ৬ বার!




বিনাভোটের মন্ত্রীর অনুষ্ঠানেই বিদ্যুৎ গেলো ৬ বার। শেষ পর্যন্ত বক্তব্য থামিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী। এমনকি হতভম্ব হয়ে পড়েন দর্শকরাও। এমন ঘটনা ঘটে ময়মনসিংহের টাউন হলে।

রোববার, জুন ১০, দুপুরে টাউন হলের তারেক স্মৃতি মিলনায়তনে মুক্তিযোদ্ধা একাডেমি ট্রাস্ট ও ভারতীয় হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে মুক্তিযোদ্ধা সন্তানদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠান ছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনারের ডিফেন্স অ্যাডভাইজার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জে. এস চিমা।

মূল অনুষ্ঠান ছিল আধা ঘণ্টার। এর মধ্যেই ছয়বার বিদ্যুৎ চলে যায়। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন দর্শকরা। কয়েকজন চিৎকার করে ক্ষোভও প্রকাশ করেন।


  • তথ্যসূত্র —  jamuna.tv । লিঙ্ক — https://bit.ly/2y4dc12 


গৃহবধূকে ধর্ষণ করলো যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক রনি





শনিবার, জুন ৯, রাতে রাজধানীর কলেজগেটে ধর্ষণের শিকার  হলেন ২১ বছরের তরুণী। শ্যামলীর বাসিন্দা এ গৃহবধূ জরুরি প্রয়োজনে ফার্মগেটে যেতে গাড়ির জন্য সড়কে অপেক্ষা করছিলেন।

কিন্তু রাস্তায় কোনো যানবাহন না পেয়ে তিনিসহ আরও এক তরুণী ধর্ষক স্থানীয় যুবলীগ নেতা মাহমুদুল হক রনির প্রাইভেটকারে (ঢাকা মেট্রো- গ ২৯-৫৪১৪) লিফট নেন। তাদের মধ্যে এক তরুণী শিশুমেলায় নেমে যান।

এরপরই সামনে থেকে গাড়ির পেছনের আসনে চলে আসেন মদ্যপ রনি। তিনি শ্যামলীর গৃহবধূকে গালিগালাজ ও ভয়ভীতি দেখান। এক পর্যায়ে তার মুখ রুমাল দিয়ে বেঁধে ফেলেন।

এরপর শিশু মেলা থেকে কলেজ গেটে আসার পথে ওই গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন রনি। ওই সময় নিজেকে বাঁচাতে ধস্তাধস্তি করতে থাকেন তরুণী।

এ অবস্থায় প্রাইভেটকারটি কলেজগেট সিগন্যালে জ্যামে আটকা পড়লে পথচারীরা এসে গৃহবধূকে রক্ষা করে। তারা রনি ও গাড়িচালক ফারুককে আটক করে মারধরের পর শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশের কাছে তুলে দেয়।

পরে রোববার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ ধর্ষণ ও অপহরণের অভিযোগে মাহমুদুল হক রনির বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেন।

ওই মামলায় সোমবার থেকে শেরেবাংলা নগর থানায় তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছেন রনি।

  • তথ্যসূত্র  যুুগান্তর ডট.কম 


Subsidy outlay to spiral 80pc

Rejaul Karim Byron


Subsidy expenditure is set to increase 80.26 percent to Tk 37,804 crore in fiscal 2018-19 as the government looks to bankroll lower gas and fuel prices keeping an eye on the national election due to be held at the end of this year.

The government is planning to subsidise gas price for the first time next fiscal year as it is importing liquefied natural gas at a rate much higher than that of the locally produced gas.

The first consignment of imported LNG has arrived and will be added to the national grid in a couple of weeks' time. As soon as it is blended with local gas, the price will shoot up.

“But, it will be lower than the purchasing cost of LNG,” said energy ministry officials.

The per unit cost of imported LNG is Tk 25.17; after adding tax and regasification charges the total cost comes to Tk 33.44, according to Petrobangla.

The cost of production for per unit of gas would be Tk 14.64 when LNG and local gas are blended. The average retail price of gas supplied by Petrobangla from domestic sources is Tk 7.39 per cubic metre.

Subsequently, various companies of Petrobangla have proposed that the Energy Regulatory Commission should increase the gas price from Tk 7 to Tk 40 in various sectors like power, fertiliser and CNG auto rickshaws.

“Even after the price hike there will be losses because of imported LNG. So, we have sought subsidy from the finance ministry,” the energy ministry officials added.

The finance ministry has kept aside Tk 5,500 crore for subsidising gas price, up from Tk 2,500 crore in the outgoing year, said finance ministry officials.

Meanwhile, after a few years of historically low prices, fuel price has started to increase on the global market, meaning the need for fuel subsidy has emerged once again.

Next fiscal year, Tk 5,000 crore is being kept in the 'other heads' column if the Bangladesh Petroleum Corporation's losses continue.

The energy and mineral resources division has proposed either subsiding the petroleum products or hike their prices. But the government has opposed to the idea of increasing the fuel prices in a time when the national election is so close.

BPC's profit plummeted 45 percent in the first 10 months of the fiscal year to Tk 3,995 crore due to the government's resistance to adjusting the domestic prices with that of the global market.

Petroleum prices dropped drastically on the global market in 2014 and remained almost steady for the next three years. BPC had incurred losses from fiscal 2009-10 through to fiscal 2013-14 and in the following three years made huge profits.

Since November last year BPC has been incurring losses and now it has stood at Tk 34 crore a day, said a BPC official. “If it continues this way, we may not be able to log in any profit for this fiscal year,” he added.

The government had given the state-run agency Tk 800 crore in fiscal 2015-16, but later the fund was withdrawn as it was not required. Since then BPC has not required any subsidy.

The subsidy in the power sector has been kept at Tk 9,200 crore in fiscal 2018-19, up from Tk 6,000 crore in the outgoing year.

Subsidies to the agriculture sector has been raised to Tk 9,000 crore from Tk 6,000 crore, while export and jute goods subsidy has been kept the same at Tk 4,500 crore. In the next fiscal year, food subsidy will be Tk 4,606 crore, which was Tk 2,729 crore this fiscal year.

  • Courtesy —  The Daily Star/ June 21, 2018

ADP execution rate lower

63pc of funds spent in July-May


FHM Humayan Kabir 

The government spent almost 63 per cent of the Annual Development Programme (ADP) allocations in the 11 months to May of fiscal year (FY) 2017-18.

Planning Commission officials said the rate of the development budget spending is two percentage points lower than that of the corresponding period in FY 2016-17.

The project implementing agencies will have to spend the remaining 37 per cent of the Tk 1.57-trillion ADP outlay of  FY '18, they added.

The officials said the agencies had failed to improve their project execution capacity. The officials said the worst performance of some agencies, including railway ministry and bridges division, hamstrung attainment of the target in FY '18.

According to the Implementation, Monitoring and Evaluation Division (IMED), ministries and agencies spent Tk 989.78 billion during the period of the outgoing fiscal. This was 62.81 per cent of the total ADP outlay.

In the corresponding period of FY '17, the implementation rate was 64.72 per cent with a total expenditure of Tk 772.04 billion. Initially, the government prepared a Tk 1.64-trillion ADP for FY '18. It was later trimmed down to Tk 1.57 trillion in the third quarter amid the lower execution rate.

An IMED official said the government agencies, for the first time, spent higher amounts of funds from the external resources compared to the internal ones.

They spent 71.47 per cent of the available project assistance from the overseas development partners during the period of July 2017 to May 2018.

The agencies, however, utilised only 58.97 per cent of funds from the government's own resources in the last 11 months.

The government allocated Tk 520.50 billion from external resources as project aid and Tk 963.31 billion from internal resources in the revised ADP.

The autonomous and semi-autonomous government agencies spent Tk 49.70 billion, 53.94 per cent of their aggregate allocations of Tk 92.13-billion in 11 months.

The official of the commission said government agencies usually spend higher funds from the internal resources than those of external ones every year. But there is an exception this time, he added.

The railway ministry spent only 30.81 per cent of its total allocations in the ADP and the bridges division 42 per cent in the aforesaid period.

The primary and mass education ministry spent 48 per cent and water resources ministry 55 per cent of their allocations.

The government agencies executed 90 to 93 per cent of ADP over the last five years.

  • Courtesy: The Financial Express/June 21, 2018