Search

Thursday, June 28, 2018

ডলারের বাজারে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হস্তক্ষেপ কাজে আসছে না

হাছান আদনান

চলতি অর্থবছরের শুরু থেকেই দেশে ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছে। এক বছরের ব্যবধানে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের দাম বেড়েছে ৩ টাকার বেশি। বাজার স্বাভাবিক রাখতে এরই মধ্যে প্রায় ২৪০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যাংকগুলোকে কয়েক দফা সতর্কও করা হয়েছে। যদিও কাজে আসছে না কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এসব হস্তক্ষেপ। প্রতি ডলার এখনো ৮৫ টাকার উপরেই বিক্রি হচ্ছে।

ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, চাহিদা থাকায় হিসাব-নিকাশ ছাড়াই ব্যাংকগুলো আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খুলেছে। এখন এলসির দায় পরিশোধ করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে। রেমিট্যান্স ও রফতানি আয়ের তুলনায় বেশি আমদানি এলসি খোলা ব্যাংকগুলোর বিপদ ক্রমেই বাড়ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেল ও তুলার দাম বাড়তে থাকায় শিগগিরই ডলারের সংকট নিরসনের লক্ষণ দেখছেন না ব্যাংকাররা।

বিদ্যমান ডলার সংকট দেশের অর্থনীতির জন্য উদ্বেগের কারণ বলে মনে করেন ব্যাংক নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সাবেক চেয়ারম্যান ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনিস এ খান। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ আমদানি এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে, সে পরিমাণ রফতানি আয় ও রেমিট্যান্স দেশে আসেনি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংকগুলোয় ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। চলতি অর্থবছরের শুরু থেকে যেসব এলসি খোলা হয়েছে, সেগুলো এখন নিষ্পত্তি হচ্ছে। এতে ডলার সংকট আরো গভীর হচ্ছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক প্রতিদিনই বাজারে ডলার বিক্রি করলেও চাহিদার তুলনায় তা অপ্রতুল বলে মনে করেন আনিস এ খান। তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে আনতে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। তার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে না। এজন্য করণীয় বিষয়ে আবারো বসতে হবে।

অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ঠেকাতে ব্যাংকগুলোকে সতর্ক করার পাশাপাশি আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের মূল্যও নির্ধারণ করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু চাহিদার তুলনায় জোগান না থাকায় নিয়ন্ত্রক সংস্থার এ উদ্যোগ কাজে আসেনি। ডলারের বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৮৩ টাকা নির্ধারণ করে দেয়ার সময়ও অধিকাংশ বেসরকারি ব্যাংক ৮৩ টাকা ৫০ পয়সায় ডলার বিক্রি করতে থাকে। পরবর্তী সময়ে দুই দফায় আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের ক্রয় ও বিক্রয় মূল্য বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রথমে ডলারের সর্বোচ্চ বিক্রয় মূল্য ৮৩ টাকা ৫০ পয়সা ও পরে ৮৩ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু চলতি সপ্তাহে আমদানি পর্যায়ে ডলারের বিক্রয় মূল্য ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সা ঘোষণা করছে বেসরকারি ব্যাংকগুলো। গতকাল এনসিসি, প্রাইম ব্যাংকসহ অনেক বেসরকারি ব্যাংকই বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে ডলারের মূল্য বেশি ঘোষণা করেছে। যদিও ঘোষিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামেই ডলার লেনদেন করছে ব্যাংকগুলো। নগদ লেনদেনের ক্ষেত্রে গতকাল প্রতি ডলারের মূল্য ৮৫ টাকা নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক।

জানা গেছে, বিদায়ী বছরের ২৮ জুন আমদানির ক্ষেত্রে প্রতি ডলার ৮০ টাকা ৬০ পয়সায় বিক্রি করেছিল এনসিসি ব্যাংক। কিন্তু এক বছরের ব্যবধানে গতকাল প্রতি ডলারের জন্য ৮৩ টাকা ৭৫ পয়সা নিয়েছে ব্যাংকটি। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে দেশে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে প্রতি ডলারের দাম বেড়েছে ৩ টাকা ১৫ পয়সা। যদিও নগদ লেনদেনে এর চেয়েও বেশি দামে ডলার বিক্রি হচ্ছে।

ডলারের এ মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন দেশের আমদানিকারকরা। আমদানি পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় বাড়তি অর্থ গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদেরও। ঢাকার মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতি ও বাংলাদেশ হোলসেল স্পাইসেস মার্চেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ এ প্রসঙ্গে বলেন, প্রতিনিয়তই ডলারের দাম বাড়ছে। ফলে আমদানি পণ্যের জন্য বাড়তি অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানান আল-আরাফাহ্ ইসলামী ব্যাংকের এ পরিচালক।

যদিও বাজার স্থিতিশীল রাখতে চলতি অর্থবছরের গতকাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ব্যাংক প্রায় ২৪০ কোটি ডলার বিক্রি করেছে। একই সময়ে বাজার থেকে কোনো ডলার কেনার প্রয়োজন হয়নি বাংলাদেশ ব্যাংকের। অথচ গত অর্থবছর বাজারে ১৭ কোটি ৫০ লাখ ডলার বিক্রির বিপরীতে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ১৯৩ কোটি ১০ লাখ ডলার ক্রয় করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরেও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার বিক্রির প্রয়োজন হয়নি। যদিও ওই অর্থবছর বাজার থেকে ৪১৩ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া ২০১৪-১৫ অর্থবছর বাজার থেকে ৩৭৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার কিনেছিল। অর্থবছরটিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বিক্রি করেছিল ৩৫ কোটি ৭০ লাখ ডলার। তার আগে ২০১৩-১৪ অর্থবছর বাংলাদেশ ব্যাংক বাজার থেকে ৫১৫ কোটি ডলার কিনলেও সে বছর কোনো ডলার বিক্রি করেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেক্স রিজার্ভ অ্যান্ড ট্রেজারি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, ব্যাংকগুলোর চাহিদার ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) তেল আমদানির দায় পরিশোধকে এক্ষেত্রে বেশি প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে। নিজেদের ব্যবস্থাপনায় এলসির দায় পরিশোধ করতে ব্যাংকগুলোকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।

এবিবি চেয়ারম্যান ও ঢাকা ব্যাংকের এমডি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, খাদ্যশস্যসহ মেগা প্রকল্পগুলোর উপকরণের জন্য বিপুলসংখ্যক এলসি খোলা হয়েছে। চলতি অর্থবছরে আমদানিতে প্রবৃদ্ধির হার প্রায় ২৫ শতাংশ। কিন্তু রফতানি ও রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি সেভাবে না হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই ব্যাংকগুলোয় ডলারের সংকট তৈরি হয়েছে। সংকট উত্তরণের জন্য সব পক্ষকে একযোগে কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, দুই বছর ধরেই দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের প্রধান মাধ্যম রফতানি আয় ও রেমিট্যান্সপ্রবাহে ভাটা চলছে। অন্যদিকে রেকর্ড পরিমাণ চালসহ খাদ্যশস্য ও মূলধনি যন্ত্রপাতি আমদানি হওয়ায় বেড়েছে আমদানি ব্যয় পরিশোধ। ফলে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দেশের চলতি হিসাবে রেকর্ড ৮৫১ কোটি ডলারের ঘাটতি তৈরি হয়েছে। যদিও ২০১৬-১৭ অর্থবছরের এ সময়ে ঘাটতির পরিমাণ ছিল ১৭৯ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এর আগে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের চলতি হিসাবে ৪২৬ কোটি ২০ লাখ ডলার উদ্বৃত্ত ছিল।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে ৬ হাজার ৭২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের; আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় যা ৫১ দশমিক ৯৪ শতাংশ বেশি। একই সময়ে ১৫ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ এলসি নিষ্পত্তি বেড়েছে। অথচ এ সময়ে রফতানি বেড়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। অন্যদিকে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে আড়াই শতাংশ কমার পর গত অর্থবছর রেমিট্যান্স সাড়ে ১৪ শতাংশ কমেছে। চলতি অর্থবছরে (জানুয়ারি-মে) রেমিট্যান্স বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। 

  • Courtesy: BanikBarta/ June 28, 2018

EC slammed as it rejects most applications

NEW PARTY REGISTRATION

Politicians and civil society members on Wednesday criticised the Election Commission as it rejected almost all applications filed by political parties for registration.
Addressing a roundtable organised by Ganasanghati Andolan, a political party seeking registration, at the National Press Club, they said the EC’s decision was illogical, and by making such a decision the EC had proved that it worked as an extended part of the government.

They criticised the EC’s system of calling application once in every five years ahead of general election and holding local elections on party basis.

They urged the EC to drop the provision of seeking application for getting registered, and the parties should be allowed to apply any time they fulfil necessary conditions for registration.

Former election commissioner M Sakhawat Hossain said the EC made the registration mandatory from good intention during the army-backed caretaker government in 2007-08 but the rule was later used as a tool to control political parties. 

Rules complicated by Govt.

He said that the provisions of the Representation of People Order 1972 relating to giving political party registration was made complicated after the ruling Awami League assumed power in 2009.

Columnist Syed Abul Maksud said the EC did not give registration to some pro-people active parties, namely Ganasanghati Andolan, Nagarik Oikya and Oikya NAP, as the EC feared that the parties would push for strong democratic practices.

Oikya NAP president Pankaj Bhattacharya said the EC played games with them even in name of giving registration.

Sushasoner Jonno Nagorik secretary Badiul Alam Majumdar said the law was made to stop irregularities by the nominal parties, but now it had become a tool to control the real parties. 
Dhaka University professor Ahmed Kamal said the state was trying to gripe the citizens by the law.

He urged the political parties to start organised movement against the decisions of the authorities.
Nagarik Oikya convener Mahmudur Rahman Manna said the EC worked for giving teachings to politiclal leaders. 

Ganasanghati Andolan chief coordinator Zonayed Saki said the government did not give registration to new political parties as it tried to force them to get involved in its conspiracy. 

He also criticised the provision of cancelling registration of a party if it does not participate in two consecutive elections as every party reserves the right to take part in and to abstain from it. 
Among others Socialist Party of Bangladesh general secretary Khalequzzaman, Communist Party of Bangladesh general secretary Mohammad Shah Alam, lawyer Jyotirmoy Barua and Ganasanghati Andolan acting executive coordinator Abul Hasan Rubel also spoke at the roundtable.

Earlier this month, the EC selected only two parties the Bangladesh Congress and the Gana Azadi League  for further field-level investigation, out of 76 applications for registrations.

  • Courtesy: New Age/ June 28, 2018

Some insights into GAZIPUR ELECTIONS

Shakhawat Liton
The good thing about Gazipur City Corporation polls is that it was peaceful and no incident of casualty was recorded which is rare in our election history. Perhaps peace was inevitable by the fact that there were hardly any opposition men present in the field on polling day.    

Unfortunately, however, the election was marred by various electoral anomalies such as heavy showdown by the ruling party men in and outside the polling stations, ballot stuffing, casting fake votes, and driving out the polling agents of opposition BNP-nominated mayoral candidate on voting day. 

But then this is hardly a unique situation. During electioneering, the law enforcement agencies launched a drive to arrest opposition men who were facing cases for various alleged offences. To arrest the accused opposition men, the law enforcers raided their residences. Interestingly, they did not arrest a large number of opposition men as that would trigger an outcry among the public. The drives however generated panic among the men of the opposition.

However, the arrests of eight election coordinators of the BNP candidate, only a week before polling, emerged as a big threat to his electioneering. The BNP and its mayoral candidate met the EC and the returning officers and filed a complaint alleging harassment of their leaders and workers. But things remain almost unchanged. As the presence of opposition men was thin and many of their polling agents were allegedly driven away from polling stations, casting of fake votes or stuffing ballots faced little resistance. And incidents of violence were zero. The law enforcement agency members did not have to take any “action” as there was no violent incident. Thus, at the end of the day, the election was indeed peaceful!

The situation during Khulna City Corporation election held around one-and-a-half months before was no different. In fact, what happened in Gazipur had already taken place in Khulna. Thus the two mayoral elections indicate the rise of a new model of election just six months before the parliamentary polls.

As previously mentioned, such a violence-free and controlled election is rare in our election history. Take the example of the last union parishad election held in 2016. Around 100 people were killed due to widespread electoral violence, which was the deadliest election in our entire election history. The one-sided parliamentary election held in January 2014 became the bloodiest national polls with around 20 people killed on voting day. Most of the local bodies' elections held in the last five years were also marred by violence and casualties and electoral irregularities.  

SIGNIFICANCE OF THE POLLS

Khulna and Gazipur mayoral elections were free from the curse of electoral violence. But the underlying messages of the two polls are immensely significant for our national politics. Khulna election was considered as the beginning of the run-up to the next parliamentary election. But the beginning, to put it simply, was not good. The way the Gazipur polls were held did not rekindle hope for a free and fair election. Now, the fate of the elections to three other city corporations in Rajshahi, Barisal and Sylhet scheduled to be held on July 30 hangs in the balance.

Five years ago, the elections to the same five city corporations were held in the run-up to the last parliamentary election held in January 2014. Though the BNP-backed mayoral candidates clinched victories in all the five city corporation polls, the then government was able to take much of the credit for holding free and fair elections. Their sincerity to hold free elections was not questioned. Banking on this success, the government and the AL kept rejecting the BNP-led opposition's demand for restoration of a non-partisan government to oversee the 2014 parliamentary election.

This time around things are moving in the opposite direction. The way the two mayoral elections in Khulna and Gazipur have been held signals a bad start in the run-up to the next parliamentary election. Fairness and credibility of most of the elections held since the last parliamentary polls have been questioned. The electoral system has been largely damaged. The Election Commission has also proved to be weak. And lastly, the two mayoral polls exposed once again the need for reforming institutions like the EC and law enforcement agencies.

Without building democratic institutions, an electoral democracy alone cannot function. We have had some good national elections in 1991, 1996, 2001 and 2008. But sincere efforts were not taken to build effective democratic institutions such as the parliament, judiciary, EC and political parties, all of which contribute to ensuring checks and balances. Hence deficiency in democracy increases. Isn't the new model of election an outcome of all these atecedents?

  • Shakhawat Liton is a special correspondent at The Daily Star.
  • Courtesy: The Daily Star/ June 28, 2018

Seemingly a peaceful election, but…

Role of admin and police raises questions

It was a peaceful election in Gazipur—on the face of it. Noticeable by their absence were the traditional inter-party clashes, large-scale rigging and booth and ballot-paper capture—characteristics that have pervaded the system since a long time. But we are also informed that many centres were bereft of opposition polling agents; and there are pictures of ballot-paper stuffing and other incidents of violation of electoral codes.

Thus we restate what we had said after the Khulna elections. It is a self-evident truth that elections are not a one-day event. The days leading up to the date of polls and whether or not the various political parties were allowed equal space and afforded the same facilities to do their politicking, and whether all parties acted in consonance with the electoral code, are as important and indicative of the degree of “freeness” and “fairness” of the polls as the general atmosphere on the day of election. In fact the general atmosphere in many polling centres was eerily peaceful.

We wonder whether the EC had noticed the partisan role of some members of the administration or even judged their activities in the light of the electoral code when reports and pictures appeared in various media exposing the partisan role of the police. If it had then perhaps it would care to tell us what it thought of the picture showing the AL candidate in a police car, all smiles. Is chaperoning around of a candidate by the police permitted under the code? Or can the police accompany a candidate, as the police did the AL candidate, to cast his vote inside the booth, where nobody except the voter is allowed?

Peaceful election it might have been, but some fundamental questions remain.

  • Courtesy: The Daily Star /Editorial /June 28, 2018

Wednesday, June 27, 2018

সাংবাদিককে আটকে থানায় নেয়ার হুমকি

সিটি করপোরেশন নির্বাচন চলাকালে কেন্দ্র পরিদর্শনের সময় সাংবাদিককে আটক করে থানার নেয়ার হুমকি দিয়েছেন গাজীপুরের এসপি হারুন অর রশিদ। এ ঘটনায় উপস্থিত অন্য পুলিশ সদস্যরাও বিব্রতবোধ করেন। দুপুরে গাজীপুর সদরের শহীদ স্মৃতি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র প্রাঙ্গণে এ ঘটনা ঘটে। নির্বাচনের বিষয়ে পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তাতে চটে গিয়ে তিনি মানবজমিন-এর একজন প্রতিবেদককে আটক করে থানায় নিয়ে যেতে বলেন পুলিশ সদস্যদের। পরে ঘটনাস্থলেই তাকে কিছু সময় আটকে অপ্রয়োজনীয় তথ্য জানতে চাওয়া হয়। পরে এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসপি হারুন মানবজমিনকে বলেন, ওই সাংবাদিক ঝামেলা করার চেষ্টা করছিল।

  • Courtesy: Manabzamin/ June 27, 2018


নারীকেন্দ্রে পুরুষ ভোটার!

বাইরে দৃশ্যত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ। চোখে পড়ার মতো উপস্থিতি ভোটারদের। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতাও লক্ষণীয়। কিছুক্ষণ পরপর এদিক-ওদিক ছুটে যাচ্ছে র‌্যাব-পুলিশ ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়ি। কিছু কিছু কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্প পাশাপাশি। সকালের দিকে প্রায় সব কেন্দ্রে এ রকম দৃশ্যই দেখা গেছে।

দুই ঘণ্টার মতো এমন শান্তিপূর্ণ স্বাভাবিক ভোটগ্রহণ চলে সেখানে। এ সময় বেশির ভাগ কেন্দ্রেই উপস্থিত ছিলেন সকল প্রার্থীর এজেন্ট। সবমিলিয়ে গাজীপুর সিটিতে সকাল থেকেই ছিল উৎসব ভাব। কিন্তু এমনটা ছিল না পুরোদিনের চিত্র। প্রতিটি কেন্দ্রের মুখে সকাল থেকেই অবস্থান নেয় নৌকা প্রতীকের ব্যাজধারী ক্ষমতাসীন দলের লোকজন। যাদের বেশির ভাগই তরুণ-যুবক। তারা হৈ-হুল্লোড় করছেন, ভোটারদের দাঁড় করিয়ে হাতে ধরিয়ে দিচ্ছেন নৌকা প্রতীকের ভোটার স্লিপ। নৌকার ব্যাজ ঝুলিয়ে দিয়েছেন গলায়। ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকদের এমন অবস্থানের কারণে ভয়ে কেন্দ্রে যেতে পারেনি এলাকায় বিএনপির চিহ্নিত কর্মী-সমর্থকরা।

কেন্দ্রের মুখে এমন সরব মহড়ার মাধ্যমে বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় কর্মী-সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে যেতে  প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হলেও সেসব দেখেও দেখেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নির্বাচনী কর্মকর্তারা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যেতে থাকে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের পরিস্থিতি। বের করে দেয়া হয় ধানের শীষের এজেন্টকে। মিডিয়ার উপস্থিতিতে প্রশাসনের নীরব সহায়তায় প্রকাশ্যে সিল মারা হয় নৌকা প্রতীকে। ভোটে স্বচ্ছতা ও জালিয়াতির পরস্পরবিরোধী দুইরকম চিত্রই দেখা গেছে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। বিএনপির একাধিক নেতাকর্মী জানান, কেন্দ্রের মুখে আওয়ামী লীগের লোকজনের মহড়ার কারণে বিএনপির লোকজন কেন্দ্রে যেতে পারেনি। এতে ধানের শীষের ভোট কম পড়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আর দুপুরের পর একের পর এক কেন্দ্রে জালভোট দিয়ে পাল্টে দেয়া হচ্ছে ফলাফল। অন্যদিকে বিএনপির তরফে গাজীপুর সিটি নির্বাচনে প্রতি কেন্দ্রে দুইজন করে বিকল্প এজেন্ট রাখার কথা বলা হলেও বাস্তবতা দেখা গেছে ভিন্ন। সকাল ১০টার পর আশিভাগ কেন্দ্রেই বিএনপি প্রার্থীর কোনো এজেন্ট দেখা যায়নি। আর প্রতিটি কেন্দ্রেই জালভোটের ব্যাপারে প্রিজাইডিং কর্মকর্তাদের উত্তর শোনা গেছে একই- আমি কিছু জানি না, কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। গাজীপুর সিটি নির্বাচনে টঙ্গী, গাছা, কোনাবাড়ি, কাশিমপুর, বাসন, চান্দনা, জয়দেবপুর, সদর ও পুবাইলের অন্তত ৪০টি কেন্দ্রে সরজমিন ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। 

দুপুর তখন সাড়ে ১২টা। মাথার উপর পূর্ণ সূর্যের গণগনে রোদ। ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের গাছার বড়বাড়ি এলাকার মির্জা ইবরাহিম মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়। এ স্কুলে স্থাপন করা হয় দুইটি মহিলা কেন্দ্র। কেন্দ্রের বাইরে সরকার সমর্থকদের মহড়া থাকলেও পরিবেশ শান্তিপূর্ণ। স্কুল মাঠের উত্তরপ্রান্তের ভবনে ২৪৬ নং কেন্দ্র। প্রিজাইডিং কর্মকর্তার আধবোজা দরোজায় দাঁড়িয়ে আছেন কয়েকজন। ঠিক পাশের কক্ষে উঁকি দিতেই দেখা গেল, ভেতরে পঞ্চাশোর্ধ একজন প্রকাশ্যেই নৌকা প্রতীকে সিল মেরে বাক্সে ভরছেন ব্যালটগুলো। কোনো তাড়াহুড়ো নেই, একেবারে স্বাভাবিকভাবে। পরিচয় জানালেন, তার নাম আবদুর রহমান। তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী সাইফুল ইসলাম দুলালের পোলিং এজেন্ট। কাউন্সিলর প্রার্থীর এজেন্ট হয়েও মেয়র প্রার্থীর পক্ষে ভোট মারছেন কেনো? উত্তরে জানালেন, দুই প্রার্থী একই দলের। তাই জাহাঙ্গীর আলমের হয়েও কাজ করছেন। স্বীকার করলেন, কাজটি ভুল হয়েছে। 

সাংবাদিকদের দেখতে পেয়ে পাশের বুথে জালভোট দেয়ায় ব্যস্ত কয়েকজন যুবক দ্রুত বেরিয়ে গেলেন। এ সময় সহকারী প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও পুলিশের এসআই আসিফ এসে ধমক দিয়ে বললেন, বুথে ঢুকেছেন কেন? নারী কেন্দ্রে পুরুষ ভোটার কেন জানতে চাইলে তারা বললেন, প্রিজাইডিং অফিসার বলতে পারবেন, তার কাছে যান। অভিযোগ পেয়ে প্রিজাইডিং কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ এলেন ভোটকক্ষে। এ সময় বহুসংখ্যক বহিরাগত কেন্দ্রে প্রবেশের চেষ্টায় বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে লাঠিসোটা নিয়ে আক্রমণ করেন। নির্বাচনী কর্মকর্তা, পর্যবেক্ষণকারী সাংবাদিকরা আশ্রয় নিলেন প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কক্ষে। একজন পোলিং এজেন্ট জানালেন, কাউন্সিলর প্রার্থী ইফতেখারুল আলম মনিরের সমর্থকরা আক্রমণ করেছে। পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের বলা হলো, বাইরে নিরাপদ নয়, আপনারা এখানেই থাকুন। কয়েক মিনিট পর দেখা গেল অন্যরকম দৃশ্য। প্রতিটি বুথ থেকে বেরিয়ে এলো নৌকার ব্যাচ পরা অর্ধশতাধিক তরুণ-যুবক। দুইটি কেন্দ্রে ভোট দিতে আসা ভোটারদের বেরিয়ে যেতে উৎসাহিত করলো পুলিশ। 

পুলিশ অস্ত্র তাক করে আশেপাশের লোকজনকে সরিয়ে দিলো। তারপর বন্ধ করে দিলো কেন্দ্রের মূল গেট। বাইরে কাউন্সিলর প্রার্থীর লোকজন গেটে আঘাত করছিল। এ সময় সাংবাদিকরা কেন্দ্রের মধ্যে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। নিরাপত্তার কথা বলে সাংবাদিকদের প্রিজাইডিং অফিসারের কক্ষে ঢুকিয়ে দেয়া হয়। এসময় চল্লিশোর্ধ এক ব্যক্তি প্রিজাইডিং কর্মকর্তার কক্ষে ঢুকে বললেন, ‘মেয়র সাহেব বলেছেন, এই কেন্দ্রটি নিয়ে নাও।’ কথাটি বলেই ঝড়ের গতিতে বেরিয়ে গেলেন তিনি। পরক্ষণে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা আসিফের ফোনে একটি রিং এলো। তিনি ফোনটি প্রিজাইডিং অফিসারের দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়। প্রিজাইডিং অফিসার ফোনটি ধরে ওপারের প্রশ্নের জবাবে বললেন, তার কেন্দ্রে মোট ভোটার তিন হাজার ৪০০। বেলা ১২টা পর্যন্ত কাস্ট হয়েছে ৯৪৪টি। ওপার থেকে যে নির্দেশনা আসে তা পুনরাবৃত্তি করে তিনি বললেন, ঠিক আছে তাহলে ১২শ’ ভোটই হবে। পরক্ষণেই সেই তরুণ-যুবকরা ঢুকে পড়ে। ৪০ মিনিট পর সাংবাদিকদের অনেকটা জোর করেই বের করে দেয়া হয়। তারপর থেকে একঘণ্টা কেন্দ্রটির ভেতরে ভোটগ্রহণ হয়েছে গেট বন্ধ অবস্থায়। বাইরে বিএনপির এজেন্ট আসলাম আলী জানালেন, পুরো বিষয়টিই একটি নাটকের অঙ্ক। প্রথমে পাশের পুরুষ কেন্দ্রটি দখল করে ভোট কাটা হয়েছে। তারপর গণ্ডগোলের কৃত্রিম উত্তেজনা তৈরি করে ভোটারদের ভাগিয়ে দিয়ে এ কেন্দ্রেও কেটে নেয়া হচ্ছে ভোট। 

বিকাল তখন সাড়ে তিনটা। গাজীপুরের প্রাণকেন্দ্র চান্দনা চৌরাস্তা। ভোটগ্রহণ তখনও শেষ হয়নি। চান্দনা স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের বাইরে তখন মহাসড়ক আটকে নৌকার মিছিল করছে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী-সমর্থকরা। কেন্দ্রে ঢুকতেই বামপাশে দেখা গেল লাইভের যন্ত্রপাতি সেট করে রেখেছে অন্তত ৫টি টেলিভিশন চ্যানেল। সেখানে নৌকার ব্যাজধারী লোকজন ও ভোটারদের সঙ্গে খোশগল্প করছেন সাংবাদিকরা। নিজেদের মধ্যে খোশগল্পে মত্ত রয়েছেন পুলিশ সদস্যরাও। বাইরে থেকে দেখলে মনে হয়, শান্তিপূর্ণ পরিবেশের একটি মডেল নির্বাচন চলছে এ কেন্দ্রে। ভেতরে গেলে দেখা যায়, একটি বুথেও বিএনপির এজেন্টদের পাওয়া যায় না। কেন্দ্রের পুরুষ ৩-৪-৫ নম্বর বুথের সামনে কোনো ভোটার নেই। প্রতিটি বুথের দরোজায় দাঁড়িয়ে আছেন একজন করে। সেদিকে এগিয়ে গেলে একজন যুবককে মোবাইলে বলতে শোনা যায়, ভাই- কাজ শেষ প্রায়। বিকাল সাড়ে তিনটায় বুথে উঁকি দিতেই দেখা যায় সামনে বাক্স রেখে অনবরত সিল মারছেন আর বাক্সে ভরছেন কয়েকজন তরুণ। 

তাদের গলায় তখন ঝুলছিল জাহাঙ্গীর আলমের ব্যাজ। ভোট কক্ষের জানালা দিয়ে সিলমারার দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করেন ওই সময় সেখানে উপস্থিত এক দৈনিকের সাংবাদিক। সেটা দেখে কয়েকজন তরুণ এগিয়ে এসে মারমুখো ভঙ্গিতে ধারণকৃত ভিডিও মুছে ফেলতে বলেন। এ বুথের উপর তলায় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবদুস সাত্তারের কক্ষ। তার কাছে যাওয়ার পথে দেখা গেল, প্রিজাইডিং কর্মকর্তার পাশের কক্ষেই ব্যালট নিয়ে সিল মারছেন দুজন তরুণ। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে আবদুস সাত্তার বললেন, তিনি কিছুই জানেন না। কেউ তার কাছে অভিযোগ করেনি। এর আগে দুপুর তখন দেড়টা। ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের গাছার খন্দকার রজব আলী বিদ্যানিকেতন কেন্দ্র। বাইরে নৌকার ব্যাজধারীদের ভিড়। কেন্দ্রে প্রবেশের পর জানা গেল, কিছুক্ষণ আগে এ কেন্দ্র থেকে এক বান্ডিল ব্যালট ছিনতাই হয়েছে। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সাবিউল ইসলাম জানান, ‘টিফিন ক্যারিয়ার’ প্রতীকের কাউন্সিলর প্রার্থী আবদুল্লাহ আলম মামুন মণ্ডলের সমর্থকরা ১০০ পাতার একটি ব্যালট বই ছিনিয়ে নেয়। এ কারণে ৪৫ মিনিট ভোট বন্ধ ছিল।

সব ব্যালট বাতিল করা হয়েছে। তাই ফলে প্রভাব পড়বে না। ব্যালট বই ছিনিয়ে নেয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়েছে। এদিকে কেন্দ্রের প্রতিটি বুথের সামনে তখন ভোটারদের লাইন। কিছুক্ষণ অবস্থান করে দেখা গেল, লাইন এগোচ্ছে না। কেন্দ্রের দুই নম্বর বুথে উঁকি দিতেই দেখা গেল ভেতরে নৌকার ব্যাজপরা কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছেন। কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে আসার সময় একজন বয়োজ্যেষ্ঠ ভোটার বললেন, বুথের বাইরে যে লাইন দেখেছেন সেটা ভুয়া। দলের লোকজনকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভেতরে ভোট কাটা চলছে। দুপুর তখন আড়াইটা। জয়দেবপুর শহীদ স্মৃতি কলেজ কেন্দ্র। কেন্দ্রের মুখে যথারীতি মহড়া। ভেতরে একটি বুথে ঢুকতেই দেখা গেল এক ভোটার অসন্তোষ প্রকাশ করছেন। তিনি অভিযোগ করলেন ব্যালটে আগে থেকেই ‘নৌকা’য় সিল দেয়া ছিল। এ সময় একজন এসে তাকে শাসিয়ে দেয়ার পর তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানালেন। 

সকাল থেকে এমন পরিস্থিতি ছিল না গাজীপুর সিটি নির্বাচনে। সকালের দিকে ভোটের উৎসব দেখা গেল সালনার ইসলামিয়া ফাজিল মাদরাসার দুটি কেন্দ্রে। বিএনপির পোলিং এজেন্টদেরও কেন্দ্রে পাওয়া গেল। এজেন্ট নজরুল ইসলাম বললেন, দায়িত্ব পালনে কেন্দ্রে আসতে পারবেন কিনা ভয়ে ছিলাম। কিন্তু কেন্দ্রে আসতে পেরেছেন। এখন ভোটগ্রহণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত থাকতে পারবেন কিনা সে ভয়ে আছেন। ভোটাররা জানালেন, ভয়ভীতি ছাড়াই ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। বিএনপির ক্যাম্পে বসে একই কথা বললেন ১৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির নেতা সাখাওয়াত হোসেন। সালনা নাসির উদ্দিন মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়, টিঅ্যান্ডটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাড়িয়ালী প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রেও একই চিত্র দেখা যায়।

সকাল তখন সাড়ে আটটা। গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের টেকনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। স্কুল প্রাঙ্গণে নারী ভোটারদের দীর্ঘ সারি। পুরুষ ভোটারের সংখ্যা তখনও হাতেগোনা। কেন্দ্রে প্রবেশ করে এক নম্বর পুরুষ বুথে ঢুকতেই বাধা। আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের একজন এজেন্ট পথরোধ করে বললেন, ভোট কক্ষের ভেতরে সাংবাদিক প্রবেশ নিষেধ। প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ডা. আনিসুর রহমান ভোটকেন্দ্রের বারান্দাতেই ছিলেন। সাংবাদিক প্রবেশে বাধা-নিষেধের কথা শুনেই এলেন। বললেন, সাংবাদিক প্রবেশে বারণ নেই। টেকনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দু’টি কেন্দ্রের সবক’টি বুথেই ভোট চললো নির্বিঘ্নে। সময় তখন বেলা সাড়ে ১১টা। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের জরুন হাফেজিয়া মাদরাসা কেন্দ্র। কেন্দ্রে প্রবেশ করতে গেলে বাধা দেয় পুলিশ। কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা বলেন, প্রিজাইডিং অফিসারের অনুমতি নিতে হবে।

তিনি একজন আনসারকে ভেতরে পাঠান। ১০ মিনিট পর অনুমতি আসে। ভেতরে যাওয়ার পর প্রিজাইডিং অফিসার প্রথমেই জানতে চান সাংবাদিকরা কে কোথায় কাজ করেন। এ সময় তার কক্ষে বসে খোশগল্প করছিলেন নামসর্বস্ব একটি পত্রিকার একজন সাংবাদিক ও কয়েকজন ক্ষমতাসীন দলের নেতা। প্রিজাইডিং অফিসার বললেন, ভোট বেশ শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। তিনি কোনো বুথের দিকে যেতে অনুমতি দিলেন না। অন্যদিকে দুপুর তখন দুইটা। নাইজোড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র। ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়া হলেও নারী ও পুরুষ দুইটি কেন্দ্রেই ভোটগ্রহণ হয়েছে শান্তিপূর্ণ। ভোটকেন্দ্রের ধারেকাছে ধানের শীষের লোকজন দেখা না গেলেও উপস্থিত ছিল ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের কর্মী-সমর্থকরা। বিকাল ৩টা তখন। কোনাবাড়ি এমইএইচ আরিফ কলেজ কেন্দ্র। ভোটকেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল অত্যন্ত কম। কেন্দ্রের ১ ও ২ নম্বর বুথ মিলিয়ে পৌনে আটশ’ ভোটের মধ্যে বিকাল তিনটা পর্যন্ত কাস্ট হয়েছে মাত্র সাড়ে তিনশ’ ভোট। 

  • Courtesy: Manabzamin/ June 27, 2018

আধ ঘণ্টাও কেন্দ্রে টিকতে পারেননি

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোনো কেন্দ্রে আধ ঘণ্টাও টিকতে পারেননি বিএনপি সমর্থিত মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকারের পোলিং এজেন্টরা। সকাল আটটায় শুরু হওয়া নির্বাচনে কোনো কোনো কেন্দ্রে ১০ থেকে ২০ মিনিট করে বসতে পারলে পরে তাদের বের করে দেয়া হয়। গতকাল সারাদিন নির্বাচনী কেন্দ্রগুলো ঘুরে এ চিত্রই লক্ষ্য করা গেছে। 

কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করার অভিযোগ করেছেন মেয়র প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার। সকাল সাড়ে আটটার  দিকে নিজ এলাকা টঙ্গী কলেজ গেট সংলগ্ন বছির উদ্দিন উদয়ন একাডেমিতে ভোট দিতে এসে তিনি জানিয়েছেন ভোট শুরুর আগেই ১০টিরও বেশি কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়। এসময় তিনি বলেন, ভোট সুষ্ঠু হওয়ার কোনো নিদর্শন দেখছি না।

আমার পোলিং এজেন্টদের হয়রানি করা হয়েছে। ভোট শুরুর আগেই ১০ কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। 

এদিকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা কেন্দ্রের ভেতরে অবস্থান নিয়ে দখলে নেয়া শুরু করে। একই সঙ্গে পোলিং এজেন্ট ও ভোটারদের ভয়ভীতি প্রদর্শনও করা হয়। গাজীপুর কোনাবাড়ীর বিভিন্ন কেন্দ্রে সরজমিন দেখা যায়, এই এলাকার একটি কেন্দ্রেও ভোটকক্ষে ধানের শীষের কোনো পোলিং এজেন্ট ছিলেন না। জরুন হাফিজিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে দেখা যায় নৌকা প্রতীকের ব্যাজ ধারণ করে ভোট কক্ষগুলোতে বসে আছেন এজেন্টরা। 

কিন্তু সেখানে ধানের শীষের কেউ উপস্থিত ছিলেন না। এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসার কাজী নাসির উদ্দিনকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, এই কেন্দ্রে ধানের শীষের কেউ আবেদন করেননি। কারো তালিকা আমার কাছে নেই। ভয়ভীতি দেখিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছেন- এমন অভিযোগ অস্বীকার করে কাজী নাসির উদ্দিন বলেন, আমার কাছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ নেই। আর আমার কেন্দ্রে সুষ্ঠুভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। কোনো পক্ষ এসে ভয়ভীতি দেখানোর সুযোগ নেই। 

আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করছেন। এক কথায় কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এ কেন্দ্রে ঘটেনি। তবে জরুন এলাকার এই হাফিজিয়া মাদরাসা কেন্দ্রে দেখা যায় বেশ কিছু ভোটার লাইনে দাঁড়িয়ে থাকলেও কেউ ভেতরে গিয়ে ভোট দিতে পারেননি এক ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকার পরও। এ সময় কিছু লোক বাইরে থেকে এসে লাইন ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে ভোট দিচ্ছেন। কেন্দ্রটিতে আইনশৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী দাঁড়িয়ে থাকলেও নীরব ভূমিকাই পালন করেছেন। 

একই অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে ওই এলাকার আরেক কেন্দ্র টাঙ্গাইল প্রি ক্যাডেট স্কুলে। সেখানে প্রিজাইডিং অফিসার সুকুমার চন্দ্র রায় জানান, সকাল থেকে ধানের শীষ প্রার্থীর একজন পোলিং এজেন্ট এসেছিলেন। তবে ১৫ মিনিট থাকার পর তিনি চলে গেছেন। তার নাম আমি জানি না। কেন জানেন না- এ প্রশ্নের জবাবে সুকুমার বলেন, আমার কাছে কেউ এসে রিপোর্ট করেনি। এসব কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি দেখা গেলেও কোনাবাড়ির আরেক কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল না বললেই চলে। সকাল থেকেই এখানে থমথমে পরিস্থিতি ছিল বলে জানা যায়। পরবর্তীতে সরজমিন গিয়ে দেখা যায় ভোট কেন্দ্রের আশেপাশে জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকরা দখল করে নেয়। সকালেই বিএনপির সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্টদের বের করে দেয়া হয় ভোটকেন্দ্র থেকে। 

আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের জেরে দুপুর ১১টার দিকে এ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার মহিদুল আমিন জানান, কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। তাই কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতও হয়নি। হ্যাঁ পাঁচ মিনিট বৃষ্টির কারণে বন্ধ ছিল। পরে পুলিশের সহযোগিতায় আমরা সব ঠিক করে নিয়েছি। ভোট কেন্দ্র থেকে ধানের শীষের এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কোনাবাড়ির আরো কয়েকটি কেন্দ্রে। এর মধ্যে জেনুইন রেসিডেন্সিয়াল স্কুল অ্যান্ড  কলেজ কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, পোলিং এজেন্টদের কেউ উপস্থিত নেই।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীর এজেন্ট ও তাদের সমর্থকরা সরব। কেন্দ্রে সাংবাদিক আগমনের খবর শুনে বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে দেখা যায় তাদের। এদের মধ্যে ভোটার নন একজনের সঙ্গে আলাপ করতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান। কেন্দ্রে বহিরাগতদের প্রবেশ সম্পর্কে জানতে চাইলে এক আনসার সদস্য বলেন, জোর করে কেন্দ্রের ভেতর ঢুকে যায়। কে বা কারা কোন দলের সেটা জানি না। কিছু বললে উল্টো ধমক দেয়। এ কেন্দ্রের পোলিং এজেন্ট নেই কেন- জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার একেএম সালাহউদ্দিন বলেন, সকাল থেকে ধানের শীষের কোনো পোলিং এজেন্ট আমার কাছে এসে রিপোর্ট করেনি। আবেদনও পাইনি। কেন্দ্রে না আসার কারণ তো আর আমি বলতে পারবো না।

  • Courtesy: Manabzamin /June 27, 2018 

আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৪০%

বিএফআইইউর বার্ষিক প্রতিবেদন


দেশে রেকর্ড আমদানির দায় পরিশোধ নিয়ে ব্যাংকারদের উদ্বেগ আর উত্কণ্ঠা বাড়ছে। একই সঙ্গে বাড়ছে বাজারে ডলারের সংকট। চলতি বছরের শুরু থেকেই ঊর্ধ্বমুখী মার্কিন মুদ্রাটির বিনিময় হার। এদিকে আমানত নিয়েও হাহাকার চলছে ব্যাংকগুলোতে। আর্থিক খাতে এ পরিস্থিতির মধ্যেই ক্রমে বাড়ছে সন্দেহজনক লেনদেন।

দেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটের (বিএফআইইউ) বার্ষিক প্রতিবেদনে সন্দেহজনক বা অস্বাভাবিক লেনদেন ও তত্পরতা বৃদ্ধির তথ্য উঠে এসেছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে আর্থিক খাতে সন্দেহজনক ২ হাজার ৩৫৭টি লেনদেন ও তত্পরতার তথ্য পেয়েছে সংস্থাটি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এমন লেনদেনের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৬৮৭। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে সন্দেহজনক লেনদেন বেড়েছে ৩৯ দশমিক ৭২ শতাংশ।

কর্মকর্তারা বলছেন, আগেও দেশে সন্দেহজনক লেনদেন হতো। নানা কারণে সংশ্লিষ্টরা বিএফআইইউকে সে তথ্য দিতেন না। কিন্তু বিএফআইইউর তত্পরতায় ব্যাংকারসহ খাতসংশ্লিষ্টদের সচেতনতা বেড়েছে। ফলে আগের তুলনায় সংস্থাটির কাছে সন্দেহজনক লেনদেন ও কর্মকাণ্ডের তথ্য বেশি এসেছে।

আর্থিক খাতে সন্দেহজনক লেনদেন চিহ্নিতকরণ, নগদ লেনদেনে নজরদারিসহ মুদ্রা পাচার রোধে কাজ করে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট বা বিএফআইইউ। ২০১৬-১৭ অর্থবছরের কর্মকাণ্ড নিয়ে গতকাল প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ঘুষ-দুর্নীতি, জঙ্গি বা সন্ত্রাসে অর্থায়ন, মানব পাচার, চোরাচালান, মুদ্রা জাল, অর্থ পাচার ও সম্ভাব্য বেআইনি লেনদেন হলে ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা কোম্পানি বিএফআইইউতে রিপোর্ট করে। যাকে সন্দেহজনক লেনদেন প্রতিবেদন (এসটিআর) বলা হয়। আবার ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি যেকোনো ধরনের নগদ লেনদেন হলে তার তথ্যও বিএফআইইউতে পাঠাতে হয়। তবে সন্দেহজনক লেনদেন বা কর্মকাণ্ড মানেই অপরাধ সংঘটিত হয়েছে, এমনটা নয়।

এ প্রসঙ্গে বিএফআইইউর প্রধান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু হেনা মোহা. রাজী হাসান বণিক বার্তাকে বলেন, সন্দেহজনক লেনদেন কোনো অপরাধ নয়। লেনদেনে অপরাধের উপাদান পাওয়া গেলে তবেই সেটি অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বিএফআইইউর কাছে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য বেশি জমা পড়া প্রতিষ্ঠানটির সফলতারই নির্দেশক। আগে ব্যাংক, বীমা ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য জমা দিতে ভয় পেত। কিন্তু আমাদের তত্পরতা ও বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মসূচির কারণে সংশ্লিষ্টদের মন থেকে ভয় দূর হয়েছে।

তিনি বলেন, সন্দেহজনক লেনদেন আগেও ছিল। কিন্তু এখন ব্যাংকগুলোর সচেতনতার কারণে বিএফআইইউর সঙ্গে আন্ডারস্ট্যান্ডিং বেড়েছে। সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্যগুলো দিয়ে আমরা একটি তথ্যভাণ্ডার তৈরি করছি। এ তথ্যভাণ্ডার আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর অনুসন্ধানেও কাজে দিচ্ছে। ভবিষ্যতে কারো বিষয়ে অনুসন্ধান করার দরকার হলে, আমরা মানসম্মত প্রতিবেদন তৈরি করতে পারব। এছাড়া সন্দেহজনক লেনদেনগুলোর মধ্যে কিছু কিছু আমরা খতিয়ে দেখছি। অনুসন্ধানে অপরাধের উপাদান পেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেয়া হচ্ছে।

বিএফআইইউর প্রতিবেদনমতে, ২০১২-১৩ অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য জমা পড়েছিল ৪১৬টি। এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে এমন লেনদেনের সংখ্যা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে ৬২১টি, ২০১৪-১৫ অর্থবছর ১ হাজার ৯৪ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ১ হাজার ৬৮৭টি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য জমা পড়ে বিএফআইইউতে। বিদায়ী অর্থবছরে সন্দেহজনক লেনদেন ও তত্পরতা ৩৯ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ৩৫৭টিতে দাঁড়িয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে প্রতি মাসে গড়ে ১৯৬টি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য জমা হয়। এর মধ্যে ২০১৬ সালের অক্টোবর, নভেম্বর এবং ২০১৭ সালের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে শুধু বিদায়ী বছরের ফেব্রুয়ারিতেই ৩২৯টি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য বিএফআইইউতে জমা পড়ে। ব্যাংক, ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফআই), অর্থ প্রেরক (মানি রেমিটার) এবং পুঁজিবাজারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে এসব অভিযোগ জমা পড়েছে প্রতিষ্ঠানটির কাছে। বিএফআইইউর কাছে জমা পড়া সন্দেহজনক লেনদেনের মধ্যে ৭০ দশমিক ৫৬ শতাংশই ছিল ব্যাংকের। এছাড়া অর্থ প্রেরকের কাছ থেকে ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ এবং ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) কাছ থেকে ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য এসেছে।

সন্দেহজনক লেনদেনের মধ্যে ১৮টি ছিল ১০ কোটি টাকার বেশি মূল্যমানের। এছাড়া আড়াই কোটি থেকে ৫ কোটি টাকার ২৯টি, ৫ থেকে ১০ কোটি টাকার ২৩টি ও ৫০ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি টাকার ৯৪টি সন্দেহজনক লেনদেনের তথ্য বিএফআইইউর কাছে আসে। সন্দেহজনক অন্য লেনদেনগুলো ছিল ৫০ লাখ টাকার কম মূল্যমানের। সন্দেহজনক লেনদেনের ৫৫ শতাংশই ছিল ঢাকায়।

শুধু সন্দেহজনক লেনদেন নয়, বিএফআইইউর কাছে আর্থিক অপরাধের অভিযোগের সংখ্যাও বিদায়ী অর্থবছরে ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। এ সময়ে প্রতিষ্ঠানটির কাছে মোট ৩০১টি অভিযোগ জমা পড়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১০৯টি অভিযোগ করে বাংলাদেশ পুলিশ। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনের কাছ থেকে ৭১টি, গণমাধ্যমের কাছ থেকে ১৪টি, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ১১টি এবং শুল্ক বিভাগসহ অন্যদের কাছ থেকে ৯৬টি আর্থিক অপরাধের অভিযোগ পেয়েছে বিএফআইইউ।

প্রতিষ্ঠানটি থেকে গত অর্থবছর রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থাকে দুর্নীতি, প্রতারণা, অপহরণ, সন্ত্রাসে অর্থায়ন, অর্থ পাচারসহ বিভিন্ন বিষয়ে ১২১টি অপরাধের তথ্য দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৬৯টি অভিযোগ ছিল দুর্নীতি ও জালিয়াতি সম্পর্কিত। এছাড়া প্রতারণা সম্পর্কিত ২৫টি, অপহরণ-সংক্রান্ত ১০টি, সন্ত্রাসে অর্থায়ন বিষয়ে ১০টি অপরাধের তথ্য রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থাকে দেয়া হয়েছে। বিএফআইইউ থেকে সবচেয়ে বেশি ৭২টি অভিযোগ পাঠানো হয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশনে। ৩৮টি অভিযোগ সিআইডি, ৯টি অভিযোগ কাউন্টার টেরোরিজমে পাঠিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

  • Courtesy: BanikBarta /June 27, 2018

False govt promises only prolong teachers’ problems

THERE is a saying that teachers are the future of nation. Primary school teachers play an important role in raising future citizens. In Bangladesh, however, the role of school teachers is not valued. Teachers of government-recognised educational institutions but not enlisted for the monthly payment scheme have intermittently taken to the streets for proper pay since 2013. Among the aggrieved teachers, as New Age on reported Tuesday, there are ones teaching students without any pay for even 20 years. In December 2017, several hundred teachers began a sit-in in Dhaka and went on hunger strike which drew national attention and many lent voice to their cause, criticised the government for not attending to their demand in time. Amid widespread criticism, the prime minister on January 5 assured them of their inclusion into the system. 

Sadly, the assurance did not translate into action as the proposed national budget did not allocate additional budget for enlisting new schools for the monthly payment scheme. It is in this context the teachers concerned under the banner of Non-MPO Educational Institution Teachers and Employees’ Federation started fast-unto-death on Monday. Instead of immediately approaching the peaceful protesters for dialogues, the government shockingly ordered police to harass and attack them, even detain federation organisers.

The monthly payment system for recognised non-government educational institution was introduced in 1981, under which the government has been contributing full basic pay to teachers since 2006. The last inclusion of 1,645 institutions into the scheme took place in 2010. About 75,000 to 80,000 teachers are now employed in the government-recognised 5,242 schools all over Bangladesh who are not under the scheme. The situation reveals absolute apathy of all the authorities concerned. 

Not only has the government avoided heeding the teachers’ cause, it has used brute police force to tackle peaceful protesters on the streets. In mid-June when teachers gathered in front of the National Press Club, the police charged at them with truncheons and injured many teachers. Since then, at least 40 aggrieved teachers have fallen ill spending their day and night under the open sky. It is time that the government initiated a commission to review the performance of the schools in question and work out a mechanism to ensure the payment of teachers for the services they have already provided. False promises from the state managers will only keep the problem alive. 

The government must know that it cannot declare itself a middle-income country leaving school teachers from rural areas starved. The incumbents must immediately take steps to arrange an MPO enlistment drive and review school’s eligibility for financial assistance. While it is important to urgently attend to the demand of the teachers, it must also develop a mechanism through which schools will be evaluated regularly for fresh enlistment.

  • Courtesy: New Age/ Editorial /June 27, 2018

Sorry state of public hospitals

Healthcare stunted

According to a report in this daily published yesterday, patients have to receive treatment in an unhygienic environment at the Narayanganj 300-bed Hospital, the largest public hospital in the district. Beds in the hospital are in a horrible state, infested with bed bugs and cockroaches with soiled bedsheets. Moreover, many of the beds are strutted up with the help of bricks. And although there should be 300 beds in the hospital, currently only 271 beds exist.

The report is fairly representative of the general condition of many public hospitals across the country. Anyone who has ever visited a public hospital in the country might have seen and experienced the same problems. We wonder why the conditions of our healthcare facilities are so deplorable when a big portion of our health budget is allocated for infrastructure development and purchase of modern equipment. And while lack of cleanliness and absence of proper beds are problems that could be easily solved by the authorities, who will solve other major problems, such as, nonattendance of doctors and lack of diagnostic facilities that most of the public hospitals in the country are facing?

We urge the Narayanganj hospital authorities to ensure a clean environment for the patients and replace the existing broken beds immediately. According to a hospital official, the government has decided to upgrade this hospital to a medical college hospital soon. We think, before planning big, it should solve the existing problems of the hospital. There should be a monitoring mechanism in place to oversee that our public hospitals are run efficiently without which quality treatment to the people, who have no other alternative but to seek treatment in these facilities, can't be provided.

  • Courtesy: The Daily Star /Editorial /June 27, 2018