Search

Thursday, July 5, 2018

Met office rings flood alarm

Monsoon is active over Bangladesh and the Met office has forecast heavy to very heavy rainfall in most places in the country and several places in India for the next two days.
Amid heavy rainfall in different parts of the country and upstream India, the Flood Forecasting and Warning Centre (FFWC) yesterday said water level of all major rivers was increasing and the country would experience a moderate flood in the middle of this month. 

The intense rainfall in Bangladesh and upstream India would cause floods in places in the northern and middle part of Bangladesh and worsen the flood situation in eastern and north eastern parts, said the FFWC.

FLOODS LIKELY NEXT WEEK

“We are expecting flood in the middle of the next week in the northern part of the country,” said Arifuzzaman Bhuiyan, executive engineer of the FFWC.

Of the 96 water-level monitoring centres, the level is increasing at 77, while the water level is flowing above the danger level at nine points.

According to the FFWC bulletin, water of the Brahmaputra-Jamuna rivers and the Ganges-Padma rivers may continue to rise for 72 hours and 48 hours respectively. Water level of the Dharala, Teesta, Dudhkumar and Ghagot rivers in the northern region and the Surma and Kushiyara rivers in the northeastern region of the country also may rise rapidly until tomorrow. 

Besides, water of the Kaptai Lake in Rangamati was over the danger level yesterday due to incessant rain.

In the forecast, the Met office predicts heavy to very heavy rainfall at most places in Dhaka, Mymensingh, Rajshahi, Rangpur, Khulna, Barisal, Chittagong, and Sylhet divisions until 9:00am today.

Heavy rainfall in the coastal area disrupted flight schedule in Cox's Bazar yesterday morning.

The per month rainfall had been above the average consistently. In the last month, it rained 3.6 percent more than average. In May, it was 14.3 percent more and in April it was 36.7 percent more than the average.   

UNB adds: many low-lying areas of Cox's Bazar and Rangamati have gone under water following torrential rain and onrush of water from the hills.

KAPTAI OPENS 8 GATES OF SPILLWAY

Sources at Kaptai Water and Electricity Centre said the authorities concerned opened eight out of 16 gates of the spillway of the dam to release 4,500 cusec of water of the Karnaphuli river to handle the excess water pressure. 

Times of India reports that heavy to very heavy rainfall is expected in large parts of India, including several places in Jammu and Kashmir, Tamil Nadu, Assam and Gujarat, over the next few days until tomorrow, citing the India Meteorological Department.


  • Courtesy: The Daily Star /July 05, 2018

Wednesday, July 4, 2018

চাকরিতে উচ্চপদগুলো ভারতীয়দের দখলে, বাংলাদেশি যুবকরা বেকার!


বাংলাদেশে প্রতিবেশি দেশ ভারত থেকে আসা নাগরিকরা বেসরকারি খাতের বহু উচ্চপদে চাকরি করছেন। ফলে দেশের অনেক শিক্ষিত যুবক বেকার বসে আছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন লেখক ও ব্লগার পিনাকী ভট্টাচার্য।

বিষয়টি নিয়ে একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবর শেয়ার করে নিজের ফেসবুক আইডিতে তিনি লেখেন, বাংলাদেশ থেকে ভারতীয়রা চাকরি করে যে রেমিটেন্স পাঠায় তা ভারতের চতুর্থ রেমিটেন্সের উৎস।

তিনি লেখেন, গত বছর ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে গেছে। প্রথম যে রেমিটেন্সের উৎস সংযুক্ত আরব আমিরাত সেটাও বাংলাদেশ থেকে নেয়া রেমিটেন্সের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।

পিনাকী ভট্টাচার্য লেখেন, তাহলে বোঝেন কত ভারতীয় নাগরিক আমাদের এখানে কাজ করছে। এরা সবাই উচ্চ পদে কাজ করে। তারা তাদের আশেপাশে প্রভাব বলয় তৈরি করে। আমাদের আরবান এলিটেরা কি এই কারণেই সবসময় গণবিরোধী ভূমিকা নিচ্ছে? ভাবনার অবকাশ আছে। এই টাকাটা বাংলাদেশে রাখা গেলে আমাদের ইকোনমি কোথায় গিয়ে দাঁড়াতো ভাবুন।

এ বিষয়ে পিনাকী ভট্টাচার্য ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরের সূত্র উল্লেখ করে গণমাধ্যমের কাছে বলেন, যেখানে বাংলাদেশের চাকরিপ্রার্থী যুবকরা বেকার থাকছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের জন্য আন্দোলনে নেমেও লাঠিপেটার শিকার হচ্ছেন, সেখানে বেসরকারি চাকরি ভারতীয়রা দখল করে নিলে অমাদের দেশের শিক্ষিত যুবকরা যাবে কোথায়?

তিনি বলেন, বাংলাদেশের চাকরিতে ভারতীয় নাগরিকদের নিয়োগ প্রসঙ্গে এর আগেও গণমাধ্যমে রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে, টেলিভিশন টক শোতেও আলোচনা হয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক হিসেব অনুযায়ী, ২০০৯ সালে পাঁচ লাখ ভারতীয় নাগরিক অবৈধভাবে বাংলাদেশে অবস্থান করছিল। তারা অনেকে টুরিষ্ট ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন এনজিও, গার্মেন্টস ব্যবসা, টেক্সটাইল ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে কাজে নিযুক্ত হয় এবং হুন্ডির মাধ্যমে নিজ দেশ ভারতে রেমিট্যান্স প্রেরণ করে।

বিশ্বব্যাংকের ২০১২ সালের রেমিট্যান্স তথ্যে বলা হয়েছে, ভারতীয়রা বাংলাদেশ থেকে ৩.৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তাদের দেশে রেমিট্যান্স হিসেবে পাঠিয়েছে।

এ হিসেবে বাংলাদেশ ছিল তখন ভারতের জন্য পঞ্চম বৃহৎ রেমিট্যান্স আয়ের উৎস। আর বাংলাদেশ থেকে রেমিট্যান্স নেয়ার তালিকা ভারতের অবস্থান হচ্ছে এক নম্বরে।

সর্বশেষ হিসেবে বলা হচ্ছে, গতবছর ১০ বিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগে বাংলাদেশ ভারতীয়দের জন্য চতুর্থ বৃহৎ রেমিট্যান্স আয়ের উৎস হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তবে অবৈধ পথে পাঠানো অর্থের হিসাব এর চেয়ে আরও বেশি বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

  • কার্টসিঃ যুগান্তর/ জুলাই ৪,২০১৮  

‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে’


এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা গর্ব করি। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পিটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর তাকে বিনা অপরাধে রিমান্ডে নিয়ে যাচ্ছে। আজ এখানে অনেকের ইচ্ছা থাকলেও আসতে পারেননি। এটা এখন একটা মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এই মৃত্যুপুরীর অবসান কে ঘটাবে? 

এখন আর কোনো সময় নেই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে। যে কয়জন আসুক তাদের নিয়ে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। আমরা এখন বিপর্যয়ের মুখে। এখন আর মানববন্ধন, বিবৃতি এগুলোর সময় নেই। এখন আমাদের সরাসরি কর্মসূচিতে যেতে হবে। একজন হোক দুইজন হোক তাদের নিয়ে মাঠে থাকতে হবে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হককে লাঞ্চিত করার প্রতিবাদে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন। 

বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে এই মানববন্ধনের আয়োজন করেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

মানবন্ধনে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরীন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদালয়ের ঢোকার মুখে একটা তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে, যার নাম মুক্তি ও গণতন্ত্র তোরণ। এই তোরণ দিয়ে এই ইতিহাসের বুকে পা ফেলে যখন আপনারা এইখানে ঢুকবেন, এখানে অপরাজেয় বাংলা দেখবেন, শহীদ মিনার দেখবেন প্রত্যেকটি জায়গা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি সদস্যের সংগ্রামের চিহ্ন নিয়ে আছে। অথচ আমরা আশ্চার্য হয়ে দেখি, একটি আন্দোলন, একটি দাবি এবং যে দাবির যৌক্তিকতা শুধু আজকে নয়, বহুদিন ধরে। আমরা দেখেছি, সরকারি পর্যায় থেকে একটা কমিটিও গঠন করা হয়েছে দ্রুত ফলাফল দেয়ার জন্য।

তিনি বলেন, অভিভাবকদের কষ্টার্জিত অর্থে এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চলে। তাদের সন্তানদের দায়িত্ব নিশ্চিত করা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব। সবাই দেখেছেন বিভিন্ন মিডিয়াতে। যে ধরনের  নৃশংসতা চালানো হলো। এর কোনো ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। হতভম্ব হয়ে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় নেই। এই ধরনের একটি নির্যাতন সবার চোখের সামনে কীভাবে ঘটে?

শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয় নয়, অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। চোখের সামনে এই ধরনের বর্বর আক্রমণ চলছে, তাতে উদ্বিগ্ন হয়েই অভিভাবক কিছু মানুষ গতকাল প্রেসক্লাবে দাঁড়িয়েছিলেন। তাদের কনসার্ন সেখানে জানাতে গিয়েছেন। তাদের সেখানে বলা হয়েছে, আপনারা সেখানে দাঁড়াতেই পারবেন না। 

গীতি আরা নাসরীন বলেন, শুধু তাই না, শিক্ষক ফাহমিদুল হকের কথা বলছি না। প্রত্যেকটি নাগরিকের এই অধিকার রয়েছে। উদ্বেগ প্রকাশ করার অধিকার সবার আছে। কিন্তু এই উদ্বেগ প্রকাশ করতে গেলে তাদের কীভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের সরিয়ে দেয়া হয়েছে, লাঞ্ছিত করা হয়েছে। অত্যাচার-নির্যাতনের তদন্ত চাই, বিচার চাই। 

অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. রুশাদ ফরিদী বলেন, আমি গত কয়েকদিন ধরে মানসিকভাবে অসুস্থ বোধ করছি যে, এই ঘটনাগুলো ঘটছে। এটা কেমন বিশ্ববিদ্যালয়, এই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আমরা গর্ব করি। অথচ এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের পিটিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারপর তাকে বিনা অপরাধে রিমান্ডে নিয়ে যাচ্ছে। এগুলোর বিচার দাবি করছি।

এতে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক তানযীম উদ্দিন খান, সহযোগী অধ্যাপক ড. সামিনা লুৎফা প্রমুখ।

  • কার্টসিঃ শীর্ষনিউজ/জুলাই ৪,২০১৮ 

অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন ড.ফাহমিদুল হক


নির্ধারিত কর্মসূচি থেকে একজনকে আটক করার প্রতিবাদ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাহমিদুল হক। এরপরই তাঁর ওপর চড়াও হয় পুলিশ। পুলিশের এক কর্মকর্তা আঙুল উঁচিয়ে তাঁর দিকে তেড়ে এসে বলেন, ‘আপনে কোন ডিপারমেন্টের টিচার?’

অধ্যাপক ফাহমিদুল হক নিজের পরিচয় দিলেন।

এরপর অধ্যাপক ফাহমিদুল হককে ধাক্কাতে থাকেন পুলিশ সদস্যরা। এমনই এক ধাক্কায় ফাহমিদুল চলে গেলেন সড়কের প্রায় মাঝে। প্রায় পাশ দিয়ে চলে যায় একটি বাস। অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেলেন তিনি।

এরপর আবার এলেন ওই পুলিশ কর্মকর্তা। অন্য এক কর্মকর্তাকে তিনি নির্দেশ দিলেন, ‘এই উনার নাম লেখ। উনি প্রিজনভ্যানে ভাঙচুর করেছে।’ তারপর এই অধ্যাপককে নিয়ে পুলিশ আরেক দফা ধাক্কাধাক্কি করল।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ওই ঘটনা ঘটে। এর আগে পুলিশের বাধায় পণ্ড হয়ে যায় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মানববন্ধন। বিকেল ৪টায় ‘উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজ’-এর ব্যানারে ওই কর্মসূচির ডাক দেওয়া হয়।

ওই কর্মসূচির সময় পুলিশ আটক করে ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকী বিল্লাহকে।

এর প্রতিবাদ জানান অধ্যাপক ফাহমিদুল হক ও নৃবিজ্ঞানী ড. রেহনুমা আহমেদ। একপর্যায়ে তাঁদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ। প্রিজন ভ্যানের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলনকারীরা পথরোধ করার চেষ্টা করলেও পুলিশ বাকী বিল্লাহ ও রেহনুমাকে আটক করে নিয়ে যায়।

এর কিছু সময় পর শাহবাগ থানা থেকে বাকী বিল্লাহ ও রেহনুমা আহমেদকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।  

বিকেল ৫টা ২৬ মিনিটের দিকে অধ্যাপক ফাহমিদুল হক ফেসবুকে ওই ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন। তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক আছি। আমার পরিচয় দেবার পরও পুলিশ আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে। বাকী বিল্লাহকে গ্রেপ্তার করলে আমি আর রেহনুমা আহমেদ প্রিজন ভ্যানে উঠে যাই এবং অফিসারের সঙ্গে কথা বলতে চাই। অফিসার এসে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করে যে আমি প্রিজন ভ্যানের ক্ষতিসাধন করেছি। তাই গ্রেপ্তার করা হবে। পুলিশের সঙ্গে আমার ধ্বস্তাধ্বস্তি হয়েছে, তারা গ্রেপ্তারও করতে চেয়েছে, কিন্তু আন্দোলনকারীরা করতে দেয়নি। বাকী আর রেহনুমাকে নিয়ে ভ্যান চলে যায়।’

ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ী পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশ কার্যত ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ। আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার তীব্র নিন্দা জানাই।’ এ সময় তিনি পুলিশের এই বাড়াবাড়ির তদন্ত দাবি করেন ।

অধ্যাপক ফাহমিদুল হক সাংবাদিদের বলেন, ‘ন্যায্য গণতান্ত্রিক অধিকার, নায্য প্রক্রিয়াগত জায়গা থেকে এ কাজটি তাঁরা করছে। এখন এ অবস্থায় তাঁদের ওপর যদি হামলা করা হয় তাহলে আমরা শিক্ষক হিসেবে নাগরিক হিসেবে, অভিভাবক  হিসেবে চুপচাপ বসে থাকতে পারি না।’

সমাবেশ আহ্বানকারী হাসনাত কাইয়ুম বলেন, ‘ছেলেদেরকে, মেয়েদেরকে বীভৎসভাবে নির্যাতন নিপীড়ন করা হয়েছে। আমরা উদ্বিগ্ন, আমরা এই পরিস্থিতির অবসান চাই।’

পরে বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতাকর্মী, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, পুলিশ বিনা কারণে হামলা চালিয়ে সমাবেশ পণ্ড করেছে।

প্রতিবাদ করতে আসা অভিভাবক নজরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, ‘আমার মেয়ের ওপর, ছেলের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। আমি তার প্রতিবাদে এখানে এসেছি। সমস্ত ছাত্র আমার সন্তান। আমার সন্তানদের পড়াশুনার জন্য নিরাপদ পরিবেশের নিশ্চয়তা এই সরকার করুক।’

পরে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে সিপিবি, বাসদ ও বামমোর্চা প্রতিবাদ সমাবেশ করে।

  • Courtesy: NTV/ Jul 04, 2018

অন্ধকার দেখছে রাশেদের পরিবার


আমার মনি একজন নিরপরাধ ছাত্র। সে কোনো অন্যায় করেনি। তারে আপনারা ছেড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। সে ছাড়া আমরা অচল। তারে যেন রিমান্ডে না দেয়। সে তো সকল ছাত্র সমাজের জন্য আন্দোলন করেছে।

সে তো ইচ্ছা করে নেতা হতে যায়নি। সবাই  তারে নেতা বানিয়েছে। মনিতো কোনো অন্যায় করেনি। তাহলে তার হাতে কেন হাতকড়া পরানো হলো। তাকে বিনা দোষে কেন জেলে নেয়া হলো। তাকে নাকি ৫ দিনের রিমান্ডে নেয়া হবে। কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের নেতা মোহাম্মাদ রাশেদ খানের মা সালেহা বেগম।

এ সময় রাশেদের বৃদ্ধ বাবা নপাই বিশ্বাস বলেন, বাড়ি বাড়ি রাজমিস্ত্রির কাজ করে এই ছেলেকে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করেছি। রাজমিস্ত্রি কাজ করে ছেলের খরচ ঠিকভাবে চালাতে না পেরে গ্রামের বাড়িতে নিজের পাঁচ শতক ভিটাবাড়ির জমি ছিল সেটাও কৃষি ব্যাংকে বন্ধক রেখে ঋণ নিয়েছি। অনেক আশা ছিল ছেলে আমার পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটা সরকারি চাকরি করবে। ব্যাংক থেকে ভিটাবাড়িটা উদ্ধার করবে। আমাদের দুঃখের দিন শেষ হবে। একটু সুখের মুখ দেখবো। তা বুঝি আর হলো না। 

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রাশেদের স্ত্রী রাবেয়া খান বলেন, আমার স্বামীকে গ্রেপ্তারের পর থেকে পরিবারের সবাই পাগলের মতো হয়ে গেছে। কেউ আমাদের সহযোগিতা করছে না। পুলিশকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে, আদালতে খবর নিতে। রাশেদকে ছাড়া আমাদের পরিবার অসহায়। আমাদের একটাই দাবি, আমার স্বামী তো কোনো অন্যায় করেনি। বিনা কারণে তাকে জেলে নিয়ে যে নির্যাতন করা হচ্ছে এটা কেন? কি দোষ করেছে রাশেদ আমরা জানতে চাই। এমনকি রাশেদকে মঙ্গলবার আদালতে উঠানোর পর তাকে কোথায় রাখা হয়েছে সেটা পর্যন্ত আমরা জানি না। গতকাল সারা সকাল শাহবাগ থানার আশেপাশে ঘোরাঘুরি করেছি। কিন্তু রাশেদের কোনো সন্ধান মিলেনি। শাহবাগ থানায় যেহেতু মামলা হয়েছে তাই সেখানকার কর্তব্যরত পুলিশ অফিসারদের কাছে বারবার রাশেদের বিষয়ে জানতে চেয়েছি। তাদের একটাই কথা আমরা জানি না। এরপর অনেক সাহস করে মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের সামনে গিয়ে বসে ছিলাম। এ সময় হঠাৎ করে দেখতে পাই পুলিশের লোকদের পাহারায় রাশেদকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তখন একজন অফিসার রাশেদের মাকে বললো এই দেখেন আপনার ছেলে ভালো আছে।

এ সময় রাশেদকে তারা হাতকড়া পরিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছিল। রাশেদ শুধু এতোটুকু কথাই বলছিল, তোমরা চিন্তা করো না, আমি ভালো আছি। রাশেদের বাবা পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। রাশেদ আর আমি দু’জনে টিউশনি করে যে টাকা পাই তা দিয়ে ঢাকাতে দু’জনের থাকা খাওয়ার খরচ চলে কোনোভাবে। ওর বাবা প্রতিমাসে যে টাকা পাঠান সেটা দিয়ে ওর পড়ালেখার খরচ চালায়। আমরা বিয়ে করেছি দেড় বছর হয়েছে। 

দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রাশেদ মেজো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাংকিং এন্ড ইন্সুরেন্স এ এমবিএ-এর ছাত্র সে। ছোট বোন এ বছর ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ওর সম্পৃক্ততা নেই। কোটা আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে ও তো কোনো অন্যায় করেনি। আর রাশেদ তো তার একার জন্য আন্দোলন করেনি। অথচ তাকেই কেন জেলে যেতে হলো।  
  • Courtesy: Manavzamin /July 04, 2018

‘সন্তানেরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে লড়ছে, আমি গর্বিত’

নাইম ও কান্তা দুই ভাইবোন। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করতে গিয়ে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের মারধরে তারা আহত হয়েছেন। তাদেরকে মারধরের ছবি এসেছে একটি দৈনিক পত্রিকায়। সেই পেপার কাটিং নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনে অভিভাবকদের সমাবেশে এসেছিলেন বাবা তালুকদার নজরুল ইসলাম।

কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা ও নির্যাতনের প্রতিবাদ এবং এসব ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবিতে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। তবে মঙ্গলবার বিকালে পুলিশের বাধার মুখে সমাবেশটি পণ্ড হয়ে যায়।

তালুকদার নজরুল পরিবর্তন ডটকমকে বলেন, আমার ছেলে তালুকদার নাইম ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে মাস্টার্স ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। আর মেয়ে তালুকদার কান্তা ইসলাম ইডেন কলেজে পলিটিক্যাল সাইন্সে অনার্স থার্ড ইয়ারে অধ্যয়নরত। তারা দুজনই কোটা সংস্কারের দাবিতে রাস্তায় নেমে হামলার শিকার হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমি গর্বিত আমার সন্তানেরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে লড়াই করছে। তাদের এই লড়াইকে আমি গর্বের সহিত সমর্থন করছি। আমি চাই তাদের দাবি মেনে নেয়া হোক।’

এই অভিভাবক বলেন, যারা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলা-নির্যাতন করছে তাদের বিচার হোক। আর আন্দোলনকারী যেসব শিক্ষার্থীদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের ছেড়ে দেয়া হোক। 

গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের ভেতরে ছাত্রলীগ হামলা চালিয়েছে, আমাদের সন্তানদের আহত করেছে। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আজকে এখানে তাদের অভিভাবকরাসহ আমরা সবাই আমাদের সন্তানদের নিরাপত্তা নিয়ে যে উদ্বিগ্ন, তা জানাতে এসেছি।

তিনি বলেন, আমরা জানি না যে কেন এখানে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে? আমরা পুলিশের কাছে সমাবেশ না করতে দেয়ার কাগজপত্র বা নির্দেশনা দেখতে চেয়েছি। তারা তাও দেখাতে পারেনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞানের অধ্যাপক রেহনুমা আহমেদ এবং ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি বাকি বিল্লাহকে পুলিশ আটক করেছিল মানববন্ধন শুরু হওয়ার আগে, যদিও তাদের পরবর্তীতে ছেড়ে দেয়া হয়। আমরা এসবের তীব্র নিন্দা জানাই।

সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ও সমাবেশের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম বলেন, আমরা এখানে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের পক্ষ থেকে জানাতে এসেছি যে আমাদের সন্তানরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে নিরাপদ নয়। আমরা চাই অবিলম্বে আমাদের সন্তানদের ওপর সরকার ও রাষ্ট্রের প্রশ্রয়ে, নির্দেশে বা অনুমোদনে যে হামলা ও নির্যাতন পরিচালিত হচ্ছে, সে বিষয়ে অবিলম্বে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনরত যাদের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে ও গ্রেফতার করা হয়েছে সেসব মামলা প্রত্যাহার করে তাদের শিগগিরই মুক্তি দেয়া হোক। আর যাদেরকে তুলে নেয়া হয়েছে এবং যারা নিখোঁজ, তাদেরকে অবিলম্বে অভিভাবকদের কাছে ফেরত দেয়া হোক।

এই অভিভাবক বলেন, আহতদের রাষ্ট্রীয় দায়িত্বে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হোক এবং হল ক্যাম্পাসে যে দলীয় সন্ত্রাস ও ভীতির রাজত্ব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে তার চিরতরে অবসান ঘটানো হোক।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ফাহমিদুল হক বলেন, কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত জানানোর এতদিন পরেও কোনো প্রজ্ঞাপন বা সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য জারি হয়নি। তাই শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে মাঠে নেমে আন্দোলন একটি যৌক্তিক অধিকার।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ওপর যদি আক্রমণ করা হয় তাহলে শিক্ষক ও অভিভাবক হিসেবে আমরা বসে থাকতে পারি না। আমরা আমাদের পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে প্রেসক্লাবের সামনে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালন করতে এসেছি। কিন্তু পুলিশ আমাদের তা করতে দেয়নি। বরং আমাদের দুজনকে ধরে নিয়ে যায়।
  • Courtesy: পরিবর্তন ডটকম/ July 03, 2018

Bangladesh becomes 4th largest remittance source for India

India receives $10b in remittance in 2017 from Bangladesh


Special Correspondent 


Bangladesh becomes 4th largest source of remittance for India, receiving  about $10.00 billion in 2017. In comparison, Bangladesh has fetched a total of $13.53 billion in remittance working Bangladeshis abroad in the same year. India received $ 8.320 billion in 2016 from Bangladesh, which was $4.5 billion in 2014. The money was sent through illegal channels but deposited with declaration to different Indian banks, sources of the Reserve Bank of India said. Illegal foreign workers can’t send money from Bangladesh but the illegal Indians are frequently doing the practice.

There are hundreds of thousands of Indians in Bangladesh, most of them are illegal migrants and refugees. According to data produced by the Ministry of Home Affairs, as many as 500,000 Indians were staying in Bangladesh illegally in 2009. They found jobs in different establishments such as NGOs, garments, textile, IT and sent money back home through hundi transfer systems. But actual figure of illegal Indians in Bangladesh may be one million now as also forecasted by the World Bank and International Migration Organisation of United Nations.

Remittances to India rising fast

In 2012, Bangladesh was the fifth among the nations sending highest remittances to India. Indians working in Bangladesh sent more than $3.7 billion back to India in 2012. Making Bangladesh the 5th largest source of remittance in India. This is the official figure while the unofficial figure is estimated to be significantly more. Most of them came on tourist visas and tended to stay back.

The migrant community has often been a source of contention between the two countries. According to reports, lakhs of Indians are illegally staying in the country hailed from the Indian states of West Bengal, Meghalaya, Assam, Tripura and Mizoram and were spread across numerous urban and rural areas.

On July 2016, four thousand Indians took refuge in Lalmonirhat, Bangladesh after floods in West Bengal, India.

Remittances to low- and middle-income countries rebounded to a record level in 2017 after two consecutive years of decline, says the World Bank’s latest Migration and Development Brief.

The WB estimates that officially recorded remittances to low- and middle-income countries reached $466 billion in 2017, an increase of 8.5 percent over $429 billion in 2016. Global remittances, which include flows to high-income countries, grew 7 percent to $613 billion in 2017, from $573 billion in 2016.

Remittance inflows improved in all regions and the top remittance recipients were India with $69 billion, followed by China ($64 billion), the Philippines ($33 billion), Mexico ($31 billion), Nigeria ($22 billion), and Egypt ($20 billion).

CPD corroborates

The other issue, which is far more serious in nature if viewed in the context of its impact on the economy, was raised by the Centre for Policy Dialogue (CPD), a private think tank.

The CPD at a recent press conference said Bangladesh has become the 4th largest remittance source of India, with around $10 billion dollar sent in 2017.

The issue of outflow of funds to neighbouring India deserves immediate official attention. Thousands of so-called skilled Indian and Sri Lankan nationals, both legal and illegal, have been working mainly in the country’s apparel industry. Because of the geographical proximity, the number of Indian nationals is far greater than that of the Sri Lankans.

Many Indian nationals are, reportedly, also working in the information technology (IT) sector and a good number of them do not have valid work permits. The government agencies concerned have never taken the issue of illegal foreign nationals in due cognizance for reasons best known to them. Only recently, the law enforcing agencies managed to detain a few illegal foreign nationals, most of whom have their origins in Africa.

A country which has considerable dependence on the remittance money earned by its nationals at the cost of their sweat and blood cannot afford the reverse flow of funds for reasons that can be addressed rather easily.

Is it that difficult to develop skilled human resources locally to replace the Indians and Sri Lankans employed in the local apparel factories? It should not be a big problem for a nation which is only second to China in apparel exports. Neither the country’s policymakers nor the apparel factory owners have been serious enough to take note of the issue and do the needful.

Bangladesh Bank

The sources of Bangladesh Bank told Daily Industry that the boosting of foreign currency reserve has become stagnant due to fund erosion by the illegal foreign expats. The forex reserve stood at $33 billion in 2016 but there is not increase during last three years, whereas, the export earnings have increased around 7 percent and the remittance of the country slightly decreased, the BB sources added.



Nordic cos find graft, infrastructure biggest business challenges in Bangladesh


Nordic companies in Bangladesh have identified corruption, inadequate transport infrastructure, bureaucratic tangle and administrative hurdles as the biggest challenges for doing business in Bangladesh.

According to the ‘Business Confidence Survey 2017’ report of Nordic companies in Bangladesh the challenges might pose significant risks to the existing companies as well as future investors.

Nordic Chamber of Commerce and Industry in Bangladesh together with the Sweden Bangladesh Business Council and supported by three Nordic embassies (of Sweden, Norway and Denmark) conducted this survey which was launched on July 2 in the city.

Commerce minister Tofail Ahmed was present as the chief guest at the launching of the survey in Dhaka on Monday evening.

The survey was conducted between December 3, 2017 and February 15, 2018 and questionnaire was sent to a total of 52 companies, all members of NCCI. Of them 22 responded.

The report showed that 59 per cent of the respondents identified corruption and similar number of businesses identified inadequate transport infrastructure as biggest problems for doing business in Bangladesh while 45 per cent blamed bureaucratic and administrative hurdles.
Nordic companies identified other problems include political instability, tax administration, tax rates and business licensing and permits.

‘Majority of the respondents do not consider access to finance, land, natural gas supply, labour regulations and increasing labour costs as business challenge,’ the report says.

Many companies also identified an urgent requirement to have more transparency in the system and address corruption at all stages.

Despite the challenges, a big majority of the companies have planned to increase their activities and this could be owing to the respondents experiencing higher profits compared to other markets. 

The survey shows that 82 per cent of the respondents are looking to expand their operations in Bangladesh over the coming three years, which was a slightly lower compared to 91 per cent and 94 per cent in the year of 2015 and 2017 respectively.

It says that 45 per cent of the respondents experienced higher profits in 2017, a rise from 34 per cent in 2015 and only 5 per cent feel it is less profitable to undertake their business in Bangladesh.

The survey respondents are reportedly looking to expand their operations with an expected investment of €213 million in the next three years and confirmed having invested about €167 million between 2014- 2017 in Bangladesh, the report says.

According to the report, 86 per cent of the Nordic businesses have sustainability or corporate social responsibility programmes in Bangladesh and 59 per cent of the companies have their sustainability programmes integrated into their supply chain.

The report hoped to form a basis for more dialogues, including private-public dialogues to monitor reform agendas and benchmark against the best practices and innovations of Nordic businesses.

Commerce minister Tofail Ahmed called upon the Nordic companies to increase their investments in the country while speaking as chief guest at the launching of the survey report.

He said that the government would ensure all facilities to secure the investments of foreign investors.

  • Courtesy: New Age/ Jul 3, 2018

ন্যায্য দাবি নিয়ে আক্রান্ত তরুণেরা


আনু মুহাম্মদ


কোটা সংস্কারের আন্দোলন তৈরি হয়েছে কাজের খোঁজে তরুণদের হতাশা, ক্ষোভ ও তিক্ত অভিজ্ঞতা থেকে। কাজ না করে চাঁদাবাজি বা অপরাধ করে জীবিকা অর্জনের পথে তারা যেতে চায় না। তারা মেধা ও যোগ্যতায় নিজেদের তৈরি করতে পারবে, তার ভিত্তিতে কাজ পাওয়ার অধিকার রাষ্ট্র নিশ্চিত করবে এটাই তাদের দাবি। সরকার পক্ষ বারবার এই দাবিকে বিকৃতভাবে উপস্থিত করেছে, অপপ্রচারের পথ বেছে নিয়েছে। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিল নয়, সংস্কারের যৌক্তিক দাবি জানিয়ে আন্দোলন করছে। এই দাবি জানাতে গিয়ে তারা যখন সরকারের ভয়ংকর রোষের শিকার হয়, যখন পুলিশ- ছাত্রলীগের আঘাতে জর্জরিত হয় ন্যায্য দাবি জানানো সাধারণ শিক্ষার্থীরা, তখন সেই আঘাত প্রতিটি নাগরিকের ওপরই এসে পড়ে। স্পষ্ট হয় শিক্ষা ও জনস্বার্থের প্রতি সরকারের বৈরী  ভূমিকা।

সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশের বেকারত্বের হার বেশ কম, শিল্পোন্নত দেশগুলো থেকেও কম। সর্বশেষ ‘শ্রমশক্তি জরীপ ২০১৬-১৭’ অনুযায়ী দেশে বেকারত্বের হার ৪ দশমিক ২ শতাংশ, গত বছরের তুলনায় বেকারের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ২৭ লাখ। প্রকৃতপক্ষে এর সংখ্যা অনেক বেশি। কাজ পেতে আগ্রহী কেউ সপ্তাহে একঘন্টা কাজ করলেই যদি কর্মরত বলে ধরে নেয়া হয় তাহলে বলতে হবে বাংলাদেশ এখন পূর্ণ কর্মসংস্থান স্তরে আছে! কারণ বাংলাদেশে প্রকৃতপক্ষে কর্মসন্ধানী সবাই কিছু না কিছু উপার্জনমুখি বা উপার্জন বিকল্প কাজ করে। সাধারণত কর্মসময় ১৫ বছর বয়স থেকে ৬৫ বছর ধরা হলেও বাংলাদেশে একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষের কাজ শুরু হয় ৫-৭ বছর থেকেই, আর তা অব্যাহত থাকে (যদি বেঁচে থাকতে পারেন) ৬৫ বছরের পরেও। এদেশে যারা নিজেদের শৈশবকে শৈশব হিসেবে পার করতে পেরেছেন তারা বিশেষ সুবিধাভোগী।

বেকারত্বের সংকীর্ণ সংজ্ঞা দিয়ে কর্মসংস্থান মাপা খুবই বিভ্রান্তিকর। কর্মঘন্টা, ধরন, আয়, নিশ্চয়তা এগুলোও বিবেচনায় আনতে হবে। প্রবাসে প্রায় এক কোটি মানুষ কাজ করেন। তারপরও দেশে কাজের পরিমাণগত ও গুণগত অবস্থা ভালো নয়। কৃষিখাতের অনুপাত কমেছে, কর্মসংস্থানেও। কিন্তু শিল্প কারখানা খাতের অনুপাতের তুলনায় অনেক বেশি বেড়েছে পরিসেবা খাত। সেখানে স্থায়ী নিরাপদ কাজের সুযোগ খুবই কম। তাই অপ্রতিষ্ঠানিক কাজ, স্বকর্মসংস্থানেই বেশির ভাগ মানুষের নির্ভরতা। সরকারি সর্বশেষ শ্রমশক্তি জরীপ অনুযায়ী দেশে কর্মসংস্থানের ৮৫ শতাংশই অপ্রাতিষ্ঠানিক। এসব ক্ষেত্রে কাজের কোনো স্থিরতা নেই, আয় তুলনামূলক ভাবে অনেক কম, নিরাপত্তাও কম। স্নাতক  পর্যায়ের শিক্ষা নিয়েও অনেককে এ ধরনের কাজই খুঁজতে হচ্ছে। দোকান, মোবাইল, ইলেকট্রনিক জিনিসপত্র, মোবাইল ব্যাংকিং, টিউশনি, কোচিং সেন্টার, অনলাইন বিভিন্ন সার্ভিস, কুরিয়ার, পরিবহণ, বিক্রয় প্রতিনিধি সহ এজেন্ট হিসেবে কাজ এগুলোই এখন শিক্ষিত তরুণদের কাজের এলাকা। ব্যাংক, এনজিও, পুলিশ, বিজিবি, সেনাবাহিনী, কলেজ , বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে বিশেষ আগ্রহের জায়গা। সবচাইতে গুরুত্ব পাচ্ছে এখন বিসিএস ক্যাডার।

সচিব, যুগ্মসচিবসহ উচ্চ পদগুলোতে সংখ্যার তুলনায় নিয়োগ বেশি হলেও প্রয়োজনীয় নিয়োগে সরকারের অনীহা প্রবল। সর্বজন (পাবলিক) স্কুল কলেজে বহু হাজার পদ এখনও খালি। সরকারের বাজেট ক্রমশ বেড়ে যায়, অভূতপূর্ব উচ্চ ব্যয়ে বিভিন্ন প্রকল্প নেয় সরকার, কিন্তু প্রয়োজনীয় নিয়োগের ক্ষেত্রে বলে টাকার অভাব। এসব পদপূরণ যে শুধু কর্মসংস্থানের বিষয় নয়, শিক্ষার্থীদের শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করে দেশের দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিরোধ করবার জন্যই যে দরকার সে বোধটুকু সরকারের মধ্যে দেখা যায় না। সরকার একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করে, কিন্তু শিক্ষক নিয়োগ করতে গেলে বলে অর্থ নেই। বছরের পর বছর কলেজগুলোতে পদ শূণ্য, শিক্ষক নেই। বহু প্রতিষ্ঠানে ক্লাশ না করেই পরীক্ষা দিতে হয় শিক্ষার্থীদের। বহু প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষকের অভাবে ঠিকমতো ক্লাশ হয় না।

অন্যদিকে প্রায় ক্ষেত্রেই মেধা বা যোগ্যতার সাথে কাজ পাবার সম্পর্ক নেই। বহু প্রতিষ্ঠানে চাকুরির কথা উঠলেই ‘কতো টাকা’ লাগবে এই প্রশ্ন নিয়ে দুর্ভোগে পড়তে হয় শিক্ষার্থীদের।  অদ্ভূত নৈরাজ্যে বা বাজারী সমাজের মধ্যে পড়েছি আমরা। নিয়োগের সময় মেধা বা যোগ্যতার চাইতে কে কত টাকা দিতে পারবে সেই প্রশ্ন ওঠে। চাকুরি এখন কিনতে হয়। যে টাকায় কেনা, তার চাইতে বেশি টাকা তোলার চেষ্টা তাই অনিবার্য। শিক্ষক হিসেবে শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থানের এসব জটিলতা নিয়ে উদ্বেগ দেখতে হয় নিয়মিত। এদেশে যোগ্যতা অর্জন কঠিন, যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ পাওয়া আরও কঠিন।

বিসিএস ক্যাডারের বিষয়ে স্নাতক উত্তীর্ণ তরুণদের মধ্যে আগ্রহ বেড়েছে আগের যেকোন সময়ের চাইতে বেশি। বিসিএস পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি বিশ্ববিদ্যালয় ও স্নাতক কলেজ শিক্ষার্থীদের এখন প্রধান ব্যস্ততা। স্নাতক উত্তীর্ণ হবার অনেক আগে থেকে এই বিষয়ে পড়াশোনাই তাদের কাছে বেশি গুরুত্ব পায়। কারণ স্থায়ী নিরাপদ কর্মসংস্থানের আর কোনো ক্ষেত্র নেই। কিন্তু এতো ভরসা যার উপর সেখানে কোটার প্রতিবন্ধকতা দিনে দিনে ক্ষোভ বৃদ্ধি করেছে শিক্ষার্থীদের।

খুবই স্পর্শকাতর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে এই কোটা নিয়ে আলোচনা কারণ শতকরা ৫৬ ভাগের মধ্যে শতকরা ৩০ ভাগই মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য (এখন নাতি নাতনি যোগ হয়েছে)। এ বিষয়ে তাই কথাবার্তা খুব না হলেও ক্ষোভ ক্রমেই ছড়িয়েছে। এবারই তার বহি প্রকাশ ঘটেছে বেশি। স্পর্শকাতর হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাপ্য সম্মানের কথা বিবেচনা করেই এ বিষয়ে কথা বলা উচিৎ। মুক্তিযোদ্ধা পরিবারগুলো থেকেই আলোচনা হওয়া দরকার বেশি। এই আন্দোলনের প্রথম দিকে, ২০১৩ সালেই কেউ কেউ বলেছেন। বাবা মা উভয়েই মুক্তিযোদ্ধা, এরকম একজন সন্তান তানিম আহমেদ তখনই এতোটা কোটা সংরক্ষণের বিরুদ্ধে লিখেছিলেন। বলেছেন, কোটার সুবিধা দেয়া হয় অনগ্রসর, সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জন্য। মুক্তিযোদ্ধারা অনগ্রসর নয়। (https://bit.ly/2u58R8y)

লায়লা হাসিন আমার ছাত্রী, এখন বিভাগে সহকর্মী। মুক্তিযোদ্ধার মেয়ে লায়লা কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সমর্থন জানিয়ে বলেছেন, কখনও বাবার মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় নিয়ে কোনো সুবিধা নিতে চাইনি। বাবা আমাকে যোগ্য করে তুলেছেন, নিজের যোগ্যতার বলেই এ পর্যন্ত এসেছি। আমার সন্তানদের  আমি কোনো করুণার বস্তুতে পরিণত করতে চাই না। ওরা নিজেদের যোগ্যতা বলেই নিজেরা যতদূর যেতে পারে যাবে।

একজন মুক্তিযোদ্ধার, একজন শহীদের, নির্যাতিত মানুষদের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পেছনে যে অবদান তাতে তাঁদের কাছে বাংলাদেশের মানুষের ঋণ পরিশোধযোগ্য নয়। কিন্তু সেই মানুষদের তালিকা এখনও অসম্পূর্ণ। শহীদদের পরিবারের জন্য রাষ্ট্রীয় উদ্যোগ খুবই খন্ডিত। এগুলোর জন্যও সরকারের সাথে যেরকম যোগাযোগ ও চুক্তির ক্ষমতা লাগে, সেটা কজন মুক্তিযোদ্ধার আছে? কটি শহীদ পরিবার সে পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে? তারফলে গ্রামে প্রামে, শহরে বন্দরে এমন অনেক পরিবারের সন্ধান পাওয়া যায় যারা মুক্তিযুদ্ধের সময় সর্বোচ্চ ত্যাগ করে, সর্বোচ্চ লড়াই করেও পরে নিগৃহীত, বঞ্চিত হয়েছেন। শহরের সুবিধাভোগী পরিবারের কেউ কেউ এই পরিচয় নিয়ে নানাভাবে নিজের অবস্থার পরিবর্তন করতে পারলেও শ্রমিক, ক্ষেতমজুরসহ শ্রমজীবী মানুষের জীবনের কোনো পরিবর্তন হয়নি।  সরকার যদি সমস্যাজর্জরিত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ পরিবারের সন্তানদের শিক্ষা, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যথাযথভাবে যোগ্য করে তুলতে  ভূমিকা পালন করতো তাহলে তা দীর্ঘমেয়াদে টেকসই ও সম্মানজনক হতো।

মুক্তিযোদ্ধা তালিকা নিয়ে এখনও বির্তক এবং প্রশ্নের সুরাহা হয়নি। এতো বছরেরও মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ, যুদ্ধাপরাধী তালিকা সম্পূর্ণ হয়নি। আর তার কারণে সরকার বদলের সাথে সাথে তালিকার পরিবর্তন ঘটে। এক সরকারের অধীনেও বদলাতে থাকে। এখনও মাঝে মধ্যে পত্রিকায় খবর আসে রাজাকারের নাম মুক্তিযোদ্ধার তালিকায়, ভুয়া সার্টিফিকেট নিয়ে উচ্চ পদে আসীন। ক্ষমতাবানদের স্পর্শ থাকলে যে রাজাকারও মুক্তিযোদ্ধা হয়ে যায় তার প্রমাণ আমরা বহু পেয়েছি।

কোটা পরিচয় নিয়ে বর্তমানে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানেরা তাই বড় যন্ত্রণার মধ্যে আছেন। করুণা নয়, সম্মান তাঁদের প্রাপ্য। সরকার যে মুক্তিযোদ্ধা কোটার অনুপাত শতকরা ৩০ ভাগ করেছে, সন্তানের পর এখন নাতি পুতি পর্যন্ত কোটা সম্প্রসারিত করেছে এটা কি মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি ভালোবাসার জন্য, তাদের প্রতি দায়বোধের জন্য? বাস্তব পরিস্থিতি তা বলে না। বিভিন্ন অভিজ্ঞতা থেকে এটা বলা যায় যে, সরকার এবং বিভিন্ন পর্যায়ে ক্ষমতাবানদের বেশি বেশি কোটা রাখার আগ্রহ এই কারণে যে, এর মাধ্যমে তারা নিজেরা নিজেদের পছন্দমতো লোকজনকে চাকুরি দিতে পারে, সুবিধামতো নিয়োগ বাণিজ্য করতে পারে। সেজন্য ভুয়া সার্টিফিকেট এর জোয়ারে প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের সন্তাননেরাও ভেসে যাচ্ছে। অলিখিত প্রবল একটি কোটা এখন অন্যসব কোটা পরিচালনা করছে সেটা হল ‘সরকারি দলের কোটা’। কোটা সংস্কারের পাশাপাশি সবচাইতে গুরুত্বপূর্ণ- ‘সরকারি দলের কোটা’ বা দুর্নীতি আর নিয়োগ বাণিজ্যের উৎস দূর করা।

ছাত্রলীগের গুন্ডামি এনএসএফকে ছাড়িয়ে গেছে - সিপিবি


সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম সমাবেশে বলেছেন, কোটা সংস্কারের যৌক্তিক ন্যায়সঙ্গত আন্দোলনকে সরকারি দলের পক্ষ থেকে বিকৃতভাবে জাতির সামনে উপস্থাপন করা হচ্ছে। এ আন্দোলনকে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী আখ্যায়িত করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের গুন্ডামি ৬০’র দশকের সরকারি ছাত্র সংগঠন এনএসএফের গুন্ডামিকেও ছাড়িয়ে গেছে।

কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের উপর ছাত্রলীগের নৃশংস হামলা এবং কোটা ব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে সিপিবি, বাসদ ও গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা আহূত বিক্ষোভ সমাবেশে মঙ্গলবার তিনি একথা বলেন। 

এতে সভাপতিত্ব করেন বাসদ সাধারণ সম্পাদক খালেকুজ্জামান। বক্তব্য রাখেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিলানী শুভ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন প্রিন্স। সভা পরিচালনা করেন সিপিবির প্রেসিডিয়াম সদস্য আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন।


সেলিম আরো বলেন, একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মনে করি বর্তমানে সরকারি চাকরিতে যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা হয়েছে তার যৌক্তিক সংস্কার হওয়া উচিত। তিনি বলেন নারী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য কোটা থাকা উচিত। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের উপর ছাত্রলীগের বর্বরতার তীব্র নিন্দা জানান। তিনি বলেন, ছাত্রলীগের গুন্ডামিতে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্তে শহীদ মিনার রঞ্জিত হয়েছে। তিনি অবিলম্বে ছাত্রলীগের সান্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান। তিনি অভিভাবক সমাবেশ থেকে গ্রেফতারকৃত তরুণ নেতা বাকী বিল্লাহ ও অধ্যাপিকা রেহনুমা আহমেদের মুক্তি দাবি করেন।

গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক মোশাররফ হোসেন নান্নু উদ্বিগ্ন অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের সমাবেশ বানচাল করার জন্য পুলিশকে দায়ী করেন এবং অভিযুক্তদের বিচার দাবি করেন।

খালেকুজ্জমান বলেন, কোটা সংস্কার নিয়ে পরিস্থিতি জটিল করার জন্য দায়ী সরকার এবং আমলারা। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার সত্বেও কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনার জন্য কমিটি গঠন করতে আড়াই মাস সময় নেয়া হয়েছে। এ কমিটিও গঠিত হতো না যদি ছাত্র-ছাত্রীরা দ্বিতীয় দফায় আন্দোলন শুরু না করতো। তিনি আন্দোলনকারীদের উপর আক্রমণকারীদের শাস্তি দাবি করেন। ছাত্রলীগের হামলা প্রতিরোধের জন্য ক্যাম্পাসে ক্যাম্পাসে গণপ্রতিরোধ কমিটি গঠন করার জন্য ছাত্র সমাজের প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। 
  • কার্ট সিঃ নয়াদিগন্ত/ জুলাই ৩,২০১৮