Search

Monday, July 23, 2018

Why the delay in implementation?

Still no uniform university admission test


Eight years have passed since the education ministry had in principle decided to introduce a uniform or cluster system for university admission, yet, the government has failed to implement the system still after all these years. Even a decision to begin the uniform admission procedure with the agricultural universities from this year has been cancelled on grounds of “lack of time for preparations”, although the decision was made in November last year.

The proposed system would save admission seekers time, cost and travel required to take admission tests at different public universities across the country, and the numerous hassles and pressures they face to prepare for the separate admission tests. In spite of all these benefits, some public universities have been opposing the implementation of the cluster system as it would reduce the income of the universities as well as teachers from the sale of admission forms and from invigilation and checking of answer scripts, according to ministry and UGC sources.

Whether it is due to lobbying from them or because of its own failures, the fact that the government has not been able to implement the cluster system which would save students so much time, money and energy, is unacceptable.

Given that the UGC has also been suggesting modifying the existing admission process for a long time, terming it too expensive, questionable and coaching-oriented, the government has no excuse for delaying the implementation of the uniform admission system. Therefore, we call on the authorities to recognise the importance of implementing the system and thus act accordingly with the appropriate urgency.

  • Courtesy: The Daily Star /Editorial /jul 23, 2018

ইসি কেন নীরব দর্শকের ভূমিকায়?

তিন সিটি নির্বাচন

তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই উত্তাপ-অস্থিরতা বাড়ছে। বিরোধী দল বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানির যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা পুরো অসত্য বলা যাবে না। যেকোনো সুষ্ঠু নির্বাচনের পূর্বশর্ত সবার জন্য সমান সুযোগ। নির্বাচন কমিশন সেটি নিশ্চিত করতে পারেনি। এমনকি সেই পরিবেশ তৈরি করতে তারা সচেষ্ট, সেটিও ভোটারদের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। ফলে ৩০ জুলাই অবাধ ও গ্রহণযোগ্য ভোট অনুষ্ঠান নিয়ে একধরনের অনিশ্চয়তা রয়েই গেছে।

নির্বাচনী আইন অনুযায়ী তফসিল ঘোষণার পর স্থানীয় জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে চলে যান এবং তাদের হুকুম পালনে তাঁরা বাধ্য। 

ইতিপূর্বে অনুষ্ঠিত খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ভূমিকা নানা বিতর্কের সৃষ্টি করে। এ কারণেই আমরা শুরু থেকে তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট পরিস্থিতি শক্ত হাতে মোকাবিলার কথা বলে আসছি। কিন্তু কমিশন মুখে সবার জন্য সমান সুযোগের কথা বললেও কাজ ও আচরণে তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

তিন সিটিতে পাইকারি গ্রেপ্তারের ঘটনা না ঘটলেও সিলেটে বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীকে দুই দফায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে হয়েছে। প্রথমবার দলীয় কর্মীকে থানা থেকে ছাড়াতে, দ্বিতীয়বার পুলিশ বিএনপির দুই কর্মীকে আটক করলেও তা স্বীকার না করায় তিনি পুলিশের উপকমিশনারের কার্যালয়ের সামনে কর্মীদের নিয়ে অবস্থান নেন। এ ধরনের ঘটনা সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় এবং নির্বাচন কমিশনের অযোগ্যতার প্রমাণ তুলে ধরে।

তবে রাজশাহীতে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাটি আরও উদ্বেগজনক এ কারণে যে সাম্প্রতিককালে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ ধরনের সন্ত্রাসী ঘটনা এটাই প্রথম। এ ঘটনায় টেলিফোনের কথোপকথনের সূত্র ধরে পুলিশ বিএনপির একজন স্থানীয় নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ধরনের সন্ত্রাসী কাজ যারাই করুক না কেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সতর্ক থাকতে হবে, যাতে নিরীহ ও নিরপরাধ কেউ অযথা হয়রানির শিকার না হন।

এ ছাড়া রাজশাহীতে একজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে জামায়াতের নারী কর্মীদের কুৎসা রটনার ঘটনা ঘটেছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাঁদের এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন। যেকোনো ব্যক্তির অধিকার আছে তাঁর পছন্দসই  প্রার্থীর পক্ষে প্রচার করার। কিন্তু কারও বিরুদ্ধে কুৎসা রটানোর অধিকার নেই।

শুরুতে তিন সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী পরিবেশ মোটামুটি শান্তিপূর্ণ ছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে কয়েকটি ঘটনা অস্থিরতা তৈরি করে। বিরোধী দলের নির্বাচনী প্রচারে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার ঘটনা ঘটলেও ইসি নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। এ বিষয়ে এন্তার অভিযোগ এলেও প্রতিকার না করা দুর্ভাগ্যজনক।

পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে থাকলেও বিরোধী দলের প্রার্থীদের মধ্যে এই শঙ্কা আছে যে পুলিশ ভোটের দিন কিংবা তার আগের রাতে তাঁদের নির্বাচনী এজেন্টদের পাকড়াও করতে পারে। অর্থাৎ আসল পরীক্ষা হবে ভোটের দিন। খুলনা ও গাজীপুরে বিএনপির এজেন্টদের বিরুদ্ধে পুলিশের সাঁড়াশি অভিযান জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। বরিশাল, সিলেট ও রাজশাহীতেও যেন সে রকম কিছু না ঘটে, সে ব্যাপারে ইসিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জানিয়ে দিতে হবে, নির্বাচনের আগে বা নির্বাচনের দিন কাউকে গ্রেপ্তার বা হয়রানি করা যাবে না।  

তিনটি সিটি করপোরেশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানীয় সরকার সংস্থার নির্বাচনে তারা কোনোভাবে নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করতে পারে না।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ জুলাই ২৩, ২০১৮ 

বিবি’র ওপর ‘আস্থা’ রাখুন!

গোলাম মোর্তোজা

‘জার্মানি থেকে কিনে আনা মেশিন পিতলকেও স্বর্ণ হিসেবে দেখায়’- বাংলাদেশ ব্যাংকের বড় কর্তাদের গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য।
বেয়াড়া মেশিনের ওপর নির্ভর না করে, প্রস্তর যুগে ফিরে গেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাথরে ঘর্ষণ দিয়ে মানুষ আগুন জ্বালাতে শিখেছিলেন। বাংলাদেশ ব্যাংক পাথর ঘষে স্বর্ণের মান যাচাই করছে। প্রকৃতির শিক্ষাই সবচেয়ে বড় শিক্ষা। মানুষের তৈরি মেশিনের ওপর আর নির্ভরশীলতা নয়।

এ জন্যে তারা ‘বিশ্বস্ত’ একজন স্বর্ণকার ঠিক করেছেন। যিনি কষ্টি পাথরে ঘষে স্বর্ণের ক্যারেট পরিমাপ করেন। এক কর্তা তা লেখেন। যাচাই-বাছাই করারও কেউ নেই বা রাখা হয়নি। ‘ছয় স্তরের’ নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলে কথা। যত কম লোককে সম্পৃক্ত করা যাবে, ততো ভালো। যা কিছু ঘটবে ‘কেরানির ভুল’।

ডিজিটাল মেশিন নয়, স্বর্ণকারই ‘বিশ্বস্ত’! মেশিন বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের পক্ষে সাক্ষী দিতে পারত না। ‘বিশ্বস্ত’ স্বর্ণকার ঠিকই সাক্ষী দিয়ে বলছেন, স্বর্ণ ঠিকই আছে। ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ ১৮ ক্যারেট হিসেবে জমা রাখা হয়। এতে হয়ত নিলামে বিক্রির সময় কর্তাদের সুবিধা হয়।

কষ্টি পাথরে ঘষা দিয়ে স্বর্ণ রাখলে, যা রাখা হয় কখনো কখনো তার চেয়ে বেশি পাওয়া যায়- সাক্ষী দিয়ে বলেছেন ‘বিশ্বস্ত’ স্বর্ণকার!

২। স্বর্ণ রাখার ভল্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছয় স্তর বিশিষ্ট। টাকা রাখার ভল্টের নিরাপত্তা ব্যবস্থার স্তর নিশ্চয়ই আরও বেশি। বেশি যে তার প্রমাণ, টাকা চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়ে। বিশিষ্ট নিরাপত্তা ব্যবস্থার কার্যকারিতা জানা গিয়েছিল ২০১৫ সালে। ভল্ট এলাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা চুরি করে ভেগে যাচ্ছিলেন দীপক চন্দ্র দাস। তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছিলেন ইন্ডিয়ান স্টেট ব্যাংক থেকে। এত কঠিন নিরাপত্তা ব্যবস্থা, সিসি টিভির ফুটেজে ঠিকই তিনি ধরা পড়ে যান। এই প্রশ্ন এখানে মোটেই প্রাসঙ্গিক নয় যে, তিনি কী করে ভল্ট এলাকা থেকে টাকা চুরি করলেন! প্রাসঙ্গিক যে তিনি চুরি করে ধরা পড়েছেন। তাকে পুলিশে না দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল কেন- সেই প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক নয়। প্রাসঙ্গিক খুব বড় মুখে বলা যে, ইন্ডিয়ান স্টেট ব্যাংক তাকে বহিষ্কার করেছিল বলে জানিয়েছিল। থানা-পুলিশ এগুলো ভালো কাজ নয়। ‘যাহা ভালো নয়, তাহা বাংলাদেশ ব্যাংক করিতে পারে না।’

তাছাড়া পুলিশের ব্যাপার আসলে, নিরাপত্তা নিয়ে সন্দেহ-প্রশ্ন তৈরি হতে পারে। সব বিষয় নিয়ে প্রশ্ন নয়, বিশ্বস্ততা বা বিশ্বাসই মূল বিষয়- বাংলাদেশ ব্যাংক নিশ্চয়ই এই নীতি অনুসরণ করে।

৩. শুধু শুধু প্রশ্ন তোলা কিছু মানুষের বাতিক। বাংলাদেশ ব্যাংক যে প্রস্তর যুগে ফিরে গিয়ে কত ভালো কাজ করেছে, তা কিন্তু প্রমাণও হয়েছে। চিন্তা করে দেখেন ডিজিটাল ‘সুইফট’র ওপর নির্ভর করার কারণেই কিন্তু রিজার্ভ থেকে ৮০০ কোটি টাকা চুরি হয়ে গেছে। স্বর্ণের মতো টাকাও যদি ম্যানুয়ালি হ্যান্ডেল করা হতো, তাহলে এই চুরির সম্ভাবনা ছিল না। টাকা বস্তায় ভরে জাহাজে করে পাঠানোর ব্যবস্থা করলে ‘হ্যাকার’রা চুরির সুযোগ পেত না। টাকা গণনার জন্যে মেশিনের ওপর নির্ভর না করে, মানুষের ওপর নির্ভর করার নীতির কথাও বাংলাদেশ ব্যাংক ভেবে দেখতে পারে। তাহলে কয়েকশ মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে।

৪. আস্থা এবং অনাস্থা- দুটি শব্দের অবস্থান পাশাপাশি। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ‘অনাস্থা’ শব্দটি উচ্চারণ করা ঠিক হবে না। আর শুধু ‘আস্থা’ নয়, যা কিছুই ঘটুক না কেন ‘বিশ্বাস’ও রাখতে হবে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি। শুল্ক ও গোয়েন্দা দপ্তর এক বছর ধরে অনুসন্ধান-তদন্ত করে রিপোর্ট দিয়েছে ছয় মাস আগে। একটি চিঠির উত্তর দেড় মাসেও দিতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংক। তাতে কিছু যায় আসে না, শুল্ক গোয়েন্দা দপ্তরের তদন্তকেও এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই। তড়িঘড়ি করে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সংবাদ সম্মেলন করে বলেছে, বাংলা-ইংরেজির ভুল, কেরানির ভুল- তা বিশ্বাস করতে হবে। ‘পরিমাপক স্বর্ণকার ৪ কে ৮ লিখে ফেলেছে’- এটাই বিশ্বাস করতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের কোনো এক কর্তা  লিখেছেন, আমি নই- স্বর্ণকারের এই কথার চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃপক্ষের বক্তব্যে বেশি বিশ্বাস রাখতে হবে। আস্থা এবং বিশ্বাসই শেষ কথা, তার প্রমাণ অর্থ প্রতিমন্ত্রীও দিয়েছেন ‘বাংলাদেশ ব্যাংকের ভল্টের স্বর্ণ ঠিকই আছে’। যেখানে ‘বিশ্বাস’ থাকে সেখানে তদন্ত-অনুসন্ধান-যাচাই-বাছাই গুরুত্বপূর্ণ নয়।  ‘বিশ্বাস’ না থাকলে কি সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলতে পারতেন ‘সোনা গায়েবের কোনো ঘটনা ঘটেনি’!

৫. কোন দেশ কোন পদ্ধতিতে স্বর্ণ পরিমাপ করে, তাও বিবেচ্য বিষয় নয়। বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ব্যাংক নিজস্ব পদ্ধতিতে কাজ করতে পছন্দ করে। এখন কেউ কষ্টি পাথর ব্যবহার করে না, আধুনিক মেশিনের ওপর নির্ভর করে- তাতে বাংলাদেশ ব্যাংকের কিছু যায় আসে না। প্রকৃতির পাথরই সবচেয়ে বেশি ‘বিশ্বস্ত’। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতি ‘আস্থা-বিশ্বাস’ আরও মজবুত করার জন্যে ‘অনুসন্ধান-তদন্ত’ ‘যাচাই-বাছাই’ শব্দগুলো আগামী কয়েকদিন আলোচিত হবে। তৃতীয় পক্ষ বা তৃতীয় কোনো দেশ থেকেও তদন্তকারী আনার কথা ভাবা শুরু হয়েছে। রিজার্ভ চুরির পরেও আনা হয়েছিল। যাকে বা যে প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজ করানো হয়েছিল, সন্দেহের তালিকায় তিনি বা তার প্রতিষ্ঠানও ছিল। চুরির পর আবার গোপনে তাকেই আনা হয়েছিল। তারপর কী হলো? ‘বিশ্বাস’ যেখানে প্রধান, সেখানে এ প্রশ্ন অবান্তর। ড. ফরাসউদ্দিন আহমদ ও ড. কায়কোবাদের করা তদন্ত রিপোর্ট, কয়েকবার দিন তারিখ দিয়েও প্রকাশ করা হয়নি। কারণ রিপোর্ট প্রকাশিত হলেও ‘প্রশ্ন’ সামনে আসবে।

‘আস্থা এবং বিশ্বাস’র প্রতি ‘বিশ্বস্ত’ থাকার নীতিতে ‘প্রশ্ন’ পরিত্যাজ্য।

  • কার্টসিঃ দ্য ডেইলি স্টার / জুলাই ২৩,২০১৮ 

Hammer, remand, inaction and innuendo

Responses to the quota reform movement


For more than two weeks in campuses across the country students demanding a review of the controversial quota system for appointments to civil bureaucracy experienced brutality of a monumental scale. 

On June 30, they planned a press conference at the Dhaka University premises to exert pressure for the gazette notification on quota reform. What was essentially an exercise in peaceful, orderly and democratic practice was viewed by supporters of the ruling party as “a conspiracy of nefarious quarters to destabilise campuses” and “a challenge to the government.” Hence they lost no time to swoop on the organisers, successfully disrupting the press conference.

The state agencies in some instances through inaction appeared to have abetted the criminal acts, and in others, through zestful performance, inflicted immeasurable harm to the protesters, their families and friends. Instead of apprehending clearly identified perpetrators and bringing them to justice for violating the law, they hunted, detained and took leaders and participants of the quota reform movement into remand. They also wielded force to disperse protests and demonstrations of teachers, guardians and concerned citizens. Ministers, non-state cohorts of the establishment, including commentators, journalists and even vice chancellors, joined the cacophony in branding the dissenter students as "disrupters."

The extent and intensity of violence have been widely reported in the media. Images and footages of senior functionaries of the student wing of the ruling party mercilessly beating the peaceful protesters with rods, poles and even a hammer, in different parts of the country, were rife. What began as mayhem by the Bangladesh Chhatra League (BCL) at Dhaka University was soon to be replicated in Chittagong, Rajshahi, Savar, Rangpur and many other cities of the country. Claiming unbridled authority in keeping the campus under control BCL openly declared its intent of freeing those of “the elements engaged in destabilising the campuses”.

But all failed to draw any form of disapproval, let alone rebuke, from any responsible member of the government and the ruling party. The perpetrators enjoyed carte blanche in carrying on their heinous agenda of quelling dissent. On July 15, a new low was reached when two conscientious members of the social science faculty of Dhaka University expressing solidarity with the victims of violence, were manhandled.

In committing their acts of violence the perpetrators not only breached the sanctity of the University premises, they marred the inviolability of the Shaheed Minar, a monument that symbolises dissent.

In one instance several female students were assaulted at the Shaheed Minar while they were protecting fellow protestors. In another incident they dragged out a quota reform supporter from inside the library and beat him in front of the professor librarian of Dhaka University, injuring the latter. In a few cases, the BCL forcibly detained protesting students and subsequently after rough treatment handed them over to the law enforcement agencies. Leading protesters were threatened with dire consequences at their homes and dormitories.

The responses of the university administrations were utterly disappointing. Little was done to protect and assuage the concerns of the protesters. After days of violence that rocked Dhaka University and disrupted the campus life, the Proctor went on record claiming he had no idea that such attacks had indeed taken place. He went to proclaim that he would “act only if complaints were filed.” 

In Rajshahi University while the proctorial body failed miserably to protect students from attacks and harassment, it registered a rare success in prevailing upon the lone teacher who was expressing his disgust over campus violence by coming to campus barefooted. Jettisoning age-old tradition of offering support, sympathy and facilitating medical care to the victims of violence, irrespective of their political affiliation, the university administrations and teachers' associations appeared to have sided with the perpetrators.

The responses of law enforcement agencies in dealing with the anti-quota movement have been revealing, if not appalling. The police and other agencies took no action against BCL activists as they announced programmes to thwart planned peaceful public events. Instead police personnel vacated the Shaheed Minar premises when the BCL activists confronted the peaceful demonstrators. After any violent episode instead of apprehending the perpetrators the law enforcement personnel went after the victims. 

While images and video footage of the wrong doers were made widely available in the print, electronic and social media, there has been a palpable indifference in acting against them. Several dailies have published the photos, names and designation (offices they hold in BCL) of the perpetrators. While they roam around the campuses scot free, it was the victimised peaceful protesters (whom the police and the administration had failed to protect) who are now being chased by members of law enforcement agencies. There is little doubt if law were left to take its own course most of the perpetrators would have been charged with criminal offences, including possession of dangerous weapons, causing serious bodily harm, unlawful detention and abduction. No less poignant was the statement of Marium Farah who after enduring the harassment of BCL activists on her way home was taken to police custody only to go through yet another round of humiliation and mistreatment. “I thought the police station would be safe”, Farah noted, “but it was like a second hell”.

Putting to shame the excesses committed by the British colonial and Pakistani police against student activists at least two severely injured quota reformist students were denied treatment in public hospitals. In one instance, the parents of the injured claimed that the victim was forcibly discharged from a private medical facility.

The law enforcement agencies lost no time in pressing charges against innocent activists and even successfully lodged petition for taking some injured ones to remand. One wonders on what grounds the hon'ble magistrates granted such petitions. The poor students were only exercising their constitutional right to voice concern on a matter of public policy that affects their future and also of the nation. They were victims of mindless violence, not the perpetrators. 

The frustration of the agitating students is understandable. Almost no action was taken despite the prime ministerial commitment for "abolishing the quota system", something that the quota reformers did not ask for. Prolonged silence and near inaction was intermittently interjected with confusing statements from responsible functionaries: "not aware", "no instruction", "no progress", "decision after PM's return", "gazette after Eid" and the like. Months ago during negotiations agitating students were promised immediate formation of a high level committee, a position reiterated by the Cabinet Secretary. It was the latest round of agitation that forced the administration to form the committee only on July 3.

The moral bankruptcy of the ruling quarters to face legitimate challenge politically leads them to resort to unfair and false insinuation and innuendoes. This prompted even the erudite law minister to state that BNP and Jamaat are provoking the quota reform movement. 

The powerful general secretary of the Awami League shared the view. While negating the claim that BCL was responsible for the campus mayhem he argued that the BCL committee does not exist now and thus the organisation would not take any blame. Does the minister really want the public to believe that members of BCL wither away when committees stand dissolved? Readers may recall that protestors were labelled as Razakars in April by a senior minister, known for her fire-brand student activism. Without any shred of evidence the blame of ransacking the DU VC's residence has been conveniently passed on to the quota reform activists. If that be the case, doesn't the onus lie on the administration to publish the report of the investigations and prosecute the perpetrators?

Donning the invisible mantle of police, if not of a detective, the Vice Chancellor of Rajshahi University drew the conclusion that the quota reform struggle is essentially "an anti-government movement to carry out sabotage." His counterpart in Dhaka University concurred terming it as "machination of evil power." Quite candidly he shared with journalists that video footages of protesters reminded him of "provocative video messages of Taliban, Al Shabaab and Boko Haram."

The reactions of the government, the ruling party and their cohorts to the legitimate demands of the quota reform activists lay bare their deep alienation from the masses and their concerns. It reflects their vulnerability to any form of collective resistance. It also reveals the partisan bias of the state institutions that not only fail to protect the victims of criminal wrong-doings but also condones acts that are inhumane, illegal and contrary to the provisions of the constitution of the republic.

  • Courtesy: The Daily Star /Jul 23, 2018

কয়লা গেল কই, আর গুপ্তধন?

গোলাম মোর্তোজা

বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির ডিপো থেকে ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে গেল। গতকালকের দ্য ডেইলি স্টারের সংবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সয়লাব। কয়েকদিন আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘কোনো গুম হচ্ছে না। প্রেমে ও ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে নানানজন নানান দিকে চলে যাচ্ছে। আমরা তাদের এনে হাজির করছি।’

মানুষ নানান দিকে চলে যাচ্ছে এবং পুলিশ তাদের খুঁজে আনছে। কয়লা কোন দিকে গেল? কে খুঁজে আনবে? কর্তাদের কয়েকজনকে ক্লোজ করে আনা হয়েছে। খোঁজার কমিটিও হয়েছে। তারা কোন দিকে খুঁজছে, কীভাবে খুঁজছে?

কয়লা মন খারাপ করে নানান দিকে চলে গেছে, একথা যেহেতু বলার সুযোগ নেই, তাহলে কে বা কারা নিয়ে গেল কয়লা? কয়লা নেওয়ার জন্যে নিশ্চয়ই কোনো পরিবহন ব্যবহার করা হয়েছে। পরিবহন বলতে যদি ট্রাক ব্যবহার করা হয়ে থাকে, তাহলে ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা পরিবহনের জন্যে প্রতি ট্রাকে ১০ টন করে হলেও, কমপক্ষে ১৪ হাজার ট্রাকের প্রয়োজন হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একজন এই অঙ্ক করে দেখিয়েছেন।

কয়লা খনি এবং সংরক্ষণ ডিপোকে কেন্দ্র করেও রয়েছে ‘কঠোর নিরাপত্তা’ ব্যবস্থা। অথচ কেউ কিছু জানালেন না, দেখলেন না। এখন বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে রয়েছে।


‘গুপ্ত ধন আছে’- কেউ একজন জানালেন পুলিশকে। নিরাপত্তাহীনতার মুখে বাড়ির মালিকও জিডি করলেন থানায়। অনুসন্ধান করে দেখতে বললেন।

পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট বাড়িতে ঢুকে রুমের মেঝে খুঁড়তে শুরু করলেন। দুটি রুমে চার ফুট গর্ত করেও গুপ্তধনের সন্ধান পেলেন না। বাড়ির ভিত শক্ত না হওয়ায় খোঁড়া বন্ধ করলেন। বললেন, বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে জানার চেষ্টা করবেন না খুঁড়ে গুপ্তধনের সন্ধান পাওয়ার উপায় আছে কি না।

একজন মানুষের বসত বাড়ির রুম খোঁড়াখুঁড়ি করার আগে, বিশেষজ্ঞদের থেকে একটু জেনে নিলে হতো না?

এটা যদি রাজনীতিবিদ বা বিত্তবানের কারও বাড়ি হতো, পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেট এভাবে খনন কার্যক্রম চালাতেন বা চালাতে পারতেন?

  • কার্টসিঃ দ্য ডেইলি স্টার / জুলাই ২৩,২০১৮ 

Traffic cops withdrawn for assaulting bank official

A sergeant and a constable of Gazipur traffic police were withdrawn yesterday, after they beat up a bank official in Tongi upazila in the district.
Sergeant Mohammad Firoz and Constable Shyamol Dutta have been closed to the Gazipur Police Lines following the incident, said police officials.

Saleh Uddin Ahmed, assistant superintendent of police of Gazipur traffic division, said they took disciplinary action against the duo after primarily finding the allegation true.

The victim, Mohammad Amir Hossain, 45, is an employee of Sonali Bank's National University Branch and a resident of Shataish Bank Para area in Tongi.

Amir said he was going to his workplace in a rickshaw around 9:00am. Sergeant Firoz and constable Shyamol stopped the rickshaw when he reached Shataish intersection to prevent it from plying the wrong side, he said.

The traffic police duo had a brief altercation with the rickshaw-puller over the matter, he added. Amir wanted to pay the rickshaw fare and get down. He requested the policemen to remove the rickshaw from there.

Following this, Firoz and Shyamol started verbally and physically abusing him.

Later, locals rushed there and protested the incident.

“They mercilessly hit me with sticks,” Amir said, alleging that he got injured in hands while his clothes were also torn.

Sub-inspector Mosharraf Hossain of Tongi Police Station said after getting information, he reached the spot and rescued Firoz and Shyamol who were confined by the locals.

The two, along with Amir, were later taken to Tongi Police Station, said the SI.

ASP Saleh Uddin claimed Amir's relatives reached the spot and injured the police duo during the incident. However, Sergeant Firoz and Constable Shyamol behaved irresponsibly, he said. As a result, they were closed to the Police Lines.

  • Courtesy: The Daily Star /Jul 23, 2018

কয়লার অভাবে বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র


কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে দেশের একমাত্র বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র। রোববার রাত ১০টার দিকে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এই তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ।

বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক (তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী) মো. মাহবুবুর রহমান আরটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, কয়লা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিঃ (বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি) কয়লা সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছেন।

এদিকে ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন এ তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধের পর এখন বিকল্প ব্যবস্থা না হলে বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা রয়েছে দিনাজপুরসহ রংপুর বিভাগের আট জেলায়।

পিডিবি সূত্রে জানা গেছে, রংপুর বিভাগের ৮ জেলায় প্রতিদিন ৬৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ চাহিদার বিপরীতে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে পাওয়া যেত ৫২৫ মেগওয়াট। এখন বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পুরোপুরি বন্ধ হওয়ায় বিদ্যুৎ ঘাটতি বাড়বে। এতে বিদ্যুৎ ভোল্টেজ কম এবং লোডশেডিং হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিঃ এর সাবেক এমডি (প্রত্যাহার) প্রকৌশলী হাবিবুর রহমান গত ৭ জুলাই সাংবাদিকদের বলেছিলেন- বড়পুকুরিয়ার কয়লা খনির ২০১০ নং ফেজে মধ্য জুনে কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় ১৩১৪ নং নতুন ফেজে কয়লা উত্তোলন প্রক্রিয়া শুরু করে।

আগামী আগস্ট মাসের শেষ পর্যায়ে নতুন ফেইজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু হবে বলে তিনি জানিয়েছিলেন। নতুন ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলন শুরু না হওয়া পর্যন্ত তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু সম্ভব হবে না।

সূত্রমতে, খনির কোল ইয়ার্ডে বর্তমানে দেড় লাখ মেট্রিক টন কয়লা মজুদ থাকার কথা। কিন্তু বাস্তবে শনিবার খনির কোল ইয়ার্ডে মজুদ ছিলো মাত্র ৪ থেকে ৫ হাজার টন কয়লা। বাকি ১ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন কয়লার কোন হদিস নেই। কয়লার অভাবে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হওয়ার উপক্রম হওয়ায় পেট্রোবাংলা ও খনি কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে।

  • কার্টসিঃ আরটিভি / জুলাই ২৩, ২০১৮ 

Urgent steps needed to avert possible fertiliser crisis

It is a matter of great surprise that the authorities concerned are sitting cosy while a crisis is brewing up in the supply of urea fertiliser in the country. As reported in this paper, this may have severe consequences for production of Boro crop in the upcoming season starting from December next. The consumption of urea fertiliser constitutes almost half of the total fertiliser consumption in Bangladesh. On the other hand, Boro crop accounts for around 55 per cent of rice production in the country. Consequently, any disruption in the supply of urea fertiliser would severely hamper Boro production in the season to follow. This in turn may have serious implications on the country's food availability.

Reportedly, production of urea fertiliser in three factories under Bangladesh Chemical Industries Corporation (BCIC) has been kept suspended for months due to cut in the supply of natural gas. As is well-known, natural gas is the basic raw material for production of this fertiliser. Supply has been resumed in only one of the factories last week, but the fate of the other two still remains unclear. On scrutinising the figures, it is observed that production target of urea fertiliser during 2017-18 fiscal year was 902 thousand metric tonnes, while only 666 thousand metric tonnes could be produced up to February 2018. 

Due to disruption in gas supply since April, it is most likely that there would be a large gap between the production target and the actual production. The production target has been set at 1.0 million metric tonnes this year, which is to be supplemented through import of 1.6 million metric tonnes by the BCIC. But regrettably, even the potential demand for 1.0 million metric tonnes of urea fertiliser up to November cannot be met from the existing buffer stock. Consequently, the supply situation may break down even before onset of the Boro season in December.

Surprisingly, although gas supply to urea fertiliser factories was stopped in April, the Ministry of Industries has taken the initiative only recently to fix the matter, when immense harm has already been caused to the production cycle. The relevant officials are also putting up excuses in advance by saying that the import of additional fertilisers for meeting the deficit may take many months; consequently the crisis can be averted only by maintaining domestic production. But an examination of current arrangements reveals that the BCIC has been enjoying a monopoly in importing urea fertiliser for many years, mainly to meet the gap in demand and supply. Therefore, the BCIC could have gone for importing a larger quantity much earlier when there was disruption in production due to stoppage of gas supply. Official figures for the period between 2010 and 2018 supports this contention, which show that while the domestic production of urea fertiliser hovered around 1.0 million tonnes, imports have fluctuated between 1.1 million and 1.8 million tonnes.  

Consequently, everything boils down to a lack of rigorous monitoring of the production and import situation of urea fertiliser by the Ministry of Industries and the BCIC and also absence of prompt remedial measures for rectifying the situation. The onus now lies squarely on them if any crisis hits the supply of this critical fertiliser during the come Boro season. In addition, the government may also consider breaking the monopoly of the BCIC in the import of this fertiliser and allow dependable private importers as well as public-private partnerships to enter the fray for improving the supply situation.

  • Courtesy: The Financial Express /Editorial/ Jul 23, 2018

N-region set to face power disruption from today

Tk 2.27b Barapukuria coal scam


The electricity supply in the country's northern region is likely to suffer a major setback from today (Monday), said officials.

It is going to happen, as all the three units of the Barapukuria coal-fired power plant, having the total capacity of 525 megawatts (MW), will face forced closure due to lack of coal supply, they added.

"Only around 3,000 tonnes of coal are now stockpiled in the storage yard of the state-run Barapukuria Coal Mining Company Ltd (BCMCL)," a senior official told the FE on Sunday.

This coal can be used to run only one 275-MW capacity unit of the power plant for a single day, he added.

As of July 21, only one unit of the Barapukuria power plant was operational, which generated around 130 MW of electricity, according to statistics of the state-run Bangladesh Power Development Board (BPDB).

The vanishing coal

The 'vanishing' of around 142,000 tonnes of coal from the BCMCL's storage yard has created the uncertainty in operation of the Barapukuria coal-fired power plant.

The BCMCL could detect the anomalies in coal stock only a few days back, when it started assessing the overall stock in the yard.

A three-member committee, headed by Petrobangla's director for operations and mines Md Kamruzzaman, has been assigned to investigate the issue, and submit a report to the Ministry of Power, Energy and Mineral Resources (MPEMR).

"Electricity supply of around 500 MW will be hampered in the northern region due to this incident," state minister for MPEMR Nasrul Hamid told newsmen on Sunday.

Gas supply to the gas-fired power plants in Sirajganj will be increased to ease the electricity supply shortfall there, he noted.

The probe committee has been asked to submit its report within seven days, Mr Hamid added.

"We've started our investigation into the incident," said Mr Kamruzzaman, the head of the inquiry committee.

Detailed information over the issue could be unearthed after the investigation is over, he added.

Five officials removed

Five officials of the BCMCL, including its managing director and a general manager, have already been withdrawn and suspended following the unfolding coal scam.

Officials said the BCMCL storage yard should have a stock of around 142,000 tonnes of coal now according to its extraction and sales report. The existing market price of coal is Tk 16,000 a tonne. That puts the cost of missing coal at Tk 2.27 billion.

Coal production of the BCMCL has remained suspended for more than a month, as its equipment and machinery are being shifted from one coalface underground to another, they also said.

Coal extraction from the new phase is expected to start from mid-September, meaning that the country will have no electricity generation from coal until then, they added.

The Barapukuria plant has two 125-MW capacity old units and one 275-MW capacity new unit.

Some 5,000 tonnes of coal are required daily to run the Barapukuria plant to generate around 525 MW of electricity.

The newly-built third unit requires around 3,000 tonnes of coal per day to generate around 275-MW of electricity.

The BPDB purchases coal at US$ 130 per tonne from the BCMCL to generate electricity.

The country's overall electricity generation is currently hovering around 10,500 MW.

The government has a target to generate around 24,000 MW of electricity by 2021.


  • Courtesy: The Financial Express/ Jul 23, 2018

পেট্রোবাংলার সব উদ্যোগেই দুরবস্থা

ইয়ামিন সাজিদ

ব্যয়বহুল তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানির পর তিন মাস পেরিয়ে গেলেও তা সরবরাহ করতে পারছে না পেট্রোবাংলা। এরই মধ্যে পাঁচ দফা দিনক্ষণ নির্ধারণ হয়েছে। তবে প্রতিবারই পিছিয়েছে। ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল থেকে কবে নাগাদ গ্যাস সরবরাহ শুরু হবে, সুনির্দিষ্ট করে তা বলতে পারছে না কেউই।

নতুন গ্যাসক্ষেত্র অনুসন্ধান উদ্যোগও বাস্তবায়ন করতে পারছে না সংস্থাটি। গভীর সমুদ্রে মাত্র একটি ব্লকে গ্যাস অনুসন্ধানে বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। যদিও থ্রিডি সিসমিক সার্ভে ও ড্রিলিং এখনো শুরু হয়নি।

উপরন্তু বিদ্যমান গ্যাসকূপ ও খনিজ সম্পদ ক্ষেত্র পরিচালনায়ও ব্যর্থ হচ্ছে পেট্রোবাংলা। বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলিত প্রায় দেড় লাখ টন কয়লা গায়েব হয়ে গেছে। বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা উত্তোলনে প্রস্তুত হচ্ছে না নতুন কূপও। ফলে কয়লার অভাবে বন্ধ হয়ে গেছে বড়পুকুরিয়ায় দেশের একমাত্র কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রটি।

পেট্রোবাংলার অদক্ষতাকেই এ দুরবস্থার জন্য দায়ী করছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলছেন, সংস্থাটিতে যোগ্য নেতৃত্ব ও দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে; সেই সঙ্গে রয়েছে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার অভাবও। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদন, সঞ্চালন ও বিতরণে অগ্রগতি হলেও তার সঙ্গে তাল মেলাতে পারছে না পেট্রোবাংলা।

তিন মাসেও শুরু হয়নি এলএনজি সরবরাহ

বিদ্যুৎ, শিল্প, সার ও বাণিজ্যিক খাতসহ দেশে গ্যাসের চাহিদা দৈনিক ৪১২ কোটি ঘনফুট। এর বিপরীতে দেশীয় কূপগুলো থেকে উৎপাদন ও সরবরাহ হচ্ছে ২৮০ কোটি ঘনফুট। ফলে ১৩২ কোটি ঘনফুটের ঘাটতি থাকছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে গ্যাসের চাহিদা মেটাতে ২০১০ সালে এলএনজি আমদানির সিদ্ধান্ত হয়। কক্সবাজারের মহেশখালীতে একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণের জন্য মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি ও আরেকটির জন্য দেশীয় কোম্পানি সামিট পাওয়ারের সঙ্গে চুক্তি করে পেট্রোবাংলা। এক্সিলারেট এনার্জির টার্মিনালে তিন মাস আগে কাতার থেকে এলএনজি আমদানিও হয়েছে। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে এ গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হওয়ার কথা ছিল। যদিও ভাসমান টার্মিনাল থেকে উপকূল পর্যন্ত পাইপলাইন নির্মাণই এখনো শেষ হয়নি। সমুদ্রের তলদেশে পাইপলাইনে প্রথমে একবার ত্রুটি দেখা দেয়। সেটি মেরামত করার আগেই নতুন করে আবারো ছিদ্র ধরা পড়েছে। ফলে পঞ্চম দফায় নির্ধারিত ১৫ জুলাইও এলএনজি সরবরাহ সম্ভব হয়নি।

শুধু সমুদ্রের তলদেশের পাইপলাইন নয়, এলএনজি পরিবহনের জন্য স্থলভাগের পাইপলাইন প্রকল্পেরও একই অবস্থা। আনোয়ারা থেকে ফৌজদারহাট পর্যন্ত ৪২ সেন্টিমিটার ব্যাসের ৩০ কিলোমিটার লাইনের কাজও এখনো শেষ হয়নি।

জানতে চাইলে পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন ও মাইনস) প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান বণিক বার্তাকে বলেন, এলএনজি আমাদের দেশে একেবারেই নতুন একটি প্রকল্প। এছাড়া সমুদ্রের তলদেশের যে পাইপলাইন, তা নির্মাণও সহজ নয়। জোয়ার-ভাটার সময় সমুদ্রে প্রচণ্ড স্রোত থাকে। যে কারণে এক্সিলারেট এনার্জির প্রকৌশলীরা কাজের জন্য পর্যাপ্ত সময় পান না। জোয়ার-ভাটার মধ্যে স্বাভাবিক যে সময়টুকু আছে, সেই সময়ে তাদের কাজ করতে হচ্ছে। সেটিও খুবই কম। এ কারণে যত দ্রুত সমস্যার সমাধান হওয়া উচিত, তত দ্রুত সম্ভব হচ্ছে না।

কাতার গ্যাসের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী চলতি বছর থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বার্ষিক ১৮ কোটি টন হারে এলএনজি আমদানি করবে পেট্রোবাংলা। নিজেদের সক্ষমতার অভাবে এ পরিমাণ এলএনজি ব্যবহার করতে না পারলেও চুক্তি অনুযায়ী অর্থ পরিশোধ করতে হবে পেট্রোবাংলাকে। গত ২৩ এপ্রিল কমিশনিং কার্গো বাংলাদেশে পৌঁছার মধ্যদিয়ে এলএনজি আমদানি চুক্তি কার্যকর শুরু হয়েছে। ফলে এক্সিলারেট এনার্জির সাব-সি পাইপলাইনের ত্রুটির কারণে গত তিন মাসের অব্যবহূত এলএনজির দামও পরিশোধ করতে হবে পেট্রোবাংলাকে।

পেট্রোবাংলার ব্যবস্থাপনার ব্যর্থতাই এ দুরবস্থার জন্য দায়ী বলে জানান বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ম. তামিম। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, নেতৃত্ব ও দক্ষ জনবলের অভাবেই এ অব্যবস্থাপনা। দুই বছর আগে এক্সিলারেট এনার্জিকে টেন্ডার ছাড়া কাজ দেয়া হয়। দুই বছর পরও যদি তারা কাজ শেষ করতে না পারে, তাহলে বিশেষ আইনে তাদের এ প্রকল্প দিয়ে লাভ কী হলো? এখন পর্যন্ত কয়েক দফা তারিখ পিছিয়েছে, তার পরও এলএনজি সরবরাহ শুরু হয়নি। এ ব্যর্থতার জন্য সংস্থাটিকে জবাবদিহিতার আওতায় আনা উচিত।

সমুদ্রে তেল-গ্যাস আহরণ

দেশের জ্বালানি সম্পদের সম্ভাবনাময় ক্ষেত্র সমুদ্রবক্ষ। ২০১২ সালে মিয়ানমার ও ২০১৪ সালে ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ মীমাংসার পর পাঁচ বছর চলে গেছে। এ সময় মিয়ানমার তাদের সমুদ্র এলাকায় একাধিক গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে। বিশেষ করে বাংলাদেশ-সংলগ্ন মিয়ানমারের এডি-৭ নামের ক্ষেত্রে প্রায় সাড়ে চার ট্রিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস আবিষ্কৃত হয়েছে। কোরিয়ার কোম্পানি দাইয়ু পিএসসির অধীনে ক্ষেত্রটি থেকে গ্যাস তুলছে তারা। ওই ক্ষেত্রসংলগ্ন বাংলাদেশের একটি গ্যাস ব্লক ডিএস-১২। ক্ষেত্রটি উন্নয়নের জন্য দাইয়ুর সঙ্গে পেট্রোবাংলা উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তি (পিএসসি) করেছে মাত্র। কিন্তু উন্নয়নকাজ এখনো শুরু হয়নি। মিয়ানমারের গ্যাস তোলার কাজেই বেশি ব্যস্ত তারা। এক্ষেত্রেও পেট্রোবাংলার কোনো তদারকি নেই।

এছাড়া অগভীর সমুদ্র (এসএস) ব্লক ৪, ৯ ও ১১ এবং গভীর সমুদ্র (ডিএস) ব্লক-১২-তে অনুসন্ধান চালানোর জন্য তিনটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি হয়েছে। এসব ব্লকে টুডি সিসমিক সার্ভে শেষে হলেও এখন পর্যন্ত থ্রিডি সিসমিক সার্ভে ও ড্রিলিং শুরু হয়নি। কবে নাগাদ শুরু হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই।

প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান এ প্রসঙ্গে বলেন, গ্যাস অনুসন্ধান অত্যন্ত জটিল কাজ। ধাপে ধাপে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে একেকটি কূপ খনন করতে হয়। একটি কূপ খনন করতে যে অর্থ ব্যয় হয়, গ্যাস পাওয়া না গেলে সে অর্থ ফেরত আনার সুযোগ নেই। শুধু আমরা নই, শেভরনের মতো বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানেরও একই অভিজ্ঞতা। তাই জ্বালানি খাতের অর্জন বিদ্যুৎ খাতের মতো দৃশ্যমান নয়। বিদ্যুৎকেন্দ্র যত সহজে নির্মাণ করা হয়, একটি গ্যাসক্ষেত্র তত সহজে আবিষ্কার করা যায় না।

কয়লা জোগানে ব্যর্থ

পেট্রোবাংলা অদক্ষতার নজির সৃষ্টি করেছে কয়লা খাতেও। সংস্থাটির অব্যবস্থাপনার কারণে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি থেকে উত্তোলন করে ইয়ার্ডে রাখা ১ লাখ ৪২ হাজার টন কয়লা গায়েব হয়ে গেছে। পাশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে জ্বালানি হিসেবে ব্যবহারের জন্য মজুদ রাখা হয়েছিল ওই কয়লা। কয়লা গায়েব হয়ে যাওয়ার পর জ্বালানি সংকটে বন্ধ হয়ে গেছে ৫২৫ মেগাওয়াটক্ষমতার বড়পুকুরিয়া কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র।

বর্তমানে দেশে কয়লা খনি রয়েছে পাঁচটি। পেট্রোবাংলা এসব খনির মালিক। এর মধ্যে বড়পুকুরিয়া খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগের সঙ্গে সম্পাদিত চুক্তি অনুযায়ী পাশের কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে ওই কয়লা সরবরাহ করে পেট্রোবাংলা।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটি জ্বালানির জন্য বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ওপর পুরোপুরি নির্ভরশীল। কেন্দ্রটির তিনটি ইউনিট পূর্ণ ক্ষমতায় চালাতে প্রতিদিন চার থেকে সাড়ে চার টন কয়লার প্রয়োজন। চুক্তি অনুযায়ী, জ্বালানি নিশ্চয়তার জন্য পেট্রোবাংলাকে সবসময় এক মাসের কয়লা মজুদ রাখতে হয়।

গত ২০ জুন ঢাকায় পেট্রোবাংলা ও বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক হয়। বৈঠকে কয়লা খনির এক কর্মকর্তা জানান, ১ লাখ ৮০ হাজার টন কয়লা ইয়ার্ডে মজুদ রয়েছে। বিপিডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা গত সোম ও মঙ্গলবার খনি পরিদর্শন করে ৩০ হাজার টনের মতো কয়লার মজুদ পান। প্রায় দেড় লাখ টন কয়লার হদিস পাননি তারা।

  • কার্টসিঃ বনিকবার্তা/ জুলাই ২৩,২০১৮