Search

Monday, September 10, 2018

ইসির স্বাধীন সত্তার পরিচয় কোথায়?

সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে নির্বাচন কমিশন নানা কারণে ব্যতিক্রম। এই সংস্থাটির প্রতিটি কার্যক্রম এবং পদক্ষেপের দিকে জনগণের সজাগ দৃষ্টি বা নিবিড় নজরদারি থাকে। বিশেষ করে, তার কার্যক্রম পরিচালনায় সরকারের মুখাপেক্ষী থাকার দিকটিই সবচেয়ে বেশি আলোচনার বিষয়বস্তু বলে গণ্য হয়। ইভিএম বিতর্কের পরে নতুন বিতর্ক হলো জাতীয় নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির করা। একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ সম্পর্কে মন্তব্য করায় সিইসি উষ্মা প্রকাশ করেছেন। কিন্তু আমরা যদি বর্তমান নির্বাচন কমিশনের গঠন থেকে এ পর্যন্ত তার সব কর্মকাণ্ডকে বিচার-বিশ্লেষণ করি, তাহলে এটাই স্পষ্ট যে তারা অধিকাংশ সময় ক্ষমতাসীন দলের অগ্রাধিকারকে প্রাধান্য দেওয়ার প্রবণতা দেখিয়েছে।

এ কথা স্থানীয় সরকারের নির্বাচন থেকে শুরু করে প্রতিটি নির্বাচনকেন্দ্রিক তৎপরতার বিষয়ে কম-বেশি সত্য। সার্বিক বিচারে ইসির স্বাধীন সত্তা কতটা কার্যকর, সেটা একটা জ্বলন্ত প্রশ্ন হয়েই আছে। এটা স্বাভাবিক প্রত্যাশা যে রাষ্ট্র পরিচালনায় সরকার এবং নির্বাচন অনুষ্ঠান পরিচালনায় ইসির নেতৃত্ব সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত স্পষ্ট থাকবে। কিন্তু বিভিন্ন ঘটনায় দেখা যাচ্ছে, নির্বাচন পরিচালনা-সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণে ইসির চেয়ে সরকারের প্রভাবটাই বেশি। সরকার চায় না, কিন্তু ইসি তাকে মেনে নিতে বাধ্য করেছে কিংবা আইনের আওতায় থেকেই তেমন কোনো তৎপরতায় ইসি নিজেকে যুক্ত করেছে, তেমন উদাহরণ বিরল কিংবা অনুপস্থিত।   

ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচন তেমনই একটি উদাহরণ। গত ৩০ নভেম্বর মেয়র আনিসুল হকের আকস্মিক মৃত্যুর পর ডিএনসিসির মেয়র পদে উপনির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছিল ইসি। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ডিএনসিসির মেয়র পদসহ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে নতুন যুক্ত হওয়া ১৮টি করে ৩৬টি সাধারণ ওয়ার্ড এবং ৬টি করে ১২টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ওই নির্বাচনী তফসিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে দুটি রিট করা হয়। ওই দুটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জানুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের একটি দ্বৈত বেঞ্চ উত্তর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনের ওপর স্থগিতাদেশ দেন।

পত্রিকান্তরের প্রতিবেদন সাক্ষ্য দেবে যে তফসিল ঘোষণার পরে ইসিকে উপযুক্তভাবে না শুনে কোনো নির্বাচন স্থগিত করার বিষয়ে সংবিধানে যে রক্ষাকবচ ছিল, ইসি তার সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের মতো তারাও আদালতের কাঁধে বন্দুক রেখে নিজেদের কর্তব্য অবহেলাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে। ইসির আইনজীবীকে আমরা কেন নির্বাচন বন্ধ করা সমীচীন হবে না, সে বিষয়ে শুনানিতে দৃঢ় ভূমিকা রাখতে দেখিনি। অথচ তাঁদের এটা বলার সুযোগ ছিল যে রিট দায়েরকারীরা পরিচ্ছন্ন হাতে আসেননি।

এটা প্রতীয়মান হয়েছে যে সরকারি দল যেকোনো বিবেচনাতেই হোক সাধারণ নির্বাচনের বছরে খোদ রাজধানীতে পরাজয় মেনে নেওয়া কিংবা বিতর্কিত কোনো ভোটের অনুষ্ঠান না করাকেই শ্রেয় মনে করেছে। গণমাধ্যমে তীব্র সমালোচনার মুখে ইসি নামকাওয়াস্তে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছিল। কিন্তু সেখানে তারা রাষ্ট্রপক্ষের অনীহাকে পরাস্ত করে শুনানির কোনো চেষ্টা করেছে বলে ইসির কোনো মুখপাত্র আমাদের নিশ্চিত করেননি।

এমনকি আমরা ৮ সেপ্টেম্বর ইসি সূত্রে এটা জেনে বিস্মিত যে গত জানুয়ারিতে দেওয়া ছয় মাসের স্থগিতাদেশের সময়সীমা অতিক্রান্ত হয়েছে। কিন্তু ইসি এই মামলার শুনানি শুরু করতে সচেষ্ট ছিল না। বরং রিট আবেদনকারীদের অনুকূলে আদালত সম্প্রতি স্থগিতাদেশের সময়সীমা সম্প্রসারিত করেছেন। এর অর্থ হলো রাজধানীবাসীর মেয়র নির্বাচনের অধিকার অনিশ্চিতই থাকল। আমরা আশা করব, ডিএনসিসি নির্বাচন নিশ্চিত করতে ইসি আদালতে তার লড়াইয়ে যথাযথ ভূমিকা রাখবে। অন্যথায় তার স্বাধীন সত্তার দাবি প্রশ্নবিদ্ধই থাকবে।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/সম্পাদক/ সেপ্টেম্বর ১০,২০১৮ 

Handloom industry in the doldrums

Number of handloom units drops to 45,000 in 2017 from 0.1 million in 2003


The number of handloom units has registered a sharp fall mainly due to a continuous growth of powerlooms and dyeing factories in the country over the years, according to a study.

A gradual change in women's dress habit and fashions is also responsible for such a situation.

As a result, the number of handlooms has dropped to 45,000 in the country in 2017 compared to 0.1 million in 2003, said a recent study conducted by Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS). Some 165,000 handlooms were in operation in the country in 1990, it added.

The objective of the study was to look into the existing status of the country's handloom industry in reference to the past and formulate a hypothesis on the future standing.

The study was conducted based on secondary materials drawn from desk review of available published and unpublished documents and primary information gathered from field visits to important handloom concentration areas and also some selective areas producing artistically-designed delicate fabrics.

The rate of decline in the establishments and employment during 1990-2003 was estimated at 3.8 per cent and 1.31 per cent respectively. The corresponding rate was estimated at 5.0 per cent and 6.80 per cent for the period 2003-2013.

The handloom industry has taken its own course of transition to powerloom.

The decline in the number of handloom units has to have serious implications for labour displacements and unemployment.

It was reported that the labourers already displaced were mostly absorbed in other sectors like the readymade garment industry and rural transportation (non-motorised vehicles such as rickshaw-van and motorised vehicles like motorcycles and scooters).

Many displaced workers from handlooms found overseas employment as well.

The factors accountable for the long-term growth of the handloom industry during 1947-1990 include a favourable government policy towards protecting handlooms by adopting some fiscal measures against competition from mills and imports.

Consumers' preference for handlooms in the main lines of production such as cotton saris and lungis, production of certain specialised fabrics and cheap supplies of outside labour, especially female and child workers are the factors for the industry's growth, the study added.

National Association of Small & Cottage Industries of Bangladesh (NASCIB) president Mirza Nurul Ghani Shovon told the FE that handloom is an ancient industry which should be revived and protected by providing financial and policy support to entrepreneurs.

The handloom industry can maintain high quality products like saris or others, but powerloom cannot do such, he added.

Earlier, Bangladesh Handloom Board provided raw materials to the handloom industry, but it stopped later. It was a big blow for the industry, he said.

Besides, entrepreneurs used to get loan on easy-term, Mr Shovon said.

The handloom board should play an effective role in reviving the industry. Proper patronisation by the government can revive the industry again, he said.

Dr Muhammad Abdul Latif, former director of Institute of Microfinance, laid emphasis on shifting the handloom industry into powerloom.

With the passage of time, the people have been trendy and fashionable and advanced technology has been developed, so the industry is turning into powerloom, he told the FE.

Even the employees of the industry are not out of job as they are joining powerloom, readymade garment and other sectors, he said.

Dr Nazneen Ahmed, senior research fellow at Bangladesh Institute of Development Studies (BIDS), said the government should turn the handloom industry into powerloom industry.

"The government can declare many of the handloom products as heritage," she told the FE.

It is true that the handloom industry cannot compete with the powerloom industry due to technological advancement, Ms Ahmed said.

  • Courtesy: The Financial Express /Sep 10, 2018

Farmers Bank bonds: Four SoCBs, ICB to invest Tk 10b

Four state-owned commercial banks (SoCB) and a financial institution will invest Tk 10 billion (1000 crore) more in the troubled Farmers Bank Limited (FBL) through subscribing subordinated bonds.

The latest development came in a review meeting of the FBL held at the central bank headquarters in Dhaka on Sunday with Bangladesh Bank (BB) Governor Fazle Kabir in the chair.

Under the latest decision, taken by the board of directors of the FBL earlier, Sonali Bank Limited will subscribe to bonds worth Tk 3.0 billion while the Investment Corporation of Bangladesh (ICB) will invest Tk 1.0 billion in the bonds.

Three other SoCBs -Janata, Agrani and Rupali - will subscribe to bonds worth Tk 2.0 billion each, according to sources both at the BB and the FBL.

Earlier four SoCBs and the ICB were included in the reconstituted board of the private commercial bank (PCB) as directors on their injection of Tk 7.15 billion as equity into the FBL in a bid to rescue it.

The meeting reviewed the latest overall performance of the troubled fourth generation PCB and advised the top management of the bank to gear up their ongoing recovery drives.

Among others, Banking Reform Adviser of the BB SK Sur Chowdhury and Deputy Governors of the central bank Abu Hena Mohd. Razee Hassan and SM Moniruzzaman took part in the meeting.

On the other hand, members of the FBL board including its Chairman Chowdhury Nafeez Sarafat and Managing Director (MD) and Chief Executive Officer (CEO) Ehsan Khasru attended the meeting.

At the meeting, FBL MD and CEO Ehsan Khasru presented a performance report on the bank highlighting the latest state of key indicators of the bank.

When contacted, the FBL MD said: "The floating of subordinated bonds will be completed in two phases."

The process of issuing bonds worth Tk 5.0 billion has already started under phase-I that would end by the current month, he added.

"Phase-II will start from October, 2018," the senior banker explained.

Earlier, the central bank of Bangladesh and the Bangladesh Securities and Exchange Commission (BSEC) had given permissions to the FBL to float subordinated bonds worth Tk 10 billion aiming to enhance their capital base. "We've given permission on issuance of bonds to the bank to help strengthen their capital base in line with the Basel-III framework," a BB senior official told the FE earlier.

He also said the bonds would also help the bank meet their capital problem. "The bank is allowed to use the proceeds from sales of the bonds to meet its own requirement."

Earlier on January 14, Chowdhury Nafeez Sarafat was elected new chairman of the Farmers Bank, replacing Mohammad Masud.

The board of directors of the bank was reconstituted with the election of a new chairman and a vice-chairman on November 27 last. Mohammad Masud and Maruf Alam had been elected chairman and vice-chairman respectively then. The same day, Muhiuddin Khan Alamgir, a ruling Awami League lawmaker and former minister, resigned as the bank's chairman. The bank's audit-committee chairman and director Mahabubul Haque Chisty, alias Babul Chisty, also stepped down.

On December 19 last, the central bank removed the Farmers Bank's MD and CEO AKM Shameem over failure in liquidity management.

The central bank appointed an observer to the FBL on January 13, 2016 for improving its financial health through strengthening monitoring and supervision of the bank's operations.

The BB's observer appointment came after detecting irregularities in sanctioning and disbursing loans and hiding information on non-performing loans amounting to around Tk 4.0 billion in the FBL.

Three central bank investigation teams found the irregularities in inspections at the bank's Gulshan, Motijheel and Shyampur branches in the capital between September and November 2015.

The FBL started its journey on June 03, 2013 aiming to provide efficient banking services to all levels of customers and thus contribute to socio-economic development of the country.

  •  Courtesy: The Financial Express /Sep 10, 2018

Regional lending gap threatens SDGs

Urban areas get 90pc advances, though rural areas contribute 20pc deposits


The big regional lending gap emerged one of the major barriers to the country's financial institutions (FIs) in achieving SDGs (sustainable development goals), according to a study released on Sunday.
The study report of the Bangladesh Institute of Bank Management (BIBM) titled "Achieving SDGs in Bangladesh: The role of banking sector" found almost 85 per cent of the banks' advances are concentrated only in Dhaka (66.18%) and Chattogram (18.80%) in 2017.

Six other regions are getting 0nly 20 per cent of the overall loans which experts term lending inequality, not suitable for achieving SDGs by 2030.

Of the regions, Barishal (1.27 %) received the lowest volume of loans while Khulna, Rajshahi, Rangpur, Mymensingh and Sylhet got 4.10 per cent, 4.03 per cent, 2.41 per cent, 1.62 per cent and 1.59 per cent respectively.

Other factors like the growing volume of NPL (non-performing loans) coupled with the declining trend of small and medium enterprise (SME) financing also pose a threat to establishing a sustainable financial sector in the country.

The study report was shared at a seminar in the city on the day. Senior bankers and financial market analysts at the seminar suggested creation of quality liquidity demand all over the country.

They also attached importance to further focus on the SMEs and prevent the scope of capital flight.

Sharing the findings, professor and director of Dhaka School of Bank Management (DSBM) said most of the banking resources concentrated in urban areas.

"Almost 90 per cent of the advances focus on urban areas although rural areas contributed 20 per cent of the deposits. This is unfair," he said. In SME financing, 17.35 per cent of the loans were disbursed in 2017 against 14.51 per cent in 2010. "So, the progress is quite slow here," he added.

BIBM supernumerary professor Md. Yasin Ali said the country needed to ensure access to finance for all so that not a single piece of land remains unutilised due to lack of capital.

He was critical of too many service charges imposed in various forms by the banks.

Talking about the recent cuts in lending and deposit rates, he said the sector needs a comprehensive study to see whether the banks reduce the lending rate.

But, the banks did not wait to implement the reduced deposit rate of 6.0 per cent. "If we calculate inflation rate of 5.7 per cent with inclusion of VAT, taxes and too many service charges of the banks, it is not suitable for financial inclusion," he said.

He laid emphasis on ensuring financial literacy at all stages for a sustainable financial sector.

Keeping cost of fund into consideration, he also recommended expansion of services like agent banking in bringing more unbanked people under the banking coverage instead of expanding branches.

Managing Director and CEO (chief executive officer) of Trust Bank Limited Faruq Mainuddiun Ahmed said the commercial banks were supposed to deal with working capital but they have been investing for industrialisation.

"This is because of complete failure of the financial bodies in the area of industrialisation. We have good policy direction but not the mindset to implement those. That is the main problem," he added.

Managing Director of Bangladesh Krishi Bank Md Ali Hossain Prodhania said the public borrowing would go up in the coming years to meet the requirements for achieving SDGs that might put pressure on banks.

"It would reduce loanable amount of money," he said.

Terming imbalanced growth in deposits (8.0 per cent) and credit (16 per cent) a serious concern for ensuring access to finance, he said the gap needed to be minimised.

Chairing the seminar, Dr. Muzaffar Ahmed Chair Professor Dr Barkat-e-Khuda said the country needs US$928.48 billion to achieve the SDGs by 2030 and 42 per cent will come from the private sector.

"That means, we've to increase private investment but the private investment-GDP ratio remains stagnant at 22 per cent," he said. Talking about the regional lending gap, he advised the government to increase demand for finance in the rural areas, because banks will go to areas where liquidity demand is higher.

He also placed several suggestions like increasing tax-GDP (gross domestic product) ratio, plugging the scope of capital flight.

  • Courtesy: The Financial Express/ Sep 10, 2018

ইভিএম নয়, যুক্তরাষ্ট্রকে ব্যালটে ফেরার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রে ইন্টারনেটভিত্তিক প্রযুক্তি নিরাপদ, সুরক্ষিত ও নির্ভরশীল নয়। এর পরিবর্তে কাগজের ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ অধিকমাত্রায় নিরাপদ। তাই সব রকমের নির্বাচনে ব্যালট পেপার ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল একাডেমিস অব সায়েন্সেস, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড মেডিসিনস। ওই প্রতিষ্ঠানের বিশেষজ্ঞ প্যানেল যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থায় সততা নিশ্চিত করতে মৌলিক সংস্কারের আহ্বান জানিয়েছে। 

বলা হয়েছে, এ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় রয়েছে মান্ধাতা আমলের প্রযুক্তির ব্যবহার। তাছাড়া বিদেশিরা যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনী ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে। ওই সংস্থাটি এ রিপোর্ট প্রকাশ করে ৬ই সেপ্টেম্বর। এতে ২০২০ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সব কেন্দ্রীয়, রাজ্যের ও স্থানীয় নির্বাচন ব্যালট পেপারে করার সুপারিশ করা হয়েছে তবে তাতে কি পরিমাণ খরচ হবে তা ওই প্যানেল উল্লেখ করে নি। 

নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ব্রেনান সেন্টারের হিসাব মতে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে পুরনো ভোটিং মেশিন পরিবর্তন করতে গেলে তাতে ১০০ কোটি ডলারের বেশি খরচ হতে পারে। প্যানেলের কো- চেয়ার ও কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির প্রেসিডেন্ট লি  বোলিঙ্গার বৃহস্পতিবার রিপোর্ট প্রকাশ করে বলেছেন, বিদেশিরা ভবিষ্যৎ নির্বাচনগুলোতে ব্যতিক্রমী হুমকি হতে পারে।
এ বিষয়টি আমাদের পরে যাচাই করে দেখতেই হবে। আবার তা গুরুতরভাবে যাচাই করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারগুলোকে নিরাপদ রাখতে ভূমিকা রাখতে হবে। ‘সিকিউরিং দ্য ভোট: প্রোটেকটিং আমেরিকান ডেমোক্রেসি’ শীর্ষক ১৫৬ পৃষ্ঠার রিপোর্টে ভোট গ্রহণে অনিরাপদ যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার ব্যবহার নিয়ে আক্ষেপ করা হয়। 

বলা হয়, এসব যন্ত্রপাতি ও সফটওয়্যার এক দশকেরও আগে ভালনারেবল বা কাজে ব্যবহারের অনুপযোগী বলে প্রকাশ পেয়েছে। তারপরও সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে সামান্য প্রশিক্ষণ আছে এমন কর্মকর্তারা তা ব্যবহার করেন। নির্বাচনী নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা যেসব মত প্রকাশ করেছেন তার প্রতিফলন ঘটেছে এই রিপোর্টের মূল সুপারিশগুলোতে। এসব বিষয়ে অনেক রাজ্য ও কংগ্রেসে রিপাবলিকান নেতারা আপত্তি জানিয়েছে। এ বিষয়ে জুনে প্রস্তাব তুলেছিলেন অরিগন রাজ্যের রন ওয়েডেন এবং ডেমোক্রেট দলের অন্য চারজন সিনেটর। 

রিপোর্টের প্যানেল বলেছে, তারা একবারের জন্য ব্যালটে ভোট নেয়ার কথা বলছেন না। তারা বছরের পর বছর ব্যালটে ভোট নেয়ার দাবি জানান। এক্ষেত্রে কংগ্রেস থেকে নিয়মিত অর্থায়ন করতে হবে। রিপোর্টে যেসব মূল সুপারিশ করা হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম- ২০২০ সাল নাগাদ সব নির্বাচনে মানুষ পড়তে পারে এমন কাগজের ব্যালটে ভোটগ্রহণ করতে হবে। এ পদ্ধতিতে ভোটার নিশ্চিত হতে পারবেন যে, তার ভোটটি যথাযথভাবে রেকর্ড করা হয়েছে।

২০১৬ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি পাঁচজন ভোটারের মধ্যে একজন ইলেক্ট্রনিক মেশিনে ভোট দেন। তবে নভেম্বরে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে কোনো কোনো রাজ্যে তা পরিবর্তন করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি যারা তৈরি করেছেন তাদের একজন হচ্ছেন কমিপউটার বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু অ্যাপেল। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্যগুলোর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এখন দেশের বেশিরভাগ নাগরিক ব্যালটের মাধ্যমেই ভোট দিচ্ছে। তাই যদি কমিপউটার প্রতারণা করেও থাকে তাহলে আমরা সেটা বুঝতে পারবো। তবে আমাদের করার মতো আরো অনেক কিছু রয়েছে।

এ বছর নির্বাচনে নিরাপত্তা বৃদ্ধিতে প্রায় ৩৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রদানের অনুমতি দিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু সেখানে উল্লেখ করা হয়নি, ঠিক কীভাবে এ অর্থ ব্যয় করতে হবে কিংবা নির্দিষ্ট কোন খাতে উন্নয়ন করতে হবে। মূলত বহিঃশত্রু কর্তৃক নির্বাচন প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই এ অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

প্রতিবেদনটিতে রাজ্যগুলোকে বলা হয়েছে, ভোটারদের তথ্য হালনাগাদের যে পদ্ধতি তাতে কোনো অনিয়ম চোখে পড়লে তা দ্রুততার সঙ্গে ফেডারেল সরকারকে অবহিত করতে হবে। ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রায় ৫ লাখ ভোটারের তথ্য রাশিয়ার গোয়েন্দারা হস্তগত করেছিল বলে জানায় যুক্তরাষ্ট্রের সেপশাল কাউন্সিল। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ সেপ্টেম্বর ১০, ২০১৮ 

সিএসডিতে হরিলুট! দিনে গায়েব ২০০ টন চাল-আটা


রাজধানীর মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটের আড়তে থরে থরে সাজানো চাল-আটার বস্তা। সেগুলোতে লেখা- 'গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার। খাদ্য অধিদপ্তর। নিজস্ব স্বয়ংক্রিয় মেশিনে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে উৎপাদিত।' প্রশ্ন হলো- সরকারিভাবে উৎপাদিত এসব চাল-আটা বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির জন্য কৃষি মার্কেটে গেল কীভাবে? র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত গতকাল রোববার সেই মার্কেটে অভিযান চালিয়ে ১২টি আড়তে মজুদ করে রাখা ১০০ টন চাল-আটা জব্দ করেছেন। ওই চাল ও আটা তেজগাঁওয়ের সিএসডির সরকারি খাদ্যগুদাম থেকে হাতবদল হয়ে কৃষি মার্কেটে অসাধু ব্যবসায়ীর কাছে পৌঁছে। এর আগে গত শনিবার মধ্যরাতে তেজগাঁও খাদ্যগুদাম থেকে পাচার হওয়া আরও ১১৫ টন চাল-গম-আটাবাহী আটটি ট্রাক জব্দ করেছে র‌্যাব।

একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন ধরে খোলাবাজারে বিক্রির জন্য (ওএমএস) রাখা এ চাল-আটা বাইরে পাচার করে দিচ্ছিল। এর সঙ্গে সিএসডির ম্যানেজার হুমায়ুন কবীরসহ ৪০-৪৫ জনের একটি চক্র জড়িত বলে তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। সঙ্গে আছেন কয়েকজন বড় আড়তদার, ঠিকাদার ও শ্রমিক নেতা।

সরকারি চাল-গম গায়েব করার মধ্য দিয়ে তাদের  অনেকে অল্প সময়ে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। অসাধু এ সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করতে প্রতিবেদন দেবে র‌্যাব।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, প্রতিদিন ঢাকায় ১৪১টি পৃথক স্পটে ১৪১ টন চাল ও ২৮২ টন আটা স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে ওএমএসের মাধ্যমে বিক্রি করার কথা। তবে সিএসডির একটি অসাধু চক্র দিনের ২০০ টনের বেশি চাল-আটা কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। এর সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের ব্যাপারে তদন্ত করতে দুদকের কাছে প্রতিবেদন দেওয়া হবে। 

শনিবার রাতে সিএসডি থেকে আট ট্রাক ভর্তি করে চাল ও আটা গায়েব করার জন্য অন্যত্র নেওয়া হয়। এতে ১১৫ টন পণ্য ছিল। এসবের গন্তব্য ছিল চুয়াডাঙ্গা, শ্রীমঙ্গল ও মাওনা। রোববার সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের কৃষি মার্কেটে অভিযান চালিয়ে আরও ১০০ টন চাল ও আটা জব্দ করা হয়।

সারওয়ার আলম আরও বলেন, জালিয়াতির ঘটনায় আটক সিএসডির ম্যানেজর হুমায়ুন কবীর ও খাদ্য পরিদর্শক মনিয়ার হোসেনকে খাদ্য অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরে তদন্তের ভিত্তিতে তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ঘটনায় খাদ্য অধিদপ্তরও একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।

গতকাল সরেজমিন মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়, র‌্যাবের অভিযানের কারণে সকাল থেকে পাইকারি আড়তে কেনা-বেচা বন্ধ ছিল। ১১টি আড়তে মজুদ করে রাখা হয়েছিল ওএমএসের চাল-আটা। যেসব আড়তদার এসব সরকারি পণ্য কিনেছেন তারা এতটাই বেপরোয়া যে, সরকারি চাল-আটার প্যাকেট পরিবর্তন করেননি। 

তাদের মধ্যে রাহমানিয়া রাইস এজেন্সিতে অভিযান চালিয়ে ৫০ কেজি ওজনের ৪৭ বস্তা সরকারি চাল, কর্ণফুলী রাইস এজেন্সিতে ৭৫ বস্তা, এশিয়ান ট্রেডার্সে ৮০ বস্তা, বন্ধু রাইস এজেন্সিতে ৫৭৯ বস্তা ও জামি ট্রেডার্সে ৩০০ বস্তা চাল এবং জননী ট্রেডার্সে ৮৫ বস্তা, সুগন্ধা রাইস ট্রেডার্স-২-এ ৭৫ বস্তা, সুগন্ধা রাইস ট্রেডার্স-১-এ ৭০ বস্তা, মহানগর ট্রেডার্সে ১২ বস্তা ও সূর্য এন্টারপ্রাইজে ৫৮ বস্তা সরকারি আটা পাওয়া যায়। তবে এসব দোকানের সব মালিক গা-ঢাকা দিয়েছেন। এসব পণ্য জব্দ করেছে র‌্যাব। 

সুগন্ধা ট্রেডার্স-১-এর দোকান কর্মচারী মো. জাবেদ বলেন, কোথা থেকে কীভাবে এসব আটা তাদের দোকানে এসেছে, তা জানেন দোকান মহাজন মোস্তফা। সাত-আট দিন আগে রাতে সরকারি গুদামের ১৬০ বস্তা আটা তাদের দোকানে ঢুকেছে।

মোহাম্মদপুর সরকারি কৃষিপণ্যের পাইকারি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির কোষাধ্যক্ষ আনিসুর রহমান বলেন, তাদের মার্কেটে ২০০ চালের আড়ত রয়েছে। ১৯৮২ সালে মার্কেট প্রতিষ্ঠার পর কখনও কালোবাজারি করে কেনা পণ্য তারা বিক্রি করেছে, এমন দুর্নাম নিতে হয়নি। তবে কিছুদিন ধরে রাতের আঁধারে ওই মার্কেটে রহস্যজনক ট্রাক চাল-আটা নিয়ে ঢুকছিল। ব্যবসায়ীদের জিজ্ঞেস করলে তারা স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি। র‌্যাবের অভিযানের পর বিষয়টি তাদের কাছে পরিস্কার হয়েছে।

র‌্যাবের সূত্র জানায়, স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে চাল বিক্রি করতে সরকার ৩৯ টাকা কেজিতে কিনে ওএমএসের মাধ্যমে বিক্রি করে ২৮ টাকা ধরে। আর ৩২ টাকা কেজি দরে আটা কিনে ১৬ টাকায় বিক্রি করছে। ভর্তুকি দিয়ে স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে চাল-আটা বিক্রির এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়। তবে সিএসডির একটি চক্র ওএমএসের এসব পণ্যের অধিকাংশ কালোবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছে। 

এর সঙ্গে যাদের জড়িত থাকার তথ্য এরই মধ্যে গোয়েন্দারা পেয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছে তেজগাঁওয়ের সিএসডির ম্যানেজার হুমায়ুন কবীর, স্টোক ইনচার্জ সুখরঞ্জন হালদার, ডিও শাখার ইনচার্জ কাজী মাহমুদুল হাসান, গেট শাখার ইনচার্জ ইউনূছ আলী মণ্ডল, প্রধান নিরাপত্তারক্ষী মো. হারেছ, নিরাপত্তারক্ষী মো. বাবুল, ওজন পরিমাপক সুমন, দুলাল, শ্রমিক নেতা আলমগীর সৈকত, দুদু মিয়া ও লোকমান হোসেন। প্রতিদিন রাজধানীর ১৪১ টন চাল ওএমএসের মাধ্যমে বিক্রি করার কথা থাকলেও ১০০ টনের মতো কালোবাজারে বিক্রি করা হয়। প্রতি কেজি চাল ৪০-৪৩ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল। প্রতি টন চাল ও গম থেকে এক হাজার টাকা হাতিয়ে নেন সিএসডির ম্যানেজার হুমায়ুন। আর ৫০০ টাকা অন্যদের মধ্যে ভাগ-ভাটোয়ারা হয়। এ হিসেবে প্রতিদিন অবৈধভাবে তারা আয় করছে তিন লাখ টাকা, মাসে ৯০ লাখ। 

এ ছাড়া আরেকটি অভিনব উপায়ে তারা অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে। সেটা হলো- ওএমএসের চাল-গম স্বল্প আয়ের মানুষের মধ্যে বিক্রি না করে একটি চক্র সিএসডির ভেতরেই কম দরে কিনে থাকেন। এরপর তারা সে পণ্য বাইরে বেশি দরে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকার মালিক হচ্ছেন। সোহাগ নামে নারায়ণগঞ্জের একজন ডিলার দীর্ঘদিন ধরে এভাবে 'কৈয়ের তেলে কৈ ভেজে' সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করছেন। তাকে খুঁজছেন গোয়েন্দারা। এদিকে ওএমএসের অর্থের ভাটোয়ারা নিয়ে সর্বশেষ শনিবার সিএসডির ভেতরেই মারামারির ঘটনা ঘটে।

এ ব্যাপারে সিএসডির ম্যানেজার হুমায়ুন কবীর জানান, কীভাবে সিএসডির চাল-গম বেহাত হয়েছে সেটা তার জানা নেই। ওএমএসের মাধ্যমে বিক্রির জন্য ট্রাক ঢোকার বিষয়েও কোনো মন্তব্য করতে চাননি তিনি।

গেট শাখার ইনচার্জ ইউনুছ আলী মণ্ডল বলেন, রাতে কোনোভাবেই সিএসডিতে ওএমএসের ট্রাক ঢোকার কথা নয়। কীভাবে কার নির্দেশে শনিবার রাতে ট্রাক ঢুকেছে, এ বিষয়ে তিনি অবগত নন। অবৈধ অর্থ পাওয়ার বিষয়টিও অস্বীকার করেন তিনি। 
  • কার্টসিঃ সমকাল/ সেপ্টেম্বর ১০.২০১৮ 

Absence of underpasses, service roads, overpasses blamed highway accidents


Lack of service roads, underpasses, overpasses and alternative transports is an important reason behind fatal highway accidents involving illegal three-wheeler, slow-moving and non-motorised vehicles in the country, road safety campaigners and experts say. 

Reckless driving and lack of awareness on the part of the road users also play an important role behind these accidents, they point out.

On August 25, 15 people were killed and 20 injured when a human hauler was trying to overtake another vehicle amid drizzles and collided with a bus on the Rajshahi-Pabna Highway at Lalpur in Natore.

Besides, 11 people were killed in bus-human hauler collision in Narsingdi and seven were killed in bus-CNG auto-rickshaw collision in Feni.

Auto-rickshaws, easy bikes, battery-run rickshaws, Nasimon and Karimon accounted for 24 per cent road accidents during the last Eid-ul-Azha, says a report of Bangladesh Passenger Welfare Association.

These vehicles, all in use as public transports in rural and sub-urban areas, now easily get on highways defying government ban as people have no alternatives, experts say. 

Currently there is only one service road along with Hatikumrul-Bonpara highway and only three underpasses at Dhaka-Chittagong Highway in the country, Roads and Highways Department chief engineer Ebne Alam Hasan says. 

Road transport and minister Obaidul Quader on September 5 at a meeting admitted that so many people were dying in road accidents and blamed small vehicles such as easy bike, battery-run rickshaws and reckless motorcycles for these fatalities.

According to Bangladesh University of Engineering and Technology’s Accident Research Institute, at least 56 per cent of the road accidents take place on national and regional highways. 

On August 1, 2015 RTB ministry imposed a ban on three-wheeler and non-motorised vehicles on 22 national highways.

The High Court on August 3, 2015 directed the road transport ministry and the police to keep unfit motor vehicles off the roads across the country but the directive was never enforced.

Home affairs ministry in 2010 in a directive put a ban on unregistered battery-run three-wheelers ‘easy bikes’.Thus these vehicles are often getting on national and regional highways. 

University Grants Commission professor M Anwar Hossian, who headed a sub-committee in 2011 to make a set of recommendations on road safety, told New Age about acute crisis of service roads along and overpasses and underpasses at highways. 

‘Moreover, people and drivers go for short cuts instead of using adjacent intersections and other facilities,’ he mentioned. BUET ARI assistant professor Kazi Md Shifun Newaz observed that not only the drivers but also the road users were responsible for crossing highways risking their lives. 

‘People mostly carried goods from one area to another area on these vehicles,’ the teacher said, adding, ‘The government has to provide them with alternative vehicles like minibuses or pickup vans to cross the highways.’ 

RHD chief engineer Ebne Alam Hasan said that works on service roads, underpasses and overpasses were ongoing on South Asia Sub-regional Economic Cooperation Road Connectivity project 1 to improve Joydevpur Chandra-Tangail-Elenga road to a 4-lane highway and project 2 to improve Elenga-Hatikumrul-Rangpur road to a 4-lane highway. 

Later the same infrastructures would be constructed in SASEC Road Connectivity Project 3 to improve Rangpur-Burimari road to a 4-Lane highway, he added.

Deputy inspector general of highway police Md Atiqul Islam said these vehicles crossed highways at such places where there were no law enforcers.

  • Courtesy: New Age/ Sep 10, 2018

Bangladesh behind neighbours: BIBM


Bangladesh is still lagging behind in terms of financial inclusion as only 1.6 percent of its wage earners receive their pay through banking channels, a study found.

When it comes to South Asian neighbours, it is 4 percent for India and 7.1 percent for Sri Lanka, it said, adding that Pakistan was just behind Bangladesh with 1.4 percent.

The research paper titled “Achieving SDGs in Bangladesh: The Role of the Banking Sector” was presented by the Bangladesh Institute of Bank Management (BIBM) at a seminar in its auditorium in the capital yesterday.

Md Mohiuddin Siddique, professor and director of the BIBM, lead the research team and presented the keynote paper.

Bangladesh is yet to catch up in other aspects as well. Some one third of its population have bank accounts whereas it is 53 percent in India and 82.7 percent in Sri Lanka.

Bangladesh is also trailing behind others regarding the use of debit cards, in savings and other financial activities, the research found. Just 5.2 percent of the population use debit cards whereas it is 22 percent in India and 24.9 percent in Sri Lanka. 

The banking sector has a lot of space to improve in terms of financial inclusion to help achieve the Sustainable Development Goals (SDG), the report said.

However, the detoriaration of the financial health of state banks is a matter of concern for financial inclusion, it said.

Bangladesh Bank has opened special types of account like Tk 10 account, school banking and agent banking which furthered financial inclusion, said SK Sur Chowdhury, the central bank's banking reforms adviser.

  • Courtesy: The Daily Star /Sep 10, 2018

AL campaign rolls out

EDITORIAL


Although the election schedule has not been officially announced by the EC as yet, the ruling party campaign for the next general election has rolled out, literally on the rolling stock, with the first of its forays to the north of the country. This is a good sign since it shows that even after nearly 10 years of rule, and so much good that it claims it has delivered, the AL does not take the voters for granted.

We hope that the BNP would follow suit since it has so much to pick up after 10 years in near political wilderness and in somewhat organisational disarray, aggravated by the absence of its two senior leaders.

But for all the political parties to be able to conduct their campaigns, the government must ensure a healthy and safe environment for all with equal facilities. We cannot stress on this matter enough since various media reports show that the BNP party cadres and activists are on the run all over the country trying to escape the police, particularly from the time indication for the next election was made by the CEC in August. A level playing field is an indispensable precondition for a fair election, which the government is obligated to ensure. Election means freedom of choice, a form of freedom of expression, which the voters must be able to exercise without let or hindrance.

The next two months leading up to the election will see lots of political activities, and our wish is that they should not be a cause of public inconvenience like the train campaign of the AL was. While this mode of campaigning is nothing new, the AL plans ignored the matter of public convenience altogether.

  • Courtesy: The Daily Star /Sep 10, 2018

Swarming Motorbikes: Violation of rules rises, risk as well

More than a thousand new motorbikes hit the country's roads every day










A large number of motorcycles wait at Bijoy Sarani intersection. According to the Bangladesh Road Transport Authority, 2.19 lakh motorcycles were registered in the first seven months of this year alone. Photo: Amran Hossain/Prabir Das

Every day 1,035 motorbikes are registered in the country on average and experts say if the authorities do not control the number of the accident-prone vehicle, the situation on the road can take a turn for the worse.

A significant number of these bikers do not have licence to ride.

Since the country's independence, 22.70 lakh motorbikes have been registered and 15.11 lakh of those had been registered between 2011 and July this year. But only 11.32 lakh riding licences have been issued since liberation. 

And these are just the official numbers. A huge number of motorbikes ply roads of districts and upazilas and they have not been registered at all, according to transport sector insiders.

Transport experts and police found that motorbikes are more accident prone than three or four-wheeler vehicles and they tend to violate traffic rules more.


They said the hike in the number of bikes could be attributed to traffic jams and poor public transport system in Dhaka city, and nationwide economic development and expanded road network. Many prefer it as it can weave through and easily beat traffic.

FLOUTING TRAFFIC RULES

The tendency to violate traffic rules is seen the most among motorbike riders, said Mir Rezaul Alam, additional commissioner (traffic) of Dhaka Metropolitan Police.

Every vehicle is supposed to stop before the zebra crossing at intersections but motorcyclists often ignore this rule and cross the intersection, he said.









A motorcyclist falls and topples over his vehicle in the middle of Banglamotor intersection. Experts say motorcyclists are more prone to accidents. The photos were taken yesterday. Photo: Amran Hossain/Prabir Das

“It's difficult to control them. However, we are trying our best and already got some results. Now more than 95 percent motorcyclists and pillions use helmets,” he said.

During the last 10-day-long Traffic Week from August 5, police filed more than 83,000 cases against errant vehicles and drivers. Of them, around 44,000 cases were against motorbikes and 1,742 bikes were impounded.

At least 259 people were killed and 960 injured in 237 road accidents in 13 days from August 16 during the Eid-ul-Azha rush, according to Bangladesh Jatri Kalyan Samity. Motorcycles were involved in 16.72 percent of the accidents, it said.

BRTA spokesperson Mahbub-E-Rabbani said it was not possible to stop plying of motorcycles that have been registered and it was normal to be concerned about the rising number of bikes.

“We are trying to ensure road safety by enforcing the law,” he added.

Rabbani, also the director (road safety) of the BRTA, said they have not been directed to control motorcycle registrations.

RINGING ALARM

Noted transport expert Prof Moazzem Hossain said bikes are open and provide no protection to its riders.

He said due to a lack of quality public transport, the number of bikes are rising in the capital and the government would not be able to stop this unless it improves public transport services.

“Motorcycle is an unsafe vehicle. If the number of bikes increases, the situation will deteriorate. And, if the number increases in the city where the number of people is huge, the situation will take a serious turn,” said Moazzem, also a former director of Accident Research Institute (ARI) at Buet.

Road Transport and Bridges Minister Obaidul Quader on several occasions said motorcycles are “terror incarnated”.

Prof Mizanur Rahman, director of ARI, told The Daily Star on Wednesday most of the riders are young people, between 15 and 35 years of age, and they often speed and cause accidents, he said.

Fatalities in motorbike crashes will increase if the authorities do not stop the sharp rise in their numbers or train the riders. “The authorities should limit the number of motorcycles for road safety,” he said.

THE RISE

According to Bangladesh Road Transport Authority, 2.19 lakh motorbikes were registered in the first seven months of the year, 77.70 percent of the total vehicle registrations during that period. About 3.26 lakh (77.68 percent) motorcycles were registered in 2017, 3.32 lakh (79.74 percent) in 2016 and 2.40 lakh (47.83 percent) in 2015.

The rate of licence issuance has been increasing over the years. In the first seven months of the year, 2.17 lakh licences were given. At least 3.77 lakh were issued in 2017, and 2.17 in 2016, and 1.40 lakh in 2015, according to BRTA data.

The BRTA data shows that since 1971, about 4.95 lakh motorbikes were registered in Dhaka alone.








A policeman uses a rope to prevent bikers from occupying the Bijoy Sarani intersection or running a stop signal. Photo: Amran Hossain/Prabir Das

The number of motorbikes sharply rose in Dhaka recently mainly due to traffic jams as the two-wheelers take people to their destinations faster weaving through standstill traffic, said Sitangshu Shekhar Bishwas, director (operation) of the BRTA. Introduction of ride-sharing apps in 2016 is also a reason, he said.

In other parts of the country, people are enjoying improved economic conditions and the road network has expanded, allowing many to afford and use motorbikes, he said.

There are around 35 lakh registered vehicles of several kinds in the country.

  • Courtesy: The Daily Star/ Sep 10, 2018