Search

Tuesday, September 25, 2018

সহস্রাধিক সাইট পেজে নজরদারি

রুদ্র মিজান 

জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎপরতা বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। নির্বাচন ঘনিয়ে এলে দেশের রাজনৈতিক অবস্থা উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। এর উপর ভিত্তি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় হতে পারে একটি চক্র। যারা নানা  ধরনের উস্কানিমূলক পোস্ট, তথ্য এমনকি গুজব ছড়িয়ে দিতে পারে বলে গোয়েন্দাদের ধারণা। ইতিমধ্যে সহস্রাধিক সাইট, ফেসবুক আইডিতে নিয়মিত সাইবার টহল চলছে। গত কয়েক মাসে অর্ধশতাধিক ফেসবুক আইডি বন্ধ করা হয়েছে। এসব আইডি থেকে উস্কানিমূলক মিথ্যা তথ্য প্রচার করা হতো বলে গোয়েন্দারা জানান।

গোয়েন্দা সূত্রমতে, প্রায় ১২০০ সাইট রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারিতে। এসব সাইট নিয়মিত নজরদারি করছে পুলিশের সাইবার মনিটরিং সেল। অন্তত পাঁচ শতাধিক জনবল এই কাজে নিয়োজিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের অনেক সাইট, ফেসবুক পেইজ থেকে সরকার বিরোধী নানা স্ট্যাটাস, ছবি এমনকি তৈরি করা ভিডিও প্রচার করা হচ্ছে। এসব সাইটের বেশির ভাগই দেশের বাইরে থেকে পরিচালনা করা হয়। নজরদারির বিষয়ে উচ্চপদস্থ এক কর্মকর্তা জানান, ভার্চুয়াল জগৎটা বিশাল। সকল সাইট, ফেসবুক আইডি নজরদারি প্রায় অসম্ভব। এত জনবলও আমাদের নেই। তবুও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এসব বিষয়ে যথেষ্ট সক্রিয় দাবি করে তিনি জানান, রাষ্ট্রবিরোধী, উস্কানিমূলক প্রচারণায় যেসব সাইট লিপ্ত আমরা তা পর্যবেক্ষণ করছি। প্রায়ই জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে বলে জানান তিনি। 

সূত্রমতে, ‘কোটা সংস্কার আন্দোলন’ ও ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ আন্দোলনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। ফেসবুক আইডি, পেইজ, লাইভ ও ইইটিউবকে এক্ষত্রে ব্যবহার করা হয়েছে। এই আন্দোলনের যৌক্তিকতা প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। দ্রুত গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। গোয়েন্দা তথ্যানুসারে, সেইসঙ্গে গুজবও রটানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সরকার বিরোধী নানা বক্তব্য ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। 

সূত্রমতে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত বক্তব্য, ছবি, ভিডিও নজরদারি করা হচ্ছে। যারা নাশকতা সৃষ্টি করতে পারে এরকম ব্যক্তিদের ছবি, তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। গত কয়েক মাসে প্রায় তিন শতাধিক ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। গোয়েন্দারা যাদের তথ্য সংগ্রহ করছেন তাদের অনেকেই বিরোধী রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। নিয়মিত সাইবার টহলের কারণে ভার্চুয়াল জগতের বহু আগাম তথ্য এবং পরিকল্পনা জানা সম্ভব হচ্ছে বলে দাবি করেছেন গোয়েন্দারা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে নাশকতার পরিকল্পনা ভেস্তে দিচ্ছেন বলেও জানান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি সোহেল রানা বলেন, সাইটগুলো নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ব্যবহারকারীদের প্রতিটি তৎপরতা সম্পর্কে পুলিশ অবগত আছে। শান্তিশৃঙ্খলা ভঙ্গ বা বেআইনি কোনো কাজ করলেই পুলিশ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান তিনি।

ডিএমপি’র সিটিটিসি’র সাইবার ক্রাইম ইউনিট সূত্রে জানা গেছে, ডিএমপি’র সাইবার ক্রাইমে যেসব অভিযোগ আসে তার বেশির ভাগই ব্যক্তিগত বিষয়ে। রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপ সংক্রান্ত অভিযোগ খুবই কম। তবে এসব অভিযোগ গুরুত্বসহকারে দেখা হয়। সেইসঙ্গে নির্দিষ্ট কিছু ফেসবুক আইডি, পেইজ নজরদারিতে রয়েছে বলে জানা গেছে। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ সেপ্টেম্বর ২৫,২০১৮ 

গাড়ির গতি কমছে না

নাসরিন আক্‌তার

সন্তানকে নিয়ে সড়ক পার হওয়ার জন্য জেব্রা ক্রসিংয়ের সামনে অপেক্ষা করছিলেন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পরও গাড়ির গতি কমার কোনো লক্ষণ দেখছিলেন না তিনি। একপর্যায়ে গাড়ি একটু দূরে দেখে রাস্তা পার হতে শুরু করেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ দেখলেন একটি বাস দ্রুতগতিতে ছুটে আসছে। এ সময় তিনি সন্তানকে নিয়ে দৌড়ে সড়ক পার হন।

গতকাল রোববার সকালে মেরুল সড়কে দেখা যায় এ দৃশ্য। গত পাঁচ দিনে পল্টন, বিজয়নগর মোড়, কাকরাইল, শান্তিনগর, শাহবাগ, বাংলামোটর, কারওয়ান বাজার ও ফার্মগেট ঘুরে একই ধরনের চিত্র দেখা গেছে।

কথা বলে জানা গেছে, অনেক গাড়িচালকই জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর দিয়ে গাড়ি চালানোর নিয়ম সম্পর্কে জানেন না। এ পরিস্থিতিতে নগরপরিকল্পনাবিদেরা বলছেন, লাইসেন্স দেওয়ার আগেই গাড়িচালকদের নিয়ম শিখতে হবে।

সরেজমিনে দেখা যায়, জেব্রা ক্রসিংয়ে পথচারীদের পারাপারের সময় কিংবা হাত দিয়ে ইশারা দেওয়া হলেও গাড়ির গতি কমে না। পথচারীরা গাড়ির ফাঁকে ফাঁকে কিংবা কখনো দৌড়ে রাস্তা পার হন। আর যেসব জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ আছে, সেসব জায়গায় সংকেত দিলেও সময়মতো গাড়ির গতি কমছে না। গাড়িগুলো থামছে জেব্রা ক্রসিং পেরিয়ে বা এর ওপর।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল, বাজার, বিপণিবিতান ও জনসমাগমের এলাকায় পথচারীদের নিরাপদে ও সহজে পারাপারের জন্য জেব্রা ক্রসিং দেওয়া হয়। নিয়ম হলো, জেব্রা ক্রসিংয়ের সামনে গাড়ির গতি কমিয়ে আনতে হবে। আর সাদা দাগের আগে গাড়ি থামাতে হবে।

গত আগস্টে নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর থেকে ঢাকার বিভিন্ন সড়কে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে শতাধিক জেব্রা ক্রসিং ও গতিরোধক দেওয়া হয়। আরও বেশ কিছু জেব্রা ক্রসিংয়ের কাজ চলছে। তবে রাজধানীতে ঠিক কতটি জেব্রা ক্রসিং আছে, সেই সংখ্যা জানা যায়নি।

বিজয়নগর মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশের একজন সার্জেন্ট বলেন, ‘৬০ ভাগের বেশি চালক ট্রাফিক আইন জানেন না। আর জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে থামা ও গাড়ির গতি কমানোর বিষয়েও তাঁরা সচেতন নন। আমরা রাস্তায় চলা গাড়িগুলোকে ট্রাফিক আইন মানানোর চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

গতকাল এই মোড়ে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন কয়েকজন শিক্ষার্থী। ট্রাফিক পুলিশ গাড়ি থামার সংকেত দিলে গাড়িগুলো থামাতে থামাতে জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর চলে আসে। স্বেচ্ছাসেবীরা সে সময় সেগুলোকে পেছনে নিয়ে যেতে বলেন। কয়েকটি রিকশাকে তাঁরা ঠেলে জেব্রা ক্রসিং থেকে সরিয়ে দেন।

কাকরাইল মোড়ে কথা হয় কামরুল ইসলাম নামের এক প্রবীণ ব্যক্তির সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি জেব্রা ক্রসিং দিয়ে সড়ক পার হই। কিন্তু প্রায়ই সময় গাড়ি জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর থামে। এ কারণে অনেক সময় রাস্তা দিয়েই পার হতে হয়। স্বেচ্ছাসেবক ও ট্রাফিক পুলিশের সদস্যরা তাদের বুঝিয়ে ঠিক করতে পারছেন না।’

জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপর যে গাড়ি থামানো যায় না, তা জানেন না তুরাগ বাসের চালক মো. সবুজ। মালিবাগ রেলগেট এলাকায় বলেন, ‘এগুলো দেখাই যায় না। মানুষ যেদিক দিয়া ইচ্ছা রাস্তা পার হয়। এতে আমাদের গাড়ি চালাইতে সমস্যা হয়।’ আর কয়েকজন রিকশাচালকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল জেব্রা ক্রসিংয়ের কী কাজ তা তাঁরা জানেন না। প্রাইভেট কারের একজন চালক বলেন, কেউ নিয়ম মানে না। তাই তিনিও মানেন না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মীর রেজাউল আলম বলেন, ‘গাড়ি জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে সাদা দাগের আগে থামানোর নিয়ম। কিন্তু দেখা যায় গাড়িচালকেরা নিয়ম মানেন না। জেব্রা ক্রসিংয়ের ওপরই দাঁড়ান। যাঁরা গাড়ি চালান, তাঁরা এসব নিয়ম জানেন বলে আমরা ধরে নিই। তাঁদের যাঁরা লাইসেন্স দিচ্ছেন, তাঁরা বিষয়টি ভেবে দেখবেন। আর পথচারীদেরও এদিক–সেদিক দিয়ে পারাপার না হয়ে নিয়ম মেনে পার হওয়া উচিত।’ তিনি আরও বলেন, ‘সড়কে চালক ও পথচারীরা যাতে নিয়ম মানেন এবং নিরাপদে চলাচল করতে পারেন, সে জন্য পুলিশ সড়কে মাসব্যাপী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। সুনাগরিক হিসেবে সবার দায়িত্ব ট্রাফিক নিয়ম মেনে গাড়ি চালানো ও পথ চলা। সড়কে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি। এসব বিষয়ে দৃশ্যমান পরিবর্তন এসেছে।’

এ বিষয়ে সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজের সভাপতি নগরবিদ অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, চালকেরা কোনো অবস্থাতেই গাড়ির চাকা জেব্রা ক্রসিংয়ে থামাতে পারবেন না। জেব্রা ক্রসিং এমনভাবে তৈরি করতে হবে, যাতে মানুষের চোখে পড়ে। জেব্রা ক্রসিংয়ের আগে সংকেতচিহ্ন থাকতে হবে। যাতে চালকেরা আগে থেকেই জেব্রা ক্রসিংয়ের বিষয়টি জানতে পারেন এবং গাড়ির গতি কমাতে পারেন। এ ছাড়া লাইসেন্স দেওয়ার আগে গাড়িচালকদের নিয়মগুলো শিখতে হবে।

  • কার্টসিঃ প্রথম আলো/ সেপ্টেম্বর ২৫,২০১৮ 

India plans to use BD waterway for a freight corridor

Dhaka likely to select Indian ports as transshipment hubs


The Indian government is working on a plan to set up a waterway freight corridor to connect the mainland with the northeastern states via Bangladesh at a cost of Indian rupees 50 billion, according to economictimes.indiatimes.com
The move would substantially reduce the time taken to transport goods to the eight northeastern states of India and costs.

The proposed 900-km waterway would be used to transport freight from the northern and eastern states to the northeast and would start near Haldia in West Bengal, go to the Sundarbans, merge into the Padma river in Bangladesh and then join up with the Brahmaputra in Assam, the report said.

"We are working on the details of the project. It would substantially improve connectivity between the mainland states and northeast. The cost of freight transportation would come down substantially," shipping secretary Gopal Krishna told the Economic Times (ET).

Currently, highway connectivity to the Indian northeastern states is patchy and transportation of goods by road entails a high cost and takes time. According to the ministry's estimate, the waterway could help reduce the cost of transportation by about 70 per cent.

The Indian government is already developing a waterway along the Ganga river between Haldia and Allahabad (1,620 km) at a cost of Rs 45 billion. This link will also be utilised for trade between India and Bangladesh.

India and Bangladesh share a 4,095-km border, of which 1,116 km is along rivers, Krishna said

Bangladesh plans to use Indian ports as transshipment hubs."Instead of using Colombo or Singapore as a transhipment hub, Bangladesh is now looking at India. Our own container traffic moving to Colombo has come down as transhipment is now happening at our ports," he said.

The shipping ministry recently allowed foreign vessel operators to transport containerised cargo meant for import or export within ports located in Indian territory to ensure cargo doesn't land up in foreign hubs such as Singapore and Colombo.

He said that in the long term, India plans to develop two ports each on the west and east coasts as transshipment hubs.

  • Courtesy: The Financial Express /Sep 25, 2018

Lack of open space hits metro rail projects

Munima Sultana

The scarcity of open space in the city is gradually limiting the scope of constructing metro rail, project officials and experts said.
They said the ongoing metro rail projects have already hit a snag due to lack of adequate space for depots and construction yards.

According to them, one hectare of land is required to set up both construction yard and depot for each kilometre of metro rail. It means that 20-km MRT project needs 20 hectares of land for depots and another 20 hectares of land for construction yards.

Under the city's 20-year Strategic Transport Plan (STP), five mass rapid transits (MRT) or metro rails have been proposed for different corridors, covering stretches of over 100 km. Of them, only MRT line-6 is now under construction.

Sources said the construction of MRT line-6 is facing problem for lack of required space for construction yards along its 20-km corridor. However, land for depot was managed following the prime minister's intervention.

After failing to get required land for construction yards, sources said, Dhaka Mass Transit Company (DMTC), the executing agency of metro rail projects, has recently allowed the contractors of MRT-6 to use public spaces, including parks, for construction yards.

The contractors have already been allowed to use a portion of Suhrawardi Udyan and a park at Farmgate for this purpose, they added.

Experts think that although DMTC officials said the parks would be used as construction yards for a certain period, the open spaces would remain occupied for an unlimited period.

Some also believe that the parks could not be recovered again.

It is learnt that the cost of metro rail projects may go up two or three times mainly due to acquisition of huge private lands.

Sources said DMTC has already proposed acquiring more than 30 hectares of private land at Purbachal for setting up the depot for MRT line-1 which is now at the design stage.

But this MRT will also need 30 hectares of land for construction yards along its corridor from Airport Railway Station to Kamalapur Railway Station. The sites for these yards have not yet been selected.

The cost of the MRT-1 project is likely to be nearly 2.5 times higher than that of MRT-6 because of land acquisition, they added.

The Dhaka Mass Rapid Transit Development project office could manage 24 hectares of land for setting up depot for the MRT-6 from Rajdhani Unnayan Kartripakkha (Rajuk) to Uttra 3rd phase project site.

Different government agencies, including Dhaka North City Corporation, have declined to give their lands to the project office for the construction yards.

The MRT-6 is being constructed from Uttara 3rd phase project site to Motijheel on elevated corridor. At least four construction yards are required for the 20-km corridor.

DMTC officials said construction yards should be set up close to the MRT corridor so that inbuilt structures can be shifted easily. Due to traffic jam, construction yards cannot be set up outside the city.

The cost of MRT-1 project is likely to be more than Tk 600 billion due to acquisition of private land for depots. Though the project's Japanese financier expressed reservations about the use of private lands, it has finally accepted the government proposal, finding no other alternatives.

Under such circumstances, the cost of upcoming MRTs is also likely to be much higher than MRT-6 as those are planned to be constructed underground. The cost of MRT-6 was estimated at around Tk 220 billion.

A project consultant said it would be difficult to implement metro rail projects if efforts are not taken to conserve open spaces around the city immediately.

The MRT-6 project suffered many problems at the beginning of the planning stage due to the construction of Hanif flyover. For this reason, the alignment of MRT-6 had to be changed towards Motijheel area to reach Sayedabad.

But the consultants have yet to find ways to address the issue of the corridor expansion from Motijheel Shapla Chattar to Sayedabad due to lack of enough space.

Consultants also find it difficult to expand MRT-6 up to Joydevpur because of another expressway project there.

Unplanned construction of flyovers and expressways has created obstruction to not only MRT-6 but also upcoming MRTs, according to the consultants.
  • Courtesy: The Financial Express/ Sep 25, 2018

Country in grip of 'crony capitalism'

Experts worried over lack of accountability, diluted institutional effectiveness


Bangladesh is going through a 'crony capitalism' phase due to the growing nexus between certain political class and business class, experts said at a workshop in the capital on Monday.

Such 'monopolistic' crony capitalism is diluting the culture of accountability and institutional effectiveness in the country which may affect country's development in the long term, they warned.

"This country may be poised to a particular situation which is related to crony capitalism", eminent economist Wahiduddin Mahmud said while speaking at a workshop organised by South Asian Network on Economic Modeling (SANEM).

At present, with a periodic regime change, there is also a change of cronies, Mahmud said.

"But if we come to a situation where there is a continuity of a regime, then the cronies become increasingly monopolistic", he added.

Dr. Saadat Husain 

Mahmud's remark came when a former bureaucrat Dr. Saadat Husain warned that 'crony capitalism' is sapping good governance and the culture of accountability in the country.

"We are suffering from a culture of no accountability as we have seen in the case of BASIC Bank", Dr. Sadat said.

"The authorities precisely knew who the culprits were in this case but they could not go for any action", the former cabinet secretary of the government, said.

"This is an example of crony capitalism", Dr. Sadat said, "And When we talk in terms of SDGs, this will be our biggest challenge in achieving the global goals", he warned.

Apart from governance issues, experts at the event also questioned the effectiveness of One Stop Service scheme originally aimed at boosting investment in the country.

Mirza Azizul Islam

"It is said that Bangladesh has a generous Foreign Direct Investment policy-- which is true in paper only. But the support services, including that ‘One Stop Service’, is not really working", said former Finance Adviser of a caretaker government Mirza Azizul Islam.

He also said that the country needs to have some targeted promotional measures for attracting foreign direct investment.

"We need to have some strategies about where we want foreign investment and which companies we should target for that", Islam said.

"If we just go to some major overseas cities, invite some hundred companies and tell them that we have such liberal foreign investment policies-- that, I think, will not work", he added.

The former Finance Adviser also questioned the practice of recapitalising the state-owned enterprises-noting that such measure is a 'continuous drainage of public finance'.

"These SOEs are given loans at a subsidized rate. Those loans are never repaid-- but they continue to get loans. This has resulted in huge amount of debt service liability for the government", he said.

Dr. Wahiduddin Mahmud

Meanwhile, Dr. Wahiduddin Mahmud, in his speech, also warned that land scarcity is bound to become a major problem for the country in coming years.

"The problem will become even more acute when we go for the next stage of industrialisation", the eminent economist said.

"It will create environmental stress for further industrialisation. The land will become more costly and the environment mitigation costs of industrialisation will be increasingly high", Mahmud cautioned.

Speakers at the event also criticised the culture of cost and time overrun in the implementation of development projects.

"Our flagship project Padma Bridge was supposed to be completed by December this year. But now we hear that this will be delayed by four years", Dr. Sadat said.

Experts at the event also warned that Bangladesh needs to accelerate its investment-GDP ratio substantially to meet its long term development targets.

Selim Raihan

"Investment-GDP ratio has to be increased annually by 0.7 per cent in the next 12 years which is 1.75 times higher than the current annual percentage points", said SANEM Executive Director Professor Selim Raihan in his presentation.

He also identified the slow pace of structural transformation, infrastructural problems, slowdown in poverty reduction, rising inequality and weak state capacity in mobilising resources as major challenges for Bangladesh's development.

Earlier, the Bangladesh chapter of the 'Institutional Diagnostic Tool' was formally launched at the event.

SANEM in collaboration with the Economic Development and Institutions Research Programme is undertaking the study to design an 'institutional Diagnostic' tool that will permit the policy makers to identify weak institutional areas that restrict development.

Bangladesh is the third country in the world after Tanzania and Benin to conduct the study.

Former Chief Economist of World Bank Dr. Francois Bourguignon delivered a presentation at the event highlighting the core aspects of the Institutional Diagnostic Tools based on the lessons taken from conducting the same study in Tanzania.

Director General of Bangladesh Institute of Development Studies Dr. KAS Murshid and Executive Chairperson of Center for Development and Employment Research Dr. Rushidan Islam Rahman, among others, also spoke on the occasion. 
  • Courtesy: The Financial Express /Sep 25, 2018

Monday, September 24, 2018

অগ্রণী ব্যাংক ১ শতাংশ ঋণও ফেরত দেয়নি শীর্ষ ২০ খেলাপি

হাছান আদনান

চলতি বছর শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছ থেকে ৪০০ কোটি টাকা আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল রাষ্ট্রায়ত্ত অগ্রণী ব্যাংক। লক্ষ্য অনুযায়ী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত এ ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে আদায় করার কথা ছিল ২৬৬ কোটি ৬৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে ব্যাংকটি আদায় করতে পেরেছে মাত্র ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এ হিসাবে বছরের আট মাসে লক্ষ্যমাত্রার ১ শতাংশ ঋণ ফেরত দেয়নি ব্যাংকটির শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপি। ৩১ আগস্ট পর্যন্ত শীর্ষ এ খেলাপিদের কাছে অগ্রণী ব্যাংকের পাওনা রয়েছে ১ হাজার ৫১৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

শুধু শীর্ষ ঋণখেলাপিই নয়, অন্য খেলাপিদের কাছ থেকেও টাকা আদায় করতে পারছে না অগ্রণী ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) অনুযায়ী, চলতি বছর ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা নগদ আদায়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল ব্যাংকটি। কিন্তু ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ব্যাংকটি খেলাপিদের কাছ থেকে নগদ আদায় করতে পেরেছে মাত্র ১৭০ কোটি ২৯ লাখ টাকা। এ হিসাবে আট মাসে অগ্রণী ব্যাংক খেলাপি ঋণ আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার মাত্র ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে প্রতি বছরই এমওইউ স্বাক্ষর করে আসছে অগ্রণী ব্যাংক। ২০১৮ সালের এমওইউ অনুযায়ী আট মাসে ব্যাংকটির অগ্রগতি পর্যালোচনা করে অগ্রণী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয় থেকে একটি প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, খেলাপি ঋণ থেকে নগদ আদায়, নিয়মিতকরণ ও অবলোপনের মাধ্যমে ব্যাংকটি লক্ষ্যমাত্রার ৩২ দশমিক ৭১ শতাংশ পূরণ করতে পেরেছে।

জানতে চাইলে অগ্রণী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. শামস-উল-ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, নিয়ম-আচারের মধ্যে থেকে ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের সব ধরনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২০১৬ সালে এমডি পদে দায়িত্ব গ্রহণের পর খেলাপি ঋণ আদায়ে সমন্বিত অভিযান চালিয়েছিলাম। ওই সময় সহজে আদায়যোগ্য খেলাপি ঋণ আদায় হয়ে গেছে। কিন্তু শীর্ষ ঋণখেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায় করা কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, ঋণখেলাপিরা উচ্চ আদালতে রিটের আশ্রয় নিচ্ছেন। ফলে খেলাপিদের সিআইবি স্থগিত থাকছে। খেলাপি হওয়া সত্ত্বেও তাদের নতুন ঋণ দিতে হচ্ছে। আদালত, আইন মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া খেলাপিদের কাছ থেকে টাকা আদায় সম্ভব নয়।

চলতি বছরের জুন শেষে অগ্রণী ব্যাংকের বিতরণকৃত ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩১ হাজার ২৮৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি হয়ে গেছে ৫ হাজার ৬৭৮ কোটি টাকা। জুন শেষে ব্যাংকটির বিতরণকৃত ঋণের ১৮ দশমিক ১৫ শতাংশ চলে গেছে খেলাপির খাতায়।

অগ্রণী ব্যাংকের আটটি শাখায় শীর্ষ ২০ ঋণখেলাপির কাছে আটকে গেছে ১ হাজার ৫১৩ কোটি টাকার ঋণ। এর মধ্যে প্রধান শাখায় ১০ শীর্ষ ঋণখেলাপির কাছে ৮৬৫ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে। এ শাখার শীর্ষ খেলাপিরা হলো অ্যারিস্ট্রোক্র্যাট এগ্রো, আর্থ এগ্রো ফার্ম, এমআর সোয়েটার, জুলিয়া সোয়েটার, ফেরদৌস জুট মিল, ফাকা ডেনিম, জিল টেক্সটাইল, ইফতি ফ্যাশন, জয় কম্পোজিট ও মাধবদী ট্রেডিং।

চট্টগ্রামের লালদীঘি পূর্ব করপোরেট শাখায় তিন গ্রাহকের কাছে ২৭২ কোটি, বৈদেশিক বাণিজ্য করপোরেট শাখায় দুই গ্রাহকের কাছে ১৬১ কোটি টাকা আটকে গেছে। অন্য শাখাগুলোর মধ্যে বঙ্গবন্ধু এভিনিউ করপোরেট শাখার এক গ্রাহকের কাছে ৫১ কোটি, রাজশাহী সাহেব বাজার করপোরেট শাখায় এক গ্রাহকের কাছে ৪৯ কোটি, চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকা করপোরেট শাখায় এক গ্রাহকের কাছে ৪২ কোটি, চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ করপোরেট শাখায় এক গ্রাহকের কাছে ৩৯ কোটি এবং ঢাকার রমনা করপোরেট শাখার এক গ্রাহকের কাছে ৩৪ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ রয়েছে। অগ্রণী ব্যাংকের শীর্ষ অন্য গ্রাহকদের মধ্যে রয়েছে গিভেন্সি স্পিনিং, সুরুজ মিয়া জুট স্পিনিং, কেয়া ইয়ার্ন, সাদাত কম্পোজিট, ম্যাক শিপ বিল্ডার্স, ম্যাক শিপ ব্রেকিং ও আরাফাত স্টিল।

অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. জায়েদ বখত বলেন, চলতি বছরের তুলনায় গত বছর আমাদের আদায় ভালো ছিল। তবে এ বছরের বাকি তিন মাসে খেলাপি ঋণ থেকে আদায় বাড়ানোকে আমরা সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। পুনঃতফসিল করে আদায় বাড়ানোর চেয়ে নগদ আদায়ের দিকে আমরা বেশি নজর দিচ্ছি। আশা করছি, বছরের বাকি সময়ে খেলাপি ঋণ আদায় বাড়বে। তবে আদালতে রিটের কারণে অনেক ঋণখেলাপির কাছ থেকে টাকা আদায় সম্ভব হচ্ছে না।

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৮ 

বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে পানিপথ করিডোর নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ভারত


বাংলাদেশের ভিতর দিয়ে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ৮ রাজ্যে পানিপথ করিডোর নির্মাণ পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছে ভারত সরকার। এ করিডোর নির্মাণে তাদের খরচ হবে ৫০০০ কোটি রুপি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারলে ৮টি রাজ্যে পণ্য পরিবহনে সময় ও খরচ দুটোই কম লাগবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ইকোনমিক টাইমস। 

এতে বলা হয়, এই পানিপথ করিডোরের দৈর্ঘ্য হবে ৯০০ কিলোমিটার। এই পথ ব্যবহার করে উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের রাজ্যগুলো থেকে ফ্রেইট পানানো হবে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে। এই পানিপথ শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে। সুন্দরবন হয়ে তা গিয়ে বাংলাদেশে পদ্মা নদীতে মিশবে।

শুরু হবে পশ্চিমবঙ্গের হলদিয়া থেকে। সুন্দরবন হয়ে তা গিয়ে বাংলাদেশে পদ্মা নদীতে মিশবে।

তারপর ওই পানিপথ ব্রহ্মপুত্র হয়ে যুক্ত হবে আসামের সঙ্গে। 

শিপিং সেক্রেটারি গোপাল কৃষ্ণ বলেছেন, এই প্রকল্পের বিস্তারিত নিয়ে আমরা কাজ করছি। এটা বাস্তবায়ন করা গেলে তা ভারতের মূল ভূখন্ডের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর মধ্যে সংযুক্তির ক্ষেত্রে বড় ধরনের অগ্রগতি হবে। আর ফ্রেইট পরিবহনেও খরচ কমে যাবে অনেক বেশি। 

বর্তমানে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর সঙ্গে মূল ভূখন্ডের মহাসড়কের যোগাযোগ একেবারে অনুপযোগী। তা ছাড়া সড়কের কারণে পণ্য পরিবহনে খবর অনেক বেশি পড়ে। সময়ও লাগে অনেক বেশি। মন্ত্রণালয়ের হিসাব মতে, আলোচিত পানিপথ বাস্তবায়ন করা গেলে পণ্য পরিবহন খরচ কমে যাবে শতকরা ৭০ ভাগ। 

এরই মধ্যে হলদিয়া ও এলাহাবাদের মধ্যে গঙ্গা নদীতে সরকার একটি পানিপথ উন্নয়নে কাজ করছে। এর দৈর্ঘ্য ১৬২০ কিলোমিটার। খরচ পড়ছে ৪৫০০ কোটি রুপি। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যেও ব্যবহার করা হবে এই পানিপথ। বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে রয়েছে ৪০৯৫ কিলোমিটার সীমান্ত। এর মধ্যে ১১১৬ কিলোমিটার নদীবিধৌত। সচিব কৃষ্ণা বলেছেন, বাংলাদেশ শিপিংয়ের ক্ষেত্রে ভারতের বন্দরগুলো ব্যবহার করার পরিকল্পনা করছে। তিনি বলেন, ট্রান্সশিপমেন্টের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে কলম্বো অথবা সিঙ্গাপুরের পরিবর্তে বাংলাদেশ এখন তাকিয়ে আছে ভারতের দিকে। কলম্বোতে আমাদের কন্টেইনার চলাচল উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে। কারণ, এখন এসব কাজ আমাদের বন্দরগুলোতেই হচ্ছে। 

সম্প্রতি মন্ত্রণালয় বিদেশী জাহাজগুলোকে ভারতের বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে সিঙ্গাপুুর ও কলম্বোকে যাতে তারা কার্গো চলাচলের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে দেখা না হয় সেই চেষ্টা নেয়া হয়েছে। সচিব কৃষ্ণা বলেছেন, দীর্ঘ মেয়াদে পশ্চিম ও পূর্ব উপকূলে দুটি বন্দর উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়েছে ভারত, যাতে তা ট্রান্সশিপমেন্টের প্রাণকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা যায়। 

  • কার্টসিঃ মানবজমিন/ সেপ্টেম্বর ২৪,২০১৮ 

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় অনিয়ম বন্ধে ব্যর্থ শিক্ষা মন্ত্রণালয়

সাইফ সুজন
দফায় দফায় সময় নিয়েও স্থায়ী ক্যাম্পাসে যায়নি দুই ডজনের বেশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বেআইনিভাবে। অর্থব্যয়ের হিসাব দেয়ার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তারও তোয়াক্কা করছে না বেসরকারি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়। আইনের ব্যত্যয় ঘটছে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এসব অনিয়ম নিয়মিত ঘটলেও তা বন্ধে ব্যর্থ হচ্ছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এসব অনিয়ম বন্ধে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) সময় সময় সুপারিশ করলেও তা আমলে নিচ্ছে না মন্ত্রণালয়।



বর্তমানে দেশে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে ১০৩টি। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম চলছে ৯১টিতে। ১১টি বিশ্ববিদ্যালয় অনুমোদন পেলেও শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেনি। আর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।



খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছর শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গভাবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য ৩৯টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে সময় বেঁধে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন ধাপে বেঁধে দেয়া এ সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ৩১ ডিসেম্বর। সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি দুই ডজনের বেশি বিশ্ববিদ্যালয়। স্থায়ী ক্যাম্পাসে না গেলে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের হুঁশিয়ারি দেয়া হয় ওই সময়। তারও আট মাস পেরিয়ে গেছে। যদিও এখন পর্যন্ত নির্দেশ অমান্যকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে কোনো ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি মন্ত্রণালয়।



বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর প্রক্রিয়ার অগ্রগতি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদনও পাঠিয়েছে ইউজিসি। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের চিঠি দেয়া হয়। নির্দিষ্ট কিছু প্রোগ্রাম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরের জন্য বলা হয় ১৭টি বিশ্ববিদ্যালয়কে। এছাড়া দুটি বিশ্ববিদ্যালয়কে আউটার ক্যাম্পাস বন্ধ করতে ও একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থায়ী ক্যাম্পাসের জন্য জমি কেনার নির্দেশ দেয়া হয়। এর মধ্যে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর হয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হলো— ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, পুন্ড্র ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, বাংলাদেশ ইসলামী, ইস্ট ডেল্টা, অতীশ দীপঙ্কর ও প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয়।



সরকারের বেঁধে দেয়া সময়ের মধ্যে ১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় কোনো ধরনের অগ্রগতি খুঁজে পায়নি ইউজিসি। এগুলো হলো— ইউনিভার্সিটি অব ডেভেলপমেন্ট অল্টারনেটিভ, স্টামফোর্ড, সাউথ ইস্ট, প্রাইমেশিয়া, বাংলাদেশ, আশা, রয়েল, ভিক্টোরিয়া, সাউথ এশিয়া, ইবাইস, স্টেট ও চট্টগ্রামের প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়। এদিকে স্থায়ী ক্যাম্পাস থাকা সত্ত্বেও স্থানান্তর প্রক্রিয়ায় আগ্রহ নেই এ ধরনের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এগুলো হলো— ড্যাফোডিল, ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল, এশিয়ান, লিডিং ও মানারাত ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। এছাড়া চট্টগ্রামের ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি ও ঢাকার সিটি ইউনিভার্সিটিকে আউটার ক্যাম্পাস বন্ধের নির্দেশনা দেয়া হলেও তারা তা মানছে না।



ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান এ প্রসঙ্গে বলেন, স্থানান্তর প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে সার্বিক পরিস্থিতি শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়েছে। আমরা আমাদের কাজ করেছি। এখন আইন না মানা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে— সেটি দেখার দায়িত্ব মন্ত্রণালয়ের।



এদিকে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ নিয়োগের আইন অমান্যের বিস্তর অভিযোগ রয়েছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে। আইন অনুযায়ী, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার জন্য সার্বক্ষণিক উপাচার্য ও কোষাধ্যক্ষ থাকা বাধ্যতামূলক। যদিও ইউজিসির ওয়েবসাইটের তথ্য বলছে, দেশে উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনাকারী ৯১টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ২১টিতেই উপাচার্য নেই। কোষাধ্যক্ষ নেই ৪৯টিতে। আর উপ-উপাচার্য ছাড়াই চলছে ৭০টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।



এছাড়া যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা ছাড়াই উপাচার্য নিয়োগের অভিযোগ রয়েছে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। গত বছরের নভেম্বরে বোর্ড অব ট্রাস্টিজ থেকে পাঠানো প্রস্তাবের ভিত্তিতে রয়েল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকার উপাচার্য পদে ড. মো. আজিজুর রহমানকে নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি। নিয়োগের নয় মাস পার হলেও এখনো দায়িত্ব বুঝে পাননি তিনি। উল্টো ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য দিয়েই শিক্ষা ও প্রশাসনিক কার্যক্রম চালাচ্ছে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়টির পক্ষ থেকে নতুন প্যানেল প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। নতুন প্যানেল বিষয়ে ইউজিসির মতামতও চেয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। যদিও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে নিয়োগ না দেয়া বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি শিক্ষা মন্ত্রণালয়।



গত বছরের ৯ আগস্ট বরিশালের ইউনিভার্সিটি অব গ্লোবাল ভিলেজের উপাচার্য প্যানেল বিষয়ে মতামত জানাতে ইউজিসিকে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। প্যানেলভুক্ত তিনজনের কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে প্রতিবেদন দেয় ইউজিসি। প্রতিবেদনে বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী উপাচার্য পদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে কমপক্ষ ১০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসহ গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজে মোট ২০ বছরের অভিজ্ঞতা প্যানেলভুক্ত অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেই। অধ্যাপক ড. মো. সবদের আলীর যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবে বিদেশী ডিগ্রির সমতা সনদ নেই। অধ্যাপক ড. সুশান্ত কুমার ভট্টাচার্য্যের ১০ বছরের শিক্ষকতার অভিজ্ঞতাসহ গবেষণা ও প্রশাসনিক কাজে মোট ২০ বছরের অভিজ্ঞতা নেই। তাই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০-এর ধারা ৩১ (৩) অনুযায়ী যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের প্রস্তাব করে ইউজিসি।



যদিও পরবর্তী সময়ে পুনরায় প্যানেল প্রস্তাব না নিয়ে অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমকে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।



বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষাবর্ষের আয়-ব্যয়ের নিরীক্ষা প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে সরকারের। প্রতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কোনো নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের (সিএ ফার্ম) মাধ্যমে নিরীক্ষা করে প্রতিবেদন ইউজিসিতে জমা দেয়ার কথা।

যদিও ইউজিসি সূত্রে জানা যায়, এখন পর্যন্ত ২০১৭ সালের নিরীক্ষিত অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়। অর্থাৎ অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ই সরকারের এ নির্দেশনা মানছে না।



বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০-এর ৩৫(৩) ধারা অনুযায়ী, কোনো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি বিভাগ বা প্রোগ্রামে খণ্ডকালীন শিক্ষক সংখ্যা পূর্ণকালীন শিক্ষক সংখ্যার এক-তৃতীয়াংশের বেশি হওয়ার সুযোগ নেই। যদিও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (আইইউবি), সাউথইস্ট ইউনিভার্সিটি, স্টেট, প্রিমিয়ার, ইবাইস ও ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিসহ বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে খণ্ডকালীন শিক্ষক সংখ্যা আইনে নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি।



এসব অনিয়ম ঘটলেও তা বন্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয় যে ব্যর্থ তেমনটি মনে করেন না শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন। বণিক বার্তাকে তিনি বলেন, অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই স্থায়ী ক্যাম্পাসে চলে গেছে। আবার কিছু বিশ্ববিদ্যালয় সময় চেয়েছে। ধীরে ধীরে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আইন পরিপালনে উৎসাহিত করার চেষ্টা চলছে। স্থায়ী ক্যাম্পাস, উপাচার্য নিয়োগ ও আয়-ব্যয়ের হিসাবসহ সব বিষয়ে আইন অনুসরণ করার কথা বলা হচ্ছে। হুট করে ভর্তি কার্যক্রম বন্ধ কিংবা কঠোর কোনো পদক্ষেপ নিলে শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এসব বিষয় মাথায় রেখেই সিদ্ধান্ত নিতে হয় আমাদের। সব মিলিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ব্যর্থ সেটি বলা যাবে না।

  • কার্টসিঃ বনিক বার্তা/ সেপ্টেম্বর ২৪,২০১৮ 

শিলংয়ে বিএনপি নেতা সালাউদ্দিনের মামলার রায় ২৮ সেপ্টেম্বর

সুব্রত আচার্য
বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন আহমেদের ভারতে অনুপ্রবেশের মামলায় রায় ২৮ সেপ্টেম্বর। মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক এই রায় দেবেন।
শিলং শহরে অবস্থানরত সালাউদ্দিন গতকাল রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে টেলিফোনে এই তথ্য জানিয়েছেন। এ ব্যাপারে সোমবার দুপুরে টেলিফোনে সালাউদ্দিন আহমেদের আইনজীবী এপি মহন্তের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনিও রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘তারিখ তো পড়েছে, দেখা যাক সেদিন কী হয়।’

ভারতের অনুপ্রবেশের অভিযোগে ২০১৫ সালে মার্চ মাসে এই বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মেঘালয় পুলিশ সিটি থানায় একটি মামলা করে। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলে শারীরিক অসুস্থতার কারণে বিচারক তাকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেন। এই মুহূর্তে শিলং শহরেই বসবাস করছেন তিনি।

অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক হবার প্রায় দুই মাস আগে থেকে বাংলাদেশে ‘নিখোঁজ’ ছিলেন সালাউদ্দিন।

২০১৫ সালের ১১ মার্চ শিলং শহরের গলফ মাঠ থেকে পুলিশ সালাউদ্দিনকে আটক করেছিল। অসংলগ্ন কথাবার্তা শুনে শিলং পুলিশ প্রথমে তাকে একটি মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করায়। তবে চিকিৎসকরা জানান মানসিক নয়, বিএনপি নেতা শারীরিকভাবে অসুস্থ। তাই তাকে শিলং সিভিল সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। পরে তার পরিবারের সদস্যদের আবেদনের প্রেক্ষিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে নর্থ ইস্টার্ন ইন্দিরা গান্ধী রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ অ্যান্ড মেডিকেল সায়েন্সেস হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।

অসুস্থতার মধ্যেই ২০১৫ সালের ২৭ মে মামলার শুনানিতে শিলংয়ের জেলা ও দায়রা আদালতে হাজির হন সালাউদ্দিন আহমেদ। এর পর প্রায় তিন বছর ধরে চলে বিচারপর্ব। একাধিক আইনজীবী জানান, অনুপ্রবেশের মামলায় এতো দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শিলং আদালতে এর আগে দেখা যায়নি।

বিচার কার্যক্রম নিয়ে সালাউদ্দিন আহমেদ নিজেও অনেকটা হতাশ। রোববার তিনি এক প্রশ্নের উত্তরের জানান, ২৮ তারিখে চূড়ান্ত রায় দেবে সেটা অফিসিয়ালি জেনেছি। তবে এর আগেও রায়ের তারিখ চার বার পিছিয়েছে। আশা করছি এবার তেমন হবে না।

  • Courtesy: The Daily Star/ Bangla Sep 24, 2018

Focus needs to be on capital market for economic expansion

Capital market should be the key funding source for Bangladesh's future economic expansion instead of banks and financial institutions, experts said.
Such shift is also necessary to attain sustainable development goals (SDGs) as some 42 per cent of the SDG financing here should come from the private sector.

They made the views at an international conference on 'Achieving Sustainable Development Goals: Challenges and Way Forward' in Dhaka on Sunday.

The Institute of Cost and Management Accountants of Bangladesh (ICMAB) organised the daylong event.

"Stocks should evolve as the main source of capital for economic expansion," said Md Kausar Alam, chief financial officer of Seven Circle Bangladesh, a leading local business entity.

"Banks and NBFIs [non-banking financial institutions] together are still a major source of funding for Bangladesh economy," he added.

"But this [source] should be gradually shifted to the capital market," Mr Alam said while speaking on the role of professional accountants in achieving SDGs.

"Banks have helped make entrepreneurs and a strong private sector since our liberation, but studies show the accountability scenario is not up to the mark…"

Banks have become family-oriented and the boards of directors are actively involved in the management, the senior corporate official said.

Adherence to law is not adequate and internal control system along with accounting and audit qualities are insufficient, Mr Alam mentioned.

Against this backdrop, he said, stock exchanges should become a more reliable source of financing to ensure a sustainable money market.

"Sustainable Stock Exchanges Initiative should play a significant role in this regard and stock exchanges should drive value for all stakeholders," he suggested.

Earlier, speaking during the inaugural ceremony of the conference, Finance Minister AMA Muhith put emphasis on the strengthening of regional cooperation.

"It's a matter of shame that South Asian countries have not been able to reduce trade barriers between themselves when compared to their Southeast Asian neighbours," he said.

However, goodwill between the countries has led to significant expansion of Sino-Bangla trade and Indo-Bangla trade in recent years, Mr Muhith stated.

"This trend would continue in the coming decades," he hoped.

UN Resident Representative in Bangladesh Mia Seppo said mobilising resources for SDGs requires expansion of tax base, tax reforms and public-private partnership.

"Bringing together the right stakeholders is the number-one challenge of implementing SDGs," said Dr Swapan Kumar Bala, commissioner at Bangladesh Securities and Exchange Commission.

"The other big challenge is building accountability actions. There are some conflicting issues which require some serious trade-off," he added.

Pietro Bertazzi, head of sustainable development at Global Reporting Initiative, said the governments globally are increasingly consulting the private sector in the implementation of SDGs.

His organisation in collaboration with UN Global Compact and World Business Council for Sustainable Development has developed SDG Compass.

It is a guide to help businesses align their strategies with the SDGs and measure and manage their contribution, Mr Bertazzi argued.

AN Raman, former president of South Asian Federation for Accountants, called for a certain measurement mechanism to perform outcome audit of how SDGs are being achieved in Bangladesh.

  • Courtesy: The Financial Express /Sep 24, 2018