Search

Wednesday, October 3, 2018

এনবিআরের অধিকাংশ উদ্যোগ মুখ থুবড়ে পড়েছে

আব্বাস উদ্দিন নয়ন

রাজস্ব বাড়াতে অনলাইনের মাধ্যমে তা আহরণের উদ্যোগ নিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কর না দেয়া বিদেশী নাগরিকদের শনাক্তকরণের পাশাপাশি বহুজাতিক কোম্পানির অর্থ পাচার রোধ ও বকেয়া রাজস্ব আহরণে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তিতেও (এডিআর) নিয়েছিল বিশেষ উদ্যোগ। উদ্যোগ নেয়া হয় ট্যাক্স কার্ড প্রদান, কর বাহাদুর পরিবারকে সম্মাননা, ট্যাক্স আইডি কার্ড প্রদানেও। যদিও এসব উদ্যোগের বেশির ভাগই মুখ থুবড়ে পড়েছে। এর প্রভাব পড়ছে রাজস্ব আহরণে। চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসেই লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২০ শতাংশ ঘাটতিতে রয়েছে এনবিআর।

এনবিআর কর্মকর্তারা বলছেন, রাজস্ব বাড়াতে নতুন নতুন উদ্যোগ নেয়া হলেও অবকাঠামো সমস্যার কারণে অধিকাংশই কার্যকর করা যায়নি। কিছু প্রকল্পে সুফলের চেয়ে অর্থ ব্যয় বেশি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের আপত্তি ও সরকারি অন্যান্য সংস্থার সহায়তা না পাওয়াও এর কারণ। আবার প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণেও পিছিয়ে আসতে হয়েছে অনেক উদ্যোগ থেকে।

এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, রাজস্ব আহরণ বাড়াতে প্রচলিত পদ্ধতি বাদ দিয়ে ২০১৩ সালে অনলাইনে কার্যক্রম শুরু করে এনবিআর। ওই বছরই কর নিবন্ধন নম্বর (টিআইএন) বদলে অনলাইনভিত্তিক ই-টিআইএন পদ্ধতিতে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়। পুরনো ভ্যাট নিবন্ধন বাদ দিয়ে ২০১২ সালেই নতুন অনলাইন ভ্যাট আইন প্রস্তুত করে এনবিআর। আইনে ভ্যাটের নিবন্ধনসহ সব কার্যক্রম অনলাইনে করার কথা বলা হয়। এ উদ্যোগের পাঁচ বছরের বেশি চলে গেলেও আয়কর ও ভ্যাটের ক্ষেত্রে অনলাইন এখনো নিবন্ধনেই আটকে আছে। অনলাইনে রিটার্ন দাখিলের পদ্ধতি চালু হলেও আয়কর ও ভ্যাট পুরনো পদ্ধতিতে পরিশোধের কারণে তা সেভাবে গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে না। যদিও অনলাইন নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করার পরই পেমেন্ট পদ্ধতিও অনলাইনে করার কথা বলেছিল এনবিআর। অন্যদিকে বারবার চেষ্টা করেও অনলাইনভিত্তিক ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করতে পারেনি সংস্থাটি। যদিও পুরনো আইনেই ভ্যাট অনলাইন বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে এনবিআর।

এনবিআরের আয়কর বিভাগের সংশ্লিষ্ট সদস্য মো. আলমগীর হোসেন বণিক বার্তাকে বলেন, এবারের আয়কর মেলায় গিয়ে যারা রিটার্ন জমা দেবেন, তাদের জন্য অনলাইনে অর্থ পরিশোধের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। রিটার্ন জমা দেয়া বা নিবন্ধনের মতো ঘরে বসেই অর্থ পরিশোধ এখনই করা যাচ্ছে না। বেশ আগেই উদ্যোগ নেয়া হলেও প্রযুক্তিগত নিরাপত্তা ও সার্বিক প্রস্তুতির কারণে অনলাইনে অর্থ পরিশোধের পদ্ধতি পুরোপুরি চালু করতে কিছুটা সময় নিচ্ছি আমরা।

আয়কর, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) ও শুল্ক খাতে প্রায় ৩২ হাজার মামলায় ৫০ হাজার কোটি টাকার বেশি রাজস্ব বকেয়া পড়ে আছে এনবিআরের। আদালতের দীর্ঘসূত্রতার কারণে বছরের পর বছর অতিক্রান্ত হলেও মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় রাজস্ব আহরণ করতে পারছে না সংস্থাটি। এ অবস্থায় আদালতের বাইরে গিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তি করতে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি (এডিআর) গঠন করে এনবিআর। এজন্য রাজস্ব বোর্ডের সাবেক একজন সদস্যকে প্রধান করে একটি বিশেষ উইংও খোলা হয়। পাশাপাশি সব করাঞ্চল ও কমিশনারেটের মাধ্যমে মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হয়। কিন্তু পাঁচ বছর পরও এডিআরের প্রতি ব্যবসায়ীদের আগ্রহী করা যায়নি। কিছু প্রতিষ্ঠান তাদের মামলা এডিআরের মাধ্যমে নিষ্পত্তির পথে গেলেও এতে এনবিআরের সফলতা উল্লেখ করার মতো নয়। ফলে এডিআর বন্ধ করে দেয়ার পক্ষে এনবিআরের নতুন প্রশাসন। এছাড়া আদালতে শুনানি পর্যায়ে থাকা মামলা নিষ্পত্তিতে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে একটি বিশেষ টিম গঠন করা হলেও তার কার্যক্রমও প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ।

এনবিআরের এডিআরের দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা বলেন, আদালতের বাইরে গিয়ে মামলা নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেয়া হলেও ব্যবসায়ীদের আগ্রহ না থাকায় তা খুব বেশি কার্যকর হয়নি। এটি সচল করতে এনবিআর অনেক উদ্যোগ নিয়েছে। সাবেক একজন সদস্যকে নিয়ে নিরপেক্ষ সেল গঠন করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদের স্বার্থ সংরক্ষণের আশ্বাস দেয়া হচ্ছে। তবে মামলা নিষ্পত্তির হার খুব কম হওয়ায় এ থেকে সরে আসার কথা ভাবছে এনবিআর।

দেশে ব্যবসা পরিচালনা করা বহুজাতিক কোম্পানিগুলো মূল্য ঘোষণার মাধ্যমে বড় অংকের অর্থ পাচার করছে, এমন অভিযোগের অনুসন্ধানে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেয় এনবিআর। ট্রান্সফার প্রাইসিংয়ের মাধ্যমে এসব কোম্পানির রাজস্ব ফাঁকি ও অর্থ পাচার ঠেকাতে ২০১২-১৩ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবনায় একটি সেল গঠনের প্রস্তাব দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এরপর যাবতীয় প্রস্তুতি শেষে ২০১৫ সালে ট্রান্সফার প্রাইসিং সেল গঠন করে এনবিআর। কিন্তু আইনি সীমাবদ্ধতা ও আন্তর্জাতিক আয়কর নীতির সঙ্গে সমন্বয়হীনতা দূর করতে দীর্ঘদিন কোনো কার্যক্রম পরিচালিত হয়নি সেলটির। পরে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ট্রান্সফার প্রাইসিং ইউনিট নামে আরেকটি স্বতন্ত্র বিভাগ করার ঘোষণা দেন অর্থমন্ত্রী। এ ঘোষণার দুই বছর পর ১৫০টি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানের লেনদেনের তথ্য সংগ্রহ ও আরো প্রায় ৯০০ প্রতিষ্ঠানের তালিকা সংগ্রহ করলেও দৃশ্যমান কোনো ফলাফল দেখাতে পারেনি এনবিআর।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, বাংলাদেশে প্রায় ৮৬ হাজার বিদেশী নাগরিক বৈধভাবে কর্মরত রয়েছেন। বিদেশী এসব নাগরিকের কর প্রদান বাধ্যতামূলক হলেও সর্বশেষ অর্থবছর এনবিআরে আয়কর রিটার্ন জমা দিয়েছে ১৪ হাজার। করযোগ্য আয় করলেও সরকারকে রাজস্ব না দেয়ার অভিযোগে এসব নাগরিককে খুঁজে বের করতে একটি নতুন সেল গঠন করে এনবিআর। ২০১৬ সালে গঠিত সেলটি ওই সময় বিদেশী নাগরিকদের তথ্য সংগ্রহে বাংলাদেশ বিনিয়োগ বোর্ড, এনজিও ব্যুরো, বেপজা, এফবিসিসিআই, ইমিগ্রেশন অফিসসহ বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি দেয়। চিঠি দেয়ার দুই বছর পরও অধিকাংশ দপ্তর থেকেই তথ্য সংগ্রহ করতে পারেনি তারা। কয়েকটি কোম্পানিতে মাঠপর্যায়ে অভিযান চালিয়েই কার্যক্রম সীমিত রেখেছে বিদেশী কর্মী শনাক্তকরণ সেল।

বিদেশী কর্মী শনাক্তকরণ সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত এনবিআরের সদস্য মো. সিরাজুল ইসলাম বণিক বার্তাকে বলেন, কর না দেয়া বিদেশী কর্মীদের শনাক্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা ধরে কাজ করছে এনবিআর। কিছু প্রতিষ্ঠানে অভিযানও পরিচালিত হয়েছে। তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সহযোগিতা না পাওয়ায় খুব বেশি কার্যকর উদ্যোগ নেয়া যায়নি। এর বাইরে আমাদের অবকাঠামো সমস্যা ও মাঠপর্যায়ে জনবল সংকটও রয়েছে।

করদাতা বৃদ্ধি, রাজস্ব আহরণের নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করা ও বাজেটের লক্ষ্যপূরণে অর্থমন্ত্রীর নির্দেশনার আলোকে ২০১৬ সালে ‘বাজেট ইমপ্লিমেন্টেশন ফোরাম’ গঠন করে এনবিআর। এনবিআরের সব বিভাগের সমন্বয়ে গঠিত এ ফোরামের মাধ্যমে প্রতি সপ্তাহে রাজস্ব অগ্রগতি পর্যালোচনা করে নতুন কর্মপরিকল্পনা ঠিক করতেন সংস্থার চেয়ারম্যান। রাজস্ব আহরণে নতুন ক্ষেত্র খুঁজে বের করা, মাঠ প্রশাসনে কাজের অগ্রগতি তদারক করা ও বকেয়া রাজস্ব আহরণে ভূমিকা রাখত এ ফোরাম। এনবিআরের গবেষণা ও পরিসংখ্যান অনুবিভাগের উদ্যোগে নতুন উদ্ভাবনের দিকনির্দেশনাও থাকত এ ফোরামে। প্রায় এক বছর ধরে বন্ধ রয়েছে ফোরামের কার্যক্রম।

করভীতি দূরীকরণ ও করদাতাদের সঙ্গে এনবিআরের যোগসূত্র বাড়াতে করদাতাদের বিশেষ সম্মাননা দিতে আয়কর মেলা উপলক্ষে প্রত্যেক করদাতার জন্য ইনকাম ট্যাক্স আইডি কার্ড চালু করে এনবিআর। মেলায় করদাতাদের এ কার্ড দেয়ার পাশাপাশি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এ আইডি কার্ড প্রদান করেন তত্কালীন চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান। মেলার পরও অনেক করদাতাকে দেয়া হয় এ আইডি কার্ড। আইডি কার্ড তৈরি করতে যন্ত্রপাতি আমদানি ও নির্বাচন কমিশন থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর সংগ্রহে বড় ধরনের অর্থও ব্যয় করে এনবিআর। তবে এ আইডি কার্ডের কোনো ব্যবহারিক সুবিধা না থাকায় এক বছরের মাথায় তা থেকে সরে আসে সংস্থাটি। ব্যয় সংকোচন নীতি ও বিশেষ ফল না আসায় এনবিআর সরে এসেছে ‘কর বাহাদুর পরিবার’ সম্মাননার আয়োজন থেকেও। যেসব পরিবারের সব সদস্য কর দিয়ে থাকেন, তাদের মধ্য থেকে সব জেলায় একটি করে পরিবারকে এ সম্মাননা দেয়া হতো।

এছাড়াও গত কয়েক বছরে এনবিআরের নেয়া উদ্যোগগুলোর মধ্যে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং সেল, রাজস্ব ফাঁকি রোধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সঙ্গে যৌথ ওয়ার্কিং সেল। সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে জাতীয় চোরাচালানবিরোধী সেলের কার্যক্রমেও গতি নেই। এসব সংস্থার সঙ্গে চুক্তি ও কয়েক মাস পর যৌথ মিটিং পর্যন্ত সীমাবদ্ধ রয়েছে এনবিআরের কার্যক্রম। কমিটি গঠনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে বিনিয়োগ বাড়াতে গঠিত এনবিআরের ইনভেস্টমেন্ট প্রমোশন টিম ও বিদেশী বিনিয়োগ বাড়াতে গঠিত ফোকাল পয়েন্ট টিম।

বিভিন্ন উদ্যোগ বাস্তবায়নে পিছিয়ে পড়ার প্রভাব পড়ছে এনবিআরের রাজস্ব আহরণে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে লক্ষ্যমাত্রা থেকে ২০ দশমিক ৪৫ শতাংশ পিছিয়ে রয়েছে সংস্থাটি। আয়কর, ভ্যাট ও শুল্ক মিলিয়ে জুলাই-আগস্ট সময়ে ৩৫ হাজার ৫৭৭ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে এনবিআর আহরণ করেছে ২৮ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা। চলতি অর্থবছরের জন্য রাজস্ব আহরণে প্রায় ৩২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ধরা হলেও প্রথম দুই মাসে অর্জিত হয়েছে মাত্র ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

জানতে চাইলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, গত কয়েক বছরে রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধিতে বেশ সফলতা দেখিয়েছে এনবিআর। উদ্ভাবনেও বেশ এগিয়েছে সংস্থাটি। রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে এসব উদ্ভাবন ধরে রাখার পাশাপাশি আরো নতুন উদ্যোগ নিতে হবে। তবে উদ্যোগ নিয়ে বসে থাকলে রাজস্ব প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।
  • কার্টসি: বণিকবার্তা / ০৩ অক্টোবর ২০১৮

Tax waiver on LNG import to cause Tk 110b revenue loss

Doulot Akter Mala



The National Board of Revenue (NBR) has estimated a total of Tk 110 billion loss in revenue collection after the government waived import taxes on Liquefied Natural Gas (LNG).

Officials said the gas sector is one of the largest revenue contributors to the national exchequer that may face a blow following withdrawal of Customs Duty (CD) and Supplementary Duty (SD) along with reduction of Advance Income Tax (AIT).

NBR has issued a Statutory Regulatory Order (SRO), dated September 30, 2018, waiving 5.0 per cent CD on import of LNG. The order came into force with retrospective effect from September 18, 2018.

In April 2018, NBR's Income Tax Wing reduced AIT on import of LNG to 2.0 per cent from 5.0 per cent.

Withdrawal of 93.24 per cent SD is also underway, officials said.

Talking to the FE, a senior NBR official said currently there are only 15 per cent Value Added Tax (VAT) at local transmission stage of LNG, and 2.0 per cent AIT on its import.

He said the import taxes have been cut in a bid to keep the prices of natural gas 'rational' in the local market.


  • Courtesy: The Financial Express /Oct 03, 2018

TIB urges govt to review Digital Security Bill

Transparency International, Bangladesh has urged the government to repeal the ‘suppressive’ sections of the Digital Security Bill 2018 which has been passed recently in the parliament amid huge opposition from different quarters. TIB also demanded a review of the entire bill, as it has apparently become, according to them, a law against freedom of speech guaranteed by the constitution.

The anti-corruption watchdog expressed its concern over the Digital Security Bill through a press note on Tuesday.

Taking the 30 September meeting between the Editors' Council and the government representatives as a positive step, the body expressed doubt whether the meeting would mitigate people’s fear about the Digital Security Bill.

Earlier, three ministers and concerned government advisors sat with the Editors' Council, a platform of editors of the country’s national dailies, where law minister made a commitment to work out amendments to the security bill to make it acceptable by all.

Executive director of TIB Dr Iftekharuzzaman said in the press note that the meeting between the Editors' Council and the government representatives is a positive step to address the concern regarding Digital Security Bill.

However, dialogues in the parliament, following the passing of the bill, that ignored recommendations from concerned bodies, is a matter of concern.

Partial review in the bill could not erase fear and insecurity among people as there are many sections in the bill that restricts media freedom.

He said enactment of law to ensure the government’s digital security is necessary, but at the same time it must also guarantee people’s constitutional rights to free speech.

TIB observed that there is no alternative but to review the entire bill in order to have a law in accordance with the country’s constitution

On September 19, the parliament passed the bill amid a lot of opposition and concerns from journalists and rights bodies.

  • Courtesy: The Financial Express /Oct 03, 2018

Change BB’s approach, develop secondary market: Experts

Channelling green financing


Channelling of green financing in Bangladesh remains largely inadequate, as the central bank's approach in this regard is hardly bearing any result, experts said at a seminar in the capital on Tuesday. At the same time, development of a secondary market is urgently needed to ensure long-term financing sources for green initiatives, they opined at a Dialogue on Green Banking.

Bangladesh Institute of Bank Management (BIBM) and Adam Smith International (ASI) jointly organised the event at a city hotel.

"It is the high time that Bangladesh Bank (BB) shifts its focus from a supply-driven approach to a demand-driven approach when it comes to green financing," said Bushra Ferdous Khan, an expert with Economic Dialogue on Green Growth (EDGG).

"And for designing a demand-driven strategy, a functional conceptualisation of the term green finance is needed," she also said.

"We need a definition that guides practical application. There should be a new way of categorisation also that creates room for acknowledging the demand for green finance by different segments of private sector."

"It should also identify the drivers that motivate the expenditure on green solutions by private businesses and consumers, and thus create private sector demand for green funds," she added.

Experts noted that 93 per cent of the total Tk 2,370.39 billion loan, disbursed as green finance between 2013 and 2017, has been loaned under the category of indirect green finance.

"This is essentially the amount loaned to any project having an effluent treatment plant (ETP) - a key priority for curbing water pollution - or similar system," Ms Bushra said.

"However, how much of this amount, loaned as indirect green finance, is actually used to operate ETPs is not traced."

"In fact, the current classification of indirect green finance should also be abolished. The banks and financial institutions should be provided with more clear instructions on how to monitor working capital loans, channelled for operating, is actually used," she added.

"BB along with World Bank is currently offering a long-term financing facility for green financing. However, that financing facility is not attractive to private sector," said Md. Fazlul Hoque, Managing Director of Plummy Fashions.

Noting that currently the government is offering only 2.0 percent tax rebate for eco-friendly garment units, he said no factory will go for green schemes for such a tax rebate.

Industry insiders at the seminar also called for developing a secondary market for generating adequate green financing.

"We have to develop a secondary market, and we have to work together for it," said Humaira Azam, Additional Managing Director of Trust Bank Limited.

She also recommended that National Board of Revenue (NBR) can also offer tax incentives for green products to encourage investment in the relevant schemes.

"The banks can also be tagged with Infrastructure Development Company Limited (IDCOL), so that they can avail low-cost IDCOL funding for green initiatives," said BB Deputy Director Asif Iqbal.

"To create demand for green financing, we need to address the supply side. Supply will create demand," said Director of BIBM Professor Dr. Shah Md. Ahsan Habib.

Underlining the need for long-term financing for eco-friendly initiatives, Supernumerary Professor of BIBM Helal Ahmed Choudhury said the involvement of capital market and insurance companies are essential for channelling such long-term funding.

Regulatory bodies like Bangladesh Securities and Exchange Commission (BSEC) and Insurance Development and Regulatory Authority (IDRA) have a crucial role for bringing such long-term investment from capital market and insurance companies.

Director General of BIBM Toufic Ahmad Choudhury also spoke on the occasion, among others.


  • Courtesy: The Financial Express/ Oct 03, 2018

ঘুষ দিলে সেবা মেলে

শাখাওয়াত হোসাইন 


মিরপুর পল্লবী এলাকার ৯৪৯ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মীরদাহর একটি ওষুধের দোকান আছে ওই এলাকায়। দোকানটির লাইসেন্স নবায়ন এবং নাম পরিবর্তনের জন্য সপ্তাহজুড়ে ঘুরছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-২ অফিসে। 

গত ২৭ সেপ্টেম্বর একই কাজে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত অফিসটিতে আসেন তিনি। দোকানটির নাম পরিবর্তনের জন্য দুই হাজার পাঁচ শ টাকার বিপরীতে সাত হাজার টাকা চাওয়া হয় মনিরুজ্জামানের কাছে। এ ছাড়া লাইসেন্স বই নবায়নের জন্য চাওয়া হয় এক হাজার টাকা। অথচ বইয়ের দাম মাত্র দুইশ টাকা।

সিটি করপোরেশনের ধার্য করা টাকা ছাড়া বাড়তি কোনো অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় প্রকাশ্যে মনিরুজ্জামানের কাগজপত্র ছুড়ে ফেলা হয় ট্রেড লাইসেন্স শাখার মেঝেতে। অথচ যে ব্যক্তি ফাইল ছুড়ে ফেলেন তিনি লাইসেন্স শাখার কেউ না। সুঠাম দেহের অধিকারী, চোখে চশমা ও গায়ে ঘিয়ে রঙের ফতুয়া জড়িয়ে অনায়াসে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও ইস্যু করার নামে ঘুষ গ্রহণ করতে দেখা গেছে তাঁকে। ডিএনসিসির অঞ্চল-২ অফিসে ঘুষের বিনিময়ে ট্রেড লাইসেন্সসহ যেকোনো কাজ করে দিতে সক্ষম এই ব্যক্তিটির নাম মো. বাবুল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাবুল অঞ্চল-৩ অফিসের প্রকৌশল শাখার চেইনম্যান।

মনিরুজ্জামানকে অনুসরণ করে একটু এগিয়ে পরিচয় দিয়ে জিজ্ঞেস করতেই তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দ্রুত সেবা দেওয়ার নামে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা ঘুষ নেয় বাবুলসহ দশজনের বেশি দালাল ও কর্মচারী। ঘুষ না দেওয়ায় আমাকে সবার সামনে নাজেহাল হতে হলো।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি। আমার পরিচয় জানার পরও বাবুল আমার কাছে ঘুষ চেয়েছে।’

জানতে চাইলে প্রকৌশল শাখার চেইনম্যান মো. বাবুল বলেন, ‘আমি প্রকৌশল শাখায় কাজ করি। উনার লাইসেন্স নবায়নের কাজ প্রতিবছর আমিই করে দিই। মানুষের কাজ করে দিয়ে হাজারখানেক খরচের টাকা নিই।’

সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক নারীর জন্ম নিবন্ধন করতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ অফিসে আসেন তাঁর মেয়ে আয়েশা আলী। দ্রুত সময়ে সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জন্ম নিবন্ধন শাখার মো. ওয়াহিদ পাঁচশ টাকা নেন। কাজ হয়ে গেলে সরকারি ফি ছাড়াও আরো দুইশ টাকা দিতে হবে ওয়াহিদকে। কিন্তু সাবিনা ইয়াসমিনের জাতীয় পরিচয়পত্রের নামে ভুল থাকায় জন্ম নিবন্ধন সনদ দিতে পারেননি ওয়াহিদ।

আয়েশা আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার সামনেই অনেকের কাছ থেকে সিটি করপোরেশন নির্ধারিত টাকার বাইরে পাঁচ শ থেকে সাত শ টাকা বাড়তি নেওয়া হয়েছে। টাকা ছাড়া কথাও বলা যায় না এ অফিসের লোকদের সঙ্গে।’

অভিযোগের ব্যাপারে ওয়াহিদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ভবনের অঞ্চল-১ অফিসে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হোল্ডিং ট্যাক্স শাখায় আরিফ নামে এক ব্যক্তি অফিসটির মো. ফারুককে পাঁচ হাজার টাকা দেন। টাকার পরিমাণ নিয়ে বেশ বাগিবতণ্ডাও হয় দুজনের। কিন্তু পাঁচ হাজার টাকা দিয়েই দ্রুত কেটে পড়েন আরিফ। কেন ফারুককে অর্থ দিলেন তা জিজ্ঞেস করতেই উত্তর না দিয়ে দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন আরিফ। আর খাবার খাওয়ার অজুহাতে কক্ষ ত্যাগ করেন ফারুক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আরিফ ঘুষের বিনিময়ে হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য কাজ করিয়ে দেন ডিএসসিসিতে।

সম্প্রতি রাজধানীবাসীর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান দুই সিটি করপোরেশনের দশটি আঞ্চলিক কার্যালয় ঘুরে এবং শতাধিক সেবাগ্রহীতার সঙ্গে কথা বলে ঘুষ গ্রহণ এবং হয়রানির এমন আরো ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে। সেবা নিতে হলে ঘুষ দিতে হবে এটিকে অনেকটা নিয়মে পরিণত করেছে সব কটি আঞ্চলিক অফিসের ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধন ও হোল্ডিং ট্যাক্স শাখা বিভাগ। তবে তিন শাখার মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স শাখার চিত্র সবচেয়ে ভয়াবহ বলে অভিযোগ করেছেন সেবাগ্রহীতারা। আবার সেবা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রহীন ব্যক্তিরা দ্রুত ও সহজে সেবা নিতে দালাল বা কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছায় ঘুষ দেয় বলেও জানা গেছে। ডিএসসিসির মেয়র ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এসব অভিযোগ স্বীকার করলেও অস্বীকার করেছেন ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা।

ভুক্তভোগীরা জানান, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়ন করতে জনপ্রতি এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়। টাকার পরিমাণ নির্ভর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ওপর। প্রয়োজনীয় কাগজ না থাকলে ঘুষের পরিমাণও বাড়ে। এ ছাড়া জন্ম নিবন্ধন করতে দিতে হয় দুইশ থেকে পাঁচশ টাকা। তবে আগে জন্ম নিবন্ধন করা থাকলে সে ক্ষেত্রে ঘুষের টাকার পরিমাণ বাড়ে। হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ক্ষেত্রে নেওয়া হয় পাঁচশ থেকে এক হাজার টাকা ঘুষ।

গত ২৭ সেপ্টেম্বর ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ অফিসে ট্রেড লাইসেন্স করতে আসা শেখেরটেক এলাকার শাকিরা নামে এক নারী বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স শাখায় টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। দুইশ টাকার বইয়ের জন্য আমার কাছ থেকে পাঁচশ টাকা নেওয়া হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্সের ক্ষেত্রেও ঘুষ দিলে কম-বেশি করিয়ে দেয় ওরা।’

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডিএনসিসির মোট পাঁচটি আঞ্চলিক অফিসে অর্ধশতাধিক দালাল সক্রিয়। এ ছাড়া এসব অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তারাও ঘুষের বিনিময়ে সেবা প্রদান করে থাকেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট শাখা ছাড়াও অন্যান্য শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ঘুষ নিয়ে সেবা প্রদান করেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ট্রেড লাইসেন্স শাখার লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজারদের সঙ্গে যোগসাজশে ঘুষ দেওয়া ব্যক্তিদের কাজ দ্রুত করিয়ে দেন তাঁরা। এক শাখায় দায়িত্বরত কর্মীরা অনুমতি ছাড়া কিভাবে অন্য শাখায় কাজ করে তার উত্তরও জানা নেই কর্মকর্তাদের।

ডিএনসিসির অঞ্চল-২ অফিসে লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজারের সামনেই মো. বাবুল নামে প্রকৌশল শাখার চেইনম্যানকে অর্থ সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।

একই রকম অভিযোগ ডিএনসিসির অঞ্চল-১ অফিসের কর্মচারী মাফিদুল ইসলাম, অঞ্চল-৩ অফিসের স্বাস্থ্য বিভাগের নমুনা সংগ্রহকারী পরিচয় দেওয়া আনোয়ার হোসেন, জন্ম নিবন্ধন শাখায় কর্মরত পিয়ন মো. রহমান এবং সাবিনা আক্তারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়া গেছে অঞ্চল-৪-এর অফিস পিয়ন রুমা আক্তার এবং ট্রেড লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার বুলবুল আহমেদের বিরুদ্ধেও। এ ছাড়া অঞ্চল-৫-এর প্রকৌশল শাখার পিয়ন দুলালও জড়িত একই কাজে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অফিসেই দালালরা নিজেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখতে প্রকৃত নাম গোপন করে ছদ্মনাম ব্যবহার করে।

অঞ্চল-৩-এর স্বাস্থ্য বিভাগের নমুনা সংগ্রহকারী পরিচয় দেওয়া আনোয়ার হোসেন ঘুষের বিনিময়ে সব কটি আঞ্চলিক অফিসে কাজ করিয়ে দিতে পটু। ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ অফিসের ১৮ সেপ্টেম্বর ট্রেড লাইসেন্স শাখায় পাওয়া যায় তাঁকে। অঞ্চল-১ অফিসের ট্রেড লাইসেন্স শাখায়ও গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা হয় আনোয়ার হোসেনের। দুই স্থানেই লাল-সাদা চেক শার্ট এবং কালো রঙের ঢোলা প্যান্ট পরা ছিলেন তিনি। হাতে ছিল ট্রেড লাইসেন্স আবেদনের একাধিক ফাইলসংবলিত শপিং ব্যাগ।

আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে সঠিক পরিচয় কেউ দিতে চায় না। আমি অফিসরাদের দিয়ে দ্রুত কাজ করিয়ে দিই। বিনিময়ে প্রতিটি কাজ থেকে দুই-এক হাজার টাকা নিই। এটা অবৈধ কিছু না। টাকার ভাগ অফিসরাদেরও দিতে হয়।’

হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে এসে হয়রানির শিকার হওয়ার নজিরও রয়েছে অফিসটিতে। ট্যাক্স পরিশোধ করতে আসা উত্তরার জোয়ার সাহারা এলাকার আহসান হাবিব জানান, ‘সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা আমার হোল্ডিং নম্বর ভাড়াটিয়ার নামে নথিভুক্ত করেছেন। এখন হোল্ডিং নম্বর পরিবর্তন করতে পারছি না। তাঁদের ভুলের জন্য আমাকে নানা অফিসে দৌড়াতে হচ্ছে।’

সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুষের টাকা লেনদেন এবং সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করা হলেও বিষয়টি অজানা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের।

অঞ্চল-২-এর নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম ফকির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন শাখার কিছু অভিযোগ জানি আমি। তবে ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স শাখায় অনৈতিক লেনদেন বা হয়রানির বিষয়টি আমার জানা নেই।’

ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, ‘দ্রুত সেবা দেওয়ার কড়া নির্দেশনা দেওয়া আছে আঞ্চলিক অফিসগুলোকে। এর ব্যত্যয়ের কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পাঁচটি আঞ্চলিক অফিসের চিত্রও একই রকম। তবে অঞ্চল-৪ অফিসের সেবা প্রদান তুলনমূলক ভালো বলে জানিয়েছেন সেবাগ্রহীতারা। এই পাঁচ অফিসেও সক্রিয় অর্ধশতাধিক দালাল। এ ছাড়া ঘুষ লেনদেন সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে কর্মকর্তারা অফিসে আসার সময় পরিচিত দালালদের সঙ্গে করে নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অঞ্চল-২-এ কর্মরত এক আনসার সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখানে অর্থ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বড় স্যাররা অফিসে আসার সময় দালালদের সঙ্গে করে নিয়ে আসেন।’

ডিএসসিসির অঞ্চল-১ হোল্ডিং ট্যাক্স বিভাগের অফিস সহকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ফারুক নামে দুই ব্যক্তি জড়িত অর্থ লেনদেনে। এ ছাড়া অঞ্চল-২-এর কর শাখায় কর্মরত নজরুল ইসলাম এবং শিল্পী নামে এক পিয়নকে সরাসরি অর্থ লেনদেন করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া আট হাজার টাকার বিনিময়ে করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস এই প্রতিবেদককেও দেন তারা। অঞ্চল-৩ অফিসে ট্রেড লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার আবুল কালাম খান প্রকাশ্যেই নেন ঘুষ। দুই শ টাকার বই নিতে তাঁকে দিতে হয় চার শ টাকা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে। তবে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি কালের কণ্ঠ’র কাছে অস্বীকার করেছেন আবুল কালাম আজাদ।

তবে আবুল হোসেন নামে ইমামগঞ্জের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দুই শ টাকার বই নেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে পাঁচ শ টাকা। আবুল কালাম খান আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।’

অঞ্চল-৫ অফিসে দায়িত্বরত লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার ইকবাল আহমেদ, অফিস সহকারী আবুল কালাম, জন্ম নিবন্ধন শাখার কম্পিউটার অপারেটর ওয়াহিদের বিরুদ্ধেও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করেছেন সেবা গ্রহণকারীরা।

এ ব্যাপারে ওয়ারীর লারমিনি স্ট্রিটের বাসিন্দা রেজানুর রহমান রাজু বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে ইকবাল আহমেদ এক হাজার তিন শ টাকার পরিবর্তে তিন হাজার টাকা দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত এক সিনিয়র কর্মকর্তাকে জানালে ফি কমিয়ে দেন তিনি।’

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার বলেন, ‘কিছু অভিযোগ আছে আমাদের কাছে। তবে কর্মকর্তাদের চেয়ে বেশি হয়রানি এবং ঘুষ গ্রহণ করে দালালরা। আগামী বছর থেকে সম্পূর্ণ অনলাইনে সেবা কার্যক্রম শুরু হবে। তখন এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।’

এ ব্যাপারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘নানা সময় আমাদের কাছে দালালচক্র ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। কিন্তু এগুলো লিখিত আকারে না আসায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। এর আগে র‌্যাব বেশ কয়েকজন দালালকে ধরেছেও হাতেনাতে।’

  • কার্টসি: কালেরকন্ঠ / ০৩ অক্টোবর ২০১৮

ঘুষের দায়ে দুদক কর্মচারী বরখাস্ত

মিথ্যা পরিচয়ে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট শাখাকে ভয় দেখিয়ে ও জিম্মি করে ১০ লাখ টাকার বেশি ঘুষ নেয়ার অপরাধে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছে এক কনস্টেবল। তার নাম আসাদুজ্জামান। তিনি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) নিরাপত্তা শাখার কর্মচারী। গতকাল মঙ্গলবার ওই কনস্টেবলকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে দুদক। প্রাথমিক তদন্তে এ ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এখন পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে সে অনুযায়ী মামলা করবে দুদক। দোষী প্রমাণিত হলে শাস্তির পাশাপাশি নেয়া হবে বিভাগীয় ব্যবস্থা। তিন মাসের মধ্যেই বিচার কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য্য।

তিনি বলেন, কনস্টেবল আসাদুজ্জামান যে প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে ঘুষ নিয়েছেন, সেটির বিরুদ্ধে ভ্যাট ফাঁকির মামলা রয়েছে। ওই মামলার কথা বলে প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে আসাদুজ্জামান তাদের কাছ থেকে তিন দফায় ১০ লাখের বেশি টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

কনস্টেবলের বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (প্রশাসন) মোহাম্মদ মুনীর চৌধুরীও। তিনি বলেন, দুদকের অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা নজরদারি চলছে। অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে দুদক দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। 
  • কার্টসি: মানবজমিন/ ০৩ অক্টোবর ২০১৮

হাতিরঝিলে মামলা, কিছুই দেখেনি এলাকাবাসী

শুভ্র দেব 

পুলিশের মামলার এজাহারে তারিখ লেখা হয়েছে ৩০শে সেপ্টেম্বর রোববার। ঘটনার সময় দেয়া হয়েছে রাত ৮টা ৫ মিনিট। ঘটনার স্থান মগবাজার রেলগেট। মামলার বাদী পুলিশের উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম। মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা রাষ্ট্রীয় নাশকতা ও ষড়যন্ত্রমূলক কার্যক্রম করার জন্য রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটিয়েছেন। এ ছাড়া যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশের ওপর আক্রমণ, হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করার জন্য ককটেল বিস্ফোরণ করেছেন। মামলায় বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা ছাড়াও আসামি করা হয়েছে ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, জামায়াত ও শিবিরের শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের। এই মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতাকর্মীদের মধ্যে মির্জা আব্বাসকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে।

বাকিরা হলেন- গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার, রুহুল কবীর রিজভী। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেও আসামি করা হয়েছে। এদের মধ্যে আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী সমাবেশের আগে থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন। তারপরও তাকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এজাহারে বলা হয়েছে এই নেতারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশে সরকারবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান ও বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন। 

পুলিশের এমন অভিযোগের পর গতকাল ওই এলাকায় খোঁজ নিয়ে এমন কোনো ঘটনা ঘটার সত্যতা পাওয়া যায়নি। বরং এমন কোনো ঘটনা ঘটেছে কিনা জানতে চাইলে বিস্মিত হয়েছেন অনেকে। আবার কেউ কেউ বলছেন ভৌতিক বিষয় সামনে এনে এসব মামলায় জনগণের আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ক্রমেই কমছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন শুধু বিএনপির সমাবেশের দিন কেন গত কয়েক বছরে ককটেল বিস্ফোরণ, মারামারি, পুলিশের ওপর হামলার কোনো ঘটনা ঘটতে দেখা যায়নি। মগবাজার রেলগেট থেকে ১০ হাত দূরে চা-পান বিক্রি করেন মুজিবুর রহমান। ওই দিন রাতের বেলা তার দোকান খোলা ছিল। 

তিনি বলেন, অনেক সময় কাজের ব্যস্ততার জন্য অনেক কিছু চোখে পড়ে না আবার দেখাও যায় না। তবে এধরনের কোনো ঘটনা ঘটলে এলাকায় একটা আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ত। আর রেলগেট তো আমার চোখের সামনে। কিছু ঘটলে অবশ্যই চোখে পড়ত। কোনো শব্দও শুনতে পাইনি। ইউনিভার্স মটরর্সের কর্মী রহিম বলেন, আমি ওই রাতে ডিউটিতে ছিলাম। মারামারি বা ককটেল বিস্ফোরণের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারো মুখে এ ধরনের কোনো ঘটনার কথাও শুনিনি।

মগবাজার রেলগেট থেকে এফডিসি রেলগেট পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ পান-সিগারেট বিক্রেতা আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, আমার যতটুকু মনে পড়ে ওই দিন সাড়ে ৮টার দিকে আমি এই এলাকায় ছিলাম। আমি একসঙ্গে অনেক লোক জমায়েত হতে দেখিনি। স্বাভাবিক ভাবেই যানবাহন চলাচল করছিল। কোনো যানবাহন ভাঙচুর হতে দেখিনি। রেলগেটের খুব কাছেই অবস্থান আকরাম অটো পার্টস ও সার্ভিসিং সেন্টারের। আকরাম বলেন, মগবাজার এলাকায় এখন আর এসব হয় না। এখানে কিছু ঘটলে আমরা জানতে পারি। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেনি। 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা বেআইনিভাবে সড়ক অবরোধ ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপ না করার জন্য পুলিশের অনুরোধ উপেক্ষা করে পুলিশের ওপর আক্রমণসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এ সময় আশেপাশে থাকা ২টি সিএনজি ও ১টি বলাকা বাস ভাঙচুর করে। ভাঙচুরের কারণে ক্ষতির পরিমাণ উল্লেখ করা হয়েছে ১ লাখ টাকা। গাড়িগুলো নিজেদের আত্মরক্ষার্থে দ্রুত চলে যাওয়ার কারণে গাড়িগুলোর নম্বর রাখা সম্ভব হয়নি। কিন্তু গতকাল রাজধানীতে চলাচলকারী বলাকা বাসের অন্তত ২০ জন চালক ও তাদের সহযোগীদের সঙ্গে কথা বলে বলাকা বাস ভাঙচুরের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। মগবাজার এলাকায় বলাকা বাসের চালক শরীফ বলেন, আমাদের  কোনো বাস দুর্ঘটনার কবলে পড়লে বা অন্য কোনো ঘটনার শিকার হলে আমরা খবর পাই। তবে বিএনপির সমাবেশের দিনে কোনো বাস ভাঙচুর হয়েছে বলে আমার জানা নাই।  অপর এক বাসের চালকের সহকারী আলম জানান, সড়কে চলাচল করলে আমাদের বলাকা বাসের সব খবরই আমরা কোনো না কোনোভাবে পেয়ে যাই। তবে গত কয়েকদিন ধরে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি।

পুলিশ বলছে, এসব ঘটনার পর জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টাকালে কুমিল্লা জেলা বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মোবাশ্বের আলম ভুঁইয়া, বাড্ডা থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মো. আওলাদ হোসেন, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৪৮নং ওয়ার্ড কমিশনার মো. শফিউদ্দিন, ১৮নং গুলশান থানার বিএনপি সভাপতি রাশেদ বিন সোলায়মান, ভালুকা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, ৪১নং সাতারকুল বাড্ডা থানার যুবদল সভাপতি মো. সামছুল হক, লাঙ্গলকোট থানা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শিহাব খন্দকারকে গ্রেপ্তার করা হয়। সোমবার তাদেরকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালত তাদের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। 

মামলার বাদী হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, ঘটনাটি খুবই ক্ষণিকের। একদিকে গাড়ি চলাচল করছে অন্যদিকে এই ঘটনা ঘটেছে। একটি বাস আরেকটি বাসের সঙ্গে সংঘর্ষ লাগলে যে ধরনের শব্দ হয় ঠিক সে ধরনের শব্দই হয়েছিল। আশেপাশের লোকজন বুঝে উঠার আগে বিষয়টি শেষ হয়ে যায়। 

তিনি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে আমাদের অবস্থান কাছেই ছিল। আমরা আগে থেকেই সতর্ক ছিলাম। ওইদিন রাত সাড়ে আটটার দিকে ডিউটিরত অবস্থায় খবর পেয়ে মগবাজার রেলগেট এলাকায় এ ধরনের পরিস্থিতি দেখতে পাই। তখন আশেপাশে থাকা পুলিশের আরো কয়েকটি টিম মিলিত হই। আমাদের বাধা উপেক্ষা করে তারা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। আমাদের ওপর লাঠি দিয়ে হামলা করে। গাড়ি ভাঙচুরের বিষয়টি আশেপাশের মানুষ টের পায়নি বলে ককটেল বিস্ফোরণের শব্দও কি কেউ টের পায়নি এমন প্রশ্নে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, গাড়ির সংঘর্ষের শব্দের মতো হওয়ায় কেউ আর বুঝেনি।
  • কার্টসি: মানবজমিন/ ০৩ অক্টোবর ২০১৮

Bangladesh lags behind peers in internet usage

LIRNEasia survey finds


Bangladesh is still lagging behind its peers in Asia when it comes to internet usage and its awareness, found a recent survey.

Only 33 percent of the population aged 15-65 in Bangladesh know what the internet is, according to the 'AfterAccess' survey conducted by LIRNEasia, an Asia Pacific-based think-tank, between April last year and June this year.

Only 13 percent of the population in Bangladesh use the internet, the lowest among the countries surveyed in Asia.

However, according to the Bangladesh Telecommunication Regulatory Commission, at the end of August there are 9.05 crore active internet connections in the country, meaning the internet penetration is more than 50 percent.

The survey interviewed 2,000 households and individuals from 100 wards and villages in 40 districts on a range of topics related to the use of mobile phones, internet, social media and other platforms.

The urban-rural gap in internet use was large in most countries, with rural dwellers lagging behind as much as 48 percent in India and 38 percent in Bangladesh.

The gender gap in internet use was markedly large in Bangladesh: 62 percent.

“Bangladesh has the worst gender gap not only in internet use but for mobile phone use as well as access of mobile phone,” said Helani Galpaya, chief executive officer of LIRNEasia, while unveiling the report at an event held at the capital's Pan Pacific Sonargaon hotel.

The cost of data was cited as a primary limitation to greater use by 30 percent of the internet users in Bangladesh -- the highest amongst the surveyed Asian countries.

Some 18 percent of the survey respondents in India and Pakistan quoted the data cost as a deterrent to greater internet usage, 29 percent in Nepal and 5 percent in Cambodia.

Bangladesh though fared better when it came to mobile phone ownership; in fact, it had the highest percentage of mobile phone usage among the Asian countries surveyed.

Some 74 percent of the 15- to 65-year-olds in Bangladesh have mobile phones, followed by Nepal at 72 percent, Cambodia at 68 percent, both India and Myanmar at 61 percent, and Pakistan at 57 percent.

Pakistan and Bangladesh had very small gaps -- 5 percent and 7 percent respectively -- indicating that rural dwellers are almost as likely to a mobile phone as urban dwellers.

The gender gap was the highest in India, with women 46 percent less likely to own a mobile phone than men. In Bangladesh the percentage is 34 percent, which is lower than Pakistan (37 percent) but higher than Nepal (19 percent), Myanmar (28 percent) and Cambodia (20 percent).

About 60 percent of the population in Bangladesh have internet-enabled handsets, which is the same as in Nepal but higher than India (45 percent), Pakistan (47 percent) and Cambodia (58 percent).

Bangladesh, however, has the highest number of users of mobile financial service in all countries surveyed. Around 27 percent of all mobile phone owners said they used MFS.

Awareness of websites or mobile apps to buy and sell goods or services was not particularly high in Bangladesh and Nepal, according to the survey.

Less than a quarter of the internet users in Bangladesh are aware of the various kinds of platforms for buying and selling goods and services. “When looking at overall numbers, usage was negligible.”

The main reason cited for non-use of the platforms was the lack of capability to use them, the survey found.

The report highlights the key issues in the telecommunications sector and provides deep insights on the disparity in use of mobile phones, internet, social media and platforms, Abu Saeed Khan, senior policy fellow at LIRNEasia, said at the event.

“It also underscores the potential for growth of a Digital Bangladesh, and we must use this data to inform future policy, regulatory and industry decisions,” he added.

Mahtab Uddin Ahmed, chief executive officer and managing director of Robi, who was present at the event, said the mobile operators face huge amount of challenges from the regulatory side, which is holding them back from achieving optimum growth.

Bangladesh has one of the lowest revenue per user but it is amongst the highest taxed countries, he said.

“The licensing regime is going against time. There are no consistencies in the policies, which is also hindering investors from investing more,” Ahmed added.

Michael Patrick Foley, chief executive officer of Grameenphone, said the industry has invested billions of dollars as there is potential, but the regulatory issues are holding them back.

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 03, 2018

One-third population financially excluded

Experts blame high cost of financial transaction


One-third of the population in Bangladesh is still financially excluded because of the high cost of financial transaction and poor regulations, experts said yesterday.

Other major reasons for the exclusion include lack of banks' dedication to offer diversified services, existing collateral-based system for loan disbursement, low level of financial literacy, and information asymmetry, they said.

The observations came at the inaugural session of a workshop on rural financial inclusion, at Radisson hotel in Dhaka.

Bank Asia and the World Savings and Retails Banking Institute (WSBI) jointly organised the three-day event to focus on widening the access to basic financial services for people living in rural areas.

More than 50 banking leaders from nine countries in Asia took part in the event.

Mustafa K Mujeri, executive director of the Institute for Inclusive Finance and Development, said Bangladesh is performing well in terms of financial inclusion. But 33 percent of its people are still deprived of getting facilities from formal banks, non-banks and microfinance institutions.

Referring to a survey carried out by US-based InterMedia in 2016, Mujeri said 18 percent of the people aged over 15 have a full service account with banks and 22 percent are unbanked but have a multipurpose financial account with mobile financial services, agent banking or other formal channels.

Another 32 percent have access to the informal financial sector, he said.

The former director general of the Bangladesh Institute of Development Studies stressed the need for reducing the transaction cost and strengthening the regulatory frameworks to bring the unbanked people under the financial system.

Mohammed Arfan Ali, managing director of Bank Asia, said financial inclusion is a frequently discussed topic in Bangladesh as a huge number of people do not have access to banks. It is crucial to have them on board, Ali said.

Except a few banks, many lenders, both public and private, are still far away from helping the unbanked people, he said.

Ali said the major reasons for maintaining the distance from the unbanked people are the profitability issue and the infrastructural ecosystem that comes with serving the underserved.

He, however, said banks alone cannot be blamed for this inadequacy of financial inclusion.

“There are many other barriers in the financial sector that we face to give a boost to the financial inclusion,” he said, citing the lack of proper infrastructure and low literacy rate.

Ali said technological innovation, introduction of alternative business models and accessibility of data can create a unique opportunity to drive financial inclusion.

Mina Zhang, senior adviser of the WSBI, said inability and high cost of financing for micro-enterprises remains a common challenge in rural areas for most countries.

“Rural areas are still cash-dominant. Bringing the illiterate rural villagers to the formal financial system and comforting them to use the service is very costly,” she said.

SM Moniruzzaman, deputy governor of the central bank, said financial inclusion has become one of the country's core strategies to achieve the sustainable development goals and the Seventh Five-Year Plan.

This is the second WSBI workshop. The first one was held in Beijing last year.

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 03, 2018

BNP in Run-up to Polls: Case-spree hints at a rough ride


The case filing spree that resumes after about three years' gap is making BNP leaders rethink strategies as they fear the days before the national elections will not be smooth for them.

Before this, several hundred cases were filed against the party men between 2013 and 2015. And charge sheets were submitted against senior BNP leaders in a number of cases.

The government has started implicating the BNP top brass again this year not only to weaken the party before the polls but also to provoke it into resorting to violence, the leaders alleged.

But the BNP high-ups want to move ahead defying all obstacles without walking into the trap, they added.

"We're not bothered about the cases. This is an old trick of the government. We will have to move forward despite such odds," BNP Secretary General Mirza Fakhrul Islam Alamgir told The Daily Star yesterday.

"We will stage demonstrations tomorrow [today] and the day after tomorrow. We will hold more programmes step by step," he said.

More than a dozen cases were filed against senior BNP leaders on Monday, a day after the party high-ups asked its activists and supporters to prepare for both polls and movement from a rally at Suhrawardy Udyan.

While BNP Chairperson Khaleda Zia is in jail on graft charges, other top leaders including standing committee members, joint and organising secretaries now remain burdened with cases.

Mirza Fakhrul said the government filed as many as 4,098 cases against nearly 300,000 BNP men and arrested at least 4,300 activists in September alone.

"These are nothing but baseless and ghostly cases filed with political motives," said Fakhrul, accused in 87 cases.

Ruhul Quddus Talukder Dulu, one of the organising secretaries facing 107 cases now, said the government is filing false cases one after another as it has become desperate towards the end of its tenure.

"We are not worried about new cases. We have only two concerns now -- election and movement," he said.

A mid-ranking leader, wishing anonymity, said they will observe the situation till the announcement of election schedule. "We will go for movement only after the announcement of the election schedule."

The filing of fresh cases has prompted the BNP leaders to seek anticipatory bails from the High Court. Moudud Ahmed and Sanaullah Miah yesterday secured that in two separate cases filed on Monday.

Moudud, a standing committee member, is accused in 28 cases, while pro-BNP lawyer Sanaullah faces at least 9 cases. 

"The government wants to keep us away from the election and from movement, but we will not budge from our stances,” Khandakar Mosharraf Hossain told The Daily Star.

Mosharraf, another standing committee member, is facing 17 cases.

“The government is moving ahead with an outline for a one-sided and silent election without people's participation,” BNP Senior Joint Secretary General Ruhul Kabir Rizvi said at a press briefing at the party's Nayapaltan headquarters.

“Filing of the cases against our senior leaders is the first step towards implementing their plan"

He said police are always ready with a format of fictitious charges to arrest BNP leaders and activists, and implicate them in cases. “They used the same format to file cases against our senior leaders in the past.”

  • Courtesy: The Daily Star /Oct 03, 2018