শাখাওয়াত হোসাইন
মিরপুর পল্লবী এলাকার ৯৪৯ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মনিরুজ্জামান মীরদাহর একটি ওষুধের দোকান আছে ওই এলাকায়। দোকানটির লাইসেন্স নবায়ন এবং নাম পরিবর্তনের জন্য সপ্তাহজুড়ে ঘুরছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) অঞ্চল-২ অফিসে।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর একই কাজে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত অফিসটিতে আসেন তিনি। দোকানটির নাম পরিবর্তনের জন্য দুই হাজার পাঁচ শ টাকার বিপরীতে সাত হাজার টাকা চাওয়া হয় মনিরুজ্জামানের কাছে। এ ছাড়া লাইসেন্স বই নবায়নের জন্য চাওয়া হয় এক হাজার টাকা। অথচ বইয়ের দাম মাত্র দুইশ টাকা।
সিটি করপোরেশনের ধার্য করা টাকা ছাড়া বাড়তি কোনো অর্থ দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় প্রকাশ্যে মনিরুজ্জামানের কাগজপত্র ছুড়ে ফেলা হয় ট্রেড লাইসেন্স শাখার মেঝেতে। অথচ যে ব্যক্তি ফাইল ছুড়ে ফেলেন তিনি লাইসেন্স শাখার কেউ না। সুঠাম দেহের অধিকারী, চোখে চশমা ও গায়ে ঘিয়ে রঙের ফতুয়া জড়িয়ে অনায়াসে ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন ও ইস্যু করার নামে ঘুষ গ্রহণ করতে দেখা গেছে তাঁকে। ডিএনসিসির অঞ্চল-২ অফিসে ঘুষের বিনিময়ে ট্রেড লাইসেন্সসহ যেকোনো কাজ করে দিতে সক্ষম এই ব্যক্তিটির নাম মো. বাবুল। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাবুল অঞ্চল-৩ অফিসের প্রকৌশল শাখার চেইনম্যান।
মনিরুজ্জামানকে অনুসরণ করে একটু এগিয়ে পরিচয় দিয়ে জিজ্ঞেস করতেই তিনি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘দ্রুত সেবা দেওয়ার নামে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা ঘুষ নেয় বাবুলসহ দশজনের বেশি দালাল ও কর্মচারী। ঘুষ না দেওয়ায় আমাকে সবার সামনে নাজেহাল হতে হলো।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমি গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা যুবলীগের সহসভাপতি। আমার পরিচয় জানার পরও বাবুল আমার কাছে ঘুষ চেয়েছে।’
জানতে চাইলে প্রকৌশল শাখার চেইনম্যান মো. বাবুল বলেন, ‘আমি প্রকৌশল শাখায় কাজ করি। উনার লাইসেন্স নবায়নের কাজ প্রতিবছর আমিই করে দিই। মানুষের কাজ করে দিয়ে হাজারখানেক খরচের টাকা নিই।’
সাবিনা ইয়াসমিন নামে এক নারীর জন্ম নিবন্ধন করতে গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অঞ্চল-৫ অফিসে আসেন তাঁর মেয়ে আয়েশা আলী। দ্রুত সময়ে সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতি দিয়ে জন্ম নিবন্ধন শাখার মো. ওয়াহিদ পাঁচশ টাকা নেন। কাজ হয়ে গেলে সরকারি ফি ছাড়াও আরো দুইশ টাকা দিতে হবে ওয়াহিদকে। কিন্তু সাবিনা ইয়াসমিনের জাতীয় পরিচয়পত্রের নামে ভুল থাকায় জন্ম নিবন্ধন সনদ দিতে পারেননি ওয়াহিদ।
আয়েশা আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমার সামনেই অনেকের কাছ থেকে সিটি করপোরেশন নির্ধারিত টাকার বাইরে পাঁচ শ থেকে সাত শ টাকা বাড়তি নেওয়া হয়েছে। টাকা ছাড়া কথাও বলা যায় না এ অফিসের লোকদের সঙ্গে।’
অভিযোগের ব্যাপারে ওয়াহিদ কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) ভবনের অঞ্চল-১ অফিসে গত ২৭ সেপ্টেম্বর হোল্ডিং ট্যাক্স শাখায় আরিফ নামে এক ব্যক্তি অফিসটির মো. ফারুককে পাঁচ হাজার টাকা দেন। টাকার পরিমাণ নিয়ে বেশ বাগিবতণ্ডাও হয় দুজনের। কিন্তু পাঁচ হাজার টাকা দিয়েই দ্রুত কেটে পড়েন আরিফ। কেন ফারুককে অর্থ দিলেন তা জিজ্ঞেস করতেই উত্তর না দিয়ে দ্রুত অফিস ত্যাগ করেন আরিফ। আর খাবার খাওয়ার অজুহাতে কক্ষ ত্যাগ করেন ফারুক। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আরিফ ঘুষের বিনিময়ে হোল্ডিং ট্যাক্সসহ অন্যান্য কাজ করিয়ে দেন ডিএসসিসিতে।
সম্প্রতি রাজধানীবাসীর সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান দুই সিটি করপোরেশনের দশটি আঞ্চলিক কার্যালয় ঘুরে এবং শতাধিক সেবাগ্রহীতার সঙ্গে কথা বলে ঘুষ গ্রহণ এবং হয়রানির এমন আরো ভয়াবহ তথ্য পাওয়া গেছে। সেবা নিতে হলে ঘুষ দিতে হবে এটিকে অনেকটা নিয়মে পরিণত করেছে সব কটি আঞ্চলিক অফিসের ট্রেড লাইসেন্স, জন্ম নিবন্ধন ও হোল্ডিং ট্যাক্স শাখা বিভাগ। তবে তিন শাখার মধ্যে ট্রেড লাইসেন্স শাখার চিত্র সবচেয়ে ভয়াবহ বলে অভিযোগ করেছেন সেবাগ্রহীতারা। আবার সেবা নেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রহীন ব্যক্তিরা দ্রুত ও সহজে সেবা নিতে দালাল বা কর্মকর্তাদের স্বেচ্ছায় ঘুষ দেয় বলেও জানা গেছে। ডিএসসিসির মেয়র ও প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা এসব অভিযোগ স্বীকার করলেও অস্বীকার করেছেন ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র মো. জামাল মোস্তফা।
ভুক্তভোগীরা জানান, ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু এবং নবায়ন করতে জনপ্রতি এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন হাজার টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেওয়া হয়। টাকার পরিমাণ নির্ভর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের ওপর। প্রয়োজনীয় কাগজ না থাকলে ঘুষের পরিমাণও বাড়ে। এ ছাড়া জন্ম নিবন্ধন করতে দিতে হয় দুইশ থেকে পাঁচশ টাকা। তবে আগে জন্ম নিবন্ধন করা থাকলে সে ক্ষেত্রে ঘুষের টাকার পরিমাণ বাড়ে। হোল্ডিং ট্যাক্স পরিশোধের ক্ষেত্রে নেওয়া হয় পাঁচশ থেকে এক হাজার টাকা ঘুষ।
গত ২৭ সেপ্টেম্বর ডিএনসিসির অঞ্চল-৫ অফিসে ট্রেড লাইসেন্স করতে আসা শেখেরটেক এলাকার শাকিরা নামে এক নারী বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স শাখায় টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। দুইশ টাকার বইয়ের জন্য আমার কাছ থেকে পাঁচশ টাকা নেওয়া হয়েছে। হোল্ডিং ট্যাক্সের ক্ষেত্রেও ঘুষ দিলে কম-বেশি করিয়ে দেয় ওরা।’
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ডিএনসিসির মোট পাঁচটি আঞ্চলিক অফিসে অর্ধশতাধিক দালাল সক্রিয়। এ ছাড়া এসব অফিসের কর্মচারী-কর্মকর্তারাও ঘুষের বিনিময়ে সেবা প্রদান করে থাকেন। এমনকি সংশ্লিষ্ট শাখা ছাড়াও অন্যান্য শাখায় নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও ঘুষ নিয়ে সেবা প্রদান করেন এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। ট্রেড লাইসেন্স শাখার লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজারদের সঙ্গে যোগসাজশে ঘুষ দেওয়া ব্যক্তিদের কাজ দ্রুত করিয়ে দেন তাঁরা। এক শাখায় দায়িত্বরত কর্মীরা অনুমতি ছাড়া কিভাবে অন্য শাখায় কাজ করে তার উত্তরও জানা নেই কর্মকর্তাদের।
ডিএনসিসির অঞ্চল-২ অফিসে লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজারের সামনেই মো. বাবুল নামে প্রকৌশল শাখার চেইনম্যানকে অর্থ সংগ্রহ করতে দেখা গেছে।
একই রকম অভিযোগ ডিএনসিসির অঞ্চল-১ অফিসের কর্মচারী মাফিদুল ইসলাম, অঞ্চল-৩ অফিসের স্বাস্থ্য বিভাগের নমুনা সংগ্রহকারী পরিচয় দেওয়া আনোয়ার হোসেন, জন্ম নিবন্ধন শাখায় কর্মরত পিয়ন মো. রহমান এবং সাবিনা আক্তারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পাওয়া গেছে অঞ্চল-৪-এর অফিস পিয়ন রুমা আক্তার এবং ট্রেড লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার বুলবুল আহমেদের বিরুদ্ধেও। এ ছাড়া অঞ্চল-৫-এর প্রকৌশল শাখার পিয়ন দুলালও জড়িত একই কাজে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অফিসেই দালালরা নিজেদের ধরাছোঁয়ার বাইরে রাখতে প্রকৃত নাম গোপন করে ছদ্মনাম ব্যবহার করে।
অঞ্চল-৩-এর স্বাস্থ্য বিভাগের নমুনা সংগ্রহকারী পরিচয় দেওয়া আনোয়ার হোসেন ঘুষের বিনিময়ে সব কটি আঞ্চলিক অফিসে কাজ করিয়ে দিতে পটু। ডিএনসিসির অঞ্চল-৩ অফিসের ১৮ সেপ্টেম্বর ট্রেড লাইসেন্স শাখায় পাওয়া যায় তাঁকে। অঞ্চল-১ অফিসের ট্রেড লাইসেন্স শাখায়ও গত ২৭ সেপ্টেম্বর এই প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা হয় আনোয়ার হোসেনের। দুই স্থানেই লাল-সাদা চেক শার্ট এবং কালো রঙের ঢোলা প্যান্ট পরা ছিলেন তিনি। হাতে ছিল ট্রেড লাইসেন্স আবেদনের একাধিক ফাইলসংবলিত শপিং ব্যাগ।
আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এখানে সঠিক পরিচয় কেউ দিতে চায় না। আমি অফিসরাদের দিয়ে দ্রুত কাজ করিয়ে দিই। বিনিময়ে প্রতিটি কাজ থেকে দুই-এক হাজার টাকা নিই। এটা অবৈধ কিছু না। টাকার ভাগ অফিসরাদেরও দিতে হয়।’
হোল্ডিং ট্যাক্স দিতে এসে হয়রানির শিকার হওয়ার নজিরও রয়েছে অফিসটিতে। ট্যাক্স পরিশোধ করতে আসা উত্তরার জোয়ার সাহারা এলাকার আহসান হাবিব জানান, ‘সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা আমার হোল্ডিং নম্বর ভাড়াটিয়ার নামে নথিভুক্ত করেছেন। এখন হোল্ডিং নম্বর পরিবর্তন করতে পারছি না। তাঁদের ভুলের জন্য আমাকে নানা অফিসে দৌড়াতে হচ্ছে।’
সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুষের টাকা লেনদেন এবং সেবাগ্রহীতাদের হয়রানি করা হলেও বিষয়টি অজানা আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তাদের।
অঞ্চল-২-এর নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম ফকির কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘জন্ম নিবন্ধন শাখার কিছু অভিযোগ জানি আমি। তবে ট্রেড লাইসেন্স ও হোল্ডিং ট্যাক্স শাখায় অনৈতিক লেনদেন বা হয়রানির বিষয়টি আমার জানা নেই।’
ডিএনসিসির ভারপ্রাপ্ত মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, ‘দ্রুত সেবা দেওয়ার কড়া নির্দেশনা দেওয়া আছে আঞ্চলিক অফিসগুলোকে। এর ব্যত্যয়ের কোনো অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) পাঁচটি আঞ্চলিক অফিসের চিত্রও একই রকম। তবে অঞ্চল-৪ অফিসের সেবা প্রদান তুলনমূলক ভালো বলে জানিয়েছেন সেবাগ্রহীতারা। এই পাঁচ অফিসেও সক্রিয় অর্ধশতাধিক দালাল। এ ছাড়া ঘুষ লেনদেন সহজ ও নির্বিঘ্ন করতে কর্মকর্তারা অফিসে আসার সময় পরিচিত দালালদের সঙ্গে করে নিয়ে আসেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অঞ্চল-২-এ কর্মরত এক আনসার সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখানে অর্থ ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বড় স্যাররা অফিসে আসার সময় দালালদের সঙ্গে করে নিয়ে আসেন।’
ডিএসসিসির অঞ্চল-১ হোল্ডিং ট্যাক্স বিভাগের অফিস সহকারী আব্দুল্লাহ আল মামুন এবং ফারুক নামে দুই ব্যক্তি জড়িত অর্থ লেনদেনে। এ ছাড়া অঞ্চল-২-এর কর শাখায় কর্মরত নজরুল ইসলাম এবং শিল্পী নামে এক পিয়নকে সরাসরি অর্থ লেনদেন করতে দেখা গেছে। এ ছাড়া আট হাজার টাকার বিনিময়ে করিয়ে দেওয়ার আশ্বাস এই প্রতিবেদককেও দেন তারা। অঞ্চল-৩ অফিসে ট্রেড লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার আবুল কালাম খান প্রকাশ্যেই নেন ঘুষ। দুই শ টাকার বই নিতে তাঁকে দিতে হয় চার শ টাকা এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে সেবাগ্রহীতাদের কাছ থেকে। তবে ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি কালের কণ্ঠ’র কাছে অস্বীকার করেছেন আবুল কালাম আজাদ।
তবে আবুল হোসেন নামে ইমামগঞ্জের এক ব্যবসায়ী বলেন, ‘দুই শ টাকার বই নেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে পাঁচ শ টাকা। আবুল কালাম খান আমার কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন।’
অঞ্চল-৫ অফিসে দায়িত্বরত লাইসেন্স ও বিজ্ঞাপন সুপারভাইজার ইকবাল আহমেদ, অফিস সহকারী আবুল কালাম, জন্ম নিবন্ধন শাখার কম্পিউটার অপারেটর ওয়াহিদের বিরুদ্ধেও ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ করেছেন সেবা গ্রহণকারীরা।
এ ব্যাপারে ওয়ারীর লারমিনি স্ট্রিটের বাসিন্দা রেজানুর রহমান রাজু বলেন, ‘ট্রেড লাইসেন্স নবায়ন করতে ইকবাল আহমেদ এক হাজার তিন শ টাকার পরিবর্তে তিন হাজার টাকা দাবি করেন। শেষ পর্যন্ত এক সিনিয়র কর্মকর্তাকে জানালে ফি কমিয়ে দেন তিনি।’
দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা ইউসুফ আলী সরদার বলেন, ‘কিছু অভিযোগ আছে আমাদের কাছে। তবে কর্মকর্তাদের চেয়ে বেশি হয়রানি এবং ঘুষ গ্রহণ করে দালালরা। আগামী বছর থেকে সম্পূর্ণ অনলাইনে সেবা কার্যক্রম শুরু হবে। তখন এগুলো ঠিক হয়ে যাবে।’
এ ব্যাপারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, ‘নানা সময় আমাদের কাছে দালালচক্র ও কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসে। কিন্তু এগুলো লিখিত আকারে না আসায় আমরা ব্যবস্থা নিতে পারি না। এর আগে র্যাব বেশ কয়েকজন দালালকে ধরেছেও হাতেনাতে।’
- কার্টসি: কালেরকন্ঠ / ০৩ অক্টোবর ২০১৮
No comments:
Post a Comment