- সমাবেশ সফল করতে ঐক্যফ্রন্টের প্রচারপত্র বিলি
- সমাবেশে সাধারণ মানুষের ঢল নামবে বলে আশা
- ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির নেতারা সিলেটে
নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আজ বুধবার প্রথম সমাবেশ করছে সিলেটে। বেলা দুইটায় নগরের তালতলার রেজিস্টারি মাঠের এ সমাবেশে যোগ দিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ড. কামাল হোসেনসহ ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির নেতারা সিলেটে পৌঁছেছেন।
এদিকে রাতে জেলা বিএনপির সভাপতির বাসায় প্রস্তুতি সভা করে বের হওয়ার পর নগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ছাড়া শাহজালাল উপশহরের একটি হোটেলের সামনে থেকে বিএনপির আটজন কর্মীকে আটক করে পুলিশ।
আজকের সমাবেশ সফল করতে গতকাল সকালে ও দুপুরে নগরে ঐক্যফ্রন্টের প্রচারপত্র বিলি করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ বিএনপির নেতারা। আরিফুল হক চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘সমাবেশে অংশ নিতে কোনো ধরনের বাধা না দিলে দলীয় কর্মী–সমর্থক ছাড়াও সাধারণ মানুষের ঢল নামবে বলে আশা করছি।’
গতকাল বিকেলে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে সিলেটে পৌঁছান গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বরকতউল্লা বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী এবং সুলতান মোহাম্মদ মনসুর। বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে এই সমাবেশ। এটা জনগণের দাবি, জনগণ সমর্থন এসেই দিয়ে যাবে। দাবি আদায়ে পরবর্তী কর্মসূচি বুধবারের সমাবেশ থেকে ঘোষণা করা হবে।’
ড. কামাল হোসেন এশার নামাজের পর হজরত শাহজালাল (রহ.)–এর মাজার জিয়ারত করেন। তাঁর সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতারা ছিলেন।
রাতে জেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী বলেন, তাঁর সোবহানীঘাটের বাসায় নেতা-কর্মীরা প্রস্তুতি সভা করছিলেন। পুলিশ বাসা ঘিরে রাখে। রাত পৌনে নয়টার দিকে ওই বাসা থেকে বের হলে শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরীকে পুলিশ গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। প্রায় একই সময়ে শাহজালাল উপশহরের একটি হোটেলের সামনে থেকে আটজনকে আটক করে পুলিশ।
শাহরিয়ারকে পুলিশ নিয়ে যাওয়ার সময় নগর পুলিশের উপকমিশনার আজবাহার শেখ প্রথম আলোকে বলেন, ‘উনি অসুস্থ, তাই নিয়ে যাচ্ছি।’
প্রচারপত্র বিলি করতে মাঠে থাকবে আওয়ামী লীগ
আজ বেলা ১১টায় কোর্ট পয়েন্ট থেকে নগর আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের প্রচারপত্র বিলি করবে। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘রেজিস্টারি মাঠ ও কোর্ট পয়েন্ট পাশাপাশি হলেও ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ শুরু হবে বেলা দুইটায়। আর আমরা প্রচারপত্র বিলি করতে মাঠে থাকব বেলা ১১টা থেকে। তাঁদের সমাবেশ শুরুর আগেই আমাদের কর্মসূচি শেষ হবে বলে কোনো ধরনের দ্বন্দ্বের অবকাশ নেই।’
চট্টগ্রামে সমাবেশের অনুমতি মেলেনি
নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম জানান, চট্টগ্রামে বিভাগীয় মহাসমাবেশ করার জন্য লালদীঘি মাঠ ব্যবহারের অনুমতি গতকালও পায়নি জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল ঐক্যফ্রন্টের কয়েকজন নেতা–কর্মী মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুবর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে অনুমতির বিষয়ে আলোচনা করেন।
রাজশাহীর সমাবেশ পেছাতে পারে
নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী জানান, আগামী ২ নভেম্বর রাজশাহীতে অনুষ্ঠেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সমাবেশ পেছাতে পারে বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু। তিনি গতকাল বলেন, লিয়াজোঁ কমিটি সমাবেশের জন্য রাজশাহী মাদ্রাসা মাঠের কথা প্রস্তাব করেছে। তবে ১ থেকে ৩ নভেম্বর ওই মাঠে ইজতেমা হওয়ার কথা রয়েছে। ফলে সমাবেশ পেছানোর সম্ভাবনা বেশি। সমাবেশের সম্ভাব্য তারিখ ৬ নভেম্বর হতে পারে।
- কার্টসিঃ প্রথম আলো/ ২৪ অক্টোবর ২০১৮
No comments:
Post a Comment