Search

Tuesday, October 30, 2018

১ নভেম্বর সন্ধ্যায় সংলাপ


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ড. কামাল হোসেন।সংলাপের আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গণভবনে ডেকেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে ড. কামাল হোসেনকে পাঠানো এক চিঠিতে সংলাপের এই সময় জানানো হয়েছে।আজ মঙ্গলবার সকালে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ প্রধানমন্ত্রীর এই চিঠি নিয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বাসায় যান। 

সংলাপের আহ্বান জানিয়ে ২৮ অক্টোবর চিঠি দেওয়ার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ড. কামাল হোসেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।শেখ হাসিনা স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, অনেক সংগ্রাম ও ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রাখতে সংবিধানসম্মত সব বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দ্বার সর্বদা উন্মুক্ত। তাই আলোচনার জন্য আগামী ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টকে গণভবনে আমন্ত্রণ জানান প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চিঠির পাওয়ার কথা জানিয়ে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকাল আটটার দিকে আব্দুস সোবহান গোলাপ চিঠি নিয়ে ড. কামাল হোসেনের বাসায় আসেন। ড. কামাল হোসেনের হাতে তিনি চিঠিটি দেন। 

আব্দুস সোবহান গোলাপ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সংলাপের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর আমন্ত্রণ প্রসঙ্গে গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু প্রথম আলোকে বলেন, ‘চিঠির উত্তর যেভাবে দ্রুত এসেছে, তাতে তাঁরা আশা করছেন, সংকটের সমাধানও একইভাবে হয়ে যাবে।’

গত রোববার সন্ধ্যায় সংলাপ চেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং সাধারণ সম্পাদক বরাবর দুটি চিঠি দেয় জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। চিঠিতে বলা হয়, ‘শান্তিপূর্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সকলের অংশগ্রহণ ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সঙ্গে একটি অর্থবহ সংলাপের তাগিদ অনুভব করছে এবং সেই লক্ষ্যে আপনার কার্যকর উদ্যোগ প্রত্যাশা করছি।’ এই চিঠির সঙ্গে ঐক্যফ্রন্টের ৭ দফা দাবি ও ১১ দফা লক্ষ্য সংযুক্ত করা হয়।

গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে অনির্ধারিত আলোচনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংলাপের ব্যাপারে ঐক্যফ্রন্টের চিঠির বিষয়টি আলোচনায় আনেন। একাধিক মন্ত্রী বৈঠক শেষে জানান, কোনো কোনো মন্ত্রী সংলাপের বিরোধিতা করলেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বিএনপির সঙ্গে নয়, ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কোনো নাগরিক যদি লিখিতভাবে বসার আবেদন করেন, তাহলে তো না করা যায় না। প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যের পর আর কেউ বিরোধিতা করেননি।

পরে বিকেলে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে সংলাপ হবে বলে আনুষ্ঠানিকভাবে জানান।
  • Courtesy: The Daily Star /Oct 30, 2018

No comments:

Post a Comment